আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
15

বিসিএস ৩৪তম

পরীক্ষারঃ বিসিএস প্রিলিমিনারি টেস্ট

মোট বহুনির্বাচনি প্রশ্নঃ 100

মোট মার্কঃ 100

পরীক্ষার সময়ঃ 01:30:00

প্রকাশের তারিখঃ 24.05.2013

ক. ১৮০০
খ. ১৮৫৭
গ. ১৯০৭
ঘ. ১৯০৯
উত্তরঃ ১৯০৭
ব্যাখ্যাঃ

বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন চর্যাপদ ১৯০৭ সালে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে আবিষ্কার করেন।

ক. ৪৫০-৬৫০
খ. ৬৫০-৮৫০
গ. ৬৫০-১২০০
ঘ. ৬৫০-১২৫০
উত্তরঃ ৬৫০-১২০০
ব্যাখ্যাঃ

বাংলা সাহিত্যের পঠন-পাঠনের সুবিধার জন্য এর ইতিহাসকে তিনটি প্রধান যুগে ভাগ করা হয়েছে:

  • বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগ: এই যুগের সময়কাল হলো ৬৫০-১২০০ খ্রিস্টাব্দ। চর্যাপদকে এই যুগের একমাত্র নির্ভরযোগ্য সাহিত্যিক নিদর্শন হিসেবে ধরা হয়।
  • বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগ: ১২০০-১৮০০ খ্রিস্টাব্দ।
  • বাংলা সাহিত্যের আধুনিক যুগ: ১৮০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে বর্তমান পর্যন্ত।

সুতরাং, সঠিক উত্তর হলো: গঃ ৬৫০-১২০০

৩. মধ্যযুগের কবি নন কে?

[ বিসিএস ৩৪তম ]

ক. জয়নন্দী
খ. বড়ু চণ্ডীদাস
গ. গোবিন্দ দাস
ঘ. জ্ঞান দাস
উত্তরঃ জয়নন্দী
ব্যাখ্যাঃ

মধ্যযুগের কবি নন কঃ জয়নন্দী

  • জয়নন্দী ছিলেন পাল যুগের একজন কবি এবং তিনি ছিলেন চর্যাপদ এর একজন পদকর্তা। চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগের নিদর্শন।
  • বড়ু চণ্ডীদাস, গোবিন্দ দাস এবং জ্ঞান দাস তিনজনই বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের প্রখ্যাত কবি। বড়ু চণ্ডীদাস শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের রচয়িতা এবং গোবিন্দ দাস ও জ্ঞান দাস ছিলেন বৈষ্ণব পদাবলীর গুরুত্বপূর্ণ কবি।
ক. ১১৯৯-১২৫০ পর্যন্ত
খ. ১২০১-১৩৫০ পর্যন্ত
গ. ১২৫০-১৩৫০ পর্যন্ত
ঘ. ১২৫০-১৪৫০ পর্যন্ত
উত্তরঃ ১২০১-১৩৫০ পর্যন্ত
ব্যাখ্যাঃ

বাংলা সাহিত্যে অন্ধকার যুগ বলতে ১২০১-১৩৫০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময়কালকে বোঝায়।

এই সময়কালে তুর্কি আক্রমণের ফলে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সামাজিক বিশৃঙ্খলার কারণে সাহিত্যচর্চায় এক ধরনের স্থবিরতা দেখা গিয়েছিল। এই সময়ের খুব বেশি সাহিত্যিক নিদর্শন পাওয়া যায় না, তাই এটিকে "অন্ধকার যুগ" বলা হয়।

ক. উইলিয়াম কেরি
খ. লর্ড ওয়েলেসলি
গ. মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার
ঘ. রামরাম বসু
উত্তরঃ উইলিয়াম কেরি
ক. মাইকেল মধুসূদন দত্ত
খ. রাজা রামমোহন রায়
গ. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
ঘ. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
উত্তরঃ কোনটি সঠিক নয়।
ব্যাখ্যাঃ

বাংলা সাহিত্যের জনক বলে কেউ নেই। ‘বাংলা গদ্যের জনক’ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। বাংলা উপন্যাসের জনক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। মাইকেল মধুসূদন দত্ত আধুনিক বাংলা কবিতার জনক। রাজা রামমোহন রায় ব্রাহ্ম সমাজের প্রতিষ্ঠাতা।

ক. তিলোত্তমা কাব্য
খ. মেঘনাদ বধ কাব্য
গ. বেতাল পঞ্চবিংশতি
ঘ. বীরাঙ্গনা
উত্তরঃ বেতাল পঞ্চবিংশতি
ব্যাখ্যাঃ

মাইকেল মধুসূদন দত্তের রচনা নয় গঃ বেতাল পঞ্চবিংশতি

  • বেতাল পঞ্চবিংশতি হলো ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের একটি বিখ্যাত গদ্য রচনা।
  • তিলোত্তমা কাব্য, মেঘনাদ বধ কাব্য, এবং বীরাঙ্গনা - এই তিনটিই মাইকেল মধুসূদন দত্তের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ।
ক. মাইকেল মধুসূদন দত্ত
খ. দীনবন্ধু মিত্র
গ. রামনারায়ণ তর্করত্ন
ঘ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
উত্তরঃ রামনারায়ণ তর্করত্ন
ব্যাখ্যাঃ

‘কুলীন কুলসর্বস্ব’ নাটকটি লিখেছেন গঃ রামনারায়ণ তর্করত্ন

এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম মৌলিক নাটক হিসেবে বিবেচিত হয়, যা ১৮৫৪ সালে প্রকাশিত হয়েছিল।

ক. নীলকরদের অত্যাচার
খ. ভাষা আন্দোলন
গ. অসহযোগ আন্দোলন
ঘ. তে-ভাগা আন্দোলন
উত্তরঃ নীলকরদের অত্যাচার
ব্যাখ্যাঃ

‘নীল দর্পণ’ নাটকটির বিষয়বস্তু হলো কঃ নীলকরদের অত্যাচার

এই নাটকটি দীনবন্ধু মিত্র ১৮৬০ সালে রচনা করেন, যেখানে ব্রিটিশ নীলকরদের দ্বারা বাংলার কৃষকদের ওপর চালানো নির্মম অত্যাচার ও শোষণের বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এটি বাংলা সাহিত্যে একটি অত্যন্ত প্রভাবশালী নাটক হিসেবে পরিচিত।

ক. আলাওল
খ. কাজী দীন মহম্মদ
গ. কাজী মোতাহের হোসেন
ঘ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ব্যাখ্যাঃ

‘ঘরে বাইরে’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি বিখ্যাত উপন্যাস, যা ১৯১৬ সালে প্রকাশিত হয়। এটি রবীন্দ্রনাথের প্রথম চলিত ভাষায় লেখা উপন্যাস। উপন্যাসটি সবুজপত্র পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল।

১. পটভূমি ও বিষয়বস্তু: উপন্যাসটির মূল পটভূমি হলো বঙ্গভঙ্গ বিরোধী স্বদেশী আন্দোলন। রবীন্দ্রনাথ এই উপন্যাসে একদিকে জাতিপ্রেম ও সংকীর্ণ স্বাদেশিকতার সমালোচনা করেছেন, অন্যদিকে সমাজ ও প্রথা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নারী-পুরুষের সম্পর্ক, বিশেষত পরস্পরের আকর্ষণ-বিকর্ষণের মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করেছেন। এটি একটি রাজনৈতিক উপন্যাস হলেও এর গভীরে রয়েছে নারী-পুরুষের সম্পর্ক, আদর্শের সংঘাত এবং ব্যক্তির আত্ম-অনুসন্ধানের জটিল ধারা।

ক. পঞ্চতন্ত্র
খ. কালান্তর
গ. প্রবন্ধ সংগ্রহ
ঘ. শাশ্বত বঙ্গ
উত্তরঃ পঞ্চতন্ত্র
ব্যাখ্যাঃ

সৈয়দ মুজতবা আলীর প্রবন্ধ গ্রন্থ হলো কঃ পঞ্চতন্ত্র

  • পঞ্চতন্ত্র তাঁর একটি বিখ্যাত রম্যরচনার সংকলন।
  • কালান্তর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধ গ্রন্থ।
  • প্রবন্ধ সংগ্রহ একটি সাধারণ নাম, যা বিভিন্ন লেখকের প্রবন্ধের সংকলন হতে পারে, তবে এটি নির্দিষ্টভাবে সৈয়দ মুজতবা আলীর কোনো একক গ্রন্থের নাম নয়।
  • শাশ্বত বঙ্গ কাজী আবদুল ওদুদের প্রবন্ধ গ্রন্থ।
ক. অক্ষয়কুমার দত্ত
খ. প্যারীচাঁদ মিত্র
গ. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
ঘ. সৈয়দ মুজতবা আলী
উত্তরঃ অক্ষয়কুমার দত্ত
ব্যাখ্যাঃ

‘তত্ত্ববোধিনী’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন কঃ অক্ষয়কুমার দত্ত

এটি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত তত্ত্ববোধিনী সভা থেকে ১৮৪৩ সালে প্রকাশিত হয়।

ক. কবর
খ. পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়
গ. জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন
ঘ. ওরা কদম আলী
উত্তরঃ কবর
ব্যাখ্যাঃ

ভাষা আন্দোলনভিত্তিক নাটকটি হলো কঃ কবর

মুনীর চৌধুরী এই নাটকটি ১৯৫৩ সালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বসে রচনা করেন, যা ভাষা আন্দোলনের পটভূমিতে রচিত একটি ঐতিহাসিক নাটক।

ক. দীনবন্ধু মিত্র
খ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
গ. প্রমথ চৌধুরী
ঘ. জীবনানন্দ দাস
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ব্যাখ্যাঃ

‘ভানুসিংহ ঠাকুর’ ছদ্মনামটি হলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই ছদ্মনামে তাঁর বৈষ্ণব পদাবলীর অনুকরণে রচিত কিছু কবিতা ও গান লিখেছিলেন।

ক. চৈতালী
খ. রাখালী
গ. ফনিমনসা
ঘ. আলো পৃথিবী
উত্তরঃ রাখালী
ব্যাখ্যাঃ

পল্লীকবি জসীমউদ্দীন রচিত কাব্যটি হলো রাখালী

এটি জসীমউদ্দীনের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ, যা তাঁকে পল্লীকবি হিসেবে খ্যাতি এনে দিয়েছিল। এতে গ্রামীণ জীবন ও প্রকৃতির বিভিন্ন দিক সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে।

ক. শওকত ওসমান
খ. সিকান্দার আবু জাফর
গ. সুফিয়া কামাল
ঘ. শামসুর রাহমান
উত্তরঃ শামসুর রাহমান
ব্যাখ্যাঃ

‘তুমি আসবে বলে হে স্বাধীনতা’ কবিতাটি শামসুর রাহমান-এর লেখা।

এটি তাঁর অন্যতম বিখ্যাত কবিতা, যা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে রচিত হয়েছে।

ক. হুমায়ূন আহমেদ
খ. তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
গ. বুদ্ধদেব বসু
ঘ. সেলিনা হোসেন
উত্তরঃ হুমায়ূন আহমেদ
ক. ক্রীতদাসের হাসি
খ. মাটি আর অশ্রু
গ. হাঙর নদী গ্রেনেড
ঘ. সারেং বউ
উত্তরঃ হাঙর নদী গ্রেনেড
ক. আবদুল গাফফার চৌধুরী
খ. আসাদ চৌধুরী
গ. আলতাফ মাহমুদ
ঘ. আব্দুল লতিফ
উত্তরঃ আব্দুল লতিফ
ব্যাখ্যাঃ

‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি’ – এই গানের প্রথম সুরকার ছিলেন আবদুল লতিফ

পরবর্তীতে, শহীদ সুরকার আলতাফ মাহমুদ এই গানটিতে নতুন করে সুরারোপ করেন এবং তাঁর সুরটিই বর্তমানে অধিক জনপ্রিয় ও প্রচলিত। গানের রচয়িতা হলেন আবদুল গাফফার চৌধুরী।

ক. সৈয়দ আলী আহসান
খ. সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ
গ. সৈয়দ শামসুল হক
ঘ. সিকান্দার আবু জাফর
উত্তরঃ সৈয়দ আলী আহসান
ব্যাখ্যাঃ

১৯৮৫ সালে সৈয়দ আলী আহসান নাসির উদ্দিন স্বর্ণপদক লাভ করেন। তিনি একজন খ্যাতনামা সাহিত্যিক, কবি, সাহিত্য সমালোচক, অনুবাদক, প্রাবন্ধিক ও শিক্ষাবিদ ছিলেন।

২১. Who is known as the 'Lady with the Lamp'?

[ বিসিএস ৩৪তম ]

ক. Sorojini Naidu
খ. Hellen Killer
গ. Florence Nightingale
ঘ. Madame Teresa
উত্তরঃ Florence Nightingale
ব্যাখ্যাঃ

দ্য লেডি উইথ দ্য ল্যাম্প' (The Lady with the Lamp) নামে পরিচিত ব্যক্তিটি হলেন ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল (Florence Nightingale)

ক্রিমিয়ার যুদ্ধের (১৮৫৩-১৮৫৬) সময় একজন নার্স হিসেবে তাঁর নিবেদিত কাজের জন্য তিনি এই উপাধি লাভ করেন। রাতের বেলা হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলিতে আহত সৈন্যদের খোঁজ নিতে তিনি প্রায়শই একটি প্রদীপ হাতে ঘুরে বেড়াতেন। স্যানিটেশন এবং রোগীর যত্নের উন্নতিতে তাঁর প্রচেষ্টাই আধুনিক নার্সিংয়ের ভিত্তি স্থাপন করেছিল।

ক. Physics and Chemistry
খ. Physiology or Medicine
গ. Literature, Peace and Economics
ঘ. All of the above
উত্তরঃ All of the above
ব্যাখ্যাঃ

নোবেল পুরস্কার নিম্নলিখিত বিষয়গুলোতে প্রদান করা হয়:

  • পদার্থবিজ্ঞান (Physics)
  • রসায়ন (Chemistry)
  • শারীরতত্ত্ব বা চিকিৎসা বিজ্ঞান (Physiology or Medicine)
  • সাহিত্য (Literature)
  • শান্তি (Peace)
  • অর্থনীতি (Economics) (আনুষ্ঠানিকভাবে "আলফ্রেড নোবেলের স্মৃতিতে সুইডেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অর্থনীতি বিজ্ঞান পুরস্কার")

সুতরাং, সঠিক উত্তর হলো: ঘঃ All of the above (উপরের সবগুলো)

২৩. Lunar eclipse occurs on-

[ বিসিএস ৩৪তম ]

ক. A new moon day
খ. A full moon day
গ. A half moon day
ঘ. A moonless day
উত্তরঃ A full moon day
ব্যাখ্যাঃ

চন্দ গ্রহণ ঘটে খঃ A full moon day (পূর্ণিমা তিথিতে)।

চন্দ্রগ্রহণ তখনই ঘটে যখন সূর্য, পৃথিবী এবং চাঁদ একই সরলরেখায় আসে এবং পৃথিবী চাঁদ ও সূর্যের মাঝে অবস্থান করে, ফলে পৃথিবীর ছায়া চাঁদের ওপর পড়ে। এটি কেবল পূর্ণিমা তিথিতেই ঘটতে পারে।

২৪. World 'No-Tobacco Day' is observed on-

[ বিসিএস ৩৪তম ]

ক. May 25
খ. May 28
গ. May 30
ঘ. May 31
উত্তরঃ May 31
ব্যাখ্যাঃ

World 'No-Tobacco Day' (বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস) প্রতি বছর ঘঃ May 31 তারিখে পালন করা হয়।

ক. Desert Ecosystem
খ. Mountain Ecosystem
গ. Fresh water Ecosystem
ঘ. Marine Ecosystem
উত্তরঃ Marine Ecosystem
ব্যাখ্যাঃ

নিম্নলিখিত বাস্তুতন্ত্রগুলোর মধ্যে ঘঃ Marine Ecosystem (সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র) পৃথিবীর পৃষ্ঠের বৃহত্তম অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত।

পৃথিবীর পৃষ্ঠের প্রায় ৭১% অংশ জল দ্বারা আবৃত, যার অধিকাংশই সমুদ্র। এই বিশাল জলরাশি বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র নিয়ে গঠিত, যা মরুভূমি, পর্বত বা স্বাদু জলের বাস্তুতন্ত্রের চেয়ে অনেক বেশি এলাকা জুড়ে বিস্তৃত।

ক. 24 yards
খ. 23 yards
গ. 22 yards
ঘ. 21 yards
উত্তরঃ 22 yards
ব্যাখ্যাঃ

ক্রিকেট খেলায় দুইটি উইকেটের মাঝখানের পিচের দৈর্ঘ্য হলো গঃ ২২ গজ

ক. Hawana Conference
খ. Geneva Conference
গ. Rome Conference
ঘ. Brettonwood Conference
উত্তরঃ Brettonwood Conference
ব্যাখ্যাঃ

International Monetary Fund (IMF) বা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল গঠিত হয়েছিল ঘঃ Brettonwood Conference (ব্রেটন উডস সম্মেলন)-এর ফলস্বরূপ।

১৯৪৪ সালের জুলাই মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ারের ব্রেটন উডস শহরে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং ভবিষ্যতে ১৯৩০-এর দশকের মতো অর্থনৈতিক সংকট এড়াতে একটি নতুন বৈশ্বিক আর্থিক কাঠামো তৈরির লক্ষ্য নিয়ে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। এই সম্মেলনেই IMF এবং বিশ্বব্যাংক (International Bank for Reconstruction and Development - IBRD, যা পরবর্তীতে World Bank Group-এর অংশ হয়) প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

২৮. Dengue fever is spread by -

[ বিসিএস ৩৪তম ]

ক. Aedes aegypti mosquito
খ. Common House flies
গ. Anophilies mosquito
ঘ. Rats and squirrels
উত্তরঃ Aedes aegypti mosquito
ব্যাখ্যাঃ

ডেঙ্গু জ্বর ছড়ায় কঃ Aedes aegypti mosquito (এডিস ইজিপ্টি মশা)-এর মাধ্যমে।

২৯. The International Court of Justice is located in-

[ বিসিএস ৩৪তম ]

ক. New York
খ. London
গ. Geneva
ঘ. Hague
উত্তরঃ Hague
ব্যাখ্যাঃ

The International Court of Justice (ICJ) হলো জাতিসংঘের প্রধান বিচারিক অঙ্গ। এটি নেদারল্যান্ডসের Hague (হেগ) শহরে অবস্থিত।

৩০. $$\sqrt{169}$$ is equal to -

[ বিসিএস ৩৪তম ]

ক. 11
খ. 13
গ. 15
ঘ. 17
উত্তরঃ 13
ব্যাখ্যাঃ $\sqrt{169}$ এর মান হলো ১৩

৩১. Badminton is the national sport of-

[ বিসিএস ৩৪তম ]

ক. Malaysia
খ. Scotland
গ. China
ঘ. Nepal
উত্তরঃ Malaysia
ব্যাখ্যাঃ

ব্যাডমিন্টন হলো মালয়েশিয়া-র জাতীয় খেলা।

  • স্কটল্যান্ডের জাতীয় খেলা হলো শিন্টি (Shinty)
  • চীনের জাতীয় খেলা হলো টেবিল টেনিস (Table Tennis)
  • নেপালের জাতীয় খেলা হলো ভলিবল (Volleyball)

৩২. EURO is the currency of-

[ বিসিএস ৩৪তম ]

ক. Asia
খ. Europe
গ. America
ঘ. Africa
উত্তরঃ Europe
ব্যাখ্যাঃ

EURO (ইউরো) হলো Europe (ইউরোপ)-এর মুদ্রা। এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের (European Union) অনেক সদস্য রাষ্ট্রের সাধারণ মুদ্রা।

৩৩. Photosynthesis takes place in-

[ বিসিএস ৩৪তম ]

ক. Roots of the plants
খ. Stems of the plants
গ. Green parts of the plants
ঘ. All parts of the plants
উত্তরঃ Green parts of the plants
ব্যাখ্যাঃ

উদ্ভিদের Green parts of the plants (সবুজ অংশ)-এ সালোকসংশ্লেষণ (Photosynthesis) ঘটে।

বিশেষ করে পাতায় ক্লোরোফিল নামক সবুজ রঞ্জক পদার্থের উপস্থিতির কারণে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়, যদিও কচি কাণ্ড বা উদ্ভিদের অন্যান্য সবুজ অংশও এতে অংশ নিতে পারে।

৩৪. The term PC means-

[ বিসিএস ৩৪তম ]

ক. Private Computer
খ. Prime Computer
গ. Personal Computer
ঘ. Professional Computer
উত্তরঃ Personal Computer
ব্যাখ্যাঃ

The term PC means Personal Computer

ক. am
খ. was
গ. were
ঘ. shall be
উত্তরঃ were
ব্যাখ্যাঃ

বাক্যটি একটি আকাঙ্ক্ষা বা অবাস্তব পরিস্থিতি বোঝাচ্ছে ("যদি আমি রাজা হতাম!")। এই ধরনের ক্ষেত্রে, "if" ক্লজ-এ (যদি) বর্তমানের অবাস্তব অবস্থা বোঝাতে সকল পুরুষের (I, he, she, it, we, you, they) সাথে 'were' ব্যবহার করা হয়। এটি ইংরেজি ব্যাকরণের সাবজাঙ্কটিভ মুডের (subjunctive mood) একটি নিয়ম।

সুতরাং, সঠিক বাক্যটি হবে: If I were a king!

৩৬. Tiger : Zoology:: Mars:-

[ বিসিএস ৩৪তম | বিসিএস ২৮তম ]

ক. Astrology
খ. Cryptology
গ. Astronomy
ঘ. Telescopy
উত্তরঃ Astronomy
ব্যাখ্যাঃ

Astrology বলতে বোঝায় জ্যোতিষ, জ্যোতি তত্ত্ব। Cryptology হলো The art of writing or solving codes। Astronomy হলো গ্রহ, তারা, চাঁদ, সূর্য ইত্যাদির বিজ্ঞানসম্মত অধ্যয়ন। Telescopy হলো দূরের জিনিস সহজে অনুধাবনের বিজ্ঞান। প্রশ্নে Tiger প্রাণী যেমন Zoology অর্থাৎ প্রাণিবিজ্ঞানের সাথে সম্পৃক্ত, ঠিক তেমনি Mars অর্থাৎ মঙ্গলগ্রহ Astronomy-এর সাথে সম্পর্কিত।

৩৭. Maiden speech means-

[ বিসিএস ৩৪তম ]

ক. First speech
খ. Middle speech
গ. Maid servant
ঘ. Final speech
উত্তরঃ First speech
ব্যাখ্যাঃ

Maiden speech (মেইডেন স্পিচ) বলতে বোঝায় First speech (প্রথম বক্তৃতা)।

এটি সাধারণত একজন ব্যক্তি কোনো নতুন প্রেক্ষাপটে, যেমন পার্লামেন্টে বা কোনো নতুন পদে যোগদানের পর যে প্রথম বক্তৃতা দেন, তাকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।

৩৮. N.B. stands for -

[ বিসিএস ৩৪তম ]

ক. Note before
খ. No bar
গ. Non bearing
ঘ. Nota bene
উত্তরঃ Nota bene
ব্যাখ্যাঃ

N.B. stands for Nota bene

'Nota bene' একটি ল্যাটিন শব্দগুচ্ছ যার অর্থ হলো "ভালো করে খেয়াল করুন" বা "বিশেষভাবে লক্ষ্য করুন"। এটি সাধারণত লিখিত তথ্যে গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয়কে নির্দেশ করার জন্য ব্যবহৃত হয়।

৩৯. What is the masculine gender of "mare"?

[ বিসিএস ৩৪তম ]

ক. Mermaid
খ. Bear
গ. Stallion
ঘ. Dog
উত্তরঃ Stallion
ব্যাখ্যাঃ

The masculine gender of "mare" (ঘোড়ী) is Stallion (ঘোড়া)।

  • Mermaid (জলপরী) - কাল্পনিক নারী সত্তা।
  • Bear (ভালুক) - একটি প্রাণী, কিন্তু ঘোড়ার লিঙ্গান্তর নয়।
  • Dog (কুকুর) - একটি প্রাণী, কিন্তু ঘোড়ার লিঙ্গান্তর নয়।

৪০. Botany is to plants as Zoology is to -

[ বিসিএস ৩৪তম ]

ক. Flowers
খ. Rivers
গ. Mountains
ঘ. Animals
উত্তরঃ Animals
ব্যাখ্যাঃ

Botany (উদ্ভিদবিদ্যা) যদি উদ্ভিদ (plants) এর সাথে সম্পর্কিত হয়, তাহলে Zoology (প্রাণীবিদ্যা) সম্পর্কিত হলো Animals (প্রাণী) এর সাথে।

  • Botany হলো জীববিজ্ঞানের সেই শাখা যা উদ্ভিদ নিয়ে অধ্যয়ন করে।
  • Zoology হলো জীববিজ্ঞানের সেই শাখা যা প্রাণী নিয়ে অধ্যয়ন করে।
ক. ৭ মার্চ, ১৯৭১ খ্রি.
খ. ২৬ মার্চ, ১৯৭১ খ্রি.
গ. ১০ এপ্রিল, ১৯৭১ খ্রি.
ঘ. ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ খ্রি.
উত্তরঃ ১০ এপ্রিল, ১৯৭১ খ্রি.
ব্যাখ্যাঃ

১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগরে স্বাধীন বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠিত হয়।

তবে, এই সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে এবং কার্যক্রম শুরু করে ১৭ এপ্রিল, ১৯৭১ তারিখে, মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলা গ্রামে (যা পরবর্তীতে মুজিবনগর নামে পরিচিতি লাভ করে)।

ক. ১ মার্চ, ১৯১৯ খ্রি
খ. ১৭ মার্চ, ১৯২০ খ্রি.
গ. ১৪ আগস্ট, ১৯৪৭ খ্রি
ঘ. ২১ জুন, ১৯৪১ খ্রি.
উত্তরঃ ১৭ মার্চ, ১৯২০ খ্রি.
ব্যাখ্যাঃ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

ক. নোয়াখালী
খ. ফেনী
গ. লালমনিরহাট
ঘ. সাতক্ষীরা
উত্তরঃ ফেনী
ব্যাখ্যাঃ

বহুল আলোচিত মুহুরীর চর হলো বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে অবস্থিত একটি বিতর্কিত ভূখণ্ড। এটি ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলার বিলোনিয়া সীমান্তবর্তী এলাকায় মুহুরী নদীর পাশে অবস্থিত।

এই চরের মালিকানা নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। মুহুরী নদীর ভাঙনের ফলে এই চরের সৃষ্টি হয়েছে এবং নদীর গতিপথ পরিবর্তনের কারণে এর সীমানা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। দেশ বিভাগের পর থেকেই এই চর নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে উত্তেজনা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

যদিও উভয় দেশের মধ্যে একাধিকবার যৌথ জরিপ হয়েছে এবং কিছু অংশে সীমানা চিহ্নিত করা হয়েছে, তবে এখনও কিছু অমীমাংসিত অংশ রয়ে গেছে। এই চর ভৌগোলিক ও কৌশলগত দিক থেকে উভয় দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।

সংক্ষেপে, মুহুরীর চর হলো:

  • অবস্থান: ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলার বিলোনিয়া সীমান্ত, মুহুরী নদী সংলগ্ন।
  • বৈশিষ্ট্য: এটি মুহুরী নদীর ভাঙনের ফলে জেগে ওঠা একটি চর।
  • আলোচনার কারণ: এর মালিকানা নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিনের সীমান্ত বিরোধ রয়েছে।
ক. ১৯৪৭ খ্রি.
খ. ১৯৫৮ খ্রি.
গ. ১৯৬৪ খ্রি
ঘ. ১৯৬৫ খ্রি.
উত্তরঃ ১৯৬৪ খ্রি
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) যাত্রা শুরু হয় ১৯৬৪ সালের ২৫শে ডিসেম্বর

তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে একটি পাইলট প্রকল্প হিসেবে ঢাকার ডিআইটি ভবনের (বর্তমানে রাজউক কার্যালয়) দুটি কক্ষে মাত্র ৩ ঘণ্টা সম্প্রচার কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। সেই সময় এটি পাকিস্তান টেলিভিশন নামে পরিচিত ছিল।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর, ১৯৭২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতির আদেশ (পি.ও নং-১১৫) দ্বারা এটি একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ টেলিভিশন নামে রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলে রূপান্তরিত হয়।

১৯৭৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বিটিভি রামপুরার নিজস্ব টিভি ভবনে স্থানান্তরিত হয় এবং ওই বছর ৬ মার্চ থেকে রামপুরা টিভি ভবনে নতুন আঙ্গিকে সম্প্রচার কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৮০ সালে বিটিভির রঙিন সম্প্রচার শুরু হয়। বর্তমানে ঢাকা ও চট্টগ্রাম কেন্দ্র থেকে ২৪ ঘণ্টা অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হয় এবং স্যাটেলাইটের মাধ্যমে এটি বিশ্বব্যাপী সম্প্রচারিত হচ্ছে।

ক. ৭ মার্চ, ১৯৭৩ খ্রি.
খ. ৭ এপ্রিল, ১৯৭৩ খ্রি
গ. ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২ খ্রি.
ঘ. ৭ ডিসেম্বর, ১৯৭২ খ্রি.
উত্তরঃ ৭ মার্চ, ১৯৭৩ খ্রি.
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ। এই নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২৯৩টি আসন পেয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে।

ক. ১৭৫৭ খ্রি.
খ. ১৭৭০ খ্রি.
গ. ১৮৫৭ খ্রি.
ঘ. ১৭৯৩ খ্রি.
উত্তরঃ ১৭৯৩ খ্রি.
ব্যাখ্যাঃ

চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত (Permanent Settlement) প্রবর্তন করেন লর্ড কর্নওয়ালিস

এটি ১৭৯৩ সালের ২২ মার্চ বাংলা, বিহার এবং উড়িষ্যায় প্রবর্তন করা হয়। এর মাধ্যমে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সরকার ও বাংলার জমিদারদের মধ্যে জমির রাজস্ব আদায় সংক্রান্ত একটি স্থায়ী চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল। এই ব্যবস্থার আওতায় জমিদাররা জমির স্থায়ী মালিকানা লাভ করেন এবং সরকারকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ রাজস্ব প্রদান করতে বাধ্য থাকেন।

ক. এডিবি
খ. বিশ্বব্যাংক
গ. জাইকা
ঘ. আইএমএফ
উত্তরঃ বিশ্বব্যাংক
ক. গোমতী
খ. জিঞ্জিরাম
গ. নাফ
ঘ. কর্ণফুলী
উত্তরঃ নাফ
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের (পূর্বের বার্মা) সীমান্তবর্তী প্রধান নদী হলো নাফ নদী

নাফ নদী বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলা এবং মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে। এটি দুই দেশের আন্তর্জাতিক সীমানার একটি অংশ হিসেবে কাজ করে।

এছাড়াও, কিছু ছোট নদী বা ছড়া এই সীমান্ত বরাবর রয়েছে, তবে নাফ নদীই সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সীমান্তবর্তী নদী।

ক. প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
খ. অর্থ মন্ত্রণালয়
গ. বাংলাদেশ ব্যাংক
ঘ. সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন
উত্তরঃ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশে শেয়ারবাজার কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (BSEC)

বিএসইসি (BSEC) হলো বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের প্রধান নিয়ন্ত্রক সংস্থা, যা সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ আইন, ১৯৯৩ দ্বারা গঠিত। এর প্রধান কাজ হলো শেয়ারবাজারের কার্যক্রম তদারকি করা, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা করা এবং একটি স্বচ্ছ ও স্থিতিশীল বাজার নিশ্চিত করা।

ক. অর্থ মন্ত্রণালয়
খ. প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
গ. বাংলাদেশ ব্যাংক
ঘ. সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন
উত্তরঃ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশে শেয়ারবাজার কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (BSEC)

বিএসইসি (BSEC) হলো বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের প্রধান নিয়ন্ত্রক সংস্থা, যা সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ আইন, ১৯৯৩ দ্বারা গঠিত। এর প্রধান কাজ হলো শেয়ারবাজারের কার্যক্রম তদারকি করা, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা করা এবং একটি স্বচ্ছ ও স্থিতিশীল বাজার নিশ্চিত করা।

ক. ফুটবল খেলোয়াড়
খ. অর্থনীতিবিদ
গ. কবি
ঘ. বৈজ্ঞানিক
উত্তরঃ বৈজ্ঞানিক
ব্যাখ্যাঃ

জামাল নজরুল ইসলাম (জন্ম: ১৯৩৯, ঝিনাইদহ - মৃত্যু: ২০১৩, ঢাকা) ছিলেন একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশী পদার্থবিজ্ঞানী, গণিতবিদ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও বিশ্বতাত্ত্বিক (Cosmologist)। তিনি কৃষ্ণগহ্বর (Black Hole) এবং আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্ব (General Relativity) নিয়ে গবেষণার জন্য বিশেষভাবে পরিচিত।

তাঁর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি:

  • শিক্ষাজীবন: তিনি ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন এবং সেন্ট গ্রেগরী হাই স্কুল থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এসসি. এবং ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ. ও পিএইচ.ডি. ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (ক্যালটেক) এবং প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বিশ্বসেরা প্রতিষ্ঠানেও গবেষণা করেছেন।
  • কর্মজীবন: তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, কিং'স কলেজ লন্ডন, ইউনিভার্সিটি কলেজ কার্ডিফ এবং প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা ও গবেষণার কাজ করেছেন। ১৯৮৪ সালে তিনি দেশে ফিরে এসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন এবং সেন্টার ফর ম্যাথমেটিকাল অ্যান্ড ফিজিক্যাল সায়েন্স (সিএমপিএস) প্রতিষ্ঠা করেন।
  • গবেষণা ও অবদান: তাঁর গবেষণার মূল ক্ষেত্র ছিল গাণিতিক পদার্থবিজ্ঞান, বিশেষ করে মহাকর্ষ এবং বিশ্বতত্ত্ব। তিনি আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার তত্ত্বের ওপর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন এবং কৃষ্ণগহ্বর ও মহাবিশ্বের ভবিষ্যৎ নিয়ে মৌলিক গবেষণা করেন।
  • স্বীকৃতি ও পুরস্কার: বিজ্ঞান গবেষণায় তাঁর অবদানের জন্য তিনি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক একুশে পদক (১৯৯৫) লাভ করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি স্বর্ণপদকসহ বিভিন্ন সম্মাননা পেয়েছেন।
  • প্রকাশনা: তাঁর বেশ কিছু গবেষণাপত্র ও বই প্রকাশিত হয়েছে, যার মধ্যে 'The Ultimate Fate of the Universe' (মহাবিশ্বের চূড়ান্ত পরিণতি) বইটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য এবং এটি বহুল প্রশংসিত।
  • দেশের প্রতি ভালোবাসা: বিদেশে উচ্চমানের গবেষণার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি দেশের প্রতি ভালোবাসা থেকে ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশে ফিরে এসে দেশের বিজ্ঞান শিক্ষায় অবদান রেখে গেছেন।

সংক্ষেপে, জামাল নজরুল ইসলাম ছিলেন বাংলাদেশের একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিজ্ঞানী যিনি পদার্থবিজ্ঞান ও বিশ্বতত্ত্ব গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

ক. UNDP
খ. UNESCO
গ. UNICEF
ঘ. UNCTAD
উত্তরঃ UNESCO
ব্যাখ্যাঃ

২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর

জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো (UNESCO) তাদের ৩০তম সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রস্তাবকে সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করে এবং ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ২০০০ সাল থেকে সারা বিশ্বে এই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।

ক. সিউল
খ. আম্মান
গ. কায়রো
ঘ. তেহরান
উত্তরঃ কায়রো
ব্যাখ্যাঃ

'তাহরির স্কয়ার' (Tahrir Square) মিশরের রাজধানী কায়রোতে অবস্থিত একটি বিখ্যাত চত্বর। এটি আরবিতে 'মেইদান আত-তাহরির' (Mīdān at-Taḥrīr) নামে পরিচিত, যার অর্থ 'মুক্তির চত্বর' (Liberation Square)।

যে কারণে এটি বহুল আলোচিত:

  • মিশরীয় বিপ্লব ২০১১ (আরব বসন্ত): তাহরির স্কয়ার বিশ্বজুড়ে পরিচিতি লাভ করে ২০১১ সালের মিশরীয় বিপ্লবের (আরব বসন্তের অংশ) মূল কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের ৩০ বছরের শাসনের অবসানের দাবিতে লক্ষ লক্ষ মানুষ এই চত্বরে সমবেত হয়ে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিল। এই বিক্ষোভ বিশ্বজুড়ে ব্যাপক নজর কেড়েছিল এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এর ব্যাপক কাভারেজ হয়েছিল।

ইতিহাস:

  • উনিশ শতকে এটি মূলত 'ইসমাইলিয়া স্কয়ার' নামে পরিচিত ছিল, মিশরের তৎকালীন শাসক খেদিভ ইসমাইলের নামে। তিনি প্যারিসের আদলে কায়রোর ডাউনটাউন এলাকার পরিকল্পনা করেছিলেন।
  • ১৯১৯ সালের মিশরীয় বিপ্লবের পর এর নাম অনানুষ্ঠানিকভাবে 'তাহরির স্কয়ার' হয়ে ওঠে, যা স্বাধীনতার প্রতীক।
  • ১৯৫২ সালের মিশরীয় বিপ্লবের পর এই নামটি সরকারিভাবে গৃহীত হয়।

বর্তমানে তাহরির স্কয়ার কায়রোর একটি গুরুত্বপূর্ণ জনসমাগমস্থল এবং ব্যস্ত ট্রাফিক চত্বর। তবে এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব, বিশেষ করে ২০১১ সালের বিপ্লবের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে, এটিকে বিশ্বজুড়ে পরিচিত করে তুলেছে।

ক. নাইজেরিয়া
খ. ভারত
গ. মালয়েশিয়া
ঘ. তুরস্ক
উত্তরঃ ভারত
ব্যাখ্যাঃ

D-৮ বা ডেভেলপিং এইট (Developing Eight) হলো আটটি উন্নয়নশীল মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ নিয়ে গঠিত একটি অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোট।

এই জোটের সদস্য দেশগুলো হলো:

১. বাংলাদেশ ২. মিশর (Egypt) ৩. ইন্দোনেশিয়া (Indonesia) ৪. ইরান (Iran) ৫. মালয়েশিয়া (Malaysia) ৬. নাইজেরিয়া (Nigeria) ৭. পাকিস্তান (Pakistan) ৮. তুরস্ক (Türkiye)

এই জোটটি ১৯৯৭ সালের ১৫ জুন ইস্তাম্বুলে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর মূল লক্ষ্য হলো সদস্য দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা, ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ করা এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অংশগ্রহণ বাড়ানো। এটি ভৌগোলিকভাবে বিস্তৃত একটি জোট, যা আফ্রিকা, ইউরোপ এবং এশিয়া মহাদেশের দেশগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে।

ক. লন্ডন
খ. নিউইয়র্ক
গ. প্যারিস
ঘ. ভিয়েনা
উত্তরঃ লন্ডন
ব্যাখ্যাঃ

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল একটি আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা (NGO) যা মানবাধিকার নিয়ে কাজ করে। এটি বিশ্বজুড়ে মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষায় নিবেদিত।


প্রতিষ্ঠা ও সদর দপ্তর

১৯৬১ সালের ২৮ মে ব্রিটিশ আইনজীবী পিটার বেনেনসন এই সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করেন। 'অন্ধকারকে অভিশাপ দেওয়ার চেয়ে একটি মোমবাতি জ্বালানো উত্তম' - এই নীতিবাক্য নিয়ে এটি কাজ করে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সদর দপ্তর লন্ডনে অবস্থিত।


লক্ষ্য ও কার্যক্রম

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মূল লক্ষ্য হলো বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করা এবং মানবাধিকারের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা নিশ্চিত করা। তারা যে সকল বিষয় নিয়ে কাজ করে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

  • বিচারের অধিকার: বিনাবিচারে আটক ব্যক্তিদের মুক্তি, রাজবন্দিদের স্বচ্ছ ও দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা।
  • নির্যাতনের অবসান: সব ধরনের শারীরিক ও মানসিক উৎপীড়ন এবং নির্যাতনের বিরুদ্ধে কাজ করা।
  • মৃত্যুদণ্ড বিলোপ: বিশ্বের সব দেশ থেকে মৃত্যুদণ্ড প্রথা তুলে দেওয়ার জন্য প্রচারণা চালানো।
  • অভিবাসী ও শরণার্থীদের অধিকার: তাদের মৌলিক অধিকার রক্ষা করা এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
  • নারী, শিশু, সংখ্যালঘু ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের অধিকার: তাদের প্রতি সকল বৈষম্য ও নির্যাতন বন্ধে কাজ করা।
  • মতপ্রকাশের স্বাধীনতা: মানুষের স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের অধিকার সুরক্ষিত রাখা।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো গবেষণা করে, তথ্য সংগ্রহ করে এবং জনসমক্ষে তুলে ধরে। তারা বিভিন্ন প্রচার অভিযান, চিঠি লেখা, পিটিশন এবং আইনগত পরামর্শের মাধ্যমে সরকার ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি করে যাতে মানবাধিকার সুরক্ষিত থাকে।

স্বীকৃতি

মানবতার প্রতি অসাধারণ অবদানের জন্য অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালকে ১৯৭৭ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার এবং ১৯৭৮ সালে জাতিসংঘ মানবাধিকার পুরস্কার প্রদান করা হয়।

ক. আরবের বিভিন্ন দেশে গণজাগরণ
খ. আরব অঞ্চলে বসন্তকাল
গ. আরব রাজতন্ত্র
ঘ. আরবীয় মহিলাদের ক্ষমতায়ন
উত্তরঃ আরবের বিভিন্ন দেশে গণজাগরণ
ব্যাখ্যাঃ

'আরব বসন্ত' (Arab Spring) বলতে মূলত ২০১০ সালের শেষ দিক থেকে শুরু হয়ে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার কয়েকটি আরব দেশে ছড়িয়ে পড়া গণবিক্ষোভ, অভ্যুত্থান এবং সরকারবিরোধী আন্দোলনকে বোঝায়। পশ্চিমা গণমাধ্যম এই আন্দোলনগুলোকে 'আরব বসন্ত' নামে অভিহিত করে।

সূচনা ও বিস্তার: আরব বসন্তের সূচনা হয় ২০১০ সালের ১৭ ডিসেম্বর তিউনিসিয়ায়। মোহাম্মদ বুয়াজ্জিজি নামের এক ফল বিক্রেতার আত্মাহুতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিউনিসিয়ায় ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়, যা ২৩ বছরের স্বৈরশাসক জাইনুল আবেদিন বেন আলীর পতন ঘটায়। তিউনিসিয়ার এই সাফল্য অন্যান্য আরব দেশের জনগণকে উৎসাহিত করে এবং আন্দোলন দ্রুত মিশর, লিবিয়া, ইয়েমেন, সিরিয়া ও বাহরাইনসহ অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়ে।

আন্দোলনের মূল কারণসমূহ: এই গণবিক্ষোভের পেছনে বেশ কিছু সাধারণ কারণ ছিল:

  • দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসন ও রাজতন্ত্র: বেশিরভাগ আরব দেশে বহু দশক ধরে অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরশাসকদের শাসন চলছিল।
  • দুর্নীতি: সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ব্যাপক দুর্নীতি।
  • দুর্বল অর্থনীতি ও উচ্চ বেকারত্ব: অর্থনৈতিক মন্দা, উচ্চ বেকারত্বের হার, বিশেষ করে শিক্ষিত তরুণদের মধ্যে।
  • দারিদ্র্য ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি: সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান হ্রাস এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের উচ্চমূল্য।
  • মানবাধিকার লঙ্ঘন: মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সমাবেশের অধিকারসহ মৌলিক মানবাধিকারের ব্যাপক লঙ্ঘন।
  • রাজনৈতিক স্বাধীনতার অভাব: জনগণের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগের অভাব।

ফলাফল: আরব বসন্তের ফলে কিছু দেশে দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসকদের পতন ঘটে:

  • তিউনিসিয়া: প্রেসিডেন্ট জাইনুল আবেদিন বেন আলীর পতন।
  • মিশর: প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের পতন।
  • লিবিয়া: মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতন ও মৃত্যু।
  • ইয়েমেন: প্রেসিডেন্ট আলী আবদুল্লাহ সালেহর পদত্যাগ।

তবে, আরব বসন্তের ফলাফল মিশ্র ছিল। কিছু দেশে (যেমন তিউনিসিয়া) তুলনামূলকভাবে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা পরিবর্তন হলেও, অন্যান্য দেশে (যেমন লিবিয়া, সিরিয়া, ইয়েমেন) এটি ভয়াবহ গৃহযুদ্ধ, অস্থিতিশীলতা, চরমপন্থা ও মানবিক সংকটের জন্ম দিয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে, গণতন্ত্রের স্বপ্ন পূরণ হয়নি এবং নতুন করে সংঘাত ও বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ এর সবচেয়ে ভয়াবহ উদাহরণ।

সুতরাং, 'আরব বসন্ত' ছিল আরব বিশ্বের জনগণের একটি স্বতঃস্ফূর্ত বিদ্রোহ, যা স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা থেকে উৎসারিত হয়েছিল, কিন্তু এর পরিণতি সবক্ষেত্রে আশানুরূপ ছিল না।

ক. ফিজি
খ. ভ্যাটিকান
গ. কুয়েত
ঘ. মালদ্বীপ
উত্তরঃ ভ্যাটিকান
ব্যাখ্যাঃ

আয়তনে পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট দেশ হলো ভ্যাটিকান সিটি

এটি ইতালির রোম শহরের ভেতরে অবস্থিত একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। এর আয়তন মাত্র ০.৪৪ বর্গকিলোমিটার (বা প্রায় ১১০ একর)। এটি রোমান ক্যাথলিক চার্চের কেন্দ্র এবং পোপের আবাসস্থল।

ক. নেপাল
খ. ভারত
গ. ভূটান
ঘ. মালদ্বীপ
উত্তরঃ কোনটি সঠিক নয়।
ব্যাখ্যাঃ

নেপালকে সাংবিধানিকভাবে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা করা হয় ১৯৬২ সালের সংবিধানের মাধ্যমে। তৎকালীন রাজা মহেন্দ্র সংবিধানে এটি যুক্ত করেন। ২০০৬ সালের ১৮ মে তৎকালীন আইনসভা ‘সংসদ’ (ইংরেজিতে Parliament) এর নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি সভায় (ইংরেজিতে House of Representatives) আইন পাসের মাধ্যমে নেপালকে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে পরিণত করেন

ক. ফিজি
খ. সিরিয়া
গ. লেবানন
ঘ. আফগানিস্তান
উত্তরঃ আফগানিস্তান
ব্যাখ্যাঃ

"লয়া জিরগা" (Loya Jirga) হলো আফগানিস্তানের একটি ঐতিহ্যবাহী এবং বিশেষ ধরনের বৃহত্তর পরিষদ বা গ্র্যান্ড অ্যাসেম্বলি। এটি আফগানিস্তানের জাতীয় আলোচনার জন্য সবচেয়ে বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ পরিষদ হিসেবে বিবেচিত।

বৈশিষ্ট্য:

  • ঐতিহ্য: এটি শতাব্দী প্রাচীন পশতুন উপজাতীয় ঐতিহ্য থেকে উদ্ভূত, তবে এর কার্যকারিতা এখন সমস্ত জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের জন্য প্রসারিত হয়েছে।
  • সদস্য: লয়া জিরগায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জাতিগোষ্ঠীর নেতা, উপজাতীয় প্রধান, ধর্মীয় নেতা, রাজনীতিবিদ, সামরিক কমান্ডার এবং উল্লেখযোগ্য নাগরিক প্রতিনিধিরা একত্রিত হন। এর সদস্য সংখ্যা নির্দিষ্ট নয়, পরিস্থিতিভেদে পরিবর্তিত হয়।
  • উদ্দেশ্য: সাধারণত যখন কোনো বড় ধরনের জাতীয় সংকট দেখা দেয়, যেমন যুদ্ধ, শান্তি চুক্তি, নতুন সংবিধান প্রণয়ন, নতুন সরকার গঠন, বা গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নীতি নির্ধারণের প্রয়োজন হয়, তখন লয়া জিরগার আয়োজন করা হয়। এর সিদ্ধান্তকে দেশের জনগণের সম্মিলিত ইচ্ছার প্রতিফলন হিসেবে দেখা হয় এবং এর একটি উচ্চ নৈতিক ও আইনি বৈধতা রয়েছে বলে মনে করা হয়।
  • ক্ষমতা: লয়া জিরগার আইনগত ক্ষমতা নিয়ে কিছুটা বিতর্ক থাকলেও, ঐতিহাসিকভাবে এর সিদ্ধান্তগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং দেশের জন্য Binding (বাধ্যতামূলক) বলে বিবেচিত হয়েছে। এটি একটি ঐকমত্য-ভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া অনুসরণ করে।
ক. ডেনমার্ক
খ. বেলজিয়াম
গ. ভিয়েতনাম
ঘ. আর্মেনিয়া
উত্তরঃ ডেনমার্ক
ব্যাখ্যাঃ

কোপেনহেগেন (Copenhagen) হলো ডেনমার্কের রাজধানী এবং বৃহত্তম শহর। এটি জিল্যান্ড (Zealand) এবং আমাগার (Amager) দ্বীপে অবস্থিত। সুইডেনের মালমো শহর থেকে এটি ওরেসুন্ড প্রণালী (Øresund Strait) দ্বারা বিচ্ছিন্ন। ওরেসুন্ড সেতু (Øresund Bridge) এই দুটি শহরকে রেল ও সড়কপথে সংযুক্ত করেছে।

কোপেনহেগেন তার সুন্দর খাল, আরামদায়ক ক্যাফে, ঐতিহাসিক স্থাপনা এবং আধুনিক স্থাপত্যের জন্য পরিচিত। এটি প্রায়শই বিশ্বের সবচেয়ে বসবাসযোগ্য এবং সুখী শহরগুলোর তালিকায় স্থান পায়। শহরটি তার সাইকেল-বান্ধব পরিবেশ, পরিবেশ সচেতনতা এবং উচ্চ জীবনযাত্রার মানের জন্যও বিখ্যাত।

ক. মিসর
খ. ইরাক
গ. ইরান
ঘ. থাইল্যান্ড
উত্তরঃ থাইল্যান্ড
ব্যাখ্যাঃ

শ্যামদেশ (Siam) হলো থাইল্যান্ডের (Thailand) পূর্বতন বা পুরনো নাম।

১৯৩৯ সাল পর্যন্ত দেশটি আনুষ্ঠানিকভাবে শ্যামদেশ নামেই পরিচিত ছিল। এরপর এর নাম পরিবর্তন করে থাইল্যান্ড রাখা হয়, যার অর্থ 'স্বাধীন মানুষের ভূমি' বা 'মুক্তভূমি'। যদিও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪৬ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত সাময়িকভাবে আবার শ্যামদেশ নাম ব্যবহার করা হয়েছিল, তবে ১৯৪৮ সাল থেকে স্থায়ীভাবে এটি থাইল্যান্ড নামেই পরিচিত।

সুতরাং, যখনই আপনি 'শ্যামদেশ' শব্দটি শুনবেন, বুঝবেন এটি বর্তমান থাইল্যান্ডকে বোঝানো হচ্ছে।

ক. ফসফরাস
খ. নাইট্রোজেন
গ. পটাশিয়াম
ঘ. সালফার
উত্তরঃ নাইট্রোজেন
ব্যাখ্যাঃ ইউরিয়া সার থেকে উদ্ভিদ মূলত নাইট্রোজেন (Nitrogen) খাদ্য উপাদান গ্রহণ করে।

ইউরিয়া সারে প্রায় ৪৬% নাইট্রোজেন থাকে, যা উদ্ভিদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট (মুখ্য পুষ্টি উপাদান)।

কীভাবে উদ্ভিদ ইউরিয়া থেকে নাইট্রোজেন গ্রহণ করে?



ইউরিয়া সার মাটিতে প্রয়োগ করার পর সরাসরি উদ্ভিদ দ্বারা গৃহীত হয় না। এটি প্রথমে মাটির অণুজীব (ব্যাকটেরিয়া) এবং জলের সাহায্যে বিভিন্ন রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অ্যামোনিয়াম ($NH_4^+$) এবং নাইট্রেট ($NO_3^-$) আয়নে রূপান্তরিত হয়। এই অ্যামোনিয়াম এবং নাইট্রেট আয়নগুলোই উদ্ভিদ মাটি থেকে মূলের মাধ্যমে শোষণ করে।

মাটিতে নাইট্রোজেনের পরিমাণ কম থাকা এবং বিভিন্ন উপায়ে মাটি থেকে এর অপচয় হওয়ার কারণে ফসলের ভালো ফলনের জন্য ইউরিয়া সারের ব্যবহার অপরিহার্য।
ক. নিউট্রন ও প্রোটন
খ. ইলেকট্রন ও প্রোটন
গ. নিউট্রন ও পজিট্রন
ঘ. ইলেকট্রন ও পজিট্রন
উত্তরঃ নিউট্রন ও প্রোটন
ব্যাখ্যাঃ

পরমাণুর নিউক্লিয়াসে প্রধানত দুটি মৌলিক কণা থাকে: প্রোটননিউট্রন

  • প্রোটন: এটি ধনাত্মক (+) আধানযুক্ত কণা।
  • নিউট্রন: এটি আধান নিরপেক্ষ (কোনো আধান নেই) কণা।

এই দুটি কণার ভর প্রায় সমান। নিউক্লিয়াসের বাইরে বিভিন্ন কক্ষপথে ইলেকট্রন নামে ঋণাত্মক (-) আধানযুক্ত কণাগুলো ঘুরতে থাকে।

ক. অক্সিজেন পরিবহন করা
খ. রোগ প্রতিরোধ করা
গ. রক্ত জমাট বাধতে সাহায্য করা
ঘ. উপরে উল্লিখিত সব কয়টিই
উত্তরঃ অক্সিজেন পরিবহন করা
ব্যাখ্যাঃ

রক্তে হিমোগ্লোবিনের প্রধান কাজ হলো শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন পরিবহন করা

হিমোগ্লোবিন হলো লোহিত রক্তকণিকায় (red blood cells) থাকা একটি প্রোটিন, যার মধ্যে লোহা থাকে। এটি ফুসফুস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে সেই অক্সিজেনকে দেহের প্রতিটি কোষে পৌঁছে দেয়। একই সাথে, এটি কোষ থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড সংগ্রহ করে ফুসফুসে ফিরিয়ে আনে, যা নিঃশ্বাসের সাথে বাইরে বেরিয়ে যায়।

৬৫. সুষম খাদ্যের উপাদান কয়টি?

[ বিসিএস ৩৪তম | বিসিএস ২৯তম | বিসিএস ২৮তম ]

ক. ৪টি
খ. ৬টি
গ. ৫টি
ঘ. ৮টি
উত্তরঃ ৬টি
ব্যাখ্যাঃ

সুষম খাদ্যের উপাদান ছয়টি

এই উপাদানগুলো হলো:

  • শর্করা (Carbohydrates)
  • আমিষ (Proteins)
  • স্নেহ বা চর্বি (Fats)
  • ভিটামিন (Vitamins)
  • খনিজ লবণ (Minerals)
  • জল (Water)
ক. পটকা মাছ
খ. হাঙ্গর
গ. শুশুক
ঘ. জেলী ফিস
উত্তরঃ শুশুক
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হলো গঃ শুশুক

শুশুক (ডলফিন) একটি স্তন্যপায়ী প্রাণী। এরা জলের নিচে থাকে এবং মাছের মতো দেখতে হলেও ফুসফুসের সাহায্যে শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়। তাই, এদেরকে শ্বাস নেওয়ার জন্য বারবার জলের উপরে উঠে আসতে হয়।

ক. গ্লাইকোজেন
খ. গ্লুকোজ
গ. ফ্রুক্টোজ (Fructose)
ঘ. সুক্রোজ
উত্তরঃ গ্লাইকোজেন
ব্যাখ্যাঃ

অতিরিক্ত খাদ্য থেকে লিভারে সঞ্চিত সুগার হল গ্লাইকোজেন

আমাদের শরীর যখন প্রয়োজনের অতিরিক্ত শর্করা গ্রহণ করে, তখন সেই অতিরিক্ত শর্করা (গ্লুকোজ) ইনসুলিন হরমোনের সাহায্যে যকৃত (লিভার) এবং পেশিতে গ্লাইকোজেন হিসেবে জমা হয়। পরবর্তীতে যখন শরীরের শক্তির প্রয়োজন হয়, তখন এই গ্লাইকোজেন পুনরায় গ্লুকোজে রূপান্তরিত হয়ে শক্তি সরবরাহ করে।

ক. জুওলজী
খ. বায়োলজী
গ. ইভোলিউশন
ঘ. জেনেটিক্স
উত্তরঃ জেনেটিক্স
ব্যাখ্যাঃ

প্রাণিজগতের উৎপত্তি ও বংশ সম্বন্ধীয় বিদ্যাকে জেনেটিক্স (Genetics) বা বংশগতিবিদ্যা বলা হয়।

এই বিদ্যায় জীবদেহের বংশগতি, জিনের গঠন ও কার্যাবলী, এবং বংশানুক্রমিক বৈশিষ্ট্যের সঞ্চারণ নিয়ে আলোচনা করা হয়।

ক. ভাত
খ. গরুর মাংস
গ. মসুর ডাল
ঘ. ময়দা
উত্তরঃ মসুর ডাল
ব্যাখ্যাঃ
  • প্রতি ১০০ গ্রাম মসুর ডালে প্রোটিনের পরিমান ২৫.১ গ্রাম এবং গরুর মাংসে ২২.৬ গ্রাম।
  • মসুর ডাল বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান খাদ্যশস্য।
  • এর ইংরেজি নাম Red lentil।
  • এই ডাল উচ্চ আমিষসমৃদ্ধ ; ফলে মানব দেহে আমিষের অভাব পূরণ করার জন্য যথেষ্ট।
ক. আয়োডিন
খ. আয়রন
গ. ম্যাগনেসিয়াম
ঘ. ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস
উত্তরঃ ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর: ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস

হাড় এবং দাঁতকে মজবুত ও সুস্থ রাখার জন্য ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস অপরিহার্য খনিজ। ক্যালসিয়াম হাড়ের প্রধান উপাদান এবং ফসফরাস ক্যালসিয়ামের সাথে মিলে হাড় ও দাঁতের গঠনকে শক্তিশালী করে।

৭১. সুনামির কারণ হলো-

[ বিসিএস ৩৪তম ]

ক. আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত
খ. ঘূর্ণিঝড়
গ. চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণ
ঘ. সমুদ্রের তলদেশে ভূমিকম্প
উত্তরঃ সমুদ্রের তলদেশে ভূমিকম্প
ব্যাখ্যাঃ

সুনামির প্রধান কারণ হলো সমুদ্রের তলদেশে প্রচণ্ড ভূমিকম্প

যখন সমুদ্রের তলদেশে কোনো শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়, তখন সমুদ্রের বিশাল আয়তনের জলরাশি হঠাৎ করে স্থানচ্যুত হয় এবং বিশাল ঢেউয়ের সৃষ্টি করে। এই ঢেউগুলো উপকূলের দিকে দ্রুত গতিতে ধাবিত হয় এবং যখন অগভীর জলে পৌঁছায়, তখন সেগুলো অনেক উঁচু হয়ে আছড়ে পড়ে, যা সুনামি নামে পরিচিত।

এছাড়াও, কিছু গৌণ কারণও আছে, যেমন:

  • সমুদ্রের নিচে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত।
  • ভূ-গর্ভস্থ ভূমিধস (undersea landslide)।
  • উল্কাপিণ্ডের আঘাত।
ক. এ রোগে মানবদেহের কিডনি নষ্ট করে
খ. চিনি জাতীয় খাবার খেলে এ রোগ হয়
গ. এ রোগ হলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়
ঘ. ইনসুলিনের অভাবে এ রোগ হয়
উত্তরঃ চিনি জাতীয় খাবার খেলে এ রোগ হয়
ব্যাখ্যাঃ

ডায়াবেটিস রোগ সম্পর্কে যে তথ্যটি সঠিক নয় তা হলো চিনি জাতীয় খাবার খেলে এ রোগ হয়

ব্যাখ্যা:

  • ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ: ডায়াবেটিস হওয়ার প্রধান কারণ হলো ইনসুলিনের অপর্যাপ্ত উৎপাদন বা ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমে যাওয়া। অতিরিক্ত চিনি খেলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে, কিন্তু এটিই একমাত্র কারণ নয়। জেনেটিক কারণ, স্থূলতা এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনও এর জন্য দায়ী।
  • ডায়াবেটিস হলে যা ঘটে: এই রোগ হলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায় (গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়)।
  • কিডনি নষ্ট হওয়া: অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস মানবদেহের কিডনি, চোখ, স্নায়ুতন্ত্র এবং হৃদপিণ্ডের ওপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। দীর্ঘমেয়াদী উচ্চ রক্তে শর্করা কিডনির ফিল্টারিং ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়।
  • ইনসুলিনের ভূমিকা: ইনসুলিন একটি হরমোন, যা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এর অভাব হলে বা ইনসুলিন তার কাজ সঠিকভাবে করতে না পারলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়, ফলে ডায়াবেটিস হয়।
ক. নদী
খ. সাগর
গ. হ্রদ
ঘ. বৃষ্টিপাত
উত্তরঃ বৃষ্টিপাত
ব্যাখ্যাঃ

প্রাকৃতিক উৎস হতে সবচেয়ে বেশি মৃদু পানি পাওয়া যায় বৃষ্টির জল থেকে।

ব্যাখ্যা: বৃষ্টির জল হলো প্রাকৃতিক বিশুদ্ধতম রূপ। এটি বাষ্পীভবনের মাধ্যমে তৈরি হওয়ায় প্রায় সব ধরনের খনিজ লবণ থেকে মুক্ত থাকে। তবে, বায়ুমণ্ডলে থাকা বিভিন্ন গ্যাস এবং দূষণকারী পদার্থের সাথে মিশে বৃষ্টির জলের গুণগত মান সামান্য পরিবর্তিত হতে পারে।

৭৪. নবায়নযোগ্য জ্বালানি কোনটি?

[ বিসিএস ৩৪তম | বিসিএস ৩১তম ]

ক. পরমাণু শক্তি
খ. কয়লা
গ. পেট্রোল
ঘ. প্রাকৃতিক গ্যাস
উত্তরঃ পরমাণু শক্তি
ব্যাখ্যাঃ

নবায়নযোগ্য জ্বালানি হলো এমন ধরনের শক্তি যা প্রকৃতি থেকে বারবার পাওয়া যায় এবং যার উৎস সহজে ফুরিয়ে যায় না। এই ধরনের জ্বালানি পরিবেশবান্ধব এবং এর ব্যবহারে কার্বনের নির্গমন তুলনামূলকভাবে কম হয়।

নবায়নযোগ্য জ্বালানির কিছু প্রধান উৎস হলো:

  • সৌরশক্তি: সূর্যের আলো থেকে প্রাপ্ত শক্তি।
  • বায়ুশক্তি: বায়ুপ্রবাহের মাধ্যমে উৎপাদিত শক্তি।
  • জলবিদ্যুৎ: প্রবাহিত নদীর স্রোত ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন।
  • ভূ-তাপীয় শক্তি: পৃথিবীর অভ্যন্তরের তাপ থেকে প্রাপ্ত শক্তি।
  • বায়োমাস: জীবজন্তু ও উদ্ভিদের বর্জ্য থেকে উৎপাদিত শক্তি।
ক. কৃত্রিম সার প্রয়োগ
খ. পানি সেচ
গ. মাটিতে নাইট্রোজেন ধরে রাখা
ঘ. প্রাকৃতিক গ্যাস প্রয়োগ
উত্তরঃ পানি সেচ
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হলো পানি সেচ

জমির লবণাক্ততা নিয়ন্ত্রণের একটি প্রধান উপায় হলো অতিরিক্ত পানি সেচ। যখন জমিতে বেশি পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি সেচ দেওয়া হয়, তখন সেই পানি মাটির উপরের স্তরের লবণকে ধুয়ে মাটির গভীরে নিয়ে যায়। এভাবে মাটির উপরের স্তরে লবণের ঘনত্ব কমে যায়। এই প্রক্রিয়াটিকে লিচিং (leaching) বলা হয়। তবে, এই পদ্ধতি কার্যকর হওয়ার জন্য অবশ্যই উন্নত নিকাশী ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন, যাতে লবণাক্ত জল জমি থেকে বেরিয়ে যেতে পারে।

ক. তামা
খ. রূপা
গ. সোনা
ঘ. কার্বন
উত্তরঃ রূপা
ব্যাখ্যাঃ বিদ্যুৎ পরিবাহিতার দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে আছে রূপা

রূপার কন্ডাক্টিভিটি (পরিবাহিতা) হলো 6.3 x $10^{7}$ S/m (সিমেন্স প্রতি মিটার)। এটি স্বাভাবিক তাপমাত্রায় (20°C) সব ধাতুর মধ্যে সর্বোচ্চ।
ক. অড়হর
খ. ছোলা
গ. খেসারি
ঘ. মটর
উত্তরঃ খেসারি
ব্যাখ্যাঃ

খেসারি ডালের সঙ্গে ল্যাথারাইজম (Lathyrism) রোগের সম্পর্ক রয়েছে। খেসারি ডাল অতিরিক্ত পরিমাণে এবং দীর্ঘ সময় ধরে খেলে এতে থাকা বিটা-অক্সালাইল-অ্যামাইনো-এলানাইন (BOAA) নামক নিউরোটক্সিন স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি করে। এর ফলে এই রোগ হয়, যার প্রধান লক্ষণ হলো পা অবশ হয়ে যাওয়া বা পক্ষাঘাত।

ক. পরিপাক
খ. খাদ্য গ্রহণ
গ. শ্বসন
ঘ. রক্ত সংবহন
উত্তরঃ শ্বসন
ব্যাখ্যাঃ

মানবদেহে শক্তি উৎপাদনের প্রধান উৎস হলো শ্বসন (Respiration)। আমরা খাদ্য থেকে যে পুষ্টি উপাদান পাই (যেমন শর্করা), শ্বসন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেই উপাদানগুলো কোষের ভেতরে ভেঙে গিয়ে শক্তি (ATP) উৎপন্ন করে। এটিই হলো জীবদেহের শক্তি তৈরির মূল প্রক্রিয়া।

ক. ঘনত্ব কম
খ. ঘনত্ব বেশি
গ. তাপমাত্রা বেশি
ঘ. দ্রবণীয়তা বেশি
উত্তরঃ ঘনত্ব বেশি
ব্যাখ্যাঃ

বরফ পানিতে ভাসে কারণ বরফের তুলনায় পানির ঘনত্ব (density) বেশি

বরফ যখন কঠিন অবস্থায় থাকে, তখন এর অণুগুলো একটি নির্দিষ্ট ত্রিমাত্রিক কাঠামোতে সাজানো থাকে, যার মধ্যে ফাঁকা স্থান বেশি থাকে। এর ফলে, একই আয়তনের বরফের ভর পানির ভরের চেয়ে কম হয়। তাই বরফের ঘনত্ব পানির ঘনত্বের চেয়ে কম হয়, এবং এটি পানিতে ভাসে।

ক. নাইট্রিক
খ. সালফিউরিক
গ. হাইড্রোক্লোরিক
ঘ. পারক্লোরিক
উত্তরঃ সালফিউরিক
ব্যাখ্যাঃ গাড়ির ব্যাটারিতে যে এসিড ব্যবহৃত হয় তার নাম হলো সালফিউরিক এসিড

এই এসিডটি জলের সাথে মিশ্রিত অবস্থায় ব্যাটারির ইলেকট্রোলাইট (electrolyte) হিসেবে কাজ করে।

সালফিউরিক অ্যাসিড হলো একটি অত্যন্ত শক্তিশালী এবং ক্ষয়কারী খনিজ অ্যাসিড। এর রাসায়নিক সংকেত হলো $H_2SO_4$
ক. ১০
খ. ৯
গ. ৯০
ঘ. ১০০
উত্তরঃ ৯০
ব্যাখ্যাঃ

ধরি, সংখ্যাটি x. এখানে, ০.১ পৌনোপৌনিক = ১/৯ এবং ০.১ = ১/১০ প্রশ্নমতে, x/৯ - x/১০ = ১ বা, (১০x - ৯x)/৯০ =১ বা, x = ৯০ সুতরাং, সংখ্যাটি ৯০

ক. ২২৫ বর্গমিটার
খ. ১৪৪ বর্গমিটার
গ. ১৬৯ বর্গমিটার
ঘ. ১৯৬ বর্গমিটার
উত্তরঃ ১৯৬ বর্গমিটার
ব্যাখ্যাঃ ধরি, আয়তাকার কক্ষের দৈর্ঘ্য ক মিটার এবং প্রস্থ খ মিটার।

প্রথম শর্তানুযায়ী,
ক্ষেত্রফল = দৈর্ঘ্য × প্রস্থ
ক × খ = ১৯২ বর্গমিটার ... (১)

দ্বিতীয় শর্তানুযায়ী,
(ক - ৪) × (খ + ৪) = ১৯২ বর্গমিটার
বা, কখ + ৪ক - ৪খ - ১৬ = ১৯২
সমীকরণ (১) থেকে কখ এর মান বসিয়ে পাই,
১৯২ + ৪ক - ৪খ - ১৬ = ১৯২
বা, ৪ক - ৪খ = ১৬
বা, ৪(ক - খ) = ১৬
বা, ক - খ = $\frac{১৬}{৪}$
$\therefore$ ক - খ = ৪
বা, ক = খ + ৪ ... (২)

এখন, সমীকরণ (১) এ ক এর মান বসিয়ে পাই,
(খ + ৪) × খ = ১৯২
বা, খ² + ৪খ = ১৯২
বা, খ² + ৪খ - ১৯২ = ০
বা, খ² + ১৬খ - ১২খ - ১৯২ = ০
বা, খ(খ + ১৬) - ১২(খ + ১৬) = ০
বা, (খ + ১৬)(খ - ১২) = ০

যেহেতু প্রস্থের মান ঋণাত্মক হতে পারে না, তাই খ = ১২।
প্রস্থ (খ) = ১২ মিটার

সমীকরণ (২) এ খ এর মান বসিয়ে পাই,
দৈর্ঘ্য (ক) = ১২ + ৪ = ১৬ মিটার।

এখন, আয়তাকার কক্ষটির পরিসীমা নির্ণয় করি:
পরিসীমা = ২ × (দৈর্ঘ্য + প্রস্থ)
= ২ × (১৬ + ১২)
= ২ × ২৮
= ৫৬ মিটার।

প্রশ্নে বলা হয়েছে, বর্গাকার কক্ষের পরিসীমা আয়তাকার কক্ষের পরিসীমার সমান।
সুতরাং, বর্গাকার কক্ষের পরিসীমা = ৫৬ মিটার।
বর্গাকার কক্ষের এক বাহুর দৈর্ঘ্য = $\frac{পরিসীমা}{৪} = \frac{৫৬}{৪}$ = ১৪ মিটার।

বর্গাকার কক্ষের ক্ষেত্রফল = (এক বাহুর দৈর্ঘ্য)²
= (১৪)²
= ১৪ × ১৪
= ১৯৬ বর্গমিটার।

সুতরাং, বর্গাকার কক্ষের ক্ষেত্রফল হবে ১৯৬ বর্গমিটার
ক. ৬
খ. ৩
গ. ৫
ঘ. ৪
উত্তরঃ ৪
ব্যাখ্যাঃ
ধরি, তিনটি ক্রমিক সংখ্যা হলো $ক-১$, $ক$ এবং $ক+১$।

সংখ্যা তিনটির যোগফল = $(ক-১) + ক + (ক+১) = ৩ক$
সংখ্যা তিনটির গুণফল = $(ক-১) \times ক \times (ক+১) = ক(ক^২-১)$

প্রশ্নানুসারে,
সংখ্যা তিনটির গুণফল = ৫ $\times$ সংখ্যা তিনটির যোগফল
$ক(ক^২-১) = ৫ \times ৩ক$
$ক(ক^২-১) = ১৫ক$

উভয় পক্ষ থেকে $ক$ বাদ দিয়ে পাই (যেহেতু $ক \ne ০$):
$ক^২-১ = ১৫$
$ক^২ = ১৫+১$
$ক^২ = ১৬$
$ক = \sqrt{১৬}$
$ক = ৪$

যেহেতু সংখ্যা তিনটি ক্রমিক, তাই তাদের গড় হবে মাঝের সংখ্যাটি, অর্থাৎ $ক$।

সুতরাং, সংখ্যা তিনটির গড় হলো
ক. ৬৬ সেন্টিমিটার
খ. ৪২ সেন্টিমিটার
গ. ২১ সেন্টিমিটার
ঘ. ২২ সেন্টিমিটার
উত্তরঃ ৪২ সেন্টিমিটার
ব্যাখ্যাঃ একটি বৃত্তের বৃহত্তম জ্যা হলো তার ব্যাস

সমাধান:
ধরি, বৃত্তটির ব্যাসার্ধ $r$ এবং ব্যাস $d$।
বৃত্তের পরিধি = $2 \pi r$
প্রশ্নানুযায়ী,
$2 \pi r = ১৩২$
$2 \times \frac{২২}{৭} \times r = ১৩২$
$\frac{৪৪}{৭} \times r = ১৩২$
$r = \frac{১৩২ \times ৭}{৪৪}$
$r = ৩ \times ৭$
$r = ২১$ সেমি।

যেহেতু বৃহত্তম জ্যা হলো বৃত্তের ব্যাস, তাই
ব্যাস, $d = ২r$
$d = ২ \times ২১$
$d = ৪২$ সেমি।

সুতরাং, বৃত্তটির বৃহত্তম জ্যা-এর দৈর্ঘ্য হলো ৪২ সেন্টিমিটার
ক. 13টি
খ. 14টি
গ. 15টি
ঘ. 16টি
উত্তরঃ 15টি
ব্যাখ্যাঃ
ধরি, মামুন $x$ সংখ্যক কলম কিনেছিল এবং প্রতিটি কলমের মূল্য ছিল $y$ টাকা।

শর্তানুসারে,
$xy = ২৪০$ ... (১)

যদি সে একটি কলম বেশি পেত ($x+১$ টি), তাহলে প্রতিটি কলমের মূল্য ১ টাকা কম পড়ত ($y-১$ টাকা)। এক্ষেত্রেও মোট মূল্য একই থাকত।
$(x+১)(y-১) = ২৪০$ ... (২)

সমীকরণ (১) থেকে পাই, $y = \frac{২৪০}{x}$।
এই মানটি সমীকরণ (২) এ বসিয়ে পাই:
$(x+১)(\frac{২৪০}{x}-১) = ২৪০$
$x(\frac{২৪০}{x}) - x(১) + ১(\frac{২৪০}{x}) - ১(১) = ২৪০$
$২৪০ - x + \frac{২৪০}{x} - ১ = ২৪০$
$-x + \frac{২৪০}{x} - ১ = ০$

উভয় পক্ষকে $x$ দিয়ে গুণ করে পাই:
$-x^২ + ২৪০ - x = ০$
$x^২ + x - ২৪০ = ০$

এখন আমরা এই দ্বিঘাত সমীকরণটি সমাধান করব।
$x^২ + ১৬x - ১৫x - ২৪০ = ০$
$x(x+১৬) - ১৫(x+১৬) = ০$
$(x+১৬)(x-১৫) = ০$

সুতরাং, $x+১৬ = ০$ বা $x-১৫ = ০$।
$x = -১৬$ অথবা $x = ১৫$।

যেহেতু কলমের সংখ্যা ঋণাত্মক হতে পারে না, তাই $x = ১৫$।
অর্থাৎ, মামুন ১৫টি কলম কিনেছিল।
ক. ৪ সমকোণ
খ. ৬ সমকোণ
গ. ৮ সমকোণ
ঘ. ১০ সমকোণ
উত্তরঃ ৬ সমকোণ
ব্যাখ্যাঃ একটি পঞ্চভুজের পাঁচটি অন্তঃস্থ কোণের সমষ্টি $540^\circ$ (পাঁচশো চল্লিশ ডিগ্রি), যা সমকোণের সমান।

কারণ,
১ সমকোণ = $90^\circ$
$540 \div 90 = ৬$
ক. ১৫০°
খ. ৬০°
গ. ৯০°
ঘ. ১২০°
উত্তরঃ ১২০°
ব্যাখ্যাঃ
একটি ঘড়ির সম্পূর্ণ বৃত্ত $360^\circ$। ঘড়িতে ১২টি ঘণ্টা থাকায় প্রতিটি ঘণ্টার ঘরের মধ্যবর্তী কোণ হলো:
$360^\circ \div 12 = 30^\circ$

ঠিক ৮টার সময়, মিনিটের কাঁটা ১২-এর ঘরে থাকে এবং ঘণ্টার কাঁটা ৮-এর ঘরে থাকে। ১২ এবং ৮-এর মধ্যে ঘরের পার্থক্য হলো:
$১২ - ৮ = ৪$ টি ঘর।

সুতরাং, কাঁটা দুটির মধ্যবর্তী কোণ হলো:
$৪ \times ৩০^\circ = ১২০^\circ$
ক. ৭
খ. ৮
গ. ৯
ঘ. ১০
উত্তরঃ ৭
ব্যাখ্যাঃ

আবদুর রহিমের জন্মদিন তারিখে।

সমাধান:

  • আজকের তারিখ = ২৩
  • আবদুর রহিম ১৭ দিন আগে কথাটি বলেছিল। সুতরাং, সেদিন ছিল ২৩ - ১৭ = ৬ তারিখ।
  • ৬ তারিখে সে বলেছিল যে তার জন্মদিন 'আগামীকাল'।
  • সুতরাং, ৬ তারিখের পরের দিন, অর্থাৎ ৭ তারিখে তার জন্মদিন।
ক. ০.৯৬
খ. ১.৪৮
গ. ১.৯২
ঘ. ১.৫০
উত্তরঃ ১.৯২
ব্যাখ্যাঃ শূন্যস্থানে সংখ্যাটি হবে ১.৯২

এখানে প্রতিটি সংখ্যা তার আগের সংখ্যাকে ৪ দিয়ে গুণ করে পাওয়া গেছে।

  • ০.০৩ $\times$ ৪ = ০.১২
  • ০.১২ $\times$ ৪ = ০.৪৮
  • ০.৪৮ $\times$ ৪ = ১.৯২
ক. ৬
খ. ৭
গ. ৮
ঘ. ১০
উত্তরঃ ৮
ব্যাখ্যাঃ ধরি, বড় অংশের দৈর্ঘ্য হলো $ক$ ফুট।
তাহলে, ছোট অংশের দৈর্ঘ্য হবে $ক \times \frac{২}{৩} = \frac{২ক}{৩}$ ফুট।

প্রশ্নানুযায়ী, মোট বাঁশের দৈর্ঘ্য ২০ ফুট।
$ক + \frac{২ক}{৩} = ২০$
$\frac{৩ক+২ক}{৩} = ২০$
$\frac{৫ক}{৩} = ২০$
$৫ক = ২০ \times ৩$
$৫ক = ৬০$
$ক = \frac{৬০}{৫}$
$ক = ১২$

সুতরাং, বড় অংশের দৈর্ঘ্য ১২ ফুট।
ছোট অংশের দৈর্ঘ্য = $\frac{২ক}{৩} = \frac{২ \times ১২}{৩} = \frac{২৪}{৩} = ৮$ ফুট।
ক. খুবই হতাশাবোধ করবেন
খ. বন্ধুদের সাথে বিষয়টি আলাপ করবেন
গ. সংসারের প্রতি গভীর মনোযোগ দেবেন
ঘ. ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করে মন খারাপ করবেন
উত্তরঃ সংসারের প্রতি গভীর মনোযোগ দেবেন
ব্যাখ্যাঃ

এখানে আপনার করণীয় সম্পর্কে যে বিকল্পগুলো দেওয়া আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে ইতিবাচক ও কার্যকরী পদক্ষেপ হলো গঃ সংসারের প্রতি গভীর মনোযোগ দেবেন

ব্যাখ্যা:

  • খুবই হতাশাবোধ করবেন বা ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করে মন খারাপ করবেন (ক এবং ঘ) – এগুলো সমস্যার কোনো সমাধান নয়, বরং মানসিক চাপ বাড়িয়ে দেয়।
  • বন্ধুদের সাথে বিষয়টি আলাপ করবেন (খ) – বন্ধুদের সাথে আলোচনা করলে সাময়িক স্বস্তি মিলতে পারে, কিন্তু এতে সমস্যার মূল কারণ দূর হয় না।
  • সংসারের প্রতি গভীর মনোযোগ দেবেন (গ) – এই পদক্ষেপটি আপনাকে সমস্যা সমাধানের জন্য সক্রিয় করে তুলবে। এর মাধ্যমে আপনি পরিবারের সদস্যদের সাথে নতুনভাবে সংযোগ স্থাপন করতে পারবেন, তাদের প্রয়োজনে পাশে থাকতে পারবেন এবং আপনার ভূমিকা পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন।
ক. ৯
খ. ১০
গ. ১১
ঘ. ১২
উত্তরঃ ১১
ব্যাখ্যাঃ
  • আপনি নিজে = ১ জন
  • এক বৃদ্ধ দম্পতি = ২ জন
  • তাদের সাথে দুই দম্পতি = ৪ জন
  • প্রত্যেক দম্পতির দুইজন করে সন্তান = ২ $\times$ ২ = ৪ জন
  • মোট লোকসংখ্যা = ১ + ২ + ৪ + ৪ = ১১ জন।

কিন্তু প্রশ্নে বলা আছে "তাদের সাথে দুই দম্পতি" এবং "প্রত্যেকে দুইজন করে সন্তানসহ আমার কক্ষে প্রবেশ করলেন", যা বোঝায় আপনি আগে থেকেই কক্ষে ছিলেন। কিন্তু প্রশ্নটি যদি এমন হয় যে আপনি নিজেও তাদের দলে পড়েন, তাহলে মোট সংখ্যা হবে ১১ জন।
ক. ক এর মামা চ
খ. ক এর খালু চ
গ. চ এর নানা ক
ঘ. ক এর চাচা চ
উত্তরঃ ক এর মামা চ
ব্যাখ্যাঃ

চ হলো ক-এর মামা

সম্পর্ক বিশ্লেষণ:

  • হলো -এর ছেলে।
  • এবং পরস্পর বোন। সুতরাং, হলো -এর মা।
  • হলো -এর মা। যেহেতু এবং বোন, তাই হলো -এরও মা এবং -এর নানী।
  • হলো -এর ছেলে। এর মানে হলো -এর ভাই।

সুতরাং, হলো -এর মায়ের ভাই, অর্থাৎ মামা

৯৫. প্রাণদ : জল :: মহীজ : ?

[ বিসিএস ৩৪তম ]

ক. সম্বর
খ. গ্রহ
গ. নিঃসর্গ
ঘ. অশ্ব
উত্তরঃ গ্রহ
ব্যাখ্যাঃ

প্রাণদ : জল :: মহীজ : গ্রহ।

'মহীজ' শব্দের অর্থ আসামি। এর ইংরেজি প্রতিশব্দ Mars। আবার Mars - এর বাংলা অর্থ মঙ্গলগ্রহ, যা গ্রহের একটি রুপ।

সুতরাং মহীজের সমর্থক গ্রহ। অন্যদিকে নিঃসর্গ বা পৃথিবীর সমার্থক শব্দ মহী, মহীজ নয়।

ক. 4
খ. 8
গ. 5
ঘ. 7
উত্তরঃ 8
ব্যাখ্যাঃ :
প্রদত্ত রাশিটি হলো $\frac{(5^{n+2}+35×5^{n-1})}{(4×5^n)}$

প্রথমে আমরা লবকে (numerator) সরল করি:
$5^{n+2}+35×5^{n-1}$
$= 5^{n-1+3} + 35×5^{n-1}$
$= 5^{n-1}×5^3 + 35×5^{n-1}$
$= 5^{n-1}×(125) + 35×5^{n-1}$
$= 5^{n-1}(125+35)$
$= 5^{n-1}(160)$

এবার আমরা হরকে (denominator) সরল করি:
$4×5^n$
$= 4×5^{n-1+1}$
$= 4×5^{n-1}×5^1$
$= 4×5×5^{n-1}$
$= 20×5^{n-1}$

এখন, লব ও হরকে একত্রিত করে পাই:
$\frac{160×5^{n-1}}{20×5^{n-1}}$

উভয় পক্ষ থেকে $5^{n-1}$ কেটে দিলে পাই:
$\frac{160}{20} = ৮$

সুতরাং, নির্ণেয় মান হলো ৮।
ক. $$x^2$$ বর্গমিটার
খ. 2x বর্গমিটার
গ. $$(\frac{x}{2})^2$$ বর্গমিটার
ঘ. $$(\frac{\sqrt{x}}{3})^3$$ বর্গমিটার
উত্তরঃ 2x বর্গমিটার
ব্যাখ্যাঃ
ত্রিভুজের মধ্যমা (median) ত্রিভুজটিকে দুটি সমান ক্ষেত্রফলবিশিষ্ট ত্রিভুজে বিভক্ত করে। এখানে, $AD$ হলো $\triangle ABC$-এর একটি মধ্যমা। সুতরাং, $\triangle ABD$ এবং $\triangle ACD$ এর ক্ষেত্রফল সমান।

$\text{Area}(\triangle ABD) = \text{Area}(\triangle ACD) = x$ বর্গমিটার

$\triangle ABC$-এর মোট ক্ষেত্রফল = $\text{Area}(\triangle ABD) + \text{Area}(\triangle ACD)$
$= x + x$
$= 2x$ বর্গমিটার।
ছবিটি দেখে নিচের প্রশ্নের উত্তর দাও:
mcq image
ক. T, X
খ. X, T
গ. S, T
ঘ. T, B
উত্তরঃ কোনটি সঠিক নয়।
ব্যাখ্যাঃ

উক্তস্থান দ্বয়ে EY বসালে যথার্থ হয়। সেক্ষেত্রে উত্তর হবে ASSEMBLY.

ক. 8
খ. 9
গ. 16
ঘ. 25
উত্তরঃ 8
ব্যাখ্যাঃ আমরা জানি:
$x^3 + y^3 = (x + y)^3 - 3xy(x + y)$

প্রশ্নে দেওয়া:

$x + y = 2$
$x^2 + y^2 = 4$



আমরা জানি:

$(x + y)^2 = x^2 + y^2 + 2xy$

$2^2 = 4 + 2xy \Rightarrow 4 = 4 + 2xy \Rightarrow 2xy = 0
\Rightarrow xy = 0$

এখন মূল সূত্রে বসাই:

$x^3 + y^3 = (x + y)^3 - 3xy(x + y)$

$= 2^3 - 3 \cdot 0 \cdot 2 = 8 - 0 = 8$

১০০. ইনসুলিন নিঃসৃত হয় কোথা থেকে?

[ বিসিএস ৩৪তম | বিসিএস ২৮তম ]

ক. অগ্ন্যাশয় হতে
খ. প্যানক্রিয়াস হতে
গ. লিভার হতে
ঘ. পিটুইটারী গ্ল্যান্ড হতে
উত্তরঃ অগ্ন্যাশয় হতে
ব্যাখ্যাঃ

‘প্যানক্রিয়াস’ (Pancreas)-এর বাংলা প্রতিশব্দ ‘অগ্ন্যাশয়’। মানব দেহের ‘প্যানক্রিয়াস’ নামক গ্রন্থির ‘আইলেট্‌স অব ল্যাঙ্গারহ্যান্স’ নামক অংশ হতে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণকারী হরমোন ‘ইনসুলিন’ নিঃসৃত হয়।