আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
16

বিসিএস ৪৫তম

পরীক্ষারঃ বিসিএস প্রিলিমিনারি টেস্ট

মোট বহুনির্বাচনি প্রশ্নঃ 200

মোট মার্কঃ 200

পরীক্ষার সময়ঃ 02:00:00

প্রকাশের তারিখঃ 19.05.2023

ক. ধ্বনি দৃশ্যমান
খ. মানুষের ভাষার মূলে আছে কতগুলো ধ্বনি
গ. ধ্বনি উচ্চারণীয় ও শ্রবণীয়
ঘ. অর্থবোধক ধ্বনিগুলোই মানুষের বিভিন্ন ভাষার বাগ্‌ধ্বনি
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হলো কঃ ধ্বনি দৃশ্যমান

ধ্বনি দৃশ্যমান নয়, এটি শ্রবণযোগ্য। আমরা ধ্বনি শুনতে পাই, চোখে দেখতে পাই না।

অন্যান্য বাক্যগুলো সঠিক:

  • খঃ মানুষের ভাষার মূলে আছে কতগুলো ধ্বনি: ভাষার মূল উপাদান হলো ধ্বনি। বিভিন্ন ধ্বনির সমন্বয়ে শব্দ এবং বাক্য তৈরি হয়।
  • গঃ ধ্বনি উচ্চারণীয় ও শ্রবণীয়: ধ্বনি মুখ দিয়ে উচ্চারণ করা যায় এবং কান দিয়ে শোনা যায়।
  • ঘঃ অর্থবোধক ধ্বনিগুলোই মানুষের বিভিন্ন ভাষার বাগ্‌ধ্বনি: ভাষার অর্থপূর্ণ ধ্বনিগুলোই বাগ্‌ধ্বনি হিসেবে পরিচিত এবং এগুলোই বিভিন্ন ভাষার ভিত্তি তৈরি করে।
ক. একাক্ষর
খ. মুক্তাক্ষর
গ. বদ্ধাক্ষর
ঘ. যুক্তাক্ষর
ব্যাখ্যাঃ

স্বরান্ত অক্ষরকে মুক্তাক্ষর বলা হয়।

যেসব অক্ষরের শেষে স্বরধ্বনি থাকে অথবা যে অক্ষর স্বরধ্বনি দিয়ে শেষ হয়, তাকে মুক্তাক্ষর বলে। মুক্তাক্ষর উচ্চারণের সময় মুখ খোলা থাকে।

উদাহরণ:

  • দা (দ্ + আ)
  • মা (ম্ + আ)
  • কে (ক্ + এ)
  • যাই (য্ + আ + ই)
  • অ (এখানে 'অ' নিজেই একটি স্বর এবং অক্ষর)
ক. শিরশ্ছেদ, দরিদ্রতা, সমীচীন
খ. শিরোশ্ছেদ, দারিদ্র্য, সমীচিন
গ. শিরঃশ্ছেদ, দরিদ্রতা, সমিচীন
ঘ. শিরচ্ছেদ, দরিদ্রতা, সমীচীন
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক বানানের গুচ্ছ হলো কঃ শিরশ্ছেদ, দরিদ্রতা, সমীচীন

আসুন, প্রতিটি শব্দের সঠিক বানান এবং তার কারণ জেনে নেওয়া যাক:

  • শিরশ্ছেদ: বিসর্গ সন্ধির নিয়মানুসারে, শিরঃ + ছেদ = শিরশ্ছেদ। বিসর্গের পরে চ বা ছ থাকলে বিসর্গ স্থানে শ হয়।
  • দরিদ্রতা: দরিদ্র শব্দের সাথে '-তা' প্রত্যয় যুক্ত হয়ে দরিদ্রতা শব্দটি গঠিত হয়েছে। এখানে 'য' ফলা হবে না।
  • সমীচীন: এই বানানটি সঠিক। 'সমীচিন' বা 'সমিচীন' নয়।

সুতরাং, বিকল্প -এর সবগুলো বানানই শুদ্ধ।

ক. পাঞ্জাবি
খ. ফরাসি
গ. গ্রিক
ঘ. স্পেনিশ
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হলো গঃ গ্রিক

আরবি ‘কলম’ শব্দটি গ্রিক শব্দ ‘kalamos’ (κάλαμος) থেকে এসেছে, যার অর্থ নলখাগড়া বা লেখার নল। ‘কলমোস’ হলো সেই গ্রিক শব্দেরই একটি পরিবর্তিত রূপ।

ক. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
খ. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
গ. মুহম্মদ এনামুল হক
ঘ. সুকুমার সেন
ব্যাখ্যাঃ

উক্তিটি বিশিষ্ট ভাষাবিদ সুকুমার সেন-এর। তাঁর ভাষাতাত্ত্বিক গ্রন্থ ‘ভাষার ইতিবৃত্ত’-এ ভাষার উৎপত্তি ও বিকাশ সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি লেখেন— “ভাষা চিন্তার শুধু বাহনই নয়, চিন্তার প্রসূতিও।” এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, ভাষা কেবল চিন্তাকে প্রকাশ করে না, বরং ভাষার মাধ্যমেই চিন্তার বিকাশ ঘটে। অর্থাৎ, ভাষা মানুষকে মননশীল করে তোলে এবং মানব সভ্যতার অগ্রগতিতে মুখ্য ভূমিকা রাখে।

ক. মানোএল দ্য আস্সু‌ম্পসাঁও
খ. রাজা রামমোহন রায়
গ. রামেন্দ্র সুন্দর ত্রিবেদী
ঘ. নাথানিয়েল ব্রাসি হ্যালহেড
ব্যাখ্যাঃ

সর্বপ্রথম বাংলা ভাষার ব্যাকরণ রচনা করেন ম্যানুয়েল দা আসসুম্পসাঁও (Manuel da Assumpção)।

তিনি একজন পর্তুগিজ মিশনারি ছিলেন এবং ১৭৩৪ সালে "Vocabulario em idioma Bengalla, e Portuguez dividido em duas partes" নামক একটি গ্রন্থ রচনা করেন। এই বইটির দ্বিতীয় অংশে বাংলা ব্যাকরণের একটি প্রাথমিক রূপ দেওয়া হয়েছিল। যদিও এটি সম্পূর্ণরূপে বাংলা ভাষায় রচিত ব্যাকরণ ছিল না, তবে এটিই বাংলা ভাষার প্রথম ব্যাকরণ হিসেবে ধরা হয়।

ক. অ
খ. আ
গ. ও
ঘ. এ
ব্যাখ্যাঃ

উচ্চারণের রীতি অনুযায়ী ঘঃ এ হলো উচ্চমধ্য-সম্মুখ স্বরধ্বনি।

স্বরধ্বনিগুলোকে জিহ্বার অবস্থান (উচ্চতা ও সম্মুখ-পশ্চাৎ) এবং ঠোঁটের আকৃতির (গোলাকার বা অগোলাকার) ভিত্তিতে শ্রেণীবিন্যাস করা হয়।

  • উচ্চ: জিহ্বা মুখের তালুর খুব কাছে থাকে (যেমন: ই, ঈ, উ, ঊ)।
  • উচ্চমধ্য: জিহ্বা উচ্চ এবং মধ্য অবস্থানের মাঝামাঝি থাকে (যেমন: এ, ও)।
  • নিম্নমধ্য: জিহ্বা মধ্য এবং নিম্ন অবস্থানের মাঝামাঝি থাকে (যেমন: অ্যা)।
  • নিম্ন: জিহ্বা মুখের তলদেশের কাছে থাকে (যেমন: আ)।

অন্যদিকে, জিহ্বার সামনের অংশের অবস্থানের ভিত্তিতে স্বরধ্বনিগুলোকে সম্মুখ, কেন্দ্রীয়পশ্চাৎ এই তিন ভাগে ভাগ করা হয়।

  • সম্মুখ: জিহ্বার সামনের অংশ প্রসারিত থাকে (যেমন: ই, ঈ, এ, অ্যা)।
  • কেন্দ্রীয়: জিহ্বার মাঝের অংশ সামান্য উঁচু হয় (যেমন: অ)।
  • পশ্চাৎ: জিহ্বার পেছনের অংশ প্রসারিত থাকে (যেমন: উ, ঊ, ও, ঔ)।

অতএব, 'এ' ধ্বনি উচ্চারণের সময় জিহ্বা মুখের সামনের দিকে এবং উচ্চ ও মধ্যস্থানের মাঝামাঝি অবস্থানে থাকে। ঠোঁট সামান্য প্রসারিত থাকে (অগোলাকার)। তাই 'এ' হলো উচ্চমধ্য-সম্মুখ স্বরধ্বনি।

অন্যান্য বিকল্পগুলো:

  • কঃ অ - কেন্দ্রীয় নিম্নমধ্য স্বরধ্বনি (ঠোঁট সামান্য গোলাকার বা প্রসারিত হতে পারে)।
  • খঃ আ - সম্মুখ নিম্ন স্বরধ্বনি (ঠোঁট প্রসারিত)।
  • গঃ ও - পশ্চাৎ উচ্চমধ্য স্বরধ্বনি (ঠোঁট গোলাকার)।
ক. পান-ব্যবসায়ী
খ. পর্ণকার
গ. তামসিক
ঘ. বারুই
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হলো গঃ তামসিক

‘তাম্বুলিক’ শব্দের সমার্থক শব্দগুলো হলো: পান-ব্যবসায়ী, পর্ণকার এবং বারুই (যারা পান চাষ ও বিক্রি করেন)।

অন্যদিকে, ‘তামসিক’ শব্দের অর্থ হলো অন্ধকারাচ্ছন্ন, তমোগুণযুক্ত, আলস্যপূর্ণ বা জড়তাময়। সুতরাং, এটি ‘তাম্বুলিক’ শব্দের সমার্থক নয়।

ক. পদান্বয়ী অব্যয়
খ. অনুসর্গ অব্যয়
গ. অনন্বয়ী অব্যয়
ঘ. অনুকার অব্যয়
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হলো গঃ অনন্বয়ী অব্যয়

যদিও এই বাক্যে "ভারি" শব্দটিকে অনুসর্গ অব্যয় হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে (যেহেতু এটি "সুন্দর" বিশেষণের পরে বসে তার তীব্রতা বোঝাচ্ছে), প্রধানত এই বাক্যের সুর এবং বিস্ময় ভাব প্রকাশ করছে "তো" শব্দটি।

অনন্বয়ী অব্যয় হলো সেইসব অব্যয় পদ যা বাক্যের অন্য কোনো পদের সাথে সরাসরি সম্পর্ক না রেখে স্বাধীনভাবে বিভিন্ন ভাব (যেমন - বিস্ময়, আনন্দ, দুঃখ, স্বীকৃতি, অস্বীকৃতি ইত্যাদি) প্রকাশ করে। এই বাক্যে "তো" বিস্ময় বা সামান্য জোর দেওয়ার অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।

পদান্বয়ী অব্যয় (যা অনুসর্গ নামেও পরিচিত) বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের পরে বসে এবং কারক বিভক্তি বা অন্যান্য সম্পর্ক বোঝাতে সাহায্য করে (যেমন: দ্বারা, হতে, থেকে)। "ভারি" এখানে সেই অর্থে ব্যবহৃত হয়নি।

অনুকার অব্যয় কোনো কিছুর ধ্বনি বা অনুকরণ প্রকাশ করে (যেমন: ঝমঝম, কিচিরমিচির)।

অতএব, প্রধানত "তো" শব্দটির কারণে এই বাক্যে অনন্বয়ী অব্যয় ব্যবহৃত হয়েছে বলা যায়।

ক. প্রবীণ
খ. জেঠামি
গ. সরোজ
ঘ. মিতালি
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হলো ঘঃ মিতালি

যৌগিক শব্দ হলো সেইসব শব্দ যা দুই বা ততোধিক স্বাধীন অর্থবোধক শব্দ যুক্ত হয়ে তৈরি হয় এবং নতুন অর্থ প্রকাশ করে।

আসুন, বিকল্প শব্দগুলোর বিশ্লেষণ করা যাক:

  • প্রবীণ: এটি একটি মৌলিক শব্দ। এর কোনো অংশ স্বাধীন অর্থ বহন করে না।
  • জেঠামি: এটি একটি কৃদন্ত শব্দ। "জেঠা" শব্দের সাথে "-আমি" প্রত্যয় যুক্ত হয়ে গঠিত হয়েছে। প্রত্যয় যোগে গঠিত শব্দ যৌগিক নয়, এগুলো সাধিত শব্দ।
  • সরোজ: এটিও একটি মৌলিক শব্দ। "সর" (পুকুর) এবং "জ" (জন্ম) আলাদাভাবে অর্থ বহন করলেও, "সরোজ" একটি নির্দিষ্ট অর্থ (পদ্ম) প্রকাশ করে এবং এর গঠন রূঢ়ি শব্দের মতো।
  • মিতালি: "মিতালি" শব্দটি "মিতা" (বন্ধু) এবং "আলি" (বন্ধুদের সমাহার বা ভাব) এই দুটি স্বাধীন অর্থবোধক শব্দ যোগে গঠিত হয়েছে এবং এটি বন্ধুত্ব বা সখ্যতা অর্থে ব্যবহৃত হয়। তাই এটি একটি যৌগিক শব্দ।
ক. একটি
খ. দুটি
গ. তিনটি
ঘ. ভুল নেই
ব্যাখ্যাঃ

‘সুনামীর তান্ডবে অনেকেই সর্বশান্ত হয়েছে।’- বাক্যটিতে তিনটি ভুল আছে।

সঠিক বাক্যটি হবে: ‘সুনামির তাণ্ডবে অনেকেই সর্বস্বান্ত হয়েছে।’

ভুলগুলো হলো:

১. সুনামীর: সঠিক বানান হবে সুনামির (হ্রস্ব ই-কার)। ২. তান্ডবে: সঠিক বানান হবে তাণ্ডবে (ণ-এর জায়গায় ণ)। ৩. সর্বশান্ত: সঠিক শব্দ হবে সর্বস্বান্ত (তালব্য শ-এর জায়গায় দন্ত্য স এবং ত-এর সাথে ব ফলা)।

ক. উপপদ
খ. প্রাতিপদিক
গ. প্রপদ
ঘ. পূর্বপদ
ব্যাখ্যাঃ

কৃদন্ত পদের পূর্ববর্তী পদকে উপপদ বলে।

ব্যাকরণে, কৃদন্ত শব্দের আগে যে পদ বসে এবং কৃদন্তের সাথে কারকবাচক সম্পর্ক স্থাপন করে, তাকে উপপদ বলে। এই ধরনের সমাসকে উপপদ তৎপুরুষ সমাস বলা হয়।

উদাহরণ:

  • জলচর (জলে চরে যে) - এখানে "জল" হলো উপপদ এবং "চর" কৃদন্ত।
  • পকেটমার (পকেট মারে যে) - এখানে "পকেট" হলো উপপদ এবং "মার" কৃদন্ত।
  • মাছিমারা (মাছি মারে যে) - এখানে "মাছি" হলো উপপদ এবং "মারা" কৃদন্ত।
ক. প্রশ্নবাচক
খ. অব্যয়
গ. সর্বনাম
ঘ. বিশেষণ
ব্যাখ্যাঃ

‘তোমার নাম কী?’-এখানে ‘কী’ হলো সর্বনাম

এই বাক্যে ‘কী’ শব্দটি একটি প্রশ্নবোধক সর্বনাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। এটি কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর নাম জানতে চাইছে।

বাংলা ব্যাকরণে, যে পদ বিশেষ্য পদের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়, তাকে সর্বনাম পদ বলে। ‘কী’, ‘কে’, ‘কোন’, ‘কার’ ইত্যাদি প্রশ্নবোধক সর্বনামের উদাহরণ।

ক. কুটিল
খ. জটিল
গ. বক্র
ঘ. গরল
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হলো ঘঃ গরল

‘সরল’ শব্দের বিপরীতার্থক শব্দগুলো হলো কুটিল, জটিল ও বক্র। এই শব্দগুলো সরলতার বিপরীত - অর্থাৎ ঘোরানো, পেঁচানো বা সোজা নয় এমন অর্থ বোঝায়।

অন্যদিকে, ‘গরল’ শব্দের অর্থ হলো বিষ। তাই এটি ‘সরল’ শব্দের বিপরীতার্থক নয়।

ক. পদ
খ. পদমর্যাদা
গ. মাত্রা
ঘ. উচ্চতা
ব্যাখ্যাঃ

‘Rank’ শব্দের বাংলা পরিভাষা হলো পদমর্যাদা, শ্রেণী, স্তর, স্থান অথবা ক্রম

কোন প্রেক্ষাপটে শব্দটি ব্যবহৃত হচ্ছে তার উপর নির্ভর করে এর সঠিক বাংলা পরিভাষা নির্বাচন করতে হয়।

  • সামরিক বা সরকারি ক্ষেত্রে: পদমর্যাদা (যেমন: তার উচ্চ পদমর্যাদা রয়েছে)।
  • কোনো তালিকা বা প্রতিযোগিতায় অবস্থান বোঝাতে: স্থান বা ক্রম (যেমন: পরীক্ষায় তার প্রথম স্থান অধিকার)।
  • গুণমান বা মানের ক্ষেত্রে: শ্রেণী বা স্তর (যেমন: এই পণ্যটি উচ্চ শ্রেণীর)।

সুতরাং, ব্যবহারের ক্ষেত্র অনুযায়ী এই পরিভাষাগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে।

ক. প্রবোধচন্দ্র বাগচী
খ. যতীন্দ্র মোহন বাগচী
গ. প্রফুল্ল মোহন বাগচী
ঘ. প্রণয়ভূষণ বাগচী
ব্যাখ্যাঃ

চর্যাপদের তিব্বতি অনুবাদ প্রবোধচন্দ্র বাগচী সংগ্রহ করেন।

তিনি ১৯৩৮ সালে আই. পি. কডিয়ার কর্তৃক প্রকাশিত তেঙ্গুর পুস্তক তালিকায় এই বইটির পূর্ণাঙ্গ তিব্বতি অনুবাদের সন্ধান পান। এই আবিষ্কার চর্যাপদের মূল পাঠ এবং এর টীকা সম্পর্কে নতুন তথ্য উন্মোচন করতে সহায়ক হয়েছিল।

ক. শশাঙ্কদেবের
খ. লক্ষ্মণ সেনের
গ. যশোবর্মনের
ঘ. হর্ষবর্ধনের
ব্যাখ্যাঃ

‘গীতগোবিন্দ’ কাব্যের রচয়িতা জয়দেব গৌড়ের রাজা লক্ষণ সেন-এর সভাকবি ছিলেন। লক্ষণ সেন ছিলেন দ্বাদশ শতাব্দীর শেষার্ধের এবং ত্রয়োদশ শতাব্দীর প্রথমার্ধের বাংলার সেন রাজবংশের তৃতীয় রাজা। তিনি শিল্প ও সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন এবং তার সভাতে অনেক বিখ্যাত কবি ও পণ্ডিতের সমাগম ঘটেছিল। জয়দেব ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম এবং সবচেয়ে বিখ্যাত।

ক. ব্রজবুলি
খ. বাংলা
গ. সংস্কৃত
ঘ. হিন্দি
ব্যাখ্যাঃ

কবি যশোরাজ খান মূলত ব্রজবুলি ভাষায় বৈষ্ণব পদ রচনা করেন।

ব্রজবুলি হলো মৈথিলি ও বাংলা ভাষার মিশ্রণে সৃষ্ট একটি কৃত্রিম সাহিত্যিক ভাষা। প্রাচীন বাংলা সাহিত্যের প্রথম ব্রজবুলি পদ রচনার কৃতিত্ব যশোরাজ খানের। তিনি সম্ভবত হোসেন শাহের রাজত্বকালের কবি ছিলেন।

ক. দৌলত উজির বাহরাম খাঁ
খ. সাবিরিদ খাঁ
গ. সৈয়দ সুলতান
ঘ. সৈয়দ নূরুদ্দীন
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হলো ঘঃ সৈয়দ নূরুদ্দীন

দৌলত উজির বাহরাম খাঁ, সাবিরিদ খাঁ এবং সৈয়দ সুলতান মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য কবি এবং তারা যুদ্ধকাব্য রচনা করেছেন।

  • দৌলত উজির বাহরাম খাঁ: তার বিখ্যাত যুদ্ধকাব্য হলো "লাইলী-মজনু"
  • সাবিরিদ খাঁ: তিনিও "বিদ্যাসুন্দর" কাব্যের একটি যুদ্ধ-কেন্দ্রিক আখ্যান রচনা করেন।
  • সৈয়দ সুলতান: তার রচিত "নবীবংশ" একটি দীর্ঘ কাব্য এবং এর কিছু অংশে যুদ্ধ ও সংঘাতের বর্ণনা রয়েছে।

অন্যদিকে, সৈয়দ নূরুদ্দীন প্রধানত নাথ সাহিত্যের সঙ্গে যুক্ত। তার উল্লেখযোগ্য রচনা হলো "নাসির নামা"। তিনি যুদ্ধকাব্য রচনা করেননি।

ক. রসুল বিজয়
খ. মক্কা বিজয়
গ. রসুলচরিত
ঘ. মক্কানামা
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হলো কঃ রসুল বিজয়

কবি জৈনুদ্দিনের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থের নাম "রসুল বিজয়"। এটি মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন। এই কাব্যে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর জীবন ও কর্ম এবং বিভিন্ন যুদ্ধ সম্পর্কিত বর্ণনা রয়েছে।

ক. বিনয় ঘোষ
খ. সুবিনয় ঘোষ
গ. বিনয় ভট্টাচার্য
ঘ. বিনয় বর্মণ
ব্যাখ্যাঃ

‘বিদ্যাসাগর ও বাঙালি সমাজ’ গ্রন্থটির রচয়িতা হলেন বিনয় ঘোষ

এটি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জীবন ও কর্ম এবং উনিশ শতকের বাঙালি সমাজে তার প্রভাব নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ।

ক. রাজা রামমোহন রায়
খ. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
গ. মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার
ঘ. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
ব্যাখ্যাঃ

প্রথম সাহিত্যিক গদ্যের স্রষ্টা হিসেবে সাধারণত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর-কে ধরা হয়।

তিনি বাংলা গদ্যকে একটি সুস্পষ্ট রূপ দেন এবং এর ভাষাকে সংস্কৃত শব্দবহুলতা ও জটিলতা থেকে মুক্ত করে একটি সহজ, সাবলীল ও শ্রুতিমধুর রূপ দান করেন। তাঁর আগে গদ্যের ব্যবহার মূলত দলিলপত্র, চিঠিপত্র বা অনুবাদে সীমাবদ্ধ ছিল। বিদ্যাসাগরই প্রথম সাহিত্য রচনার ক্ষেত্রে গদ্যকে একটি শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর "বেতাল পঞ্চবিংশতি", "শকুন্তলা" বা "সীতার বনবাস" এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বাংলা গদ্যকে আরও সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী করে তোলেন, তবে সাহিত্যিক গদ্যের সূত্রপাত মূলত বিদ্যাসাগরের হাত ধরেই হয়েছিল।

ক. ১৮৫৮ সালে
খ. ১৯৭৮ সালে
গ. ১৮৪৮ সালে
ঘ. ১৮৬৮ সালে
ব্যাখ্যাঃ

প্যারীচাঁদ মিত্রের ‘আলালের ঘরের দুলাল’ প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় ১৮৫৮ সালে

এটি প্রথম ১৮৫৪ সাল থেকে প্যারীচাঁদ মিত্র ও রাধানাথ শিকদার সম্পাদিত 'মাসিক পত্রিকা'-য় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল।

ক. চতুরঙ্গ
খ. চার অধ্যায়
গ. নৌকাডুবি
ঘ. ঘরে বাইরে
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হলো কঃ চতুরঙ্গ

শচীন, দামিনী ও শ্রীবিলাস রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'চতুরঙ্গ' উপন্যাসের প্রধান চরিত্র। এই উপন্যাসটি ১৯১৬ সালে প্রকাশিত হয় এবং চারটি স্বতন্ত্র দৃষ্টিকোণ থেকে একটি জটিল মনস্তাত্ত্বিক ও দার্শনিক আখ্যান তুলে ধরে।

ক. রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়
খ. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
গ. হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
ঘ. ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
ব্যাখ্যাঃ

‘তুমি মা কল্পতরু, আমরা সব পোষাগরু’- এই কবিতাংশটির রচয়িতা হলেন ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত

এটি তার বিখ্যাত কবিতা ‘মাতৃভাষা’-র অংশ। এই কবিতায় তিনি মাতৃভাষার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন এবং নিজেকে ও অন্যান্য বাঙালিদের মাতৃরূপ কল্পতরুর আশ্রিত পোষা গরুরূপে কল্পনা করেছেন।

ক. গো-জীবন
খ. ইসলামের জয়
গ. এর উপায় কী
ঘ. বসন্তকুমারী নাটক
ব্যাখ্যাঃ

মীর মশাররফ হোসেনের 'গো-জীবন' (১৮৮৯) প্রবন্ধটিতে হিন্দু-মুসলমানের বিরোধের প্রসঙ্গ বিশেষভাবে আলোচিত হয়েছে।

এই প্রবন্ধে তিনি মূলত গরু কোরবানি এবং এর অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যেকার সংঘাত এড়িয়ে একটি সহনশীল অবস্থান তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কৃষিনির্ভর অর্থনীতিতে গোহত্যার বিরূপ প্রভাব এবং উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তার কথা তিনি যুক্তির মাধ্যমে তুলে ধরেন।

যদিও এটি একটি প্রবন্ধ গ্রন্থ, তবে এখানে হিন্দু-মুসলমানের বিরোধের একটি স্পর্শকাতর বিষয়কে কেন্দ্র করে লেখকের নিজস্ব মতামত ও বিশ্লেষণ স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।

ক. ১০ বছর
খ. ১২ বছর
গ. ১৪ বছর
ঘ. ১৬ বছর
ব্যাখ্যাঃ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ষোল বছর বয়সে ছোটগল্পকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।

১৮৭৭ সালে, মাত্র ষোল বছর বয়সে তাঁর প্রথম ছোটগল্প "ভিখারিণী" 'ভারতী' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এর মাধ্যমেই বাংলা সাহিত্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করে এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য ছোটগল্প রচনার যাত্রা শুরু হয়।

ক. ইছামতি
খ. মেঘমল্লার
গ. মৌরিফুল
ঘ. যাত্রাবদল
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হলো কঃ ইছামতি

ইছামতি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি বিখ্যাত উপন্যাস, গল্পগ্রন্থ নয়।

অন্যদিকে, মেঘমল্লার, মৌরিফুল এবং যাত্রাবদল – এই তিনটিই বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উল্লেখযোগ্য গল্পগ্রন্থ

ক. যুগ-বাণী
খ. রুদ্র-মঙ্গল
গ. দুর্দিনের যাত্রী
ঘ. রাজবন্দির জবানবন্দি
ব্যাখ্যাঃ

‘আমার পথ’ প্রবন্ধটি কাজী নজরুল ইসলামের ‘রুদ্রমঙ্গল’ গ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে।

এই প্রবন্ধটি নজরুলের বিদ্রোহী ও আত্মবিশ্বাসী মনোভাবের এক উজ্জ্বল প্রকাশ। এখানে তিনি নিজের সত্যকে অনুসরণ করার এবং কোনো প্রকার ভণ্ডামি বা মিথ্যার কাছে নতি স্বীকার না করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। ‘রুদ্রমঙ্গল’ নজরুলের প্রবন্ধ সংকলনগুলির মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ।

ক. বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে
খ. জসীম উদ্‌দীনকে
গ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে
ঘ. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে
ব্যাখ্যাঃ

‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধে মোতাহের হোসেন চৌধুরী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-কে তপোবন-প্রেমিক বলেছেন।

প্রবন্ধে তিনি উল্লেখ করেছেন যে রবীন্দ্রনাথ ফুল ও নদীর গতির সাথে তুলনা করে নদীর গতির মধ্যেই মনুষ্যত্বের বেদনা উপলব্ধি করেছেন। মোতাহের হোসেন চৌধুরী মনে করেন, বৃক্ষের ফুল ফোটানোর দিকে তাকালে তপস্যার জন্য রবীন্দ্রনাথের যে অনুরাগ ছিল, তা অনুভব করা যায়। তাই তিনি রবীন্দ্রনাথকে তপোবন-প্রেমিক হিসেবে অভিহিত করেছেন।

ক. শেখ নাসেরকে
খ. শেখ কামালকে
গ. শেখ হাসিনাকে
ঘ. শেখ রেহেনাকে
ব্যাখ্যাঃ

প্রদত্ত রচনাংশ অনুসারে, ‘আমি যখন জেলে যাই তখন ওর বয়স মাত্র কয়েক মাস।’- এখানে ‘ওর’ বলতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শেখ কামালকে বুঝিয়েছেন।

কারণ, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় বঙ্গবন্ধু যখন কারাবন্দী ছিলেন এবং পরে বাড়ি ফিরে এসে এই ঘটনাটি বর্ণনা করছেন, তখন শেখ কামালের বয়স খুবই কম ছিল। শেখ হাসিনা সেই সময় শেখ কামালের চেয়ে বড় ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ভাষ্য অনুযায়ী, কামাল তার বাবাকে ডাকার জন্য ব্যাকুল ছিল, যা একজন অল্পবয়স্ক শিশুর আবেগ প্রকাশ করে।

ক. গাইবান্ধায়
খ. বগুড়ায়
গ. ঢাকায়
ঘ. সিরাজগঞ্জে
ব্যাখ্যাঃ

আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ছিলেন বাংলা সাহিত্যের একজন প্রখ্যাত ও প্রভাবশালী লেখক। তিনি ১৯৪৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধা জেলার গোটিয়া গ্রামে মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস ছিল বগুড়া জেলায়।

ইলিয়াস ছিলেন একজন স্বল্পপ্রজ লেখক, তবে তাঁর প্রতিটি রচনা গভীর জীবনবোধ, তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণ এবং সমাজবাস্তবতার নিপুণ চিত্রায়ণে সমৃদ্ধ। তিনি ঔপন্যাসিক এবং ছোটগল্পকার হিসেবে পরিচিত।

তাঁর উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম:

  • উপন্যাস:
    • চিলেকোঠার সেপাই (১৯৮৭)
    • খোয়াবনামা (১৯৯৬)
  • গল্পগ্রন্থ:
    • অন্য ঘরে অন্য স্বর (১৯৭৬)
    • খোঁয়ারি (১৯৮২)
    • দুধভাতে উৎপাত (১৯৮৫)
    • দোজখের ওম (১৯৮৯)
    • জাল স্বপ্ন, স্বপ্নের জাল (১৯৯৭)
  • প্রবন্ধ সংকলন:
    • সংস্কৃতির ভাঙা সেতু

আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ১৯৯৭ সালের ৪ জানুয়ারি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় মারা যান। বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয়।

ক. স্বরবৃত্ত ছন্দ
খ. অক্ষরবৃত্ত ছন্দ
গ. মাত্রাবৃত্ত ছন্দ
ঘ. গৈরিশ ছন্দ
ব্যাখ্যাঃ

মাইকেল মধুসূদন দত্ত প্রবর্তিত ‘অমিত্রাক্ষর ছন্দ’ প্রকৃত পক্ষে বাংলা অক্ষরবৃত্ত ছন্দের নব-রূপায়ণ।

অমিত্রাক্ষর ছন্দে অক্ষরবৃত্ত ছন্দের মূল বৈশিষ্ট্যগুলো বজায় থাকে, যেমন প্রতি চরণে অক্ষরের সংখ্যা গণনা এবং শ্বাসাঘাতের ভূমিকা। তবে অমিত্রাক্ষর ছন্দে চরণের শেষে অন্ত্যমিল থাকে না এবং ভাবের প্রবাহ এক চরণ থেকে অন্য চরণে অবাধভাবে চলতে পারে। এই বৈশিষ্ট্যগুলি এটিকে প্রবহমানতা দান করে এবং কবিতাটিকে গদ্যের কাছাকাছি একটি মুক্তি দেয়।

পয়ার ছিল বাংলা অক্ষরবৃত্ত ছন্দের একটি সুপ্রতিষ্ঠিত রূপ, যেখানে প্রতি চরণে ১৪টি অক্ষর এবং ৮+৬ মাত্রার দুটি পর্ব থাকত এবং অন্ত্যমিল বিদ্যমান থাকত। মধুসূদন দত্ত এই কাঠামো বজায় রেখেই অন্ত্যমিলের প্রথা ভেঙে অমিত্রাক্ষর ছন্দ প্রবর্তন করেন। তাই, অমিত্রাক্ষর ছন্দকে অক্ষরবৃত্ত ছন্দেরই একটি আধুনিক ও নবায়িত রূপ বলা যায়।

ক. সৈয়দ শামসুল হক
খ. শামসুর রাহমান
গ. হাসান হাফিজুর রহমান
ঘ. আহসান হাবীব
ব্যাখ্যাঃ

‘বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়’ কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা হলেন শামসুর রাহমান

এই কাব্যগ্রন্থটি ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত হয় এবং এটি তাঁর একটি উল্লেখযোগ্য সৃষ্টি।

ক. আবুল ফজল
খ. আবদুল কাদির
গ. জাহানারা ইমাম
ঘ. মুশতারি শফী
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হলো কঃ আবুল ফজল

‘দুর্দিনের দিনলিপি’ স্মৃতিগ্ৰন্থটি আবুল ফজলের লেখা। এটি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়কার লেখকের দিনলিপি।

৩৬. She insisted on _____ leaving the house.

[ বিসিএস ৪৫তম ]

ক. he
খ. him
গ. himself
ঘ. his
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হলো ঘঃ his.

এখানে সঠিক বাক্যটি হবে: "She insisted on his leaving the house."

কারণ:

  • on একটি preposition (প্রস্তুতি)।
  • preposition এর পরে যদি কোনো verb (ক্রিয়া) gerund (verb + ing) রূপে থাকে, তাহলে তার পূর্বে possessive adjective (যেমন: his, her, their, my, your, its) বসে। এখানে leaving হলো leave ক্রিয়ার gerund রূপ, তাই এর আগে his বসবে।

অন্যান্য বিকল্পগুলো ব্যাকরণগতভাবে ভুল:

  • he হলো nominative case (কর্তৃকারক), যা এখানে প্রযোজ্য নয়।
  • him হলো objective case (কর্মকারক), যা সাধারণত verb এর পরে বসে, preposition এর পরে নয় (gerund এর পূর্বে possessive adjective বসে)।
  • himself হলো reflexive pronoun (আত্মবাচক সর্বনাম), যা এখানে অর্থপূর্ণ নয়।

৩৭. The phrase ‘Achilles heel’ means–

[ বিসিএস ৪৫তম ]

ক. a strong point
খ. a strong solution
গ. a weak point
ঘ. a permanent solution
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হলো গঃ a weak point.

‘Achilles heel’ phrase টির অর্থ হলো দুর্বল দিক বা মারাত্মক দুর্বলতা

গ্রিক পুরাণে অ্যাকিলিস ছিলেন একজন বীর যোদ্ধা। তার মা তাকে অমর করার জন্য ছোটবেলায় স্টিক্স নদীর জলে ডুবিয়েছিলেন, কিন্তু গোড়ালির যে অংশ ধরে তিনি তাকে ডুবিয়েছিলেন, সেই অংশটি ভেজেনি। ফলে তার শরীরের ওই অংশটি দুর্বল রয়ে যায় এবং পরবর্তীতে ওই স্থানে তীর বিদ্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়। এই পৌরাণিক কাহিনী থেকেই ‘Achilles heel’ phrase টির উৎপত্তি, যার অর্থ কোনো কিছুর বা কোনো ব্যক্তির মারাত্মক দুর্বল দিক।

৩৮. He does not adhere __ any principle.

[ বিসিএস ৪৫তম ]

ক. by
খ. in
গ. at
ঘ. to
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হবে to.

সঠিক বাক্যটি হলো: "He does not adhere to any principle."

"Adhere" ক্রিয়ার পরে সাধারণত "to" preposition বসে, যার অর্থ হলো কোনো নীতি, নিয়ম বা মতবাদের প্রতি অবিচল থাকা বা লেগে থাকা।

৩৯. Millennium is a period of –

[ বিসিএস ৪৫তম ]

ক. 100 year
খ. 1000 year
গ. 1 million year
ঘ. 1 billion year
ব্যাখ্যাঃ

Millennium is a period of one thousand years.

ক. By whom has this Jug been broken?
খ. By whom has this Jug broken?
গ. By whom this Jug has been broken?
ঘ. Whom has this Jug been broken?
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হলো কঃ By whom has this Jug been broken?

ব্যাখ্যা:

  • Active voice-এ কর্তা ("Who") প্রথমে থাকে এবং কর্ম ("this Jug") পরে থাকে।
  • Passive voice-এ কর্ম প্রথমে আসে এবং কর্তার পূর্বে "by" যোগ করা হয়।
  • প্রশ্নবোধক বাক্যকে passive voice-এ পরিবর্তন করার সময়, auxiliary verb ("has") কর্মের পূর্বে বসে।

তাই, "Who has broken this Jug?" এর passive form হবে "By whom has this Jug been broken?"

৪১. Who is not a Victorian Poet?

[ বিসিএস ৪৫তম ]

ক. Alfred Tennyson
খ. Robert Browning
গ. William Wordsworth
ঘ. Matthew Arnold
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হলো গঃ William Wordsworth.

ব্যাখ্যা:

  • Alfred Tennyson, Robert Browning, এবং Matthew Arnold – এই তিনজনই ভিক্টোরিয়ান যুগের (১৮৩৭-১৯০১) বিখ্যাত কবি। তাদের লেখায় সেই সময়ের সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় প্রেক্ষাপট প্রতিফলিত হয়েছে।

  • William Wordsworth ছিলেন রোমান্টিক যুগের (আনুমানিক ১৭৯৮-১৮৩৭) একজন প্রধান কবি। তাঁর বিখ্যাত কাজগুলির মধ্যে রয়েছে "Lyrical Ballads" (স্যামুয়েল টেইলর কোলরিজের সাথে যৌথভাবে লেখা)। তিনি প্রকৃতির প্রতি গভীর ভালোবাসা এবং মানব অনুভূতির সরল প্রকাশনার জন্য পরিচিত। ভিক্টোরিয়ান যুগ শুরু হওয়ার আগেই তাঁর কবিজীবন মূলত শেষ হয়ে গিয়েছিল।

ক. 1984
খ. Brave New World
গ. A Clockwork Orange
ঘ. For Whom the Bell Tolls
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হলো কঃ 1984.

ব্যাখ্যা:

  • 1984 উপন্যাসটি জর্জ অরওয়েল (George Orwell) রচনা করেছেন এবং এটি ১৯৪৯ সালে প্রকাশিত হয়। এটি একটি ডিস্টোপিয়ান উপন্যাস, যেখানে একটি সর্বগ্রাসী রাষ্ট্রের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

অন্যান্য উপন্যাসগুলো ভিন্ন লেখকদের রচনা:

  • Brave New World লিখেছেন অ্যালডাস হাক্সলি (Aldous Huxley)।
  • A Clockwork Orange লিখেছেন অ্যান্থনি বার্জেস (Anthony Burgess)।
  • For Whom the Bell Tolls লিখেছেন আর্নেস্ট হেমিংওয়ে (Ernest Hemingway)।

৪৩. Identify the correct sentence:

[ বিসিএস ৪৫তম ]

ক. She speaks English like English
খ. She speaks the English like English
গ. She speaks the English like the English
ঘ. She speaks English like the English
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হলো ঘঃ She speaks English like the English.

ব্যাখ্যা:

  • She speaks English: এখানে 'English' ভাষাটিকে বোঝাচ্ছে এবং ভাষার নামের আগে সাধারণত কোনো definite article ('the') বসে না।

  • like the English: এখানে 'the English' বলতে ইংরেজ জাতি বা ইংরেজ ভাষাভাষী মানুষদের বোঝানো হচ্ছে। যখন কোনো জাতির বা ভাষাভাষী গোষ্ঠীর কথা বলা হয়, তখন তাদের আগে 'the' বসে।

সুতরাং, বাক্যটির অর্থ হলো "সে ইংরেজদের মতো ইংরেজি বলে।"

ক. forward
খ. back
গ. by
ঘ. around
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হবে back.

সঠিক বাক্যটি হলো: "When one makes a promise, one must not go back on it."

"Go back on a promise" একটি phraseal verb, যার অর্থ হলো প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা বা কথা না রাখা।

ক. To protect
খ. To terminate
গ. To tolerate
ঘ. To prevent
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হলো গঃ To tolerate.

"Put up with" একটি phraseal verb, যার অর্থ হলো সহ্য করা, মানিয়ে নেওয়া, অথবা ধৈর্য ধরা

সুতরাং, "I can’t put up with him anymore" এর অর্থ হলো "আমি আর তাকে সহ্য করতে পারছি না।"

ক. Andrew Marvell
খ. John Donne
গ. George Herbert
ঘ. Henry Vaughan
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হলো কঃ Andrew Marvell.

"To his Coy Mistress" কবিতাটি ইংরেজি সাহিত্যের বিখ্যাত কবি অ্যান্ড্রু মার্ভেল সপ্তদশ শতাব্দীতে রচনা করেন। এটি একটি ক্যার্পে ডিয়েম (carpe diem) কবিতা, যেখানে বক্তা তার প্রেমিকার কাছে সময়ের দ্রুত ক্ষয় এবং প্রেমের গুরুত্ব তুলে ধরে তাকে ভালোবাসার জন্য প্ররোচিত করে।

৪৭. The synonym of ‘altitude’ is –

[ বিসিএস ৪৫তম ]

ক. height
খ. width
গ. length
ঘ. depth
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হলো কঃ height.

'Altitude' শব্দের অর্থ হলো উচ্চতা (সমুদ্রপৃষ্ঠ বা অন্য কোনো ভিত্তি থেকে উল্লম্ব দূরত্ব)। 'Height' শব্দের অর্থও একই – উচ্চতা

অন্যান্য বিকল্পগুলো 'altitude'-এর সমার্থক নয়:

  • width: প্রস্থ
  • length: দৈর্ঘ্য
  • depth: গভীরতা
ক. Pride and Prejudice
খ. Tess of the D’llrberville
গ. Wuthering Heights
ঘ. Jane Eyre
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হলো কঃ Pride and Prejudice.

এলিজাবেথ বেনেট (Elizabeth Bennett) জেন অস্টেনের বিখ্যাত উপন্যাস "Pride and Prejudice"-এর প্রধান চরিত্র।

ক. have
খ. had
গ. might
ঘ. would
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হবে had.

সঠিক বাক্যটি হলো: "This could have worked if I had been more far-sighted."

ব্যাখ্যা:

এটি একটি hypothetical conditional sentence (কাল্পনিক শর্তযুক্ত বাক্য)। "If" clause-এ past perfect tense (had + been) ব্যবহৃত হয়, যা অতীতের একটি অসম্ভাব্য পরিস্থিতি বোঝায়। মূল clause-এ "could have + past participle" (worked) ব্যবহৃত হয়েছে, যা সেই অসম্ভাব্য পরিস্থিতির ফলস্বরূপ যা ঘটতে পারত তা বোঝায়।

ক. rude
খ. gracious
গ. coarse
ঘ. pretentious
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হলো ঘঃ pretentious.

এখানে "arrogant" শব্দের অর্থ হলো দাম্ভিক, অহংকারী, বড়াইপূর্ণ

আসুন অন্যান্য বিকল্পগুলোর অর্থ দেখা যাক:

  • rude (রুড): অভদ্র, অশিষ্ট।
  • gracious (গ্রেইশাস): ভদ্র, অমায়িক, কৃপাপূর্ণ। এটি "arrogant"-এর বিপরীতার্থক।
  • coarse (কোর্স): রুক্ষ, অমসৃণ, অভদ্র।

"Pretentious" শব্দের অর্থ হলো ভানকারী, কৃত্রিম, অহংকারী ভাব দেখানো। যদিও "arrogant" সরাসরি "pretentious" নয়, তবে এই চারটি বিকল্পের মধ্যে "pretentious" শব্দটি "arrogant"-এর কাছাকাছি অর্থ বহন করে, বিশেষ করে যখন কেউ ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে অন্যদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করে।

তবে, যদি শুধুমাত্র আক্ষরিক অর্থের দিকে তাকানো হয়, তাহলে rude (রুড)-ও কিছুটা কাছাকাছি অর্থ প্রকাশ করতে পারে। কিন্তু "arrogant" এর মধ্যে যে আত্মম্ভরিতা বা নিজেকে অন্যের চেয়ে বড় মনে করার ভাব থাকে, তা "pretentious"-এর মধ্যে আরও বেশি প্রকট।

সুতরাং, প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে pretentious শব্দটি "arrogant"-এর অর্থের সবচেয়ে কাছাকাছি।

৫১. Don Juan was composed by—

[ বিসিএস ৪৫তম ]

ক. W.B. Yeats
খ. E.B. Browning
গ. George Gordon Byron
ঘ. Alexander Pope
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হলো গঃ George Gordon Byron.

"Don Juan" কবিতাটি লর্ড বায়রন (George Gordon Byron) রচনা করেন। এটি একটি দীর্ঘ বর্ণনামূলক কবিতা, যা ব্যঙ্গাত্মক এবং হাস্যরসাত্মক ভঙ্গিতে লেখা।

৫২. Identify the imperative sentence:

[ বিসিএস ৪৫তম ]

ক. Shut up!
খ. Shahin is playing football.
গ. I shall cook dinner now.
ঘ. What is your name?
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হলো কঃ Shut up!

ব্যাখ্যা:

  • Imperative sentence (অনুজ্ঞাসূচক বাক্য) সেই বাক্য যা আদেশ, অনুরোধ, উপদেশ, নিষেধ ইত্যাদি প্রকাশ করে এবং সাধারণত মূল ক্রিয়া (verb) দিয়ে শুরু হয়।

অপশনগুলোর বিশ্লেষণ:

  • কঃ Shut up! - এটি একটি আদেশসূচক বাক্য এবং মূল ক্রিয়া 'Shut' দিয়ে শুরু হয়েছে।
  • খঃ Shahin is playing football. - এটি একটি assertive sentence (বিবৃতিমূলক বাক্য)।
  • গঃ I shall cook dinner now. - এটি একটি declarative sentence (বর্ণনাত্মক বাক্য)।
  • ঘঃ What is your name? - এটি একটি interrogative sentence (প্রশ্নবোধক বাক্য)।

৫৩. "Black Death" is the name of a—

[ বিসিএস ৪৫তম ]

ক. fever
খ. black fever
গ. plague pandemic
ঘ. death of black people
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হলো গঃ plague pandemic.

"Black Death" হলো চতুর্দশ শতাব্দীর ভয়াবহ প্লেগ মহামারীর নাম। এটি মানব ইতিহাসের অন্যতম মারাত্মক মহামারী ছিল, যা ইউরোপ এবং এশিয়ার একটি বিশাল অংশকে বিপর্যস্ত করেছিল এবং লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছিল।

৫৪. 'Ulysses' is a poem written by—

[ বিসিএস ৪৫তম ]

ক. Robert Browning
খ. Wordsworth
গ. S.T. Coleridge
ঘ. Alfred Tennyson
ব্যাখ্যাঃ

'Ulysses' কবিতাটি লিখেছেন আলফ্রেড, লর্ড টেনিসন।

৫৫. Who wrote the poem ‘Ozymandias’?

[ বিসিএস ৪৫তম ]

ক. Thomas Hardy
খ. Robert Frost
গ. P.B. Shelley
ঘ. Edmund Spenser
ব্যাখ্যাঃ

'Ozymandias' কবিতাটি লিখেছেন পার্সি বিশি শেলি (Percy Bysshe Shelley)। "Ozymandias" কবিতাটির মূল বিষয়বস্তু হলো ক্ষমতার ক্ষণস্থায়িত্ব এবং মানুষের অহংকারের অসারতা। কবিতাটিতে একজন পর্যটকের মুখ দিয়ে এক প্রাচীন রাজার (Ozymandias) ভাঙা মূর্তি এবং তার শিলালিপির বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। রাজা তার বিশাল ক্ষমতা ও কীর্তির জন্য অত্যন্ত অহংকারী ছিলেন এবং তার মূর্তির বেদীতে লিখেছিলেন, "আমার কর্ম দেখো, হে পরাক্রমশালী, এবং হতাশ হও!" (Look on my Works, ye Mighty, and despair!) কিন্তু সময়ের নিষ্ঠুর আঘাতে সেই বিশাল মূর্তিটি আজ ধূলিসাৎ, ভগ্নস্তূপে পরিণত হয়েছে। রাজার সেই দম্ভপূর্ণ বাণী এখন মরুভূমির নিঃসীম শূন্যতায় প্রতিধ্বনিত হয়, যা তার ক্ষমতার নশ্বরতা এবং মানুষের অহংকারের চূড়ান্ত পরিণতিকেই তুলে ধরে।

৫৬. Clym Yeobright is the protagonist of the novel—

[ বিসিএস ৪৫তম ]

ক. David Copperfield
খ. Adam Bede
গ. A Passage to India
ঘ. The Return of the Native
ব্যাখ্যাঃ

Clym Yeobright হলেন The Return of the Native উপন্যাসের প্রধান চরিত্র। এই উপন্যাসটি বিখ্যাত ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক টমাস হার্ডি (Thomas Hardy) লিখেছেন।

৫৭. The train is running ______ forty miles an hour.

[ বিসিএস ৪৫তম ]

ক. on
খ. to
গ. at
ঘ. for
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হবে at.

সঠিক বাক্যটি হলো: "The train is running at forty miles an hour."

গতি বোঝাতে সাধারণত "at" preposition ব্যবহৃত হয়।

৫৮. He divided the money ______ the two children.

[ বিসিএস ৪৫তম ]

ক. between
খ. over
গ. among
ঘ. in between
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হবে between.

সঠিক বাক্যটি হলো: "He divided the money between the two children."

যখন দুজনের মধ্যে কিছু ভাগ করে দেওয়া হয়, তখন "between" ব্যবহৃত হয়। দুই এর বেশি ব্যক্তির মধ্যে ভাগ করে দেওয়ার ক্ষেত্রে "among" ব্যবহৃত হয়। যেহেতু এখানে "the two children" (দুইজন শিশু)-এর কথা বলা হয়েছে, তাই "between" ব্যবহার করাই সঠিক।

৫৯. No one can ______ that he is clever.

[ বিসিএস ৪৫তম ]

ক. defy
খ. deny
গ. admire
ঘ. denounce
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হবে deny.

সঠিক বাক্যটি হলো: "No one can deny that he is clever."

"Deny" শব্দের অর্থ হলো অস্বীকার করা। বাক্যটির অর্থ হলো "কেউ অস্বীকার করতে পারবে না যে সে চালাক।"

ক. lies
খ. lied
গ. lay
ঘ. layed
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হবে lay.

সঠিক বাক্যটি হলো: "The boy lay on the floor yesterday."

ব্যাখ্যা:

  • এখানে কাজটি গতকাল ঘটেছিল, তাই past tense (অতীত কাল) ব্যবহার করতে হবে।
  • "Lie" (лежа́ть - শুয়ে থাকা) ক্রিয়ার past tense হলো "lay"।
  • "Lie" (лгать - মিথ্যা বলা) ক্রিয়ার past tense হলো "lied"।

যেহেতু ছেলেটি মেঝেতে শুয়ে ছিল, তাই এখানে "lie" (শুয়ে থাকা) ক্রিয়ার past tense "lay" ব্যবহৃত হবে।

৬১. She played on the flute. Passive form is—

[ বিসিএস ৪৫তম ]

ক. The flute was played by her.
খ. The flute was played on by her.
গ. The flute was played to her.
ঘ. The flute was being played by her.
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হবে: The flute was played on by her.

ব্যাখ্যা:

  • Active Voice: Subject (She) + Verb (played on) + Object (the flute)
  • Passive Voice: Object (The flute) + Auxiliary Verb (was) + Past Participle of Verb (played) + Preposition (on) + by + Subject (her)

এখানে "played on" একটি phrasal verb হিসেবে কাজ করছে। Passive voice করার সময় preposition ("on") টি মূল verb এর পরেই থাকে।

৬২. Antonym for Adieu _____.

[ বিসিএস ৪৫তম ]

ক. Farewell
খ. Good bye
গ. Hello
ঘ. Valediction
ব্যাখ্যাঃ

Antonym for Adieu is Hello.

Adieu একটি ফরাসি শব্দ, যার অর্থ হলো বিদায় (Farewell)।

Hello একটি ইংরেজি শব্দ, যার অর্থ হলো হ্যালো বা নমস্কার, যা সাধারণত কারো সাথে প্রথম সাক্ষাতে বা মনোযোগ আকর্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি বিদায়ের বিপরীত একটি সম্ভাষণ।

ক. Simple sentence
খ. Compound sentence
গ. Complex sentence
ঘ. Interrogative sentence
ব্যাখ্যাঃ

'Walk fast lest you should miss the train'. This is a Complex Sentence (জটিল বাক্য)।

ব্যাখ্যা:

  • Complex Sentence (জটিল বাক্য): যে বাক্যে একটি প্রধান খণ্ডবাক্য (Principal Clause) এবং এক বা একাধিক আশ্রিত খণ্ডবাক্য (Subordinate Clause) থাকে, তাকে জটিল বাক্য বলে।

এই বাক্যটিতে:

  • Principal Clause (প্রধান খণ্ডবাক্য): Walk fast (তাড়াতাড়ি হাঁটো)। এটি একটি স্বাধীন বাক্য, যা নিজের অর্থ সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ করতে পারে।
  • Subordinate Clause (আশ্রিত খণ্ডবাক্য): lest you should miss the train (পাছে তুমি ট্রেনটি ধরতে না পারো)। এই বাক্যটি 'lest' (পাছে) দ্বারা শুরু হয়েছে এবং প্রধান খণ্ডবাক্যের উপর নির্ভরশীল। এটি একটি উদ্দেশ্যমূলক আশ্রিত খণ্ডবাক্য (Adverbial Clause of Purpose)।

যেহেতু বাক্যটিতে একটি প্রধান খণ্ডবাক্য এবং একটি আশ্রিত খণ্ডবাক্য ('lest' দ্বারা যুক্ত) রয়েছে, তাই এটি একটি জটিল বাক্য।

৬৪. A number of singers in a church is called—

[ বিসিএস ৪৫তম ]

ক. Choir
খ. Cast
গ. Claque
ঘ. Clump
ব্যাখ্যাঃ

A number of singers in a church is called a choir.

একটি choir হলো একদল লোকের সমন্বয়ে গঠিত একটি সঙ্গীত দল, যারা সাধারণত ধর্মীয় অনুষ্ঠানে (যেমন গির্জার সেবা) গান পরিবেশন করে। একটি কোয়ারে বিভিন্ন ধরণের কণ্ঠস্বর থাকে, যেমন সোপ্রানো (Soprano), অল্টো (Alto), টেনর (Tenor) এবং ব্যাস (Bass)। এই বিভিন্ন কণ্ঠস্বরগুলি একসাথে মিলিত হয়ে সুরেলা এবং ঐকতানপূর্ণ সঙ্গীত তৈরি করে।

গির্জার কোয়ারের সদস্যরা প্রায়শই বিশেষ পোশাক পরিধান করে এবং তারা গির্জার সঙ্গীতের ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাদের গান উপাসনার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বিবেচিত হয় এবং এটি ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আধ্যাত্মিকতাকে আরও গভীর করে তোলে। কোয়ারের পরিবেশনা দর্শকদের মধ্যে শান্তি ও ভক্তির অনুভূতি জাগাতে সহায়ক।

ক. abattoir
খ. acme
গ. admonish
ঘ. abdicate
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হলো খঃ acme.

সঠিক বাক্যটি হলো: "He reached the acme of his literary career."

Acme শব্দের অর্থ হলো সর্বোচ্চ বিন্দু, চূড়া, বা উন্নতির চরম শিখর। এটি "zenith"-এর মতোই অর্থ বহন করে এবং সাহিত্যিক কর্মজীবনের সর্বোচ্চ পর্যায় বোঝাতে উপযুক্ত।

অন্যান্য বিকল্পগুলোর অর্থ:

  • abattoir (অ্যাব্যাটয়ার): কসাইখানা।
  • admonish (অ্যাডমনিশ): তিরস্কার করা, মৃদু ভর্ৎসনা করা।
  • abdicate (অ্যাবডিকেট): সিংহাসন ত্যাগ করা, পদত্যাগ করা।

সুতরাং, সাহিত্যিক কর্মজীবনের সর্বোচ্চ শিখর বোঝাতে "acme" শব্দটিই সবচেয়ে উপযুক্ত।

৬৬. Anger may be compared ____ fir

[ বিসিএস ৪৫তম ]

ক. to
খ. within
গ. against
ঘ. into
ব্যাখ্যাঃ

Anger may be compared to fire.

আমরা সাধারণত তুলনা করার জন্য "to" preposition ব্যবহার করি যখন দুটি ভিন্ন ধরণের জিনিসের মধ্যে সাদৃশ্য বা বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হয়। "Like" ও তুলনা অর্থে ব্যবহৃত হয়, তবে "to" এখানে অধিক উপযুক্ত।

৬৭. Choose the correct sentence:

[ বিসিএস ৪৫তম ]

ক. He discussed the matter.
খ. He discussed about the mater.
গ. He discussed on the matter.
ঘ. None of the above
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হলো কঃ He discussed the matter.

ক্রিয়া "discuss" এর পরে সরাসরি object (কর্ম) বসে, কোনো preposition ("about", "on") এর প্রয়োজন হয় না। তাই "the matter" সরাসরি "discussed" ক্রিয়ার কর্ম হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

৬৮. Identify the correctly spelt word.

[ বিসিএস ৪৫তম ]

ক. Horroscope
খ. Pneumonia
গ. Occassion
ঘ. Embarass
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক বানানযুক্ত শব্দটি হলো খঃ Pneumonia.

অন্যান্য শব্দগুলোর সঠিক বানান:

  • Horoscope (রাশিফল)
  • Occasion (উপলক্ষ)
  • Embarrass (লজ্জিত করা)
ক. Macbeth
খ. Othello
গ. Hamlet
ঘ. King Lear
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হলো খঃ Othello.

ডেসডেমোনা উইলিয়াম শেক্সপিয়রের বিখ্যাত ট্র্যাজেডি "ওথেলো" নাটকের একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। তিনি নাটকের প্রধান চরিত্র ওথেলোর স্ত্রী।

৭০. Meteorology is related to –

[ বিসিএস ৪৫তম ]

ক. concrete slabs
খ. motor vehicles
গ. weather forecasting
ঘ. motor neurone disease
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হলো weather forecasting.

Meteorology (মেটেরোলজি) হলো আবহাওয়াবিদ্যা বা আবহাওয়ার পূর্বাভাস সম্পর্কিত বিজ্ঞান। এটি বায়ুমণ্ডল এবং এর বিভিন্ন প্রক্রিয়া, যেমন তাপমাত্রা, চাপ, আর্দ্রতা, বায়ুপ্রবাহ ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করে এবং এই তথ্যের ভিত্তিতে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়।

অন্যান্য বিকল্পগুলো মেটেরোলজির সাথে সম্পর্কিত নয়:

  • concrete slabs (কংক্রিটের স্ল্যাব): নির্মাণ কাজের উপাদান।
  • motor vehicles (মোটর গাড়ি): যানবাহন।
  • motor neurone disease (মোটর নিউরোন রোগ): স্নায়ুতন্ত্রের একটি রোগ।
ক. x²y²(x + y)
খ. xy(x² + y²)
গ. x²y(x + y)²
ঘ. xy²(x² + y)
ব্যাখ্যাঃ প্রথমে রাশিদ্বয়ের গ.সা.গু (গ্রীষ্মক সূত্র অধিগত গুণিতক) নির্ণয় করি:

গ.সা.গু:


আমরা সাধারণ গুণিতক নির্ণয় করলে পাই:
x2y+xy2=xy(x+y)
x2+xy=x(x+y)

এখানে উভয় রাশির গ্রীষ্মক সূত্র অধিগত গুণিতক হলো x(x+y)

ল.সা.গু:


ল.সা.গু বের করতে হলে প্রথমে দুটি রাশির গুণফল ভাগ করতে হবে তাদের গ.সা.গু দ্বারা:
(x2y+xy2)(x2+xy)gcd

অর্থাৎ,
xy(x+y)x(x+y)x(x+y)
= xy(x+y)

গ.সা.গু এবং ল.সা.গু এর গুণফল:


গ.সা.গু × ল.সা.গু =
x(x+y)×xy(x+y)
= x2y(x+y)2
ক. 6 : 9 : 14
খ. 10 : 15 : 21
গ. 2 : 5 : 7
ঘ. 3 : 5 : 7
ব্যাখ্যাঃ আমরা প্রথমে দুটি অনুপাতকে একই ভিত্তিতে আনতে হবে।

প্রথম অনুপাত: x:y=2:3
দ্বিতীয় অনুপাত: y:z=5:7

এখন, y-এর সাধারণ মান বের করতে হলে দুটি অনুপাতকে সমান করতে হবে।
y=3 এবং y=5 – এখানে y-এর ল.সা.গু হবে 15

ধাপে ধাপে সমাধান:


প্রথম অনুপাতকে ৫ দিয়ে গুণ করি:
x:y=(2×5):(3×5)=10:15

দ্বিতীয় অনুপাতকে ৩ দিয়ে গুণ করি:
y:z=(5×3):(7×3)=15:21

এখন, দুটি অনুপাত একত্র করলে পাই:
x:y:z=10:15:21
ক. 0%
খ. 1%
গ. 5%
ঘ. 10%
ব্যাখ্যাঃ ধরি, জাহিদ সাহেবের প্রাথমিক বেতন ছিল 100 টাকা।

বেতন 10% কমানোর পর তাঁর বেতন হয়:
100(100×10100)=10010=90 টাকা

এখন, হ্রাসকৃত বেতন 90 টাকা 10% বাড়ানো হলো। বৃদ্ধির পরিমাণ:
90×10100=9 টাকা

সুতরাং, 10% বৃদ্ধির পর তাঁর নতুন বেতন হয়:
90+9=99 টাকা

জাহিদ সাহেবের প্রাথমিক বেতন ছিল 100 টাকা এবং নতুন বেতন হলো 99 টাকা।

অতএব, তাঁর ক্ষতি হলো:
10099=1 টাকা

শতকরা ক্ষতির হার বের করতে হলে:
ক্ষতির শতকরা হার=মোট ক্ষতিপ্রাথমিক বেতন×100=1100×100=1%

সুতরাং, জাহিদ সাহেবের 1% ক্ষতি হলো।
ক. 3, 10
খ. 10, 15
গ. 15, 25
ঘ. 10, 25
ব্যাখ্যাঃ আমরা প্রথমে (x + 5)² প্রসারিত করি:

(x+5)2=(x+5)(x+5)

এখন গুণ করি:

x2+5x+5x+25

x2+10x+25

এখন এই সমীকরণকে x2+bx+c এর সঙ্গে তুলনা করলে পাই:

b = 10
c = 25

তাহলে, b = 10 এবং c = 25 হলে সমীকরণটি অভেদ হবে।
ক. xy=y2
খ. x² + y = 1
গ. xy=12
ঘ. x=1y
ব্যাখ্যাঃ সরলরেখার সমীকরণ হলো সেই সমীকরণ যা লেখচিত্রে একটি সরলরেখা তৈরি করে। সরলরেখার সাধারণ সমীকরণ হলো ax+by+c=0, যেখানে a, b এবং c ধ্রুবক এবং a ও b উভয়ই শূন্য নয়।

এখন, বিকল্পগুলো পরীক্ষা করা যাক:

কঃ xy=y2এই সমীকরণটিকে লেখা যায়y2=2x। এটি একটি পরাবৃত্তের (parabola) সমীকরণ, সরলরেখার নয়।

খঃ x2+y=1এই সমীকরণটিকে লেখা যায়y=1x2। এটি একটি অধিবৃত্তের (hyperbola) সমীকরণ, সরলরেখার নয়।

গঃ xy=12এই সমীকরণটিকে লেখা যায়2x=yঅথবা2xy=0। এটি ax+by+c=0আকারের, যেখানেa=2, b=1এবংc=0। সুতরাং, এটি একটি সরলরেখার সমীকরণ।

ঘঃ x=1yএই সমীকরণটিকে লেখা যায়xy=1অথবাy=1x। এটি একটি আয়তাকার অধিবৃত্তের (rectangular hyperbola) সমীকরণ, সরলরেখার নয়।

সুতরাং, সঠিক উত্তরটি হলো গঃ xy=12
ক. 8
খ. 17
গ. 19
ঘ. 34
ব্যাখ্যাঃ আমরা p2+q2 নির্ণয়ের জন্য পরিচিত সূত্র a2+b2=(a+b)22ab ব্যবহার করবো।

প্রথমে, দেওয়া আছে:
p+q=5
pq=3

এখন দুটি সমীকরণ যোগ করলে পাই:
(p+q)+(pq)=5+3
2p=8
p=4

এখন pq=3 ব্যবহার করে q এর মান নির্ণয় করি:
4q=3
q=1

এখন, p2+q2 নির্ণয় করি:
p2+q2=42+12=16+1=17

p2+q2=17
ক. a + b = 1
খ. a – b = 1
গ. a = b
ঘ. a² – b² = 1
ব্যাখ্যাঃ আমরা প্রদত্ত সমীকরণটি ব্যবহার করে সমাধান করবো:

log(ab)+log(ba)=log(a+b)

ধাপে ধাপে সমাধান:


১. Logarithmic সূত্র অনুযায়ী,
logx+logy=log(xy)
তাহলে বামপক্ষকে পরিবর্তন করি:

log(abba)=log(a+b)

২. সরলীকরণ:
log(1)=log(a+b)

৩. যেহেতু log1=0 এবং লগarithemic ফাংশন এক-একভাবে কাজ করে, তাই পাই:

a+b=1

সঠিক উত্তর: কঃ a + b = 1

৭৮. 2x+7=4x+2 হলে x এর মান কত?

[ বিসিএস ৪৫তম ]

ক. 2
খ. 3
গ. 4
ঘ. 6
ব্যাখ্যাঃ আমরা প্রদত্ত সমীকরণটি সরলীকরণ করবো:

2x+7=4x+2

ধাপে ধাপে বিশ্লেষণ:
আমরা জানি, 4=22, তাই 4x+2-কে 2 এর ঘাত রূপে প্রকাশ করা যায়:

2x+7=(22)x+2

এখন, ঘাতের নিয়ম অনুসারে:

(22)x+2=22(x+2)

তাহলে, সমীকরণ দাঁড়ায়:

2x+7=22x+4


x+7=2x+4

x+74=2x

x+3=2x

3=2xx

x=3

সঠিক উত্তর: x=3
ক. 3
খ. 9
গ. 93
ঘ. 33
ব্যাখ্যাঃ প্রথমে দেওয়া ধারাটির প্যাটার্ন বিশ্লেষণ করি:

প্রদত্ত পদগুলি:
13,1,3,

এগুলো গুণোত্তর ধারার (Geometric Progression, GP) সদস্য হতে পারে।

গুণোত্তর অনুপাত বের করি:


দ্বিতীয় পদকে প্রথম পদ দ্বারা ভাগ করলে পাই:
r=113=3

পঞ্চম পদ নির্ণয়:


গুণোত্তর ধারার সাধারণ সূত্র:

an=a1rn1

এখন, n=5 বসিয়ে পাই:
a5=13(3)4

আমরা জানি, (3)4=(3)4=9

তাহলে,
a5=13×9

=93

=33

অর্থাৎ, ধারাটির পঞ্চম পদ হলো 33
ক. 30°
খ. 45°
গ. 60°
ঘ. 0°
ব্যাখ্যাঃ আমাদের দেওয়া আছে, 1+tan2θ=4.

প্রথম ধাপে, tan2θ এর মান বের করি:
tan2θ=41
tan2θ=3

দ্বিতীয় ধাপে, tanθ এর মান বের করি:
tanθ=±3

যেহেতু θ<90, θ প্রথম চতুর্ভাগে অবস্থিত। প্রথম চতুর্ভাগে tanθ এর মান ধনাত্মক হয়। সুতরাং, আমরা কেবল ধনাত্মক মানটি বিবেচনা করব:
tanθ=3

তৃতীয় ধাপে, θ এর মান নির্ণয় করি। আমরা জানি যে tan60=3.

সুতরাং, θ=60.

অতএব, θ=60.
ক. 4π
খ. 3π
গ. 2π
ঘ. π
ব্যাখ্যাঃ আমরা জানি, বৃত্তচাপের দৈর্ঘ্য নির্ণয়ের সূত্র হল:
s=rθ
যেখানে s হল বৃত্তচাপের দৈর্ঘ্য, r হল বৃত্তের ব্যাসার্ধ এবং θ হল কেন্দ্রে উৎপন্ন কোণ (রেডিয়ানে)।

আমাদের দেওয়া আছে:
কেন্দ্রের কোণ, θ=60
বৃত্তের ব্যাস = 12 cm
সুতরাং, বৃত্তের ব্যাসার্ধ, r=122=6 cm

প্রথমে, কোণটিকে রেডিয়ানে পরিবর্তন করতে হবে:
θ(রেডিয়ান)=θ(ডিগ্রী)×π180
θ=60×π180=π3 রেডিয়ান

এখন, বৃত্তচাপের দৈর্ঘ্য নির্ণয় করি:
s=rθ=6×π3=2π cm

সুতরাং, বৃত্তচাপের দৈর্ঘ্য 2π cm।
ক. 30°
খ. 60°
গ. 80°
ঘ. 90°
ব্যাখ্যাঃ মনে করি ত্রিভুজের বাহুগুলো যথাক্রমে a=k, b=22k, এবং c=3k, যেখানে k একটি ধ্রুব সংখ্যা এবং k>0.

ত্রিভুজের বৃহত্তম বাহুটি বৃহত্তম কোণের বিপরীত দিকে থাকে। এখানে বৃহত্তম বাহুটি হলো c=3k. সুতরাং, বৃহত্তম কোণটি C.

কোসাইন সূত্র ব্যবহার করে আমরা পাই:
c2=a2+b22abcosC

এখন মানগুলো বসিয়ে পাই:
(3k)2=(k)2+(22k)22(k)(22k)cosC9k2=k2+8k242k2cosC9k2=9k242k2cosC
0=42k2cosC

যেহেতু k0, তাই আমরা লিখতে পারি:
cosC=0

আমরা জানি যে cos90=0.

সুতরাং, বৃহত্তম কোণটির মান C=90.

অতএব, ত্রিভুজটির বৃহত্তম কোণটি সমকোণ।

সারাংশ: ত্রিভুজের বাহুগুলোর অনুপাত 1:22:3 হলে, বৃহত্তম বাহু 3k এর বিপরীত কোণটি কোসাইন সূত্র ব্যবহার করে 90 পাওয়া যায়।
ক. 12
খ. 13
গ. 310
ঘ. 710
ব্যাখ্যাঃ মোট সংখ্যা: 29, 30, 31, 32, 33, 34, 35, 36, 37, 38। এখানে মোট 10টি সংখ্যা আছে।

এই সংখ্যাগুলোর মধ্যে মৌলিক সংখ্যাগুলো হলো: 29, 31, 37। এখানে 3টি মৌলিক সংখ্যা আছে।

কোনো সংখ্যা বেছে নিলে সেটি মৌলিক হওয়ার সম্ভাবনা হলো:
মৌলিক সংখ্যার সংখ্যামোট সংখ্যার সংখ্যা=310

সুতরাং, 29 থেকে 38 পর্যন্ত সংখ্যা হতে যে কোনো একটিকে ইচ্ছামত বেছে নিলে সেটি মৌলিক হওয়ার সম্ভাবনা 310.

সারাংশ: 29 থেকে 38 পর্যন্ত মোট 10টি সংখ্যার মধ্যে 3টি মৌলিক সংখ্যা (29, 31, 37) রয়েছে। তাই একটি সংখ্যা দৈবচয়ণে বেছে নিলে সেটি মৌলিক হওয়ার সম্ভাবনা 310.
ক. 96
খ. 120
গ. 24
ঘ. 144
ব্যাখ্যাঃ পাঁচ অংকের অর্থপূর্ণ সংখ্যা গঠনের জন্য প্রথম স্থানে 0 ছাড়া অন্য যেকোনো অঙ্ক বসতে পারে।

প্রথম স্থানে বসানোর জন্য 4টি বিকল্প আছে (1, 2, 3, 4)।

একবার একটি অঙ্ক প্রথম স্থানে বসে গেলে, বাকি চারটি স্থানে যেকোনো অঙ্ক বসানো যেতে পারে।

দ্বিতীয় স্থানে বসানোর জন্য 5টি বিকল্প আছে (0, 1, 2, 3, 4)।
তৃতীয় স্থানে বসানোর জন্য 5টি বিকল্প আছে।
চতুর্থ স্থানে বসানোর জন্য 5টি বিকল্প আছে।
পঞ্চম স্থানে বসানোর জন্য 5টি বিকল্প আছে।

সুতরাং, মোট পাঁচ অংকের অর্থপূর্ণ সংখ্যা গঠন করা যাবে:
4×5×5×5×5=4×54=4×625=2500

অতএব, 0, 1, 2, 3, 4 অঙ্কগুলি দ্বারা 2500টি পাঁচ অংকের অর্থপূর্ণ সংখ্যা গঠন করা যাবে।

সারাংশ: পাঁচ অংকের অর্থপূর্ণ সংখ্যা গঠনের জন্য প্রথম স্থানে 0 বাদে 4টি বিকল্প থাকে। এরপর বাকি চারটি স্থানে 5টি করে বিকল্প থাকায় মোট 4×54=2500টি সংখ্যা গঠন করা যায়।
ক. {6, 1}
খ. {- 2, 7}
গ. {2, 7}
ঘ. {7}
ব্যাখ্যাঃ দেওয়া আছে, A={xN:x25x14=0}

আমাদের প্রথমে x25x14=0 এই সমীকরণটি সমাধান করতে হবে। এটি একটি দ্বিঘাত সমীকরণ। আমরা উৎপাদক বিশ্লেষণের মাধ্যমে এর সমাধান করতে পারি:

x27x+2x14=0x(x7)+2(x7)=0(x7)(x+2)=0

সুতরাং, সমীকরণটির দুটি সমাধান হলো:
x7=0x=7
x+2=0x=2

এখন, সেট A-এর সংজ্ঞা অনুযায়ী, A হলো সেই সকল স্বাভাবিক সংখ্যার সেট যারা x25x14=0 সমীকরণটিকে সিদ্ধ করে। স্বাভাবিক সংখ্যার সেট N={1,2,3,...}

আমরা দেখতে পাচ্ছি যে x=7 একটি স্বাভাবিক সংখ্যা, কিন্তু x=2 স্বাভাবিক সংখ্যা নয়।

সুতরাং, সেট A-এর একমাত্র উপাদান হলো 7।

অতএব, A={7}.

সারাংশ: x25x14=0 সমীকরণের সমাধান x=7 এবং x=2. যেহেতু A হলো স্বাভাবিক সংখ্যার সেট যা এই সমীকরণকে সিদ্ধ করে, তাই A={7}.
ক. V ∝ T
খ. PV = K
গ. V ∝ n
ঘ. P ∝ T
ব্যাখ্যাঃ চার্লসের সূত্র অনুযায়ী স্থির চাপে কোনো গ্যাসের আয়তন তার পরম তাপমাত্রার সাথে সরাসরি সমানুপাতিক। এটিকে গাণিতিকভাবে প্রকাশ করা হয়:

VT

যেখানে:
  • V হলো গ্যাসের আয়তন
  • T হলো গ্যাসের পরম তাপমাত্রা (কেলভিনে)
  • হলো "সমানুপাতিক" চিহ্ন

সুতরাং, সঠিক উত্তরটি হলো কঃ V ∝ T.

অন্যান্য সূত্রগুলো হলো:

  • খঃ PV = K (বয়লের সূত্র, স্থির তাপমাত্রায় গ্যাসের চাপ ও আয়তনের গুণফল ধ্রুবক)
  • গঃ V ∝ n (অ্যাভোগাড্রোর সূত্র, স্থির তাপমাত্রা ও চাপে গ্যাসের আয়তন তার মোল সংখ্যার সাথে সরাসরি সমানুপাতিক)
  • ঘঃ P ∝ T (গেইলুসাকের সূত্র বা চাপের সূত্র, স্থির আয়তনে গ্যাসের চাপ তার পরম তাপমাত্রার সাথে সরাসরি সমানুপাতিক)

সারাংশ: স্থির চাপে গ্যাসের আয়তন পরম তাপমাত্রার সাথে সরাসরি সমানুপাতিক - এটি চার্লসের সূত্র এবং গাণিতিকভাবে V ∝ T দ্বারা প্রকাশ করা হয়। তাই সঠিক উত্তরটি হলো ক।
ক. পৃষ্ঠতল কেন্দ্রিক ঘনকাকৃতির
খ. দেহ-কেন্দ্রিক ঘনকাকার
গ. সংঘবদ্ধ-ঘনকাকার
ঘ. সংঘবদ্ধ ষড়কৌণিক আকার
ব্যাখ্যাঃ

সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl) কেলাসের গঠন পৃষ্ঠকেন্দ্রিক ঘনক্ষেত্রাকার (Face-Centered Cubic - FCC)। এই গঠনটিকে প্রায়শই শৈল লবণ (Rock Salt) গঠনও বলা হয়।

ক. SO₃
খ. N₂O₅
গ. NO
ঘ. HNO₃
ব্যাখ্যাঃ

প্রাইমারি দূষক হলো সেইসব দূষক যা সরাসরি উৎস থেকে নির্গত হয় এবং বায়ুমণ্ডলে অপরিবর্তিত অবস্থায় থাকে।

এখানে প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে, গঃ NO (নাইট্রিক অক্সাইড) হলো প্রাইমারি দূষক।

অন্যান্য বিকল্পগুলো হলো সেকেন্ডারি দূষক, কারণ এগুলো বায়ুমণ্ডলে প্রাথমিক দূষকের রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে গঠিত হয়:

  • কঃ SO₃ (সালফার ট্রাইঅক্সাইড): এটি SO₂ (সালফার ডাইঅক্সাইড)-এর জারণের মাধ্যমে গঠিত হয়। SO₂ হলো একটি প্রাইমারি দূষক।
  • খঃ N₂O₅ (ডাইনিট্রোজেন পেন্টক্সাইড): এটি NO₂ (নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড)-এর জারণের মাধ্যমে গঠিত হয়। NOₓ (নাইট্রোজেন অক্সাইড) হলো প্রাইমারি দূষক।
  • ঘঃ HNO₃ (নাইট্রিক অ্যাসিড): এটি NO₂-এর সাথে জলীয় বাষ্পের বিক্রিয়ার মাধ্যমে গঠিত হয়। NOₓ হলো প্রাইমারি দূষক।

সুতরাং, সঠিক উত্তরটি হলো গঃ NO.

সারাংশ: প্রাইমারি দূষক সরাসরি উৎস থেকে নির্গত হয়। প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে NO (নাইট্রিক অক্সাইড) হলো প্রাইমারি দূষক, যেখানে SO₃, N₂O₅ এবং HNO₃ হলো সেকেন্ডারি দূষক যা বায়ুমণ্ডলে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে গঠিত হয়।

৮৯. HPLC এর পূর্ণরূপ কী?

[ বিসিএস ৪৫তম ]

ক. High pressure liquid chromatography
খ. High power liquid chromatography
গ. High plant liquid chromatography
ঘ. High performance liquid chromatography
ব্যাখ্যাঃ

HPLC এর পূর্ণরূপ হলো High-Performance Liquid Chromatography.

অতীতে এটিকে High-Pressure Liquid Chromatography নামেও ডাকা হতো, কারণ এই পদ্ধতিতে তরল দ্রাবককে উচ্চ চাপে একটি কলামের মধ্যে দিয়ে চালনা করা হয়। তবে বর্তমানে "High-Performance" নামটি বেশি প্রচলিত, কারণ আধুনিক HPLC যন্ত্রগুলোতে সবসময় খুব বেশি চাপ ব্যবহার করা নাও হতে পারে, কিন্তু কর্মক্ষমতা সবসময়ই উন্নত থাকে।

HPLC একটি শক্তিশালী রাসায়নিক বিশ্লেষণ কৌশল যা কোনো মিশ্রণের উপাদানগুলিকে আলাদা করতে, শনাক্ত করতে এবং পরিমাণ নির্ণয় করতে ব্যবহৃত হয়। এটি ঔষধ শিল্প, খাদ্য বিজ্ঞান, পরিবেশ বিজ্ঞান এবং আরও অনেক ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

ক. SiO₂
খ. Na₂CO₃
গ. Fe₂O₃
ঘ. NaNO₃
ব্যাখ্যাঃ

সিরামিক উপাদানের প্রধান কাঁচামাল হলো কঃ SiO₂ (সিলিকন ডাই অক্সাইড)

সিলিকন ডাই অক্সাইড, যা সাধারণত কোয়ার্টজ বা বালু নামে পরিচিত, সিরামিক উৎপাদনের মূল ভিত্তি। এটি সিরামিক কাঠামো তৈরি করে এবং এর দৃঢ়তা, রাসায়নিক নিষ্ক্রিয়তা এবং উচ্চ তাপমাত্রায় স্থিতিশীলতার জন্য অপরিহার্য।

অন্যান্য বিকল্পগুলো সিরামিক উৎপাদনে বিভিন্ন ভূমিকা পালন করে, তবে প্রধান কাঁচামাল হিসেবে নয়:

  • খঃ Na₂CO₃ (সোডিয়াম কার্বোনেট): এটি কাঁচ তৈরির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, তবে সিরামিকের প্রধান কাঁচামাল নয়। এটি সিরামিক গ্লেজের ফ্লাক্স হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।
  • গঃ Fe₂O₃ (ফেরিক অক্সাইড): এটি সিরামিককে লাল বা বাদামী রঙ দেওয়ার জন্য এবং কিছু বিশেষ ধরনের সিরামিক তৈরিতে ব্যবহৃত হয়, তবে এটি প্রধান কাঁচামাল নয়।
  • ঘঃ NaNO₃ (সোডিয়াম নাইট্রেট): এর সিরামিক উৎপাদনে তেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেই। এটি সাধারণত সার বা বিস্ফোরক তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

সারাংশ: সিরামিক শিল্পের প্রধান কাঁচামাল হলো সিলিকন ডাই অক্সাইড (SiO₂), যা সিরামিকের মূল কাঠামো গঠন করে।

ক. Na₃O
খ. ZnO
গ. Al₃O₃
ঘ. CuO
ব্যাখ্যাঃ

সানস্ক্রিন লোশন তৈরিতে প্রধানত দুটি ন্যানো পার্টিকেল ব্যবহৃত হয়:

১. টাইটানিয়াম ডাই অক্সাইড (TiO₂): এই ন্যানো পার্টিকেল অতিবেগুনী রশ্মি (UV rays) বিশেষত UVB রশ্মি শোষণ এবং প্রতিফলিত করতে অত্যন্ত কার্যকর। এর ছোট আকারের জন্য এটি ত্বকে লাগানোর পর সাদা আস্তরণ তৈরি করে না, যা বড় আকারের টাইটানিয়াম ডাই অক্সাইডের ক্ষেত্রে দেখা যায়।

২. জিঙ্ক অক্সাইড (ZnO): জিঙ্ক অক্সাইড ন্যানো পার্টিকেল UVA এবং UVB উভয় প্রকার অতিবেগুনী রশ্মির বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করে। এটিও ছোট আকারের হওয়ায় ত্বকে স্বচ্ছভাবে মিশে যায়।

এই দুটি ন্যানো পার্টিকেল তাদের উন্নত UV ব্লকিং ক্ষমতা এবং ত্বকে স্বচ্ছ থাকার কারণে সানস্ক্রিন লোশনে বহুল ব্যবহৃত হয়। ন্যানো আকারের হওয়ার কারণে এদের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায় এবং সানস্ক্রিন আরও কার্যকর হয়।

ক. ৪৪ টি
খ. ৪২ টি
গ. ৪৬ টি
ঘ. ৪৮ টি
ব্যাখ্যাঃ

মানুষের দেহকোষে ৪৬টি ক্রোমোজোম থাকে। এগুলো ২৩ জোড়া হিসেবে বিন্যস্ত থাকে। এই ২৩ জোড়ার মধ্যে ২২ জোড়া হলো অটোজোম, যা নারী ও পুরুষ উভয়ের দেহকোষে একই রকম থাকে এবং দৈহিক বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে। বাকি এক জোড়া হলো সেক্স ক্রোমোজোম, যা লিঙ্গ নির্ধারণ করে। মহিলাদের দেহকোষে দুটি X ক্রোমোজোম (XX) এবং পুরুষদের দেহকোষে একটি X ও একটি Y ক্রোমোজোম (XY) থাকে।

অন্যদিকে, মানুষের জননকোষে (শুক্রাণু ও ডিম্বাণু) ক্রোমোজোমের সংখ্যা ২৩টি থাকে, যা দেহকোষের ক্রোমোজোম সংখ্যার অর্ধেক। একে হ্যাপ্লয়েড সংখ্যা বলা হয়। নিষিক্তকরণের সময় জননকোষ মিলিত হয়ে পুনরায় ডিপ্লয়েড সংখ্যক (৪৬টি) ক্রোমোজোমযুক্ত দেহকোষ গঠন করে।

ক. ৪ : ১ : ১
খ. ৪ : ২ : ২
গ. ৪ : ২ : ৩
ঘ. ৪ : ৩ : ২
ব্যাখ্যাঃ

সুষম খাদ্যে শর্করা, আমিষ ও চর্বিজাতীয় খাদ্য উপাদানের অনুপাত সাধারণভাবে কঃ ৪ : ১ : ১ ধরা হয়।

এর অর্থ হলো, মোট ক্যালোরির একটি বড় অংশ (প্রায় ৫০-৬০%) শর্করা থেকে আসা উচিত, যেখানে আমিষ এবং চর্বি তুলনামূলকভাবে কম পরিমাণে (প্রত্যেকটি প্রায় ১০-১৫% এবং ২০-৩০% পর্যন্ত) থাকা উচিত। ৪:১:১ অনুপাতটি একটি সাধারণ নির্দেশিকা এবং ব্যক্তিভেদে সামান্য পরিবর্তিত হতে পারে।

ক. চারটি
খ. পাঁচটি
গ. তিনটি
ঘ. দুইটি
ব্যাখ্যাঃ

মানুষের শরীরে প্রধানত ৮টি রক্তের গ্রুপ রয়েছে। এই বিভাজন ABO এবং Rh ফ্যাক্টর নামক দুটি প্রধান রক্তশ্রেণী ব্যবস্থা দ্বারা নির্ধারিত হয়।

ABO রক্তশ্রেণী ব্যবস্থা অনুসারে ৪টি প্রধান গ্রুপ:

  • A
  • B
  • AB
  • O

Rh ফ্যাক্টর অনুসারে প্রত্যেকটি গ্রুপের আবার দুটি ভাগ:

  • Rh পজিটিভ (+): যদি রক্তে Rh অ্যান্টিজেন উপস্থিত থাকে।
  • Rh নেগেটিভ (-): যদি রক্তে Rh অ্যান্টিজেন অনুপস্থিত থাকে।

এই দুটি শ্রেণী একত্র করলে মোট ৮টি রক্তের গ্রুপ পাওয়া যায়:

  1. A+
  2. A-
  3. B+
  4. B-
  5. AB+
  6. AB-
  7. O+
  8. O-

সুতরাং, মানুষের শরীরে প্রধানত আটটি রক্তের গ্রুপ বিদ্যমান।

ক. ৩৩
খ. ৩৮
গ. ৩৬
ঘ. ৪৪
ব্যাখ্যাঃ

আর্সেনিকের পারমাণবিক সংখ্যা হলো ৩৩। এর প্রতীক As। এটি পর্যায় সারণীর ১৫তম গ্রুপের একটি মৌল।

ক. ট্যাকোমিটার
খ. অ্যালটিমিটার
গ. ওডোমিটার
ঘ. অডিওমিটার
ব্যাখ্যাঃ

উড়োজাহাজের গতি নির্ণায়ক যন্ত্রের নাম হলো এয়ারস্পিড ইন্ডিকেটর (Airspeed Indicator)

এই যন্ত্রটি পিটট-স্ট্যাটিক সিস্টেমের মাধ্যমে কাজ করে। পিটট টিউব বাতাসের চাপ (গতিশীল চাপ) পরিমাপ করে এবং স্ট্যাটিক পোর্ট স্থির বাতাসের চাপ পরিমাপ করে। এই দুটি চাপের পার্থক্য থেকে এয়ারস্পিড ইন্ডিকেটর উড়োজাহাজের গতি নির্দেশ করে।

কিছু ক্ষেত্রে, বিশেষ করে পুরনো নথিতে অথবা সাধারণভাবে জিজ্ঞাসার ক্ষেত্রে ট্যাকোমিটার (Tachometer) নামটিও ব্যবহার করা হতে পারে, যদিও ট্যাকোমিটার মূলত ঘূর্ণায়মান বস্তুর কৌণিক গতিবেগ পরিমাপের যন্ত্র। উড়োজাহাজের ক্ষেত্রে এয়ারস্পিড ইন্ডিকেটরই বিশেষভাবে বাতাসের সাপেক্ষে গতি নির্ণয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়।

ক. রেডিও ওয়েভ
খ. অবলোহিত রশ্মি
গ. আলট্রা ভায়োলেট
ঘ. দৃশ্যমান রশ্মি
ব্যাখ্যাঃ

টেলিভিশনে মূলত রেডিও তরঙ্গ ব্যবহৃত হয়। এই রেডিও তরঙ্গ একটি নির্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডের মধ্যে থাকে যা টেলিভিশন সম্প্রচারের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।

সম্প্রচারের পদ্ধতি অনুসারে বিভিন্ন ধরনের রেডিও তরঙ্গ ব্যবহৃত হতে পারে:

  • VHF (Very High Frequency): এই ব্যান্ডের তরঙ্গ মূলত অ্যানালগ টেলিভিশন সম্প্রচারে ব্যবহৃত হতো।
  • UHF (Ultra High Frequency): বর্তমানে ডিজিটাল টেলিভিশন (DTV) সম্প্রচারের জন্য এই ব্যান্ডের তরঙ্গ বেশি ব্যবহৃত হয়।

টেলিভিশনের রিমোট কন্ট্রোলে অবশ্য অবলোহিত রশ্মি (Infrared Ray) ব্যবহৃত হয়, যা একটি তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ হলেও এটি টেলিভিশন সম্প্রচারের জন্য ব্যবহৃত তরঙ্গ নয়। এটি শুধুমাত্র রিমোট থেকে টেলিভিশনে সংকেত পাঠানোর কাজে লাগে।

সুতরাং, টেলিভিশনে সম্প্রচারের জন্য প্রধানত রেডিও তরঙ্গ ব্যবহৃত হয়, যার মধ্যে VHF এবং UHF ব্যান্ড উল্লেখযোগ্য।

ক. রবার্ট কক্
খ. লুইস পাস্তুর
গ. এডওয়ার্ড জেনার
ঘ. এন্টনি ভন লিউয়েনহুক
ব্যাখ্যাঃ

অণুজীব বিজ্ঞানের জনক হিসেবে সাধারণত অ্যান্টনি ভ্যান লিউয়েনহুক-কে (Antonie van Leeuwenhoek) ধরা হয়। ১৬৭৬ সালে তিনিই প্রথম উন্নত অণুবীক্ষণ যন্ত্র ব্যবহার করে ব্যাকটেরিয়াসহ বিভিন্ন একককোষী জীব পর্যবেক্ষণ করেন এবং এদের "ক্ষুদ্র প্রাণী" (animalcules) হিসেবে বর্ণনা করেন।

তবে, অণুজীব বিজ্ঞানকে একটি স্বতন্ত্র বিজ্ঞান শাখা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে লুই পাস্তুর (Louis Pasteur) এবং রবার্ট কখ (Robert Koch)-এর অবদানও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লুই পাস্তুর জীবাণু তত্ত্ব (Germ Theory) প্রতিষ্ঠা করেন এবং বিভিন্ন রোগের কারণ হিসেবে জীবাণুদের ভূমিকা প্রমাণ করেন। তিনি পাস্তুরাইজেশন প্রক্রিয়া এবং জলাতঙ্কের টিকা আবিষ্কারের জন্য বিখ্যাত। অন্যদিকে, রবার্ট কখ অ্যানথ্রাক্স, যক্ষ্মা ও কলেরার জীবাণু শনাক্ত করেন এবং রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু চিহ্নিত করার জন্য "কখের স্বীকার্য" (Koch's postulates) প্রণয়ন করেন।

সুতরাং, যদিও অ্যান্টোনি ভ্যান লিউয়েনহুক প্রথম অণুজীব পর্যবেক্ষণ করেন, লুই পাস্তুর এবং রবার্ট কখের কাজ অণুজীব বিজ্ঞানকে একটি আধুনিক বিজ্ঞান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে অপরিহার্য ছিল। তাই অনেক ক্ষেত্রে লুই পাস্তুরকেও আধুনিক অণুজীব বিজ্ঞানের জনক হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

সারাংশ: অণুজীব বিজ্ঞানের জনক হিসেবে সাধারণত অ্যান্টোনি ভ্যান লিউয়েনহুককে ধরা হয়, যিনি প্রথম অণুবীক্ষণ যন্ত্রের মাধ্যমে অণুজীব পর্যবেক্ষণ করেন। তবে লুই পাস্তুর এবং রবার্ট কখের অবদানও এই বিজ্ঞানকে আধুনিক রূপ দিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

৯৯. বাতাস একটি –

[ বিসিএস ৪৫তম ]

ক. ডায়াচুম্বকীয় পদার্থ
খ. প্যারাচুম্বকীয় পদার্থ
গ. ফেরোচুম্বকীয় পদার্থ
ঘ. অ্যান্টিফেরোচুম্বকীয় পদার্থ
ব্যাখ্যাঃ

বাতাস একটি খঃ প্যারাচুম্বকীয় পদার্থ

এর কারণ হলো বাতাসের প্রধান উপাদানগুলোর মধ্যে অক্সিজেন (O₂) অণুতে বিজোড় ইলেকট্রন রয়েছে। এই বিজোড় ইলেকট্রনের স্পিন মোমেন্টের কারণে অক্সিজেন সামান্য চৌম্বকীয় বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে। যখন বাতাসকে শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্রের কাছে আনা হয়, তখন অক্সিজেনের অণুগুলো সামান্য পরিমাণে চুম্বকায়িত হয় এবং চৌম্বক ক্ষেত্রের দিকে আকৃষ্ট হয়। এই বৈশিষ্ট্যটি প্যারাচুম্বকীয় পদার্থের বৈশিষ্ট্য।

নাইট্রোজেন (N₂) এবং অন্যান্য নিষ্ক্রিয় গ্যাসগুলো ডায়াচুম্বকীয় পদার্থ, অর্থাৎ এরা চৌম্বক ক্ষেত্র দ্বারা সামান্য পরিমাণে বিকর্ষিত হয়। তবে বাতাসে অক্সিজেনের উপস্থিতির কারণে সামগ্রিকভাবে বাতাস প্যারাচুম্বকীয় বৈশিষ্ট্য দেখায়।

  • ডায়াচুম্বকীয় পদার্থ: চৌম্বক ক্ষেত্র দ্বারা সামান্য পরিমাণে বিকর্ষিত হয় (যেমন - নাইট্রোজেন)।
  • প্যারাচুম্বকীয় পদার্থ: চৌম্বক ক্ষেত্র দ্বারা সামান্য পরিমাণে আকৃষ্ট হয় (যেমন - অক্সিজেন)।
  • ফেরোচুম্বকীয় পদার্থ: শক্তিশালীভাবে চৌম্বক ক্ষেত্র দ্বারা আকৃষ্ট হয় এবং স্থায়ী চুম্বকত্ব ধারণ করতে পারে (যেমন - লোহা)।
  • অ্যান্টিফেরোচুম্বকীয় পদার্থ: এদের মধ্যে বিপরীতমুখী স্পিনগুলো একে অপরের চৌম্বকীয় প্রভাব বাতিল করে দেয় এবং সামগ্রিকভাবে শক্তিশালী চুম্বকত্ব দেখায় না (যেমন - কিছু ধাতব অক্সাইড)।

সুতরাং, সঠিক উত্তর হলো খঃ প্যারাচুম্বকীয় পদার্থ

ক. অক্সিজেন
খ. কার্বন-ডাইঅক্সাইড
গ. নাইট্রোজেন
ঘ. হাইড্রোজেন
ব্যাখ্যাঃ

বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সবচেয়ে বেশি গ্যাসটি হলো হাইড্রোজেন (H₂)

মহাবিশ্বের মোট ভরের প্রায় তিন-চতুর্থাংশই হাইড্রোজেন। এটি সবচেয়ে হালকা এবং সবচেয়ে প্রাচুর্যপূর্ণ রাসায়নিক উপাদান। মহাবিশ্বের সৃষ্টির সময় বিগ ব্যাং-এর পর প্রথম যে মৌলটি গঠিত হয়েছিল, সেটি হলো হাইড্রোজেন। নক্ষত্র এবং গ্যাসীয় নীহারিকাগুলোর প্রধান উপাদান এটি।

এরপর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে হিলিয়াম। অন্যান্য গ্যাস এবং পদার্থের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে অনেক কম।

১০১. GPU-এর পূর্ণরূপ কী?

[ বিসিএস ৪৫তম ]

ক. Graph Processing Unit
খ. Graphic Processing Unit
গ. Graphics Processing Unit
ঘ. Geographical Processing Unit
ব্যাখ্যাঃ

GPU-এর পূর্ণরূপ হলো Graphics Processing Unit.

এটি একটি বিশেষ ইলেকট্রনিক সার্কিট যা মূলত দ্রুত গ্রাফিক্স রেন্ডারিং (ছবি ও ভিডিও তৈরি) করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। আধুনিক GPU গুলো শুধু গ্রাফিক্সের জন্যই নয়, বরং সমান্তরালভাবে অনেক ডেটা প্রসেস করার ক্ষমতা থাকার কারণে বৈজ্ঞানিক কম্পিউটিং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং অন্যান্য উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন কম্পিউটিং এর ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

ক. Register
খ. ROM
গ. Flags
ঘ. Output Unit
ব্যাখ্যাঃ

ALU (Arithmetic Logic Unit)-এর আউটপুট রাখার জন্য প্রধানত কঃ Register ব্যবহৃত হয়।

এখানে অন্যান্য বিকল্পগুলোর ব্যাখ্যা দেওয়া হলো:

  • কঃ Register: রেজিস্টার হলো সিপিইউ-এর মধ্যে অবস্থিত ছোট, দ্রুতগতির মেমোরি স্থান। ALU যখন কোনো গাণিতিক বা লজিক্যাল অপারেশন সম্পন্ন করে, তখন সেই অপারেশনের ফলাফল প্রাথমিকভাবে একটি রেজিস্টারে জমা রাখা হয়। এই রেজিস্টার থেকে ডেটা পরবর্তীতে প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করা হয়।

  • খঃ ROM (Read-Only Memory): ROM হলো স্থায়ী মেমোরি যেখানে ডেটা শুধুমাত্র পড়া যায়, পরিবর্তন করা যায় না। এটি সাধারণত কম্পিউটারের বুটিং প্রক্রিয়া বা ফার্মওয়্যার ধারণ করার জন্য ব্যবহৃত হয়, ALU-এর আউটপুট রাখার জন্য নয়।

  • গঃ Flags: ফ্ল্যাগ হলো বিশেষ সিঙ্গেল-বিট রেজিস্টার যা ALU অপারেশনের ফলাফল সম্পর্কে কিছু তথ্য ধারণ করে, যেমন ক্যারি, জিরো, নেগেটিভ ইত্যাদি। এগুলো সরাসরি ALU-এর আউটপুট ধারণ করে না, বরং ফলাফলের বৈশিষ্ট্য নির্দেশ করে।

  • ঘঃ Output Unit: আউটপুট ইউনিট হলো কম্পিউটারের সেই অংশ যা প্রক্রিয়াকরণের পর ব্যবহারকারীর কাছে ফলাফল প্রদর্শন করে (যেমন মনিটর, প্রিন্টার)। ALU-এর আউটপুট প্রথমে রেজিস্টারে জমা হয়, তারপর প্রয়োজন অনুযায়ী আউটপুট ইউনিটে পাঠানো হতে পারে, কিন্তু আউটপুট ইউনিট সরাসরি ALU-এর আউটপুট ধারণ করে না।

সুতরাং, ALU-এর আউটপুট প্রাথমিকভাবে Register-এ রাখা হয়।

১০৩. DBMS-এর পূর্ণরূপ কী?

[ বিসিএস ৪৫তম ]

ক. Data Backup Management System
খ. Database Management Service
গ. Database Management System
ঘ. Data of Binary Management System
ব্যাখ্যাঃ

DBMS-এর পূর্ণরূপ হলো Database Management System

বাংলায় একে ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বা তথ্যভান্ডার ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা বলা হয়।

DBMS হলো একটি সফটওয়্যার যা ব্যবহারকারীকে ডেটাবেজ তৈরি, পরিচালনা এবং অ্যাক্সেস করতে সাহায্য করে। এটি ডেটা সংরক্ষণ, পুনরুদ্ধার এবং ব্যবস্থাপনার একটি সুসংগঠিত উপায় সরবরাহ করে। এর মাধ্যমে ডেটার নিরাপত্তা, অখণ্ডতা এবং নির্ভরযোগ্যতা বজায় রাখা সম্ভব হয়।

ক. 10
খ. 11
গ. 12
ঘ. 14
ব্যাখ্যাঃ ২ কিলোবাইট (2 KB) মেমোরি অ্যাড্রেস করার জন্য ১১টি অ্যাড্রেস লাইন দরকার।

আসুন, এর কারণ ব্যাখ্যা করা যাক:

  • ১ কিলোবাইট (1 KB) = 1024 বাইট = 210 বাইট।
  • সুতরাং, ২ কিলোবাইট (2 KB) = 2 × 1024 বাইট = 2048 বাইট = 21×210 বাইট = 211 বাইট।

মেমরির প্রতিটি বাইটের একটি অনন্য অ্যাড্রেস থাকে। যদি মেমরিতে N সংখ্যক স্বতন্ত্র অ্যাড্রেস থাকে, তবে সেই মেমোরি অ্যাড্রেস করার জন্য log2(N) সংখ্যক অ্যাড্রেস লাইনের প্রয়োজন হয়।

এই ক্ষেত্রে, মেমরিতে মোট 211 টি স্বতন্ত্র অ্যাড্রেস রয়েছে (প্রতিটি বাইটের জন্য একটি করে)। সুতরাং, এই অ্যাড্রেসগুলো নির্দিষ্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় অ্যাড্রেস লাইনের সংখ্যা হলো:

log2(211)=11

অতএব, ২ কিলোবাইট মেমোরি অ্যাড্রেস করার জন্য ১১টি অ্যাড্রেস লাইন দরকার।

সারাংশ: ২ কিলোবাইট মেমোরিতে 211 সংখ্যক বাইট থাকে। প্রতিটি বাইটের স্বতন্ত্র অ্যাড্রেসের জন্য log2(211)=11 টি অ্যাড্রেস লাইনের প্রয়োজন।
ক. (762)₈
খ. (1372)₈
গ. (228)₈
ঘ. (1482)₈
ব্যাখ্যাঃ

(2FA)₁₆ হেক্সাডেসিমেল সংখ্যাটিকে অক্টালে রূপান্তর করার জন্য প্রথমে এটিকে বাইনারিতে রূপান্তর করতে হবে, তারপর সেই বাইনারি সংখ্যাকে তিন বিটের গ্রুপে ভাগ করে প্রতি গ্রুপের জন্য অক্টাল মান লিখতে হবে।

ধাপ ১: হেক্সাডেসিমেল থেকে বাইনারিতে রূপান্তর

প্রতিটি হেক্সাডেসিমেল ডিজিটকে ৪-বিট বাইনারি সমতুল্যে রূপান্তর করুন:

  • 2₁₆ = 0010₂
  • F₁₆ = 1111₂
  • A₁₆ = 1010₂

সুতরাং, (2FA)₁₆ এর বাইনারি সমতুল্য হলো: 0010 1111 1010₂

ধাপ ২: বাইনারি থেকে অক্টালে রূপান্তর

বাইনারি সংখ্যাটিকে ডান দিক থেকে শুরু করে তিন বিটের গ্রুপে ভাগ করুন। প্রয়োজনে বাম দিকে অতিরিক্ত 0 যোগ করে তিন বিটের গ্রুপ তৈরি করুন:

001 011 111 010₂

ধাপ ৩: প্রতিটি বাইনারি গ্রুপের জন্য অক্টাল মান লিখুন

  • 001₂ = 1
  • 011₂ = 3
  • 111₂ = 7
  • 010₂ = 2

সুতরাং, (2FA)₁₆ এর অক্টাল সমতুল্য হলো: (1372)₈

ক. RAM
খ. হার্ডডিস্ক ড্রাইভ
গ. ফ্লাশ মেমোরি
ঘ. অপটিকাল ডিস্ক ড্রাইভ
ব্যাখ্যাঃ

নির্দিষ্ট কাজের জন্য যে চিপ বা Integrated Circuit (IC) ডিজাইন করা হয় তাকে এমবেডেড সিস্টেম বলে। -এমবেডেড সিস্টেমের প্রাণশক্তি হচ্ছে মাইক্রোকন্ট্রোলার। আর মাইক্রোকন্ট্রোলার হলো এমন একটি Integrated Circuit (IC) যার মধ্যে একত্রে Processor, RAM, ROM যুক্ত থাকে। -সাধারণত সব এমবেডেড সিস্টেমে RAM থাকে। RAM ছাড়া এমবেডেড সিস্টেমের কার্যক্ষমতার অনেক সীমাবদ্ধতা চলে আসে।

-অন্যদিকে, ফ্লাশ মেমরি এক ধরনের Non-volatile মেমরি, যার মধ্যে তথ্য সঞ্চয়ের সাথে পড়াও যায়। -এতে দ্রুত তথ্য স্থানান্তর করা যায় বলে একে ফ্লাশ মেমরি বলা হয়। -এটি সাধারণত USB পোর্ট এর মাধ্যমে কম্পিউটারের সাথে যুক্ত করা হয়।

ক. Key loggers
খ. Avast
গ. Norton
ঘ. Kasparasky
ব্যাখ্যাঃ

নিচের অপশনগুলোর মধ্যে কঃ Key loggers হলো Spyware এর একটি উদাহরণ।

Spyware হলো এক ধরনের ম্যালওয়্যার যা ব্যবহারকারীর অজান্তে তাদের কম্পিউটারের কার্যকলাপ গোপনে পর্যবেক্ষণ করে এবং সেই তথ্য তৃতীয় পক্ষের কাছে প্রেরণ করে।

  • Key loggers: এগুলো হলো স্পাইওয়্যারের একটি নির্দিষ্ট প্রকারভেদ যা ব্যবহারকারীর টাইপ করা প্রতিটি কীস্ট্রোক (পাসওয়ার্ড, ব্যক্তিগত বার্তা ইত্যাদি) রেকর্ড করে এবং সেই তথ্য হ্যাকারদের কাছে পাঠিয়ে দেয়।

অন্যদিকে, খ, গ এবং ঘ অপশনগুলো অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার, যা কম্পিউটারকে ম্যালওয়্যার এবং স্পাইওয়্যার থেকে রক্ষা করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।

  • Avast, Norton, Kaspersky: এগুলো জনপ্রিয় অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার যা স্পাইওয়্যার শনাক্ত এবং অপসারণ করতে পারে।

সুতরাং, সঠিক উত্তর হলো কঃ Key loggers.

ক. 8.8.7.6
খ. 8.7.8.6
গ. 8.8.8.6
ঘ. 8.8.8.8
ব্যাখ্যাঃ

IPv4-এ Google DNS সার্ভারের IP অ্যাড্রেস হলো ঘঃ 8.8.8.8 এবং এর পাশাপাশি আরেকটি বহুল ব্যবহৃত IP অ্যাড্রেস হলো 8.8.4.4

বিকল্পগুলোর মধ্যে 8.8.8.8 সঠিক। অন্য তিনটি বিকল্প Google DNS সার্ভারের IP অ্যাড্রেস নয়।

ক. সমস্ত আগত ট্রাফিক নেটওয়ার্কে ঢুকতে না দেওয়া।
খ. সমস্ত আগত ট্রাফিক নেটওয়ার্কে ঢুকার অনুমতি দেওয়া।
গ. আগত এবং বহির্গত নেটওয়ার্ক ট্রাফিক নিরীক্ষা এবং নিয়ন্ত্রণ করা।
ঘ. সমস্ত নেটওয়ার্ক ট্রাফিক এনক্রিপ্ট করা।
ব্যাখ্যাঃ

ফায়ারওয়ালের প্রাথমিক কাজ হলো একটি নেটওয়ার্ককে অননুমোদিত অ্যাক্সেস থেকে রক্ষা করা। এটি একটি সুরক্ষা ব্যবস্থা যা আপনার কম্পিউটার বা নেটওয়ার্ক এবং বাইরের অনিরাপদ নেটওয়ার্কের (যেমন ইন্টারনেট) মধ্যে একটি "প্রাচীর" তৈরি করে।

ফায়ারওয়াল নিম্নলিখিত প্রধান কাজগুলো করে:

  • ইনকামিং এবং আউটগোয়িং নেটওয়ার্ক ট্র্যাফিক পর্যবেক্ষণ: এটি আপনার নেটওয়ার্কে আসা এবং আপনার নেটওয়ার্ক থেকে বাইরে যাওয়া ডেটা প্যাকেট পরীক্ষা করে।
  • পূর্বনির্ধারিত সুরক্ষা নীতির উপর ভিত্তি করে ট্র্যাফিক ফিল্টার করা: ফায়ারওয়াল কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলে। এই নিয়মের উপর ভিত্তি করে কোন ট্র্যাফিককে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে বা বাইরে যেতে দেওয়া হবে, তা নির্ধারণ করে।
  • অননুমোদিত অ্যাক্সেস ব্লক করা: যদি কোনো ট্র্যাফিক সুরক্ষা নীতি লঙ্ঘন করে বা সন্দেহজনক মনে হয়, ফায়ারওয়াল সেই ট্র্যাফিককে ব্লক করে দেয়, যার ফলে অননুমোদিত ব্যক্তি বা ক্ষতিকারক প্রোগ্রাম আপনার সিস্টেমে প্রবেশ করতে বা আপনার সিস্টেম থেকে সংবেদনশীল ডেটা চুরি করতে পারে না।
  • নিরাপত্তা লগিং এবং রিপোর্টিং: ফায়ারওয়াল তার কার্যকলাপের একটি লগ রাখে, যা নেটওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেটরকে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঘটনা নিরীক্ষণ এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সুরক্ষা নীতি আপডেট করতে সাহায্য করে।

সংক্ষেপে, ফায়ারওয়ালের মূল উদ্দেশ্য হলো আপনার ডিজিটাল সম্পদকে সাইবার হুমকি এবং অননুমোদিত ব্যবহার থেকে রক্ষা করা।

ক. HTTP
খ. FTP
গ. DNS
ঘ. TCP/IP
ব্যাখ্যাঃ

ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদানের জন্য সর্বাধিক ব্যবহৃত প্রোটোকল হলো TCP/IP (Transmission Control Protocol/Internet Protocol)

TCP/IP হলো প্রোটোকলের একটি সমষ্টি যা ইন্টারনেট এবং অন্যান্য অনুরূপ নেটওয়ার্কে ডেটা আদান-প্রদানের নিয়ম নির্ধারণ করে। এটি মূলত দুটি প্রধান প্রোটোকলের সমন্বয়ে গঠিত:

  • TCP: এই প্রোটোকল ডেটাকে ছোট ছোট অংশে (প্যাকেট) বিভক্ত করে, সেগুলোকে নির্ভরযোগ্যভাবে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া এবং প্রয়োজনে পুনরায় প্রেরণ করার নিশ্চয়তা দেয়।
  • IP: এই প্রোটোকল প্রতিটি ডিভাইসের জন্য একটি অনন্য ঠিকানা (IP অ্যাড্রেস) নির্ধারণ করে এবং ডেটা প্যাকেটগুলোকে সঠিক গন্তব্যে রাউট করতে সাহায্য করে।

যদিও অন্যান্য প্রোটোকলও (যেমন HTTP, FTP, SMTP ইত্যাদি) তথ্য আদান-প্রদানে ব্যবহৃত হয়, তবে এগুলোর ভিত্তি হলো TCP/IP। TCP/IP ছাড়া ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব নয়। তাই সামগ্রিকভাবে, ইন্টারনেটের তথ্য আদান-প্রদানের জন্য সর্বাধিক ব্যবহৃত প্রোটোকল হলো TCP/IP।

ক. রাউটার
খ. ওয়েব সার্ভার
গ. ব্রীজ
ঘ. হাব
ব্যাখ্যাঃ

একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্কে একটি LAN-এর একাধিক ডিভাইসকে একটি WAN-এর সাথে সংযুক্ত করে এমন ডিভাইসটি হলো রাউটার (Router)

রাউটারের প্রধান কাজ হলো:

  • একাধিক নেটওয়ার্কের মধ্যে ডেটা প্যাকেট ফরোয়ার্ড করা।
  • LAN (Local Area Network) এবং WAN (Wide Area Network) এর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা।
  • ডেটা প্যাকেটগুলির জন্য সর্বোত্তম পথ নির্ধারণ করা।
  • নেটওয়ার্ক ট্র্যাফিক পরিচালনা করা।
    একটি LAN সাধারণত একটি সীমিত ভৌগোলিক এলাকার মধ্যে (যেমন একটি অফিস, বাড়ি বা ক্যাম্পাস) ডিভাইসগুলোকে সংযুক্ত করে। যখন এই LAN-এর ডিভাইসগুলোকে বৃহত্তর ভৌগোলিক এলাকার নেটওয়ার্কের সাথে (যেমন ইন্টারনেট) বা অন্য কোনো দূরবর্তী LAN-এর সাথে সংযোগ স্থাপন করতে হয়, তখন রাউটার সেই কাজটি করে। রাউটার WAN সংযোগের জন্য ইন্টারফেস সরবরাহ করে এবং LAN-এর ডেটা প্যাকেটকে WAN-এর উপযুক্ত প্রোটোকলে রূপান্তরিত করে গন্তব্যে পাঠাতে সাহায্য করে।
ক. Phishing
খ. Spamming
গ. Ransom ware
ঘ. Sniffing
ব্যাখ্যাঃ

প্রতারণামূলকভাবে সংবেদনশীল তথ্য যেমন পাসওয়ার্ড ও ক্রেডিট কার্ড নম্বর অর্জনের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করার অনুশীলনকে ফিশিং (Phishing) বলা হয়।

ফিশিং হলো এক ধরনের সাইবার অপরাধ, যেখানে অপরাধীরা সাধারণত ইমেইল, মেসেজ বা নকল ওয়েবসাইট ব্যবহার করে বিশ্বস্ত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ছদ্মবেশ ধারণ করে। তাদের উদ্দেশ্য থাকে ব্যবহারকারীদেরকে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন লগইন ক্রেডেনশিয়াল, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর, ক্রেডিট কার্ডের বিবরণ ইত্যাদি প্রদান করতে প্ররোচিত করা। এই তথ্য পরবর্তীতে অবৈধ কার্যকলাপের জন্য ব্যবহার করা হয়।

ক. তথ্য সংরক্ষণ
খ. ইমেজ বিশ্লেষণ
গ. রোগী পর্যবেক্ষণ
ঘ. উপরের সবগুলো
ব্যাখ্যাঃ

চিকিৎসা ক্ষেত্রে কম্পিউটার বর্তমানে বহুবিধ গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে। আপনার দেওয়া অপশনগুলোর সবগুলোই সঠিক:

  • কঃ তথ্য সংরক্ষণ: কম্পিউটার রোগীর বিভিন্ন তথ্য, যেমন - নাম, ঠিকানা, রোগের ইতিহাস, পরীক্ষার ফলাফল, চিকিৎসার বিবরণ ইত্যাদি নিরাপদে ও সুসংগঠিতভাবে সংরক্ষণ করতে ব্যবহৃত হয়। ইলেকট্রনিক হেলথ রেকর্ডস (EHR) এর মাধ্যমে এই কাজ করা হয়।

  • খঃ ইমেজ বিশ্লেষণ: বিভিন্ন মেডিকেল ইমেজিং কৌশল যেমন - এক্স-রে, সিটি স্ক্যান, এমআরআই, আলট্রাসনোগ্রাফি ইত্যাদি থেকে প্রাপ্ত ছবি বিশ্লেষণ করার জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়। উন্নত সফটওয়্যার ব্যবহার করে এই ছবিগুলোর ত্রুটি বা অস্বাভাবিকতা খুঁজে বের করা এবং রোগ নির্ণয়ে সহায়তা করা সম্ভব হয়।

  • গঃ রোগী পর্যবেক্ষণ: ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট (ICU) বা অপারেশন থিয়েটারে রোগীদের শারীরিক অবস্থা যেমন - হৃদস্পন্দন, রক্তচাপ, অক্সিজেনের মাত্রা ইত্যাদি নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করার জন্য কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত মনিটরিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়। কোনো অস্বাভাবিকতা দেখা গেলে দ্রুত সংকেত পাওয়া যায়।

সুতরাং, সঠিক উত্তর হলো ঘঃ উপরের সবগুলো। চিকিৎসা ক্ষেত্রে কম্পিউটার তথ্য সংরক্ষণ, ইমেজ বিশ্লেষণ এবং রোগী পর্যবেক্ষণ - এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কাজই করে থাকে।

ক. XOR
খ. AND
গ. NOR
ঘ. OR
ব্যাখ্যাঃ সঠিক উত্তর হলো গঃ NOR

NOR গেট এবং NAND গেট এই দুটি গেটকে সার্বজনীন ডিজিটাল লজিক গেট বলা হয়। এর কারণ হলো, শুধুমাত্র NOR গেট ব্যবহার করে অথবা শুধুমাত্র NAND গেট ব্যবহার করে অন্য যেকোনো মৌলিক লজিক গেট (AND, OR, NOT, XOR, XNOR) তৈরি করা সম্ভব।

আসুন দেখি কিভাবে NOR গেট ব্যবহার করে অন্যান্য গেট তৈরি করা যায়:

* NOT গেট তৈরি: একটি NOR গেটের উভয় ইনপুটকে একসাথে যুক্ত করলে এটি NOT গেটের মতো কাজ করে। যদি ইনপুট A হয়, তবে আউটপুট হবে A+A=A

* OR গেট তৈরি: প্রথমে NOR গেট ব্যবহার করে NOT গেট তৈরি করুন। তারপর NOR গেটের আউটপুটকে আবার NOT গেটের ইনপুট হিসেবে ব্যবহার করলে OR গেট পাওয়া যায়। অর্থাৎ, A+B=A+B

* AND গেট তৈরি: NOR গেট ব্যবহার করে প্রথমে NOT গেট তৈরি করুন। তারপর AND গেট তৈরি করার জন্য প্রথমে A এবং B ইনপুটকে আলাদা NOT গেটের মাধ্যমে A এবং B করুন। এরপর এই দুটি আউটপুটকে একটি NOR গেটের ইনপুট হিসেবে ব্যবহার করলে A+B=AB (ডি-মরগানের উপপাদ্য অনুসারে) পাওয়া যায়, যা AND গেটের আউটপুট।

যেহেতু শুধুমাত্র NOR গেট ব্যবহার করে AND, OR এবং NOT - এই তিনটি মৌলিক গেট তৈরি করা যায়, তাই NOR গেট একটি সার্বজনীন ডিজিটাল লজিক গেট। একই যুক্তিতে NAND গেটও একটি সার্বজনীন গেট।

অন্যদিকে, XOR, AND এবং OR গেট সার্বজনীন নয়, কারণ এদের ব্যবহার করে অন্য যেকোনো গেট তৈরি করার জন্য অতিরিক্ত গেটের প্রয়োজন হয়।
ক. On-demand self service
খ. Broad network access
গ. Limited customization
ঘ. Physical ownership of servers
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো ঘঃ Physical ownership of servers। এটি ক্লাউড কম্পিউটিং এর বৈশিষ্ট্য নয়।

ক্লাউড কম্পিউটিং এর মূল বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:

  • কঃ On-demand self service: ব্যবহারকারী যখন প্রয়োজন তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে কম্পিউটিং রিসোর্স (যেমন সার্ভার, স্টোরেজ, নেটওয়ার্ক) সরবরাহকারীর কাছ থেকে নিতে পারে, কোনো মানুষের হস্তক্ষেপ ছাড়াই।
  • খঃ Broad network access: বিভিন্ন ডিভাইস (যেমন ল্যাপটপ, মোবাইল, ট্যাবলেট) এবং নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ক্লাউড রিসোর্স অ্যাক্সেস করা যায়।
  • গঃ Limited customization: ক্লাউড সার্ভিস প্রদানকারী সাধারণত একটি স্ট্যান্ডার্ডাইজড অবকাঠামো প্রদান করে, যেখানে ব্যবহারকারীর কাস্টমাইজেশনের সুযোগ কিছুটা সীমিত থাকে। ব্যবহারকারী তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী রিসোর্স কনফিগার করতে পারলেও, সার্ভারের ফিজিক্যাল কন্ট্রোল তাদের হাতে থাকে না।
  • ঘঃ Physical ownership of servers: ক্লাউড কম্পিউটিং-এ সার্ভারের ভৌত মালিকানা ব্যবহারকারীর কাছে থাকে না। সার্ভার এবং এর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ক্লাউড সার্ভিস প্রদানকারীর। ব্যবহারকারী কেবল তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী ভার্চুয়াল রিসোর্স ব্যবহার করে।

সুতরাং, "Physical ownership of servers" ক্লাউড কম্পিউটিং এর একটি বৈশিষ্ট্য নয়, বরং এটি ক্লাউড কম্পিউটিং মডেলের বিপরীত ধারণা।

ক.
খ.
গ.
ঘ.
ব্যাখ্যাঃ ধারাটির প্রতিটি সংখ্যা তার আগের সংখ্যাটিকে ২ দিয়ে ভাগ করে পাওয়া যাচ্ছে:

  • ৮ ÷ ২ = ৪
  • ৪ ÷ ২ = ২
  • ২ ÷ ২ = ১
  • ১ ÷ ২ =
  • ÷ ২ =

সুতরাং, পরবর্তী সংখ্যাটি হবে:

÷ ২ =

অতএব, সঠিক উত্তরটি হলো কঃ
ক. ৪ পয়সা
খ. ৯৪ পয়সা
গ. ৮ পয়সা
ঘ. ৮৪ পয়সা
ব্যাখ্যাঃ

যদি কাগজের প্রতি পাতা ২১ পয়সায় বিক্রি হয়, তাহলে চার পাতা বিক্রি হবে:

২১ পয়সা/পাতা × ৪ পাতা = ৮৪ পয়সা

সুতরাং, চার পাতা ৮৪ পয়সায় বিক্রি হবে।

ক. সত্য
খ. মিথ্যা
গ. অনিশ্চিত
ঘ. আংশিক সত্য
ব্যাখ্যাঃ

যেহেতু উক্তি কয়টি তা সুনির্দিষ্ট নয় তাই শেষের উক্তিটি কি হবে সেটা জানা অনিশ্চিত।

ক. ৭
খ. ৮
গ. ০.৩৩
ঘ. ০.৩১
ব্যাখ্যাঃ

এখানে সংখ্যাগুলো হলো: ৭, ৮, ০.৩৩, ০.৩১।

এই সংখ্যাগুলোর মধ্যে সবচাইতে ছোট সংখ্যাটি হলো ০.৩১

সুতরাং, সঠিক উত্তর হলো ঘঃ ০.৩১

ক. ৮ ফুট
খ. ৭ ফুট
গ. ৬ ফুট
ঘ. ১০ ফুট
ব্যাখ্যাঃ

যদি প্রতি ফুট দড়ির দাম ১০ টাকা হয়, তবে ৬০ টাকায় তুমি যত ফুট দড়ি ক্রয় করতে পারবে, তা নির্ণয় করার জন্য তোমাকে মোট টাকাকে প্রতি ফুটের দাম দিয়ে ভাগ করতে হবে।

সুতরাং, দড়ির পরিমাণ = মোট টাকা / প্রতি ফুট দড়ির দাম দড়ির পরিমাণ = ৬০ টাকা / ১০ টাকা/ফুট দড়ির পরিমাণ = ৬ ফুট

অতএব, যখন প্রতি ফুট দড়ি ১০ টাকায় বিক্রি হয়, তখন ৬০ টাকায় তুমি ৬ ফুট দড়ি ক্রয় করতে পারবে।

ক.
খ.
গ.
ঘ.
ব্যাখ্যাঃ

মনোভাব পরিবর্তনের ভারসাম্য মতবাদ (Balance Theory of Attitudes Change):

  • মনোভাব পরিবর্তন সম্পর্কিত বিভিন্ন তত্ত্ব বা মতবাদের মধ্যে ভারসাম্য মতবাদ অপেক্ষাকৃত পুরাতন ও অন্যতম মতবাদ।
  • এ মতবাদের প্রবক্তা হলেন মনোবিজ্ঞানী হাইডার ও নিউকম্ব।
  • হাইডার কতিপয় প্রতীক (Symbol) ব্যবহার করে ছকের মাধ্যমে ভারসাম্যপূর্ণ এবং ভারসাম্যহীন অবস্থাকে উপস্থাপন করেছেন।
ক. ১৪
খ. ১৫
গ. ১৬
ঘ. ১৮
ব্যাখ্যাঃ

ধারাটির সংখ্যাগুলোর মধ্যে পার্থক্যগুলো লক্ষ্য করি:

  • ২ - ১ = ১
  • ৪ - ২ = ২
  • ৭ - ৪ = ৩
  • ১১ - ৭ = ৪

আমরা দেখতে পাচ্ছি যে সংখ্যাগুলোর মধ্যে পার্থক্য ক্রমশ ১ করে বাড়ছে। সুতরাং, পরবর্তী পার্থক্যটি হবে ৪ + ১ = ৫।

অতএব, সর্বশেষ সংখ্যাটির পরের সংখ্যাটি হবে:

১১ + ৫ = ১৬

সুতরাং, সংখ্যা শ্রেণির সর্বশেষ সংখ্যার পরের সংখ্যাটি হবে ১৬

ছবিটি দেখে নিচের প্রশ্নের উত্তর দাও:
mcq image
ক. ১
খ. ৩
গ. ২
ঘ. ৪
ক. ৫০ জন
খ. ৫৭ জন
গ. ০৩ জন
ঘ. ০৭ জন
ব্যাখ্যাঃ

২০২৩ সাল পর্যন্ত নোবেল পুরস্কার বিজয়ী নারীর সংখ্যা ৬২ জন

বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই নারীরা তাদের অসামান্য অবদানের জন্য নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এর মধ্যে সাহিত্য, শান্তি, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসা বিজ্ঞান এবং অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী নারীরা অন্তর্ভুক্ত।

নোবেল পুরস্কারের ইতিহাসে মেরি ক্যুরি প্রথম নারী যিনি নোবেল পুরস্কার লাভ করেন এবং তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি দুটি ভিন্ন বিজ্ঞান বিভাগে (পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন) নোবেল পুরস্কার জিতেছেন।

ক. ১২০
খ. ৯২
গ. ১১৫
ঘ. ১১০
ব্যাখ্যাঃ

এখানে "চ", "G", "J" এবং "ট" কোন নির্দিষ্ট সংখ্যা বা মান বহন করে তা উল্লেখ করা নেই। এটি সম্ভবত একটি প্রতীকী ধাঁধা।

যদি আমরা বাংলা বর্ণমালার ক্রম অনুযায়ী অক্ষরগুলোর সাংখ্যিক মান ধরে নেই, তবে:

  • চ = ৬ষ্ঠ বর্ণ
  • G (ইংরেজি বর্ণমালায়) = ৭ম বর্ণ
  • J (ইংরেজি বর্ণমালায়) = ১০ম বর্ণ
  • ট = ১৬তম বর্ণ

এই মান অনুযায়ী:

৬ × ৭ = ৪২ (প্রথম সমীকরণটি সিদ্ধ হয়)

তাহলে দ্বিতীয় সমীকরণের মান:

১০ × ১৬ = ১৬০

ক.
খ.
গ.
ঘ. কোনটিই নয়
ছবিটি দেখে নিচের প্রশ্নের উত্তর দাও:
mcq image

১২৭. নিচের কোনটি সঠিক?

[ বিসিএস ৪৫তম ]

ক.
খ.
গ.
ঘ.
ক. ১০০ ফুট
খ. ১১০ ফুট
গ. ৩০০ ফুট
ঘ. কোনোটিই নয়
ব্যাখ্যাঃ ট্রেনটি সেকেন্ডে চলে ২০ ফুট।

সুতরাং, ট্রেনটি ১ সেকেন্ডে চলে = ২০ ÷ ফুট = ২০ × ৫ ফুট = ১০০ ফুট।

যেহেতু ট্রেনটি একই দ্রুততায় চলে, তাই ৩ সেকেন্ডে ট্রেনটি চলবে = ১০০ ফুট/সেকেন্ড × ৩ সেকেন্ড = ৩০০ ফুট।

অতএব, ট্রেনটি ৩ সেকেন্ডে ৩০০ ফুট চলবে।

সারাংশ: ট্রেনটি সেকেন্ডে ২০ ফুট গেলে, ১ সেকেন্ডে ১০০ ফুট যায়। একই গতিতে ৩ সেকেন্ডে এটি ৩০০ ফুট দূরত্ব অতিক্রম করবে।
ক. অতিশয় প্রতিভাশালী
খ. প্রতিভাশালী
গ. সাধারণ
ঘ. মানসিক প্রতিবন্ধী
ব্যাখ্যাঃ

যাদের বুদ্ধ্যঙ্ক ১৪০ বা তার ঊর্ধ্বে তাদের বলা হয় কঃ অতিশয় প্রতিভাশালী

বুদ্ধ্যঙ্কের (IQ) শ্রেণীবিভাগ সাধারণত নিম্নরূপ:

  • ১৩১ বা তার ঊর্ধ্বে: অতিশয় প্রতিভাশালী (Very Superior)
  • ১২১ - ১৩০: প্রতিভাশালী (Superior)
  • ১১০ - ১২০: উচ্চ গড় (High Average)
  • ৯০ - ১০৯: গড় (Average)
  • ৮০ - ৮৯: নিম্ন গড় (Low Average)
  • ৭০ - ৭৯: প্রান্তিক দুর্বলতা (Borderline Impaired or Delayed)
  • ৬৯ বা তার নিচে: মানসিক প্রতিবন্ধী (Intellectually Disabled)

সুতরাং, ১৪০ বা তার বেশি বুদ্ধ্যঙ্ক সম্পন্ন ব্যক্তিরা "অতিশয় প্রতিভাশালী" হিসেবে বিবেচিত হন।

ক. একই অর্থে
খ. বিপরীত ধর্মী অর্থ
গ. না এক না ভিন্ন অর্থ
ঘ. কোনোটিই নয়
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো খঃ বিপরীত ধর্মী অর্থ

কারণ:

  • RESENT শব্দের অর্থ হলো অসন্তোষ, বিরক্তি বা তিক্ততা অনুভব করা, বিশেষ করে যখন মনে হয় কেউ অন্যায় বা অসম্মানজনক আচরণ করেছে। এটি একটি নেতিবাচক আবেগ প্রকাশ করে।

  • RESERVE শব্দের একাধিক অর্থ থাকলেও এর মূল ধারণা হলো কোনো কিছুর জন্য আলাদা করে রাখা, ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করা বা আগে থেকে নির্দিষ্ট করে রাখা। এটি সাধারণত একটি নিরপেক্ষ বা ইতিবাচক ধারণা বহন করে। ক্ষেত্রবিশেষে এটি সংযত বা আনুষ্ঠানিক আচরণ অর্থেও ব্যবহৃত হয়।

সুতরাং, "RESENT" এবং "RESERVE" শব্দ দুটি একে অপরের বিপরীত অর্থ বহন করে। একটি নেতিবাচক অনুভূতি প্রকাশ করে, অন্যটি সংরক্ষণ বা সংযমের ধারণা দেয়।

ক. ১৯১৭ সালে
খ. ১৯২৭ সালে
গ. ১৯৩৭ সালে
ঘ. ১৯৪২ সালে
ব্যাখ্যাঃ

১৯৪২ সালের ৮ই আগস্ট মহাত্মা গান্ধী বোম্বাইয়ে নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটির অধিবেশনে ‘ভারত ছাড়’ আন্দোলনের সূচনা করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটানো এবং ভারতের পূর্ণ স্বাধীনতা অর্জন।

এই আন্দোলনের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছিল ক্রিপস মিশনের ব্যর্থতা, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকট এবং ভারতীয়দের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ব্রিটিশ বিরোধী মনোভাবের ফলে। গান্ধীজির "করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে" (Do or Die) স্লোগান এই আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করেছিল।

‘ভারত ছাড়’ আন্দোলনের তাৎপর্য ছিল সুদূরপ্রসারী। যদিও ব্রিটিশ সরকার কঠোর হাতে এই আন্দোলন দমন করে, তবুও এটি প্রমাণ করে যে ভারতীয়রা আর ব্রিটিশ শাসন মেনে নিতে রাজি নয়। এই আন্দোলন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয় এবং এটি ব্রিটিশদের উপলব্ধি করতে বাধ্য করে যে ভারতকে আর বেশি দিন পরাধীন করে রাখা সম্ভব নয়।

ক. ১৯৪৮ সালে
খ. ১৯৫০ সালে
গ. ১৯৫২ সালে
ঘ. ১৯৫৪ সালে
ব্যাখ্যাঃ

১৯৫২ সালের ৩১ জানুয়ারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বার লাইব্রেরি হলে ‘সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কমিটি’ গঠিত হয়। ভাষা আন্দোলনের সময় এটি গঠিত হয়েছিল এবং এর সভাপতি ছিলেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। এই কমিটি ২১শে ফেব্রুয়ারিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও র্যালি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

ক. রাষ্ট্রপতি
খ. স্পীকার
গ. চীফ হুইপ
ঘ. প্রধানমন্ত্রী
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের অধিবেশন আহ্বান করেন রাষ্ট্রপতি

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় স্পষ্টভাবে বলা আছে: "রাষ্ট্রপতি কর্তৃক সংসদ আহ্বান, স্থগিত ও ভঙ্গ"।

অতএব, জাতীয় সংসদের অধিবেশন আহ্বান করার ক্ষমতা একমাত্র রাষ্ট্রপতির উপর ন্যস্ত।

ক. ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬
খ. ২৩ মার্চ ১৯৬৬
গ. ২৬ মার্চ ১৯৬৬
ঘ. ৩১ মার্চ ১৯৬৬
ব্যাখ্যাঃ

ঐতিহাসিক ‘ছয়-দফা’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৬৬ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারি লাহোরে (তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান) বিরোধী দলগুলোর জাতীয় সম্মেলনে উত্থাপন করেন।

পরবর্তীতে, ১৯৬৬ সালের ২৩শে মার্চ ঢাকায় আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে এই ছয়-দফা দলের আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি হিসেবে গৃহীত হয়।

ক. শেখ মুজিবুর রহমান
খ. শামছুল হক
গ. আতাউর রহমান খান
ঘ. আবুল হাশিম
ব্যাখ্যাঃ

‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’ প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শামসুল হক

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার রোজ গার্ডেনে (হুমায়ুন সাহেবের বাড়ি) 'পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ' প্রতিষ্ঠিত হয়। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ছিলেন এই দলের প্রথম সভাপতি এবং শামসুল হক ছিলেন প্রথম সাধারণ সম্পাদক।

ক. অনুচ্ছেদ : ২
খ. অনুচ্ছেদ : ৩
গ. অনুচ্ছেদ : ৪
ঘ. অনুচ্ছেদ : ৫
ব্যাখ্যাঃ

‘প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা’ কথাটি বাংলাদেশ সংবিধানের ৩ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে।

এই অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে: "প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা।"

ক. চতুর্থ তফসিল
খ. পঞ্চম তফসিল
গ. ষষ্ঠ তফসিল
ঘ. সপ্তম তফসিল
ব্যাখ্যাঃ

ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বাংলাদেশ সংবিধানের পঞ্চম তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

২০১৭ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে এই ঐতিহাসিক ভাষণটি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

ক. লেবার কোর্ট
খ. জজ কোর্ট
গ. হাই কোর্ট
ঘ. সুপ্রীম কোর্ট
ক. ৬ (ছয়) টি
খ. ৭ (সাত) টি
গ. ৮ (আট) টি
ঘ. ৯ (নয়) টি
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশে এ পর্যন্ত আটটি পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

পরিকল্পনাগুলো হলো:

১. প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (১৯৭৩-১৯৭৮) ২. দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (১৯৮০-১৯৮৫) ৩. তৃতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (১৯৮৫-১৯৯০) ৪. চতুর্থ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (১৯৯০-১৯৯৫) ৫. পঞ্চম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (১৯৯৭-২০০২) ৬. ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (২০১১-২০১৫) ৭. সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (২০১৬-২০২০) ৮. অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (২০২১-২০২৫)

বর্তমানে অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা চলমান রয়েছে।

ক. ৪ (চার) টি
খ. ৫ (পাঁচ) টি
গ. ৬ (ছয়) টি
ঘ. ৭ (সাত) টি
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের পাঁচটি জেলার সাথে ‘সুন্দরবন’ সংযুক্ত আছে। এই জেলাগুলো হলো:

  • খুলনা
  • বাগেরহাট
  • সাতক্ষীরা
  • বরগুনা
  • পটুয়াখালী

সুন্দরবনের অংশ এই জেলাগুলোর বিভিন্ন স্থানে বিস্তৃত।

ক. ২ (দুই) নম্বর
খ. ৩ (তিন) নম্বর
গ. ৪ (চার) নম্বর
ঘ. ৫ (পাঁচ) নম্বর
ব্যাখ্যাঃ

মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা শহর ২ নম্বর সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত ছিল।

এই সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন প্রথমে মেজর খালেদ মোশাররফ এবং পরবর্তীতে মেজর এ.টি.এম. হায়দার। ২ নম্বর সেক্টরের আওতাধীন এলাকা ছিল ঢাকা, কুমিল্লা ও ফরিদপুরের কিছু অংশ।

ক. ২ মার্চ, ২০২২
খ. ৩ মার্চ, ২০২২
গ. ৪ মার্চ, ২০২২
ঘ. ৫ মার্চ, ২০২২
ব্যাখ্যাঃ

‘জয় বাংলা’ কে জাতীয় স্লোগান হিসাবে মন্ত্রিসভায় ২ মার্চ ২০২২ তারিখে অনুমোদন করা হয়।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

ক. ৬ এপ্রিল ১৯৭২
খ. ৭ এপ্রিল ১৯৭২
গ. ৮ এপ্রিল ১৯৭২
ঘ. ৯ এপ্রিল ১৯৭২
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন (Bangladesh Public Service Commission - BPSC) গঠিত হয় ৮ এপ্রিল ১৯৭২ সালে। এটি একটি সাংবিধানিক ও স্বাধীন সংস্থা, যার মূল দায়িত্ব হলো সরকারি চাকরিতে নিয়োগ সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা

সংবিধানের ১৩৭ থেকে ১৪১ অনুচ্ছেদে এই কমিশনের গঠনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা উল্লেখ রয়েছে। প্রথমে দুটি পাবলিক সার্ভিস কমিশন গঠন করা হলেও পরে একীভূত করে একটি কমিশন চালু করা হয়।

ক. ২০১৩ সালে
খ. ২০১৪ সালে
গ. ২০১৫ সালে
ঘ. ২০১৬ সালে
ব্যাখ্যাঃ

‘e-TIN’ (Electronic Taxpayer Identification Number) চালু করা হয় ২০১৩ সালে

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (National Board of Revenue - NBR) করদাতাদের জন্য অনলাইনে টিআইএন নিবন্ধন এবং সনদ প্রাপ্তির প্রক্রিয়া সহজ করার লক্ষ্যে এটি চালু করে।

ক. ২০১১ সালে
খ. ২০১২ সালে
গ. ২০১৩ সালে
ঘ. ২০১৪ সালে
ব্যাখ্যাঃ

মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনটি বাংলাদেশে ২০০২ সালে প্রবর্তন করা হয়।

তবে, এই আইনটি পরবর্তীতে ২০১২ সালে সংশোধন করা হয় এবং বর্তমানে এই সংশোধিত আইনটিই কার্যকর রয়েছে। তাই যদি প্রশ্ন করা হয় "মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২" কত সালে প্রবর্তন করা হয়, তবে উত্তর হবে ২০১২ সাল। কিন্তু মূল আইনটি প্রবর্তিত হয়েছিল ২০০২ সালে।

ক. চট্টগ্রাম
খ. ফেনী
গ. নরসিংদী
ঘ. ময়মনসিংহ
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। এটি “তিস্তা সোলার লিমিটেড” নামে পরিচিত এবং বেক্সিমকো পাওয়ার লিমিটেডের উদ্যোগে নির্মিত হয়েছে। এই কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ২০০ মেগাওয়াট, যা দেশের জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে।

প্রকল্পটি প্রায় ৬০০ একর জমির ওপর গড়ে তোলা হয়েছে, যেখানে প্রায় ৫.৫ লাখ সৌর প্যানেল স্থাপন করা হয়েছে। এই সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ২০২৩ সালের ২ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পেয়েছে এবং উত্তরাঞ্চলের বিদ্যুৎ সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

ক. রাজশাহী
খ. কুমিল্লা
গ. চট্টগ্রাম
ঘ. গাজীপুর
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের বন গবেষণা কেন্দ্র বা বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট (BFRI) চট্টগ্রামে অবস্থিত। এটি ১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং দেশের বনসম্পদ সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও গবেষণার জন্য কাজ করে।

ক. চাঁদপুর
খ. ফরিদপুর
গ. ময়মনসিংহ
ঘ. ভোলা
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের মৎস্য প্রজাতি গবেষণাগার ময়মনসিংহে অবস্থিত।

এটি বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (Bangladesh Fisheries Research Institute - BFRI) অধীনে পরিচালিত হয়। ময়মনসিংহের সদর উপজেলায় অবস্থিত এই গবেষণাগারটি দেশের মৎস্য সম্পদের উন্নয়ন ও সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ক. কয়লা
খ. প্রাকৃতিক গ্যাস
গ. চুনাপাথর
ঘ. চীনামাটি
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের প্রধান খনিজ সম্পদ হলো প্রাকৃতিক গ্যাস

দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন, শিল্প এবং গৃহস্থালীর কাজে প্রাকৃতিক গ্যাস একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যদিও বাংলাদেশে আরও কিছু খনিজ সম্পদ যেমন কয়লা, চুনাপাথর, কঠিন শিলা, সিলিকা বালি ইত্যাদি আবিষ্কৃত হয়েছে, তবে অর্থনৈতিকভাবে এবং ব্যবহারের পরিমাণের দিক থেকে প্রাকৃতিক গ্যাসই প্রধান খনিজ সম্পদ।

ক. প্রাকৃতিক গ্যাস
খ. চুনাপাথর
গ. মিথেন গ্যাস
ঘ. ইলমেনাইট
ব্যাখ্যাঃ

ইউরিয়া সারের প্রধান কাঁচামাল হলো প্রাকৃতিক গ্যাস (Natural Gas)

প্রাকৃতিক গ্যাসের মিথেন (Methane, CH₄) অংশটি বিভিন্ন রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অ্যামোনিয়াতে (Ammonia, NH₃) রূপান্তরিত করা হয়। এরপর অ্যামোনিয়ার সাথে কার্বন ডাই অক্সাইড (Carbon Dioxide, CO₂) মিশিয়ে ইউরিয়া (Urea, CO(NH₂)₂) তৈরি করা হয়।

বাংলাদেশে যেহেতু প্রাকৃতিক গ্যাসের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে, তাই এটি ইউরিয়া সার উৎপাদনের প্রধান কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

ক. আইনের প্রয়োগ
খ. আইনের ব্যাখ্যা
গ. সংবিধানের ব্যাখ্যা
ঘ. সংবিধান প্রণয়ন
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো ঘঃ সংবিধান প্রণয়ন

সংবিধান প্রণয়ন বিচার বিভাগের কাজ নয়। সংবিধান প্রণয়নের দায়িত্ব আইন বিভাগ বা গণপরিষদের উপর ন্যস্ত থাকে।

বিচার বিভাগের প্রধান কাজগুলো হলো:

  • কঃ আইনের প্রয়োগ: বিদ্যমান আইন অনুযায়ী বিচারকার্য পরিচালনা করা এবং অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া।
  • খঃ আইনের ব্যাখ্যা: আইনের অস্পষ্টতা দূর করে এর সঠিক অর্থ ব্যাখ্যা করা।
  • গঃ সংবিধানের ব্যাখ্যা: সংবিধানের কোনো ধারা বা উপধারা নিয়ে বিতর্ক দেখা দিলে তার ব্যাখ্যা দেওয়া এবং সংবিধানের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয় এমন আইন বাতিল করা।

সুতরাং, সংবিধান তৈরি বা প্রণয়নের কাজটি বিচার বিভাগের আওতাভুক্ত নয়।

ক. ১৯৮০ সালে
খ. ১৯৮১ সালে
গ. ১৯৮৫ সালে
ঘ. ১৯৯১ সালে
ব্যাখ্যাঃ

পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ ১৯৮৫ সালে জারি হয়।

এই অধ্যাদেশটি পারিবারিক বিষয়াবলী যেমন বিবাহ, বিবাহ বিচ্ছেদ, দেনমোহর, ভরণপোষণ, সন্তানের অভিভাবকত্ব এবং সম্পত্তির উত্তরাধিকার সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য বিশেষ আদালত প্রতিষ্ঠার বিধান করে।

ক. ঢাকা
খ. চট্টগ্রাম
গ. কুমিল্লা
ঘ. খুলনা
ব্যাখ্যাঃ

‘গণহত্যা যাদুঘর’ খুলনা শহরে অবস্থিত।

এটি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত গণহত্যা ও নির্যাতনের ইতিহাস সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

ক. কবি
খ. নাট্যকার
গ. কণ্ঠশিল্পী
ঘ. ভাস্কর
ব্যাখ্যাঃ

নভেরা আহমেদ ছিলেন একজন বিখ্যাত ভাস্কর (Sculptor)

তিনি বাংলাদেশের আধুনিক ভাস্কর্য শিল্পের একজন অগ্রণী শিল্পী হিসেবে পরিচিত। তার কাজগুলোতে বিমূর্ততা এবং আধুনিকতার সুস্পষ্ট প্রভাব দেখা যায়। নভেরা আহমেদ বাংলাদেশের ভাস্কর্যকে নতুন পথে চালিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

ক. রাঙ্গামাটি
খ. বরিশাল
গ. চট্টগ্রাম
ঘ. ময়মনসিংহ
ব্যাখ্যাঃ

আয়তনে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জেলা হলো রাঙ্গামাটি

এই জেলার আয়তন হলো ৬,১১২.১৩ বর্গ কিলোমিটার (২,৩৬০.৬৭ বর্গ মাইল)। এটি চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্গত।

ক. সেন্টমার্টিন
খ. সেন্টমার্টিন এবং এর আশেপাশের এলাকা
গ. পটুয়াখালী ও বরগুনা
ঘ. হিরন পয়েন্ট
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি এলাকাকে ‘Marine Protected Area (MPA)’ ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

  • সেন্ট মার্টিন দ্বীপ এবং এর চারপাশের এলাকা: এই এলাকাটিকে জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য MPA ঘোষণা করা হয়েছে। এখানে প্রবাল প্রাচীর এবং বিভিন্ন সামুদ্রিক প্রজাতি বিদ্যমান।
  • নিঝুম দ্বীপ মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়া: এটি বঙ্গোপসাগরের মেঘনা নদীর মোহনায় অবস্থিত এবং বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও পাখির আবাসস্থল।

এছাড়াও, সরকার আরও কিছু এলাকাকে MPA ঘোষণার পরিকল্পনা করছে।

ক. ৯ (নয়) টি
খ. ১০ (দশ) টি
গ. ১১ (এগার) টি
ঘ. ১২ (বার) টি
ব্যাখ্যাঃ

বর্তমানে (মে ৫, ২০২৫) পর্যন্ত বাংলাদেশে ১১টি ভৌগোলিক নির্দেশক (Geographical Indication - GI) পণ্য নিবন্ধিত হয়েছে।

এই পণ্যগুলো হলো:

১. জামদানি (নিবন্ধিত: ২০১৩) ২. ইলিশ (নিবন্ধিত: ২০১৭) ৩. চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম (নিবন্ধিত: ২০১৯) ৪. দিনাজপুরের কাটারিভোগ চাল (নিবন্ধিত: ২০১৯) ৫. কালিজিরা ধান (নিবন্ধিত: ২০২১) ৬. শতরঞ্জি, রংপুর (নিবন্ধিত: ২০২১) ৭. নাটোরের কাঁচাগোল্লা (নিবন্ধিত: ২০২১) ৮. কুমিল্লার রসমালাই (নিবন্ধিত: ২০২১) ৯. বিজয়পুরের সাদা মাটি (নিবন্ধিত: ২০২৩) ১০. বাগেরহাটের চিংড়ি (নিবন্ধিত: ২০২৩) ১১. মোসলিন (নিবন্ধিত: ২০২৪)

এই তালিকা ভবিষ্যতে আরও বাড়তে পারে।

ক. সিলেট
খ. মৌলভীবাজার
গ. হবিগঞ্জ
ঘ. সুনামগঞ্জ
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশে মনিপুরী নৃ-গোষ্ঠীর সবচেয়ে বেশি বসবাস মৌলভীবাজার জেলায়, বিশেষ করে কমলগঞ্জ উপজেলায়। তবে তারা সিলেট, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলাতেও বসবাস করে।

মনিপুরীরা মূলত ভারতের মণিপুর রাজ্যের আদিবাসী জনগোষ্ঠী, যাদের নিজস্ব ভাষা, বর্ণমালা ও সমৃদ্ধ সংস্কৃতি রয়েছে।

ক. ১০ জুন থেকে ১৬ জুন, ২০২২
খ. ১৫ জুন থেকে ২১ জুন, ২০২২
গ. ১৫ জুলাই থেকে ২১ জুলাই, ২০২২
ঘ. ২০ জুলাই থেকে ২৬ জুলাই, ২০২২
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের ষষ্ঠ জাতীয় জনশুমারি ও গৃহ গণনা অনুষ্ঠিত হয় ১৫ জুন থেকে ২১ জুন, ২০২২ পর্যন্ত। এটি ছিল দেশের প্রথম ডিজিটাল আদমশুমারি, যা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (BBS) কর্তৃক পরিচালিত হয়।

এই শুমারির মাধ্যমে দেশের মোট জনসংখ্যা নির্ধারণ করা হয় ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন

ক. বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমেটিক অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সিলেন্স
খ. বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমেটিক এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড
গ. বাংলাদেশ ডিপ্লোমেটিক অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সিলেন্স
ঘ. বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমেটিক অ্যাওয়ার্ড
ব্যাখ্যাঃ

কূটনৈতিক ক্ষেত্রে অবদানের জন্য গত ২০২০ সালে প্রবর্তিত পুরস্কারের নাম হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কূটনীতি উৎকর্ষ পদক

এই পদকটি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রবর্তিত হয়েছে এবং এটি প্রতি বছর কূটনীতিকদের তাদের অসামান্য অবদানের জন্য প্রদান করা হয়।

ক. ILO
খ. SAARC
গ. NATO
ঘ. BIMSTEC
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো গঃ NATO

বাংলাদেশ নিম্নলিখিত সংস্থাগুলোর সদস্য:

  • কঃ ILO (International Labour Organization - আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা)
  • খঃ SAARC (South Asian Association for Regional Cooperation - দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা)
  • ঘঃ BIMSTEC (Bay of Bengal Initiative for Multi-Sectoral Technical and Economic Cooperation - বঙ্গোপসাগরীয় বহুমাত্রিক কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা উদ্যোগ)

NATO (North Atlantic Treaty Organization - উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থা) হলো উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের কয়েকটি দেশের সামরিক জোট। বাংলাদেশ এই সামরিক জোটের সদস্য নয়।

ক. ১৯২৯
খ. ১৯৩০
গ. ১৯৩১
ঘ. ১৯৩২
ব্যাখ্যাঃ

ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল ১৯৩০ সালে প্রথম অনুষ্ঠিত হয়।

এই বিশ্বকাপটি উরুগুয়েতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং স্বাগতিক উরুগুয়েই ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে ৪-২ গোলে পরাজিত করে প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপা জেতে।

ক. মালদ্বীপ
খ. নেপাল
গ. গ্রীস
ঘ. ভেনেজুয়েলা
ব্যাখ্যাঃ

নেপাল একটি ভূবেষ্টিত দেশ (Landlocked Country), যার কোনো সমুদ্র বন্দর নেই। এটি চারপাশ থেকে ভারত ও চীন দ্বারা বেষ্টিত। সমুদ্র পথে বাণিজ্যের জন্য নেপাল সাধারণত ভারতের বন্দরগুলির ওপর নির্ভর করে।

ক. ইটালি
খ. গ্রীস
গ. তুরস্ক
ঘ. ফ্রান্স
ব্যাখ্যাঃ

ঐতিহাসিক ট্রয় নগরী বর্তমানে তুরস্কে অবস্থিত।

প্রাচীনকালে এটি আনাতোলিয়া নামে পরিচিত ছিল, যা বর্তমানে তুরস্কের একটি অংশ। ট্রয় নগরীর ধ্বংসাবশেষ তুরস্কের উত্তর-পশ্চিম অংশে, কানাক্কালে প্রদেশের হিসারলিক নামক স্থানে খুঁজে পাওয়া যায়।

ক. অস্ট্রেলিয়া
খ. ইউরোপ
গ. আফ্রিকা
ঘ. দক্ষিণ আমেরিকা
ব্যাখ্যাঃ

ক্ষুদ্রতম মহাদেশ হলো কঃ অস্ট্রেলিয়া

আয়তনের দিক থেকে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের ক্ষুদ্রতম মহাদেশ।

ক. টোকিও
খ. ম্যানিলা
গ. ভারত
ঘ. নেপাল
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো খঃ ম্যানিলা

আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (International Rice Research Institute - IRRI) ফিলিপাইনের ম্যানিলা শহরে অবস্থিত। এর সদর দপ্তর লস বানোসে অবস্থিত হলেও, ম্যানিলা এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

ক. লন্ডন
খ. প্যারিস
গ. ব্রাসেলস
ঘ. ফ্রাঙ্কফুর্ট
ব্যাখ্যাঃ

ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (European Central Bank - ECB) জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট শহরে অবস্থিত।

ক. রিচার্ড নিক্সন
খ. বিল ক্লিনটন
গ. কেনেডি
ঘ. ডনাল্ড ট্রাম্প
ব্যাখ্যাঃ

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫-তম প্রেসিডেন্ট ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

তিনি ২০১৭ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৬৯. TIFA এর পূর্ণরূপ কী?

[ বিসিএস ৪৫তম ]

ক. Trade for International Finance Agreement
খ. Trade and Investment Framework Agreement
গ. Treaty for International Free Area
ঘ. Trade and Investment form America
ব্যাখ্যাঃ

TIFA এর পূর্ণরূপ হলো Trade and Investment Framework Agreement.

এটি একটি বাণিজ্যিক চুক্তি যা দুটি দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং অমীমাংসিত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য একটি কাঠামো তৈরি করে।

ক. ১৯৭০
খ. ১৯৭২
গ. ১৯৭৫
ঘ. ১৯৭৭
ব্যাখ্যাঃ

১৯৭৫ সালে ভারত কর্তৃক সিকিম সংযুক্ত হয়।

ঘটনাটি কয়েকটি ধাপে ঘটেছিল:

  • ১৯৫০: ভারত ও সিকিমের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার মাধ্যমে সিকিম ভারতের আশ্রিত রাজ্যে পরিণত হয়। ভারত সিকিমের প্রতিরক্ষা, বৈদেশিক সম্পর্ক ও যোগাযোগের দায়িত্ব নেয়।
  • ১৯৭৩: সিকিমে রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ দেখা দেয়।
  • ১৯৭৪: ভারতের হস্তক্ষেপে একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন করা হয় এবং চোগিয়ালের ক্ষমতা হ্রাস করা হয়।
  • ১৯৭৫: সিকিমের প্রধানমন্ত্রী লেংদুপ দর্জির অনুরোধে ভারতীয় সেনাবাহিনী সিকিমের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর একটি গণভোট অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে সিকিমের জনগণ ভারতের সাথে যোগদানের পক্ষে বিপুলভাবে রায় দেয়।
  • ১৯৭৫ সালের ১৬ মে: সিকিম আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের ২২তম রাজ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়।
ক. সিংগাপুর
খ. জাকার্তা
গ. ম্যানিলা
ঘ. বালী
ব্যাখ্যাঃ

২০২২ সালে G-20 শীর্ষ বৈঠক ইন্দোনেশিয়ার বালিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

ক. ১৯৫৯
খ. ১৯৬০
গ. ১৯৬২
ঘ. ১৯৬৩
ব্যাখ্যাঃ

চীন-ভারত যুদ্ধ ১৯৬২ সালে সংঘটিত হয়।

এই যুদ্ধটি ২০ অক্টোবর থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত চলেছিল এবং এর মূল কারণ ছিল দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত বিরোধ।

ক. ম্যারিয়ানা ট্রেঞ্চ
খ. ডেড সী
গ. বৈকাল হ্রদ
ঘ. লোহিত সাগর
ব্যাখ্যাঃ

পৃথিবীর গভীরতম স্থান হলো কঃ ম্যারিয়ানা ট্রেঞ্চ

এটি পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত এবং এর গভীরতা প্রায় ১১ কিলোমিটারের বেশি।

ক. ২০০০ সাল
খ. ২০০১ সাল
গ. ২০১৩ সাল
ঘ. ২০১৬ সাল
ব্যাখ্যাঃ

‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ কার্যক্রম ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে চীনের রাষ্ট্রপতি সি জিনপিং কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।

তিনি প্রথমে কাজাখস্তানে "সিল্ক রোড ইকোনমিক বেল্ট" এবং পরবর্তীতে ইন্দোনেশিয়ায় "২১ শতকের মেরিটাইম সিল্ক রোড" প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবনার মাধ্যমে এই বিশাল উদ্যোগের সূচনা করেন।

ক. ইন্দোনেশিয়া
খ. থাইল্যান্ড
গ. ফিলিপাইন
ঘ. কম্বোডিয়া
ব্যাখ্যাঃ

বান্দা আচেহ ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের রাজধানী এবং বৃহত্তম শহর। এটি সুমাত্রা দ্বীপের উত্তর প্রান্তে অবস্থিত।

ক. সিয়াটল
খ. ক্যালিফোর্নিয়া
গ. ওয়াশিংটন
ঘ. নিউইয়র্ক
ব্যাখ্যাঃ

ফেসবুকের সদর দফতর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের মেনলো পার্ক শহরে অবস্থিত। এর ঠিকানা হলো:

1 Hacker Way, Menlo Park, CA 94025, USA.

বর্তমানে ফেসবুকের মূল কোম্পানি হলো মেটা প্ল্যাটফর্মস (Meta Platforms, Inc.)

ক. কানাডা
খ. পশ্চিম আফ্রিকা
গ. নর্থ আমেরিকা
ঘ. অস্ট্রেলিয়া
ব্যাখ্যাঃ

‘ভিক্টোরিয়া ডিজার্ট’ অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থিত।

এটি পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বিস্তৃত একটি বৃহৎ মরুভূমি।

ক. গ্রিস
খ. মেসোপটেমিয়া
গ. রোম
ঘ. সিন্ধু
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো খঃ মেসোপটেমিয়া

প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে মেসোপটেমীয় সভ্যতা প্রাচীনতম। এরপরে রয়েছে সিন্ধু সভ্যতা, তারপর গ্রিক সভ্যতা এবং সবশেষে রোমান সভ্যতা।

মেসোপটেমিয়া খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ সহস্রাব্দ থেকে শুরু করে খ্রিস্টপূর্ব প্রথম সহস্রাব্দ পর্যন্ত স্থায়ী ছিল এবং এটি মানব ইতিহাসের অন্যতম প্রাচীন এবং গুরুত্বপূর্ণ সভ্যতা হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি আধুনিক ইরাক এবং এর কাছাকাছি অঞ্চলে গড়ে উঠেছিল।

১৭৯. তিব্বত একটি-

[ বিসিএস ৪৫তম ]

ক. উপত্যকা
খ. উপদ্বীপ
গ. দ্বীপ
ঘ. মরুভুমি
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর: কঃ উপত্যকা

তিব্বত হলো পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু প্লেটু (High Plateau), যা "বিশ্বের ছাদ" নামে পরিচিত। এটি একটি বিশাল উপত্যকা, যা প্রায় ৪,০০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এবং চারপাশে হিমালয় পর্বত দ্বারা পরিবেষ্টিত

তিব্বত ভূ-প্রকৃতিগতভাবে মরুভূমির কিছু বৈশিষ্ট্য ধারণ করলেও এটি মূলত একটি উচ্চভূমি উপত্যকা।

১৮০. ‘Elephant Pass’ অবস্থিত?

[ বিসিএস ৪৫তম ]

ক. থাইল্যান্ড
খ. দক্ষিণ আফ্রিকা
গ. শ্রীলঙ্কা
ঘ. মালয়শিয়া
ব্যাখ্যাঃ

‘Elephant Pass’ শ্রীলঙ্কায় অবস্থিত।

এটি জাফনা উপদ্বীপের প্রবেশদ্বারে অবস্থিত একটি কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ স্থলযোট (isthmus)। এর একদিকে জাফনা উপদ্বীপ এবং অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার মূল ভূখণ্ড। গৃহযুদ্ধের সময় এই এলাকাটি বহুবার সংঘর্ষের কেন্দ্র ছিল।

ক. সাইপ্রাস
খ. আলজেরিয়া
গ. ইস্টোনিয়া
ঘ. মাল্টা
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো খঃ আলজেরিয়া

আলজেরিয়া একটি উত্তর আফ্রিকার দেশ এবং এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য নয়।

অন্যান্য বিকল্পগুলো হলো:

  • কঃ সাইপ্রাস - এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য।
  • গঃ এস্তোনিয়া - এটিও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য।
  • ঘঃ মাল্টা - এটিও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য।
ক. কর্ণফুলি
খ. নাফ
গ. মেঘনা
ঘ. হালদা
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো ঘঃ হালদা

হালদা নদীর উৎপত্তিস্থল বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে অবস্থিত। এটি খাগড়াছড়ি জেলার বাদনাতলী পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়েছে।

অন্যান্য নদীগুলোর উৎপত্তিস্থল বাংলাদেশে নয়:

  • কঃ কর্ণফুলি: এর উৎপত্তিস্থল ভারতের মিজোরাম রাজ্যে।
  • খঃ নাফ: এটি বাংলাদেশ ও মায়ানমারের সীমান্ত নদী, এর উৎপত্তিস্থল মায়ানমারে।
  • গঃ মেঘনা: এটি মূলত সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর মিলিত প্রবাহের ফল, এই নদীগুলোর উৎপত্তিস্থল ভারতে।
ক. পানির উপরিভাগে
খ. পানির মধ্যভাগে
গ. পানির আন্তঃআণবিক স্থানে
ঘ. পানির তলদেশে
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো গঃ পানির আন্তঃআণবিক স্থানে

পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন পানির অণুগুলোর মধ্যে যে ফাঁকা স্থান বা আন্তঃআণবিক স্থান থাকে, সেখানেই অবস্থান করে।

ক. কার্বন ডাইঅক্সাইড
খ. মিথেন
গ. সিএফসি
ঘ. নাইট্রাস অক্সাইড
ব্যাখ্যাঃ

Chlorofluorocarbons (CFCs) গ্যাস বর্তমানে তেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে না, বরং এর ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। এর প্রধান কারণ হলো Montreal Protocol, যা ১৯৮৭ সালে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই আন্তর্জাতিক চুক্তির মাধ্যমে CFC-এর উৎপাদন ও ব্যবহার পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, কারণ এটি ওজন স্তরের ক্ষয়কারী একটি প্রধান গ্যাস হিসেবে শনাক্ত হয়েছিল।

যদিও CFC-এর নতুন নির্গমন অনেক কমে গেছে, বায়ুমণ্ডলে এর দীর্ঘ জীবনকালের কারণে এটি এখনও বিদ্যমান এবং গ্রিনহাউস গ্যাস হিসেবে কাজ করছে। তবে, অন্যান্য প্রধান গ্রিনহাউস গ্যাস যেমন কার্বন ডাই অক্সাইড (CO₂), মিথেন (CH₄) এবং নাইট্রাস অক্সাইড (N₂O)-এর ঘনত্ব এখনও বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষের বিভিন্ন কার্যকলাপ, যেমন জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার, কৃষিকাজ এবং শিল্প প্রক্রিয়া এর প্রধান কারণ।

ক. ১৫ নভেম্বর ২০০৭
খ. ১৬ নভেম্বর ২০০৭
গ. ১৭ নভেম্বর ২০০৭
ঘ. ১৮ নভেম্বর ২০০৭
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশে সিডর আঘাত হানে ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর। এটি একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ছিল যা দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়।

ক. ১৫০ নটিক্যাল মাইল
খ. ২০০ নটিক্যাল মাইল
গ. ২৫০ নটিক্যাল মাইল
ঘ. ৩০০ নটিক্যাল মাইল
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমুদ্রসীমা হলো ২০০ নটিক্যাল মাইল

এটি উপকূলরেখা থেকে সমুদ্রের দিকে এই দূরত্ব পর্যন্ত বিস্তৃত, যেখানে বাংলাদেশের সমুদ্রের জলজ ও খনিজ সম্পদসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদের উপর একচ্ছত্র অধিকার রয়েছে।

ক. বাখরাবাদ
খ. হরিপুর
গ. তিতাস
ঘ. হবিগঞ্জ
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ গ্যাস ক্ষেত্রটি হলো তিতাস গ্যাসক্ষেত্র

এটি ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলায় অবস্থিত এবং ১৯৬২ সালে আবিষ্কৃত হয়। মজুতের দিক থেকেও এটি অন্যতম বৃহত্তম গ্যাসক্ষেত্র।

ক. ফোকাস
খ. এপিসেন্টার
গ. ফ্রাকচার
ঘ. ফল্ট
ব্যাখ্যাঃ

ভূমিকম্প সংঘটন বিন্দুর সরাসরি উপরে ভূপৃষ্ঠস্থ বিন্দুকে এপিসেন্টার (Epicenter) বলে।

ভূগর্ভের যে স্থানে ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়, তাকে হাইপোসেন্টার (Hypocenter) বা ফোকাস বলা হয়। এপিসেন্টার হলো সেই ফোকাসের ঠিক উল্লম্বভাবে ভূপৃষ্ঠের উপর অবস্থিত বিন্দু, যেখানে ভূমিকম্পের প্রভাব প্রথম অনুভূত হয় এবং সাধারণত সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী হয়ে থাকে।

ক. পরিবহন
খ. বিদ্যুৎ ও তাপ উৎপাদন
গ. ভবন নির্মাণ
ঘ. শিল্প
ব্যাখ্যাঃ

বিশ্বব্যাপী, বিদ্যুৎ ও তাপ উৎপাদন খাত থেকে সবচাইতে বেশি গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গত হয়।

জীবাশ্ম জ্বালানি (কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস, তেল) পোড়ানোর মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং তাপ তৈরির প্রক্রিয়াতেই মূলত এই বিপুল পরিমাণ গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গত হয়।

ক. ঘড়ির কাটার দিকে
খ. ঘড়ির কাটার বিপরীতে
গ. সোজা
ঘ. কোনটাই সঠিক নয়
ব্যাখ্যাঃ

উত্তর গোলার্ধে ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের বায়ু ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে (counter-clockwise) প্রবাহিত হয়।

এর কারণ হলো কোরিওলিস প্রভাব। পৃথিবীর ঘূর্ণনের কারণে বায়ু উত্তর গোলার্ধে ডান দিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বাম দিকে বেঁকে যায়। ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে নিম্নচাপ থাকে। এই নিম্নচাপের দিকে বায়ু যখন ছুটে আসে, তখন কোরিওলিস প্রভাবের কারণে উত্তর গোলার্ধে তা ডান দিকে বেঁকে একটি ঘড়ির কাঁটার বিপরীত ঘূর্ণনের সৃষ্টি করে।

ক. নৈতিক
খ. অর্থনৈতিক
গ. রাজনৈতিক
ঘ. সামাজিক
ব্যাখ্যাঃ

ভালো-মন্দ হলো নৈতিক মূল্যবোধ (Moral Values)।

নৈতিক মূল্যবোধ সমাজের রীতিনীতি, ন্যায়-অন্যায় বোধ এবং মানুষের আচরণের মানদণ্ড নির্ধারণ করে। ভালো এবং মন্দ এই দুটি ধারণা নৈতিকতার মূল ভিত্তি।

ক. নিরপেক্ষ আইন ব্যবস্থা
খ. নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা
গ. প্রশাসনের নিরপেক্ষতা
ঘ. মত প্রকাশের স্বাধীনতা
ব্যাখ্যাঃ

নিরপেক্ষ আইন, বিচার ও শাসন ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও যদি মত প্রকাশের স্বাধীনতা না থাকে তাহলে সুশাসন অর্জিত হয় না৷ তাই মত প্রকাশের স্বাধীনতা সুশাসনের পূর্বশর্ত।

ক. জন স্টুয়ার্ট মিল
খ. ইমানূয়েল কান্ট
গ. বার্ট্রান্ড রাসেল
ঘ. জেরেমি বেন্থাম
ব্যাখ্যাঃ

জন স্টুয়ার্ট মিল 'Utilitarianism' গ্রন্থের লেখক।

এটি ১৮৬১ সালে প্রকাশিত হয় এবং এই গ্রন্থে তিনি উপযোগবাদ (Utilitarianism) তত্ত্বের ব্যাখ্যা ও সমর্থন করেন। যদিও উপযোগবাদের ধারণা জেরেমি বেন্থামের হাত ধরে এসেছিল, জন স্টুয়ার্ট মিল এটিকে আরও পরিশীলিত করেন এবং বিভিন্ন সমালোচনার জবাব দেন।

ক. ইউরোপীয় ইউনিয়ন
খ. আই, এল, ও
গ. বিশ্বব্যাংক
ঘ. জাতিসংঘ
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো বিশ্বব্যাংক (World Bank)

বিশ্বব্যাংক ১৯৮৯ সালে তাদের একটি সমীক্ষায় সর্বপ্রথম 'সুশাসন' (Good Governance) প্রত্যয়টি ব্যবহার করে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে উন্নয়নের পথে প্রধান বাধা হিসেবে শাসনের দুর্বলতা চিহ্নিত করার প্রেক্ষাপটে এই ধারণাটির উদ্ভব হয়।

ক. সামাজিক দিক
খ. অর্থনৈতিক দিক
গ. মূল্যবোধের দিক
ঘ. গণতান্ত্রিক দিক
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর: ঘঃ গণতান্ত্রিক দিক

সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যের (Millennium Development Goals - MDGs) সফল বাস্তবায়নে গণতান্ত্রিক সুশাসন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রসার, আইনের শাসন, মানবাধিকার সংরক্ষণ, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাই এর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ছিল।

ক. থেলিস
খ. সক্রেটিস
গ. এ্যারিস্টটল
ঘ. প্লেটো
ব্যাখ্যাঃ

‘জ্ঞান হয় পুণ্য’—এই বিখ্যাত উক্তিটি প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিসের

সক্রেটিস বিশ্বাস করতেন যে মানুষ ভুল করে অজ্ঞতার কারণে। যদি কেউ সত্য ও জ্ঞানের অধিকারী হয়, তবে সে কখনোই অন্যায় কাজ করতে পারে না। তার মতে, জ্ঞানই নৈতিক আচরণের ভিত্তি।

ক. শুদ্ধাচার
খ. মূল্যবোধ
গ. মানবিকতা
ঘ. সফলতা
ব্যাখ্যাঃ

নৈতিকতা ও সততা দ্বারা প্রভাবিত আচরণগত উৎকর্ষকে কঃ শুদ্ধাচার বলে।

শুদ্ধাচার একটি ব্যাপক ধারণা যা নীতি, নৈতিকতা ও সততার সমন্বয়ে গঠিত এবং এর মাধ্যমে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের আচরণে উন্নত নৈতিক মান প্রতিফলিত হয়।

ক. ধর্ম
খ. সমাজ
গ. নৈতিক চেতনা
ঘ. রাষ্ট্র
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর: গঃ নৈতিক চেতনা

মূল্যবোধের উৎস মূলত নৈতিক চেতনার ভিত থেকে সৃষ্টি হয়। নৈতিক চেতনা মানুষের চিন্তা, আদর্শ ও জীবনধারার ভিত্তি গড়ে তোলে, যা সমাজ, ধর্ম, রাষ্ট্র এবং অন্যান্য বাহ্যিক উপাদানের ওপর প্রভাব ফেলে।

তবে সমাজ, ধর্ম ও রাষ্ট্র মূল্যবোধ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, কারণ এগুলোর মাধ্যমে নৈতিক চেতনার বিকাশ ঘটে ও সামাজিক জীবনব্যবস্থার সঙ্গে একীভূত হয়।

ক. অ্যারিস্টটল
খ. বার্ট্রান্ড রাসেল
গ. হার্বার্ট স্পেন্সার
ঘ. ইমানূয়েল কান্ট
ব্যাখ্যাঃ

‘শর্তহীন আদেশ’ (Categorical Imperative) ধারণাটির প্রবর্তক জার্মান দার্শনিক ইমানুয়েল কান্ট

তিনি তার বিখ্যাত গ্রন্থ 'গ্রাউন্ডওয়ার্ক অফ দ্য মেটাফিজিক্স অফ মর‍্যালস' (Groundwork of the Metaphysics of Morals) এবং 'ক্রিটিক অফ প্র্যাকটিক্যাল রিজন' (Critique of Practical Reason)-এ এই ধারণাটি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেন। কান্টের মতে, শর্তহীন আদেশ হলো এমন নৈতিক নিয়ম যা কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য বা ফলাফলের উপর নির্ভরশীল নয়, বরং তা অবশ্যই পালনীয়।

ক. গণতন্ত্র
খ. আমলাতন্ত্র
গ. আইনের শাসন
ঘ. মূল্যবোধ
ব্যাখ্যাঃ

সুশাসনের মূলভিত্তি হলো গঃ আইনের শাসন

যদিও গণতন্ত্র, আমলাতন্ত্র এবং মূল্যবোধও সুশাসনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, তবে আইনের শাসন হলো এর ভিত্তি স্বরূপ। আইনের শাসন বলতে বোঝায় দেশের সকল নাগরিক আইনের চোখে সমান এবং কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। একটি দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আইনের নিরপেক্ষ প্রয়োগ, আইনি সুরক্ষা এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা অপরিহার্য।