আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
16

বিসিএস ৪২তম

পরীক্ষারঃ বিসিএস প্রিলিমিনারি টেস্ট

মোট বহুনির্বাচনি প্রশ্নঃ 100

মোট মার্কঃ 100

পরীক্ষার সময়ঃ 02:00:00

প্রকাশের তারিখঃ 18.01.2021

ক. বাসভুমি থেকে বিতাড়িত হওয়া
খ. বাসভুমির সম্মুখস্ত ভূমি
গ. অজ্ঞাত বিষয় প্রকাশ করা
ঘ. বিকাশ
ব্যাখ্যাঃ

শব্দটির অর্থ বাস্তুচ্যুত বা বাসভূমি থেকে বিতাড়িত হওয়া। শব্দটি বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যায় (তৎসম বা সংস্কৃত)উৎ+√বস্+ণিচ্+অন(ল্যুট্)

ক. ২০১০ সালে
খ. ২০১১ সালে
গ. ২০১২ সালে
ঘ. ২০১৫ সালে
ব্যাখ্যাঃ

"অসমাপ্ত আত্মজীবনী" বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা আত্মজীবনী। এটি ২০১২ সালের জুন মাসে প্রথম প্রকাশিত হয়।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

  • লেখক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
  • প্রকাশকাল: জুন ২০১২
  • প্রকাশক: দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড (ইউপিএল)
  • ভাষা: বাংলা
  • বঙ্গবন্ধু ১৯৬৬-৬৯ সালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি থাকাকালীন এই আত্মজীবনী লেখা শুরু করেন।
  • বইটিতে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত তার জীবনের ঘটনাবলী স্থান পেয়েছে।
  • বইটির প্রথম বাক্য হলো "বন্ধু-বান্ধবরা বলে তোমার জীবনী লেখো।"
  • "অসমাপ্ত আত্মজীবনী" পরবর্তীতে বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে।
ক. যন্ত্রণাদগ্ধ জীবন
খ. স্নিগ্ধ শ্যামল প্রকৃতির রূপ
গ. লোকায়ত জীবন-সংস্কৃতি
ঘ. দেশ বিভাগজনিত জীবন যন্ত্রণা
ব্যাখ্যাঃ

কিত্তনখেলা নাটকটির বিষয়বস্তুর হলো লোকায়ত জীবন-সংস্কৃতি

যদিও কিত্তনখেলার মূল আখ্যান রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলা ও বৈষ্ণব ভাবাদর্শ, এই নাটকের পরিবেশ, চরিত্রায়ণ এবং ব্যবহৃত লোকজ উপাদান (যেমন কীর্তন গান) লোকায়ত জীবন ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরে। নাটকের ভাষা, আচার-আচরণ এবং সঙ্গীতের মাধ্যমে গ্রামীণ বাংলার একটি চিত্র ফুটে ওঠে।

ক. সিংহ চিহ্নিত আসন=সিংহাসন
খ. মহান যে পুরুষ=মহাপুরুষ
গ. কুসুমের মতো কোমল=কুসুমকোমল
ঘ. জায়া ও পতি=দম্পতি
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো কঃ সিংহ চিহ্নিত আসন=সিংহাসন

মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাসে ব্যাসবাক্যের মধ্যের পদ লোপ পায় এবং বিশেষণ ও বিশেষ্য পদের মধ্যে অভেদ বা অভিন্নতা বোঝানো হয়।

এখানে:

  • সিংহ চিহ্নিত আসন - এই ব্যাসবাক্যের মাঝের পদ "চিহ্নিত" লোপ পেয়ে "সিংহাসন" হয়েছে। "সিংহ" (বিশেষণ স্থানীয়) এবং "আসন" (বিশেষ্য) এর মধ্যে একটি বিশেষ সম্পর্ক বোঝানো হচ্ছে - সিংহের মতো আসন।

অন্যান্য উদাহরণগুলো:

  • খঃ মহান যে পুরুষ=মহাপুরুষ: এটি সাধারণ কর্মধারয় সমাস, যেখানে বিশেষণ ও বিশেষ্যের অভেদ বোঝানো হচ্ছে। এখানে মধ্যপদ লোপ পায়নি।
  • গঃ কুসুমের মতো কোমল=কুসুমকোমল: এটি উপমান কর্মধারয় সমাস, যেখানে দুটি ভিন্ন বস্তুর মধ্যে গুণগত সাদৃশ্য বোঝানো হচ্ছে। এখানে মধ্যপদ "মতো" লোপ পেয়েছে।
  • ঘঃ জায়া ও পতি=দম্পতি: এটি দ্বন্দ্ব সমাস, যেখানে উভয় পদই প্রধান এবং "ও" সংযোজক অব্যয় লোপ পেয়েছে।
ক. প্রসাদগুণ, মাধুর্যগুণ
খ. উপমা, অলংকার
গ. উদ্দেশ্য, বিধেয়
ঘ. সাধু, চলিত
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো গঃ উদ্দেশ্য, বিধেয়

একটি সার্থক বাক্যের প্রধান দুটি অংশ হলো উদ্দেশ্য (Subject) এবং বিধেয় (Predicate)

  • উদ্দেশ্য: বাক্যের যে অংশে কারো বা কোনো কিছুর সম্পর্কে কিছু বলা হয়, তাকে উদ্দেশ্য বলে। সাধারণত বাক্যের কর্তা বা কর্তার স্থানীয় পদই উদ্দেশ্য হিসেবে কাজ করে।
  • বিধেয়: বাক্যের যে অংশে উদ্দেশ্যের সম্পর্কে কিছু বলা হয়, তাকে বিধেয় বলে। বিধেয়ের মধ্যে ক্রিয়া এবং ক্রিয়ার সম্প্রসারণ (কর্ম, করণ, অধিকরণ ইত্যাদি) অন্তর্ভুক্ত থাকে।

অন্যান্য বিকল্পগুলো ব্যাকরণের ভিন্ন ভিন্ন বিষয় সম্পর্কিত:

  • কঃ প্রসাদগুণ, মাধুর্যগুণ: এগুলো সাহিত্যিক গুণ, যা বাক্য বা রচনার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
  • খঃ উপমা, অলংকার: এগুলোও সাহিত্যিক উপাদান, যা ভাষার সৌন্দর্য ও ভাব প্রকাশে সাহায্য করে।
  • ঘঃ সাধু, চলিত: এগুলো বাংলা ভাষার দুটি রূপ বা রীতি।
ক. ন্যায়বাগীশ
খ. নৈয়ায়িক
গ. ন্যায়পাল
ঘ. ন্যায়ঋগ্ধ
ব্যাখ্যাঃ

যিনি ন্যায় শাস্ত্র জানেন তাঁকে খঃ নৈয়ায়িক বলা হয়।

  • ন্যায়বাগীশ: যিনি বাগ্মী এবং যুক্তিনিষ্ঠ, ভালোভাবে কথা বলতে পারেন।
  • ন্যায়পাল: জনগণের অভিযোগ তদন্তকারী সরকারি কর্মকর্তা (Ombudsman)।
  • ন্যায়ঋগ্ধ: এমন কোনো শব্দ বাংলা ভাষায় প্রচলিত আছে বলে আমার জানা নেই। সম্ভবত এটি একটি ভুল শব্দ।

সুতরাং, ন্যায় শাস্ত্রের পণ্ডিতকে নৈয়ায়িক বলা হয়।

ক. চন্দ্রাবতী
খ. পদ্মাবতী
গ. মধুমালতী
ঘ. লাইলী মজনু
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো খঃ পদ্মাবতী

মহাকবি আলাওল রচিত বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ হলো পদ্মাবতী। এটি মালিক মুহম্মদ জায়সীর "পদুমাবৎ" কাব্যের অনুবাদ।

অন্যান্য বিকল্পগুলো:

  • চন্দ্রাবতী: এটি মধ্যযুগের মহিলা কবি চন্দ্রাবতীর রচনা।
  • মধুমালতী: এটি মধ্যযুগের কবি মুহম্মদ কবীরের রচনা।
  • লাইলী মজনু: এটি মূলত ফার্সি ভাষার একটি বিখ্যাত প্রণয়োপাখ্যান, যা বিভিন্ন কবি বাংলায় অনুবাদ করেছেন, তবে আলাওলের একক রচনা নয়।
ক. বাংলা
খ. সংস্কৃত
গ. হিন্দি
ঘ. অস্ট্রিক
ব্যাখ্যাঃ

বাংলা আদি অধিবাসীগণ মূলত অস্ট্রিক ভাষাভাষী ছিলেন।

প্রাচীন বাংলায় বসবাসকারী বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর মধ্যে অস্ট্রিক ভাষাগোষ্ঠীর লোকেরাই প্রথম বসতি স্থাপনকারী বলে মনে করা হয়। এই ভাষাগোষ্ঠীর লোকেরা মূলত অস্ট্রো-এশিয়াটিক ভাষাপরিবারের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন ভাষায় কথা বলত। সাঁওতাল, মুন্ডা, কোল, ভীল প্রভৃতি জনগোষ্ঠীর মধ্যে এখনও এই ভাষার কিছু প্রভাব দেখা যায়।

পরবর্তীতে দ্রাবিড় এবং তিব্বত-বর্মী ভাষাগোষ্ঠীর লোকেরাও বাংলায় আগমন করে এবং তাদের ভাষার প্রভাবও বাংলা ভাষায় মিশে যায়। তবে, ভাষাতাত্ত্বিকদের মতে, বাংলা ভাষার গঠনে অস্ট্রিক ভাষার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি রয়েছে।

৯. সঠিক বানান নয় কোনটি?

[ বিসিএস ৪২তম ]

ক. ধরণি
খ. মূর্ছা
গ. গুণ
ঘ. প্রানী
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক বানান নয় ঘঃ প্রানী

এর সঠিক বানান হলো প্রাণী

অন্যান্য বানানগুলো সঠিক:

  • ধরণি
  • মূর্ছা
  • গুণ

১০. কোনটি শুদ্ধ নয়?

[ বিসিএস ৪২তম ]

ক. যন্ত্রনা
খ. শূভ্র
গ. সহযোগিতা
ঘ. স্বতঃ স্ফূর্ত
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো কঃ যন্ত্রনা

"যন্ত্রনা" শব্দটি অশুদ্ধ। এর শুদ্ধ বানান হলো যন্ত্রণা

অন্যান্য বানানগুলো শুদ্ধ:

  • শূভ্র
  • সহযোগিতা
  • স্বতঃস্ফূর্ত
ক. পদাবলী
খ. গীতগোবিন্দ
গ. চর্যাপদ
ঘ. চৈতন্যজীবনী
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো গঃ চর্যাপদ

চর্যাপদে সান্ধ্য ভাষার প্রয়োগ দেখা যায়। সান্ধ্য ভাষা হলো এক ধরনের রহস্যময় ভাষাশৈলী, যেখানে বাহ্যিক অর্থে এক রকম এবং গভীর অর্থে অন্য রকম ভাব প্রকাশিত হয়। চর্যাপদের বৌদ্ধ সহজিয়া সাধকদের তত্ত্ব ও দর্শন এই সান্ধ্য ভাষার মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে বলে মনে করা হয়।

অন্যান্য বিকল্পগুলো:

  • পদাবলী: বৈষ্ণব পদাবলীতে রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলা ও ভক্তিবাদ সরল ও স্বাভাবিক ভাষায় প্রকাশ পেয়েছে।
  • গীতগোবিন্দ: জয়দেবের এই সংস্কৃত কাব্যেও সরাসরি ও স্পষ্ট ভাষায় রাধাকৃষ্ণের প্রেম বর্ণিত হয়েছে।
  • চৈতন্যজীবনী: চৈতন্যদেবের জীবন ও দর্শন নিয়ে রচিত এই গ্রন্থগুলোতে তৎকালীন লোকভাষা ও সাহিত্যিক ভাষার মিশ্রণ দেখা যায়, তবে সান্ধ্য ভাষার বৈশিষ্ট্য সেখানে অনুপস্থিত।
ক. ঈদৃশ
খ. পারত্রিক
গ. মাঙ্গলিক
ঘ. আকস্মিক
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো খঃ পারত্রিক

ঐহিক শব্দের অর্থ হলো ইহলোক সম্পর্কিত, এই জীবন সংক্রান্ত বা জাগতিক।

অন্যদিকে, পারত্রিক শব্দের অর্থ হলো পরলোক সম্পর্কিত, মৃত্যুর পরের জীবন সংক্রান্ত বা আধ্যাত্মিক।

সুতরাং, ঐহিক এর বিপরীত শব্দ হলো পারত্রিক।

অন্যান্য বিকল্পগুলো:

  • ঈদৃশ: এইরকম, সদৃশ।
  • মাঙ্গলিক: মঙ্গলজনক, শুভ।
  • আকস্মিক: হঠাৎ ঘটা, অপ্রত্যাশিত।
ক. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
খ. শূেখ ফজলুল করিম
গ. প্রমথ চৌধুরী
ঘ. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো গঃ প্রমথ চৌধুরী

'সবুজপত্র' পত্রিকাটির সম্পাদক ছিলেন প্রমথ চৌধুরী। এটি বাংলা সাহিত্যের একটি প্রভাবশালী পত্রিকা হিসেবে পরিচিত, যা ১৯১৪ সালে প্রকাশিত হয় এবং বাংলা সাহিত্যে নতুন গদ্যশৈলী ও চিন্তাভাবনার জন্ম দিয়েছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই পত্রিকার একজন নিয়মিত লেখক ছিলেন, তবে এর সম্পাদক ছিলেন প্রমথ চৌধুরী।

ক. ক্রীতদাসের হাসি
খ. জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা
গ. কান্নাপর্ব
ঘ. প্রাদোষে প্রাকৃতজন
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো খঃ জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা

লেখক জহির রায়হান রচিত "জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা" একটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস। এটি মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে গ্রামীণ জীবনের চিত্র এবং মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও সংগ্রামের বাস্তবতাকে তুলে ধরে।

অন্যান্য উপন্যাসগুলোর বিষয়বস্তু ভিন্ন:

  • কঃ ক্রীতদাসের হাসি: শওকত ওসমান রচিত এই উপন্যাসটি মূলত পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসনের প্রেক্ষাপটে লেখা, যেখানে ক্ষমতা ও শোষণের চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
  • গঃ কান্নাপর্ব: শওকত আলী রচিত এই উপন্যাসটিতে দেশভাগের পরবর্তী সময়ে মানুষের দুঃখ ও বেদনার চিত্র অঙ্কিত হয়েছে।
  • ঘঃ প্রদোষে প্রাকৃতজন: শওকত আলী রচিত এই উপন্যাসটি প্রাচীন বাংলার পটভূমিতে লেখা।
ক. দিরুক্ত শব্দ
খ. সমার্থক শব্দ
গ. যুগ্ম শব্দ
ঘ. শব্দদিত্ব
ব্যাখ্যাঃ

এখানে "জ্বর জ্বর" কঃ দ্বিরুক্ত শব্দ

ব্যাকরণে, একই শব্দ বা ধ্বনি দুইবার ব্যবহৃত হয়ে বিশেষ অর্থ প্রকাশ করলে তাকে দ্বিরুক্ত শব্দ বলে। "জ্বর জ্বর" বলার মাধ্যমে সামান্য বা অল্প জ্বরের ভাব প্রকাশ পাচ্ছে, যা দ্বিরুক্ত শব্দের একটি উদাহরণ।

যদিও "শব্দদিত্ব" (ঘ) অপশনটিও কাছাকাছি অর্থ বহন করে, ব্যাকরণগতভাবে "দ্বিরুক্ত শব্দ" হলো এই ধরনের পুনরাবৃত্তির সাধারণ ও বহুল ব্যবহৃত পারিভাষিক শব্দ। "শব্দদিত্ব" দ্বিরুক্ত শব্দের একটি প্রকারভেদ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে, যেখানে একই শব্দের সরাসরি পুনরাবৃত্তি ঘটে। তবে, মূল শ্রেণীবিভাগ হলো "দ্বিরুক্ত শব্দ"।

ক. বিদ্বান হলেও তার কোনো অহংকার নেই
খ. ইশ! যদি পাখির মত পাখা পেতাম।
গ. অঅকারণে ঋণ করিও না
ঘ. হয়তো সোহমা আসতে পারে
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো গঃ অঅকারণে ঋণ করিও না

এই বাক্যটি ব্যাকরণগতভাবে শুদ্ধ নয়। সঠিক বাক্যটি হবে:

অকারণে ঋণ করিও না

এখানে "অ" এবং "আ" একসাথে ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। "অকারণে" শব্দটি নিজেই "কারণ ছাড়া" অর্থ প্রকাশ করে।

অন্যান্য বাক্যগুলো শুদ্ধ:

  • কঃ বিদ্বান হলেও তার কোনো অহংকার নেই: এটি একটি যৌগিক বাক্য এবং ব্যাকরণসম্মত।
  • খঃ ইশ! যদি পাখির মত পাখা পেতাম।: এটি একটি আকাঙ্ক্ষাবাচক বাক্য এবং ব্যাকরণসম্মত।
  • ঘঃ হয়তো সোহমা আসতে পারে: এটি একটি সন্দেহবাচক বাক্য এবং ব্যাকরণসম্মত।
ক. কৃষ্+তি
খ. কৃষ্+টি
গ. কৃ+ইষ্টি
ঘ. কৃষ্+ইষ্টি
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর: কঃ কৃষ্ + তি

ব্যাখ্যা:

  • মূল ধাতু: কৃষ্ (মানে: চাষ করা / উৎপাদন করা)
  • প্রত্যয়: তি (এই প্রত্যয় যোগে ক্রিয়াধাতু থেকে বিমূর্ত বোধক সংজ্ঞাবাচক শব্দ গঠিত হয়)

যেমন:

  • কৃষ্ + তি = কৃষ্টি → অর্থ: চাষাবাদ, সংস্কৃতি বা উন্নত জীবনের চর্চা
ক. প্রবাদ প্রবচন
খ. এককথায় প্রকাশ
গ. ভাবসম্প্রসারণ
ঘ. বাক্য সংকোচন
ব্যাখ্যাঃ

“উলুবনে মুক্তা ছড়ানো” - এই ধরনের প্রচলিত শব্দগুলোকে প্রবাদ বা প্রবাদ বাক্য বলা হয়।

প্রবাদ বাক্যগুলো সমাজের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান থেকে তৈরি হয় এবং সংক্ষিপ্ত আকারে গভীর অর্থ প্রকাশ করে। "উলুবনে মুক্তা ছড়ানো" প্রবাদটি এমন স্থানে মূল্যবান জিনিস দেওয়া বা এমন ব্যক্তির কাছে মূল্যবান কথা বলা বোঝায় যেখানে তার কোনো কদর বা গুরুত্ব নেই।

অন্যান্য কাছাকাছি শব্দ:

  • বাগধারা: কতগুলো শব্দ একত্রিত হয়ে যখন কোনো বিশেষ অর্থ প্রকাশ করে, তখন তাকে বাগধারা বলে (যেমন: কান খাড়া করা)।
  • বচন: বিখ্যাত ব্যক্তি বা মনীষীদের জ্ঞানগর্ভ উক্তিকে বচন বলা হয়।
  • শব্দবন্ধ: দুই বা ততোধিক শব্দ একত্রিত হয়ে একটি অখণ্ড ভাব প্রকাশ করলে তাকে শব্দবন্ধ বলে (যেমন: নীল আকাশ)।

সুতরাং, "উলুবনে মুক্তা ছড়ানো" একটি প্রবাদ বাক্য

ক. বাক প্রত্যঙ্গ
খ. অঙ্গধ্বনি
গ. স্বরতন্ত্রী
ঘ. ন্যাাসিকাতন্ত্র
ব্যাখ্যাঃ

মানুষের দেহের যেসব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ধ্বনি তৈরিতে সাহায্য করে, তাদের একত্রে কঃ বাক প্রত্যঙ্গ বলা হয়।

বাক প্রত্যঙ্গের মধ্যে রয়েছে ফুসফুস, শ্বাসনালী, স্বরতন্ত্রী (স্বরনালী), জিহ্বা, তালু (নরম তালু ও শক্ত তালু), দাঁত, ঠোঁট, নাক এবং মুখবিবর। এই অঙ্গগুলোর সম্মিলিত কার্যক্রমের মাধ্যমেই মানুষ বিভিন্ন ধরনের ধ্বনি তৈরি করতে পারে এবং ভাষার মাধ্যমে ভাব প্রকাশ করে।

অন্যান্য বিকল্পগুলো:

  • খঃ অঙ্গধ্বনি: এটি সাধারণভাবে অঙ্গ থেকে উৎপন্ন যেকোনো ধ্বনিকে বোঝাতে পারে, যা ভাষার ধ্বনি তৈরির সাথে সরাসরি সম্পর্কিত নাও হতে পারে।
  • গঃ স্বরতন্ত্রী: স্বরতন্ত্রী বাক প্রত্যঙ্গের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা শ্বাসনালীর উপরে অবস্থিত এবং বাতাস প্রবাহের মাধ্যমে কম্পিত হয়ে স্বর তৈরি করে। তবে এটি সম্পূর্ণ ধ্বনি উৎপাদনকারী অঙ্গ নয়।
  • ঘঃ নাসিকাতন্ত্র: এটি নাকের ভেতরের অংশ এবং কিছু বিশেষ ধ্বনি (নাসিক্য ধ্বনি) তৈরিতে সাহায্য করে, তবে এটি সামগ্রিক ধ্বনি উৎপাদনকারী অঙ্গ নয়।

সুতরাং, সবচেয়ে ব্যাপক ও সঠিক উত্তর হলো বাক প্রত্যঙ্গ

ক. তৎসম
খ. তদ্ভব
গ. ফারসি
ঘ. তুর্কি
ব্যাখ্যাঃ

"বাবা" শব্দটি ঘঃ তুর্কি ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় এসেছে।

বাংলায় ব্যবহৃত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তুর্কি শব্দ হলো: বাবা, দারোগা, তোপ, বন্দুক, চাকু, বেগম, খান, বাহাদুর ইত্যাদি।

ক. উপত্যকা
খ. ধিত্যকা
গ. পার্বত্য
ঘ. সমতল
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো কঃ উপত্যকা

অধিত্যকা শব্দের অর্থ হলো পাহাড় বা পর্বতের উপরিভাগের সমতল ভূমি অথবা উচ্চভূমির বিস্তৃত সমতল ভাগ।

অন্যদিকে, উপত্যকা শব্দের অর্থ হলো দুটি পাহাড় বা পর্বতের মধ্যবর্তী নিচু ভূমি।

সুতরাং, অধিত্যকার বিপরীত শব্দ হলো উপত্যকা।

অন্যান্য বিকল্পগুলো:

  • ধিত্যকা: এটি কোনো পরিচিত শব্দ নয়।
  • পার্বত্য: পর্বত সংক্রান্ত বা পাহাড়ময়।
  • সমতল: সমান ভূমি, উঁচু-নিচু নয় এমন ভূমি।
ক. বিজ্ঞাপন
খ. বিজ্ঞপ্তি
গ. বিজ্ঞপ্তি ফলক
ঘ. প্রজ্ঞাপন
ব্যাখ্যাঃ

✅ সঠিক উত্তর: ঘঃ প্রজ্ঞাপন

ব্যাখ্যা:

  • Notification এর বাংলা প্রাতিষ্ঠানিক পরিভাষা হলো প্রজ্ঞাপন, বিশেষত সরকারি ও দপ্তর নির্দেশনার ক্ষেত্রে।
  • এটি মূলত সরকারি সিদ্ধান্ত বা আইনগত ঘোষণার লিখিত রূপ, যা সরকারি গেজেট বা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

অন্যান্য বিকল্প বিশ্লেষণ:

  • বিজ্ঞাপন – এটি পণ্য, সেবা বা প্রচারের জন্য ব্যবহৃত শব্দ (মূল ইংরেজি: Advertisement)। Notification নয়।
  • বিজ্ঞপ্তি – সাধারণ ঘোষণার জন্য ব্যবহৃত শব্দ, যেমন অফিসিয়াল Notice; তবে এটি Notification-এর অংশমাত্র, সব ক্ষেত্রে সমান নয়।
  • বিজ্ঞপ্তি ফলক – এটি হলো Notice Board বা ঘোষণা টানানোর জায়গা; Notification নয়।
  • প্রজ্ঞাপন – সরকার বা প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রকাশিত অফিসিয়াল ঘোষণা বা Notification-এর সঠিক বাংলা পরিভাষা।
ক. ২০ আগস্ট, ২০২০
খ. ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০
গ. ১৮ অক্টোবর, ২০২০
ঘ. ১৫ জুলাই, ২০২০
ব্যাখ্যাঃ

আগস্ট ২০২০ ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের উপরে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা বাড়ানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। ২৫ আগস্ট, ২০২০ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের চেষ্টা আটকে দেয়। ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০ আমেরিকা বলে যে জাতিসংঘের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল হয়েছে কিন্তু তা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং ইরান প্রত্যাখ্যান করে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি, মিসাইল এবং অস্ত্রের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ৮ অক্টোবর ২০২০ আমেরিকা পুনরায় ইরানের ১৮টি ব্যাংকের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়।

২৪. IUCN এর কাজ হলো-

[ বিসিএস ৪২তম ]

ক. পানি সম্পদ রক্ষা করা
খ. সন্ত্রাস দমন করা
গ. প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা করা
ঘ. পরিবেশ দূষণ রোধ
ব্যাখ্যাঃ

The International Union for Conservation of Nature (IUCN)-এর প্রধান কাজগুলো হলো:

  • বিশ্বব্যাপী প্রাকৃতিক সম্পদের সংরক্ষণ: IUCN বিশ্বজুড়ে জীববৈচিত্র্য এবং প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষার জন্য কাজ করে।
  • বিপন্ন প্রজাতির তালিকা তৈরি ও প্রকাশ: সংস্থাটি "IUCN Red List of Threatened Species" তৈরি করে, যা বিশ্বের বিভিন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতির বিলুপ্তির ঝুঁকি মূল্যায়ন করে এবং তাদের সংরক্ষণের অবস্থা সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে।
  • টেকসই উন্নয়নের নীতি প্রণয়নে সহায়তা: IUCN পরিবেশগতভাবে টেকসই অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের নীতি প্রণয়নে বিভিন্ন সরকার, বেসরকারি সংস্থা ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা করে।
  • সংরক্ষিত এলাকা নির্ধারণ ও ব্যবস্থাপনায় সহায়তা: জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করে সেগুলোকে "সংরক্ষিত এলাকা" হিসেবে ঘোষণা এবং কার্যকর ব্যবস্থাপনার জন্য পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করে।
  • নীতি নির্ধারণ ও বাস্তবায়নে সহায়তা: টেকসই ব্যবহারের নীতি তৈরি, পরিবেশ আইন প্রয়োগ এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সরকারগুলোকে সহায়তা করে।
  • গবেষণা ও জ্ঞান তৈরি: প্রকৃতি সংরক্ষণ এবং টেকসই ব্যবহার সম্পর্কিত वैज्ञानिक গবেষণা পরিচালনা ও জ্ঞান তৈরি করে এবং তা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়।
  • সচেতনতা বৃদ্ধি ও শিক্ষা: প্রকৃতি সংরক্ষণ এবং জীববৈচিত্র্যের গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও শিক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে।
  • আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি: জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং পরিবেশগত সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে কাজ করে।
  • প্রশিক্ষণ প্রদান: স্থানীয় সম্প্রদায়, সরকারি কর্মকর্তা এবং নীতি নির্ধারকদের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও টেকসই সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করে।

সংক্ষেপে, IUCN বিশ্বের প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সংস্থা হিসেবে কাজ করে।

ক. ২০০০
খ. ২০০১
গ. ২০০৩
ঘ. ২০০৫
ব্যাখ্যাঃ

কার্টাগেনা প্রটোকল (Cartagena Protocol on Biosafety) একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি যা জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং জেনেটিকালি পরিবর্তিত জীবের (LMOs: Living Modified Organisms) নিরাপদ ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এটি জীববৈচিত্র্য বিষয়ক কনভেনশন (CBD) এর একটি সম্পূরক প্রটোকল।

মূল তথ্যসমূহ:

  • পুরো নাম: Cartagena Protocol on Biosafety to the Convention on Biological Diversity

  • গৃহীত হয়: ২৯ জানুয়ারি ২০০০, কার্টাগেনা, কলম্বিয়ায়

  • কার্যকর হয়: ১১ সেপ্টেম্বর ২০০৩

  • বাংলাদেশ সদস্যপদ লাভ করে: ২০০৪ সালে

  • উদ্দেশ্য:

    জীববৈচিত্র্য রক্ষায় LMOs-এর নিরাপদ স্থানান্তর, পরিচালনা ও ব্যবহার নিশ্চিত করা, বিশেষ করে তা এক দেশ থেকে অন্য দেশে রপ্তানির সময়।

প্রোটোকলের মূল লক্ষ্য:

  1. পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের উপর LMO-র সম্ভাব্য ক্ষতিকর প্রভাব প্রতিরোধ।
  2. খাদ্য, কৃষি ও জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
  3. দেশগুলোকে "অগ্রিম অবহিত সম্মতির (AIA) পদ্ধতি" ব্যবহার করে LMO গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যানের অধিকার দেওয়া।
ক. ২১ এপ্রিল
খ. ২ অক্টোবর
গ. ২৬ জানুয়ারি
ঘ. ১০ মে
ব্যাখ্যাঃ

ভারতে ২১শে এপ্রিল সিভিল সার্ভিস দিবস হিসেবে পালিত হয়।

এই দিনটিতে ভারতের প্রশাসনিক কাঠামোয় কর্মরত সরকারি কর্মচারীদের তাদের জনসেবা ও কর্মদক্ষতার প্রতি অঙ্গীকার পূনর্ব্যক্ত করার এবং জনগণের কল্যাণে নিজেদের উৎসর্গ করার জন্য স্মরণ করা হয়। ১৯৪৭ সালের এই দিনে স্বাধীন ভারতের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল নবনিযুক্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছিলেন এবং তাঁদেরকে "ভারতের ইস্পাত কাঠামো" হিসেবে অভিহিত করেছিলেন।

প্রথম জাতীয় সিভিল সার্ভিস দিবস পালিত হয়েছিল ২০০৬ সালে। এই দিনে, প্রধানমন্ত্রী জনসেবায় অসামান্য অবদানের জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত করেন।

ক. ১৯৯৭ সালে
খ. ১৯৯৯ সালে
গ. ২০০৩ সালে
ঘ. ২০০৪ সালে
ব্যাখ্যাঃ

“The Kyoto Protocol” হলো একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি যা গ্রীন হাউস গ্যাস (GHG) নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়েছিল। এটি ১৯৯৭ সালের ডিসেম্বরে জাপানের কিয়োটো শহরে গৃহীত হয় এবং ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে কার্যকর হয়। এই চুক্তিটি জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (UNFCCC)-এর একটি অংশ।

কিয়োটো প্রোটোকলের মূল উদ্দেশ্য ও বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:

  • বাধ্যতামূলক নিঃসরণ লক্ষ্যমাত্রা: এই প্রোটোকল উন্নত দেশগুলোকে (অ্যানেক্স-১ ভুক্ত দেশ) একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে (প্রথম কমিটমেন্ট পিরিয়ড: ২০০৮-২০১২) তাদের গ্রীন হাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানোর জন্য আইনিভাবে বাধ্যবাধকতা আরোপ করে। লক্ষ্যমাত্রা সাধারণত ১৯৯০ সালের নিঃসরণের মাত্রার তুলনায় একটি নির্দিষ্ট শতাংশ কমানো।
  • ছয়টি প্রধান গ্রীন হাউস গ্যাস: এই প্রোটোকল কার্বন ডাই অক্সাইড (CO₂), মিথেন (CH₄), নাইট্রাস অক্সাইড (N₂O), হাইড্রোফ্লুরোকার্বন (HFCs), পারফ্লুরোকার্বন (PFCs) এবং সালফার হেক্সাফ্লুরাইড (SF₆) - এই ছয়টি প্রধান গ্রীন হাউস গ্যাসের নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণের উপর জোর দেয়।
  • "কমন বাট ডিফারেনশিয়েটেড রেসপন্সিবিলিটিস" (Common but Differentiated Responsibilities): এই নীতির উপর ভিত্তি করে উন্নত দেশগুলোর উপর নিঃসরণ কমানোর ক্ষেত্রে বৃহত্তর দায়িত্ব অর্পণ করা হয়, কারণ ঐতিহাসিকভাবে তারাই বেশি নিঃসরণের জন্য দায়ী। উন্নয়নশীল দেশগুলোর ক্ষেত্রে স্বেচ্ছামূলক পদক্ষেপের কথা বলা হয়।
  • নমনীয় বাজার ব্যবস্থা: প্রোটোকল তিনটি বাজারভিত্তিক প্রক্রিয়া চালু করে যা দেশগুলোকে তাদের নিঃসরণ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়তা করে:
    • এমিশন ট্রেডিং (কার্বন মার্কেট): যে দেশ তাদের নির্ধারিত নিঃসরণের চেয়ে কম নিঃসরণ করে, তারা তাদের অব্যবহৃত নিঃসরণের অধিকার অন্য দেশকে বিক্রি করতে পারে।
    • ক্লিন ডেভেলপমেন্ট মেকানিজম (CDM): উন্নত দেশগুলো উন্নয়নশীল দেশে নিঃসরণ হ্রাসকারী প্রকল্পে বিনিয়োগ করে কার্বন ক্রেডিট অর্জন করতে পারে এবং তাদের নিঃসরণ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে এটি ব্যবহার করতে পারে।
    • জয়েন্ট ইমপ্লিমেন্টেশন (JI): উন্নত দেশগুলো অন্য উন্নত দেশে নিঃসরণ হ্রাসকারী প্রকল্পে বিনিয়োগ করে কার্বন ক্রেডিট অর্জন করতে পারে।
  • মনিটরিং, রিপোর্টিং ও ভেরিফিকেশন: প্রোটোকলে একটি কঠোর পর্যবেক্ষণ, প্রতিবেদন এবং যাচাইকরণ ব্যবস্থা রয়েছে যাতে দেশগুলো তাদের প্রতিশ্রুতি কতটা পূরণ করছে তা নিশ্চিত করা যায়।
  • পরবর্তী পর্যায় (Doha Amendment): কিয়োটো প্রোটোকলের প্রথম কমিটমেন্ট পিরিয়ড ২০১২ সালে শেষ হয়। এরপর ২০১২ সালে দোহা সম্মেলনে এর মেয়াদ ২০২০ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়, যেখানে কিছু নতুন নিঃসরণ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে, এই সংশোধনী খুব কম দেশ কর্তৃক অনুসমর্থিত হওয়ায় এর প্রভাব সীমিত ছিল।
ক. IDB
খ. IMF
গ. WTO
ঘ. ADB
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো খঃ IMF (International Monetary Fund)।

"Bretton Woods Institutions" বলতে মূলত দুটি সংস্থাকে বোঝানো হয়, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্ব অর্থনীতির স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের জন্য ১৯৪৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ারের ব্রেটন উডস নামক স্থানে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনের মাধ্যমে গঠিত হয়েছিল:

১. International Monetary Fund (IMF): আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল। এর প্রধান কাজ হলো আন্তর্জাতিক মুদ্রা ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং সদস্য দেশগুলোকে ব্যালেন্স অব পেমেন্ট সংক্রান্ত সমস্যায় আর্থিক সহায়তা প্রদান করা।

২. World Bank: বিশ্ব ব্যাংক। এর প্রধান লক্ষ্য হলো উন্নয়নশীল দেশগুলোকে দারিদ্র্য বিমোচন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য ঋণ ও অন্যান্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা।

আপনার দেওয়া অন্যান্য বিকল্পগুলো "Bretton Woods Institutions"-এর অন্তর্ভুক্ত নয়:

  • IDB (Inter-American Development Bank): এটি ল্যাটিন আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের উন্নয়নে কাজ করা একটি আঞ্চলিক উন্নয়ন ব্যাংক।
  • WTO (World Trade Organization): বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের নিয়মকানুন নির্ধারণ এবং তত্ত্বাবধান করে। এটি ১৯৯৫ সালে General Agreement on Tariffs and Trade (GATT)-এর উত্তরসূরি হিসেবে গঠিত হয়।
  • ADB (Asian Development Bank): এটি এশিয়া অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে কাজ করা একটি আঞ্চলিক উন্নয়ন ব্যাংক।
ক. ভার্সাই চুক্তি,১৯১৯
খ. ওয়েস্টফেলিয়া শান্তি চুক্তি, ১৬৪৮
গ. প্রা্যারিস চুক্তি, ১৭৮৩
ঘ. লুজান চুক্তি,১৯২৩
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো খঃ ওয়েস্টফেলিয়া শান্তি চুক্তি, ১৬৪৮

ওয়েস্টফেলিয়া শান্তি চুক্তির মাধ্যমে ১৬৪৮ সালে ইউরোপের "ত্রিশ বছরের যুদ্ধ"-এর সমাপ্তি ঘটে। এই চুক্তিটি দুটি প্রধান শান্তি চুক্তির সমষ্টি:

  • মুনস্টার চুক্তি (Treaty of Münster): এটি ফ্রান্স এবং পবিত্র রোমান সাম্রাজ্য ও তাদের মিত্রদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়।
  • ওসনাব্রুক চুক্তি (Treaty of Osnabrück): এটি সুইডেন এবং পবিত্র রোমান সাম্রাজ্য ও তাদের মিত্রদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়।

এই চুক্তিগুলো ইউরোপের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণ ছিল, যা আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার ভিত্তি স্থাপন করে এবং সার্বভৌমত্বের ধারণাকে স্বীকৃতি দেয়।

ক. ২ মার্চ, ২০২০
খ. ২৫ জানুয়ারি, ২০২০
গ. ৩০ এপ্রিল, ২০২০
ঘ. ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
ব্যাখ্যাঃ

The "মার্কিন তালেবান ঐতিহাসিক চুক্তি" বলতে সাধারণত ২০২০ সালের ২৯শে ফেব্রুয়ারী কাতারের দোহায় স্বাক্ষরিত "আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইসলামিক আমিরাত অফ আফগানিস্তানের মধ্যে চুক্তি" কে বোঝানো হয়। এটিকে সংক্ষেপে দোহা চুক্তি (Doha Agreement)-ও বলা হয়ে থাকে।

এই চুক্তির মূল বিষয়বস্তু ছিল:

  • মার্কিন ও মিত্র বাহিনীর প্রত্যাহার: চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, তালেবান তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করলে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা ১৪ মাসের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে তাদের সকল সৈন্য প্রত্যাহার করতে রাজি হয়।
  • তালেবানের নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি: তালেবান এই মর্মে প্রতিশ্রুতি দেয় যে তারা আফগানিস্তানের মাটি আল-কায়েদা বা অন্য কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে যুক্তরাষ্ট্র বা তার মিত্রদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে দেবে না।
  • আফগানদের মধ্যে আলোচনা: চুক্তিটিতে তালেবান এবং আফগান সরকারের মধ্যে সরাসরি আলোচনার (Intra-Afghan Negotiations) সূচনা করার কথা বলা হয়েছিল, যার মাধ্যমে একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং রাজনৈতিক সমাধানের পথ প্রশস্ত হওয়ার কথা ছিল।
  • বন্দী বিনিময়: চুক্তির অংশ হিসেবে উভয় পক্ষ বন্দীদের মুক্তি দিতে সম্মত হয়।

এই চুক্তিটিকে ঐতিহাসিক বলা হয় কারণ এটি দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে চলা আফগান যুদ্ধের অবসানের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল এবং যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানের মধ্যে সরাসরি আলোচনার একটি ফল ছিল। তবে, পরবর্তীতে এই চুক্তির বাস্তবায়ন এবং এর ফলাফল নিয়ে অনেক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

ক. ৩টি
খ. ৫টি
গ. ৭টি
ঘ. ৯টি
ব্যাখ্যাঃ

ডিসেম্বর ২০২০ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলনে সাতটি (৭) সমঝোতা স্মারক (Memorandum of Understanding - MoU) স্বাক্ষরিত হয়েছিল।

এই সমঝোতা স্মারকগুলো বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্যে স্বাক্ষরিত হয়। ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে ছিল-

  1. বিদ্যুৎ
  2. জ্বালানি
  3. কৃষি
  4. পরিবেশ
  5. সামাজিক
  6. উন্নয়ন
  7. সাংস্কৃতিক বিনিময়
ক. যুক্ত্রাজ্য
খ. যুক্তরাষ্ট্র
গ. চীন
ঘ. ভারত
ব্যাখ্যাঃ

আধুনিক মেধাভিত্তিক সিভিল সার্ভিস এর উন্মেষ ঘটে প্রাচীন চীন সম্রাজ্যে। তাঁরাই প্রথম পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থীকে বেছে নেয়ার পদ্ধতি চালু করে। সুই সাম্রাজ্য (৫৮১ থেকে ৬১৮) মেধার ভিত্তিতে আমলাদের নির্বাচিত করার পদ্ধতি চালু করে।

ক. আর্টসাখ প্রজাতন্ত্র
খ. নাগর্নো-কারাবাখ
গ. ইয়েতেভান
ঘ. নাকার্চভান ছিটমহল
ব্যাখ্যাঃ

সেপ্টেম্বর ২০২০-এ নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এই যুদ্ধ ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত চলে এবং শেষ পর্যন্ত আজারবাইজান বিজয়ী হয়। যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর, আজারবাইজান পুনর্দখল করা অঞ্চলগুলোর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখে, এবং সেখানে রাশিয়ান শান্তিরক্ষা বাহিনী মোতায়েন করা হয়।

ক. ১৯৯৫ সালে ডেনমার্ক
খ. ১৯৮৪ সালে বেলজিয়াম
গ. ১৯৮৫ সালে লুক্সেমবার্গে
ঘ. ১৯৯৬ সালে হাঙ্গেরিতে
ব্যাখ্যাঃ

শেনজেন চুক্তি হলো একটি ঐতিহাসিক আন্তর্জাতিক চুক্তি যার মাধ্যমে ইউরোপে শেনজেন এলাকা তৈরি হয়েছে। এই এলাকাভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে অভ্যন্তরীণ সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ অনেকাংশে বাতিল করা হয়েছে। লুক্সেমবার্গের শেনজেন শহরে ১৯৮৫ সালে এই প্রাথমিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কারণে এর নামকরণ করা হয়েছে। এটি ইউরোপের মধ্যে ভ্রমণ ও চলাচলের উপর গভীর প্রভাব ফেলেছে।

শেনজেন চুক্তির মূল নীতি:

  • অভ্যন্তরীণ সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ বাতিল: অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে সীমান্তগুলোতে নিয়মিত তল্লাশি বাতিল করাই ছিল প্রধান লক্ষ্য, যাতে মানুষ অবাধে চলাচল করতে পারে।
  • বহিঃস্থ সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের সমন্বয়: অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ না থাকার কারণে, শেনজেন এলাকার বাইরের সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের জন্য অভিন্ন নিয়ম তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রবেশ ও প্রস্থানের নিয়ম, ভিসা নীতি এবং সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের মধ্যে সহযোগিতা।
  • অভিন্ন ভিসা নীতি: একটি অভিন্ন শেনজেন ভিসা ধারককে স্বল্প সময়ের জন্য (যেকোনো ১৮০ দিনের মধ্যে ৯০ দিন পর্যন্ত) শেনজেন এলাকার মধ্যে অবাধে ভ্রমণের অনুমতি দেয়।
  • পুলিশ ও বিচার বিভাগীয় সহযোগিতা: সদস্য দেশগুলোর আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং বিচার বিভাগীয় সংস্থাগুলোর মধ্যে নিরাপত্তা বজায় রাখা এবং আন্তঃসীমান্ত অপরাধ মোকাবেলার জন্য সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।
  • শেনজেন তথ্য ব্যবস্থা (SIS): একটি বৃহৎ ডেটাবেস যা সদস্য দেশগুলোকে আইন প্রয়োগ এবং সীমান্ত ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্যে ব্যক্তি ও পণ্য সম্পর্কিত তথ্য আদান-প্রদান করতে সহায়তা করে।

ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট:

  • প্রাথমিক চুক্তিটি ১৪ জুন, ১৯৮৫ সালে তৎকালীন ইউরোপীয় অর্থনৈতিক সম্প্রদায়ের (EEC) পাঁচটি সদস্য রাষ্ট্র দ্বারা স্বাক্ষরিত হয়েছিল: বেলজিয়াম, ফ্রান্স, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডস এবং পশ্চিম জার্মানি
  • ১৯৯০ সালে, শেনজেন কনভেনশন চুক্তিটিকে আরও বিস্তৃত করে, যেখানে নিয়মিত অভ্যন্তরীণ সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণভাবে বাতিল এবং একটি অভিন্ন ভিসা নীতির প্রস্তাব করা হয়। এই কনভেনশনটিই শেনজেন এলাকার মূল আইনি ভিত্তি।
  • শেনজেন চুক্তি এবং এর বাস্তবায়নকারী কনভেনশন ১৯৯৫ সালে কিছু প্রাথমিক স্বাক্ষরকারীর জন্য কার্যকর হয়।
  • ১৯৯৭ সালের আমস্টারডাম চুক্তি শেনজেন অ্যাকুই (শেনজেন আইনের সমষ্টি) কে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইনের কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসে।

গুরুত্ব:

  • অবাধ চলাচল: শেনজেন চুক্তি অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর নাগরিক ও বাসিন্দাদের পাশাপাশি পর্যটকদের পাসপোর্ট পরীক্ষা ছাড়াই অভ্যন্তরীণ সীমান্ত অতিক্রম করা অনেক সহজ করে তুলেছে।
  • অর্থনৈতিক একত্রীকরণ: মানুষ, পণ্য ও পরিষেবার অবাধ চলাচলকে সহজ করে তোলার মাধ্যমে শেনজেন এলাকা সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক একত্রীকরণে অবদান রেখেছে।
  • পর্যটন ও সাংস্কৃতিক বিনিময়: ভ্রমণের সহজতা পর্যটন বৃদ্ধি করেছে এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানকে উৎসাহিত করেছে।
  • নিরাপত্তা সহযোগিতা: তথ্য আদান-প্রদান এবং যৌথ আইন প্রয়োগের প্রচেষ্টার মাধ্যমে অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় সহযোগিতা বৃদ্ধি করেছে।

সদস্য দেশ:

শেনজেন এলাকা সময়ের সাথে সাথে প্রসারিত হয়েছে এবং বর্তমানে ২৯টি ইউরোপীয় দেশ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে:

  • ইইউ সদস্য রাষ্ট্র (২৫): অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া, ক্রোয়েশিয়া, চেকিয়া, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রীস, হাঙ্গেরি, ইতালি, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, স্পেন, সুইডেন।
  • নন-ইইউ সদস্য রাষ্ট্র (৪): আইসল্যান্ড, লিচেনস্টেইন, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড (এই দেশগুলো সহযোগী চুক্তির মাধ্যমে অংশগ্রহণ করে)।
ক. ৫ মে, ২০২০
খ. ৪ জুন, ২০২০
গ. ৬ জুলাই, ২০২০
ঘ. ৮ আগস্ট, ২০২০
ব্যাখ্যাঃ

"গ্লোবাল ভ্যাকসিন সামিট" বলতে টিকাদান এবং ভ্যাকসিন-সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অনুষ্ঠিত বেশ কয়েকটি উচ্চ-পর্যায়ের সভাকে বোঝায়। এখানে কিছু উল্লেখযোগ্য উদাহরণ দেওয়া হলো:

১. গ্লোবাল ভ্যাকসিন সামিট ২০২০:

  • তারিখ: ৪ জুন, ২০২০
  • আয়োজক: যুক্তরাজ্য
  • প্রধান ফলাফল: এই শীর্ষ সম্মেলনটির লক্ষ্য ছিল ২০২১-২০২৫ সালের জন্য ভ্যাকসিন জোট গ্যাভির জন্য তহবিল সংগ্রহ করা। এটি সফলভাবে ৮.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রতিশ্রুতি আদায় করে, যা ৭.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যায়।
  • লক্ষ্য: এই তহবিল আগামী পাঁচ বছরে অতিরিক্ত ৩০০ মিলিয়ন শিশুকে সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য রাখে, যা সম্ভাব্যভাবে ৮ মিলিয়ন পর্যন্ত জীবন বাঁচাতে পারে। শীর্ষ সম্মেলনটি নিম্ন-আয়ের দেশগুলোতে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের দ্রুত অ্যাক্সেসের জন্য কোভ্যাক্স অ্যাডভান্স মার্কেট কমিটমেন্ট (এএমসি) চালু করে।
ক. সৌদিআরব
খ. কুয়েত
গ. সংযুক্ত আরব আমিরাত
ঘ. ওমান
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর: সংযুক্ত আরব আমিরাত

২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইন ইসরাইলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষর করে। এই চুক্তি আব্রাহাম অ্যাকর্ডস নামে পরিচিত, যা যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় সম্পন্ন হয়।

ক. আবুজা
খ. ঢাকা
গ. তেহরান
ঘ. ইস্তাম্বুল
ব্যাখ্যাঃ

D-8 Organization for Economic Cooperation, যা Developing-8 নামেও পরিচিত, বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান এবং তুরস্কের মধ্যে উন্নয়ন সহযোগিতা বিষয়ক একটি সংস্থা। ১৯শে ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে আজারবাইজান নবম সদস্য হিসেবে এই সংস্থায় যোগদান করে।

উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য:

এই সংস্থা নিম্নলিখিত নীতিগুলির উপর ভিত্তি করে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে:

  • সংঘাতের পরিবর্তে শান্তি
  • মুখোমুখির পরিবর্তে আলোচনা
  • শোষণের পরিবর্তে সহযোগিতা
  • দ্বৈত মানদণ্ডের পরিবর্তে ন্যায়বিচার
  • বৈষম্যের পরিবর্তে সমতা
  • নিপীড়নের পরিবর্তে গণতন্ত্র

প্রথম শীর্ষ সম্মেলনে (ইস্তাম্বুল, ১৯৯৭) ডি-৮ এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, যা নিম্নলিখিত নীতিগুলির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ:

  • সদস্য দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখা এবং বিশ্ব বাণিজ্যের প্রসার নিশ্চিত করা।
  • বিশ্ব অর্থনীতিতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর অবস্থান উন্নত করা।
  • বাণিজ্যিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ তৈরি করা।
  • আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে উন্নয়নশীল দেশগুলোর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা।
  • জীবনযাত্রার মান উন্নত করা।

সংস্থাটি অর্থনীতি, ব্যাংকিং, গ্রামীণ উন্নয়ন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, মানব উন্নয়ন, কৃষি, জ্বালানি, পরিবেশ এবং স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা করে থাকে।

D-8 এর সদস্য দেশসমূহ:

  • বাংলাদেশ
  • মিশর
  • ইন্দোনেশিয়া
  • ইরান
  • মালয়েশিয়া
  • নাইজেরিয়া
  • পাকিস্তান
  • তুরস্ক
  • আজারবাইজান (ডিসেম্বর ২০২৪ এ যোগদান করেছে)

D-8 একটি বিশ্বব্যাপী ব্যবস্থা, কোনো আঞ্চলিক সংস্থা নয়। এর সদস্যপদ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্যও উন্মুক্ত, যারা এই সংস্থার উদ্দেশ্য ও নীতিগুলোর সাথে একমত পোষণ করে এবং তাদের সাথে সম্পর্ক রাখে।

ক. জেনেভা
খ. রোম
গ. নিউইয়র্ক
ঘ. ওয়াশিংটন ডিসি
ব্যাখ্যাঃ

WIPO এর পূর্ণরূপ হল World Intellectual Property Organization (বিশ্ব মেধাসম্পদ সংস্থা)। এটি জাতিসংঘের ১৫টি বিশেষায়িত সংস্থার মধ্যে একটি। ১৯৬৭ সালের WIPO কনভেনশন অনুসারে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে মেধা সম্পদের (যেমন: উদ্ভাবন, ট্রেডমার্ক, শিল্প নকশা, কপিরাইট ইত্যাদি) প্রচার ও সুরক্ষার জন্য এই সংস্থাটি গঠিত হয়েছে। এর সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে অবস্থিত।

WIPO এর প্রধান কাজগুলো হলো:

  • আন্তর্জাতিক মেধাসম্পদ আইনের উন্নয়ন ও সমন্বয় করা।
  • মেধাসম্পদ সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক চুক্তি এবং নীতি প্রণয়ন করা।
  • সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে মেধাসম্পদ ব্যবস্থাপনার জন্য কারিগরি সহায়তা প্রদান করা।
  • মেধাসম্পদ সংক্রান্ত তথ্য ও পরিসংখ্যা সংগ্রহ, বিশ্লেষণ ও প্রকাশ করা।
  • বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মেধাসম্পদ সুরক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনা করা, যেমন:
    • প্যাটেন্ট কো-অপারেশন ট্রিটি (PCT): আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্যাটেন্ট পাওয়ার প্রক্রিয়া সহজ করে।
    • মাদ্রিদ সিস্টেম: একযোগে বহু দেশে ট্রেডমার্ক নিবন্ধনের সুযোগ সৃষ্টি করে।
    • হেগ সিস্টেম: আন্তর্জাতিক শিল্প নকশা নিবন্ধনের ব্যবস্থা করে।
    • লিসবন সিস্টেম: উৎপত্তির ভৌগোলিক চিহ্নের সুরক্ষার জন্য কাজ করে।
  • মেধাসম্পদ সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য বিকল্প উপায় সরবরাহ করা, যেমন মধ্যস্থতা ও সালিশ।
  • মেধাসম্পদের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করা।

বর্তমানে ১৯৩টি রাষ্ট্র WIPO এর সদস্য। ফিলিস্তিনের পর্যবেক্ষকের মর্যাদা রয়েছে। WIPO বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চুক্তি পরিচালনা করে এবং নীতি নির্ধারণী ফোরাম হিসেবে কাজ করে, যেখানে সদস্য রাষ্ট্রগুলো তাদের মেধাসম্পদ সংক্রান্ত নীতি নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সংস্থাটি বিভিন্ন সেমিনার, কর্মশালা এবং প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে মেধাসম্পদ বিষয়ে জ্ঞান এবং সচেতনতা বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখে।

৩৯. Sustainable Development Goal?

[ বিসিএস ৪২তম ]

ক. ১৩টি
খ. ১৫টি
গ. ১৭টি
ঘ. ৩১টি
ব্যাখ্যাঃ

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (Sustainable Development Goals - SDGs), যা বিশ্বব্যাপী লক্ষ্য নামেও পরিচিত, হলো জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রসমূহ কর্তৃক ২০৩০ সালের মধ্যে অর্জনের জন্য গৃহীত ১৭টি আন্তঃসংযুক্ত লক্ষ্যমাত্রা। ২০১৫ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এই লক্ষ্যগুলো গৃহীত হয়। এই লক্ষ্যগুলোর মূল উদ্দেশ্য হলো দারিদ্র্য নির্মূল করা, পৃথিবীর সুরক্ষা করা এবং সকলের জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যগুলো একটি সার্বজনীন আহ্বান যা বিশ্বের সকল দেশ এবং অংশীদারদের প্রতি দারিদ্র্য এবং অন্যান্য বঞ্চনা অবসানের জন্য পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করে। এগুলো স্বাস্থ্য, শিক্ষা, লিঙ্গ সমতা, জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ, অর্থনীতি এবং আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করে।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যগুলো হলো:

  1. দারিদ্র্য বিলোপ (No Poverty)
  2. ক্ষুধামুক্তি (Zero Hunger)
  3. সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ (Good Health and Well-being)
  4. গুণগত শিক্ষা (Quality Education)
  5. লিঙ্গ সমতা (Gender Equality)
  6. পরিষ্কার জল ও স্যানিটেশন (Clean Water and Sanitation)
  7. সাশ্রয়ী ও পরিচ্ছন্ন জ্বালানি (Affordable and Clean Energy)
  8. মর্যাদাপূর্ণ কাজ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি (Decent Work and Economic Growth)
  9. শিল্প, উদ্ভাবন ও অবকাঠামো (Industry, Innovation and Infrastructure)
  10. বৈষম্য হ্রাস (Reduced Inequalities)
  11. টেকসই শহর ও সম্প্রদায় (Sustainable Cities and Communities)
  12. দায়িত্বশীল ভোগ ও উৎপাদন (Responsible Consumption and Production)
  13. জলবায়ু কার্যক্রম (Climate Action)
  14. জলজ জীবন (Life Below Water)
  15. স্থলজ জীবন (Life on Land)
  16. শান্তি, ন্যায়বিচার ও শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান (Peace, Justice and Strong Institutions)
  17. লক্ষ্যের জন্য অংশীদারিত্ব (Partnerships for the Goals)

এই লক্ষ্যগুলো একে অপরের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত এবং একটি লক্ষ্য অর্জনে অগ্রগতি অন্য লক্ষ্যগুলো অর্জনেও সহায়ক হতে পারে। ২০৩০ সালের মধ্যে একটি টেকসই বিশ্ব গড়ে তোলার জন্য এই লক্ষ্যগুলো বাস্তবায়নে সকল স্তরের অংশীদারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অত্যন্ত জরুরি।

ক. পূর্ববঙ্গ
খ. পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা
গ. পূর্ব্বঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গ
ঘ. পূর্ববঙ্গ ও আসাম
ব্যাখ্যাঃ

বঙ্গভঙ্গ ছিল ১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর ব্রিটিশ ভারতের ভাইসরয় লর্ড কার্জনের আদেশে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সিকে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত। এর মাধ্যমে পূর্ব বাংলা ও আসাম নামে একটি নতুন প্রদেশ তৈরি করা হয়, যার রাজধানী ছিল ঢাকা। অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও ওড়িশা নিয়ে গঠিত হয় অন্য প্রদেশটি।

বঙ্গভঙ্গের কারণ:

বঙ্গভঙ্গের পেছনে একাধিক কারণ ছিল, যার মধ্যে প্রধান কয়েকটি হলো:

  • প্রশাসনিক অসুবিধা: বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি ছিল বিশাল এলাকা নিয়ে গঠিত। বিহার, উড়িষ্যা এবং ছোটনাগপুরও এর অন্তর্ভুক্ত ছিল। এত বড় একটি অঞ্চলের প্রশাসনিক কাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা ব্রিটিশ সরকারের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছিল। লর্ড কার্জন এই প্রশাসনিক অসুবিধা দূর করতে বাংলাকে ভাগ করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন।
  • রাজনৈতিক উদ্দেশ্য: ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের ক্রমবর্ধমান প্রভাব এবং ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনকে দুর্বল করাই ছিল বঙ্গভঙ্গের অন্যতম রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। ব্রিটিশ সরকার মনে করেছিল, বাংলা ভাগ করলে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন দুর্বল হয়ে যাবে।
  • অর্থনৈতিক বৈষম্য: পশ্চিমবঙ্গ কলকাতা কেন্দ্রিক হওয়ায় সেখানে শিল্প ও বাণিজ্যের প্রসার ঘটেছিল। কিন্তু পূর্ব বাংলা ছিল কৃষিপ্রধান এবং অর্থনৈতিকভাবে পশ্চাৎপদ। বঙ্গভঙ্গের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার পূর্ব বাংলার অর্থনৈতিক উন্নয়নে মনোযোগ দিতে চেয়েছিল, যদিও এর মূল উদ্দেশ্য ছিল ভিন্ন।
  • সাম্প্রদায়িক বিভাজন: যদিও সরকারিভাবে প্রশাসনিক কারণ দেখানো হয়েছিল, তবে বঙ্গভঙ্গের পেছনে একটি বড় কারণ ছিল হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা। পূর্ব বাংলার সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম সম্প্রদায় নতুন প্রদেশে নিজেদের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উন্নতি আশা করেছিল, যা হিন্দু জমিদার ও এলিট শ্রেণী ভালোভাবে নেয়নি।

বঙ্গভঙ্গের ফলাফল:

বঙ্গভঙ্গের ফলে বাংলায় তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। হিন্দু জাতীয়তাবাদীরা এর বিরুদ্ধে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তোলে, যা বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন বা স্বদেশী আন্দোলন নামে পরিচিত। এই আন্দোলনের প্রধান দিকগুলো ছিল:

  • ব্রিটিশ পণ্য বর্জন ও দেশীয় পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি।
  • বিভিন্ন বিপ্লবী দলের উত্থান।
  • জাতীয়তাবাদী চেতনার বিস্তার।
  • হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ আরও গভীর হওয়া।

অবশেষে, তীব্র আন্দোলনের মুখে এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তনে ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদ করতে বাধ্য হয় ব্রিটিশ সরকার। রাজা পঞ্চম জর্জের দিল্লি দরবারে এই রদের ঘোষণা করা হয় এবং ১৯১২ সালে এটি কার্যকর হয়।

বঙ্গভঙ্গ ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যা পরবর্তীকালে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন এবং সাম্প্রদায়িক রাজনীতির গতিপথকে প্রভাবিত করেছিল।

ক. হামিদুজ্জামান খান
খ. রবিউল হোসাইন
গ. আব্দুর রাজ্জাক
ঘ. নিতুন কুন্ডু
ব্যাখ্যাঃ

সাবাস বাংলাদেশ ভাস্কর্য বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতিস্তম্ভ। এটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহার সবুজ চত্বরে অবস্থিত।

ভাস্কর্যের তাৎপর্য:

এই ভাস্কর্যটি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী তরুণ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতীক। এটিতে দু'জন মুক্তিযোদ্ধাকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে:

  • একজন রাইফেল হাতে দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে যাচ্ছেন, যা যুদ্ধের গতি ও স্পৃহাকে বোঝায়।
  • অন্যজন রাইফেল ধরে উল্লাসে মুষ্টিবদ্ধ হাত উপরে তুলেছেন, যা বিজয়ের আনন্দ ও দৃঢ়তাকে প্রকাশ করে।

ভাস্কর্যটিতে গ্রামীণ ও শহুরে যুবকের সমন্বয় দেখানো হয়েছে, যা মুক্তিযুদ্ধে সকল স্তরের মানুষের অংশগ্রহণের প্রতীক। এর পেছনের ৩৬ ফুট উঁচু স্তম্ভটি স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকার প্রতীক। ভাস্কর্যের বেদীতে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের বিখ্যাত কবিতা "সাবাস বাংলাদেশ" এর চরণ উৎকীর্ণ রয়েছে:

"সাবাস বাংলাদেশ এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়, জ্বলে পুড়ে মরে ছারখার তবু মাথা নোয়াবার নয়।"

ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্ররা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন এবং অনেকেই শহীদ হয়েছিলেন। তাদের আত্মত্যাগ ও সাহসিকতাকে স্মরণীয় করে রাখতেই এই ভাস্কর্যটি নির্মাণ করা হয়েছে।

সাবাস বাংলাদেশ শুধু একটি ভাস্কর্য নয়, এটি আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের চেতনা ও অদম্য স্পৃহার প্রতীক, যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বগাথাকে বহন করে চলেছে।

ক. শায়েস্তা খাঁ
খ. নবাব আব্দুল গণি
গ. লর্ড কার্জন
ঘ. মীর জুমলা
ব্যাখ্যাঃ

ঢাকা গেট, যা মির জুমলার গেট নামেও পরিচিত, ঢাকার একটি ঐতিহাসিক স্থাপত্য। এটি মুঘল সুবেদার মীর জুমলা ১৬৬০-১৬৬৩ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা শহরকে বন্যার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য নির্মাণ করেছিলেন। ধারণা করা হয়, এটি শহরের প্রধান প্রবেশদ্বার ছিল।

এই গেটটি মূলত তৎকালীন ঢাকার উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত ছিল। মীর জুমলা যখন ঢাকা শহরের বিস্তার ঘটান, তখন এই গেটটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশে পরিণত হয়। এটি শহরের সীমানা নির্দেশ করত এবং একই সাথে বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে শহরকে রক্ষা করত।

কালের পরিক্রমায় ঢাকা গেটের মূল কাঠামো অনেকটা পরিবর্তিত হয়ে গেছে। বর্তমানে এর কিছু অংশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের কাছে দেখা যায়। গেটের আসল রূপ এখন আর নেই, তবে এর ধ্বংসাবশেষ আজও মুঘল স্থাপত্যের সাক্ষ্য বহন করে।

ঢাকা গেট শুধু একটি স্থাপত্য নয়, এটি ঢাকার ইতিহাসেরও ধারক। মুঘল আমলে ঢাকার গুরুত্ব এবং শহরের বিস্তার সম্পর্কে এটি ধারণা দেয়। বিভিন্ন ঐতিহাসিক গ্রন্থে এবং পর্যটকদের লেখায় ঢাকা গেটের উল্লেখ পাওয়া যায়, যা এর ঐতিহাসিক তাৎপর্যের প্রমাণ।

ক. উনবিংশ শতাব্দীতে
খ. অষ্টাদশ শতাব্দীতে
গ. ষোড়শ শতাব্দীতে
ঘ. চতুর্দশ শতাব্দীতে
ব্যাখ্যাঃ

ব্রিটিশ কৃষি বিপ্লব ছিল অষ্টাদশ শতাব্দীর শুরু থেকে উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ইংল্যান্ডে কৃষি উৎপাদন, প্রযুক্তি ও ভূমি ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটি ব্যাপক পরিবর্তন। এই বিপ্লবের ফলে কৃষিক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হয়, যা খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করে এবং শিল্প বিপ্লবের পটভূমি তৈরি করে।

কৃষি বিপ্লবের প্রধান কারণ ও বৈশিষ্ট্য:

  • নতুন কৃষি পদ্ধতির প্রবর্তন: এই সময়ে শস্য আবর্তন (Crop Rotation) পদ্ধতির ব্যাপক প্রচলন ঘটে। এর ফলে জমির উর্বরতা বজায় রাখা সহজ হয় এবং পতিত জমি ফেলে রাখার প্রয়োজন কমে। চার ফসলী চক্র (Four-Course Rotation), যেখানে গম, টার্নিপ, বার্লি এবং ক্লোভার পর্যায়ক্রমে চাষ করা হতো, বিশেষভাবে জনপ্রিয়তা লাভ করে।
  • নতুন যন্ত্রপাতির ব্যবহার: উন্নত ধরনের লাঙ্গল (যেমন রদারহ্যামের চাকাযুক্ত লাঙ্গল), বীজ বপনকারী যন্ত্র (Jethro Tull কর্তৃক উদ্ভাবিত সিড ড্রিল), এবং ফসল কাটার যন্ত্রের ব্যবহার শুরু হয়। এই যন্ত্রপাতিগুলি শ্রমের প্রয়োজনীয়তা কমিয়ে এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে।
  • নির্বাচিত প্রজনন (Selective Breeding): গবাদি পশুর উন্নত জাত তৈরির জন্য নির্বাচিত প্রজনন পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। এর ফলে মাংস ও দুধের উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ে। রবার্ট বাকওয়েল এই ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
  • ভূমি একত্রীকরণ (Enclosure Movement): এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পূর্বে উন্মুক্ত এবং সকলের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত জমিগুলিকে ব্যক্তিগত মালিকানায় আনা হয় এবং বড় খামারে পরিণত করা হয়। এর ফলে কৃষকরা আরও দক্ষতার সাথে জমি ব্যবহার করতে এবং নতুন পদ্ধতি প্রয়োগ করতে সক্ষম হন। তবে, অনেক ছোট কৃষক তাদের জমি হারান এবং শহরে কাজের সন্ধানে যেতে বাধ্য হন।
  • নতুন ফসলের চাষ: আলু এবং অন্যান্য নতুন ফসলের চাষ খাদ্য সরবরাহকে আরও বৈচিত্র্যময় ও স্থিতিশীল করে তোলে।
  • পরিবহন ব্যবস্থার উন্নতি: খাল এবং রাস্তার উন্নয়নের ফলে কৃষিপণ্য সহজে বাজারজাত করা সম্ভব হয়।
ক. কৃষি ও বনজ
খ. মৎস্য
গ. শিল্প
ঘ. স্বাস্থ্য ও সামাজিক সেবা
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর: শিল্প খাত

বাংলাদেশের জাতীয় আয়ে শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশিঅর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৩ অনুযায়ী, শিল্প খাতের অবদান ৩৭.৫৬% এবং প্রবৃদ্ধির হার ৮.১৮%। অন্যদিকে, সেবা খাতের প্রবৃদ্ধির হার ৫.৮৪% এবং কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধির হার ২.৬১%

ক. চট্টগ্রাম
খ. কলকাতা
গ. লন্ডন
ঘ. নিউইয়র্ক
ব্যাখ্যাঃ

দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ ছিল ১৯৭১ সালের ১ আগস্ট নিউ ইয়র্ক সিটির ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে অনুষ্ঠিত দুটি বেনিফিট কনসার্ট। এই কনসার্ট দুটি আয়োজন করেছিলেন বিখ্যাত ভারতীয় সেতারবাদক রবিশঙ্কর এবং প্রাক্তন বিটলস সদস্য জর্জ হ্যারিসন।

উদ্দেশ্য:

কনসার্টটির প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ১৯৭১ সালের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ভোলা এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (তৎকালীন বাংলাদেশ) শরণার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং ত্রাণ তহবিল সংগ্রহ করা।

আয়োজক:

রবিশঙ্করই প্রথম জর্জ হ্যারিসনকে এই বিষয়ে অবগত করেন এবং একটি কনসার্ট আয়োজনের প্রস্তাব দেন। জর্জ হ্যারিসন এই উদ্যোগে সাড়া দেন এবং বন্ধু ও অন্যান্য বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পীদের একত্রিত করে এই ঐতিহাসিক কনসার্টের আয়োজন করেন।

অংশগ্রহণকারী শিল্পী:

কনসার্টে সঙ্গীত পরিবেশন করেন:

  • জর্জ হ্যারিসন
  • রবিশঙ্কর
  • বব ডিলান
  • রিঙ্গো স্টার
  • এরিক ক্ল্যাপটন
  • বিলি Preston
  • লিওন রাসেল
  • ব্যাডফিঙ্গার
ক. ২ ফেব্রুয়ারী
খ. ৮ ফেব্রুয়ারী
গ. ৮ মার্চ
ঘ. ৭ এপ্রিল
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশে জাতীয় জনসংখ্যা দিবস প্রতি বছর ২ ফেব্রুয়ারি পালিত হয়।

এই দিবসটি জনসংখ্যা বৃদ্ধি, পরিবার পরিকল্পনা, স্বাস্থ্যসেবা এবং টেকসই উন্নয়ন সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পালন করা হয়।

ক. জয় বাংলা
খ. বাংলাদেশ
গ. স্বাধীনতা
ঘ. মুক্তির ডাক
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো কঃ জয় বাংলা

১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকার কর্তৃক প্রকাশিত পত্রিকার নাম ছিল জয় বাংলা। এটি মুক্তিযুদ্ধের সময় জনগণের মনোবল চাঙ্গা রাখতে এবং মুক্তিযুদ্ধের বার্তা ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।

ক. ১৯৯৬
খ. ১৯৯৮
গ. ২০০০
ঘ. ২০০৮
ব্যাখ্যাঃ

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ও এর পেছনের ইতিহাসকে সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে নির্মিত একটি জাদুঘর। এটি ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত।

প্রতিষ্ঠা ও ইতিহাস:

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর একটি বেসরকারি উদ্যোগ। আটজন ট্রাস্টির উদ্যোগে ১৯৯৬ সালের ২২ মার্চ ঢাকার সেগুনবাগিচায় একটি ভাড়া করা বাড়িতে এর যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে, ২০১৭ সালের ১৬ই এপ্রিল জাদুঘরটি আগারগাঁওয়ে তার নিজস্ব নবনির্মিত ভবনে স্থানান্তরিত হয়। এই জাদুঘরটি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম।

সংগ্রহ:

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধের সময়ের বহু দুর্লভ নিদর্শন ও স্মারক সংগৃহীত আছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হলো:

  • মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহৃত অস্ত্র ও সরঞ্জাম
  • শহীদদের ব্যক্তিগত জিনিসপত্র
  • মুক্তিযুদ্ধের সময়ের আলোকচিত্র ও প্রামাণ্য দলিল
  • তৎকালীন পত্রপত্রিকা ও পোস্টার
  • মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত চিঠি ও ডায়েরি
  • বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দলিল
  • আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন ও সংহতির নিদর্শন

জাদুঘরের গ্যালারিগুলোতে মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট, ২৫শে মার্চের গণহত্যা, প্রতিরোধ যুদ্ধ, মুজিবনগর সরকার, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ ও যুদ্ধকালীন জীবন, বুদ্ধিজীবী হত্যা এবং চূড়ান্ত বিজয়সহ বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর শুধু একটি সংগ্রহশালা নয়, এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের জীবন্ত প্রতীক এবং নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র।

ক. BARI
খ. BRRI
গ. BADC
ঘ. BINA
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশে প্রধান বীজ উৎপাদনকারী সরকারি প্রতিষ্ঠান হলো বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (BADC)

BADC একটি স্বায়ত্তশাসিত সরকারি সংস্থা, যা বাংলাদেশে কৃষি উপকরণ সরবরাহ করে থাকে। এর প্রধান কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদন, সংগ্রহ, পরিবহন, সংরক্ষণ ও বিতরণ করা। BADC বিভিন্ন ফসলের উন্নত জাতের বীজ উৎপাদন করে কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেয়।

যদিও বাংলাদেশ বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি (BSCA) বীজের গুণমান নিয়ন্ত্রণ ও certificación প্রদান করে, এবং বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (BJRI) পাটসহ অন্যান্য আঁশ ফসলের বীজ গবেষণা ও উৎপাদন করে, প্রধান সরকারি বীজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে BADC ই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।

ক. ১১ নভেম্বর
খ. ১২ অক্টোবর
গ. ১৬ ডিসেম্বর
ঘ. ৩রা মার্চ
ব্যাখ্যাঃ

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের খসড়া প্রণয়নের ইতিহাস একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। নিচে এর মূল বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো:

সংবিধান প্রণয়ন কমিটি গঠন:

  • ১৯৭২ সালের ১১ই এপ্রিল ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি করে ৩৪ সদস্যের একটি সংবিধান প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয়।
  • এই কমিটিতে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য এবং বিশিষ্ট আইনজীবীরা অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।

খসড়া সংবিধান তৈরি:

  • কমিটি বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠক করে এবং জনগণের মতামত সংগ্রহের জন্য আহ্বান জানায়।
  • সংগৃহীত মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের একটি খসড়া তৈরি করা হয়।
  • ১৯৭২ সালের ১২ই অক্টোবর গণপরিষদের দ্বিতীয় অধিবেশনে খসড়া সংবিধান বিল আকারে উত্থাপন করা হয়। এই খসড়াটি ১৫৩টি অনুচ্ছেদ ও ৭টি তফসিল সম্বলিত ছিল।

গণপরিষদে আলোচনা ও গ্রহণ:

  • খসড়া সংবিধানের ওপর গণপরিষদে দীর্ঘ আলোচনা চলে।
  • আলোচনা শেষে কিছু সংশোধনীর প্রস্তাব আনা হয় এবং সেগুলো বিবেচিত হয়।
  • অবশেষে, ১৯৭২ সালের ৪ঠা নভেম্বর গণপরিষদে বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয়।

কার্যকর:

  • ১৯৭২ সালের ১৬ই ডিসেম্বর (বিজয় দিবস) থেকে এই সংবিধান কার্যকর হয়।

সংবিধানের খসড়াটি মূলত বাংলা ভাষায় রচিত হয়েছিল এবং পরে এর ইংরেজি অনুবাদ করা হয়। তবে বাংলা ও ইংরেজির মধ্যে অর্থগত কোনো বিরোধ দেখা দিলে বাংলা রূপ অনুসরণীয় হবে বলে উল্লেখ করা হয়।

আপনি যদি খসড়া সংবিধানের মূল পাঠ বা এর কোনো নির্দিষ্ট অংশের বিষয়ে জানতে চান, তবে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।

ক. ১৩৬
খ. ১৩৭
গ. ১৩৮
ঘ. ১৪০
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন (Bangladesh Public Service Commission - BPSc) একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ সাংবিধানিক সংস্থা। এটি প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগের জন্য উপযুক্ত ও যোগ্য প্রার্থী নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করে।

প্রতিষ্ঠা ও ভিত্তি:

  • বাংলাদেশ সংবিধানের ১৩৭ থেকে ১৪১ অনুচ্ছেদে এই কমিশনের গঠন ও কার্যাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে।
  • ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির আদেশের মাধ্যমে প্রথম সরকারি কর্মকমিশন গঠিত হয়। পরবর্তীতে সংবিধানের আলোকে এর আইনি ভিত্তি আরও সুদৃঢ় হয়।

প্রধান কার্যাবলী:

  • সরকারি পদে নিয়োগের জন্য বিধি ও পদ্ধতি প্রণয়ন করা।
  • বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সরকারি সংস্থার চাহিদার ভিত্তিতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা।
  • নিয়োগের জন্য পরীক্ষা (লিখিত ও মৌখিক) এবং অন্যান্য নির্বাচনী প্রক্রিয়ার আয়োজন ও পরিচালনা করা।
  • পরীক্ষার ফলাফল প্রস্তুত ও প্রকাশ করা এবং যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা।
  • সরকারি কর্মচারীদের পদোন্নতি ও অন্যান্য পেশাগত বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ দেওয়া।
  • শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ দেওয়া।
  • কমিশনের কার্যাবলী সম্পর্কে বার্ষিক প্রতিবেদন রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করা।

গঠন:

  • সরকারি কর্মকমিশনে একজন চেয়ারম্যান এবং কয়েকজন সদস্য থাকেন।
  • চেয়ারম্যান ও সদস্যদের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগ দান করা হয়।
  • তাদের কার্যকাল এবং অন্যান্য শর্তাবলী রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নির্ধারিত হয়।
ক. গোপাল
খ. ধর্মপাল
গ. মহীপাল
ঘ. বিগ্রহপাল
ব্যাখ্যাঃ

সোমপুর বিহার:

  • অবস্থান: সোমপুর বিহার বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামে অবস্থিত। এর অন্য নাম পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার বা সোমপুর মহাবিহার
  • প্রতিষ্ঠাতা ও সময়কাল: পাল বংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপাল দেব (৭৮১-৮২১ খ্রিষ্টাব্দ) অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে এই বিহার তৈরি করেছিলেন বলে ধারণা করা হয়। তবে, কিছু তিব্বতীয় ইতিহাস অনুসারে দেবপাল (৮১০-৮৫০ খ্রিষ্টাব্দ) এটি নির্মাণ করেন।
  • আবিষ্কার: ১৮৭৯ খ্রিস্টাব্দে স্যার আলেকজান্ডার কানিংহাম এই বিশাল স্থাপনা আবিষ্কার করেন।
  • ঐতিহাসিক তাৎপর্য:
    • এটি এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম বৌদ্ধ বিহারগুলোর মধ্যে অন্যতম
    • প্রায় ৩০০ বছর ধরে এটি বৌদ্ধদের অতি বিখ্যাত ধর্ম শিক্ষাদান কেন্দ্র ছিল। শুধু উপমহাদেশ নয়, চীন, তিব্বত, মায়ানমার, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া থেকেও বৌদ্ধরা এখানে জ্ঞান অর্জনের জন্য আসতেন।
    • খ্রিস্টীয় দশম শতকে এই বিহারের আচার্য ছিলেন বিখ্যাত অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান
    • এটি পাল যুগের বৌদ্ধ স্থাপত্যের এক অনন্য নিদর্শন, যা পরবর্তীতে বার্মা, কম্বোডিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার স্থাপত্যে প্রভাব ফেলেছিল।
  • স্থাপত্য:
    • বিহারটি একটি বিশাল আয়তক্ষেত্রাকার কাঠামো, যার উত্তর-দক্ষিণে ৯২২ ফুট এবং পূর্ব-পশ্চিমে ৯১৯ ফুট।
    • এর চারদিকে উঁচু প্রাচীর এবং অভ্যন্তরে সারিবদ্ধ ছোট ছোট কক্ষ ছিল। ভিক্ষুদের বসবাসের জন্য ১৭৭টি কক্ষ ছিল এবং প্রায় ৮০০ ভিক্ষু এখানে বাস করতে পারতেন।
    • বিহারের কেন্দ্রে একটি শূন্যগর্ভ চতুষ্কোণ কক্ষ রয়েছে, যা মন্দিরের ভিত্তি থেকে চূড়া পর্যন্ত বিস্তৃত।
    • দেয়ালের বাইরের দিকে বুদ্ধমূর্তি, হিন্দুদের দেব-দেবী মূর্তি ও পোড়ামাটির ফলকচিত্র দেখা যায়, যেখানে সাধারণ মানুষের জীবনগাথা চিত্রিত হয়েছে।
  • বর্তমান অবস্থা: কালের বিবর্তনে এই বিহারটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে। তবে এর ধ্বংসাবশেষ আজও ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করে। ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

সোমপুর বিহার শুধু একটি প্রাচীন স্থাপত্য নয়, এটি এক সময়ের জ্ঞানচর্চা ও সংস্কৃতির কেন্দ্র ছিল এবং বাংলাদেশের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

ক. হাতিয়া প্রণালী
খ. জফোর্ড পয়েন্ট
গ. সাঙ্গু ভ্যালি
ঘ. মাতারবাড়ি
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের প্রথম সামুদ্রিক গ্যাসক্ষেত্র হলো সাঙ্গু গ্যাসক্ষেত্র

এটি ১৯৯৬ সালে বঙ্গোপসাগরের অগভীর সমুদ্র এলাকায়, চট্টগ্রামের সলিমপুরের কাছে আবিষ্কৃত হয়। অস্ট্রেলিয়ান কোম্পানি সান্তোস এই গ্যাসক্ষেত্রটি আবিষ্কার করে এবং পরবর্তীতে ব্রিটিশ কোম্পানি কেয়ার্ন এনার্জি এর অপারেশনের দায়িত্ব নেয় ও ১৯৯৮ সালে গ্যাস উৎপাদন শুরু করে।

তবে, ২০১৩ সালের অক্টোবরে সাঙ্গু গ্যাসক্ষেত্রটি আনুষ্ঠানিকভাবে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। গ্যাস উত্তোলন লাভজনক না হওয়ায় এবং মজুত ফুরিয়ে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

সুতরাং, সাঙ্গু গ্যাসক্ষেত্র বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র উৎপাদনশীল সামুদ্রিক গ্যাসক্ষেত্র ছিল। বর্তমানে এটি পরিত্যক্ত হলেও, বাংলাদেশের সামুদ্রিক গ্যাস অনুসন্ধানের ইতিহাসে এর একটি বিশেষ স্থান রয়েছে।

ক. তমদ্দুন মজলিস
খ. ভাষা পরিষদ
গ. মাতৃভাষা পরিষদ
ঘ. আমরা বাঙালি
ব্যাখ্যাঃ

তমদ্দুন মজলিস ছিল ১৯৪৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেমের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত একটি ইসলামী সাংস্কৃতিক সংগঠন। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর এই সংগঠনটিই প্রথম বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে দাবি তোলে এবং ভাষা আন্দোলনের সূত্রপাত করে।

তমদ্দুন মজলিসের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল:

  • সুস্থ ও সুন্দর তমদ্দুন (নাগরিক জীবন ও সংস্কৃতি) গড়ে তোলা: কুসংস্কার, গতানুগতিকতা ও প্রতিক্রিয়াশীলতা দূর করে একটি প্রগতিশীল সমাজ নির্মাণ করা।
  • ধর্মভিত্তিক সাম্যবাদের দিকে মানবসমাজকে এগিয়ে নেওয়া: যুক্তিবাদের উপর ভিত্তি করে একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা।
  • সাহিত্য ও শিল্পের মাধ্যমে নতুন সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করা: মানবীয় মূল্যবোধ সম্পন্ন সাহিত্য ও শিল্পচর্চার মাধ্যমে একটি উন্নত সমাজ গঠন করা।
  • নিখুঁত চরিত্র গঠন করে গণজীবনের উন্নয়ন: নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন নাগরিক তৈরির মাধ্যমে সমাজের সামগ্রিক উন্নতি সাধন করা।
  • বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা: পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার চেষ্টার বিরুদ্ধে প্রথম জোরালো প্রতিবাদ জানানো এবং বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা আদায়ে আন্দোলন গড়ে তোলা।

ভাষা আন্দোলনে তমদ্দুন মজলিসের ভূমিকা:

ভাষা আন্দোলনে তমদ্দুন মজলিসের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি আন্দোলনের সূতিকাগার হিসেবে বিবেচিত হয়। এর উল্লেখযোগ্য অবদানগুলো হলো:

  • প্রথম রাষ্ট্রভাষার দাবি উত্থাপন: পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পরপরই তমদ্দুন মজলিস বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি তোলে।
  • পুস্তিকা প্রকাশ: ১৯৪৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর সংগঠনটি "পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু?" শিরোনামে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করে। এই পুস্তিকায় বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার যৌক্তিকতা তুলে ধরা হয় এবং অধ্যাপক আবুল কাশেম কতৃক বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষে একটি প্রস্তাবনাও ছিল।
  • রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন: ভাষা আন্দোলনকে একটি রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার জন্য তমদ্দুন মজলিসের উদ্যোগেই প্রথম রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়।
  • জনমত সৃষ্টি: তমদ্দুন মজলিসের উদ্যোগে বিভিন্ন সভা, সেমিনার ও আলোচনার মাধ্যমে বাংলা ভাষার পক্ষে জনমত গড়ে তোলা হয়।
  • সাপ্তাহিক সৈনিক: এই সংগঠনের মুখপত্র হিসেবে সাপ্তাহিক সৈনিক পত্রিকা ভাষা আন্দোলনের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

পরবর্তীতে অন্যান্য ছাত্র ও রাজনৈতিক সংগঠন ভাষা আন্দোলনে যোগ দিলেও, তমদ্দুন মজলিসই প্রথম সংগঠন হিসেবে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে এবং এর একটি সুস্পষ্ট ভিত্তি তৈরি করে। এ কারণে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে তমদ্দুন মজলিসের অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

ক. গ্রীষ্ম,বর্ষা, বসন্ত, হেমন্ত, শীত ও শরৎ
খ. বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত, বসন্ত, গ্রীষ্ম
গ. শরৎ, হেমন্ত, শীত, বসন্ত, গ্রীষ্ম ও বর্ষা
ঘ. গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত, বসন্ত
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশে মূলত ছয়টি ঋতু বিদ্যমান, যদিও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এদের বৈশিষ্ট্য এবং সময়কালে কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। ঐতিহ্যগতভাবে এই ছয়টি ঋতু হলো:

১. গ্রীষ্ম (Summer):

  • সময়কাল: বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাস (মধ্য এপ্রিল থেকে মধ্য জুন)
  • বৈশিষ্ট্য: এটি বছরের উষ্ণতম ঋতু। এই সময়ে তাপমাত্রা বেশ বেশি থাকে এবং আবহাওয়া শুষ্ক ও গরম থাকে। মাঝে মাঝে কালবৈশাখী ঝড়ও দেখা যায়।

২. বর্ষা (Monsoon/Rainy Season):

  • সময়কাল: আষাঢ় ও শ্রাবণ মাস (মধ্য জুন থেকে মধ্য আগস্ট)
  • বৈশিষ্ট্য: এটি বৃষ্টির ঋতু। এই সময়ে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় এবং আর্দ্রতা খুব বেশি থাকে। নদ-নদী পানিতে পরিপূর্ণ থাকে এবং পরিবেশ সবুজ ও সতেজ হয়ে ওঠে।

৩. শরৎ (Autumn):

  • সময়কাল: ভাদ্র ও আশ্বিন মাস (মধ্য আগস্ট থেকে মধ্য অক্টোবর)
  • বৈশিষ্ট্য: বর্ষার পর এই ঋতু আসে। আকাশ পরিষ্কার ও নীল থাকে, হালকা শীতল বাতাস অনুভূত হয় এবং চারদিকে মনোরম পরিবেশ বিরাজ করে। এটি উৎসবের ঋতু হিসেবেও পরিচিত।

৪. হেমন্ত (Late Autumn):

  • সময়কাল: কার্তিক ও অগ্রহায়ণ মাস (মধ্য অক্টোবর থেকে মধ্য ডিসেম্বর)
  • বৈশিষ্ট্য: এটি শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে আসে। আবহাওয়া ধীরে ধীরে শীতল হতে শুরু করে এবং সকালে হালকা কুয়াশা দেখা যায়। ধান কাটার মৌসুম হওয়ায় কৃষকের ঘরে নতুন ফসল ওঠে।

৫. শীত (Winter):

  • সময়কাল: পৌষ ও মাঘ মাস (মধ্য ডিসেম্বর থেকে মধ্য ফেব্রুয়ারি)
  • বৈশিষ্ট্য: এটি বছরের শীতলতম ঋতু। এই সময়ে তাপমাত্রা বেশ কম থাকে এবং উত্তর দিক থেকে শীতল বাতাস বয়। দেশের উত্তরাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহও দেখা যায়।

৬. বসন্ত (Spring):

  • সময়কাল: ফাল্গুন ও চৈত্র মাস (মধ্য ফেব্রুয়ারি থেকে মধ্য এপ্রিল)
  • বৈশিষ্ট্য: শীতের শেষ এবং গ্রীষ্মের শুরুর এই সময়ে আবহাওয়া মনোরম থাকে। গাছে নতুন পাতা ও ফুল ফোটে এবং প্রকৃতি নতুন রূপে সেজে ওঠে। হালকা উষ্ণ বাতাস এবং পাখির কলকাকলিতে চারদিক মুখরিত থাকে।

এই ছয়টি ঋতু বাংলাদেশের প্রকৃতি ও জনজীবনকে নানাভাবে প্রভাবিত করে। ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের জীবনযাত্রা, ফসল উৎপাদন এবং প্রকৃতির রূপও পরিবর্তিত হয়।

ক. তিস্তা
খ. ধলেশ্বরী
গ. ধোলাই
ঘ. বংশী
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর: তিস্তা

যমুনা নদীর প্রধান উপনদীগুলোর মধ্যে তিস্তা, ধরলা, করতোয়া, আত্রাই, সুবর্ণশ্রী

এছাড়া, ধলেশ্বরী যমুনার শাখানদী এবং বংশী ব্রহ্মপুত্রের শাখানদী।

ক. ১৯৭২, কায়রো
খ. ১৯৭৪, নয়াদিল্লী
গ. ১৯৭৫, বেলগ্রেড
ঘ. ১৯৭৩, আলজিয়ার্স
ব্যাখ্যাঃ

জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন (Non-Aligned Movement - NAM) হলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর স্নায়ুযুদ্ধকালীন সময়ে গঠিত একটি আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক জোট। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পুঁজিবাদী জোট (ন্যাটো) এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্বাধীন সমাজতান্ত্রিক জোট (ওয়ারশ প্যাক্ট) - এই দুটি প্রধান সামরিক ও রাজনৈতিক প্রভাব বলয়ের বাইরে রাখা।

প্রতিষ্ঠা ও প্রেক্ষাপট:

  • প্রতিষ্ঠা: ১৯৬১ সালে যুগোস্লাভিয়ার (বর্তমান সার্বিয়ার) বেলগ্রেডে প্রথম জোট নিরপেক্ষ শীর্ষ সম্মেলনের মাধ্যমে এই আন্দোলনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।
  • প্রতিষ্ঠাতা: এই আন্দোলনের প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু, যুগোস্লাভিয়ার রাষ্ট্রপতি জোসিপ ব্রোজ টিটো, মিশরের রাষ্ট্রপতি জামাল আবদেল নাসের, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি সুকর্ণ এবং ঘানার রাষ্ট্রপতি Kwame Nkrumah।
  • পটভূমি: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর অনেক নতুন স্বাধীন রাষ্ট্র বিশ্ব মঞ্চে নিজেদের স্থান করে নিচ্ছিল। স্নায়ুযুদ্ধের তীব্রতায় এই দেশগুলো দুটি প্রধান শিবিরে যোগদানের চাপ অনুভব করছিল। জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন এই দেশগুলোকে নিজেদের স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি বজায় রাখতে এবং কোনো বৃহৎ শক্তির তাঁবেদারি না করতে একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে।

বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক:

বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনে যোগদান করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে আলজেরিয়ায় অনুষ্ঠিত জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের পক্ষে অংশগ্রহণ করেন। এই জোট বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং বাংলাদেশ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের নীতি ও আদর্শের প্রতি সমর্থন জানিয়ে আসছে।

ক. ২৫ শে জানুয়ারী
খ. ১১ই ফেব্রুয়ারী
গ. ১১ই মার্চ
ঘ. ২৫ শে ফেব্রুয়ারী
ব্যাখ্যাঃ

১৯৪৮ থেকে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত ভাষা আন্দোলনের সময় ১১ই মার্চ ‘ভাষা দিবস’ হিসেবে পালন করা হতো।

১৯৪৮ সালের ১১ই মার্চ ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ দাবিতে পূর্ব বাংলায় সর্বাত্মক সাধারণ ধর্মঘট পালিত হয়। এই দিনটিতে ছাত্রদের ওপর পুলিশি নির্যাতন হয় এবং অনেকেই গ্রেফতার হন। এই ঘটনার প্রতিবাদে এবং বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে দিনটি ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে চিহ্নিত হয় এবং পরবর্তীতে ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারির আগ পর্যন্ত প্রতি বছর ১১ই মার্চ ‘রাষ্ট্রভাষা দিবস’ হিসেবে পালিত হতো।

ক. নদীয়া
খ. ত্রিপুরা
গ. পুরুলিয়া
ঘ. বরিশাল
ব্যাখ্যাঃ

বাঙালী উপভাষা অঞ্চল বলতে মূলত বৃহত্তর ঢাকা, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, বরিশাল, খুলনা, কুমিল্লা-নোয়াখালী অঞ্চল এবং ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকাকে বোঝায়। ভাষাভাষীর সংখ্যা বিচারে এটি বাংলা ভাষার বৃহত্তম উপভাষা অঞ্চল। এই অঞ্চলের উপভাষাগুলোতে কিছু নিজস্ব ধ্বনিতাত্ত্বিক ও রূপতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য দেখা যায়।

বাঙালী উপভাষার কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য:

  • অনেক ক্ষেত্রে 'এ' ধ্বনি 'অ্যা'-এর মতো উচ্চারিত হয় (যেমন: কেন > ক্যান)।
  • 'উ' ধ্বনি 'ও'-এর মতো উচ্চারিত হতে পারে (যেমন: মুলা > মোলা)।
  • কিছু ক্ষেত্রে 'ও' ধ্বনি 'উ'-এর মতো উচ্চারিত হয় (যেমন: দোষ > দুষ)।
  • 'র' ধ্বনি 'ড়' হিসেবে উচ্চারিত হওয়ার প্রবণতা দেখা যায় (যেমন: ঘর > ঘড়)।
  • বহুবচনের জন্য 'গুল', 'গুলাইন' ইত্যাদি প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় (যেমন: বাত গুলাইন খাও)।
  • গৌণ কর্মে 'রে' বিভক্তি যুক্ত হওয়ার প্রবণতা দেখা যায় (যেমন: আমারে মারে ক্যান)।
  • অপিনিহিতির ব্যবহার বেশি দেখা যায় (যেমন: দেখিয়া > দেইখ্যা)।

এই বৈশিষ্ট্যগুলো অঞ্চলভেদে কিছুটা ভিন্ন হতে পারে এবং উপভাষার বিভিন্ন প্রকরণে আলাদা আলাদা রূপ দেখা যায়। ময়মনসিংহীয়, ঢাকাইয়া কুট্টি, বরিশালি, নোয়াখালীয়, খুলনাইয়া ইত্যাদি এই উপভাষার বিভিন্ন আঞ্চলিক রূপ।

অন্যদিকে, রাঢ়ী উপভাষা অঞ্চল মূলত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া (পূর্ব), হুগলী, হাওড়া, কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা, নদীয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলায় বিস্তৃত। এই উপভাষাকে ভিত্তি করেই প্রমিত বাংলা গড়ে উঠেছে।

ক. মার্শাল আইল্যান্ড
খ. মালদ্বীপ
গ. গ্রানাডা
ঘ. বাহামা
ব্যাখ্যাঃ

ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ) এর বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশ সভাপতি হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশও ২০২০ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত এর সভাপতি ছিল। বাংলাদেশ ২০২০-২০২২ সালের জন্য Climate Vulnerable Forum এর চেয়্যারপারসন হিসেবে মনোনিত হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা CVF এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। বাংলাদেশের পূর্বে ইথিওপিয়া এবং মার্শাল আইল্যান্ড CVF এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে।

ক. কার্তিক-ফাল্গুন
খ. চৈত্র-বৈশাখ
গ. ভাাদ্র-অগ্রাহয়ন
ঘ. শ্রাবণ-আশ্বিন
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশে কৃষিক্ষেত্রে রবি মৌসুম একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। এটি মূলত শীতকাল এবং শীতের শেষভাগকে অন্তর্ভুক্ত করে। এই মৌসুমের কিছু বৈশিষ্ট্য এবং গুরুত্বপূর্ণ দিক নিচে তুলে ধরা হলো:

সময়কাল:

  • সাধারণত মধ্য অক্টোবর থেকে মধ্য মার্চ পর্যন্ত এই মৌসুম বিস্তৃত থাকে। তবে, অঞ্চলভেদে এর সামান্য তারতম্য দেখা যায়। কার্তিক মাস থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্তও ধরা হয়।

বৈশিষ্ট্য:

  • এই সময়ে দিনের দৈর্ঘ্য ছোট এবং রাতের দৈর্ঘ্য বড় হয়।
  • তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে কম থাকে, যা অনেক ফসলের জন্য অনুকূল।
  • বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম থাকে। এই কারণে রবি মৌসুমে চাষাবাদ মূলত সেচের উপর নির্ভরশীল
  • আকাশ সাধারণত পরিষ্কার থাকে এবং আর্দ্রতাও কম থাকে।

গুরুত্ব:

  • রবি মৌসুম বাংলাদেশের খাদ্য উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
  • এই সময়ে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য শস্য, ডাল, তেলবীজ এবং শীতকালীন সবজি চাষ করা হয়।
  • অনেক উচ্চ মূল্য সম্পন্ন ফসল যেমন - আলু, পেঁয়াজ, রসুন, বিভিন্ন ধরনের সবজি এই মৌসুমে চাষ করা হয় যা কৃষকদের অর্থনৈতিকভাবে লাভবান করে।

প্রধান ফসল:

রবি মৌসুমে বাংলাদেশে যেসব প্রধান ফসল চাষ করা হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

  • ধান: বোরো ধান এই মৌসুমের প্রধান ফসল।
  • গম
  • ভুট্টা
  • আলু
  • পেঁয়াজ
  • রসুন
  • সরিষা
  • মসুর ডাল
  • ছোলা
  • খেসারি ডাল
  • বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন সবজি যেমন - ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, গাজর, টমেটো, শিম, লাউ, পালং শাক ইত্যাদি।

পরিশেষে বলা যায়, রবি মৌসুম বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীতির একটি অপরিহার্য অংশ এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষকদের জীবিকা নির্বাহে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।

ক. ধীরে বহে মেঘনা
খ. কলমিলতা
গ. আবার তোরা মানুষ হ
ঘ. হুলিয়া
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কিছু উল্লেখযোগ্য স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এবং তাদের পরিচালকদের নাম নিচে দেওয়া হলো:

  • আগামী (১৯৮৪): এটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। এর পরিচালক ছিলেন মোরশেদুল ইসলাম
  • হুলিয়া (১৯৯৫): এই চলচ্চিত্রের পরিচালক তানভীর মোকাম্মেল। এটি কবি নির্মলেন্দু গুণের কবিতা অবলম্বনে নির্মিত।
  • ছানা ও মুক্তিযুদ্ধ (১৯৯৮): এটি পরিচালনা করেন বাদল রহমান
  • শোভনের একাত্তর (২০০০): এই শিশুতোষ চলচ্চিত্রটির পরিচালক ছিলেন দেবাশীষ সরকার
  • শরৎ ’৭১ (২০০০): এটিও মোরশেদুল ইসলাম পরিচালনা করেন।
  • একাত্তরের মিছিল (২০০১): এই চলচ্চিত্রের পরিচালক ছিলেন কবরী সারোয়ার
  • ওমর ফারুকের মা (২০০৪): এটি পরিচালনা করেন জাহিদুর রহমান বিপ্লব
  • জন্ম (২০১৮): ভিকি জাহেদ নির্মিত এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মুক্তি পায়।
  • জয় বাংলা: সাম্প্রতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, যার পরিচালক শায়লা রহমান তিথি

এছাড়াও আরও অনেক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে যা মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছে। এই চলচ্চিত্রগুলো মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও চেতনা নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

৬৩. The Doctor an animal means:

[ বিসিএস ৪২তম ]

ক. to treat it
খ. to sterilize it
গ. to poison it
ঘ. to cure it
ব্যাখ্যাঃ

To doctor an animal বলতে কোনো পশুকে প্রাথমিক চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলা বোঝায়।

৬৪. যদি ICE:COLDNESS হয়, তবে EARTH:?

[ বিসিএস ৪২তম ]

ক. weight
খ. jungle
গ. sea
ঘ. Gravity
ব্যাখ্যাঃ

এখানে Coldness যেমন ice এর বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করছে, Gravity তেমনভাবে Earth এর বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করছে।

৬৫. Identify the word that remain same in plural form

[ বিসিএস ৪২তম ]

ক. deer
খ. horse
গ. elephent
ঘ. tigre
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো deer

'Deer' এমন একটি শব্দ যার একবচন এবং বহুবচন রূপ একই থাকে। আপনি একটি 'deer' এবং অনেক 'deer'-ও বলতে পারেন।

অন্যান্য বিকল্পগুলোর বহুবচন রূপ ভিন্ন:

  • horse - horses
  • elephent - elephant (বানান ভুল) - elephants
  • tigre - tiger (বানান ভুল) - tigers

৬৬. Hasan has read most of the —- of shakespeare

[ বিসিএস ৪২তম ]

ক. poem
খ. play
গ. drama
ঘ. works
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো works

"Works" শব্দটি এখানে শেক্সপিয়রের সাহিত্যকর্মের সমগ্র ভান্ডারকে বোঝাচ্ছে, যার মধ্যে তার কবিতা, নাটক এবং অন্যান্য লেখনি সবই অন্তর্ভুক্ত। যদিও "play" এবং "drama" শেক্সপিয়রের কাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, "works" শব্দটি সবচেয়ে ব্যাপক এবং উপযুক্ত।

৬৭. What is the meaning of musk?

[ বিসিএস ৪২তম ]

ক. A form of drama
খ. A face cover
গ. a substance used in making perfume
ঘ. a disguise
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো a substance used in making perfume

Musk (মাস্ক) হলো এক প্রকার সুগন্ধিযুক্ত পদার্থ যা কিছু বিশেষ পশু, যেমন কস্তুরী মৃগের নাভিগ্রন্থি থেকে পাওয়া যায়। এটি সুগন্ধি তৈরিতে বহুলভাবে ব্যবহৃত হয়।

অন্যান্য বিকল্পগুলোর অর্থ:

  • কঃ A form of drama: নাটকের একটি রূপ।
  • খঃ A face cover: মুখের আবরণ বা মুখোশ।
  • ঘঃ A disguise: ছদ্মবেশ।

৬৮. Identify correctly spelled one:

[ বিসিএস ৪২তম ]

ক. Caesarean
খ. caesarean
গ. ciserian
ঘ. scissorian
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক বানান হলো Caesarean

এটি একটি বিশেষ্য পদ এবং সাধারণত বড় হাতের অক্ষর দিয়ে শুরু হয়। তবে, ছোট হাতের অক্ষরে খঃ caesarean বানানটিও ব্যবহার করা হয়, বিশেষ করে যখন এটি বিশেষণ হিসেবে ব্যবহৃত হয় (যেমন: caesarean section)।

অন্যান্য বানানগুলো ভুল।

ক. Clemency
খ. Entharl
গ. Erudition
ঘ. Fathom
ব্যাখ্যাঃ

অনুকম্পা শব্দের ইংরেজি হলো Clemency

অনুকম্পা শব্দের ইংরেজি হলো Clemency (ক্লেমেনসি)। এর অর্থ হলো দয়া, ক্ষমা, করুণা বা সহানুভূতি।

অন্যান্য শব্দগুলোর অর্থ:

  • খঃ Enthral: মন্ত্রমুগ্ধ করা, বশীভূত করা।
  • গঃ Erudition: পাণ্ডিত্য, অগাধ জ্ঞান।
  • ঘঃ Fathom: গভীরতা মাপা, সম্পূর্ণরূপে বুঝতে পারা।

৭০. Liza had given me two:

[ বিসিএস ৪২তম ]

ক. pair of jean
খ. pairs of jean
গ. pair of jeans
ঘ. pairs of jeans
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো ঘঃ pairs of jeans

কারণ:

  • Jeans শব্দটি প্লুরাল (বহুবচন) হিসেবে ব্যবহৃত হয় কারণ এটি দুটি পা-দানির সমন্বয়ে গঠিত একটি পোশাক।
  • যখন আমরা একাধিক জিন্সের কথা বলি, তখন আমরা "pairs of jeans" ব্যবহার করি। "Pairs" শব্দটি এখানে কতগুলো জিন্সের সেট বোঝায়।
ক. gerund
খ. participle
গ. verbal noun
ঘ. gerundial infinitive
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো participle

এখানে "flying" শব্দটি present participle হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। এটি "bird" বিশেষ্যটিকে modify করছে, অর্থাৎ পাখিটির উড়ন্ত অবস্থা বোঝাচ্ছে। Participle হলো এক প্রকার verb form যা adjective এর মতো কাজ করে।

অন্যান্য বিকল্পগুলো কেন সঠিক নয় তার ব্যাখ্যা নিচে দেওয়া হলো:

  • কঃ gerund: Gerund হলো verb এর -ing রূপ যা noun হিসেবে কাজ করে। এই বাক্যে "flying" noun এর ভূমিকা পালন করছে না। উদাহরণ: "Flying is fun." এখানে "flying" subject হিসেবে noun এর কাজ করছে।
  • গঃ verbal noun: Verbal noun বলতে সাধারণত gerund কেই বোঝানো হয়।
  • ঘঃ gerundial infinitive: Gerundial infinitive বলে ব্যাকরণে কোনো স্বীকৃত শব্দ বা ধারণা নেই। Infinitive হলো to + verb (যেমন: to fly)।
ক. in
খ. on
গ. over
ঘ. at
ব্যাখ্যাঃ

Would you please find out Bangladesh on the map?

আমরা সাধারণত মানচিত্রের উপর কোনো দেশের অবস্থান বোঝাতে on preposition ব্যবহার করি।

ক. an adverb
খ. a preposition
গ. an adjective
ঘ. a verb
ব্যাখ্যাঃ

Here the “falling” is an adjective

এখানে "falling" শব্দটি present participle হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে এবং এটি "star" বিশেষ্যটিকে modify করছে। অর্থাৎ, তারাটির পতিত হওয়ার অবস্থা বোঝাচ্ছে। Present participle যখন কোনো বিশেষ্যকে বিশেষিত করে, তখন তা adjective (বিশেষণ)-এর মতো কাজ করে।

ক. He advised him to see a doctor
খ. He advised that he should see a doctor
গ. he suggested that he had seen a doctor
ঘ. He proposed to see a doctor
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো কঃ He advised him to see a doctor

সরাসরি উক্তিতে "had better" থাকলে এবং সেটি উপদেশ বোঝালে, পরোক্ষ উক্তিতে "advised + object + to + verb" গঠন ব্যবহার করা হয়।

অন্যান্য বিকল্পগুলো কেন সঠিক নয় তার ব্যাখ্যা নিচে দেওয়া হলো:

  • খঃ He advised that he should see a doctor: যদিও এটি একটি সম্ভাব্য গঠন, তবে "had better" এর সরাসরি উপদেশমূলক ভাব বোঝানোর জন্য প্রথম বিকল্পটি বেশি উপযুক্ত।
  • গঃ he suggested that he had seen a doctor: "Suggested" (পরামর্শ দেওয়া) "advised" (উপদেশ দেওয়া) থেকে কিছুটা দুর্বল অর্থ প্রকাশ করে এবং "had seen" অতীত কালের ক্রিয়া ব্যবহার করার কোনো কারণ নেই।
  • ঘঃ He proposed to see a doctor: "Proposed" (প্রস্তাব করা) এখানে উপযুক্ত নয়, কারণ মূল উক্তিটি একটি উপদেশ।
ক. Jane Austen
খ. Syed Waliullah
গ. Somerset Maugham
ঘ. Rabindranath Tagore
ব্যাখ্যাঃ

শেষের কবিতা উপন্যাসের রবীন্দ্রনাথ John Donne এই চরণটি উল্লেখ করেছেন। (“For God’s Sake hold your tongue and let me love” – The cononization, John Donne) “দোহাই তোদের, একটুকু চুপ কর, ভালবাসিবারে দে মোরে অবসর”– শেষের কবিতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

৭৬. “Giving someone the cold shoulder” means-

[ বিসিএস ৪২তম ]

ক. to torture somebody
খ. to harm someone
গ. to appreciate soe one
ঘ. to egnore somebody
ব্যাখ্যাঃ

“Giving someone the cold shoulder” means to ignore somebody

“Giving someone the cold shoulder” একটি ইংরেজি ইডিয়ম, যার অর্থ হলো কাউকে উপেক্ষা করা বা কারও সাথে শীতল ও অবন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করা। যখন কেউ "cold shoulder" দেয়, তখন সে ইচ্ছাকৃতভাবে অন্য ব্যক্তির সাথে কথা বলা বা তার প্রতি মনোযোগ দেওয়া বন্ধ করে দেয়।

৭৭. What is the function of a topic sentence?

[ বিসিএস ৪২তম ]

ক. to introduce the topic
খ. to analyse the topic
গ. to present the main idea
ঘ. to expand the idea
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো গঃ to present the main idea

একটি topic sentence-এর প্রধান কাজ হলো একটি অনুচ্ছেদের মূল ধারণা বা বিষয়বস্তু উপস্থাপন করা। এটি পাঠককে বুঝতে সাহায্য করে যে অনুচ্ছেদে কী নিয়ে আলোচনা করা হবে।

অন্যান্য বিকল্পগুলো কেন সঠিক নয় তার ব্যাখ্যা নিচে দেওয়া হলো:

  • কঃ to introduce the topic: যদিও topic sentence topic-এর সূচনা করে, এর প্রধান কাজ শুধু পরিচয় দেওয়া নয়, বরং মূল ধারণাটি তুলে ধরা।
  • খঃ to analyse the topic: Topic sentence সাধারণত topic-এর বিশ্লেষণ করে না। বিশ্লেষণের কাজটি অনুচ্ছেদের অন্যান্য sentence-গুলোতে করা হয়।
  • ঘঃ to expand the idea: Topic sentence মূল ধারণাটি সংক্ষেপে উপস্থাপন করে। ধারণার বিস্তৃতি ঘটে পরবর্তী বাক্যগুলোতে।
ক. bring
খ. me
গ. that
ঘ. book
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো that

এই বাক্যে that হলো determiner (নির্ধারক)।

Determiner এমন একটি শব্দ যা একটি বিশেষ্যের (noun) আগে বসে এবং সেই বিশেষ্যটি নির্দিষ্ট নাকি অনির্দিষ্ট, সেই সম্পর্কে তথ্য দেয়। "that" একটি demonstrative determiner (নির্দেশক নির্ধারক), যা একটি নির্দিষ্ট বইয়ের দিকে ইঙ্গিত করছে।

অন্যান্য বিকল্পগুলো কেন নির্ধারক নয়:

  • কঃ bring - এটি একটি verb (ক্রিয়া)।
  • খঃ me - এটি একটি pronoun (সর্বনাম)।
  • ঘঃ book - এটি একটি noun (বিশেষ্য)।

৭৯. Which word is correct?

[ বিসিএস ৪২তম ]

ক. Furnitures
খ. Infomations
গ. Sceneries
ঘ. Proceeds
ব্যাখ্যাঃ

Correct word is Proceeds

'Proceeds' শব্দটি সাধারণত বহুবচন হিসেবেই ব্যবহৃত হয় এবং এর অর্থ হলো কোনো বিক্রয় বা কার্যকলাপের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ।

অন্যান্য শব্দগুলোর সঠিক বহুবচন রূপ:

  • কঃ Furnitures - ভুল। সঠিক রূপ Furniture (এটি একটি uncountable noun)।
  • খঃ Infomations - ভুল। সঠিক রূপ Information (এটিও একটি uncountable noun)।
  • গঃ Sceneries - ভুল। সঠিক রূপ Scenery (এটি একটি uncountable noun)।
ক. shall
খ. will
গ. would
ঘ. may
ব্যাখ্যাঃ

If I were you, I would take the money.

এই বাক্যটি একটি hypothetical conditional sentence (কাল্পনিক শর্তমূলক বাক্য)। এই ধরনের বাক্যে, বিশেষ করে যখন 'if I were you' (যদি আমি তুমি হতাম) এই কাঠামো থাকে, তখন মূল ক্লজে (main clause) would ব্যবহৃত হয়।

ক. is
খ. are
গ. was
ঘ. were
ব্যাখ্যাঃ

The police were informed yesterday.

'Police' শব্দটি সাধারণত বহুবচন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যদিও এটি দেখতে একবচনের মতো, ব্যাকরণের দিক থেকে এটি প্লুরাল হিসেবে গণ্য হয়। তাই, এর সাথে প্লুরাল verb ব্যবহৃত হবে। যেহেতু বাক্যটিতে 'yesterday' (গতকাল) উল্লেখ আছে, তাই past tense ব্যবহৃত হবে।

ক. Madhusudan Dutt
খ. Allen Ginsberg
গ. Kaiser Haq
ঘ. Vikram Seth
ব্যাখ্যাঃ

“September on the Jessore Road” is written by Allen Ginsberg

"September on Jessore Road" কবিতাটি বিখ্যাত আমেরিকান কবি অ্যালেন গিন্সবার্গ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় শরণার্থীদের দুর্দশার চিত্র দেখে লিখেছিলেন। কবিতাটি সেই সময়ের মানবিক সংকট এবং ধ্বংসলীলাকে তুলে ধরে।

৮৩. Who wrote Dr.Zhivago?

[ বিসিএস ৪২তম ]

ক. Maxim Gorky
খ. Boris Pasternak
গ. Fyodor Dostoevsky
ঘ. Leo Tolstoy
ব্যাখ্যাঃ

Dr.Zhivago is written by খঃ Boris Pasternak

বরিস পাস্তেরনাক ছিলেন রাশিয়ান ঔপন্যাসিক, কবি এবং অনুবাদক। "ডক্টর জিভাগো" তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত কাজ, যা রাশিয়ান বিপ্লব এবং এর পরবর্তী সময়ের প্রেক্ষাপটে রচিত একটি মহাকাব্যিক উপন্যাস।

৮৪. “A passage to India” is written by-

[ বিসিএস ৪২তম ]

ক. E.M. Foster
খ. Nirad C Chaudhuri
গ. Rudyard Kipling
ঘ. Walt Whitman
ব্যাখ্যাঃ

“A passage to India” is written by E.M. Forster

"A Passage to India" ইংরেজি সাহিত্যের বিখ্যাত ঔপন্যাসিক ই.এম. ফরস্টারের লেখা একটি গুরুত্বপূর্ণ উপন্যাস। এটি ১৯২৪ সালে প্রকাশিত হয় এবং ব্রিটিশ রাজের প্রেক্ষাপটে ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যেকার সম্পর্ক এবং সাংস্কৃতিক সংঘাতকে তুলে ধরে।

ক. (,1)(4,+)
খ. (,2)(5,+)
গ. (,2)(5,+)
ঘ. (5,)(,2)
ব্যাখ্যাঃ x23x10>0
x25x+2x10>0
x(x5)+2(x5)>0
(x5)(x+2)>0
দুটি রাশি গুণফল ধনাত্মক হলে রাশি দুটিকে অবশ্যই ধনাত্মক অথবা ঋণাত্মক হতে হবে।
প্রথম ক্ষেত্রে, দুটিই ধনাত্মক হলে:
x5>0এবংx+2>0
x>5এবংx>2
x>5[কমন অংশ নিয়ে]
দ্বিতীয় ক্ষেত্রে:
x5<0এবংx+2<0
x<5এবংx<2
x<2[কমন অংশ নিয়ে]
নির্ণীত সমাধান:x>5অথবাx<2
সমাধান:(,2)(5,+)
ক. 3
খ. 2
গ. 13
ঘ. 13
ব্যাখ্যাঃ আমরা লগারিদমিক ফর্মকে সূচকীয় (exponential) ফর্মে রূপান্তর করি:
x2=19
1x2=19
x2=9
x=±3

ভিত্তির শর্ত পরীক্ষা


লগারিদমের ভিত্তি (x) ধনাত্মক হতে হয়, তাই x=3 গ্রহণযোগ্য নয়
তাই x=3 হল সঠিক উত্তর।
ক. ৩ প্রকারে
খ. ৪ প্রকারে
গ. ৬ প্রকারে
ঘ. ৫ প্রকারে
ব্যাখ্যাঃ ধরি:
x = ৫০ টাকার নোটের সংখ্যা
y = ২০ টাকার নোটের সংখ্যা

তাহলে, আমাদের সমীকরণ দাঁড়ায়:
50x+20y=510
5x+2y=51

সম্ভাব্য x এর মান খুঁজে বের করা


x এবং y উভয়ই ধনাত্মক পূর্ণসংখ্যা হতে হবে।
আমরা x কে বিভিন্ন পূর্ণসংখ্যা ধরে y বের করার চেষ্টা করব।
x=1 হলে,
5(1)+2y=512y=46y=23
x=2 হলে,
5(2)+2y=512y=41y=20.5(অগ্রহণযোগ্য)
x=3 হলে,
5(3)+2y=512y=36y=18
x=4 হলে,
5(4)+2y=512y=31y=15.5(অগ্রহণযোগ্য)
x=5 হলে,
5(5)+2y=512y=26y=13
x=6 হলে,
5(6)+2y=512y=21y=10.5(অগ্রহণযোগ্য)
- x=7 হলে,
5(7)+2y=512y=16y=8
- x=8 হলে,
5(8)+2y=512y=11y=5.5(অগ্রহণযোগ্য)
x=9 হলে,
5(9)+2y=512y=6y=3
x=10 হলে,
5(10)+2y=512y=1y=0.5(অগ্রহণযোগ্য)

সুতরাং, গ্রহণযোগ্য সমাধান রয়েছে ৪টি উপায়ে:
  1. (x=1,y=23)
  2. (x=3,y=18)
  3. (x=5,y=13)
  4. (x=7,y=8)
  5. (x=9,y=3)

ব্যক্তির অনুরোধ ৫ প্রকারে রক্ষা করা সম্ভব।
ক. ২৫
খ. ৩০
গ. ৩৫
ঘ. ৪৯
ব্যাখ্যাঃ

১. সংখ্যা সমষ্টি নির্ণয়


১ থেকে ৪৯ পর্যন্ত ধারা একটি সার্বিক সংখ্যা ধারা (Arithmetic Series), যেখানে:
  • প্রথম পদ a=1
  • শেষ পদ l=49
  • মোট পদ সংখ্যা n=49

ধারাটির যোগফল সূত্র:
S=n2×(a+l)

S=492×(1+49)=492×50=49×25=1225

২. গড় নির্ণয়



গড়=122549=25

চূড়ান্ত উত্তর:


১ থেকে ৪৯ পর্যন্ত সংখ্যাগুলোর গড় ২৫
ক. ৪ কি.মি./ঘণ্টা
খ. ৫ কি.মি/ঘণ্টা
গ. ৬ কি.মি./ ঘণ্টা
ঘ. ৭.৫ কি.মি./ঘণ্টা
ব্যাখ্যাঃ ধরি:
  • জয়নুলের গতি = x কি.মি./ঘন্টা
  • রনির গতি = y কি.মি./ঘন্টা

প্রথম শর্ত অনুযায়ী:
জয়নুলের সময় রনির সময়ের থেকে ২ ঘণ্টা বেশি ছিল:
30x=30y+2

দ্বিতীয় শর্ত অনুযায়ী:
যদি জয়নুল তার গতি দ্বিগুণ করত, তবে তার সময় রনির সময়ের থেকে ১ ঘণ্টা কম লাগত:
302x=30y1
30x30y=2
302x30y=1
15x30y=1

প্রথম সমীকরণ থেকে দ্বিতীয় সমীকরণ বাদ দিলে পাই:
(30x15x)=3
15x=3
x=5

চূড়ান্ত উত্তর:


জয়নুলের গতি ছিল ৫ কি.মি./ঘন্টা
ক. ৪
খ. ৮
গ. ১২
ঘ. ১৬
ব্যাখ্যাঃ মনে করি, বৃত্তের প্রাথমিক ব্যাস d এবং নতুন ব্যাস d। প্রশ্নানুসারে, নতুন ব্যাস প্রাথমিক ব্যাসের চারগুণ, অর্থাৎ d=4d.

বৃত্তের ক্ষেত্রফলের সূত্র হল A=πr2, যেখানে r হল বৃত্তের ব্যাসার্ধ। যেহেতু ব্যাস ব্যাসার্ধের দ্বিগুণ (d=2r), তাই ব্যাসার্ধ r=d2.

প্রাথমিক বৃত্তের ব্যাসার্ধ r=d2, সুতরাং প্রাথমিক ক্ষেত্রফল A=π(d2)2=πd24.

নতুন বৃত্তের ব্যাসার্ধ r=d2=4d2=2d, সুতরাং নতুন ক্ষেত্রফল A=π(2d)2=π(4d2)=16πd24=16A.

অতএব, বৃত্তের ব্যাস চারগুণ বৃদ্ধি পেলে ক্ষেত্রফল ১৬ গুণ বৃদ্ধি পাবে।

৯১. secA+tanA=52 হলে, secAtanA=?

[ বিসিএস ৪২তম ]

ক. 12
খ. 15
গ. 25
ঘ. 52
ব্যাখ্যাঃ আমরা জানি, sec2Atan2A=1

এই সূত্রটিকে আমরা (a2b2)=(a+b)(ab) এর মতো করে লিখতে পারি:
(secA+tanA)(secAtanA)=1

আমাদের দেওয়া আছে, secA+tanA=52
সুতরাং, 52(secAtanA)=1
secAtanA=152
secAtanA=25
সুতরাং, secAtanA=25
ক. ৪.২৫% লাভ
খ. ৫.২৫% ক্ষতি
গ. ৬.২৫% ক্ষতি
ঘ. ৭.২৫% লাভ
ব্যাখ্যাঃ

১. মোট ক্রয়কৃত আমলকির সংখ্যা নির্ধারণ


ব্যক্তি টাকায় ৩টি এবং টাকায় ৫টি দরে সমান সংখ্যক আমলকি কিনেছেন।
ধরি, তিনি x সংখ্যক আমলকি প্রতিটি রেটে কিনেছেন।
সুতরাং, মোট ক্রয়কৃত আমলকির সংখ্যা:
মোট আমলকি=x+x=2x

২. মোট ক্রয়মূল্য নির্ণয়


প্রথম ধাপে:
- টাকায় ৩টি দরের জন্য মোট খরচ: x3×1=x3 টাকা
- টাকায় ৫টি দরের জন্য মোট খরচ: x5×1=x5 টাকা

সুতরাং, মোট ক্রয়মূল্য:
মোট ক্রয়মূল্য=x3+x5

নির্ণয় করি:
5x+3x15=8x15(টাকা)

৩. মোট বিক্রয়মূল্য নির্ণয়


প্রতিটি আমলকি টাকায় ৪টি দরে বিক্রয় করা হয়েছে।
সুতরাং, মোট বিক্রয়মূল্য:
2x4×1=2x4=x2

৪. লাভ বা ক্ষতি নির্ণয়


লাভ বা ক্ষতি:
লাভ বা ক্ষতি=বিক্রয় মূল্যক্রয় মূল্য

x28x15

ল.সা.গু ৩০ নিয়ে সরলীকরণ করি:
15x3016x30=x30

যেহেতু ফলাফল ঋণাত্মক, ব্যক্তির ক্ষতি হয়েছে

৫. শতকরা ক্ষতি


শতকরা ক্ষতি=(x30÷8x15)×100

=(x30×158x)×100

=(15240)×100

=1500240=6.25%
ব্যক্তির ৬.২৫% ক্ষতি হয়েছে।

ক. ৪৬০.২০ টাকা
খ. ৫৫৪.৪০ টাকা
গ. ৬২০.৬০ টাকা
ঘ. ৭৩০.৮০ টাকা
ব্যাখ্যাঃ আপনার বর্তমান মাসিক বিল ৪২০ টাকা।

প্রথমত, ১ বছর পর অর্থাৎ ১২ মাস পর বিল ১০% বৃদ্ধি পাবে।
বৃদ্ধির পরিমাণ = ৪২০ টাকার ১০% = ×= টাকা।
সুতরাং, ১২ মাস পর বিল হবে = ৪২০ + ৪২ = ৪৬২ টাকা।

এরপর, আরো ৬ মাস পর অর্থাৎ (১২ + ৬) = ১৮ মাস পর বিল ২০% বৃদ্ধি পাবে। এই বৃদ্ধি ৪৬২ টাকার উপর হবে।
বৃদ্ধির পরিমাণ = ৪৬২ টাকার ২০% = ×=×.=. টাকা।
সুতরাং, ১৮ মাস পর বিল হবে = ৪৬২ + ৯২.৪ = ৫৫৪.৪ টাকা।

অতএব, ১৮ মাস পর আপনার বিল হবে ৫৫৪.৪ টাকা।
ক. ১.৫ মিটার
খ. ২.৫ মিটার
গ. ৩ মিটার
ঘ. ৩.৫ মিটার
ব্যাখ্যাঃ আমরা জানি, ১০০০ লিটার = ১ ঘনমিটার।

সুতরাং, ৮০০০ লিটার = ঘনমিটার = ৮ ঘনমিটার।

চৌবাচ্চার দৈর্ঘ্য দেওয়া আছে ২.৫৬ মিটার এবং প্রস্থ দেওয়া আছে ১.২৫ মিটার। মনে করি চৌবাচ্চার গভীরতা h মিটার।

চৌবাচ্চার আয়তনের সূত্র হল: দৈর্ঘ্য × প্রস্থ × গভীরতা

সুতরাং, ২.৫৬ মিটার × ১.২৫ মিটার × h মিটার = ৮ ঘনমিটার

৩.২ × h = ৮
h=.
h=
h=.

অতএব, চৌবাচ্চাটির গভীরতা ২.৫ মিটার।
ক. 1:2
খ. 5:2
গ. 2:1
ঘ. 4:1
ব্যাখ্যাঃ ধরি, প্রথম বর্গক্ষেত্রের এক বাহুর দৈর্ঘ্য a এবং দ্বিতীয় বর্গক্ষেত্রের এক বাহুর দৈর্ঘ্য b.

প্রথম বর্গক্ষেত্রের পরিসীমা = 4a

প্রশ্নানুসারে, প্রথম বর্গক্ষেত্রের এক বাহুর দৈর্ঘ্য দ্বিতীয় বর্গক্ষেত্রের পরিসীমার সমান।
সুতরাং, a=4b

প্রথম বর্গক্ষেত্রের কর্ণের দৈর্ঘ্য = a2+a2=2a2=a2

দ্বিতীয় বর্গক্ষেত্রের কর্ণের দৈর্ঘ্য = b2+b2=2b2=b2

বর্গক্ষেত্র দুটির কর্ণের অনুপাত = প্রথম বর্গক্ষেত্রের কর্ণের দৈর্ঘ্যদ্বিতীয় বর্গক্ষেত্রের কর্ণের দৈর্ঘ্য=a2b2=ab

আমরা জানি, a=4b, সুতরাং ab=4bb=4

অতএব, বর্গক্ষেত্র দুটির কর্ণের অনুপাত হবে 4:1.
ক. 54N
খ. T18
গ. 152
ঘ. V36
ব্যাখ্যাঃ প্রদত্ত ভগ্নাংশগুলোতে একটি সংখ্যা এবং একটি অক্ষর রয়েছে। আমাদের লক্ষ্য হলো সংখ্যা এবং অক্ষরের মধ্যে কোনো নিদর্শন খুঁজে বের করা।

1. সংখ্যাগুলোর ধারা:
প্রদত্ত সংখ্যা: 15,21,28
এগুলো ধাপে ধাপে বৃদ্ধি পাচ্ছে—আসুন পার্থক্য নির্ণয় করি:
* 2115=6
* 2821=7

তাই সম্ভাব্য পরবর্তী সংখ্যা হবে:
28+8=36

2. অক্ষরগুলোর ধারা:
প্রদত্ত অক্ষর: A,G,N
এগুলো ইংরেজি বর্ণমালার ক্রম অনুযায়ী এগোচ্ছে—আসুন তাদের অবস্থান নির্ণয় করি:
* A = 1, G = 7, N = 14
* ধাপে ধাপে পার্থক্য: 71=6, 147=7

তাই সম্ভাব্য পরবর্তী অক্ষর হবে:
14+8=22V

অর্থাৎ, সঠিক উত্তর হবে:
V36

অর্থাৎ, উত্তর: ঘ (V/36)।
ক. 34
খ. 23
গ. 13
ঘ. 14
ব্যাখ্যাঃ A এবং B স্বাধীন ঘটনা, তাই শর্তসাপেক্ষ সম্ভাবনার সূত্র অনুযায়ী:
P(B|A)=P(AB)P(A)

স্বাধীনতার সংজ্ঞা অনুযায়ী:
P(AB)=P(A)×P(B)
এখন মান বসিয়ে পাই:
P(B|A)=P(A)×P(B)P(A)
এখানে P(A) বাতিল হয়ে যায়, তাই পাই:
P(B|A)=P(B)
এখন P(B) এর মান বসাই:
P(B|A)=23
অর্থাৎ, P(B|A)=23
ছবিটি দেখে নিচের প্রশ্নের উত্তর দাও:
mcq image
ক.
খ.
গ.
ঘ.
ক. 60 তম পদ
খ. 70 তম পদ
গ. 90 তম পদ
ঘ. 100 তম পদ
ব্যাখ্যাঃ ধারাটির প্রথম পদ a=5 এবং সাধারণ অন্তর d=85=3.

মনে করি ধারাটির n-তম পদ 302।

আমরা জানি, সমান্তর ধারার n-তম পদের সূত্র হল:
Tn=a+(n1)d

এখানে Tn=302, a=5, এবং d=3. এই মানগুলো সূত্রে বসিয়ে পাই:
302=5+(n1)33025=(n1)3297=3(n1)2973=n199=n1n=99+1n=100

সুতরাং, ধারাটির ১০০তম পদ 302।
ক. ২৪১
খ. ২৪৩
গ. ২৪৫
ঘ. ২৪৭
ব্যাখ্যাঃ এই ধারাটির প্রতিটি পদ তার আগের পদের ৩ গুণ। এটি একটি গুণোত্তর ধারা, যেখানে প্রথম পদ a=3 এবং সাধারণ অনুপাত r==.

ধারাটির পদগুলো হল:
প্রথম পদ: =
দ্বিতীয় পদ: =
তৃতীয় পদ: =
চতুর্থ পদ: =

সুতরাং, ধারার পঞ্চম পদ হবে:
=××××=

অতএব, ধারাটির শেষ সংখ্যা হবে ২৪৩