আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
15

প্রশ্নঃ ট্রাম্প-কিম শীর্ষ বৈঠকটি সিঙ্গাপুরের কোথায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল?

[ বিসিএস ৩৯তম ]

ক. ইস্টানা আইল্যান্ড
খ. সেনার আয়ল্যান্ড
গ. ম্যারিনা বে
ঘ. সেন্তোসা
উত্তরঃ সেন্তোসা
ব্যাখ্যাঃ

ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন তিনি উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সাথে ঐতিহাসিক কিছু শীর্ষ বৈঠক করেছিলেন। এই বৈঠকগুলো ছিল উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচির ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনার জন্য একটি অভাবনীয় কূটনৈতিক প্রচেষ্টা।

মূলত দুটি প্রধান শীর্ষ বৈঠক হয়েছিল:

১. প্রথম ট্রাম্প-কিম শীর্ষ বৈঠক (সিঙ্গাপুর, ১২ জুন, ২০১৮):

  • স্থান: সিঙ্গাপুরের সেন্তোসা দ্বীপের ক্যাপেলা হোটেল।
  • গুরুত্ব: এটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের একজন ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট এবং উত্তর কোরিয়ার একজন সর্বোচ্চ নেতার মধ্যে প্রথম বৈঠক। এর আগে কোনো আমেরিকান প্রেসিডেন্ট উত্তর কোরিয়ার নেতার সাথে সরাসরি সাক্ষাৎ করেননি।
  • আলোচনার বিষয়: উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ, কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি স্থাপন এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিককরণ।
  • ফলাফল: বৈঠকের পর একটি যৌথ বিবৃতি স্বাক্ষরিত হয়, যেখানে কিম জং উন কোরীয় উপদ্বীপের "সম্পূর্ণ পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের" প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন। তবে, এর বিস্তারিত রোডম্যাপ বা সময়সীমা স্পষ্ট ছিল না। ট্রাম্প উত্তর কোরিয়াকে নিরাপত্তা গ্যারান্টি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

২. দ্বিতীয় ট্রাম্প-কিম শীর্ষ বৈঠক (হ্যানয়, ভিয়েতনাম, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯):

  • স্থান: ভিয়েতনামের হ্যানয়।
  • গুরুত্ব: প্রথম বৈঠকের পর পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে তেমন অগ্রগতি না হওয়ায় এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
  • আলোচনার বিষয়: উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ভেঙে ফেলা এবং এর বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা।
  • ফলাফল: এই বৈঠকটি কোনো চুক্তি ছাড়াই শেষ হয়। উভয় পক্ষই নিজ নিজ অবস্থানে অনড় থাকে। যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার সকল পারমাণবিক স্থাপনা ও অস্ত্রশস্ত্র নিরস্ত্রীকরণের দাবি জানায়, আর উত্তর কোরিয়া শুধু তাদের প্রধান পারমাণবিক কমপ্লেক্স ইয়ংবিয়ন (Yongbyon) বন্ধ করার বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি করে। মতানৈক্যের কারণে কোনো যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর হয়নি।

এই বৈঠকগুলো আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে এক নতুন ধারার সূচনা করেছিল, যদিও পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের ক্ষেত্রে এগুলোর দীর্ঘমেয়াদী সাফল্য সীমিত ছিল। এই বৈঠকগুলো উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকি মোকাবিলায় এক ভিন্ন কূটনৈতিক কৌশল হিসেবে বিবেচিত হয়।