আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
16

বিসিএস ৩৫তম

পরীক্ষারঃ বিসিএস প্রিলিমিনারি টেস্ট

মোট বহুনির্বাচনি প্রশ্নঃ 200

মোট মার্কঃ 200

পরীক্ষার সময়ঃ 02:00:00

প্রকাশের তারিখঃ 06.03.2015

ক. প্রথমটি অশুদ্ধ, দ্বিতীয়টি শুদ্ধ
খ. প্রথমটি শুদ্ধ, দ্বিতীয়টি অশুদ্ধ
গ. দুটোই অশুদ্ধ
ঘ. দুটোই শুদ্ধ
ব্যাখ্যাঃ

দেওয়া বাক্যটির নিম্নরেখ পদ দুটিতে দন্ত্য 'স' (স) এবং মূর্ধন্য 'ষ' (ষ)-এর ব্যবহারে ভুল হয়েছে

বিশ্লেষণ:

  1. পুরষ্কার (Purashkar):

    • সঠিক বানানটি হলো 'পুরস্কার'
    • সংস্কৃত নিয়ম অনুযায়ী, কিছু নির্দিষ্ট উপসর্গের (যেমন 'পুরস্' বা 'পুরঃ') পরে 'ক' বা 'ফ' থাকলে 'স' হয়, 'ষ' হয় না।
    • এখানে 'ষ' এর পরিবর্তে 'স' ব্যবহার করা উচিত ছিল।
  2. অপরিস্কার (Oporiskar):

    • সঠিক বানানটি হলো 'অপরিষ্কার'
    • 'পরি-' উপসর্গের পর 'কৃ' ধাতু থেকে আগত শব্দে 'ষ' হয়। যেমন: পরিষ্কার, পরিষ্করণ।
    • এখানে 'স' এর পরিবর্তে 'ষ' ব্যবহার করা উচিত ছিল।

সুতরাং, উভয় পদেই ষ-ত্ব বিধান ও স-ত্ব বিধানের নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়েছে

ক. মনীষী
খ. মনিষি
গ. মনীষি
ঘ. মনিষী
ব্যাখ্যাঃ

'মনীষী' বানানটি একটি তৎসম শব্দ (সংস্কৃত থেকে সরাসরি আগত) এবং এর সঠিক বানানের জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে:

১. মূর্ধন্য 'ষ' (ষ) এর ব্যবহার: 'মনীষী' শব্দটি 'মনীষা' থেকে এসেছে, যার অর্থ প্রজ্ঞা বা জ্ঞান। 'মনীষা' শব্দটি 'মনস্' এবং 'ঈষ্' ধাতু বা প্রত্যয়ের সমন্বয়ে গঠিত। সংস্কৃত ব্যাকরণ অনুযায়ী, 'ই' বা 'উ'-কারের পর যদি 'স' আসে এবং তা কোনো প্রত্যয় বা উপসর্গের অংশ হয়, তবে তা অনেক সময় 'ষ' তে পরিবর্তিত হয়। 'মনীষা' এবং 'মনীষী' শব্দে এই নিয়মটি প্রযোজ্য।

২. দীর্ঘ ঈ-কার (ী) এর ব্যবহার: 'মনীষী' একটি কর্তৃবাচক শব্দ (যে ব্যক্তি কোনো কাজ করেন বা কোনো গুণ ধারণ করেন)। সংস্কৃত ব্যাকরণে, যেসকল কর্তৃবাচক বিশেষ্য পদ 'ইন্' প্রত্যয় যোগে গঠিত হয় (যেমন: জ্ঞানিन्, গুণিन्), তাদের বাংলাতে সাধারণত দীর্ঘ ঈ-কার (ী) দিয়ে শেষ করা হয় (যেমন: জ্ঞানী, গুণী)। 'মনীষী' শব্দটিও এই নিয়মের অধীন।

সুতরাং, 'মনীষী' বানানে দুটি দীর্ঘ ঈ-কার (ী) এবং একটি মূর্ধন্য 'ষ' (ষ) ব্যবহৃত হয়।

বানান বিশ্লেষণ: ম + ন + ঈ (দীর্ঘ ঈ-কার) + ষ + ঈ (দীর্ঘ ঈ-কার) = মনীষী

৩. কোন বাক্যটি শুদ্ধ?

[ বিসিএস ৩৫তম ]

ক. দৈন্যতা সর্বদা মহত্বের পরিচায়ক নয়
খ. দৈন্য সর্বদা মহত্বের পরিচায়ক নয়
গ. দৈন্যতা সর্বদা মহত্ত্বের পরিচায়ক নয়
ঘ. দৈন্য সর্বদা মহত্ত্বের পরিচায়ক নয়
ব্যাখ্যাঃ

‘দৈন্যতা’ অশুদ্ধ শব্দটির শুদ্ধরূপ ‘দৈন্য’।

‘খ’ অপশনে প্রদত্ত ‘মহত্ব’ এর সঠিক বানান ‘মহত্ত্ব’।

ক. ভোক্তার কল্যাণ
খ. ভোগ্যপণ্য
গ. ক্রয়কৃত পণ্য
ঘ. ক্রেতার গুণাগুণ
ব্যাখ্যাঃ

'Consumer goods' এর উপযুক্ত বাংলা পরিভাষা হলো:

ভোগ্যপণ্য

ক. সলিল
খ. উদক
গ. জলধি
ঘ. নীর
ব্যাখ্যাঃ

‘জল’ শব্দের সমার্থক নয় জলধি

ব্যাখ্যা:

  • সলিল, উদক, এবং নীর — এই তিনটিই 'জল' শব্দের সমার্থক শব্দ।
  • জলধি শব্দের অর্থ হলো 'জল ধারণ করে যা', অর্থাৎ সাগর বা সমুদ্র। এটি কেবল 'জল' শব্দের সমার্থক নয়।
ক. অনুলোম-প্রতিলোম
খ. নশ্বর-শাশ্বত
গ. গরিষ্ঠ-লঘিষ্ঠ
ঘ. হৃষ্ট-পুষ্ট
ব্যাখ্যাঃ

হৃষ্ট-পুষ্ট শব্দজোড় বিপরীতার্থক নয়।

ব্যাখ্যা:

  • অনুলোম-প্রতিলোম: এই দুটি শব্দ একে অপরের বিপরীত। 'অনুলোম' মানে স্বাভাবিক ক্রম বা নিয়মানুসারে, আর 'প্রতিলোম' মানে বিপরীত বা নিয়মের বিরুদ্ধে।
  • নশ্বর-শাশ্বত: এই দুটি শব্দও বিপরীত। 'নশ্বর' মানে যা নষ্ট হয়ে যায় বা মরণশীল, আর 'শাশ্বত' মানে যা চিরন্তন বা অক্ষয়।
  • গরিষ্ঠ-লঘিষ্ঠ: এই দুটি শব্দও বিপরীত। 'গরিষ্ঠ' মানে সবচেয়ে বড় বা সর্বোচ্চ, আর 'লঘিষ্ঠ' মানে সবচেয়ে ছোট বা সর্বনিম্ন।
  • হৃষ্ট-পুষ্ট: এই দুটি শব্দ বিপরীত নয়। 'হৃষ্ট' মানে আনন্দিত বা প্রফুল্ল, আর 'পুষ্ট' মানে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী বা পরিপুষ্ট। এই দুটি শব্দ প্রায়শই একসাথে 'হৃষ্টপুষ্ট' (সুস্থ ও সবল) অর্থে ব্যবহৃত হয় এবং এরা সমার্থক বা পরিপূরক, বিপরীতার্থক নয়।
ক. পরশু
খ. পরের ধন
গ. কোকিল
ঘ. পার্শ্ববর্তী
ব্যাখ্যাঃ

'পরশ্ব' শব্দটির অর্থ হলো: পরশু

এটি দ্বারা 'আগামী পরশু' (the day after tomorrow) অথবা 'গত পরশু' (the day before yesterday) উভয়ই বোঝায়।

ক. ৭টি
খ. ৯টি
গ. ১১টি
ঘ. ১৩টি
ব্যাখ্যাঃ

বাংলা ভাষায় মৌলিক স্বরধ্বনির সংখ্যা হলো ৭ (সাত) টি

এগুলো হলো: ১. অ (যেমন: কল) ২. আ (যেমন: আম) ৩. ই (যেমন: ইলিশ) ৪. উ (যেমন: উল) ৫. এ (যেমন: তেল) ৬. ও (যেমন: খোকা) ৭. অ্যা (যেমন: ব্যাট, অ্যাড - যদিও এর জন্য কোনো স্বতন্ত্র বর্ণ নেই, তবে এটি একটি মৌলিক স্বরধ্বনি হিসেবে বিবেচিত হয়)।

ক. সমাস দ্বারা
খ. লিঙ্গ পরিবর্তন দ্বারা
গ. উপসর্গ যোগে
ঘ. ক, খ ও গ তিন উপায়েই হয়
ব্যাখ্যাঃ

বাংলা ভাষায় শব্দ সাধন (word formation) বিভিন্ন উপায়ে হয়ে থাকে, যেমন সমাস দ্বারা, উপসর্গ যোগে, প্রত্যয় যোগে, সন্ধি দ্বারা (কিছু ক্ষেত্রে) ইত্যাদি।

দেওয়া বিকল্পগুলোর মধ্যে:

  • কঃ সমাস দ্বারা: এটি বাংলা ভাষায় শব্দ গঠনের একটি প্রধান উপায় (যেমন: সিংহাসন, হাতঘড়ি)।
  • গঃ উপসর্গ যোগে: এটিও বাংলা ভাষায় শব্দ গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় (যেমন: প্রহার, বিহার, অবজ্ঞা)।
  • খঃ লিঙ্গ পরিবর্তন দ্বারা: লিঙ্গ পরিবর্তন (যেমন: ছেলে -> মেয়ে, ছাত্র -> ছাত্রী) মূলত বিদ্যমান শব্দের লিঙ্গগত রূপান্তর ঘটায়, এটি নতুন কোনো মৌলিক শব্দ তৈরির প্রক্রিয়া নয়। এটিকে সরাসরি 'শব্দ সাধন' বা 'শব্দ গঠন'-এর প্রাথমিক উপায় হিসেবে গণ্য করা হয় না। এটি একটি রূপান্তরের প্রক্রিয়া।

সুতরাং, লিঙ্গ পরিবর্তন দ্বারা নতুন শব্দের মৌলিক সাধন হয় না।

ক. নোনতা
খ. লবণাক্ত
গ. লাবণ্য
ঘ. ললিত
ব্যাখ্যাঃ

'লবণ' নিজেই একটি বিশেষ্য পদ। প্রশ্নটি সম্ভবত 'লবণ' শব্দ থেকে উদ্ভূত বা সম্পর্কিত কোন পদটি বিশেষ্য, তা জানতে চেয়েছে, অথবা বিকল্পগুলির মধ্যে কোনটি বিশেষ্য তা জানতে চেয়েছে।

দেওয়া বিকল্পগুলো বিশ্লেষণ করা যাক:

  • কঃ নোনতা (Nonta): এটি একটি বিশেষণ পদ। এটি 'লবণ' থেকে উৎপন্ন গুণ বোঝায় (যেমন: নোনতা খাবার)।
  • খঃ লবণাক্ত (Lôboņakto): এটিও একটি বিশেষণ পদ। এর অর্থ লবণযুক্ত বা নোনা (যেমন: লবণাক্ত জল)।
  • গঃ লাবণ্য (Laboņņo): এটি একটি বিশেষ্য পদ। 'লাবণ্য' শব্দের অর্থ সৌন্দর্য, কান্তি বা কমনীয়তা। 'লবণ' শব্দ থেকে এর ব্যুৎপত্তিগত সম্পর্ক রয়েছে (লবণ কোনো খাবারকে যেমন সুস্বাদু করে, তেমনই 'লাবণ্য' কিছুকে মনোহর করে তোলে)। এটি একটি গুণবাচক বিশেষ্য।
  • ঘঃ ললিত (Lôlit): এটি একটি বিশেষণ পদ। এর অর্থ সুন্দর, কমনীয় বা মনোহর।

বিকল্পগুলোর মধ্যে কেবল লাবণ্য একটি বিশেষ্য পদ।

ক. যোগ্যতা
খ. আকাঙ্ক্ষা
গ. আসক্তি
ঘ. আসত্তি
ব্যাখ্যাঃ

একটি সার্থক বাক্যের তিনটি অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য থাকে: ১. আকাঙ্ক্ষা: বাক্যের অর্থ সম্পূর্ণভাবে বোঝার জন্য শ্রোতার মনে আর কিছু শোনার যে ইচ্ছা জাগে। (যেমন: "সূর্য" বললে শ্রোতার মনে "সূর্য কী?" এমন প্রশ্ন জাগে, তাই বাক্যটি অসম্পূর্ণ।) ২. আসত্তি (নৈকট্য): বাক্যের পদগুলো সুবিন্যস্তভাবে এবং পরপর বসানো যাতে অর্থ বুঝতে কোনো অসুবিধা না হয়। (যেমন: "আছে একটি মাঠে চরে গরু" না হয়ে "মাঠে গরু চরে আছে"।) ৩. যোগ্যতা: বাক্যের অন্তর্গত পদগুলোর অর্থগত এবং ভাবগত সংগতি বা সঙ্গতি। (যেমন: "গরু আকাশে উড়ে" বাক্যটি যোগ্যতা হারায়, কারণ গরুর ওড়ার ক্ষমতা নেই।)

আসক্তি শব্দের অর্থ হলো আসক্ত বা লিপ্ত হওয়া, যা একটি মানসিক অবস্থা এবং বাক্যের বৈশিষ্ট্য নয়।

ক. প্রলয়
খ. খণ্ডিত
গ. নিঃশ্বাস
ঘ. অনুপম
ব্যাখ্যাঃ

খণ্ডিত শব্দটি প্রত্যয়সাধিত।

  • কঃ প্রলয়: এটি উপসর্গ ('প্র-') এবং প্রত্যয় ('লয়' মূলশব্দে 'অ' প্রত্যয় বা '√লী' ধাতু ও 'অ' প্রত্যয়) উভয় দ্বারাই গঠিত। তবে এটি মূলত উপসর্গ দ্বারা গঠিত শব্দ হিসেবেও গণ্য হতে পারে।
  • খঃ খণ্ডিত: এটি 'খণ্ড' (মূল শব্দ/ধাতু) এর সাথে 'ইত' প্রত্যয় যোগে গঠিত হয়েছে। এটি স্পষ্টতই একটি প্রত্যয়সাধিত শব্দ।
  • গঃ নিঃশ্বাস: এটি উপসর্গ ('নিঃ-') যোগে গঠিত শব্দ ('শ্বাস' মূল শব্দ)।
  • ঘঃ অনুপম: এটি উপসর্গ ('অনুপ-' / 'অন্-') যোগে গঠিত শব্দ ('উপম' মূল শব্দ)।

সুতরাং, বিকল্পগুলোর মধ্যে খণ্ডিত শব্দটিই প্রধানত এবং সরাসরি প্রত্যয় যোগে গঠিত হয়েছে।

ক. দ্বীপ + আয়ন
খ. দ্বীপ + অয়ন
গ. দ্বিপ + অনট
ঘ. দ্বীপ + অনট
ব্যাখ্যাঃ

'দ্বৈপায়ন' শব্দের শুদ্ধ সন্ধিবিচ্ছেদ হলো দ্বীপ + অয়ন

ব্যাখ্যা: 'দ্বৈপায়ন' শব্দটি 'দ্বীপ' (অর্থাৎ দ্বীপ) এবং 'অয়ন' (একটি প্রত্যয়, যা বংশধর বা স্থানবাচক অর্থে ব্যবহৃত হয়) এর সমন্বয়ে গঠিত। এখানে 'দ্বীপ' শব্দের 'ঈ' স্বরটি 'অয়ন' প্রত্যয়ের প্রভাবে 'ঐ' তে পরিবর্তিত হয়েছে। এটি সংস্কৃত ব্যাকরণের 'বৃদ্ধিসন্ধি'র একটি বিশেষ নিয়ম বা তদ্ধিত প্রত্যয় যোগের ফলে সৃষ্ট একটি রূপ। 'দ্বৈপায়ন' বলতে বোঝায় 'দ্বীপজাত' বা 'দ্বীপবাসী', এবং এই নামে বেদব্যাস পরিচিত, কারণ তিনি একটি দ্বীপে জন্মেছিলেন।

ক. দ্বিগু
খ. কর্মধারয়
গ. দ্বন্দ্ব
ঘ. বহুব্রীহি
ব্যাখ্যাঃ

'জজ সাহেব' হলো কর্মধারয় সমাস-এর উদাহরণ।

এর ব্যাসবাক্য হলো: যিনি জজ, তিনিই সাহেব।

এখানে 'জজ' শব্দটি 'সাহেব' শব্দকে বিশেষণরূপে বিশেষিত করছে এবং উভয় পদ একই ব্যক্তিকে নির্দেশ করছে। এটি কর্মধারয় সমাসের একটি সাধারণ প্রকার, যেখানে একটি পদ অন্য পদের বিশেষণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

ক. প্রাতিপদিক
খ. অভিশ্রুতি
গ. অপিনিহিতি
ঘ. ধ্বনি-বিপর্যয়
ব্যাখ্যাঃ

ধ্বনি-পরিবর্তনের উদাহরণ নয় প্রাতিপদিক

  • প্রাতিপদিক: এটি একটি ব্যাকরণগত ধারণা, যা কোনো শব্দের মূল বা প্রকৃতি বোঝায়, যার সঙ্গে বিভক্তি বা প্রত্যয় যুক্ত হওয়ার আগে শব্দটি যে রূপে থাকে। এটি ধ্বনি-পরিবর্তনের কোনো প্রক্রিয়া নয়।
  • অভিশ্রুতি: এটি একটি ধ্বনি-পরিবর্তন প্রক্রিয়া, যেখানে ই-কার বা উ-কার পরিবর্তিত হয়ে পূর্ববর্তী স্বরধ্বনির সাথে মিশে যায় (যেমন: করিয়া > কইরা > করে)।
  • অপিনিহিতি: এটিও একটি ধ্বনি-পরিবর্তন প্রক্রিয়া, যেখানে ই-কার বা উ-কার তার পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনধ্বনির আগে উচ্চারিত হয় (যেমন: আজি > আইজ)।
  • ধ্বনি-বিপর্যয়: এটি একটি ধ্বনি-পরিবর্তন প্রক্রিয়া, যেখানে কোনো শব্দের মধ্যে দুটি ধ্বনি একে অপরের স্থান পরিবর্তন করে (যেমন: রিকশা > রিসকা)।

সুতরাং, 'প্রাতিপদিক' ধ্বনি-পরিবর্তনের উদাহরণ নয়, বরং এটি শব্দের একটি রূপগত ধারণা।

ক. লুইপা
খ. শবরপা
গ. ভুসুকুপা
ঘ. কাহ্নপা
ব্যাখ্যাঃ

সবচেয়ে বেশি চর্যাপদ পাওয়া গেছে কাহ্নপা (Kanha) কবির। তাঁর লেখা ১৩টি চর্যাপদ আবিষ্কৃত হয়েছে।

ক. নিরঞ্জনের রুষ্মা
খ. দোহাকোষ
গ. গুপিচন্দ্রের সন্ন্যাস
ঘ. ময়নামতির গান
ব্যাখ্যাঃ

'দোহাকোষ' হলো বৌদ্ধ সহজিয়া সাধকদের রচিত সাধনতত্ত্বমূলক দোহা বা গাথা সংকলন

এটি চর্যাপদের মতোই সিদ্ধাচার্যদের দ্বারা রচিত এক ধরনের রূপকাশ্রয়ী ও সন্ধ্যাভাষার (আঁধারি ভাষা) কবিতা। দোহাকোষের ভাষা মূলত অপভ্রংশ (যা প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষা এবং আধুনিক ভারতীয় আর্য ভাষার মধ্যবর্তী একটি স্তর)। যদিও দোহাকোষের কিছু অংশ বাংলা ভাষার আদি রূপের কাছাকাছি বলে বিবেচিত হয় এবং চর্যাপদের মতো এটিও সেই সময়ের ধর্মীয় ও সামাজিক চেতনার একটি গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন।

সংক্ষেপে, এটি প্রাচীন বৌদ্ধ সাধনতত্ত্ব ও অপভ্রংশ ভাষার (এবং কিছু ক্ষেত্রে প্রাচীন বাংলা ভাষার কাছাকাছি) কাব্য নিদর্শন

ক. ঠোঁটের পরশে পান লাল হল
খ. পানের পরশে ঠোঁট লাল হল
গ. অস্তাচলগামী সূর্যের আভায় মুখ রক্তিম দেখা গেল
ঘ. অস্তাচলগামী সূর্য ও মুখ একই রকম লাল হয়ে গেল
ব্যাখ্যাঃ

উদ্ধৃত চরণটি মধ্যযুগের শ্রেষ্ঠ কবি আলাওলের শ্রেষ্ঠ কাব্য ‘পদ্মাবতী’ এর রূপ-বর্ণন খণ্ড থেকে গৃহীত। ‘পদ্মাবতী’ তার প্রথম ও শ্রেষ্ঠ রচনা। হিন্দি কবি মালিক মুহম্মদ জায়সীর ‘পদুমাবৎ’ অবলম্বনে আলাওল গ্রন্থটি রচনা করেন।

ক. সৈয়দ আলাওল
খ. জৈনুদ্দিন
গ. দীনবন্ধু মিত্র
ঘ. অমিয় দেব
ব্যাখ্যাঃ

আরাকান বা রোসাঙ্গ রাজসভার অন্যতম প্রধান সভাকবি ছিলেন মহাকবি আলাওল। তিনি আনুমানিক ১৬০৭ সালে চট্টগ্রামের হাটহাজারি থানার জোবরা গ্রামে মতান্তরে ফরিদপুরের ফতেহাবাদ পরগনায় জন্মগ্রহণ করেন। মাগন ঠাকুরের প্রেরণায় তিনি কাব্য রচনায় মনোনিবেশ করেন। তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থগুলি হলো- ‘পদ্মাবতী’, ‘সয়ফুলমুলুক-বদিউজ্জামাল’, ‘সিকান্দারনামা’, ‘হপ্তপয়কর’, ‘তোহফা বা তত্ত্বোপদেশ’, ‘রাগতালনামা’ এবং দৌলত কাজীর অসমাপ্ত ‘সতীময়না-লোর-চন্দ্রানী’। তাঁর ‘হপ্তপয়কর’ কাব্যটি পারস্য কবি নিজামী গঞ্জভীর কাব্যের ভাবানুবাদ।

ক. কানাহরি দত্ত
খ. মানিক দত্ত
গ. ভারতচন্দ্র
ঘ. দাশু রায়
ব্যাখ্যাঃ

দাশু রায়মঙ্গলকাব্যের কবি নন।

ব্যাখ্যা:

  • কানাহরি দত্ত, মানিক দত্ত এবং ভারতচন্দ্র—এই তিনজনেই মঙ্গলকাব্যের ধারার উল্লেখযোগ্য কবি। কানাহরি দত্ত মনসামঙ্গলের আদি কবিদের একজন, মানিক দত্ত চণ্ডীমঙ্গলের কবি, এবং ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর তাঁর 'অন্নদামঙ্গল' কাব্যের জন্য বিখ্যাত।
  • দাশু রায় (দাশরথি রায়) ছিলেন একজন বিখ্যাত পাঁচালী রচয়িতা এবং গায়ক। তিনি মধ্যযুগের শেষ ভাগ ও আধুনিক যুগের শুরুর দিকের কবি ছিলেন, এবং তাঁর রচনা মঙ্গলকাব্যের মতো হলেও, সেগুলো পাঁচালী গান হিসেবেই বেশি পরিচিত, সরাসরি মঙ্গলকাব্যের ধারার কবি হিসেবে নয়।
ক. জন ক্লার্ক মার্শম্যান
খ. জর্জ আব্রাহাম গ্রিয়ার্সন
গ. উইলিয়াম কেরি
ঘ. ডেভিড হেয়ার
ব্যাখ্যাঃ

‘সমাচার দর্পণ’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন জন ক্লার্ক মার্শম্যান (John Clark Marshman)

এটি ১৮১৮ সালে শ্রীরামপুর মিশন থেকে প্রকাশিত একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা ছিল, যা বাংলা ভাষার প্রথম সংবাদপত্র হিসেবে পরিচিত।

ক. স্মৃতি কথামালা
খ. আত্মচরিত
গ. আত্মকথা
ঘ. আমার কথা
ব্যাখ্যাঃ

'আত্মচরিত' হলো ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অসমাপ্ত আত্মজীবনী।

ক. খুলনার দক্ষিণ ডিহি
খ. যশোরের কেশবপুর
গ. ছোটনাগপুর মালভূমি
ঘ. কুষ্টিয়ার শিলাইদহ
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন এর তথ্য অনুযায়ী বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পূর্বপুরুষের আদি নিবাস খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার পিঠাভোগ গ্রামে। খুলনা আঞ্চলিক প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদফতর এর পরীক্ষামূলক সমীক্ষায় পিঠাভোগ গ্রামে রবীন্দ্রনাথের পূর্বপুরুষের ভিটা ভিত্তিপ্রস্তরের সন্ধান পাওয়া গেছে।

ক. প্রবোধচন্দ্র সেন
খ. প্রমথনাথ বিশি
গ. প্রমথ চৌধুরী
ঘ. প্রদ্যুম্ন মিত্র
ব্যাখ্যাঃ

‘তেল নুন লকড়ি’ গ্রন্থটি প্রমথনাথ বিশি-র রচিত। এটি তাঁর একটি উল্লেখযোগ্য রম্যরচনা সংকলন।

ক. কৃষ্ণকুমারী
খ. শর্মিষ্ঠা
গ. সধবার একাদশী
ঘ. নীলদর্পণ
ব্যাখ্যাঃ

বাংলা সাহিত্যে প্রথম সার্থক ট্র্যাজেডি নাটক হলো মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত 'কৃষ্ণকুমারী'। এটি ১৮৬১ সালে প্রকাশিত হয়েছিল।

ক. রোমান্সমূলক উপন্যাস
খ. বিয়োগান্তক নাটক
গ. ঐতিহাসিক উপন্যাস
ঘ. সামাজিক উপন্যাস
ব্যাখ্যাঃ

‘কপালকুণ্ডলা’ হলো বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত একটি রোমান্টিক উপন্যাস

এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম দিকের সফল এবং অত্যন্ত জনপ্রিয় উপন্যাসগুলোর মধ্যে অন্যতম। এতে প্রকৃতি, রহস্য, দর্শন এবং মানবিক সম্পর্কের জটিলতা নিপুণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

ক. “কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও?”
খ. “অগ্নিগ্রাসী বিশ্বত্রাসি জাগুক আবার আত্মদান।”
গ. “প্রাণের মানুষ আছে প্রাণে তাই হেরি তায় সকল খানে?”
ঘ. “কি আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে নদীর কূলে।”
ব্যাখ্যাঃ

“অগ্নিগ্রাসী বিশ্বত্রাসি জাগুক আবার আত্মদান।”

ব্যাখ্যা:

  • “কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও?” – এটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত 'রথের রশি' নাটকের একটি বিখ্যাত উক্তি।
  • “অগ্নিগ্রাসী বিশ্বত্রাসি জাগুক আবার আত্মদান।” – এই পঙ্‌ক্তিটি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম-এর বিখ্যাত রণসংগীত 'চল্ চল্ চল্' থেকে নেওয়া। এটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনা নয়।
  • “প্রাণের মানুষ আছে প্রাণে তাই হেরি তায় সকল খানে?” – এটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি জনপ্রিয় গান এবং বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত 'আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি'-র অংশ।
  • “কি আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে নদীর কূলে।” – এটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'তালগাছ' কবিতার একটি লাইন।

সুতরাং, "অগ্নিগ্রাসী বিশ্বত্রাসি জাগুক আবার আত্মদান।" পঙ্‌ক্তিটি রবীন্দ্রনাথের রচনার অন্তর্গত নয়।

২৮. দ্রৌপদী কে?

[ বিসিএস ৩৫তম ]

ক. রামায়ণে সীতার সহচরী
খ. মহাভারতে দুর্যোধনের স্ত্রী
গ. রামায়ণে লক্ষ্মণের প্রণয়প্রার্থী নারী
ঘ. মহাভারতে পাঁচ ভাইয়ের একক স্ত্রী
ব্যাখ্যাঃ

দ্রৌপদী হলেন হিন্দু মহাকাব্য মহাভারত-এর একজন কেন্দ্রীয় এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র।

তাঁর পরিচয় সংক্ষেপে নিচে দেওয়া হলো:

  • পাঁচ পাণ্ডবের পত্নী: তিনি পাণ্ডবদের (যুধিষ্ঠির, ভীম, অর্জুন, নকুল ও সহদেব) পঞ্চপত্নী হিসেবে পরিচিত। এটি মহাভারতের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্যপূর্ণ দিক।
  • দ্রুপদ কন্যা: তিনি পাঞ্চালরাজ দ্রুপদের কন্যা ছিলেন। তাঁর আসল নাম ছিল কৃষ্ণা, তবে দ্রুপদরাজার কন্যা হওয়ায় তিনি 'দ্রৌপদী' নামে পরিচিত।
  • যজ্ঞসেনী: তিনি যজ্ঞাগ্নি থেকে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তাই তাঁকে 'যজ্ঞসেনী' নামেও ডাকা হয়।
  • নিয়তি ও মর্যাদার প্রতীক: কুরুসভায় তাঁর বস্ত্রহরণের ঘটনা মহাভারত যুদ্ধের অন্যতম প্রধান কারণ ছিল। চরম অপমানের মুখেও তিনি তাঁর মর্যাদা ও আত্মসম্মান ধরে রেখেছিলেন এবং নারীশক্তির এক প্রতীক হিসেবে পরিচিত।

এক কথায়, দ্রৌপদী মহাভারতের এক দৃঢ়চেতা, বুদ্ধিমতী এবং মহৎ চরিত্রের নারী, যিনি পাণ্ডবদের স্ত্রী হিসেবে পরিচিত এবং মহাভারতের কাহিনীতে তাঁর ভূমিকা অপরিসীম।

ক. আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
খ. শহীদুল জহির
গ. শওকত ওসমান
ঘ. শওকত আলী
ব্যাখ্যাঃ

‘মিলির হাতে স্টেনগান’ গল্পটি বিখ্যাত সাহিত্যিক আখতারুজ্জামান ইলিয়াস-এর লেখা। এটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক তাঁর অন্যতম জনপ্রিয় ও শক্তিশালী গল্প।

ক. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
খ. শেখ হাসিনা
গ. মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী
ঘ. এ. কে. ফজলুল হক
ব্যাখ্যাঃ

‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর রচিত। এটি তাঁর লেখা আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ যা তাঁর মৃত্যুর অনেক বছর পর, ২০০৪ সালে তাঁরই লেখা ডায়েরি থেকে বই আকারে প্রকাশিত হয়।

ক. শাহ আবদুল করিম
খ. রাধারমন
গ. শেখ ওয়াহিদ
ঘ. কুদ্দুস বয়াতি
ব্যাখ্যাঃ

প্রশ্নোল্লিখিত গানটির গীতিকার শেখ ওয়াহিদুর রহমান। 'আমার মাটির গাছে লাউ ধরেছে' কাঙ্গালিনী সুফিয়ার বিখ্যাত 'পরানের বান্ধববে - বুড়ি হইলাম তোর কারণে' কিংবা ডলি সায়ন্তিনীর কণ্ঠে 'কোন বা পথে নিতাইগঞ্জ যাই'সহ অসংখ্য জনপ্রিয় লোকগীতির গীতিকার তিনি।

ক. আলমগীর কবির
খ. হুমায়ূন আহমেদ
গ. তারেক মাসুদ
ঘ. শেখ নিয়ামত আলী
ব্যাখ্যাঃ

‘মাটির ময়না’ চলচ্চিত্রের নির্মাতা হলেন তারেক মাসুদ

এটি তাঁর পরিচালিত প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এবং এটি ২০০২ সালে মুক্তি পায়। চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রেক্ষাপটে নির্মিত এবং আন্তর্জাতিকভাবে বেশ প্রশংসিত হয়েছে।

ক. আবুল হাসান
খ. আবুল হোসেন
গ. মহাদেব সাহা
ঘ. নির্মলেন্দু গুণ
ব্যাখ্যাঃ

‘হুলিয়া’ কবিতাটি আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় কবি নির্মলেন্দু গুণ-এর রচনা। এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পূর্ববর্তী সময়ের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও গণজাগরণকে প্রতিফলিত করে লেখা একটি বিখ্যাত কবিতা।

ক. আবুল হাসান
খ. হুমায়ুন কবির
গ. সোমেন চন্দ
ঘ. কল্যাণ মিত্র
ব্যাখ্যাঃ

ঢাকায় আততায়ীর হাতে মৃত্যুবরণ করেন এমন একজন উল্লেখযোগ্য সাহিত্যিক হলেন সোমেন চন্দ

তিনি ছিলেন একজন মার্কসবাদী লেখক এবং ট্রেড ইউনিয়ন নেতা। ১৯৪২ সালের ৮ই মার্চ ঢাকায় ফ্যাসিবাদবিরোধী এক সম্মেলনে যোগ দিতে যাওয়ার সময় তিনি আততায়ীর হাতে ছুরিকাহত হয়ে নিহত হন।

ক. দেবেশ রায়ের ‘তিস্তাপাড়ের বৃত্তান্ত’
খ. সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘পূর্ব-পশ্চিম’
গ. শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ‘যাও পাখি’
ঘ. অভিজিৎ সেনের ‘রহুচণ্ডালের হাড়’
ব্যাখ্যাঃ

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘পূর্ব-পশ্চিম’

ব্যাখ্যা: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের 'পূর্ব-পশ্চিম' একটি বিশাল উপন্যাস যা ১৯৪৭ সালের দেশভাগ থেকে শুরু করে পরবর্তী সময়ে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের সামাজিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, বিশেষত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং তার পরবর্তী সময়ের চিত্র বিশদভাবে অঙ্কিত হয়েছে। উপন্যাসের বিভিন্ন চরিত্র বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং যুদ্ধোত্তর পরিস্থিতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত এবং তাদের জীবনের উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে সেই সময়ের বাস্তবতাকে তুলে ধরা হয়েছে।

৩৬. Cricket enjoys a huge ____ in Bangladesh.

[ বিসিএস ৩৫তম ]

ক. follow on
খ. fall out
গ. follow
ঘ. following
ব্যাখ্যাঃ

বাক্যটি হবে: "Cricket enjoys a huge following in Bangladesh."

এখানে "following" বলতে বিপুল সংখ্যক ভক্ত বা সমর্থককে বোঝানো হয়েছে।

ক. Wordsworth
খ. Herrick
গ. Shelley
ঘ. Keats
ব্যাখ্যাঃ

"all at once I saw/a crowd, a host of golden daffodils" — এই বিখ্যাত পংক্তিগুলো লিখেছেন ইংরেজ রোমান্টিক কবি উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ (William Wordsworth)

এটি তাঁর বিখ্যাত কবিতা "I Wandered Lonely as a Cloud" থেকে নেওয়া হয়েছে, যা সাধারণত "Daffodils" নামেই বেশি পরিচিত।

৩৮. What would be the right synonym for "initiative"?

[ বিসিএস ৩৫তম ]

ক. apathy
খ. indolence
গ. enterprise
ঘ. activity
ব্যাখ্যাঃ

"Initiative" শব্দের সঠিক প্রতিশব্দ হলো গঃ enterprise

  • Initiative মানে কোনো নতুন কিছু শুরু করার বা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষমতা বা প্রবণতা।
  • Enterprise মানেও কোনো উদ্যোগ বা সাহসী প্রচেষ্টা, যা "initiative" এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

অন্য বিকল্পগুলো হলো:

  • Apathy (উদাসীনতা) - উদ্যোগের বিপরীত।
  • Indolence (আলস্য) - উদ্যোগের বিপরীত।
  • Activity (কর্মকাণ্ড) - এটি একটি সাধারণ শব্দ যা উদ্যোগের সাথে সরাসরি সমার্থক নয়, যদিও উদ্যোগের ফলে কার্যকলাপ হতে পারে।
ক. Mister
খ. Master
গ. Mistress
ঘ. Mastery
ব্যাখ্যাঃ

এখানে খঃ Master শব্দটি একটি ক্রিয়া (verb) হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

  • Master (ক্রিয়া হিসেবে): কোনো কিছুতে দক্ষতা অর্জন করা, আয়ত্ত করা, বা নিয়ন্ত্রণ করা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
    • উদাহরণ: "He wants to master the art of playing the guitar." (সে গিটার বাজানোর শিল্প আয়ত্ত করতে চায়।)
    • উদাহরণ: "The dog was trained to master several commands." (কুকুরটিকে বেশ কয়েকটি আদেশ আয়ত্ত করতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল।)

অন্যান্য বিকল্পগুলো হলো:

  • Mister (বিশেষ্য): একজন পুরুষকে সম্বোধন করার জন্য ব্যবহৃত একটি পদবি।
  • Mistress (বিশেষ্য): একজন মহিলাকে সম্বোধন করার জন্য ব্যবহৃত পদবি (যার বিভিন্ন অর্থ হতে পারে, যেমন শিক্ষিকা, বাড়ির কর্ত্রী বা প্রেমিকা)।
  • Mastery (বিশেষ্য): দক্ষতা বা পারদর্শিতা বোঝায়।

সুতরাং, সঠিক উত্তর হলো Master

ক. T.S. Eliot
খ. Toni Morrison
গ. Grahame Greene
ঘ. William Faulkner
ব্যাখ্যাঃ

প্রদত্ত লেখকদের মধ্যে যিনি নোবেল পুরস্কার পাননি, তিনি হলেন:

গঃ Grahame Greene

অন্যান্য লেখকরা নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন:

  • T.S. Eliot (টি.এস. এলিয়ট): ১৯৪৮ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান।
  • Toni Morrison (টনি মরিসন): ১৯৯৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান।
  • William Faulkner (উইলিয়াম ফকনার): ১৯৪৯ সালে (১৯৫০ সালে প্রদান করা হয়) সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান।

গ্রাহাম গ্রিন (Graham Greene) একজন অত্যন্ত বিখ্যাত এবং প্রভাবশালী ব্রিটিশ লেখক ছিলেন, এবং তিনি বহুবার নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি এই পুরস্কার পাননি।

ক. These must be shut doors
খ. Shut the doors you must
গ. Shut must be the doors
ঘ. These doors must be shut
ব্যাখ্যাঃ

"You must shut these doors" বাক্যটির সঠিক passive form হলো:

These doors must be shut.

ক. confusion
খ. idiosyncratic
গ. personifying
ঘ. purifying
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক শব্দটি হবে: খঃ idiosyncratic

বাক্যটি হবে: "The film was directed in the director's usual idiosyncratic style."

  • Idiosyncratic (বিশেষণ) মানে কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর নিজস্ব, স্বতন্ত্র, বা অদ্ভুত বৈশিষ্ট্যপূর্ণ শৈলী বা আচরণ। এটি এখানে পরিচালকের অনন্য এবং পরিচিত ধরনকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে।

অন্যান্য বিকল্পগুলো হলো:

  • Confusion (বিশেষ্য) - বিভ্রান্তি।
  • Personifying (ক্রিয়া/বর্তমান কৃদন্ত) - মূর্ত করা বা ব্যক্তিস্বরূপ তুলে ধরা।
  • Purifying (ক্রিয়া/বর্তমান কৃদন্ত) - বিশুদ্ধ করা।
ক. will
খ. take
গ. much
ঘ. time
ব্যাখ্যাঃ

"Will it take much time?" বাক্যটিতে much হলো একটি ডিটারমাইনার।

এখানে 'much' 'time' (একটি অগণনযোগ্য বিশেষ্য) এর পরিমাণ নির্দেশ করছে।

৪৪. The play Arms and the Man is by-

[ বিসিএস ৩৫তম ]

ক. James Joyce
খ. Samuel Beckett
গ. Arthur Miller
ঘ. George Bernard Shaw
ব্যাখ্যাঃ

"Arms and the Man" নাটকটি লিখেছেন ঘঃ George Bernard Shaw

জর্জ বার্নার্ড শ'র বিখ্যাত নাটক "আর্মস অ্যান্ড দ্য ম্যান" (Arms and the Man) মূলত রোমান্টিক আদর্শবাদ এবং যুদ্ধের মিথ্যা গরিমা নিয়ে একটি ব্যঙ্গাত্মক কমেডি। ১৮৮৫ সালের সার্বো-বুলগেরিয়ান যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রচিত এই নাটকটি প্রেম, বীরত্ব এবং সামাজিক রীতিনীতি সম্পর্কে প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে।

ক. Noun
খ. Adjective
গ. Adverb
ঘ. Preposition
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হলো:

Adjective (বিশেষণ)

কারণ 'disagreeable' শব্দটি 'man' (বিশেষ্য) সম্পর্কে অতিরিক্ত তথ্য দিচ্ছে এবং মানুষটির গুণ বর্ণনা করছে।

ক. had
খ. have
গ. might
ঘ. would
ব্যাখ্যাঃ

"This could have worked if I had been more far-sighted."

এটি একটি তৃতীয় প্রকারের শর্তসাপেক্ষ বাক্য (Third Conditional Sentence)। এর গঠন হলো:

If + Past Perfect (had + V3), would/could/might + have + V3

এখানে, "been" হলো "be" ক্রিয়াপদের Past Participle (V3) রূপ। তাই "had" বসবে।

এই ধরনের বাক্য অতীতের একটি কাল্পনিক বা অনুতাপিত পরিস্থিতি এবং তার সম্ভাব্য ফলাফল বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, যা বাস্তবে ঘটেনি।

৪৭. The 'climax' of a plot is what happens-

[ বিসিএস ৩৫তম ]

ক. in the beginning
খ. at the end
গ. at the height
ঘ. in the confrontation
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হলো:

গঃ at the height

প্লটের ক্লাইম্যাক্স হলো গল্পের সেই মুহূর্ত যেখানে উত্তেজনা, দ্বন্দ্ব বা নাটকীয়তা তার সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছায়, যা গল্পের মোড় ঘুরিয়ে দেয় এবং চূড়ান্ত সমাধানের দিকে নিয়ে যায়।

ক. Sweet : Sour
খ. Injure : Incapacitate
গ. Stout : Weak
ঘ. Hook : Crook
ব্যাখ্যাঃ

"Harm : Damage" এর সম্পর্কটি হলো সমার্থক বা একই অর্থের কাছাকাছি। Harm (ক্ষতি করা) এবং Damage (ক্ষতিগ্রস্ত করা) দুটিই নেতিবাচক ফল বোঝায়।

এই সম্পর্ককে প্রকাশ করে এমন জোড়া হলো:

খঃ Injure : Incapacitate

  • Injure মানে আঘাত করা বা ক্ষতি করা।
  • Incapacitate মানে অক্ষম বা অকার্যকর করা।

এই দুটি শব্দও সমার্থক বা একটির ফলস্বরূপ আরেকটি হতে পারে (আঘাত করলে অক্ষম হতে পারে)।

অন্যান্য বিকল্পগুলো হলো:

  • Sweet : Sour (মিষ্টি : টক) - বিপরীতার্থক।
  • Stout : Weak (শক্তিশালী/মোটা : দুর্বল) - বিপরীতার্থক।
  • Hook : Crook (আক্ষরিক অর্থে বাঁকা : বক্র, কিন্তু 'by hook or by crook' বাগধারায় ভালো বা মন্দ যেকোনো উপায়ে বোঝায়, এখানে সরাসরি সমার্থক নয়।)

৪৯. Othello is a Shakespeare's play about -

[ বিসিএস ৩৫তম ]

ক. A Jew
খ. A Roman
গ. A Turk
ঘ. A Moor
ব্যাখ্যাঃ

Othello is a Shakespeare's play about -

সঠিক উত্তরটি হলো:

ঘঃ A Moor

শেক্সপিয়রের নাটক 'ওথেলো'র প্রধান চরিত্র ওথেলো একজন 'মূর' (Moor), যিনি ভেনিসের সেনাবাহিনীর একজন কালো জেনারেল।

৫০. In the 18th Century the Mughal Empire begun to -

[ বিসিএস ৩৫তম ]

ক. discriminate
খ. disintegrate
গ. differentiate
ঘ. dislocate
ব্যাখ্যাঃ

১৮শ শতাব্দীতে মুঘল সাম্রাজ্য দুর্বল হতে শুরু করে এবং এর বিভিন্ন অংশ স্বাধীন রাজ্যে বিভক্ত হয়ে যায়। 'Disintegrate' মানে ভেঙে যাওয়া বা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া, যা এই প্রেক্ষাপটের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত শব্দ।

ক. increases
খ. emphasizes
গ. encourages
ঘ. involves
ব্যাখ্যাঃ

Being fat does not necessarily kill you, but it increases the risk that you will suffer from nasty diseases.

স্থূলতা সরাসরি মৃত্যুর কারণ না হলেও, এটি বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে

৫২. The poem "Isle of Innisfree" is written by -

[ বিসিএস ৩৫তম ]

ক. Dylan Thomas
খ. Ezra Pound
গ. W.H. Auden
ঘ. W.B. Yeats
ব্যাখ্যাঃ

The poem "The Lake Isle of Innisfree" is written by William Butler Yeats (W.B. Yeats).

৫৩. Riders to the Sea is -

[ বিসিএস ৩৫তম ]

ক. an epic poem
খ. a novella
গ. a one-act play
ঘ. a theatrical adaptation of a poem
ব্যাখ্যাঃ

"Riders to the Sea" হলো একটি গঃ a one-act play

এটি আইরিশ নাট্যকার জে. এম. সিঞ্জ (J. M. Synge) কর্তৃক রচিত একটি বিখ্যাত বিয়োগান্তক নাটক, যা ১৯০৩ সালে প্রকাশিত হয় এবং ১৯০৪ সালে প্রথম মঞ্চস্থ হয়। এটি একটি সংক্ষিপ্ত নাটক যা একটি মাত্র অঙ্কে (act) সম্পূর্ণ হয়।

ক. Record of rules
খ. Summary of rules
গ. Procedures
ঘ. Problems
ব্যাখ্যাঃ

Protocol শব্দের একটি অর্থ হচ্ছে - a set of rules /plans for performing a scientific experiment । আবার, Protocol - এর পূর্বে 'revies' word টি থাকায় তা কোনো recorded /Written rules - কেই বোঝাচ্ছে । এ অর্থানুসারে (ক) Record of rules - ই সঠিক।

৫৫. ____ amazing song haunted me for a long time.

[ বিসিএস ৩৫তম ]

ক. These
খ. Those
গ. Thus
ঘ. That
ব্যাখ্যাঃ

এখানে একটি একক, সুনির্দিষ্ট গানের কথা বলা হচ্ছে, যা বক্তাকে দীর্ঘ সময় ধরে তাড়িয়ে বেড়িয়েছে। 'That' একটি নির্দিষ্ট একবচন বস্তুকে নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হয়।

অন্যান্য বিকল্পগুলো হলো:

  • These: বহুবচন (এগুলো), 'song' (একবচন) এর সাথে বেমানান।
  • Those: বহুবচন (ওগুলো), 'song' (একবচন) এর সাথে বেমানান।
  • Thus: এভাবে, তাই; এটি একটি ক্রিয়াবিশেষণ, যা এই বাক্যে ব্যাকরণগতভাবে খাপ খায় না।
ক. time record
খ. time frame
গ. written record
ঘ. written analysis
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হলো: গঃ written record

এখানে 'minutes' বলতে মিটিংয়ের কার্যবিবরণী বা লিখিত রেকর্ড বোঝায়, যেখানে আলোচনার বিষয়বস্তু, সিদ্ধান্ত এবং উপস্থিতিদের নাম লিপিবদ্ধ থাকে।

ক. amazingly
খ. shockingly
গ. steadily
ঘ. rapidly
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হলো: ঘঃ rapidly

'Exponentially' বলতে বোঝায় খুব দ্রুত এবং ক্রমবর্ধমান হারে বৃদ্ধি পাওয়া।

ক. Christopher Marlowe
খ. Alexander Pope
গ. John Dryden
ঘ. Samuel Beckett
ব্যাখ্যাঃ

এলিজাবেথান পিরিয়ড (Elizabethan period) বলতে সাধারণত রাণী প্রথম এলিজাবেথের রাজত্বকাল (১৫৫৮-১৬০৩) বোঝায়। এই সময়কাল ইংরেজি সাহিত্য, বিশেষ করে নাটকের স্বর্ণযুগ হিসেবে পরিচিত।

প্রদত্ত লেখকদের মধ্যে যিনি এলিজাবেথান পিরিয়ডের সাথে সম্পর্কিত, তিনি হলেন:

কঃ Christopher Marlowe (ক্রিস্টোফার মার্লো)

  • Christopher Marlowe: তিনি ছিলেন একজন গুরুত্বপূর্ণ এলিজাবেথান নাট্যকার, যিনি উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের সমসাময়িক এবং পূর্বসূরী ছিলেন। তার বিখ্যাত নাটকগুলোর মধ্যে 'Doctor Faustus' এবং 'Tamburlaine the Great' উল্লেখযোগ্য।

অন্যান্য লেখকরা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ছিলেন:

  • Alexander Pope (আলেকজান্ডার পোপ): তিনি ১৮শ শতাব্দীর একজন গুরুত্বপূর্ণ কবি ছিলেন, যা অগাস্টান পিরিয়ড (Augustan Period) নামে পরিচিত।
  • John Dryden (জন ড্রাইডেন): তিনি ১৭শ শতাব্দীর শেষের দিকের একজন প্রভাবশালী লেখক ছিলেন, যিনি রেস্টোরেশন পিরিয়ড (Restoration Period) এর প্রতিনিধিত্ব করেন।
  • Samuel Beckett (স্যামুয়েল বেকেট): তিনি ২০শ শতাব্দীর একজন আধুনিকতাবাদী এবং অ্যাবসার্ড নাটকের (Theatre of the Absurd) একজন অন্যতম প্রধান লেখক।

৫৯. Women are too often ____ by family commitments.

[ বিসিএস ৩৫তম ]

ক. confused
খ. controlled
গ. contaminated
ঘ. constrained
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হলো: ঘঃ constrained

  • Constrained মানে কোনো কিছু দ্বারা সীমাবদ্ধ বা বাধাপ্রাপ্ত হওয়া। পারিবারিক দায়বদ্ধতার কারণে অনেক সময় নারীদের স্বাধীনতা বা সুযোগ সীমিত হয়ে পড়ে, যা এই শব্দ দ্বারা বোঝানো হয়।

অন্যান্য বিকল্পগুলো হলো:

  • Confused: বিভ্রান্ত হওয়া।
  • Controlled: নিয়ন্ত্রিত হওয়া।
  • Contaminated: দূষিত হওয়া।
ক. Othello
খ. Romeo and Juliet
গ. Hamlet
ঘ. Macbeth
ব্যাখ্যাঃ

"To be, or not to be, that is the question" হলো একটি বিখ্যাত সংলাপ যা গঃ Hamlet নাটক থেকে নেওয়া হয়েছে।

এটি উইলিয়াম শেক্সপিয়রের বিখ্যাত ট্র্যাজেডি 'হ্যামলেট'-এর প্রধান চরিত্র হ্যামলেটের একটি সলিলোকুই (একাকী ভাষণ), যেখানে সে জীবন ও মৃত্যু, অস্তিত্ব ও অনস্তিত্বের গভীর দার্শনিক প্রশ্ন নিয়ে চিন্তা করে।

ক. Feminism
খ. Formalism
গ. Structuralism
ঘ. Marxism
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হলো: ঘঃ Marxism

  • Marxism (মার্কসবাদ): কার্ল মার্কস এবং ফ্রেডরিখ এঙ্গেলসের তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা একটি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দর্শন। এর মূল বিষয়বস্তু হলো শ্রেণি সংগ্রাম, পুঁজিবাদের সমালোচনা এবং সমাজের উৎপাদন সম্পর্ক। মার্কসবাদীরা বিশ্বাস করে যে সমাজ মূলত দুটি বিরোধী শ্রেণিতে বিভক্ত—বুর্জোয়া (মালিক শ্রেণি) এবং প্রলেতারিয়েত (শ্রমিক শ্রেণি), এবং এদের মধ্যেকার দ্বন্দ্বই সামাজিক পরিবর্তনকে চালিত করে।

অন্যান্য বিকল্পগুলোর সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা:

  • Feminism (নারীবাদ): এর মূল focus হলো লিঙ্গ সমতা, নারীর অধিকার, এবং সমাজে নারী-পুরুষের ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতা।
  • Formalism (ফর্মালিজম): সাহিত্য বা শিল্পের আলোচনায় বিষয়বস্তুর চেয়ে রূপ, গঠন এবং শৈলীর উপর জোর দেয়।
  • Structuralism (স্ট্রাকচারালিজম): এর মূল ধারণা হলো যে মানব সংস্কৃতি, আচরণ এবং অভিজ্ঞতার অন্তর্নিহিত কাঠামো রয়েছে যা বিভিন্ন সিস্টেমে কাজ করে। এটি ভাষা, সাহিত্য, নৃতত্ত্ব ইত্যাদির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
ক. offshore areas
খ. marginal areas
গ. remote places
ঘ. backward regions
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হলো: খঃ marginal areas

  • Periphery বলতে সাধারণত একটি অঞ্চলের কেন্দ্র থেকে দূরে অবস্থিত প্রান্তিক বা সীমান্তবর্তী এলাকাকে বোঝায়, যা প্রায়শই কম গুরুত্বপূর্ণ বা উপেক্ষিত হয়।
  • Marginal areas (প্রান্তিক এলাকা) এই অর্থটি সবচেয়ে ভালোভাবে প্রকাশ করে, যেখানে বসবাসকারী সম্প্রদায়গুলো প্রায়শই মূলধারার সুযোগ-সুবিধা বা মনোযোগ থেকে বঞ্চিত হয়।

অন্যান্য বিকল্পগুলো হলো:

  • Offshore areas: সমুদ্র উপকূলবর্তী বা সামুদ্রিক এলাকা, যা ভৌগোলিক অর্থে ভিন্ন।
  • Remote places: দূরবর্তী স্থান, যদিও প্রান্তিক এলাকা দূরবর্তী হতে পারে, তবে 'periphery' শুধুমাত্র দূরত্বের চেয়ে কেন্দ্রীয় ব্যবস্থার সাথে সম্পর্কের অভাবকে বেশি বোঝায়।
  • Backward regions: অনুন্নত অঞ্চল, এটিও একটি সম্ভাব্য ফল, কিন্তু 'periphery' সরাসরি অনুন্নতকে বোঝায় না, বরং কেন্দ্র থেকে দূরে বা প্রান্তিক অবস্থানকে বোঝায়।
ক. saving lives
খ. timely action
গ. saving time
ঘ. time tailoring
ব্যাখ্যাঃ

The idiom "A stitch in time saves nine" means:

যদি তুমি কোনো ছোট সমস্যার সমাধান সময়মতো করো, তাহলে সেটা বড় সমস্যায় রূপ নেওয়া থেকে রক্ষা করা যায়

এখানে "একটি সেলাই যদি সময়মতো করা হয়, তাহলে নয়টি সেলাই বাঁচে"—এই উপমার মাধ্যমে সময়ের মধ্যে কাজ করা বা সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়ার গুরুত্ব বোঝানো হয়েছে।

সঠিক উত্তর: খঃ timely action (সময়মতো পদক্ষেপ)

অন্য অপশনগুলো বিশ্লেষণ:

  • কঃ saving lives → জীবন রক্ষা করা (ভুল)
  • গঃ saving time → সময় বাঁচানো (আংশিকভাবে ঠিক, কিন্তু মূলভাব নয়)
  • ঘঃ time tailoring → অপ্রাসঙ্গিক/ভুল

৬৪. Which is the correct sentence?

[ বিসিএস ৩৫তম ]

ক. He insisted on seeing her
খ. He insisted for seeing her
গ. He insisted in seeing her
ঘ. He insisted to be seeing her
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক বাক্যটি হলো: কঃ He insisted on seeing her

'Insist' ক্রিয়াপদের পর সাধারণত 'on' প্রিপজিশন বসে, যখন কোনো কিছু করার জন্য জোর দেওয়া বোঝায়। এরপর gerund (verb + -ing) বসে।

৬৫. The phrase "nouveau riche" means-

[ বিসিএস ৩৫তম ]

ক. Riche rich
খ. Well off
গ. New high class
ঘ. New rich
ব্যাখ্যাঃ

The phrase "nouveau riche" (ফরাসি শব্দ) মানে হলো: ঘঃ New rich

এটি এমন ব্যক্তিদের বোঝাতে ব্যবহৃত হয় যারা সম্প্রতি অনেক ধনী হয়েছে, বিশেষ করে যারা তাদের নতুন সম্পদ সত্ত্বেও সামাজিক রীতিনীতি বা সংস্কৃতির অভাব দেখায়। এই শব্দটিতে প্রায়শই কিছুটা নেতিবাচক বা তাচ্ছিল্যের সুর থাকে।

৬৬. What would be the best antonym of "hibernate"?

[ বিসিএস ৩৫তম ]

ক. dormancy
খ. liveliness
গ. sluggishness
ঘ. democracy
ব্যাখ্যাঃ

"Hibernate" এর সেরা বিপরীত শব্দ (antonym) হলো: খঃ liveliness

  • Hibernate মানে শীতনিদ্রা যাওয়া বা দীর্ঘ সময় ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা (যেমন কিছু প্রাণী শীতকালে করে)। এর সাথে জড়তা বা নিস্তেজতা জড়িত।
  • Liveliness মানে সজীবতা, প্রাণবন্ততা, বা সক্রিয়তা। এটি হাইবারনেশনের ঠিক বিপরীত অবস্থা।

অন্যান্য বিকল্পগুলো:

  • Dormancy: এটি হাইবারনেশনের একটি সমার্থক শব্দ বা খুব কাছাকাছি অর্থ প্রকাশ করে (নিষ্ক্রিয় অবস্থা)।
  • Sluggishness: এটি অলসতা বা ধীর গতিকে বোঝায়, যা হাইবারনেশনের সময়কার অবস্থাকে কিছুটা বোঝাতে পারে, কিন্তু বিপরীত নয়।
  • Democracy: এটি একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা, যা শব্দের অর্থের সাথে সম্পর্কহীন।
ক. Verb
খ. Adjective
গ. Adverb
ঘ. Noun
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হলো: Noun (বিশেষ্য)

এখানে 'material' বলতে গল্পের জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়বস্তু, তথ্য বা উপাদান বোঝানো হচ্ছে, যা একটি বস্তুকে নির্দেশ করে।

ক. Adverb
খ. Adjective
গ. Noun
ঘ. Verb
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হলো: Adjective (বিশেষণ)

কারণ 'hereditary' শব্দটি 'Depression' (বিশেষ্য) সম্পর্কে অতিরিক্ত তথ্য দিচ্ছে এবং এটি কেমন (বংশগত) তা বর্ণনা করছে।

৬৯. Find the odd-man-out –

[ বিসিএস ৩৫তম ]

ক. George Eliot
খ. Thomas Hardy
গ. Joseph Conrad
ঘ. James Joyce
ব্যাখ্যাঃ

George Eliot (1819 - 1880) হচ্ছেন Victorian যুগের একজন English Women Novelist; Joseph Conrad (1857 - 1924) Modern যুগের Polish বংশোদ্ভূত একজন English novelist ও Poet এবং james Joyce (1882 - 1941) modern যুগের Irish novelist ও poet । Option গুলোর মধ্যে George Eliot - ই একমাত্র Victorian যুগের woman novelist যার ঊনবিংশ শতকের মধ্যেই জন্ম - মৃত্যু। সুতরাং (ক) - ই odd option।

৭০. Find the odd-man-out-

[ বিসিএস ৩৫তম ]

ক. The Bluest Eye
খ. Sula
গ. As I Lay Dying
ঘ. A Mercy
ব্যাখ্যাঃ

এই তালিকায় "odd-man-out" (বেমানান) হলো: গঃ As I Lay Dying

কারণ:

  • The Bluest Eye, Sula, এবং A Mercy - এই তিনটি উপন্যাসই টনি মরিসন (Toni Morrison) লিখেছেন। টনি মরিসন একজন আমেরিকান ঔপন্যাসিক এবং ১৯৯৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তার কাজগুলো মূলত আফ্রিকান-আমেরিকান অভিজ্ঞতা এবং জাতিগত বিচার নিয়ে।
  • As I Lay Dying - এই উপন্যাসটি লিখেছেন উইলিয়াম ফকনার (William Faulkner)। তিনি ১৯৪৯ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান এবং আমেরিকান দক্ষিণের জীবন নিয়ে তার লেখার জন্য পরিচিত।

সুতরাং, লেখক ভিন্নতার কারণে "As I Lay Dying" এই তালিকা থেকে বেমানান।

ক. যমুনা নদীতে
খ. মেঘনার মোহনায়
গ. বঙ্গোপসাগরে
ঘ. সন্দ্বীপ চেনেল
ব্যাখ্যাঃ

'সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড' (Swatch of No Ground) বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত একটি গভীর সমুদ্রখাদ বা উপত্যকা।

এটি বাংলাদেশের সুন্দরবনের দুবলার চর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটি একটি সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকা এবং জীববৈচিত্র্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয় জেলেরা একে 'নাই বাম' নামেও ডাকে।

ক. পঞ্চাশ দশক
খ. ষাট দশক
গ. সত্তর দশক
ঘ. আশির দশক
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের বাগদা চিংড়ি আশির দশক (১৯৮০-এর দশক) থেকে একটি প্রধান রপ্তানি পণ্য হিসেবে স্থান করে নেয়। সত্তরের দশকের পর বিশ্ববাজারে এর চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলেই আশির দশক থেকে এর বাণিজ্যিক চাষ ও রপ্তানি দ্রুত সম্প্রসারিত হয়।

ক. ১১০
খ. ১১৫
গ. ১১৭
ঘ. ১২০
ব্যাখ্যাঃ

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল সংক্রান্ত বিষয়টি একশত সতেরো (১১৭) নং অনুচ্ছেদে সন্নিবেশিত হয়েছে।

এই অনুচ্ছেদে সংসদকে আইন দ্বারা এক বা একাধিক প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত ব্যক্তিদের চাকরির শর্তাবলী এবং অন্যান্য নির্দিষ্ট বিষয়াদি সম্পর্কে এখতিয়ার প্রয়োগ করবে।

ক. ২৫
খ. ২৬
গ. ২৭
ঘ. ২৮
ব্যাখ্যাঃ

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এর ১১ নভেম্বর ২০২০ জাতীয় সংসদে দেওয়া তথ্য অনুসারে বর্তমানে বাংলাদেশে লাইসেন্সপ্রাপ্ত বেসরকারি টিভি চ্যানেলের সংখ্যা ৪৫টি, যার মধ্যে ৩০টি পূর্ণ সম্প্রচারে রয়েছে। বাকি ১৫টির মধ্যে ১১টি সম্প্রচারের অপেক্ষায় আছে এবং বাকি ৪টি এখনো ফ্রিকোয়েন্সি পায়নি।

ক. সেন্টমার্টিন
খ. রাঙ্গাবালি
গ. চর আলেকজান্ডার
ঘ. ছেড়াদ্বীপ
ব্যাখ্যাঃ

'অলিভ টারটল' বা জলপাইরঙা সাগর কাছিম বাংলাদেশের বিভিন্ন উপকূলীয় অঞ্চলে এবং দ্বীপে পাওয়া যায়, বিশেষ করে প্রজনন মৌসুমে ডিম পাড়ার জন্য তারা সৈকতে আসে।

বাংলাদেশের যে দ্বীপে অলিভ টারটল বেশি দেখা যায় এবং ডিম পাড়ার জন্য আসে, সেটি হলো সেন্ট মার্টিন দ্বীপ

এছাড়াও, কক্সবাজারের অন্যান্য উপকূলীয় সৈকত যেমন বদরমোকাম, শাহপরীর দ্বীপ, বাহারছড়া, মনখালী, হিমছড়ি, প্যাঁচারদিয়া এবং সোনাদিয়া দ্বীপের সৈকতেও অলিভ টারটলের দেখা মেলে।

ক. অতীশ দিপঙ্কর
খ. শিলভদ্র
গ. মা হুয়ান
ঘ. মেগাস্থিনিস
ব্যাখ্যাঃ

চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙ (Xuanzang)-এর প্রধান দীক্ষাগুরু ছিলেন শীলভদ্র (Shilabhadra)

শীলভদ্র ছিলেন তৎকালীন ভারতের বিখ্যাত নালন্দা মহাবিহারের (নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যক্ষ এবং একজন অত্যন্ত প্রখ্যাত বৌদ্ধ পণ্ডিত। হিউয়েন সাঙ নালন্দায় অবস্থানকালে তাঁর কাছেই বৌদ্ধধর্মের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জন করেন।

ক. রাঙামাটি
খ. খাগড়াছড়ি
গ. বান্দরবান
ঘ. সিলেট
ব্যাখ্যাঃ

প্রান্তিক হ্রদ বাংলাদেশের বান্দরবান জেলায় অবস্থিত একটি সুন্দর কৃত্রিম হ্রদ। এটি বান্দরবান শহর থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। এর চারপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং শান্ত পরিবেশ পর্যটকদের আকর্ষণ করে।

ক. ৪৫০০
খ. ৪৫৫০
গ. ৫৬০০
ঘ. ৪৬০০
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন ও পরিসংখ্যান পকেট বই অনুযায়ী বর্তমানে বাংলাদেশে ইউনিয়ন পরিষদের সংখ্যা ৪৫৬৫। স্থানীয় সরকার বিভাগের তথ্য অনুসারে বাংলাদেশে বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদের সংখ্যা ৪৫৭১টি। তবে আদমশুমারি ২০২২ অনুযায়ী বাংলাদেশে ইউনিয়ন পরিষদের সংখ্যা ৪৫৭১টি।

ক. আনন্দ বিহার
খ. নালন্দা বিহার
গ. গোসিপো বিহার
ঘ. সোমপুর বিহার
ব্যাখ্যাঃ

মহাস্থবির শীলভদ্র ছিলেন প্রাচীন ভারতের বিখ্যাত বৌদ্ধ শিক্ষাকেন্দ্র নালন্দা মহাবিহারের আচার্য (অধ্যক্ষ)। তিনি বিখ্যাত চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙ-এরও দীক্ষাগুরু ছিলেন।

ক. বারাং
খ. পাড়া
গ. পুঞ্জি
ঘ. মৌজা
ব্যাখ্যাঃ

খাসিয়াদের গ্রামগুলো পুঞ্জি নামে পরিচিত।

তারা সাধারণত পাহাড়ের টিলায় বা বনের কাছাকাছি ছোট ছোট বসতি গড়ে তোলে, আর এই বসতিগুলোকেই 'পুঞ্জি' বলা হয়। প্রতিটি পুঞ্জির একজন প্রধান থাকেন, যাকে 'হেডম্যান' বা 'মন্ত্রী' বলা হয়।

ক. চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ব্যবস্থা
খ. দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা
গ. সতীদাহ নিবারণ ব্যবস্থা
ঘ. পুলিশ ব্যবস্থা
ব্যাখ্যাঃ

লর্ড ক্যানিং ১৮৫৬ থেকে ১৮৬২ সাল পর্যন্ত ভারতের গভর্নর-জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৮৫৮ সালে ভারত শাসন আইন পাসের পর তিনিই ভারতের প্রথম ভাইসরয় হন।

তাঁর আমলে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। এর মধ্যে অন্যতম হলো:

  • ১৮৬১ সালের ভারতীয় পুলিশ আইন পাসের মাধ্যমে পুলিশ ব্যবস্থা চালু করা। এটি উপমহাদেশে আধুনিক পুলিশ প্রশাসনের সূচনা করে।
  • তিনি পোর্টফোলিও ব্যবস্থা (মন্ত্রিপরিষদ ব্যবস্থায় বিভিন্ন দপ্তরের দায়িত্ব মন্ত্রীদের মধ্যে বন্টন) চালু করেন, যা ভাইসরয়ের কার্যনির্বাহী পরিষদে প্রতিটি সদস্যকে একটি নির্দিষ্ট দপ্তরের দায়িত্ব দিত।
  • কাগজী মুদ্রা চালু করেন (১৮৬১)
  • ১৮৫৭ সালে কলকাতা, বোম্বাই ও মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা হয় তাঁর আমলে।
  • ভারতীয় দণ্ডবিধি (Indian Penal Code - ১৮৬০) এবং ফৌজদারি কার্যবিধি (Criminal Procedure Code - ১৮৬১) তাঁর সময়ে কার্যকর করা হয়।
  • সত্ত্ববিলোপ নীতি (Doctrine of Lapse) প্রত্যাহার করেন।
  • আয়কর প্রবর্তন করেন (পরীক্ষামূলক ভিত্তিতে)।

এই সংস্কারগুলোর মধ্যে, যদি একটি একক ব্যবস্থার কথা বলা হয় যা তিনি 'প্রথম' চালু করেন, তবে পুলিশ ব্যবস্থা (১৮৬১ সালে ভারতীয় পুলিশ আইন পাসের মাধ্যমে) একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ ছিল।

ক. ওয়াসফিয়া নাজনীন
খ. মুসা ইব্রাহিম
গ. এম.এ.মুহিত
ঘ. নিশাত মজুমদার
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম নারী হিসেবে নিশাত মজুমদার 'মাউন্ট এভারেস্ট' জয় করেন ২০১২ সালের ১৯ মে এবং দ্বিতীয় নারী হিসেবে ' এভারেস্ট ' জয় করেন ওয়াসফিয়া নাজনীন একই সালের ২৬ মে। কিন্তু প্রথম বাংলাদেশি এভারেস্টজয়ী হলেন মুসা ইব্রাহীম। তিনি ২০১০ সালের ২৪ মে এভারেস্ট চূড়ায় পৌঁয়ে বাংলাদেশের জন্য এই অনন্য গৌরব বয়ে আনেন। অন্যদিকে এম এ মুহিদ হলেন প্রথম বাংলাদেশি যিনি দুবার এভারেস্ট চূড়া জয় করেন।

ক. আব্দুল মতিন
খ. ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত
গ. শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক
ঘ. হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী
ব্যাখ্যাঃ

পাকিস্তানের গণপরিষদের অধিবেশনে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রথম দাবি উত্থাপন করেন ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত

তিনি ১৯৪৮ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারি (কিছু সূত্রে ২৫শে ফেব্রুয়ারিও উল্লেখ আছে) পাকিস্তান গণপরিষদে এই দাবি উত্থাপন করেন যে, উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকেও পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করা হোক এবং গণপরিষদের কার্যবিবরণী ইংরেজি ও উর্দুর পাশাপাশি বাংলাতেও রাখা হোক।

ক. জয়নুল আবেদিন
খ. কামরুল হাসান
গ. এস এম সুলতান
ঘ. রফিকুন নবী
ব্যাখ্যাঃ

বিখ্যাত চিত্রকর্ম 'তিন কন্যা' এর চিত্রকর হলেন কামরুল হাসান

এটি তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ এবং জনপ্রিয় কাজ।

ক. হাইল
খ. পাথরচাওলি
গ. ভবদহ
ঘ. আড়িয়াল
ব্যাখ্যাঃ

ভবদহ বিলটিই যশোর জেলায় অবস্থিত।

এখানে বিকল্প বিলগুলোর অবস্থান ব্যাখ্যা করা হলো:

  • কঃ হাইল (Hail): এটি হাইল হাওর নামে পরিচিত এবং এটি প্রধানত মৌলভীবাজার জেলায় অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ হাওর।
  • খঃ পাথরচাওলি (Pathorchawli): এই নামে সুপরিচিত কোনো বড় বিলের তথ্য পাওয়া যায় না। এটি কোনো নির্দিষ্ট জেলার উল্লেখযোগ্য বিল নয়।
  • ঘঃ আড়িয়াল (Arial): এটি আড়িয়াল বিল নামে পরিচিত এবং এটি প্রধানত মুন্সিগঞ্জ জেলায় অবস্থিত। এটি দেশের বৃহত্তম বিলগুলোর মধ্যে অন্যতম।
ক. ৭ম
খ. ৮ম
গ. ৯ম
ঘ. কোনটিই নয়
ব্যাখ্যাঃ

বিশ্ব জনসংখ্যা প্রতিবেদন ২০০৯ (UNFPA's State of World Population 2009) অনুযায়ী জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৭ম (সপ্তম)

তবে, উল্লেখ্য যে, বর্তমান সময়ে (২০২৪ সাল অনুযায়ী) বাংলাদেশের অবস্থান ৮ম।

ক. ৬১.১%
খ. ৫৭.৯%
গ. ৫৬.৮%
ঘ. ৬৫.৫%
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৪ অনুযায়ী গড় সাক্ষরতার হার ছিল ৫৭.৯%

ক. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
খ. জেনারেল এম. এ. জি ওসমানী
গ. কর্নেল শফিউল্লাহ
ঘ. মেজর জিয়াউর রহমান
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

যদিও জেনারেল এম. এ. জি. ওসমানী ছিলেন মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি (Commander-in-Chief), সাংবিধানিকভাবে এবং যুদ্ধের রাজনৈতিক নেতৃত্ব হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন সর্বাধিনায়ক (Supreme Commander)। মুজিবনগর সরকারের ঘোষণাপত্রে রাষ্ট্রপতিকে (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক ঘোষণা করা হয়েছিল।

ক. উন্নত জাতের ভুট্টা
খ. উন্নত জাতের আম
গ. উন্নত জাতের গম
ঘ. উন্নত জাতের চাল
ব্যাখ্যাঃ

‘বর্ণালী’ এবং ‘শুভ্র’ হলো বাংলাদেশের কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (BARI) কর্তৃক উদ্ভাবিত উন্নত জাতের ভুট্টা (Maize)। এগুলো উচ্চ ফলনশীল এবং কৃষকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়।

ক. ৯১ বর্গ কিলোমিটার
খ. ৯ বর্গ কিলোমিটার
গ. ৯ বর্গ কিলোমিটার
ঘ. ৮ বর্গ কিলোমিটার
ব্যাখ্যাঃ

গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের জন্য প্রস্তাবিত সোনাদিয়া দ্বীপের আয়তন হলো প্রায় ৯ বর্গকিলোমিটার

উল্লেখ্য, সোনাদিয়াতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনাটি বর্তমানে স্থগিত আছে এবং কক্সবাজারের মাতারবাড়িতেই গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের কাজ চলছে।

ক. কামাল হোসেন
খ. এস. এ. করিম
গ. নুরুল ইসলাম
ঘ. আনিসুর রহমান
ব্যাখ্যাঃ

'Making of a Nation Bangladesh' গ্রন্থের রচয়িতা হলেন অধ্যাপক নুরুল ইসলাম

৯২. ‘জীবনঢুলী’ কি?

[ বিসিএস ৩৫তম ]

ক. একটি উপন্যাসের নাম
খ. একটি কাব্যগ্রন্হের নাম
গ. একটি আত্মজীবনীর নাম
ঘ. একটি চলচ্চিত্রের নাম
ব্যাখ্যাঃ

‘জীবনঢুলী’ হলো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি চলচ্চিত্র (সিনেমা)

এটি নির্মাণ করেছেন বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক তানভীর মোকাম্মেল। চলচ্চিত্রটি ২০১৪ সালে মুক্তি পায় এবং এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত হয়েছে।

ক. সোহাগ গাজী
খ. রুবেল হোসেন
গ. তাইজুল ইসলাম
ঘ. তাসকিন আহমেদ
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের পক্ষে ওয়ানডে অভিষেকেই পাঁচ উইকেট নেওয়ার অনন্য কৃতিত্ব অর্জন করেছেন:

তাসকিন আহমেদ

  • তারিখ: ১৭ জুন, ২০১৪
  • বিপক্ষ: ভারত
  • স্থান: মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ঢাকা
  • বোলিং ফিগার: ৮ ওভার, ২ মেডেন, ২৮ রান, ৫ উইকেট
ক. ২০১৫-২০১৯
খ. ২০১৬-২০২০
গ. ২০১৭-২০২১
ঘ. ২০১৭-২০২১
ব্যাখ্যাঃ

পরিকল্পনা কমিশনের গৃহীত পদক্ষেপ অনুযায়ী বাংলাদেশের সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাটি ২০১৬ সালের জুলাই মাস থেকে ২০২০ সালের জুন মাস পর্যন্ত মেয়াদে কার্যকর ছিল (অর্থাৎ, অর্থবছর ২০১৬-১৭ থেকে ২০১৯-২০ পর্যন্ত)।

ক. রিচার্ড সেশন
খ. মার্কাস ফ্রান্ডা
গ. গ্যারি জে ব্যাস
ঘ. পল ওয়ালেচ
ব্যাখ্যাঃ

দ্য ব্লাড টেলিগ্রাম (The Blood Telegram) গ্রন্থটির লেখক হলেন গ্যারি জে. বাস (Gary J. Bass)

এই বইটি ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং তাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার ওপর রচিত একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও গবেষণামূলক গ্রন্থ।

ক. কুষ্টিয়া গ্রেড
খ. চুয়াডাঙ্গা গ্রেড
গ. ঝিনাইদহ গ্রেড
ঘ. মেহেরপুর গ্রেড
ব্যাখ্যাঃ

বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের চামড়া কুষ্টিয়া গ্রেড (Kushtia Grade) নামে পরিচিত।

এই প্রজাতির ছাগলের চামড়া তার উন্নত গুণগত মানের জন্য বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহসহ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে এই ছাগলের উৎপাদন বেশি হয় বলে এর চামড়া 'কুষ্টিয়া গ্রেড' নামে খ্যাতি লাভ করেছে।

ক. টাইম
খ. ইকোনোমিস্ট
গ. নিউজ উইক্স
ঘ. ইকোনোমিক এন্ড পলিটিক্যাল উইক্লি
ব্যাখ্যাঃ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে 'রাজনীতির কবি' (Poet of Politics) আখ্যা দিয়েছিল বিখ্যাত আমেরিকান ম্যাগাজিন নিউজউইক (Newsweek)

১৯৭১ সালের ৫ই এপ্রিল সংখ্যায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এই উপাধি ব্যবহার করা হয়েছিল।

ক. রাজশাহী
খ. ঢাকা
গ. চট্টগ্রাম
ঘ. সিলেট
ব্যাখ্যাঃ

সিলেট অঞ্চলকে ৩৬০ আউলিয়ার দেশ বলা হয়।

এই নামকরণ মূলত হযরত শাহজালাল (র.) এবং তাঁর ৩৬০ জন সঙ্গী আউলিয়ার সিলেট আগমনের সাথে জড়িত, যারা এই অঞ্চলে ইসলাম প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলকে ৩৬০ আউলিয়ার দেশ বলা হয়।

হযরত শাহজালাল (র.) এবং তাঁর সফরসঙ্গী ৩৬০ জন আউলিয়ার ইসলাম প্রচারের কারণে সিলেট এই নামে পরিচিতি লাভ করেছে।

ক. ইউরিয়া এবং এএসপি
খ. ইউরিয়া
গ. টিএসপি এবং এএসপি
ঘ. ডিএপি
ব্যাখ্যাঃ

ন্যাচারাল গ্যাস ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি লিঃ (Natural Gas Fertilizer Factory Ltd.)-এর উৎপাদিত সারের নাম হলো ইউরিয়া

ন্যাচারাল গ্যাস ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি লিমিটেড (Natural Gas Fertilizer Factory Ltd. বা NGFFL) বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক সার কারখানা।

এর সম্পর্কে কিছু তথ্য নিচে দেওয়া হলো:

  • অবস্থান: এটি সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে অবস্থিত ছিল।
  • গুরুত্ব: এটি ছিল দক্ষিণ এশিয়া এবং তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম প্রাকৃতিক গ্যাস-ভিত্তিক সার কারখানা
  • প্রতিষ্ঠা: ১৯৬১ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
  • উৎপাদিত সার: এই কারখানায় মূলত ইউরিয়া সার উৎপাদিত হতো।
  • বর্তমান অবস্থা: পুরোনো এই কারখানাটি বর্তমানে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং একই স্থানে আরও আধুনিক ও বৃহৎ শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (Shahjalal Fertilizer Company Ltd. বা SFCL) স্থাপন করা হয়েছে, যা এখন সার উৎপাদন করছে।

১০০. ম্যানগ্রোভ কি?

[ বিসিএস ৩৫তম ]

ক. কেওড়া বন
খ. শালবন
গ. উপকূলীয় বন
ঘ. চিরহরিৎ বন
ব্যাখ্যাঃ

ম্যানগ্রোভ হলো এক ধরনের লবণাক্ত সহনশীল বৃক্ষ বা গুল্ম যা উপকূলীয় লবণাক্ত বা নোনা জলের পরিবেশে, যেমন জোয়ার-ভাটার খাঁড়ি, নদীর মোহনা বা সমুদ্র উপকূলে জন্মায়।

এদের কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে যা এদেরকে এই প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকতে সাহায্য করে:

  • শ্বাসমূল: এদের কিছু মূল মাটির উপরে উঠে আসে এবং বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে, যা 'শ্বাসমূল' নামে পরিচিত।
  • ঠেসমূল: অনেক ম্যানগ্রোভ গাছের কাণ্ড থেকে এক ধরনের ঠেস বা খুঁটির মতো মূল নেমে আসে, যা গাছকে কাদা মাটিতে দাঁড়িয়ে থাকতে সাহায্য করে।
  • জরায়ুজ অঙ্কুরোদগম: এদের বীজ গাছে থাকা অবস্থাতেই অঙ্কুরিত হয় এবং চারা তৈরি হয়, যা মাটি বা পানিতে পড়ার সাথে সাথে দ্রুত নতুন স্থানে বেড়ে উঠতে পারে।

ম্যানগ্রোভ বন উপকূলীয় পরিবেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এরা ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস থেকে উপকূলকে রক্ষা করে, ভূমি ক্ষয় রোধ করে এবং বিভিন্ন সামুদ্রিক প্রাণীর প্রজনন ও বিচরণক্ষেত্র হিসেবে কাজ করে। বাংলাদেশের সুন্দরবন বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন।

ক. রাজা ধীরেন্দ্র
খ. রাজা জ্ঞানেন্দ্র
গ. রাজা বীরেন্দ্র
ঘ. রাজা মহেন্দ্র
ব্যাখ্যাঃ

নেপালের সর্বশেষ রাজা ছিলেন জ্ঞানেন্দ্র বীর বিক্রম শাহ দেব

২০০৮ সালের ২৮শে মে নেপালে রাজতন্ত্রের বিলুপ্তি ঘটিয়ে প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করা হয় এবং এর মধ্য দিয়ে ২৪০ বছরের শাহ রাজবংশের শাসনের অবসান ঘটে।

ক. জাতিপুঞ্জ সৃষ্টি করা
খ. অটোমানদের জায়গা দখল করা
গ. ইহুদিদের জন্য একটি জাতিরাষ্ট্র গঠন
ঘ. জার্মানির বিরুদ্ধে মিত্র শক্তির নতুন কৌশল অবলম্বন
ব্যাখ্যাঃ

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ১৯১৭ সালের ২রা নভেম্বর জারি করা বেলফোর ঘোষণার মূল প্রতিপাদ্য ছিল ফিলিস্তিনে ইহুদিদের জন্য একটি জাতীয় আবাসভূমি (national home for the Jewish people) প্রতিষ্ঠার প্রতি ব্রিটিশ সরকারের সমর্থন

এই ঘোষণাপত্রটি তৎকালীন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর্থার বেলফোর একটি চিঠির মাধ্যমে ব্রিটিশ ইহুদি নেতা লর্ড রথসচাইল্ডকে পাঠিয়েছিলেন, যা জায়নবাদী ফেডারেশনকে অবহিত করা হয়। এতে বলা হয় যে, "মহামান্য সরকারেরা ফিলিস্তিনে ইহুদি জনগণের জন্য একটি জাতীয় আবাসভূমি প্রতিষ্ঠাকে অনুকূল দৃষ্টিতে দেখে..."। তবে এতে ফিলিস্তিনের বিদ্যমান অ-ইহুদি জনগোষ্ঠীর নাগরিক ও ধর্মীয় অধিকারের প্রতিও সম্মান প্রদর্শনের কথা বলা হয়েছিল।

ক. ইউকোসুক
খ. হাওয়াই
গ. গোয়াম
ঘ. সুবিক বে
ব্যাখ্যাঃ

প্রশান্ত মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম নৌবহরের সদর দপ্তর হলো জাপানের ইয়োকোসুকা (Yokosuka)

এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক ফ্লিটের একটি অংশ।

ক. নিকট প্রাচ্য
খ. পূর্ব আফ্রিকা
গ. দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া
ঘ. পূর্ব ইউরোপ
ব্যাখ্যাঃ

‘ডমিনো’ তত্ত্বটি প্রধানত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের জন্য প্রযোজ্য ছিল।

স্নায়ুযুদ্ধের সময় এই তত্ত্বটি জনপ্রিয়তা লাভ করে। এর মূল কথা ছিল, যদি কোনো একটি দেশ কমিউনিস্ট শাসনের অধীনে আসে, তাহলে তার পার্শ্ববর্তী দেশগুলোও ডমিনোর মতো একে একে কমিউনিস্ট হয়ে যাবে। যুক্তরাষ্ট্র এই তত্ত্বের ভিত্তিতে ভিয়েতনামের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল, এই আশঙ্কায় যে ভিয়েতনাম কমিউনিস্ট হলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোও কমিউনিস্ট হয়ে যাবে।

ক. চীন
খ. সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন
গ. হাঙ্গেরি
ঘ. পোল্যান্ড
ব্যাখ্যাঃ

‘গ্লাসনস্ত নীতি’ সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নে চালু হয়েছিল।

এটি সোভিয়েত ইউনিয়নের শেষ প্রেসিডেন্ট মিখাইল গর্বাচেভ ১৯৮০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে প্রবর্তন করেন। 'গ্লাসনস্ত' একটি রুশ শব্দ, যার অর্থ হলো খোলামেলা ভাব বা উন্মুক্ততা। এই নীতির উদ্দেশ্য ছিল সরকারে স্বচ্ছতা আনা এবং জনগণের বাকস্বাধীনতা বৃদ্ধি করা, যাতে তারা রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করতে পারে। এটি সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন এবং স্নায়ুযুদ্ধের অবসানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।

ক. ২
খ. ৩
গ. ৪
ঘ. ১
ব্যাখ্যাঃ

স্বাধীন ভারতে জন্ম নেওয়া ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হয় ২০১৪ সালের ২৬ মে। ঐ দিনের শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথির সংখ্যা ছিল ৪ হাজারেরও বেশি। জাপানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সফর থাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া সার্কভুক্ত সকল দেশের সরকারপ্রধান শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সার্কের বাইরের একমাত্র দেশ হিসেবে মরিশাসের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নবীন রামগুলাম আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন।

ক. জাপান
খ. পেরু
গ. কোস্টারিকা
ঘ. সুইজারল্যান্ড
ক. সিরিয়া
খ. সুদান
গ. ইরাক
ঘ. সোমালিয়া
ব্যাখ্যাঃ

গ্লোবাল টেরোরিজম ইনডেক্স (GTI) ২০১৪ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বে সর্বাপেক্ষা ঝুঁকিপূর্ণ রাষ্ট্র ছিল ইরাক

২০১৩ সালের তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে এই প্রতিবেদনটি তৈরি হয়েছিল, যেখানে ইরাকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সন্ত্রাসী হামলা এবং তাতে সবচেয়ে বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছিল। ঐ বছর সন্ত্রাসী হামলায় যত মানুষ নিহত হয়েছিল, তার ৮২% ই ঘটেছিল মাত্র ৫টি দেশে, যার মধ্যে ইরাক শীর্ষে ছিল।

ক. ফিজি
খ. পাপুয়া নিউগিনি
গ. গোয়াম
ঘ. মালদ্বীপ
ব্যাখ্যাঃ

জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির ব্যাপকতা তুলে ধরার জন্য মালদ্বীপ সমুদ্রের গভীরে মন্ত্রীসভার বৈঠক করেছে।

২০০৯ সালের ১৭ই অক্টোবর মালদ্বীপের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ নাশিদের নেতৃত্বে এই অভিনব বৈঠকটি সাগরের নিচে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে মালদ্বীপের মতো নিচু দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর অস্তিত্ব সংকটের বিষয়টি বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরা এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো।

ক. কমিন্টার্ন
খ. কমিনফর্ম
গ. কমেকন
ঘ. কোনোটিই নয়
ব্যাখ্যাঃ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পূর্ব-পশ্চিম দ্বন্দ্বের ফলে সৃষ্ট পূর্বের অর্থনৈতিক জোটটির নাম ছিল কমেকন (COMECON)

কমেকন-এর পূর্ণরূপ হলো 'কাউন্সিল ফর মিউচুয়াল ইকোনমিক অ্যাসিসটেন্স' (Council for Mutual Economic Assistance)। এটি ১৯৪৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং পূর্ব ইউরোপের সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গঠিত হয়েছিল। এটি পশ্চিমের মার্শাল প্ল্যান এবং ইউরোপীয় অর্থনৈতিক জোটের (EEC) পাল্টা হিসেবে তৈরি হয়েছিল।

ক. রাশিয়া
খ. ব্রাজিল
গ. ভারত
ঘ. দক্ষিণ আফ্রিকা
ব্যাখ্যাঃ

ব্রিকস (BRICS) এর সর্বশেষ শীর্ষ সম্মেলন ২২ থেকে ২৪ অক্টোবর, ২০২৪-এ রাশিয়ার কাজান শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সম্মেলনটি প্রথমবারের মতো সম্প্রসারিত ব্রিকস সদস্যদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে সৌদি আরব, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান এবং ইথিওপিয়া নতুন সদস্য হিসেবে যুক্ত হয়েছে। এই শীর্ষ সম্মেলনের প্রধান আলোচনার বিষয় ছিল রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা শক্তিশালী করা এবং একটি নতুন অর্থপ্রদান পদ্ধতি গঠন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, জ্বালানি সহযোগিতা এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণায় অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি।

১১২. ‘উইঘুর’ হলো-

[ বিসিএস ৩৫তম ]

ক. চীনের একটি খাবারের নাম
খ. চীনের একটি ধর্মীয় স্থানের নাম
গ. চীনের একটি শহরের নাম
ঘ. চীনের একটি সম্প্রদায়ের নাম
ব্যাখ্যাঃ

‘উইঘুর’ হলো চীনের একটি জাতিগোষ্ঠী

এরা প্রধানত চীনের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের স্বায়ত্তশাসিত উইঘুর প্রদেশ (শিনজিয়াং উইঘুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল)-এর বাসিন্দা। উইঘুররা মূলত তুর্কি বংশোদ্ভূত এবং সুন্নি মুসলিম ধর্মাবলম্বী। তাদের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রয়েছে, যা চীনা হান সংস্কৃতি থেকে ভিন্ন।

ক. ২০০ নটিকেল মাইল
খ. ৩০০ নটিকেল মাইল
গ. ৩৫০ নটিকেল মাইল
ঘ. ৪৫০ নটিকেল মাইল
ব্যাখ্যাঃ

১৯৮২ সালের সমুদ্র আইন সংক্রান্ত কনভেনশন (UNCLOS) অনুযায়ী একটি উপকূলীয় রাষ্ট্রের মহীসোপানের (Continental Shelf) সীমা ভিত্তি রেখা হতে ৩৫০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত হতে পারে।

তবে, এর একটি প্রাথমিক সীমাও রয়েছে, যা ভিত্তি রেখা থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল। যদি কোনো রাষ্ট্রের মহীসোপান ভূতাত্ত্বিকভাবে ২০০ নটিক্যাল মাইলের বাইরেও বিস্তৃত হয়, তবে সেটি সর্বোচ্চ ৩৫০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত দাবি করা যেতে পারে, কিছু নির্দিষ্ট ভূতাত্ত্বিক সূত্র মেনে।

ক. বাংলাদেশ-মায়ানমার
খ. মায়ানমার-চীন
গ. বাংলাদেশ-ভারত
ঘ. ভারত-মায়ানমার
ব্যাখ্যাঃ

‘মংডু’ হলো বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার-এর সীমান্ত এলাকা।

এটি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের একটি শহর, যা বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার বিপরীতে নাফ নদীর ওপারে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত বাণিজ্য পথও বটে।

ক. জাতিসংঘের যুদ্ধ মোকাবেলা সংক্রান্ত চুক্তি
খ. জাতিসংঘের শিশু অধিকার বিষয়ক চুক্তি
গ. জাতিসংঘের নারী অধিকার বিষয়ক প্রটোকল
ঘ. জাতিসংঘের জৈব নিরাপত্তা বিষয়ক চুক্তি
ব্যাখ্যাঃ

কার্টাগেনা প্রটোকল হলো জীববৈচিত্র্য সম্পর্কিত কনভেনশন (Convention on Biological Diversity - CBD)-এর একটি সম্পূরক চুক্তি।

এর পুরো নাম হলো 'কার্টাগেনা প্রটোকল অন বায়োসেফটি টু দ্য কনভেনশন অন বায়োলজিক্যাল ডাইভারসিটি' (Cartagena Protocol on Biosafety to the Convention on Biological Diversity)।

এর মূল উদ্দেশ্য হলো:

  • আধুনিক জীবপ্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি জীবন্ত পরিবর্তিত জীব (Living Modified Organisms - LMOs)-এর নিরাপদ হস্তান্তর, পরিবহন ও ব্যবহার নিশ্চিত করা।
  • এসব LMOs দ্বারা জীববৈচিত্র্যের ওপর সম্ভাব্য ক্ষতিকর প্রভাব থেকে পরিবেশ ও মানব স্বাস্থ্যকে রক্ষা করা।

এটি ২০০০ সালের ২৯শে জানুয়ারি গৃহীত হয় এবং ২০০৩ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হয়।

ক. ৫
খ. ৮
গ. ৪
ঘ. ৭
ব্যাখ্যাঃ

ওজোনস্তর বিষয়ক মন্ট্রিল প্রটোকল ১৯৮৯ সালে কার্যকর হওয়ার পর থেকে বেশ কয়েকবার সংশোধন করা হয়েছে।

বিভিন্ন উৎস অনুযায়ী, মন্ট্রিল প্রটোকল এ পর্যন্ত ৯ বার পর্যন্ত সংশোধন করা হয়েছে। সর্বশেষ উল্লেখযোগ্য সংশোধনীটি ছিল ২০১৬ সালের কিগালি সংশোধনী

সংশোধনীর প্রধান তারিখগুলো হলো:

  • ১৯৯০ (লন্ডন)
  • ১৯৯২ (কোপেনহেগেন)
  • ১৯৯৫ (ভিয়েনা) - এটি অ্যাডজাস্টমেন্ট ছিল, অ্যামেন্ডমেন্ট নয়।
  • ১৯৯৭ (মন্ট্রিল)
  • ১৯৯৯ (বেইজিং)
  • ২০০৭ (মন্ট্রিল) - এটি অ্যাডজাস্টমেন্ট ছিল।
  • ২০১৬ (কিগালি)
ক. ক্লজউইজ
খ. আলফ্রেড মাহান
গ. সুন জু
ঘ. কৌটিল্য
ব্যাখ্যাঃ

'The Art of War' গ্রন্থের রচয়িতা হলেন সুন সু (Sun Tzu)

এটি সামরিক কৌশল সম্পর্কিত একটি প্রাচীন চীনা গ্রন্থ, যা সামরিক বিজ্ঞান এবং দর্শন উভয় ক্ষেত্রেই অত্যন্ত প্রভাবশালী।

ক. জাপান
খ. ভারত
গ. আফগানিস্তান
ঘ. চীন
ব্যাখ্যাঃ

বর্তমান বিশ্বে 'নিউ সিল্ক রোড' বা 'নতুন সিল্ক রোড' ধারণার প্রধান প্রবক্তা হলো গণপ্রজাতন্ত্রী চীন

২০১৩ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এই উচ্চাভিলাষী বৈশ্বিক অবকাঠামো উন্নয়ন কৌশলের সূচনা করেন, যা বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (Belt and Road Initiative - BRI) নামে পরিচিত। এটিকে প্রায়শই 'এক অঞ্চল, এক পথ' (One Belt, One Road - OBOR) উদ্যোগও বলা হয়।

এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো প্রাচীন সিল্ক রোড বাণিজ্য পথের পুনরুজ্জীবনের মাধ্যমে এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা এবং এমনকি লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশের মধ্যে সড়ক, রেল, সমুদ্রপথ এবং অন্যান্য অবকাঠামোর মাধ্যমে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সংযোগ স্থাপন করা।

ক. ৪ অক্টোবর
খ. ২৩ অক্টোবর
গ. ২৯ জুন
ঘ. ১১ ফেব্রুয়ারি
ব্যাখ্যাঃ

বিশ্ব প্রাণী দিবস হলো ৪ঠা অক্টোবর

এই দিনে প্রাণীদের অধিকার এবং কল্যাণের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

১২০. ‘WIPO’ এর সদর দপ্তর?

[ বিসিএস ৩৫তম ]

ক. ব্রাসেলস
খ. লন্ডন
গ. জেনেভা
ঘ. প্যারিস
ব্যাখ্যাঃ

WIPO (ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশন বা বিশ্ব মেধাসম্পদ সংস্থা)-এর সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে অবস্থিত।

ক. মৌসুমী বায়ু ঋতুতে
খ. শীতকালে
গ. মৌসুমী বায়ু ঋতুর পরবর্তী সময়ে
ঘ. প্রাক-মৌসুমী বায়ু ঋতুতে
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশে কালবৈশাখীর ঝড় হয় প্রাক-মৌসুমী বায়ু ঋতুতে

ব্যাখ্যা:

  • প্রাক-মৌসুমী বায়ু ঋতু: এই সময়কাল সাধারণত মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এই সময়ে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং বায়ুমণ্ডলে অস্থিরতা দেখা দেয়, যা কালবৈশাখী ঝড় সৃষ্টির জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে। বাংলাদেশে এই সময়েই বজ্রসহ তীব্র ঝড়-বৃষ্টি হয়, যা কালবৈশাখী নামে পরিচিত।
  • মৌসুমী বায়ু ঋতু (বর্ষাকাল): এটি জুন থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত চলে। এই সময়ে নিয়মিত বৃষ্টিপাত হলেও, কালবৈশাখীর মতো তীব্র ও হঠাৎ ঝড় সাধারণত হয় না।
  • শীতকাল: এটি নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত চলে। এই সময়ে আবহাওয়া শুষ্ক ও ঠান্ডা থাকে এবং কালবৈশাখী হয় না।
  • মৌসুমী বায়ু ঋতুর পরবর্তী সময়ে: এটি সাধারণত অক্টোবর-নভেম্বর মাসকে বোঝায়। এই সময়ে আবহাওয়া স্থিতিশীল হতে শুরু করে এবং কালবৈশাখী দেখা যায় না।
ক. বন্যা
খ. খরা
গ. ভূমিকম্প
ঘ. ঘূর্ণিঝড়
ব্যাখ্যাঃ

পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই সাধারণত যে দুর্যোগটি সংঘটিত হয়, তা হলো ভূমিকম্প

ভূমিকম্প এমন একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যার পূর্বাভাস দেওয়া প্রায় অসম্ভব। বর্তমানে এমন কোনো প্রযুক্তি নেই যা দিয়ে নির্ভুলভাবে কখন, কোথায় এবং কত তীব্রতার ভূমিকম্প হবে, তা আগে থেকে জানা যায়। এ কারণে ভূমিকম্পকে প্রায়শই একটি আকস্মিক দুর্যোগ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

ক. আসাম
খ. মিজোরাম
গ. ত্রিপুরা
ঘ. নাগাল্যান্ড
ব্যাখ্যাঃ

ভারতের ৫টি রাজ্যের সাথে বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে। এগুলো হলো:

১. পশ্চিমবঙ্গ ২. আসাম ৩. মেঘালয় ৪. ত্রিপুরা ৫. মিজোরাম

সুতরাং, এই ৫টি রাজ্য ব্যতীত ভারতের অন্য যেকোনো রাজ্যের সাথে বাংলাদেশের কোনো সীমান্ত নেই। যেমন, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, অরুণাচল প্রদেশ ইত্যাদির সাথে বাংলাদেশের কোনো সীমান্ত নেই।

ক. সাতক্ষীরা, যশোর, কুষ্টিয়া
খ. নাটোর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ
গ. বগুড়া, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম
ঘ. চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাসমূহ
ব্যাখ্যাঃ

'ঝুম' চাষ পদ্ধতি বাংলাদেশের প্রধানত পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের জেলাসমূহে দেখা যায়। এই জেলাগুলো হলো:

  • রাঙ্গামাটি
  • বান্দরবান
  • খাগড়াছড়ি

এছাড়াও, দেশের পূর্বাঞ্চলের কিছু পাহাড়ি এলাকা যেমন সিলেট এবং ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী গারো পাহাড় অঞ্চলেও সীমিত পরিসরে ঝুম চাষের প্রচলন রয়েছে।

এই চাষ পদ্ধতি সাধারণত পাহাড়ি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী দ্বারা অনুশীলন করা হয়, যেখানে বনের একটি অংশ পরিষ্কার করে (পুড়িয়ে) অস্থায়ীভাবে ফসল চাষ করা হয় এবং কয়েক বছর পর সে জমি ফেলে রেখে নতুন জমি তৈরি করা হয়।

ক. ৭৫.৮%
খ. ৭৮.১%
গ. ৭৯.২%
ঘ. প্রায় ৮০%
ব্যাখ্যাঃ

বায়ুমণ্ডলে নাইট্রোজেনের পরিমাণ প্রায় ৭৮.০৯ শতাংশ

এটি বায়ুমণ্ডলের সবচেয়ে বেশি পরিমাণে থাকা গ্যাস।

ক. পার্শ্ব গ্রাবরেখা
খ. শৈলশিরা
গ. ভি-আকৃতির উপত্যকা
ঘ. ইউ-আকৃতির উপত্যকা
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হলো: ঘঃ ইউ-আকৃতির উপত্যকা

  • ইউ-আকৃতির উপত্যকা (U-shaped Valley): হিমবাহ যখন পর্বত উপত্যকার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়, তখন এটি পার্শ্ববর্তী অংশ এবং তলদেশ উভয়কেই ক্ষয় করে একটি চওড়া, অগভীর, এবং ইংরেজি 'U' অক্ষরের মতো আকৃতির উপত্যকা তৈরি করে। এটি হিমবাহের ক্ষয় কার্যের একটি সুস্পষ্ট উদাহরণ।

অন্যান্য বিকল্পগুলো হলো:

  • পার্শ্ব গ্রাবরেখা (Lateral Moraine): এটি হিমবাহের ক্ষয় কার্যের মাধ্যমে বাহিত নুড়ি, বালি, কাদা ইত্যাদির স্তূপ যা হিমবাহের দুপাশে জমা হয়। এটি হিমবাহের সঞ্চয় কার্যের ফল, ক্ষয় কার্যের নয়।
  • শৈলশিরা (Arete/Ridge): এটি দুটি পাশাপাশি হিমবাহ উপত্যকার মধ্যে অবশিষ্ট থাকা সরু, খাড়া পর্বতশৃঙ্গ বা ধারালো রিজ। এটি হিমবাহের ক্ষয় কার্যের পর অবশিষ্ট ভূমিরূপ, কিন্তু সরাসরি ক্ষয় করে গঠিত নয়। এটি ক্ষয়প্রাপ্ত অঞ্চলের মাঝখানে থাকা অংশ।
  • ভি-আকৃতির উপত্যকা (V-shaped Valley): এটি মূলত নদীর ক্ষয় কার্যের দ্বারা গঠিত হয়। নদী যখন পার্বত্য অঞ্চলে তীব্র বেগে প্রবাহিত হয়, তখন এটি তলদেশে ক্ষয় করে একটি V-আকৃতির উপত্যকা তৈরি করে। হিমবাহের ক্ষয় কার্যের সাথে এর সরাসরি সম্পর্ক নেই।
ক. ধান-প্রধান নিবিড় স্বয়ংভোগী
খ. ধান-প্রধান বাণিজ্যিক
গ. স্বয়ংভোগী মিশ্র
ঘ. স্বয়ংভোগী শষ্য চাষ ও পশুপালন
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের কৃষি প্রধানত ধান-প্রধান নিবিড় স্বয়ংভোগী (Intensive Subsistence with Rice Dominance) প্রকারের।

এর কারণগুলো হলো:

  • ধান প্রধান (Rice-dominated): বাংলাদেশের প্রধান এবং সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত ফসল হলো ধান। দেশের প্রায় ৮০% আবাদি জমিতে ধান চাষ হয় এবং বছরে তিনবার ধান উৎপাদন করা হয়।
  • নিবিড় কৃষি (Intensive Agriculture): এখানে জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি হওয়ায় ছোট ছোট জমিতে অধিক শ্রম ও মূলধন বিনিয়োগ করে বেশি ফলন উৎপাদনের চেষ্টা করা হয়। একই জমিতে বছরে একাধিক ফসল ফলানো হয়।
  • স্বয়ংভোগী (Subsistence): কৃষকদের একটি বড় অংশ নিজেদের এবং পরিবারের খাদ্য চাহিদা মেটানোর উদ্দেশ্যেই ফসল উৎপাদন করে। যদিও বর্তমানে ধীরে ধীরে বাণিজ্যিক কৃষির দিকে প্রবণতা বাড়ছে, ঐতিহ্যগতভাবে এবং এখনও একটি বড় অংশ স্বয়ংভোগী।

তাই, সবচেয়ে উপযুক্ত বিকল্প হলো কঃ ধান-প্রধান নিবিড় স্বয়ংভোগী

ক. অর্থনৈতিক
খ. সামাজিক
গ. পরিবেশগত
ঘ. অবকাঠামোগত
ব্যাখ্যাঃ

আপদ (Hazard) বলতে এমন কোনো ঘটনা বা অবস্থাকে বোঝায় যা ক্ষতি, আঘাত, অসুস্থতা, বা ধ্বংসের কারণ হতে পারে। যখন এই আপদগুলো বাস্তবে ঘটে, তখন এর বিভিন্ন ধরনের প্রভাব দেখা যায়।

এখানে প্রশ্নটি আপদের প্রত্যক্ষ (Direct) প্রভাব কোনটি তা জানতে চাইছে।

  • ঘঃ অবকাঠামোগত (Infrastructure): এটি আপদের একটি প্রত্যক্ষ প্রভাব। যখন একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ (যেমন, ঘূর্ণিঝড়, ভূমিকম্প, বন্যা) ঘটে, তখন এটি সরাসরি রাস্তা, সেতু, ভবন, বিদ্যুৎ লাইন, যোগাযোগ ব্যবস্থা ইত্যাদির মতো অবকাঠামোর ক্ষতি করে। এই ক্ষতি তাৎক্ষণিক এবং সরাসরি দৃশ্যমান।

অন্যান্য বিকল্পগুলো পরোক্ষ বা সুদূরপ্রসারী প্রভাব হিসেবে বিবেচিত হতে পারে:

  • কঃ অর্থনৈতিক (Economic): যদিও অবকাঠামোগত ক্ষতি অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হয়, তবে অর্থনৈতিক প্রভাব (যেমন, উৎপাদন হ্রাস, ব্যবসা বন্ধ হওয়া, কর্মসংস্থান হারানো) প্রায়শই আপদের সরাসরি অবকাঠামোগত বা জীবনহানির ফলস্বরূপ আসে, যা কিছুটা পরোক্ষ।
  • খঃ সামাজিক (Social): সামাজিক প্রভাব (যেমন, বাস্তুচ্যুতি, মানসিক আঘাত, সামাজিক বিশৃঙ্খলা, রোগব্যাধি বৃদ্ধি) আপদের ফলস্বরূপ আসে এবং এগুলো সাধারণত প্রত্যক্ষ শারীরিক বা অবকাঠামোগত ক্ষতির পরে দেখা যায়।
  • গঃ পরিবেশগত (Environmental): পরিবেশগত প্রভাব (যেমন, ভূমিধস, দূষণ, বাস্তুতন্ত্রের পরিবর্তন) আপদের সরাসরি ফল হতে পারে, তবে প্রশ্নটি সাধারণ আপদের প্রত্যক্ষ প্রভাবের কথা বলছে যেখানে অবকাঠামোগত ক্ষতি একটি খুব সাধারণ এবং তাৎক্ষণিক প্রত্যক্ষ প্রভাব।

অতএব, আপদের একটি সুস্পষ্ট এবং তাৎক্ষণিক প্রত্যক্ষ প্রভাব হলো অবকাঠামোগত ক্ষতি।

ক. পুনর্বাসন
খ. ঝুঁকি (Risk) চিহ্নিতকরণ
গ. দুর্যোগ প্রস্তুতি
ঘ. দুর্যোগ প্রশমন কর্মকাণ্ড
ব্যাখ্যাঃ

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন কাজকে পর্যায়ক্রম অনুযায়ী সাজাতে হলে সবার প্রথমে যে কাজটি হবে, তা হলো: ঝুঁকি (Risk) চিহ্নিতকরণ

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা চক্রে (Disaster Management Cycle) সাধারণত চারটি প্রধান পর্যায় থাকে:

  1. ঝুঁকি হ্রাস/প্রশমন (Mitigation): দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ও কার্যক্রম যার মাধ্যমে দুর্যোগের কারণ ও প্রভাব কমানো হয়।
  2. প্রস্তুতি (Preparedness): দুর্যোগ আঘাত হানার আগে জরুরি সাড়াদানের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া।
  3. সাড়াদান (Response): দুর্যোগ আঘাত হানার সময় তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়া।
  4. পুনরুদ্ধার/পুনর্বাসন (Recovery): দুর্যোগের পর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ও জীবনকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা।

এই পর্যায়গুলোর মধ্যে, যেকোনো কার্যকর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রথম ধাপ হলো ঝুঁকি চিহ্নিতকরণ (Risk Identification)। কারণ, কোনো এলাকার কী ধরনের দুর্যোগের ঝুঁকি আছে, সেই ঝুঁকি কতটা তীব্র, এবং কারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে, তা না জানলে প্রস্তুতি, প্রশমন বা পুনর্বাসনের কোনো কার্যকর পরিকল্পনা তৈরি করা সম্ভব নয়। ঝুঁকি চিহ্নিতকরণের মাধ্যমেই বোঝা যায় কোন এলাকার জন্য কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

ক. কমিউনিটি পর্যায়ে
খ. জাতীয় পর্যায়ে
গ. উপজেলা পর্যায়ে
ঘ. আঞ্চলিক পর্যায়ে
ব্যাখ্যাঃ

প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কঃ কমিউনিটি পর্যায়ে ব্যবস্থা গ্রহণ সবচেয়ে ফলপ্রসূ হবে।

যদিও জাতীয়, উপজেলা এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে নীতি প্রণয়ন, পরিকল্পনা এবং সম্পদ বরাদ্দ গুরুত্বপূর্ণ, তবে বাস্তব ক্ষেত্রে দুর্যোগের প্রভাব মোকাবিলা এবং ঝুঁকি হ্রাস করার জন্য কমিউনিটি পর্যায়ের সম্পৃক্ততা অপরিহার্য। এর কারণগুলো হলো:

  1. স্থানীয় জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা: কমিউনিটির মানুষের কাছে তাদের এলাকার বিপদাপন্নতা, ঝুঁকি এবং স্থানীয় সম্পদ সম্পর্কে সবচেয়ে ভালো জ্ঞান থাকে। তারা জানে কখন বন্যা হয়, কোথায় আশ্রয় নেওয়া নিরাপদ, বা কোন রাস্তা ব্যবহার করা উচিত নয়।
  2. প্রথম সাড়াদানকারী: দুর্যোগ আঘাত হানলে স্থানীয়রাই প্রথম সাড়াদানকারী হয়। বাইরের সাহায্য পৌঁছাতে দেরি হতে পারে, কিন্তু স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে একে অপরের সাহায্যে এগিয়ে আসে।
  3. সচেতনতা ও প্রস্তুতি: কমিউনিটি পর্যায়ে মানুষকে দুর্যোগ সম্পর্কে সচেতন করা এবং তাদের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমে (যেমন: আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়া, জরুরি কিট তৈরি করা, প্রাথমিক চিকিৎসা জানা) যুক্ত করা সহজ হয়।
  4. সম্পদের সদ্ব্যবহার: স্থানীয় সম্পদ (মানুষ, নৌকা, খাদ্যশস্য, ইত্যাদি) কার্যকরভাবে ব্যবহার করার জন্য কমিউনিটি পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন সুবিধাজনক।
  5. টেকসই সমাধান: স্থানীয়দের অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা দীর্ঘমেয়াদী বা টেকসই হয় না। যখন কমিউনিটির সদস্যরা পরিকল্পনার অংশ হয় এবং এর মালিকানা গ্রহণ করে, তখন সেটি সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

বর্তমানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় কমিউনিটি ভিত্তিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা (Community Based Disaster Management - CBDM) একটি জনপ্রিয় এবং কার্যকর পদ্ধতি হিসেবে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। বাংলাদেশও এই পদ্ধতির উপর জোর দিচ্ছে।

ক. স্যাংগার ও পলিং
খ. ওয়াটসন ও ক্রিক
গ. লুই পাস্তুর ও ওয়াটসন
ঘ. পলিং ও ক্রিক
ব্যাখ্যাঃ

ডিএনএ (DNA) অণুর দ্বি-হেলিক্স (Double Helix) কাঠামোর জনক হিসেবে জেমস ওয়াটসন (James Watson) এবং ফ্রান্সিস ক্রিক (Francis Crick)-কে কৃতিত্ব দেওয়া হয়।

১৯৫৩ সালে তাঁরা এই যুগান্তকারী মডেলটি উপস্থাপন করেন। এই আবিষ্কারের জন্য ১৯৬২ সালে ওয়াটসন, ক্রিক এবং মরিস উইলকিন্স (Maurice Wilkins) যৌথভাবে ফিজিওলজি বা মেডিসিনে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। উল্লেখ্য, রোজালিন্ড ফ্রাঙ্কলিন (Rosalind Franklin)-এর এক্স-রে ডিফ্র্যাকশন ডেটা এই আবিষ্কারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল, যদিও তাকে নোবেল পুরস্কারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

ক. আমিষ
খ. স্নেহ
গ. আয়োডিন
ঘ. লৌহ
ব্যাখ্যাঃ

হিমোগ্লোবিন হলো এক প্রকার প্রোটিন। প্রোটিনের বাংলা প্রতিশব্দ হলো আমিষ। যদিও হিমোগ্লোবিনে লৌহ (আয়রন) থাকে এবং তা এর কার্যকারিতার জন্য অপরিহার্য, কিন্তু রাসায়নিকভাবে হিমোগ্লোবিনের মূল গঠনগত উপাদান হলো অ্যামিনো অ্যাসিড দ্বারা গঠিত একটি জটিল প্রোটিন অণু। তাই এটিকে প্রোটিন বা আমিষ জাতীয় পদার্থ বলা হয়।

ক. ঘোড়া
খ. বলগা হরিণ
গ. উট
ঘ. খেচর
ব্যাখ্যাঃ

কোন প্রাণীকে মরুভূমির জাহাজ বলা হয়?

উত্তর: উটকে

উটের মরুভূমি পরিবেশে টিকে থাকার অসাধারণ ক্ষমতার কারণে এটিকে 'মরুভূমির জাহাজ' বলা হয়।

১৩৪. pH হলো-

[ বিসিএস ৩৫তম ]

ক. এসিড নির্দেশক
খ. এসিড ও ক্ষার নির্দেশক
গ. এসিড ও ক্ষার নির্দেশক
ঘ. এসিড, ক্ষার ও নিরপেক্ষতা নির্দেশক
ব্যাখ্যাঃ pH হলো কোনো দ্রবণের অম্লতা বা ক্ষারীয়তা পরিমাপের একটি সূচক (scale)

  • pH এর পূর্ণরূপ হলো "power of hydrogen" বা "potential of hydrogen"।
  • এটি দ্রবণে হাইড্রোজেন আয়ন (H+) এর ঘনত্বের ঋণাত্মক লগারিদম।

pH স্কেল:

  • pH স্কেলের মান সাধারণত ০ থেকে ১৪ পর্যন্ত হয়।
  • pH ৭ হলে দ্রবণটি নিরপেক্ষ (Neutral) হয় (যেমন বিশুদ্ধ পানি)।
  • pH ৭ এর কম হলে দ্রবণটি অম্লীয় (Acidic) হয়। pH এর মান যত কম হবে, দ্রবণটি তত বেশি অম্লীয় হবে (যেমন লেবুর রস, ভিনেগার)।
  • pH ৭ এর বেশি হলে দ্রবণটি ক্ষারীয় (Alkaline/Basic) হয়। pH এর মান যত বেশি হবে, দ্রবণটি তত বেশি ক্ষারীয় হবে (যেমন সাবান পানি, ব্লিচ)।

সংক্ষেপে, pH হলো একটি সংখ্যা যা দেখে বোঝা যায় কোনো তরল কতটা অ্যাসিডিক বা বেসিক।
ক. বেকেরেল রশ্মি
খ. গামা রশ্মি
গ. X-রশ্মি
ঘ. বিটা-রশ্মি
ব্যাখ্যাঃ

X-রশ্মি (X-ray) গোয়েন্দা বিভাগে বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়, যেমন:

  • লুকানো বস্তু শনাক্তকরণ: লাগেজের ভেতরে, দেয়ালের আড়ালে বা অন্যান্য বস্তুর মধ্যে লুকানো অস্ত্র, বিস্ফোরক বা চোরাই পণ্য শনাক্ত করতে X-ray স্ক্যানার ব্যবহৃত হয়। বিমানবন্দর, সীমান্ত চেকপোস্ট এবং নিরাপত্তা তল্লাশিতে এর ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে।
  • ফরেনসিক বিজ্ঞান: হাড়ের আঘাত, বুলেট বা অন্য কোনো বস্তুর অবস্থান নির্ণয় করতে ফরেনসিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় X-ray ব্যবহার করা হয়।
  • নকল বা জালিয়াতি সনাক্তকরণ: শিল্পকর্ম, দলিল বা অন্যান্য বস্তুর ভেতরের গঠন পরীক্ষা করে সেগুলোর সত্যতা যাচাই বা জালিয়াতি সনাক্ত করতে X-ray ব্যবহৃত হতে পারে।

অন্যান্য রশ্মিগুলোর ব্যবহার ভিন্ন:

  • বেকেরেল রশ্মি: এটি কোনো নির্দিষ্ট রশ্মি নয়, বরং তেজস্ক্রিয়তার একক (Becquerel) বা তেজস্ক্রিয় ক্ষয় থেকে নির্গত কণা (যেমন আলফা, বিটা, গামা) বোঝাতে পারে।
  • গামা রশ্মি: এটি উচ্চ শক্তির তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণ, যা মূলত চিকিৎসা (রেডিওথেরাপি) বা শিল্প ক্ষেত্রে (নন-ডেসট্রাকটিভ টেস্টিং, স্টেরিলাইজেশন) ব্যবহৃত হয়। এর ভেদন ক্ষমতা খুব বেশি হলেও নিরাপত্তা তল্লাশিতে সরাসরি ব্যবহৃত হয় না।
  • বিটা-রশ্মি: এটি তেজস্ক্রিয় ক্ষয় থেকে নির্গত ইলেকট্রন বা পজিট্রন। এর ব্যবহার মূলত কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি, শিল্প পরিমাপ বা গবেষণা ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ।
ক. যুক্ত অবস্থার চাইতে কম
খ. যুক্ত অবস্থার চাইতে অধিক
গ. যুক্ত অবস্থার সমান
ঘ. কোনোটিই সঠিক নয়
ব্যাখ্যাঃ

বিচ্ছিন্ন অবস্থায় একটি পরমাণুর শক্তি মুক্ত অবস্থায় তার নিউক্লিয়াসের শক্তি এবং তার ইলেক্ট্রনগুলোর মোট শক্তির যোগফল

আরও সহজভাবে বললে, বিচ্ছিন্ন অবস্থায় একটি পরমাণুর শক্তি হলো তার সর্বনিম্ন শক্তিস্তর (ground state) বা যেকোনো উত্তেজিত শক্তিস্তরে (excited state) তার ভেতরের কণাগুলোর (প্রোটন, নিউট্রন, ইলেক্ট্রন) স্থিতিশক্তি এবং গতিশক্তির একটি নির্দিষ্ট যোগফল।

যখন একটি পরমাণু বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকে, তখন এটি অন্য কোনো পরমাণুর সাথে বন্ধনে আবদ্ধ থাকে না বা অন্য কোনো বাহ্যিক ক্ষেত্রের দ্বারা প্রভাবিত হয় না। এই অবস্থায় তার শক্তি একটি নির্দিষ্ট কোয়ান্টাম অবস্থায় থাকে।

ক. গায়ের ঘাম বের হতে দেয় না
খ. বাষ্পায়ন শীতলতার সৃষ্টি করে
গ. পাখার বাতাস শীতল জলীয়বাষ্প ধারণ করে
ঘ. পাখার বাতাস সরাসরি লোমকূপ দিয়ে শরীরে ঢুকে যায়
ব্যাখ্যাঃ

ঘর্মাক্ত দেহে পাখার বাতাস আরাম দেওয়ার প্রধান কারণ হলো বাষ্পীভবন (Evaporation)

এর প্রক্রিয়াটি নিচে ব্যাখ্যা করা হলো:

  1. ঘাম সৃষ্টি: গরম লাগলে শরীর ঘর্মগ্রন্থি থেকে ঘাম নিঃসরণ করে। এই ঘাম ত্বকের উপরিভাগে থাকে।
  2. বাষ্পীভবন: ঘাম হলো মূলত পানি, যা ত্বকের তাপ শোষণ করে বাষ্পে পরিণত হতে চায়। এই প্রক্রিয়াকে বাষ্পীভবন বলে। বাষ্পীভবনের জন্য তাপের প্রয়োজন হয়, যা সুপ্ততাপ (Latent heat of vaporization) নামে পরিচিত।
  3. তাপ শোষণ ও শীতলীকরণ: ঘামের এই বাষ্পীভবনের জন্য প্রয়োজনীয় সুপ্ততাপ শরীর ত্বক থেকেই শোষণ করে। যখন ঘাম বাষ্পীভূত হয়, তখন এটি ত্বক থেকে তাপ নিয়ে যায়, ফলে ত্বক শীতল হয় এবং আমরা আরাম অনুভব করি।
  4. পাখার ভূমিকা: পাখার বাতাস এই বাষ্পীভবনের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে।
    • পাখা ত্বকের কাছাকাছি থাকা আর্দ্র বাতাসকে সরিয়ে দেয় এবং তার জায়গায় শুষ্ক বাতাস নিয়ে আসে।
    • শুষ্ক বাতাস দ্রুত আরও ঘামকে বাষ্পীভূত করতে পারে, কারণ শুষ্ক বাতাসে জলীয় বাষ্প ধারণ করার ক্ষমতা বেশি থাকে।
    • বাতাস প্রবাহের কারণে ঘামের কণাগুলো দ্রুত ত্বক থেকে উড়ে যায়, যা বাষ্পীভবনের হার বাড়িয়ে দেয়।

সুতরাং, পাখার বাতাস ঘামকে দ্রুত বাষ্পীভূত হতে সাহায্য করে, আর বাষ্পীভবনের সময় শরীর থেকে তাপ অপসারিত হয়, যার ফলে আমাদের আরাম লাগে।

উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি গরম চা ফুঁ দিয়ে ঠান্ডা করেন, তবে একই নীতি কাজ করে। ফুঁ দিলে গরম চায়ের উপর থেকে বাষ্পীভূত পানি দ্রুত সরে যায় এবং নতুন ঠান্ডা বাতাস এসে বাষ্পীভবন বাড়িয়ে দেয়, ফলে চা দ্রুত ঠান্ডা হয়।

ক. পদার্থের নিউক্লিয়াসে প্রোটন ও নিউট্রন থাকে
খ. প্রোটন ধনাত্মক আধানযুক্ত
গ. ইলেকট্রন ঋণাত্মক আধানযুক্ত
ঘ. ইলেকট্রন পরমাণুর নিউক্লিয়াসের ভিতরে অবস্থান করে
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হলো: ঘঃ ইলেকট্রন পরমাণুর নিউক্লিয়াসের ভিতরে অবস্থান করে

  • কঃ পদার্থের নিউক্লিয়াসে প্রোটন ও নিউট্রন থাকে: এটি সত্য। পরমাণুর কেন্দ্রে অবস্থিত নিউক্লিয়াস প্রোটন (ধনাত্মক আধানযুক্ত) এবং নিউট্রন (নিরপেক্ষ আধানযুক্ত) দ্বারা গঠিত।
  • খঃ প্রোটন ধনাত্মক আধানযুক্ত: এটি সত্য। প্রোটনের আধান +1 (ধনাত্মক)।
  • গঃ ইলেকট্রন ঋণাত্মক আধানযুক্ত: এটি সত্য। ইলেকট্রনের আধান -1 (ঋণাত্মক)।
  • ঘঃ ইলেকট্রন পরমাণুর নিউক্লিয়াসের ভিতরে অবস্থান করে: এটি সত্য নয়। ইলেকট্রন নিউক্লিয়াসের চারপাশে বিভিন্ন কক্ষপথে (orbitals) ঘূর্ণায়মান থাকে, নিউক্লিয়াসের ভিতরে নয়। নিউক্লিয়াসের ভিতরে শুধু প্রোটন ও নিউট্রন থাকে।
ক. অ্যামিটার
খ. ভোল্টামিটার
গ. অণুবীক্ষণ যন্ত্র
ঘ. তড়িৎবীক্ষণ যন্ত্র
ব্যাখ্যাঃ

কোনো বস্তুতে আধানের অস্তিত্ব নির্ণয়ের যন্ত্র হলো -

তড়িৎবীক্ষণ যন্ত্র (Electroscope)

তড়িৎবীক্ষণ যন্ত্র (Electroscope) হলো এমন একটি যন্ত্র যা কোনো বস্তুতে বৈদ্যুতিক আধানের উপস্থিতি (এবং কিছু ক্ষেত্রে আধানের প্রকৃতি) নির্ণয় করতে ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত একটি ধাতব দণ্ড এবং দণ্ডের নিচে সংযুক্ত দুটি পাতলা ধাতব পাতা (যেমন সোনার পাতা বা অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল) নিয়ে গঠিত হয়। যখন একটি আহিত বস্তু দণ্ডের কাছাকাছি আনা হয় বা স্পর্শ করানো হয়, তখন পাতা দুটি পরস্পরকে বিকর্ষণ করে খুলে যায়, যা আধানের উপস্থিতি নির্দেশ করে।

ক. CaCO₃
খ. NaHCO₃
গ. NH₄HCO₃
ঘ. (HN₄)₂CO₃
ব্যাখ্যাঃ বেকিং পাউডার একটি মিশ্র উপাদান, যা মূলত দুটি প্রধান উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত:

  1. বেকিং সোডা (Baking Soda): এর রাসায়নিক নাম হলো সোডিয়াম বাইকার্বনেট (Sodium Bicarbonate)। এর সংকেত হলো NaHCO3। এটি একটি ক্ষারীয় উপাদান।
  2. একটি শুষ্ক অ্যাসিড (Dry Acid): সাধারণত ক্রিম অফ টার্টার (Cream of Tartar) বা মনোক্যালসিয়াম ফসফেট (Monocalcium Phosphate) এর মতো কোনো দুর্বল অ্যাসিড ব্যবহৃত হয়। (ক্রিম অফ টার্টারের রাসায়নিক নাম হলো পটাশিয়াম হাইড্রোজেন টার্টারেট, সংকেত KHC4H4O6)।
  3. এছাড়া, আর্দ্রতা শোষণের জন্য এবং উপাদানগুলো বিক্রিয়া করা থেকে বিরত রাখতে প্রায়শই স্টার্চ (Starch) যেমন কর্নস্টার্চ যোগ করা হয়।

সুতরাং, বেকিং পাউডারের মূল উপাদানের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সোডিয়াম বাইকার্বনেট (NaHCO3)। এটিই সেই উপাদান যা অ্যাসিডের সংস্পর্শে বা তাপের প্রভাবে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস উৎপন্ন করে, যা খাবারকে ফুলতে সাহায্য করে।

যদি "মূল উপাদান" বলতে সেই একক উপাদানকে বোঝায় যা কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপন্ন করে, তবে সংকেতটি হবে NaHCO3
ক. ২
খ. ৩
গ. ৪
ঘ. ৫
ব্যাখ্যাঃ

আকৃতি, অবস্থান ও কাজের প্রকৃতিভেদে আবরণী টিস্যু (Epithelial Tissue) মূলত তিন ধরনের হয়ে থাকে। এই প্রকারভেদগুলো কোষের আকৃতির উপর ভিত্তি করে করা হয়:

  1. স্কোয়ামাস (Squamous) আবরণী টিস্যু (আঁইশাকার):

    • আকৃতি: এই টিস্যুর কোষগুলো মাছের আঁশের মতো চ্যাপ্টা এবং এদের নিউক্লিয়াস বড় আকারের হয়।
    • অবস্থান: বৃক্কের বোম্যান্স ক্যাপসুল, রক্তনালীর প্রাচীর, ফুসফুসের অ্যালভিওলাই (বায়ুথলি) ইত্যাদিতে দেখা যায়।
    • কাজ: প্রধানত আবরণ ছাড়াও ছাঁকনির কাজ করে এবং পদার্থের ব্যাপন ও পরিস্রাবণে সাহায্য করে।
  2. কিউবয়ডাল (Cuboidal) আবরণী টিস্যু (ঘনাকৃতি):

    • আকৃতি: এই টিস্যুর কোষগুলো ঘনাকার বা কিউব আকৃতির হয়, অর্থাৎ কোষগুলোর দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতা প্রায় সমান।
    • অবস্থান: বৃক্কের সংগ্রাহক নালিকা, গ্রন্থিনালী (যেমন লালাগ্রন্থি, ঘর্মগ্রন্থি) ইত্যাদিতে দেখা যায়।
    • কাজ: প্রধানত পরিশোষণ (absorption), ক্ষরণ (secretion) এবং আবরণ কাজে লিপ্ত থাকে।
  3. কলামনার (Columnar) আবরণী টিস্যু (স্তম্ভাকার):

    • আকৃতি: এই টিস্যুর কোষসমূহ স্তম্ভের মতো সরু এবং লম্বা হয়।
    • অবস্থান: প্রাণীর অন্ত্রের অন্তঃপ্রাচীর, পাকস্থলী, পিত্তথলি, শ্বাসনালীর কিছু অংশ ইত্যাদিতে দেখা যায়।
    • কাজ: প্রধানত ক্ষরণ, রক্ষণ এবং শোষণ কাজে নিয়োজিত থাকে। কিছু কলামনার কোষে সিলিয়া (cilia) থাকতে পারে যা পদার্থের চলাচলে সাহায্য করে (যেমন শ্বাসনালীতে)।

এছাড়াও, কোষের স্তরের সংখ্যার ভিত্তিতে আবরণী টিস্যুকে সরল (Simple) (এক স্তরবিশিষ্ট) এবং স্তরীভূত (Stratified) (একাধিক স্তরবিশিষ্ট) আবরণী টিস্যুতে ভাগ করা হয়। আবার, কিছু বিশেষ ধরনের আবরণী টিস্যুও দেখা যায়, যেমন - সিউডোস্ট্রেটিফাইড (Pseudostratified) এবং ট্রানজিশনাল (Transitional) এপিথেলিয়াম। তবে, মৌলিক প্রকারভেদগুলো উল্লিখিত তিনটি আকৃতির উপর ভিত্তি করেই হয়ে থাকে।

ক. ঐচ্ছিক
খ. অনৈচ্ছিক
গ. বিশেষ ধরনের ঐচ্ছিক
ঘ. বিশেষ ধরনের অনৈচ্ছিক
ব্যাখ্যাঃ

হৃৎপিণ্ড হৃৎপেশি (Cardiac Muscle) নামক এক বিশেষ ধরনের অনৈচ্ছিক পেশি দ্বারা গঠিত।

পেশি টিস্যুকে মূলত তিন ভাগে ভাগ করা যায়:

  1. ঐচ্ছিক পেশি (Voluntary Muscle/Skeletal Muscle): এগুলো আমাদের ইচ্ছানুযায়ী চলে, যেমন হাত-পায়ের পেশি।
  2. অনৈচ্ছিক পেশি (Involuntary Muscle/Smooth Muscle): এগুলো আমাদের ইচ্ছাধীন নয়, যেমন পৌষ্টিকনালী বা রক্তনালীর পেশি।
  3. হৃৎপেশি (Cardiac Muscle): এটি একটি বিশেষ ধরনের অনৈচ্ছিক পেশি যা শুধুমাত্র হৃৎপিণ্ডেই পাওয়া যায়। এর গঠন ঐচ্ছিক পেশির মতো ডোরাকাটা হলেও এর কার্যপ্রণালী অনৈচ্ছিক পেশির মতো। এটি অবিরাম ও ছন্দবদ্ধভাবে সংকুচিত ও প্রসারিত হয়ে সারা দেহে রক্ত পাম্প করে, এবং এটি আমাদের ইচ্ছাধীন নয়।
ক. শুক্র
খ. পৃথিবী
গ. মঙ্গল
ঘ. বুধ
ব্যাখ্যাঃ সঠিক উত্তরটি হলো: কঃ শুক্র (Venus)

যদিও বুধ গ্রহ সূর্যের সবচেয়ে কাছে অবস্থিত, তবুও শুক্র গ্রহের তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে বেশি। এর প্রধান কারণ হলো শুক্র গ্রহের অত্যন্ত ঘন বায়ুমণ্ডল, যা মূলত কার্বন ডাই অক্সাইড দ্বারা গঠিত। এই ঘন বায়ুমণ্ডল একটি তীব্র গ্রিনহাউস প্রভাব সৃষ্টি করে, সূর্যের তাপকে আটকে রাখে এবং গ্রহের পৃষ্ঠকে প্রচণ্ড উত্তপ্ত করে তোলে।

  • শুক্র গ্রহের গড় তাপমাত্রা: প্রায় 462 সেলসিয়াস।
  • বুধ গ্রহের গড় তাপমাত্রা: যদিও সূর্যের দিকে 430 সেলসিয়াস পর্যন্ত হতে পারে, কিন্তু যে পাশ সূর্যের বিপরীত দিকে থাকে, সেখানে তাপমাত্রা 180 সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে যায়। অর্থাৎ, এর তাপমাত্রা চরমভাবে ওঠানামা করে। গড় তাপমাত্রা শুক্রের চেয়ে কম।

অতএব, গড় তাপমাত্রার দিক থেকে শুক্র গ্রহ সৌরজগতের উষ্ণতম গ্রহ।
ক. সমুদ্রস্রোত
খ. নদীস্রোত
গ. বানের স্রোত
ঘ. জোয়ার-ভাটার স্রোত
ব্যাখ্যাঃ

নদীখাত হলো প্রবাহিত পানির শক্তির ফলে গঠিত একটি সরু বা চওড়া , গভীর বা অগভীর প্রাকৃতিক সুষম ঢালু যার মধ্য দিয়ে ধীর বা প্রবলবেগে পানি প্রবাহিত হয়। জোয়ার - ভাটার ফলে সৃষ্ট স্রোতের সাহায্যে এই নদীখাত গভীর হয়।

ক. ১
খ. ২
গ. ৩
ঘ. ৪
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের সুন্দরবনে প্রধানত দুই প্রজাতির হরিণ দেখা যায়:

  1. চিত্রা হরিণ (Spotted Deer/Chital): এটি সুন্দরবনের সবচেয়ে বেশি দেখা যাওয়া এবং পরিচিত প্রজাতির হরিণ।
  2. মায়া হরিণ (Barking Deer/Muntjac): এই প্রজাতির হরিণের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম।

এছাড়াও, অতীতে বাংলাদেশে আরও কিছু প্রজাতির হরিণ (যেমন সাম্বার হরিণ, বারোশিঙা হরিণ, হগ হরিণ) দেখা গেলেও, সুন্দরবনে বর্তমানে এই দুটি প্রজাতিই প্রধানত বিদ্যমান। কিছু প্রজাতি প্রায় বিলুপ্তির পথে বা বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

ক. Input
খ. Out put
গ. উভয়েই
ঘ. কোনোটিই নয়
ব্যাখ্যাঃ

কম্পিউটার সিস্টেমে Scanner একটি ইনপুট (Input) যন্ত্র

স্ক্যানার ছবি, টেক্সট, বা অন্যান্য ডকুমেন্টকে ডিজিটাল ফরম্যাটে রূপান্তর করে কম্পিউটারে প্রবেশ করানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। এই কারণে এটি ইনপুট ডিভাইস হিসেবে পরিচিত।

ক. এ্যলুমিনিয়াম
খ. প্লাসটিক
গ. সিলিকন
ঘ. কোনোটিই নয়
ব্যাখ্যাঃ

কম্পিউটার মূল মেমোরি (যেমন RAM - Random Access Memory) তৈরি হয় প্রধানত সিলিকন দিয়ে।

সিলিকন একটি সেমিকন্ডাক্টর (Semiconductor) উপাদান, যা ইলেকট্রনিক সার্কিট এবং চিপ তৈরির জন্য অপরিহার্য। মেমোরি চিপগুলোর মূল উপাদান হলো সিলিকন ওয়েফার।

ক. নির্ধারিত ফাইল কপি করা
খ. আগের প্রোগ্রামে ফিরে যাওয়া
গ. সবশেষ পরিবর্তন Undo করা
ঘ. কোনোটিই নয়
ব্যাখ্যাঃ

ব্যাকআপ প্রোগ্রাম (Backup Program) বলতে বোঝানো হয় একটি সফটওয়্যার বা পদ্ধতি যার মাধ্যমে কম্পিউটার সিস্টেম, সার্ভার বা যেকোনো ডিজিটাল ডিভাইসের ডেটা ও ফাইলগুলোর একটি অনুলিপি (copy) তৈরি করে অন্য কোথাও নিরাপদে সংরক্ষণ করা হয়।

এই অনুলিপি (যাকে 'ব্যাকআপ' বলা হয়) তৈরি করার মূল উদ্দেশ্য হলো, যদি মূল ডেটা কোনো কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, হারিয়ে যায়, বা অ্যাক্সেস করা না যায় (যেমন: হার্ডওয়্যার ব্যর্থতা, ভাইরাস আক্রমণ, ভুলবশত মুছে ফেলা, চুরি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ), তবে এই সংরক্ষিত অনুলিপি ব্যবহার করে ডেটা পুনরুদ্ধার (restore) করা যায়।

ক. অর্থ সাশ্রয়
খ. সময় সাশ্রয়
গ. স্থানের সাশ্রয়
ঘ. উপরের সবকটি
ব্যাখ্যাঃ

একটি প্রতিষ্ঠানে ডিভাইস ভাগাভাগি করে নেওয়ার বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান কিছু সুবিধা নিচে আলোচনা করা হলো:

  • খরচ সাশ্রয়: এটি সবচেয়ে বড় সুবিধা। প্রতিটি কর্মীর জন্য আলাদা আলাদা ডিভাইস না কিনে কয়েকটি ডিভাইস ভাগাভাগি করে ব্যবহার করলে হার্ডওয়্যার কেনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের খরচ অনেক কমে যায়।
  • সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার: কিছু ডিভাইস হয়তো সারাদিন ব্যবহার হয় না বা নির্দিষ্ট কাজের জন্যই লাগে। ভাগাভাগির মাধ্যমে সেই ডিভাইসগুলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত হয়, ফলে অব্যবহৃত থাকার সময় কমে আসে।
  • সহযোগিতা বৃদ্ধি: অনেক সময় একটি প্রকল্পে একাধিক টিম সদস্যকে একসাথে কাজ করতে হয়। ডিভাইস শেয়ারিং তাদের মধ্যে ফাইল আদান-প্রদান এবং সহযোগিতামূলক কাজকে আরও সহজ করে তোলে।
  • সফটওয়্যার লাইসেন্সের খরচ হ্রাস: নির্দিষ্ট সফটওয়্যারের লাইসেন্স প্রতিটি ডিভাইসের জন্য না কিনে, কিছু লাইসেন্স নিয়ে তা শেয়ার করা ডিভাইসগুলোতে ব্যবহার করা যায়, যা সফটওয়্যারের খরচ কমায়।
  • কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা: ডিভাইসগুলো কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালিত হলে আপডেট, নিরাপত্তা প্যাচ প্রয়োগ এবং ডেটা ব্যাকআপের মতো কাজগুলো সহজ হয়। এতে ডেটা হারানোর ঝুঁকি কমে এবং নিরাপত্তা জোরদার হয়।
  • স্থান সাশ্রয়: কম সংখ্যক ডিভাইস মানে কম জায়গা লাগে, যা ছোট অফিস বা কর্মস্থলের জন্য বিশেষভাবে উপকারী।
  • পরিবেশগত সুবিধা: কম উৎপাদন মানে কম বর্জ্য, যা পরিবেশের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

তবে, ডিভাইস ভাগাভাগি করার কিছু চ্যালেঞ্জও থাকতে পারে, যেমন: ডেটা নিরাপত্তা, ব্যবহারের সময়সূচি নিয়ে জটিলতা বা ব্যক্তিগতকরণের অভাব। এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করার জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা এবং সঠিক ব্যবস্থাপনা জরুরি।

ক. ekhanei.com
খ. Olx.com
গ. google.com
ঘ. amazon.com
ব্যাখ্যাঃ

কেনা-বেচার জন্য বিভিন্ন ধরনের সাইট রয়েছে, যা পণ্যের ধরন এবং কেনা-বেচার মডেলের উপর নির্ভর করে ভিন্ন হয়। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী কিছু জনপ্রিয় সাইট এবং তাদের ক্যাটাগরি নিচে উল্লেখ করা হলো:

১. ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস (E-commerce Marketplaces): এগুলো হচ্ছে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যেখানে বিভিন্ন বিক্রেতা তাদের পণ্য বিক্রি করেন এবং ক্রেতারা সেখান থেকে পণ্য কেনেন।

  • সাধারণ পণ্য (General Products):

    • দারাজ (Daraz.com.bd): বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম, যেখানে ইলেকট্রনিক্স থেকে শুরু করে ফ্যাশন, গৃহস্থালী পণ্য, মুদি সামগ্রী সবকিছু পাওয়া যায়।
    • আলিএক্সপ্রেস (AliExpress): বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়, বিশেষত চীন থেকে সরাসরি পণ্য কেনার জন্য।
    • আমাজন (Amazon): বিশ্বের বৃহত্তম ই-কমার্স সাইট (বাংলাদেশে সরাসরি অপারেশন নেই, তবে গ্লোবাল শিপিং আছে)।
    • ইবে (eBay): নিলাম ভিত্তিক এবং সরাসরি বিক্রির জন্য জনপ্রিয়।
    • আজকেরডিল (https://www.google.com/search?q=AjkerDeal.com): বাংলাদেশের আরেকটি জনপ্রিয় ই-কমার্স সাইট।
    • অথবা.কম (Othoba.com): প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম।
  • বিশেষায়িত পণ্য (Specialized Products):

    • রকমারি.কম (Rokomari.com): বই কেনার জন্য বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় সাইট।
    • ফুডপান্ডা (Foodpanda), পাঠাও ফুড (Pathao Food), সহজ ফুড (Shajho Food): খাবার অর্ডার করার জন্য।
    • শপআপ (ShopUp): মূলত বি২বি (বিজনেস টু বিজনেস) সাপ্লাই চেইন এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য প্ল্যাটফর্ম।

২. শ্রেণীবদ্ধ বিজ্ঞাপন সাইট (Classifieds/C2C - Consumer to Consumer): এগুলো এমন প্ল্যাটফর্ম যেখানে ব্যক্তিরা সরাসরি অন্য ব্যক্তিদের কাছে নতুন বা ব্যবহৃত পণ্য বিক্রি করতে পারেন।

  • বিক্রয়.কম (Bikroy.com): বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় শ্রেণীবদ্ধ বিজ্ঞাপন সাইট। এখানে গাড়ি, মোটরবাইক, ইলেক্ট্রনিক্স, মোবাইল, রিয়েল এস্টেট, চাকরি, পোষা প্রাণী - সবকিছু কেনা-বেচা করা যায়।
  • OLX (অনেক দেশে সক্রিয়, বাংলাদেশে Bikroy.com এর সাথে একীভূত হয়েছে): ব্যবহৃত পণ্য কেনা-বেচার জন্য বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়।

৩. সোশ্যাল কমার্স প্ল্যাটফর্ম (Social Commerce Platforms): এখানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে কেনা-বেচা হয়।

  • ফেসবুক মার্কেটপ্লেস (Facebook Marketplace): ফেসবুকের নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম যেখানে ব্যবহারকারীরা স্থানীয়ভাবে নতুন বা ব্যবহৃত পণ্য বিক্রি করতে পারেন।
  • ফেসবুক গ্রুপ (Facebook Groups): বিভিন্ন কেনা-বেচার গ্রুপ রয়েছে যেখানে সদস্যরা সরাসরি পণ্য পোস্ট করেন এবং কেনা-বেচা করেন (যেমন - ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক্স গ্রুপ, ফ্যাশন গ্রুপ ইত্যাদি)।
  • ইনস্টাগ্রাম শপিং (Instagram Shopping): ব্র্যান্ডগুলো সরাসরি ইনস্টাগ্রামে তাদের পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করে।

৪. বি২বি (Business to Business) সাইট: এগুলো মূলত ব্যবসা থেকে ব্যবসার মধ্যে লেনদেনের জন্য ব্যবহৃত হয়।

  • আলিবাবা (https://www.google.com/search?q=Alibaba.com): বিশ্বের বৃহত্তম বি২বি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে বাল্ক পণ্য কেনা-বেচা হয়।
ক. Task bar
খ. Notification area
গ. Menu bar
ঘ. Web browser
ব্যাখ্যাঃ

ইন্টারনেটে প্রবেশ করার জন্য বেশ কয়েকটি জিনিসের প্রয়োজন হয়, তবে একটি ছাড়া ইন্টারনেট ব্যবহার করা সবচেয়ে কঠিন বা প্রায় অসম্ভব, সেটি হলো ওয়েব ব্রাউজার (Web Browser)

যদি একটি নির্দিষ্ট জিনিসের কথা বলতে হয়, তাহলে উত্তর হবে:

ওয়েব ব্রাউজার (Web Browser)

ওয়েব ব্রাউজার (যেমন Google Chrome, Mozilla Firefox, Microsoft Edge, Safari) হলো এমন একটি সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন যা আপনাকে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (World Wide Web) এর তথ্য অ্যাক্সেস করতে এবং দেখতে সাহায্য করে। এটি ছাড়া আপনি ওয়েবসাইটগুলোতে প্রবেশ করতে, সার্চ করতে বা অনলাইন কনটেন্ট দেখতে পারবেন না।

অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন ইন্টারনেট সংযোগ (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার - ISP), একটি ডিভাইস (কম্পিউটার, স্মার্টফোন), এবং প্রোটোকল (HTTP, TCP/IP) সবই দরকারি, কিন্তু ব্রাউজার ছাড়া আপনি সেই সংযোগের মাধ্যমে ওয়েবসাইটগুলো নেভিগেট করতে পারবেন না।

ক. Read-out
খ. Read from
গ. Read
ঘ. উপরের সবগুলোই
ব্যাখ্যাঃ

কম্পিউটার মেমোরি থেকে সংরক্ষিত ডেটা উত্তোলনের পদ্ধতিকে বোঝাতে ব্যবহৃত শব্দগুলো হলো:

ঘঃ উপরের সবগুলোই

  • Read-out: এটি একটি সাধারণ পরিভাষা যা মেমোরি থেকে ডেটা পড়ার প্রক্রিয়াকে বোঝায়।
  • Read from: এটিও একটি সঠিক ব্যবহার, যেমন "কম্পিউটার মেমোরি থেকে ডেটা রিড করা হচ্ছে।"
  • Read: মেমোরি থেকে ডেটা উত্তোলনের সবচেয়ে সহজ এবং প্রচলিত ক্রিয়া এটি।

এই তিনটি শব্দই ডেটা উত্তোলনের প্রক্রিয়াকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, যদিও "Read" সবচেয়ে সাধারণ এবং সরাসরি শব্দ।

১৫৩. MICR-এর পূর্ণরূপ কি?

[ বিসিএস ৩৫তম ]

ক. Magnetic Ink Character Reader
খ. Magnetic Ink Code Reader
গ. Magnetic Ink Case Reader
ঘ. কোনোটিই নয়
ব্যাখ্যাঃ

MICR-এর পূর্ণরূপ হলো Magnetic Ink Character Recognition (ম্যাগনেটিক ইঙ্ক ক্যারেক্টার রেকগনিশন)।

এটি একটি প্রযুক্তি যা প্রধানত ব্যাংকিং শিল্পে চেক এবং অন্যান্য আর্থিক নথি দ্রুত ও নির্ভুলভাবে প্রক্রিয়া করার জন্য ব্যবহৃত হয়। চেকের নিচে যে বিশেষ সংখ্যা ও চিহ্নগুলো ছাপা থাকে, সেগুলো চৌম্বকীয় কালি (magnetic ink) ব্যবহার করে লেখা হয়। MICR রিডার নামক একটি যন্ত্র এই চৌম্বকীয় কালি দ্বারা মুদ্রিত অক্ষরগুলো পড়তে পারে, যা চেকের সত্যতা যাচাই এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে তথ্য প্রক্রিয়াকরণে সহায়তা করে।

ক. Data Definition Language
খ. Data Manipulation Language
গ. Query Language
ঘ. উপরের সবগুলোই
ব্যাখ্যাঃ

ডাটাবেজ ল্যাংগুয়েজ বলতে সেইসব ভাষা বোঝায় যা ডাটাবেজ তৈরি, ব্যবস্থাপনা এবং ডেটা নিয়ে কাজ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। প্রধানত তিন ধরনের ডাটাবেজ ল্যাংগুয়েজ রয়েছে, এবং উল্লেখিত সবগুলোই এর অংশ:

  • কঃ Data Definition Language (DDL): এই ভাষা ডাটাবেজের কাঠামো (structure) বা স্কিমা (schema) সংজ্ঞায়িত করতে ব্যবহৃত হয়। এর মাধ্যমে ডাটাবেজ, টেবিল, ভিউ, ইনডেক্স ইত্যাদি তৈরি, পরিবর্তন বা মুছে ফেলা হয়। উদাহরণস্বরূপ: CREATE TABLE, ALTER TABLE, DROP TABLE ইত্যাদি কমান্ড।

  • খঃ Data Manipulation Language (DML): এই ভাষা ডাটাবেজের মধ্যে ডেটা প্রবেশ করানো, পরিবর্তন করা বা মুছে ফেলার জন্য ব্যবহৃত হয়। এর মাধ্যমে ডেটাকে ম্যানেজ করা হয়। উদাহরণস্বরূপ: INSERT, UPDATE, DELETE ইত্যাদি কমান্ড।

  • গঃ Query Language (কোয়েরি ল্যাংগুয়েজ): এটি মূলত ডেটাবেজ থেকে ডেটা পুনরুদ্ধার (retrieve) করার জন্য ব্যবহৃত হয়। সবচেয়ে পরিচিত কোয়েরি ল্যাংগুয়েজ হলো SQL (Structured Query Language), যেখানে SELECT কমান্ডটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। DML এর একটি প্রধান অংশই হলো কোয়েরি ল্যাংগুয়েজ।

সুতরাং, উপরের তিনটিই ডাটাবেজ ল্যাংগুয়েজের বিভিন্ন দিক বা প্রকারভেদ।

ক. ২০০৪
খ. ২০০৬
গ. ২০০৩
ঘ. ২০০৮
ব্যাখ্যাঃ

সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট টুইটার (Twitter) ২০০৬ সালে তৈরি হয়।

জ্যাক ডরসি, নোয়াহ গ্লাস, বিজ স্টোন এবং ইভান উইলিয়ামস এটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রথমে এর প্রজেক্ট কোড নাম ছিল "twttr", কিন্তু পরে এর নাম "Twitter"-এ পরিবর্তন করা হয়। ২০২৩ সালে ইলন মাস্কের মালিকানাধীন হওয়ার পর এর নাম পরিবর্তন করে "X" রাখা হয়।

ক. IOS
খ. Windows phone
গ. Android
ঘ. Symbian
ব্যাখ্যাঃ

নিচের স্মার্টফোন অপারেটিং সিস্টেমগুলোর মধ্যে যেটি ওপেন সোর্স প্ল্যাটফর্ম, সেটি হলো: Android (অ্যান্ড্রয়েড)

  • Android: গুগল দ্বারা ডেভেলপকৃত অ্যান্ড্রয়েড একটি ওপেন সোর্স (Open Source) অপারেটিং সিস্টেম। এর সোর্স কোড অ্যান্ড্রয়েড ওপেন সোর্স প্রজেক্ট (AOSP) এর মাধ্যমে সবার জন্য উন্মুক্ত। এর মানে হলো যে কেউ অ্যান্ড্রয়েডের সোর্স কোড ডাউনলোড, পরিবর্তন এবং নিজস্ব ডিভাইসে ব্যবহার করতে পারে। এই কারণে বিভিন্ন স্মার্টফোন নির্মাতা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী অ্যান্ড্রয়েডের কাস্টমাইজড সংস্করণ তৈরি করতে পারে।
  • iOS: অ্যাপল (Apple) এর তৈরি iOS একটি ক্লোজড সোর্স (Closed Source) বা মালিকানাধীন অপারেটিং সিস্টেম। এর সোর্স কোড উন্মুক্ত নয় এবং শুধুমাত্র অ্যাপল ডিভাইস (যেমন আইফোন, আইপ্যাড) এর জন্যই এটি ব্যবহৃত হয়।
  • Windows Phone: মাইক্রোসফট (Microsoft) এর এই অপারেটিং সিস্টেমটিও ক্লোজড সোর্স এবং মালিকানাধীন ছিল। এটি এখন আর সক্রিয়ভাবে ডেভেলপ বা ব্যবহৃত হয় না।
  • Symbian: এটি একটি পুরনো অপারেটিং সিস্টেম যা মূলত নোকিয়া (Nokia) সহ অন্যান্য কিছু ফোন নির্মাতা ব্যবহার করত। এটিও ক্লোজড সোর্স এবং মালিকানাধীন ছিল। এটিও বর্তমানে অপ্রচলিত।

সুতরাং, প্রদত্ত বিকল্পগুলির মধ্যে শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েডই ওপেন সোর্স প্ল্যাটফর্ম।

ক. ভয়েস টেলিফোনি
খ. ভিডিও কল
গ. মোবাইল টিভি
ঘ. ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা
ব্যাখ্যাঃ

মোবাইল কমিউনিকেশনে 4G (চতুর্থ প্রজন্ম) 3G (তৃতীয় প্রজন্ম) এর তুলনায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য নিয়ে এসেছে, যা ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতাকে অনেকটাই উন্নত করেছে। প্রধান অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো নিচে দেওয়া হলো:

১. উচ্চ গতি (Higher Speed)


এটি 4G এর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য। 3G নেটওয়ার্কের সর্বোচ্চ ডাউনলোড গতি যেখানে সাধারণত 2 Mbps থেকে 21 Mbps (HSPA+) পর্যন্ত হয়, সেখানে 4G LTE (Long-Term Evolution) নেটওয়ার্ক মোবাইলের জন্য 100 Mbps এবং স্থির ডিভাইসের জন্য 1 Gbps পর্যন্ত ডাউনলোড গতি দিতে পারে। এর ফলে:

  • দ্রুত ফাইল ডাউনলোড ও আপলোড করা যায়।
  • নির্বিঘ্নে ভিডিও স্ট্রিমিং (HD/Full HD) করা যায়।
  • ওয়েবসাইট দ্রুত লোড হয়।

২. কম ল্যাটেন্সি (Lower Latency)


ল্যাটেন্সি হলো ডেটা পাঠানোর পর সেটি পৌঁছাতে যে সময় লাগে। 4G নেটওয়ার্কে 3G এর তুলনায় ল্যাটেন্সি অনেক কম, যার অর্থ ডেটা আদান-প্রদানে কম বিলম্ব হয়। এর সুবিধাগুলো হলো:

  • অনলাইন গেমিং আরও মসৃণ হয় (কম ল্যাগ)।
  • ভিডিও কল বা অনলাইন কনফারেন্সে কথা বলার সময় বিরতি বা বিলম্ব কমে যায়।
  • রিয়েল-টাইম অ্যাপ্লিকেশনগুলো আরও ভালোভাবে কাজ করে।

৩. উন্নত সংযোগের মান (Improved Connection Quality)


4G নেটওয়ার্কে কল ড্রপ হওয়ার হার কম এবং ভয়েস কলের মান উন্নত হয়। ডেটা সংযোগও অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য।

৪. বৃহত্তর ক্ষমতা (Greater Capacity)


4G নেটওয়ার্ক 3G এর তুলনায় একই সময়ে বেশি সংখ্যক ডিভাইসকে সংযুক্ত রাখতে পারে। এটি নেটওয়ার্কের সামগ্রিক কর্মক্ষমতা এবং নির্ভরযোগ্যতা বাড়ায়, বিশেষ করে জনাকীর্ণ এলাকায়।

৫. উন্নত ব্যান্ডউইডথ (Enhanced Bandwidth)


4G এর ব্যান্ডউইডথ 3G এর তুলনায় অনেক বেশি (যেমন, 3G এর 15-20 MHz এর তুলনায় 4G এর 100 MHz পর্যন্ত), যা একসঙ্গে অনেক বেশি ডেটা বহন করতে সক্ষম।

৬. অল-আইপি (All-IP) ভিত্তিক নেটওয়ার্ক


4G সম্পূর্ণরূপে আইপি (Internet Protocol) ভিত্তিক নেটওয়ার্ক আর্কিটেকচার ব্যবহার করে, যেখানে 3G ভয়েস কলের জন্য সার্কিট সুইচিং এবং ডেটার জন্য প্যাকেট সুইচিং ব্যবহার করত। এই অল-আইপি আর্কিটেকচার ডেটা ট্রান্সফারকে আরও দক্ষ এবং দ্রুত করে।

৭. উন্নত অ্যাপ্লিকেশন সমর্থন (Better Application Support)


উচ্চ গতি এবং কম ল্যাটেন্সির কারণে 4G এমন অনেক আধুনিক অ্যাপ্লিকেশন এবং পরিষেবা সমর্থন করে যা 3G তে ভালোভাবে চলত না বা একেবারেই সম্ভব ছিল না। যেমন:

  • উচ্চ-মানের ভিডিও স্ট্রিমিং ও কলিং।
  • ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (VR) এবং অগমেন্টেড রিয়েলিটি (AR) অ্যাপ্লিকেশন।
  • ক্লাউড-ভিত্তিক পরিষেবাগুলোর মসৃণ ব্যবহার।
  • ইন্টারনেট অফ থিংস (IoT) ডিভাইসগুলোর জন্য উন্নত সংযোগ।

সংক্ষেপে, 4G মোবাইল কমিউনিকেশনের গতি, নির্ভরযোগ্যতা এবং ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে 3G এর চেয়ে অনেক বেশি উন্নত করেছে, যা বর্তমান স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের চাহিদা পূরণের জন্য অপরিহার্য।

ক. Bill Gates
খ. Tim Cook
গ. Andrew S Grove
ঘ. Lawrence J. Ellison
ব্যাখ্যাঃ

Oracle Corporation এর প্রতিষ্ঠাতা হলেন তিনজন:

  1. ল্যারি এলিসন (Larry Ellison)
  2. বব মাইনর (Bob Miner)
  3. এড ওটস (Ed Oates)

তারা ১৯৭৭ সালে "Software Development Laboratories (SDL)" নামে এই কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন, যা পরে "Relational Software Inc. (RSI)" এবং পরিশেষে ১৯৮২ সালে "Oracle Systems Corporation" (বর্তমানে Oracle Corporation) নামে পরিচিত হয়। ল্যারি এলিসন দীর্ঘদিন ধরে ওরাকলের সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং বর্তমানে তিনি এর এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান ও সিটিও (Chief Technology Officer) হিসেবে কর্মরত আছেন।

ক. RAM
খ. Clipboard
গ. Terminal
ঘ. Hard Disk
ব্যাখ্যাঃ

প্রোগ্রাম থেকে কপি করা ডেটা সাময়িকভাবে ক্লিপবোর্ডে (Clipboard) থাকে।

  • ক্লিপবোর্ড (Clipboard): এটি অপারেটিং সিস্টেমের একটি বিশেষ সাময়িক মেমোরি এলাকা। যখন আপনি কোনো টেক্সট, ছবি, ফাইল বা অন্য কোনো ডেটা 'কপি' (Ctrl+C) বা 'কাট' (Ctrl+X) করেন, তখন সেটি এই ক্লিপবোর্ডে জমা হয়। এরপর যখন আপনি 'পেস্ট' (Ctrl+V) করেন, তখন ক্লিপবোর্ডে থাকা ডেটা গন্তব্যে স্থানান্তরিত হয়। ক্লিপবোর্ড সাধারণত একবারেই একটি আইটেম ধরে রাখতে পারে (যদিও কিছু উন্নত ক্লিপবোর্ড ম্যানেজার একাধিক আইটেম সংরক্ষণ করতে পারে), এবং কম্পিউটার বন্ধ করলে বা নতুন ডেটা কপি করলে আগের ডেটা মুছে যায়।

অন্যান্য বিকল্পগুলো হলো:

  • RAM (Random Access Memory): এটি কম্পিউটারের প্রধান মেমোরি, যেখানে চলমান প্রোগ্রাম এবং ডেটা অস্থায়ীভাবে সংরক্ষিত থাকে। ক্লিপবোর্ড মূলত RAM-এর একটি অংশ ব্যবহার করে, তবে 'ক্লিপবোর্ড' একটি আরও সুনির্দিষ্ট ধারণা যা কপি-পেস্ট কার্যকারিতাকে নির্দেশ করে।
  • Terminal: এটি একটি টেক্সট-ভিত্তিক ইন্টারফেস যা অপারেটিং সিস্টেমের সাথে ইন্টারঅ্যাক্ট করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি ডেটা সংরক্ষণের জায়গা নয়।
  • Hard Disk: এটি কম্পিউটারের স্থায়ী স্টোরেজ, যেখানে অপারেটিং সিস্টেম, প্রোগ্রাম এবং ব্যবহারকারীর ফাইলগুলো দীর্ঘমেয়াদী সংরক্ষণের জন্য থাকে। কপি করা ডেটা সরাসরি হার্ড ডিস্কে যায় না, যতক্ষণ না আপনি সেটিকে কোনো ফাইলে পেস্ট করে সংরক্ষণ করেন।
ক. Super Computer
খ. Network
গ. Server
ঘ. Enterprise
ব্যাখ্যাঃ

পার্সোনাল কম্পিউটার যুক্ত করে নেটওয়ার্ক (Network) তৈরি করা যায়।

অনেকগুলো পার্সোনাল কম্পিউটারকে যখন তার (cable) বা তারবিহীন (wireless) প্রযুক্তির মাধ্যমে একে অপরের সাথে যুক্ত করা হয়, তখন তারা একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করে। এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কম্পিউটারগুলো ফাইল, প্রিন্টার বা ইন্টারনেট সংযোগের মতো রিসোর্স ভাগাভাগি করতে পারে এবং একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারে।

অন্যান্য বিকল্পগুলো হলো:

  • সুপার কম্পিউটার (Super Computer): এটি বিশেষভাবে ডিজাইন করা অত্যন্ত শক্তিশালী কম্পিউটার, যা পার্সোনাল কম্পিউটার যুক্ত করে তৈরি হয় না।
  • সার্ভার (Server): সার্ভার একটি শক্তিশালী কম্পিউটার, যা নেটওয়ার্কে অন্য কম্পিউটারগুলোকে (ক্লায়েন্ট) বিভিন্ন সেবা প্রদান করে। যদিও একটি পার্সোনাল কম্পিউটারকে সার্ভার হিসেবে কনফিগার করা যেতে পারে, তবে "পার্সোনাল কম্পিউটার যুক্ত করে" বলতে সাধারণত নেটওয়ার্ককেই বোঝানো হয়, সার্ভারকে নয়। সার্ভার নিজে একটি কম্পিউটার, এটি একাধিক পিসি যুক্ত করে তৈরি হয় না।
  • এন্টারপ্রাইজ (Enterprise): এটি একটি বৃহৎ সংস্থা বা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে বোঝায়, কোনো কম্পিউটার সিস্টেম নয়।
ক. 1.50
খ. 2.50
গ. 3.00
ঘ. 4.00
ব্যাখ্যাঃ ধরা যাক, পূর্বে প্রতি কলার দাম ছিল x টাকা।

তাহলে, পূর্বে ১২ টাকায় কলা পাওয়া যেত x টি।

কলার দাম ২০% কমে যাওয়ায়, বর্তমান দাম = xx×=xx=x টাকা।

বর্তমানে ১২ টাকায় কলা পাওয়া যায় x=×x=x টি।

প্রশ্নানুসারে, বর্তমানে পূর্বে অপেক্ষা ২টি কলা বেশি পাওয়া যায়।
সুতরাং,
xx=
x=
x=
x=
x=
x=. টাকা।

এটি ছিল পূর্বের দাম।

বর্তমানে একটি কলার দাম = x=×.==. টাকা।

অতএব, বর্তমানে একটি কলার দাম ১.২ টাকা।
ক. 40
খ. 50
গ. 60
ঘ. 70
ব্যাখ্যাঃ মোট ফলের রস = ৬০ লিটার।
আম ও কমলার অনুপাত = ২ : ১।

মোট অনুপাতের ভাগ = += ভাগ।

আমের রসের পরিমাণ = ৬০ লিটারের অংশ = ×=×= লিটার।
কমলার রসের পরিমাণ = ৬০ লিটারের অংশ = ×=×= লিটার।

ধরা যাক, কমলার রসের পরিমাণ x লিটার বৃদ্ধি করলে অনুপাতটি ১ : ২ হবে।

তাহলে, কমলার রসের নতুন পরিমাণ = (+x) লিটার।
আমের রসের পরিমাণ অপরিবর্তিত থাকবে = ৪০ লিটার।

নতুন অনুপাত হবে: আম : কমলা = ৪০ : (+x)
প্রশ্নানুসারে, নতুন অনুপাতটি ১ : ২ হবে।

সুতরাং,
+x=
×(+x)=×
+x=
x=
x= লিটার।

অতএব, কমলার রসের পরিমাণ ৬০ লিটার বৃদ্ধি করলে অনুপাতটি ১ : ২ হবে।
ক. 318
খ. 308
গ. 283
ঘ. 279
ব্যাখ্যাঃ দেওয়া আছে:
দুইটি সংখ্যার গ.সা.গু. (GCD) = ১১
দুইটি সংখ্যার ল.সা.গু. (LCM) = ৭৭০০
একটি সংখ্যা = ২৭৫

আমরা জানি, দুইটি সংখ্যার গুণফল তাদের গ.সা.গু. এবং ল.সা.গু. এর গুণফলের সমান।
অর্থাৎ, প্রথম সংখ্যা × দ্বিতীয় সংখ্যা = গ.সা.গু. × ল.সা.গু.

ধরি, অপর সংখ্যাটি x

তাহলে,
×x=×
x=×

এখন, কাটাকাটি করি:
কে দিয়ে ভাগ করলে হয় (÷=)।

x=×
x=

এখন, ৭৭০০ কে ২৫ দিয়ে ভাগ করি:
÷=(÷)+(÷)=+=
অথবা,
÷=(×)÷=×=

সুতরাং, অপর সংখ্যাটি হলো ৩০৮।
ক. 3
খ. 4
গ. 5
ঘ. 6
ব্যাখ্যাঃ দেওয়া আছে:
xy= ------ (১)
xy= ------ (২)

আমরা জানি, (xy)=xxy+y
বা, (xy)=x+yxy

আবার, x+y=(x+y)xy

সুতরাং, (xy)=(x+y)xyxy
বা, (xy)=(x+y)xy

দেওয়া আছে xy= এবং xy=
মান বসিয়ে পাই:
()=(x+y)×
=(x+y)
(x+y)=+
(x+y)=
x+y=±
x+y=± ------ (৩)

এখন আমাদের কাছে দুটি সমীকরণ আছে:
১) xy=
২) x+y= (ধনাত্মক মান নিয়ে)
অথবা,
২) x+y= (ঋণাত্মক মান নিয়ে)

কেস ১: যখন x+y=
xy=
x+y=
এই দুটি সমীকরণ যোগ করে পাই:
(xy)+(x+y)=+
x=
x=
x=

x= হলে, (১) নং সমীকরণ থেকে পাই:
y=
y=
y=

এই মানগুলো দিয়ে xy= সমীকরণটি যাচাই করি: ×=, যা সঠিক।

কেস ২: যখন x+y=
xy=
x+y=
এই দুটি সমীকরণ যোগ করে পাই:
(xy)+(x+y)=+()
x=
x=
x=

x= হলে, (১) নং সমীকরণ থেকে পাই:
y=
y=+
y=
y=

এই মানগুলো দিয়ে xy= সমীকরণটি যাচাই করি: ()×()=, যা সঠিক।

প্রশ্নানুসারে x এর ধনাত্মক মানটি চাওয়া হয়েছে।
ধনাত্মক মানটি হলো x=

সুতরাং, x এর ধনাত্মক মানটি হলো ৬।

১৬৫. 3x+4x+1=2 হলে, x এর মান-

[ বিসিএস ৩৫তম ]

ক. 1
খ. 2
গ. 3
ঘ. 4
ব্যাখ্যাঃ দেওয়া আছে সমীকরণটি:
3x+4x+1=2

বামদিকের ভগ্নাংশগুলোর ল.সা.গু. করি:
ল.সা.গু. হলো x(x+1)

3(x+1)+4xx(x+1)=2
3x+3+4xx2+x=2
7x+3x2+x=2

এখন আর গুণন (cross-multiplication) করি:
7x+3=2(x2+x)
7x+3=2x2+2x

সমীকরণটিকে একটি দ্বিঘাত সমীকরণের আদর্শ রূপে সাজাই (ax2+bx+c=0):
0=2x2+2x7x3
0=2x25x3

এখন এই দ্বিঘাত সমীকরণটি সমাধান করি। আমরা মধ্যপদ বিশ্লেষণ পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারি।
2x25x3=0
2x26x+x3=0
2x(x3)+1(x3)=0
(x3)(2x+1)=0

অতএব, দুটি সম্ভাব্য সমাধান আছে:
১) x3=0
x=3

২) 2x+1=0
2x=1
x=12

সুতরাং, x এর মানগুলো হলো 3 অথবা 12

১৬৬. |x3|<5 হলে-

[ বিসিএস ৩৫তম ]

ক. 2<x<8
খ. 2<x<8
গ. 8<x<2
ঘ. 4<x<2
ব্যাখ্যাঃ পরম মান (absolute value) এর সংজ্ঞা অনুযায়ী, |A|<B আকারের অসমতার অর্থ হলো B<A<B

এখানে, A=x3 এবং B=5

অতএব, আমরা লিখতে পারি:
5<x3<5

এখন, অসমতার প্রতিটি অংশের সাথে 3 যোগ করি যাতে x কে আলাদা করা যায়:
5+3<x3+3<5+3
2<x<8

সুতরাং, x এর মান 2 থেকে 8 এর মধ্যে হবে।
ক. 100
খ. 110
গ. 10
ঘ. 1100
ব্যাখ্যাঃ দেওয়া আছে সমীকরণটি:
x30.001=0

আমরা x3 কে 1x3 লিখতে পারি।
এবং 0.001 কে 11000 লিখতে পারি।

তাহলে সমীকরণটি দাঁড়ায়:
1x311000=0
1x3=11000

উভয় পক্ষের হর তুলনা করে পাই:
x3=1000

এখন x এর মান বের করি:
x=10003
x=10

প্রশ্নে x2 এর মান চাওয়া হয়েছে।
x2=(10)2
x2=100

সুতরাং, x2 এর মান ১০০।

১৬৮. loga(19) এর মান-

[ বিসিএস ৩৫তম ]

ক. 2
খ. -2
গ. 3
ঘ. -3
ব্যাখ্যাঃ আমরা জানি, 19=91
তাহলে, এক্সপ্রেশনটি দাঁড়ায়:
loga(91)

লগারিদমের একটি ধর্ম হলো logb(MP)=Plogb(M)
এই ধর্মটি প্রয়োগ করলে পাই:
loga(91)=1loga(9)
বা, loga(9)

যদি a=9 হয়, তবে:
log9(19)=log9(91)=1log9(9)
আমরা জানি logb(b)=1, তাই log9(9)=1
সুতরাং, 1×1=1

যদি a=3 হয়, তবে:
log3(19)=log3(32)=2log3(3)
সুতরাং, 2×1=2

সাধারণভাবে, loga(19) এর মান হলো loga(9)

একটি নির্দিষ্ট সংখ্যাসূচক মানের জন্য, a এর সুনির্দিষ্ট মান প্রয়োজন।
ক. 12
খ. 12
গ. 14
ঘ. 14
ব্যাখ্যাঃ দেওয়া আছে, একটি গুণোত্তর অনুক্রমের:
দ্বিতীয় পদ (ar) = 48 ------ (১)
পঞ্চম পদ (ar4) = 34 ------ (২)

যেখানে a হলো প্রথম পদ এবং r হলো সাধারণ অনুপাত।

এখন, (২) নং সমীকরণকে (১) নং সমীকরণ দিয়ে ভাগ করি:
ar4ar=3448

r3=34×(48)
r3=3192

এখন 3 দিয়ে ভাগ করি:
r3=164

এখন r এর মান বের করি।
r=1643
r=1643
r=14

সুতরাং, সাধারণ অনুপাত হলো 14
ক. 1
খ. 2
গ. 4
ঘ. 5
ব্যাখ্যাঃ দেওয়া আছে:
logax=1
logay=2
logaz=3

আমাদেরকে loga(x3y2z) এর মান নির্ণয় করতে হবে।

লগারিদমের নিয়ম অনুযায়ী:
১. logb(MN)=logbMlogbN
২. logb(MN)=logbM+logbN
৩. logb(MP)=PlogbM

প্রথমে, ভাগের নিয়মটি প্রয়োগ করি:
loga(x3y2z)=loga(x3y2)logaz

এবার গুণের নিয়মটি প্রয়োগ করি:
loga(x3y2)logaz=(logax3+logay2)logaz

এখন পাওয়ারের নিয়মটি প্রয়োগ করি:
(logax3+logay2)logaz=(3logax+2logay)logaz

এবার প্রদত্ত মানগুলো বসিয়ে দিই:
(31+22)3
=(3+4)3
=73
=4

সুতরাং, loga(x3y2z) এর মান হলো 4
ক. 4π - 8
খ. 4π + 8
গ. 2π - 4
ঘ. 2π + 4
ব্যাখ্যাঃ এখানে, বৃত্তের ব্যাসার্ধ (r) = ২ সে. মি.।

১. বৃত্তের ক্ষেত্রফল নির্ণয়:
বৃত্তের ক্ষেত্রফলের সূত্র হলো πr2
বৃত্তের ক্ষেত্রফল = π()=π বর্গ সে.মি.।

২. বৃত্তের অন্তঃস্থ বর্গক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল নির্ণয়:
যদি একটি বর্গক্ষেত্র বৃত্তের অন্তঃস্থ হয়, তাহলে বৃত্তের ব্যাস (Diameter) হবে বর্গক্ষেত্রের কর্ণ (Diagonal)।
বৃত্তের ব্যাস (D) = ×r=×= সে.মি.।
সুতরাং, বর্গক্ষেত্রের কর্ণ (d) = ৪ সে.মি.।

ধরি, বর্গক্ষেত্রের প্রতিটি বাহুর দৈর্ঘ্য a সে.মি.।
পিথাগোরাসের উপপাদ্য অনুসারে, বর্গক্ষেত্রের কর্ণ (d) = a2+a2=2a2=a2
আমরা জানি d=4 সে.মি.।
সুতরাং, a2=4
a=42=422=22 সে.মি.।

বর্গক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল = a2=(22)2=4×2=8 বর্গ সে.মি.।

৩. আবদ্ধ অঞ্চলের ক্ষেত্রফল নির্ণয়:
আবদ্ধ অঞ্চলের ক্ষেত্রফল হলো বৃত্তের ক্ষেত্রফল থেকে বর্গক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল বিয়োগ করলে যা থাকে।
আবদ্ধ অঞ্চলের ক্ষেত্রফল = বৃত্তের ক্ষেত্রফল - বর্গক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল
= 4π8 বর্গ সে.মি.।

সুতরাং, আবদ্ধ অঞ্চলের ক্ষেত্রফল হলো (4π8) বর্গ সে.মি.।
ক. 728
খ. 286
গ. 364
ঘ. 1001
ব্যাখ্যাঃ এখানে ১৪ জন খেলোয়াড় আছেন এবং একটি ১১ জনের ক্রিকেট দল বাছাই করতে হবে। প্রশ্নটিতে বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট একজন অধিনায়কসহ দল গঠন করতে হবে।

এর অর্থ হলো, অধিনায়কের পদটি নির্দিষ্ট হয়ে আছে এবং তাকে দলে অবশ্যই নিতে হবে।

সুতরাং, আমাদের আর ১৪ জন খেলোয়াড় থেকে ১১ জন বাছাই করার দরকার নেই। আমরা জানি, একজন অধিনায়ক ইতিমধ্যেই নির্বাচিত হয়ে গেছেন।

এখন, বাকি থাকবে = জন খেলোয়াড়কে বাছাই করা।
আর উপলব্ধ খেলোয়াড় থাকবে = জন (কারণ নির্দিষ্ট একজন খেলোয়াড়কে (অধিনায়ক) আলাদা করে রাখা হয়েছে)।

তাহলে, ১৩ জন খেলোয়াড়ের মধ্য থেকে ১০ জন খেলোয়াড়কে কতভাবে বাছাই করা যাবে, সেটিই নির্ণয় করতে হবে। এটি সমাবেশের (combination) একটি সমস্যা, কারণ খেলোয়াড়দের ক্রম গুরুত্বপূর্ণ নয়।

সূত্রটি হলো C(n,k)=n!k!(nk)!
এখানে n= (মোট উপলব্ধ খেলোয়াড়) এবং k= (বাছাই করার মতো খেলোয়াড়)।

C(,)=!!()!
=!!!
=×××!!×××
=××××
=××

এখন, ১২ কে ৬ দিয়ে ভাগ করলে ২ হয়:
=××
=×
=

সুতরাং, নির্দিষ্ট একজন অধিনায়কসহ ১১ জনের একটি ক্রিকেট দল ২৮৬ ভাবে বাছাই করা যাবে।
ক. 55.5
খ. 60.5
গ. 65.5
ঘ. 62.5
ব্যাখ্যাঃ প্রদত্ত তথ্য:
মোট শিক্ষার্থী = 100 জন
শিক্ষার্থীদের গড় নম্বর = 70
মোট প্রাপ্ত নম্বর = 100×70=7000

ছাত্রীর সংখ্যা = 60 জন
ছাত্রীদের গড় নম্বর = 75
ছাত্রীদের মোট প্রাপ্ত নম্বর = 60×75=4500

ছাত্রের সংখ্যা = 10060=40 জন
ছাত্রদের মোট প্রাপ্ত নম্বর = 70004500=2500
ছাত্রদের গড় নম্বর = 250040=62.5

সুতরাং, ছাত্রদের গড় নম্বর 62.5।
ক. 10
খ. 15
গ. 40
ঘ. 30
ব্যাখ্যাঃ এখানে,
মোট লোকসংখ্যা = 50 জন
ইংরেজি বলতে পারেন = 35 জন
ইংরেজি ও বাংলা উভয়ই বলতে পারেন = 25 জন

আমরা জানি, যারা শুধুমাত্র ইংরেজি বলতে পারেন = (যারা ইংরেজি বলতে পারেন) - (যারা ইংরেজি ও বাংলা উভয়ই বলতে পারেন)
শুধুমাত্র ইংরেজি বলতে পারেন = 3525=10 জন

যারা অন্তত একটি ভাষায় কথা বলতে পারেন = (শুধুমাত্র ইংরেজি বলতে পারেন) + (শুধুমাত্র বাংলা বলতে পারেন) + (ইংরেজি ও বাংলা উভয়ই বলতে পারেন)

যেহেতু প্রত্যেকেই দুইটি ভাষার অন্তত একটি ভাষায় কথা বলতে পারেন, তাহলে মোট লোকসংখ্যাই হলো যারা অন্তত একটি ভাষায় কথা বলতে পারেন।

তাহলে,
50 = 10 + (শুধুমাত্র বাংলা বলতে পারেন) + 25
50 = 35 + (শুধুমাত্র বাংলা বলতে পারেন)
শুধুমাত্র বাংলা বলতে পারেন = 5035=15 জন

যারা বাংলা বলতে পারেন = (শুধুমাত্র বাংলা বলতে পারেন) + (ইংরেজি ও বাংলা উভয়ই বলতে পারেন)
যারা বাংলা বলতে পারেন = 15+25=40 জন

সুতরাং, 40 জন বাংলায় কথা বলতে পারেন।
ক. 2
খ. 3
গ. 4
ঘ. 5
ব্যাখ্যাঃ CALCUTTA শব্দটিতে মোট 8টি বর্ণ আছে।
এদের মধ্যে C আছে 2 বার, A আছে 2 বার, L আছে 1 বার, U আছে 1 বার, T আছে 2 বার।
CALCUTTA শব্দটির বর্ণগুলো একত্রে নিয়ে বিন্যাস সংখ্যা = 8!2!×2!×2!=403202×2×2=403208=5040

AMERICA শব্দটিতে মোট 7টি বর্ণ আছে।
এদের মধ্যে A আছে 2 বার, M আছে 1 বার, E আছে 1 বার, R আছে 1 বার, I আছে 1 বার, C আছে 1 বার।
AMERICA শব্দটির বর্ণগুলো একত্রে নিয়ে বিন্যাস সংখ্যা = 7!2!=50402=2520

CALCUTTA শব্দটির বিন্যাস সংখ্যা AMERICA শব্দটির বিন্যাস সংখ্যার কত গুণ জানতে চাওয়া হয়েছে।
50402520=2

সুতরাং, CALCUTTA শব্দটির বর্ণগুলো একত্রে নিয়ে বিন্যাস সংখ্যা AMERICA শব্দটির বর্ণগুলো একত্রে নিয়ে বিন্যাস সংখ্যার 2 গুণ।
ক. টীকাদান কর্মসূচি
খ. সচেতনতা
গ. পুষ্টিকর খাদ্য
ঘ. অর্থ
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হলো খঃ সচেতনতা

কারণ রোগ প্রতিরোধের জন্য টীকাদান কর্মসূচি, পুষ্টিকর খাদ্য এবং অর্থ—এই সব কিছুই গুরুত্বপূর্ণ হলেও, সচেতনতা হলো মৌলিক বিষয়। সচেতনতা না থাকলে মানুষ রোগের কারণ, প্রতিকার বা প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে জানতে পারে না। রোগ প্রতিরোধে যা যা করা দরকার, সেগুলোর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতন না হলে কোনো কর্মসূচিই সফল হবে না। যেমন, টীকাদান কর্মসূচি সফল হতে পারে না যদি মানুষ টিকার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন না হয়; পুষ্টিকর খাদ্যের অভাবে রোগ হতে পারে, কিন্তু সেই খাদ্যের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা না থাকলে তা গ্রহণ করা হবে না। একইভাবে, অর্থ থাকলেও সেটিকে কীভাবে স্বাস্থ্য রক্ষায় ব্যবহার করতে হবে, সে সম্পর্কে সচেতনতা জরুরি।

সুতরাং, সচেতনতা হলো রোগ প্রতিরোধের প্রথম ধাপ এবং অন্যান্য সব ব্যবস্থার ভিত্তি।

১৭৭. শব্দ : কর্ণ; আলো : ?

[ বিসিএস ৩৫তম ]

ক. শোনা
খ. বুদ্ধি
গ. চক্ষু
ঘ. অন্ধকার
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো গঃ চক্ষু

ব্যাখ্যা: শব্দ শোনার জন্য কর্ণ (কান) প্রয়োজন, ঠিক তেমনি আলো দেখার জন্য চক্ষু (চোখ) প্রয়োজন। এখানে অঙ্গ এবং তার কার্যকারিতার সম্পর্ক দেখানো হয়েছে।

ছবিটি দেখে নিচের প্রশ্নের উত্তর দাও:
mcq image
ক. ৪
খ. ৭
গ. ২
ঘ. ৯
ব্যাখ্যাঃ ১ম চিত্র থেকে,
÷=>=
÷=>=
÷=>=
সুতরাং প্রশ্নবোধক স্থানে ২ বসবে।
ক. ৬
খ. ৮
গ. ৩
ঘ. ৫
ব্যাখ্যাঃ এখানে সংখ্যাগুলির একটি প্যাটার্ন অনুসরণ করা হয়েছে:

প্রথম সংখ্যা: 2
দ্বিতীয় সংখ্যা: 9=3
তৃতীয় সংখ্যা: 4
চতুর্থ সংখ্যা: 25=5

প্যাটার্নটি লক্ষ্য করলে দেখা যাচ্ছে যে, একটি পূর্ণসংখ্যা এবং তারপরের পূর্ণসংখ্যার বর্গমূল নেওয়া হচ্ছে, এবং এই ধারাটি 2 থেকে শুরু হচ্ছে।

2পরের সংখ্যা 3 এর বর্গমূল
4পরের সংখ্যা 5 এর বর্গমূল

তাহলে, প্যাটার্ন অনুযায়ী পরবর্তী পূর্ণসংখ্যাটি হবে 6।
সুতরাং, প্রশ্নবোধক স্থানে 36 বসবে।

36=6

সুতরাং, প্রশ্নবোধক স্থানের সংখ্যাটি হবে 6
ক. ছেঁড়া অংশটুকু ধরে রাখার চেষ্টা করবেন
খ. বিয়ে বাড়ী ছেঁড়ে চলে যাবেন
গ. পোশাকের ছেঁড়া অংশটুকু যেভাবে আছে সেভাবে রাখবেন
ঘ. আপনার কাছাকাছি যারা আছেন তাদের পরামর্শ নেবেন
ব্যাখ্যাঃ

পোশাক বিশ্রীভাবে ছিড়ে নষ্ট হয়ে গেলে সবচেয়ে ভালো বিকল্প হলো ঘঃ আপনার কাছাকাছি যারা আছেন তাদের পরামর্শ নেবেন

এর কারণ হলো:

  • কঃ ছেঁড়া অংশটুকু ধরে রাখার চেষ্টা করবেন: এটি একটি অস্থায়ী সমাধান এবং তাতে অস্বস্তি বাড়তে পারে।
  • খঃ বিয়ে বাড়ী ছেড়ে চলে যাবেন: এটি একটি চরম পদক্ষেপ। যদি পরিস্থিতি খুব খারাপ না হয়, তবে অনুষ্ঠান ছেড়ে যাওয়াটা ঠিক হবে না, বিশেষ করে যদি আপনি আয়োজকদের ঘনিষ্ঠ হন।
  • গঃ পোশাকের ছেঁড়া অংশটুকু যেভাবে আছে সেভাবে রাখবেন: এটি মোটেই গ্রহণযোগ্য নয় এবং আপনাকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে পারে।
  • ঘঃ আপনার কাছাকাছি যারা আছেন তাদের পরামর্শ নেবেন: এটি সবচেয়ে বিচক্ষণ কাজ। ঘনিষ্ঠ বন্ধু বা আত্মীয়রা আপনাকে তাৎক্ষণিক সমাধান দিতে পারেন। যেমন, তারা সেলাইয়ের ব্যবস্থা করতে পারেন, অন্য কোনো পোশাকের ব্যবস্থা করতে পারেন, অথবা এমনভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারেন যাতে ছেঁড়া অংশটি কম নজরে পড়ে। এতে আপনি একা অনুভব করবেন না এবং দ্রুত একটি কার্যকর সমাধান খুঁজে পেতে পারেন।
ক. প্রতিযোগিতা
খ. সহযোগীতা
গ. শ্রদ্ধাঞ্জলী
ঘ. প্রতিযোগীতা
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক বানানটি হলো কঃ প্রতিযোগিতা

অন্যান্য বানানগুলোর শুদ্ধ রূপ:

  • খঃ সহযোগীতা - শুদ্ধ রূপ: সহযোগিতা
  • গঃ শ্রদ্ধাঞ্জলী - শুদ্ধ রূপ: শ্রদ্ধাঞ্জলি
ক. স্বশুর
খ. শ্বসুর
গ. শশুর
ঘ. শ্বশুর
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক বানানটি হলো ঘঃ শ্বশুর

ছবিটি দেখে নিচের প্রশ্নের উত্তর দাও:
mcq image
ক. TENSION
খ. RELATION
গ. NATIONAL
ঘ. RELATIVE
ছবিটি দেখে নিচের প্রশ্নের উত্তর দাও:
mcq image
ক. ১৭
খ. ১৮
গ. ২০
ঘ. ২১
ব্যাখ্যাঃ

চিত্র অনুসারে, ত্রিভুজগুলো হলো ∆ABC, ∆ADF, ∆BDE,∆CEF , ∆DEF, ∆DEO, ∆FEO, ∆BDO, ∆BEO, ∆BDP, ∆ODP ∆ BEP, ∆OEP, ∆CFO, ∆CEO , ∆OFQ, ∆CFQ, ∆OEQ, ∆CEQ এবং ∆BOC সুতরাং মোট ত্রিভুজ ২০ টি।

ছবিটি দেখে নিচের প্রশ্নের উত্তর দাও:
mcq image
ক. ৬টি
খ. ৭টি
গ. ৮টি
ঘ. ১০টি
ব্যাখ্যাঃ

চিত্র অনুসারে , ত্রিভুজগুলো হলো ∆ABC, ∆ABD, ∆ACD, ∆AOB ∆AOC , ∆COD এবং ∆BOC। সুতরাং মোট ত্রিভুজ ৮টি।

ক. .০০০১২৬
খ. .০০০০০১২৬
গ. .০০০১২৬০
ঘ. .১২৬০০০
ব্যাখ্যাঃ
.03×.006×.007প্রথমে সংখ্যাগুলোকে দশমিক ছাড়া গুণ করি:3×6×7=18×7=126

এবার দশমিক স্থান গণনা করি:
.03 এ দশমিকের পর 2টি স্থান।
.006 এ দশমিকের পর 3টি স্থান।
.007 এ দশমিকের পর 3টি স্থান।

মোট দশমিক স্থান = 2+3+3=8টি।

এখন গুণফল 126 এর বাম দিকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শূন্য বসিয়ে 8টি দশমিক স্থান পূরণ করি:
0.00000126

সুতরাং, .03×.006×.007=.00000126
ক. ৭
খ. ৩৪৩
গ. ৭৭
ঘ. ৪৯
ব্যাখ্যাঃ প্রশ্নটি হলো:

> ?=?

ধরি, প্রশ্নবোধক সংখ্যাটি x
তাহলে সমীকরণটি দাঁড়ায়:

7x=x343

এখন উভয় পাশে ক্রস-মাল্টিপ্লাই করি:

7×343=x×xx2=2401x=2401x=49

উত্তর:



প্রশ্নবোধক চিহ্নের জায়গায় ৪৯ বসবে।
অর্থাৎ:

=
ক. ১৯৮০
খ. ২৮৪০
গ. ৩৮৪০
ঘ. ৪৬২০
ব্যাখ্যাঃ সমাধান:
প্রদত্ত নম্বর সিরিজটি হলো:
১, ২, ৮, ৪৮, ৩৮৪, ......

এই সিরিজের প্যাটার্নটি লক্ষ্য করি:
প্রথম পদ = ১
দ্বিতীয় পদ = ×=
তৃতীয় পদ = ×=
চতুর্থ পদ = ×=
পঞ্চম পদ = ×=

এখানে দেখা যাচ্ছে যে, প্রতিটি পদ তার পূর্ববর্তী পদের সাথে একটি জোড় সংখ্যা গুণ করে পাওয়া যাচ্ছে। এই জোড় সংখ্যাগুলো হলো ২, ৪, ৬, ৮...।

তাহলে, পরবর্তী জোড় সংখ্যাটি হবে ১০।
সুতরাং, ষষ্ঠ পদটি হবে:
৩৮৪ × ১০ = ৩৮৪০

নিচের নম্বর সিরিজে ৩৮৪০ বসবে।
ক. ১০
খ. ১৫
গ. ০৫
ঘ. ০৩
ব্যাখ্যাঃ সমাধান:

আপনার কাছে যা আছে:
পাঁচটি আধুলি = 5×50 পয়সা = 250 পয়সা
আটটা সিকি = 8×25 পয়সা = 200 পয়সা
মোট = 250+200=450 পয়সা

৫ টাকা = 5×100 পয়সা = 500 পয়সা

১০ পয়সার মুদ্রা দিয়ে প্রয়োজন:
500450=50 পয়সা

প্রয়োজনীয় ১০ পয়সার মুদ্রা সংখ্যা:
50÷10=5টি

সুতরাং, আরও ৫টি ১০ পয়সার মুদ্রা দিলে মোট ৫ টাকা হবে।
ক. ১১০
খ. ১৫০
গ. ১২৫
ঘ. ১৬০
ব্যাখ্যাঃ
ধরি, ১২ এর x শতাংশ ১৮ হবে।
তাহলে, আমরা লিখতে পারি:
×x=

এখন x এর মান বের করি:
x=
x=×
x=
x=
x=

সুতরাং, ১২ এর ১৫০ শতাংশ ১৮ হবে।
ক. মানুষের আচরণের মনস্তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা প্রদান
খ. মানুষের জীবনের সফলতার দিকগুলো আলোচনা
গ. সমাজে বসবাসকারী মানুষের আচরণ ব্যাখ্যা
ঘ. সমাজে বসবাসকারী মানুষের আচরণের আলোচনা ও মূল্যায়ন
ব্যাখ্যাঃ

নীতিবিদ্যা (Ethics) দর্শনের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা, যা মানুষের নৈতিক আচরণ, মূল্যবোধ এবং নীতির যৌক্তিক ও মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ নিয়ে আলোচনা করে। নীতিবিদ্যার প্রধান আলোচ্য বিষয়গুলো হলো:

১. আচরণ: নীতিবিদ্যার মূল আলোচ্য বিষয় হলো মানুষের স্বেচ্ছাকৃত কর্ম বা ঐচ্ছিক ক্রিয়া। এটি মানুষের এমনসব কাজ নিয়ে আলোচনা করে, যা মানুষ স্বাধীনভাবে ও বিচারবুদ্ধি প্রয়োগ করে সম্পন্ন করে। অনিচ্ছাকৃত বা বাধ্যতামূলক কাজ নীতিবিদ্যার আওতায় পড়ে না।

২. নৈতিক আদর্শ: নীতিবিদ্যা বিভিন্ন নৈতিক আদর্শ নিয়ে আলোচনা করে, যা মানুষের আচরণের ভালোত্ব বা মন্দত্ব বিচার করার ভিত্তি তৈরি করে। এটি চরম নৈতিক আদর্শ (যেমন - সত্য, মঙ্গল, সুন্দর) এবং কীভাবে এই আদর্শগুলো মানুষের জীবনে প্রয়োগ করা উচিত, তা নিয়ে অনুসন্ধান করে।

৩. নৈতিক বিচার: মানুষের আচরণের নৈতিক বিচার কী, কীভাবে এই বিচার করা হয়, এবং এই বিচারের ভিত্তি কী—এসব বিষয় নিয়ে নীতিবিদ্যা আলোচনা করে। নৈতিক বিচার প্রক্রিয়ায় উদ্দেশ্য, অভিপ্রায়, এবং ফলাফলের ভূমিকাও নীতিবিদ্যার আলোচ্য বিষয়।

৪. নৈতিক বাধ্যতাবোধ: কোন কাজ করা উচিত বা অনুচিত, তা নিয়ে মানুষের মনে যে বাধ্যতাবোধ বা তাগিদ কাজ করে, নীতিবিদ্যা তার স্বরূপ নির্ণয় করে। সৎকাজ করার এবং অসৎকাজ থেকে বিরত থাকার পেছনে কী ধরনের নৈতিক অনুভূতি কাজ করে, তা নিয়েও এটি আলোচনা করে।

৫. ইচ্ছার স্বাধীনতা, বুদ্ধি ও বিচারশক্তি, এবং ব্যক্তিত্ব: নৈতিক বিচারের জন্য মানুষের মধ্যে কিছু পূর্বস্বীকৃত গুণ থাকা প্রয়োজন। যেমন - ইচ্ছার স্বাধীনতা (freedom of will), বুদ্ধি ও বিচারশক্তি (intellect & reason), এবং ব্যক্তিত্ব (personality)। নীতিবিদ্যা এই বিষয়গুলোর স্বরূপ ও গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করে।

৬. কর্তব্য ও অধিকার: ব্যক্তি ও সমাজের সম্পর্কের ভিত্তিতে মানুষের কর্তব্য (duties) এবং অধিকার (rights) কী হওয়া উচিত, তা নীতিবিদ্যার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।

৭. নৈতিক ভাবাবেগ ও বিবেক: সৎকাজ করলে মানুষের মনে যে সন্তোষ বা নৈতিক গৌরব আসে এবং অসৎকাজ করলে যে অনুশোচনা বা অসন্তোষ আসে, তা নৈতিক ভাবাবেগের অংশ। বিবেক (conscience) কীভাবে নৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভূমিকা রাখে, সেটিও নীতিবিদ্যার আলোচ্য বিষয়।

সংক্ষেপে, নীতিবিদ্যা হলো একটি আদর্শনিষ্ঠ বিজ্ঞান যা সমাজে বসবাসকারী মানুষের নৈতিক আচরণ, তার ভালো-মন্দ, উচিত-অনুচিত এবং ন্যায়-অন্যায়ের বিচার ও বিশ্লেষণ করে।

ক. ঐচ্ছিক ক্রিয়া
খ. অনৈচ্ছিক ক্রিয়া
গ. ইচ্ছা নিরপেক্ষ ক্রিয়া
ঘ. ক ও গ নামক ক্রিয়া
ব্যাখ্যাঃ

মানুষের যে ক্রিয়া নীতিবিদ্যার আলোচ্য বিষয় তা হলো কঃ ঐচ্ছিক ক্রিয়া

নীতিবিদ্যা শুধুমাত্র মানুষের স্বেচ্ছাকৃত কর্ম বা ঐচ্ছিক ক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করে, কারণ এগুলোর পেছনে ব্যক্তির স্বাধীন ইচ্ছা ও বিচারবুদ্ধি কাজ করে এবং এগুলোর নৈতিক মূল্যায়ন সম্ভব। অনৈচ্ছিক বা ইচ্ছা নিরপেক্ষ ক্রিয়া, যেমন শ্বাস-প্রশ্বাস বা প্রতিবর্ত ক্রিয়া, মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকায় নীতিবিদ্যার আওতায় পড়ে না।

১৯৩. মূল্যবোধ (Values) কী?

[ বিসিএস ৩৫তম ]

ক. মানুষের আচরণ পরিচালনাকারী নীতি ও মানদণ্ড
খ. শুধুমাত্র মানুষের প্রাতিষ্ঠানিক কার্যাদি নির্ধারণের দিক নির্দেশনা
গ. সমাজ জীবনে মানুষের সুখী হওয়ার প্রয়োজনীয় মনোভাব
ঘ. মানুষের সঙ্গে মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ধারণ
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো কঃ মানুষের আচরণ পরিচালনাকারী নীতি ও মানদণ্ড

মূল্যবোধ হলো এমন কিছু বিশ্বাস, নীতি বা মানদণ্ড যা একজন ব্যক্তি বা একটি সমাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং যা মানুষের আচরণ, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও জীবনের উদ্দেশ্যকে পরিচালিত করে। এগুলো কী সঠিক, কী ভালো, কী আকাঙ্ক্ষিত, তা নির্ধারণে সাহায্য করে।

ক. আইনের শাসন
খ. নৈতিকতা
গ. সাম্য
ঘ. উপরের সবগুলো
ব্যাখ্যাঃ

সামাজিক মূল্যবোধের ভিত্তি হলো এমন সব মৌলিক উপাদান যা একটি সমাজের রীতিনীতি, আচরণ এবং কাঠামোকে ধারণ করে ও পরিচালিত করে। এই উপাদানগুলো একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত এবং সম্মিলিতভাবে সামাজিক মূল্যবোধকে শক্তিশালী করে।

  • কঃ আইনের শাসন: আইনের শাসন হলো একটি সমাজের ভিত্তি, যা সকল নাগরিকের জন্য সমান অধিকার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে। এটি সামাজিক শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে, যা সুস্থ মূল্যবোধ বিকাশের জন্য অপরিহার্য।
  • খঃ নৈতিকতা: নৈতিকতা হলো ভালো-মন্দের ধারণা এবং মানুষের আচরণকে পরিচালিত করার মূলনীতি। সামাজিক মূল্যবোধের গভীরে নৈতিকতা নিহিত, কারণ নৈতিকতার ভিত্তিতেই একটি সমাজ কী সঠিক এবং কী ভুল তা নির্ধারণ করে।
  • গঃ সাম্য: সাম্য বা সমতা হলো সমাজের প্রতিটি সদস্যের জন্য সমান সুযোগ ও মর্যাদার ধারণা। একটি সমাজে সাম্য প্রতিষ্ঠা হলে সেখানে অন্তর্ভুক্তিমূলক মূল্যবোধ গড়ে ওঠে এবং বৈষম্য কমে আসে।

এই তিনটি উপাদানই সামাজিক মূল্যবোধের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আইনের শাসন সমাজের শৃঙ্খলা বজায় রাখে, নৈতিকতা মানুষের আচরণকে সঠিক পথে পরিচালিত করে এবং সাম্য সকলের প্রতি ন্যায় ও সুবিচার নিশ্চিত করে। এই সবগুলো মিলেই একটি শক্তিশালী সামাজিক মূল্যবোধের ভিত্তি তৈরি হয়।

সুতরাং, সঠিক উত্তর হলো ঘঃ উপরের সবগুলো

ক. মত প্রকাশের স্বাধীনতা
খ. প্রশাসনের নিরপেক্ষতা
গ. নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা
ঘ. নিরপেক্ষ আইন ব্যবস্থা
ব্যাখ্যাঃ

গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় সুশাসন হলো একটি কাঙ্কিত বিষয়, যা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রশাসনের নিরপেক্ষতা, নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা, নিরপেক্ষ আইন ব্যবস্থা প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা ইত্যাদি বিষয়গুলো পূর্ণমাত্রায় বজায় থাকলেও যদি মত প্রকাশের স্বাধীনতা বিষয়টি না থাকে তাহলে স্বাভাবিকভাবেই সুশাসন থাকে না। কেননা, মত প্রকাশের স্বাধীনতার মাধ্যমেই রাষ্ট্রীয় যাবতীয় কাজের সমালোচনা করে সুন্দর রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়।

ক. সুশাসনের সামাজিক দিক
খ. সুশাসনের অর্থনৈতিক দিক
গ. সুশাসনের মূল্যবোধের দিক
ঘ. সুশাসনের গণতান্ত্রিক দিক
ব্যাখ্যাঃ

সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য (Millennium Development Goals - MDGs) হলো ২০০০ সালে জাতিসংঘের সহস্রাব্দ শীর্ষ সম্মেলনে গৃহীত আটটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন লক্ষ্য। এই লক্ষ্যগুলো ২০১৫ সালের মধ্যে অর্জন করার জন্য বিশ্বের ১৯১টি জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্র এবং কমপক্ষে ২২টি আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছিল।

এমডিজি-র প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ২১ শতকের শুরুতে বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন চ্যালেঞ্জগুলোকে মোকাবেলা করা এবং একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে পরিমাপযোগ্য লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা। এর মাধ্যমে চরম দারিদ্র্য ও ক্ষুধার মতো মৌলিক সমস্যাগুলো থেকে বিশ্বকে মুক্ত করার একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা শুরু হয়।

ক. ধারা ০৭
খ. ধারা ২৭
গ. ধারা ৩৭
ঘ. ধারা ৪৭
ব্যাখ্যাঃ

"আইনের চোখে সব নাগরিক সমান।" - বাংলাদেশের সংবিধানের ২৭ নম্বর ধারায় এই নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে। এই ধারাটি আইনের দৃষ্টিতে সমতা নিশ্চিত করে।

ক. টেকসই উন্নয়ন
খ. সাংস্কৃতিক উন্নয়ন
গ. ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন
ঘ. উপরের কোনোটিই নয়
ব্যাখ্যাঃ

Johannesburg Plan of Implementation (JPOI) হলো ২০০২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত World Summit on Sustainable Development (WSSD)-এর একটি প্রধান ফলাফল। এই পরিকল্পনাটি টেকসই উন্নয়ন (Sustainable Development)-এর প্রতি বিশ্বব্যাপী অঙ্গীকারকে পুনর্ব্যক্ত করে এবং এটিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের রূপরেখা দেয়।

JPOI-এর মূল ফোকাস ছিল দারিদ্র্য দূরীকরণ, উৎপাদন ও ভোগের টেকসই ধরন পরিবর্তন এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন অর্জন করা। যদিও সুশাসনের ধারণা (যেমন গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, আইনের শাসন, দুর্নীতি দমন) টেকসই উন্নয়নের জন্য একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করে বলে JPOI-তে উল্লেখ করা হয়েছে, এর প্রধান এবং অধিকতর গুরুত্বের বিষয় ছিল টেকসই উন্নয়ন

সুতরাং, সঠিক উত্তর হলো: কঃ টেকসই উন্নয়ন

ক. জাতিসংঘ
খ. ইউএনডিপি
গ. বিশ্বব্যাংক
ঘ. আইএমএফ
ব্যাখ্যাঃ

'সুশাসন' (Good Governance) শব্দটি সর্বপ্রথম সুস্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করে বিশ্বব্যাংক (World Bank)

১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংক আফ্রিকার উন্নয়ন নিয়ে তাদের এক রিপোর্টে (Sub-Saharan Africa: From Crisis to Sustainable Growth) এই শব্দটি ব্যবহার করে এবং এর একটি বিস্তারিত ব্যাখ্যা প্রদান করে। এরপর থেকে সুশাসন ধারণাটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন আলোচনায় একটি কেন্দ্রীয় বিষয় হয়ে ওঠে।

ক. সামাজিক অবক্ষয়ের
খ. মূল্যবোধ অবক্ষয়ের
গ. সুশাসনের
ঘ. শিক্ষার গুণগতমানের
ব্যাখ্যাঃ

নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী গণমাধ্যমের অনুপস্থিতি একটি সুস্থ ও গণতান্ত্রিক সমাজের জন্য বহুবিধ অন্তরায় সৃষ্টি করে। এর প্রধান কিছু দিক নিচে তুলে ধরা হলো:

১. সুশাসনের অন্তরায়: এটি সবচেয়ে বড় অন্তরায়। নিরপেক্ষ গণমাধ্যম সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে এবং দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অস্বচ্ছতা প্রকাশ করে। গণমাধ্যম নিরপেক্ষ না হলে সরকার বা ক্ষমতাশীলদের ভুল পদক্ষেপ, অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর প্রকাশিত হয় না, ফলে সুশাসন ব্যাহত হয়।

২. গণতন্ত্রের অন্তরায়: গণতন্ত্রে জনগণের মতামত এবং তথ্যের অবাধ প্রবাহ অত্যন্ত জরুরি। নিরপেক্ষ গণমাধ্যম না থাকলে জনগণ সঠিক তথ্য থেকে বঞ্চিত হয়, ফলে তারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া দুর্বল হয়ে পড়ে। এটি জনগণের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা ও অংশগ্রহণে বাধা দেয়।

৩. মত প্রকাশের স্বাধীনতার অন্তরায়: গণমাধ্যমই হলো সাধারণ মানুষের মত প্রকাশের অন্যতম প্রধান মাধ্যম। যদি গণমাধ্যম শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ না হয়, তাহলে ভিন্নমত ও সমালোচনামূলক কণ্ঠস্বরগুলো প্রকাশের সুযোগ পায় না, যা মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে খর্ব করে।

৪. জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার অভাব: একটি শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ গণমাধ্যম সরকার, প্রশাসন এবং অন্যান্য ক্ষমতাধর প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে। এর অনুপস্থিতিতে এসব প্রতিষ্ঠান স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠতে পারে।

৫. তথ্য বিকৃতি ও গুজব: নিরপেক্ষ গণমাধ্যম না থাকলে তথ্য বিকৃতি, মিথ্যা সংবাদ এবং গুজবের বিস্তার ঘটে। এতে সমাজে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়, জনমনে অবিশ্বাস বাড়ে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে।

৬. দুর্নীতি বৃদ্ধি: গণমাধ্যমকে প্রায়শই "চতুর্থ স্তম্ভ" বলা হয়, যা সরকার ও সমাজের অন্যান্য স্তম্ভের ওপর নজর রাখে। এর অনুপস্থিতি দুর্নীতিবাজদের অবাধে কাজ করার সুযোগ করে দেয়, কারণ তাদের অপকর্ম প্রকাশের ভয় থাকে না।

৭. সামাজিক ন্যায়বিচারের অভাব: নিরপেক্ষ গণমাধ্যম সমাজের বঞ্চিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কণ্ঠস্বর হতে পারে। এর অনুপস্থিতিতে তাদের সমস্যাগুলো সমাজের সামনে আসে না, ফলে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়।

৮. উন্নয়নের অন্তরায়: সঠিক তথ্য প্রবাহ এবং সরকারের গঠনমূলক সমালোচনার অভাবে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে ত্রুটি থাকতে পারে, দুর্নীতির কারণে সম্পদের অপচয় হতে পারে এবং জনকল্যাণমূলক উদ্যোগগুলো সফল নাও হতে পারে, যা সামগ্রিক উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করে।

সংক্ষেপে, নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী গণমাধ্যমের অনুপস্থিতি একটি সমাজের গণতন্ত্র, সুশাসন, মানবাধিকার এবং সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য মারাত্মক অন্তরায়।