বিসিএস ৪১তম
১. নিচের কোনটি anti-virus সফটওয়্যার নয়?
[ বিসিএস ৪৩তম | বিসিএস ৪১তম ]
সঠিক উত্তর হল কঃ Oracle।
Oracle একটি ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (DBMS), এটি কোনো অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার নয়। McAfee, Norton, এবং Kaspersky জনপ্রিয় অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার।
বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৫ এ বাংলাদেশের বৈদেশিক নীতির মূল ভিত্তি বর্ণিত আছে। এই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে:
"(১) রাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতি হইবে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ; এবং উহা সাধারণভাবে নিম্নলিখিত নীতিসমূহ দ্বারা পরিচালিত হইবে:
(ক) জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা; (খ) অন্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা; (গ) আন্তর্জাতিক বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান; এবং (ঘ) আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের সনদের নীতিসমূহের প্রতি শ্রদ্ধা।
(২) রাষ্ট্র এই নীতিসমূহ বাস্তবায়নের জন্য সচেষ্ট থাকিবে এবং সকল জাতির সহিত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন ও উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার উন্নয়নে সহযোগিতা করিবে।"
সুতরাং, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৫ বাংলাদেশের বৈদেশিক নীতির আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করে।
৩. বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণে কোনটি অবস্থিত?
[ বিসিএস ৪১তম ]
সেন্টমার্টিন দ্বীপ বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে অবস্থিত একটি ছোট প্রবাল দ্বীপ। এটি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার একটি অংশ। এর স্থানীয় নাম নারিকেল জিঞ্জিরা।
সেন্টমার্টিন তার নৈসর্গিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। স্বচ্ছ নীল জলরাশি, প্রবাল পাথর, সাদা বালির সৈকত এবং সারি সারি নারকেল গাছ এই দ্বীপটিকে এক অসাধারণ রূপ দিয়েছে। এটি বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।
সেন্টমার্টিন দ্বীপ সম্পর্কে কিছু তথ্য:
- অবস্থান: বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্বাংশে অবস্থিত। টেকনাফ মূল ভূখণ্ড থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দক্ষিণে এটি অবস্থিত।
- আয়তন: প্রায় ৮ বর্গ কিলোমিটার।
- জনসংখ্যা: প্রায় ৮,০০০ (স্থায়ী বাসিন্দা)।
- প্রধান আকর্ষণ: প্রবাল, বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, কচ্ছপ, সামুদ্রিক শৈবাল, মনোরম সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়।
- দর্শনীয় স্থান: ছেঁড়াদ্বীপ (দ্বীপের দক্ষিণতম অংশ, জোয়ারের সময় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়), সেন্টমার্টিন বাজার, পাথর বিচ।
- যাতায়াত: টেকনাফ থেকে স্পিডবোট বা ট্রলারে করে সেন্টমার্টিন যাওয়া যায়। নভেম্বরের শুরু থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত এখানে পর্যটকদের আনাগোনা বেশি থাকে।
৪. বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতের রাজ্য কয়টি?
[ বিসিএস ৪১তম ]
বাংলাদেশের সাথে ভারতের পাঁচটি রাজ্য সীমান্ত ভাগ করে:
১. পশ্চিমবঙ্গ: বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘ সীমান্ত এই রাজ্যের সাথে। ২. আসাম: বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত। ৩. মেঘালয়: আসামের দক্ষিণে অবস্থিত। ৪. ত্রিপুরা: বাংলাদেশের পূর্বে অবস্থিত। ৫. মিজোরাম: বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত।
৫. কোন বীরশ্রেষ্ঠের দেহাবশেষ বাংলাদেশে এনে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের কবরের পাশে সমাহিত করা হয়?
[ বিসিএস ৪১তম ]
সিপাহী হামিদুর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্ত সাত জন শহীদের একজন।
তাঁর সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
- জন্ম: ২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৩
- জন্মস্থান: খোর্দ্দ খালিশপুর, মহেশপুর, ঝিনাইদহ
- পিতা: আক্কাস আলী মন্ডল
- মাতা: কায়দুন্নেছা
- মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ: ১৯৭১ সালে, মাত্র ১৮ বছর বয়সে তিনি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। তিনি ৪ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সি কোম্পানির সৈনিক ছিলেন।
- বীরত্ব: ১৯৭১ সালের ২৮শে অক্টোবর মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার ধলাই সীমান্ত ফাঁড়িতে পাক হানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখযুদ্ধে তিনি শহীদ হন। যুদ্ধে তিনি অসীম সাহস ও বীরত্বের পরিচয় দেন। শত্রুদের মেশিনগানের গুলিবৃষ্টি উপেক্ষা করে তিনি একা দুটি এলএমজি পোস্ট দখল করে নেন এবং দলের বাকি মুক্তিযোদ্ধাদের জীবন রক্ষা করেন।
- বীরশ্রেষ্ঠ খেতাব: মুক্তিযুদ্ধে তার অসামান্য বীরত্ব ও আত্মত্যাগের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবে ভূষিত করে।
- সমাধি: প্রথমে তার মরদেহ ত্রিপুরা রাজ্যের আমসার হাতিমেরছড়া গ্রামে সমাহিত করা হয়েছিল। পরবর্তীতে, দীর্ঘ ৩৪ বছর পর, ২০০৭ সালের ১০ই ডিসেম্বর তার দেহাবশেষ বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয় এবং ১১ই ডিসেম্বর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ঢাকার মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের কবরের পাশে সমাহিত করা হয়।
সিপাহী হামিদুর রহমান তার অসীম সাহস ও দেশপ্রেমের জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
৬. কে বীরশ্রেষ্ঠ নন?
[ বিসিএস ৪১তম ]
বীরশ্রেষ্ঠ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে অসামান্য বীরত্ব ও আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ এই খেতাব প্রদান করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সাতজন মুক্তিযোদ্ধাকে এই খেতাবে ভূষিত করা হয়েছে।
এই সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ হলেন:
১. ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর: ৭ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেন এবং চাপাইনবাবগঞ্জে শহীদ হন। ২. ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান: বিমান বাহিনীর ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট ছিলেন এবং পাকিস্তান থেকে একটি বিমান ছিনতাই করে আসার সময় শহীদ হন। ৩. সিপাহী হামিদুর রহমান: ৪ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেন এবং মৌলভীবাজারে শহীদ হন। ৪. ল্যান্স নায়েক মুন্সি আবদুর রউফ: ৮ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেন এবং রাঙামাটিতে শহীদ হন। ৫. ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ: ৮ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেন এবং নড়াইলে শহীদ হন। ৬. সিপাহী মোস্তফা কামাল: ২ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শহীদ হন। ৭. রুহুল আমিন: নৌবাহিনীর আর্টিলারি অফিসার ছিলেন এবং খুলনায় শহীদ হন।
এই সাতজন বীর তাদের জীবন উৎসর্গ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে অসামান্য অবদান রেখেছেন। তাদের বীরত্ব ও আত্মত্যাগ চিরকাল বাঙালি জাতির হৃদয়ে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণীয় থাকবে।
৭. বাংলাদেশে প্রথম সাধারণ নির্বাচন কবে হয়?
[ বিসিএস ৪১তম ]
বাংলাদেশে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৭৩ সালের ৭ই মার্চ।
এটি ছিল স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে।
৮. প্রান্তিক হ্রদ কোন জেলায় অবস্থিত?
[ বিসিএস ৪১তম ]
প্রান্তিক হ্রদ বাংলাদেশের বান্দরবান জেলায় অবস্থিত। এটি বান্দরবান-কেরাণীহাট সড়কের পাশে হলুদিয়া নামক স্থানে রয়েছে। জেলা সদর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ১৪ কিলোমিটার।
৯. লাহোরে অনুষ্ঠিত OIC শীর্ষ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু কবে যোগদান করেন?
[ বিসিএস ৪১তম ]
লাহোরে অনুষ্ঠিত ওআইসি (ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা) শীর্ষ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারি যোগদান করেন।
ঐতিহাসিক এই সম্মেলনে যোগদানের মাধ্যমেই বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে ওআইসির সদস্যপদ লাভ করে। এর আগে, মুক্তিযুদ্ধের সময় এবং স্বাধীনতা লাভের পর অনেক মুসলিম রাষ্ট্র বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে দ্বিধা বোধ করেছিল। বঙ্গবন্ধুর এই সফর বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক সাফল্য ছিল।
১০. বঙ্গবন্ধুকে জুলিও কুরি অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়?
[ বিসিএস ৪১তম ]
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৩ সালের ২৩ মে বিশ্ব শান্তি পরিষদ কর্তৃক জুলিও কুরি শান্তি পুরস্কার প্রদান করা হয়।
পরাধীনতা থেকে মুক্তি এবং বিশ্ব শান্তিতে অসামান্য অবদানের জন্য এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছিল। এটি ছিল বাংলাদেশের জন্য প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক সম্মাননা।
জুলিও কুরি ছিলেন বিখ্যাত ফরাসি বিজ্ঞানী ও শান্তিকর্মী এবং বিশ্ব শান্তি পরিষদের সভাপতি। তার নামানুসারে এই পুরস্কার প্রবর্তিত হয়।
১১. ঐতিহাসিক ‘ছয়দফা দাবিতে’ যে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত ছিল না-
[ বিসিএস ৪১তম ]
ঐতিহাসিক ছয় দফা ছিল বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এটি ১৯৬৬ সালের ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী দলগুলোর এক সম্মেলনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শেখ মুজিবুর রহমান উত্থাপন করেন।
ছয় দফার মূল বিষয়বস্তু ছিল:
১. প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন: পাকিস্তানকে একটি ফেডারেল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং প্রদেশগুলোকে পূর্ণ আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন দিতে হবে। কেবল প্রতিরক্ষা ও বৈদেশিক বিষয় কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে থাকবে।
২. কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা: কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে কেবল দুটি বিষয় থাকবে - প্রতিরক্ষা ও বৈদেশিক সম্পর্ক। অবশিষ্ট সকল ক্ষমতা প্রদেশের হাতে ন্যস্ত করতে হবে।
৩. মুদ্রাব্যবস্থা: দুটি পৃথক অথচ অবাধে বিনিময়যোগ্য মুদ্রা চালু করতে হবে। অথবা, সমগ্র দেশের জন্য একটি মুদ্রাব্যবস্থা থাকবে, তবে সেক্ষেত্রে প্রদেশগুলোর জন্য পৃথক পৃথক ব্যাংকিং রিজার্ভ রাখতে হবে।
৪. রাজস্ব ও কর ধার্য: সকল প্রকার কর ও রাজস্ব ধার্যের ক্ষমতা প্রদেশের হাতে থাকবে। কেন্দ্রীয় সরকার প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রাদেশিক রাজস্বের একটি নির্দিষ্ট অংশ পাবে।
৫. বৈদেশিক বাণিজ্য: প্রদেশগুলোকে তাদের নিজস্ব উৎপাদিত পণ্যের বৈদেশিক বাণিজ্য করার এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অধিকার দিতে হবে। অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার হিসাব প্রদেশের হাতে থাকবে এবং কেন্দ্রীয় সরকার তার প্রয়োজন অনুযায়ী প্রদেশের কাছ থেকে মুদ্রা গ্রহণ করবে।
৬. সামরিক বাহিনী: প্রদেশগুলোকে নিজস্ব মিলিশিয়া বা আধা-সামরিক বাহিনী গঠনের ক্ষমতা দিতে হবে।
১২. ‘মাৎস্যন্যায়’ বাংলার কোন সময়কাল নির্দেশ করে?
[ বিসিএস ৪১তম ]
'মাৎস্যন্যায়' বাংলার ইতিহাসে একটি অন্ধকার ও অরাজকতাময় সময়কালকে নির্দেশ করে। এটি মূলত সপ্তম শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় থেকে অষ্টম শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত স্থায়ী ছিল।
এই সময়ে বাংলায় কোনো স্থায়ী ও শক্তিশালী কেন্দ্রীয় শাসন ছিল না। ফলে ছোট ছোট আঞ্চলিক শক্তি নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের জন্য ক্রমাগত সংঘর্ষে লিপ্ত থাকত। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটে এবং সমাজে জোর যার মুল্লুক তার নীতি প্রচলিত হয়।
'মাৎস্যন্যায়' নামটি এসেছে মাছের জগতের একটি প্রাকৃতিক নিয়ম থেকে, যেখানে বড় মাছ ছোট মাছকে গিলে ফেলে। তেমনিভাবে, এই সময়ে শক্তিশালী ব্যক্তি ও গোষ্ঠী দুর্বলদের উপর অত্যাচার করত এবং তাদের সম্পদ লুণ্ঠন করত। প্রজারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিল এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতি ব্যাহত হয়েছিল।
ঐতিহাসিকরা এই সময়কালকে বাংলার ইতিহাসে একটি বিপর্যয়পূর্ণ অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত করেন। পরবর্তীতে পাল রাজবংশের উত্থানের মাধ্যমে বাংলায় স্থিতিশীলতা ফিরে আসে এবং মাৎস্যন্যায়ের অবসান ঘটে।
১৩. বাংলার কোন সুলতানের শাসনামলকে স্বর্ণযুগ বলা হয়?
[ বিসিএস ৪১তম ]
বাংলার হুসেন শাহী বংশের প্রতিষ্ঠাতা সুলতান আলাউদ্দিন হুসেন শাহের শাসনামলকে (১৪৯৪-১৫১৯ খ্রিস্টাব্দ) বাংলার স্বর্ণযুগ বলা হয়।
তাঁর শাসনামলে শান্তি, সমৃদ্ধি, ন্যায়বিচার এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়েছিল। নিচে এর কিছু কারণ উল্লেখ করা হলো:
- রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা: দীর্ঘ সময় ধরে শান্তিপূর্ণ শাসন বজায় ছিল, যা অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে সহায়ক ছিল।
- ধর্মীয় সহিষ্ণুতা: তিনি হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের প্রতি সমান উদারতা দেখিয়েছিলেন। অনেক হিন্দু পন্ডিত ও কবি তাঁর পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেছিলেন।
- বাংলা সাহিত্যের উন্নতি: তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলা সাহিত্য বিশেষভাবে সমৃদ্ধ হয়। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু এই সময়েই তাঁর ধর্মীয় আন্দোলন শুরু করেন এবং বাংলা সাহিত্যকে এক নতুন পথে চালিত করেন। মালাধর বসু শ্রীকৃষ্ণবিজয় কাব্য রচনা করেন এবং বিজয় গুপ্ত মনসামঙ্গল রচনা করেন।
- স্থাপত্য ও শিল্পকলা: এই সময়ে সুন্দর সুন্দর মসজিদ, প্রাসাদ ও অন্যান্য স্থাপত্য নির্মিত হয়। শিল্পকলারও যথেষ্ট উন্নতি দেখা যায়।
- কৃষি ও বাণিজ্যের প্রসার: কৃষির উন্নতি এবং অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রসারের ফলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জিত হয়।
এসব কারণে সুলতান আলাউদ্দিন হুসেন শাহের শাসনামলকে বাংলার ইতিহাসে স্বর্ণযুগ হিসেবে বিশেষভাবে স্মরণ করা হয়।
১৪. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় কে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন?
[ বিসিএস ৪১তম ]
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে যাদের অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, তারা হলেন:
- স্যার ফিলিপ হার্টগ: লর্ড কার্জনের গঠিত নাথান কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেন এবং পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
- নবাব স্যার সলিমুল্লাহ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য জমি দান এবং আর্থিক সহায়তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
- শেরেবাংলা এ. কে. ফজলুল হক: বঙ্গীয় আইন পরিষদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য জোরালো বক্তব্য রাখেন এবং সমর্থন জানান।
- পন্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী: বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পক্ষে জোরালো সমর্থন দেন।
- জাস্টিস স্যার সৈয়দ শামসুল হুদা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়ায় আইনি ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
- অন্যান্য: এছাড়াও আরো অনেক শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী এবং সমাজসেবক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন।
১৫. ভাষা আন্দোলনের সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন?
[ বিসিএস ৪১তম ]
ভাষা আন্দোলনের সময় (১৯৫২ সাল) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন খাজা নাজিমুদ্দিন।
তিনি ছিলেন পূর্ব পাকিস্তানের (তৎকালীন পূর্ব বাংলা) একজন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ এবং মুসলিম লীগের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। ভাষা আন্দোলনের সময় তার বিতর্কিত ভূমিকা ছিল, কারণ তিনি উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছিলেন, যা আন্দোলনকে আরও তীব্র করে তুলেছিল।
১৬. আলুটিলা প্রাকৃতিক গুহা কোথায় অবস্থিত?
[ বিসিএস ৪১তম ]
আলুটিলা প্রাকৃতিক গুহা, যা আলুটিলা রহস্যময় গুহা নামেও পরিচিত, বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি জেলায় অবস্থিত একটি আকর্ষণীয় স্থান।
আলুটিলা গুহা সম্পর্কে কিছু তথ্য:
- অবস্থান: খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলায়, খাগড়াছড়ি শহর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার পশ্চিমে আলুটিলা বা আরবারী পাহাড়ে এই গুহাটি অবস্থিত।
- স্থানীয় নাম: স্থানীয়রা একে "মাতাই হাকড়" বা "দেবতার গুহা" নামে ডাকে। তবে পর্যটকদের কাছে এটি আলুটিলা নামেই পরিচিত।
- নামকরণ: "আলুটিলা" নামের অর্থ "আলুর পাহাড়"। কথিত আছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই অঞ্চলের মানুষ খাদ্যের জন্য এই পাহাড় থেকে বুনো আলু সংগ্রহ করত, সেই থেকেই এর নাম আলুটিলা।
- বৈশিষ্ট্য: এটি একটি প্রাকৃতিক ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গ। গুহাটি প্রায় ১০০ মিটার লম্বা এবং বেশ অন্ধকার ও শীতল। এর ভেতরের পাথরগুলো পিচ্ছিল এবং কিছু জায়গায় জলধারা বয়ে যায়।
- আকর্ষণ: গুহার অন্ধকার ভেদ করে মশাল (স্থানীয়ভাবে বিক্রি হয়) বা টর্চলাইটের আলোয় ভেতরের রহস্যময় পরিবেশ দেখা এক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা। গুহার এক মুখ দিয়ে ঢুকে অন্য মুখ দিয়ে বের হওয়া যায়।
- পার্শ্ববর্তী আকর্ষণ: আলুটিলার কাছেই রিসাং ঝর্ণা ও বৌদ্ধ মন্দিরও অবস্থিত, যা পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।
- যাতায়াত: খাগড়াছড়ি শহর থেকে চান্দের গাড়ি, সিএনজি, মোটরবাইক বা লোকাল বাসে করে আলুটিলা যাওয়া যায়।
আলুটিলা তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং রহস্যময় গুহার জন্য খাগড়াছড়ির অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।
সেন বংশের শেষ সফল শাসক লক্ষণ সেন হলেও তিনি সেন বংশের সর্বশেষ শাসনকর্তা নন। কেননা বখতিয়ার খলজির বাংলা আক্রমনের পর তিনি নদীয়া থেকে বিক্রমপুরে পালিয়ে যান। সেখানে অল্প কিছু দিন শাসনকার্য চালানোর পর ১২০৬ সালে মৃত্যুবরণ করলে যথাক্রমে তাঁর পুত্র বিশ্বরূপ সেন ও কেশব সেন ১২৩০ পর্যন্ত শাসনকার্য পরিচালনা করেন।
১৮. বাংলার সর্বপ্রাচীন জনপদের নাম কী?
[ বিসিএস ৪১তম ]
বাংলার সর্বপ্রাচীন জনপদ হিসেবে ধরা হয় বঙ্গ-কে।
প্রাচীন সাহিত্য ও ঐতিহাসিক বিভিন্ন গ্রন্থে বঙ্গের উল্লেখ পাওয়া যায়। ধারণা করা হয়, খ্রিস্টপূর্বাব্দ কয়েক শতক আগে থেকেই এই জনপদের অস্তিত্ব ছিল। এটি মূলত বৃহত্তর ঢাকা, ফরিদপুর, বরিশাল এবং কুমিল্লা অঞ্চল নিয়ে গঠিত ছিল।
তবে, কিছু ঐতিহাসিক পুন্ড্র জনপদকেও বাংলার অন্যতম প্রাচীন জনপদ হিসেবে বিবেচনা করেন। এর অবস্থান ছিল উত্তরবঙ্গে, যা বর্তমান বগুড়া, রাজশাহী, দিনাজপুর এবং রংপুর অঞ্চল নিয়ে গঠিত ছিল।
১৯. কাগমারী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়?
[ বিসিএস ৪১তম ]
কাগমারী সম্মেলন ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সম্মেলন, যা টাঙ্গাইল জেলার সন্তোষের কাগমারীতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই সম্মেলনটি ১৯৫৭ সালের ৮ থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলেছিল।
এই সম্মেলনের প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। তিনি তৎকালীন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের শোষণ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে এই সম্মেলনের আয়োজন করেন।
কাগমারী সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য ও তাৎপর্য:
- পাকিস্তানের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ: সম্মেলনের মাধ্যমে মওলানা ভাসানী এবং পূর্ব পাকিস্তানের অন্যান্য নেতারা পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি তাদের তীব্র অসন্তোষ ও অনাস্থা প্রকাশ করেন।
- পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসনের দাবি: সম্মেলনে পূর্ব পাকিস্তানের পূর্ণ স্বায়ত্তশাসনের দাবি জোরালোভাবে উত্থাপন করা হয়।
- আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়: এই সম্মেলনে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব ও কূটনীতিকরা অংশগ্রহণ করেন, যার মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের অধিকারের প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করা হয়।
- ভাষা ও সংস্কৃতির গুরুত্ব: সম্মেলনে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয় এবং এর স্বাধিকারের কথা বলা হয়।
- ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন: পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি বৃহত্তর আন্দোলনের সূচনা করাই ছিল এই সম্মেলনের অন্যতম লক্ষ্য।
বাংলাদেশ বাহিনী প্রথমে ৪ এপ্রিল ১৯৭১ সালে বেসরকারিভাবে গঠিত হয়। এরপর ১১ এপ্রিল এ বাহিনীকে সম্প্রসারণ করে পুনর্গঠন করা হয়। ১২ এপ্রিল ১৯৭১ সালে লেফটেন্যান্ট কর্ণেল এম. এ. রব-কে চিফ অব স্টাফ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বাহিনীর কার্যক্রম শুরু করা হয় এবং একই সাথে কলকাতার ৮, থিয়েটার রোডে বাংলাদেশ বাহিনীর সদর দপ্তর স্থাপিত হয়।
বাংলাদেশের সংবিধানের মৌলিক বিধানাবলী পরিবর্তনযোগ্য নয়।
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে এই বিষয়টি স্পষ্টভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭খ সংযোজন করা হয়েছে, যা মৌলিক কাঠামো সংক্রান্ত বিধানাবলী অপরিবর্তনীয় ঘোষণা করে।
অনুচ্ছেদ ৭খ-এ যা বলা হয়েছে:
"সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই সংবিধানের প্রস্তাবনা, প্রথম ভাগের সকল অনুচ্ছেদ, দ্বিতীয় ভাগের সকল অনুচ্ছেদ, নবম-ক ভাগের সকল অনুচ্ছেদ এবং এই সংবিধানের ১৩৯ অনুচ্ছেদ, ১৪০ অনুচ্ছেদ ও ১৪১ অনুচ্ছেদসহ এই সংবিধানের মৌলিক কাঠামো সংক্রান্ত অন্যান্য বিধানাবলী সংযোজন, পরিবর্তন, প্রতিস্থাপন, রহিত বা অন্য কোনো উপায়ে সংশোধন অযোগ্য হইবে।"
অর্থাৎ, সংবিধানের প্রস্তাবনা, প্রথম ভাগ (প্রজাতন্ত্র), দ্বিতীয় ভাগ (রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি), নবম-ক ভাগ (জরুরী বিধানাবলী) এবং গুরুত্বপূর্ণ কিছু অনুচ্ছেদসহ সংবিধানের মৌলিক কাঠামো পরিবর্তন করা যাবে না। জাতীয় সংসদ চাইলেও এই মৌলিক বিধানাবলী সংশোধন করতে পারবে না।
এই বিধানটি সংযোজনের মূল উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, রাষ্ট্রের মূলনীতি এবং সংবিধানের মূল কাঠামো অক্ষুণ্ণ রাখা।
২২. বাংলাদেশের সংবিধানের এয়োদশ সংশোধনীর মূল বিষয় কি ছিল?
[ বিসিএস ৪১তম ]
বাংলাদেশের সংবিধানের এয়োদশ সংশোধনীর (The Thirteenth Amendment Act, 1996) মূল বিষয় ছিল নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রবর্তন।
এই সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের একটি নতুন অধ্যায় দ্বিতীয় ক যুক্ত করা হয়, যেখানে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গঠন, ক্ষমতা ও কার্যাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত বিধানাবলী অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এয়োদশ সংশোধনীর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল:
- একটি নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা, যাতে সকল রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য একটি সমান ও আস্থাশীল পরিবেশ পায়।
- ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবমুক্ত একটি নির্বাচন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা।
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল:
- এই সরকার মূলত প্রধান বিচারপতিসহ সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের সমন্বয়ে গঠিত হতো।
- নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে নতুন সরকার গঠনের আগ পর্যন্ত এই সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালন করত।
- এই সরকারের প্রধান কাজ ছিল একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।
- তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দৈনন্দিন প্রশাসনিক কার্যাবলী পরিচালনার সীমিত ক্ষমতা ছিল এবং তারা নীতিগত কোনো বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারত না।
পরবর্তীতে, ২০১১ সালে বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল করা হয়েছে।
সংবিধানের চেতনার বিপরীতে সামরিক শাসনকে বৈধতা দিতে চতুর্থ তফসিল-এর অপব্যবহার করা হয়েছে।
বাংলাদেশের সংবিধানের চতুর্থ তফসিলে মূলত ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী সময়ে জারিকৃত কিছু আইন ও অধ্যাদেশকে সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। এর উদ্দেশ্য ছিল স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় গঠিত অস্থায়ী সরকারের কার্যক্রম এবং স্বাধীনতা অর্জনের জন্য গৃহীত পদক্ষেপগুলোর ধারাবাহিকতা রক্ষা করা।
তবে, পরবর্তীকালে সামরিক শাসকরা এই তফসিলের ভুল ব্যাখ্যা করে বা এর আওতা সম্প্রসারিত করে তাদের অবৈধ ক্ষমতা দখলকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তারা যুক্তি দেখিয়েছেন যে তাদের জারি করা সামরিক ফরমান বা অধ্যাদেশও এই তফসিলের অধীনে সুরক্ষিত, কারণ তারা রাষ্ট্র পরিচালনার "প্রয়োজনীয়তা" থেকে এগুলো জারি করেছেন।
এই অপব্যবহারের মাধ্যমে সংবিধানের মূল চেতনা, গণতন্ত্র এবং জনগণের সার্বভৌমত্বের নীতিকে লঙ্ঘন করা হয়েছে। চতুর্থ তফসিলের মূল উদ্দেশ্য ছিল একটি বিশেষ প্রেক্ষাপটে আইনি ধারাবাহিকতা রক্ষা করা, কিন্তু সামরিক শাসকরা এটিকে তাদের অসাংবিধানিক কর্মকাণ্ডকে বৈধতা দেওয়ার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছেন।
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে এই ধরনের অপব্যবহার রোধ করার চেষ্টা করা হয়েছে এবং সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকে অপরিবর্তনীয় ঘোষণা করা হয়েছে।
২৪. কোন উপজাতিটির আবাস্থল ‘বিরিশি’ নেত্রকোনায়?
[ বিসিএস ৪১তম ]
‘বিরিশি’ নেত্রকোনায় গারো উপজাতিদের একটি গুরুত্বপূর্ণ আবাসস্থল।
বিরিশি মূলত নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার একটি ইউনিয়ন। এই অঞ্চলে গারো পাহাড়ের পাদদেশে বহু গারো পরিবার বসবাস করে। দুর্গাপুর উপজেলায় গারোদের একটি উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যা রয়েছে এবং বিরিশি তাদের সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।
সুতরাং, সঠিক উত্তর হল গারো উপজাতি।
২৫. বাংলাদেশের বাণিজ্য ভারসাম্য কীভাবে রক্ষা হয়?
[ বিসিএস ৪১তম ]
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ এর প্রধান কাজ হচ্ছে বিভিন্ন দেশের মুদ্রামানের হ্রাস-বৃদ্ধি করে বাণিজ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে। এছাড়া আন্তর্জাতিক আর্থিক সহযোগিতা ও বাণিজ্য প্রচার করা, সদস্য দেশগুলোর আর্থিক ও আর্থিক নীতিসমূহের সমন্বয় সাধন করা। তাদেরকে ঋণ প্রদানের ভারসাম্য নিষ্পিত্তির জন্য exchange সরবরাহ করা এবং বিনিময় হার প্রদান করা। IMF এর bailout package- এর মাধ্যমে বাংলাদেশের বাণিজ্য ভারসাম্য রক্ষা করে।
২৬. অবিভক্ত বাংলার সর্বপ্রথম রাজা কাকে বলা হয়?
[ বিসিএস ৪১তম ]
অবিভক্ত বাংলার সর্বপ্রথম রাজা অশোক তৃতীয় মৌর্য সম্রাট ছিলেন, যিনি পিতা বিন্দুসারের পর সিংহাসন লাভ করেন এবং ভারতবর্ষের ইতিহাসে অন্যতম শ্রেষ্ঠ এই সম্রাট দাক্ষিণাত্যের কিছু অংশ ব্যতীত ভারতবর্ষের অধিকাংশ অঞ্চল শাসন করেন। তাঁকে একজন সর্বভারতীয় সম্রাট বলা যায়। তিনি শুধু বর্তমান ভারত ও পার্শ্ববর্তী দেশগুলো শাসনই করেননি বরং এসব অঞ্চলের সংস্কৃতিতে গভীর প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছিলেন।
২৭. বঙ্গভঙ্গ রদ কে ঘোষণা করেন?
[ বিসিএস ৪১তম ]
বঙ্গভঙ্গ রদ হয় ১৯১১ সালের ১২ই ডিসেম্বর।
১৯০৫ সালে লর্ড কার্জনের শাসনামলে বাংলাকে ভাগ করে দুটি নতুন প্রদেশ তৈরি করা হয়েছিল: পূর্ব বাংলা ও আসাম এবং পশ্চিমবঙ্গ ও বিহার। এই বিভাজন "বঙ্গভঙ্গ" নামে পরিচিত ছিল।
বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে ওঠে, যা ইতিহাসে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন নামে পরিচিত। এই আন্দোলনের প্রধান কারণ ছিল:
- রাজনৈতিক উদ্দেশ্য: ব্রিটিশ সরকার প্রশাসনিক সুবিধার কথা বললেও, এর মূল উদ্দেশ্য ছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদকে দুর্বল করা এবং হিন্দু-মুসলিম বিভেদ সৃষ্টি করা।
- সাংস্কৃতিক ও ভাষাগত ঐক্য: বাঙালিরা তাদের ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক ঐক্যের উপর আঘাত হিসেবে এই বিভাজনকে দেখেছিল।
দীর্ঘ ছয় বছর ধরে চলা তীব্র আন্দোলন, প্রতিবাদ এবং বিপ্লবী কার্যকলাপের ফলে ব্রিটিশ সরকার শেষ পর্যন্ত বঙ্গভঙ্গ রদ করতে বাধ্য হয়। ১৯১১ সালের ১২ই ডিসেম্বর সম্রাট পঞ্চম জর্জের দিল্লি দরবারে বঙ্গভঙ্গ রদের ঘোষণা করা হয় এবং ১৯১২ সালের ১লা এপ্রিল থেকে এটি কার্যকর হয়।
বঙ্গভঙ্গ রদ বাঙালি জাতির একটি বড় রাজনৈতিক বিজয় হিসেবে বিবেচিত হয় এবং এটি ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।
২৮. ঢাকা শহরের গোড়াপত্তন হয়-
[ বিসিএস ৪১তম ]
ঢাকা শহরের গোড়াপত্তন হয় মোঘল আমলে।
১৬১০ সালে মোঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের ফরমান অনুযায়ী সুবেদার ইসলাম খান চিশতী ঢাকাকে বাংলার রাজধানী হিসেবে স্থাপন করেন এবং এর নামকরণ করেন জাহাঙ্গীরনগর। তবে, এর আগেও ঢাকা একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে বিদ্যমান ছিল। মোঘলরাই মূলত ঢাকাকে একটি পরিকল্পিত শহর হিসেবে গড়ে তোলেন এবং এর রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক গুরুত্ব বৃদ্ধি করেন।
২৯. স্টিভ চেন ও চাড হারলির সাথে যৌথভাবে কোন বাংলাদেশী ইউটিউব (Youtube) প্রতিষ্ঠা করেন?
[ বিসিএস ৪১তম ]
ইউটিউব (YouTube) ১৪ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৫ সালে তিনজন প্রাক্তন পেপাল (PayPal) কর্মী চ্যাড হার্লি, স্টিভ চেন এবং জাভেদ করিম দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
পাকিস্তান ১৯৭৪ সালের ২২শে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
ঐ বছর লাহোরে অনুষ্ঠিত ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)-এর দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের পূর্বে পাকিস্তান এই স্বীকৃতি প্রদান করে। এর ফলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐ সম্মেলনে যোগ দিতে পেরেছিলেন এবং বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে ওআইসির সদস্যপদ লাভ করে।
৩১. বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের প্রথম সংসদ নেতা কে?
[ বিসিএস ৪১তম ]
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের প্রথম সংসদ নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
১৯৭৩ সালের ৭ই মার্চ অনুষ্ঠিত প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রী হন। তিনি ছিলেন জাতীয় সংসদের প্রথম সংসদ নেতা।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (Transparency International) একটি জার্মানি ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা। এর সদর দপ্তর জার্মানির বার্লিনে অবস্থিত। সংস্থাটি ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং বিশ্বব্যাপী দুর্নীতি প্রতিরোধের জন্য কাজ করে।
৩৩. সামরিক ভাষায় ‘WMD’ অর্থ কী?
[ বিসিএস ৪১তম ]
সামরিক ভাষায় ‘WMD’ অর্থ হলো:
Weapons of Mass Destruction অর্থাৎ, বিপুল ধ্বংসাত্মক অস্ত্র।
WMD বলতে বোঝায় এমন অস্ত্র যা—
- বিশাল সংখ্যক মানুষের প্রাণহানি ঘটাতে পারে,
- বিস্তৃত অঞ্চলে ধ্বংস ও প্রদূষণ ঘটাতে সক্ষম,
- এবং সমাজ ও পরিবেশে গভীর ও দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে।
WMD এর অন্তর্ভুক্ত প্রধান অস্ত্রের ধরন:
- Nuclear weapons (পারমাণবিক অস্ত্র)
- Biological weapons (জৈব অস্ত্র)
- Chemical weapons (রাসায়নিক অস্ত্র)
২০২০ সালে প্রকাশিত ‘আইনের শাসন’ সূচকে (Rule of Law Index) ডেনমার্ক শীর্ষস্থান অর্জন করেছিল।
ওয়ার্ল্ড জাস্টিস প্রজেক্ট (World Justice Project) এই সূচকটি প্রকাশ করে থাকে। ২০২০ সালের সূচকে ১২৮টি দেশের মধ্যে ডেনমার্ক আইনের শাসনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে ছিল।
করোনা ভাইরাসকে ‘Pandemic’ বা মহামারী হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)।
ঘোষণার তারিখ: ১১ মার্চ ২০২০
WHO-এর বক্তব্য:
WHO-এর মহাপরিচালক ড. টেড্রোস আধানম গেব্রেয়েসুস ওই দিন বলেন:
“গত দুই সপ্তাহে চীনের বাইরে COVID-19 সংক্রমণের সংখ্যা ১৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আক্রান্ত দেশের সংখ্যা তিনগুণ হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১১৮,০০০-এর বেশি সংক্রমণ এবং ৪,২৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আমরা এই পরিস্থিতিকে মহামারী হিসেবে ঘোষণা করছি।”
জাতিসংঘের UNCTAD (United Nations Conference on Trade and Development) সংস্থা বার্ষিক বিশ্ব বিনিয়োগ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
UNCTAD মূলত বৈদেশিক সরাসরি বিনিয়োগ (FDI) প্রবাহ নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করে, যা বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগের প্রবণতা বিশ্লেষণ করতে সাহায্য করে।
গাম্বিয়া (The Gambia) আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমার কর্তৃক রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে মামলা করেছে।
২০১৯ সালের নভেম্বরে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)-এর পক্ষ থেকে গাম্বিয়া আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (ICJ) এই মামলাটি দায়ের করে। মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের উপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।
বাংলাদেশ গণহত্যা কনভেনশনের ৯ ধারায় আপত্তি জানানো ৫ টি দেশের একটি। যার ফলে নৈতিকভাবে বাংলাদেশ রোহিঙ্গা ইস্যুতে মামলা করতে পারেনা। তাই গাম্বিয়া মামলা করে।
বাংলা ভাষাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দিয়েছে সিয়েরা লিওন।
পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশটি ১৯৯১-২০০২ সালের গৃহযুদ্ধের সময় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে বাংলা ভাষাকে অন্যতম সরকারি ভাষার মর্যাদা দেয়।
এটি বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত!
৩৯. জাতিসংঘ নামকরণ করেন?
[ বিসিএস ৪১তম ]
জাতিসংঘ নামটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ফ্রাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্ট নামকরণ করেছিলেন।
তিনি প্রথম ১ জানুয়ারী, ১৯৪২ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই শব্দটি ব্যবহার করেন, যখন ২৬টি মিত্র দেশ "জাতিসংঘের ঘোষণা" স্বাক্ষর করে এবং অক্ষশক্তির বিরুদ্ধে তাদের যৌথ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করে।
৪০. কোন মুসলিম দেশ সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য?
[ বিসিএস ৪১তম ]
As of today, May 12, 2025, the North Atlantic Treaty Organization (NATO) has 32 member states. These countries are:
- Albania
- Belgium
- Bulgaria
- Canada
- Croatia
- Czech Republic
- Denmark
- Estonia
- Finland (joined April 4, 2023)
- France
- Germany
- Greece
- Hungary
- Iceland
- Italy
- Latvia
- Lithuania
- Luxembourg
- Montenegro
- Netherlands
- North Macedonia
- Norway
- Poland
- Portugal
- Romania
- Slovakia
- Slovenia
- Spain
- Sweden (joined March 7, 2024)
- Turkey
- United Kingdom
- United States
৪১. নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন কোন বছর প্রতিষ্ঠিত হয়?
[ বিসিএস ৪১তম ]
নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন (ন্যাটো) প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ৪ এপ্রিল, ১৯৪৯ সালে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সোভিয়েত ইউনিয়নের সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে সম্মিলিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং বেশ কয়েকটি পশ্চিম ইউরোপীয় দেশ এই সামরিক জোটটি প্রতিষ্ঠা করে। প্রতিষ্ঠাকালীন ১২টি সদস্য রাষ্ট্র ছিল:
১. বেলজিয়াম ২. কানাডা 3. ডেনমার্ক ৪. ফ্রান্স ৫. আইসল্যান্ড ৬. ইতালি ৭. লুক্সেমবার্গ ৮. নেদারল্যান্ডস ৯. নরওয়ে ১০. পর্তুগাল ১১. যুক্তরাজ্য ১২. যুক্তরাষ্ট্র
৪২. জার্মানীর প্রথম নারী চ্যান্সেলর কে?
[ বিসিএস ৪১তম ]
জার্মানির প্রথম নারী চ্যান্সেলর ছিলেন অ্যাঞ্জেলা মার্কেল (Angela Merkel)।
তিনি ২০০৫ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
৪৩. আন্তর্জাতিক বিচার আদালত রোহিঙ্গা গণহত্যা বিষয়ক অন্তর্বর্তীকালীন রায়ে মিয়ানমারকে কয়টি নির্দিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছে?
[ বিসিএস ৪১তম ]
আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (ICJ) রোহিঙ্গা গণহত্যা বিষয়ক অন্তর্বর্তীকালীন রায়ে মিয়ানমারকে চারটি নির্দিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছে। এই ব্যবস্থাগুলো হলো:
১. রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গণহত্যা সংঘটনের যেকোনো কাজ থেকে মিয়ানমারকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে এবং এ ধরনের কাজ যাতে আর না হয় তার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। ২. জাতিসংঘের গণহত্যা কনভেনশন অনুযায়ী মিয়ানমারের বাধ্যবাধকতা পূরণ করতে হবে এবং গণহত্যায় জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ৩. মিয়ানমারকে এমন কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা সামরিক বা বেসামরিক কোনো ব্যক্তি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গণহত্যা, ষড়যন্ত্র, গণহত্যার প্ররোচনা, গণহত্যার চেষ্টা অথবা সহযোগীতার মতো কোনো কাজ না করে। ৪. মিয়ানমারকে তাদের গৃহীত পদক্ষেপের বিষয়ে আদালতকে নিয়মিতভাবে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
৪৪. কোন দুটি দেশের মধ্যে সীমান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ২০১৯ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়া হয়?
[ বিসিএস ৪১তম ]
২০১৯ সালে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ আলীকে ইথিওপিয়া এবং ইরিত্রিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিনের সীমান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়া হয়।
ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লীতে ১৯১১ সালে স্থানান্তরিত করার ঘোষণা করা হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে এই স্থানান্তর ১৯১২ সালে সম্পন্ন হয়েছিল।
৪৬. ইনকা সভ্যতা কোন অঞ্চলে বিরাজমান ছিল?
[ বিসিএস ৪১তম ]
ইনকা সভ্যতা ছিল প্রাক-কলম্বিয়ান আমেরিকার বৃহত্তম সাম্রাজ্য। এই সভ্যতা ত্রয়োদশ শতাব্দীতে পেরুর পার্বত্য অঞ্চলে উদ্ভূত হয় এবং ১৫৭২ সালে স্প্যানিশদের দ্বারা বিজিত হওয়ার আগ পর্যন্ত টিকে ছিল। সাম্রাজ্যের প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ও সামরিক কেন্দ্র ছিল আধুনিক পেরুর কুস্কোতে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক:
- সময়কাল: আনুমানিক ১২০০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৫৭২ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত।
- অবস্থান: বর্তমান পেরু, বলিভিয়া, ইকুয়েডর, কলম্বিয়া, চিলি এবং আর্জেন্টিনার কিছু অংশ।
- রাজধানী: কুস্কো।
- সরকার: সম্রাট (সাপা ইনকা) দ্বারা শাসিত কেন্দ্রীভূত সাম্রাজ্য।
- কৃষি: ব্যাপক ও উন্নত কৃষি ব্যবস্থা, যেখানে বিভিন্ন প্রকার শস্য (যেমন আলু, ভুট্টা, কুইনোয়া) উৎপাদিত হতো। তারা পাহাড়ি অঞ্চলে ধাপ তৈরি করে চাষাবাদ করত।
- যোগাযোগ: সুবিশাল সড়ক ব্যবস্থা (কাপাক নান) যা প্রায় ৩০,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল এবং দ্রুত যোগাযোগের জন্য বার্তাবাহক ব্যবহার করত।
- স্থাপত্য: অসাধারণ পাথরের স্থাপত্য, যেখানে মর্টার ব্যবহার না করেও নিখুঁতভাবে পাথর স্থাপন করা হতো। এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ হলো মাচু পিচু।
- ধর্ম: বহুঈশ্বরবাদী ধর্ম, যেখানে সূর্যদেবতা Inti ছিলেন প্রধান। তারা প্রকৃতি ও পূর্বপুরুষদেরও পূজা করত।
- সামাজিক কাঠামো: একটি কঠোর শ্রেণিবদ্ধ সমাজ ব্যবস্থা বিদ্যমান ছিল, যার শীর্ষে ছিলেন সম্রাট।
- প্রযুক্তি: উন্নত জল ব্যবস্থাপনা ও সেচ ব্যবস্থা, বস্ত্রশিল্প এবং ধাতুশিল্পে তাদের দক্ষতা ছিল উল্লেখযোগ্য। তারা হিসাব রাখার জন্য কিপু (knotted strings) ব্যবহার করত।
ইনকা সভ্যতা তাদের উন্নত কৃষি, স্থাপত্য, সড়ক ব্যবস্থা এবং সুসংগঠিত সাম্রাজ্যের জন্য ইতিহাসে এক বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। ১৫৩২ সালে স্প্যানিশ বিজয়ের মাধ্যমে এই সমৃদ্ধ সাম্রাজ্যের পতন ঘটে।
৪৭. নিচের কোন দেশটিতে রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটির সুবিধা বিদ্যমান?
[ বিসিএস ৪১তম ]
১৯৭৯ সালে ভিয়েতনামে সোভিয়েত ইউনিয়ন Cam Ranh Air Base & Naval Base স্থাপন করে। রাশিয়া ২০১৩ সালে নৌঘাটি এবং ২০১৪ সালে বিমান ঘাটির কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করলেও সেখানে লজেস্টিক সাপ্লাই এর কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে সুদানেও নৌঘাঁটি স্থাপন করেছে রাশিয়া।
৪৮. ফিনল্যান্ড কোন দেশের উপনিবেশ ছিল?
[ বিসিএস ৪১তম ]
ফিনল্যান্ড দীর্ঘকাল ধরে দুটি ভিন্ন দেশের অধীনে ছিল। প্রায় ৭০০ বছর ধরে এটি সুইডেনের অংশ ছিল। এরপর ১৮০৯ সালে ফিনল্যান্ড রাশিয়ার অধীনে আসে এবং ১৯১৭ সালে রুশ বিপ্লবের পর একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। তাই, ঐতিহাসিকভাবে ফিনল্যান্ড সুইডেন এবং রাশিয়ার উপনিবেশের মতো ছিল বলা যায়।
৪৯. এশিয়াকে আফ্রিকা মহাদেশ থেকে পৃথক করেছে কোন প্রণালী?
[ বিসিএস ৪১তম ]
এশিয়াকে আফ্রিকা মহাদেশ থেকে পৃথক করেছে লোহিত সাগর এবং সুয়েজ খাল। এছাড়াও, বাব এল মান্দেব প্রণালী এই দুটি মহাদেশকে পৃথক করেছে এবং একইসাথে লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরকে যুক্ত করেছে।
৫০. আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল কোন সালে গঠিত হয়?
[ বিসিএস ৪১তম ]
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (International Monetary Fund - IMF) হলো জাতিসংঘের একটি বিশেষায়িত সংস্থা। এর প্রধান কাজ হলো সদস্য দেশগুলোর মধ্যে আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, আন্তর্জাতিক মুদ্রা সহযোগিতা বৃদ্ধি করা, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রসার ঘটানো, উচ্চ কর্মসংস্থান এবং টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করা এবং বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য কমানো।
প্রতিষ্ঠা ও কার্যক্রম:
- প্রতিষ্ঠা: ১৯৪৪ সালের জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ারের ব্রেটন উডস সম্মেলনে একটি চুক্তির মাধ্যমে আইএমএফ প্রতিষ্ঠিত হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে এর কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৪৫ সালের ২৭শে ডিসেম্বর।
- সদস্যপদ: বর্তমানে (মে ২০২৫) ১৯০টি দেশ আইএমএফের সদস্য।
- সদর দপ্তর: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন, ডি.সি.-তে এর সদর দপ্তর অবস্থিত।
- কার্যক্রম: আইএমএফ বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে, যার মধ্যে প্রধান কয়েকটি হলো:
- অর্থনৈতিক নজরদারি: সদস্য দেশগুলোর অর্থনীতির ওপর নজরদারি রাখা এবং সম্ভাব্য ঝুঁকি চিহ্নিত করে নীতি পরামর্শ দেওয়া।
- আর্থিক সহায়তা: ব্যালেন্স অব পেমেন্টের সমস্যায় পড়া সদস্য দেশগুলোকে ঋণ ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা। এই ঋণের শর্তের বিনিময়ে দেশগুলোকে কিছু নীতি সংস্কার করতে হয়।
- কারিগরি সহায়তা: সদস্য দেশগুলোকে সামষ্টিক অর্থনীতির ব্যবস্থাপনা, মুদ্রা ও আর্থিক নীতি, এবং পরিসংখ্যানের মতো বিষয়ে কারিগরি জ্ঞান ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা।
উদ্দেশ্য:
আইএমএফের প্রধান উদ্দেশ্যগুলো হলো:
- আন্তর্জাতিক মুদ্রা ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।
- সদস্য দেশগুলোর মধ্যে মুদ্রা সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।
- বৈদেশিক বাণিজ্যের ভারসাম্যহীনতা দূর করতে সহায়তা করা।
- বিনিময় হারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।
- সদস্য দেশগুলোকে অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় সহায়তা করা।
বাংলাদেশ ১৯৭২ সালের ১৭ই আগস্ট আইএমএফের সদস্যপদ লাভ করে।
৫১. যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দলের মনোনয়নের জন্য ন্যূনতম কতজন ডেলিগেটের সমর্থন প্রয়োজন?
[ বিসিএস ৪১তম ]
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দলের মনোনয়নের জন্য একজন প্রার্থীকে সংখ্যাগরিষ্ঠ ডেলিগেটের সমর্থন পেতে হয়। ২০২৪ সালের ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কনভেনশনে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য একজন প্রার্থীকে ন্যূনতম ১,৯৬৮ জন ডেলিগেটের সমর্থন পেতে হবে।
৫২. মার্বেল কোন ধরনের শিলা?
[ বিসিএস ৪১তম ]
মার্বেল হলো এক প্রকার রূপান্তরিত শিলা (Metamorphic rock)। এটি মূলত চুনাপাথর (Limestone) বা ডলোমাইট (Dolomite) নামক পাললিক শিলা (Sedimentary rock) তাপ ও চাপের প্রভাবে পরিবর্তিত হয়ে মার্বেলে রূপান্তরিত হয়। এই পরিবর্তনের সময় চুনাপাথরের প্রধান খনিজ ক্যালসাইট (Calcite) পুনর্বিন্যাসিত হয়ে একটি স্ফটিকাকার গঠন তৈরি করে, যা মার্বেলকে তার বৈশিষ্ট্যপূর্ণ চেহারা ও মসৃণতা দান করে।
রূপান্তরের সময় অন্যান্য খনিজ পদার্থও মার্বেলের সাথে মিশে বিভিন্ন রঙের ও নকশার সৃষ্টি করতে পারে। সাদা মার্বেলের পাশাপাশি গোলাপী, ধূসর, কালো এবং বিভিন্ন রঙের শিরাযুক্ত মার্বেলও দেখা যায়।
৫৩. মধ্যম উচ্চতার মেঘ কোনটি?
[ বিসিএস ৪১তম ]
উচ্চতা অনুসারে মেঘকে তিনটি শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়। যথা- (১) উঁচু মেঘ (High cloud), (২) মধ্যম উঁচু মেঘ (Medium high) ও (৩) নিচু মেঘ (Low cloud)। আবার মেঘের আকৃতি ও চেহারা অনুযায়ী এদের সিরাস, কিউম্যুলাস ও স্ট্রেটাস - এ তিনটি শ্রেণিতে বিভক্ত করা করা যায়। পালক বা আঁশের ন্যায় মেঘকে সিরাস, ভেজা তুলার স্তূপের ন্যায় প্রায় গোলাকার মেঘকে কিউম্যুলাস এবং স্তরে স্তরে সজ্জিত মেঘকে স্ট্রেটাস বলে। এছাড়া নিম্বাস (Nimbus) নামে বৈশিষ্ট্যবিহীন কালো বর্ণের মেঘও দেখা যায়।
৫৪. ‘বেঙ্গল ফ্যান’- ভূমিরূপটি কোথায় অবস্থিত?
[ বিসিএস ৪১তম ]
‘বেঙ্গল ফ্যান’ (Bengal Fan) হলো পৃথিবীর বৃহত্তম submarine fan বা underwater delta (অন্তঃসাগরীয় পলল শঙ্কু)। এটি বঙ্গোপসাগরের তলদেশে অবস্থিত একটি বিশাল আকৃতির ভূমিরূপ।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য:
- আয়তন: এটি প্রায় ৩,০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ১,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত চওড়া। এর পুরুত্ব কোথাও কোথাও ১৬.৫ কিলোমিটার পর্যন্ত। এটি পুরো বঙ্গোপসাগরের তলদেশ জুড়ে বিস্তৃত।
- উৎপত্তি: হিমালয় পর্বতমালা এবং তিব্বত মালভূমির উত্থান ও ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট পলিমাটি গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র নদীবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়। এই নদীবাহিত পলি ধীরে ধীরে জমা হয়ে এই বিশাল পলল শঙ্কুটি তৈরি করেছে। এছাড়াও ভারতের অন্যান্য নদী যেমন গোদাবরী, কৃষ্ণা এবং মায়ানমারের ইরাবতী নদীর পলিও এর গঠনে কিছু অবদান রেখেছে।
- গঠন: বেঙ্গল ফ্যান অসংখ্য ডুবো খাদ (submarine canyon) এবং পললবাহী নদীখাত (fan valley system) দ্বারা গঠিত। এই খাদগুলোর মাধ্যমে পলি দূরবর্তী অঞ্চলে পরিবাহিত ও জমা হয়। বর্তমানে এর একটি প্রধান সক্রিয় খাদ এবং একটি সক্রিয় পললবাহী নদীখাত রয়েছে।
- গুরুত্ব: বেঙ্গল ফ্যান হিমালয়ের উত্থান, ক্ষয় এবং ভারতীয় বর্ষাকালের ইতিহাস জানার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর প্রাচীনতম শিলাস্তর প্রায় ২ কোটি বছর আগের। এই পলল শঙ্কুতে সঞ্চিত পলি ভূতাত্ত্বিক ও জলবায়ু পরিবর্তনের বহু তথ্য ধারণ করে।
- অবস্থান: এটি বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্ব অংশে অবস্থিত, পশ্চিমে ভারতের পূর্ব উপকূল, উত্তরে বাংলাদেশ এবং পূর্বে মায়ানমার ও আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের কাছাকাছি পর্যন্ত বিস্তৃত।
সংক্ষেপে, ‘বেঙ্গল ফ্যান’ হলো একটি বিশাল подводный পলল শঙ্কু যা হিমালয় পর্বতমালা থেকে আসা নদীবাহিত পলি দ্বারা বঙ্গোপসাগরের তলদেশে গঠিত হয়েছে এবং এটি পৃথিবীর বৃহত্তম এই ধরনের ভূমিরূপ।
৫৫. ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তির সাথে সম্পর্কিত বিষয়বস্তু হলো:
[ বিসিএস ৪১তম ]
২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তি (Paris Agreement) হলো একটি ঐতিহাসিক আন্তর্জাতিক চুক্তি যা জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলা এবং এর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলার লক্ষ্যে গৃহীত হয়েছে। এটি ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে প্যারিসে অনুষ্ঠিত জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত রাষ্ট্রপুঞ্জের ২১তম সম্মেলনে (COP21) ১৯৫টি সদস্য রাষ্ট্রের সম্মতিতে গৃহীত হয় এবং ২০১৬ সালের ৪ নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়।
প্যারিস চুক্তির মূল লক্ষ্য:
- বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি প্রাক-শিল্প স্তরের তুলনায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের অনেক নিচে রাখা এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার প্রচেষ্টা চালানো। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এই লক্ষ্য অর্জন করা গেলে জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে ভয়াবহ পরিণতি এড়ানো সম্ভব হবে।
- জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য দেশগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং স্থিতিশীলতা জোরদার করা।
- গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যে দেশগুলোকে তাদের জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান (Nationally Determined Contributions - NDCs) তৈরি ও বাস্তবায়ন করতে উৎসাহিত করা।
- উন্নত দেশগুলো কর্তৃক উন্নয়নশীল দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আর্থিক, প্রযুক্তিগত ও সক্ষমতা বৃদ্ধির সহায়তা প্রদান করা।
৫৬. ‘বঙ্গবন্ধু দ্বীপ’- কোথায় অবস্থিত?
[ বিসিএস ৪১তম ]
বঙ্গবন্ধু দ্বীপ বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার মংলা উপজেলার দুবলার চর থেকে ১০ কিলোমিটার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত। এটি সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের অন্তর্ভুক্ত এবং বঙ্গবন্ধু চর বা বঙ্গবন্ধু আইল্যান্ড নামেও পরিচিত।
এই দ্বীপটি ১৯৯২ সালে প্রথম জেগে ওঠে এবং পরবর্তীতে ধীরে ধীরে স্থিতিশীল অবস্থায় আসে। এটি বর্তমানে একটি নতুন পর্যটন আকর্ষণ হিসেবে পরিচিত।
৫৭. UDMC এর পূর্ণরূপ হলো-
[ বিসিএস ৪১তম ]
বাংলাদেশে UDMC এর পূর্ণরূপ হলো Urban Development and Management Centre.
এটি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান।
আইসোহাইট (Isohyet) হলো ভূপৃষ্ঠের মানচিত্রে অঙ্কিত সেই কাল্পনিক রেখা যা সমান পরিমাণ বৃষ্টিপাতযুক্ত স্থানগুলোকে যুক্ত করে। "আইসো" শব্দের অর্থ "সমান" এবং "হাইয়েট" (hyet) শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ "hyetos" থেকে, যার অর্থ "বৃষ্টি"।
সহজভাবে বললে, কোনো নির্দিষ্ট সময়কালে (যেমন একদিন, এক মাস, এক বছর) যেসব অঞ্চলে একই পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে, সেই অঞ্চলগুলোকে একটি রেখা দিয়ে মানচিত্রে যুক্ত করলে যে চিত্র পাওয়া যায়, সেটিই হলো আইসোহাইট।
আইসোহাইটের গুরুত্ব:
- বৃষ্টিপাতের বণ্টন: কোনো একটি অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের বণ্টন কেমন, তা আইসোহাইট রেখার মাধ্যমে সহজে বোঝা যায়। রেখাগুলো ঘন সন্নিবিষ্ট থাকলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণে দ্রুত পরিবর্তন দেখা যায়, আর রেখাগুলো দূরে দূরে থাকলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয়।
- জলবায়ু বিশ্লেষণ: আইসোহাইট মানচিত্র কোনো অঞ্চলের জলবায়ু বৈশিষ্ট্য এবং বৃষ্টিপাতের ধরন সম্পর্কে ধারণা দেয়।
- কৃষি পরিকল্পনা: কৃষিকাজের জন্য কোন অঞ্চলে কেমন বৃষ্টিপাত হয়, তা জানার জন্য আইসোহাইট মানচিত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এর মাধ্যমে ফসলের নির্বাচন এবং সেচ ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা করা সহজ হয়।
- জলসম্পদ ব্যবস্থাপনা: জলাধার নির্মাণ এবং জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের পরিকল্পনায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ জানা অপরিহার্য। আইসোহাইট মানচিত্র এক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
- ভূ-প্রাকৃতিক গবেষণা: বৃষ্টিপাতের বণ্টন ভূমিক্ষয় এবং অন্যান্য ভূ-প্রাকৃতিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে। আইসোহাইট মানচিত্র এই গবেষণা কাজেও ব্যবহৃত হয়।
বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত বৃষ্টিপাতের ডেটা ব্যবহার করে আইসোহাইট মানচিত্র তৈরি করা হয়। এই ডেটা সাধারণত আবহাওয়া কেন্দ্র এবং বৃষ্টিমাপক যন্ত্রের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়।
৫৯. বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন বসতি কোনটি?
[ বিসিএস ৪১তম ]
আপনার বিকল্পগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন বসতি হলো খঃ পুন্ড্রবর্ধন (মহাস্থানগড়)।
যদিও উয়ারী-বটেশ্বর আরও প্রাচীন বসতির নিদর্শন বহন করে, কিন্তু বিকল্পে সেটি উল্লেখ নেই। প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে পুন্ড্রবর্ধন খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকের একটি সমৃদ্ধ জনপদ ছিল বলে ধারণা করা হয় এবং এটি প্রাচীন বাংলার গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোর অন্যতম।
৬০. নিচের কোনটি সত্য নয়?
[ বিসিএস ৪১তম ]
সঠিক উত্তর হলো খঃ গোবী মরুভূমি ভারতে অবস্থিত।
কারণ গোবী মরুভূমি মূলত চীন এবং মঙ্গোলিয়ায় বিস্তৃত।
অন্যান্য বিকল্পগুলো সত্য:
- ইরাবতী মায়ানমারের একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী।
- থর মরুভূমি ভারতের পশ্চিমে এবং পাকিস্তানের পূর্বে অবস্থিত।
- সাজেক ভ্যালি বাংলাদেশে অবস্থিত।
৬১. দক্ষিণ গোলার্ধে উষ্ণতম মাস কোনটি?
[ বিসিএস ৪১তম ]
সঠিক উত্তর হলো কঃ জানুয়ারি।
যদিও ডিসেম্বর, জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে দক্ষিণ গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল থাকে এবং এই মাসগুলো উষ্ণতম, তবে সাধারণত জানুয়ারি মাসকেই উষ্ণতম মাস হিসেবে ধরা হয়। কারণ এই সময়ে সূর্য দক্ষিণ গোলার্ধে সরাসরি কিরণ দেয় এবং উত্তাপ সবচেয়ে বেশি থাকে।
৬২. গ্রাফিন (graphene) কার বহুরূপী?
[ বিসিএস ৪১তম ]
গ্রাফিন হলো কার্বনের একটি বহুরূপী (Allotrope)।
কার্বন প্রকৃতিতে বিভিন্ন রূপে বিদ্যমান থাকে, যাদের ভৌত ধর্ম ভিন্ন হলেও রাসায়নিক ধর্ম একই রকম। গ্রাফিন তেমনই একটি রূপ। কার্বনের অন্যান্য বহুরূপীর মধ্যে হীরা (diamond) এবং গ্রাফাইট (graphite) উল্লেখযোগ্য।
গ্রাফিন হলো কার্বনের একটি পরমাণু পুরুত্বের স্তর, যেখানে কার্বন পরমাণুগুলো একটি ষড়ভুজ জালির মতো কাঠামোতে সজ্জিত থাকে। এটি অত্যন্ত শক্তিশালী, হালকা, স্বচ্ছ এবং বিদ্যুৎ ও তাপের সুপরিবাহী। এই অসাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলোর জন্য গ্রাফিনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।
৬৩. আইনস্টাইন নোবেল পুরস্কার পান-
[ বিসিএস ৪১তম ]
আলবার্ট আইনস্টাইন ১৯২১ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান।
তিনি "তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানে তাঁর অবদানের জন্য, এবং বিশেষভাবে ফোটো-ইলেকট্রিক প্রভাবের সূত্র আবিষ্কারের জন্য" এই পুরস্কার লাভ করেন।
৬৪. কোন পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ বেশি?
[ বিসিএস ৪১তম ]
নদীর পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ বেশি থাকে।
এছাড়াও সকালে পুকুরের পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ খুব কমে যায়, বিকেলে অপেক্ষাকৃত বেশি থাকে।
৬৫. হার্ট থেকে রক্ত বাইরে নিয়ে যায় যে রক্তনালী-
[ বিসিএস ৪১তম ]
সঠিক উত্তর হলো খঃ আর্টারি।
আর্টারি (Artery) হৃৎপিণ্ডের নিলয় থেকে রক্ত সারা শরীরে বহন করে নিয়ে যায়।
৬৬. প্রোটিন তৈরি হয়-
[ বিসিএস ৪১তম ]
৬৭. কোনটি পানিতে দ্রবীভূত হয় না?
[ বিসিএস ৪১তম ]
সঠিক উত্তর হলো ঘঃ ক্যালসিয়াম কার্বনেট।
ক্যালসিয়াম কার্বনেট (CaCO₃) পানিতে প্রায় অদ্রবণীয়। এটি কঠিন অবস্থায় থাকে এবং পানিতে মেশালে খুব সামান্য পরিমাণে দ্রবীভূত হয়।
অন্যদিকে, গ্লিসারিন, ফিটকিরি (অ্যালুমিনিয়াম পটাসিয়াম সালফেট), এবং সোডিয়াম ক্লোরাইড (সাধারণ লবণ) পানিতে সহজেই দ্রবীভূত হয়।
৬৮. মানবদেহে লোহিত কণিকার আয়ুষ্কাল কত দিন?
[ বিসিএস ৪১তম ]
মানবদেহে লোহিত কণিকার (Red Blood Cell) গড় আয়ুষ্কাল প্রায় ১২০ দিন।
এরপর, লোহিত কণিকাগুলো প্লীহা (spleen) এবং যকৃতে (liver) ম্যাক্রোফেজ নামক কোষ দ্বারা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় এবং তাদের উপাদানগুলো পুনরায় শরীরে ব্যবহৃত হয়। প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৫ মিলিয়ন লোহিত কণিকা ধ্বংস হয় এবং একই হারে নতুন লোহিত কণিকা তৈরি হয়।
৬৯. নদীর পানির ক্ষেত্রে কোনটি সত্য?
[ বিসিএস ৪১তম ]
নদীর পানির ক্ষেত্রে সাধারণত কঃ COD > BOD - এই উক্তিটি সত্য।
এর কারণ হলো:
-
BOD (Biochemical Oxygen Demand): এটি পানিতে বিদ্যমান জৈব পদার্থকে জীবাণু দ্বারা জারিত করতে প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের পরিমাণ নির্দেশ করে। এটি মূলত সহজে পচনযোগ্য জৈব পদার্থের পরিমাপ করে।
-
COD (Chemical Oxygen Demand): এটি পানিতে বিদ্যমান জৈব ও অজৈব উভয় প্রকার জারনযোগ্য পদার্থকে রাসায়নিকভাবে জারিত করতে প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের পরিমাণ নির্দেশ করে। COD পরীক্ষায় শক্তিশালী জারক পদার্থ ব্যবহার করা হয়, যা BOD পরীক্ষায় জীবাণু দ্বারা জারিত হতে পারে না এমন অনেক পদার্থকেও জারিত করতে পারে।
নদীর পানিতে শুধুমাত্র সহজে পচনযোগ্য জৈব পদার্থই থাকে না, বরং অনেক জটিল জৈব যৌগ এবং কিছু অজৈব জারনযোগ্য পদার্থও থাকতে পারে। এই কারণে, নদীর পানির COD মান সাধারণত BOD মানের চেয়ে বেশি হয়।
৭০. পাথফাইন্ডার- এর মঙ্গলে অবতরণ সাল-
[ বিসিএস ৪১তম ]
মার্স পাথফাইন্ডার (Mars Pathfinder) ছিল একটি আমেরিকান রোবোটিক মহাকাশযান যা ১৯৯৭ সালে মঙ্গলে একটি বেস স্টেশন এবং একটি ছোট রোবট রোভার অবতরণ করিয়েছিল। এটি ছিল ২৬ বছর পর মঙ্গলের মাটিতে সফলভাবে অবতরণ করা প্রথম মহাকাশযান।
অবতরণের তারিখ ও স্থান:
- অবতরণের তারিখ: ৪ জুলাই, ১৯৯৭
- অবতরণের স্থান: মঙ্গলের উত্তর গোলার্ধের একটি প্রাচীন বন্যাবিধৌত এলাকা, যার নাম আরেস ভ্যালিস (Ares Vallis)। এই স্থানটির অক্ষাংশ ছিল ১৯.১৩° উত্তর এবং দ্রাঘিমাংশ ৩৩.২২° পশ্চিম।
পাথফাইন্ডার মিশনের মূল বিষয়:
- এই মিশনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল কম খরচে মঙ্গলের পৃষ্ঠে বৈজ্ঞানিক সরঞ্জাম এবং একটি রোভার অবতরণ ও পরিচালনা করার প্রযুক্তি প্রদর্শন করা।
- পাথফাইন্ডার ল্যান্ডারটির নামকরণ করা হয়েছিল কার্ল সাগান মেমোরিয়াল স্টেশন (Carl Sagan Memorial Station) বিখ্যাত জ্যোতির্বিদ কার্ল সাগানের স্মরণে।
- এর সাথে পাঠানো ছোট, ছয় চাকার রোবটটির নাম ছিল সোজার্নার (Sojourner), যা পৃথিবী-চাঁদ ব্যবস্থা বাদে অন্য কোনো জ্যোতির্বিদ্যাগত বস্তুর উপর চালিত প্রথম চাকার যান।
- পাথফাইন্ডার অবতরণের জন্য একটি নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করেছিল, যেখানে বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের পর প্যারাশুট এবং তারপর বিশাল এয়ারব্যাগের সাহায্যে ধাক্কা শোষণ করে নিরাপদে অবতরণ করে।
- ল্যান্ডারে একটি স্টেরিওস্কোপিক ক্যামেরা (ইমেজ ফর মার্স পাথফাইন্ডার - IMP) এবং আবহাওয়ার তথ্য সংগ্রহের জন্য অ্যাটমোস্ফিয়ারিক স্ট্রাকচার ইনস্ট্রুমেন্ট/মেটেরোলজি প্যাকেজ (ASI/MET) ছিল।
- সোজার্নার রোভারটি ল্যান্ডারের চারপাশের এলাকা ঘুরে দেখে, ছবি তোলে এবং একটি আলফা প্রোটন এক্স-রে স্পেকট্রোমিটার (APXS) ব্যবহার করে শিলা ও মাটির রাসায়নিক বিশ্লেষণ করে।
পাথফাইন্ডার মিশনটি অত্যন্ত সফল ছিল এবং এটি ভবিষ্যতের মঙ্গল রোভার মিশনের ভিত্তি স্থাপন করেছিল। এটি মঙ্গলের পৃষ্ঠের গঠন, আবহাওয়া এবং ভূতত্ত্ব সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রেরণ করেছিল। ১৯৯৭ সালের ২৭শে সেপ্টেম্বর এই মিশনের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তবে এর স্বল্প সময়ের কার্যক্রম বিজ্ঞানীদের জন্য অনেক মূল্যবান তথ্য সরবরাহ করে গেছে।
৭১. ওজোন স্তর বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে অবস্থিত?
[ বিসিএস ৪১তম ]
ওজোন স্তরটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরে অবস্থিত। এই স্তরটি ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০ থেকে ৫০ কিলোমিটার উচ্চতায় বিস্তৃত। ওজোন স্তরের সবচেয়ে বেশি ঘনত্ব দেখা যায় প্রায় ১৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার উচ্চতায়।
এখানে ওজোন গ্যাসের (O₃) একটি অপেক্ষাকৃত ঘন স্তর বিদ্যমান, যা সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনী রশ্মির (Ultraviolet rays) বেশিরভাগ অংশ শোষণ করে নেয় এবং পৃথিবীর জীবজগতকে রক্ষা করে। এই কারণে ওজোন স্তরকে পৃথিবীর সুরক্ষা কবচ বলা হয়।
৭২. কাঁদুনে গ্যাসের অপর নাম কি?
[ বিসিএস ৪১তম ]
কাঁদুনে গ্যাসের অপর নাম হলো ক্লোরোপিক্রিন।
এছাড়াও এটিকে টিয়ার গ্যাসও বলা হয়। এটি মূলত একটি রাসায়নিক যৌগ যা চোখে জ্বালা সৃষ্টি করে এবং অশ্রু নির্গমণ ঘটায়। দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণ বা বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এটি ব্যবহার করে থাকে।
১০০ ওয়াটের একটি বৈদ্যুতিক বাল্ব এক ঘন্টা চললে ০.১ কিলোওয়াট-ঘণ্টা (kWh) শক্তি ব্যয় হয়।
এখানে হিসাবটি দেওয়া হলো:
- বাল্বের ক্ষমতা (Power) = ১০০ ওয়াট
- সময় (Time) = ১ ঘন্টা
আমরা জানি, শক্তি (Energy) = ক্ষমতা (Power) × সময় (Time)
সুতরাং, ব্যয়িত শক্তি = ১০০ ওয়াট × ১ ঘন্টা = ১০০ ওয়াট-ঘন্টা
বিদ্যুৎ বিল সাধারণত কিলোওয়াট-ঘন্টায় (kWh) হিসাব করা হয়। ওয়াট-ঘণ্টাকে কিলোওয়াট-ঘণ্টায় পরিবর্তন করতে ১০০০ দিয়ে ভাগ করতে হয়।
সুতরাং, ব্যয়িত শক্তি = ১০০ ওয়াট-ঘন্টা ÷ ১০০০ = ০.১ কিলোওয়াট-ঘণ্টা।
৭৪. ইলেকট্রিক বাল্ব-এর ফিলামেন্ট যার দ্বারা তৈরি-
[ বিসিএস ৪১তম ]
ইলেকট্রিক বাল্বের ফিলামেন্ট টাংস্টেন (Tungsten) নামক ধাতু দ্বারা তৈরি।
টাংস্টেন ব্যবহারের প্রধান কারণগুলো হলো:
- উচ্চ গলনাঙ্ক: টাংস্টেনের গলনাঙ্ক খুবই বেশি (প্রায় ৩,৪২২° সেলসিয়াস)। বৈদ্যুতিক বাল্ব জ্বলার সময় ফিলামেন্ট অত্যন্ত উত্তপ্ত হয়, তাই এমন একটি ধাতু প্রয়োজন যার এত উচ্চ তাপমাত্রায়ও গলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
- উচ্চ রোধ: টাংস্টেনের রোধ তুলনামূলকভাবে বেশি। এর ফলে এর মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলে এটি উত্তপ্ত হয়ে আলো বিকিরণ করে।
- কম বাষ্পীভবনের হার: উচ্চ তাপমাত্রায়ও টাংস্টেনের বাষ্পীভূত হওয়ার হার খুব কম। এর ফলে বাল্বের জীবনকাল দীর্ঘ হয়।
- সহজলভ্যতা: অন্যান্য উচ্চ গলনাঙ্ক বিশিষ্ট ধাতুর তুলনায় টাংস্টেন সহজলভ্য।
৭৫. Apache এক ধরনের-
[ বিসিএস ৪১তম ]
Apache HTTP Server হলো একটি ফ্রি এবং ওপেন সোর্স ওয়েব সার্ভার সফটওয়্যার। এটি "Apache Software Foundation" কর্তৃক ডেভেলপ করা এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। এটি বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েব সার্ভারগুলোর মধ্যে অন্যতম।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য:
- ওপেন সোর্স: এর সোর্স কোড বিনামূল্যে পাওয়া যায় এবং ডেভেলপাররা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তন করতে পারে।
- ক্রস-প্ল্যাটফর্ম: এটি বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমে (যেমন লিনাক্স, উইন্ডোজ, ম্যাক ওএস) কাজ করতে পারে।
- নির্ভরযোগ্য ও স্থিতিশীল: দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহারের কারণে এটি অত্যন্ত স্থিতিশীল এবং নির্ভরযোগ্য হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
- মডুলার আর্কিটেকচার: এর মূল কার্যকারিতা মডিউলের মাধ্যমে সম্প্রসারণ করা যায়। বিভিন্ন কাজের জন্য অসংখ্য মডিউল বিদ্যমান।
- কাস্টমাইজযোগ্য: কনফিগারেশন ফাইলের মাধ্যমে এর আচরণ এবং কার্যকারিতা নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তন করা যায়।
- বড় কমিউনিটি: এর একটি বিশাল ব্যবহারকারী এবং ডেভেলপার কমিউনিটি রয়েছে, যা সহায়তা এবং ডকুমেন্টেশন প্রদানে সহায়ক।
- বিভিন্ন প্রোটোকল সমর্থন: এটি HTTP এবং HTTPS সহ বিভিন্ন নেটওয়ার্ক প্রোটোকল সমর্থন করে।
- ভার্চুয়াল হোস্টিং: একটি সার্ভারে একাধিক ওয়েবসাইট হোস্ট করার সুবিধা প্রদান করে।
৭৬. ক্লাউড কম্পিউটিং এর সার্ভিস মডেল কোনটি?
[ বিসিএস ৪১তম ]
ক্লাউড কম্পিউটিং এর প্রধান সার্ভিস মডেলগুলো হলো:
১. ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যাজ এ সার্ভিস (IaaS - Infrastructure as a Service): এই মডেলে ক্লাউড প্রদানকারী ভার্চুয়ালাইজড কম্পিউটিং রিসোর্স যেমন - সার্ভার, স্টোরেজ, নেটওয়ার্ক এবং অপারেটিং সিস্টেম সরবরাহ করে। ব্যবহারকারী এই অবকাঠামোর উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে এবং তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী রিসোর্স ব্যবহার ও পরিচালনা করতে পারে। এটি অনেকটা নিজের ডেটা সেন্টার স্থাপনের মতোই, তবে এখানে অবকাঠামোটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব প্রদানকারীর উপর থাকে।
২. প্ল্যাটফর্ম অ্যাজ এ সার্ভিস (PaaS - Platform as a Service): এই মডেলে ক্লাউড প্রদানকারী অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট, রান এবং ম্যানেজ করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করে। এর মধ্যে অপারেটিং সিস্টেম, প্রোগ্রামিং ভাষার এক্সিকিউশন এনভায়রনমেন্ট, ডেটাবেস এবং ওয়েব সার্ভার অন্তর্ভুক্ত থাকে। ডেভেলপাররা অবকাঠামো নিয়ে চিন্তা না করে তাদের অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট এবং ডেপ্লয়মেন্টের উপর মনোযোগ দিতে পারে।
৩. সফটওয়্যার অ্যাজ এ সার্ভিস (SaaS - Software as a Service): এই মডেলে ক্লাউড প্রদানকারী সম্পূর্ণরূপে কার্যকরী অ্যাপ্লিকেশন সরবরাহ করে, যা ব্যবহারকারীরা ইন্টারনেট ব্রাউজার বা ডেডিকেটেড ক্লায়েন্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে ব্যবহার করতে পারে। ব্যবহারকারীদের সফটওয়্যার বা এর অন্তর্নিহিত অবকাঠামো পরিচালনার প্রয়োজন হয় না। উদাহরণস্বরূপ, গুগল ওয়ার্কস্পেস, ড্রপবক্স, এবং সেলসফোর্স হলো SaaS এর জনপ্রিয় উদাহরণ।
এছাড়াও, কিছু ক্ষেত্রে ফাংশন অ্যাজ এ সার্ভিস (FaaS - Function as a Service) বা সার্ভারলেস কম্পিউটিং-কেও একটি স্বতন্ত্র সার্ভিস মডেল হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা অ্যাপ্লিকেশন কোডের ছোট ছোট অংশ (ফাংশন) চালানোর জন্য একটি ইভেন্ট-চালিত প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করে এবং অবকাঠামো ব্যবস্থাপনার জটিলতা কমিয়ে আনে।
৭৭. কোন নেটওয়ার্ক টপোলজিতে হাব (hub) ব্যবহার করা হয়?
[ বিসিএস ৪১তম ]
স্টার টপোলজিতে হাব (hub) ব্যবহার করা হয়।
স্টার টপোলজিতে, প্রতিটি কম্পিউটার একটি কেন্দ্রীয় ডিভাইসের সাথে সংযুক্ত থাকে, যাকে হাব বা সুইচ বলা হয়। ডেটা প্রেরণের জন্য, একটি কম্পিউটার প্রথমে হাবের কাছে ডেটা পাঠায়, এবং হাব সেই ডেটা নির্দিষ্ট প্রাপকের কাছে ফরোয়ার্ড করে (যদি এটি একটি সুইচ হয়) অথবা নেটওয়ার্কের সমস্ত কম্পিউটারের কাছে সম্প্রচার করে (যদি এটি একটি হাব হয়)।
৭৮. একটি কম্পিউটার boot করতে পারে না যদি তাতে না থাকে-
[ বিসিএস ৪১তম ]
একটি কম্পিউটার বুট করতে পারে না যদি তাতে অপারেটিং সিস্টেম (Operating System) না থাকে।
কম্পিউটার বুট করার সময়, BIOS (Basic Input/Output System) বা UEFI (Unified Extensible Firmware Interface) প্রথমে হার্ডওয়্যার পরীক্ষা করে এবং তারপর স্টোরেজ ডিভাইস থেকে অপারেটিং সিস্টেমের ফাইলগুলো খুঁজে বের করে RAM (Random Access Memory)-এ লোড করে। অপারেটিং সিস্টেম ছাড়া, কম্পিউটারকে নির্দেশ দেওয়ার মতো কোনো সফটওয়্যার থাকে না এবং এটি কাজ শুরু করতে পারে না।
৭৯. মাইক্রোসফ্ট IIS হচ্ছে একটি-
[ বিসিএস ৪১তম ]
মাইক্রোসফ্ট IIS (Internet Information Services) হলো একটি ওয়েব সার্ভার সফটওয়্যার।
এটি মাইক্রোসফট কর্তৃক উইন্ডোজ এনটি পরিবারের অপারেটিং সিস্টেমের জন্য তৈরি করা হয়েছে। IIS HTTP, HTTPS, FTP, FTPS, SMTP এবং NNTP সহ বিভিন্ন ইন্টারনেট প্রোটোকল সমর্থন করে। এটি উইন্ডোজ সার্ভার প্ল্যাটফর্মে ওয়েবসাইট এবং ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন হোস্ট করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
৮০. ব্লুটুথ কত দূরত্ব পর্যন্ত কাজ করে?
[ বিসিএস ৪১তম ]
ব্লুটুথের কার্যকরী দূরত্ব নির্ভর করে এর ক্লাসের উপর। ব্লুটুথ মূলত তিনটি ক্লাসে বিভক্ত:
-
ক্লাস ১: এই ব্লুটুথের trasmission ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি, প্রায় ১০০ মিটার পর্যন্ত এটি কাজ করতে পারে। তবে উভয় ডিভাইসই ক্লাস ১ এর হতে হবে এই দূরত্বে সংযোগ স্থাপনের জন্য। এটি সাধারণত শিল্প ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
-
ক্লাস ২: এটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ব্লুটুথ ক্লাস। এর কার্যকরী দূরত্ব প্রায় ১০ মিটার। স্মার্টফোন, হেডফোন এবং অন্যান্য ভোক্তা ইলেকট্রনিক্সে এই ক্লাসটিই সাধারণত দেখা যায়।
-
ক্লাস ৩: এটি সবচেয়ে কম শক্তিশালী এবং এর কার্যকরী দূরত্ব মাত্র ১ মিটার পর্যন্ত। এটি খুব কম ব্যবহৃত হয়।
সুতরাং, সাধারণভাবে বলা যায়, ব্লুটুথ ১০ মিটার পর্যন্ত ভালো কাজ করে। তবে ক্ষেত্রবিশেষে এবং ডিভাইসগুলোর ক্লাসের উপর নির্ভর করে এই দূরত্ব কম বা বেশি হতে পারে।
৮১. একটি সিস্টেম যেখানে আইটেমগুলো এক প্রান্তে সংযোজিত হয় কিন্তু অন্য প্রান্ত থেকে সরানো হয় তার নাম-
[ বিসিএস ৪১তম ]
একটি সিস্টেম যেখানে আইটেমগুলো এক প্রান্তে সংযোজিত হয় কিন্তু অন্য প্রান্ত থেকে সরানো হয়, তাকে কিউ (Queue) বলা হয়।
কিউ একটি ডেটা স্ট্রাকচার যা FIFO (First-In, First-Out) নীতি অনুসরণ করে। এর মানে হলো যে আইটেমটি প্রথমে যুক্ত করা হয়েছে, সেটিই প্রথমে সরানো হবে। এটি অনেকটা লাইনে দাঁড়ানোর মতো, যেখানে যে প্রথমে লাইনে দাঁড়িয়েছে, সে-ই প্রথমে পরিষেবা পায়।
কিউ ডেটা স্ট্রাকচারে দুটি প্রধান অপারেশন থাকে:
- Enqueue: কিউর শেষ প্রান্তে নতুন আইটেম যুক্ত করা।
- Dequeue: কিউর প্রথম প্রান্ত থেকে আইটেম সরানো।
৮২. Choose the word opposite in meaning to ‘terse’:
[ বিসিএস ৪১তম ]
সঠিক উত্তর হলো detailed।
'Terse' শব্দের অর্থ হলো সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট, যেখানে খুব কম শব্দ ব্যবহার করা হয়। এর বিপরীত শব্দ হবে 'detailed', যার অর্থ বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা।
অন্যান্য বিকল্পগুলো 'terse'-এর সমার্থক বা কাছাকাছি অর্থ বহন করে:
- Concise: সংক্ষিপ্ত, অল্প কথায় ভাব প্রকাশ করা।
- Expressive: ভাবপূর্ণ, যা অনুভূতি বা ধারণা স্পষ্টভাবে প্রকাশ করে।
- Descriptive: বর্ণনাত্মক, যা বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করে।
যে কম্পিউটার ভাষায় সবকিছু শুধুমাত্র বাইনারি কোডে (০ এবং ১) লেখা হয় তাকে যন্ত্র ভাষা (Machine Language) বলে। এটি কম্পিউটারের নিজস্ব ভাষা এবং সরাসরি সিপিইউ (সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট) কর্তৃক নির্বাহযোগ্য।
৮৪. API মানে-
[ বিসিএস ৪১তম ]
API-এর পূর্ণরূপ হলো Application Programming Interface.
সহজ ভাষায়, API হলো একগুচ্ছ নিয়ম ও প্রোটোকল যা বিভিন্ন সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশনকে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে এবং ডেটা আদান-প্রদান করতে সাহায্য করে। এটি দুটি ভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনকে একে অপরের কার্যকারিতা ব্যবহার করার একটি মাধ্যম তৈরি করে, যাতে ডেভেলপারদের নতুন করে সবকিছু তৈরি করতে না হয়।
৮৫. যে ইলেক্ট্রনিক লজিক গেইটের আউটপুট লজিক 0 শুধুমাত্র যখন সকল ইনপুট লজিক 1 তার নাম-
[ বিসিএস ৪১তম ]
যে ইলেক্ট্রনিক লজিক গেইটের আউটপুট লজিক 0 শুধুমাত্র যখন সকল ইনপুট লজিক 1, তার নাম NAND গেইট।
NAND মানে হলো NOT-AND। এটি একটি AND গেইটের বিপরীত কাজ করে।
- AND গেইটের আউটপুট 1 হয় শুধুমাত্র যখন তার সকল ইনপুট 1 থাকে। অন্যথায় আউটপুট 0 হয়।
- NAND গেইটের আউটপুট 0 হয় শুধুমাত্র যখন তার সকল ইনপুট 1 থাকে। অন্যথায় আউটপুট 1 হয়।
নিচে একটি দুই-ইনপুট NAND গেইটের সত্যসারণী (Truth Table) দেওয়া হলো:
ইনপুট A | ইনপুট B | আউটপুট (Y) |
---|---|---|
0 | 0 | 1 |
0 | 1 | 1 |
1 | 0 | 1 |
1 | 1 | 0 |
৮৬. নিচের কোনটির যোগাযোগের দূরত্ব সবচেয়ে কম?
[ বিসিএস ৪১তম ]
সঠিক উত্তর হলো Bluetooth।
নিচে প্রতিটি বিকল্পের স্বাভাবিক যোগাযোগের দূরত্ব উল্লেখ করা হলো:
- Wi-Fi: সাধারণত ইনডোরে প্রায় ১০-৫০ মিটার এবং আউটডোরে আরও বেশি দূরত্ব পর্যন্ত কাজ করতে পারে। তবে এটি রাউটার এবং পরিবেশের উপর নির্ভর করে।
- Bluetooth: সাধারণত ১০ মিটার পর্যন্ত কাজ করে। কিছু উন্নত ব্লুটুথ ডিভাইস আরও বেশি দূরত্বে (যেমন ক্লাস ১ ব্লুটুথ প্রায় ১০০ মিটার) কাজ করতে পারে, তবে দৈনন্দিন ব্যবহারের ডিভাইসগুলোতে এই দূরত্ব কম থাকে।
- Wi-Max: এটি একটি দীর্ঘ-দূরত্বের যোগাযোগ প্রযুক্তি, যা কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। এটি মূলত মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক (MAN) তৈরির জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
- Cellular network: এটি মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক যা কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত একটি সেল টাওয়ারের আওতায় কাজ করে।
সুতরাং, প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে Bluetooth এর যোগাযোগের দূরত্ব সবচেয়ে কম।
৮৭. নিচের কোনটি ১০০ এর ১ কমপ্লিমেন্ট?
[ বিসিএস ৪১তম ]
(১০০)₂ একটি বাইনারি সংখ্যা। এর ১ কমপ্লিমেন্ট বের করার নিয়ম হলো প্রতিটি বিটকে বিপরীত করা।
- প্রথম বিট ১, তাই এটি ০ হবে।
- দ্বিতীয় বিট ০, তাই এটি ১ হবে।
- তৃতীয় বিট ০, তাই এটি ১ হবে।
সুতরাং, (১০০)₂ এর ১ কমপ্লিমেন্ট হলো (০১১)₂।
৮৮. RFID বলতে বোঝায়-
[ বিসিএস ৪১তম ]
RFID এর পূর্ণরূপ হলো Radio Frequency Identification.
এটি একটি ওয়্যারলেস যোগাযোগ প্রযুক্তি যা রেডিও তরঙ্গ ব্যবহার করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কোনো বস্তু বা ব্যক্তিকে শনাক্ত এবং ট্র্যাক করতে ব্যবহৃত হয়। একটি RFID সিস্টেমে সাধারণত দুটি প্রধান অংশ থাকে:
-
RFID ট্যাগ: এটি একটি ছোট ইলেকট্রনিক ডিভাইস যাতে একটি মাইক্রোচিপ এবং একটি অ্যান্টেনা থাকে। এই চিপে একটি নির্দিষ্ট শনাক্তকরণ নম্বর (ID) সহ অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করা যেতে পারে। ট্যাগগুলো সক্রিয় (ব্যাটারিযুক্ত) বা নিষ্ক্রিয় (রিডারের পাঠানো রেডিও তরঙ্গের মাধ্যমে শক্তি গ্রহণ করে) হতে পারে।
-
RFID রিডার: এই ডিভাইসটি রেডিও তরঙ্গ ব্যবহার করে ট্যাগ থেকে তথ্য পড়ে। রিডারে একটি অ্যান্টেনা থাকে যা রেডিও তরঙ্গ পাঠায় এবং ট্যাগ থেকে আসা সংকেত গ্রহণ করে। প্রাপ্ত তথ্য তারপর প্রক্রিয়াকরণের জন্য একটি কম্পিউটার সিস্টেমে পাঠানো হয়।
RFID কিভাবে কাজ করে:
যখন একটি RFID ট্যাগ একটি RFID রিডারের কাছাকাছি আসে, তখন রিডার একটি রেডিও সংকেত পাঠায়। যদি ট্যাগটি নিষ্ক্রিয় হয়, তবে এটি রিডারের পাঠানো তরঙ্গ থেকে সামান্য শক্তি সংগ্রহ করে এবং তার মধ্যে সঞ্চিত তথ্য রিডারের কাছে ফেরত পাঠায়। সক্রিয় ট্যাগগুলির নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎস থাকে এবং তারা নিজেরাই সংকেত পাঠাতে পারে। রিডার সেই সংকেত গ্রহণ করে এবং ডেটা ডিকোড করে কম্পিউটার সিস্টেমে পাঠায়।
৮৯. নিচের কোনটি সঠিক নয়?
[ বিসিএস ৪১তম ]
এটি বুলিয়ান বীজগণিতের ডিমর্গানের উপপাদ্যের ভুল উপস্থাপনা। ডিমর্গানের প্রথম উপপাদ্য অনুসারে:
অন্যদিকে, ডিমর্গানের দ্বিতীয় উপপাদ্য হলো:
আপনার দেওয়া অন্য অপশনগুলো (ক, গ, ঘ) ডিমর্গানের উপপাদ্য এবং এর সম্প্রসারণের সঠিক উপস্থাপনা।
৯০. কোন বানানটি শুদ্ধ?
[ বিসিএস ৪১তম ]
সঠিক বানানটি হলো খঃ Encyclopedia।
৯১. ঘড়ি: কাঁটা: থার্মোমিটার:?
[ বিসিএস ৪১তম ]
ঘড়ি : কাঁটা → ঘড়িতে সময় দেখায় কাঁটা দিয়ে। ঘড়ির কাঁটা = সময় নির্দেশক উপাদান।
তাহলে: থার্মোমিটার : ? → থার্মোমিটারে তাপমাত্রা দেখায় পারদের মাধ্যমে।
সঠিক উত্তর: ঘঃ পারদ
কারণ:
- "ঘড়ি : কাঁটা" → যেভাবে ঘড়িতে কাঁটা সময় নির্দেশ করে,
- "থার্মোমিটার : পারদ" → সেভাবে থার্মোমিটারে পারদ তাপমাত্রা নির্দেশ করে।
অন্যান্য অপশন কেন ভুল:
- কঃ ফারেনহাইট → এটি একটি স্কেল, উপাদান নয়।
- খঃ তাপমাত্রা → ফলাফল, কিন্তু প্রশ্নে যন্ত্রের অভ্যন্তরীণ অংশ চাওয়া হয়েছে।
- গঃ চিকিৎসা → বিষয়বস্তু ভিন্ন।
৯২. ১০০ থেকে ২০০ এর মধ্যে ৩ দ্বারা বিভাজ্য সংখ্যা কয়টি?
[ বিসিএস ৪১তম ]
১০০ কে ৩ দিয়ে ভাগ করলে ভাগফল হয় ৩৩ এবং ভাগশেষ থাকে ১। সুতরাং, ১০০ এর পরে প্রথম ৩ দ্বারা বিভাজ্য সংখ্যাটি হলো ১০০ + (৩ - ১) = ১০২।
২০০ কে ৩ দিয়ে ভাগ করলে ভাগফল হয় ৬৬ এবং ভাগশেষ থাকে ২। সুতরাং, ২০০ এর আগে শেষ ৩ দ্বারা বিভাজ্য সংখ্যাটি হলো ২০০ - ২ = ১৯৮।
এখন, আমরা একটি সমান্তর ধারা পেলাম যেখানে প্রথম পদ (a) = ১০২, শেষ পদ (l) = ১৯৮ এবং সাধারণ অন্তর (d) = ৩।
ধরি, এই ধারায় মোট n সংখ্যক পদ আছে। তাহলে, সমান্তর ধারার শেষ পদের সূত্র অনুযায়ী:
এখানে,
১৯৮ = ১০২ + (n - 1)৩
১৯৮ - ১০২ = (n - 1)৩
৯৬ = (n - 1)৩
৩২ = n - 1
n = ৩২ + ১
n = ৩৩
সুতরাং, ১০০ থেকে ২০০ এর মধ্যে ৩ দ্বারা বিভাজ্য মোট ৩৩ টি সংখ্যা আছে।
৯৩. “তিনি আমার কথা রাখলেন না, তিনি রাখলেন ____ সাহেবের কথা।”
[ বিসিএস ৪১তম ]
বঙ্গবন্ধু কর্তৃক ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের একটি লাইন হলো তিনি আমার কথা রাখলেন না, তিনি রাখলেন ভুট্টো সাহেবের কথা।
উল্লেখ্য, ৭ই মার্চের ভাষণের প্রথম বাক্য ছিলো আজ দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। এই ভাষণে ৬টি রাজনৈতিক কর্মসূচি এবং ৪টি দাবির কথা বলেছেন। ভাষণটি সংরক্ষণ করেন মুহিবুর রহমান খাঁ। এ ভাষণে ৩৫টি বিধির কথা বলা হয়। এটি বিশ্বের ১০টি ভাষণের মধ্যে অন্যতম।
৯৪. রহিম উত্তর দিকে 10 মাইল হেঁটে, ডান দিকে ঘুরে 5 মাইল হাঁটেন, তারপর ডান দিকে ঘুরে 2 মাইল হাঁটেন। তিনি কোন দিকে হাটছেন?
[ বিসিএস ৪১তম ]
আসুন ধাপে ধাপে রহিমের হাঁটার দিকগুলো দেখি:
১. উত্তর দিকে 10 মাইল হেঁটে: রহিম প্রথমে উত্তর দিকে মুখ করে হাঁটছিলেন।
২. ডান দিকে ঘুরে 5 মাইল হাঁটেন: উত্তর দিকে মুখ করে হাঁটলে ডান দিক হবে পূর্ব দিক। সুতরাং, রহিম এখন পূর্ব দিকে মুখ করে 5 মাইল হাঁটছেন।
৩. তারপর ডান দিকে ঘুরে 2 মাইল হাঁটেন: পূর্ব দিকে মুখ করে হাঁটলে ডান দিক হবে দক্ষিণ দিক। সুতরাং, রহিম এখন দক্ষিণ দিকে মুখ করে হাঁটছেন।
অতএব, রহিম বর্তমানে দক্ষিণ দিকে হাঁটছেন।
এই বিখ্যাত উক্তিটি করেছেন মিশেল ক্যামডেসাস (Michel Camdessus)।
তিনি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (International Monetary Fund - IMF) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। ১৯৯৭ সালে আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাংকের এক যৌথ সভায় তিনি এই তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্যটি করেছিলেন।
সুশাসন বলতে মূলত একটি দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, আইনের শাসন, কার্যকর অংশগ্রহণ এবং দুর্নীতিমুক্ত ব্যবস্থাকে বোঝায়। ক্যামডেসাস মনে করতেন যে, রাষ্ট্রের সকল স্তরে উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা অপরিহার্য।
৯৬. Political Ideals- গ্রন্থের লেখক কে?
[ বিসিএস ৪১তম ]
Political Ideals গ্রন্থটির লেখক হলেন বারট্রান্ড রাসেল (Bertrand Russell)।
তিনি ছিলেন একজন বিখ্যাত ব্রিটিশ দার্শনিক, যুক্তিবিদ, গণিতবিদ, ইতিহাসবেত্তা, সমাজকর্মী, অহিংসাবাদী এবং সমাজ সমালোচক। বইটি ১৯১৭ সালে প্রকাশিত হয়েছিল।
৯৭. গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতার বিষয়টি আলোচিত হয়েছে?
[ বিসিএস ৪১তম ]
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগের রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি অংশে জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতার বিষয়টি আলোচিত হয়েছে। এই ভাগের ১৮ নং অনুচ্ছেদে জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা সম্পর্কে বলা হয়েছে।
অনুচ্ছেদ ১৮:
(১) রাষ্ট্র জনগণের পুষ্টিস্তর উন্নয়ন ও জনস্বাস্থ্যর উন্নতিকে প্রাথমিক কর্তব্য বলিয়া গণ্য করিবেন এবং বিশেষত: মাদক পানীয় ও স্বাস্থ্যহানিকর ভেষজের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।
(২) রাষ্ট্র পতিতাবৃত্তি ও জুয়াখেলা নিবারণের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।
সুতরাং, সংবিধানের ১৮ নং অনুচ্ছেদে জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতার বিষয়টি আলোচিত হয়েছে।
৯৮. মূল্যবোধের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো-
[ বিসিএস ৪১তম ]
মূল্যবোধের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
-
আপেক্ষিকতা (Relativity): মূল্যবোধ স্থান, কাল, সমাজ ও সংস্কৃতিভেদে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। যা এক সমাজে মূল্যবান বলে বিবেচিত হয়, অন্য সমাজে তা নাও হতে পারে। এমনকি একই সমাজে সময়ের সাথে সাথে মূল্যবোধের পরিবর্তন ঘটতে দেখা যায়।
-
স্থায়িত্ব ও পরিবর্তনশীলতা (Durability and Changeability): মূল্যবোধ সাধারণত দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং সহজে পরিবর্তিত হয় না। তবে সময়ের প্রয়োজনে, সামাজিক বিবর্তনে বা নতুন প্রজন্মের প্রভাবে মূল্যবোধের পরিবর্তনও ঘটতে পারে।
-
স্তরায়ণ (Hierarchy): বিভিন্ন মূল্যবোধের মধ্যে একটি অগ্রাধিকারের স্তর বিদ্যমান থাকে। ব্যক্তি বা সমাজ কোন মূল্যবোধকে বেশি গুরুত্ব দেবে, তা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে।
-
অভ্যন্তরীণতা (Internality): মূল্যবোধ ব্যক্তি কর্তৃক অর্জিত হয় এবং তার বিশ্বাস ও আচরণের অংশ হয়ে ওঠে। এটি বাহ্যিক চাপ বা আরোপিত বিষয় নয়, বরং ব্যক্তির নিজস্ব উপলব্ধি ও বিবেচনার ফল।
-
দিকনির্দেশনা (Directionality): মূল্যবোধ মানুষের আচরণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে দিকনির্দেশনা প্রদান করে। কী করা উচিত, কী অনুচিত – এই বিষয়ে মূল্যবোধ একটি মানদণ্ড তৈরি করে।
-
সামাজিক অনুমোদন (Social Approval): সাধারণত, সমাজে প্রচলিত মূল্যবোধগুলো সামাজিক স্বীকৃতি ও সমর্থন লাভ করে। এই মূল্যবোধগুলো মেনে চলার মাধ্যমেই ব্যক্তি সমাজের সাথে সংগতি রক্ষা করে।
-
মানবিক গুণাবলীর পরিচায়ক (Indicator of Human Qualities): মূল্যবোধ মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও মানবিক গুণাবলীকে প্রকাশ করে। সততা, ন্যায়বিচার, সহমর্মিতা ইত্যাদি মূল্যবোধ একজন মানুষের ব্যক্তিত্বকে উন্নত করে।
সংক্ষেপে, মূল্যবোধ আপেক্ষিক, তুলনামূলকভাবে স্থায়ী কিন্তু পরিবর্তনযোগ্য, অগ্রাধিকারভিত্তিক, অভ্যন্তরীণভাবে অর্জিত, আচরণে দিকনির্দেশক, সামাজিকভাবে অনুমোদিত এবং মানবিক গুণাবলীর পরিচায়ক।
৯৯. প্লেটো ‘সদগুণৎ বলতে বুঝিয়েছেন-
[ বিসিএস ৪১তম ]
প্লেটো 'সদগুণ' (Virtue) বলতে মূলত জ্ঞানের (Knowledge) কথা বুঝিয়েছেন। তবে তার ধারণায় সদগুণ শুধুমাত্র বুদ্ধিবৃত্তিক জ্ঞান নয়, বরং এটি এক ধরনের ব্যবহারিক জ্ঞান যা মানুষকে সঠিক পথে চালিত করে এবং ন্যায়সঙ্গত কাজ করতে সাহায্য করে।
প্লেটোর মতে, সদগুণ হলো আত্মার সুষম অবস্থা। মানুষের আত্মা তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত:
- যুক্তি (Reason): যা জ্ঞান ও প্রজ্ঞার অন্বেষণ করে।
- ইচ্ছা বা স্পৃহা (Spirit): যা সাহস ও দৃঢ়তার উৎস।
- ক্ষুধা বা কামনা (Appetite): যা শারীরিক চাহিদা ও বাসনার সাথে জড়িত।
প্লেটোর মতে, যখন এই তিনটি অংশ সঠিক ভারসাম্যে থাকে এবং যুক্তির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, তখনই মানুষের মধ্যে সদগুণ তৈরি হয়।
এছাড়াও, প্লেটো চারটি প্রধান সদগুণের কথা বলেছেন, কার্ডিনাল ভার্চুস (Cardinal Virtues) বলা হয়:
- প্রজ্ঞা (Wisdom): সঠিক জ্ঞান এবং বিচক্ষণতা।
- সাহস (Courage): ভয়কে জয় করার এবং ন্যায়সঙ্গত কাজের জন্য দৃঢ়তা।
- মিতব্যয়িতা (Temperance): নিজের কামনা ও বাসনাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং পরিমিত আচরণ করা।
- ন্যায়বিচার (Justice): সমাজের প্রতিটি স্তরে এবং ব্যক্তির আত্মার অভ্যন্তরে সঠিক ভারসাম্য ও সামঞ্জস্য বজায় রাখা।
সুতরাং, প্লেটোর কাছে সদগুণ শুধুমাত্র জ্ঞান নয়, বরং জ্ঞান, আত্মার ভারসাম্য এবং এই চারটি প্রধান গুণের সমন্বিত রূপ যা একটি ভালো ও ন্যায়সঙ্গত জীবন যাপনে সহায়তা করে।
১০০. কোন মূল্যবোধ রাষ্ট্র, সরকার ও গোষ্ঠী কর্তৃক স্বীকৃত?
[ বিসিএস ৪১তম ]
রাষ্ট্র, সরকার ও গোষ্ঠী কর্তৃক স্বীকৃত মূল্যবোধকে সাধারণভাবে সামাজিক মূল্যবোধ বলা যেতে পারে। তবে এর মধ্যে আরও কিছু নির্দিষ্ট ধরনের মূল্যবোধ অন্তর্ভুক্ত থাকে:
- গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ: একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এই মূল্যবোধগুলো রাষ্ট্র, সরকার এবং বিভিন্ন গোষ্ঠী কর্তৃক স্বীকৃত ও চর্চিত হয়। এর মধ্যে রয়েছে পরমতসহিষ্ণুতা, আইনের শাসন, সাম্য, ভোটাধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ইত্যাদি।
- নৈতিক মূল্যবোধ: নীতি ও ঔচিত্যবোধ থেকে উৎসারিত এই মূল্যবোধগুলো রাষ্ট্র ও সমাজে সাধারণভাবে স্বীকৃত হয়। যেমন - সততা, ন্যায়বিচার, কর্তব্যপরায়ণতা, সহমর্মিতা ইত্যাদি।
- আইনের শাসন: এটি এমন একটি মূল্যবোধ যা রাষ্ট্র কর্তৃক বিশেষভাবে স্বীকৃত এবং এর মাধ্যমেই সমাজের সকল কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সরকার এবং বিভিন্ন গোষ্ঠীও আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে বাধ্য।
- মানবাধিকার: জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ নির্বিশেষে সকল মানুষের মৌলিক অধিকার রাষ্ট্র, সরকার ও আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী কর্তৃক স্বীকৃত।
সুতরাং, সামাজিক মূল্যবোধের একটি বৃহত্তর কাঠামোর মধ্যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, নৈতিক মূল্যবোধ এবং আইনের শাসনের মতো বিষয়গুলো রাষ্ট্র, সরকার এবং বিভিন্ন গোষ্ঠী কর্তৃক স্বীকৃত হয়ে থাকে।
১০১. কে কর্তব্যের নৈতিকতার ধারণা প্রবর্তন করেন?
[ বিসিএস ৪১তম ]
ইমানুয়েল কান্ট (Immanuel Kant) কর্তব্যের নৈতিকতার ধারণা প্রবর্তন করেন।
কান্টের নৈতিক দর্শন, যা কর্তব্যভিত্তিক নীতিশাস্ত্র (Deontological Ethics) নামেও পরিচিত, কর্মের ফলাফলের পরিবর্তে কর্তব্যের উপর ভিত্তি করে নৈতিকতাকে বিচার করে। কান্টের মতে, একটি কাজ নৈতিকভাবে সঠিক কিনা তা নির্ধারণ করে সেই কাজের অন্তর্নিহিত নিয়ম বা কর্তব্য, পরিণতি নয়।
তার বিখ্যাত ধারণা Categorical Imperative (নিঃশর্ত আদেশ) এই নীতির মূল ভিত্তি। এর মাধ্যমে কান্ট এমন নীতি নির্ধারণের চেষ্টা করেছেন যা সার্বজনীনভাবে প্রযোজ্য এবং যা বুদ্ধিভিত্তিক যুক্তির মাধ্যমেই মানুষ উপলব্ধি করতে পারে।
১০২. সভ্যতার অন্যতম প্রতিচ্ছবি হলো?
[ বিসিএস ৪১তম ]
সঠিক উত্তর হলো সমাজ।
যদিও সুশাসন, রাষ্ট্র এবং নৈতিকতাও সভ্যতার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, তবে সমাজ হলো সেই ভিত্তি যার উপর একটি সভ্যতা গড়ে ওঠে এবং বিকশিত হয়। সমাজ ছাড়া সভ্যতার ধারণা অর্থহীন।
একটি সভ্যতা মূলত মানুষের একটি সংগঠিত গোষ্ঠী, যারা একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অঞ্চলে বসবাস করে, নিজস্ব সংস্কৃতি, রীতিনীতি, প্রযুক্তি এবং সামাজিক কাঠামো তৈরি করে। এই অর্থে, সমাজ হলো সভ্যতার প্রাথমিক এবং অপরিহার্য প্রতিচ্ছবি।
'সুশাসন চারটি স্তম্ভের উপর নির্ভরশীল' - এই অভিমত বিশ্বব্যাংক (World Bank) প্রকাশ করে।
বিশ্বব্যাংক ২০০০ সালে তাদের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করে যে সুশাসন প্রধানত চারটি স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত:
১. দায়িত্বশীলতা (Accountability): সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি খাত ও নাগরিক সমাজের প্রতি তাদের কাজকর্মের জন্য জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকা। ২. স্বচ্ছতা (Transparency): সরকারি প্রক্রিয়া, তথ্য এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্বচ্ছতা বজায় রাখা এবং জনগণের জন্য তা সহজলভ্য করা। ৩. আইনি কাঠামো (Legal Framework): একটি নিরপেক্ষ ও কার্যকর আইনি কাঠামো বিদ্যমান থাকা এবং তার যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা। ৪. অংশগ্রহণ (Participation): নীতি নির্ধারণ ও বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
১০৪. বিধবার প্রেম নিয়ে রচিত উপন্যাস কোনটি?
[ বিসিএস ৪১তম ]
বিধবার প্রেম নিয়ে রচিত উপন্যাস হলো খঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘চোখের বালি’।
এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র বিনোদিনী, একজন যুবতী বিধবা, যার জীবন এবং তার দুটি পুরুষের প্রতি আকর্ষণ এই কাহিনীর মূল বিষয়। উপন্যাসটিতে বিধবাদের তৎকালীন সামাজিক অবস্থান এবং তাদের মানসিক জটিলতা অত্যন্ত সংবেদনশীলভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
অন্যান্য উপন্যাসগুলোর মূল বিষয় ভিন্ন:
- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘শেষ প্রশ্ন’: এটি মূলত নারীমুক্তি, ধর্ম ও সমাজের প্রচলিত রীতিনীতির বিরুদ্ধে এক বলিষ্ঠ প্রশ্ন উত্থাপনকারী উপন্যাস। এখানে বিধবার চরিত্র থাকলেও সেটি মুখ্য নয়।
- কাজী নজরুল ইসলামের ‘কুহেলিকা’: এটি একটি রহস্য ও মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস, যেখানে প্রেমের জটিলতা ও দেশপ্রেমের প্রেক্ষাপট মুখ্য।
- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘কপালকুণ্ডলা’: এটি একটি রোমান্টিক উপন্যাস, যেখানে প্রকৃতির কোলে বেড়ে ওঠা এক বালিকার সাথে শহুরে যুবকের প্রেম ও পরিণতি বর্ণিত হয়েছে।
১০৫. জেলে জীবন কেন্দ্রিক উপন্যাস কোনটি?
[ বিসিএস ৪১তম ]
সঠিক উত্তর হলো কঃ গঙ্গা।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত গঙ্গা উপন্যাসটি জেলেদের জীবন এবং নদীর তীরবর্তী মানুষের জীবনযাত্রা, তাদের সংগ্রাম ও প্রকৃতির সাথে তাদের সম্পর্ককে কেন্দ্র করে লেখা হয়েছে। এই উপন্যাসে জেলেদের দৈনন্দিন জীবন, মাছ ধরা, নদীর উত্থান-পতন এবং তাদের সামাজিক প্রেক্ষাপট জীবন্তভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
অন্যান্য উপন্যাসগুলোর বিষয়বস্তু ভিন্ন:
- পুতুলনাচের ইতিকথা: এটিও মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা, তবে এর মূল বিষয় গ্রামীণ সমাজের জটিলতা, মানুষের মনস্তত্ত্ব এবং নিয়তির প্রভাব।
- হাঁসুলী বাঁকের উপকথা: এটি তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা, যেখানে সাঁওতাল জনজাতির জীবন, সংস্কৃতি এবং সময়ের সাথে সাথে তাদের পরিবর্তন বর্ণিত হয়েছে।
- গৃহদাহ: এটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা, যেখানে ত্রিভুজ প্রেমের জটিলতা এবং সামাজিক রীতিনীতির প্রভাব দেখানো হয়েছে।
১০৬. “ডিঙ্গি টেনে বের করতে হবে” কোন ধরনের বাক্য উদাহরণ?
[ বিসিএস ৪১তম ]
সঠিক উত্তর হলো ভাববাচ্য।
"ডিঙ্গি টেনে বের করতে হবে" বাক্যটিতে কর্ম (ডিঙ্গি) প্রধান এবং কর্তার (কে কাজটি করবে) সুস্পষ্ট উল্লেখ নেই। এই ধরনের বাক্য, যেখানে ক্রিয়ার ভাবের প্রধান্য থাকে এবং কর্ম প্রধান রূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে ভাববাচ্য বলে।
অন্যান্য বিকল্পগুলোর ব্যাখ্যা:
- কর্মবাচ্য: কর্ম প্রধান এবং কর্তা গৌণ থাকে, এবং কর্তার উল্লেখ সাধারণত 'দ্বারা' বা 'কর্তৃক' যোগে থাকে (যেমন: "ডিঙ্গিটি তার দ্বারা টেনে বের করা হবে")।
- কর্মকর্তৃবাচ্য: বাক্যে কর্মই কর্তার মতো আচরণ করে (যেমন: "বাঁশি বাজে")। এই বাক্যে ডিঙ্গি নিজে টেনে বের হওয়ার কাজ করছে না।
- যৌগিক বাক্য: একাধিক সরল বাক্য সংযোজক দ্বারা যুক্ত হয়ে একটি যৌগিক বাক্য গঠন করে (এই বাক্যটি একটি সরল বাক্য)।
১০৭. বাংলা সাহিত্যে ‘কালকূট’ নামে পরিচিত কোন লেখক?
[ বিসিএস ৪১তম ]
সমরেশ বসু বাংলা সাহিত্যে 'কালকূট' নামে পরিচিত। এটি ছিল তার ছদ্মনাম। এই ছদ্মনামে তিনি বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য সাহিত্য রচনা করেছেন।
১০৮. “পরানের গহীন ভিতর” কাব্যের কবি কে?
[ বিসিএস ৪১তম ]
সৈয়দ শামসুল হক "পরানের গহীন ভিতর" কাব্যের কবি।
এটি তার একটি বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ, যা ১৯৮০ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। এই কাব্যে আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহার বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
১০৯. ‘এবার আমার একটি বিচিত্র অভিজ্ঞতা হলো’- এ বাক্য কোন ধরনের?
[ বিসিএস ৪১তম ]
সঠিক উত্তর হলো খঃ নির্দেশাত্মক।
এই বাক্যটি একটি সাধারণ বিবৃতি প্রদান করছে, যেখানে বক্তা তার একটি বিচিত্র অভিজ্ঞতার কথা নির্দেশ করছেন বা জানাচ্ছেন। এটি কোনো আদেশ, বিস্ময়, বা প্রশ্ন প্রকাশ করছে না।
অন্যান্য বিকল্পগুলোর ব্যাখ্যা:
- অনুজ্ঞাবাচক: আদেশ, অনুরোধ, উপদেশ ইত্যাদি বোঝায় (যেমন: "তুমি এখন যাও")।
- বিস্ময়বোধক: বিস্ময় বা আবেগ প্রকাশ করে এবং শেষে বিস্ময়সূচক চিহ্ন (!) থাকে (যেমন: "কী বিচিত্র অভিজ্ঞতা!")।
- প্রশ্নবোধক: কোনো প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে এবং শেষে প্রশ্নবোধক চিহ্ন (?) থাকে (যেমন: "তোমার কি কোনো বিচিত্র অভিজ্ঞতা হলো?")।
১১০. ভাষা আন্দোলন নিয়ে লেখা কবিতা কোনটি?
[ বিসিএস ৪১তম ]
ভাষা আন্দোলন নিয়ে লেখা কবিতা হলো স্মৃতিস্তম্ভ।
এই কবিতাটি কবি আলাউদ্দিন আল আজাদ রচনা করেন। ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভের তাৎপর্য এবং ভাষা আন্দোলনের চেতনা এই কবিতায় তুলে ধরা হয়েছে।
অন্যান্য কবিতাগুলোর বিষয়বস্তু ভিন্ন:
- হুলিয়া: এটি নির্মলেন্দু গুণ রচিত একটি বিখ্যাত কবিতা, তবে এর মূল বিষয়বস্তু মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধপরবর্তী সামাজিক প্রেক্ষাপট।
- তোমাকে অভিবাদন প্রিয়া: এটিও নির্মলেন্দু গুণ রচিত একটি প্রেমের কবিতা।
- সোনালী কাবিন: এটি আল মাহমুদ রচিত একটি রোমান্টিক ও প্রকৃতিবাদী কাব্যগ্রন্থ।
সঠিক উত্তর: বাক্যতত্ত্ব
ব্যাখ্যা:
ধ্বনিতত্ত্ব ও শব্দতত্ত্ব ভাষার মৌলিক উপাদান নিয়ে আলোচনা করে, যেমন—ধ্বনি, শব্দগঠন, অর্থ ইত্যাদি। তবে এই উপাদানগুলোকে যথাযথভাবে বাক্যে ব্যবহার করার যে নীতি ও নিয়ম—তাকে বলে বাক্যতত্ত্ব (Syntax)।
অপশন বিশ্লেষণ:
- কঃ রসতত্ত্ব: সাহিত্যের সৌন্দর্য ও অনুভূতির বিশ্লেষণ; ভাষার গঠনসংক্রান্ত নয়।
- খঃ রূপতত্ত্ব (Morphology): শব্দের গঠন ও পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করে।
- গঃ বাক্যতত্ত্ব (Syntax): শব্দ ও ধ্বনি কীভাবে বাক্যে বসে তার নিয়ম ও গঠন বিশ্লেষণ করে – সঠিক।
- ঘঃ ক্রিয়ার কাল: কেবল ক্রিয়ার সময় নির্দেশ করে, বাক্যগঠনের পূর্ণ বিধান নয়।
তাই, "ধ্বনিতত্ত্ব ও শব্দতত্ত্ব বাক্যে যথাযথভাবে ব্যবহার করার বিধান" = বাক্যতত্ত্ব (Syntax)।
১১২. কোন বানানটি শুদ্ধ?
[ বিসিএস ৪১তম ]
সঠিক বানান: খঃ মনঃকষ্ট
ব্যাখ্যা: "মনঃকষ্ট" শব্দটি দুটি অংশ নিয়ে গঠিত—"মনঃ" এবং "কষ্ট"। এখানে "মনঃ" হলো "মন" শব্দের পরে বিশর্গ যুক্ত একটি রূপ, যা ব্যঞ্জনবর্ণ দিয়ে শুরু হওয়া শব্দের আগে বসে। তাই "মন" + "কষ্ট" = "মনঃকষ্ট"।
ভুল অপশন বিশ্লেষণ:
- কঃ মনোকষ্ট → ভুল; এখানে বিশর্গ নেই।
- গঃ মণকষ্ট → ভুল; "মণ" মানে ওজনের একক, এখানে প্রাসঙ্গিক নয়।
- ঘঃ মনকস্ট → ভুল; বানান অশুদ্ধ ও ইংরেজি উচ্চারণে বিভ্রান্তিকর।
১১৩. প্রচুর + য = প্রাচুর্য, কোন প্রত্যয়?
[ বিসিএস ৪১তম ]
এই প্রশ্নে সঠিক উত্তর হবে:
খঃ তদ্ধিত প্রত্যয়
কারণ, "য" এখানে একটি তদ্ধিত প্রত্যয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে, যা কোনো মূল শব্দের পর যুক্ত হয়ে নতুন অর্থ সৃষ্টি করে। "প্রাচুর্য" শব্দটি "প্রচুর" থেকে এসেছে, যেখানে "য" তদ্ধিত প্রত্যয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
১১৪. ব্যঞ্জন ধ্বনির সংক্ষিপ্ত রূপকে বলে-
[ বিসিএস ৪১তম ]
ব্যঞ্জন ধ্বনির সংক্ষিপ্ত রূপকে ফলা বলে।
বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণের ফলা মোট ছয়টি:
- ণ-ফলা/ন-ফলা: যেমন - চিহ্ন, রত্ন
- ব-ফলা: যেমন - বিশ্বাস, নিঃস্ব
- ম-ফলা: যেমন - পদ্ম, আত্মা
- য-ফলা: যেমন - সহ্য, বিদ্যা
- র-ফলা: যেমন - গ্রহ, ব্রত
- ল-ফলা: যেমন - ক্লান্ত, উল্লাস
১১৫. পাঁচালিকার হিসেবে সর্বাধিক খ্যাতি কার ছিল?
[ বিসিএস ৪১তম ]
পাঁচালিকার হিসেবে সর্বাধিক খ্যাতি ছিল কঃ দাশরথি রায়-এর।
তিনি উনিশ শতকের একজন বিখ্যাত পাঁচালী কবি ও গায়ক ছিলেন। তার রচিত পালাগানগুলি অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল এবং তিনি পাঁচালির জগতে এক বিশেষ স্থান অধিকার করে আছেন।
১১৬. চারণকবি হিসেবে বিখ্যাত কে?
[ বিসিএস ৪১তম ]
চারণকবি হিসেবে বিখ্যাত মুকুন্দদাস।
মুকুন্দদাস ছিলেন একজন বিখ্যাত চারণকবি এবং যাত্রা নাট্যকার। তিনি স্বদেশপ্রেমমূলক গান ও নাটক রচনা করে সাধারণ মানুষের মধ্যে দেশাত্মবোধ জাগিয়ে তুলেছিলেন। তার গান ও নাটক ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই কারণেই তিনি 'চারণকবি' হিসেবে পরিচিত।
১১৭. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘নষ্টনীড়’ গল্পের একটি বিখ্যাত চরিত্র-
[ বিসিএস ৪১তম ]
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘নষ্টনীড়’ গল্পের একটি বিখ্যাত চরিত্র চারুলতা।
এই গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র হলো চারুলতা, ভূপতির স্ত্রী। তার নিঃসঙ্গতা, দেবর অমলের সাথে তার সম্পর্ক এবং মানসিক পরিবর্তন এই গল্পের মূল বিষয়বস্তু।
১১৮. উপমান কর্মধারয় সমাসের উদাহরণ কোনটি?
[ বিসিএস ৪১তম ]
উপমান কর্মধারয় সমাসের উদাহরণ হলো শশব্যস্ত।
উপমান কর্মধারয় সমাসে উপমানবাচক পদের সাথে উপমেয়বাচক পদের সমাস হয় এবং উপমান পদটি পূর্বপদে বসে। 'শশব্যস্ত' এর ব্যাসবাক্য হলো 'শশকের ন্যায় ব্যস্ত'। এখানে 'শশক' (খরগোশ) হলো উপমান এবং 'ব্যস্ত' হলো উপমেয়।
অন্যান্য বিকল্পগুলোর ব্যাখ্যা:
- কালচক্র: এটি একটি সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস (কালের চক্র)।
- পরাণপাখি: এটি একটি রূপক কর্মধারয় সমাস (পরাণ রূপ পাখি)। এখানে উপমেয় ও উপমানের মধ্যে অভেদ কল্পনা করা হয়েছে।
- বহুব্রীহি: এটি একটি বহুব্রীহি সমাস (বহু ব্রীহি [ধান] যার - বহুধানবিশিষ্ট)।
১১৯. অপিনিহিতির উদাহরণ কোনটি?
[ বিসিএস ৪১তম ]
অপিনিহিতির উদাহরণ হলো আজি > আইজ।
অপিনিহিতি হলো যখন শব্দের মধ্যে থাকা ই-কার বা উ-কার তার স্বাভাবিক অবস্থানের আগে উচ্চারিত হয় বা লেখা হয়।
- আজি > আইজ - এই উদাহরণে 'ই' ধ্বনিটি তার মূল স্থান থেকে সরে 'আ'-এর পরে উচ্চারিত হচ্ছে।
অন্যান্য উদাহরণগুলোর ব্যাখ্যা:
- জন্ম-জম্ম: এটি দ্বিরুক্ত শব্দের উদাহরণ।
- ডেস্ক > ডেসক: এটি স্বরভক্তির উদাহরণ (দুটি ব্যঞ্জনধ্বনির মধ্যে স্বরধ্বনি আগমন)।
- অলাবু > লাবু > লাউ: এটি স্বরসংগতির উদাহরণ (পরবর্তী স্বরের প্রভাবে পূর্ববর্তী স্বরের পরিবর্তন)।
১২০. ‘কুসীদজীবী’ বলতে কাদের বুঝায়?
[ বিসিএস ৪১তম ]
‘কুসীদজীবী’ বলতে মূলত সুদখোর বা যারা অতিরিক্ত সুদের বিনিময়ে ঋণ দেয় তাদেরকে বোঝায়।
এই শব্দটি সেই শ্রেণীর ব্যক্তিদের জন্য ব্যবহৃত হয় যারা অভাবী বা অসহায় মানুষের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে চড়া হারে সুদ আদায় করে এবং এর মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে। কুসীদজীবীরা সাধারণত সমাজের অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের শোষণ করে।
অতএব, ‘কুসীদজীবী’ শব্দটির মূল অর্থ হলো সুদের উপর জীবনধারণকারী ব্যক্তি বা অত্যধিক সুদ গ্রহণকারী মহাজন।
১২১. ‘অভাব’ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে কোন উপসর্গটি?
[ বিসিএস ৪১তম ]
অভাব অর্থে আ উপসর্গ যোগে গঠিত শব্দ: আকাঁড়া, আধোয়া, আলুনি।
১২২. ‘Lady Chatterley's Lover’ was written by the author of-
[ বিসিএস ৪১তম ]
‘Lady Chatterley's Lover’ লিখেছেন ডি.এইচ. লরেন্স।
সুতরাং, ‘Lady Chatterley's Lover’ দ্য রেইনবো (The Rainbow), সন্স অ্যান্ড লাভার্স (Sons and Lovers) এবং উইমেন ইন লাভ (Women in Love)-এর লেখকের লেখা, অন্যান্য কাজের মধ্যে।
fish শব্দটি একইভাবে একবচন ও বহুবচনে ব্যবহার করা যায়:
- একবচন: I caught a fish. (আমি একটি মাছ ধরলাম।)
- বহুবচন: I caught five fish. (আমি পাঁচটি মাছ ধরলাম।)
যদিও "fishes" শব্দটিও আছে, সেটি তখন ব্যবহার হয় যখন বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বোঝানো হয় (যেমন: "There are many fishes in the ocean" = সাগরে অনেক প্রজাতির মাছ আছে)।
অন্যান্য বিকল্প বিশ্লেষণ:
-
কঃ wood – সাধারণত অগণনীয় (uncountable) পদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যেমন: "some wood" (কিছু কাঠ)। একে সাধারণত বহুবচনে "woods" বলা যায় না।
-
খঃ issue – এটি একটি গণনীয় শব্দ; একবচনে "issue", বহুবচনে "issues" হয়।
-
ঘঃ light – "light" একবচন, বহুবচনে "lights" হয় (যেমন: আলো/বাতি)।
প্রশ্নটি: Who taught you French? এটি একটি active voice প্রশ্ন। গঠন: Who (subject) + taught (verb) + you (object) + French (object 2)
এখানে "you" হ'ল যাকে শেখানো হয়েছে, অর্থাৎ primary object। Passive voice-এ, object "you" হবে subject.
Passive voice রূপান্তর:
You were taught French by whom? প্রশ্নরূপে সঠিক গঠন: By whom were you taught French?
বাকিগুলোর বিশ্লেষণ:
- কঃ By whom you were taught French? ভুল শব্দ বিন্যাস (Question form-এ "were you" হওয়া উচিত)।
- খঃ By whom French was taught you? ইংরেজিতে "taught you" না বলে "you were taught" হয়।
- গঃ French was taught you by whom? ভুল ক্রম এবং অপ্রাকৃত শোনায়।
প্রশ্নটি: The old man was tired of walking. এখানে 'walking' কোন ধরনের শব্দ তা নির্ধারণ করতে হবে।
বাক্য গঠন বিশ্লেষণ: ‘Tired of’ হচ্ছে একটি fixed expression (adjective + preposition)। এর পরবর্তী অংশে যে শব্দটি আসে, তা noun-এর মতো ব্যবহার হয়, কারণ preposition-এর পরে noun বা pronoun বসে।
‘walking’ এখানে verb এর present participle রূপ হলেও, এটি noun হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। অর্থাৎ, verb + ing রূপটি এখানে ক্রিয়া নয়, কাজ বোঝানো noun।
এটি gerund — কারণ এটি verb-এর ing রূপ, কিন্তু noun হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
বিকল্পগুলোর বিশ্লেষণ:
কঃ adjective ‘walking’ এখানে কোনো noun-এর বিশেষণ নয়, তাই এটি adjective নয়।
খঃ common noun ‘walking’ একটি নির্দিষ্ট বস্তু বা সাধারণ নাম নয়, এটি verb থেকে গঠিত noun — তাই common noun নয়।
গঃ present participle present participle হলে এটি adjective-এর মতো ব্যবহার হতো (যেমন: walking man)। এখানে তা নয়।
ঘঃ gerund সঠিক — কারণ এটি verb-এর ing রূপে noun হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
১২৬. Which one is a correct sentence?
[ বিসিএস ৪১তম ]
ধমনী বা নাড়ীর স্পন্দন পরীক্ষা করা অর্থে feel/check/take ব্যবহৃত হয়। সুতরাং শুদ্ধ বাক্যটি - The doctor took my pulse.
১২৭. ‘I will not let you go.’ In this sentence ‘go’ is a/an ___
[ বিসিএস ৪১তম ]
সঠিক উত্তর হলো কঃ infinitive।
এই বাক্যে 'go' হলো একটি bare infinitive।
Infinitive সাধারণত 'to' এর সাথে verb এর base form ব্যবহার করে গঠিত হয় (যেমন: to go, to eat, to sleep)। তবে, কিছু বিশেষ verb (যেমন: let, make, see, hear, feel, help) এর পরে 'to' ছাড়া infinitive ব্যবহৃত হয়, যাকে bare infinitive বলে।
এই বাক্যে 'let' verb টির পরে 'go' bare infinitive হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
অন্যান্য বিকল্পগুলোর ব্যাখ্যা:
- Gerund: verb এর সাথে '-ing' যোগ করে noun এর মতো ব্যবহৃত হয় (যেমন: Swimming is a good exercise)।
- Participle: verb এর সাথে '-ing' (present participle) বা '-ed' (past participle) যোগ করে adjective এর মতো ব্যবহৃত হয় (যেমন: The sleeping baby, broken chair)।
- Verbal noun: verb থেকে গঠিত noun, তবে gerund এবং verbal noun এর মধ্যে কিছু সূক্ষ্ম পার্থক্য আছে। 'Go' এখানে noun হিসেবে ব্যবহৃত হয়নি।
সঠিক উত্তর হলো ঘঃ no preposition।
সাধারণত, যখন কেউ কোনো আবদ্ধ স্থানে (যেমন - ঘর, কামরা) প্রবেশ করে, তখন ক্রিয়ার পরে সরাসরি সেই স্থানের নাম বসে, কোনো প্রিপোজিশন ব্যবহৃত হয় না।
তাই সঠিক বাক্যটি হবে: When Ushashi entered the room everybody stopped talking.
যদি গতির দিক থেকে প্রবেশ করা বোঝাতো, তবে "into" ব্যবহার করা যেত, কিন্তু এই বাক্যে কেবলমাত্র প্রবেশের কাজটি বোঝানো হচ্ছে। "In" সাধারণত কোনো স্থানের ভেতরে অবস্থান করা বোঝায়, "to" দিক বা গন্তব্য বোঝায়। এই কারণে এই বাক্যগুলোতে কোনো প্রিপোজিশনের প্রয়োজন নেই।
১২৯. The play ‘The Birthday Party’ is written by ____
[ বিসিএস ৪১তম ]
The play ‘The Birthday Party’ is written by Harold Pinter.
Harold Pinter ছিলেন একজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ব্রিটিশ নাট্যকার। 'The Birthday Party' তার বিখ্যাত কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম।
১৩০. ‘Time held me Green and dying Though I sang in my chains like the sea.’ These lines have been quoted from Dylan Thomas’ poem-
[ বিসিএস ৪১তম ]
এই পঙ্ক্তিগুলো ডিলান টমাসের বিখ্যাত কবিতা Fern Hill থেকে উদ্ধৃত করা হয়েছে।
কবিতাটিতে কবি তার শৈশবের স্মৃতিচারণ করেছেন, যেখানে সময়ের স্রোতে সবকিছু সবুজ এবং প্রাণবন্ত ছিল, যদিও তিনি কালের নিয়মে আবদ্ধ ছিলেন ("sang in my chains like the sea")। "Fern Hill" ডিলান টমাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাজ হিসেবে বিবেচিত হয়।
১৩১. One whose attitude is ‘eat, drink and be merry’ is ___
[ বিসিএস ৪১তম ]
যার মনোভাব ‘খাও, দাও আর ফূর্তি করো’ তাকে বাংলায় ভোগবাদী বা সুখবাদী বলা যেতে পারে।
তবে, ইংরেজি শব্দগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উপযুক্ত হলো epicurean। এপিকিউরিয়ান বলতে এমন ব্যক্তিকে বোঝায় যে ইন্দ্রিয়সুখ, বিশেষ করে ভালো খাবার ও পানীয় উপভোগে বিশেষভাবে আগ্রহী।
অন্যান্য বিকল্পগুলোর বাংলা অর্থ:
- Materialistic: বস্তুবাদী (আধ্যাত্মিক বা বুদ্ধিবৃত্তিক বিষয়ের চেয়ে বস্তুগত possessions-এর প্রতি অত্যধিক আগ্রহী)।
- Cynic: নিন্দুক, সংশয়বাদী (যারা মনে করে মানুষ সম্পূর্ণরূপে স্বার্থ দ্বারা চালিত; মানুষের আন্তরিকতা বা সততার প্রতি অবিশ্বাসী)।
- Stoic: নির্বিকার, ধৈর্যশীল (যে কষ্ট বা প্রতিকূলতা কোনো রকম আবেগ বা অভিযোগ ছাড়াই সহ্য করতে পারে)।
১৩২. ‘Was this the face that launch’d a thousand ships, And burnt the topless towers of Ilium?’ Who speaks the famous lines?
[ বিসিএস ৪১তম ]
এই বিখ্যাত পঙ্ক্তিগুলো Faustus উচ্চারণ করেছেন।
ক্রিস্টোফার মার্লোর বিখ্যাত নাটক ‘Doctor Faustus’-এ যখন ফাউস্টাস হেলেনের (Helen of Troy) আত্মাকে দেখেন, তখন তিনি সৌন্দর্যের তীব্রতায় মুগ্ধ হয়ে এই কথাগুলো বলেন। ইলিয়ামের (ট্রয়) শীর্ষচূড়া ধ্বংসকারী এবং সহস্র জাহাজ ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়া হেলেনের মুখ দেখেই তিনি এই উক্তি করেছিলেন।
প্রশ্নটি: The character ‘Alfred Doolittle’ is taken from Shaw’s play titled– এখানে জানতে চাওয়া হয়েছে, জর্জ বার্নার্ড শ’র কোন নাটকে Alfred Doolittle চরিত্রটি আছে।
বাক্য গঠন বিশ্লেষণ: Alfred Doolittle হলো একজন মজার, দরিদ্র ও দার্শনিক ধরণের মজুর শ্রেণির চরিত্র, যিনি নিজের মেয়ের (Eliza Doolittle) জীবন ও পরিবর্তনের সঙ্গে জড়িত।
এই চরিত্রটি পাওয়া যায় শ’র বিখ্যাত নাটক Pygmalion-এ।
বিকল্পগুলোর বিশ্লেষণ:
খঃ Man and Superman: এই নাটকে প্রধান চরিত্র John Tanner, Alfred Doolittle নেই।
গঃ The Doctor’s Dilemma: এটি একটি ভিন্ন নাটক, যেখানে চিকিৎসাবিদ্যার নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। Alfred Doolittle এর সঙ্গে সম্পর্ক নেই।
ঘঃ Mrs. Warren’s Profession: এই নাটকে মূল চরিত্র হলো Vivie Warren এবং তার মা Mrs. Warren। Alfred Doolittle এখানে নেই।
সঠিক উত্তর T. S. Eliot (টি. এস. এলিয়ট)।
"The Love Song of J. Alfred Prufrock" কবিতাটি টি. এস. এলিয়ট রচনা করেন এবং এটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯১৫ সালে। আধুনিকতাবাদী কাব্যধারার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সৃষ্টি এটি, যেখানে কবি প্রেম, দ্বিধা, আত্মজিজ্ঞাসা ও একাকিত্বের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। কবিতাটির বিচ্ছিন্ন কাঠামো ও গভীর মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ একে বিশেষভাবে স্মরণীয় করে তুলেছে।
সঠিক উত্তর H.G Wells (এইচ. জি. ওয়েলস)।
"The Time Machine" উপন্যাসটি ১৮৯৫ সালে প্রকাশিত হয় এবং এটি বিজ্ঞান কল্পকাহিনির (scientific romance) অন্যতম প্রথম দৃষ্টান্ত। এইচ. জি. ওয়েলস তাঁর সময়-ভ্রমণ সম্পর্কিত এই বিখ্যাত রচনায় ভবিষ্যৎ সমাজের একটি চিত্র এঁকেছেন, যেখানে মানুষের বিবর্তন, প্রযুক্তির প্রভাব, ও সামাজিক শ্রেণিবিন্যাসের বিষয় উঠে এসেছে।
১৩৬. ‘Call me if you have any problem regarding your work.’ Here ‘regarding’ is a/an ___
[ বিসিএস ৪১তম ]
সঠিক উত্তর preposition।
Explanation:
- "Regarding" এখানে preposition হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে, যা "your work" (তোমার কাজ) সম্পর্কিত তথ্য প্রদান করছে।
- এটি কোনো noun নয়, কারণ এটি বস্তু বা ব্যক্তি নির্দেশ করে না।
- এটি gerund নয়, কারণ "regarding" এখানে verb-এর -ing form হিসেবে কাজ করছে না।
- এটি conjunction নয়, কারণ এটি দুটি বাক্যাংশকে যুক্ত করছে না।
১৩৭. Select the correct comparative form of the sentence ‘A string of pearls was not so bright as her teeth.’
[ বিসিএস ৪১তম ]
সঠিক উত্তর Her teeth were brighter than a string of pearls.
ব্যাখ্যা:
- Comparative form: "Brighter" হল "bright" এর comparative form। এখানে "more brighter" ভুল, কারণ "more" এবং "-er" একসাথে ব্যবহার করা যায় না।
- Singular vs. Plural: "Teeth" বহুবচন, তাই "was" নয়, "were" সঠিক।
- Logical meaning: মূল বাক্যে বলা হয়েছে যে মুক্তোর মালা এত উজ্জ্বল নয় যতটা তার দাঁত। তাই comparative বাক্যে "Her teeth were brighter than a string of pearls" হবে।
১৩৮. ‘Come on, it's time to go home.’ Here ‘home’ is a/an ___
[ বিসিএস ৪১তম ]
এখানে "home" শব্দটি adverb হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে কারণ এটি "go" ক্রিয়ার দিক নির্দেশ করছে—কোথায় যাওয়ার কথা হচ্ছে।
যখন "home" পূর্বে কোনো preposition (যেমন: to home) থাকে, তখন এটি noun হিসেবে কাজ করে। তবে এখানে "go home" বলার কারণে "home" adverbial ব্যবহার বহন করছে।
উদাহরণ:
- Adverb: He went home early. → (এখানে "home" adverb)
- Noun: He has a beautiful home. → (এখানে "home" noun)
১৩৯. ‘Huffing and puffing, we arrived at the classroom door with only seven seconds to spare.’ In this sentence the verb ‘arrived’ is-
[ বিসিএস ৪১তম ]
"Arrived" একটি intransitive verb কারণ এটি কোনো object গ্রহণ করে না।
- Intransitive Verb: এ ধরনের ক্রিয়াগুলো কোনো object ছাড়াই বাক্যে সম্পূর্ণ অর্থ প্রকাশ করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ—"We arrived at the classroom door." এখানে "arrived" একটি intransitive verb, কারণ এটি সরাসরি কোনো বস্তু বা ব্যক্তি নির্দেশ করছে না; বরং ঘটনাটি সম্পন্ন হয়েছে মাত্র।
উদাহরণ:
- Intransitive: She arrived late. (এখানে "arrived" intransitive)
- Transitive: She wrote a letter. (এখানে "wrote" transitive, কারণ এটি "letter" কে object হিসেবে গ্রহণ করছে)
১৪০. Which one of the following is a common gender?
[ বিসিএস ৪১তম ]
সঠিক উত্তর খঃ sovereign।
- Common gender এমন একটি শব্দ, যা পুরুষ বা নারী উভয়ের জন্য ব্যবহার করা যায়।
- "King" এবং "Emperor" বিশেষভাবে পুরুষের জন্য ব্যবহৃত হয়।
- "Queen" বিশেষভাবে নারীর জন্য ব্যবহৃত হয়।
- "Sovereign" পুরুষ এবং নারী উভয়ের জন্য ব্যবহারযোগ্য, তাই এটি common gender।
উদাহরণ:
- Queen Elizabeth was a sovereign.
- A king is also a sovereign.
১৪১. △ABC এর ∠A=40° এবং ∠B=80°। ∠C এর সমদ্বিখণ্ডক AB বাহুকে D বিন্দুতে ছেদ করলে ∠CDA=?
[ বিসিএস ৪১তম ]
CD হল ∠C এর সমদ্বিখণ্ডক। সুতরাং,
এখন, ত্রিভুজ ADC এ, আমরা জানি যে তিনটি কোণের সমষ্টি ১৮০°। সুতরাং,
সুতরাং, ∠CDA = ১১০°।
১৪২. ৫ জন পুরুষ ও ৪ জন মহিলার একটি দল থেকে একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলা নিয়ে কত প্রকারে একটি কমিটি গঠন করা যাবে?
[ বিসিএস ৪১তম ]
এরপর, ৪ জন মহিলা থেকে ২ জন মহিলা নির্বাচন করার উপায় সংখ্যা:
মোট কমিটি গঠনের উপায় সংখ্যা হল পুরুষ নির্বাচন করার উপায় সংখ্যা এবং মহিলা নির্বাচন করার উপায় সংখ্যার গুণফল:
মোট প্রকার =
সুতরাং, ৩০ প্রকারে একটি কমিটি গঠন করা যাবে।
১৪৫. ধারাটির অসীম পদ পর্যন্ত যোগফল-
[ বিসিএস ৪১তম ]
সাধারণ অনুপাত (
অসীম গুণোত্তর ধারার যোগফলের সূত্র (
সুতরাং, ধারাটির অসীম পদ পর্যন্ত যোগফল
১৪৬. হলে, এবং এর কোন মানের জন্য হবে?
[ বিসিএস ৪১তম ]
এটি
তাহলে প্রাথমিক ক্ষেত্রফল,
দৈর্ঘ্য ৫% বৃদ্ধি করলে:
নতুন দৈর্ঘ্য,
প্রস্থ অপরিবর্তিত থাকায় (
ক্ষেত্রফলের বৃদ্ধি:
শতকরা বৃদ্ধি:
উত্তর:
আয়তক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল
১৪৮. চিনির মূল্য ১০% কমে যাওয়ায় চিনির ব্যবহার শতকরা কত ভাগ বাড়ালে চিনি বাবদ খরচ একই থাকবে?
[ বিসিএস ৪১তম ]
প্রথমে ১ কেজি চিনির দাম ছিল ১০০ টাকা।
১০% কমে গেলে নতুন দাম হয়:
এখন, একই টাকা (১০০ টাকা) খরচ করে চিনি কেনা যাবে:
অর্থাৎ, পূর্বের তুলনায় চিনির ব্যবহার বেড়েছে:
শতকরা বৃদ্ধি:
এই অবস্থায়, যদি ত্রিভুজটির বাহু
এবং ত্রিভুজটির ক্ষেত্রফল হবে:
এখানে,
১৫০. এবং এর মধ্যে বড় ভগ্নাংশটি-
[ বিসিএস ৪১তম ]
দশমিক রূপে প্রকাশ:
তুলনা:
বৃহত্তম মান
চূড়ান্ত উত্তর:
খঃ
১৫২. বার্ষিক ১০% মুনাফায় ৮০০ টাকার ২ বছরের চক্রবৃদ্ধি মূলধন কত?
[ বিসিএস ৪১তম ]
যেখানে,
= চক্রবৃদ্ধি মূলধন (Compound amount) = মূলধন = মুনাফার হার = সময় (বছরে)
এখন মান বসিয়ে হিসাব করি:
১৫৩.
[ বিসিএস ৪১তম ]
এখানে
লগারিদমের সূত্র অনুযায়ী:
ধাপ ২: এখন আসে বাইরের লগারিদম:
উত্তর: ঘঃ 2
১৫৪. ১ থেকে ৪৪০ পর্যন্ত সংখ্যাগুলোর একটি দৈবচয়ন পদ্ধতিতে নেওয়া হলে, সংখ্যাটি বর্গসংখ্যা হওয়ার সম্ভাবনা-
[ বিসিএস ৪১তম ]
৪৪০টি
ধাপ ২: ১ থেকে ৪৪০ পর্যন্ত মোট কতগুলো পূর্ণসংখ্যার বর্গ রয়েছে তা বের করি।
বর্গসংখ্যাগুলো হল:
আমরা দেখি,
অর্থাৎ,
উত্তর: কঃ
* ৫০ মিনিট আগে সময় ছিল ৪টা ৪৫ মিনিট।
তাহলে এখন সময়:
এখন প্রশ্ন:
৬টা বাজতে আর কতক্ষণ বাকি?
উত্তর: ২৫ মিনিট
১৫৬. স্ক্রু ও ঘড়ির কাঁটার ঘূর্ণন গতির দিক-
[ বিসিএস ৪১তম ]
স্ক্রু ও ঘড়ির কাঁটার ঘূর্ণন গতির দিক সম্পর্কিত বিশ্লেষণ:
- ঘড়ির কাঁটা ঘোরে দক্ষিণাবর্ত বা clockwise দিকে।
- সাধারণত ডানহাতি স্ক্রু (যেটা বেশি প্রচলিত), সেটিও ঘোরানো হয় clockwise অর্থাৎ ঘড়ির কাঁটার দিকে।
অতএব, স্ক্রু ও ঘড়ির কাঁটার ঘূর্ণনের দিক একই।
১৫৭. নিচের কোনটি সবচেয়ে ছোট সংখ্যা?
[ বিসিএস ৪১তম ]
সবচেয়ে ছোট সংখ্যা:
১৫৮. .১ × ৩.৩৩ × ৭.১ = ?
[ বিসিএস ৪১তম ]
ধাপে ধাপে গুণফল:
প্রথমে,
এরপর,
উত্তর: খঃ
১৫৯. একজন ব্যক্তির বেতন ৫% কমেছে। কিন্তু এক বছর পর তা আবার ৫% বেড়েছে। মোটের উপর তার বেতন শতকরা কত বৃদ্ধি বা হ্রাস পেয়েছে?
[ বিসিএস ৪১তম ]
1. বেতন ৫% কমানোর পর:
বেতন কমানোর পর তা হবে:
2. পরে আবার ৫% বৃদ্ধি:
বৃদ্ধি হওয়ার পর তা হবে:
অতএব, ব্যক্তির নতুন বেতন হবে
উত্তর: মোটের উপর বেতন ০.২৫% হ্রাস পেয়েছে।
কঃ অক্ষরগুলো: রা ত্র হো অ পুনর্বিন্যাস: অর্থ
অর্থবোধক শব্দ: অর্থ
- খঃ অক্ষরগুলো: র বা ধী প নি পুনর্বিন্যাস: ধীরপনী (অর্থহীন)
- গঃ অক্ষরগুলো: দ্র তা রি দা পুনর্বিন্যাস: দ্বাদির (অর্থহীন)
- ঘঃ অক্ষরগুলো: সা বা ব অ ধ্যা পুনর্বিন্যাস: ধাবাসা (অর্থহীন)

১৬১. প্রশ্নবোধক চিহ্নিত স্থানে কোন সংখ্যা বসবে?
[ বিসিএস ৪১তম ]
এখানে, ১ম ত্রিভুজে = (৮ × ৪) + ৭ = ৩২ + ৭ = ৩৯ ২য় ত্রিভুজে = (৩ × ৬) + ৯ = ১৮ + ৯ = ২৭ ৩য় ত্রিভুজে = (৭ × ৯) + 5 = 63 + ৫ = ৬৮
পাঁচজন ব্যক্তি ট্রেনে ভ্রমণ করেছেন। তাঁরা হলেন ক, খ, গ, ঘ, ঙ।
সম্পর্কগুলো হলো:
-
ক হলেন গ এর মা → ক = গ এর মা
-
গ আবার ঙ এর স্ত্রী → গ = ঙ এর স্ত্রী → ঙ = গ এর স্বামী
-
ঘ হলেন ক এর ভাই → ঘ = ক এর ভাই
-
খ হলেন ক এর স্বামী → খ = ক এর স্বামী
এখন প্রশ্ন: "ঙ এর সঙ্গে খ এর সম্পর্ক কী?"
বিশ্লেষণ:
-
ক = গ এর মা
-
খ = ক এর স্বামী → তাহলে খ = গ এর বাবা
-
গ = ঙ এর স্ত্রী → ঙ = গ এর স্বামী → খ = গ এর বাবা → খ = ঙ এর শ্বশুর
উত্তর: খ হলেন ঙ এর শ্বশুর।

১৬৪. যদি মাসের ২য় দিন সোমবার হয়, তবে মাসের ১৮তম দিন কী বার হবে?
[ বিসিএস ৪১তম ]
যদি মাসের ২য় দিন সোমবার হয়, তাহলে তার ঠিক ৭ দিন পর অর্থাৎ ২ + ৭ = ৯ম দিনও সোমবার হবে।
একইভাবে, ৯ম দিনের আরও ৭ দিন পর অর্থাৎ ৯ + ৭ = ১৬তম দিনও সোমবার হবে।
সুতরাং, মাসের ১৮তম দিন হবে সোমবারের পরের দুদিন, অর্থাৎ বুধবার।
অতএব, মাসের ১৮তম দিন বুধবার হবে।
১৬৫. আলোকবর্ষ ব্যবহার করে কী পরিমাপ করা হয়?
[ বিসিএস ৪১তম ]
আলোকবর্ষ ব্যবহার করে মূলত মহাকাশীয় দূরত্ব পরিমাপ করা হয়।
এক আলোকবর্ষ হলো সেই দূরত্ব যা আলো এক বছরে অতিক্রম করে। যেহেতু মহাবিশ্বের নক্ষত্র এবং অন্যান্য জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক বস্তুর দূরত্ব অনেক বেশি, তাই কিলোমিটার বা মাইলের মতো ছোট এককে এই দূরত্ব মাপা কঠিন। আলোকবর্ষ এই বিশাল দূরত্ব পরিমাপের জন্য একটি সুবিধাজনক একক।
এক আলোকবর্ষ প্রায় 9.46 ট্রিলিয়ন কিলোমিটার এর সমান।
১৬৬. মূল্যবোধ দৃঢ় হয়-
[ বিসিএস ৪১তম ]
মূল্যবোধ দৃঢ় হয় প্রধানত শিক্ষার মাধ্যমে।
শিশুকাল থেকেই পরিবার এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মূল্যবোধের ভিত্তি স্থাপন হয়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে কিছু মূল্যবোধ দৃঢ় হয়, কিছু পরিবর্তিত হয় এবং কিছু নতুন মূল্যবোধ অর্জিত হয়।
মূল্যবোধ দৃঢ় হওয়ার ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে:
- শিক্ষা: সঠিক শিক্ষা মূল্যবোধের জ্ঞান দান করে এবং তা অনুশীলনে উৎসাহিত করে।
- পরিবার: পরিবার হলো মূল্যবোধের প্রথম পাঠশালা। পারিবারিক রীতিনীতি ও ঐতিহ্য মূল্যবোধ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
- ধর্ম: ধর্মীয় শিক্ষা এবং বিশ্বাস অনেক মূল্যবোধের উৎস হিসেবে কাজ করে।
- সুশাসন: সমাজে ন্যায়বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত থাকলে মানুষের মধ্যে ইতিবাচক মূল্যবোধ দৃঢ় হয়।
- গণতন্ত্র চর্চা: গণতান্ত্রিক সমাজে অন্যের মতের প্রতি শ্রদ্ধা এবং সহনশীলতার মতো মূল্যবোধগুলো বিকশিত হয়।
- সামাজিক পরিবেশ: সমাজের প্রথা, রীতিনীতি এবং মানুষের পারস্পরিক আচরণ মূল্যবোধকে প্রভাবিত করে।
- ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা: জীবনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা মূল্যবোধকে আরও দৃঢ় বা পরিবর্তন করতে পারে।
১৬৭. What is the noun form of the word ‘know’?
[ বিসিএস ৪১তম ]
সঠিক উত্তর হলো knowledge।
'Know' ক্রিয়াপদের বিশেষ্য বা নাউন ফর্ম হলো 'knowledge', যার অর্থ জ্ঞান।
অন্যান্য বিকল্পগুলো কেন সঠিক নয় তার ব্যাখ্যা নিচে দেওয়া হলো:
- কঃ knowing: এটি 'know' ক্রিয়াপদের gerund (ক্রিয়া-বিশেষ্য) বা present participle (বর্তমান কৃদন্ত)। এটি বিশেষ্য হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে, তবে 'knowledge' হলো 'know'-এর সবচেয়ে সাধারণ এবং সরাসরি বিশেষ্য রূপ।
- গঃ knowledgeable: এটি একটি বিশেষণ, যার অর্থ জ্ঞানবান বা অভিজ্ঞ।
- ঘঃ known: এটি 'know' ক্রিয়াপদের past participle (অতীত কৃদন্ত)। এটি বিশেষণ হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।
১৬৮. সূর্যের নিকটতম নক্ষত্রের নাম-
[ বিসিএস ৪১তম ]
সূর্যের নিকটতম নক্ষত্রের নাম হলো প্রক্সিমা সেন্টরাই (Proxima Centauri)।
এটি পৃথিবী থেকে প্রায় ৪.২৪ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত এবং আলফা সেন্টরাই নক্ষত্রপুঞ্জের একটি অংশ।
১৬৯. কত?
[ বিসিএস ৪১তম ]
সুতরাং, আমরা লিখতে পারি:
এখন, এদের গুণফল হবে:
আমরা জানি,
সুতরাং,
অতএব,
১৭০. বাংলা ভাষায় প্রথম অভিধান সংকলন করেন কে?
[ বিসিএস ৪১তম ]
বাংলা ভাষায় প্রথম অভিধান সংকলন করেন রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ। তিনি ১৮১৭ সালে "বঙ্গভাষাভিধান" নামক অভিধানটি সংকলন করেন, যা বাংলা থেকে বাংলা ভাষার প্রথম অভিধান হিসেবে পরিচিত।
১৭১. সবচেয়ে কম বয়সে কোন লেখক বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান?
[ বিসিএস ৪১তম ]
সৈয়দ শামসুল হক সবচেয়ে কম বয়সে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান। তিনি মাত্র ৩১ বছর বয়সে, ১৯৬৬ সালে এই পুরস্কার লাভ করেন।
১৭২. ‘সবকিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে’ গ্রন্থটির রচয়িতা কে?
[ বিসিএস ৪১তম ]
‘সবকিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে’ গ্রন্থটির রচয়িতা হলেন হুমায়ুন আজাদ।
এটি তার একটি বিখ্যাত প্রবন্ধ সংকলন।
১৭৩. ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রমৃত্যুর প্রতিবাদে কোন উপাচার্য পদত্যাগ করেছিলেন?
[ বিসিএস ৪১তম ]
১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রমৃত্যুর প্রতিবাদে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী উপাচার্যের পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন।
২৫শে মার্চ ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণহত্যা চালালে এর প্রতিবাদে তিনি জেনেভায় অবস্থানকালে উপাচার্যের পদ ত্যাগ করেন।
১৭৪. তেভাগা আন্দোলনকেন্দ্রিক উপন্যাস কোনটি?
[ বিসিএস ৪১তম ]
‘নাঢ়াই’ উপন্যাসটি মূলত তেভাগা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রচিত। এর মূল বিষয়বস্তু হলো গ্রামীণ বাংলার প্রান্তিক কৃষকদের জীবন ও তাদের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম।
উপন্যাসটিতে দেখা যায়, গরিব কৃষকের ঘরে জন্ম নেওয়া এক অল্পবয়সী বিধবা মা, ফুলমতি, কীভাবে তার সন্তানের ভবিষ্যৎ এবং নিজের সম্ভ্রম রক্ষার জন্য লড়াই করে। তার ব্যক্তিগত লড়াই একসময় বৃহত্তর কৃষক আন্দোলনের সাথে মিশে যায়।
এখানে উপন্যাসের কিছু মূল বিষয় তুলে ধরা হলো:
- তেভাগা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট: উপন্যাসটি ১৯৪৬-৪৮ সালের অবিভক্ত বাংলার তেভাগা আন্দোলনের সময়কালের চিত্র তুলে ধরে। যেখানে ভাগচাষীরা জমির মালিকের কাছে উৎপন্ন ফসলের তিন ভাগের দুই ভাগ দাবি জানায়।
- কৃষকের জীবন ও সংগ্রাম: উপন্যাসে তৎকালীন গ্রামীণ সমাজের দরিদ্র কৃষকদের দৈনন্দিন জীবন, তাদের শোষণ, বঞ্চনা এবং বেঁচে থাকার কঠিন বাস্তবতা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
- নারী চরিত্র: ফুলমতি এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র। তার মাধ্যমে গ্রামীণ নারীর সংগ্রাম, সাহস ও টিকে থাকার অদম্য ইচ্ছাশক্তিকে তুলে ধরা হয়েছে।
- সামাজিক শোষণ ও প্রতিবাদ: উপন্যাসটিতে জোতদার ও মহাজনদের শোষণ এবং এর বিরুদ্ধে কৃষকদের সংগঠিত প্রতিরোধ ও বিদ্রোহের চিত্র অঙ্কিত হয়েছে।
- আঞ্চলিক জীবন ও ভাষা: উপন্যাসের পটভূমি উত্তরবঙ্গের গ্রামীণ জীবন এবং চরিত্রগুলোর মুখের আঞ্চলিক ভাষা অত্যন্ত জীবন্তভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
সংক্ষেপে, ‘নাঢ়াই’ উপন্যাসটি তেভাগা আন্দোলনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে রচিত প্রান্তিক মানুষের জীবন ও অধিকার আদায়ের এক শক্তিশালী আখ্যান।
১৭৫. কাজী নজরুল ইসলামের মোট ৫টি গ্রন্থ বিভিন্ন সময়ে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সরকার বাজেয়াপ্ত করে। কোন বইটি প্রথম বাজেয়াপ্ত হয়?
[ বিসিএস ৪১তম ]
কাজী নজরুল ইসলামের মোট ৫টি গ্রন্থ ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সরকার বিভিন্ন সময়ে বাজেয়াপ্ত করে। এর মধ্যে প্রথম বাজেয়াপ্ত হওয়া গ্রন্থটি হলো ‘যুগবাণী’।
এই বইটি ১৯২২ সালের অক্টোবর মাসে প্রকাশিত হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই, একই বছরের নভেম্বরে ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত করা হয়। ‘যুগবাণী’ গ্রন্থে নজরুলের বিপ্লবী ও ঔপনিবেশিক শাসনবিরোধী প্রবন্ধ সংকলিত ছিল, যা তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের কাছে রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক বলে বিবেচিত হয়েছিল।
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এই মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যে উপন্যাসটি রচনা করেছিলেন এবং যা ১৯৭২ সালে প্রকাশিত হয়, সেই উপন্যাসটির নাম হলো ‘১৯৭১’।
তবে, আরেকটি তথ্য উল্লেখযোগ্য যে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে ‘একটি কালো মেয়ের কথা’ নামে একটি উপন্যাস লেখেন যা মুক্তিযুদ্ধের প্রথম উপন্যাস হিসেবে বিবেচিত হয়। প্রশ্নে উল্লেখিত ১৯৭২ সালে প্রকাশিত উপন্যাসটিই ‘১৯৭১’ নামে পরিচিত।
১৭৭. ‘সোমত্ত’ শব্দটির উৎপত্তি কোন শব্দ থেকে?
[ বিসিএস ৪১তম ]
‘সোমত্ত’ শব্দটির উৎপত্তি সমর্থ শব্দ থেকে।
‘সোমত্ত’ শব্দটির উৎপত্তি সংস্কৃত শব্দ ‘সমর্থ’ থেকে। ‘সমর্থ’ শব্দের অর্থ হলো সক্ষম, যোগ্য, বা পূর্ণাঙ্গ। কালক্রমে প্রাকৃত ভাষার মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়ে বাংলা ভাষায় ‘সোমত্ত’ রূপে ব্যবহৃত হয়, যা পূর্ণবয়স্ক বা যৌবনপ্রাপ্ত অর্থে বোঝায়।
অন্যান্য বিকল্পগুলো প্রাসঙ্গিক নয়:
- কঃ সোপান: এর অর্থ সিঁড়ি।
- গঃ সোল্লাস: এর অর্থ আনন্দিত বা উল্লসিত।
- ঘঃ সওয়ার: এটি একটি ফার্সি শব্দ, যার অর্থ আরোহী।
১৭৮. মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নাটক কোনটি?
[ বিসিএস ৪১তম ]
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নাটক হলো কী চাহ হে শঙ্খচিল।
মমতাজউদদীন আহমদ রচিত এই নাটকটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রচিত একটি উল্লেখযোগ্য সৃষ্টি।
অন্যান্য নাটকগুলো ভিন্ন প্রেক্ষাপটের:
- কঃ ছেঁড়াতার: এটি একটি সামাজিক নাটক।
- খঃ চাকা: এটি একটি প্রতীকী নাটক।
- গঃ বাকী ইতিহাস: এটি একটি ঐতিহাসিক ও দার্শনিক নাটক।
নিঃশ্বাসের স্বল্পতম প্রয়াসে উচ্চারিত ধ্বনি বা ধ্বনিগুচ্ছকে অক্ষর (Syllable) বলে।
একটি অক্ষরের মধ্যে এক বা একাধিক ধ্বনি থাকতে পারে, তবে সেগুলোকে একটি একক শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে উচ্চারণ করা হয়। প্রতিটি অক্ষরের একটি মূল স্বরধ্বনি থাকে এবং এর আগে বা পরে এক বা একাধিক ব্যঞ্জনধ্বনি যুক্ত হতে পারে।
১৮০. ইংরেজি ভাষায় জীবনানন্দ দাশের ওপর গ্রন্থ লিখেছেন কে?
[ বিসিএস ৪১তম ]
ক্লিনটন বি সিলি (Clinton B. Seely) ইংরেজি ভাষায় জীবনানন্দ দাশের ওপর একটি পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ লিখেছেন।
গ্রন্থটির নাম হলো "A Poet Apart"।
ক্লিনটন বি সিলি ছিলেন একজন আমেরিকান একাডেমিক, অনুবাদক এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের পণ্ডিত। এই বইটি জীবনানন্দ দাশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ জীবনী হিসেবে বিবেচিত হয় এবং ১৯৯০ সালে প্রকাশিত হয়েছিল।
‘বাবা ছেলেকে বললেন, ‘তুমি দীর্ঘজীবী হও।’’
এখানে মূল উক্তিটিকে উদ্ধৃতি চিহ্নের মধ্যে রাখা হয়েছে এবং বক্তার (বাবা) বক্তব্য সরাসরি তুলে ধরা হয়েছে।
‘গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা’ পত্রিকাটি কুষ্টিয়ার কুমারখালী থেকে প্রকাশিত হতো।
এটি কাঙাল হরিনাথ মজুমদার সম্পাদিত একটি পত্রিকা, যা ১৮৬৩ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। প্রথমে এটি মাসিক পত্রিকা হিসেবে প্রকাশিত হলেও পরবর্তীতে পাক্ষিক ও সাপ্তাহিক হিসেবেও প্রকাশিত হয়েছিল।
১৮৩. জীবনী সাহিত্যের ধারা গড়ে ওঠে কাকে কেন্দ্র করে?
[ বিসিএস ৪১তম ]
বাংলা জীবনী সাহিত্যের ধারা মূলত শ্রীচৈতন্যদেবকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে।
ষোড়শ শতাব্দীতে শ্রীচৈতন্যের জীবন ও কর্মকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জীবনীগ্রন্থ রচিত হয়েছিল। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বৃন্দাবন দাস ঠাকুরের ‘চৈতন্য ভাগবত’, কৃষ্ণদাস কবিরাজের ‘চৈতন্য চরিতামৃত’ এবং লোচন দাস ঠাকুরের ‘চৈতন্য মঙ্গল’। এই গ্রন্থগুলো কেবল শ্রীচৈতন্যের জীবনকথা নয়, বরং তৎকালীন সমাজ, ধর্ম ও সংস্কৃতি সম্পর্কেও মূল্যবান তথ্য প্রদান করে। তাই, বাংলা জীবনী সাহিত্যের প্রাথমিক এবং গুরুত্বপূর্ণ ধারাটি শ্রীচৈতন্যদেবকে কেন্দ্র করেই বিকশিত হয়েছিল।
১৮৪. চর্যাপদের টীকাকারের নাম কী?
[ বিসিএস ৪১তম ]
চর্যাপদের টীকাকারের নাম হলো মুনিদত্ত।
তিনি চর্যাপদের পদগুলোর একটি বিখ্যাত টীকা রচনা করেন, যা ‘চর্যাশ্চর্যটীকা’ নামে পরিচিত। এই টীকাটি চর্যাপদের অর্থ ও তাৎপর্য বুঝতে বিশেষভাবে সহায়ক।
১৮৫. কোন বানানটি শুদ্ধ?
[ বিসিএস ৪১তম ]
সঠিক বানানটি হলো স্বত্ব।
অন্য বানানগুলো ভুল:
- কঃ পুরষ্কার - শুদ্ধ বানান পুরস্কার
- খঃ আবিস্কার - শুদ্ধ বানান আবিষ্কার
- গঃ সময়পোযোগী - শুদ্ধ বানান সময়োপযোগী
১৮৬. ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের পটভূমিকায় লেখা উপন্যাস কোনটি?
[ বিসিএস ৪১তম ]
ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের পটভূমিকায় লেখা উপন্যাস হলো চিলেকোঠার সেপাই।
এই উপন্যাসটির রচয়িতা হলেন আখতারুজ্জামান ইলিয়াস। এটি ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের সময়কার ঢাকা শহরের ছাত্র ও সাধারণ মানুষের জীবন এবং রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে vividly তুলে ধরে।
১৮৭. ‘ডিঙি টেনে বের করতে হবে।’-কোন ধরনের বাক্যের উদাহরণ?
[ বিসিএস ৪১তম ]
এই বাক্যে কাজটি (ডিঙি টানা) কে করবে তা উল্লেখ নেই। অর্থাৎ কর্মটি হবে, কিন্তু কর্তার পরিচয় অনির্দিষ্ট।
"করতে হবে" — এই রূপটি সাধারণত ভাববাচ্য (Impersonal passive) নির্দেশ করে। এখানে কর্তা নেই, শুধু কাজটি হওয়া প্রয়োজন — এটা বোঝানো হচ্ছে।
১৮৮. ‘Shylock’ is a character in the play-
[ বিসিএস ৪১তম ]
সঠিক উত্তর হলো The Merchant of Venice।
Shylock উইলিয়াম শেক্সপিয়রের বিখ্যাত নাটক "The Merchant of Venice"-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। সে একজন ইহুদি মহাজন, যে নাটকের অন্যতম প্রধান এবং বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব।
১৮৯. ‘Vanity Fair’ is a novel written by-
[ বিসিএস ৪১তম ]
‘Vanity Fair’ is a novel written by William Makepeace Thackeray।
"Vanity Fair" ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম বিখ্যাত উপন্যাস, যা উইলিয়াম মেকপিস থ্যাকারি রচনা করেছেন। এটি ১৮৪৮ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়।
১৯০. ‘Pip’ is the protagonist in Charles Dickens’ novel-
[ বিসিএস ৪১তম ]
‘Pip’ is the protagonist in Charles Dickens’ novel- Great Expectations।
‘Pip’ হলো চার্লস ডিকেন্সের বিখ্যাত উপন্যাস ‘Great Expectations’-এর প্রধান চরিত্র। উপন্যাসের পুরো কাহিনী এই ‘Pip’-কে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়।
১৯১. ‘Call me if you have any problems regarding your work’. Here ‘regarding’ is a/an-
[ বিসিএস ৪১তম ]
Here ‘regarding’ is a preposition।
এখানে ‘regarding’ শব্দটি একটি preposition (প্রস্তপদ)। এটি ‘problems’ (বিশেষ্য) এবং ‘your work’ (বিশেষ্য স্থানীয়) এর মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করছে, যার অর্থ হলো "তোমার কাজ সম্পর্কিত কোনো সমস্যা হলে আমাকে ফোন করো"।
অন্যান্য বিকল্পগুলো কেন সঠিক নয় তার ব্যাখ্যা নিচে দেওয়া হলো:
- কঃ gerund: Gerund হলো ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য, যা verb এর সাথে -ing যুক্ত করে গঠিত হয় এবং বিশেষ্যের মতো কাজ করে। ‘regarding’ এখানে verb এর মতো কাজ করছে না।
- খঃ apposition: Apposition হলো যখন একটি বিশেষ্য বা সর্বনাম অন্য একটি বিশেষ্য বা সর্বনামের পাশে বসে একই ব্যক্তি বা বস্তুকে নির্দেশ করে এবং সেটিকে আরও ব্যাখ্যা করে। ‘regarding’ এখানে দুটি বিশেষ্যকে ব্যাখ্যা করছে না, বরং তাদের মধ্যে সম্পর্ক বোঝাচ্ছে।
- ঘঃ conjunction: Conjunction হলো সংযোজক অব্যয়, যা দুটি শব্দ, দুটি বাক্যংশ বা দুটি বাক্যকে যুক্ত করে। ‘regarding’ এখানে কোনো দুটি অংশকে যুক্ত করছে না।
The underlined part of the sentence is a noun phrase।
আন্ডারলাইন করা অংশটি (To win a prize
) একটি noun phrase (বিশেষ্য স্থানীয়)।
কারণ:
- এটি একটি verb (win) এবং তার object (a prize) নিয়ে গঠিত একটি phrase।
- এই সম্পূর্ণ phraseটি বাক্যের subject হিসেবে কাজ করছে। Subject সাধারণত একটি noun বা noun phrase হয়ে থাকে। এখানে
To win a prize
পুরো ধারণাটি "আমার ambition" কী, তা বোঝাচ্ছে, তাই এটি একটি বিশেষ্যের মতো কাজ করছে।
অন্যান্য বিকল্পগুলো কেন সঠিক নয় তার ব্যাখ্যা নিচে দেওয়া হলো:
- কঃ adjective phrase: Adjective phrase একটি noun বা pronoun কে modify করে। এখানে
To win a prize
‘ambition’ শব্দটিকে modify করছে না, বরং নিজেই subject এর ভূমিকা পালন করছে। - গঃ adverb phrase: Adverb phrase verb, adjective বা অন্য adverb কে modify করে। এখানে এটি কোনো verb, adjective বা adverb কে modify করছে না।
- ঘঃ conjunctional phrase: Conjunctional phrase দুটি clause কে যুক্ত করে। এখানে একটি মাত্র clause রয়েছে।
১৯৩. ‘Who’s that?’ in this sentence ‘that’ is a/an-
[ বিসিএস ৪১তম ]
‘Who’s that?’ এই বাক্যে ‘that’ হলো একটি pronoun (সর্বনাম)।
এখানে ‘that’ শব্দটি কোনো ব্যক্তি বা বস্তুকে নির্দিষ্ট না করে সেটির পরিবর্তে ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি একটি demonstrative pronoun (নির্দেশক সর্বনাম), যা কোনো দূরের ব্যক্তি বা বস্তুকে নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হয়।
১৯৪. ‘Why, then, ‘its none to you, for there is nothing either good or bad, but thinking makes it so.’ This extract is taken from the drama-
[ বিসিএস ৪১তম ]
এই উদ্ধৃতিটি উইলিয়াম শেক্সপিয়রের বিখ্যাত নাটক Hamlet থেকে নেওয়া হয়েছে।
এই উক্তিটি হ্যামলেট তার বন্ধু রোজেনক্র্যান্টজ এবং গিল্ডেনস্টার্নকে বলেছিলেন যখন তারা ডেনমার্ককে একটি কারাগার বলে উল্লেখ করেছিলেন। হ্যামলেট তখন বলেছিলেন যে ভালো বা খারাপ বলে কিছু নেই, আমাদের চিন্তাভাবনাই সেগুলোকে তেমন করে তোলে।
১৯৫. ‘Made weak by time and fate, but strong in will To strive, to seek, to find, and not to yield’ is taken from the poem written by-
[ বিসিএস ৪১তম ]
এই বিখ্যাত চরণগুলো (Alfred Tennyson) আলফ্রেড টেনিসনের লেখা কবিতা "Ulysses" থেকে নেওয়া হয়েছে।
১৯৬. ‘Give somebody a piece of you mind’ means to-
[ বিসিএস ৪১তম ]
‘Give somebody a piece of you mind’ means to tell someone that you are very angry with them.
‘Give somebody a piece of your mind’ idiom টির অর্থ হলো কারো উপর অত্যন্ত রাগান্বিত হয়ে তাকে তিরস্কার করা বা ভর্ৎসনা করা। অন্যভাবে বলা যায়, নিজের রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটানো।
Here the underlined word is a conjunction।
এখানে আন্ডারলাইন করা শব্দ ‘provided’ একটি conjunction (সংযোজক অব্যয়)। এটি দুটি clause কে যুক্ত করছে:
- I shall help you (একটি স্বাধীন clause)
- you obey me (একটি অধীনস্থ clause)
‘Provided’ এখানে একটি শর্ত বোঝাচ্ছে এবং দুটি বাক্যকে শর্তের মাধ্যমে সংযুক্ত করছে। এটি ‘if’ এর সমার্থক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
১৯৮. Identify the correct spelling:
[ বিসিএস ৪১তম ]
The correct spelling is questionnaire.
১৯৯. Which ‘but’ is a preposition?
[ বিসিএস ৪১তম ]
এখানে but শব্দটি ছাড়া বা ব্যতীত অর্থে preposition হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
২০০. Who is not a romantic poet?
[ বিসিএস ৪১তম ]
T. S. Eliot is not a romantic poet.
পি. বি. শেলী (P. B. Shelley), এস. টি. কোলরিজ (S. T. Coleridge) এবং জন কীটস্ (John Keats) সকলেই ইংরেজি সাহিত্যের রোমান্টিক যুগের গুরুত্বপূর্ণ কবি।
অন্যদিকে, টি. এস. এলিয়ট (T. S. Eliot) ছিলেন আধুনিকতাবাদী (Modernist) কবি। তার কবিতা এবং সাহিত্যতত্ত্ব রোমান্টিক আদর্শ থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে ভিন্ন। তার বিখ্যাত কবিতাগুলির মধ্যে রয়েছে "The Waste Land" এবং "The Love Song of J. Alfred Prufrock"।