প্রশ্নঃ ‘সবুজপত্র’ পত্রিকাটির সম্পাদক কে?
[ বিসিএস ৪২তম ]
সঠিক উত্তর হলো গঃ প্রমথ চৌধুরী।
'সবুজপত্র' পত্রিকাটির সম্পাদক ছিলেন প্রমথ চৌধুরী। এটি বাংলা সাহিত্যের একটি প্রভাবশালী পত্রিকা হিসেবে পরিচিত, যা ১৯১৪ সালে প্রকাশিত হয় এবং বাংলা সাহিত্যে নতুন গদ্যশৈলী ও চিন্তাভাবনার জন্ম দিয়েছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই পত্রিকার একজন নিয়মিত লেখক ছিলেন, তবে এর সম্পাদক ছিলেন প্রমথ চৌধুরী।
Related MCQ
প্রশ্নঃ ‘বীরবল’ কোন লেখকের ছদ্মনাম?
[ বিসিএস ৩৮তম ]
বীরবল ছিলেন বিখ্যাত সাহিত্যিক প্রমথ চৌধুরীর ছদ্মনাম। তিনি বাংলা সাহিত্যে চলিত রীতির প্রবর্তন এবং 'সবুজপত্র' পত্রিকা সম্পাদনার জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। তার প্রবন্ধগুলো 'বীরবলের হালখাতা' নামেও পরিচিত।
প্রশ্নঃ ‘বীরবল’ ছদ্মনামে কে লিখতেন?
[ বিসিএস ৩২তম ]
‘বীরবল’ ছদ্মনামটি ব্যবহার করতেন প্রমথ চৌধুরী।
তিনি ছিলেন একজন বাঙালি লেখক, যিনি বাংলা সাহিত্যে চলিত ভাষার প্রচলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তাঁর সম্পাদিত 'সবুজপত্র' পত্রিকাটি বাংলা সাহিত্যে চলিত ভাষার ব্যবহারকে জনপ্রিয় করে তুলেছিল।
প্রমথ চৌধুরী সম্পাদিত ‘সবুজ পত্র’ বাংলা সাময়িক পত্র হিসেবে প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯১৪ সালে। প্রমথ চৌধুরী বীরবলী রীতি নামে যে কথ্য ভাষারীতির সাহিত্য প্রচলন করে যুগান্তর এনেছিলেন তা প্রচারের মাধ্যম ছিল এই ‘সবুজপত্র’। পত্রিকাটি বৈশাখ ১৩২১ বঙ্গাদ্বে প্রথম প্রকাশিত হয় এবং তের বছর চলে। এই পত্রিকাকে কেন্দ্র করে এক নুতন সাহিত্যগোষ্ঠী এবং সাহিত্যিক আদর্শ গড়ে ওঠে। বাংলাগদ্যে চলিতরীতি প্রতিষ্ঠা লাভ করে সবুজপত্র পত্রিকার হাত ধরেই। এই পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথ ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন।
‘জ্যাঠামি’ শব্দের অর্থ বাচালতা, পাকামি, অকালপক্বতা ইত্যাদি আর ‘ন্যাকামি’ শব্দের অর্থ - সারল্য বা সাধুতার ভানকারী, অজ্ঞতার ভান ইত্যাদি। বাংলা সাহিত্যে চলিত ভাষার প্রবর্তক প্রমথ চৌধুরী ছিলেন মার্জিত রুচির নাগরিক, প্রখর বুদ্ধিদীপ্ত ও অপূর্ব বাক-চাতুর্যের অধিকারী। সাহিত্যের উদ্দেশ্য সম্পর্কে তার মত হলো- ‘সাহিত্যের উদ্দেশ্য হচ্ছে সকলকে আনন্দ দান করা, কারও মনোরঞ্জন নয়। সাহিত্য ছেলের হাতের খেলনাও নয়, গুরুর হাতের বেতও নয়।
প্রশ্নঃ ‘ভাষা মানুষের মুখ থেকে কলমের মুখে আসে, উল্টোটা করতে গেলে মুখে শুধু কালি পড়ে’, বলেছেন-
[ বিসিএস ২৪তম ]
বাংলা সাহিত্যের বিশিষ্ট সাহিত্যিক প্রমথ চৌধুরী (১৮৬৮-১৯৪৬ খ্রি) কর্তৃক উপরিউক্ত পঙ্ক্তি রচিত। প্রমথ চৌধুরী কর্তৃক আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পঙ্ক্তি হলো ‘সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত’।
প্রশ্নঃ ‘বীরবল’ নিম্নোক্ত একজন লেখকের ছদ্দনাম-
[ বিসিএস ১৭তম ]
বাংলা গদ্যে চলিত রীতির প্রবর্তক প্রমথ চৌধুরী। বীরবল ছদ্মনামে তিনি লিখেছেন ‘বীরবলের হালখাতা’। চলিত রীতিকে বাংলা গদ্যে প্রতিষ্ঠা করার জন্য তিনি সম্পাদনা করেন বিখ্যাত পত্রিকা ‘সবুজপত্র’ (১৯১৪)। বাংলা কাব্যসাহিত্যে তিনি ইতালীয় সনেটের প্রবর্তন করেন। তার রচিত বিখ্যাত প্রবন্ধগ্রন্হ- তেল নুন লাকড়ি, বীরবলের হালখাতা ও রায়তের কথা; গল্পগ্রন্হ- চার ইয়ারী কথা ও আহুতি; কাব্যগ্রন্হ- সনেট পঞ্চাশৎ।
প্রশ্নঃ ‘সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত’ এই উক্তিটি কার?
[ বিসিএস ১৫তম ]
বাংলা গদ্যে চলিত রীতির প্রবর্তক প্রমথ চৌধুরী। বীরবল ছদ্মনামে তিনি লিখেছেন ‘বীরবলের হালখাতা’। চলিত রীতিকে বাংলা গদ্যে প্রতিষ্ঠা করার জন্য তিনি সম্পাদনা করেন বিখ্যাত পত্রিকা ‘সবুজপত্র’ (১৯১৪)। বাংলা কাব্যসাহিত্যে তিনি ইতালীয় সনেটের প্রবর্তন করেন। তার রচিত বিখ্যাত প্রবন্ধগ্রন্হ- তেল নুন লাকড়ি, বীরবলের হালখাতা ও রায়তের কথা; গল্পগ্রন্হ- চার ইয়ারী কথা ও আহুতি; কাব্যগ্রন্হ- সনেট পঞ্চাশৎ। তার আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উক্তি হলো “ভাষা মানুষের মুখ থেকে কলমের মুখে আসে, উল্টোটা করতে গেলে মুখে শুধু কালি পড়ে”, “সাহিত্য ছেলের হাতের খেলনাও নয়, গুরুর হাতের বেতও নয়”, “সাহিত্য জাতির দর্পণ স্বরূপ”, “বাংলা ভাষা আহত হয়েছে সিলেটে আর নিহত হয়েছে চট্টগ্রামে”, “সাহিত্যের উদ্দেশ্য সকলকে আনন্দ দেওয়া, কারও মনোরঞ্জন করা নয়”।
প্রশ্নঃ কোন খ্যাতিমান লেখক ‘বীরবল’ ছদ্মনামে লিখতেন?
[ বিসিএস ১৪তম ]
বাংলা গদ্যে চলিত রীতির প্রবর্তক প্রমথ চৌধুরী। বীরবল ছদ্মনামে তিনি লিখেছেন ‘বীরবলের হালখাতা’। চলিত রীতিকে বাংলা গদ্যে প্রতিষ্ঠা করার জন্য তিনি সম্পাদনা করেন বিখ্যাত পত্রিকা ‘সবুজপত্র’ (১৯১৪)। তার রচিত বিখ্যাত প্রবন্ধগ্রন্হ- তেল নুন লাকড়ি, বীরবলের হালখাতা ও রায়তের কথা; গল্পগ্রন্হ- চার ইয়ারী কথা ও আহুতি; কাব্যগ্রন্হ- সনেট পঞ্চাশৎ।