প্রশ্নঃ বাতাস একটি –
[ বিসিএস ৪৫তম ]
ক. ডায়াচুম্বকীয় পদার্থ
খ. প্যারাচুম্বকীয় পদার্থ
গ. ফেরোচুম্বকীয় পদার্থ
ঘ. অ্যান্টিফেরোচুম্বকীয় পদার্থ
উত্তরঃ প্যারাচুম্বকীয় পদার্থ
ব্যাখ্যাঃ
বাতাস একটি খঃ প্যারাচুম্বকীয় পদার্থ।
এর কারণ হলো বাতাসের প্রধান উপাদানগুলোর মধ্যে অক্সিজেন (O₂) অণুতে বিজোড় ইলেকট্রন রয়েছে। এই বিজোড় ইলেকট্রনের স্পিন মোমেন্টের কারণে অক্সিজেন সামান্য চৌম্বকীয় বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে। যখন বাতাসকে শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্রের কাছে আনা হয়, তখন অক্সিজেনের অণুগুলো সামান্য পরিমাণে চুম্বকায়িত হয় এবং চৌম্বক ক্ষেত্রের দিকে আকৃষ্ট হয়। এই বৈশিষ্ট্যটি প্যারাচুম্বকীয় পদার্থের বৈশিষ্ট্য।
নাইট্রোজেন (N₂) এবং অন্যান্য নিষ্ক্রিয় গ্যাসগুলো ডায়াচুম্বকীয় পদার্থ, অর্থাৎ এরা চৌম্বক ক্ষেত্র দ্বারা সামান্য পরিমাণে বিকর্ষিত হয়। তবে বাতাসে অক্সিজেনের উপস্থিতির কারণে সামগ্রিকভাবে বাতাস প্যারাচুম্বকীয় বৈশিষ্ট্য দেখায়।
- ডায়াচুম্বকীয় পদার্থ: চৌম্বক ক্ষেত্র দ্বারা সামান্য পরিমাণে বিকর্ষিত হয় (যেমন - নাইট্রোজেন)।
- প্যারাচুম্বকীয় পদার্থ: চৌম্বক ক্ষেত্র দ্বারা সামান্য পরিমাণে আকৃষ্ট হয় (যেমন - অক্সিজেন)।
- ফেরোচুম্বকীয় পদার্থ: শক্তিশালীভাবে চৌম্বক ক্ষেত্র দ্বারা আকৃষ্ট হয় এবং স্থায়ী চুম্বকত্ব ধারণ করতে পারে (যেমন - লোহা)।
- অ্যান্টিফেরোচুম্বকীয় পদার্থ: এদের মধ্যে বিপরীতমুখী স্পিনগুলো একে অপরের চৌম্বকীয় প্রভাব বাতিল করে দেয় এবং সামগ্রিকভাবে শক্তিশালী চুম্বকত্ব দেখায় না (যেমন - কিছু ধাতব অক্সাইড)।
সুতরাং, সঠিক উত্তর হলো খঃ প্যারাচুম্বকীয় পদার্থ।