আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
16

বিসিএস ৩৯তম

পরীক্ষারঃ বিসিএস প্রিলিমিনারি টেস্ট

মোট বহুনির্বাচনি প্রশ্নঃ 100

মোট মার্কঃ 100

পরীক্ষার সময়ঃ 01:00:00

প্রকাশের তারিখঃ 03.08.1018

ক. উপনেতা
খ. উপভোগ
গ. উপগ্রহ
ঘ. উপসাগর
ব্যাখ্যাঃ

এখানে "উপ" উপসর্গটি বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। আসুন দেখি কোনটিতে ভিন্ন অর্থ প্রকাশ পায়:

  • কঃ উপনেতা - এখানে "উপ" অর্থ সহকারী বা প্রধানের চেয়ে অধস্তন (Vice-leader)।

  • খঃ উপভোগ - এখানে "উপ" আগ্রহ বা বিশেষভাবে (to enjoy thoroughly)।

  • গঃ উপগ্রহ - এখানে "উপ" ক্ষুদ্র বা সহকারী (satellite - a smaller body orbiting a planet)। এটি গ্রহের সহকারী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।

  • ঘঃ উপসাগর - এখানে "উপ" ক্ষুদ্র বা অংশ (gulf - a large inlet of the sea that cuts into the land)। এটি সাগরের অংশ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।

"উপনেতা"-তে "উপ" সহকারী অর্থে ব্যবহৃত হলেও, "উপগ্রহ" এবং "উপসাগর"-এ "উপ" ক্ষুদ্র বা অংশ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। "উপভোগ"-এ "উপ" সম্পূর্ণ ভিন্ন অর্থে, আগ্রহ বা বিশেষভাবে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে।

সুতরাং, খঃ উপভোগ শব্দে "উপ" উপসর্গটি ভিন্নার্থে প্রযুক্ত।

ক. বৈকুণ্ঠের খাতা
খ. জামাই বারিক
গ. বিবাহ-বিভ্রাট
ঘ. হিতে বিপরীত
ব্যাখ্যাঃ

বৈকুণ্ঠের খাতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি বিখ্যাত কৌতুক নাটক

অন্যান্য বিকল্পগুলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনা হলেও সেগুলো কৌতুক নাটক নয়:

  • খঃ জামাই বারিক - এটি একটি প্রহসনমূলক নাটক।
  • গঃ বিবাহ-বিভ্রাট - এটিও একটি হাসির নাটক তবে সরাসরি কৌতুক নাটক হিসেবে পরিচিত নয়।
  • ঘঃ হিতে বিপরীত - এটি একটি গল্প।
ক. গাজী মিয়াঁর বস্তানী
খ. আলালের ঘরের দুলাল
গ. হুতোম প্যাঁচার নক্সা
ঘ. কলিকাতা কমলালয়
ব্যাখ্যাঃ

মীর মশাররফ হোসেন রচিত বিখ্যাত গ্রন্থ 'গাজী মিয়াঁর বস্তানী'। এটি একটি ব্যঙ্গাত্মক রচনা।

অন্যান্য বিকল্পগুলো অন্যান্য লেখকদের রচনা:

  • খঃ আলালের ঘরের দুলাল - প্যারীচাঁদ মিত্র (টেকচাঁদ ঠাকুর) রচিত।
  • গঃ হুতোম প্যাঁচার নক্সা - কালীপ্রসন্ন সিংহ রচিত।
  • ঘঃ কলিকাতা কমলালয় - ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত।
ক. রাজা রামমোহন রায়
খ. গোলকনাথ শর্মা
গ. রামরাম বসু
ঘ. মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার
ব্যাখ্যাঃ

'বেদান্তগ্রন্থ' (১৮১৫) এবং 'বেদান্ত সার' (১৮১৫) এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ রাজা রামমোহন রায় রচনা করেন। তিনি বেদান্ত দর্শনের একেশ্বরবাদী ভাবধারা প্রচারের উদ্দেশ্যে এই গ্রন্থগুলো রচনা করেছিলেন।

ক. আমজাদ হোসেন
খ. হুমায়ূন আহমেদ
গ. শওকত ওসমান
ঘ. সৈয়দ শামসুল হক
ব্যাখ্যাঃ

মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস ‘আগুনের পরশমণি’ হুমায়ূন আহমেদ এর রচনা।

এটি হুমায়ূন আহমেদের অন্যতম বিখ্যাত এবং জনপ্রিয় উপন্যাস।

ক. আমজাদ হোসেন
খ. আলমগীর
গ. জহির রায়হান
ঘ. সুভাষ দত্ত
ব্যাখ্যাঃ

‘জীবন থেকে নেয়া’ চলচ্চিত্রটির পরিচালক জহির রায়হান

এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত একটি কালজয়ী চলচ্চিত্র।

ক. লৌকিক প্রণয়সঙ্গীত
খ. শুদ্ধ জীবনযাপন রীতি
গ. সামাজিক মঙ্গলবোধ
ঘ. রাষ্ট্র পরিচালনা নীতি
ব্যাখ্যাঃ

‘খনার বচন’-এর মূলভাব হলো কৃষি ও আবহাওয়াভিত্তিক উপদেশ

খনার বচন মূলত আবহাওয়া, কৃষি, জ্যোতির্বিদ্যা এবং দৈনন্দিন জীবন সম্পর্কিত প্রবাদ ও ছড়ার আকারে উপদেশ। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল কৃষিকাজকে সহজ ও ফলপ্রসূ করার জন্য বাস্তব জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাভিত্তিক পরামর্শ দেওয়া। খনার বচনে ভালো ফসল ফলানো, কখন বীজ বপন করতে হবে, কেমন বৃষ্টিপাত হবে, কোন ঋতুতে কী কাজ করা উচিত - এই সমস্ত বিষয়ে জ্ঞানগর্ভ কথা বলা হয়েছে।

এছাড়াও, খনার বচনে কিছু স্বাস্থ্য ও সামাজিক রীতিনীতি সম্পর্কিত উপদেশও পাওয়া যায়, তবে এর প্রধান ভিত্তি কৃষি ও আবহাওয়া।

ক. দুঃ + অবস্থা
খ. দূর + বস্থা
গ. দুর + বস্থা
ঘ. দুর + অবস্থা
ব্যাখ্যাঃ

'দুরবস্থা' শব্দটি বিসর্গ সন্ধির নিয়মে গঠিত। এর সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ হলো:

দুঃ + অবস্থা = দুরবস্থা

বিসর্গ (ঃ) এর পরে অ, আ থাকলে বিসর্গ স্থানে 'র' হয়। এখানে 'দুঃ'-এর পরের 'অ'-এর কারণে বিসর্গ 'র'-এ রূপান্তরিত হয়েছে।

ক. করছিলাম
খ. করেছি
গ. করছি
ঘ. করব
ব্যাখ্যাঃ

করব যৌগিক কালের উদাহরণ নয়।

যৌগিক কাল গঠিত হয় যখন দুটি ক্রিয়া একসাথে একটি বিশেষ সময়ের ভাব প্রকাশ করে।

  • করছিলাম: এটি ঘটমান অতীত কালের উদাহরণ (অতীতকালে কাজটি চলছিল)। এখানে 'কর' (ধাতু) + 'ছিলাম' (সহায়ক ক্রিয়া) মিলিত হয়ে যৌগিক কাল গঠন করেছে।

  • করেছি: এটি পুরাঘটিত বর্তমান কালের উদাহরণ (কাজটি শেষ হয়েছে কিন্তু তার ফল এখনও বর্তমান)। এখানে 'কর' (ধাতু) + 'এছি' (সহায়ক ক্রিয়া) মিলিত হয়ে যৌগিক কাল গঠন করেছে।

  • করছি: এটি ঘটমান বর্তমান কালের উদাহরণ (বর্তমানে কাজটি চলছে)। এখানে 'কর' (ধাতু) + 'ছি' (সহায়ক ক্রিয়া) মিলিত হয়ে যৌগিক কাল গঠন করেছে।

  • করব: এটি সাধারণ ভবিষ্যৎ কালের উদাহরণ (কাজটি ভবিষ্যতে হবে)। এখানে 'কর' (ধাতু) + 'ব' (ক্রিয়া বিভক্তি) যুক্ত হয়েছে, এটি কোনো সহায়ক ক্রিয়ার সাথে যুক্ত হয়ে যৌগিক কাল গঠন করেনি। এটি একটি সরল কালের উদাহরণ।

ক. বিষ্ণু দে
খ. বুদ্ধদেব বসু
গ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ঘ. সৈয়দ শামসুল হক
ব্যাখ্যাঃ

জীবনানন্দ দাশকে ‘নির্জনতম কবি’ বলে আখ্যায়িত করেন বুদ্ধদেব বসু

বুদ্ধদেব বসু তাঁর 'আধুনিক বাংলা কবিতা' (প্রথম পর্যায়) গ্রন্থে জীবনানন্দ দাশের কবিতায় একাকীত্ব, বিষণ্ণতা এবং প্রকৃতির প্রতি গভীর মমত্ববোধ লক্ষ্য করে এই অভিধাটি ব্যবহার করেছিলেন।

ক. তামসিক
খ. বারুই
গ. পান-ব্যবসায়ী
ঘ. পর্ণকার
ব্যাখ্যাঃ

‘তাম্বুলিক’ শব্দের সমার্থক নয় তামসিক

‘তাম্বুলিক’ শব্দের অর্থ হলো পান ব্যবসায়ী বা পান চাষী। এর সমার্থক শব্দগুলো হলো:

  • খঃ বারুই - এটি পানচাষীকে বোঝায়।
  • গঃ পান-ব্যবসায়ী - এটি সরাসরি পানের ব্যবসায়ীকে বোঝায়।
  • ঘঃ পর্ণকার - এটিও পান প্রস্তুতকারক বা ব্যবসায়ীকে বোঝায় (পর্ণ অর্থ পাতা, এখানে পানের পাতা)।

অন্যদিকে, কঃ তামসিক শব্দটি ‘তমঃ’ (অন্ধকার, অজ্ঞানতা) থেকে উৎপন্ন, যার অর্থ অন্ধকারাচ্ছন্ন, অলস, জড়তাময় ইত্যাদি। এর সাথে ‘তাম্বুলিক’ শব্দের কোনো অর্থগত মিল নেই।

ক. পদ্মমণি
খ. পদ্মাবতী
গ. পদ্মগোখরা
ঘ. পদ্মরাগ
ব্যাখ্যাঃ

বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন রচিত গ্রন্থ হলো পদ্মরাগ

'পদ্মরাগ' বেগম রোকেয়ার একটি বিখ্যাত উপন্যাস, যেখানে তিনি নারীশিক্ষা ও নারী জাগরণের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।

অন্যান্য বিকল্পগুলো বিভিন্ন লেখকের রচনা:

  • কঃ পদ্মমণি - এটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত একটি উপন্যাস।
  • খঃ পদ্মাবতী - এটি মধ্যযুগের কবি আলাওল রচিত একটি কাব্যগ্রন্থ।
  • গঃ পদ্মগোখরা - এমন কোনো বিখ্যাত গ্রন্থ কোনো পরিচিত লেখকের আছে বলে জানা যায় না।
ক. প্রাতিপদিক
খ. নাম -পদ
গ. মৌলিক শব্দ
ঘ. কৃদন্ত শব্দ
ব্যাখ্যাঃ

বিভক্তিহীন নাম শব্দকে প্রাতিপদিক বলে।

ব্যাকরণে, শব্দ যখন বাক্যে ব্যবহৃত হওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়, তখন তার সাথে কিছু বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি যুক্ত হয়। এই যুক্ত হওয়া বর্ণ বা বর্ণসমষ্টিকে বিভক্তি বলে। বিভক্তি যুক্ত হওয়ার আগে শব্দের যে মূল রূপ থাকে, তাকেই প্রাতিপদিক বলা হয়।

ক. অনন্বয়ী অব্যয়
খ. অনুকার অব্যয়
গ. পদান্বয়ী অব্যয়
ঘ. অনুসর্গ অব্যয়
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো কঃ অনন্বয়ী অব্যয়

'তুমি তো ভারি সুন্দর ছবি আঁক।' এই বাক্যটিতে "তো" শব্দটি অব্যয় পদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

অনন্বয়ী অব্যয় সেই সকল অব্যয় পদ, যারা বাক্যের অন্য কোনো পদের সাথে কোনো প্রকার সম্পর্ক স্থাপন করে না। এরা স্বাধীনভাবে বাক্যে বিভিন্ন ভাব, যেমন - বিস্ময়, যন্ত্রণা, মিনতি, স্বীকৃতি, ইত্যাদি প্রকাশ করে।

এই বাক্যে "তো" শব্দটি একটি নিরর্থক বা আলংকারিক অব্যয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে, যা বাক্যের অর্থের তেমন কোনো পরিবর্তন ঘটায়নি, বরং একটি বিশেষ জোর বা আবেগ প্রকাশ করছে। এটি বাক্যের অন্য কোনো পদের সাথে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত নয়।

অন্যান্য প্রকার অব্যয়গুলো এই বাক্যে ব্যবহৃত হয়নি:

  • অনুকার অব্যয়: কোনো ধ্বনির অনুকরণে গঠিত অব্যয় (যেমন - ঝমঝম, কটকট)।
  • পদান্বয়ী অব্যয়: যে অব্যয়গুলো বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের পরে বসে তাদের সাথে বাক্যের অন্যান্য পদের সম্পর্ক স্থাপন করে (যেমন - দ্বারা, হতে, চেয়ে)।
  • অনুসর্গ অব্যয়: পদান্বয়ী অব্যয়গুলো যখন স্বাধীনভাবে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের পরে ব্যবহৃত হয়, তখন তাদের অনুসর্গ বলা হয় (অনেক ব্যাকরণবিদ পদান্বয়ী ও অনুসর্গকে আলাদা করেন না)।

সুতরাং, "তো" শব্দটি এখানে অনন্বয়ী অব্যয় রূপে ব্যবহৃত হয়েছে।

ক. গৃহহীনে গৃহ দাও
খ. জিজ্ঞাসিব জনে জনে
গ. ট্রেন স্টেশন ছেড়েছে
ঘ. বনে বাঘ আছে
ব্যাখ্যাঃ

"ট্রেন স্টেশন ছেড়েছে" বাক্যটিতে "স্টেশন" অপাদান কারকের উদাহরণ।

অপাদান কারক সেই কারককে বোঝায় যা থেকে কিছু বিচ্যুত, উৎপন্ন, ভীত, রক্ষিত বা গৃহীত হয়।

  • কঃ গৃহহীনে গৃহ দাও: এখানে 'গৃহহীন'-কে গৃহ দান করা হচ্ছে। এটি সম্প্রদান কারক (যাকে স্বত্ব ত্যাগ করে দান করা হয়)।

  • খঃ জিজ্ঞাসিব জনে জনে: এখানে 'জনে জনে' কর্মকারকের উদাহরণ (কাকে জিজ্ঞাসা করবে)।

  • গঃ ট্রেন স্টেশন ছেড়েছে: এখানে 'স্টেশন' থেকে ট্রেনটি বিচ্যুত হয়েছে। তাই 'স্টেশন' অপাদান কারকে সপ্তমী বিভক্তি ('এ' বিভক্তি যুক্ত) যুক্ত হয়ে 'স্টেশনে' হয়েছে।

  • ঘঃ বনে বাঘ আছে: এখানে 'বনে' অধিকরণ কারক (কোথায় বাঘ আছে - স্থান বোঝাচ্ছে)।

ক. ভ্রমণ কাহিনী
খ. উপন্যাস
গ. নাটক
ঘ. কবিতা
ব্যাখ্যাঃ

‘বাঁধন হারা’ কাজী নজরুল ইসলামের উপন্যাস

এটি কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম উপন্যাস, যা ১৯২৭ সালে প্রকাশিত হয়েছিল।

ক. অজানা
খ. দোতলা
গ. আশীবিষ
ঘ. কানাকানি
ব্যাখ্যাঃ

ব্যতিহার বহুব্রীহির উদাহরণ হলো কানাকানি

ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাসে দুটি কর্তার একই প্রকার ক্রিয়া বোঝায়। এই সমাসে 'আ' স্থানে 'ই' এবং 'ই' স্থানে 'আ' হয়।

  • কানাকানি: কানে কানে যে কথা - এখানে দুই কর্তা (দুজন ব্যক্তি) একই ক্রিয়া (কানে কানে কথা বলা) করছে। 'কানে কানে' - 'আ'-কার 'ই'-কারে পরিবর্তিত হয়েছে ('কান'+'এ' > 'কানে', 'কান'+'এ' > 'কানে') এবং 'ই'-কার 'আ'-কারে পরিবর্তিত হয়েছে ('কানি'+'কানি' > 'কানাকানি')।

অন্যান্য উদাহরণগুলো ব্যতিহার বহুব্রীহি নয়:

  • কঃ অজানা: জানা নেই যা - নঞ্ বহুব্রীহি।
  • খঃ দোতলা: দুই তল আছে যার - সংখ্যাবাচক বহুব্রীহি।
  • গঃ আশীবিষ: আশীতে (দাঁতে) বিষ যার - সপ্তমী বহুব্রীহি।
ক. ভাতি
খ. সর্বশুচি
গ. অংশ
ঘ. জ্যোতি
ব্যাখ্যাঃ

'আগুন'-এর অনেকগুলো সমার্থক শব্দ রয়েছে। এখানে প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে 'সর্বশুচি' আগুনের একটি বিশেষ অর্থে সমার্থক। আগুন সবকিছু পুড়িয়ে ফেলে এবং পবিত্র করে, তাই একে 'সর্বশুচি' বলা হয়।

অন্যান্য বিকল্পগুলো আগুনের সমার্থক নয়:

  • কঃ ভাতি - এর অর্থ আলো, কিরণ, শোভা ইত্যাদি।
  • গঃ অংশ - এর অর্থ ভাগ, খণ্ড, উপাদান ইত্যাদি।
  • ঘঃ জ্যোতি - এর অর্থ আলো, দীপ্তি, প্রভা ইত্যাদি। এটি আগুনের একটি গুণ হলেও সরাসরি সমার্থক নয়।
ক. বাংলার বারো ভুঁঞাদের একজন
খ. রাজপুত রাজা
গ. বাংলার শাসক
ঘ. মোগল সেনাপতি
ব্যাখ্যাঃ

প্রতাপ আদিত্য ছিলেন ষোড়শ শতাব্দীর শেষ এবং সপ্তদশ শতাব্দীর শুরুতে বাংলার ভাটি অঞ্চলের (বর্তমান বৃহত্তর ঢাকা, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, নোয়াখালী এবং সিলেট) একজন শক্তিশালী বারো ভুঁইয়া সর্দার।

তিনি ছিলেন চাঁদ রায়-এর পুত্র এবং কেদার রায়-এর ভাইপো। বারো ভুঁইয়াদের মধ্যে তিনি অন্যতম প্রভাবশালী এবং মুঘলদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য পরিচিত।

প্রতাপ আদিত্যের রাজধানী ছিল বিক্রমপুর (বর্তমান মুন্সিগঞ্জ)। তিনি শক্তিশালী নৌবাহিনী গঠন করেছিলেন এবং মুঘলদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার প্রতিরোধে সফল হয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত মুঘল সুবেদার ইসলাম খানের কাছে তিনি পরাজিত হন এবং বন্দী হন।

প্রতাপ আদিত্য তার সাহসিকতা, রণকৌশল এবং মুঘলদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের জন্য ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছেন। তিনি বাংলার লোককথায় একজন বীর হিসেবে চিত্রিত হন।

ক. হস্তপত্র
খ. জ্ঞাপনপত্র
গ. তথ্যপত্র
ঘ. প্রচারপত্র
ব্যাখ্যাঃ
  • Hand out- জ্ঞাপনপত্র।
  • Hand bill- প্রচারপত্র।
  • Hand book- তথ্য পুস্তিকা।
ক. কবি শামসুর রহমান
খ. যতীন সরকার
গ. সৈয়দ আলী আহসান
ঘ. সৈয়দ শামসুল হক
ব্যাখ্যাঃ

সৈয়দ শামসুল হককে সাহিত্য ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ১৯৮৪ সালে স্বাধীনতা পদক প্রদান করা হয়।

অন্যান্য বিকল্পগুলোর মধ্যে:

  • কঃ কবি শামসুর রহমান - তিনিও স্বাধীনতা পদক লাভ করেছেন (১৯৭৭ সালে)।
  • খঃ যতীন সরকার - তিনিও স্বাধীনতা পদক লাভ করেছেন (২০১০ সালে)।
  • গঃ সৈয়দ আলী আহসান - তিনিও স্বাধীনতা পদক লাভ করেছেন (১৯৮৭ সালে)।

সুতরাং, প্রশ্নটি অস্পষ্ট কারণ এখানে উল্লিখিত চারজন ব্যক্তিত্বই স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত। তবে, যদি প্রশ্নটি এমন হয় যে প্রথমে কে স্বাধীনতা পদক লাভ করেন, সেক্ষেত্রে উত্তর হবে কবি শামসুর রহমান। কিন্তু যেহেতু তেমন কোনো নির্দিষ্টতা নেই, এবং সৈয়দ শামসুল হকও একজন স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব, তাই তাকেও উত্তর হিসেবে গণ্য করা যায়।

আপনার উত্তরের জন্য সবচেয়ে ভালো হবে যদি আপনি প্রশ্নের প্রেক্ষাপট বা কোন নির্দিষ্ট সময়ের কথা বলা হচ্ছে তা উল্লেখ করেন। তবে সাধারণভাবে, সৈয়দ শামসুল হক স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্তদের একজন।

ক. বিশেষ্য ও ক্রিয়া
খ. বিশেষণ ও ক্রিয়া
গ. বিশেষ্য ও বিশেষণ পদে
ঘ. ক্রিয়া ও সর্বনাম
ব্যাখ্যাঃ

সাধু ও চলিত ভাষার মূল পার্থক্য ক্রিয়া ও সর্বনাম পদে বেশি বেশি দেখা যায়।

এছাড়াও, কিছু ক্ষেত্রে বিশেষ্য ও অব্যয় পদেও পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়, তবে ক্রিয়া ও সর্বনামের পার্থক্য তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি স্পষ্ট এবং নিয়মিত।

ক্রিয়া পদের পার্থক্য:

  • সাধু: করিয়াছি, খাইতেছি, যাইব, বলিয়াছিল
  • চলিত: করেছি, খাচ্ছি, যাব, বলেছিল

সর্বনাম পদের পার্থক্য:

  • সাধু: তাহারা, ইহাদের, তাহাকে, যিনি
  • চলিত: তারা, এদের, তাকে, যিনি (কিছু ক্ষেত্রে অপরিবর্তিত থাকে)

বিশেষ্য ও অব্যয় পদে পার্থক্য তুলনামূলকভাবে কম এবং অনেক ক্ষেত্রে সাধু ও চলিত রূপে একই শব্দ ব্যবহৃত হয়। তবে কিছু উদাহরণ:

বিশেষ্য পদের পার্থক্য:

  • সাধু: হস্তী
  • চলিত: হাতি

অব্যয় পদের পার্থক্য:

  • সাধু: অদ্য
  • চলিত: আজ

সুতরাং, সাধু ও চলিত ভাষার মূল পার্থক্য মূলত ক্রিয়া ও সর্বনাম পদেই সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে।

ক. a militant
খ. an anarchist
গ. a terrorist
ঘ. an extremist
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো খঃ একজন নৈরাজ্যবাদী (an anarchist)

একজন নৈরাজ্যবাদী এমন একজন ব্যক্তি যিনি বিশ্বাস করেন যে আইন, সরকার এবং অন্যান্য কর্তৃত্বের রূপ অপ্রয়োজনীয় এবং অবাঞ্ছিত। তারা স্বেচ্ছাসেবী সহযোগিতার ভিত্তিতে একটি রাষ্ট্রহীন সমাজের পক্ষে কথা বলেন।

অন্যান্য বিকল্পগুলোর অর্থ:

  • কঃ একজন জঙ্গি (a militant): এমন একজন ব্যক্তি যিনি কোনো উদ্দেশ্যে আগ্রাসীভাবে সক্রিয়, প্রায়শই সহিংসতা বা সংঘাতের সাথে জড়িত।
  • গঃ একজন সন্ত্রাসী (a terrorist): এমন একজন ব্যক্তি যিনি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে সহিংসতা ও ভয় দেখানোর কৌশল ব্যবহার করেন।
  • ঘঃ একজন উগ্রবাদী (an extremist): এমন একজন ব্যক্তি যিনি চরম রাজনৈতিক বা ধর্মীয় বিশ্বাস পোষণ করেন, প্রায়শই চরমপন্থী পদক্ষেপের পক্ষে সমর্থন করেন।

সুতরাং, প্রশ্নে বর্ণিত ব্যক্তি একজন নৈরাজ্যবাদী হিসেবে পরিচিত।

ক. no article, an
খ. a, an
গ. the, no article
ঘ. no article, a
ব্যাখ্যাঃ

সাধারণত school, college, hospital, mosque ইত্যাদি স্থানগুলোতে মূল উদ্দেশ্যে গেলে এসব স্থানের পূর্বে article বসে না।

রোগের নামের পূর্বে indefinite article হিসেবে a বসে।

২৫. The word ‘florid’ indicates

[ বিসিএস ৩৯তম ]

ক. flour
খ. foliage
গ. floor
ঘ. flower
ব্যাখ্যাঃ

‘florid’ (‘ফ্লোরিড’) শব্দটি নির্দেশ করে ফুল (flower) (আলংকারিক বা পুষ্পময় অর্থে)।

ব্যাখ্যা:

  • ‘ফ্লোরিড’ শব্দের আক্ষরিক অর্থ হলো লালচে বা গোলাপী বর্ণের মুখমণ্ডল। তবে, রূপক অর্থে এটি এমন কিছুকে বোঝায় যা অতিরিক্ত অলঙ্কৃত, বিস্তৃত বা পুষ্পময় শৈলী বা ভাষার অধিকারী। এই রূপক অর্থটি সরাসরি ল্যাটিন শব্দ "flos" থেকে এসেছে, যার অর্থ ফুল

অন্যান্য বিকল্পগুলো দেখা যাক:

  • কঃ আটা (flour): শস্যের গুঁড়ো।
  • খঃ পাতা (foliage): গাছের পাতা।
  • গঃ মেঝে (floor): একটি ঘরের নিচের পৃষ্ঠ।

এই শব্দগুলোর কোনটিই ‘ফ্লোরিড’ শব্দের অর্থের সাথে সম্পর্কিত নয়।

ক. had invited you to come in
খ. would invite you to come in
গ. would be inviting you to come in
ঘ. would have invited you to come in
ব্যাখ্যাঃ

Had I known you were waiting outside, I would have invited you to come in.

এটি conditional sentence এর third conditional structure (অসম্ভব অতীত) অনুসরণ করে। এই structure এ 'if' clause (এখানে 'Had I known...') অতীতের একটি অসম্ভব শর্ত প্রকাশ করে এবং main clause অতীতের সেই অসম্ভব শর্তের ফলস্বরূপ যা ঘটেনি তা প্রকাশ করে।

Third conditional এর গঠন:

If + past perfect, would have + past participle

বাক্যটিকে এই কাঠামোয় সাজালে হয়:

Had I known you were waiting outside (past perfect), I would have invited you to come in (would have + past participle)।

অন্যান্য বিকল্পগুলো ব্যাকরণগতভাবে সঠিক নয় এই কাঠামোয়:

  • কঃ had invited you to come in: এটি main clause এর জন্য সঠিক গঠন নয়।
  • খঃ would invite you to come in: এটি second conditional এর গঠন, যা বর্তমান বা ভবিষ্যতের অসম্ভব বা কম সম্ভাবনার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
  • গঃ would be inviting you to come in: এটি conditional perfect continuous tense এর গঠন, যা অতীতকালের দীর্ঘস্থায়ী অনুশোচনা বোঝায়, যা এই বাক্যের ভাবের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

২৭. A soporific speech is likely to ___.

[ বিসিএস ৩৯তম ]

ক. be incomprehensible
খ. appeal primarily to emotions
গ. put one to sleep
ঘ. stimulate action
ব্যাখ্যাঃ

A soporific speech is likely to put one to sleep

'Soporific' শব্দের অর্থ হলো ঘুমপাড়ানি বা নিদ্রাকারক। তাই, একটি 'soporific speech' এমন একটি বক্তৃতা যা সম্ভবত শ্রোতাকে ঘুম পাড়িয়ে দেবে।

অন্যান্য বিকল্পগুলো ভুল:

  • কঃ be incomprehensible: বোধগম্য না হওয়া। ঘুমপাড়ানি বক্তৃতার মূল সমস্যা বোধগম্যতার অভাব নাও হতে পারে, বরং একঘেয়েমি হতে পারে।
  • খঃ appeal primarily to emotions: প্রাথমিকভাবে আবেগকে আকৃষ্ট করা। ঘুমপাড়ানি বক্তৃতা সাধারণত আবেগপূর্ণ হয় না।
  • ঘঃ stimulate action: কাজ করতে উৎসাহিত করা। ঘুমপাড়ানি বক্তৃতা এর বিপরীত কাজ করে।

২৮. Select the world with right spelling-

[ বিসিএস ৩৯তম ]

ক. Schizophrenia
খ. Seizophrania
গ. Scizophrenia
ঘ. Schizophrania
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক বানানযুক্ত শব্দটি হলো Schizophrenia

‘Schizophrenia’ মানে হলো মনোবিকার বা ছিজোফ্রেনিয়া। এটি একটি জটিল মানসিক রোগ যা ব্যক্তির চিন্তাভাবনা, অনুভূতি, আচরণ এবং বাস্তবতাকে উপলব্ধি করার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে।

২৯. Love for the whole world is called-

[ বিসিএস ৩৯তম ]

ক. philanthropy
খ. misogyny
গ. benevolence
ঘ. misanthropy
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো কঃ বিশ্বপ্রেম (philanthropy)

  • Philanthropy (ফিলানথ্রপি): মানবজাতির প্রতি ভালোবাসা এবং তাদের কল্যাণের জন্য কাজ করার ইচ্ছা। এটি বিশ্বপ্রেমের ধারণার খুব কাছাকাছি।

অন্যান্য বিকল্পগুলোর অর্থ:

  • Misogyny (মিসোজিনি): নারীর প্রতি ঘৃণা বা বিদ্বেষ।
  • Benevolence (বেনেভোলেন্স): অন্যের প্রতি সদয় ও সহানুভূতিশীল হওয়ার গুণ। এটি ব্যক্তিগত বা নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর প্রতি হতে পারে, সমগ্র বিশ্বের প্রতি নয়।
  • Misanthropy (মিসানথ্রপি): মানবজাতির প্রতি ঘৃণা বা অপছন্দ।

সুতরাং, সমগ্র বিশ্বের প্রতি ভালোবাসাকে বোঝাতে সবচেয়ে উপযুক্ত শব্দ হলো philanthropy (ফিলানথ্রপি)

ক. Oligarchy
খ. Plutocracy
গ. Cryptocracy
ঘ. Aristocracy
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো খঃ প্লুটোক্রেসি (Plutocracy)

প্লুটোক্রেসি এমন একটি সরকার ব্যবস্থাকে বোঝায় যেখানে ধনী এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ক্ষমতা ধরে রাখে এবং সরকারের নীতি নির্ধারণে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। এটি সম্পদের ভিত্তিতে গঠিত শাসন ব্যবস্থা।

অন্যান্য বিকল্পগুলোর অর্থ:

  • কঃ অলিগার্কি (Oligarchy): অল্প সংখ্যক প্রভাবশালী ব্যক্তির দ্বারা গঠিত শাসন ব্যবস্থা। এই ব্যক্তিরা ধনী হতেও পারে, নাও হতে পারে।
  • গঃ ক্রিপ্টোক্রেসি (Cryptocracy): এমন একটি সরকার ব্যবস্থা যেখানে প্রকৃত শাসকরা জনসাধারণের কাছে অজানা বা লুকানো থাকে।
  • ঘঃ অ্যারিস্টোক্রেসি (Aristocracy): বংশানুক্রমিক বা ঐতিহ্যগতভাবে প্রভাবশালী অভিজাত শ্রেণির দ্বারা গঠিত শাসন ব্যবস্থা।

সুতরাং, যখন আমরা ধনী শ্রেণির দ্বারা গঠিত সরকারকে বোঝাতে চাই, তখন আমরা প্লুটোক্রেসি শব্দটি ব্যবহার করি।

৩১. Hospitals _____ the sick.

[ বিসিএস ৩৯তম ]

ক. operate
খ. treat
গ. admit
ঘ. nurse
ব্যাখ্যাঃ

"Hospitals treat the sick".

ব্যাখ্যা:

  • Treat (চিকিৎসা করা): হাসপাতালের প্রধান কাজ হলো অসুস্থদের চিকিৎসা করা।

অন্যান্য বিকল্পগুলোও হাসপাতালের সাথে সম্পর্কিত, কিন্তু 'চিকিৎসা করা' সবচেয়ে উপযুক্ত:

  • Operate (অস্ত্রোপচার করা): এটি হাসপাতালের একটি বিশেষ বিভাগ বা কার্যক্রম, তবে হাসপাতালের মূল কাজ নয়।
  • Admit (ভর্তি করা): হাসপাতাল রোগীদের ভর্তি করে, তবে এটি চিকিৎসার আগের ধাপ।
  • Nurse (সেবা করা): নার্সরা রোগীদের সেবা করেন, তবে চিকিৎসার মূল কাজটি ডাক্তাররা করেন।

সুতরাং, "Hospitals treat the sick" (হাসপাতাল অসুস্থদের চিকিৎসা করে) - এই বাক্যটি সবচেয়ে অর্থপূর্ণ এবং সাধারণভাবে সত্য।

ক. adverb
খ. adjective
গ. verb
ঘ. noun
ব্যাখ্যাঃ

এই বাক্যে "warning" শব্দটি একটি বিশেষ্য (noun) হিসেবে কাজ করছে।

কারণ:

  • এটি একটি জিনিসের নাম বোঝাচ্ছে - কর্তৃপক্ষের দেওয়া একটি বার্তা বা ঘোষণা।
  • এর পূর্বে "The" (definite article) বসেছে, যা সাধারণত বিশেষ্যের আগে বসে।
  • এটি বাক্যের কর্তার (subject) ভূমিকা পালন করছে - কিসের সতর্কতা বধির কানে গেল? উত্তর: warning (সতর্কতা)।

যদি "warning" ক্রিয়া হিসেবে কাজ করত, তবে বাক্যের গঠন ভিন্ন হতো (যেমন: The authority is warning...). বিশেষণ হিসেবে কাজ করলে এটি অন্য কোনো বিশেষ্যকে বিশেষিত করত (যেমন: a warning sign)। এবং adverb হিসেবে কাজ করলে এটি ক্রিয়া, বিশেষণ বা অন্য কোনো adverb কে বিশেষিত করত।

সুতরাং, এই নির্দিষ্ট বাক্যে "warning" একটি noun এর কাজ করছে।

৩৩. The word ‘culinary’ is related to-

[ বিসিএস ৩৯তম ]

ক. printing
খ. cooking
গ. dress
ঘ. musical instruments
ব্যাখ্যাঃ

The word ‘culinary’ is related to cooking.

‘Culinary’ শব্দটি রান্নার সাথে সম্পর্কিত। এটি খাদ্য প্রস্তুত প্রণালী, রন্ধনশৈলী এবং খাদ্য বিষয়ক জ্ঞানকে বোঝায়।

ক. Are they known by you?
খ. Would they be known by you?
গ. Are they known with you?
ঘ. Are they known to you?
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক passive form হলো: Are they known to you?

ব্যাখ্যা:

  • প্রদত্ত বাক্যটি Present Indefinite Tense-এর Interrogative Sentence-এ আছে।
  • Passive voice করার সময় Present Indefinite Tense-এর Interrogative Sentence-এর গঠন হয়: Am/Is/Are + Subject (active voice-এর object) + Past Participle of verb + by + Object (active voice-এর subject)?
  • মূল বাক্যটিতে 'them' হলো object, যা passive voice-এ subject 'they' হবে। 'Know' ভার্বের Past Participle হলো 'known'। 'You' হলো subject, যা passive voice-এ object 'you' হবে।
  • 'Know' ভার্বের পর সাধারণত preposition 'to' বসে, 'by' নয়।

৩৫. ‘Panacea’ means-

[ বিসিএস ৩৯তম ]

ক. cure-all
খ. pancreatic
গ. widespread disease
ঘ. gland
ব্যাখ্যাঃ

‘panacea’ মানে cure-all (সর্ব রোগের ওষুধ )

‘Panacea’ শব্দের অর্থ হলো সর্বরোগহর বা সকল রোগের ঔষধ। এটি এমন একটি কাল্পনিক ঔষধ বা সমাধান যা সমস্ত রোগ বা সমস্যার নিরাময় করতে পারে বলে মনে করা হয়।

অন্যান্য বিকল্পগুলোর অর্থ:

  • খঃ pancreatic: অগ্ন্যাশয় সংক্রান্ত।
  • গঃ widespread disease: ব্যাপক রোগ বা মহামারী।
  • ঘঃ gland: গ্রন্থি।

৩৬. What is the plural number of ‘ovum’?

[ বিসিএস ৩৯তম ]

ক. ovams
খ. ovumes
গ. onums
ঘ. ova
ব্যাখ্যাঃ

'ovum'-এর বহুবচন হলো ova

'Ovum' একটি ল্যাটিন শব্দ, যার অর্থ 'ডিম্বাণু'। ল্যাটিন ব্যাকরণের নিয়ম অনুযায়ী, '-um' দিয়ে শেষ হওয়া একবচন বিশেষ্যগুলোর বহুবচনে '-a' যুক্ত হয়।

ক. False , True
খ. Sharp , Blunt
গ. Love, Affection
ঘ. Abundance , Scarcity
ব্যাখ্যাঃ

Love, Affection শব্দযুগলটি অন্য তিনটি থেকে ভিন্ন, কারণ অন্য তিনটি বিপরীতার্থক শব্দ ধারণ করে।

কারণ:

  • কঃ False, True: এই শব্দযুগল পরস্পর বিপরীতার্থক

  • খঃ Sharp, Blunt: এই শব্দযুগলও পরস্পর বিপরীতার্থক

  • ঘঃ Abundance, Scarcity: এই শব্দযুগলও পরস্পর বিপরীতার্থক

  • গঃ Love, Affection: এই শব্দযুগল সমার্থক। Love (ভালোবাসা) এবং Affection (স্নেহ, অনুরাগ) একই ধরনের অনুভূতি প্রকাশ করে।

ক. ballad
খ. sketch story
গ. historical novel
ঘ. short novel
ব্যাখ্যাঃ

‘A christmas carol’ is a short novel by charles Dickens.

'A Christmas Carol' চার্লস ডিকেন্সের একটি বিখ্যাত ছোট উপন্যাস বা নভেলা। এটি আকারে সাধারণ উপন্যাসের চেয়ে ছোট কিন্তু ছোট গল্পের চেয়ে বড়।

ক. preposition
খ. adjective
গ. adverb
ঘ. noun
ব্যাখ্যাঃ

এই বাক্যে "following" শব্দটি একটি preposition (পদান্বয়ী অব্যয়) হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

কারণ:

  • এটি একটি বিশেষ্য (the wedding) এবং বাক্যের অন্য অংশের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করছে।
  • "following the wedding" অংশটি "reception" কখন হয়েছিল তা নির্দেশ করছে - বিবাহের পরে। এখানে "following" সময়গত সম্পর্ক স্থাপন করছে।

যদি "following" অন্য কোনো part of speech হিসেবে কাজ করত, তবে তার ব্যবহার ভিন্ন হতো:

  • Adjective: The following day we left. (এখানে "following" 'day' বিশেষ্যটিকে বিশেষিত করছে)
  • Adverb: He walked slowly, following behind. (এখানে "following" 'walked' ক্রিয়াটিকে কিভাবে হাঁটল তা বোঝাচ্ছে)
  • Noun: The following is a list of attendees. (এখানে "following" একটি তালিকা বোঝাচ্ছে)

কিন্তু এই নির্দিষ্ট বাক্যে, "following" বিবাহের সাথে রিসেপশনের সময়গত সম্পর্ক স্থাপন করছে, তাই এটি একটি preposition

ক. amoral
খ. authentic
গ. amnesia
ঘ. aspersions
ব্যাখ্যাঃ

(prefix) উপসর্গযোগে গঠিত শব্দটি হলো amoral ("a-" + "moral")। ব্যাখ্যা:

  • amoral: এই শব্দটি গঠিত হয়েছে "a-" উপসর্গ (prefix) এবং "moral" মূল শব্দটির সমন্বয়ে। "a-" উপসর্গটি এখানে "নয়" বা "বিহীন" অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। সুতরাং, "amoral" মানে হলো "নীতিবোধহীন"।

অন্যান্য শব্দগুলোর বিশ্লেষণ:

  • authentic: এই শব্দটিতে কোনো সুস্পষ্ট উপসর্গ নেই। "authentikos" (প্রাচীন গ্রিক) থেকে এটি এসেছে।
  • amnesia: এই শব্দটি "a-" উপসর্গ এবং "mnesis" (স্মৃতি) মূল শব্দ থেকে গঠিত মনে হলেও, ভাষাতাত্ত্বিক বিচারে "amnesia" একটি পূর্ণাঙ্গ শব্দ হিসেবে বিবেচিত হয়, যেখানে "a-" অংশটি মূল শব্দের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটিকে সরাসরি উপসর্গযোগে গঠিত বলা যায় না।
  • aspersions: এই শব্দটি "ad-" উপসর্গ এবং "spargere" (ছড়ানো) মূল শব্দ থেকে এলেও, ইংরেজি ভাষায় "aspersion" একটি স্বতন্ত্র শব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং "ad-" অংশটিকে বর্তমানে উপসর্গ হিসেবে সহজে চিহ্নিত করা যায় না।
ক. Lieaftenant
খ. Leaftenant
গ. Leiftenant
ঘ. Lieutenant
ব্যাখ্যাঃ

লেফটেন্যান্ট জেনারেল শব্দের সঠিক ইংরেজি বানান হলো ঘঃ Lieutenant General

"Lieutenant" বানানটি মনে রাখা একটু কঠিন হতে পারে। মনে রাখার জন্য একটি কৌশল হলো: "Lie u ten ant" - মিথ্যা তুমি দশ পিঁপড়া। যদিও এটি সরাসরি অর্থপূর্ণ নয়, তবে বানানটি মনে রাখতে সাহায্য করতে পারে।

ক. Macbeth
খ. King lear
গ. Othello
ঘ. Hamlet
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো Hamlet

"To be, or not to be, that is the question" উইলিয়াম শেক্সপিয়রের বিখ্যাত নাটক হ্যামলেট-এর একটি অত্যন্ত বিখ্যাত স্বগতোক্তি (soliloquy)। এটি নাটকের তৃতীয় অঙ্কের প্রথম দৃশ্যে হ্যামলেট কর্তৃক উচ্চারিত হয়। এই স্বগতোক্তিতে জীবনের দুঃখ-যন্ত্রণা সহ্য করা, নাকি মৃত্যু বরণ করে সবকিছুর শেষ করে দেওয়া - এই গভীর দার্শনিক দ্বিধা প্রকাশ পায়।

ক. newly-weds
খ. old women
গ. newborn babies
ঘ. old people
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো old people

'Geriatrics' হলো চিকিৎসা বিজ্ঞানের সেই শাখা যা বৃদ্ধ বা বয়স্ক ব্যক্তিদের রোগ এবং তাদের পরিচর্যা নিয়ে কাজ করে।

ক. Flower
খ. Twig
গ. Tree
ঘ. Branch
ব্যাখ্যাঃ

Finger হচ্ছে Hand এর ক্ষুদ্র অংশ তেমনি leaf হচ্ছে twig (ছোট ডাল বা উপশাখা)।

৪৫. 125(5)2x=1 হলে x এর মান কত?

[ বিসিএস ৩৯তম ]

ক. 3
খ. 3
গ. 7
ঘ. 9
ব্যাখ্যাঃ প্রদত্ত সমীকরণটি হলো: 125(5)2x=1

প্রথমে, 125 কে 5 এর ঘাত হিসেবে লিখি: 125=53
এবং 5 কে 5 এর ঘাত হিসেবে লিখি: 5=512

এখন সমীকরণে মানগুলো বসাই:
53(512)2x=1
535122x=1
535x=1

ঘাতের নিয়ম অনুযায়ী, aman=am+n, তাই:
53+x=1

যেহেতু 1 কে যেকোনো সংখ্যার 0 ঘাত হিসেবে লেখা যায় (a0=1), আমরা 1 কে 50 হিসেবে লিখব:
53+x=50

এখন, যেহেতু উভয় পাশের ভিত্তি একই (5), তাই ঘাতগুলো অবশ্যই সমান হবে:
3+x=0
x=3

সুতরাং, x এর মান হলো 3

৪৬. nC12 = nC6 হলে n এর মান কত?

[ বিসিএস ৩৯তম ]

ক. 12
খ. 14
গ. 16
ঘ. 18
ব্যাখ্যাঃ আমরা জানি, nCr=nCk হলে, হয় r=k অথবা n=r+k

এখানে, nC12=nC6 দেওয়া আছে।

প্রথম শর্ত অনুযায়ী, 12=6, যা সম্ভব নয়।

দ্বিতীয় শর্ত অনুযায়ী, n=12+6
n=18

সুতরাং, n এর মান হলো 18
ক.
খ.
গ.
ঘ.
ব্যাখ্যাঃ প্রদত্ত সমস্যাটি একটি প্যাটার্ন খোঁজার উপর ভিত্তি করে তৈরি।

দেওয়া আছে:
×=
×=

এবং সমাধান চাওয়া হয়েছে:
×=?

চলুন, প্যাটার্নটি বের করার চেষ্টা করি:

প্রথম উদাহরণ: ×=
লক্ষ্য করুন:
×= (প্রথম দুটি অঙ্ক)
×= (শেষ দুটি অঙ্ক)

দ্বিতীয় উদাহরণ: ×=
লক্ষ্য করুন:
×= (প্রথম দুটি অঙ্ক)
×= (শেষ দুটি অঙ্ক)

প্যাটার্নটি স্পষ্ট:
যদি A×B থাকে, তাহলে ফলাফলটি হবে (5×B)(5×A)
অর্থাৎ, প্রথম দুটি অঙ্ক হবে দ্বিতীয় সংখ্যাকে দিয়ে গুণ করে প্রাপ্ত ফল, এবং শেষ দুটি অঙ্ক হবে প্রথম সংখ্যাকে দিয়ে গুণ করে প্রাপ্ত ফল।

এখন এই প্যাটার্নটি × এর জন্য প্রয়োগ করি:

×=?
প্রথম দুটি অঙ্ক: ×=
শেষ দুটি অঙ্ক: ×=

সুতরাং, ×=
ক. 11 টাকা
খ. 11.5 টাকা
গ. 12 টাকা
ঘ. 10 টাকা
ব্যাখ্যাঃ প্রদত্ত তথ্য:
আসল, P=1000 টাকা
মুনাফার হার, r=10%=10100=0.10
সময়, n=2 বছর

সরল মুনাফা (Simple Interest, IS):
IS=P×n×r100 (যদি r শতকরা হারে থাকে)
অথবা, IS=P×n×r (যদি r দশমিকে থাকে)
IS=1000×2×0.10
IS=200 টাকা

চক্রবৃদ্ধি মুনাফা (Compound Interest, IC):
চক্রবৃদ্ধি মূলধন, A=P(1+r)n
A=1000(1+0.10)2
A=1000(1.10)2
A=1000×1.21
A=1210 টাকা

চক্রবৃদ্ধি মুনাফা, IC=AP
IC=12101000
IC=210 টাকা

মুনাফার পার্থক্য:
পার্থক্য = চক্রবৃদ্ধি মুনাফা - সরল মুনাফা
পার্থক্য = ICIS
পার্থক্য = 210200
পার্থক্য = 10 টাকা

সুতরাং, সরল ও চক্রবৃদ্ধির মুনাফার পার্থক্য হলো 10 টাকা।
ক. 4
খ. 12
গ. 6
ঘ. 9
ব্যাখ্যাঃ দুটি সংখ্যার অনুপাত 7:5 দেওয়া আছে।
ধরি, সংখ্যা দুটি হলো 7x এবং 5x, যেখানে x হলো সংখ্যা দুটির গ.সা.গু (গরিষ্ঠ সাধারণ গুণনীয়ক)।

আমরা জানি, দুটি সংখ্যার গুণফল = তাদের ল.সা.গু × তাদের গ.সা.গু।
অর্থাৎ, (7x)×(5x)=ল.সা.গু×x

কিন্তু এই পদ্ধতিটি সরাসরি ব্যবহার করার চেয়ে সহজ একটি সম্পর্ক আছে:
দুটি সংখ্যার ল.সা.গু = তাদের অনুপাতের গুণফল × গ.সা.গু।
ল.সা.গু =(7×5)×x
ল.সা.গু =35x

প্রদত্ত ল.সা.গু হলো 140
সুতরাং, 35x=140
x=14035
x=4

যেহেতু x হলো সংখ্যা দুটির গ.সা.গু,
সুতরাং, সংখ্যা দুটির গ.সা.গু হলো 4
ক. 32<x<1
খ. 32<x<1
গ. 32x1
ঘ. 32<x1
ব্যাখ্যাঃ প্রদত্ত অসমতাটি হলো:
2x2+5x+3<0

প্রথমে, মধ্যপদ বিশ্লেষণ করে উৎপাদক নির্ণয় করি:
2x2+3x+2x+3<0
x(2x+3)+1(2x+3)<0
(x+1)(2x+3)<0

অসমতাটি সত্য হবে যদি (x+1) এবং (2x+3) এর মান পরস্পর বিপরীত চিহ্নযুক্ত হয় (একটি ধনাত্মক এবং অন্যটি ঋণাত্মক)।

যেহেতু আমরা (x+1)(2x+3)<0 এর সমাধান খুঁজছি, তাই আমাদের এমন পরিসর দরকার যেখানে (x+1)(2x+3) এর চিহ্ন ঋণাত্মক।

সারণী অনুযায়ী, এটি ঘটে যখন 32<x<1

সুতরাং, নির্ণেয় অসমতাটি হলো: 32<x<1
ক. ৩০ ফুট
খ. ৪০ ফুট
গ. ১০ ফুট
ঘ. ২০ ফুট
ব্যাখ্যাঃ চিত্র হতে, BC = ২০ ফুট AC = ১০ ফুট ∴ BA = ২০-১০ = ১০ ফুট
ক. 1,2,3,5
খ. 1,3,5,7
গ. 2,4,6,8
ঘ. 1,2,3,4
ব্যাখ্যাঃ প্রদত্ত সেট C এর সংজ্ঞা হলো:
C={x:x ঋণাত্মক পূর্ণসংখ্যা এবং x2<18}

আমাদের এমন ঋণাত্মক পূর্ণসংখ্যা x খুঁজে বের করতে হবে, যার বর্গ 18 এর চেয়ে কম।

আমরা ঋণাত্মক পূর্ণসংখ্যাগুলো নিয়ে তাদের বর্গ পরীক্ষা করব:

* x=1x2=(1)2=1
1<18, সুতরাং 1 একটি উপাদান।

* x=2x2=(2)2=4
4<18, সুতরাং 2 একটি উপাদান।

* x=3x2=(3)2=9
9<18, সুতরাং 3 একটি উপাদান।

* x=4x2=(4)2=16
16<18, সুতরাং 4 একটি উপাদান।

* x=5x2=(5)2=25
2518 (কারণ 25 18 এর চেয়ে বড়), সুতরাং 5 একটি উপাদান নয়।

যেহেতু ঋণাত্মক পূর্ণসংখ্যাগুলো আরও ছোট হতে থাকলে তাদের বর্গ আরও বড় হবে, তাই 5 বা তার থেকে ছোট কোনো ঋণাত্মক পূর্ণসংখ্যার বর্গ 18 এর চেয়ে কম হবে না।

সুতরাং, C সেটের উপাদানগুলো হলো {4,3,2,1}
ক. ৭.২ সেমি
খ. ৭.৩ সেমি
গ. ৭ সেমি
ঘ. ৭.১ সেমি
ব্যাখ্যাঃ প্রদত্ত তথ্য:
প্রথম আয়তক্ষেত্রের দৈর্ঘ্য, L1=18 সেমি
প্রথম আয়তক্ষেত্রের প্রস্থ, W1=10 সেমি

প্রথম আয়তক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল, A1=L1×W1
A1=18×10
A1=180 বর্গ সেমি

দ্বিতীয় আয়তক্ষেত্রের দৈর্ঘ্য, L2=25 সেমি
প্রশ্ন অনুযায়ী, ক্ষেত্রফল অপরিবর্তিত থাকবে।
সুতরাং, দ্বিতীয় আয়তক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল, A2=A1=180 বর্গ সেমি

ধরি, দ্বিতীয় আয়তক্ষেত্রের প্রস্থ, W2 সেমি।
আমরা জানি, A2=L2×W2
180=25×W2
W2=18025
W2=7.2 সেমি

সুতরাং, আয়তক্ষেত্রটির প্রস্থ 7.2 সেমি হলে ক্ষেত্রফল অপরিবর্তিত থাকবে।
ক. 2428
খ. 2442
গ. 42
ঘ. 1214
ব্যাখ্যাঃ

৫৫. |12x|<1 এর সমাধান-

[ বিসিএস ৩৯তম ]

ক. 2<x<1
খ. 1<x<0
গ. 0<x<1
ঘ. 1<x<1
ব্যাখ্যাঃ প্রদত্ত অসমতাটি হলো: |12x|<1

পরম মানের সংজ্ঞা অনুযায়ী, যদি |a|<b হয়, তাহলে b<a<b হয়।

এখানে a=(12x) এবং b=1
তাহলে, আমরা লিখতে পারি:
1<12x<1

এখন এই অসমতাকে দুটি আলাদা অংশে বিভক্ত করে সমাধান করব:

প্রথম অংশ: 1<12x
11<2x
2<2x

উভয় পক্ষকে 2 দিয়ে ভাগ করলে অসমতার চিহ্ন পরিবর্তন হবে:
22>2x2
1>x
বা, x<1

দ্বিতীয় অংশ: 12x<1
2x<11
2x<0

উভয় পক্ষকে 2 দিয়ে ভাগ করলে অসমতার চিহ্ন পরিবর্তন হবে:
2x2>02
x>0

এখন উভয় অংশের সমাধানকে একত্রিত করি:
x>0 এবং x<1

সুতরাং, সমাধানটি হলো 0<x<1
ক. .
খ. .
গ. .
ঘ. .
ব্যাখ্যাঃ এই গুণফলটি নির্ণয় করতে, প্রথমে সংখ্যাগুলোকে দশমিক ছাড়া গুণ করব, তারপর দশমিক বিন্দুর অবস্থান নির্ধারণ করব।

সংখ্যাগুলো হলো: 0.4, 0.02, 0.08

দশমিক ছাড়া সংখ্যাগুলো: 4, 2, 8

এদের গুণফল: 4×2×8=8×8=64

এবার দশমিক বিন্দুর পরের অঙ্কগুলো গণনা করি:
0.4 এ দশমিকের পর ১টি অঙ্ক আছে।
0.02 এ দশমিকের পর ২টি অঙ্ক আছে।
0.08 এ দশমিকের পর ২টি অঙ্ক আছে।

মোট দশমিক স্থানের সংখ্যা =1+2+2=5 টি।

এখন 64 এর বাম দিকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শূন্য বসিয়ে মোট ৫টি দশমিক স্থান পূরণ করতে হবে:
0.00064

সুতরাং, 0.4×0.02×0.08=0.00064
ক.
খ.
গ.
ঘ.
ব্যাখ্যাঃ কোন ভগ্নাংশটি বৃহত্তম তা নির্ণয় করার জন্য, আমরা প্রতিটি ভগ্নাংশকে দশমিকে রূপান্তর করব অথবা তাদের সমহরবিশিষ্ট ভগ্নাংশে রূপান্তর করব। দশমিকে রূপান্তর করা তুলনামূলকভাবে সহজ।

কঃ =0.6

খঃ =0.625

গঃ 0.5454...

ঘঃ =0.5714...

এখন দশমিক মানগুলো তুলনা করি:
0.6
0.625
0.5454...
0.5714...

এই মানগুলোর মধ্যে 0.625 সবচেয়ে বড়।

সুতরাং, খঃ ভগ্নাংশটি বৃহত্তম।
ক. ৯তম পদ
খ. ১০ তম পদ
গ. ১১ তম পদ
ঘ. ১২ তম পদ
ব্যাখ্যাঃ প্রদত্ত ধারাটি হলো একটি গুণোত্তর ধারা, যেখানে প্রথম পদ (a) এবং সাধারণ অনুপাত (r) রয়েছে।

প্রথম পদ, a=12

সাধারণ অনুপাত, r=দ্বিতীয় পদপ্রথম পদ=112=1×2=2
অথবা, r=তৃতীয় পদদ্বিতীয় পদ=21=2

আমরা জানি, একটি গুণোত্তর ধারার n তম পদ হলো an=arn1
আমরা খুঁজে বের করতে চাই কোন পদ 82 হবে। ধরি, n তম পদটি 82
সুতরাং, an=82

এখন সূত্রে মানগুলো বসাই:
82=12(2)n1

উভয় পক্ষকে 2 দিয়ে গুণ করি:
822=(2)n1
8×2=(2)n1
16=(2)n1

এখন 16 কে 2 এর ঘাত হিসেবে প্রকাশ করি:
16=24
16=(22)4
16=(2)8

সুতরাং, (2)8=(2)n1

যেহেতু ভিত্তি একই, ঘাতগুলো সমান হবে:
8=n1
n=8+1
n=9

সুতরাং, ধারাটির 9ম পদ 82 হবে।
ক. ২০০ টাকা
খ. ২১০ টাকা
গ. ১৬২ টাকা
ঘ. ১৯৮ টাকা
ব্যাখ্যাঃ প্রদত্ত তথ্য:
বিক্রয়মূল্য = ১৮০ টাকা
ক্ষতির হার = ১০%

আমরা জানি, যদি 10% ক্ষতি হয়, তাহলে ক্রয়মূল্যের (10010)%=90% দামে দ্রব্যটি বিক্রি করা হয়েছে।

ধরি, দ্রব্যটির ক্রয়মূল্য P টাকা।
তাহলে, P এর 90% = ১৮০ টাকা
P×90100=180
P×910=180
P=180×109
P=20×10
P=200 টাকা

সুতরাং, দ্রব্যটির ক্রয়মূল্য ২০০ টাকা।
ক. ৯০°
খ. ৯৫°
গ. ১০৫°
ঘ. ১১০°
ব্যাখ্যাঃ যখন ঘড়িতে ঠিক ৮টা বাজে, তখন মিনিটের কাঁটা ১২-এর ঘরে থাকে এবং ঘণ্টার কাঁটা ৮-এর ঘরে থাকে।

একটি ঘড়ির ডায়াল ৩৬০ ডিগ্রিকে ১২টি ভাগে বিভক্ত করে।
প্রতিটি ভাগের মান = 36012=30

মিনিটের কাঁটা ১২-এর ঘরে আছে।
ঘণ্টার কাঁটা ৮-এর ঘরে আছে।

১২ থেকে ৮ পর্যন্ত মোট ঘরের সংখ্যা = 128=4 ঘর।
অথবা, যদি ১২ থেকে ঘড়ির কাঁটার দিকে ৮ পর্যন্ত গণনা করি, তাহলে 8টি ঘর।
যদি ৮ থেকে ১২ পর্যন্ত ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে গণনা করি, তাহলে 128=4 ঘর।
যেহেতু আমরা মধ্যবর্তী ক্ষুদ্রতম কোণটি চাই, তাই 4 ঘরের দূরত্বটি নেব।

কোণের পরিমাণ = ঘরের সংখ্যা × প্রতি ঘরের মান
কোণের পরিমাণ = 4×30
কোণের পরিমাণ = 120

সুতরাং, ঘড়িতে যখন ৮টা বাজে, তখন ঘণ্টার কাঁটা ও মিনিটের কাঁটার মধ্যবর্তী কোণ 120 হবে।
ক. ৪৭
খ. ৮৭
গ. ৯১
ঘ. ১৪৩
ব্যাখ্যাঃ একটি মৌলিক সংখ্যা হলো সেই সংখ্যা যা 1 এবং সেই সংখ্যাটি ছাড়া অন্য কোনো সংখ্যা দ্বারা বিভাজ্য নয়। আমরা প্রতিটি বিকল্প পরীক্ষা করে দেখব:

* কঃ ৪৭
কে 1 এবং ছাড়া অন্য কোনো পূর্ণসংখ্যা দ্বারা ভাগ করা যায় না।
(যেমন: ,,, ইত্যাদি দ্বারা বিভাজ্য নয়)।
সুতরাং, একটি মৌলিক সংখ্যা।

* খঃ ৮৭
একটি মৌলিক সংখ্যা নয়, কারণ এটি দ্বারা বিভাজ্য (=×)।

* গঃ ৯১
একটি মৌলিক সংখ্যা নয়, কারণ এটি দ্বারা বিভাজ্য (=×)।

* ঘঃ ১৪৩
একটি মৌলিক সংখ্যা নয়, কারণ এটি দ্বারা বিভাজ্য (=×)।

সুতরাং, কঃ ৪৭ হলো মৌলিক সংখ্যা।
ক. নাইট্রোজেন
খ. হাইড্রোজেন
গ. অক্সিজেন
ঘ. ওজোন
ব্যাখ্যাঃ

সমুদ্রতীরে কোনটির প্রাচুর্য থাকে নাইট্রোজেন

ব্যাখ্যা:

সমুদ্রতীরও পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের অংশ। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের প্রধান উপাদান হলো নাইট্রোজেন, যা আয়তনে প্রায় ৭৮%। এরপর রয়েছে অক্সিজেন, যা প্রায় ২১%।

সুতরাং, সমুদ্রতীরে অন্যান্য স্থানের মতোই নাইট্রোজেনের প্রাচুর্য সবচেয়ে বেশি থাকে।

ক. ১২ ই এপ্রিল , ১৯৭১
খ. ১০ ই এপ্রিল, ১৯৭১
গ. ১৪ ই এপ্রিল , ১৯৭১
ঘ. ১৭ ই এপ্রিল, ১৯৭১
ব্যাখ্যাঃ

মুজিবনগর সরকার, যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার নামেও পরিচিত, ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় গঠিত অস্থায়ী সরকার। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়।

এখানে মুজিবনগর সরকার সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হলো:

  • গঠন: ১০ এপ্রিল, ১৯৭১।

  • শপথ গ্রহণ: ১৭ এপ্রিল, ১৯৭১। এই দিনে মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে (যা পরবর্তীতে মুজিবনগর নামে পরিচিত হয়) আনুষ্ঠানিকভাবে এই সরকার শপথ গ্রহণ করে।

  • রাজধানী: অস্থায়ী রাজধানী ছিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলার আম্রকানন, যা পরে 'মুজিবনগর' নামকরণ করা হয়।

  • গঠনের কারণ: বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ পরিচালনার জন্য একটি বৈধ ও কার্যকরী প্রশাসনিক কাঠামো তৈরি করা এবং আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায় করা।

  • নেতৃবৃন্দ:

    • রাষ্ট্রপতি: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (কারাগারে থাকায় তাঁর অনুপস্থিতিতে উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন)।
    • উপরাষ্ট্রপতি: সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
    • প্রধানমন্ত্রী: তাজউদ্দীন আহমদ।
    • অর্থমন্ত্রী: এম. মনসুর আলী।
    • স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী: এ. এইচ. এম. কামারুজ্জামান।
    • পররাষ্ট্র ও আইনমন্ত্রী: খন্দকার মোশতাক আহমেদ।
    • সেনাবাহিনীর প্রধান: কর্ণেল এম. এ. জি. ওসমানী (পরবর্তীতে জেনারেল)।
  • ভূমিকা: এই সরকার বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে সফলভাবে নেতৃত্ব দেয়। এটি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ প্রতিষ্ঠা করে, মুক্তিযোদ্ধা ও শরণার্থীদের সংগঠিত করে, আন্তর্জাতিক বিশ্বের সমর্থন আদায়ে কাজ করে এবং স্বাধীনতার চূড়ান্ত বিজয়ের পথ প্রশস্ত করে।

মুজিবনগর সরকার বাংলাদেশের প্রথম সরকার হিসেবে স্বীকৃত এবং এটি স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অর্জনে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করেছিল।

ক. যুক্তরাষ্ট্র
খ. ফ্রান্স
গ. জার্মানি
ঘ. ইতালি
ব্যাখ্যাঃ

২০১৮ সালে কানাডার কুইবেকে অনুষ্ঠিত জি-সেভেন (G7) শীর্ষ সম্মেলনের পর যৌথ ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর প্রদানে যুক্তরাষ্ট্র (United States) বিরত ছিল। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যৌথ ঘোষণাপত্র থেকে তার সমর্থন প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন।

৬৫. Cricket is a kind of play. It is also a kind of-

[ বিসিএস ৩৯তম ]

ক. insect
খ. food
গ. bird
ঘ. flower
ব্যাখ্যাঃ

Cricket is a kind of play. It is also a kind of insect (পোকামাকড়).

'Cricket' শব্দটির দুটি সাধারণ অর্থ আছে: ১. একটি খেলা, যা আমরা সবাই চিনি। ২. এক ধরণের ঝিঁঝিঁ পোকা, যা রাতের বেলায় কিচিরমিচির শব্দ করে।

সুতরাং, ক্রিকেট একটি খেলার পাশাপাশি এক ধরণের পোকামাকড়ও বটে।

ক. বাস্তুববাদ
খ. মার্ফ্রবাদ (মার্ক্সবাদ)
গ. গঠনবাদ
ঘ. উদারতাবাদ
ব্যাখ্যাঃ

'জিরো-সাম গেম' (Zero-sum game) আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বাস্তববাদ (Realism) তত্ত্বের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।

বাস্তববাদীরা মনে করেন যে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক মূলত ক্ষমতা ও স্বার্থের সংঘাতের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। একটি দেশের লাভ মানেই অন্য দেশের ক্ষতি, অর্থাৎ মোট লাভ ও ক্ষতির পরিমাণ শূন্য। এই ধারণাটিই জিরো-সাম গেম। এখানে কোনো পক্ষই একই সময়ে লাভবান হতে পারে না; একজনের লাভ মানেই অন্যজনের ক্ষতি।

অন্যদিকে, উদারনীতিবাদীরা (Liberalism) মনে করেন যে, পারস্পরিক সহযোগিতা এবং লাভ-লাভের (positive-sum) সম্পর্ক সম্ভব।

ক. ইস্টানা আইল্যান্ড
খ. সেনার আয়ল্যান্ড
গ. ম্যারিনা বে
ঘ. সেন্তোসা
ব্যাখ্যাঃ

ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন তিনি উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সাথে ঐতিহাসিক কিছু শীর্ষ বৈঠক করেছিলেন। এই বৈঠকগুলো ছিল উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচির ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনার জন্য একটি অভাবনীয় কূটনৈতিক প্রচেষ্টা।

মূলত দুটি প্রধান শীর্ষ বৈঠক হয়েছিল:

১. প্রথম ট্রাম্প-কিম শীর্ষ বৈঠক (সিঙ্গাপুর, ১২ জুন, ২০১৮):

  • স্থান: সিঙ্গাপুরের সেন্তোসা দ্বীপের ক্যাপেলা হোটেল।
  • গুরুত্ব: এটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের একজন ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট এবং উত্তর কোরিয়ার একজন সর্বোচ্চ নেতার মধ্যে প্রথম বৈঠক। এর আগে কোনো আমেরিকান প্রেসিডেন্ট উত্তর কোরিয়ার নেতার সাথে সরাসরি সাক্ষাৎ করেননি।
  • আলোচনার বিষয়: উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ, কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি স্থাপন এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিককরণ।
  • ফলাফল: বৈঠকের পর একটি যৌথ বিবৃতি স্বাক্ষরিত হয়, যেখানে কিম জং উন কোরীয় উপদ্বীপের "সম্পূর্ণ পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের" প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন। তবে, এর বিস্তারিত রোডম্যাপ বা সময়সীমা স্পষ্ট ছিল না। ট্রাম্প উত্তর কোরিয়াকে নিরাপত্তা গ্যারান্টি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

২. দ্বিতীয় ট্রাম্প-কিম শীর্ষ বৈঠক (হ্যানয়, ভিয়েতনাম, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯):

  • স্থান: ভিয়েতনামের হ্যানয়।
  • গুরুত্ব: প্রথম বৈঠকের পর পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে তেমন অগ্রগতি না হওয়ায় এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
  • আলোচনার বিষয়: উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ভেঙে ফেলা এবং এর বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা।
  • ফলাফল: এই বৈঠকটি কোনো চুক্তি ছাড়াই শেষ হয়। উভয় পক্ষই নিজ নিজ অবস্থানে অনড় থাকে। যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার সকল পারমাণবিক স্থাপনা ও অস্ত্রশস্ত্র নিরস্ত্রীকরণের দাবি জানায়, আর উত্তর কোরিয়া শুধু তাদের প্রধান পারমাণবিক কমপ্লেক্স ইয়ংবিয়ন (Yongbyon) বন্ধ করার বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি করে। মতানৈক্যের কারণে কোনো যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর হয়নি।

এই বৈঠকগুলো আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে এক নতুন ধারার সূচনা করেছিল, যদিও পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের ক্ষেত্রে এগুলোর দীর্ঘমেয়াদী সাফল্য সীমিত ছিল। এই বৈঠকগুলো উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকি মোকাবিলায় এক ভিন্ন কূটনৈতিক কৌশল হিসেবে বিবেচিত হয়।

ক. মিয়ানমার
খ. চীন
গ. সিঙ্গাপুর
ঘ. ব্রুনাই
ব্যাখ্যাঃ

মিয়ানমার-এর জাতীয় সংসদ দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট।

মিয়ানমারের আইনসভার দুটি কক্ষ রয়েছে:

  • নিম্নকক্ষ: পিথু হুততাও (Pyithu Hluttaw)
  • উচ্চকক্ষ: অ্যামিয়োথা হুততাও (Amyotha Hluttaw)

অন্যদিকে, চীন, সিঙ্গাপুর এবং ব্রুনাই-এর আইনসভা এককক্ষ বিশিষ্ট।

ক. ১,৭২,০০০ কোটি টাকা
খ. ১,৭৩,০০০ কোটি টাকা
গ. ১,৭০,০০০ কোটি টাকা
ঘ. ১,৭১, ০০০ কোটি টাকা
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (Annual Development Programme - ADP) জন্য বরাদ্দ ছিল ১,৭৩,০০০ কোটি টাকা

ক. আন্তর্জাতিক অভিবাসন নীতি
খ. নয়া উদারতাবাদী অর্থনৈতিক নীতি বাস্তবায়ন
গ. অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ
ঘ. আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ দমন
ব্যাখ্যাঃ

বিখ্যাত ‘ওয়াশিংটন কনসেনসাস’ (Washington Consensus) মূলত উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনৈতিক নীতি সংস্কার বিষয়ের সঙ্গে জড়িত।

এটি ১৯৮৯ সালে অর্থনীতিবিদ জন উইলিয়ামসন কর্তৃক প্রস্তাবিত একগুচ্ছ অর্থনৈতিক নীতি নির্দেশিকা, যা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF), বিশ্ব ব্যাংক (World Bank) এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের (U.S. Treasury Department) মতো ওয়াশিংটন-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলো কর্তৃক উন্নয়নশীল দেশগুলোকে অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা এবং প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছিল।

এই নীতিগুলোর মধ্যে প্রধানত যা যা অন্তর্ভুক্ত ছিল:

  • আর্থিক শৃঙ্খলা (Fiscal Discipline): সরকারি বাজেট ঘাটতি কমানো।
  • ব্যয়ের দিক পরিবর্তন (Redirection of Public Expenditure): ভর্তুকি কমানো এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অবকাঠামোতে ব্যয় বৃদ্ধি।
  • কর সংস্কার (Tax Reform): করের ভিত্তি সম্প্রসারণ এবং প্রান্তিক করের হার হ্রাস।
  • সুদের হারের উদারীকরণ (Interest Rate Liberalization): বাজারভিত্তিক সুদের হার নির্ধারণ।
  • প্রতিযোগিতামূলক বিনিময় হার (Competitive Exchange Rates): মুদ্রার অবমূল্যায়ন করে রপ্তানি বৃদ্ধি।
  • বাণিজ্য উদারীকরণ (Trade Liberalization): আমদানি শুল্ক ও কোটা হ্রাস।
  • প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগের উদারীকরণ (Liberalization of Foreign Direct Investment): বিদেশি বিনিয়োগের উপর বিধিনিষেধ কমানো।
  • রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এন্টারপ্রাইজের বেসরকারীকরণ (Privatization of State Enterprises): রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে বেসরকারি খাতে হস্তান্তর।
  • নিয়ন্ত্রণমুক্তকরণ (Deregulation): বাজারের প্রবেশাধিকার এবং মূল্য নির্ধারণের উপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ হ্রাস।
  • সম্পত্তির অধিকার সুরক্ষা (Secure Property Rights): সম্পত্তির অধিকারের আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করা।

সংক্ষেপে, ওয়াশিংটন কনসেনসাস মুক্তবাজার অর্থনীতি, বেসরকারীকরণ এবং আর্থিক কঠোরতাকে উন্নয়নের মূলমন্ত্র হিসেবে তুলে ধরেছিল।

ক. ১০ নং সেক্টর
খ. ১১ নং সেক্টর
গ. ৮ নং সেক্টর
ঘ. ৯ নং সেক্টর
ব্যাখ্যাঃ

মুক্তিযুদ্ধের সময় নৌ-কমান্ডো গঠিত হয় ১০ নম্বর সেক্টর নিয়ে।

যদিও ১০ নম্বর সেক্টরের কোনো নির্দিষ্ট ভৌগোলিক সীমানা ছিল না, এটি সমগ্র বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথ এবং সমুদ্র উপকূলীয় এলাকা নিয়ে গঠিত হয়েছিল। এই সেক্টরের প্রধান কাজ ছিল জলপথে শত্রু পাকিস্তানি বাহিনীর চলাচল ব্যাহত করা এবং নৌ অভিযান পরিচালনা করা। 'অপারেশন জ্যাকপট' ছিল নৌ-কমান্ডোদের অন্যতম সফল অভিযান।

ক. জুন ২২, ১৭৫৭
খ. জুন ২৪, ১৭৫৭
গ. জুন ২৩, ১৭৫৭
ঘ. জুন ২৫, ১৭৫৭
ব্যাখ্যাঃ

পলাশির যুদ্ধ (Battle of Plassey) ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যা বাংলার স্বাধীন নবাবী শাসনের অবসান ঘটিয়ে ভারতে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের ভিত্তি স্থাপন করে।

সংঘটিত হওয়ার তারিখ: ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন।

স্থান: ভাগীরথী নদীর তীরে পলাশী নামক স্থানে (বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলায়)।

মূল পক্ষসমূহ:

  • একদিকে: বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলা
  • অন্যদিকে: ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, যার নেতৃত্বে ছিলেন রবার্ট ক্লাইভ

যুদ্ধের কারণ:

  • রাজনৈতিক কারণ: নবাব সিরাজউদ্দৌলার সাথে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মধ্যে ক্ষমতা ও আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব। ব্রিটিশদের বাণিজ্যিক সুবিধার অপব্যবহার, নবাবের অনুমতি ছাড়া ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ সংস্কার, এবং নবাবের শত্রুদের আশ্রয় প্রদান ইত্যাদি বিষয়গুলো বিরোধের জন্ম দেয়।
  • অর্থনৈতিক কারণ: ব্রিটিশদের বাংলার ধনসম্পদ লুণ্ঠনের আকাঙ্ক্ষা এবং নবাবের রাজস্ব আদায়ের উপর তাদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা।
  • ষড়যন্ত্র: নবাবের সভাসদদের (যেমন মীরজাফর, জগৎশেঠ, উমিচাঁদ, রায়দুর্লভ, ঘসেটি বেগম) ব্রিটিশদের সাথে গোপন আঁতাত এবং নবাবের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতা।

যুদ্ধের ঘটনা: নবাব সিরাজউদ্দৌলা তাঁর বিশাল বাহিনী নিয়ে পলাশীর প্রান্তরে ব্রিটিশদের মুখোমুখি হন। কিন্তু মীরজাফর, যিনি নবাবের প্রধান সেনাপতি ছিলেন, যুদ্ধের ময়দানে নিষ্ক্রিয় থাকেন এবং তার বিশাল বাহিনী নিয়ে যুদ্ধ থেকে বিরত থাকেন। ফলে নবাবের অল্প সংখ্যক অনুগত বাহিনী, যেমন মীর মদন এবং মোহনলালের নেতৃত্বে যারা যুদ্ধ করছিলেন, তারা ব্রিটিশ বাহিনীর কাছে পরাজিত হন। মীর মদন এই যুদ্ধে শহীদ হন। নবাব সিরাজউদ্দৌলা পরবর্তীতে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে যান, কিন্তু বিশ্বাসঘাতকদের হাতে ধরা পড়ে নির্মমভাবে নিহত হন।

ফলাফল ও তাৎপর্য:

  • নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতন: পলাশির যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলার স্বাধীন নবাবী শাসনের অবসান হয়।
  • ব্রিটিশ শাসনের সূচনা: এই যুদ্ধের মধ্য দিয়ে ভারতে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্রিটিশরা মীরজাফরকে পুতুল নবাব হিসেবে সিংহাসনে বসায় এবং তার মাধ্যমে বাংলার সম্পদ শোষণ করতে থাকে।
  • ঔপনিবেশিক শাসন প্রতিষ্ঠা: পলাশির যুদ্ধের বিজয়ের ফলে ব্রিটিশরা ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে তাদের প্রভাব বিস্তার করে এবং প্রায় ২০০ বছরের ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের ভিত্তি স্থাপিত হয়।
  • অর্থনৈতিক শোষণ: ব্রিটিশরা বাংলার অফুরন্ত সম্পদ শোষণ করতে শুরু করে, যা বাংলার অর্থনৈতিক দুর্দশার কারণ হয় এবং পরবর্তীতে উপমহাদেশে শিল্প বিপ্লবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

পলাশির যুদ্ধ কেবল একটি সামরিক সংঘাত ছিল না, এটি ছিল ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ইতিহাসের এক টার্নিং পয়েন্ট।

ক. ইইউ
খ. ভারত
গ. কানাডা
ঘ. চীন
ব্যাখ্যাঃ

২০১৭ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার। কিন্তু ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্র সর্বাধিক পণ্য কানাডায় রপ্তানি করেছে, যা নির্দেশ করে যে কানাডা বর্তমানে তাদের বৃহত্তম রপ্তানি বাজার।

সাধারণত, রপ্তানি বাজারের বৃহত্তমতা সময়ের সাথে পরিবর্তিত হতে পারে। সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, কানাডাই যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম রপ্তানি বাজার।

ক. প্রাচীন গ্রীস সময়কাল
খ. প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তীকাল
গ. ১৬০০-১৮০০ সাল
ঘ. প্রাচীন রোম শাসনকাল
ব্যাখ্যাঃ

আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার উদ্ভব একটি দীর্ঘ ও জটিল প্রক্রিয়া, যা মূলত ইউরোপে শুরু হয়েছিল এবং ধীরে ধীরে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। এর উৎস খুঁজতে গেলে মধ্যযুগীয় ইউরোপের সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থা থেকে শুরু করে রেনেসাঁস, সংস্কার আন্দোলন, জ্ঞানালোকের যুগ এবং দুটি বিশ্বযুদ্ধের প্রভাব পর্যন্ত বিবেচনা করতে হয়।

আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার মূল বৈশিষ্ট্য: আধুনিক রাষ্ট্রকে বোঝার জন্য এর কিছু মৌলিক বৈশিষ্ট্য জানা জরুরি: ১. সার্বভৌমত্ব (Sovereignty): রাষ্ট্রের নিজস্ব ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে সর্বোচ্চ ক্ষমতা এবং বাহ্যিক নিয়ন্ত্রণ থেকে স্বাধীনতা। এটি আধুনিক রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। ২. ভূখণ্ড (Territory): সুনির্দিষ্ট ভৌগোলিক সীমানা। ৩. জনগণ (Population): নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের মধ্যে বসবাসকারী জনগণ। ৪. সরকার (Government): জনগণকে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার জন্য একটি সুসংগঠিত সরকার ব্যবস্থা। ৫. জাতীয়তা (Nationality): রাষ্ট্রের অন্তর্গত জনগণের মধ্যে একাত্মতাবোধ।

আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার উদ্ভব ও বিবর্তন:

  • মধ্যযুগীয় ইউরোপে সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থা (Feudalism in Medieval Europe):

    • মধ্যযুগে রাষ্ট্র বলতে আজকের মতো সুসংগঠিত কোনো একক অস্তিত্ব ছিল না। ক্ষমতা ছিল খণ্ড খণ্ড, রাজা, ভূস্বামী, চার্চ এবং বিভিন্ন স্থানীয় শক্তির মধ্যে বিভক্ত।
    • সার্বভৌমত্বের ধারণা ছিল অনুপস্থিত। রাজনৈতিক আনুগত্য ছিল ব্যক্তিগত সম্পর্কের উপর নির্ভরশীল, যেমন লর্ড ও ভ্যাসালের সম্পর্ক।
  • ওয়েস্টফালিয়া শান্তি চুক্তি (Peace of Westphalia, ১৬৪৮):

    • ত্রিশ বছর যুদ্ধের (১৬১৮-১৬৪৮) সমাপ্তি ঘটে এই চুক্তির মাধ্যমে। এই চুক্তিকে আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার (বিশেষ করে ওয়েস্টফালিয়ান সার্বভৌমত্বের) সূচনালগ্ন হিসেবে ধরা হয়।
    • চুক্তির মাধ্যমে ইউরোপের প্রতিটি রাজ্যের সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দেওয়া হয় এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরের হস্তক্ষেপ না করার নীতি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর ফলে রাজনৈতিক ক্ষমতা একটি এককেন্দ্রিক কাঠামোর দিকে অগ্রসর হতে শুরু করে।
  • absolutism এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কেন্দ্রীকরণ (Absolutism and Centralization of State Power):

    • ষোড়শ ও সপ্তদশ শতকে ইউরোপে রাজতন্ত্রের ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হতে শুরু করে। রাজা নিজেকে রাষ্ট্রের সর্বেসর্বা হিসেবে ঘোষণা করেন এবং সমস্ত ক্ষমতা নিজের হাতে তুলে নেন।
    • নিয়মিত সেনাবাহিনী, কেন্দ্রীভূত আমলাতন্ত্র এবং কর ব্যবস্থার মাধ্যমে রাষ্ট্রের ক্ষমতা আরও সুসংহত হয়।
  • রেনেসাঁস ও জ্ঞানালোকের প্রভাব (Influence of Renaissance and Enlightenment):

    • রেনেসাঁস মানবিকতা এবং যুক্তিবাদের জন্ম দেয়, যা চার্চের প্রভাব হ্রাস করে এবং রাষ্ট্রকে ধর্মীয় বন্ধন থেকে মুক্ত করার পথ তৈরি করে।
    • জ্ঞানালোকের দার্শনিকরা (যেমন লক, রুশো, মন্টেস্কিউ) সামাজিক চুক্তি, জনগণের সার্বভৌমত্ব, ক্ষমতার বিভাজন এবং প্রাকৃতিক অধিকারের মতো ধারণাগুলো উপস্থাপন করেন, যা আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের ভিত্তি স্থাপন করে।
  • ফরাসি বিপ্লব (French Revolution, ১৭৮৯) ও জাতীয়তাবাদ (Nationalism):

    • ফরাসি বিপ্লব 'জনগণের সার্বভৌমত্ব' এবং 'জাতীয়তাবাদ'-এর ধারণাকে শক্তিশালী করে। জনগণই রাষ্ট্রের ক্ষমতার উৎস - এই ধারণাটি জনপ্রিয় হয়।
    • জাতীয়তাবাদ রাষ্ট্রকে একটি অভিন্ন সংস্কৃতি, ভাষা ও ইতিহাসের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ করে। এটি জাতি-রাষ্ট্র (Nation-state) ধারণার জন্ম দেয়, যেখানে একটি নির্দিষ্ট জাতির নিজস্ব রাষ্ট্র থাকে।
  • শিল্প বিপ্লব ও পুঁজিবাদ (Industrial Revolution and Capitalism):

    • শিল্প বিপ্লব সমাজের অর্থনৈতিক কাঠামো পরিবর্তন করে, যার ফলে নতুন সামাজিক শ্রেণি (বুর্জোয়া এবং শ্রমিক শ্রেণি) এবং নতুন অর্থনৈতিক চাহিদা তৈরি হয়।
    • পুঁজিবাদী অর্থনীতির বিকাশের সাথে সাথে রাষ্ট্রকে বাজারের কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে নতুন ভূমিকা পালন করতে হয়।
  • দুটি বিশ্বযুদ্ধ ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের উদ্ভব (Two World Wars and Emergence of International Institutions):

    • বিংশ শতাব্দীর দুটি বিশ্বযুদ্ধ আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ জানায়। একই সাথে, যুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞ আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান যেমন জাতিসংঘ (UN) গঠনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।
    • যুদ্ধের পর উপনিবেশবাদের অবসান ঘটে এবং অনেক নতুন স্বাধীন জাতি-রাষ্ট্রের জন্ম হয়।

উপসংহার: আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থা কোনো একক ঘটনা বা নির্দিষ্ট সময়ের ফল নয়, বরং এটি একটি ধারাবাহিক বিবর্তনের ফল যা প্রায় ৫০০ বছরের বেশি সময় ধরে চলেছে। ওয়েস্টফালিয়া শান্তি চুক্তিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক ধরা হলেও, ফরাসি বিপ্লব এবং জ্ঞানালোকের ধারণাগুলো এর গণতান্ত্রিক ও জাতীয়তাবাদী রূপ দিতে সহায়ক হয়েছিল। বর্তমানে, আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থা তার সার্বভৌমত্ব, ভূখণ্ড, জনগণ ও সরকার - এই চারটি মূল স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে আছে।

ক. জেনেভা
খ. ভিয়েনা
গ. জেদ্দা
ঘ. বাগদাদ
ব্যাখ্যাঃ

১৯৬০ সালে ওপেক (OPEC - Organization of the Petroleum Exporting Countries) প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সময় এর সদর দপ্তর প্রাথমিকভাবে জেনেভা, সুইজারল্যান্ডে স্থাপিত হয়েছিল।

তবে, ১৯৬৬ সালে এর সদর দপ্তর জেনেভা থেকে ভিয়েনা, অস্ট্রিয়াতে স্থানান্তরিত হয়, এবং তখন থেকেই ভিয়েনা ওপেকের স্থায়ী সদর দপ্তর।

ক. হিলারি ক্লীন্টন
খ. থেরেসা মে
গ. এঞ্জেলা মার্কেল
ঘ. শেখ হাসিনা
ব্যাখ্যাঃ

জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির (UNEP - United Nations Environment Programme) সর্বোচ্চ পরিবেশগত সম্মাননা হলো 'চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ' (Champions of the Earth) খেতাব। এটি কোনো একক ব্যক্তিকে দেওয়া হয় না, বরং প্রতি বছর বিভিন্ন ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা সংস্থাকে তাদের অসামান্য পরিবেশগত অবদানের জন্য এই খেতাব দেওয়া হয়।

অতএব, কোন একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তি এই খেতাবপ্রাপ্ত নন, বরং বিভিন্ন সময়ে অনেক ব্যক্তি ও সংস্থা এই সম্মাননা পেয়েছেন।

কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা দেশ থেকে কেউ এই খেতাব পেয়েছেন কিনা, তাহলে সেই তথ্য। যেমন:

  • বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৫ সালে "নীতিগত নেতৃত্ব" (Policy Leadership) ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার পেয়েছিলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় তার নেতৃত্ব এবং পরিবেশ সুরক্ষায় তার অঙ্গীকারের স্বীকৃতিস্বরূপ।
ক. ১৪.৭৯ শতাংশ
খ. ১৬ শতাংশ
গ. ১২ শতাংশ
ঘ. ১৮ শতাংশ
ব্যাখ্যাঃ

অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৮ অনুসারে ২০১৬ - ১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান ১৪.৭৪ শতাংশ।

এছাড়া বিবিএস - এর চূড়ান্ত হিসাব মতে ২০১৭ - ১৮ অর্থবছরে অবদান ১৪.১৯ শতাংশ।

ক. ইউএম এন ও
খ. বারিসান ন্যাশনাল
গ. পাটি পেরিকাতান
ঘ. পাকাতান-হারাপান
ব্যাখ্যাঃ

৯২ বছর বয়সে (২০১৮ সালের নির্বাচনের সময়) মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ-এর রাজনৈতিক জোটের নাম ছিল পাকাতান হারাপান (Pakatan Harapan), যার অর্থ "আশার জোট"।

এই জোটটি ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করে মালয়েশিয়ার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দীর্ঘদিনের ক্ষমতাসীন বারিসান ন্যাশনাল জোটকে ক্ষমতাচ্যুত করে।

ক. ১৯১১ সালে
খ. ১৯১২ সালে
গ. ১৯০৮ সালে
ঘ. ১৯০৯ সালে
ব্যাখ্যাঃ

বঙ্গভঙ্গ রদ বলতে ১৯০৫ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারত সরকার কর্তৃক বাংলা প্রদেশকে প্রশাসনিক সুবিধার অজুহাতে দ্বিখণ্ডিত করার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তা পরবর্তীতে বাতিল করাকে বোঝায়।

বঙ্গভঙ্গ (Partition of Bengal):

  • তারিখ: ১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর।
  • কর্তনকারী: ব্রিটিশ ভারতের তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড কার্জন
  • কারণ: ব্রিটিশদের দাবি ছিল প্রশাসনিক সুবিধার জন্য এই বিভাজন, কারণ বাংলা প্রদেশ ছিল বিশাল এবং প্রশাসনিকভাবে পরিচালনা করা কঠিন।
  • বিভাজন: বাংলা প্রদেশকে দুটি নতুন প্রদেশে বিভক্ত করা হয়েছিল:
    • পূর্ববঙ্গ ও আসাম: যার রাজধানী ছিল ঢাকা। এই প্রদেশের অধিকাংশ অধিবাসী ছিল মুসলমান।
    • পশ্চিমবঙ্গ: যার রাজধানী ছিল কলকাতা। এই প্রদেশের অধিকাংশ অধিবাসী ছিল হিন্দু।
  • উদ্দেশ্য: সমালোচকদের মতে, ব্রিটিশদের মূল উদ্দেশ্য ছিল 'বিভক্ত করো এবং শাসন করো' (Divide and Rule) নীতি অনুসরণ করে বাঙালি হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা এবং জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে দুর্বল করা।

বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন: বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে বাঙালি হিন্দু ও মুসলমান উভয় সম্প্রদায় থেকে তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়। এর প্রতিবাদে স্বদেশী আন্দোলন ও বয়কট আন্দোলন শুরু হয়, যেখানে বিদেশি পণ্য বর্জন এবং দেশীয় পণ্য ব্যবহারের উপর জোর দেওয়া হয়। এই আন্দোলন ব্যাপক জনসমর্থন লাভ করে এবং ব্রিটিশ সরকারের উপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করে।

বঙ্গভঙ্গ রদ (Annulment of Partition of Bengal):

  • তারিখ: ১৯১১ সালের ১২ ডিসেম্বর।
  • ঘোষণা: ব্রিটিশ সম্রাট পঞ্চম জর্জ এবং ভারত সচিব লর্ড হার্ডিঞ্জ দিল্লিতে একটি দরবারে বঙ্গভঙ্গ রদের ঘোষণা দেন।
  • কারণ: বঙ্গভঙ্গ বিরোধী তীব্র আন্দোলন এবং এর ফলে উদ্ভূত রাজনৈতিক অস্থিরতা ব্রিটিশ সরকারকে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য করে।
  • ফলাফল:
    • বাংলা আবার একত্রিত হয়, তবে এটি একটি নতুন প্রশাসনিক বিন্যাসে।
    • বিহার ও উড়িষ্যাকে বাংলা থেকে পৃথক করে নতুন প্রদেশ গঠন করা হয়।
    • ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে স্থানান্তর করা হয়।

তাৎপর্য: বঙ্গভঙ্গ রদ ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে ভারতীয় জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের একটি বড় বিজয় ছিল। এটি প্রমাণ করেছিল যে, ঐক্যবদ্ধ জনমত এবং আন্দোলনের মাধ্যমে ব্রিটিশদের সিদ্ধান্তকেও প্রভাবিত করা সম্ভব। তবে, বঙ্গভঙ্গ রদ হলেও এর ফলে সৃষ্ট সাম্প্রদায়িক বিভেদ এবং অবিশ্বাস সম্পূর্ণরূপে দূর হয়নি, যা পরবর্তীতে ভারত ভাগের ক্ষেত্রেও কিছুটা প্রভাব ফেলেছিল।

ক. হোয়াংহো নদীর তীরে
খ. ইয়াংসিকিয়াং নদীর তীরে
গ. নীলনদের তীরে
ঘ. ট্রাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদীর তীরে
ব্যাখ্যাঃ

মেসোপটেমীয় সভ্যতা মানব ইতিহাসের প্রাচীনতম ও গুরুত্বপূর্ণ সভ্যতাগুলোর মধ্যে অন্যতম। 'মেসোপটেমিয়া' একটি গ্রিক শব্দ, যার অর্থ 'দুই নদীর মধ্যবর্তী ভূমি'। এই নামটি ইউফ্রেটিস (Euphrates) ও টাইগ্রিস (Tigris) নদীর মধ্যবর্তী উর্বর ভূমিকে নির্দেশ করে, যা বর্তমান ইরাক, সিরিয়া এবং তুরস্কের কিছু অংশ জুড়ে বিস্তৃত।

সময়কাল: মেসোপটেমীয় সভ্যতার সূচনা খ্রিস্টপূর্ব ৩৫০০ অব্দের কাছাকাছি সময়ে, এবং এটি খ্রিস্টপূর্ব ৫৩৯ অব্দ পর্যন্ত টিকে ছিল যখন পারস্য সাম্রাজ্য বাবিল দখল করে।

গুরুত্বপূর্ণ সভ্যতা ও সাম্রাজ্যসমূহ: মেসোপটেমিয়াতে একাধিক সভ্যতা ও সাম্রাজ্য গড়ে উঠেছিল, যাদের প্রত্যেকেরই নিজস্ব অবদান ছিল:

১. সুমেরীয় সভ্যতা (Sumerian Civilization) - প্রায় ৩৫০০-২০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ:

  • অবস্থান: মেসোপটেমিয়ার দক্ষিণ অংশ।
  • অবদান:
    • লিখিত ভাষা: বিশ্বের প্রাচীনতম লিখিত ভাষা 'কিউনিফর্ম' (Cuneiform) আবিষ্কার করেন। এটি ছিল কীলকাকার লিখন পদ্ধতি।
    • শহর-রাষ্ট্র: প্রথম শহর-রাষ্ট্রগুলোর (যেমন উর, উরুক, লাগাশ, নিপ্পুর) জন্ম দেন। প্রতিটি শহর-রাষ্ট্রের নিজস্ব শাসক এবং দেবতা ছিল।
    • চাকা: চাকার আবিষ্কারের জন্য সুমেরীয়রা বিখ্যাত, যা পরিবহন ও কৃষিতে বিপ্লব এনেছিল।
    • সেচ ব্যবস্থা: উন্নত সেচ ব্যবস্থার মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করেন।
    • গণিত ও জ্যোতির্বিজ্ঞান: ৬০-ভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতি এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রাথমিক ধারণাগুলোর বিকাশ ঘটান।

২. আক্কাদীয় সাম্রাজ্য (Akkadian Empire) - প্রায় ২৩৩৪-২১৫৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দ:

  • প্রতিষ্ঠাতা: সারগন অফ আক্কাদ।
  • অবস্থান: মেসোপটেমিয়ার উত্তরাংশ, সুমেরীয়দের উত্তর দিকে।
  • গুরুত্ব: এটি ছিল বিশ্বের প্রথম দিকের সাম্রাজ্যগুলোর একটি, যা সুমেরীয় শহর-রাষ্ট্রগুলোকে একত্রিত করে। আক্কাদীয়রা সুমেরীয় কিউনিফর্ম লিপি গ্রহণ করে এবং সেমিটিক আক্কাদীয় ভাষা ব্যবহার করত।

৩. ব্যাবিলনীয় সাম্রাজ্য (Babylonian Empire) - প্রায় ১৮৯৪-১৫৯৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দ (প্রাচীন বাবিল) এবং ৬২৬-৫৩৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দ (নব্য বাবিল):

  • অবস্থান: মেসোপটেমিয়ার কেন্দ্রীয় অংশ।
  • অবদান:
    • হাম্মুরাবির আইন সংহিতা (Code of Hammurabi): প্রাচীনতম ও সবচেয়ে সুসংগঠিত লিখিত আইন সংহিতা, যা 'চক্ষুর বদলে চক্ষু' নীতির জন্য বিখ্যাত।
    • গণিত ও জ্যোতির্বিজ্ঞান: উন্নত গণিত এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানের জ্ঞান ছিল। তারা জ্যোতির্বিজ্ঞানের উপর ভিত্তি করে ক্যালেন্ডার তৈরি করেছিল।
    • ঝুলন্ত উদ্যান (Hanging Gardens of Babylon): নব্য বাবিলীয় সাম্রাজ্যের শাসক নেবুচাদনেজারের সময়কালে নির্মিত এই উদ্যানটি প্রাচীন বিশ্বের সপ্ত আশ্চর্যের একটি হিসেবে পরিচিত।
    • জিগুরাত (Ziggurat): ধর্মীয় উদ্দেশ্যে নির্মিত বিশাল পিরামিড-সদৃশ মন্দির।

৪. অ্যাসিরীয় সাম্রাজ্য (Assyrian Empire) - প্রায় ২৫০০-৬১২ খ্রিস্টপূর্বাব্দ (বিভিন্ন পর্যায়):

  • অবস্থান: মেসোপটেমিয়ার উত্তরাংশ।
  • অবদান:
    • সামরিক শক্তি: অ্যাসিরীয়রা তাদের শক্তিশালী সামরিক বাহিনী এবং যুদ্ধকৌশলের জন্য পরিচিত ছিল। তারা লোহার অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করত।
    • প্রশাসন: একটি বিশাল এবং সুসংগঠিত সাম্রাজ্য পরিচালনা করত।
    • লাইব্রেরি: নিনেভেতে রাজা আশুরবানিপালের বিখ্যাত লাইব্রেরি ছিল, যেখানে হাজার হাজার কিউনিফর্ম ট্যাবলেট সংরক্ষিত ছিল।

মেসোপটেমীয় সভ্যতার সাধারণ বৈশিষ্ট্য ও অবদান:

  • নদী নির্ভরতা: ইউফ্রেটিস ও টাইগ্রিস নদীর পানি কৃষিকাজ ও সেচ ব্যবস্থার জন্য অপরিহার্য ছিল।
  • ধর্ম: বহু-ঈশ্বরবাদী ধর্ম ছিল। প্রতিটি শহর-রাষ্ট্রের নিজস্ব পৃষ্ঠপোষক দেবতা ছিল।
  • স্থাপত্য: জিগুরাত এবং শহরের দেয়াল নির্মাণে তারা সিদ্ধহস্ত ছিল।
  • শিল্পকলা: সিলিন্ডার সীল, ভাস্কর্য এবং ধাতব শিল্পে তাদের নৈপুণ্য ছিল।
  • আইন ও বিচার: হাম্মুরাবির আইন সংহিতা একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান।
  • শিক্ষা ও সাহিত্য: গিলগামেশের মহাকাব্য (Epic of Gilgamesh) প্রাচীনতম সাহিত্যকর্মগুলোর মধ্যে অন্যতম।

মেসোপটেমীয় সভ্যতার উদ্ভাবনগুলো পরবর্তী সভ্যতাগুলোর বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এবং মানব সভ্যতার অগ্রগতিতে এক বিশাল অবদান রেখেছে।

ক. রাষ্ট্রপতি
খ. জাতীয় সংসদ
গ. প্রধানমন্ত্রী
ঘ. স্পীকার
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়াটি বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী পরিচালিত হয়। এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক পদ।

নিয়োগ প্রক্রিয়া:

বাংলাদেশের সংবিধানের ৪৮(৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, "প্রধানমন্ত্রী ব্যতীত রাষ্ট্রপতি তাহার অন্যান্য সকল দায়িত্ব পালনে প্রধানমন্ত্রীর সহিত পরামর্শ করিবেন।" তবে, সংবিধানের ৯৪(২) অনুচ্ছেদ এ বলা হয়েছে, "প্রধান বিচারপতি এবং অন্যান্য বিচারকগণ রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন।" এই দুটি অনুচ্ছেদের সম্মিলিত ব্যাখ্যায় দেখা যায় যে, প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতিকে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ নিতে হয় না। রাষ্ট্রপতি নিজ ক্ষমতাবলে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেন।

তবে, অন্যান্য বিচারকদের নিয়োগের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতির পরামর্শ নিতে পারেন, যদিও এটি বাধ্যতামূলক নয়।

সারসংক্ষেপ:

  • নিয়োগকারী: বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি
  • পরামর্শের বাধ্যবাধকতা: প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ নিতে বাধ্য নন। এটি রাষ্ট্রপতির স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা (discretionary power)।
  • যোগ্যতা: বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হতে হলে সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারক (হাইকোর্ট বিভাগ বা আপিল বিভাগ) হিসেবে ন্যূনতম কিছু সময় কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। তবে, সংবিধান নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা উল্লেখ করেনি। সাধারণত, আপিল বিভাগের সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার একটি প্রথা (seniority convention) রয়েছে, যদিও এটি কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয় না এবং রাষ্ট্রপতি এই প্রথা ভঙ্গ করে অন্য কোনো বিচারপতিকেও নিয়োগ দিতে পারেন।

এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং কার্যকারিতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ক. বক্র
খ. গরল
গ. কুটিল
ঘ. জটিল
ব্যাখ্যাঃ

গরল হলো সেই শব্দটি যা 'সরল' এর বিপরীতার্থক নয়।

  • কঃ বক্র: 'সরল' (straight) এর বিপরীত 'বক্র' (curved/bent)। এটি সঠিক বিপরীতার্থক শব্দ।
  • খঃ গরল: 'গরল' মানে বিষ। 'সরল' এর সাথে এর কোনো বিপরীত সম্পর্ক নেই।
  • গঃ কুটিল: 'সরল' (straightforward/simple) এর বিপরীত 'কুটিল' (cunning/complex)। এটি সঠিক বিপরীতার্থক শব্দ।
  • ঘঃ জটিল: 'সরল' (simple) এর বিপরীত 'জটিল' (complex)। এটি সঠিক বিপরীতার্থক শব্দ।
ক. লিসবন
খ. কনস্টান্টিনোপল
গ. প্যারিস
ঘ. ভিয়েনা
ব্যাখ্যাঃ

বাইজেনটাইন সাম্রাজ্য, যা পূর্ব রোমান সাম্রাজ্য নামেও পরিচিত, ছিল রোমান সাম্রাজ্যের পূর্বাঞ্চলীয় অংশ যা পশ্চিম রোমান সাম্রাজ্যের পতনের (৪৭৬ খ্রিষ্টাব্দ) পরেও প্রায় এক হাজার বছর ধরে টিকে ছিল। এর রাজধানী ছিল কনস্টান্টিনোপল (বর্তমান ইস্তাম্বুল, তুরস্ক)।

গুরুত্বপূর্ণ দিকসমূহ:

১. রাজধানী কনস্টান্টিনোপল:

  • ইউরোপ ও এশিয়ার সংযোগস্থলে অবস্থিত হওয়ায় এটি ছিল একটি কৌশলগত ও বাণিজ্যিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শহর।
  • এর শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শহরটিকে দীর্ঘকাল ধরে অক্ষত রাখতে সাহায্য করেছিল।
  • এটি ছিল বাইজেনটাইন সাম্রাজ্যের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।

২. সংস্কৃতি ও ভাষা:

  • যদিও এটি রোমান সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকার ছিল, বাইজেনটাইন সংস্কৃতিতে গ্রিক প্রভাব ছিল প্রবল। গ্রিক ছিল সাম্রাজ্যের প্রধান ভাষা (ল্যাটিনের পরিবর্তে)।
  • রোমান আইন ও গ্রিক দর্শনের সংমিশ্রণে একটি অনন্য সংস্কৃতি গড়ে ওঠে।

৩. ধর্ম: অর্থোডক্স খ্রিস্ট ধর্ম:

  • বাইজেনটাইন সাম্রাজ্য ছিল অর্থোডক্স খ্রিস্টধর্মের কেন্দ্র। কনস্টান্টিনোপলের প্যাট্রিয়ার্ক ছিলেন অর্থোডক্স চার্চের প্রধান।
  • পশ্চিমা ক্যাথলিক চার্চের সাথে তাদের প্রায়শই ধর্মতাত্ত্বিক ও রাজনৈতিক বিরোধ লেগে থাকত, যা ১০৫৪ খ্রিষ্টাব্দে 'পূর্ব-পশ্চিম বিভেদ' (East-West Schism) এর মাধ্যমে চূড়ান্ত রূপ নেয়।

৪. আইন ব্যবস্থা:

  • জাস্টিনিয়ানের কোড (Corpus Juris Civilis): সম্রাট জাস্টিনিয়ান আই (৫২৭-৫৬৫ খ্রিষ্টাব্দ) রোমান আইনের একটি ব্যাপক সংকলন তৈরি করেন, যা 'জাস্টিনিয়ানের কোড' নামে পরিচিত। এটি বিশ্বের আইনি ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী দলিল এবং আধুনিক ইউরোপীয় আইনের ভিত্তি।

৫. সামরিক শক্তি:

  • বাইজেনটাইন সেনাবাহিনী ছিল অত্যন্ত সুসংগঠিত এবং প্রশিক্ষিত। তারা 'গ্রিক ফায়ার' (Greek Fire) এর মতো উন্নত সামরিক প্রযুক্তি ব্যবহার করত।
  • মুসলিম খিলাফত, বুলগার, স্লাভ এবং পশ্চিমা ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে তারা দীর্ঘকাল যুদ্ধ করে টিকে ছিল।

৬. পতন:

  • সাম্রাজ্য ধীরে ধীরে দুর্বল হতে থাকে বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ সংঘাত, অর্থনৈতিক সমস্যা এবং বাইরের শক্তির (বিশেষ করে সেলজুক তুর্কি এবং অটোমান তুর্কি) ক্রমাগত আক্রমণের কারণে।
  • ১৪৫৩ সালের ২৯ মে: অটোমান সুলতান দ্বিতীয় মেহমেদের নেতৃত্বে তুর্কি বাহিনী কনস্টান্টিনোপল দখল করে নেয়। এটি ছিল বাইজেনটাইন সাম্রাজ্যের চূড়ান্ত পতন।

ঐতিহাসিক তাৎপর্য:

  • প্রাচীন গ্রিক-রোমান সংস্কৃতির সংরক্ষণ: বাইজেনটাইন সাম্রাজ্য এক হাজার বছর ধরে প্রাচীন গ্রিক ও রোমান জ্ঞান, দর্শন, সাহিত্য এবং শিল্পকলার সংরক্ষণ ও বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • ইউরোপকে রক্ষা: এটি বহু শতাব্দী ধরে এশিয়া থেকে ইউরোপে মুসলিম আক্রমণ ঠেকিয়ে রেখেছিল, যা ইউরোপের খ্রিস্টীয় সংস্কৃতি ও সভ্যতার বিকাশে পরোক্ষভাবে সহায়তা করেছিল।
  • ইউরোপীয় রেনেসাঁসের অনুপ্রেরণা: বাইজেনটাইন সাম্রাজ্যের পতন এবং গ্রিক পণ্ডিতদের পশ্চিমা ইউরোপে স্থানান্তর রেনেসাঁসের বিকাশে ভূমিকা রেখেছিল।
  • অর্থোডক্স চার্চের কেন্দ্র: পূর্ব ইউরোপ এবং রাশিয়ায় অর্থোডক্স খ্রিস্টধর্মের বিস্তার ও প্রসারে বাইজেনটাইন সাম্রাজ্যের অবদান অনস্বীকার্য।

সংক্ষেপে, বাইজেনটাইন সাম্রাজ্য ছিল একটি দীর্ঘস্থায়ী এবং প্রভাবশালী শক্তি, যা রোমান সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকার বহন করে এবং মধ্যযুগীয় ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাসে গভীর প্রভাব ফেলেছিল।

ক. ডেনমার্ক
খ. বেলজিয়াম
গ. নরওয়ে
ঘ. ফিনল্যান্ড
ব্যাখ্যাঃ

ফোকেটিং (Folketing) হলো ডেনমার্কের জাতীয় আইনসভা (পার্লামেন্ট)। এটি ডেনমার্কের এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা।

এখানে ফোকেটিং সম্পর্কে কিছু তথ্য দেওয়া হলো:

  • দেশ: ডেনমার্ক
  • প্রকার: এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা (Unicameral Parliament)। এর কোনো উচ্চকক্ষ বা নিম্নকক্ষ নেই, কেবল একটি কক্ষই আইন প্রণয়নের কাজ করে।
  • সদস্য সংখ্যা: মোট ১৭৯ জন সদস্য। এর মধ্যে ১৭৫ জন সদস্য ডেনমার্ক থেকে নির্বাচিত হন এবং ফারো দ্বীপপুঞ্জ ও গ্রিনল্যান্ড থেকে প্রত্যেকে ২ জন করে মোট ৪ জন সদস্য নির্বাচিত হন।
  • নির্বাচন পদ্ধতি: সদস্যরা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির (Proportional Representation) মাধ্যমে ৪ বছরের জন্য নির্বাচিত হন।
  • কার্যাবলী:
    • আইন প্রণয়ন।
    • সরকার গঠন ও তত্ত্বাবধান।
    • জাতীয় বাজেট অনুমোদন।
    • আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুমোদন।
    • প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা।

ফোকেটিং ডেনমার্কের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দু এবং এটি দেশটির রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

৮৫. Cozy Bear একটি কি?

[ বিসিএস ৩৯তম ]

ক. চুক্তি
খ. হ্যাকার গ্রুপ
গ. বিনোদনকেন্দ্র
ঘ. নদী
ব্যাখ্যাঃ

Cozy Bear হলো একটি সুপরিচিত রাশিয়ান সাইবার গুপ্তচরবৃত্তির দল (Russian state-sponsored hacking group)। এটি APT29 এবং Nobelium নামেও পরিচিত।

এটি রাশিয়ার বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থা (Foreign Intelligence Service - SVR) দ্বারা পরিচালিত বলে ব্যাপকভাবে বিশ্বাস করা হয়। Cozy Bear বিভিন্ন সরকার, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, এবং প্রতিরক্ষা শিল্পের সাথে জড়িত সংস্থাগুলোকে লক্ষ্য করে সাইবার আক্রমণ পরিচালনা করে থাকে।

তাদের সবচেয়ে বিখ্যাত আক্রমণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কমিটি (DNC) হ্যাক করা। এছাড়াও, তারা সাম্প্রতিক সময়ে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের গবেষণার সাথে জড়িত প্রতিষ্ঠান এবং SolarWinds সাপ্লাই চেইন আক্রমণের জন্যও দায়ী।

সংক্ষেপে, Cozy Bear হলো একটি রাষ্ট্র-সমর্থিত হ্যাকিং গ্রুপ যা সাইবার গুপ্তচরবৃত্তির কাজে জড়িত।

ক. মন্টিনিগ্রো
খ. লিথুনিয়া
গ. আলবেনিয়া
ঘ. ক্রোয়েশিয়া
ব্যাখ্যাঃ

ন্যাটোর (NATO - North Atlantic Treaty Organization) সর্বশেষ সদস্য রাষ্ট্র হলো সুইডেন (Sweden)

সুইডেন ২০২৪ সালের ৭ মার্চ ন্যাটোর ৩১তম সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করে। এর আগে, ২০২৩ সালের ৪ এপ্রিল ফিনল্যান্ড (Finland) ন্যাটোর ৩০তম সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে যোগদান করেছিল।

ক. প্রধানমন্ত্রী
খ. রাষ্ট্রপতি
গ. মন্ত্রী
ঘ. সচিব
ব্যাখ্যাঃ

'প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতা' বলতে বোঝায় একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সরকার পরিচালনার সর্বোচ্চ ক্ষমতা এবং সেই ক্ষমতা প্রয়োগের প্রক্রিয়া। এটি রাষ্ট্রের তিনটি প্রধান ক্ষমতার (আইন প্রণয়ন ক্ষমতা, নির্বাহী ক্ষমতা এবং বিচারিক ক্ষমতা) অন্যতম।

বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতা সংক্রান্ত বিধানগুলো নিম্নরূপ:

১. নির্বাহী ক্ষমতার অধিকারী:

  • সংবিধানের ৫৫(১) অনুচ্ছেদ: "প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি মন্ত্রিসভা থাকিবে এবং প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীগণকে লইয়া এই মন্ত্রিসভা গঠিত হইবে।"
  • সংবিধানের ৫৫(২) অনুচ্ছেদ: "গণপ্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক অথবা তাঁহার কর্তৃত্বে প্রযুক্ত হইবে।"

এর অর্থ হলো, সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহী হলেন প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রপতি যদিও রাষ্ট্রের প্রধান, তবে তিনি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করেন (কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্র ছাড়া, যেমন প্রধান বিচারপতির নিয়োগ)।

২. নির্বাহী ক্ষমতার প্রয়োগ:

  • নির্বাহী ক্ষমতা বলতে আইন প্রয়োগ, প্রশাসন পরিচালনা, সরকারি নীতি বাস্তবায়ন, বিদেশি রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক স্থাপন, প্রতিরক্ষা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কার্যক্রম তদারকি ইত্যাদি বিষয়গুলো বোঝায়।
  • এই ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রী এবং তার নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার মাধ্যমে পরিচালিত হয়। প্রতিটি মন্ত্রী নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

৩. জবাবদিহিতা:

  • বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাহী বিভাগ তাদের কাজের জন্য সংসদের কাছে সম্মিলিতভাবে ও পৃথকভাবে দায়ী থাকে।
  • সংবিধানের ৫৫(৩) অনুচ্ছেদ: "প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীগণ সম্মিলিতভাবে সংসদের নিকট দায়ী থাকিবেন।"

৪. রাষ্ট্রপতির ভূমিকা:

  • রাষ্ট্রপতি হলেন রাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক প্রধান (Head of State)।
  • সংবিধানের ৪৮(৩) অনুচ্ছেদ: "প্রধানমন্ত্রী ব্যতীত রাষ্ট্রপতি তাহার অন্যান্য সকল দায়িত্ব পালনে প্রধানমন্ত্রীর সহিত পরামর্শ করিবেন।" এর মানে হলো, অধিকাংশ নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ নিতে বাধ্য। তবে, প্রধান বিচারপতির নিয়োগ এবং প্রধানমন্ত্রীর নিয়োগের মতো কিছু বিষয়ে রাষ্ট্রপতির নিজস্ব ক্ষমতা রয়েছে, যেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ নিতে বাধ্য নন।

সংক্ষেপে, বাংলাদেশের প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার হাতে ন্যস্ত এবং তারা তাদের কাজের জন্য সংসদের কাছে জবাবদিহি করেন। রাষ্ট্রপতি মূলত আনুষ্ঠানিক প্রধান হিসেবে কাজ করেন, তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে তার নিজস্ব ক্ষমতা বিদ্যমান।

ক. Planet 50-50
খ. এমডিজি অ্যাওয়ার্ড ২০১০
গ. জাতিসংঘ শান্তি পুরস্কার
ঘ. সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রী
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুমৃত্যুর হার কমানোর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্যের জন্য জাতিসংঘের মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল (MDG) পুরস্কার ২০১১ লাভ করেন।

এই পুরস্কারটি তাকে ২০১০ সালে মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলস (MDG) অর্জনে, বিশেষ করে শিশুমৃত্যু কমানোর (MDG 4) ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্যের জন্য দেওয়া হয়। পুরস্কারটি ২০১১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে তাকে হস্তান্তর করা হয়।

ক. মালয়েশিয়া
খ. মিয়ানমার
গ. ভারত
ঘ. থাইল্যান্ড
ব্যাখ্যাঃ

ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (National League for Democracy - NLD) হলো মিয়ানমারের (বার্মা) একটি প্রধান রাজনৈতিক দল। এই দলটি গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের জন্য তাদের দীর্ঘ সংগ্রামের জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত।

এখানে NLD সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হলো:

  • প্রতিষ্ঠা: ২৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৮।
  • প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নেতৃত্ব: দলটির সবচেয়ে পরিচিত মুখ এবং কার্যত প্রতিষ্ঠাতা হলেন আং সান সু চি (Aung San Suu Kyi)। তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী এবং মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের একজন আইকন।
  • প্রতিষ্ঠার কারণ: ১৯৮৮ সালের গণঅভ্যুত্থানের (8888 Uprising) পর সামরিক শাসনের অবসানের লক্ষ্যে এবং মিয়ানমারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য এই দলটি গঠিত হয়।
  • গণতান্ত্রিক সংগ্রাম: NLD প্রতিষ্ঠার পর থেকে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম করেছে। আং সান সু চিকে দীর্ঘ সময় ধরে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছিল।
  • ১৯৯০ সালের নির্বাচন: ১৯৯০ সালে মিয়ানমারে একটি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে NLD নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু সামরিক জান্তা নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অস্বীকার করে।
  • ২০১৫ সালের নির্বাচন: দীর্ঘ সংগ্রামের পর, ২০১৫ সালের সাধারণ নির্বাচনে NLD ভূমিধস বিজয় লাভ করে। সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতার কারণে আং সান সু চি প্রেসিডেন্ট হতে না পারলেও, তিনি 'রাষ্ট্রীয় কাউন্সিলর' (State Counsellor) নামে একটি নতুন পদ সৃষ্টি করে কার্যত সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
  • ২০২০ সালের নির্বাচন: NLD ২০২০ সালের নির্বাচনেও বিপুল ভোটে জয়লাভ করে।
  • ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থান: ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ তারিখে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী (তাতমাদাও) অভ্যুত্থানের মাধ্যমে NLD সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে এবং আং সান সু চি সহ দলের শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করে। এরপর থেকে মিয়ানমার পুনরায় সামরিক শাসনের অধীনে রয়েছে এবং NLD এর কার্যক্রম সীমিত বা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
  • বর্তমান অবস্থা: সামরিক অভ্যুত্থানের পর NLD এর বহু নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার, কারাদণ্ড বা আত্মগোপনে রয়েছেন। দলটি বর্তমানে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলনের অংশ হিসেবে কাজ করছে।

সংক্ষেপে, ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের প্রতীক এবং দেশটির রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি প্রভাবশালী দল।

ক. পূর্ব এশিয়া
খ. মধ্য আমেরিকা
গ. মধ্যপ্রাচ্য
ঘ. পূর্ব আফ্রিকা
ব্যাখ্যাঃ

মায়া সভ্যতা ছিল আমেরিকার অন্যতম উন্নত ও রহস্যময় প্রাচীন সভ্যতা। এটি মেসোআমেরিকার (বর্তমান দক্ষিণ মেক্সিকো, গুয়াতেমালা, বেলিজ, এল সালভাদর এবং হন্ডুরাসের অংশবিশেষ) ক্রান্তীয় নিম্নভূমিতে বিকশিত হয়েছিল।

সময়কাল: মায়া সভ্যতার বিকাশকে সাধারণত তিনটি প্রধান যুগে ভাগ করা হয়:

  • প্রাক-ধ্রুপদী যুগ (Preclassic Period): প্রায় ২০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ - ২৫০ খ্রিস্টাব্দ। এই সময়ে প্রথম মায়া নগরীগুলো গড়ে ওঠে এবং প্রাথমিক কৃষি পদ্ধতি ও সামাজিক কাঠামো বিকশিত হয়।
  • ধ্রুপদী যুগ (Classic Period): প্রায় ২৫০ খ্রিস্টাব্দ - ৯০০ খ্রিস্টাব্দ। এটি মায়া সভ্যতার স্বর্ণযুগ হিসেবে পরিচিত। এই সময়ে বড় বড় শহর, পিরামিড, মন্দির এবং প্রাসাদ নির্মিত হয়। জ্যোতির্বিজ্ঞান, গণিত এবং লেখার পদ্ধতি এই সময়ে চূড়ান্ত রূপ লাভ করে।
  • উত্তর-ধ্রুপদী যুগ (Postclassic Period): প্রায় ৯০০ খ্রিস্টাব্দ - ১৫২১ খ্রিস্টাব্দ। ধ্রুপদী যুগের পতনের পর, কিছু মায়া শহর টিকে ছিল এবং নতুন কিছু শহর গড়ে উঠেছিল, তবে স্পেনীয় বিজয়ের সাথে সাথে এই সভ্যতার পতন ঘটে।

উল্লেখযোগ্য শহর ও কেন্দ্রসমূহ:

  • তিকাল (Tikal): ধ্রুপদী যুগের অন্যতম বৃহত্তম ও শক্তিশালী শহর-রাজ্য, যা বর্তমানে গুয়াতেমালায় অবস্থিত।
  • পালাঙ্কে (Palenque): স্থাপত্য এবং ভাস্কর্য শিল্পের জন্য বিখ্যাত, মেক্সিকোতে অবস্থিত।
  • চিচেন ইৎজা (Chichen Itza): উত্তর-ধ্রুপদী যুগের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র, ইউকাটান উপদ্বীপে অবস্থিত। এখানে কুুকুলকানের পিরামিড উল্লেখযোগ্য।
  • কোপান (Copan): হন্ডুরাসে অবস্থিত, জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং ভাস্কর্য শিল্পের জন্য পরিচিত।

মায়া সভ্যতার প্রধান অবদান ও বৈশিষ্ট্য:

১. লিখিত ভাষা ও লিপি: মায়ারা মেসোআমেরিকার একমাত্র সভ্যতা যারা একটি পূর্ণাঙ্গ লিখিত ভাষা তৈরি করেছিল, যা চিত্রলিপি (hieroglyphic) হিসেবে পরিচিত। এটি কাঠ, পাথর, সিরামিক এবং কোডেক্সে (এক ধরণের হাতে লেখা বই) খোদাই করা হতো।

২. গণিত: মায়া গণিত ছিল অত্যন্ত উন্নত। তারা শূন্যের ধারণা ব্যবহার করত, যা সেই সময়ে পৃথিবীর খুব কম সভ্যতায় প্রচলিত ছিল। তাদের সংখ্যা পদ্ধতি ছিল ২০-ভিত্তিক (vigesimal)।

৩. জ্যোতির্বিজ্ঞান ও ক্যালেন্ডার: মায়ারা জ্যোতির্বিজ্ঞানে অবিশ্বাস্যভাবে পারদর্শী ছিল। তারা সূর্য, চন্দ্র এবং শুক্র গ্রহের গতিবিধি সম্পর্কে নির্ভুল গণনা করত। তাদের দুটি প্রধান ক্যালেন্ডার ছিল:

  • সোলকিন (Tzolkin): ২৬০ দিনের ধর্মীয় ক্যালেন্ডার।
  • হাব (Haab'): ৩৬৫ দিনের সৌর ক্যালেন্ডার, যা আধুনিক ক্যালেন্ডারের মতোই ছিল।
  • এই দুটি ক্যালেন্ডারকে সমন্বয় করে তারা একটি দীর্ঘ গণনার পদ্ধতি (Long Count Calendar) তৈরি করেছিল, যা দীর্ঘ সময় ধরে ঘটনাগুলো রেকর্ড করতে ব্যবহৃত হতো।

৪. স্থাপত্য: মায়ারা বিশাল পিরামিড, মন্দির, প্রাসাদ, এবং বল কোর্ট নির্মাণ করত। তাদের স্থাপত্যে জটিল কারুকার্য এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানের জ্ঞান প্রতিফলিত হতো।

৫. কৃষি: তারা কর্ন (ভূট্টা), মটরশুঁটি, এবং স্কোয়াশ (কুমড়া জাতীয় সবজি) চাষ করত। উন্নত সেচ ব্যবস্থা এবং 'মিলপা' (Milpa) নামক স্থানান্তর চাষ পদ্ধতি ব্যবহার করত।

৬. ধর্ম: মায়ারা বহু-ঈশ্বরবাদী ছিল। তাদের ধর্মে প্রকৃতি, জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং রাজাদের গুরুত্ব ছিল। মানব বলিদান তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের একটি অংশ ছিল, যদিও ইনকা বা অ্যাজটেকদের মতো এত ব্যাপক ছিল না।

৭. রাজনৈতিক কাঠামো: মায়া সভ্যতা কোনো একক সাম্রাজ্য ছিল না, বরং এটি ছিল স্বাধীন শহর-রাজ্যগুলোর একটি সমষ্টি, যারা প্রায়শই একে অপরের সাথে যুদ্ধ করত। প্রতিটি শহর-রাজ্যের নিজস্ব শাসক (Ahau) ছিল।

ক. বাহরাইন
খ. সংযুক্ত আরব আমিরাত
গ. মিশর
ঘ. কুয়েত
ব্যাখ্যাঃ

২০১৭ সালের কাতার সংকটের সময় যে দেশগুলো কাতারের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেনি, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

  • কুয়েত
  • ওমান

এই দুটি দেশ পারস্য উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ (GCC) এর সদস্য হওয়া সত্ত্বেও নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখেছিল এবং সংকট সমাধানে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করেছিল।

অন্যদিকে, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মিশর, ইয়েমেন (আংশিকভাবে), লিবিয়া (পূর্বাঞ্চলীয় সরকার) এবং মালদ্বীপ কাতারের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল।

ক. নিউজ উইরুল (উইকস)
খ. দি ইকনমিস্ট
গ. টাইম
ঘ. গার্ডিয়ান
ব্যাখ্যাঃ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে 'রাজনীতির কবি' উপাধি দিয়েছিলেন নিউজউইক (Newsweek) ম্যাগাজিন।

১৯৭১ সালের ৫ এপ্রিল, অর্থাৎ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়, যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত নিউজউইক ম্যাগাজিনের একটি সংখ্যায় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা হয়েছিল "Poet of Politics" বা 'রাজনীতির কবি'। এই লেখায় সাংবাদিক লরেন্স ফস্টার (Lawrence F. Lifschultz - যার অন্য পরিচিতি লরেন্স লিফসুল্জ) এই উপাধি ব্যবহার করেন, যেখানে তিনি বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ এবং তাঁর নেতৃত্বকে কবিতার সাথে তুলনা করেন। এই উপাধিটি বিশ্বজুড়ে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে।

ক. ৫০
খ. ৫১
গ. ৪৮
ঘ. ৪৯
ব্যাখ্যাঃ

জাতিসংঘ (United Nations - UN) একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা যা আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা, জাতিদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং আন্তর্জাতিক সমস্যা সমাধানে সহযোগিতা করার লক্ষ্যে গঠিত হয়েছিল।

প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট: প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর প্রতিষ্ঠিত লীগ অফ নেশনস (League of Nations) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ প্রতিরোধে ব্যর্থ হওয়ার পর, বিশ্ব নেতৃবৃন্দ একটি শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা এবং এর ধ্বংসযজ্ঞ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শান্তি ও সহযোগিতার একটি নতুন কাঠামো তৈরির জন্য উৎসাহিত করে।

প্রতিষ্ঠার তারিখ: জাতিসংঘ আনুষ্ঠানিকভাবে ২৪ অক্টোবর, ১৯৪৫ তারিখে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই দিন জাতিসংঘ সনদ (UN Charter) কার্যকর হয়েছিল।

প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য রাষ্ট্র: জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার সময় ৫১টি রাষ্ট্র এর সনদে স্বাক্ষর করেছিল।

সদর দপ্তর: জাতিসংঘের প্রধান সদর দপ্তর নিউ ইয়র্ক সিটি, যুক্তরাষ্ট্র-এ অবস্থিত। এছাড়াও জেনেভা, ভিয়েনা এবং নাইরোবিতে এর বড় কার্যালয় রয়েছে।

প্রধান উদ্দেশ্য: জাতিসংঘ সনদে বর্ণিত প্রধান উদ্দেশ্যগুলো হলো:

  • আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা।
  • জাতিদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা।
  • আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং মানবিক সমস্যা সমাধানে সহযোগিতা করা।
  • মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা রক্ষায় উৎসাহ দেওয়া।

জাতিসংঘ বর্তমানে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশের সদস্যপদ নিয়ে একটি শক্তিশালী আন্তর্জাতিক ফোরাম হিসেবে কাজ করছে।

ক. ৭টি
খ. ৮টি
গ. ৫টি
ঘ. ৬টি
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের সংবিধান হলো স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন। এটি একটি লিখিত দলিল, যা দেশের শাসনতান্ত্রিক কাঠামো, নাগরিকদের মৌলিক অধিকার ও কর্তব্য, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি এবং সরকারের তিনটি প্রধান শাখা (আইনসভা, নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগ) এর ক্ষমতা ও কার্যাবলী নির্ধারণ করে।

বাংলাদেশের সংবিধানের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

  • প্রণয়ন: ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদ কর্তৃক বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয়।
  • কার্যকর: ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর, বাংলাদেশের প্রথম বিজয় দিবস থেকে এটি কার্যকর হয়।
  • প্রথম হস্তলিখিত অনুলিপি: সংবিধানের প্রথম হস্তলিখিত অনুলিপিটি হাতে লিখেছিলেন বিখ্যাত শিল্পী ও চিত্রকর আব্দুর রউফ
  • ভাষা: সংবিধানটি বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় রচিত। তবে, বাংলা সংস্করণটি মূল পাঠ হিসেবে বিবেচিত হয়।

সংবিধানের প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ:

১. প্রজাতন্ত্র: বাংলাদেশ একটি গণপ্রজাতন্ত্রী রাষ্ট্র। এর অর্থ হলো, রাষ্ট্রের সকল ক্ষমতার উৎস জনগণ এবং জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন।

২. এককেন্দ্রিক সরকার ব্যবস্থা: বাংলাদেশ একটি এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র। এখানে কোনো প্রাদেশিক সরকার নেই, কেন্দ্রীয় সরকারই সমগ্র দেশ শাসন করে।

৩. সংসদীয় শাসন ব্যবস্থা: বাংলাদেশে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার বিদ্যমান, যেখানে প্রধানমন্ত্রী হলেন সরকারের প্রধান এবং তিনি সংসদ সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের আস্থাভাজন। রাষ্ট্রপতি হলেন রাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক প্রধান।

৪. এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা: বাংলাদেশের আইনসভা (জাতীয় সংসদ) এককক্ষ বিশিষ্ট।

৫. মৌলিক অধিকার: সংবিধানে নাগরিকদের মৌলিক অধিকারসমূহ সুস্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এই অধিকারগুলো রাষ্ট্র কর্তৃক সুরক্ষিত এবং লঙ্ঘিত হলে বিচারিক প্রতিকার পাওয়া যায়।

৬. রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি: সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিসমূহ বর্ণিত হয়েছে। এগুলো হলো: জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা। এই নীতিগুলো রাষ্ট্রীয় নীতি প্রণয়নে ও প্রয়োগে দিকনির্দেশনা প্রদান করে।

৭. বিচার বিভাগের স্বাধীনতা: সংবিধানে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে, যাতে বিচারকরা নির্ভয়ে ও নিরপেক্ষভাবে বিচারকার্য পরিচালনা করতে পারেন।

৮. সার্বভৌমত্ব: রাষ্ট্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ।

৯. সংস্কৃতি ও ভাষা: বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে এবং বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে।

সংবিধানের কাঠামো: বাংলাদেশের সংবিধান একটি প্রস্তাবনা, ১১টি ভাগ, ১৫৩টি অনুচ্ছেদ এবং ৭টি তফসিল নিয়ে গঠিত।

  • প্রস্তাবনা: সংবিধানের আদর্শ ও উদ্দেশ্য ব্যক্ত করে।
  • ১১টি ভাগ:
    • প্রথম ভাগ: প্রজাতন্ত্র
    • দ্বিতীয় ভাগ: রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি
    • তৃতীয় ভাগ: মৌলিক অধিকার
    • চতুর্থ ভাগ: নির্বাহী বিভাগ
    • পঞ্চম ভাগ: আইনসভা
    • ষষ্ঠ ভাগ: বিচার বিভাগ
    • সপ্তম ভাগ: নির্বাচন
    • অষ্টম ভাগ: মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক
    • নবম ভাগ: বাংলাদেশের কর্মবিভাগ
    • দশম ভাগ: সংবিধান সংশোধন
    • একাদশ ভাগ: বিবিধ
  • ৭টি তফসিল: সংবিধানের বিভিন্ন বিস্তারিত বিষয়বস্তু ও ব্যাখ্যা এই তফসিলগুলোতে অন্তর্ভুক্ত।

বাংলাদেশের সংবিধান বাঙালি জাতির দীর্ঘ সংগ্রাম ও ত্যাগের ফসল এবং এটি বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ভিত্তি ও জনগণের অধিকারের রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে। এই সংবিধানে এ পর্যন্ত ১৭ বার (সর্বশেষ ২০১৭ সালে) সংশোধন করা হয়েছে।

ক. জলবায়ু উষ্ণতা প্রতিরোধ তহবিল গড়ি
খ. প্লাস্টিক দূষণকে পরাজিত করি
গ. সবুজ বিশ্ব গড়ে তুলি
ঘ. জলবায়ু উষ্ণতাকে রুখে দেই
ব্যাখ্যাঃ

২০১৮ সালের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের (World Environment Day) প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল: "Beat Plastic Pollution" (প্লাস্টিক দূষণ বন্ধ করো)।

এই প্রতিপাদ্যটি প্লাস্টিক দূষণের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা তৈরি এবং এর মোকাবিলায় পদক্ষেপ গ্রহণের উপর জোর দিয়েছিল। সে বছর ভারত ছিল বিশ্ব পরিবেশ দিবসের বৈশ্বিক আয়োজক দেশ।

ক. ৩৫ বছর
খ. ২৫ বছর
গ. ২০ বছর
ঘ. ৩০ বছর
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা বাংলাদেশের সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ এবং ৭২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। প্রধানমন্ত্রীকে প্রথমে সংসদ সদস্য হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হয়।

সংসদ সদস্য (এমপি) হওয়ার যোগ্যতা (যা প্রধানমন্ত্রীর জন্যও প্রযোজ্য):

১. নাগরিকত্ব: তাকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। ২. বয়স: তার বয়স ২৫ বছর পূর্ণ হতে হবে। ৩. মানসিক সুস্থতা: তাকে আদালতের ঘোষণা অনুযায়ী অপ্রকৃতিস্থ হওয়া যাবে না। ৪. দেউলিয়াত্ব: তাকে দেউলিয়া ঘোষিত হওয়ার পর দায়মুক্ত না হয়ে থাকলে চলবে না। ৫. অপরাধ: নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যুন দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে এবং তার মুক্তির পর পাঁচ বছর অতিবাহিত না হয়ে থাকলে তিনি অযোগ্য বিবেচিত হবেন। ৬. বিদেশী নাগরিকত্ব: বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন বা বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা বা স্বীকার করলে তিনি অযোগ্য হবেন। (দ্বৈত নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে কিছু ব্যতিক্রম থাকতে পারে, বিশেষ করে যদি আইন দ্বারা নির্দিষ্ট করা হয়)। ৭. সরকারি পদ: প্রজাতন্ত্রের কোনো লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত থাকা যাবে না (কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া, যেমন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী ইত্যাদি)। ৮. অন্যান্য নির্বাচনী আইন: সংসদ কর্তৃক প্রণীত কোনো আইনের দ্বারা সংসদ সদস্য হওয়ার অযোগ্য বলে ঘোষিত না হওয়া।

প্রধানমন্ত্রীর পদে নিয়োগের অতিরিক্ত শর্ত (সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদ):

উপরিউক্ত সংসদ সদস্য হওয়ার যোগ্যতার পাশাপাশি, সংবিধানের ৫৬(৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ পাওয়ার জন্য তাকে সংসদ সদস্য হতে হবে এবং সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন হতে হবে

ক. ১৯৩৩
খ. ১৯৩৪
গ. ১৯৩১
ঘ. ১৯৩২
ব্যাখ্যাঃ

অ্যাডলফ হিটলার জার্মানির চ্যান্সেলর নিযুক্ত হয়েছিলেন ১৯৩৩ সালের ৩০ জানুয়ারি

তৎকালীন জার্মান প্রেসিডেন্ট পল ফন হিডেনবার্গ (Paul von Hindenburg) তাকে এই পদে নিয়োগ দিয়েছিলেন। এই ঘটনাটি জার্মানির ইতিহাসে এবং বিশ্ব ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছিল, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং হলোকাস্টের পথ খুলে দিয়েছিল।

ক. অনুচ্ছেদ ২৩
খ. অনুচ্ছেদ ২৪
গ. অনু্চ্ছেদ ২১
ঘ. অনুচ্ছেদ ২২
ব্যাখ্যাঃ

নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথক করার বিষয়টি বাংলাদেশের সংবিধানের ২২ অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছে।

এই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে: "রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগ হইতে বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ রাষ্ট্র নিশ্চিত করিবেন।"

এটি রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিসমূহের (Principles of State Policy) একটি অংশ, যা একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার বিভাগের গুরুত্বকে তুলে ধরে।

ক. ৭.৮০ শতাংশ
খ. ৮.০০ শতাংশ
গ. ৭.২৮ শতাংশ
ঘ. ৭.৬৫ শতাংশ
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে জিডিপির প্রক্ষেপিত প্রবৃদ্ধির হার ৭.৮ শতাংশ (৭.৮%) ধরা হয়েছিল।

ক. আনন
খ. আষাঢ়
গ. আঘাটা
ঘ. আয়না
ব্যাখ্যাঃ

উপসর্গ দিয়ে গঠিত শব্দটি হলো আঘাটা

এখানে ব্যাখ্যা করা হলো:

  • উপসর্গ: উপসর্গ হলো কিছু অব্যয়সূচক শব্দাংশ যা স্বাধীনভাবে ব্যবহৃত হতে পারে না, কিন্তু শব্দের আগে বসে নতুন শব্দ তৈরি করে বা শব্দের অর্থের পরিবর্তন ঘটায়।

  • আঘাটা: এই শব্দটি গঠিত হয়েছে 'আ' উপসর্গ + 'ঘাটা' (মূল শব্দ) দিয়ে। 'ঘাটা' অর্থ সাধারণত নৌকা বা গাড়ি পারাপারের স্থান, আর 'আ' উপসর্গ যোগ হয়ে এর অর্থ পরিবর্তন করে 'আঘাটা' অর্থাৎ যেখানে সহজে যাওয়া বা ঘাটা যায় না এমন বোঝানো হচ্ছে।

অন্যান্য বিকল্পগুলো উপসর্গ দিয়ে গঠিত হয়নি:

  • আনন: এটি একটি মূল শব্দ, যার অর্থ মুখ।
  • আষাঢ়: এটি একটি মাসের নাম, মূল শব্দ।
  • আয়না: এটি একটি মূল শব্দ, যার অর্থ দর্পণ।