আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
15

প্রশ্নঃ সংবিধানের চেতনার বিপরীতে সামরিক শাসনকে বৈধতা দিতে কোন তফসিলের অপব্যবহার করা হয়?

[ বিসিএস ৪১তম ]

ক. ৪র্থ তফসিল
খ. ৫ম তফসিল
গ. ৬ষ্ঠ তফসিল
ঘ. ৭ম তফসিল
উত্তরঃ ৪র্থ তফসিল
ব্যাখ্যাঃ

সংবিধানের চেতনার বিপরীতে সামরিক শাসনকে বৈধতা দিতে চতুর্থ তফসিল-এর অপব্যবহার করা হয়েছে।

বাংলাদেশের সংবিধানের চতুর্থ তফসিলে মূলত ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী সময়ে জারিকৃত কিছু আইন ও অধ্যাদেশকে সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। এর উদ্দেশ্য ছিল স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় গঠিত অস্থায়ী সরকারের কার্যক্রম এবং স্বাধীনতা অর্জনের জন্য গৃহীত পদক্ষেপগুলোর ধারাবাহিকতা রক্ষা করা।

তবে, পরবর্তীকালে সামরিক শাসকরা এই তফসিলের ভুল ব্যাখ্যা করে বা এর আওতা সম্প্রসারিত করে তাদের অবৈধ ক্ষমতা দখলকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তারা যুক্তি দেখিয়েছেন যে তাদের জারি করা সামরিক ফরমান বা অধ্যাদেশও এই তফসিলের অধীনে সুরক্ষিত, কারণ তারা রাষ্ট্র পরিচালনার "প্রয়োজনীয়তা" থেকে এগুলো জারি করেছেন।

এই অপব্যবহারের মাধ্যমে সংবিধানের মূল চেতনা, গণতন্ত্র এবং জনগণের সার্বভৌমত্বের নীতিকে লঙ্ঘন করা হয়েছে। চতুর্থ তফসিলের মূল উদ্দেশ্য ছিল একটি বিশেষ প্রেক্ষাপটে আইনি ধারাবাহিকতা রক্ষা করা, কিন্তু সামরিক শাসকরা এটিকে তাদের অসাংবিধানিক কর্মকাণ্ডকে বৈধতা দেওয়ার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছেন।

সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে এই ধরনের অপব্যবহার রোধ করার চেষ্টা করা হয়েছে এবং সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকে অপরিবর্তনীয় ঘোষণা করা হয়েছে।