আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
16

বিসিএস ৪৩তম

পরীক্ষারঃ বিসিএস প্রিলিমিনারি টেস্ট

মোট বহুনির্বাচনি প্রশ্নঃ 200

মোট মার্কঃ 200

পরীক্ষার সময়ঃ 02:00:00

প্রকাশের তারিখঃ 20.01.22

ক. চল্
খ. কর্
গ. বেতা
ঘ. পড়ু
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল গঃ বেতা

নামধাতু হলো সেইসব ধাতু বা ক্রিয়ামূল, যা বিশেষ্য, বিশেষণ বা ধ্বন্যাত্মক শব্দের পরে '-আ' প্রত্যয় যোগ করে গঠিত হয় এবং ক্রিয়ার ভাব প্রকাশ করে।

এখানে বিকল্পগুলো বিশ্লেষণ করা হলো:

  • কঃ চল্: এটি একটি মৌলিক ধাতু, যা কোনো নামশব্দ থেকে গঠিত হয়নি।
  • খঃ কর্: এটিও একটি মৌলিক ধাতু।
  • গঃ বেতা: 'বেত' একটি বিশেষ্য (লাঠি)। 'বেত'-এর সাথে '-আ' প্রত্যয় যোগ করে 'বেতা' (মারধর করা অর্থে) নামধাতু গঠিত হয়েছে।
  • ঘঃ পড়ু: এটিও একটি মৌলিক ধাতু।

সুতরাং, 'বেতা' শব্দটি একটি বিশেষ্য পদ ('বেত') থেকে '-আ' প্রত্যয় যোগ করে গঠিত হয়েছে এবং এটি মারধর করা অর্থে ক্রিয়ার ভাব প্রকাশ করছে। তাই এটি নামধাতুর উদাহরণ।

ক. স্রোত
খ. ভেড়া
গ. একত্র
ঘ. ভাসা
ব্যাখ্যাঃ

‘গড্ডলিকা প্রবাহ’ বাগধারায় ‘গড্ডল’ শব্দের অর্থ খঃ ভেড়া

‘গড্ডলিকা প্রবাহ’ বাগধারাটির অর্থ হলো অন্ধ অনুকরণ বা স্রোতের গা ভাসিয়ে চলা। ভেড়া যেমন পালের অন্য ভেড়ার অনুসরণ করে চলে, তেমনই কোনো বিচার-বিবেচনা না করে অন্যের দেখানো পথে চলাকেই গড্ডলিকা প্রবাহ বলা হয়।

ক. তাতে সমাজজীবন চলে।
খ. তাতে না সমাজজীবন চলে।
গ. তাতে সমাজজীবন অচল হয়ে পড়ে।
ঘ. তাতে সমাজজীবন সচল হয়ে পড়ে।
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো গঃ তাতে সমাজজীবন অচল হয়ে পড়ে

ব্যাখ্যা:

অস্তিবাচক রূপ তৈরি করতে "না" বা বিপরীত অর্থের শব্দ ব্যবহার করা হয়।

প্রদত্ত বাক্য:
"তাতে সমাজজীবন চলে না।"
এখানে "চলে না" অংশের বিপরীত অর্থ "অচল হয়ে পড়ে"

অন্য বিকল্পগুলোর বিশ্লেষণ:

  • কঃ "তাতে সমাজজীবন চলে" (এটি আসল বাক্যের ইতিবাচক রূপ)
  • খঃ "তাতে না সমাজজীবন চলে" (এটি ব্যাকরণগতভাবে সঠিক নয়)
  • ঘঃ "তাতে সমাজজীবন সচল হয়ে পড়ে" (এটি ইতিবাচক রূপ, অস্তিবাচক নয়)
ক. ‘অনন্ত প্রেম’
খ. ‘উপহার’
গ. ‘ব্যক্ত প্রেম’
ঘ. ‘শেষ উপহার’
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল কঃ ‘অনন্ত প্রেম’

এই বিখ্যাত চরণ দুটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘অনন্ত প্রেম’ কবিতার অংশ। কবিতাটি তাঁর ‘ক্ষণিকা’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত। এই কবিতায় কবি তাঁর চিরন্তন ভালোবাসার গভীরতা ও ব্যাপকতা প্রকাশ করেছেন, যা জন্ম-জন্মান্তর ধরে বহমান।

ক. পণ্ডিত
খ. বিদ্যাসাগর
গ. শাস্ত্রজ্ঞ
ঘ. মহামহােপাধ্যায়
ব্যাখ্যাঃ

হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর একাধিক উপাধি ছিল। তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য উপাধি হল মহামহোপাধ্যায়

এছাড়াও তিনি শাস্ত্রী উপাধিও লাভ করেছিলেন, যা তিনি এম.এ. পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়ার পর পান। ব্রিটিশ সরকার তাকে কম্পানিয়ন অফ দ্য ইন্ডিয়ান এম্পায়ার (সি.আই.ই.) উপাধিতেও ভূষিত করেছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ডি-লিট উপাধি লাভ করেন।

ক. ‘তেইশ নম্বর তৈলচিত্র’
খ. ‘ক্ষুধা ও আশা’
গ. ‘কর্ণফুলি’
ঘ. ‘ধানকন্যা’
ব্যাখ্যাঃ

ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী নিয়ে লেখা উপন্যাস হলো গঃ ‘কর্ণফুলি’

এই উপন্যাসটি প্রখ্যাত সাহিত্যিক আলাউদ্দিন আল আজাদ রচনা করেছেন। ‘কর্ণফুলি’ উপন্যাসে পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জীবন ও সংস্কৃতি, তাদের সামাজিক রীতিনীতি এবং তৎকালীন আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট vividly তুলে ধরা হয়েছে।

অন্যান্য উপন্যাসগুলো ভিন্ন প্রেক্ষাপটে রচিত:

  • ‘তেইশ নম্বর তৈলচিত্র’: আলাউদ্দিন আল আজাদের আরেকটি বিখ্যাত উপন্যাস, তবে এর বিষয়বস্তু ভিন্ন।
  • ‘ক্ষুধা ও আশা’: আবু ইসহাকের লেখা, যা গ্রামীণ জীবনের দারিদ্র্য ও সংগ্রাম নিয়ে রচিত।
  • ‘ধানকন্যা’: রাবেয়া খাতুনের উপন্যাস, যার মূল বিষয়বস্তু সম্ভবত ভিন্ন।
ক. অরুণ মিত্র
খ. সমরেশ বসু
গ. সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ঘ. সমরেশ মজুমদার
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল গঃ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ‘নীললোহিত’ ছদ্মনামে পরিচিত ছিলেন এবং এই নামে তিনি বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। এই ছদ্মনামে তিনি মূলত হালকা মেজাজের রম্যরচনা ও কিছু উপন্যাস লিখেছেন।

ক. স্বরযন্ত্র
খ. ফুসফুস
গ. দাঁত
ঘ. উপরের সবকটি
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল ঘঃ উপরের সবকটি

মানুষের কথা বলার জন্য যে অঙ্গগুলো সম্মিলিতভাবে কাজ করে, সেগুলোকে বাগযন্ত্র বলা হয়। এর মধ্যে প্রধান অংশগুলো হলো:

  • স্বরযন্ত্র (Larynx): এটি শ্বাসনালীর উপরে অবস্থিত এবং ভোকাল কর্ড ধারণ করে, যা বাতাস প্রবাহের মাধ্যমে কম্পিত হয়ে শব্দ উৎপন্ন করে।
  • ফুসফুস (Lungs): ফুসফুস থেকে নির্গত বাতাস স্বরযন্ত্রের ভোকাল কর্ডে কম্পন সৃষ্টি করে ধ্বনি উৎপন্ন করতে সাহায্য করে। এটি বাগযন্ত্রের একটি অপরিহার্য অংশ কারণ এটি শব্দ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় বায়ু সরবরাহ করে।
  • দাঁত (Teeth): দাঁত বিভিন্ন ধ্বনি উচ্চারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জিহ্বা ও ঠোঁটের সাথে মিলিত হয়ে এটি বিভিন্ন ব্যঞ্জনবর্ণের স্পষ্ট উচ্চারণে সাহায্য করে।

এছাড়াও, জিহ্বা, ঠোঁট, তালু, আলজিভ, নাক, মুখগহ্বর ইত্যাদিও বাগযন্ত্রের অংশ হিসেবে কাজ করে। তাই, উপরে দেওয়া সবগুলো বিকল্পই বাগযন্ত্রের অংশ।

ক. করণ কারক
খ. সম্প্রদান কারক
গ. অপাদান কারক
ঘ. অধিকরণ কারক
ব্যাখ্যাঃ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা ব্যাকরণে সম্প্রদান কারক বাদ দিতে চেয়েছিলেন।

তাঁর মতে, "যাকে স্বত্ত্ব ত্যাগ করে দান, অর্চনা, সাহায্য ইত্যাদি করা হয়, তাকে (সংস্কৃত নিয়মে) সম্প্রদান কারক বলে।" তবে, তিনি মনে করতেন কর্মকারক দ্বারাই সম্প্রদান কারকের কাজ সম্পন্ন করা যায়। "বাংলাভাষা পরিচয়" প্রবন্ধে তিনি এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।

ক. হিত্তিক ও তুখারিক
খ. তামিল ও দ্রাবিড়
গ. আর্য ও অনার্য
ঘ. মাগধী ও গৌড়ী
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল হিত্তিক ও তুখারিক

কেন্তুম ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবারের একটি শাখা। এই শাখার দুটি উপশাখা এশিয়ার অন্তর্গত:

  • হিত্তিক: এই ভাষাটি খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় সহস্রাব্দে আনাতোলিয়ায় (বর্তমান তুরস্ক) প্রচলিত ছিল।
  • তুখারিক: এই ভাষাটি খ্রিস্টীয় প্রথম সহস্রাব্দে তারিম অববাহিকায় (বর্তমান চীনের জিনজিয়াং প্রদেশ) প্রচলিত ছিল।

উল্লেখ্য, কেন্তুম শাখার অন্যান্য উপশাখাগুলো মূলত ইউরোপে বিকাশ লাভ করেছিল।

ক. তেজি কুমিরকে রুখে দিই
খ. বৃক্ষের শাখায় পাকা তেঁতুল
গ. গাছের তেঁতুল কুমিরে খায়
ঘ. ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হয়
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো গঃ গাছের তেঁতুল কুমিরে খায়

ব্যাখ্যা:

বাংলার প্রচলিত প্রবাদের মধ্যে "রুখের তেন্তুলি কুমীরে খাই" একটি পরিচিত প্রবাদ।

  • "রুখ" বলতে এখানে গাছ বোঝানো হয়েছে।
  • "তেন্তুলি" হলো তেঁতুল
  • "কুমীরে খাই" অর্থাৎ কুমির তেঁতুল খেয়ে ফেলে

এই প্রবাদটি সাধারণত অনিরাপদ বা ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে সম্পদ হারানোর বিষয় বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। যেমন, অনিয়ন্ত্রিত পরিস্থিতিতে মূল্যবান জিনিস নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

ক. ১৮৬০
খ. ১৮৬১
গ. ১৮৬৫
ঘ. ১৮৬৭
ব্যাখ্যাঃ

১৮৬৫ সালে ‘দুর্গেশনন্দিনী’ উপন্যাস প্রথম প্রকাশিত হয়। এটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত প্রথম বাংলা উপন্যাস এবং বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস হিসেবে বিবেচিত। উপন্যাসটি ১৮৬২ থেকে ১৮৬৪ সালের মধ্যে রচিত হয়েছিল এবং প্রকাশের পর বাংলা কথাসাহিত্যের ধারায় এক নতুন যুগের সূচনা করে।

ক. বেগম রােকেয়া
খ. কাদম্বরী দেবী
গ. স্বর্ণকুমারী দেবী
ঘ. নূরুন্নাহার ফয়জুন্নেসা
ব্যাখ্যাঃ

স্বর্ণকুমারী দেবী (১৮৫৫-১৯৩২) ছিলেন বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা ঔপন্যাসিক হিসেবে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত। তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘দীপনির্বাণ’ ১৮৭৬ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। তিনি ছিলেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কন্যা এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বড় বোন। স্বর্ণকুমারী দেবী শুধু ঔপন্যাসিকই ছিলেন না, তিনি একাধারে কবি, সঙ্গীতকার ও সমাজ সংস্কারক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন।

ক. মওলানা ভাসানী
খ. আবুল ফজল
গ. শহীদুল্লা কায়সার
ঘ. শেখ মুজিবুর রহমান
ব্যাখ্যাঃ

‘আমার দেখা নয়াচীন’ লিখেছেন শেখ মুজিবুর রহমান

এটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা একটি ভ্রমণকাহিনী। ১৯৫২ সালে শান্তি সম্মেলনে যোগ দিতে চীন সফরের অভিজ্ঞতা তিনি এই গ্রন্থে তুলে ধরেছেন। বইটি লেখকের চীন ভ্রমণের অভিজ্ঞতা, সেখানকার সমাজ ও সংস্কৃতি, এবং নয়া চীনের রাষ্ট্র গঠনে কমিউনিস্ট পার্টির ভূমিকা সম্পর্কে আলোকপাত করে। দীর্ঘ সময় অপ্রকাশিত থাকার পর বইটি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে এবং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

ক. ‘মনসামঙ্গল’
খ. ‘মনসাবিজয়’
গ. ‘পদ্মপুরাণ’
ঘ. ‘পদ্মাবতী’
ব্যাখ্যাঃ

মনসামঙ্গলের একজন সর্বাধিক প্রচারিত কবি হিসাবে বিজয়গুপ্ত - এর খ্যাতি। তার মনসামঙ্গল (বা পদ্মাপুরাণ) বাংলার জনপ্রিয় কাব্যগুলির মধ্য অন্যতম। গল্পরস সৃজনে, করুণরস ও হাস্যরসের প্রয়োগে, সামাজিক ও রাষ্ট্রিক জীবনের পরিচয়ে, চরিত্র চিত্রণে এবং পাণ্ডিত্যের গুণে বিজয়গুপ্তের পদ্মাপুরাণ একটি জনপ্রিয় কাব্য। বিজয়গুপ্তের পূর্বে আমরা পাই আদি মঙ্গল কবি কানাহরি দত্ত ও বিপ্রদাস পিপলাইকে।

ক. সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
খ. প্রেমেন্দ্র মিত্র
গ. সমর সেন
ঘ. জীবনানন্দ দাশ
ব্যাখ্যাঃ

‘মানুষের মৃত্যু হলে তবুও মানব থেকে যায়’ – এই বিখ্যাত কাব্যাংশটি রচনা করেন ঘঃ জীবনানন্দ দাশ

এটি তাঁর বিখ্যাত কবিতা ‘আকাশলীনা’-র একটি চরণ। কবিতাটি জীবনানন্দের কাব্যগ্রন্থ ‘ধূসর পাণ্ডুলিপি’-তে অন্তর্ভুক্ত। এই পংক্তির মাধ্যমে কবি মানবজাতির চিরন্তনতা এবং প্রকৃতির মাঝে মানুষের স্মৃতি ও প্রভাবের কথা তুলে ধরেছেন।

ক. সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ
খ. কোরেশী মাগন ঠাকুর
গ. সুলতান বরবক শাহ
ঘ. জমিদার নিজাম শাহ
ব্যাখ্যাঃ

জমিদার নিজাম শাহের পৃষ্ঠপােষকতা দৌলত উজির বাহরাম খান সাহিত্যসৃষ্টিতে লাভ করেন। তিনি ছিলেন চট্টগ্রামের জাফরাবাদের শাসনকর্তা। নিজাম শাহের পৃষ্ঠপোষকতায় বাহরাম খান পারসিয়ান কবি জামির আরবি লোকগাথা অবলম্বনে বাংলায় ‘লায়লী-মজনু’ অনুবাদ করেন।

ক. বাংলাদেশ
খ. নেপাল
গ. উড়িষ্যা
ঘ. ভুটান
ব্যাখ্যাঃ

১৯০৭ সালে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদের পুঁথি আবিষ্কার করেন। পুঁথিটির নাম ছিল "চর্যাচর্যবিনিশ্চয়"

ক. কাঁদো নদী কাঁদো
খ. ‘নেকড়ে অরণ্যে’
গ. রাঙা প্রভাত
ঘ. ‘প্রদোষে প্রাকৃতজন’
ব্যাখ্যাঃ

‘নেকড়ে অরণ্য’ উপন্যাসে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় নারীদের উপর নির্যাতনের চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন জীবনবাদী কথাশিল্পী শওকত ওসমান।

তাঁর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক আরও তিনটি উপন্যাস ‘জাহান্নম হইতে বিদায়’, ‘দুই সৈনিক’ ও ‘জলাংগী’। ‘কাঁদো নদী কাঁদো’, ‘রাঙ্গা প্রভাত’ এবং ‘প্রদোষে প্রাকৃতজন’ উপন্যাসের লেখক যথাক্রমে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ, আবুল ফজল এবং শওকত আলী।

ক. রফিক আজাদ
খ. শঙ্খ ঘােষ
গ. শক্তি চট্টোপাধ্যায়
ঘ. শামসুর রাহমান
ব্যাখ্যাঃ

‘মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে’ কাব্যগ্রন্থের কবি হলেন শঙ্খ ঘোষ

এটি তাঁর একটি বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ যা আধুনিক সমাজের বিজ্ঞাপনসর্বস্বতাকে এবং মানুষের ভেতরের সত্তা কিভাবে ক্রমশ ঢাকা পড়ে যাচ্ছে, সেই বিষয়টিকে তুলে ধরে।

ক. পর্তুগিজ
খ. ফরাসি
গ. আরবি
ঘ. ফারসি
ব্যাখ্যাঃ

‘আসমান’ শব্দটি ঘঃ ফারসি ভাষা থেকে আগত।

ফারসি ভাষায় ‘আসমান’ অর্থ আকাশ। বাংলা ভাষায় শব্দটি অপরিবর্তিত অর্থে ব্যবহৃত হয়।

ক. আ
খ. ই
গ. এ
ঘ. অ্যা
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল কঃ আ

স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় জিভের অবস্থানের উচ্চতা অনুযায়ী স্বরধ্বনিগুলোকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়। এর মধ্যে নিম্নবিবৃত স্বরধ্বনি হলো সেই স্বরধ্বনি যা উচ্চারণের সময় জিভ মুখের মধ্যে সবচেয়ে নিচে অবস্থান করে এবং মুখ সবচেয়ে বেশি খোলে।

এখানে বিকল্পগুলোর মধ্যে:

  • উচ্চারণের সময় জিভ মুখের মধ্যে সবচেয়ে নিচে থাকে এবং মুখ বেশ খোলে। তাই এটি নিম্নবিবৃত স্বরধ্বনি।
  • উচ্চারণের সময় জিভ মুখের উপরের দিকে থাকে (সংবৃত)।
  • উচ্চারণের সময় জিভ মধ্য অবস্থানে থাকে (অর্ধ-সংবৃত)।
  • অ্যা উচ্চারণের সময় জিভ নিম্ন-মধ্য অবস্থানে থাকে (অর্ধ-বিবৃত)।

সুতরাং, সঠিক উত্তর

ক. জীবননাশের ইচ্ছা
খ. বেঁচে থাকার ইচ্ছা
গ. জীবনকে জানার ইচ্ছা
ঘ. জীবন-জীবিকার পথ
ব্যাখ্যাঃ

‘জিজীবিষা’ শব্দটির অর্থ খঃ বেঁচে থাকার ইচ্ছা

অন্যান্য বিকল্পগুলোর অর্থ হলো:

  • কঃ জীবননাশের ইচ্ছা: এর অর্থ হবে 'জিঘাংসা' (যদিও জিঘাংসা সাধারণত হত্যার ইচ্ছাকে বোঝায়)।
  • গঃ জীবনকে জানার ইচ্ছা: এর কাছাকাছি অর্থ হতে পারে 'জিজ্ঞাসা' (জানার আগ্রহ)।
  • ঘঃ জীবন-জীবিকার পথ: এর সাথে 'জিজীবিষা' শব্দের কোনো সরাসরি সম্পর্ক নেই।

সুতরাং, 'জিজীবিষা' মানে হলো প্রবলভাবে বেঁচে থাকার আকাঙ্ক্ষা বা ইচ্ছা।

ক. বিষমীভবন
খ. সমীভবন
গ. ব্যঞ্জনদ্বিত্ব
ঘ. ব্যঞ্জন-বিকৃতি
ব্যাখ্যাঃ

‘বড় > বড্ড’ – এটি গঃ ব্যঞ্জনদ্বিত্ব ধরনের পরিবর্তন।

এখানে, ‘ড়’ ব্যঞ্জনধ্বনিটি দ্বিত্ব (দুবার) হয়েছে। মূল শব্দ ‘বড়’-এর ‘ড়’ ধ্বনিটি পরবর্তী শব্দে ‘ড’ এবং ‘ড’ রূপে দুইবার উচ্চারিত হচ্ছে। এই প্রক্রিয়াকে ব্যঞ্জনদ্বিত্ব বলা হয়।

অন্যান্য বিকল্পগুলো কেন সঠিক নয়:

  • কঃ বিষমীভবন: যখন দুটি সমবর্ণ ব্যঞ্জনধ্বনির মধ্যে একটি পরিবর্তিত হয়ে ভিন্ন ব্যঞ্জনধ্বনি হয়, তখন তাকে বিষমীভবন বলে। এখানে এমন কিছু ঘটেনি।
  • খঃ সমীভবন: যখন দুটি ভিন্ন ব্যঞ্জনধ্বনি একে অপরের প্রভাবে সামান্য বা সম্পূর্ণভাবে পরিবর্তিত হয়ে একই রকম হয়, তখন তাকে সমীভবন বলে। এখানে ভিন্ন ব্যঞ্জনধ্বনি একই রকম হয়নি।
  • ঘঃ ব্যঞ্জন-বিকৃতি: যখন কোনো ব্যঞ্জনধ্বনি সম্পূর্ণভাবে পরিবর্তিত হয়ে অন্য ব্যঞ্জনধ্বনিতে রূপান্তরিত হয়, তখন তাকে ব্যঞ্জন-বিকৃতি বলে। এখানে ‘ড়’ ধ্বনিটি বিকৃত হয়নি, বরং দ্বিত্ব হয়েছে।
ক. রামায়ণের সাত পর্ব
খ. রামায়ণে বর্ণিত বৃক্ষ
গ. রামায়ণে বর্ণিত সাতটি সমুদ্র
ঘ. বৃহৎ বিষয়
ব্যাখ্যাঃ

‘সপ্তকাণ্ড রামায়ণ’ বাগধারার অর্থ ঘঃ বৃহৎ বিষয়

রামায়ণ সাতটি কাণ্ডে (পর্বে) বিভক্ত একটি বিশাল মহাকাব্য। সেই কারণে, কোনো বড় বা বিস্তৃত বিষয় বোঝাতে এই বাগধারাটি ব্যবহার করা হয়।

ক. প্রত্যায়িত
খ. সত্যায়িত
গ. প্রত্যয়িত
ঘ. সত্যয়িত
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো খঃ সত্যায়িত

ব্যাখ্যা:

"Attested" শব্দের বাংলা পরিভাষা "সত্যায়িত", যা সাধারণত নথিপত্র, তথ্য বা ঘোষণার প্রামাণিকতার নিশ্চয়তা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।

  • কোনো ডকুমেন্ট বা বিবৃতির সত্যতা প্রমাণ করার জন্য "সত্যায়িত" শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
  • এটি "Certified" বা "Verified" অর্থেও ব্যবহৃত হতে পারে।

অন্যদিকে,

  • "প্রত্যায়িত" শব্দটি "Authorized" বা "Approved" বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
  • "প্রত্যয়িত" শব্দটি "Confidence" বা "Conviction" বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
  • "সত্যয়িত" শব্দটি সাধারণত প্রচলিত নয়।
ক. অসহায়ত্ব
খ. বিরক্তি
গ. কালের বিস্তার
ঘ. পৌনঃপুনিকতা
ব্যাখ্যাঃ

‘ডেকে ডেকে হয়রান হচ্ছি।’-এ বাক্যে ‘ডেকে ডেকে’ ঘঃ পৌনঃপুনিকতা অর্থ প্রকাশ করে।

পৌনঃপুনিকতা মানে হলো কোনো কাজ বারবার করা বা পুনরাবৃত্তি হওয়া। এখানে ‘ডেকে ডেকে’ বোঝানো হচ্ছে যে কাজটি বার বার করা হয়েছে, যার ফলে বক্তা হয়রান বা ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন।

অন্যান্য বিকল্পগুলো এই বাক্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়:

  • কঃ অসহায়ত্ব: বাক্যটিতে অসহায়ত্বের ভাব থাকতে পারে, তবে ‘ডেকে ডেকে’ সরাসরি সেই অর্থ প্রকাশ করে না।
  • খঃ বিরক্তি: কাজটি বারবার করার ফলে বক্তার মধ্যে বিরক্তি সৃষ্টি হতে পারে, কিন্তু ‘ডেকে ডেকে’ শব্দবন্ধটি বিরক্তির মূল অর্থ বহন করে না।
  • গঃ কালের বিস্তার: ‘ডেকে ডেকে’ সময়ের দীর্ঘতা বোঝাতে পারে বটে, তবে এর প্রধান অর্থ হলো কাজটি বারবার করা।

২৮. ভুল বানান কোনটি?

[ বিসিএস ৪৩তম ]

ক. ভূবন
খ. অন্তঃসার
গ. মুহূর্ত
ঘ. অদ্ভুত
ব্যাখ্যাঃ

ভুল বানান হল কঃ ভূবন

সঠিক বানান হবে ভূবন (ভ দীর্ঘ ঊকার)।

অন্যান্য বানানগুলো সঠিক:

  • অন্তঃসার
  • মুহূর্ত
  • অদ্ভুত
ক. সরল বাক্য
খ. জটিল বাক্য
গ. যৌগিক বাক্য
ঘ. খণ্ড বাক্য
ব্যাখ্যাঃ

‘যিনি বিদ্বান, তিনি সর্বত্র আদরণীয়।’-এটি একটি জটিল বাক্য

এই বাক্যে দুটি খণ্ডবাক্য রয়েছে:

১. যিনি বিদ্বান - এটি একটি অধীন খণ্ডবাক্য বা আশ্রিত বাক্য (subordinate clause)। কারণ এটি একা সম্পূর্ণ অর্থ প্রকাশ করতে পারে না, এর অর্থ সম্পূর্ণ করার জন্য অন্য একটি বাক্যের উপর নির্ভর করতে হয়। এটি 'যিনি' সাপেক্ষ সর্বনাম দিয়ে শুরু হয়েছে।

২. তিনি সর্বত্র আদরণীয় - এটি একটি প্রধান খণ্ডবাক্য বা স্বাধীন বাক্য (principal clause)। কারণ এটি একা সম্পূর্ণ অর্থ প্রকাশ করতে পারে।

যে বাক্যে একটি প্রধান খণ্ডবাক্য এবং এক বা একাধিক অধীন খণ্ডবাক্য পরস্পর সাপেক্ষভাবে ব্যবহৃত হয়, তাকে জটিল বাক্য বলে। এই বাক্যে 'যিনি' এবং 'তিনি' সাপেক্ষ সর্বনামের মাধ্যমে দুটি খণ্ডবাক্য যুক্ত হয়ে একটি জটিল বাক্য গঠন করেছে।

ক. কর্মধারয়
খ. বহুব্রীহি
গ. অব্যয়ীভাব
ঘ. তৎপুরুষ
ব্যাখ্যাঃ

‘চিকিৎসাশাস্ত্র’ মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস।

এর ব্যাসবাক্য হল: চিকিৎসা বিষয়ক শাস্ত্র

এই সমাসে ব্যাসবাক্যের মাঝের পদ ('বিষয়ক') লোপ পেয়েছে এবং চিকিৎসা ও শাস্ত্র এই দুটি বিশেষ্য পদ মিলিত হয়ে একটি নতুন বিশেষ্য পদ ('চিকিৎসাশাস্ত্র') গঠন করেছে। যেখানে পূর্বপদ ও পরপদ উভয়ই বিশেষ্য এবং মাঝের পদ লোপ পায়, তাকে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলে।

ক. চৌবেরিয়া গ্রাম, নদীয়া
খ. কাঁঠালপাড়া গ্রাম, চব্বিশ পরগনা
গ. বীরসিংহ গ্রাম, মেদিনীপুর
ঘ. দেবানন্দপুর গ্রাম, হুগলি
ব্যাখ্যাঃ

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ১৮২০ সালের ২৬শে সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (অধুনা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা) বীরসিংহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

ক. ১৯ ফেব্রুয়ারি ১৯২৬
খ. ১৯ জানুয়ারি ১৯২৬
গ. ১৯ মার্চ ১৯২৬
ঘ. ২৬ মার্চ ১৯২৭
ব্যাখ্যাঃ

‘মুসলিম সাহিত্য সমাজ’ ১৯২৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।

প্রতিষ্ঠার সঠিক তারিখ ছিল ১৯ জানুয়ারি ১৯২৬। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম হলে (বর্তমান সলিমুল্লাহ মুসলিম হল) এই সাহিত্য সমাজের প্রতিষ্ঠা হয়।

এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন ছিলেন:

  • কাজী মোতাহার হোসেন
  • কাজী আবদুল ওদুদ
  • আবুল হুসেন
  • ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ (প্রতিষ্ঠাকালীন সভায় সভাপতিত্ব করেন)

এই সংগঠনটি "বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন"-এর সাথে জড়িত ছিল এবং এর মুখপত্র ছিল শিখা পত্রিকা।

ক. এস. ওয়াজেদ আলী
খ. আবুল হাসেম
গ. আবুল মনসুর আহমদ
ঘ. আবুল হুসেন
ব্যাখ্যাঃ

‘আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর’ লিখেছেন আবুল মনসুর আহমদ

এটি তাঁর একটি বিখ্যাত আত্মজীবনীমূলক রচনা, যেখানে তিনি ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে পাকিস্তান আমল এবং স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় পর্যন্ত দীর্ঘ পঞ্চাশ বছরের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে তুলে ধরেছেন। বইটি ১৯৬৯ সালে প্রকাশিত হয় এবং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে বিবেচিত।

ক. কাজী নজরুল ইসলাম
খ. কামাল পাশা
গ. চিত্তরঞ্জন দাস
ঘ. সুভাষ বসু
ব্যাখ্যাঃ

"ঐ ক্ষেপেছে পাগলি মায়ের দামাল ছেলে" – এই পংক্তিতে "দামাল ছেলে" বলতে কামাল পাশা-কে বোঝানো হয়েছে।

এই চরণটি কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত কবিতা "কামাল পাশা" থেকে নেওয়া হয়েছে। কবিতাটি তুরস্কের বীর নেতা মোস্তফা কামাল পাশার বীরত্ব ও দেশপ্রেমের প্রতি কবির গভীর শ্রদ্ধা ও admiration প্রকাশ করে। কামাল পাশা তাঁর সাহসী নেতৃত্ব ও রণকৌশলের মাধ্যমে তুরস্ককে একটি আধুনিক ও স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলেন। নজরুল এই দামাল ছেলেরূপে তাঁর বিপ্লবী চেতনা ও অদম্য সাহসকে তুলে ধরেছেন।

ক. ‘শনিবারের চিঠি’
খ. রবিবারের ডাক
গ. বিজলি
ঘ. বঙ্গদর্শন
ব্যাখ্যাঃ

সজনীকান্ত দাস সম্পাদিত পত্রিকার নাম কঃ ‘শনিবারের চিঠি’

‘শনিবারের চিঠি’ একটি বিখ্যাত সাহিত্য পত্রিকা ছিল যা ১৯২৪ সালে প্রথম প্রকাশিত হয় এবং বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তির সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়েছে। সজনীকান্ত দাস ১৯৩০ সাল থেকে দীর্ঘকাল এই পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন এবং তাঁর সম্পাদনায় পত্রিকাটি বিশেষ খ্যাতি লাভ করে। পত্রিকাটি মূলত প্রগতিবিরোধী ও রক্ষণশীল সাহিত্য গোষ্ঠীর মুখপত্র হিসেবে পরিচিত ছিল এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরসহ অনেক প্রথিতযশা সাহিত্যিকদের সমালোচনার জন্য বিখ্যাত ছিল।

ক. distortion
খ. contortion
গ. wholeness
ঘ. disfigurement
ব্যাখ্যাঃ

‘ডিফরমেশন’ (deformation) শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ হল গঃ wholeness। বাংলায় এর অর্থ পূর্ণতা বা অখণ্ডতা

অন্যান্য বিকল্পগুলোর বাংলা অর্থ এবং কেন সেগুলো বিপরীতার্থক নয় তা নিচে দেওয়া হলো:

  • কঃ distortion (ডিসটর্শন): এর বাংলা অর্থ বিকৃতি বা অপবিকৃতি। এটি ‘ডিফরমেশন’-এর প্রায় সমার্থক।
  • খঃ contortion (কন্টর্শন): এর বাংলা অর্থ মোচড়ানো বা বিকৃত অবস্থা। এটিও ‘ডিফরমেশন’-এর কাছাকাছি অর্থ বহন করে।
  • ঘঃ disfigurement (ডিসফিগারমেন্ট): এর বাংলা অর্থ কদর্যতা বা বিকৃত দশা। এটি ‘ডিফরমেশন’-এর ফলে সৃষ্ট অবস্থার একটি রূপ।

সুতরাং, ‘ডিফরমেশন’ (বিকৃতি) এর বিপরীত হল wholeness (পূর্ণতা)।

৩৭. Words inscribed on a tomb is an -

[ বিসিএস ৪৩তম ]

ক. epitome
খ. epithet
গ. episode
ঘ. epitaph
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল ঘঃ epitaph। ‘Tomb’ শব্দের বাংলা অর্থ হল সমাধি বা কবর।

  • Epitaph (সমাধি-লিপি): একটি সমাধির উপর খোদাই করা শব্দ বা বাক্য, যা মৃত ব্যক্তির স্মৃতি ধারণ করে।

অন্যান্য বিকল্পগুলোর অর্থ:

  • Epitome (সারসংক্ষেপ): কোনো কিছুর সংক্ষিপ্ত ও নিখুঁত উদাহরণ বা সারাংশ।
  • Epithet (উপাধি): কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর বৈশিষ্ট্য বর্ণনাকারী বিশেষণ বা আখ্যা।
  • Episode (ঘটনা): কোনো বৃহত্তর ঘটনার একটি অংশ বা পর্ব।

৩৮. The phrase ‘dog days’ means-

[ বিসিএস ৪৩তম ]

ক. hot weather
খ. cold shower
গ. rain-soaked streets
ঘ. ice storm
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো কঃ hot weather

ব্যাখ্যা:

‘Dog days’ বলতে উচ্চ তাপমাত্রার সময় বা গ্রীষ্মের সবচেয়ে গরম দিনগুলো বোঝানো হয়।

  • এটি মূলত জুলাই ও আগস্ট মাসের চরম গরম আবহাওয়া বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
  • এই শব্দটি প্রাচীন গ্রিক ও রোমানদের বিশ্বাস থেকে এসেছে, যেখানে সিরিয়াস (Dog Star) নামক উজ্জ্বল তারার অবস্থানের সাথে গ্রীষ্মের তাপমাত্রার সম্পর্ক রয়েছে।

অন্য বিকল্পগুলোর বিশ্লেষণ:

  • ‘Cold shower’ (এটি শীতল গোসল বোঝায়, যা ‘Dog days’-এর উল্টো অর্থ)
  • ‘Rain-soaked streets’ (এটি বর্ষার সময় বোঝায়, গ্রীষ্ম নয়)
  • ‘Ice storm’ (এটি শীতকালীন ঝড় বোঝায়)

৩৯. Which gender is the word ‘orphan’?

[ বিসিএস ৪৩তম ]

ক. neuter
খ. feminine
গ. common
ঘ. masculine
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো গঃ common

ব্যাখ্যা:

"Orphan" শব্দটি common gender, কারণ এটি পুরুষ বা নারী উভয়কে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।

  • এটি specific masculine (boy) বা feminine (girl) নয়
  • একটি ছেলে অথবা মেয়েকে অভিভাবকহীন শিশু বোঝাতে "orphan" শব্দটি ব্যবহার করা হয়।

অন্য বিকল্পগুলোর বিশ্লেষণ:

  • "Neuter" (জড় পদার্থ বোঝায়, যা মানুষ বা প্রাণীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)
  • "Feminine" (শুধু মেয়েদের বোঝাবে, যা "orphan" শব্দের ক্ষেত্রে সত্য নয়)
  • "Masculine" (শুধু ছেলেদের বোঝাবে, যা "orphan" শব্দের ক্ষেত্রে সত্য নয়)

৪০. Who wrote the play “The Way of the World”?

[ বিসিএস ৪৩তম ]

ক. William Shakespeare
খ. William Congreve
গ. Ben Jonson
ঘ. Oscar Wilde
ব্যাখ্যাঃ

‘দ্য ওয়ে অফ দ্য ওয়ার্ল্ড’ নাটকটি খঃ উইলিয়াম কঙ্গ্রিভ রচনা করেছেন।

এটি ১৭০০ সালে প্রথম মঞ্চায়িত একটি রেস্টোরেশন কমেডি (পুনঃস্থাপন যুগের হাস্যরসাত্মক নাটক)।

ক. Geoffrey Chaucer
খ. Christopher Marlowe
গ. John Milton
ঘ. P. B. Shelley
ব্যাখ্যাঃ

“Better to reign in Hell, than serve in Heav’n.” — এই বিখ্যাত উক্তিটির লেখক হলেন জন মিলটন (John Milton)

বিস্তারিত:

  • গ্রন্থের নাম: Paradise Lost (প্যারাডাইস লস্ট)
  • বইয়ের প্রথম খণ্ডে (Book I) এই উক্তিটি এসেছে
  • উক্তিটির বক্তা: শয়তান (Satan)
  • অর্থ: "স্বর্গে দাসত্ব করার চেয়ে নরকে রাজত্ব করাই শ্রেয়।"

এই উক্তিটি শয়তানের বিদ্রোহী মনোভাব ও আত্মমর্যাদার প্রতিচ্ছবি।

৪২. Who is not an Irish writer?

[ বিসিএস ৪৩তম ]

ক. Oscar Wilde
খ. James Joyce
গ. Jonathan Swift
ঘ. D. H. Lawrence
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো ঘঃ D. H. Lawrence

ব্যাখ্যা:

D. H. Lawrence ছিলেন একজন ইংরেজ সাহিত্যিক, তাই তিনি আইরিশ (Irish) লেখক নন

অন্যদিকে,

  • Oscar Wilde (আইরিশ সাহিত্যিক, বিখ্যাত নাট্যকার ও লেখক)
  • James Joyce (আধুনিক ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম প্রধান আইরিশ লেখক)
  • Jonathan Swift (আইরিশ লেখক, ‘Gulliver’s Travels’ এর রচয়িতা)
ক. adverb
খ. adjective
গ. collective noun
ঘ. abstract noun
ব্যাখ্যাঃ

উত্তর: Collective Noun (সমষ্টিবাচক বিশেষ্য)

বিশ্লেষণ:

বাক্য: “A herd of cattle is passing.” এখানে "herd" শব্দটি গরুর একটি দল বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে।

সংজ্ঞা:

Collective Noun হল এমন একটি বিশেষ্য যা একাধিক ব্যক্তি, প্রাণী বা বস্তুর সমষ্টিকে একত্রে নির্দেশ করে। যেমন: team, class, family, herd, flock, crowd ইত্যাদি।

ক. populous
খ. popular
গ. popularity
ঘ. popularize
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর: খঃ popular

বিশ্লেষণ:

  • people (noun) → মানুষ বা জনগণ বোঝায়।
  • এর থেকে গঠিত adjective (বিশেষণ) হলো popular, যার অর্থ "জনপ্রিয়" বা "মানুষের মধ্যে জনপ্রিয়"।

অন্য বিকল্পগুলোর ব্যাখ্যা:

  • কঃ populous – একটি বিশেষণ হলেও এটি স্থান বা অঞ্চলের জনঘনত্ব বোঝায় (যেমন: a populous city)। এটি ‘people’ শব্দের অর্থের কাছাকাছি, তবে এটি ভিন্ন প্রসঙ্গ বোঝায়।

  • গঃ popularity – এটি একটি noun (বিশেষ্য), অর্থ: জনপ্রিয়তা।

  • ঘঃ popularize – এটি একটি verb (ক্রিয়া), অর্থ: জনপ্রিয় করা।

ক. present participle
খ. gerund
গ. verb
ঘ. infinitive
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর: খঃ gerund

বিশ্লেষণ:

বাক্য: He contemplated marrying his cousin.

এখানে "marrying" শব্দটি একটি verb-এর -ing ফর্ম হলেও এটি ক্রিয়ার মতো নয়, বরং noun-এর মতো ব্যবহার হয়েছে। এটি "contemplated" (চিন্তা করেছিল) এই ক্রিয়ার object হিসেবে কাজ করছে। অর্থাৎ, সে তার কাজিনকে বিয়ে করার কথা চিন্তা করেছিল।

সংজ্ঞা:

  • Gerund: Verb-এর -ing ফর্ম, যা noun হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যেমন: Swimming is good for health. (Swimming এখানে subject)

  • Present participle: এটি verb-এর -ing রূপ হলেও adjective বা continuous tense-এ ব্যবহৃত হয়। যেমন: The swimming boy is my brother.

৪৬. ‘No Second Troy’ is a-

[ বিসিএস ৪৩তম ]

ক. short story
খ. novel
গ. poem
ঘ. drama
ব্যাখ্যাঃ

‘No Second Troy’ একটি কবিতা (poem)

বিশ্লেষণ:

  • রচয়িতা: উইলিয়াম বাটলার ইয়েটস (W. B. Yeats), একজন আইরিশ কবি।
  • বিষয়বস্তু: এই কবিতাটি ইয়েটসের প্রেমিকা মড গন (Maud Gonne)-কে নিয়ে লেখা। ইয়েটস এখানে তাঁর বিপ্লবী স্বভাবকে তুলনা করেছেন ট্রয়ের ধ্বংসের জন্য দায়ী হেলেনের সঙ্গে।
  • ধরন: আধুনিক ইংরেজি সাহিত্য, ব্যক্তিগত বেদনা ও ঐতিহাসিক প্রতীক ব্যবহারে সমৃদ্ধ।

৪৭. Who is not a modern poet?

[ বিসিএস ৪৩তম ]

ক. W. B. Yeats
খ. W. H. Auden
গ. John Keats
ঘ. T. S. Eliot
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো গঃ John Keats। ✅

ব্যাখ্যা:

John Keats ছিলেন রোমান্টিক যুগের কবি, তাই তিনি আধুনিক (Modern) কবি নন

  • তাঁর রচনাশৈলী মূলত নৈসর্গিক সৌন্দর্য, আবেগপ্রবণতা ও কল্পনাপ্রধান ভাষা দ্বারা প্রভাবিত ছিল।
  • তিনি ১৯শ শতকের (Romantic Period) অন্যতম প্রধান কবি ছিলেন।

অন্যদিকে,

  • W. B. Yeats ✅ (আধুনিক যুগের কবি, প্রতীকবাদ ও জটিল ভাবনা প্রকাশ করেছেন)
  • W. H. Auden ✅ (মডার্নিস্ট কবি, সমাজ, রাজনীতি ও মনস্তত্ত্ব নিয়ে লিখেছেন)
  • T. S. Eliot ✅ (আধুনিক যুগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কবি, ‘The Waste Land’ তাঁর বিখ্যাত কবিতা)
ক. Thomas Hardy
খ. Jhumpa Lahiri
গ. R. K. Narayan
ঘ. Arundhati Roy
ব্যাখ্যাঃ

উপন্যাস ‘দ্য গড অফ স্মল থিংস’ লিখেছেন অরুন্ধতী রায়

উপন্যাস সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য:

  • এটি ১৯৯৭ সালে প্রকাশিত হয় এবং বুকার পুরস্কার জয় করে।
  • উপন্যাসটি ভারতের সামাজিক কাঠামো, ভালোবাসা, রাজনীতি ও পারিবারিক সম্পর্ক নিয়ে লেখা।
  • এটি কেরালা রাজ্যে বসবাসকারী যমজ ভাইবোন এসথা ও রাহেল-এর জীবনগল্প
  • বইটি তার কাব্যিক ভাষা ও অপ্রথাগত গল্প বলার ধারা জন্য বিখ্যাত।
ক. A Passage to India
খ. Sons and Lovers
গ. One Hundred Years of Solitude
ঘ. Pride and Prejudice
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল গঃ One Hundred Years of Solitude

এই উপন্যাসটি কলম্বিয়ার লেখক গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ লিখেছেন। তিনি একজন ইংরেজি ভাষার লেখক নন।

অন্যান্য উপন্যাসগুলো ইংরেজি লেখকদের সৃষ্টি:

  • কঃ A Passage to India লিখেছেন ই. এম. Forster (ইংল্যান্ড)।
  • খঃ Sons and Lovers লিখেছেন ডি. এইচ. লরেন্স (ইংল্যান্ড)।
  • ঘঃ Pride and Prejudice লিখেছেন জেন অস্টেন (ইংল্যান্ড)।

৫০. A speech full of too many words is-

[ বিসিএস ৪৩তম ]

ক. a big speech
খ. maiden speech
গ. a verbose speech
ঘ. an unimportant speech
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল গঃ a verbose speech

"Verbose" শব্দের অর্থ হল "অতিরিক্ত শব্দবহুল" বা "বাগাড়ম্বরপূর্ণ"। সুতরাং, "a verbose speech" মানে হল একটি বক্তৃতা যা অতিরিক্ত শব্দে পূর্ণ।

অন্যান্য বিকল্পগুলো সঠিক নয়:

  • কঃ a big speech: একটি দীর্ঘ বক্তৃতা বোঝাতে পারে, তবে অত্যাবশ্যকীয়ভাবে অতিরিক্ত শব্দবহুল নয়।
  • খঃ maiden speech: কোনো ব্যক্তি কর্তৃক প্রথমবারের মতো দেওয়া বক্তৃতা বোঝায়।
  • ঘঃ an unimportant speech: একটি গুরুত্বহীন বক্তৃতা বোঝায়।

৫১. Who is the poet of the poem “Ozymandias”?

[ বিসিএস ৪৩তম ]

ক. P. B. Shelley
খ. William Wordsworth
গ. S. T. Coleridge
ঘ. John Keats
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল কঃ P. B. Shelley

পার্সি বিশি শেলি (P. B. Shelley) "Ozymandias" কবিতাটির রচয়িতা। এটি ১৮১৮ সালে প্রকাশিত হয়েছিল।

৫২. ‘Moby Dick’, a novel, was written by –

[ বিসিএস ৪৩তম ]

ক. Herman Melville
খ. Nathaniel Hawthorne
গ. Mark Twain
ঘ. William Faulkner
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল কঃ Herman Melville (হারমান মেলভিল)

"মোবি ডিক" উপন্যাসটি হারমান মেলভিল রচনা করেছিলেন। এটি ১৮৫১ সালে প্রকাশিত একটি বিখ্যাত আমেরিকান সাহিত্যকর্ম।

ক. William Blake
খ. S. T. Coleridge
গ. Lord Byron
ঘ. P. B. Shelley
ব্যাখ্যাঃ

এই বিখ্যাত উক্তিটি পার্সি বিশি শেলি (P. B. Shelley) তাঁর "ওড টু দ্য ওয়েস্ট উইন্ড" ("Ode to the West Wind") নামক কবিতার শেষ স্তবকের অংশ।

সুতরাং, সঠিক উত্তর হল পার্সি বিশি শেলি

৫৪. O’Henry was from –

[ বিসিএস ৪৩তম ]

ক. Canada
খ. America
গ. England
ঘ. Ireland
ব্যাখ্যাঃ

ও' হেনরি ছিলেন আমেরিকার

তাঁর আসল নাম ছিল উইলিয়াম সিডনি পোর্টার এবং তিনি ১৮৬২ সালে নর্থ ক্যারোলিনার গ্রিনসবোরোতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একজন বিখ্যাত আমেরিকান ছোটগল্প লেখক।

৫৫. Where is the setting of the play ‘Hamlet’?

[ বিসিএস ৪৩তম ]

ক. England
খ. Italy
গ. France
ঘ. Denmark
ব্যাখ্যাঃ

উইলিয়াম শেক্সপিয়রের বিখ্যাত নাটক 'হ্যামলেট'-এর পটভূমি মূলত ডেনমার্কের এলসিনোরে অবস্থিত।

নাটকের বেশিরভাগ ঘটনাই ডেনিশ রাজতন্ত্রের কেন্দ্র এলসিনোরের রাজকীয় দুর্গের ভেতরে বা আশেপাশে সংঘটিত হয়। কিছু দৃশ্য ডেনমার্কের অন্যান্য স্থানেও ঘটে, যেমন কবরস্থানের দৃশ্য।

এলসিনোর ডেনমার্কে একটি বাস্তব স্থান, এবং মনে করা হয় যে ক্রোনবার্গ দুর্গ 'হ্যামলেট'-এর পটভূমির অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। ক্রোনবার্গ দুর্গটি জিল্যান্ডের উপকূলে হেলসিংওর শহরে (ঐতিহাসিকভাবে ইংরেজিতে এলসিনোর নামে পরিচিত) অবস্থিত, যা ডেনমার্ক এবং সুইডেনের মধ্যবর্তী Oresund প্রণালীর দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে।

৫৬. The word ‘to genuflect’ means –

[ বিসিএস ৪৩তম ]

ক. to be genuine
খ. to reflect
গ. to bend the knee
ঘ. to be flexible
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল গঃ to bend the knee

'টু জেনুফ্লেক্ট' (to genuflect) মানে হলো সম্মান বা উপাসনার চিহ্ন হিসেবে এক হাঁটু মোড়া এবং তারপর উঠে দাঁড়ানো। "To bend the knee" এর সবচেয়ে সরাসরি এবং সঠিক ইংরেজি অনুবাদ।

অন্যান্য বিকল্পগুলো ভুল:

  • কঃ to be genuine: খাঁটি বা আসল হওয়া।
  • খঃ to reflect: প্রতিফলিত করা বা চিন্তা করা।
  • ঘঃ to be flexible: নমনীয় হওয়া।

৫৭. Fill in the blank:
She went to New Market _____.

[ বিসিএস ৪৩তম ]

ক. on foot
খ. on feet
গ. by foot
ঘ. by walking
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল কঃ on foot

সঠিক বাক্যটি হবে: She went to New Market on foot.

"On foot" মানে পায়ে হেঁটে যাওয়া। এটি একটি ইংরেজি ভাষার ইডিয়ম যা হাঁটার মাধ্যমে কোথাও যাওয়া বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।

অন্যান্য বিকল্পগুলো ব্যাকরণগতভাবে ভুল বা স্বাভাবিক ব্যবহার নয়:

  • খঃ on feet: এটি ব্যাকরণগতভাবে সঠিক নয়। "Foot" একবচন এবং হাঁটার ক্ষেত্রে সাধারণত একবচনই ব্যবহৃত হয়।
  • গঃ by foot: যদিও কখনও কখনও শোনা যায়, "on foot" হল অনেক বেশি প্রচলিত এবং স্বাভাবিক ব্যবহার।
  • ঘঃ by walking: এটি একটি gerundial phrase, কিন্তু এই ক্ষেত্রে "on foot" সবচেয়ে উপযুক্ত এবং সংক্ষিপ্ত অভিব্যক্তি।

৫৮. Fill in the gap:
Birds fly ___ in the sky.

[ বিসিএস ৪৩তম ]

ক. random
খ. at large
গ. at a stitch
ঘ. are long
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল খঃ at large

সঠিক বাক্যটি হবে: Birds fly at large in the sky.

"At large" মানে হল অবাধে, যেখানে খুশি সেখানে, বা সাধারণভাবে। পাখিরা আকাশে অবাধে ওড়ে, কোনো নির্দিষ্ট সীমানা বা গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ থাকে না।

অন্যান্য বিকল্পগুলো এই বাক্যের জন্য উপযুক্ত নয়:

  • কঃ random: এলোমেলোভাবে ওড়া বোঝাচ্ছে, যা কিছুটা হলেও সত্যি হতে পারে, তবে "at large" আরও ব্যাপক অর্থে তাদের অবাধ বিচরণকে বোঝায়।
  • গঃ at a stitch: এর অর্থ হল একটানা, যা পাখিদের ওড়ার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
  • ঘঃ are long: এটি ব্যাকরণগতভাবে ভুল এবং অর্থহীন।

৫৯. Who is the author of ‘Jane Eyre’?

[ বিসিএস ৪৩তম ]

ক. Charlotte Bronte
খ. Emily Bronte
গ. Jane Austen
ঘ. Mary Shelley
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল কঃ Charlotte Brontë

'জেন Eyre' উপন্যাসটি শার্লট ব্রন্টির লেখা। এটি ১৮৪৭ সালে প্রকাশিত হয়েছিল এবং ইংরেজি সাহিত্যের একটি ক্লাসিক হিসেবে বিবেচিত হয়।

ক. John Dryden
খ. Alexander Pope
গ. William Wordsworth
ঘ. T. S. Eliot
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল গঃ উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ

উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ ইংরেজি সাহিত্যের সবচেয়ে বিখ্যাত রোমান্টিক কবিদের একজন হিসেবে বিবেচিত হন। তিনি প্রকৃতির প্রতি তাঁর গভীর অনুরাগ এবং আবেগময় ও কল্পনাময় কবিতার জন্য বিখ্যাত। রোমান্টিক আন্দোলনের একজন প্রধান ব্যক্তিত্ব হিসেবে তিনি সাহিত্য জগতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছিলেন।

অন্যান্য বিকল্পগুলো:

  • কঃ জন ড্রাইডেন ছিলেন একজন প্রভাবশালী ইংরেজি কবি, সাহিত্য সমালোচক, অনুবাদক এবং নাট্যকার যিনি পুনরুদ্ধার যুগের (Restoration period) প্রধান ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি রোমান্টিক যুগের কবি নন।
  • খঃ আলেকজান্ডার পোপ ছিলেন অষ্টাদশ শতাব্দীর একজন বিখ্যাত কবি, যিনি তাঁর ব্যঙ্গাত্মক কবিতা এবং নীতিমূলক রচনার জন্য পরিচিত। তিনিও রোমান্টিক যুগের কবি নন।
  • ঘঃ টি. এস. এলিয়ট ছিলেন বিংশ শতাব্দীর একজন প্রধান কবি, প্রাবন্ধিক, প্রকাশক, নাট্যকার এবং সাহিত্য ও সামাজিক সমালোচক। তিনি আধুনিকতাবাদী সাহিত্যের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন, রোমান্টিক যুগের নন।
ক. unkind
খ. generous
গ. revengeful
ঘ. friendly
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল খঃ generous

'Magnanimous' শব্দের সঠিক সমার্থক শব্দ হল 'generous', যার অর্থ হলো উদার, মহানুভব, দানশীল।

অন্যান্য বিকল্পগুলোর অর্থ:

  • কঃ unkind: নির্দয়, নিষ্ঠুর।
  • গঃ revengeful: প্রতিশোধপরায়ণ।
  • ঘঃ friendly: বন্ধুত্বপূর্ণ, মিশুক।
ক. are acting
খ. acted
গ. have acted
ঘ. could act
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল acted

সঠিক বাক্যটি হবে: It is high time we acted on the matter.

"It is high time", "it is time", "it is about time" - এই phrase গুলোর পরে verb এর Past Simple form ব্যবহৃত হয়। এর কারণ হলো এই অভিব্যক্তিগুলো দ্বারা বোঝানো হয় যে কোনো কাজ অনেক আগেই করা উচিত ছিল বা করার উপযুক্ত সময় পেরিয়ে গেছে, তাই কাল্পনিক বা অনুশোচনামূলক অর্থে Past Simple tense ব্যবহৃত হয়।

৬৩. What is the noun form of the word ‘laugh’?

[ বিসিএস ৪৩তম ]

ক. laughing
খ. laughable
গ. laughter
ঘ. laughingly
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল গঃ laughter

'Laugh' শব্দটির বিশেষ্য (noun) রূপ হল 'laughter', যার অর্থ হাসি।

অন্যান্য বিকল্পগুলো বিশেষ্য নয়:

  • কঃ laughing: এটি 'laugh' এর present participle form, যা verb হিসেবে বা adjective হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।
  • খঃ laughable: এটি একটি adjective, যার অর্থ হাসির উদ্রেক।
  • ঘঃ laughingly: এটি একটি adverb, যার অর্থ হাসতে হাসতে।

৬৪. Identify the word which is spelt incorrectly:

[ বিসিএস ৪৩তম ]

ক. fluctuation
খ. remission
গ. ocassion
ঘ. decision
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল গঃ ocassion

এই শব্দটি ভুলভাবে লেখা হয়েছে। এর সঠিক বানান হল occasion

অন্যান্য শব্দগুলির বানান সঠিক:

  • কঃ fluctuation (অর্থ: ওঠানামা)
  • খঃ remission (অর্থ: হ্রাস, মুক্তি)
  • ঘঃ decision (অর্থ: সিদ্ধান্ত)

৬৫. Change the voice: ‘Nobody trusts a traitor.’

[ বিসিএস ৪৩তম ]

ক. A traitor is trusted
খ. A traitor should not be trusted
গ. Everybody hates a traitor
ঘ. A traitor is not trusted by anybody
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল: A traitor is not trusted by anybody.

অন্যভাবেও বলা যায়: A traitor is not trusted. (এখানে 'by anybody' ঊহ্য রাখা যায়, কারণ কর্তা অনির্দিষ্ট)

ব্যাখ্যা:

  • প্রদত্ত বাক্যটি Active voice-এ আছে। এর গঠন হল: Subject (Nobody) + Verb (trusts) + Object (a traitor).
  • Passive voice-এ পরিবর্তন করার নিয়ম অনুযায়ী, Active voice-এর Object Passive voice-এর Subject হয়। তাই 'a traitor' প্রথমে বসেছে।
  • Active voice-এর Verb 'trusts' (present indefinite) Passive voice-এ 'is trusted' হয়েছে।
  • Active voice-এর Subject 'Nobody' Passive voice-এ 'by nobody' হয়েছে। তবে, 'nobody', 'no one' ইত্যাদি অনির্দিষ্ট কর্তা থাকলে 'by' যোগ করে লেখার প্রয়োজন হয় না, অথবা 'not ... by anybody/anyone' এভাবে লেখা হয়।

অতএব, সঠিক Passive voice হল: A traitor is not trusted by anybody. অথবা সংক্ষেপে A traitor is not trusted.

৬৬. ___ was both a poet and a painter.

[ বিসিএস ৪৩তম ]

ক. John Keats
খ. Spenser
গ. William Blake
ঘ. John Donne
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল গঃ William Blake

উইলিয়াম ব্লেক ছিলেন একাধারে একজন প্রখ্যাত কবি এবং চিত্রশিল্পী। তিনি তাঁর কবিতা এবং চিত্রকলার জন্য আজও সমাদৃত।

৬৭. Identify the correct sentence:

[ বিসিএস ৪৩তম ]

ক. The girl burst out tears
খ. The girl burst into tears
গ. The girl burst with tears
ঘ. The girl bursted out tears
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল খঃ The girl burst into tears

"Burst into tears" একটি সঠিক phrase যার অর্থ হল হঠাৎ করে কাঁদতে শুরু করা।

অন্যান্য বিকল্পগুলো ব্যাকরণগতভাবে ভুল:

  • কঃ The girl burst out tears: "Burst out" এর পরে সাধারণত একটি gerund (verb + ing) বা একটি noun phrase (তবে "tears" এর সাথে নয়) বসে।
  • গঃ The girl burst with tears: এই ব্যবহারটি স্বাভাবিক নয়।
  • ঘঃ The girl bursted out tears: "Burst" একটি অনিয়মিত verb, এর Past Simple এবং Past Participle form "burst", "bursted" নয়। এছাড়াও, "burst out tears" সঠিক ব্যবহার নয়।

৬৮. The phrase ‘sine die’ means –

[ বিসিএস ৪৩তম ]

ক. half-heartedly
খ. doubtfully
গ. fixed
ঘ. uncertain
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল ঘঃ uncertain

'Sine die' একটি ল্যাটিন শব্দবন্ধ, যার অর্থ হল অনির্দিষ্টকালের জন্য, অথবা স্থগিত, যেখানে পুনরায় কখন কার্যক্রম শুরু হবে তা নির্দিষ্ট করা হয়নি। সুতরাং, এর অর্থ uncertain (অনিশ্চিত)।

অন্যান্য বিকল্পগুলোর অর্থ:

  • কঃ half-heartedly: অনিচ্ছাকৃতভাবে, অনাগ্রহের সাথে।
  • খঃ doubtfully: সন্দেহজনকভাবে।
  • গঃ fixed: স্থির, নির্ধারিত।

৬৯. What kind of play is ‘Julius Caesar’?

[ বিসিএস ৪৩তম ]

ক. romantic
খ. anti-romantic
গ. comedy
ঘ. historical
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল ঘঃ historical

'জুলিয়াস সিজার' উইলিয়াম শেক্সপিয়রের একটি ঐতিহাসিক নাটক। এটি প্রাচীন রোমের ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব জুলিয়াস সিজারের জীবন, হত্যাকাণ্ড এবং তার পরবর্তী ঘটনাবলী নিয়ে রচিত। যদিও নাটকের কিছু অংশে ট্র্যাজেডির উপাদানও বিদ্যমান, তবে এর মূল ভিত্তি ঐতিহাসিক ঘটনা।

ক. to
খ. over
গ. in
ঘ. on
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো ঘঃ on

ব্যাখ্যা:

"On" হল সঠিক প্রিপজিশন, কারণ "money on you" বলতে বোঝায় আপনার কাছে এখন টাকা আছে কি না

  • উদাহরণ: "Do you have any money on you?" (আপনার কাছে কি কোনো টাকা আছে?)

৭১. 2log23+log25 এর মান কত?

[ বিসিএস ৪৩তম ]

ক. 8
খ. 2
গ. 15
ঘ. 10
ব্যাখ্যাঃ আমরা প্রদত্ত প্রকাশটি সরলীকরণ করতে পারি:

2log23+log25

ধাপে ধাপে সমাধান:



ধাপ ১: লগারিদমের যোগের সূত্র প্রয়োগ
logbx+logby=logb(x×y)

log23+log25=log2(3×5)=log215

ধাপ ২: সূচকের লগারিদম সূত্র প্রয়োগ
alogax=x

এটি প্রয়োগ করলে,
2log215=15

চূড়ান্ত উত্তর:


15
ক. { ∅ }
খ. { 1 }
গ. { – 1 }
ঘ. { 2 }
ব্যাখ্যাঃ

ধাপ ১: গাণিতিক সরলীকরণ


উভয় ভগ্নাংশের হর x1 একই, তাই আমরা তাদের একত্রিত করতে পারি:

(x2)+1x12=0

x1x12=0

12=0

1=0

ধাপ ২: বিশ্লেষণ


আমরা দেখতে পাচ্ছি, এই সমীকরণটি ভুল কারণ 1=0 হতে পারে না
অতএব, এই সমীকরণের কোনো বাস্তব সমাধান নেই
অর্থাৎ সমাধানের সেট খালি:
ক. {3, 5, 8}
খ. {4, 5, 7}
গ. {3, 4, 5}
ঘ. {3, 5, 7}
ব্যাখ্যাঃ আমরা দুটি সেট A এবং B এর ছেদ AB নির্ণয় করব।

প্রদত্ত সেট:


A={xN|2<x8}
অর্থাৎ A={3,4,5,6,7,8}

B={xN|x বিজোড় এবং x9}
অর্থাৎ B={1,3,5,7,9}

AB নির্ণয়:


AB এর সাধারণ উপাদান (common elements) হলো 3,5,7
অতএব,
AB={3,5,7}

চূড়ান্ত উত্তর:


AB={3,5,7}
ক. ২৪
খ. ২৫
গ. ৩০
ঘ. ৬০
ব্যাখ্যাঃ ধরি, অনুষ্ঠানে মোট n জন লোক উপস্থিত ছিল।

প্রত্যেক ব্যক্তি অন্য (n1) জনের সাথে করমর্দন করতে পারবে। যদি আমরা প্রত্যেক ব্যক্তির করমর্দনের সংখ্যা গুণ করি, তাহলে মোট n(n1) টি করমর্দন হওয়ার কথা।

কিন্তু, এই পদ্ধতিতে প্রতিটি করমর্দনকে দুইবার গণনা করা হয়েছে (যেমন, A এবং B এর মধ্যে করমর্দনকে A এর দৃষ্টিকোণ থেকে একবার এবং B এর দৃষ্টিকোণ থেকে একবার গণনা করা হয়েছে)।

সুতরাং, প্রকৃত করমর্দনের সংখ্যা হবে n(n1)2

প্রশ্নানুসারে, করমর্দনের সংখ্যা ৩০০। সুতরাং, আমরা লিখতে পারি:

n(n1)2=300
n(n1)=300×2
n(n1)=600
n2n600=0

এটি একটি দ্বিঘাত সমীকরণ। আমরা এটিকে উৎপাদকের সাহায্যে সমাধান করতে পারি অথবা দ্বিঘাত সমীকরণের সূত্র ব্যবহার করতে পারি। উৎপাদকের জন্য, আমাদের এমন দুটি সংখ্যা খুঁজে বের করতে হবে যাদের গুণফল -৬০০ এবং যোগফল -১। সংখ্যা দুটি হল -২৫ এবং ২৪।

n225n+24n600=0

n(n25)+24(n25)=0

(n25)(n+24)=0

সুতরাং, n25=0 অথবা n+24=0.

যদি n25=0, তাহলে n=25.
যদি n+24=0, তাহলে n=24.

যেহেতু লোকের সংখ্যা ঋণাত্মক হতে পারে না, তাই n=25.

অতএব, ঐ অনুষ্ঠানে মোট ২৫ জন লোক ছিল।
ক. 18
খ. 16
গ. 14
ঘ. 12
ব্যাখ্যাঃ

ধাপ ১: প্রদত্ত তথ্য


P(A)=12,  P(AB)=34,  P(Bc)=58

ধাপ ২: P(B) নির্ণয়


P(B)=1P(Bc)=158=38

ধাপ ৩: P(AB) নির্ণয়


সেট তত্ত্ব অনুযায়ী সূত্র:
P(AB)=P(A)+P(B)P(AB)

34=12+38P(AB)

P(AB)=12+3834

সমান হারে ল.সা.গু. নিয়ে হিসাব:
P(AB)=48+3868=18

ধাপ ৪: P(AcBc) নির্ণয়


পরিপূরক সূত্র ব্যবহার:
P(AcBc)=1P(AB)

P(AcBc)=134=14

চূড়ান্ত উত্তর:


P(AcBc)=14
ক.  <x<53
খ. 83<x<
গ.  <x<53 অথবা 83<x<
ঘ.  <x<53 এবং 83<x<
ব্যাখ্যাঃ আমরা প্রদত্ত অসমতা 1(3x5)<13 ধাপে ধাপে সমাধান করবো।

ধাপ ১: পদের পারস্পরিক পরিবর্তন


আমরা উভয় পক্ষে প্রতিপাদক রাশির (Reciprocal) ব্যবহার করতে পারি, তবে চিহ্ন পরিবর্তনের কথা মনে রাখতে হবে।

যেহেতু 3x5 কোনো বাস্তব সংখ্যা হতে পারে, তাই আমাদের প্রকৃত ক্ষেত্রে 3x5 এর চিহ্ন বুঝতে হবে।

(ক) যখন 3x5>0, অর্থাৎ x>53


(3x5)>3

3x>8

x>83

(খ) যখন 3x5<0, অর্থাৎ x<53


এক্ষেত্রে অসমতার দিক বদলে যাবে, তাই
(3x5)<3

3x<8

x<83

ধাপ ২: সংযুক্ত সমাধান সেট


আমরা দেখতে পাচ্ছি, যখন x>53, তখন x>83 শর্ত প্রযোজ্য।
আর যখন x<53, তখন x<83 শর্ত প্রযোজ্য।

অতএব, চূড়ান্ত সমাধান সেট:
x<53  or  x>83

চূড়ান্ত উত্তর:


(,53)(83,)
ক. 522
খ. 252
গ. 225
ঘ. 155
ব্যাখ্যাঃ আমরা গরুর সংখ্যা x ধরে নিচ্ছি।

প্রশ্ন অনুযায়ী, গরুগুলো
তিন পথে ভাগ হয়, অর্থাৎ x তিন দ্বারা বিভাজ্য
সাত ঘাটে পানি পান করে, অর্থাৎ x সাত দ্বারা বিভাজ্য
নয়টি বৃক্ষের নিচে ঘুমায়, অর্থাৎ x নয় দ্বারা বিভাজ্য
বারো জন গোয়ালা সমান সংখ্যক গরুর দুধ দোয়ায়, অর্থাৎ x বারো দ্বারা বিভাজ্য

অতএব, x হতে হবে ৩, ৭, ৯, ১২ দ্বারা বিভাজ্য একটি সংখ্যা।

ধাপ ২: ল.সা.গু (LCM) নির্ণয়


আমরা ৩, ৭, ৯, ১২-এর ল.সা.গু নির্ণয় করি:

LCM(3,7,9,12)
=LCM(3,7,32,22×3)
=22×32×7
=4×9×7
=252

চূড়ান্ত উত্তর:


252
অর্থাৎ গরুর সংখ্যা ২৫২
ক. x>3,x<2
খ. 2>x>3
গ. x<2
ঘ. 2<x<3
ব্যাখ্যাঃ আমরা অসমতাটি বিশ্লেষণ করি:

5xx26>0
x2+5x6>0
x25x+6<0
x25x+6=0

এটি সহজভাবে ফ্যাক্টর করা যায়:

(x2)(x3)=0

অর্থাৎ, x=2 এবং x=3 হলো মূলদ্বয়।

এখন, আমরা দেখতে চাই কখন এই রাশিটি ঋণাত্মক অর্থাৎ:

(x2)(x3)<0

এই ধরণের অসমতা তখনই সত্য হয় যখন x থাকে দুই মূলের মধ্যে

অতএব, সমাধান:

2<x<3

সঠিক উত্তর: 2<x<3

৭৯. 4x+41x=4 হলে, x= কত?

[ বিসিএস ৪৩তম ]

ক. 14
খ. 13
গ. 12
ঘ. 1
ব্যাখ্যাঃ 4x+41x=4

আমরা 41x কে 44x হিসেবে লিখতে পারি:
4x+44x=4

ধরুন, y=4x, তাহলে সমীকরণটি হয়:
y+4y=4
y2+4=4y
y24y+4=0
(y2)2=0

y2=0

y=2
4x=2

x=log42

আমরা জানি, log42=12

চূড়ান্ত উত্তর:


x=12

ক. S=203
খ. S=320
গ. S=20
ঘ. S=3
ব্যাখ্যাঃ ধারাটি দেখে মনে হচ্ছে এটি একটি নির্দিষ্ট গাণিতিক প্রগতি বা গুণোত্তর প্রগতি অনুসরণ করছে না। পদগুলোর মধ্যেকার পার্থক্য বা অনুপাত স্থির নয়।

প্রথম তিনটি পদের দিকে লক্ষ্য করলে:
14,16,19

1614=212312=512
19(16)=19+16=218+318=518

অনুপাতগুলোও স্থির নয়:
(16)/(14)=16×41=46=23
(19)/(16)=19×(61)=69=23

চতুর্থ পদটি (27) এই অনুক্রম অনুসরণ করছে না। যদি ধারাটি (2/3) সাধারণ অনুপাত বিশিষ্ট একটি অসীম গুণোত্তর ধারা হত, তবে চতুর্থ পদটি হওয়া উচিত ছিল:
19×(23)=227

যেহেতু চতুর্থ পদটি 27, যা 227 এর সমান নয়, তাই এটি একটি সাধারণ গুণোত্তর ধারা নয়।

যদি ধারাটি দুটি ভিন্ন অসীম গুণোত্তর ধারার সমষ্টি হয়, তবে তা পরীক্ষা করা যেতে পারে।

প্রথম ধারা: 14,19,. (হরগুলো পূর্ণ বর্গ)
দ্বিতীয় ধারা: 16,27,. (কোন স্পষ্ট নিয়ম নেই)

অথবা, ধারাটি হয়তো অন্য কোনো জটিল নিয়ম মেনে চলছে যা এখানে সহজে বোঝা যাচ্ছে না।

যদি প্রশ্নটিতে ত্রুটি থাকে এবং ধারাটি শুধুমাত্র প্রথম তিনটি পদ নিয়ে একটি অসীম গুণোত্তর ধারা বোঝানো হয়ে থাকে, তবে তার সমষ্টি নির্ণয় করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে, প্রথম পদ a=14 এবং সাধারণ অনুপাত r=23.

অসীম গুণোত্তর ধারার সমষ্টির সূত্র (|r|<1 হলে): S=a1r

এখানে |23|=23<1, তাই সমষ্টি নির্ণয় করা সম্ভব।

S=141(23)=141+23=143+23=1453=14×35=320
ক. ৩০°
খ. ৬০°
গ. ৯০°
ঘ. ১২০°
ব্যাখ্যাঃ আমরা জানি, দুটি সম্পূরক কোণের যোগফল হয়:

180

ধরি, কোণটির মান = x
তাহলে এর সম্পূরক কোণ হবে 180x

প্রশ্ন অনুযায়ী:

> কোণটির মান = সম্পূরক কোণের অর্ধেক

অর্থাৎ:

x=12(180x)

x=180x2

2x=180x

2x+x=1803x=180x=1803=60
ক.
খ.
গ.
ঘ.
ব্যাখ্যাঃ প্রশ্নটি অনুযায়ী:

  • মূলধন (P) = ১০,০০০ টাকা
  • বার্ষিক সুদের হার (r) = ২০%
  • সময় (t) = ২ বছর
  • চক্রের সংখ্যা প্রতি বছর (n) = ২ (কারণ অর্ধবার্ষিক চক্র)

চক্রবৃদ্ধি মূলধনের সূত্র:



A=P(1+r100n)nt

এখন বসাই:

A=10000(1+20100×2)2×2=10000(1+110)4=10000×(1.1)4

এখন লক্ষ্য করি:

1.1=1110(1.1)4=(1110)4=114104

অতএব,

A=10000×114104=10000×114104=104×114104=114

৮৩. x=4+3 হলে, x3+1x3 এর মান কত?

[ বিসিএস ৪৩তম ]

ক. 53
খ. 52
গ. 52
ঘ. 25
ব্যাখ্যাঃ

ধাপ ১: আগে বের করি x+1x



x=2+31x=12+3

ধরি, 1x কে সরল করি:

12+3=12+3×2323=2343=23

x+1x=(2+3)+(23)=4

ধাপ ২: এখন ব্যবহার করি সূত্র:



x3+1x3=(x+1x)33(x+1x)

বসাই:

x3+1x3=433×4=6412=52
ক. ৯ ফুট
খ. ৮ ফুট
গ. ৫ ফুট
ঘ. ৪ ফুট
ব্যাখ্যাঃ ধরি, ডকের উচ্চতা h ফুট।

যখন নৌকাটি ডক থেকে ১২ ফুট দূরে থাকে, তখন নৌকা, ডক এবং পানির স্তর একটি সমকোণী ত্রিভুজ তৈরি করে।

⇒ সমকোণী ত্রিভুজের ভূমি হলো ডক থেকে নৌকার দূরত্ব, যা ১২ ফুট।
⇒ সমকোণী ত্রিভুজের লম্ব হলো ডকের উচ্চতা, যা h ফুট।
⇒ সমকোণী ত্রিভুজের অতিভুজ হলো দড়ির দৈর্ঘ্য।

প্রশ্নানুসারে, এই অবস্থায় দড়ির দৈর্ঘ্য পানির উপর ডকের উচ্চতার দ্বিগুণের চেয়ে ৩ ফুট লম্বা। সুতরাং, দড়ির দৈর্ঘ্য হবে (2h+3) ফুট।

পিথাগোরাসের উপপাদ্য অনুযায়ী, সমকোণী ত্রিভুজের ক্ষেত্রে:
(ভূমি)2+(লম্ব)2=(অতিভুজ)2

এখানে ভূমি = ১২ ফুট, লম্ব = h ফুট এবং অতিভুজ = (2h+3) ফুট।

সুতরাং, আমরা লিখতে পারি:
122+h2=(2h+3)2144+h2=(2h)2+2(2h)3+32144+h2=4h2+12h+9

0=4h2h2+12h+9144
0=3h2+12h135

0=h2+4h45

h2+9h5h45=0h(h+9)5(h+9)=0(h+9)(h5)=0

সুতরাং, h+9=0 অথবা h5=0.

যদি h+9=0, তাহলে h=9. যেহেতু উচ্চতা ঋণাত্মক হতে পারে না, তাই এই সমাধানটি গ্রহণযোগ্য নয়।

যদি h5=0, তাহলে h=5.

সুতরাং, ডকের উচ্চতা ৫ ফুট।

উত্তর: ডকের উচ্চতা ৫ ফুট।
ছবিটি দেখে নিচের প্রশ্নের উত্তর দাও:
mcq image
ক. 54°
খ. 72°
গ. 108°
ঘ. 126°
ব্যাখ্যাঃ

দেওয়া আছে কেন্দ্রস্থ কোণ=108° আমরা জানি, পরিধস্থ কোণ কেন্দ্রস্থ কোণের অর্ধেক। অতএব পরিধস্থ কোণ=108/2 =54° অতএব ∠A=54° ∠A+∠C=180° 54+∠C=180° [x=∠C ধরে ] OR,∠C =180-54 =126° অতএব x=126°

ক. ০%
খ. ১০ – ১৫%
গ. ৩ – ৬%
ঘ. ১০০%
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল গঃ ৩ – ৬%

সালােকসংশ্লেষণে সূর্যের আলাের রাসায়নিক শক্তিতে পরিণত করার কর্মদক্ষতা সাধারণত ৩ থেকে ৬ শতাংশ পর্যন্ত হয়ে থাকে। কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে এটি সামান্য বেশি হতে পারে, তবে সাধারণভাবে এই পরিসীমার মধ্যেই থাকে।

ক. অ্যানােডে
খ. ক্যাথােডে
গ. অ্যানােড এবং ক্যাথােড উভয়টিতে
ঘ. বর্ণিত কোনটিতেই নয়
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল কঃ অ্যানােডে

জারণ (Oxidation) প্রক্রিয়ায় ইলেকট্রন ত্যাগ হয় এবং এটি তড়িৎ কোষের অ্যানােডে সম্পন্ন হয়। অ্যানােডে ঋণাত্মক আধানযুক্ত ইলেকট্রনগুলো অ্যানায়ন অথবা ধাতব পরমাণু দ্বারা বর্জিত হয়, ফলে জারণ ঘটে।

অন্যদিকে, বিজারণ (Reduction) প্রক্রিয়ায় ইলেকট্রন গ্রহণ ঘটে এবং এটি তড়িৎ কোষের ক্যাথােডে সম্পন্ন হয়। ক্যাথােডে ধনাত্মক আধানযুক্ত ক্যাটায়নগুলো ইলেকট্রন গ্রহণ করে, ফলে বিজারণ ঘটে।

৮৮. পানির অণু একটি-

[ বিসিএস ৪৩তম ]

ক. প্যারাচুম্বক
খ. ডায়াচুম্বক
গ. ফেরােচুম্বক
ঘ. অ্যান্টিফেরােচুম্বক
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল খঃ ডায়াচুম্বক

পানির অণু একটি ডায়াচুম্বক পদার্থ। ডায়াচুম্বক পদার্থ চৌম্বক ক্ষেত্রের বিপরীত দিকে দুর্বলভাবে আকৃষ্ট হয়। এর কারণ হল পানির অণুতে বিজোড় ইলেকট্রনের অনুপস্থিতি। সমস্ত ইলেকট্রন জোড়বদ্ধ অবস্থায় থাকায়, তারা বাহ্যিক চৌম্বক ক্ষেত্রের প্রভাবকে প্রতিহত করে।

ক. শূন্য
খ. অসীম
গ. অতিক্ষুদ্র
ঘ. যে কোনাে মান
ব্যাখ্যাঃ

একটি আদর্শ তড়িৎ উৎসের অভ্যন্তরীণ রোধ শূন্য

একটি আদর্শ তড়িৎ উৎস এমন একটি উৎস যা এর সাথে সংযুক্ত লোডের রোধ নির্বিশেষে সর্বদা একটি ধ্রুবক ভোল্টেজ সরবরাহ করে। অভ্যন্তরীণ রোধ শূন্য হলে, উৎসের মধ্যে ভোল্টেজ ড্রপ হবে শূন্য, এবং লোডের রোধের পরিবর্তনের সাথে সাথে আউটপুট ভোল্টেজ স্থির থাকবে।

বাস্তবে, কোনো তড়িৎ উৎসেরই অভ্যন্তরীণ রোধ শূন্য হয় না। তবে, আদর্শ তড়িৎ উৎসের ধারণাটি বিভিন্ন তড়িৎ বর্তনীর বিশ্লেষণ এবং নকশার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ সরলীকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

ক. হাইড্রোজেন
খ. নাইট্রোজেন
গ. মিথেন
ঘ. ইথেন
ব্যাখ্যাঃ

প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান হল মিথেন (CH₄)

প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রায় ৭০% থেকে ৯০% পর্যন্ত মিথেন থাকে। এর সাথে সামান্য পরিমাণে অন্যান্য হাইড্রোকার্বন যেমন ইথেন, প্রোপেন, বিউটেন এবং কিছু নিষ্ক্রিয় গ্যাস যেমন কার্বন ডাই অক্সাইড ও নাইট্রোজেনও মিশ্রিত থাকে। তবে, মূল উপাদান হল মিথেন।

ক. ৮
খ. ১৭
গ. ৯
ঘ. ২৫
ব্যাখ্যাঃ কোন আইসোটোপের নিউট্রন সংখ্যা বের করার নিয়ম হলো তার ভর সংখ্যা (A) থেকে প্রোটন সংখ্যা (Z) বিয়োগ করা।

প্রদত্ত আইসোটোপটি হলো O

এখানে,
  • ভর সংখ্যা (A) = ১৭
  • পারমাণবিক সংখ্যা বা প্রোটন সংখ্যা (Z) = ৮ (যেহেতু অক্সিজেন পরমাণুর পারমাণবিক সংখ্যা ৮)

সুতরাং, নিউট্রন সংখ্যা (N) = ভর সংখ্যা (A) - প্রোটন সংখ্যা (Z)
N==

অতএব, O আইসোটোপের নিউট্রন সংখ্যা

৯২. প্রােটিন তৈরি হয়-

[ বিসিএস ৪৩তম ]

ক. ফ্যাটি এসিড দিয়ে
খ. সাইট্রিক এসিড দিয়ে
গ. অ্যামিনাে এসিড দিয়ে
ঘ. অক্সালিক এসিড দিয়ে
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল গঃ অ্যামিনাে এসিড দিয়ে

প্রোটিন তৈরি হয় অ্যামিনো অ্যাসিড নামক জৈব অণুর পলিমারাইজেশনের মাধ্যমে। একাধিক অ্যামিনো অ্যাসিড পেপটাইড বন্ধনের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে পলিপেপটাইড গঠন করে, যা পরবর্তীতে ভাঁজ হয়ে ত্রিমাত্রিক গঠন তৈরি করে এবং প্রোটিনে পরিণত হয়।

ক. DNA
খ. DNA + RNA
গ. mRNA
ঘ. RNA
ব্যাখ্যাঃ

কোভিড-১৯ আরএনএ (RNA) ভাইরাসের একটি প্রকার, যা করোনাভাইরাস পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। এটিকে বিশেষভাবে সার্স-কোভ-২ (SARS-CoV-2) ভাইরাস বলা হয়।

করোনাভাইরাস হলো এক বৃহৎ পরিবারভুক্ত ভাইরাস, যাদের মধ্যে কিছু সাধারণ সর্দি-কাশির মতো হালকা অসুস্থতা সৃষ্টি করে, আবার কিছু সার্স (SARS) বা মার্স (MERS)-এর মতো মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করতে পারে। কোভিড-১৯ সৃষ্টিকারী সার্স-কোভ-২ একটি নতুন ধরনের করোনাভাইরাস যা ২০১৯ সালে প্রথম শনাক্ত হয়েছিল।

ক. ডায়াস্টল
খ. সিস্টল
গ. ডায়াসিস্টল
ঘ. উপরের কোনটিই নয়
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল খঃ সিস্টল

হৃদযন্ত্রের পেশী সংকুচিত হয়ে রক্ত পাম্প করাকে সিস্টল বলা হয়। এই সময় হৃদপিণ্ডের প্রকোষ্ঠগুলো সংকুচিত হয় এবং রক্ত ধমনীর মাধ্যমে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।

অন্যদিকে, হৃদযন্ত্রের পেশী যখন প্রসারিত হয় এবং রক্ত গ্রহণ করে, তখন সেই পর্যায়কে ডায়াস্টল বলা হয়।

ক. ডেঙ্গুজ্বর
খ. স্মলপক্স
গ. কোভিড-১৯
ঘ. পােলিও
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল খঃ স্মলপক্স

স্মলপক্স (গুটিবসন্ত) ভ্যারিওলা ভাইরাস নামক একটি ডিএনএ (DNA) ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট হয়।

অন্যান্য রোগগুলো যে ধরনের ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট:

  • ডেঙ্গুজ্বর: ডেঙ্গু ভাইরাস নামক আরএনএ (RNA) ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট।
  • কোভিড-১৯: সার্স-কোভ-২ নামক আরএনএ (RNA) ভাইরাস (করোনাভাইরাস পরিবারের) দ্বারা সৃষ্ট।
  • পোলিও: পোলিওভাইরাস নামক আরএনএ (RNA) ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট।

৯৬. RFID বলতে বােঝায়-

[ বিসিএস ৪৩তম ]

ক. Random Frequency Identification
খ. Random Frequency Information
গ. Radio Frequency Information
ঘ. Radio Frequency Identification
ব্যাখ্যাঃ

RFID (Radio-Frequency Identification) হল একটি তারবিহীন যোগাযোগ প্রযুক্তি, যা রেডিও তরঙ্গ ব্যবহার করে তথ্য আদান-প্রদান করে।

RFID-এর মূল ধারণা:

RFID ট্যাগ: এতে ইলেকট্রনিক চিপ ও অ্যান্টেনা থাকে, যা তথ্য সংরক্ষণ ও পাঠাতে সাহায্য করে।
RFID রিডার: এটি RFID ট্যাগের তথ্য সংগ্রহ করতে পারে।
ডাটাবেস: RFID রিডার প্রাপ্ত তথ্য প্রক্রিয়া করে সংরক্ষিত ডাটার সাথে মিলিয়ে দেখে

RFID প্রযুক্তির ব্যবহার:

পণ্য ট্র্যাকিং (স্টোর, গুদাম)
পরিচয় যাচাই (পাসপোর্ট, স্মার্ট কার্ড)
গাড়ির টোল সিস্টেম (স্বয়ংক্রিয় টোল সংগ্রহ)
স্বাস্থ্যসেবা (রোগীর তথ্য সংরক্ষণ)
পশুপালন (গরু, কুকুরের পরিচয় শনাক্তকরণ)

ক. তামার তার
খ. কো-এক্সিয়াল ক্যাবল
গ. অপটিক্যাল ফাইবার
ঘ. ওয়্যারলেস মিডিয়া
ব্যাখ্যাঃ

আলোর পালস মানে হচ্ছে — ডাটা ট্রান্সমিশনের জন্য আলো ব্যবহার করা, যা সাধারণত ঘটে: অপটিক্যাল ফাইবার-এ।

বিশ্লেষণ:

  • তামার তার (Copper wire): ইলেকট্রিক সিগন্যাল বহন করে
  • কো-এক্সিয়াল ক্যাবল: ইলেকট্রিক সিগন্যাল বহনের জন্য ব্যবহৃত হয়
  • ওয়্যারলেস মিডিয়া: রেডিও/মাইক্রোওয়েভ সিগন্যাল ব্যবহার করে
  • অপটিক্যাল ফাইবার: আলো (light pulses) ব্যবহার করে, যার মাধ্যমে অনেক দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য ডাটা ট্রান্সমিশন সম্ভব
ক. ২৬.৫° সে.
খ. ৩৫° সে.
গ. ৩৭.৫° সে.
ঘ. ৪০.৫° সে.
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল কঃ ২৬.৫° সে.

ট্রপিক্যাল সাইক্লোন সৃষ্টির জন্য সাগরপৃষ্ঠের ন্যূনতম তাপমাত্রা প্রায় ২৬.৫° সেলসিয়াস (৮০° ফারেনহাইট) হওয়া প্রয়োজন।

৯৯. নিচের কোনটি anti-virus সফটওয়্যার নয়?

[ বিসিএস ৪৩তম | বিসিএস ৪১তম ]

ক. Oracle
খ. McAfee
গ. Norton
ঘ. Kaspersky
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল কঃ Oracle

Oracle একটি ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (DBMS), এটি কোনো অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার নয়। McAfee, Norton, এবং Kaspersky জনপ্রিয় অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার।

ক. $
খ. #
গ. &
ঘ. @
ব্যাখ্যাঃ

ই-মেইল ঠিকানায় "@" (অ্যাট)" চিহ্নটি অবশ্যই থাকবে।

ব্যাখ্যা:

"@" চিহ্ন ই-মেইল ঠিকানার বিষয়বস্তু ও ডোমেইনের মধ্যে বিভাজন নির্দেশ করে।
উদাহরণ: username@example.com

  • "username" হলো ব্যবহারকারীর নাম
  • "example.com" হলো ডোমেইন

প্রয়োজনীয়তা:

  • ই-মেইল প্রোটোকল অনুসারে "@" চিহ্ন ছাড়া ই-মেইল ঠিকানা বৈধ নয়
  • এটি ব্যবহারকারী ও সার্ভার পৃথক করতে সাহায্য করে
ক. Simplex
খ. Duplex
গ. Half duplex
ঘ. Triplex
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল কঃ Simplex

কিবোর্ড শুধুমাত্র সিপিইউ-তে ডেটা পাঠাতে পারে, সিপিইউ থেকে কোনো ডেটা গ্রহণ করে না। এই ধরনের একমুখী ডেটা trasmission পদ্ধতিকে Simplex বলে।

অন্যান্য পদ্ধতিগুলো হল:

  • Duplex: উভয় দিকে একই সাথে ডেটা transmission এর পদ্ধতি।
  • Half duplex: উভয় দিকে ডেটা transmission এর পদ্ধতি, তবে একই সময়ে নয়।
  • Triplex: ডেটা transmission এর এই ধরনের কোনো বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি নেই। সাধারণত Simplex, Half duplex এবং Full duplex এই তিনটি প্রধান পদ্ধতি প্রচলিত।
ক. A hash pointer to the previous block
খ. Timestamp
গ. List of transactions
ঘ. উপরের সবগুলাে
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল ঘঃ উপরের সবগুলাে

Blockchain-এর প্রতিটি block নিম্নলিখিত তথ্যগুলো বহন করে:

  • A hash pointer to the previous block: প্রতিটি ব্লকের মধ্যে আগের ব্লকের একটি হ্যাশ (একটি অনন্য কোড) থাকে। এই হ্যাশ লিঙ্কের মতো কাজ করে এবং চেইনটিকে অক্ষত রাখে। এর মাধ্যমেই একটি ব্লক তার পূর্ববর্তী ব্লকের সাথে যুক্ত থাকে।
  • Timestamp: প্রতিটি ব্লক কখন তৈরি হয়েছে তার একটি টাইমস্ট্যাম্প থাকে। এটি ব্লকের ক্রম এবং কখন লেনদেনগুলো নথিভুক্ত হয়েছে তা প্রমাণ করে।
  • List of transactions: একটি ব্লকের মধ্যে সেই সময়ে সংঘটিত লেনদেনগুলোর তালিকা থাকে। এই লেনদেনগুলোই ব্লকচেইনের মূল ডেটা।

এই তিনটি তথ্য একটি ব্লকের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং ব্লকচেইন প্রযুক্তিকে সুরক্ষিত ও নির্ভরযোগ্য করে তোলে।

ক. IEEE 802.15
খ. IEEE 802.1
গ. IEEE 802.3
ঘ. IEEE 802.11
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল IEEE 802.15.1

Bluetooth এর IEEE স্ট্যান্ডার্ড হল 802.15.1। এটি Institute of Electrical and Electronics Engineers (IEEE) কর্তৃক নির্ধারিত ওয়্যারলেস পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্কস (WPANs) স্ট্যান্ডার্ডের একটি অংশ।

ক. ৪৬
খ. ১৬
গ. ২৪
ঘ. ৫৪
ব্যাখ্যাঃ ১০১১১০ বাইনারি নাম্বারের সমতুল্য ডেসিমাল নাম্বার হল ৪৬

এখানে ধাপে ধাপে দেখানো হল:

(101110)2=(1×25)+(0×24)+(1×23)+(1×22)+(1×21)+(0×20)=(1×32)+(0×16)+(1×8)+(1×4)+(1×2)+(0×1)=32+0+8+4+2+0=4610
ক. Email, DNS
খ. MAC Address, IP
গ. Domain name, IP
ঘ. Email, IP
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল গঃ Domain name, IP

DNS (Domain Name System) সার্ভারের প্রধান কাজ হল Domain name কে IP address-এ পরিবর্তন করা।

সহজভাবে বললে, আমরা যখন ওয়েব ব্রাউজারে কোনো ওয়েবসাইটের নাম (যেমন www.google.com) লিখি, তখন DNS সার্ভার সেই নামটিকে সংশ্লিষ্ট সার্ভারের IP address (যেমন 172.217.160.142) এ অনুবাদ করে। এই IP address ব্যবহার করেই আমাদের কম্পিউটার ইন্টারনেটে সেই সার্ভারের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে।

ক. MySQL
খ. Microsoft SQL Server
গ. Microsoft Access
ঘ. Oracle
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল কঃ MySQL

MySQL একটি জনপ্রিয় ওপেন সোর্স রিলেশনাল ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (RDBMS)। এর সোর্স কোড সবার জন্য উন্মুক্ত এবং এটি বিনামূল্যে ব্যবহার, পরিবর্তন ও বিতরণ করা যায়।

অন্যদিকে, Microsoft SQL Server, Microsoft Access এবং Oracle - এগুলো সবই প্রোপরাইটারি বা বাণিজ্যিক DBMS। এগুলোর সোর্স কোড উন্মুক্ত নয় এবং ব্যবহারের জন্য লাইসেন্স প্রয়োজন হয়।

ক. Priority Scheduling
খ. Shortest Job First
গ. Youngest Job First
ঘ. Round-robin
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল ঘঃ Round-robin

Round-robin জব শেডিউলিং পলিসি স্টারভেশন (starvation) থেকে মুক্ত।

এর কারণ হল:

  • সমান সময় বরাদ্দ: Round-robin পদ্ধতিতে প্রতিটি প্রসেস বা জবকে সিপিইউ ব্যবহারের জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ সময় (time quantum) বরাদ্দ করা হয়।
  • পর্যায়ক্রমিক আবর্তন: প্রসেসগুলো একটি সারিতে যোগ হয় এবং সিপিইউ সেই সারির প্রথম থেকে শুরু করে প্রত্যেকটিকে তাদের বরাদ্দকৃত সময় পর্যন্ত সুযোগ দেয়। সময় শেষ হলে প্রসেসটি সারির শেষে চলে যায় এবং পরবর্তী প্রসেসের সুযোগ আসে।
  • সকলের সুযোগ: এই পর্যায়ক্রমিক আবর্তনের ফলে দীর্ঘ সময় ধরে কোনো প্রসেস সিপিইউ ব্যবহারের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয় না। অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ জব হলেও সে নির্দিষ্ট সময় পর পর সিপিইউ ব্যবহারের সুযোগ পায়।

অন্যদিকে, Priority Scheduling, Shortest Job First এবং Youngest Job First - এই পলিসিগুলোতে এমন সম্ভাবনা থাকে যেখানে অপেক্ষাকৃত কম প্রায়োরিটির জব বা দীর্ঘ জবগুলো দীর্ঘ সময় ধরে সিপিইউ পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে পারে, এমনকি কখনই সুযোগ নাও পেতে পারে। এটিকে স্টারভেশন বলা হয়।

ক. Applied Artificial Intelligence (AI)
খ. Applied Internet of Things (IoT)
গ. Virtual Reality
ঘ. উপরের কোনটিই নয়
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল কঃ Applied Artificial Intelligence (AI)

ফেস রিকগনিশন সিস্টেম মূলত Applied Artificial Intelligence (AI) এর একটি অংশ। বিশেষ করে, এটি কম্পিউটার ভিশন এবং মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদম ব্যবহার করে কাজ করে। এই অ্যালগরিদমগুলো মুখ শনাক্ত করতে, মুখের বৈশিষ্ট্যগুলো বিশ্লেষণ করতে এবং ডেটাবেজে সংরক্ষিত মুখের ছবির সাথে তুলনা করতে সক্ষম।

অন্যান্য বিকল্পগুলো ফেস রিকগনিশন সিস্টেমে সরাসরি সহায়ক ভূমিকা পালন করে না:

  • Applied Internet of Things (IoT): IoT মূলত বিভিন্ন ডিভাইসকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংযুক্ত করে ডেটা আদান-প্রদান করতে সাহায্য করে। ফেস রিকগনিশনের জন্য ডেটা সংগ্রহে IoT ডিভাইস (যেমন স্মার্ট ক্যামেরা) ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে মূল প্রযুক্তিটি AI।
  • Virtual Reality: ভার্চুয়াল রিয়ালিটি একটি সিমুলেটেড পরিবেশ তৈরি করে। এর সরাসরি কোনো সম্পর্ক ফেস রিকগনিশন প্রযুক্তির সাথে নেই।
ক. monitor
খ. microphone
গ. printer
ঘ. speaker
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল খঃ microphone

মাইক্রোফোন একটি input device, কারণ এটি শব্দ গ্রহণ করে এবং সেটিকে ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যালে রূপান্তরিত করে কম্পিউটারে প্রেরণ করে।

অন্যদিকে, মনিটর, প্রিন্টার এবং স্পিকার - এই তিনটিই output device, কারণ এগুলো কম্পিউটার থেকে প্রক্রিয়াকৃত ডেটা ব্যবহারকারীর কাছে প্রদর্শন বা প্রকাশ করে। মনিটর ছবি ও লেখা দেখায়, প্রিন্টার কাগজে ছাপে এবং স্পিকার শব্দ শোনায়।

ক. http
খ. www
গ. URL
ঘ. HTML
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল গঃ URL

URL (Uniform Resource Locator) একটি প্রতিষ্ঠানের ওয়েব ঠিকানাকে নির্দেশ করে। এটি একটি নির্দিষ্ট ওয়েব রিসোর্সের (যেমন একটি ওয়েব পেজ, ছবি, বা ফাইল) ইন্টারনেট ঠিকানা।

অন্যান্য বিকল্পগুলো:

  • http (Hypertext Transfer Protocol) হল একটি প্রোটোকল যা ওয়েব ব্রাউজার এবং ওয়েব সার্ভারের মধ্যে ডেটা স্থানান্তরের নিয়ম নির্ধারণ করে। এটি URL-এর একটি অংশ।
  • www (World Wide Web) হল ইন্টারনেটের একটি অংশ, যেখানে ওয়েবসাইটগুলো হোস্ট করা থাকে। এটি প্রায়শই URL-এর শুরুতে দেখা যায়, তবে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওয়েব ঠিকানা নয়।
  • HTML (Hypertext Markup Language) হল ওয়েব পেজ তৈরির জন্য ব্যবহৃত একটি মার্কআপ ভাষা। এটি ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তু এবং কাঠামো নির্ধারণ করে, কিন্তু এটি ওয়েবসাইটের ঠিকানা নয়।
ক. Internet of Things (IoT)
খ. Cloud Computing
গ. Client-Server Systems
ঘ. Big Data Analytics
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল খঃ Cloud Computing

ক্লাউড কম্পিউটিং ‘Pay as You Go’ সার্ভিস মডেল অনুসরণ করে। এর অর্থ হল আপনি ঠিক যতটুকু রিসোর্স (যেমন কম্পিউটিং পাওয়ার, স্টোরেজ, নেটওয়ার্কিং) ব্যবহার করবেন, ঠিক ততটুকুর জন্যই আপনাকে অর্থ পরিশোধ করতে হবে। এটি অনেকটা বিদ্যুৎ বা পানির বিলের মতো, যেখানে আপনি যতটুকু ব্যবহার করেন, ততটুকুই বিল আসে।

অন্যান্য প্রযুক্তিগুলো সাধারণত এই মডেল অনুসরণ করে না:

  • Internet of Things (IoT): IoT মূলত ডিভাইস এবং সেন্সরগুলোর একটি নেটওয়ার্ক, যা ডেটা সংগ্রহ ও আদান-প্রদান করে। এর সার্ভিস মডেল ভিন্ন হতে পারে।
  • Client-Server Systems: এটি একটি কম্পিউটিং মডেল যেখানে একটি কেন্দ্রীয় সার্ভার একাধিক ক্লায়েন্টকে পরিষেবা প্রদান করে। এখানে সাধারণত ব্যবহারের ভিত্তিতে পেমেন্টের নিয়ম থাকে না।
  • Big Data Analytics: এটি বিশাল ডেটা সেটের বিশ্লেষণ প্রক্রিয়া। এর খরচ ডেটার পরিমাণ, বিশ্লেষণের জটিলতা এবং ব্যবহৃত টুলের উপর নির্ভর করে, তবে সরাসরি ‘Pay as You Go’ মডেল নয়।
ক. Phishing
খ. Man-in-the-Middle
গ. Denial of Service
ঘ. উপরের কোনটিই নয়
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল গঃ Denial of Service

Denial of Service (DoS) আক্রমণ এমন একটি সাইবার আক্রমণ যেখানে আক্রমণকারী অসংখ্য অবৈধ অনুরোধ পাঠিয়ে একটি ওয়েব সার্ভারকে এতটাই ব্যস্ত করে ফেলে যে, সেটি গ্রাহকের বৈধ অনুরোধগুলো আর সম্পন্ন করতে পারে না। এর ফলে ব্যবহারকারীরা ওয়েবসাইট বা পরিষেবাটি ব্যবহার করতে ব্যর্থ হন।

অন্যান্য বিকল্পগুলো ভিন্ন ধরনের সাইবার আক্রমণ:

  • Phishing: এটি একটি প্রতারণামূলক কৌশল, যেখানে আক্রমণকারীরা সাধারণত ইমেইল বা অন্য কোনো মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য (যেমন পাসওয়ার্ড, ক্রেডিট কার্ড নম্বর) হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
  • Man-in-the-Middle: এই আক্রমণে আক্রমণকারী দুইজন ব্যবহারকারীর মধ্যেকার যোগাযোগে গোপনে হস্তক্ষেপ করে এবং তাদের অজান্তে তথ্য চুরি করে বা পরিবর্তন করে।
ক. Registers
খ. SSD
গ. RAM
ঘ. Cache memory
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল কঃ Registers

মেমরি অ্যাক্সেস টাইমের ক্ষেত্রে, Registers এর অ্যাক্সেস টাইম সবচেয়ে কম।

এখানে মেমরিগুলোর অ্যাক্সেস টাইমের একটি তুলনামূলক চিত্র দেওয়া হল (দ্রুততম থেকে ধীরতম):

  1. Registers: এগুলো সিপিইউ-এর ভেতরে অবস্থিত অত্যন্ত ছোট এবং দ্রুতগতির মেমরি। সিপিইউ সরাসরি এদের ডেটা ব্যবহার করে এবং এদের অ্যাক্সেস টাইম খুবই কম (প্রায় এক ক্লক সাইকেল)।
  2. Cache Memory: এটি সিপিইউ এবং প্রধান মেমরি (RAM) এর মধ্যে অবস্থিত একটি ছোট এবং দ্রুতগতির মেমরি। এটি প্রায়শই ব্যবহৃত ডেটা এবং নির্দেশাবলী সংরক্ষণ করে, ফলে সিপিইউ দ্রুত সেই ডেটা অ্যাক্সেস করতে পারে। ক্যাশ মেমরির অ্যাক্সেস টাইম রেজিস্টারের চেয়ে কিছুটা বেশি হলেও RAM এবং SSD এর চেয়ে অনেক কম।
  3. RAM (Random Access Memory): এটি প্রধান মেমরি হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং ক্যাশ মেমরির তুলনায় এর অ্যাক্সেস টাইম বেশি। কম্পিউটার চালু থাকা অবস্থায় এখানে ডেটা সাময়িকভাবে সংরক্ষণ করা হয়।
  4. SSD (Solid State Drive): এটি একটি ইলেকট্রনিক স্টোরেজ ডিভাইস এবং হার্ড ডিস্ক ড্রাইভের (HDD) তুলনায় অনেক দ্রুত। তবে RAM এবং ক্যাশ মেমরির তুলনায় এর অ্যাক্সেস টাইম উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।

সুতরাং, অ্যাক্সেস টাইমের দিক থেকে Registers সবচেয়ে দ্রুত।

ক. Router
খ. Switch
গ. Modem
ঘ. HUB
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল গঃ Modem

Modem (Modulator-Demodulator) এমন একটি ডিভাইস যা ডিজিটাল সিগন্যালকে অ্যানালগ সিগন্যালে (Modulation) এবং অ্যানালগ সিগন্যালকে ডিজিটাল সিগন্যালে (Demodulation) পরিবর্তন করতে ব্যবহৃত হয়। কম্পিউটারের ডিজিটাল ডেটা টেলিফোন লাইনের অ্যানালগ সিগন্যালে প্রেরণের জন্য মডেম মডুলেশন করে এবং অ্যানালগ সিগন্যালকে কম্পিউটারের বোধগম্য ডিজিটাল ডেটায় রূপান্তর করার জন্য ডিমডুলেশন করে।

অন্যান্য ডিভাইসগুলোর কাজ ভিন্ন:

  • Router: এটি নেটওয়ার্কিং ডিভাইস যা ডেটা প্যাকেটকে তাদের গন্তব্যে পাঠানোর জন্য সর্বোত্তম পথ খুঁজে বের করে।
  • Switch: এটিও একটি নেটওয়ার্কিং ডিভাইস যা একই নেটওয়ার্কের মধ্যে ডিভাইসগুলোর মধ্যে ডেটা প্যাকেট ফরোয়ার্ড করে।
  • HUB: এটি একটি নেটওয়ার্কিং ডিভাইস যা এর সাথে সংযুক্ত সকল ডিভাইসের কাছে আসা ডেটা প্যাকেট সম্প্রচার করে।
ক. Windows
খ. Linux
গ. Windows NT
ঘ. DOS
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল ঘঃ DOS

DOS (Disk Operating System) একটি সিঙ্গেল-টাস্কিং অপারেটিং সিস্টেম ছিল। এর মানে হল, DOS-এ একই সময়ে কেবল একটি প্রোগ্রাম বা অ্যাপ্লিকেশন চালানো যেত।

অন্যদিকে, Windows, Linux এবং Windows NT - এই তিনটিই মাল্টি-টাস্কিং অপারেটিং সিস্টেম। এগুলোতে একই সময়ে একাধিক প্রোগ্রাম বা অ্যাপ্লিকেশন চালানো সম্ভব।

ক. ৮ মাইল
খ. ১৫ মাইল
গ. ১২ মাইল
ঘ. উপরের কোনটিই নয়
ব্যাখ্যাঃ ধরি যাত্রা স্থানটি একটি গ্রাফের মূলবিন্দু (0, 0)।

  • প্রথম ধাপে ব্যক্তিটি ৫ মাইল পশ্চিমে যায়। সুতরাং, তার অবস্থান হয় (-৫, ০)।
  • দ্বিতীয় ধাপে ব্যক্তিটি ২ মাইল দক্ষিণে যায়। সুতরাং, তার অবস্থান হয় (-৫, -২)।
  • তৃতীয় ধাপে ব্যক্তিটি আবার ৫ মাইল পশ্চিমে যায়। সুতরাং, তার চূড়ান্ত অবস্থান হয় (-৫ - ৫, -২) = (-১০, -২)।

এখন যাত্রা স্থান (0, 0) থেকে তার সরাসরি দূরত্ব নির্ণয় করতে হবে। এটি একটি সমকোণী ত্রিভুজের অতিভুজের দৈর্ঘ্য, যার দুটি বাহু হল ১০ মাইল এবং ২ মাইল।

পিথাগোরাসের উপপাদ্য অনুসারে, অতিভুজের দৈর্ঘ্য d হবে:

d=(10)2+(2)2d=100+4d=104

এখন 104 এর মান নির্ণয় করতে হবে:

10410.198

সুতরাং, যাত্রা স্থান থেকে তার সরাসরি দূরত্ব প্রায় 10.20 মাইল
ছবিটি দেখে নিচের প্রশ্নের উত্তর দাও:
mcq image
ক. 30 পাউন্ড
খ. 25 পাউন্ড
গ. 40 পাউন্ড
ঘ. 35 পাউন্ড
ব্যাখ্যাঃ ভারসাম্য বিন্দু থেকে দূরত্ব বিবেচনায় ধরে -
ডানপাশে মোমেন্ট = বামপাশে মোমেন্ট
a.x=20.x+30.x2
a=35lb
ক. ঠ
খ. ম
গ. ন
ঘ. র
ব্যাখ্যাঃ

এই ধারাটি বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণের "নাসিক্য ধ্বনি" গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করছে।

"ঙ, ঞ, ণ, ..."—এই অক্ষরগুলোর পরবর্তী ধ্বনি "ন" হবে।

ব্যাখ্যা:

বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণে নাসিক্য ধ্বনি গুলি হলো:
ঙ, ঞ, ণ, ন, ম

✔ এগুলো নাসার সাথে সম্পর্কিত উচ্চারণ (নাসাল সাউন্ড)।
✔ ধ্বনিগত দিক থেকে "ন" এই ধারার পরবর্তী অক্ষর।

ক. ১২ দিনে
খ. ২৪ দিনে
গ. ২১ দিনে
ঘ. ১৫ দিনে
ব্যাখ্যাঃ

ধাপ ১: কাজের হার নির্ণয়


ধরি, B একদিনে x অংশ কাজ করে, তাহলে A দ্বিগুণ কাজ করতে পারে:
A=2x
দুইজন একসাথে কাজ করলে, তাদের দৈনিক কাজের হার হবে:
A+B=2x+x=3x
আমাদের দেওয়া আছে, তারা ১৪ দিনে পুরো কাজ শেষ করে:
14×3x=1
x=142
অতএব, B একদিনে 142 অংশ কাজ করতে পারে।

ধাপ ২: A একা কাজ করলে


যেহেতু A = 2x, তাই A একদিনে করবে:
2×142=242=121
অতএব, A একা কাজটি শেষ করতে লাগবে:
121 অংশ প্রতি দিনি
ক. OXYGEN
খ. ATMOSPHERE
গ. WINDPIPE
ঘ. INHALE
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল কঃ OXYGEN

এখানে প্রথম অংশে DRIVE এর সাথে LICENCE এর সম্পর্ক হল, গাড়ি চালানোর জন্য যেমন লাইসেন্স প্রয়োজন, তেমনি দ্বিতীয় অংশে BREATHE এর সাথে OXYGEN এর সম্পর্ক হল, শ্বাস নেওয়ার জন্য অক্সিজেন প্রয়োজন।

ক. ১৮০
খ. ২৪০
গ. ৩০০
ঘ. ৩৬০
ব্যাখ্যাঃ ধরি প্রতিষ্ঠানটির মোট কর্মচারী সংখ্যা x
  • আন্ডারগ্রাজুয়েট কর্মচারী সংখ্যা = x এর ৪০% = 0.40x
  • অবশিষ্ট কর্মচারী সংখ্যা = x0.40x=0.60x
  • গ্রাজুয়েট কর্মচারী সংখ্যা = অবশিষ্ট কর্মচারীদের ৫০% = 0.60x এর ৫০% = 0.60x×0.50=0.30x
  • পোস্টগ্রাজুয়েট কর্মচারী সংখ্যা = অবশিষ্ট কর্মচারীদের অবশিষ্ট ৫০% = 0.60x এর ৫০% = 0.60x×0.50=0.30x

প্রশ্নানুসারে, পোস্টগ্রাজুয়েট কর্মচারীর সংখ্যা ১৮০ জন।

সুতরাং, 0.30x=180
x=1800.30
x=180310
x=180×103
x=60×10
x=600

অতএব, প্রতিষ্ঠানটির মোট কর্মচারী সংখ্যা ৬০০ জন।

এখন, গ্রাজুয়েট কর্মচারীর সংখ্যা নির্ণয় করা যাক:

গ্রাজুয়েট কর্মচারী সংখ্যা = 0.30x=0.30×600=180 জন।

সুতরাং, প্রতিষ্ঠানটির ১৮০ জন কর্মচারী গ্রাজুয়েট।
ক. 246173
খ. 214673
গ. 214763
ঘ. 216473
ব্যাখ্যাঃ

এখানে প্রতিটি অক্ষরের জন্য একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা কোড হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। প্রদত্ত কোডগুলো বিশ্লেষণ করে আমরা প্রতিটি অক্ষরের জন্য কোড বের করতে পারি:

  • R = 6
  • O = 8
  • S = 2
  • E = 1
  • C = 7
  • H = 3
  • A = 4
  • I = 5
  • P = 9

এখন SEARCH শব্দটির প্রতিটি অক্ষরের জন্য corresponding কোড বসালে আমরা পাই:

  • S = 2
  • E = 1
  • A = 4
  • R = 6
  • C = 7
  • H = 3

সুতরাং, SEARCH-এর কোড হবে 214673

ছবিটি দেখে নিচের প্রশ্নের উত্তর দাও:
mcq image
ক. 20
খ. 26
গ. 30
ঘ. 25
ব্যাখ্যাঃ প্রথম চিত্রে, উপরের দুটি সংখ্যা ৩ এবং ২। নিচের সংখ্যাটি ১৩। দেখা যাচ্ছে, 32+22=9+4=13

দ্বিতীয় চিত্রে, উপরের দুটি সংখ্যা ৪ এবং ৮। নিচের সংখ্যাটি ৮০। দেখা যাচ্ছে, 42+82=16+64=80

একই নিয়ম অনুসরণ করে তৃতীয় চিত্রে, উপরের দুটি সংখ্যা ১ এবং ৫। প্রশ্নবোধক স্থানে সংখ্যাটি হবে:

12+52=1+25=26

সুতরাং, প্রশ্নবোধক চিহ্নিত স্থানে ২৬ বসবে।
ক. DE
খ. ED
গ. FG
ঘ. GF
ব্যাখ্যাঃ

প্রথম দুইটি শব্দজোড় D - 1 = C :: ১ম শব্দ DC D + 1 = E :: ২য় শব্দ DE

শেষ দুইটি শব্দজোড় H - 1 = G :: ৫ম শব্দ HG H + 1 = I :: ৬ষ্ঠ শব্দ HI

একইভাবে F - 1 = E :: ৩য় শব্দ FE F + 1 = G :: ৪র্থ শব্দ FG

ক. topic
খ. examination
গ. party
ঘ. participant
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল ঘঃ participant

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য প্রতিযোগীর (participant) অবশ্যই প্রয়োজন। বিষয় (topic), পরীক্ষা (examination) বা দল (party) প্রতিযোগিতার অংশ হতে পারে, কিন্তু প্রতিযোগী ছাড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হতে পারে না।

ক. ভাই
খ. চাচা
গ. ছেলে
ঘ. কোন সম্পর্ক নেই
ব্যাখ্যাঃ

ছবিটির ছেলেটি তিন্নীর ভাই

ব্যাখ্যা:

  • তিন্নীর দাদা মানে তার বাবার বাবা।
  • দাদার একমাত্র ছেলে মানে তিন্নীর বাবা।
  • বাবার ছেলে মানে তিন্নীর ভাই (যদি সেই ছেলেই ছবির ছেলেটি হয়)।

সুতরাং, ছবির ছেলেটি তিন্নীর ভাই।

ছবিটি দেখে নিচের প্রশ্নের উত্তর দাও:
mcq image
ক. ক
খ. খ
গ. গ
ঘ. ঘ
ব্যাখ্যাঃ

উপরের নকশাগুলোর দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, প্রথম সারির নকশাগুলো যেন ইংরেজি অক্ষর V, W, A-এর প্রতিচ্ছবি।

  • প্রথম নকশাটি V-এর প্রতিচ্ছবি।
  • দ্বিতীয় নকশাটি W-এর প্রতিচ্ছবি।
  • তৃতীয় নকশাটি A-এর প্রতিচ্ছবি।

একইভাবে, দ্বিতীয় সারির নকশাগুলো ইংরেজি অক্ষর M, W, N-এর প্রতিচ্ছবি।

  • (ক) নকশাটি M-এর প্রতিচ্ছবি।
  • (খ) নকশাটি W-এর প্রতিচ্ছবি।
  • (গ) নকশাটি Z-এর প্রতিচ্ছবি।
  • (ঘ) নকশাটি N-এর প্রতিচ্ছবি।

যদি আমরা প্রথম সারির অক্ষরগুলোর দিকে তাকাই: V, W, A... এদের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট ধারাবাহিকতা নেই।

তবে, যদি আমরা নকশাগুলোর বাহুগুলোর সংখ্যা বিবেচনা করি:

  • প্রথম নকশায় ৩টি বাহু।
  • দ্বিতীয় নকশায় ৪টি বাহু।
  • তৃতীয় নকশায় ৩টি বাহু।

এই ধারাবাহিকতা অনুসরণ করলে প্রশ্নবোধক স্থানে ৪টি বাহুযুক্ত নকশা বসতে পারে।

এখন বিকল্পগুলোর দিকে তাকানো যাক:

  • (ক) M - ৪টি বাহু
  • (খ) W - ৪টি বাহু
  • (গ) Z - ৩টি বাহু
  • (ঘ) N - ৩টি বাহু

এখানে (ক) এবং (খ) উভয় নকশাতেই ৪টি বাহু রয়েছে। তবে, প্রথম সারির নকশাগুলোর ধরন বিবেচনা করলে, V এবং A-এর মতো 'কোণাকৃতির' নকশার পর W-এর মতো একটি 'জোড়া কোণাকৃতির' নকশা এসেছে। সেই অনুযায়ী, A-এর পর W-এর মতো একটি 'জোড়া কোণাকৃতির' প্রতিচ্ছবি আসা উচিত।

অতএব, বিকল্প (খ) প্রশ্নবোধক চিহ্নের স্থানে বসবে।

ক. চাঁদ
খ. প্লুটো
গ. মঙ্গল
ঘ. পৃথিবী
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল কঃ চাঁদ

কারণ:

  • প্লুটো, মঙ্গল এবং পৃথিবী - এই তিনটিই সৌরজগতের গ্রহ।
  • চাঁদ হল পৃথিবীর একটি প্রাকৃতিক উপগ্রহ, এটি গ্রহ নয়।
ছবিটি দেখে নিচের প্রশ্নের উত্তর দাও:
mcq image
ক. ক
খ. খ
গ. গ
ঘ. ঘ
ব্যাখ্যাঃ

উপরের চিত্রগুলির একটি নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করছে। নিয়মটি হল:

  • প্রথম চিত্রে একটি বৃত্ত এবং একটি সরলরেখা আছে। সরলরেখার বাম দিকে একটি ছোট বৃত্ত এবং ডান দিকে একটি যোগ চিহ্ন (+) রয়েছে।
  • দ্বিতীয় চিত্রে একটি বৃত্ত এবং একটি সরলরেখা আছে। বৃত্তের উপরে একটি যোগ চিহ্ন (+) এবং নীচে একটি বিয়োগ চিহ্ন (-) রয়েছে।
  • তৃতীয় চিত্রে একটি বর্গক্ষেত্র, একটি আয়তক্ষেত্র এবং একটি ত্রিভুজ আছে। আয়তক্ষেত্রের উপরে বর্গক্ষেত্র এবং নীচে ত্রিভুজ রয়েছে।

সুতরাং, প্রশ্নবোধক চিহ্নের স্থানে এমন একটি নকশা বসবে যেখানে একটি জ্যামিতিক আকারের উপরে এবং নীচে অন্য দুটি জ্যামিতিক আকার থাকবে।

বিকল্পগুলির মধ্যে:

  • (ক) একটি বর্গক্ষেত্রের ভিতরে একটি ত্রিভুজ এবং বাইরে একটি ছোট ত্রিভুজ ও একটি ছোট আয়তক্ষেত্র রয়েছে। এটি নিয়মের সাথে মেলে না।
  • (খ) একটি আয়তক্ষেত্রের উপরে একটি ছোট বর্গক্ষেত্র এবং নীচে একটি ছোট ত্রিভুজ রয়েছে। এটি তৃতীয় চিত্রের নিয়মের সাথে মেলে।
  • (গ) একটি ত্রিভুজের উপরে একটি ছোট বর্গক্ষেত্র এবং নীচে একটি ছোট বৃত্ত রয়েছে। এটি তৃতীয় চিত্রের নিয়মের সাথে মেলে না।
  • (ঘ) একটি আয়তক্ষেত্রের উপরে একটি ছোট বর্গক্ষেত্র এবং নীচে একটি ছোট বর্গক্ষেত্র রয়েছে। এটি তৃতীয় চিত্রের নিয়মের সাথে মেলে না।

সুতরাং, তৃতীয় চিত্রের নিয়মের সাথে একমাত্র বিকল্প (খ) মেলে।

অতএব, প্রশ্নবোধক চিহ্নের ঘরে (খ) নকশাটি বসবে।

ক. Conventional
খ. Peculiar
গ. Conservative
ঘ. Traditional
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল খঃ Peculiar

কারণ:

  • Conventional (প্রচলিত), Conservative (রক্ষণশীল), এবং Traditional (ঐতিহ্যবাহী) - এই শব্দগুলো সাধারণত পুরনো রীতিনীতি, প্রথা বা বিশ্বাসকে সমর্থন করে বা সেগুলোর সাথে সম্পর্কিত।

  • Peculiar (অদ্ভুত, বৈশিষ্ট্যপূর্ণ) - এই শব্দটি অন্যদের থেকে আলাদা বা অস্বাভাবিক কিছু বোঝায়।

সুতরাং, Peculiar শব্দটি অন্য তিনটি শব্দের তুলনায় ভিন্ন অর্থ বহন করে।

ক. হাশেম খান
খ. এ.কে.এম আব্দুর রউফ
গ. আবুল বারক আলভী
ঘ. সমরজিৎ রায় চৌধুরী
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশ সংবিধান হাতে লেখার দায়িত্ব ন্যস্ত ছিল আব্দুর রউফ-এর ওপর। তিনি বাংলাদেশ সরকারের একজন কর্মচারী ছিলেন এবং অত্যন্ত সুন্দর হস্তাক্ষরের অধিকারী ছিলেন।

ক. ২ টাকা
খ. ১০ টাকা
গ. ৫০ টাকা
ঘ. ১০০ টাকা
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল কঃ ২ টাকা

বাংলাদেশে ২ টাকা সরকারি নোট, এটি ব্যাংক নোট নয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট অনুসারে, বর্তমানে প্রচলিত ব্যাংক নোটগুলো হলো: ৫ টাকা, ১০ টাকা, ২০ টাকা, ৫০ টাকা, ১০০ টাকা, ৫০০ টাকা এবং ১০০০ টাকা।

১ টাকা এবং ২ টাকার নোট বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক ইস্যু করা হয়, তাই এগুলো সরকারি নোট হিসেবে পরিচিত।

ক. শ্রম বাজার
খ. চাকুরি বাজার
গ. স্টক মার্কেট
ঘ. কৃষি বাজার
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল গঃ স্টক মার্কেট

সেকেন্ডারি মার্কেট স্টক মার্কেটের একটি অংশ। এখানে পূর্বে ইস্যু করা শেয়ার ও অন্যান্য সিকিউরিটিজ কেনা বেচা হয়। প্রাথমিক বাজারে (Primary Market) যখন কোনো কোম্পানি প্রথমবার শেয়ার বিক্রি করে, তখন সেটি সেকেন্ডারি মার্কেটে লেনদেনের জন্য আসে।

ক. আয়কর
খ. ভূমিকর
গ. আমদানি-রপ্তানি শুল্ক
ঘ. মূল্য সংযােজন কর
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশ সরকার ঘঃ মূল্য সংযােজন কর (VAT) খাত থেকে সর্বোচ্চ রাজস্ব আয় করে।

মূল্য সংযোজন কর বাংলাদেশে রাজস্ব আদায়ের অন্যতম প্রধান উৎস। বিভিন্ন পণ্য ও সেবার ওপর এই কর আরোপিত হয় এবং এটি সরকারের আয়ের একটি বড় অংশ।

ক. মহাভারত
খ. রামায়ণ
গ. গীতা
ঘ. বেদ
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল ঘঃ বেদ

বেদ ছিল আর্যদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ। চারটি বেদ রয়েছে - ঋগবেদ, সামবেদ, যজুর্বেদ এবং অথর্ববেদ। এই গ্রন্থগুলোতে তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস, আচার-অনুষ্ঠান, স্তোত্র এবং দার্শনিক চিন্তাভাবনা লিপিবদ্ধ আছে। মহাভারত, রামায়ণ ও গীতা - এই তিনটি গ্রন্থও হিন্দু ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ অংশ, তবে এগুলো বেদের পরবর্তী সময়ের রচনা।

ক. পুণ্ড্র
খ. তাম্রলিপ্ত
গ. গৌড়
ঘ. হরিকেল
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল কঃ পুণ্ড্র

পুণ্ড্র ছিল বাংলার প্রাচীনতম জনপদগুলোর মধ্যে অন্যতম। এর অবস্থান ছিল মূলত উত্তরবঙ্গে। ঐতিহাসিক বিভিন্ন গ্রন্থে পুণ্ড্র জনপদের উল্লেখ পাওয়া যায় এবং প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনেও এর প্রাচীনত্বের প্রমাণ মেলে।

ক. তাজউদ্দিন আহমদ
খ. সৈয়দ নজরুল ইসলাম
গ. এম. মনসুর আলী
ঘ. এ.এইচ.এম. কামরুজ্জামান
ব্যাখ্যাঃ

মুজিবনগর সরকারের অর্থনীতি বিষয়ক ও পরিকল্পনা বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন এম. মনসুর আলী। তিনি মুজিবনগর সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কাঠামো পরিচালনা ও পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছিলেন।

ক. ২৯ (২)
খ. ২৮ (২)
গ. ৩৯ (১)
ঘ. ৩৯ (২)
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৭ এ নারী ও পুরুষের সমতা নিশ্চিত করা হয়েছে। এই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে: "সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী।" এর মাধ্যমে রাষ্ট্র নারী ও পুরুষ উভয়কেই সমান অধিকার ও মর্যাদা প্রদান করে।

ক. বেক্সিমকো
খ. স্কয়ার
গ. ইনসেপটা
ঘ. এক্‌মি
ব্যাখ্যাঃ

কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন উৎপাদনে সম্প্রতি চীনের সাথে বাংলাদেশের ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড-এর চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস চীনের সিনোভ্যাক বায়োটেক লিমিটেডের তৈরি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বাংলাদেশে উৎপাদন করবে।

ক. ১৯৭৩
খ. ১৯৭৪
গ. ১৯৭৫
ঘ. ১৯৭৬
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (OIC - Organisation of Islamic Cooperation)-এর সদস্যপদ লাভ করে।

বিস্তারিত:

  • ১৯৭৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে লাহোরে অনুষ্ঠিত OIC সম্মেলনে বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
  • এই সম্মেলনে বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান অংশগ্রহণ করেছিলেন।
  • পাকিস্তানের স্বীকৃতির পর বাংলাদেশকে এই সংগঠনে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
ক. ১৮
খ. ১৯
গ. ২০
ঘ. ২১
ব্যাখ্যাঃ বাংলাদেশে ভোটার হওয়ার সর্বনিম্ন বয়স হলো: ১৮ বছর

বিস্তারিত:



* বাংলাদেশের সংবিধান ও নির্বাচনী আইন অনুযায়ী,
নাগরিককে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য অবশ্যই তার বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে।
* এটি The Electoral Rolls Act, 2009 অনুযায়ী নির্ধারিত।
ক. আইনমন্ত্রী
খ. আইন সচিব
গ. অ্যাটর্নি জেনারেল
ঘ. প্রধান বিচারপতি
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল গঃ অ্যাটর্নি জেনারেল

অ্যাটর্নি জেনারেল বাংলাদেশের প্রধান আইন কর্মকর্তা। তিনি রাষ্ট্রপক্ষে আইনি বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ দেন এবং আদালতে সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন।

ক. হিন্দুধর্ম
খ. বৌদ্ধধর্ম
গ. খ্রিষ্টধর্ম
ঘ. ইহুদীধর্ম
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল খঃ বৌদ্ধধর্ম

'নির্বাণ' বৌদ্ধধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা। এটি দুঃখ ও পুনর্জন্মের চক্র থেকে মুক্তিলাভের চূড়ান্ত অবস্থাকে বোঝায়।

ক. ক্যাবিনেট
খ. বিরােধী দল
গ. সুশীল সমাজ
ঘ. লােকপ্রশাসন বিভাগ
ব্যাখ্যাঃ

প্রতিনিধিত্বমূলক গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় খঃ বিরােধী দল-কে সাধারণত ‘বিকল্প সরকার’ (Shadow Government বা Alternative Government) বলা হয়।

এর কারণ হল:

  • সরকারের বিকল্প নীতি: বিরোধী দল সরকারের নীতি ও কর্মসূচির একটি বিকল্প রূপরেখা জনগণের সামনে তুলে ধরে। তারা বিভিন্ন ইস্যুতে তাদের নিজস্ব প্রস্তাবনা এবং সমাধান উপস্থাপন করে।
  • সরকারের জবাবদিহিতা: একটি শক্তিশালী বিরোধী দল সংসদে এবং জনসমক্ষে সরকারের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা ও পর্যবেক্ষণ করে, যা সরকারকে আরও বেশি জবাবদিহি করতে বাধ্য করে।
  • ভবিষ্যতের সরকার: জনগণের সমর্থন পেলে বিরোধী দল ভবিষ্যতে সরকার গঠনের এবং তাদের নীতি বাস্তবায়নের সম্ভাবনা রাখে। তাই তারা নিজেদেরকে একটি সম্ভাব্য বিকল্প সরকার হিসেবে প্রস্তুত করে।

অন্যান্য বিকল্পগুলো:

  • ক্যাবিনেট: এটি সরকারের নির্বাহী বিভাগের মূল অংশ, যা প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বাধীন মন্ত্রীদের সমন্বয়ে গঠিত।
  • সুশীল সমাজ: এটি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা, বুদ্ধিজীবী এবং সচেতন নাগরিকদের সমন্বয়ে গঠিত, যারা বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক ইস্যুতে জনমত গঠন ও সরকারকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে।
  • লােকপ্রশাসন বিভাগ: এটি সরকারের প্রশাসনিক কাঠামো, যা সরকারের নীতি বাস্তবায়নে নিয়োজিত।
ক. আনিসুল হক
খ. সাঈদ খােকন
গ. সাদেক হােসেন খােকা
ঘ. মােহাম্মদ হানিফ
ব্যাখ্যাঃ

ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র ছিলেন মােহাম্মদ হানিফ। তিনি ১৯৯৪ সালে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন।

ক. ১৯৯৫
খ. ১৯৯৬
গ. ১৯৯৭
ঘ. ১৯৯৮
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশে ১৯৯৮ সালে বয়স্ক ভাতা চালু হয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর কর্মসূচিটি উদ্বোধন করেন।

ক. প্রধানমন্ত্রী
খ. অর্থমন্ত্রী
গ. বাণিজ্যমন্ত্রী
ঘ. পরিকল্পনা মন্ত্রী
ব্যাখ্যাঃ

একনেক (ECNEC)-এর প্রধান হলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী পদাধিকারবলে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)-এর চেয়ারপারসন বা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

একনেক এর পূর্ণরূপ হল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (National Economic Council Executive Committee)। এটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের উন্নয়ন পরিকল্পনা অনুমোদনকারী সংস্থা।

সহজভাবে বললে, একনেক হলো সেই কমিটি যা বাংলাদেশে বড় বড় সরকারি উন্নয়ন প্রকল্প যেমন রাস্তাঘাট নির্মাণ, বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন ইত্যাদি অনুমোদন করে থাকে। কোনো বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের আগে একনেকের অনুমোদন পাওয়া বাধ্যতামূলক।

একনেকের প্রধান কাজগুলো হলো:

  • জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (NEC) কর্তৃক অনুমোদিত উন্নয়ন পরিকল্পনা ও নীতিমালা বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্প অনুমোদন করা।
  • সরকারি বিনিয়োগের জন্য সম্পদ বরাদ্দ করা এবং তা পর্যবেক্ষণ করা।
  • বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থনৈতিক ও কারিগরি দিক মূল্যায়ন করা।
  • জাতীয় উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়তা করা।

একনেকের চেয়ারপারসন বা সভাপতি হলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে থাকেন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ও সচিবগণ।

সুতরাং, একনেক বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ক. ধান
খ. গম
গ. পাট
ঘ. টমেটো
ব্যাখ্যাঃ

বলাকা একটি উন্নত গমের জাত।

এছাড়াও দোয়েল, শতাব্দী, অগ্রণী, সোনালিকা, আনন্দ, আকবর, কাঞ্চন, বরকত, জোপাটিকা, ইনিয়া-৬৬ ইত্যাদি গমের উন্নত জাত।

ক. ২০০২
খ. ২০০৬
গ. ২০০৯
ঘ. ২০১১
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশে তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ (Right to Information Act, 2009) জনগণের তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রণীত একটি গুরুত্বপূর্ণ আইন। এই আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশের নাগরিকগণ সরকারি ও বেসরকারি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তথ্য জানার এবং তা পাওয়ার অধিকার লাভ করেছেন।

এই আইনের মূল উদ্দেশ্যগুলো হলো:

  • নাগরিকদের তথ্য জানার অধিকার নিশ্চিত করা।
  • সরকারি ও বেসরকারি কর্তৃপক্ষের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি করা।
  • দুর্নীতি হ্রাস করা।
  • সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা।
  • গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিকাশ ঘটানো।
ক. জেরেমি চুয়া
খ. আবদুল্লাহ মােহাম্মদ সাদ
গ. রাজীব মহাজন
ঘ. আজমেরী হক বাঁধন
ব্যাখ্যাঃ

‘রেহেনা মরিয়ম নূর’ চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেন আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ

ক. জনসংখ্যা গবেষণা
খ. নদী গবেষণা
গ. মিঠাপানি গবেষণা
ঘ. বন্দর গবেষণা
ব্যাখ্যাঃ

নিপোর্ট (NIPORT) একটি জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান। এর পূর্ণরূপ হলো ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ পপুলেশন রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (National Institute of Population Research and Training)।

এই প্রতিষ্ঠানটি মূলত জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, পরিবার পরিকল্পনা, প্রজনন স্বাস্থ্য এবং পুষ্টি সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা পরিচালনা করে এবং সংশ্লিষ্ট কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকে।

ক. রাজশাহী-দিনাজপুর
খ. বরগুনা-পটুয়াখালী
গ. রাঙামাটি-বান্দরবান
ঘ. সিলেট-হবিগঞ্জ
ব্যাখ্যাঃ

ওরাওঁ (Orao) বাংলাদেশের একটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী। তারা মূলত রাজশাহী এবং দিনাজপুর অঞ্চলে বসবাস করে। এছাড়াও রংপুর ও বগুড়া জেলার কিছু অংশেও তাদের দেখা যায়। ভারতের ঝাড়খণ্ড, বিহার, উড়িষ্যা ও মধ্যপ্রদেশ রাজ্যেও এই জনজাতির মানুষ রয়েছে।

ওরাওঁদের সংস্কৃতি ও জীবনধারা:

  • ভাষা: তাদের নিজস্ব ভাষা রয়েছে, যা কুড়ুখ নামে পরিচিত। এটি দ্রাবিড় ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। তবে বর্তমানে অনেকেই বাংলা ভাষাও ব্যবহার করে।
  • পেশা: তাদের প্রধান পেশা কৃষি। ধান, গম, ভুট্টা, সরিষা ইত্যাদি ফসল তারা উৎপাদন করে। অনেকে দিনমজুর হিসেবেও কাজ করে।
  • সামাজিক রীতিনীতি: ওরাওঁ সমাজে গ্রাম পঞ্চায়েত বা মোড়ল প্রথা প্রচলিত আছে, যা তাদের সামাজিক ও বিচারকার্য পরিচালনা করে। তাদের মধ্যে গোত্রভিত্তিক বিভাজনও দেখা যায়।
  • ধর্ম: তাদের নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী ধর্মবিশ্বাস রয়েছে, যেখানে প্রকৃতি পূজা ও বিভিন্ন দেবদেবীর আরাধনা করা হয়। তবে বর্তমানে অনেকেই খ্রিস্ট ধর্ম গ্রহণ করেছেন।
  • উৎসব: কর্মা, ফাগুয়া, সরহুল তাদের प्रमुख উৎসব। এসব উৎসবে তারা গান, নাচ ও বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী আচার-অনুষ্ঠান পালন করে।
  • পোশাক: তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকের মধ্যে পুরুষরা ধুতি ও ফতুয়া এবং মহিলারা শাড়ি ও বিভিন্ন ধরনের অলঙ্কার পরিধান করে।

ওরাওঁরা তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ধরে রেখেছে এবং বাংলাদেশের নৃতাত্ত্বিক বৈচিত্র্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে আছে। তবে আধুনিক জীবনযাত্রার প্রভাবে তাদের সংস্কৃতি ও জীবনধারায় কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।

ক. ৩টি
খ. ৪টি
গ. ৫টি
ঘ. ৬টি
ব্যাখ্যাঃ

১৯৬৬ সালের ৬ দফার মধ্যে ৩টি দফা অর্থনীতি বিষয়ক ছিল। এই দফাগুলো ছিল:

  • তৃতীয় দফা: পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য দুটি পৃথক অথচ সহজে বিনিময়যোগ্য মুদ্রা ব্যবস্থা চালু করতে হবে; অথবা এর বিকল্প হিসেবে একটি মুদ্রাব্যবস্থা সারা দেশের জন্য চালু থাকতে পারে, তবে সেক্ষেত্রে পূর্ব পাকিস্তানের জন্য স্বতন্ত্র ব্যাংকিং রিজার্ভের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
  • চতুর্থ দফা: সকল প্রকার ট্যাক্স, খাজনা, শুল্ক ধার্য ও আদায়ের ক্ষমতা আঞ্চলিক সরকারের হাতে ন্যস্ত করতে হবে এবং আদায়কৃত রাজস্বের একটি নির্দিষ্ট অংশ কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জমা হবে।
  • পঞ্চম দফা: পূর্ব পাকিস্তানের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার পৃথক হিসাব রাখতে হবে এবং এর ওপর পূর্বাঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে। কেন্দ্রীয় সরকারের বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজন হলে তা উভয় অঞ্চলের জন্য সমান অথবা নির্ধারিত অনুপাতে সরবরাহ করা হবে।

অন্যান্য তিনটি দফা ছিল মূলত রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক বিষয় সম্পর্কিত।

ক. ঢাকা ও কুমিল্লা
খ. ময়মনসিংহ ও নেত্রকোণা
গ. কুমিল্লা ও নােয়াখালী
ঘ. ময়মনসিংহ ও জামালপুর
ব্যাখ্যাঃ

প্রাচীন বাংলায় সমতট একটি গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক ও রাজনৈতিক অঞ্চল ছিল। গুপ্ত সাম্রাজ্যের সময় থেকে শুরু করে পাল সাম্রাজ্যের পূর্ব পর্যন্ত এর স্বতন্ত্র অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া যায়।

সমতটের ভৌগোলিক অবস্থান:

প্রাচীনকালে সমতটের সঠিক সীমানা নির্ধারণ করা কঠিন হলেও, সাধারণভাবে এটি বর্তমান বাংলাদেশের কুমিল্লা অঞ্চল এবং এর সন্নিহিত এলাকা যেমন নোয়াখালী ও চাঁদপুর জেলার কিছু অংশ নিয়ে গঠিত ছিল বলে ধারণা করা হয়। কারো কারো মতে, ত্রিপুরা রাজ্যের কিছু অংশও এর অন্তর্ভুক্ত ছিল। মেঘনা নদীর পূর্ব তীরবর্তী নিচু ও সমতল ভূমি এই অঞ্চলের মূল বৈশিষ্ট্য ছিল, যা এর নামের ('সম' অর্থ সমতল এবং 'তট' অর্থ তীর বা ভূমি) সার্থকতা প্রমাণ করে।

ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট:

  • গুপ্ত সাম্রাজ্য: গুপ্ত সম্রাটদের অধীনে সমতট একটি করদ রাজ্য হিসেবে পরিচিত ছিল। সমুদ্রগুপ্তের এলাহাবাদ স্তম্ভলিপিতে এর উল্লেখ পাওয়া যায়।
  • স্বাধীন রাজ্য: সপ্তম শতাব্দীর শুরুতে গুপ্ত সাম্রাজ্যের দুর্বলতার সুযোগে সমতট একটি স্বাধীন রাজ্যে পরিণত হয়। চৈনিক পরিব্রাজক হিউয়েন সাং এই অঞ্চল ভ্রমণ করেন এবং 'কিয়া-মল-কিয়া' নামে একটি সমৃদ্ধ ও স্বাধীন রাজ্যের বর্ণনা দেন, যা সম্ভবত সমতটই ছিল। তিনি এর রাজধানী 'লো-টো-উই' (Loto-wi) বা লালমাই পাহাড়ের কাছে অবস্থিত বলে উল্লেখ করেন।
  • দেব বংশ: অষ্টম শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে দেব বংশ সমতটে একটি শক্তিশালী রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে। তাদের রাজধানী ছিল দেবপর্বত (বর্তমান ময়নামতী)। দেব রাজারা বেশ কয়েক প্রজন্ম ধরে এই অঞ্চল শাসন করেন।
  • পাল সাম্রাজ্য: পরবর্তীতে পাল সাম্রাজ্যের অধীনে সমতট তাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশে পরিণত হয়।
ক. আনিসুর রহমান
খ. রেহমান সােবহান
গ. নুরুল ইসলাম
ঘ. রওনক জাহান
ব্যাখ্যাঃ

‘Untranquil Recollections: The Years of Fulfilment’ শীর্ষক গ্রন্থটির লেখক হলেন রেহমান সোবহান। তিনি বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবী। গ্রন্থটিতে তিনি তার কর্মজীবনের গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোকপাত করেছেন।

ক. ৬ নম্বর
খ. ৭ নম্বর
গ. ৮ নম্বর
ঘ. ৯ নম্বর
ব্যাখ্যাঃ

ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য বীরত্ব ও আত্মত্যাগের জন্য তাকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান বীরশ্রেষ্ঠ খেতাব প্রদান করা হয়।

এখানে তার সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরা হলো:

  • জন্ম ও প্রাথমিক জীবন: তিনি ১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নড়াইল জেলার মহিষখোলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মোহাম্মদ আমানত শেখ এবং মাতার নাম জেন্নাতুন্নেসা।
  • পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগদান: নূর মোহাম্মদ শেখ ১৯৫৭ সালে পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসে (ইপিআর) যোগদান করেন এবং ল্যান্স নায়েক পদে উন্নীত হন।
  • মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ: ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। তিনি ৮ নম্বর সেক্টরের অধীনে বিভিন্ন সম্মুখযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
  • বীরত্বপূর্ণ যুদ্ধ ও শাহাদাত: ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ সালে যশোর জেলার গোয়ালহাটি গ্রামে পাক হানাদারদের সাথে সম্মুখযুদ্ধে তিনি অসাধারণ বীরত্ব দেখান। শত্রুদের মেশিনগান পোস্টে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে তাদের প্রতিরোধ ভেঙে দেন। এ সময় তিনি গুরুতর আহত হন। সহযোদ্ধাদের জীবন বাঁচাতে আহত অবস্থায়ও যুদ্ধ চালিয়ে যান এবং শেষ পর্যন্ত শহীদ হন। তার এই অসীম সাহস ও আত্মত্যাগ মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল বৃদ্ধি করে।
  • বীরশ্রেষ্ঠ খেতাব: মুক্তিযুদ্ধে তার বীরত্ব ও আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার তাকে সর্বোচ্চ সামরিক খেতাব "বীরশ্রেষ্ঠ" প্রদান করে।
  • স্মৃতিস্তম্ভ: তার স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য নড়াইল এবং গোয়ালহাটিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে।
ক. ১৯৭৭
খ. ২০০৮
গ. ২০১৫
ঘ. ২০১৯
ব্যাখ্যাঃ

পূর্ববর্তী কৃষিশুমারীগুলো অনুষ্ঠিত হয়েছিল:

  • ১৯৬০
  • ১৯৭৭
  • ১৯৮৩–৮৪
  • ১৯৯৬
  • ২০০৮
  • এবং সর্বশেষ ২০১৯ সালে।
ক. তুলা
খ. তামাক
গ. পেয়ারা
ঘ. তরমুজ
ব্যাখ্যাঃ

‘ম্যানিলা’ তামাক ফসলের একটি উন্নত জাত। এটি মূলত ফিলিপাইনের ম্যানিলা অঞ্চলের সাথে সম্পর্কিত এবং উন্নত মানের তামাক উৎপাদনের জন্য পরিচিত।

ক. ৮১
খ. ৮৫
গ. ৮৭
ঘ. ৮৮
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৮৭-তে ‘বার্ষিক আর্থিক বিবৃতি’ (Annual Financial Statement) এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এই অনুচ্ছেদে সরকারের প্রত্যেক অর্থবছরের জন্য আয় ও ব্যয়ের একটি হিসাব বিবরণী জাতীয় সংসদে পেশ করার বিধান রয়েছে। এটিকে সাধারণত বাজেট হিসেবে অভিহিত করা হয়।

ক. প্রধান নির্বাচন কমিশনার
খ. চেয়ারম্যান, পাবলিক সার্ভিস কমিশন
গ. চেয়ারম্যান, মানবাধিকার কমিশন
ঘ. কনট্রোলার ও অডিটর জেনারেল
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল গঃ চেয়ারম্যান, মানবাধিকার কমিশন

ব্যাখ্যা:

  • প্রধান নির্বাচন কমিশনার: বাংলাদেশ সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদের অধীনে এটি একটি সাংবিধানিক পদ।
  • চেয়ারম্যান, পাবলিক সার্ভিস কমিশন: বাংলাদেশ সংবিধানের ১৩৭ অনুচ্ছেদের অধীনে এটি একটি সাংবিধানিক পদ।
  • চেয়ারম্যান, মানবাধিকার কমিশন: এটি একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা (Statutory Body)। এটি জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন, ২০০৯-এর অধীনে গঠিত হয়েছে, সংবিধানের অধীনে নয়।
  • কনট্রোলার ও অডিটর জেনারেল: বাংলাদেশ সংবিধানের ১২৭ অনুচ্ছেদের অধীনে এটি একটি সাংবিধানিক পদ।
ক. UNIMOG
খ. UNIIMOG
গ. UNGOMAP
ঘ. UNICEF
ব্যাখ্যাঃ

ইরান-ইরাক যুদ্ধবিরতির তদারকির কাজে নিয়োজিত জাতিসংঘের বাহিনী ইউনাইটেড নেশনস ইরান-ইরাক মিলিটারি অবজারভার গ্রুপ (UNIIMOG) নামে পরিচিত ছিল। এই বাহিনী ১৯৮৮ সালের আগস্ট মাস থেকে ১৯৯১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ইরান ও ইরাকের সীমান্ত এলাকায় মোতায়েন ছিল এবং যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ করার দায়িত্ব পালন করত।

ক. ১৫ সেপ্টেম্বর
খ. ১৫ অক্টোবর
গ. ১৫ নভেম্বর
ঘ. ১৫ ডিসেম্বর
ব্যাখ্যাঃ

আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস প্রতি বছর ১৫ সেপ্টেম্বর পালিত হয়। এই দিবসটি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক ২০০৭ সালে গণতন্ত্রের নীতিগুলোকে সমর্থন ও জোরদার করার জন্য ঘোষণা করা হয়। বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রের গুরুত্ব এবং এর আদর্শগুলো সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করাই এই দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য।

ক. ফ্রান্স
খ. জার্মানি
গ. নেদারল্যান্ড
ঘ. হাঙ্গেরি
ব্যাখ্যাঃ

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (Transparency International - TI) একটি আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা (Non-Governmental Organization - NGO)। এর প্রধান কাজ হলো বিশ্বব্যাপী দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং এর বিরুদ্ধে লড়াই করা। সংস্থাটি ১৯৯৩ সালে জার্মানির বার্লিনে প্রতিষ্ঠিত হয়।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের মূল উদ্দেশ্য:

  • দুর্নীতি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
  • দুর্নীতিবিরোধী নীতি ও কার্যক্রমের পক্ষে সমর্থন তৈরি করা।
  • বিভিন্ন দেশে দুর্নীতি প্রতিরোধের জন্য স্থানীয় উদ্যোগকে উৎসাহিত ও সমর্থন করা।
  • সরকার, ব্যবসা এবং সুশীল সমাজের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।
  • দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমন্বয় সাধন করা।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম:

ক. কিলাে-ক্লাস
খ. মিং-ক্লাস
গ. ডলফিন-ক্লাস
ঘ. শ্যাং-ক্লাস
ব্যাখ্যাঃ

চীন থেকে ক্রয়কৃত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ডুবোজাহাজ দুটি মিং-ক্লাস (Type 035G) শ্রেণির। এই ডুবোজাহাজ দুটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে নবযাত্রা (BNS Nabajatra) এবং জয়যাত্রা (BNS Joyjatra) নামে কমিশন লাভ করেছে।

ক. এডেন উপসাগরের পাশে
খ. প্রশান্ত মহাসাগরে
গ. দক্ষিণ আমেরিকায়
ঘ. দক্ষিণ চীন সাগরে
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল কঃ এডেন উপসাগরের পাশে

জিবুতি দেশটি পূর্ব আফ্রিকায়, এডেন উপসাগরের পশ্চিম প্রান্তে বাব-এল-মান্দেব প্রণালীর পাশে অবস্থিত। এর উত্তরে ইরিত্রিয়া, পশ্চিমে ও দক্ষিণে ইথিওপিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্বে সোমালিয়া অবস্থিত।

ক. আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরাম (ARF)
খ. আঞ্চলিক শ্রম সংস্থা (ILO)
গ. আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (IFAD)
ঘ. খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO)
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল কঃ আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরাম (ARF)

আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরাম (ASEAN Regional Forum - ARF) আসিয়ান জোটভুক্ত দেশ এবং এর সংলাপ অংশীদারদের নিয়ে গঠিত একটি আঞ্চলিক নিরাপত্তা ফোরাম। এটি জাতিসংঘের কোনো সংস্থা নয়।

অন্যদিকে:

  • আঞ্চলিক শ্রম সংস্থা (ILO) - এটি হবে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (International Labour Organization - ILO), যা জাতিসংঘের একটি বিশেষায়িত সংস্থা।
  • আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (IFAD) - এটি জাতিসংঘের একটি বিশেষায়িত সংস্থা।
  • খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO) - এটি জাতিসংঘের একটি বিশেষায়িত সংস্থা।
ক. জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ
খ. গ্রিন হাউস গ্যাসের নিঃসরণ ও প্রশমন
গ. সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি
ঘ. বৈশ্বিক মরুকরণ প্রক্রিয়া এবং বনায়ন
ব্যাখ্যাঃ

United Nations Framework Convention on Climate Change (UNFCCC)-এর মূল আলোচ্য বিষয় হলো গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস করে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করা

এই কনভেনশনের প্রধান উদ্দেশ্যগুলো হলো:

  • বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের ঘনত্ব এমন একটি স্তরে স্থিতিশীল করা যা জলবায়ু ব্যবস্থার সাথে বিপজ্জনক মানবসৃষ্ট হস্তক্ষেপ প্রতিরোধ করতে পারে।
  • একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানোর জন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোর বাধ্যবাধকতা নির্ধারণ করা।
  • জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহায়তা করা।
  • জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রযুক্তি হস্তান্তর ও আর্থিক সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা করা।

UNFCCC কোনো নির্দিষ্ট নিঃসরণ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ না করলেও, এটি একটি কাঠামো প্রদান করে যার অধীনে পরবর্তীতে বিভিন্ন প্রোটোকল (যেমন কিয়োটো প্রোটোকল, প্যারিস চুক্তি) প্রণীত হয়েছে এবং যেখানে সদস্য রাষ্ট্রগুলো নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ও বাস্তবায়নের জন্য সম্মত হয়েছে।

ক. UNDP
খ. World Bank
গ. IMF
ঘ. BRICS
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল খঃ World Bank

World Development Report (WDR) বিশ্ব ব্যাংকের (World Bank) বার্ষিক প্রকাশনা। প্রতি বছর এই রিপোর্টে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আর্থ-সামাজিক বিষয় নিয়ে বিশ্লেষণ ও তথ্য উপস্থাপন করা হয়।

ক. মালয়েশিয়া
খ. ইন্দোনেশিয়া
গ. চীন
ঘ. ইংল্যান্ড
ব্যাখ্যাঃ

ব্যাডমিন্টন মালয়েশিয়ার জাতীয় খেলা।

ক. হেলেন কেলার
খ. ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল
গ. মাদার তেরেসা
ঘ. সরােজিনী নাইডু
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল খঃ ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল

ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলকে 'দ্য লেডি উইথ দ্য ল্যাম্প' নামে অভিহিত করা হয়। ক্রিমিয়ার যুদ্ধের সময় আহত সৈন্যদের সেবাদানের জন্য তিনি রাতের বেলা লণ্ঠন হাতে ঘুরে বেড়াতেন, তাই সৈন্যরা তাকে এই নামে ডেকেছিল। তিনি আধুনিক নার্সিং পেশার একজন পথিকৃৎ হিসেবেও পরিচিত।

ক. এনএলডি সরকার
খ. ন্যাশনাল ইউনিটি সরকার
গ. বার্মিজ গভর্নমেন্ট ইন এক্সাইল
ঘ. অং সান সু চি সরকার
ব্যাখ্যাঃ

মিয়ানমারের নির্বাসিত সরকারের নাম হলো জাতীয় ঐক্য সরকার (National Unity Government - NUG)

এটি ২০২১ সালের মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানের পর ক্ষমতাচ্যুত আইনপ্রণেতা এবং অন্যান্য বিরোধী ব্যক্তিত্বদের দ্বারা গঠিত একটি ছায়া সরকার। তারা মিয়ানমারের জনগণের নির্বাচিত বৈধ সরকার হিসেবে নিজেদের দাবি করে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে স্বীকৃতি আদায়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

ক. মালয়েশিয়া
খ. ফিলিপাইন
গ. ভিয়েতনাম
ঘ. কম্বােডিয়া
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল ঘঃ কম্বোডিয়া

কম্বোডিয়া দক্ষিণ চীন সাগরের জলসীমার উপর কোনো আনুষ্ঠানিক দাবি জানায় না। এই অঞ্চলের জলসীমা এবং দ্বীপপুঞ্জের মালিকানা নিয়ে মূলত চীন, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, ব্রুনাই এবং তাইওয়ানের মধ্যে বিরোধ বিদ্যমান।

ক. ভারত-নেপাল
খ. ভারত-পাকিস্তান
গ. ভারত-চীন
ঘ. ভারত-ভুটান
ব্যাখ্যাঃ

নাথু লা পাস হলো হিমালয়ের ডংক্যা পর্বতশ্রেণীতে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ গিরিপথ। এটি চীনের তিব্বতের ইয়াতুং কাউন্টি এবং ভারতের সিকিম রাজ্য ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে। এই গিরিপথটি ৪,৩১০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত।

এখানে কিছু অতিরিক্ত তথ্য দেওয়া হল:

  • অবস্থান: এটি পূর্বে সিকিম জেলার হিমালয়ে অবস্থিত।
  • এটি ভারত ও চীনের মধ্যে তিনটি খোলা বাণিজ্য সীমান্ত পোস্টের মধ্যে একটি।
  • ঐতিহাসিক সিল্ক রুটের একটি অংশ ছিল এই গিরিপথটি।
  • ১৯৬২ সালের চীন-ভারত যুদ্ধের পর এটি প্রায় ৪ দশক বন্ধ ছিল, পরে ২০০৬ সালে পুনরায় খোলা হয়।
  • ভারতের নাগরিকরা গ্যাংটকে পারমিট পাওয়ার পরেই এই গিরিপথটি দেখতে যেতে পারেন।
ক. BCIM-EC
খ. OAS
গ. OIC
ঘ. BIMSTEC
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল খঃ OAS

OAS এর পূর্ণরূপ হলো Organization of American States। এটি আমেরিকার মহাদেশের (উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা) স্বাধীন রাষ্ট্রগুলোর একটি আঞ্চলিক সংস্থা। বাংলাদেশ এই অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় সংস্থাটির সদস্য নয়।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ BCIM-EC (Bangladesh-China-India-Myanmar Economic Corridor), OIC (Organization of Islamic Cooperation) এবং BIMSTEC (Bay of Bengal Initiative for Multi-Sectoral Technical and Economic Cooperation)-এর সক্রিয় সদস্য।

ক. তুর্কমেন
খ. উইঘুর
গ. তাজিক
ঘ. কাজাখ
ব্যাখ্যাঃ

চীনের জিনজিয়াং (Xinjiang) প্রদেশে বসবাসকারী প্রধান মুসলিম গোষ্ঠীগুলো হলো:

  • উইঘুর (Uyghur): এটি জিনজিয়াং প্রদেশের বৃহত্তম মুসলিম গোষ্ঠী। তারা তুর্কি বংশোদ্ভূত এবং তাদের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রয়েছে।
  • কাজাখ (Kazakh): উইঘুরদের পর এটি জিনজিয়াংয়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম তুর্কিভাষী মুসলিম গোষ্ঠী।
  • হুই (Hui): যদিও চীনের অন্যান্য প্রদেশেও এদের দেখা যায়, জিনজিয়াংয়েও একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হুই মুসলিম বাস করে। তারা মূলত চীনাভাষী মুসলিম।

এছাড়াও জিনজিয়াংয়ে কিরগিজ (Kyrgyz) এবং তাজিক (Tajik) সহ আরও ছোট ছোট মুসলিম গোষ্ঠী বাস করে। তবে উইঘুর এবং কাজাখরাই এই প্রদেশের প্রধান মুসলিম জনগোষ্ঠী।

ক. ১১
খ. ১৫
গ. ১৭
ঘ. ২১
ব্যাখ্যাঃ

জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য ১৭টি। এই লক্ষ্যগুলো ২০৩০ সালের মধ্যে অর্জন করার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে, যা "টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০" (Sustainable Development Goals 2030) নামে পরিচিত।

জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়নের ১৭টি লক্ষ্য হলো:

১. দারিদ্র্য বিলোপ (No Poverty) ২. ক্ষুধা মুক্তি (Zero Hunger) ৩. সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ (Good Health and Well-being) ৪. গুণগত শিক্ষা (Quality Education) ৫. লিঙ্গ সমতা (Gender Equality) ৬. পরিষ্কার জল ও স্যানিটেশন (Clean Water and Sanitation) ৭. সাশ্রয়ী ও পরিচ্ছন্ন জ্বালানি (Affordable and Clean Energy) ৮. Decent work and economic growth ৯. শিল্প, উদ্ভাবন ও অবকাঠামো (Industry, Innovation and Infrastructure) ১০. অসমতা হ্রাস (Reduced Inequalities) ১১. টেকসই শহর ও সম্প্রদায় (Sustainable Cities and Communities) ১২. দায়িত্বশীল ভোগ ও উৎপাদন (Responsible Consumption and Production) ১৩. জলবায়ু কার্যক্রম (Climate Action) ১৪. জলের নিচের জীবন (Life Below Water) ১৫. ভূমির জীবন (Life on Land) ১৬. শান্তি, ন্যায়বিচার ও শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান (Peace, Justice and Strong Institutions) ১৭. লক্ষ্যের জন্য অংশীদারিত্ব (Partnerships for the Goals)

ক. ৮ ডিসেম্বর
খ. ১০ ডিসেম্বর
গ. ১১ ডিসেম্বর
ঘ. ১৩ ডিসেম্বর
ব্যাখ্যাঃ

বিশ্ব মানবাধিকার দিবস প্রতি বছর ১০ ডিসেম্বর পালিত হয়। এই দিনটিতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ১৯৪৮ সালে মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র (Universal Declaration of Human Rights - UDHR) গ্রহণ করে। এই ঘোষণাপত্রটি সকল মানুষের অধিকার ও স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেয়।

১৭৮. আকাবা একটি-

[ বিসিএস ৪৩তম ]

ক. সমুদ্র বন্দর
খ. বিমান বন্দর
গ. স্থল বন্দর
ঘ. নদী বন্দর
ব্যাখ্যাঃ

আকাবা একটি সমুদ্র বন্দর

এটি জর্ডানের একমাত্র সমুদ্র বন্দর এবং লোহিত সাগরের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে আকাবা উপসাগরের তীরে অবস্থিত। এটি জর্ডানের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্র এবং পর্যটন আকর্ষণ।

১৭৯. Trafalgar Square-এর অবস্থান-

[ বিসিএস ৪৩তম ]

ক. রাশিয়ায়
খ. ইংল্যান্ডে
গ. ফ্রান্সে
ঘ. চীনে
ব্যাখ্যাঃ

ট্রাফালগার স্কয়ার ইংল্যান্ডের সেন্ট্রাল লন্ডনের সিটি অফ ওয়েস্টমিনস্টারে অবস্থিত একটি জনচত্বর। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান এবং জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।

ট্রাফালগার স্কয়ারের প্রধান বৈশিষ্ট্য:

  • নেলসন স্তম্ভ (Nelson's Column): স্কয়ারের কেন্দ্রে অবস্থিত একটি বিখ্যাত স্মৃতিস্তম্ভ, যা ১৮০৫ সালে ট্রাফালগারের যুদ্ধে অ্যাডমিরাল লর্ড হোরাশিও নেলসনের বিজয়ের স্মরণে নির্মিত। স্তম্ভের উপরে নেলসনের একটি মূর্তি রয়েছে এবং এর পাদদেশে চারটি ব্রোঞ্জের সিংহ দ্বারা এটি সুরক্ষিত।
  • ঝর্ণা (Fountains): স্যার এডউইন লুটিয়েন্সের নকশা করা দুটি বড় এবং কারুকার্যময় ঝর্ণা এখানে রয়েছে।
  • মূর্তি ও ভাস্কর্য (Statues and Sculptures): নেলসন স্তম্ভ ছাড়াও, স্কয়ারে চতুর্থ জর্জের অশ্বারোহী মূর্তি এবং জেনারেল স্যার চার্লস জেমস নেপিয়ার ও মেজর জেনারেল স্যার হেনরি হ্যাভলকের মূর্তি সহ আরও বেশ কয়েকটি মূর্তি রয়েছে।
  • চতুর্থ ভিত্তিবেদী (The Fourth Plinth): উত্তর-পশ্চিম কোণে অবস্থিত একটি খালি ভিত্তিবেদী যা ১৯৯৯ সাল থেকে বিভিন্ন আধুনিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।
  • জাতীয় গ্যালারি (National Gallery): স্কয়ারের উত্তর দিকে অবস্থিত একটি বিখ্যাত আর্ট মিউজিয়াম।
  • সেন্ট মার্টিন-ইন-দ্য-ফিল্ডস (St Martin-in-the-Fields): স্কয়ারের উত্তর-পূর্ব কোণে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক গির্জা।
ক. উত্তর আমেরিকায়
খ. দক্ষিণ আমেরিকায়
গ. মধ্য আফ্রিকায়
ঘ. মধ্য আমেরিকায়
ব্যাখ্যাঃ

মায়া সভ্যতা মধ্য আমেরিকার একটি প্রাচীন সভ্যতা যা বর্তমান দক্ষিণ-পূর্ব মেক্সিকো, গুয়াতেমালা, বেলিজ এবং হন্ডুরাসের কিছু অংশে বিস্তৃত ছিল। এই সভ্যতা প্রায় ১৮০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ১৬৯৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত টিকে ছিল এবং এর স্বর্ণযুগ ছিল ২৫০ থেকে ৯০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত।

মায়া সভ্যতার কিছু উল্লেখযোগ্য দিক:

  • কৃষি: ভুট্টা, শিম এবং স্কোয়াশ ছিল তাদের প্রধান খাদ্য ফসল। তারা উন্নত কৃষি কৌশল ব্যবহার করত, যেমন জঙ্গল কেটে ও পুড়িয়ে জমি তৈরি করা এবং উঁচুPlatform তৈরি করা।
  • স্থাপত্য: মায়ারা পাথর দিয়ে বিশাল আকারের মন্দির, পিরামিড, প্রাসাদ এবং খেলার মাঠ তৈরি করত। তাদের স্থাপত্যশৈলী জটিল কারুকার্য ও জ্যামিতিক নকশার জন্য বিখ্যাত। চিচেন ইতজা, টিikal এবং Palenque-এর ধ্বংসাবশেষ তাদের স্থাপত্যের চমৎকার উদাহরণ।
  • গণিত ও জ্যোতির্বিদ্যা: মায়ারা উন্নত গাণিতিক জ্ঞান এবং জ্যোতির্বিদ্যা সম্পর্কে গভীর ধারণা রাখত। তারা শূন্যের ধারণা আবিষ্কার করেছিল এবং জটিল ক্যালেন্ডার তৈরি করেছিল, যা সৌর বছর এবং ধর্মীয় বছর গণনা করত। তারা গ্রহ-নক্ষত্রের গতিবিধি নির্ভুলভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারত।
  • লিখন পদ্ধতি: মায়াদের নিজস্ব লিপি ছিল, যা হায়ারোগ্লিফিক লিপির মতো চিত্রভিত্তিক ছিল। তারা পাথর, মৃৎপাত্র এবং গাছের বাকলের তৈরি বইয়ে (codices) তাদের ইতিহাস, ধর্মীয় বিশ্বাস এবং জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত জ্ঞান লিপিবদ্ধ করত।
  • ধর্ম: মায়ারা বহু দেব-দেবীর পূজা করত, যারা প্রকৃতি ও জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ন্ত্রণ করত। তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নরবলি ও অন্যান্য আচার-অনুষ্ঠান প্রচলিত ছিল।
  • শিল্প: মায়ারা ভাস্কর্য, কারুশিল্প এবং মৃৎশিল্পে অত্যন্ত দক্ষ ছিল। তারা পাথর, কাঠ ও কাদামাটি দিয়ে সুন্দর মূর্তি ও অলঙ্কার তৈরি করত।

মায়া সভ্যতার পতন:

নবম শতাব্দীর দিকে মায়া সভ্যতার কেন্দ্রীয় অঞ্চলের শহরগুলো রহস্যজনকভাবে জনশূন্য হতে শুরু করে। এর কারণ সম্পর্কে বিভিন্ন তত্ত্ব প্রচলিত আছে, যার মধ্যে রয়েছে:

  • জনসংখ্যার আধিক্য ও পরিবেশের অবক্ষয়: অতিরিক্ত জনসংখ্যার কারণে খাদ্য ও অন্যান্য সম্পদের অভাব দেখা দিয়েছিল। বনভূমি ধ্বংস এবং মৃত্তিকা ক্ষয় কৃষিকে কঠিন করে তুলেছিল।
  • যুদ্ধ: বিভিন্ন মায়া শহরের মধ্যে ক্রমবর্ধমান যুদ্ধ পরিস্থিতি অস্থিরতা সৃষ্টি করেছিল।
  • খরা: দীর্ঘমেয়াদী খরা খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত করেছিল এবং দুর্ভিক্ষের কারণ হয়েছিল।
  • রাজনৈতিক অস্থিরতা: শাসকদের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব এবং বিদ্রোহ দেখা দিয়েছিল।

তবে, মায়া সভ্যতা সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত হয়নি। ইউকাটান উপদ্বীপ এবং গুয়াতেমালার পার্বত্য অঞ্চলে তাদের বংশধররা আজও বসবাস করে এবং তাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বহন করে চলেছে।

ক. পার্বত্য বন
খ. শালবন
গ. মধুপুর বন
ঘ. ম্যানগ্রোভ বন
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো ম্যানগ্রোভ বনভূমি (Mangrove forests)

ম্যানগ্রোভ বনভূমি উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ত পানিতে জন্মে এবং প্রতিনিয়ত জোয়ার-ভাটার লবণাক্ত পানি দ্বারা প্লাবিত হয়। এই বনভূমি লবণাক্ত পরিবেশের সাথে বিশেষভাবে অভিযোজিত এবং সমুদ্র উপকূলকে ঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও ভাঙন থেকে রক্ষা করে। সুন্দরবন বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনভূমির একটি উদাহরণ।

ক. নিঝুমদ্বীপ
খ. সেন্ট মার্টিনস
গ. হাতিয়া
ঘ. কুতুবদিয়া
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ হলো সেন্ট মার্টিন

এটি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার মূল ভূখণ্ড থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্বাংশে অবস্থিত। স্থানীয়ভাবে এটি নারিকেল জিঞ্জিরা নামেও পরিচিত, কারণ এখানে প্রচুর নারিকেল গাছ জন্মে।

সেন্ট মার্টিন দ্বীপের পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে প্রায় ১০-১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি প্রবাল প্রাচীর বিদ্যমান। এই প্রবাল প্রাচীরটিতে বিভিন্ন ধরণের প্রবাল এবং সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য দেখা যায়। জোয়ারের সময় এই প্রাচীরের অনেক অংশ পানিতে তলিয়ে গেলেও ভাটার সময় তা দৃশ্যমান হয়।

ছোট আয়তনের এই দ্বীপটি তার অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, প্রবাল প্রাচীর এবং জীববৈচিত্র্যের জন্য পরিচিত এবং এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।

ক. বান্দরবান
খ. কুষ্টিয়া
গ. কুমিল্লা
ঘ. বরিশাল
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশে প্লায়িস্টোসিন কালের সােপান প্রধানত তিনটি অঞ্চলে দেখা যায়:

১. বরেন্দ্রভূমি: এটি উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। এর মধ্যে রয়েছে রাজশাহী, নওগাঁ, দিনাজপুর, জয়পুরহাট, রংপুর এবং বগুড়া জেলার কিছু অংশ।

২. মধুপুর ও ভাওয়ালের গড়: এটি মধ্য বাংলাদেশে অবস্থিত। এর মধ্যে রয়েছে টাঙ্গাইল, গাজীপুর এবং ময়মনসিংহ জেলার কিছু অংশ।

৩. লালমাই পাহাড়: এটি কুমিল্লা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত।

প্লাইস্টোসিন কালের এই সোপানগুলো আনুমানিক ২৫ হাজার বছর পূর্বে গঠিত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। এই অঞ্চলগুলো সমভূমি থেকে কিছুটা উঁচু এবং এদের মাটি লালচে ও কঠিন প্রকৃতির।

ক. চীন
খ. পাকিস্তান
গ. থাইল্যান্ড
ঘ. মায়ানমার
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল ঘঃ মায়ানমার

বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমানা দুটি দেশের সাথে রয়েছে:

১. ভারত: বাংলাদেশের উত্তরে, উত্তর-পশ্চিম এবং উত্তর-পূর্ব দিকে ভারতের সাথে দীর্ঘ স্থল সীমান্ত রয়েছে। ২. মায়ানমার: বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে মায়ানমারের সাথে একটি ছোট স্থল ও জল সীমান্ত রয়েছে।

অন্যদিকে, চীন বাংলাদেশের উত্তরে অবস্থিত হলেও সরাসরি কোনো সীমান্ত নেই। পাকিস্তান এবং থাইল্যান্ড ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশ থেকে অনেক দূরে অবস্থিত এবং কোনো সীমান্ত সংযোগ নেই।

ক. দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল
খ. পশ্চিমাঞ্চল
গ. উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল
ঘ. উত্তর-পূর্বাঞ্চল
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল ঘঃ উত্তর-পূর্বাঞ্চল

বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আকস্মিক বন্যা (Flash Flood) বেশি দেখা যায়। বিশেষ করে বর্ষাকালে ভারতের মেঘালয় ও আসামের পাহাড়ি অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নদ-নদীতে দ্রুত পানি বৃদ্ধি পায় এবং সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ এবং নেত্রকোনা জেলার নিম্নাঞ্চলে আকস্মিক বন্যা সৃষ্টি হয়। এই বন্যা খুব দ্রুত আসে এবং স্বল্প সময়ের মধ্যেই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে।

ক. সিলেট
খ. কুমিল্লা
গ. রাজশাহী
ঘ. দিনাজপুর
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল ঘঃ দিনাজপুর

দিনাজপুর জেলা কয়লা সমৃদ্ধ। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কয়লা খনি, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি, এই জেলাতেই অবস্থিত। এছাড়াও, জেলার অন্যান্য স্থানেও কয়লার সন্ধান পাওয়া গেছে।

ক. ভূমিকম্প
খ. ভূমিধস
গ. টর্নেডাে
ঘ. খরা
ব্যাখ্যাঃ

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে কঃ ভূমিকম্প-এর ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

যদিও বাংলাদেশ ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চলে অবস্থিত এবং অতীতেও বেশ কিছু মাঝারি ও বড় ধরনের ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভূতাত্ত্বিক জরিপ এবং বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী, দেশটির অভ্যন্তরে এবং পার্শ্ববর্তী টেকটোনিক প্লেটের সঞ্চালনের কারণে বড় ধরনের ভূমিকম্পের ঝুঁকি বেড়েছে। অপরিকল্পিত নগরায়ন, দুর্বল অবকাঠামো এবং ভূমিকম্প প্রস্তুতি সম্পর্কে সচেতনতার অভাব এই ঝুঁকিকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

অন্যদিকে, ভূমিধস মূলত পাহাড়ি অঞ্চলে (যেমন চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ) একটি নিয়মিত দুর্যোগ, তবে এর ঝুঁকি সাম্প্রতিক সময়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধির কোনো জোরালো প্রমাণ নেই। টর্নেডো বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলে মাঝে মাঝে আঘাত হানে, কিন্তু এর প্রবণতা সাম্প্রতিককালে খুব বেশি বেড়েছে এমনটা বলা যায় না। খরা বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি পরিচিত সমস্যা, তবে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এর তীব্রতা বাড়তে পারে, তবে ভূমিকম্পের ঝুঁকির তুলনায় এটিকে সাম্প্রতিক সময়ে অধিকতর ঝুঁকিপূর্ণ বলা কঠিন।

সুতরাং, উপলব্ধ তথ্য এবং বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে ভূমিকম্প-এর ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করা হয়।

ক. বন্যা
খ. খরা
গ. ঘূর্ণিঝড়
ঘ. ভূমিধস
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল বন্যা

‘Hydro-meteorological’ দুর্যোগ বলতে সেই দুর্যোগগুলোকে বোঝায় যা জলবায়ু এবং আবহাওয়াজনিত কারণে ঘটে থাকে। এর মধ্যে বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড়, ভূমিধস, শৈত্যপ্রবাহ, দাবদাহ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

আপনার বিকল্পগুলোর মধ্যে, বন্যা সরাসরি পানি এবং আবহাওয়ার সাথে সম্পর্কিত একটি দুর্যোগ।

অন্যান্য বিকল্পগুলো:

  • ভূমিকম্প: এটি ভূ-তাত্ত্বিক কারণে ঘটে।
  • ভূমিধস: যদিও বৃষ্টিপাত এর একটি কারণ হতে পারে, তবে এটি মূলত ভূমির গঠন এবং অন্যান্য ভূ-তাত্ত্বিক বিষয়ের উপর নির্ভরশীল।
  • টর্নেডো: এটি একটি আবহাওয়াজনিত দুর্যোগ, তবে প্রশ্নে অন্যান্য আরও সুস্পষ্ট hydro-meteorological দুর্যোগের উদাহরণ বিদ্যমান। খরাও একটি hydro-meteorological দুর্যোগ, তবে বন্যার মতো সরাসরি পানির সম্পর্কযুক্ত নয়।

সুতরাং, সবচেয়ে উপযুক্ত উত্তর হলো বন্যা, যা সরাসরি পানি এবং আবহাওয়ার অস্বাভাবিক পরিবর্তনের কারণে ঘটে থাকে এবং ‘hydro-meteorological’ দুর্যোগের একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

ক. একটি দেশের নাম
খ. ম্যানগ্রোভ বন
গ. একটি দ্বীপ
ঘ. সাবমেরিন ক্যানিয়ন
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল ঘঃ সাবমেরিন ক্যানিয়ন

‘সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড’ হলো বঙ্গোপসাগরের একটি গভীর খাদ বা সাবমেরিন ক্যানিয়ন। এটি মেঘনা নদীর মোহনার দক্ষিণে অবস্থিত।

ক. বােয়ালমারী
খ. নড়িয়া
গ. আলমডাঙ্গা
ঘ. নিকলি
ব্যাখ্যাঃ

বিভিন্ন গবেষণা ও প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, নড়িয়া উপজেলা বাংলাদেশের সবচেয়ে নদীভাঙ্গন-প্রবণ এলাকাগুলোর মধ্যে অন্যতম। পদ্মা নদীর তীব্র ভাঙনের কারণে এই উপজেলায় প্রতি বছর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং বহু মানুষ বাস্তুহারা হয়।

অন্যান্য উপজেলাগুলোর মধ্যে, বোয়ালমারী, আলমডাঙ্গা এবং নিকলিতেও নদীভাঙনের সমস্যা রয়েছে, তবে নড়িয়ার তুলনায় এর তীব্রতা কম হতে পারে। তবে নদীভাঙনের পরিস্থিতি পরিবর্তনশীল, তাই নির্দিষ্ট সময়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা চিহ্নিত করার জন্য সাম্প্রতিক তথ্য এবং গবেষণা দেখা প্রয়োজন।

ক. সমাজ
খ. নৈতিক চেতনা
গ. রাষ্ট্র
ঘ. ধর্ম
ব্যাখ্যাঃ

নৈতিক মূল্যবোধ মানুষের জীবনে অনুসরণযোগ্য এমন কিছু আচরণ বিধি, মানুষের জীবন ব্যবস্থা ও জীবন পদ্ধতিকে সঠিক সুন্দর পথে পরিচালনা করে। ধর্মের কল্যাণধর্মী মর্মবাণী অনুসরণ ও অনুকরণের মাধ্যমে মানুষের জীবনে নৈতিক মূল্যবোধের উজ্জ্বল প্রকাশ ঘটে। ধর্ম থেকে উৎসারিত নৈতিক মূল্যবোধ মানুষের নৈতিক চেতনার বিকাশ ঘটায় এবং সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়ন - অগ্রগতি সাধন করে।

ক. ইমানুয়েল কান্ট
খ. টমাস হবস্
গ. জন স্টুয়ার্ট মিল
ঘ. জেরেমি বেন্থাম
ব্যাখ্যাঃ

‘On Liberty’ গ্রন্থের লেখক হলেন জন স্টুয়ার্ট মিল (John Stuart Mill)। এটি ১৮৫৯ সালে প্রকাশিত একটি বিখ্যাত দার্শনিক রচনা, যেখানে ব্যক্তি স্বাধীনতা এবং সমাজের কর্তৃত্বের সীমা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

ক. ল্যাটিন
খ. গ্রিক
গ. হিব্রু
ঘ. ফারসি
ব্যাখ্যাঃ

Governance শব্দটি উৎপত্তিগত অর্থে এসেছে গ্রিক ভাষা থেকে।

বিশ্লেষণ:

  • Governance শব্দটির মূল গ্রিক শব্দ হলো "kubernan" (κυβερνάν) — যার অর্থ "to steer" বা "নিয়ন্ত্রণ করা / দিকনির্দেশনা দেয়া"
  • পরে এটি ল্যাটিন ভাষায় আসে: gubernare, এবং সেখান থেকে পুরাতন ফরাসি হয়ে ইংরেজিতে এসে দাঁড়ায় governance
ক. ইমানুয়েল কান্ট
খ. হার্বার্ট স্পেন্সার
গ. বার্ট্রান্ড রাসেল
ঘ. অ্যারিস্টটল
ব্যাখ্যাঃ

‘কর্তব্যের জন্য কর্তব্য’ (Duty for duty's sake) - এই বিখ্যাত ধারণাটির প্রবর্তক হলেন ইমানুয়েল কান্ট (Immanuel Kant)

তিনি একজন জার্মান দার্শনিক এবং তাঁর নীতিশাস্ত্রের এই ধারণাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কান্ট মনে করতেন যে কোনো কাজ নৈতিকভাবে সঠিক হতে হলে, সেটি কেবল কর্তব্যের খাতিরেই করতে হবে, অন্য কোনো উদ্দেশ্য বা ফলাফলের জন্য নয়।

ক. প্লেটো
খ. রুসাে
গ. বার্ট্রান্ড রাসেল
ঘ. জন স্টুয়ার্ট মিল
ব্যাখ্যাঃ

‘Human Society in Ethics and Politics’ গ্রন্থটির লেখক হলেন বারট্রান্ড রাসেল (Bertrand Russell)

এটি ১৯৫৪ সালে প্রকাশিত হয়। এই গ্রন্থে রাসেল তার নৈতিক এবং রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে আলোচনা করেছেন, যেখানে তিনি রাজনীতি ও ধর্ম উভয়কেই স্পর্শ করেছেন। তিনি যুক্তি দেন যে মানুষের মধ্যে বুদ্ধি এবং প্রবৃত্তির দ্বন্দ্বের কারণে নৈতিকতার প্রয়োজন। মানুষের প্রবৃত্তি এবং আকাঙ্ক্ষা সামাজিক এবং ব্যক্তিগত উভয়ই হতে পারে। রাজনীতি এবং নৈতিকতা হলো সেই মাধ্যম যার দ্বারা আমরা সমাজ এবং ব্যক্তি হিসেবে সামাজিকভাবে উদ্দেশ্যপূর্ণ এবং নৈতিক নিয়মাবলী ধারণ করি।

ক. সক্রেটিস
খ. প্লেটো
গ. অ্যারিস্টটল
ঘ. বেনথাম
ব্যাখ্যাঃ

এই বিখ্যাত উক্তিটি প্লেটোর। তিনি তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ "The Republic"-এ এই ধারণাটি তুলে ধরেছিলেন। প্লেটো মনে করতেন যে একজন মহৎ ও জ্ঞানী শাসক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে আইনের চেয়েও বেশি সক্ষম, কারণ তার প্রজ্ঞা ও গুণাবলী তাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে। অন্যদিকে, একজন অসৎ শাসক আইনের অপব্যবহার করতে পারে, তাই আইন তার ক্ষেত্রে অকার্যকর।

ক. মূল্যবােধ
খ. আইনের শাসন
গ. গণতন্ত্র
ঘ. আমলাতন্ত্র
ব্যাখ্যাঃ

সুশাসনের মূল ভিত্তি হলো আইনের শাসন

তবে, সুশাসনের আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি বা উপাদান রয়েছে, যা সম্মিলিতভাবে একটি কার্যকর ও ন্যায়সঙ্গত শাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

  • অংশগ্রহণ: নীতি নির্ধারণ ও বাস্তবায়নে জনগণের অর্থবহ অংশগ্রহণ।
  • জবাবদিহিতা: সরকারি কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানের তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকা।
  • স্বচ্ছতা: তথ্য অবাধ ও সহজে লভ্য হওয়া এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া জনগণের কাছে উন্মুক্ত থাকা।
  • আইনের শাসন: সকলের জন্য আইনের সমান প্রয়োগ এবং আইনের ঊর্ধ্বে কেউ না থাকা।
  • ন্যায্যতা ও সমতা: জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ নির্বিশেষে সকলের সমান সুযোগ ও অধিকার নিশ্চিত করা।
  • কার্যকরিতা ও দক্ষতা: সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার এবং জনগণের চাহিদা পূরণে সরকারি প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা।
  • সংবেদনশীলতা: জনগণের প্রয়োজন ও মতামতের প্রতি সরকারের সংবেদনশীল থাকা এবং যথাযথ সাড়া দেওয়া।
  • জনমতের প্রতি সম্মান: সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের অধিকার ও স্বার্থের প্রতিও শ্রদ্ধাশীল থাকা।
  • নৈতিক মূল্যবোধ: সততা,Integrity, ন্যায়পরায়ণতা এবং জনসেবার প্রতি অঙ্গীকার।

সুতরাং, যদিও আইনের শাসন একটি অত্যাবশ্যকীয় ভিত্তি, একটি পূর্ণাঙ্গ সুশাসন ব্যবস্থার জন্য উপরোল্লিখিত সকল উপাদান অপরিহার্য।

ক. আত্মস্বার্থবাদ
খ. পরার্থবাদ
গ. পূর্ণতাবাদ
ঘ. উপযােগবাদ
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো ঘঃ উপযোগবাদ (Utilitarianism)

উপযোগবাদ একটি নৈতিক তত্ত্ব যা কর্মের সঠিকতা বা ভুলতা নির্ধারণ করে তার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে। এই তত্ত্ব অনুসারে, সেই কাজটি নৈতিকভাবে সঠিক যা সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষের জন্য সবচেয়ে বেশি সুখ (greatest happiness) বয়ে আনে। জন স্টুয়ার্ট মিল এবং জেরেমি বেন্থাম এই তত্ত্বের প্রধান প্রবক্তা।

অন্যান্য নৈতিক মানদণ্ডগুলো:

  • আত্মস্বার্থবাদ (Egoism): এই নৈতিক মানদণ্ড ব্যক্তির নিজের সুখ ও স্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়।
  • পরার্থবাদ (Altruism): এটি অন্যের কল্যাণ ও সুখকে নিজের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়।
  • পূর্ণতাবাদ (Perfectionism): এই নৈতিক মানদণ্ড মানুষের ব্যক্তিগত গুণাবলী ও সম্ভাবনার পূর্ণ বিকাশের উপর জোর দেয়।
ক. ২০১০
খ. ২০১১
গ. ২০১২
ঘ. ২০১৩
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশে ২০১২ সালে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল (National Integrity Strategy - NIS) প্রণয়ন করা হয়। এই কৌশলটির মূল লক্ষ্য হলো বাংলাদেশে দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা।

ক. ৩টি
খ. ৫টি
গ. ৪টি
ঘ. ৬টি
ব্যাখ্যাঃ

বিশ্বব্যাংকের মতে সুশাসনের ছয়টি প্রধান উপাদান রয়েছে। এগুলো সম্মিলিতভাবে বৈশ্বিক শাসন সূচক (Worldwide Governance Indicators - WGI) নামে পরিচিত:

১. কণ্ঠস্বর ও জবাবদিহিতা (Voice and Accountability): এটি একটি দেশের নাগরিকরা তাদের সরকার নির্বাচনে কতটা অংশ নিতে পারে, সেইসাথে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সংগঠনের স্বাধীনতা এবং একটি স্বাধীন গণমাধ্যমের ধারণাকে তুলে ধরে।

২. রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সহিংসতা/সন্ত্রাসের অনুপস্থিতি (Political Stability and Absence of Violence/Terrorism): এটি রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং/অথবা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সহিংসতা, যার মধ্যে সন্ত্রাসবাদও অন্তর্ভুক্ত, এর সম্ভাবনা সম্পর্কে ধারণা দেয়।

৩. সরকারি কার্যকারিতা (Government Effectiveness): এটি সরকারি পরিষেবার গুণমান, সরকারি প্রশাসনের গুণমান এবং রাজনৈতিক চাপ থেকে এর স্বাধীনতার মাত্রা, নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের গুণমান এবং সরকারের নীতিমালার প্রতিশ্রুতির বিশ্বাসযোগ্যতা সম্পর্কে ধারণা দেয়।

৪. নিয়ন্ত্রণমূলক গুণমান (Regulatory Quality): এটি সরকারের এমন নীতি ও প্রবিধান প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ক্ষমতা সম্পর্কে ধারণা দেয় যা বেসরকারি খাতের উন্নয়নকে উৎসাহিত করে এবং অনুমতি দেয়।

৫. আইনের শাসন (Rule of Law): এটি সেই মাত্রা সম্পর্কে ধারণা দেয় যেখানে সমাজের নিয়ম-কানুনের প্রতি আস্থা ও আনুগত্য রয়েছে, বিশেষ করে চুক্তি প্রয়োগের গুণমান, সম্পত্তির অধিকার, পুলিশ এবং আদালতের কার্যকারিতা, সেইসাথে অপরাধ ও সহিংসতার সম্ভাবনা।

৬. দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ (Control of Corruption): এটি সেই মাত্রা সম্পর্কে ধারণা দেয় যেখানে ব্যক্তিগত লাভের জন্য সরকারি ক্ষমতার ব্যবহার নিয়ন্ত্রিত হয়, যার মধ্যে ক্ষুদ্র ও বৃহৎ দুর্নীতি এবং প্রভাবশালী গোষ্ঠী ও ব্যক্তিগত স্বার্থ দ্বারা রাষ্ট্রের "দখল" অন্তর্ভুক্ত।

এই ছয়টি উপাদান বিশ্বব্যাংক বিভিন্ন দেশের শাসন ব্যবস্থা মূল্যায়ন এবং সময়ের সাথে সাথে তাদের তুলনা করার জন্য ব্যবহার করে। এগুলো বিশ্বব্যাপী নাগরিক, বিশেষজ্ঞ এবং ব্যবসার ধারণাকে প্রতিফলিত করে এমন বিস্তৃত ডেটা উৎসের উপর ভিত্তি করে তৈরি।