আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
16

বিসিএস ৩৮তম

পরীক্ষারঃ বিসিএস প্রিলিমিনারি টেস্ট

মোট বহুনির্বাচনি প্রশ্নঃ 200

মোট মার্কঃ 200

পরীক্ষার সময়ঃ 02:00:00

প্রকাশের তারিখঃ 29.12.2017

 শূণ্য
 ত্রিভুজ
 পূন্য
 ভূবন
ব্যাখ্যাঃ

শুদ্ধ বানান শব্দটি হলো ত্রিভুজ

ব্যাখ্যা:

  • কঃ শূণ্য - ভুল। শুদ্ধ বানান হলো শূন্য
  • গঃ পূন্য - ভুল। শুদ্ধ বানান হলো পুণ্য
  • ঘঃ ভূবন - ভুল। শুদ্ধ বানান হলো ভুবন
 জবাবদিহি
 মিথস্ক্রিয়া
 একত্রিত
 গৌরবিত
ব্যাখ্যাঃ

অপপ্রয়োগ ঘটেছে একত্রিত শব্দটিতে।

কারণ:

  • একত্রিত শব্দটি নিজেই একটি ক্রিয়া বিশেষ্য। এর অর্থ 'একত্র করা হয়েছে এমন' বা 'একত্র হওয়া'। 'একত্র' শব্দটির সঙ্গেই 'ইত' প্রত্যয় যোগ করে এর ক্রিয়া সম্পন্ন রূপ বোঝানো হয়। 'করা' বা 'হওয়া' ক্রিয়াপদ যুক্ত না করাই উচিত।
  • সঠিক প্রয়োগ: কেবল একত্র ব্যবহার করাই যথেষ্ট। যেমন: "আমরা সবাই একত্র হলাম।" বা "সকল কাগজপত্র একত্র করুন।"

অন্যান্য বিকল্পগুলো শুদ্ধ প্রয়োগ:

  • জবাবদিহি: 'জবাব' এবং 'দিহি' শব্দাংশ দিয়ে গঠিত এটি একটি শুদ্ধ যৌগিক শব্দ, যার অর্থ জবাব দেওয়া বা কৈফিয়ত দেওয়া।
  • মিথস্ক্রিয়া: 'মিথস' (পরস্পর) এবং 'ক্রিয়া' (কাজ) দিয়ে গঠিত একটি শুদ্ধ যৌগিক শব্দ, যার অর্থ পারস্পরিক ক্রিয়া বা পারস্পরিক প্রভাব।
  • গৌরবিত: 'গৌরব' শব্দের সাথে 'ইত' প্রত্যয় যোগে গঠিত একটি শুদ্ধ বিশেষণ, যার অর্থ গৌরবযুক্ত বা সম্মানিত।
 ৭টি
 ৮টি
 ৬টি
 ১১টি
ব্যাখ্যাঃ

বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত মৌলিক স্বরধ্বনি হলো ৭টি

এগুলো হলো:

  1. (যেমন: কল্, কম্)
  2. (যেমন: আম, বাবা)
  3. (যেমন: ইঁদুর, ডিম)
  4. (যেমন: উড়াল, চুল)
  5. (যেমন: তেল, দেশ)
  6. (যেমন: বোন, ছোট)
  7. অ্যা (যেমন: ব্যাট, ব্যাগ - এই ধ্বনিটি যদিও বাংলা বর্ণমালায় সরাসরি নেই, উচ্চারণের সময় এটি একটি মৌলিক স্বরধ্বনি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।)

এই সাতটি স্বরধ্বনিকে জিহ্বার অবস্থান এবং ঠোঁটের প্রসারণের ভিত্তিতে মৌলিক হিসেবে ধরা হয়, অর্থাৎ এদেরকে ভাঙলে আর কোনো ছোট ধ্বনিতে বিশ্লেষণ করা যায় না।

 সংস্কৃত
 হিন্দি
 অহমিয়া
 তুর্কি
ব্যাখ্যাঃ

'বাবা' শব্দটি একটি তুর্কি ভাষা থেকে আগত শব্দ। এটি বাংলা ভাষায় আগত অসংখ্য বিদেশি শব্দের মধ্যে একটি।

 বাতিল
 পালাবদল
 মামুলি
 নিরপেক্ষ
ব্যাখ্যাঃ

‘Null and void’ -এর বাংলা পরিভাষা হলো বাতিল

'Null and void' একটি আইনি শব্দগুচ্ছ, যার অর্থ হলো কোনো চুক্তি, আইন বা সিদ্ধান্ত কার্যকর নয়, অকার্যকর বা অবৈধ। এর সবচেয়ে উপযুক্ত বাংলা পরিভাষা হলো 'বাতিল'।

৬. কোনটি শুদ্ধ বানান?

[ বিসিএস ৩৮তম ]

 স্বায়ত্তশাসন
 সায়ত্তশাসন
 সায়ত্ত্বশাসন
 স্বায়ত্বশাসন
ব্যাখ্যাঃ

এখানে সঠিক বানান হলো স্বায়ত্তশাসন। এর ব্যাখ্যা নিচে দেওয়া হলো:

  • স্বায়ত্তশাসন (Self-governance / Autonomy) শব্দটি এসেছে 'স্বয়ং' এবং 'শাসন' শব্দ দুটি থেকে।
  • 'স্বয়ং' শব্দের অর্থ 'নিজ' বা 'নিজের'।
  • বাংলা বানানের নিয়ম অনুযায়ী, 'স্বয়ং' শব্দের সঙ্গে অন্য শব্দ যুক্ত হলে 'য়' এর পরে 'ত্ত' (দ্বিত্ব ত) আসে।

তাই, 'নিজের দ্বারা শাসন' বা 'নিজেকে শাসন' বোঝাতে স্বায়ত্তশাসন শব্দটি সঠিক বানানে লেখা হয়।

 দেশি
 বিদেশি
 তদ্ভব
 অর্ধ-তৎসম
ব্যাখ্যাঃ

‘গিন্নি’ শব্দটি হলো ঘঃ অর্ধ-তৎসম শব্দ।

ব্যাখ্যা:

  • অর্ধ-তৎসম শব্দ হলো সেইসব শব্দ যা সংস্কৃত ভাষা থেকে কিছুটা পরিবর্তিত হয়ে বাংলা ভাষায় এসেছে। এগুলোকে 'তৎসম' (সংস্কৃতের মতো) এবং 'তদ্ভব' (সংস্কৃত থেকে উদ্ভূত) শব্দের মাঝামাঝি ধরা হয়।
  • 'গিন্নি' শব্দটি এসেছে সংস্কৃত 'গৃহিণী' থেকে। 'গৃহিণী' থেকে পরিবর্তিত হয়ে এটি প্রথমে 'গিন্নী' এবং পরে 'গিন্নি' রূপ ধারণ করেছে। তাই এটি একটি অর্ধ-তৎসম শব্দ।
 শ্রৎ + √ধা + অ + আ
 শ্ৰৎ + √ধা + আ
 শ + √ধা + আ
 শ্রু + √ধা + আ
ব্যাখ্যাঃ

'শ্রদ্ধা' শব্দের সঠিক প্রকৃতি-প্রত্যয় হলো:

শ্রৎ + √ধা + অ + আ (টাপ্)

এখানে:

  • শ্রৎ = এটি একটি অব্যয় পদ, যার অর্থ 'বিশ্বাস' বা 'আস্থা'।
  • √ধা = এটি 'ধা' ধাতু, যার অর্থ 'ধারণ করা' বা 'স্থাপন করা'।
  • = কৃৎপ্রত্যয়।
  • আ (টাপ্) = স্ত্রীলিঙ্গবাচক তদ্ধিত প্রত্যয়।

সুতরাং, 'শ্রদ্ধা' শব্দের অর্থ 'বিশ্বাস স্থাপন' বা 'আস্থা রাখা'।

 তৎপুরুষ
 কর্মধারয়
 অব্যয়ীভাব
 বহুব্রীহি
ব্যাখ্যাঃ

'পুষ্পসৌরভ' হলো ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস

ব্যাসবাক্য: পুষ্পের সৌরভ

এখানে 'পুষ্পের' পদটির ষষ্ঠী বিভক্তি ('এর') লোপ পেয়ে 'পুষ্পসৌরভ' শব্দটি গঠিত হয়েছে। যে তৎপুরুষ সমাসে পূর্বপদের ষষ্ঠী বিভক্তি (র, এর) লোপ পায়, তাকে ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস বলে।

 অর্ণব
 অর্ক
 প্রসূন
 পলব
ব্যাখ্যাঃ

'সূর্য' শব্দের সমার্থক শব্দ হলো অর্ক

ব্যাখ্যা:

  • কঃ অর্ণব: এর অর্থ সমুদ্র বা সাগর।
  • খঃ অর্ক: এটি সূর্যের একটি প্রতিশব্দ।
  • গঃ প্রসূন: এর অর্থ ফুল।
  • ঘঃ পলব: এর অর্থ পাতা বা নতুন পাতা।
 হ্ + ম
 ক্ + ষ
 ষ্ + ম
 ম্ + হ
ব্যাখ্যাঃ

'হ্ম' যুক্তবর্ণটি 'হ্' (হ) এবং 'ম' (ম) বর্ণ দুটির সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে।

  • খঃ ক্ + ষ: এই দুটি ব্যঞ্জনবর্ণ মিলে গঠিত হয় ক্ষ যুক্তবর্ণ। যেমন: ক্ষমা, পক্ষ, শিক্ষা।
  • গঃ ষ + ম: এই দুটি ব্যঞ্জনবর্ণ মিলে গঠিত হয় ষ্ম যুক্তবর্ণ। যেমন: গ্রীষ্ম, উষ্মা, ভস্ম।
  • ঘঃ ম্ + হ: এই দুটি ব্যঞ্জনবর্ণ মিলে গঠিত হয় ম্হ যুক্তবর্ণ। এটি সাধারণত ব্যবহৃত হয় না, কারণ 'হ' এর সাথে 'ম' যুক্ত হলে 'হ্ম' (হ্ + ম) হয়। বাংলায় 'ম্হ' এর প্রচলন নেই।
 সৎ + জাত
 সদ্যো + জাত
 সদ্যঃ + জাত
 সদ্য + জাত
ব্যাখ্যাঃ

'সদ্যোজাত' শব্দের শুদ্ধ সন্ধিবিচ্ছেদ হলো:

সদ্যঃ + জাত

এটি একটি বিসর্গ সন্ধির উদাহরণ। এখানে বিসর্গ (ঃ) এর পর 'জ' থাকায় বিসর্গটি 'ও' কারে রূপান্তরিত হয়েছে।

 ত্যক্ত
 গ্রাহ্য
 দৃঢ়
 গূঢ়
ব্যাখ্যাঃ

'ব্যক্ত' এর বিপরীতার্থক শব্দ হলো 'গূঢ়'

  • ব্যক্ত শব্দের অর্থ হলো যা প্রকাশিত, স্পষ্ট, বা স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে।
  • গূঢ় শব্দের অর্থ হলো যা গোপন, লুকানো, বা রহস্যময়।

অন্যান্য বিকল্পগুলো:

  • ত্যক্ত: এর অর্থ যা ত্যাগ করা হয়েছে।
  • গ্রাহ্য: এর অর্থ যা গ্রহণীয় বা মান্য।
  • দৃঢ়: এর অর্থ মজবুত বা অবিচল।
 চামার
 ধারালো
 মোড়ক
 পোষ্টাই
ব্যাখ্যাঃ

বাংলা কৃৎ-প্রত্যয় সাধিত শব্দ হলো গঃ মোড়ক

ব্যাখ্যা:

  • কৃৎ-প্রত্যয়: ধাতুর (ক্রিয়ামূলের) শেষে যে প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে, তাকে কৃৎ-প্রত্যয় বলে। কৃৎ-প্রত্যয় সাধিত শব্দগুলো বিশেষ্য বা বিশেষণ পদ হয়।

  • মোড়ক: এটি 'মুড়' (ধাতু/ক্রিয়াপদ 'মোড়া' থেকে) + 'অক' (কৃৎ-প্রত্যয়) দিয়ে গঠিত হয়েছে। 'মোড়া' একটি ক্রিয়া, এবং 'মোড়ক' মানে যা দিয়ে মোড়ানো হয় বা মোড়ানো বস্তু।

অন্যান্য বিকল্পগুলো:

  • কঃ চামার: এটি একটি তদ্ধিত প্রত্যয় সাধিত শব্দ (চাম + আর)। 'চাম' বিশেষ্য পদ।
  • খঃ ধারালো: এটিও তদ্ধিত প্রত্যয় সাধিত শব্দ (ধার + আলো)। 'ধার' বিশেষ্য পদ।
  • ঘঃ পোষ্টাই: এটি একটি আঞ্চলিক শব্দ বা ভিন্ন প্রকৃতির হতে পারে, কিন্তু এটি সরাসরি কৃৎ-প্রত্যয় সাধিত শব্দের উদাহরণ নয়।
 আকাঙক্ষা
 যোগ্যতা
 আসক্তি
 আসত্তি
ব্যাখ্যাঃ

আসক্তি সার্থক বাক্যের গুণ নয়।

ব্যাখ্যা:

একটি সার্থক বাক্যের তিনটি গুণ রয়েছে: ১. আকাঙ্ক্ষা: একটি পদের পর অন্য পদ শোনার ইচ্ছা। ২. যোগ্যতা: বাক্যের পদগুলোর মধ্যে অর্থগত ও ভাবগত সঙ্গতি। ৩. আসত্তি (নৈকট্য): বাক্যের পদগুলোকে সুবিন্যস্তভাবে ও পরপর সাজিয়ে লেখা।

আসক্তি শব্দের অর্থ হলো গভীর অনুরাগ, আকর্ষণ বা আসক্ত হওয়া। এটি সার্থক বাক্যের কোনো গুণ নয়। 'আসক্তি' একটি মানসিক অবস্থা, যা ব্যাকরণের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত নয়।

 পদাবলি
 ধামালি
 প্রেমগীতি
 নাটগীতি (নাট্যগীতি)
ব্যাখ্যাঃ

'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্যটি মূলত নাটগীতি বা আখ্যানধর্মী ও সংলাপের আকারে রচিত কাব্য

গঠনরীতিতে 'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্যের বৈশিষ্ট্য:

'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্যটি মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের প্রথম নিদর্শন এবং এর গঠনরীতিতে কিছু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে:

  • সংলাপধর্মিতা ও নাটকীয়তা: এই কাব্যের প্রধান তিনটি চরিত্র হলো রাধা, কৃষ্ণ এবং বড়াই। তাদের মধ্যে যে কথোপকথন বা উক্তি-প্রত্যুক্তি রয়েছে, তা এটিকে একটি নাটকীয় রূপ দিয়েছে। প্রতিটি খণ্ড যেন একটি ছোট নাটকের মতো, যেখানে চরিত্রের মনোভাবের ঘাত-প্রতিঘাত সংলাপের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এই কারণে অনেক গবেষক এটিকে 'নাটগীতি' বা 'চিত্রনাটগীতি' নামে অভিহিত করেন, অর্থাৎ গান এবং নাটকের মিশ্রণ।

  • খণ্ড বিভক্ত: কাব্যটি মোট ১৩টি খণ্ডে বিভক্ত। এই খণ্ডগুলো হলো: জন্মখণ্ড, তাম্বূলখণ্ড, দানখণ্ড, নৌকাখণ্ড, ভারখণ্ড, ছত্রখণ্ড, বৃন্দাবনখণ্ড, কালীয়দমনখণ্ড, বস্ত্রহরণখণ্ড, হারখণ্ড, বাণখণ্ড, বংশীখণ্ড ও রাধাবিরহ। প্রতিটি খণ্ডের বিষয়বস্তু রাধা-কৃষ্ণের প্রেমলীলার এক একটি পর্যায়কে তুলে ধরে।

  • আখ্যানধর্মী: এটি একটি আখ্যানধর্মী কাব্য, অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট কাহিনিকে কেন্দ্র করে এর পদগুলো রচিত হয়েছে। রাধা-কৃষ্ণের প্রণয়লীলা, তাদের মান-অভিমান, বিরহ এবং মিলনই এর মূল উপজীব্য।

  • ধামালি: কাব্যের অনেক অংশে ধামালি নামক এক প্রকার রঙ্গরস বা পরিহাস বাক্যের ব্যবহার দেখা যায়। এটি মধ্যযুগের বাংলা কাব্যের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য, যা কৌতুক এবং ঠাট্টা-তামাশার মাধ্যমে কাহিনিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।

  • পদাবলির পূর্বসূরি: যদিও এটি পদাবলি সাহিত্যের সম্পূর্ণ রূপ নয়, এর গঠন ও বিষয়বস্তু পরবর্তীকালের বৈষ্ণব পদাবলি সাহিত্যের জন্য পথ তৈরি করে দিয়েছিল। রাধা-কৃষ্ণের প্রেমলীলা বর্ণনার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।

  • সংস্কৃত শ্লোকের ব্যবহার: কাব্যে কিছু সংস্কৃত শ্লোকেরও ব্যবহার দেখা যায়, যা এর প্রাচীনত্ব এবং তৎকালীন সাহিত্যের উপর সংস্কৃতের প্রভাব নির্দেশ করে।

সব মিলিয়ে, 'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্যটি তার সংলাপভিত্তিক, আখ্যানধর্মী এবং নাটকীয় ভঙ্গির জন্য মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে এক অনন্য স্থান দখল করে আছে।

 চর্যাপদ
 পদাবলি
 মঙ্গলকাব্য
 রোমান্সকাব্য
ব্যাখ্যাঃ

সন্ধ্যাভাষা হলো একটি বিশেষ ধরনের ভাষা, যা বাংলা ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন চর্যাপদে ব্যবহৃত হয়েছে। এটি এমন একটি ভাষাশৈলী যেখানে শব্দের দুটি অর্থ থাকে – একটি সাধারণ বা আক্ষরিক অর্থ এবং অন্যটি গূঢ় বা নিগূঢ় অর্থ

নামকরণের কারণ

'সন্ধ্যা' শব্দের অর্থ হলো দিনের আলো-আঁধারির সময়। যেমন সন্ধ্যায় সবকিছু স্পষ্টভাবে দেখা যায় না, তেমনি সন্ধ্যাভাষার অর্থও সহজে বোঝা যায় না। এটি খানিকটা বোঝা যায়, আবার খানিকটা দুর্বোধ্য থাকে। পণ্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী চর্যাপদের ভাষাকে এই 'সন্ধ্যাভাষা' বলে অভিহিত করেন। অনেক পণ্ডিতের মতে, 'সন্ধা' শব্দটি 'সম্ + ধ্যেয়' থেকে এসেছে, যার অর্থ 'যা সম্যক ধ্যানের দ্বারা বুঝতে হয়' অথবা 'অভিপ্রায়িক বা উদ্দেশ্যমূলক বচন'।

সন্ধ্যাভাষার বৈশিষ্ট্য

  • দ্বি-অর্থবোধকতা: এটি সন্ধ্যাভাষার প্রধান বৈশিষ্ট্য। প্রতিটি শব্দ বা বাক্যকে দুইভাবে ব্যাখ্যা করা যায়: একটি বাইরের সাধারণ অর্থ এবং অন্যটি সহজিয়া বৌদ্ধ সাধকদের সাধন-ভজনের গূঢ় তত্ত্ব।
  • রূপক ও প্রতীক ব্যবহার: সন্ধ্যাভাষা প্রচুর পরিমাণে রূপক, প্রতীক ও হেঁয়ালি ব্যবহার করে। উদাহরণস্বরূপ, 'নৌকা' বলতে হয়তো দেহকে বোঝানো হয়েছে, আর 'নদী' বলতে সংসারের মায়াকে।
  • গোপনীয়তা: এই ভাষা বৌদ্ধ সহজিয়া সাধকদের সাধন-ভজনের গোপন তত্ত্বগুলো সাধারণ মানুষের কাছে অস্পষ্ট রাখার জন্য ব্যবহৃত হতো। এটি ছিল তাদের একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়িক বা ধর্মীয় ভাষা।
  • দুর্বোধ্যতা: এর গূঢ় অর্থের কারণে সাধারণ পাঠক বা শ্রোতার কাছে এই ভাষা দুর্বোধ্য মনে হয়।

চর্যাপদে সন্ধ্যাভাষার উদাহরণ

চর্যাপদের বহু পদে সন্ধ্যাভাষার ব্যবহার দেখা যায়। যেমন, একটি বিখ্যাত পদ:

"কাআ তরুবর পঞ্চ বি ডাল। চঞ্চল চীএ পইঠা কাল।।"

  • সাধারণ অর্থ: শরীর একটি গাছ, যার পাঁচটি ডাল আছে। চঞ্চল মনে কাল বা মৃত্যু প্রবেশ করেছে।
  • গূঢ় অর্থ: দেহকে একটি গাছের সাথে তুলনা করা হয়েছে, যার পাঁচটি ডাল হলো পঞ্চেন্দ্রিয়। চঞ্চল মন বা চিত্তের কারণেই সাধনায় বিঘ্ন সৃষ্টি হয় এবং সাধন-ভজনের মৃত্যু ঘটে।

সন্ধ্যাভাষা বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন হিসেবে চর্যাপদকে আরও রহস্যময় এবং গবেষণার বিষয়বস্তু করে তুলেছে।

 ফরিদপুর
 সিলেট
 কৃষ্ণনগর
 চট্টগ্রাম
ব্যাখ্যাঃ

দৌলত উজির বাহরাম খান ছিলেন মধ্যযুগের একজন গুরুত্বপূর্ণ বাঙালি কবি, যিনি ষোড়শ শতকে (আনুমানিক ১৫৪০-১৬০০ খ্রিস্টাব্দ) সক্রিয় ছিলেন।

পরিচয় ও পৃষ্ঠপোষকতা

তার প্রকৃত নাম ছিল আসাউদ্দীন। তিনি চট্টগ্রামের ফতেয়াবাদ অথবা জাফরাবাদ অঞ্চলের অধিবাসী ছিলেন। তার পিতা মোবারক খান ছিলেন চট্টগ্রামের তৎকালীন শাসক নেজাম শূর-এর (বা নেজাম শাহ) উজির (মন্ত্রী)। পিতার মৃত্যুর পর নেজাম শূর তাকেও 'উজির' পদে নিযুক্ত করেন এবং তাকে 'দৌলত উজির' উপাধি দেন। এই কারণেই তিনি 'দৌলত উজির বাহরাম খান' নামে পরিচিতি লাভ করেন। তার পূর্বপুরুষ হামিদ খান গৌড়ের সুলতান হুসেন শাহের প্রধান অমাত্য ছিলেন।

সাহিত্যকর্ম

দৌলত উজির বাহরাম খানের প্রধান সাহিত্যকর্মগুলো হলো:

  • লায়লী-মজনু: এটিই তার সবচেয়ে বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ। এটি ফারসি কবি জামির (এবং সম্ভবত নিজামী গঞ্জভীর) আরবি লোকগাথা 'লায়লা ওয়া মজনুন' অবলম্বনে রচিত একটি প্রণয়োপাখ্যান। এটি বাংলা ভাষায় প্রথম 'লায়লী-মজনু' কাব্য। যদিও এটি একটি অনুবাদ কাব্য, বাহরাম খান এতে তার নিজস্ব কল্পনা ও বাঙালি জীবনধারার চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন।
  • ইমাম-বিজয়: এটি মার্সিয়া সাহিত্য ধারার একটি কাব্য। এর বিষয়বস্তু হলো কারবালার যুদ্ধকাহিনি এবং ইমাম হোসাইন (রা.) এর শাহাদাত।
  • জঙ্গনামা (বা মক্তুল হোসেন): এটিও কারবালার ঘটনা নিয়ে লেখা একটি কাব্য এবং তার রচিত প্রথম কাব্য বলে মনে করা হয়।

অবদান

দৌলত উজির বাহরাম খান মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান এবং মুসলিম ঐতিহ্যের ধারায় বিশেষ অবদান রেখেছেন। তিনি আরবি ও ফারসি ভাষার পাশাপাশি ইসলামী ধর্মশাস্ত্র এবং হিন্দু ধর্মশাস্ত্র ও সংস্কৃতেও পারদর্শী ছিলেন, যার প্রতিফলন তার কাব্যে দেখা যায়। তার 'লায়লী-মজনু' কাব্য মানবীয় প্রেমবোধকে প্রাধান্য দিয়ে রচিত হয়েছিল এবং এটি পরবর্তীকালের রোমান্টিক আখ্যানকাব্যগুলোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।

১৯. ‘চন্দ্রাবতী’ কী?

[ বিসিএস ৩৮তম ]

 নাটক
 কাব্য
 পদাবলী
 পালাগান
ব্যাখ্যাঃ

কোরেশী মাগন ঠাকুর রচিত 'চন্দ্রাবতী' কাব্য

আরাকান রাজসভার অমাত্য ও কবি কোরেশী মাগন ঠাকুর সপ্তদশ শতকে 'চন্দ্রাবতী' নামে একটি রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান কাব্য রচনা করেন।

এই কাব্যের মূল কাহিনি হলো ভদ্রাবতী নগরের রাজপুত্র বীরভানের সরন্দ্বীপের রাজকন্যা অপূর্বসুন্দরী চন্দ্রাবতীকে লাভ করার বৃত্তান্ত। এই কাব্যটি বাঙালি রূপকথার কাহিনি অবলম্বনে রচিত হয়েছে এবং এর মধ্য দিয়ে মাগন ঠাকুরের মৌলিক প্রতিভার পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি কবি আলাওলের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক হিসেবেও পরিচিত।

 রোসাঙ্গ
 কৃষ্ণনগর
 বিক্রমপুর
 মিথিলা
ব্যাখ্যাঃ

বিদ্যাপতি ছিলেন মিথিলার রাজসভার কবি

তিনি মূলত পঞ্চদশ শতকের একজন মৈথিলি কবি ছিলেন, যিনি মিথিলা রাজ্যের রাজা শিবসিংহ-এর সভাকবি হিসেবে সবচেয়ে বেশি পরিচিতি লাভ করেন। রাজা শিবসিংহ তাকে 'কবিকণ্ঠহার' উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন।

বিদ্যাপতি শুধু শিবসিংহেরই নন, তিনি তার দীর্ঘ জীবনে আরও কয়েকজন রাজা ও রানীর পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছিলেন, যার মধ্যে রাজা কীর্তিসিংহ, নরসিংহ, ধীরসিংহ এবং রানী বিশ্বাসাদেবী ও লছিমা দেবীও অন্তর্ভুক্ত।

যদিও তিনি মূলত মৈথিলি ভাষায় পদ রচনা করতেন, তার রচিত ব্রজবুলি ভাষার পদাবলী বাংলা, আসাম, উড়িষ্যা এবং পূর্ব বিহারে অত্যন্ত জনপ্রিয়তা লাভ করে। এই কারণে বাঙালিরাও তাকে নিজেদের কবি হিসেবে অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে।

 আত্মচরিত
 আত্মকথা
 আত্মজিজ্ঞাসা
 আমার কথা
ব্যাখ্যাঃ

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের আত্মজীবনীমূলক লেখাটির নাম হলো 'আত্মচরিত'

এটি একটি অসমাপ্ত রচনা, যেখানে তিনি তার শৈশব জীবনের কথা, তার পিতা ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, পিতামহ এবং জননীর কথা বর্ণনা করেছেন। বিদ্যাসাগরের মৃত্যুর পর তার পুত্র নারায়ণচন্দ্র বিদ্যারত্ন এটি প্রকাশ করেন।

 প্রবন্ধ
 উপন্যাস
 নাটক
 আত্মজীবনী
ব্যাখ্যাঃ

রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের 'মতিচূর' একটি প্রবন্ধ গ্রন্থ। এটি দুটি খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে:

  • প্রথম খণ্ড: ১৯০৪ সালে প্রকাশিত হয়।
  • দ্বিতীয় খণ্ড: ১৯২২ সালে প্রকাশিত হয়।

'মতিচূর' গ্রন্থের মূল বিষয়বস্তু:

বেগম রোকেয়া তার এই প্রবন্ধ গ্রন্থে নারী জাগরণ, নারীর অধিকার, নারীশিক্ষা এবং সমাজে নারী-পুরুষের সমতা নিয়ে তার বিপ্লবী চিন্তাভাবনা তুলে ধরেছেন। তিনি সমাজের গোঁড়ামি, কুসংস্কার, পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব এবং নারীর প্রতি বৈষম্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তার যুক্তি ছিল নারীদের পশ্চাদপদতার মূল কারণ হলো শিক্ষার অভাব এবং অবরোধ প্রথা।

প্রথম খণ্ডের উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধগুলো:

  • পিপাসা
  • স্ত্রীজাতির অবনতি
  • নিরীহ বাঙালি
  • অর্ধাঙ্গী
  • সুগৃহিণী
  • বোরকা
  • গৃহ

দ্বিতীয় খণ্ডের উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধগুলো: দ্বিতীয় খণ্ডে 'সুলতানার স্বপ্ন' প্রবন্ধটি সংকলিত হয়েছে, যা পূর্বে ১৯০৫ সালে ইংরেজিতে প্রকাশিত হয়েছিল। এই প্রবন্ধে রোকেয়া একটি কাল্পনিক নারীস্থান বা ইউটোপিয়ান সমাজের বর্ণনা দিয়েছেন, যেখানে নারীরা সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী এবং পুরুষরা গৃহবন্দী। এটি নারীবাদী সাহিত্যের একটি ক্লাসিক নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত।

সামগ্রিকভাবে, 'মতিচূর' বেগম রোকেয়ার নারীবাদী চিন্তার এক উজ্জ্বল প্রকাশ এবং বাংলা সাহিত্যে নারীমুক্তির আন্দোলনে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

 গাজী মিয়ার বস্তানী
 হাঁসুলী বাঁকের উপকথা
 ভাওয়াল গড়ের উপাখ্যান
 ঠাকুরবাড়ির আঙিনা
ব্যাখ্যাঃ

জসীমউদ্দীনের রচনা হলো ঘঃ ঠাকুরবাড়ির আঙিনা

ব্যাখ্যা:

  • ঠাকুরবাড়ির আঙিনা পল্লীকবি জসীমউদ্‌দীনের একটি বিখ্যাত স্মৃতিকথা ও প্রবন্ধ সংকলন। এখানে তিনি তার ব্যক্তিগত জীবন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং শান্তিনিকেতনে তার অভিজ্ঞতার কথা লিখেছেন।

অন্যান্য বিকল্পগুলো জসীমউদ্‌দীনের রচনা নয়:

  • কঃ গাজী মিয়ার বস্তানী: এটি মীর মশাররফ হোসেনের একটি ব্যঙ্গাত্মক গদ্যগ্রন্থ।
  • খঃ হাঁসুলী বাঁকের উপকথা: এটি বিখ্যাত সাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি উপন্যাস।
  • গঃ ভাওয়াল গড়ের উপাখ্যান: এটি আহমদ ছফা'র একটি গবেষণা গ্রন্থ।
 লালন শাহ্
 হাসন রাজা
 পাগলা কানাই
 রাধারমণ দত্ত
ব্যাখ্যাঃ

'আমার ঘরের চাবি পরের হাতে' - এই বিখ্যাত লোকসঙ্গীতটির রচয়িতা হলেন লালন সাঁই (বা লালন ফকির)।

এটি তাঁর রচিত অন্যতম জনপ্রিয় বাউল গানগুলোর একটি, যেখানে তিনি মানুষের আত্মানুসন্ধান, দেহের রহস্য এবং আধ্যাত্মিক স্বাধীনতার বিষয়ে রূপকের আশ্রয় নিয়েছেন।

 কেনড়ে অরণ্য
 বন্দী শিবির থেকে
 নিষিদ্ধ লোবান
 প্রিয়যোদ্ধা প্রিয়তম
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো খঃ বন্দী শিবির থেকে

ব্যাখ্যা:

  • বন্দী শিবির থেকে কাব্যগ্রন্থটি বিখ্যাত কবি শামসুর রাহমান কর্তৃক রচিত। এটি ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে রচিত এবং ১৯৭২ সালে প্রকাশিত হয়। এই কাব্যগ্রন্থের কবিতাগুলোতে মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহতা, অবরুদ্ধ মানুষের যন্ত্রণা, এবং স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা অত্যন্ত স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।

অন্যান্য বিকল্পগুলো হলো:

  • কেনড়ে অরণ্য: এটি শওকত ওসমান রচিত একটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস।
  • নিষিদ্ধ লোবান: এটি সৈয়দ শামসুল হক রচিত একটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস।
  • প্রিয়যোদ্ধা প্রিয়তম: এটি হারুন হাবীব রচিত একটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গল্পগ্রন্থ বা উপন্যাস।
 আগমনী
 কোরবানী
 প্রলয়োল্লাস
 বিদ্রোহী
ব্যাখ্যাঃ

কাজী নজরুল ইসলামের 'অগ্নি-বীণা' তাঁর প্রথম এবং সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী কাব্যগ্রন্থ। এটি বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবির আত্মপ্রকাশের এক ঐতিহাসিক দলিল।

প্রকাশকাল: ১৯২২ সালের অক্টোবর মাসে (১৩২৯ বঙ্গাব্দ)।

নামকরণের তাৎপর্য: 'অগ্নি-বীণা' নামটি নিজেই নজরুলের বিদ্রোহ ও বিপ্লবাত্মক চেতনার প্রতীক। 'অগ্নি' এখানে দ্রোহ, তেজ ও ধ্বংসের প্রতীক, যা পুরনো জীর্ণতাকে পুড়িয়ে নতুন সৃষ্টি করবে। আর 'বীণা' হলো সুর ও শিল্পের প্রতীক, যা কাব্য ও সঙ্গীতের মাধ্যমে এই বিপ্লবের বাণী ছড়িয়ে দেবে।

গুরুত্ব ও বৈশিষ্ট্য:

  • বিদ্রোহের জয়গান: এই কাব্যের প্রতিটি কবিতায় পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙার আহ্বান, অন্যায় ও শোষণের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ এবং দ্রোহের সুর ধ্বনিত হয়েছে। তৎকালীন ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে এটি ছিল এক দারুণ অনুপ্রেরণা।
  • প্রথম কবিতা 'প্রলয়োল্লাস': এই কাব্যের প্রথম কবিতা 'প্রলয়োল্লাস' একটি নবযুগের আগমনী বার্তা নিয়ে আসে। এটি ধ্বংসের মধ্য দিয়ে নতুন সৃষ্টির উল্লাস ঘোষণা করে।
  • ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট: প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর এবং অসহযোগ আন্দোলনের পটভূমিতে রচিত এই কাব্য বাঙালি জাতিকে নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছিল।
  • অগ্নি-বীণার উল্লেখযোগ্য কবিতা:
    • প্রলয়োল্লাস
    • বিদ্রোহী (নজরুলের সবচেয়ে বিখ্যাত কবিতা)
    • রক্তাম্বর-ধারিণী মা
    • আগমণী
    • ধূমকেতু
    • কামাল পাশা
    • আনোয়ার
    • রণভেরী
    • শাত-ইল-আরব
    • খেয়াপারের তরণী
    • কোরবানি
    • মোহররম
  • ভাষাগত বৈশিষ্ট্য: নজরুল এই কাব্যে আরবি, ফারসি এবং বাংলা শব্দের এক চমৎকার মিশেল ঘটিয়েছেন। তার ভাষা ছিল ওজস্বী ও গতিময়, যা পাঠককে এক অন্যরকম অনুভূতির জগতে নিয়ে যায়।
  • নবযুগের বার্তা: এই কাব্য শুধু রাজনৈতিক বিদ্রোহই নয়, সামাজিক ও ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরুদ্ধেও সোচ্চার ছিল। এটি এক নবীন, মুক্ত ও সাম্যবাদী সমাজের স্বপ্ন দেখিয়েছিল।

'অগ্নি-বীণা' কাব্যের মাধ্যমে নজরুল শুধু কবি হিসেবেই নয়, একজন সাহসী ও বিপ্লবী চিন্তাবিদ হিসেবেও বাঙালি পাঠকের হৃদয়ে স্থায়ী আসন লাভ করেন। এটি বাংলা সাহিত্যের আধুনিক কাব্যের ধারায় একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।

 কলকাতা
 ঢাকা
 লন্ডন
 মুর্শিদাবাদ
ব্যাখ্যাঃ

দীনবন্ধু মিত্রের 'নীল-দর্পণ' নাটক বাংলা সাহিত্যের এক যুগান্তকারী সৃষ্টি। এটি একটি সামাজিক নাটক, যা ১৮৬০ সালে প্রকাশিত হয়।

পটভূমি ও বিষয়বস্তু

উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে, বিশেষ করে ১৮৫৯-৬০ সালের দিকে, ব্রিটিশ নীলকর সাহেবদের অত্যাচার এবং এর বিরুদ্ধে সংঘটিত নীল বিদ্রোহ ছিল বাংলার কৃষকদের জীবনে এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। নীলকররা জোর করে কৃষকদের দিয়ে নীল চাষ করাতো, যা তাদের জন্য ছিল অত্যন্ত অলাভজনক এবং সর্বনাশা। নীল চাষ করতে রাজি না হলে কৃষকদের উপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হতো, জমি কেড়ে নেওয়া হতো, ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হতো এবং নারীদের উপরও অত্যাচার করা হতো। এই নির্মম অত্যাচারের বাস্তব চিত্র দীনবন্ধু মিত্র তার নাটকে তুলে ধরেন। তিনি এই নাটকটি 'কস্যচিৎ পথিকস্য' ছদ্মনামে ঢাকা থেকে প্রকাশ করেন।

নাটকের গুরুত্ব ও প্রভাব

  • সামাজিক দলিল: 'নীল-দর্পণ' নাটকটি তৎকালীন বাংলার সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির এক বাস্তবসম্মত চিত্র তুলে ধরেছে। এটি নীলকরদের বর্বরতা এবং নিরুপায় কৃষকদের দুঃখ-দুর্দশার জীবন্ত দলিল হিসেবে কাজ করে।
  • জনমত সৃষ্টি: নাটকটি প্রকাশের পর বাংলা এবং এমনকি ইউরোপেও ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। এটি নীলকরদের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে সাহায্য করে এবং নীল বিদ্রোহকে আরও জোরালো করে তোলে।
  • ইংরেজি অনুবাদ: নাটকটি প্রকাশের পরপরই রেভারেন্ড জেমস লঙ-এর উদ্যোগে মাইকেল মধুসূদন দত্ত এটি ইংরেজিতে 'Nil Durpan, or The Indigo Planting Mirror' নামে অনুবাদ করেন। এই অনুবাদের জন্য জেমস লঙকে কারাদণ্ড ও জরিমানা ভোগ করতে হয়েছিল, যা নাটকের প্রভাবকে আরও বাড়িয়ে দেয়।
  • নাট্য আন্দোলনের সূচনা: এই নাটকটি বাংলার সাধারণ রঙ্গালয় প্রতিষ্ঠার পথ খুলে দেয়। ১৮৭২ সালের ৭ ডিসেম্বর ন্যাশনাল থিয়েটার-এর উদ্বোধনী দিনে 'নীল-দর্পণ' নাটকের মাধ্যমেই বাংলা নাট্যমঞ্চের যাত্রা শুরু হয়।
  • জাতীয়তাবোধের উন্মেষ: এটি দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবোধ জাগিয়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের এক নতুন ধারা তৈরি করে।

দীনবন্ধু মিত্রের 'নীল-দর্পণ' শুধু একটি নাটক ছিল না, এটি ছিল একটি সামাজিক আন্দোলন এবং শোষিত মানুষের প্রতিবাদের এক শক্তিশালী কণ্ঠস্বর।

 শেষলেখা
 শেষপ্রশ্ন
 শেষকথা
 শেষদিন
ব্যাখ্যাঃ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন বাংলা সাহিত্যের এক অবিসংবাদিত প্রতিভা। তিনি একাধারে কবি, সাহিত্যিক, নাট্যকার, সুরকার, দার্শনিক, চিত্রশিল্পী এবং শিক্ষাবিদ ছিলেন। তার সাহিত্যকর্মের মধ্যে কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা বিপুল। তিনি প্রায় ৫৬টি কাব্যগ্রন্থ রচনা করেছেন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কিছু উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থের তালিকা নিচে দেওয়া হলো:

  • কবিকাহিনী (১৮৭৮) - এটি রবীন্দ্রনাথের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ।
  • বনফুল (১৮৮০)
  • সন্ধ্যাসংগীত (১৮৮২)
  • প্রভাতসংগীত (১৮৮৩)
  • কড়ি ও কোমল (১৮৮৬)
  • মানসী (১৮৯০) - এই কাব্যগ্রন্থের মাধ্যমেই রবীন্দ্রনাথের কাব্যপ্রতিভা পূর্ণতা লাভ করে।
  • সোনার তরী (১৮৯৪) - 'সোনার তরী', 'দুই বিঘা জমি', 'দেনাপাওনা' ইত্যাদি বিখ্যাত কবিতা এই কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত।
  • চিত্রা (১৮৯৬)
  • চৈতালি (১৮৯৬)
  • কল্পনা (১৯০০)
  • কথা ও কাহিনী (১৯০০)
  • ক্ষণিকা (১৯০০)
  • নৈবেদ্য (১৯০১)
  • খেয়া (১৯০৬)
  • গীতাঞ্জলি (১৯১০) - এই কাব্যগ্রন্থের জন্য ১৯১৩ সালে তিনি এশিয়ার প্রথম ব্যক্তি হিসেবে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। (ইংরেজি অনুবাদ 'Gitanjali: Song Offerings')
  • গীতিমাল্য (১৯১৪)
  • গীতালি (১৯১৪)
  • বলাকা (১৯১৬) - গতিময়তা ও নতুনত্বের প্রতীকী কাব্য।
  • পলাতকা (১৯১৮)
  • পূরবী (১৯২৫)
  • মহুয়া (১৯২৯)
  • পুনশ্চ (১৯৩২) - বাংলা কাব্যে গদ্যরীতির ব্যবহার শুরু হয় এই কাব্যগ্রন্থ থেকে।
  • শেষ সপ্তক (১৯৩৫)
  • পত্রপুট (১৯৩৬)
  • শ্যামলী (১৯৩৬)
  • খাপছাড়া (১৯৩৭)
  • প্রান্তিক (১৯৩৮)
  • সেঁজুতি (১৯৩৮)
  • নবজাতক (১৯৪০)
  • রোগশয্যায় (১৯৪০)
  • আরোগ্য (১৯৪১)
  • জন্মদিনে (১৯৪১)
  • শেষ লেখা (১৯৪১) - এটি রবীন্দ্রনাথের জীবনের শেষ কাব্যগ্রন্থ, যা তার মৃত্যুর কয়েক মাস আগে প্রকাশিত হয়।

এছাড়াও তার আরও অনেক ছোট-বড় কাব্যগ্রন্থ রয়েছে। রবীন্দ্রনাথের কাব্য বৈচিত্র্যপূর্ণ এবং বাংলা সাহিত্যের এক বিশাল সম্পদ।

 কাজী আবদুল ওদুদ
 আবুল ফজল
 রশীদ করিম
 হুমায়ুন কবির
ব্যাখ্যাঃ

হুমায়ুন কবির ছিলেন একজন বরেণ্য বাঙালি সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ, দার্শনিক এবং রাজনীতিবিদ। তার বিখ্যাত উপন্যাস 'নদী ও নারী' ১৯৫২ সালে প্রকাশিত হয়েছিল।

'নদী ও নারী' উপন্যাসের বিষয়বস্তু

'নদী ও নারী' উপন্যাসে হুমায়ুন কবির মূলত নদীমাতৃক বাংলাদেশের জীবনচিত্র, প্রকৃতি এবং নারী জীবনের গভীর সম্পর্ক তুলে ধরেছেন। এর প্রধান বিষয়বস্তুগুলো হলো:

  • নদী ও মানুষের জীবন: এই উপন্যাসে নদীকে শুধু একটি প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে দেখানো হয়নি, বরং এটিকে মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ, ভাগ্য নিয়ন্তা এবং একটি জীবন্ত সত্তা হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। নদী কীভাবে মানুষের জীবনযাত্রা, অর্থনীতি, সংস্কৃতি এবং এমনকি সম্পর্ককেও প্রভাবিত করে, তা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
  • নারীর জীবন ও সংগ্রাম: উপন্যাসের নারী চরিত্রগুলো গ্রামীণ বাংলার নারীর জীবন সংগ্রাম, প্রেম, বিরহ, ত্যাগ এবং প্রতিকূলতার মুখে তাদের টিকে থাকার লড়াইকে তুলে ধরে। তারা নদীর মতোই কখনো শান্ত, কখনো চঞ্চল, আবার কখনো বিধ্বংসী।
  • গ্রামীণ জীবনের চালচিত্র: গ্রামবাংলার সহজ-সরল মানুষের জীবনযাপন, তাদের সুখ-দুঃখ, সংস্কার, বিশ্বাস এবং পারস্পরিক সম্পর্ক এই উপন্যাসের পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে।
  • প্রকৃতির সাথে মানুষের সম্পর্ক: প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের নিবিড় সম্পর্ক এবং কীভাবে প্রাকৃতিক উপাদানগুলো মানব অস্তিত্বের সঙ্গে একাত্ম হয়ে যায়, তা এই উপন্যাসে শিল্পিতভাবে চিত্রিত হয়েছে।

'নদী ও নারী' উপন্যাসটি তার কাব্যিক ভাষা, গভীর জীবনবোধ এবং গ্রামবাংলার এক অপূর্ব চিত্রণের জন্য বাংলা সাহিত্যে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে।

 আবু ইসহাক
 সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
 প্রমথনাথ বিশী
 প্রমথ চৌধুরী
ব্যাখ্যাঃ

বীরবল ছিলেন বিখ্যাত সাহিত্যিক প্রমথ চৌধুরীর ছদ্মনাম। তিনি বাংলা সাহিত্যে চলিত রীতির প্রবর্তন এবং 'সবুজপত্র' পত্রিকা সম্পাদনার জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। তার প্রবন্ধগুলো 'বীরবলের হালখাতা' নামেও পরিচিত।

 উপন্যাস
 ছোটগল্প
 প্রবন্ধ
 অনুবাদ নাটক
ব্যাখ্যাঃ

মুনীর চৌধুরীর 'মুখরা রমণী বশীকরণ' একটি অনুবাদ নাটক। এটি উইলিয়াম শেক্সপিয়রের বিখ্যাত কমেডি নাটক 'Taming of the Shrew'-এর বাংলা অনুবাদ।

 বুদ্ধদেব বসু
 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
 মীর মশাররফ হোসেন
 সৈয়দ শামসুল হক
ব্যাখ্যাঃ

চন্দরা চরিত্রটির স্রষ্টা হলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

এটি তাঁর বিখ্যাত ছোটগল্প 'শাস্তি'-র প্রধান চরিত্র। 'শাস্তি' গল্পে চন্দরা এক জটিল ও প্রতিবাদী নারী চরিত্র, যে নিজের স্বামীর মিথ্যে সাক্ষ্য থেকে বাঁচানোর জন্য নিজেকে দোষী স্বীকার করে নেয় এবং ফাঁসির মঞ্চে ওঠে। এই চরিত্রটি নারীর আত্মমর্যাদা এবং প্রতিবাদের এক দৃঢ় প্রতীক।

 কাজী নজরুল ইসলাম
 শাহাদাৎ হোসেনও
 সঞ্জয় ভট্টাচার্য
 সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
ব্যাখ্যাঃ

‘পূর্বাশা’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন গঃ সঞ্জয় ভট্টাচার্য

পূর্বাশা একটি মাসিক সাহিত্য পত্রিকা ছিল যা ১৯৩২ সালে কুমিল্লা থেকে কবি ও কথাসাহিত্যিক সঞ্জয় ভট্টাচার্য দ্বারা প্রথম প্রকাশিত হয়। পরে এটি কলকাতা থেকে প্রকাশিত হতে থাকে। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে এই পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং এটি বাংলা সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ পত্রিকা হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।

 হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
 রামরাম বসু
 দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
 অক্ষয়কুমার দত্ত
ব্যাখ্যাঃ

ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের শিক্ষক ছিলেন খঃ রামরাম বসু

ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ ১৮০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং বাংলা গদ্যের বিকাশে এর একটি বিশাল ভূমিকা ছিল। এই কলেজের বাংলা বিভাগে বহু পণ্ডিত শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন, যাদের মধ্যে রামরাম বসু অন্যতম। তিনি উইলিয়াম কেরীর সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন এবং বাংলা ভাষায় প্রথম মৌলিক গদ্যগ্রন্থ 'রাজা প্রতাপাদিত্য চরিত্র' (১৮০১) রচনা করেন।

অন্যান্য বিকল্পগুলো ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের শিক্ষক ছিলেন না:

  • হরপ্রসাদ শাস্ত্রী: তিনি একজন বিখ্যাত গবেষক ও প্রাচ্যবিদ্যা বিশারদ ছিলেন, যিনি চর্যাপদ আবিষ্কার করেন। তিনি ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের শিক্ষক ছিলেন না।
  • দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর: তিনি ছিলেন ব্রাহ্ম সমাজের নেতা এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতা। তিনি ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের শিক্ষক ছিলেন না।
  • অক্ষয়কুমার দত্ত: তিনি ছিলেন তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার সম্পাদক এবং একজন বিশিষ্ট গদ্য লেখক, তবে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের শিক্ষক ছিলেন না।
 ১৮৬০
 ১৮৬৫
 ১৮৫৯
 ১৮৬১
ব্যাখ্যাঃ

'মেঘনাদবধ কাব্য' হলো মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক মহাকাব্য। এটি ১৮৬১ সালে প্রকাশিত হয়।

রচনার পটভূমি ও অনুপ্রেরণা

মাইকেল মধুসূদন দত্ত ছিলেন বাংলা কাব্যে আধুনিকতার পথিকৃৎ। তিনি ইউরোপীয় সাহিত্যের বিশেষ করে গ্রিক ও রোমান মহাকাব্যের আদলে বাংলা ভাষায় একটি মহাকাব্য রচনার স্বপ্ন দেখতেন। সংস্কৃত মহাকাব্য রামায়ণের কাহিনি অবলম্বনে তিনি এই কাব্য রচনা করেন, তবে এর উপস্থাপন এবং চরিত্রের চিত্রণে তিনি মৌলিকত্ব ও আধুনিকতার ছাপ রেখেছেন। তিনি রামায়ণের প্রধান চরিত্র রামকে নয়, বরং রাবণের পুত্র মেঘনাদকে (ইন্দ্রজিৎ) নায়ক হিসেবে চিত্রিত করেছেন, যা সে সময়ের প্রচলিত ধারণার সম্পূর্ণ বিপরীত ছিল।

কাব্যিক বৈশিষ্ট্য

  • অমিত্রাক্ষর ছন্দ: 'মেঘনাদবধ কাব্য' অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত। এটি বাংলা কাব্যে মধুসূদন দত্তের এক যুগান্তকারী উদ্ভাবন। এই ছন্দে প্রতিটি চরণের শেষে মিল থাকে না, কিন্তু চরণগুলো সুনির্দিষ্ট মাত্রাবিন্যাসে সজ্জিত থাকে, যা কাব্যে এক ধরনের গাম্ভীর্য ও গতিময়তা এনেছে। এই ছন্দের মাধ্যমে তিনি বাংলা কাব্যে ছন্দের বন্ধনমুক্তি ঘটিয়েছিলেন।
  • সর্গ বিভাজন: কাব্যটি মোট নয়টি সর্গে বিভক্ত। প্রতিটি সর্গের নামকরণ করা হয়েছে কাহিনির প্রধান ঘটনা বা চরিত্রের নামে, যেমন: অভিষেক, শক্তিশেল, হত্যা ইত্যাদি।
  • ট্র্যাজিক নায়ক: মধুসূদন এই কাব্যে মেঘনাদকে একজন ট্র্যাজিক নায়ক হিসেবে তুলে ধরেছেন। রামায়ণ অনুসারে মেঘনাদ খলচরিত্র হলেও, মধুসূদনের কাব্যে সে স্বদেশপ্রেমী, বীর এবং আত্মমর্যাদাশীল এক মহান যোদ্ধা। তার মৃত্যুতে পাঠকের মনে গভীর শোক ও সহানুভূতি সৃষ্টি হয়।
  • পুরাণ ও আধুনিকতার মিশ্রণ: যদিও কাহিনি রামায়ণ থেকে নেওয়া, মধুসূদন এতে আধুনিক মানবিকতা, বীরত্ব এবং ট্র্যাজেডির উপাদান যোগ করেছেন, যা কাব্যটিকে একটি নতুন মাত্রা দিয়েছে।
  • অলঙ্কার ও চিত্রকল্প: কাব্যে বহু পৌরাণিক উপমা, উৎপ্রেক্ষা এবং হৃদয়গ্রাহী চিত্রকল্পের ব্যবহার দেখা যায়, যা এর সাহিত্যিক মূল্যকে অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে।

প্রধান চরিত্রসমূহ

  • রাবণ: লঙ্কার রাজা এবং মেঘনাদের পিতা।
  • মেঘনাদ (ইন্দ্রজিৎ): রাবণের বীর পুত্র এবং কাব্যের প্রধান চরিত্র।
  • প্রমীলা: মেঘনাদের স্ত্রী, এক বীরাঙ্গনা নারী।
  • মন্দোদরী: রাবণের প্রধানা মহিষী এবং মেঘনাদের জননী।
  • বিভীষণ: রাবণের অনুজ ভ্রাতা, যিনি রামের পক্ষে যোগ দেন।
  • লক্ষ্মণ: রামের ভাই।
  • রাম: অযোধ্যার রাজা।
  • সীতা: রামের স্ত্রী।
  • সরমা: বিভীষণের স্ত্রী।

গুরুত্ব ও প্রভাব

'মেঘনাদবধ কাব্য' প্রকাশের পর বাংলা সাহিত্যে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়। এটি বাংলা কাব্যকে ধ্রুপদী মহাকাব্যের স্তরে উন্নীত করে এবং বাঙালি পাঠকদের কাছে মহাকাব্যের নতুন স্বাদ তুলে ধরে। এটি পরবর্তীকালে বহু কবিকে মহাকাব্য রচনায় অনুপ্রাণিত করেছে এবং বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এটি একটি চিরস্মরণীয় সৃষ্টি হিসেবে বিবেচিত হয়।

 পৃথিবী
 জল
 সমুদ্র
 আকাশ
ব্যাখ্যাঃ

অম্বর শব্দের প্রতিশব্দ হলো আকাশ, নভ, গগন, ব্যোম, অন্তরীক্ষ, ইত্যাদি।

৩৭. Who is the author of ‘Man and Superman’?

[ বিসিএস ৩৮তম ]

 G.B. Shaw
 Thomas Hardy
 Ernest Hemingway
 Charles Dickens
ব্যাখ্যাঃ

'Man and Superman' নাটকের রচয়িতা হলেন G.B. Shaw

G.B. Shaw এর পুরো নাম হলো জর্জ বার্নার্ড শ' (George Bernard Shaw)। তিনি একজন বিখ্যাত আইরিশ নাট্যকার, সমালোচক এবং রাজনৈতিক কর্মী ছিলেন। ১৯০৩ সালে তার 'Man and Superman' নাটকটি প্রকাশিত হয়।

 Jonathan Swift
 Alexander Pope
 Joseph Addison
 Richard Steel
ব্যাখ্যাঃ

English সাহিত্যের সবচেয়ে বিখ্যাত ব্যঙ্গাত্মক (satirist) লেখকদের মধ্যে অন্যতম হলেন Jonathan Swift

তার বিখ্যাত ব্যঙ্গাত্মক রচনাগুলোর মধ্যে রয়েছে:

  • Gulliver's Travels (গালিভার'স ট্র্যাভেলস): এটি তার সবচেয়ে বিখ্যাত রচনা, যেখানে তিনি মানুষের প্রকৃতি, সমাজ এবং রাজনীতিকে তীব্র ব্যঙ্গ করেছেন।
  • A Modest Proposal (এ মডেস্ট প্রপোজাল): আয়ারল্যান্ডের দরিদ্র মানুষের সমস্যা সমাধানের জন্য তিনি একটি ব্যঙ্গাত্মক প্রস্তাব দেন যেখানে শিশুদের খাবার হিসেবে বিক্রি করার কথা বলা হয়েছে।

যদিও আলেকজান্ডার পোপও একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যঙ্গাত্মক কবি ছিলেন, জোনাথন সুইফটকে সাধারণত ইংরেজি সাহিত্যের সেরা গদ্য ব্যঙ্গাত্মক লেখক হিসেবে গণ্য করা হয়।

৩৯. What is the plural form of the word ‘louse’?

[ বিসিএস ৩৮তম ]

 louses
 lice
 lices
 licess
ব্যাখ্যাঃ

The plural form of the word ‘louse’ is lice.

ব্যাখ্যা:

  • Louse হলো একটি irregular noun (অবিচারিত বহুবচন), যার বহুবচন রূপ হয় নিয়ম বহির্ভূতভাবে।
  • Louse = একটি উকুন
  • Lice = একাধিক উকুন (plural form)

৪০. Choose the correct sentence:

[ বিসিএস ৩৮তম ]

 He refrained to take any drastic action.
 He refrained on taking any drastic action.
 He refrained in taking any drastic action.
 He refrained from taking any drastic action.
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক বাক্যটি হলো: He refrained from taking any drastic action.

কারণ:

  • 'Refrain' (বিরত থাকা/নিবৃত্ত হওয়া) ক্রিয়াপদটির পরে সর্বদা 'from' preposition বসে।
  • এরপর সাধারণত 'gerund' (ক্রিয়ার ing রূপ, যা বিশেষ্য হিসেবে কাজ করে) বসে।

তাই, 'refrain from taking' হলো সঠিক বাক্য গঠন।

 Utility
 Frankness
 Privilege
 Superficial
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো Privilege

ব্যাখ্যা:

  • Franchise (ফ্র্যাঞ্চাইজ) শব্দের কয়েকটি অর্থ আছে। এর মধ্যে একটি প্রধান অর্থ হলো, একটি নির্দিষ্ট ব্যবসা চালানোর বা কোনো পণ্য বিক্রি করার জন্য কোনো সংস্থা থেকে পাওয়া বিশেষ অধিকার বা অনুমতি। এর আরেকটি অর্থ হলো ভোটাধিকার। উভয় ক্ষেত্রেই এটি এক ধরনের বিশেষ অধিকার বোঝায়।
  • Privilege (প্রিভিলেজ) শব্দের অর্থ হলো বিশেষ অধিকার, সুবিধা বা সুযোগ

এই দুটি শব্দের অর্থ খুবই কাছাকাছি।

অন্যান্য বিকল্পগুলো:

  • Utility (ইউটিলিটি): উপযোগিতা, কার্যকারিতা।
  • Frankness (ফ্র্যাঙ্কনেস): স্পষ্টবাদিতা, সরলতা।
  • Superficial (সুপারফিশিয়াল): অগভীর, ভাসা ভাসা।

৪২. ‘Once in a blue moon’ means-

[ বিসিএস ৩৮তম ]

 always
 very rarely
 nearly
 hourly
ব্যাখ্যাঃ

‘Once in a blue moon’ হলো very rarely

'Once in a blue moon' একটি বাগধারা, যার অর্থ খুব কদাচিৎ বা প্রায় কখনোই নয়। এটি এমন ঘটনাকে বোঝায় যা খুব কম ঘটে।

এখানে বিকল্পগুলোর মধ্যে:

  • কঃ always (সবসময়): এটি 'once in a blue moon' এর সম্পূর্ণ বিপরীত।
  • গঃ nearly (প্রায়): এটিও সঠিক নয়, কারণ 'nearly' বলতে কোনো কিছুর কাছাকাছি বোঝায়, কিন্তু বিরলতাকে নয়।
  • ঘঃ hourly (ঘণ্টায়): এটি একটি নির্দিষ্ট সময়কালকে বোঝায়, যা 'very rarely' এর বিপরীত।
 1558-1603
 1625-1649
 1603-1625
 1649-1660
ব্যাখ্যাঃ

'Jacobean Period' বলতে রাজা প্রথম জেমসের (King James I) শাসনকালকে বোঝানো হয়, যিনি ১৬০৩ সালে সিংহাসনে আরোহণ করেন এবং ১৬২৫ সাল পর্যন্ত রাজত্ব করেন। এই সময়টি ইংরেজি সাহিত্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় ছিল, যেখানে উইলিয়াম শেক্সপিয়রের শেষ দিকের নাটকগুলো এবং বেন জনসন, জন ডন-এর মতো লেখকদের কাজ উল্লেখযোগ্য।

 Gerund
 adverb
 preposition
 participle
ব্যাখ্যাঃ

এখানে 'retired' শব্দটি একটি past participle হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

  • Participle: এটি এমন একটি ক্রিয়াপদীয় রূপ যা বিশেষণ (adjective) হিসেবে কাজ করে।
    • Present Participle: ক্রিয়াপদের সাথে '-ing' যোগ করে গঠিত হয় (যেমন: going, reading)। এটি সক্রিয় অর্থ প্রকাশ করে (যেমন: a running man - যে দৌড়াচ্ছে)।
    • Past Participle: ক্রিয়াপদের তৃতীয় রূপ (যেমন: gone, read, retired)। এটি সাধারণত নিষ্ক্রিয় বা সম্পন্ন কাজ বোঝায় (যেমন: a broken chair - যে চেয়ারটি ভাঙা হয়েছে)।

এখানে 'retired' শব্দটি 'officer' (বিশেষ্য) সম্পর্কে অতিরিক্ত তথ্য দিচ্ছে, অর্থাৎ অফিসারটির অবসরের কাজটি সম্পন্ন হয়েছে। এটি 'officer'-এর একটি গুণ বা অবস্থা বোঝাচ্ছে, তাই এটি একটি বিশেষণ হিসেবে কাজ করছে।

অন্যান্য বিকল্পগুলো ভুল:

  • Gerund: এটি ক্রিয়ার '-ing' রূপ যা বিশেষ্য হিসেবে কাজ করে (যেমন: Swimming is good exercise)। এখানে 'retired' বিশেষ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়নি।
  • Adverb: এটি ক্রিয়া, বিশেষণ বা অন্য ক্রিয়াবিশেষণকে বিশেষিত করে (যেমন: He runs quickly)। 'retired' এখানে ক্রিয়াকে নয়, বিশেষ্যকে বিশেষিত করছে।
  • Preposition: এটি বিশেষ্য বা সর্বনামের পূর্বে বসে বাক্যের অন্যান্য শব্দের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে (যেমন: in, on, at)। 'retired' এখানে Preposition নয়।
 at
 with
 in
 for
ব্যাখ্যাঃ

বাক্যটি হবে: Eight men were concerned in the plot.

ব্যাখ্যা:

'Concerned' শব্দটির সাথে বিভিন্ন preposition বসে এবং প্রতিটি ক্ষেত্রে অর্থ ভিন্ন হয়:

  • concerned with: কোনো বিষয়ে জড়িত থাকা বা সম্পর্কযুক্ত হওয়া (ব্যক্তি বা বস্তুগত)

    • Example: I am concerned with your safety. (আমি তোমার নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত/জড়িত।)
    • Example: The book is primarily concerned with environmental issues. (বইটি প্রধানত পরিবেশগত সমস্যা নিয়ে কাজ করে/সম্পর্কিত।)
  • concerned about/for: কোনো কিছু নিয়ে চিন্তিত বা উদ্বিগ্ন হওয়া।

    • Example: She is concerned about her son's health. (সে তার ছেলের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত।)
  • concerned in: কোনো অপরাধ, ষড়যন্ত্র বা পরিকল্পনায় জড়িত থাকা।

    • Example: Eight men were concerned in the plot. (আটজন লোক এই ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিল।)
    • Example: He was somehow concerned in the robbery. (সে কোনোভাবে ডাকাতিতে জড়িত ছিল।)

সুতরাং, 'plot' (ষড়যন্ত্র) এর সাথে জড়িত থাকার অর্থে 'in' সঠিক preposition।

 Will freeze
 Freezes
 Would freeze
 Froze
ব্যাখ্যাঃ

When water freezes it turns into ice.

ব্যাখ্যা:

এটি একটি সাধারণ বৈজ্ঞানিক সত্য বা শাশ্বত সত্য (universal truth)। যখন কোনো সাধারণ সত্য বা অভ্যাস বোঝানো হয়, তখন দুটি ক্লজেই Simple Present Tense ব্যবহৃত হয়।

  • 'When water freezes' - এখানে water (একবচন) এর জন্য freeze এর সাথে 'es' যুক্ত হয়েছে।
  • 'it turns into ice' - এখানে it (একবচন) এর জন্য turn এর সাথে 's' যুক্ত হয়েছে।

এই ধরনের বাক্যকে 'Zero Conditional' বাক্যও বলা হয়।

৪৭. Which one is the correct antonym of ‘frugal’?

[ বিসিএস ৩৮তম ]

 Extraordinary
 Spendthrift
 Economical
 Authentic
ব্যাখ্যাঃ

'frugal' এর সঠিক বিপরীত শব্দ হলো 'spendthrift'।

  • Frugal (ফ্রুগাল): এই শব্দের অর্থ হলো মিতব্যয়ী, হিসাবী, যে কম খরচ করে।
  • Spendthrift (স্পেন্ডথ্রিফট): এই শব্দের অর্থ হলো অপব্যয়ী, অমিতব্যয়ী, যে বেহিসাবীভাবে অর্থ খরচ করে।

অন্যান্য বিকল্পগুলো:

  • Extraordinary (এক্সট্রাঅর্ডিনারী): অসাধারণ, অস্বাভাবিক।
  • Economical (ইকোনোমিক্যাল): মিতব্যয়ী (এটি 'frugal' এর সমার্থক শব্দ)।
  • Authentic (অথেন্টিক): খাঁটি, আসল, প্রামাণ্য।
 To challenge the enemy with courage
 Force the enemy to submit
 Out of one’s wit
 Surrender before the enemy
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো To challenge the enemy with courage

'Take the bull by the horns' বাগধারাটির অর্থ হলো, কোনো কঠিন বা বিপজ্জনক পরিস্থিতিকে সাহসের সাথে এবং সরাসরি মোকাবেলা করা। এটি কোনো সমস্যা বা চ্যালেঞ্জকে ভয় না পেয়ে দৃঢ়তার সাথে মোকাবিলা করার ক্ষমতাকে বোঝায়।

 a few
 quite a few
 many
 a little
ব্যাখ্যাঃ

I still have a little money.

ব্যাখ্যা:

  • Money (টাকা) একটি uncountable noun (অগণনাযোগ্য বিশেষ্য)।
  • a little এবং much (এবং এর নেতিবাচক রূপ not much) হলো uncountable noun-এর সাথে ব্যবহৃত quantifiers (পরিমাণবাচক শব্দ)।
  • a few, quite a few এবং many হলো countable noun (গণনাযোগ্য বিশেষ্য)-এর সাথে ব্যবহৃত quantifiers। 'money' গণনাযোগ্য না হওয়ায় এই বিকল্পগুলো এখানে প্রযোজ্য নয়।

যেহেতু 'money' অগণনাযোগ্য, তাই 'a little' (কিছু পরিমাণ) হলো সঠিক quantifier।

 He is poor and honest
 As he is poor, he is honest
 He is poor but honest
 Since he is poor, he is honest
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো He is poor but honest

  • "Though he is poor, he is honest" এটি একটি complex sentence (জটিল বাক্য), যেখানে একটি নির্ভরশীল ক্লজ (Though he is poor) এবং একটি স্বাধীন ক্লজ (he is honest) আছে। এটি বৈপরীত্য প্রকাশ করে।

  • Compound sentence (যৌগিক বাক্য) হলো এমন একটি বাক্য যেখানে দুটি বা ততোধিক স্বাধীন ক্লজ (independent clause) একটি coordinating conjunction (যেমন: and, but, or, so, yet, for, nor) দ্বারা যুক্ত থাকে।

  • "He is poor but honest" এই বাক্যটিতে দুটি স্বাধীন ক্লজ আছে: "He is poor" এবং "he is honest"। এই দুটি ক্লজকে 'but' নামক coordinating conjunction দ্বারা যুক্ত করা হয়েছে, যা বৈপরীত্য প্রকাশ করে।

অন্যান্য বিকল্পগুলো কেন ভুল:

  • কঃ He is poor and honest: এটিও একটি যৌগিক বাক্য হতে পারে, কিন্তু 'and' সাধারণত একই ধরনের তথ্য বা সংযোজন বোঝায়। 'Though he is poor, he is honest' বাক্যে একটি বৈপরীত্য (গরীব হলেও সৎ) বোঝানো হচ্ছে, যা 'and' দ্বারা সঠিকভাবে প্রকাশ পায় না। 'and' ব্যবহার করলে অর্থ দাঁড়ায় সে গরীব এবং সৎ উভয়ই, কিন্তু 'though' এর যে বৈসাদৃশ্য বোঝায়, তা আসে না।
  • খঃ As he is poor, he is honest: এটি একটি complex sentence, যা কারণ (as) বোঝায়। মূল বাক্যের অর্থ থেকে এটি ভিন্ন।
  • ঘঃ Since he is poor, he is honest: এটিও একটি complex sentence, যা কারণ (since) বোঝায়। মূল বাক্যের অর্থ থেকে এটিও ভিন্ন।
 The Rime of the Ancient Mariner
 Kubla Khan
 The Nightingleton
 The Dungeon
ব্যাখ্যাঃ

এই বিখ্যাত লাইনগুলো স্যামুয়েল টেলর কোলরিজ (Samuel Taylor Coleridge) রচিত মহাকাব্যিক কবিতা 'The Rime of the Ancient Mariner' (রাইম অফ দ্য অ্যানসিয়েন্ট ম্যারিনার) থেকে নেওয়া হয়েছে। কবিতাটিতে এক বয়স্ক নাবিকের অভিশপ্ত সমুদ্রযাত্রার ভয়াবহ অভিজ্ঞতা বর্ণনা করা হয়েছে, যেখানে তিনি একাকী বিশাল সমুদ্রে ভাসতে ভাসতে চরম নির্জনতা ও মানসিক যন্ত্রণার শিকার হন।

 Emily Dickinson
 T.S. Eliot
 Mathew Arnold
 John Donne
ব্যাখ্যাঃ

এই বিখ্যাত পঙ্‌ক্তিটি সপ্তদশ শতাব্দীর ইংরেজ মেটাফিজিক্যাল কবি জন ডান (John Donne) রচিত 'The Canonization' (ক্যানোনাইজেশন) নামক কবিতার প্রথম পঙ্‌ক্তি। এই কবিতাটিতে কবি তার প্রেমকে সামাজিক সমালোচনা থেকে রক্ষা করার জন্য আবেদন জানাচ্ছেন।

 better to had get
 had better to get
 had better got
 had better get
ব্যাখ্যাঃ

Tourists had better get their reservations well in advance if they want to fly to Cox’s Bazar.

ব্যাখ্যা:

  • 'Had better' একটি Modal auxiliary verb যা পরামর্শ বা সুপারিশ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, যা না মানলে খারাপ পরিণতি হতে পারে। এর অর্থ অনেকটা 'should' বা 'ought to' এর মতো, তবে এটি আরও শক্তিশালী বা জরুরি পরামর্শ বোঝায়।
  • 'Had better' এর পরে সর্বদা base form (V1) বা ক্রিয়াপদের মূল রূপ বসে। এখানে 'get' হলো 'get' ক্রিয়াপদের মূল রূপ।
  • 'Had better' এর পরে 'to' বা 'got' (past participle) বসে না।

সুতরাং, had better + base form of verb হলো সঠিক গঠন।

 preposition
 adverb
 noun
 conjunction
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো adverb

ব্যাখ্যা:

এখানে 'down' শব্দটি 'went' ক্রিয়াটিকে বিশেষিত করছে। এটি নির্দেশ করছে সূর্য কোন দিকে অস্ত গিয়েছিল। যখন কোনো শব্দ একটি ক্রিয়া সম্পর্কে অতিরিক্ত তথ্য দেয় (যেমন: কোথায়, কখন, কীভাবে), তখন তা একটি adverb (ক্রিয়াবিশেষণ) হিসেবে কাজ করে।

  • Preposition হতে হলে, 'down' এর পরে একটি object (বিশেষ্য বা সর্বনাম) থাকতে হতো, যেমন: "He went down the stairs।" (এখানে 'down' একটি preposition)।
  • কিন্তু এই বাক্যে, 'The sun went down', 'down' এর পরে কোনো object নেই। এটি শুধু 'went' ক্রিয়ার গতিপথ নির্দেশ করছে।
 agenda
 oases
 radius
 formulae
ব্যাখ্যাঃ
  • radius (রেডিয়াস): এটি একটি একবচন শব্দ, যার অর্থ ব্যাসার্ধ। এর বহুবচন হলো radii (রেডিআই) বা regular plural হিসেবে radiuses।
  • agenda (এজেন্ডা): এটি একটি বহুবচন শব্দ, যার একবচন হলো agendum (এজেন্ডাম)। যদিও আধুনিক ইংরেজিতে 'agenda' প্রায়শই একবচন হিসেবে ব্যবহৃত হয়, তবে এর ব্যুৎপত্তিগত মূল বহুবচন।
  • oases (ওএসিস): এটি 'oasis' (মরূদ্যান)-এর বহুবচন।
  • formulae (ফর্মুলি): এটি 'formula' (সূত্র)-এর বহুবচন।

সুতরাং, প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে 'radius' হলো একমাত্র নিশ্চিত একবচন শব্দ।

 Doing this is impossible
 This is impossible to be done
 This is must be done
 This can’t be done
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো This is impossible to be done

  • মূল বাক্য: 'It is impossible to do this'। এখানে 'do' হলো ক্রিয়া এবং 'this' হলো তার কর্ম।
  • Passive voice-এ রূপান্তর করার সময় 'do this' অংশটিকে 'to be done' করা হয়।
  • 'Impossible' শব্দটি অপরিবর্তিত থাকে।

সুতরাং, 'This is impossible to be done' বাক্যটি 'It is impossible to do this' এর সঠিক passive voice রূপ।

৫৭. Of the following authors, who wrote an epic?

[ বিসিএস ৩৮তম ]

 John Milton
 Jane Manfield
 William Cowper
 William Shakespeare
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো John Milton

ব্যাখ্যা:

  • John Milton (জন মিলটন): তিনি ছিলেন একজন বিখ্যাত ইংরেজ কবি, যিনি তার মহাকাব্য 'Paradise Lost' (প্যারাডাইস লস্ট) এর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। এটি ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মহাকাব্য হিসেবে বিবেচিত হয়, যেখানে বাইবেলের কাহিনি অবলম্বনে শয়তানের স্বর্গচ্যুতি এবং মানবজাতির পতন (Fall of Man) বর্ণিত হয়েছে।

অন্যান্য বিকল্পগুলো:

  • Jane Manfield: এই নামে কোনো বিখ্যাত লেখক নেই। সম্ভবত 'Katherine Mansfield' বা অন্য কোনো নাম বোঝানো হয়েছে, কিন্তু তারা মহাকাব্য রচয়িতা নন।
  • William Cowper (উইলিয়াম কাউপার): তিনি একজন ইংরেজ কবি ছিলেন, কিন্তু তিনি মহাকাব্য রচনা করেননি। তিনি প্রধানত গীতিকবিতা এবং দীর্ঘ কবিতা (যেমন: The Task) লিখেছেন।
  • William Shakespeare (উইলিয়াম শেক্সপিয়র): তিনি ইংরেজি সাহিত্যের সর্বশ্রেষ্ঠ নাট্যকার এবং কবি হিসেবে পরিচিত। তিনি অসংখ্য নাটক (যেমন: হ্যামলেট, ম্যাকবেথ) এবং সনেট লিখেছেন, কিন্তু তিনি মহাকাব্য রচনা করেননি।

সুতরাং, প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে একমাত্র জন মিলটনই একজন মহাকাব্য রচয়িতা।

৫৮. The literary term ‘euphemism’ means-

[ বিসিএস ৩৮তম ]

 vague idea
 in offensive expression
 a sonnet
 wise saying
ব্যাখ্যাঃ

The literary term ‘euphemism’ means in offensive expression

Euphemism (ইউফেমিসম) হলো এমন একটি অলঙ্কারিক শব্দ বা শব্দগুচ্ছ, যা কোনো অপ্রিয়, কঠোর, কুরুচিপূর্ণ বা সরাসরি বলতে অস্বস্তিকর এমন বিষয়কে কম আপত্তিকর, নরম বা পরোক্ষভাবে প্রকাশ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এর উদ্দেশ্য হলো শ্রোতা বা পাঠকের উপর নেতিবাচক প্রভাব কমানো।

উদাহরণ:

  • 'মৃত্যু' না বলে 'শান্তি গ্রহণ করা' বা 'চিরনিদ্রায় শায়িত হওয়া' বলা।
  • 'বাথরুম' না বলে 'রেস্টরুম' বা 'প্রক্ষালন কক্ষ' বলা।
  • 'বেকার' না বলে 'কর্মসংস্থান খুঁজছেন' বলা।

সুতরাং, 'in offensive expression' অর্থাৎ আক্রমণাত্মক বা আপত্তিকর নয় এমন অভিব্যক্তিই হলো euphemism-এর সঠিক অর্থ।

৫৯. ‘Mutton’ is a/an

[ বিসিএস ৩৮তম ]

 Common noun
 Abstract noun
 Material noun
 Proper noun
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো Material noun

ব্যাখ্যা:

  • Material noun (বস্তুবাচক বিশেষ্য): যে সকল নাম দ্বারা কোনো পদার্থ বা বস্তুর উপাদানের নাম বোঝানো হয়, যা থেকে অন্য জিনিস তৈরি হয় এবং যা গণনা করা যায় না, তাদেরকে Material noun বলে।

'Mutton' (খাসির মাংস) হলো একটি কাঁচামাল বা পদার্থ যা খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং এটি সরাসরি গণনা করা যায় না (যেমন: একটি মাটন, দুটি মাটন - এভাবে বলা হয় না, বলা হয় এক কেজি মাটন)।

অন্যান্য বিকল্পগুলো:

  • Common noun (জাতিবাচক বিশেষ্য): যা একই শ্রেণীর সকল ব্যক্তি বা বস্তুকে বোঝায় (যেমন: boy, table, animal)।
  • Abstract noun (গুণবাচক বিশেষ্য): যা গুণ, অবস্থা বা ধারণাকে বোঝায় যা স্পর্শ করা যায় না (যেমন: happiness, honesty, love)।
  • Proper noun (নামবাচক বিশেষ্য): যা কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি, স্থান বা বস্তুর নাম বোঝায় (যেমন: Dhaka, Rahim, Padma)।
 Verbal noun
 Participle
 Verb
 Gerund
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো Gerund

ব্যাখ্যা:

এখানে 'Reading' শব্দটি একটি Gerund হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

  • Gerund (জেরান্ড): এটি একটি ক্রিয়াপদের '-ing' রূপ যা বাক্যে বিশেষ্য (noun) হিসেবে কাজ করে। এটি একটি কাজ বা ক্রিয়ার নাম বোঝায়।

এই বাক্যে:

  • 'Reading' শব্দটি 'পড়া' নামক একটি অভ্যাস বা কাজকে বোঝাচ্ছে।
  • এটি বাক্যের subject (কর্তা) হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে, যা সাধারণত বিশেষ্য বা সর্বনামের কাজ।

অন্যান্য বিকল্পগুলো কেন ভুল:

  • Verbal noun: 'Gerund' এক ধরনের Verbal noun, কিন্তু 'Gerund' শব্দটি এখানে অধিক নির্দিষ্ট এবং প্রচলিত। কিছু ক্ষেত্রে 'Verbal noun' বলতে এমন noun বোঝানো হয় যা ক্রিয়ার মতো কাজ করে না এবং তার সাথে articles (a, an, the) বা plural form বসে (যেমন: the reading of a book)। কিন্তু এখানে 'Reading' সরাসরি একটি কাজকে বোঝাচ্ছে।
  • Participle: Participle (যেমন present participle 'reading') সাধারণত বিশেষণ (adjective) হিসেবে কাজ করে বা অন্য ক্রিয়ার সাথে বসে tense গঠন করে (যেমন: I am reading a book)। এখানে 'Reading' বিশেষণ বা ক্রিয়ার অংশ নয়, বরং নিজেই কর্তা।
  • Verb: 'Reading' এখানে প্রধান ক্রিয়া নয়। প্রধান ক্রিয়া হলো 'is'।

সুতরাং, 'Reading' এখানে 'পড়া' নামক একটি ক্রিয়াকে বিশেষ্য হিসেবে উপস্থাপন করছে, তাই এটি একটি Gerund।

 such
 either
 that
 any
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো either

ব্যাখ্যা:

Distributive pronouns (বিভাজক সর্বনাম) এমন সর্বনাম যা দুটি বা তার বেশি ব্যক্তি বা বস্তুর মধ্যে প্রত্যেককে পৃথকভাবে নির্দেশ করে। তারা সাধারণত একবচন ক্রিয়া গ্রহণ করে।

সাধারণত ব্যবহৃত Distributive pronouns গুলো হলো:

  • each (প্রত্যেক)
  • either (দু'জনের মধ্যে যে কোনো একজন)
  • neither (দু'জনের মধ্যে কেউই নয়)

দৃষ্টান্ত:

  • Each of the students got a prize.
  • Either of the two roads leads to the station.
  • Neither of them is responsible.

অন্যান্য বিকল্পগুলো:

  • such: এটি একটি demonstrative adjective বা pronoun হতে পারে, কিন্তু distributive নয়।
  • that: এটি একটি demonstrative pronoun বা relative pronoun।
  • any: এটি একটি indefinite pronoun, কিন্তু distributive নয়।

৬২. Who is not a Victorian poet?

[ বিসিএস ৩৮তম ]

 Mathew Arnold
 Alexander Pope
 Robert Browning
 Alfred Tennyson
ব্যাখ্যাঃ

Victorian poet is Alexander Pope

ব্যাখ্যা:

ভিক্টোরিয়ান যুগ (Victorian Period) ছিল ১৮৩৭ থেকে ১৯০১ সাল পর্যন্ত, যা রানী ভিক্টোরিয়ার রাজত্বকালকে নির্দেশ করে।

  • Mathew Arnold (ম্যাথিউ আর্নল্ড): (১৮২২-১৮৮৮) - ইনি একজন প্রসিদ্ধ ভিক্টোরিয়ান কবি ও সমালোচক ছিলেন।

  • Robert Browning (রবার্ট ব্রাউনিং): (১৮১২-১৮৮৯) - ইনিও একজন প্রধান ভিক্টোরিয়ান কবি, যিনি তার ড্রামাটিক মনোলগের জন্য পরিচিত।

  • Alfred Tennyson (আলফ্রেড টেনিসন): (১৮০৯-১৮৯২) - ইনি ছিলেন ভিক্টোরিয়ান যুগের অন্যতম প্রভাবশালী কবি এবং অনেক বছর ধরে 'পোয়েট লরিয়েট' (রাজকবি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

  • Alexander Pope (আলেকজান্ডার পোপ): (১৬৮৮-১৭৪৪) - ইনি ছিলেন অগাস্টান যুগের (Augustan Age) একজন প্রধান কবি ও ব্যঙ্গাত্মক লেখক, যা ছিল ১৮শ শতাব্দীর প্রথম দিকের সময়। সুতরাং, তিনি ভিক্টোরিয়ান যুগের কবি ছিলেন না।

৬৩. A speech of too many words is called

[ বিসিএস ৩৮তম ]

 A big speech
 Maiden speech
 An unimportant speech
 A verbose speech
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো A verbose speech

ব্যাখ্যা:

  • Verbose (ভার্বোস): এই বিশেষণটির অর্থ হলো অতিরিক্ত শব্দ ব্যবহার করে কিছু বলা বা লেখা, যা অপ্রয়োজনীয় এবং দীর্ঘ।
  • A verbose speech: এমন একটি বক্তৃতা যেখানে বক্তা অনেক বেশি শব্দ ব্যবহার করেন, যার ফলে বক্তব্যটি দীর্ঘ এবং অস্পষ্ট হয়ে ওঠে।

অন্যান্য বিকল্পগুলো:

  • A big speech: একটি বড় বক্তৃতা, যা দৈর্ঘ্যে বড় হতে পারে কিন্তু অগত্যা অতিরিক্ত শব্দবহুল নয়।
  • Maiden speech: কোনো নতুন সদস্যের প্রথম বক্তৃতা।
  • An unimportant speech: একটি গুরুত্বহীন বক্তৃতা।

৬৪. "Strike while the iron is hot" is an example of-

[ বিসিএস ৩৮তম ]

 Noun clause
 Adjective clause
 Adverbial clause
 Subordinate clause
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো Adverbial clause

ব্যাখ্যা:

'Strike while the iron is hot' একটি প্রবাদ বাক্য, যেখানে 'while the iron is hot' অংশটি একটি subordinate clause। এটি main clause 'Strike' (যেটি একটি imperatve sentence-এর মতো) কে বিশেষিত করছে।

  • 'while' একটি subordinating conjunction যা সময় (time) নির্দেশ করে।
  • এই ক্লজটি (while the iron is hot) মূল ক্রিয়া 'Strike' কখন করতে হবে তা নির্দেশ করছে। অর্থাৎ, এটি একটি Adverbial clause of time

অন্যান্য বিকল্পগুলো:

  • Noun clause: একটি Noun clause বাক্যে বিশেষ্য হিসেবে কাজ করে (কর্তা, কর্ম বা পূরক হিসেবে)। যেমন: "I know that he is honest." (এখানে that he is honest একটি Noun clause)।
  • Adjective clause: একটি Adjective clause বিশেষ্য বা সর্বনামকে বিশেষিত করে। যেমন: "This is the boy who won the race." (এখানে who won the race একটি Adjective clause)।
  • Subordinate clause: এটি একটি বিস্তৃত শ্রেণী। Adverbial clause, Noun clause এবং Adjective clause সকলেই Subordinate clause-এর অন্তর্ভুক্ত। যেহেতু Adverbial clause হলো সবচেয়ে নির্দিষ্ট উত্তর এবং এটি সঠিক, তাই এটিই সবচেয়ে ভালো বিকল্প।

৬৫. The play "The Spanish Tragedy" is written by –

[ বিসিএস ৩৮তম ]

 Thomas Kyd
 Christopher Marlowe
 Shakespeare
 Ben Jonson
ব্যাখ্যাঃ

The Spanish Tragedy (দ্য স্প্যানিশ ট্র্যাজেডি) নাটকটি লিখেছেন ইংরেজ নাট্যকার থমাস কিড (Thomas Kyd)। এটি ১৫৮০-এর দশকের শেষের দিকে (সম্ভবত ১৫৮৭ বা ১৫৮৯ সালে) রচিত হয়েছিল এবং এটি এলিজাবেথান যুগের একটি অত্যন্ত প্রভাবশালী নাটক। এই নাটকটিকে প্রায়শই revenge tragedy (প্রতিশোধমূলক বিয়োগান্ত নাটক) ধারার পথিকৃৎ হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং উইলিয়াম শেক্সপিয়রের 'হ্যামলেট' সহ পরবর্তী অনেক নাটকের উপর এর গভীর প্রভাব ছিল।

 Gayatri Chakravorty Spivak
 R.K. Narayan
 Nissim Ezekiel
 Kamala Das
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো R.K. Narayan

ব্যাখ্যা:

  • R.K. Narayan (আর. কে. নারায়ণ): তিনি ভারতীয় ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম বিখ্যাত ঔপন্যাসিক। তার উপন্যাসগুলো, বিশেষ করে কাল্পনিক শহর মালগুডিতে (Malgudi) সেট করা গল্পগুলো (যেমন: Swami and Friends, The Guide, The Vendor of Sweets) বিশ্বজুড়ে পরিচিত।

অন্যান্য লেখকরা:

  • Gayatri Chakravorty Spivak (গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক): তিনি একজন প্রভাবশালী ভারতীয় সাহিত্য সমালোচক, তাত্ত্বিক, এবং নারীবাদী। তিনি মূলত পোস্টকলোনিয়াল তত্ত্ব এবং ডিকনস্ট্রাকশন নিয়ে কাজ করেন, ঔপন্যাসিক হিসেবে পরিচিত নন।
  • Nissim Ezekiel (নিসিম ইজেকিয়েল): তিনি আধুনিক ভারতীয় ইংরেজি কবিতার অন্যতম পথিকৃৎ হিসেবে পরিচিত। তিনি একজন কবি, নাট্যকার ও সমালোচক ছিলেন, ঔপন্যাসিক নন।
  • Kamala Das (কমলা দাস): তিনি একজন বিখ্যাত ভারতীয় কবি এবং ছোটগল্পকার, যিনি ইংরেজি ও মালয়ালম উভয় ভাষাতেই লিখেছেন। তিনি তার আত্মজীবনীমূলক লেখার জন্যও পরিচিত, তবে প্রধানত ঔপন্যাসিক নন।

৬৭. The word 'Panegyric' means

[ বিসিএস ৩৮তম ]

 Criticism
 Elaborate praise
 Curse
 High sound
ব্যাখ্যাঃ

'Panegyric' means Elaborate praise

Panegyric (প্যানিজিরিক) শব্দটির অর্থ হলো বিস্তারিত প্রশংসা বা গুণকীর্তন। এটি সাধারণত কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর প্রতি আনুষ্ঠানিক ও উচ্ছ্বসিত প্রশংসা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।

অন্যান্য বিকল্পগুলো:

  • Criticism (ক্রিটিসিজম): সমালোচনা।
  • Curse (কার্স): অভিশাপ।
  • High sound (হাই সাউন্ড): উচ্চ শব্দ।

৬৮. Select the correctly spelt word

[ বিসিএস ৩৮তম ]

 heterogeneous
 hetarogeneous
 heterogeneous
 hetroganeous
ব্যাখ্যাঃ

সঠিকভাবে বানান করা শব্দটি হলো: কঃ heterogeneous

'Heterogeneous' শব্দের অর্থ হলো ভিন্ন ভিন্ন উপাদান বা প্রকারের সমন্বয়ে গঠিত, অসমসত্ত্ব।

 two
 more than two
 two or more than two
 four only
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো more than two

ব্যাখ্যা:

  • Among: এই prepositionটি ব্যবহার করা হয় যখন দু'জনের বেশি ব্যক্তি বা বস্তু জড়িত থাকে এবং তাদের মধ্যে কোনো কিছু বিতরণ করা হয় বা সম্পর্ক স্থাপন করা হয়।

  • Between: এই prepositionটি সাধারণত দু'জন ব্যক্তি বা বস্তুর ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।

উদাহরণ:

  • Divide the apples among the five children. (পাঁচটি শিশুর মধ্যে আপেলগুলো ভাগ করে দাও।)

  • The decision was made among the team members. (দলের সদস্যদের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।)

  • Divide the apple between the two children. (দু'টি শিশুর মধ্যে আপেলটি ভাগ করে দাও।)

  • The secret is between you and me. (রহস্যটা তোমার আর আমার মধ্যে।)

 The Victorian age
 The Elizabethan age
 The Restoration age
 The Eighteenth Century
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো The Elizabethan age

ব্যাখ্যা:

The Elizabethan Age (এলিজাবেথান যুগ): এই সময়কালটি রানী প্রথম এলিজাবেথের (Queen Elizabeth I) শাসনকালকে নির্দেশ করে, যা ১৫৫৮ থেকে ১৬০৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল। এই সময়কে ইংরেজি সাহিত্যের "স্বর্ণযুগ" (Golden Age) বলা হয়, কারণ:

  • নাটকের অসাধারণ বিকাশ: উইলিয়াম শেক্সপিয়র (William Shakespeare), ক্রিস্টোফার মার্লো (Christopher Marlowe), বেন জনসন (Ben Jonson)-এর মতো মহান নাট্যকাররা এই সময়েই তাদের শ্রেষ্ঠ নাটকগুলো রচনা করেন।
  • কবিতার সমৃদ্ধি: এই যুগে এডমন্ড স্পেন্সার (Edmund Spenser) এর মতো কবিরা মহাকাব্যিক ও গীতিকবিতা রচনা করেন।
  • ভাষার সমৃদ্ধি ও নমনীয়তা: ইংরেজি ভাষা এই সময়ে অনেক বেশি সমৃদ্ধ ও প্রকাশক্ষম হয়ে ওঠে।
  • আবিষ্কার ও নতুন চিন্তাভাবনার উন্মোচন: ভৌগোলিক আবিষ্কার এবং মানবতাবাদী ধারণার প্রসারে সাহিত্য প্রভাবিত হয়।

অন্যান্য বিকল্পগুলো:

  • The Victorian Age (ভিক্টোরিয়ান যুগ): (১৮৩৭-১৯০১) - এটিও সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ যুগ ছিল, কিন্তু "স্বর্ণযুগ" হিসেবে এলিজাবেথান যুগই বেশি পরিচিত।
  • The Restoration Age (রিস্টোরেশন যুগ): (১৬৬০-১৬৮৮) - এই যুগে কমেডি অফ ম্যানার্স এবং ব্যঙ্গাত্মক রচনা জনপ্রিয় হয়।
  • The Eighteenth Century (অষ্টাদশ শতাব্দী): এটি অগাস্টান এজ বা এজ অফ রিজন নামে পরিচিত, যেখানে গদ্য, ব্যঙ্গ এবং যুক্তিনির্ভর লেখা প্রাধান্য পেয়েছিল।
 He demanded me why had I beaten his dog
 He asked me why I have had beaten his dog
 He enquired me why had I had beaten his dog
 He demanded of me why I had beaten his dog
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো He demanded of me why I had beaten his dog

ব্যাখ্যা:

Indirect narration-এ পরিবর্তনের নিয়মগুলো অনুসরণ করে এই বাক্যটি পরিবর্তন করা হয়েছে:

  1. Reporting Verb: 'He said to me' প্রশ্নবোধক বাক্য হওয়ায় 'asked', 'enquired', 'demanded' ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়। এখানে 'demanded of me' সঠিক। (লক্ষ্য করুন, 'demanded' এর পরে ব্যক্তি থাকলে সাধারণত 'of' বসে)।
  2. Connector: 'Wh-word' (Why) থাকলে সেটিই connector হিসেবে বসে।
  3. Sentence Structure: Indirect speech-এ বাক্যটি assertive (সাধারণ) বাক্যর গঠনে হয়, অর্থাৎ subject + verb, প্রশ্নবোধক হয় না।
  4. Tense Change: Direct speech-এ Present Perfect (have beaten) থাকলে Indirect speech-এ Past Perfect (had beaten) হয়।
  5. Pronoun Change: 'You' (me-কে নির্দেশ করছে) হয়ে যাবে 'I', এবং 'my' (he-কে নির্দেশ করছে) হয়ে যাবে 'his'।

এই নিয়মগুলো মেনে চললে 'He demanded of me why I had beaten his dog' বাক্যটি সঠিক হয়।

৭২. The novelist has a hold of ____ in writing.

[ বিসিএস ৩৮তম ]

 mannaer
 history
 tradition
 style
ব্যাখ্যাঃ

The novelist has a hold of style in writing.

ব্যাখ্যা:

একজন ঔপন্যাসিকের লেখার ক্ষেত্রে 'style' (শৈলী) হলো তার নিজস্ব এবং স্বতন্ত্র লেখার ধরন, যা তার শব্দচয়ন, বাক্য গঠন, বর্ণনা পদ্ধতি, এবং সামগ্রিক প্রকাশভঙ্গিকে বোঝায়। একজন উপন্যাসিকের লেখনীতে তার নিজস্ব শৈলীর উপর নিয়ন্ত্রণ থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

  • Style (শৈলী): লেখকের লেখার ধরণ, ভাষার ব্যবহার, বাক্য গঠন, বর্ণনা কৌশল ইত্যাদি।
  • Manner (ম্যানার): আচরণ বা রীতিনীতি (এখানে প্রযোজ্য নয়)।
  • History (হিস্টরি): ইতিহাস (লেখার উপাদানে হতে পারে, কিন্তু লেখকের লেখার পদ্ধতির উপর তার 'hold' থাকে না)।
  • Tradition (ট্রাডিশন): ঐতিহ্য (লেখার বিষয়বস্তু বা প্রেক্ষাপটে থাকতে পারে, কিন্তু লেখকের নিজস্ব লেখার পদ্ধতির উপর এটি সরাসরি 'hold' নির্দেশ করে না)।

তাই, একজন ঔপন্যাসিক তার লেখার শৈলীর (style) উপর ভালো দখল রাখেন।

 রাজশাহী
 দিনাজপুর
 খুলনা
 চট্টগ্রাম
ব্যাখ্যাঃ

প্রাচীন বাংলার হরিকেল জনপদের অঞ্চলভুক্ত প্রধান এলাকাগুলো হলো:

  • বৃহত্তর সিলেট অঞ্চল: এটি বর্তমান বাংলাদেশের সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ এবং সুনামগঞ্জ জেলা নিয়ে গঠিত।
  • চট্টগ্রাম বিভাগ: এটি বর্তমান বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান এবং খাগড়াছড়ি জেলা নিয়ে গঠিত।
  • ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব অংশ: ত্রিপুরা রাজ্যের কিছু দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব অংশও হরিকেলের অন্তর্ভুক্ত ছিল বলে মনে করা হয়।
  • মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের উত্তরাংশ (সম্ভাব্য): কিছু ঐতিহাসিক মনে করেন যে, মায়ানমারের আরাকান (রাখাইন) রাজ্যের কিছু অংশও এর সীমানার মধ্যে থাকতে পারে।

সংক্ষেপে, হরিকেল মূলত বর্তমান বাংলাদেশের সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগ এবং সংলগ্ন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কিছু অংশ নিয়ে গঠিত ছিল।

 আকবর
 বাবর
 শাহজাহান
 হুমায়ুন
ব্যাখ্যাঃ

মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা জহিরুদ্দিন মুহাম্মদ বাবরই প্রথম মুঘল সম্রাট যিনি নিজের আত্মজীবনী লিখেছিলেন। তার আত্মজীবনীর নাম 'বাবরনামা' (Baburnama), যা তুর্কি ভাষায় রচিত। এটি পরবর্তীকালে ফারসি এবং অন্যান্য ভাষায় অনূদিত হয়।

 ফেব্রুয়ারিতে
 মে মাসে
 জুলাই মাসে
 আগস্টে
ব্যাখ্যাঃ

ঐতিহাসিক ছয় দফা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয় ১৯৬৬ সালের ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি। এটি পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী দলগুলোর এক সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পেশ করেন।

 ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী
 তাজউদ্দীন আহমদ
 এ. এইচ, এম কামারুজ্জামান
 খন্দকার মোশতাক আহমদ
ব্যাখ্যাঃ

১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল গঠিত এবং ১৭ই এপ্রিল শপথ গ্রহণকারী মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রিপরিষদে এ. এইচ. এম কামারুজ্জামান ছিলেন ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী

অন্যান্য মন্ত্রীদের তালিকা:

  • ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী: অর্থমন্ত্রী
  • তাজউদ্দীন আহমদ: প্রধানমন্ত্রী
  • খন্দকার মোশতাক আহমদ: পররাষ্ট্র, আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী
 দ্বি-জাতি তত্ত্ব
 সামাজিক চেতনা
 অসাম্প্রদায়িকতা
 বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ
ব্যাখ্যাঃ

পূর্ব বাংলায় ভাষা আন্দোলনের মূল ভিত্তি ছিল বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ। ১৯৪৮ সাল থেকে শুরু করে ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারির চূড়ান্ত পর্যায় পর্যন্ত এই আন্দোলন ছিল মূলত বাঙালি জাতির নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি ও পরিচয়ের স্বীকৃতির সংগ্রাম। পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালি হওয়া সত্ত্বেও যখন উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার চেষ্টা করা হয়, তখন এর বিরুদ্ধে বাঙালির ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি গভীর ভালোবাসা এবং স্বতন্ত্র জাতিসত্তার অনুভূতিই প্রবল হয়ে ওঠে। এটি ছিল বাঙালির আত্মপরিচয়, সংস্কৃতি ও ভাষার প্রতি গভীর মমত্ববোধের প্রকাশ, যা পরবর্তীতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ভিত্তি স্থাপন করে।

অন্যান্য বিকল্পগুলো:

  • দ্বি-জাতি তত্ত্ব: এটি ছিল ভারত বিভাগের মূল ভিত্তি, যা মুসলিম ও হিন্দুদের পৃথক জাতি হিসেবে গণ্য করে। ভাষা আন্দোলন এই তত্ত্বের ভুল প্রমাণ করে, কারণ ধর্মীয় পরিচয়ের চেয়ে ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক পরিচয় এখানে মুখ্য হয়ে ওঠে।
  • সামাজিক চেতনা: ভাষা আন্দোলনের একটি অংশ সামাজিক চেতনা হলেও, এর মূল চালিকাশক্তি ছিল জাতীয়তাবাদ।
  • অসাম্প্রদায়িকতা: ভাষা আন্দোলন অসাম্প্রদায়িক চেতনার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে, যেখানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল বাঙালি এক হয়েছিল। তবে, এটি ছিল আন্দোলনের একটি বৈশিষ্ট্য, মূল ভিত্তি নয়। মূল ভিত্তি ছিল ভাষার উপর ভিত্তি করে গঠিত বাঙালি জাতিসত্তা।
 শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক
 হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী
 মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী
 নবাব স্যার সলিমুল্লাহ
ব্যাখ্যাঃ

১৯৫৪ সালের পূর্ব বাংলা প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচন ছিল বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যা পাকিস্তানের রাজনীতিতে এবং বিশেষ করে বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। এটি ছিল পূর্ব বাংলার প্রথম সরাসরি নির্বাচন যেখানে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছিল।

প্রেক্ষাপট: ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর পাকিস্তান গঠিত হয় এবং পূর্ব বাংলা তার একটি অংশ হয়। শুরু থেকেই পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী পূর্ব বাংলার প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করে আসছিল। ভাষার প্রশ্নে (১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন), অর্থনৈতিক বৈষম্য, এবং রাজনৈতিক ক্ষমতা কুক্ষিগত করার প্রবণতা পূর্ব বাংলার মানুষের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি করে। এই প্রেক্ষাপটে ১৯৫৩ সালে পূর্ব বাংলা প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেওয়া হয়।

যুক্তফ্রন্ট গঠন: এই নির্বাচনে পশ্চিম পাকিস্তানের মুসলিম লীগের একাধিপত্য ভাঙার লক্ষ্যে পূর্ব বাংলার প্রধান বিরোধী দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে "যুক্তফ্রন্ট" গঠন করে। এই ফ্রন্টে চারটি প্রধান দল ছিল: ১. আওয়ামী মুসলিম লীগ (পরে আওয়ামী লীগ) - নেতা: হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও শেখ মুজিবুর রহমান। ২. কৃষক শ্রমিক পার্টি - নেতা: শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক। ৩. নেজামে ইসলাম পার্টি - নেতা: মওলানা আতাহার আলী। ৪. গণতন্ত্রী দল - নেতা: হাজী মোহাম্মদ দানেশ।

যুক্তফ্রন্টের প্রধান লক্ষ্য ছিল মুসলিম লীগের স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটানো এবং পূর্ব বাংলার স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা করা।

নির্বাচনী ইশতেহার (২১ দফা): যুক্তফ্রন্ট তাদের নির্বাচনী ইশতেহার হিসেবে ঐতিহাসিক "২১ দফা" ঘোষণা করে। এই ২১ দফা ছিল মূলত পূর্ব বাংলার জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দফাগুলো ছিল:

  • বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করা।
  • জমিদারী প্রথা বিলোপ করা।
  • পাট শিল্পকে জাতীয়করণ করা।
  • বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা প্রবর্তন।
  • বিচার বিভাগকে শাসন বিভাগ থেকে পৃথক করা।
  • পূর্ব বাংলার পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা করা (প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র ও মুদ্রা ব্যতীত)।
  • ঐতিহাসিক ২১শে ফেব্রুয়ারিকে শহীদ দিবস ও সরকারি ছুটি ঘোষণা।

নির্বাচনের ফলাফল: ১৯৫৪ সালের ৮ থেকে ১২ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট ভূমিধস বিজয় লাভ করে। মোট ৩০৯টি আসনের মধ্যে যুক্তফ্রন্ট ২২৩টি আসনে (মুসলিম লীগ কোটা) জয়লাভ করে। মুসলিম লীগ মাত্র ৯টি আসন পায়, যা তাদের শোচনীয় পরাজয় ছিল। অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বাকি আসনগুলো পায়।

৭৯. জুম চাষ হয়—

[ বিসিএস ৩৮তম ]

 বরিশালে
 ময়মনসিংহে
 খাগড়াছড়িতে
 দিনাজপুরে
ব্যাখ্যাঃ

জুম চাষ (Jhum cultivation) হলো এক ধরনের সনাতন কৃষিপদ্ধতি, যা মূলত পাহাড়ি ও উপজাতীয় অঞ্চলে প্রচলিত। এটি 'স্থানান্তর কৃষি' (Shifting Cultivation) বা 'ঝুম চাষ' নামেও পরিচিত।

জুম চাষ পদ্ধতি:

১. জঙ্গল পরিষ্কার করা: বসন্তকালে (সাধারণত মার্চ-এপ্রিল মাসে) পাহাড়ের ঢালে বা টিলায় অবস্থিত জঙ্গল বা বন কেটে পরিষ্কার করা হয়। গাছপালা কেটে শুকানো হয়।

২. পোড়ানো: শুকনো গাছপালা পোড়ানো হয়। এই পোড়ানো ছাই সারের কাজ করে এবং মাটিকে উর্বর করে তোলে।

৩. বপন: বৃষ্টির সাথে সাথে (সাধারণত এপ্রিল-মে মাসে) লাঙল ছাড়াই ধারালো দা, কুড়াল বা কাঠের লাঠির (যেমন 'ডিবলিং স্টিক') সাহায্যে মাটির গর্ত করে একসাথে বিভিন্ন ধরনের বীজ বপন করা হয়। একই জমিতে ধান, ভুট্টা, মারফা, আদা, হলুদ, তিল, মিষ্টি কুমড়া, বেগুন, মরিচ, তুলা ইত্যাদি ফসল ফলানো হয়।

৪. ফসল সংগ্রহ: প্রায় ৬-৮ মাস পর (সাধারণত সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে) ফসল পরিপক্ক হলে তা সংগ্রহ করা হয়।

৫. পরিত্যাগ: এক বা দুই বছর ফসল ফলানোর পর যখন মাটির উর্বরতা কমে যায়, তখন সেই জমি পরিত্যাগ করে নতুন অন্য কোনো পাহাড়ি এলাকায় একই প্রক্রিয়ায় চাষাবাদ করা হয়। পরিত্যক্ত জমিতে প্রাকৃতিকভাবে আবার বন জন্মায় এবং বহু বছর পর (সাধারণত ১০-২০ বছর পর) যখন মাটি আবার উর্বর হয়, তখন সেই জমিতে পুনরায় চাষ করা যায়।

যেসব অঞ্চলে প্রচলিত:

বাংলাদেশে প্রধানত পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন পাহাড়ি উপজাতি যেমন - চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, লুসাই, খিয়াং, বম, পাংখোয়া, খুমি, ম্রো ইত্যাদি জনগোষ্ঠী জুম চাষ করে থাকে। এছাড়া ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যসমূহ (যেমন - মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, ত্রিপুরা, মেঘালয়, আসামের কিছু অংশ), দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং আফ্রিকার কিছু অংশেও এই পদ্ধতির প্রচলন আছে।

সুবিধা:

  • সার কেনার প্রয়োজন হয় না: পোড়া ছাই সারের কাজ করে।
  • কম শ্রম ব্যয়: প্রথাগত কৃষি পদ্ধতির চেয়ে কম শ্রমের প্রয়োজন হয়।
  • বিবিধ ফসল: একই জমিতে একসাথে অনেক ফসল ফলানো যায়।
  • কম কীটনাশক প্রয়োজন: পোড়ানোর ফলে কীটপতঙ্গ ও আগাছা দমন হয়।

অসুবিধা ও পরিবেশগত প্রভাব:

  • বনভূমি ধ্বংস: জুম চাষের জন্য বনভূমি কেটে পরিষ্কার করা হয়, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।
  • ভূমি ক্ষয়: বনাঞ্চল ধ্বংস হওয়ায় মাটির ক্ষয় হয় এবং বৃষ্টির কারণে মাটি ভেসে যায়।
  • উর্বরতা হ্রাস: দ্রুত মাটির উর্বরতা হ্রাস পায় এবং দীর্ঘকাল পরিত্যক্ত রাখতে হয়।
  • পরিবেশের ভারসাম্যহীনতা: জীববৈচিত্র্য নষ্ট হয় এবং কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন বৃদ্ধি পায়।
  • পাহাড়ি ঝর্ণার উপর প্রভাব: মাটির জলধারণ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় পাহাড়ি ঝর্ণাগুলো শুকিয়ে যেতে পারে।

বর্তমানে, পরিবেশ সচেতনতা এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে জুম চাষের উপর চাপ বাড়ছে। সরকার এবং বিভিন্ন এনজিও এই প্রথাগত পদ্ধতির আধুনিকীকরণ বা বিকল্প জীবিকার উৎস তৈরির চেষ্টা করছে, যাতে পরিবেশের ক্ষতি কমিয়ে জুম চাষিদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা যায়।

 রাঙ্গামাটি জেলায়
 খাগড়াছড়ি জেলায়
 বান্দরবান জেলায়
 সিলেট জেলায়
ব্যাখ্যাঃ

চাকমা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের বৃহত্তম আদিবাসী সম্প্রদায় এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের একটি প্রধান নৃগোষ্ঠী। তাদের জীবনযাপন, সংস্কৃতি, ভাষা, এবং ইতিহাস অত্যন্ত সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যপূর্ণ।

১. অবস্থান ও জনসংখ্যা:

  • অবস্থান: বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল (রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান জেলা) হলো চাকমাদের প্রধান আবাসস্থল। তবে, রাঙ্গামাটি জেলায় তাদের জনসংখ্যা সর্বাধিক। এছাড়া, ভারতের ত্রিপুরা ও মিজোরাম রাজ্য এবং মায়ানমারের আরাকান (রাখাইন) প্রদেশেও চাকমাদের বসবাস রয়েছে।
  • জনসংখ্যা: বাংলাদেশে মোট আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মধ্যে চাকমাদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।

২. ভাষা ও সাহিত্য:

  • ভাষা: চাকমাদের নিজস্ব ভাষা আছে, যার নাম চাকমা ভাষা। এই ভাষা ইন্দো-আর্য ভাষা পরিবারের অন্তর্ভুক্ত এবং এর নিজস্ব বর্ণমালা রয়েছে, যা 'চাকমা লিপি' বা 'আঝা পাথা' নামে পরিচিত। এই লিপির সাথে বাংলা, পালি ও মিয়ানমারের কিছু লিপির মিল রয়েছে।
  • সাহিত্য: চাকমা ভাষায় সমৃদ্ধ লোকসাহিত্য, লোকগান, রূপকথা, প্রবাদ-প্রবচন এবং আধুনিক সাহিত্য রয়েছে। তাদের গান 'গেংখুলী' নামে পরিচিত।

৩. ধর্ম:

  • ধর্ম: চাকমা জনগোষ্ঠীর সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী (থেরবাদ বৌদ্ধধর্ম)। তাদের ধর্মীয় উৎসবগুলোর মধ্যে বুদ্ধ পূর্ণিমা, প্রবারণা পূর্ণিমা (কঠিন চীবর দান) অন্যতম।

৪. সমাজ ও সংস্কৃতি:

  • সামাজিক ব্যবস্থা: চাকমা সমাজে 'গোজা' বা 'গোত্র' প্রথা প্রচলিত। প্রতিটি গোজার নিজস্ব প্রধান থাকে। তাদের সমাজ পিতৃতান্ত্রিক।
  • গ্রাম সংগঠন: প্রতিটি চাকমা গ্রাম 'আদাং' বা 'গাঁও' নামে পরিচিত, যার প্রধানকে 'কার্বারী' বলা হয়। কয়েকটি গ্রাম মিলে 'মৌজা' গঠিত হয় এবং মৌজার প্রধানকে 'হেডম্যান' বলা হয়। চাকমা সমাজের সর্বোচ্চ প্রধান হলেন 'চাকমা রাজা'।
  • পোশাক: চাকমা নারীদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক হলো 'পিনন' ও 'হাদি'। পিনন হলো এক ধরনের লুঙ্গির মতো নিচের অংশের পোশাক, আর হাদি হলো ব্লাউজের মতো উপরের অংশের পোশাক। পুরুষরা সাধারণত লুঙ্গি ও শার্ট পরেন।
  • উৎসব: চাকমাদের প্রধান উৎসব হলো 'বিজু'। এটি বাংলা নববর্ষের সময় তিন দিন ধরে উদযাপিত হয় (মূল বিজু, ফুল বিজু, গড়িয়া বিজু বা বৈসুক)। এটি তাদের সবচেয়ে বড় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উৎসব। এছাড়া তারা বৌদ্ধ ধর্মের বিভিন্ন উৎসবও পালন করে।
  • খাদ্য: ভাত তাদের প্রধান খাদ্য। এছাড়া মাছ, মাংস, এবং বিভিন্ন পাহাড়ি শাকসবজি খায়। 'সিদল' (এক প্রকার শুঁটকি মাছের ভর্তা) তাদের জনপ্রিয় খাবার।

৫. অর্থনীতি ও জীবিকা:

  • কৃষি: চাকমাদের প্রধান জীবিকা হলো জুম চাষ। তারা পাহাড়ের ঢালে জুম পদ্ধতিতে ধান, ভুট্টা, মারফা, আদা, হলুদ, তুলা ইত্যাদি ফসল ফলিয়ে থাকে।
  • অন্যান্য: বর্তমানে অনেকেই আধুনিক কৃষিপদ্ধতি, ব্যবসা, সরকারি-বেসরকারি চাকরি এবং বিভিন্ন পেশায় জড়িত হচ্ছে।

৬. ইতিহাস: চাকমারা দীর্ঘকাল ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাস করছে এবং তাদের একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। তারা একসময় স্বাধীন রাজা দ্বারা শাসিত ছিল। ব্রিটিশ শাসনামলে এবং পরবর্তীতে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ আমলে তাদের জীবনযাত্রায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। ১৯৭২ সালের সংবিধানে আদিবাসীদের স্বীকৃতি না পাওয়ায় তারা নিজেদের স্বতন্ত্র অস্তিত্ব ও অধিকারের জন্য সংগ্রাম করে আসছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির মাধ্যমে তাদের অধিকার ও স্বায়ত্তশাসনের একটি ভিত্তি তৈরি হয়েছে।

চাকমা জনগোষ্ঠী তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং জীবনধারার কারণে বাংলাদেশের একটি অনন্য ও মূল্যবান অংশ।

 ১৯৭৯ সালে
 ১৯৭২ সালে
 ১৯৭৩ সালে
 ১৯৭৪ সালে
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের প্রথম আদমশুমারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৭৪ সালে

স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে 'আদমশুমারি আদেশ' (Census Order) জারির মাধ্যমে আদমশুমারির কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর, ১৯৭৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (BBS) দেশের প্রথম আদমশুমারি পরিচালনা করে। এই আদমশুমারির মাধ্যমে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা, জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার, লিঙ্গ অনুপাত, সাক্ষরতার হার, পেশা ইত্যাদি সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়, যা নবগঠিত বাংলাদেশের পরিকল্পনা প্রণয়ন ও উন্নয়নে অত্যন্ত জরুরি ছিল।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (BBS) প্রতি দশ বছর পর পর আদমশুমারি (বর্তমানে জনশুমারি ও গৃহগণনা) পরিচালনা করে থাকে।

 নিয়মিতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে
 অনিয়মিতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে
 ক্রমহ্রাসমান
 অপরিবর্তিত থাকছে
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে জিডিপিতে (GDP) কৃষি খাতের অবদান ক্রমহ্রাসমান। স্বাধীনতার পর থেকে জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান ধারাবাহিকভাবে কমে আসছে, যদিও কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর কারণ হলো:

  • শিল্প ও সেবা খাতের বিকাশ: বাংলাদেশের অর্থনীতিতে শিল্প এবং সেবা খাতের অবদান দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা মোট দেশজ উৎপাদনের (GDP) একটি বৃহত্তর অংশ দখল করে নিচ্ছে।
  • অর্থনীতিতে কাঠামোগত পরিবর্তন: একটি দেশের অর্থনীতি যখন উন্নয়নশীল পর্যায় থেকে মধ্যম আয়ের দেশের দিকে অগ্রসর হয়, তখন জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান কমে আসে এবং শিল্প ও সেবা খাতের অবদান বাড়ে। এটি অর্থনীতির একটি স্বাভাবিক কাঠামোগত পরিবর্তন।

যদিও শতাংশের হিসাবে কৃষির অবদান কমছে, এর অর্থ এই নয় যে কৃষি উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে। বরং, উৎপাদন বৃদ্ধি পেলেও সামগ্রিক অর্থনীতির তুলনায় এর আপেক্ষিক অবদান কমে যাচ্ছে।

 বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক
 সোনালী ব্যাংক
 অগ্রণী ব্যাংক
 রূপালী ব্যাংক
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি বিশেষায়িত ব্যাংক রয়েছে, যা নির্দিষ্ট কিছু খাত বা জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য কাজ করে। এদের মধ্যে প্রধান ও উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো:

১. বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (Bangladesh Krishi Bank - BKB):

  • লক্ষ্য: কৃষকদের ঋণ প্রদান এবং কৃষি খাতের উন্নয়নে সহায়তা করা। এটি গ্রামীণ অর্থনীতিতে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • প্রতিষ্ঠা: ১৯৭৩ সালে রাষ্ট্রপতি আদেশ নং-২৭ দ্বারা গঠিত।

২. রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (Rajshahi Krishi Unnayan Bank - RAKUB):

  • লক্ষ্য: রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কৃষকদের জন্য কৃষি ঋণ এবং অন্যান্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা। এটি আঞ্চলিক কৃষি উন্নয়নে বিশেষায়িত।
  • প্রতিষ্ঠা: ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত।

৩. প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক (Probashi Kallyan Bank):

  • লক্ষ্য: বিদেশে গমনিচ্ছু শ্রমিকদের অভিবাসন ব্যয় নির্বাহে ঋণ প্রদান, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স ব্যবস্থাপনায় সহায়তা এবং ফেরত আসা প্রবাসীদের পুনর্বাসনে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা।
  • প্রতিষ্ঠা: ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত।

৪. কর্মসংস্থান ব্যাংক (Karmasangsthan Bank):

  • লক্ষ্য: বেকার যুবক-যুবতীদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করা, বিশেষ করে উদ্যোক্তা তৈরি এবং দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়তা করা।
  • প্রতিষ্ঠা: ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত।

৫. পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক (Palli Sanchay Bank):

  • লক্ষ্য: 'আমার বাড়ি, আমার খামার' প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের জন্য সঞ্চয় সৃষ্টি, ক্ষুদ্রঋণ প্রদান এবং দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়তা করা। এটি মূলত গ্রামীণ সঞ্চয় ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তৈরিতে কাজ করে।
  • প্রতিষ্ঠা: ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত।

এই ব্যাংকগুলো নিজ নিজ বিশেষায়িত ক্ষেত্রে আর্থিক সেবা প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে, বিশেষ করে কৃষি, গ্রামীণ উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

 ধারা ২৬
 ধারা ২৭
 ধারা ২৮
 ধারা ২৯
ব্যাখ্যাঃ

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ২৭ নং ধারায় সকল নাগরিককে আইনের দৃষ্টিতে সমতার কথা বলা হয়েছে।

২৭ নং ধারায় বলা হয়েছে: "সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী।"

এটি বাংলাদেশের সংবিধানের মৌলিক অধিকার অংশের (তৃতীয় ভাগ) একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা, যা আইনের শাসন এবং বৈষম্যহীনতার নীতিকে প্রতিষ্ঠা করে।

 ৭.০০%
 ৭.১২%
 ৭.৩০%
 ৭.৪০%
ব্যাখ্যাঃ

৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (২০১৬-২০২০) মেয়াদে প্রতি বছর বাংলাদেশের গড় প্রকৃত জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭.৪%

এই পরিকল্পনায়, শেষ বছর অর্থাৎ ২০২০ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮% এ উন্নীত করার লক্ষ্যও নির্ধারণ করা হয়েছিল।

 ৫.৯২%
 ৬.০%
 ৬.৪১%
 ৬.৪৩%
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশ ইকোনমিক রিভিউ বা বাংলাদেশ ব্যাংক-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাংলাদেশের গড় মূল্যস্ফীতি ছিল প্রায় ৫.৯২%

এটি ৬% এর নিচে ছিল এবং সরকার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার মধ্যেই ছিল।

 ফার্নেস অয়েল
 কয়লা
 প্রাকৃতিক গ্যাস
 ডিজেল
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে জ্বালানি হিসেবে সর্বাধিক ব্যবহৃত হয় প্রাকৃতিক গ্যাস

যদিও বর্তমানে কয়লা এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানোর প্রচেষ্টা চলছে, তবে এখনও প্রাকৃতিক গ্যাসই বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রধান উৎস। তবে, প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ কমে যাওয়ায় সরকার এখন ধীরে ধীরে বিদ্যুৎ উৎপাদনে অন্যান্য উৎসের (যেমন: কয়লা, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস-LNG আমদানি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি) উপর নির্ভরতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে।

 ৩ বছর
 ৪ বছর
 ৫ বছর
 ৬ বছর
ব্যাখ্যাঃ

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান মতে, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগের মেয়াদকাল হলো ৫ বছর

সংবিধানের ১১৮(৩) অনুচ্ছেদে বলা আছে: "নির্বাচন কমিশনারগণের পদের মেয়াদ ও কর্মের শর্তাবলী সংসদ আইনের দ্বারা যেরূপ নির্ধারিত হইবে, সেইরূপ হইবে: তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপ কোন আইন প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি আদেশের দ্বারা যেরূপ নির্ধারণ করিবেন, সেইরূপ হইবে।"

বর্তমানে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (নিয়োগ) আইন, ২০২২ অনুযায়ী, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারগণের মেয়াদ তাদের কার্যভার গ্রহণের তারিখ থেকে ৫ (পাঁচ) বছর। তারা একাদিক্রমে দুইবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার বা নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগ লাভের যোগ্য হবেন না।

 নির্বাচন কমিশনের অনুমতিক্রমে প্রার্থী হতে পারবেন
 আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমতিক্রমে প্রার্থী হতে পারবেন
 সংশিষ্ট দলীয় কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে প্রার্থী হতে পারবেন
 কোনোক্রমেই প্রার্থী হতে পারবেন না
ব্যাখ্যাঃ

কোনোক্রমেই প্রার্থী হতে পারবেন না

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ (Representation of the People Order, 1972) অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য একজন ব্যক্তিকে অবশ্যই বাংলাদেশের কোনো নির্বাচনী এলাকার ভোটার হতে হবে। ভোটার না হলে কোনো ব্যক্তি সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। এটি নির্বাচনের মৌলিক যোগ্যতা শর্তগুলির মধ্যে অন্যতম।

 পৌরসভা
 পল্লী বিদ্যুৎ
 সিটি কর্পোরেশন
 উপজেলা পরিষদ
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো পল্লী বিদ্যুৎ

ব্যাখ্যা:

  • স্থানীয় সরকার (Local Government): স্থানীয় সরকার বলতে দেশের নির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকায় স্থানীয় জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা গঠিত এমন প্রতিষ্ঠানকে বোঝায়, যা স্থানীয় উন্নয়ন, প্রশাসন ও সেবাকার্য পরিচালনা করে। এদের নিজস্ব বাজেট ও কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষমতা থাকে।

  • পৌরসভা: এটি একটি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান যা শহরাঞ্চলে কাজ করে।

  • সিটি কর্পোরেশন: এটি বৃহৎ শহরাঞ্চলে কাজ করা একটি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান।

  • উপজেলা পরিষদ: এটি গ্রামীণ প্রশাসনিক ইউনিট (উপজেলা) এর স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান।

  • পল্লী বিদ্যুৎ (Rural Electrification Board - REB) বা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি: এটি একটি স্বায়ত্তশাসিত বা আধা-সরকারি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। এর মূল কাজ হলো গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ও বিতরণ করা। এটি সরাসরি স্থানীয় জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা গঠিত স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান নয়, বরং বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত একটি সংস্থা। যদিও এটি গ্রামীণ এলাকায় সেবা দেয়, এটি স্থানীয় সরকার কাঠামোর অংশ নয়।

 আইন মন্ত্রণালয়ের
 রাষ্ট্রপতির
 স্পীকারের
 জাতীয় সংসদের
ব্যাখ্যাঃ

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, জাতীয় সংসদ হলো দেশের সর্বোচ্চ আইন প্রণয়নকারী সংস্থা। আইন প্রণয়নের মূল ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে ন্যস্ত। সংসদ সদস্যরা আইন তৈরি, সংশোধন ও বাতিল করতে পারেন।

অন্যান্য বিকল্পগুলো:

  • আইন মন্ত্রণালয়: আইন মন্ত্রণালয় আইন প্রণয়নে সহায়তা করে (যেমন: আইনের খসড়া তৈরি), কিন্তু তাদের নিজস্ব আইন প্রণয়নের ক্ষমতা নেই।
  • রাষ্ট্রপতি: রাষ্ট্রপতি বিলে সম্মতি প্রদান করেন, যা বিলকে আইনে পরিণত করে। তিনি সংসদ অধিবেশন না থাকলে অধ্যাদেশ জারি করতে পারেন, যা আইনের সমতুল্য, তবে এটি সংসদ কর্তৃক অনুমোদিত হতে হয়। তবে, আইন প্রণয়নের মূল ক্ষমতা সংসদের।
  • স্পীকার: স্পীকার জাতীয় সংসদের অধিবেশন পরিচালনা করেন, কিন্তু তার নিজস্ব আইন প্রণয়নের ক্ষমতা নেই।
 রাজনৈতিক দল
 সুশীল সমাজ
 বিচার বিভাগ
 প্রশাসন বিভাগ
ব্যাখ্যাঃ

সুশীল সমাজ (Civil Society) বলতে সমাজের সেই অংশকে বোঝায় যেখানে শিক্ষিত বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, পরিবেশবাদী, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার সদস্য এবং অন্যান্য পেশাজীবীরা থাকেন যারা সরাসরি সরকার বা কর্পোরেট কাঠামোর অংশ নন। তারা বিভিন্ন সেবামূলক, প্রচারণামূলক বা অ্যাডভোকেসি কার্যক্রমের মাধ্যমে জনমত গঠন করে, সরকারের নীতি ও সিদ্ধান্তের উপর প্রভাব বিস্তার করে এবং সমাজের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কাজ করে। তারা সাধারণত অরাজনৈতিক ও অলাভজনক উদ্দেশ্যে কাজ করে থাকে।

 ৩০ বছর
 ৩৫ বছর
 ৪০ বছর
 ৪৫ বছর
ব্যাখ্যাঃ

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হবার ন্যূনতম বয়স ৩৫ (পঁয়ত্রিশ) বছর

বাংলাদেশের সংবিধানের ৪৮ অনুচ্ছেদের ৪ দফায় রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতার বিষয়ে বলা হয়েছে:

"কোন ব্যক্তি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হইবার যোগ্য হইবেন না, যদি তিনি– (ক) পঁয়ত্রিশ বৎসরের কম বয়স্ক হন; (খ) সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হইবার যোগ্য না হন; কিংবা (গ) কখনও এই সংবিধানের অধীন অভিশংসিত হইয়া রাষ্ট্রপতি পদ হইতে অপসারিত হইয়া থাকেন।"

 ১২
 ১৩
 ১৪
 ১৫
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের জাতীয় আয় (মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি) গণনায় দেশের অর্থনীতিকে ১৫টি খাতে ভাগ করা হয়।

এই খাতগুলো বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে অন্তর্ভুক্ত করে এবং বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (BBS) জিডিপি গণনার জন্য এই ১৫টি খাত ব্যবহার করে থাকে। খাতগুলো কৃষি, শিল্প এবং সেবা - এই তিনটি বৃহত্তর অর্থনৈতিক বিভাগের আওতায় পড়ে।

১৫টি খাত হলো:

কৃষি ও বনজ সম্পদ: ১. কৃষি ও বনজ ২. মৎস্য

শিল্প খাত: ৩. খনিজ সম্পদ ও খনন ৪. শিল্প (ম্যানুফ্যাকচারিং) ৫. বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানি সরবরাহ ৬. নির্মাণ

সেবা খাত: ৭. পাইকারি ও খুচরা বাণিজ্য ৮. হোটেল ও রেস্তোরাঁ ৯. পরিবহন, সংরক্ষণ ও যোগাযোগ ১০. আর্থিক প্রতিষ্ঠান ১১. রিয়েল এস্টেট, ভাড়া ও ব্যবসায়িক সেবা ১২. জনপ্রশাসন ও প্রতিরক্ষা ১৩. শিক্ষা ১৪. স্বাস্থ্য ও সামাজিক সেবা ১৫. কমিউনিটি, সামাজিক ও ব্যক্তিগত সেবা

 মুশফিক
 তামিম
 সাব্বির
 লিটন দাস
ব্যাখ্যাঃ

টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি (২০০ রান) করেন মুশফিকুর রহিম

তিনি ২০১৩ সালের ৮ মার্চ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গালেতে এই কীর্তি গড়েন।

 রাস্তায় ট্রাফিক আইন মেনে চলা
 শিল্প কারখানায় অধিক শ্রমিক নিয়োগ দেয়া
 দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা
 রাজনৈতিক সংগঠনে অন্তর্ভুক্ত হওয়া
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো রাস্তায় ট্রাফিক আইন মেনে চলা

ব্যাখ্যা:

  • নাগরিকের দায়িত্ব: নাগরিকের দায়িত্ব হলো দেশের আইন-কানুন ও নিয়মশৃঙ্খলা মেনে চলা, সমাজের প্রতি কর্তব্য পালন করা এবং দেশের উন্নয়নে অংশ নেওয়া।

  • কঃ রাস্তায় ট্রাফিক আইন মেনে চলা: এটি সরাসরি একটি আইন মেনে চলার উদাহরণ যা সমাজের শৃঙ্খলা এবং নিরাপত্তা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি প্রত্যেক নাগরিকের প্রাথমিক দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত।

  • খঃ শিল্প কারখানায় অধিক শ্রমিক নিয়োগ দেয়া: এটি শিল্পোদ্যোক্তাদের একটি অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত, যা দেশের কর্মসংস্থানে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটি সরাসরি নাগরিকের দায়িত্বের আওতায় পড়ে না।

  • গঃ দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা: এটি রাষ্ট্র বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একটি দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য এবং নীতি-নির্ধারকদের কাজ। فرد হিসেবে এটি একজন নাগরিকের প্রত্যক্ষ দায়িত্ব নয়, যদিও প্রত্যেকে নিজের দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা করতে পারে।

  • ঘঃ রাজনৈতিক সংগঠনে অন্তর্ভুক্ত হওয়া: এটি একজন নাগরিকের অধিকার, কিন্তু বাধ্যতামূলক দায়িত্ব নয়। একজন নাগরিক রাজনৈতিক সংগঠনে অন্তর্ভুক্ত না হয়েও তার সব দায়িত্ব পালন করতে পারে।

 ২টি
 ৩টি
 ৪টি
 ৫টি
ব্যাখ্যাঃ

মায়ানমারের সাথে বাংলাদেশের ৩টি জেলার সীমান্ত রয়েছে।

জেলাগুলো হলো:

১. রাঙ্গামাটি ২. বান্দরবান ৩. কক্সবাজার

 ১৯৯৩
 ১৯৯৭
 ১৯৯৯
 ২০০১
ব্যাখ্যাঃ

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি, যা পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের দীর্ঘদিনের সংঘাতময় পরিস্থিতির অবসান ঘটিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল।

প্রেক্ষাপট: বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে, বিশেষ করে বাঙালি বসতি স্থাপনকারী এবং স্থানীয় আদিবাসী জুম্ম জনগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ভূমি, সংস্কৃতি, পরিচয় এবং স্বায়ত্তশাসনের অধিকার নিয়ে জটিলতা ও সংঘাত চলছিল। এই সংঘাত এক পর্যায়ে সশস্ত্র রূপ ধারণ করে, যেখানে 'পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি' (PCJSS) এবং এর সশস্ত্র শাখা 'শান্তিবাহিনী' স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। দীর্ঘদিন ধরে চলা এই সংঘাতময় পরিস্থিতি অঞ্চলটির উন্নয়ন, শান্তি ও স্থিতিশীলতার পথে বড় বাধা ছিল।

চুক্তি স্বাক্ষর: দীর্ঘ আলাপ-আলোচনা, মধ্যস্থতা এবং কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পর ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকার এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে এই শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

  • সরকারের পক্ষে: তৎকালীন চিফ হুইপ আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ (বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে)
  • জনসংহতি সমিতির পক্ষে: পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা)

চুক্তির প্রধান বিষয়বস্তু/ধারা: শান্তিচুক্তিতে চারটি প্রধান অংশে বিভক্ত করে মোট ৭২টি ধারা রয়েছে, যার মূল উদ্দেশ্য ছিল পার্বত্য চট্টগ্রামের বিশেষত্ব বজায় রেখে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা। এর প্রধান বিষয়বস্তুগুলো ছিল:

১. পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ গঠন:

  • পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল স্থানীয় পরিষদগুলোর সমন্বয়ে একটি আঞ্চলিক পরিষদ গঠিত হবে, যার চেয়ারম্যান হবেন আদিবাসী জনগোষ্ঠীর একজন।
  • এই পরিষদ ভূমি ব্যবস্থাপনা, আইন-শৃঙ্খলা, স্থানীয় উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ ইত্যাদি বিষয়ে ক্ষমতা পাবে।

২. জেলা পরিষদগুলোর ক্ষমতা বৃদ্ধি:

  • রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোকে আরও ক্ষমতা ও কার্যাবলী প্রদান করা হবে।
  • এই পরিষদগুলোর চেয়ারম্যান হবেন সংশ্লিষ্ট জেলার আদিবাসী প্রতিনিধি।

৩. জুম্ম শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসন:

  • ভারত থেকে প্রত্যাগত জুম্ম শরণার্থী এবং অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুতদের যথাযথ পুনর্বাসন করা হবে।
  • একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া তত্ত্বাবধানের জন্য।

৪. ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন গঠন:

  • পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি সংক্রান্ত সকল বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য একটি স্বাধীন ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন গঠিত হবে।
  • আদিবাসীদের ঐতিহ্যবাহী ভূমি অধিকারের স্বীকৃতি ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে।

৫. শান্তিবাহিনী বিলুপ্তি ও অস্ত্র সমর্পণ:

  • শান্তিবাহিনী তাদের সকল অস্ত্র সমর্পণ করবে এবং সাধারণ জীবনে ফিরে আসবে।
  • সরকার তাদের সাধারণ ক্ষমা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে।

৬. সেনাবাহিনী প্রত্যাহার:

  • পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পগুলো ধীরে ধীরে প্রত্যাহার করা হবে। তবে, স্থায়ী ক্যান্টনমেন্টগুলো বহাল থাকবে।

৭. আদিবাসী পরিচিতি ও সংস্কৃতি সুরক্ষা:

  • পার্বত্য অঞ্চলের আদিবাসী জনগোষ্ঠীগুলোর স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক পরিচিতি, ঐতিহ্য ও প্রথাগত অধিকারের স্বীকৃতি ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে।

চুক্তির গুরুত্ব ও প্রভাব:

  • সংঘাতের অবসান: এই চুক্তির ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রায় দুই দশকের সশস্ত্র সংঘাতের অবসান ঘটে এবং শান্তি ফিরে আসে।
  • জাতিগত স্বীকৃতি: এটি আদিবাসী জনগোষ্ঠীগুলোর স্বতন্ত্র পরিচিতি ও অধিকারের প্রতি রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির একটি বড় ধাপ ছিল।
  • উন্নয়নের পথ উন্মোচন: শান্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা এবং পর্যটন বিকাশের পথ সুগম হয়।
  • আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি: এটি বাংলাদেশের একটি সফল শান্তিচুক্তি হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত হয়।

বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ: চুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকে এর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন নিয়ে কিছু ধীরগতি ও চ্যালেঞ্জ দেখা গেছে। ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের কার্যকারিতা, সেনাবাহিনীর পূর্ণ প্রত্যাহার, এবং আঞ্চলিক ও জেলা পরিষদগুলোর কার্যকর ক্ষমতায়ন নিয়ে এখনও কিছু বিতর্ক ও অসন্তোষ বিদ্যমান। তবে, চুক্তির মাধ্যমে যে শান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তা পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের জন্য এক নতুন আশার সঞ্চার করেছে।

সর্বোপরি, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি মাইলফলক, যা সংঘাত নিরসন ও জাতিগত সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় এক অনন্য উদাহরণ স্থাপন করেছে।

 বিকনঅন্বেষণা
 ব্র্যাক অন্বেষা
 নোয়া ১৮
 নোয়া ১৯
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের তৈরি প্রথম ন্যানো স্যাটেলাইট হলো ব্র্যাক অন্বেষা (BRAC Onnesha)

এটি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় (BRAC University) এর তিন শিক্ষার্থীর (রায়হানা শামস ইসলাম অন্তরা, আব্দুল্লাহ হিল কাফি, এবং মাইসুন নাহার) একটি দল তৈরি করেছিল। জাপানের কিয়ুশু ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (Kyutech) এর 'বার্ডস প্রকল্প' (BIRDS Project)-এর অংশ হিসেবে এটি তৈরি করা হয়।

  • উৎক্ষেপণ: ব্র্যাক অন্বেষা ২০১৭ সালের ৪ জুন (বাংলাদেশ সময়) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯ রকেটের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (ISS) পাঠানো হয়।
  • কার্যক্রম: আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে এটিকে উন্মুক্ত করা হয় এবং এটি পৃথিবীর কক্ষপথে অবস্থান করে কাজ শুরু করে।
  • উদ্দেশ্য: এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের ভূখণ্ড ও আবহাওয়ার ছবি তোলা এবং ডেটা সংগ্রহ করা, যা টেলিযোগাযোগ ও আবহাওয়া গবেষণায় সহায়তা করবে।

এটি বাংলাদেশের জন্য মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল এবং শিক্ষার্থীদের জন্য ন্যানো-স্যাটেলাইট প্রযুক্তিতে হাতে-কলমে অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ তৈরি করে।

 Permanent Court of Justice
 International Tribunal for the law of the Sea
 International Court of Justice
 Perinanent Court of Arbitration
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশ এবং মায়ানমারের মধ্যে সমুদ্রসীমা বিরোধ সমুদ্র আইন বিষয়ক আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল (International Tribunal for the Law of the Sea - ITLOS)-এর মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়েছিল।

২০০৯ সালে বাংলাদেশ জার্মানির হামবুর্গ ভিত্তিক এই আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে মায়ানমারের বিরুদ্ধে সমুদ্রসীমা নির্ধারণের জন্য মামলা করে। ২০১২ সালের ১৪ মার্চ ITLOS রায় ঘোষণা করে এবং বাংলাদেশের পক্ষে রায় দেয়, যার ফলে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের প্রায় ১,১১,৬৩১ বর্গ কিলোমিটারের বেশি এলাকা সমুদ্রসীমা হিসেবে নির্ধারিত হয়। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক বিজয় ছিল।

 ভারত থেকে
 চীন থেকে
 জাপান থেকে
 সিঙ্গাপুর থেকে
ব্যাখ্যাঃ

বর্তমানে (এবং গত বেশ কয়েক বছর ধরে), বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি পণ্য আমদানি করে চীন থেকে। চীনের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি অনেক বেশি, কারণ চীন থেকে বিপুল পরিমাণ কাঁচামাল, মধ্যবর্তী পণ্য এবং ভোগ্যপণ্য আমদানি করা হয়।

 দুবাই
 সিউল
 কাতার
 বার্লিন
ব্যাখ্যাঃ

২০২২ সালের ফিফা বিশ্বকাপ কাতারে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

 ৫
 ৩
 ৪
 ২
ব্যাখ্যাঃ

ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা (OIC - Organization of Islamic Cooperation) এর দাপ্তরিক ভাষা হলো:

১. আরবি ২. ইংরেজি ৩. ফরাসি

 নয়া উদারতাবাদ
 গঠনবাদ
 বাস্তববাদ
 নব্য মার্কসবাদ
ব্যাখ্যাঃ

আন্তর্জাতিক সম্পর্কের তত্ত্বে বাস্তববাদ (Realism) এবং এর উপধারা নয়া-বাস্তববাদ (Neo-realism) উভয়ই নৈরাজ্য (Anarchy)-কে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার মূল বৈশিষ্ট্য বা মৌলিক উপাদান হিসেবে দেখে।

বাস্তববাদীরা বিশ্বাস করে যে, আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় কোনো কেন্দ্রীয় বিশ্ব সরকার নেই যা রাষ্ট্রগুলোর উপর কর্তৃত্ব স্থাপন করতে পারে। এই ক্ষমতার অনুপস্থিতিকেই 'নৈরাজ্য' বলা হয়। এই নৈরাজ্যপূর্ণ পরিবেশে রাষ্ট্রগুলো তাদের নিজস্ব নিরাপত্তা ও টিকে থাকাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় এবং ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করে।

অন্যান্য বিকল্পগুলো:

  • নয়া উদারতাবাদ (Neoliberalism): এটি সহযোগিতা এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে গুরুত্ব দেয়, যদিও নৈরাজ্যের অস্তিত্বকে অস্বীকার করে না, তবে বাস্তববাদীরা যতটা করে, ততটা মৌলিক উপাদান হিসেবে দেখে না।
  • গঠনবাদ (Constructivism): এটি সামাজিক গঠন এবং ধারণা (ideas) ও নিয়মের (norms) ভূমিকাকে গুরুত্ব দেয়। এটি নৈরাজ্যকে 'কীভাবে রাষ্ট্রগুলো এটিকে উপলব্ধি করে' তার উপর নির্ভরশীল বলে মনে করে, মৌলিক কাঠামোগত বৈশিষ্ট্য হিসেবে নয়।
  • নব্য মার্কসবাদ (Neo-Marxism): এটি বিশ্ব অর্থনীতির শ্রেণিবিন্যাস এবং পুঁজিবাদের প্রভাবকে গুরুত্ব দেয়, যেখানে রাষ্ট্রগুলো এই অর্থনৈতিক কাঠামোর অধীন।
 থাড
 শয়তানের সাম্রাজ্যে আক্রমণ
 তারকা যুদ্ধ
 ম্যাড
ব্যাখ্যাঃ

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগান কর্তৃক ঘোষিত স্ট্রেটেজিক ডিফেন্স ইনিসিয়েটিভ (এস.ডি.আই) এর জনপ্রিয় নাম ছিল স্টার ওয়ার্স (Star Wars)

এটি ছিল একটি বিতর্কিত মহাকাশ-ভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরির প্রস্তাব, যা তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের পারমাণবিক হামলার বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে রক্ষা করতে সক্ষম বলে দাবি করা হয়েছিল। এই প্রকল্পের ধারণাটি জনপ্রিয় বিজ্ঞান কল্পকাহিনী চলচ্চিত্র 'স্টার ওয়ার্স' এর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হওয়ায় এটি এই নামে পরিচিতি লাভ করে।

 ১৯৩
 ১৬৮
 ১৯৯
 ১৯৬
ব্যাখ্যাঃ

২০১৫ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত কপ-২১ (COP21) ছিল জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন (UNFCCC)-এর ২১তম বার্ষিক সম্মেলন। এই সম্মেলনটি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় একটি ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে আছে, যা প্যারিস চুক্তি (Paris Agreement) নামে পরিচিত।

কপ-২১ (COP21) এর মূল লক্ষ্য ও ফলাফল:

  • লক্ষ্য: কপ-২১ এর প্রধান লক্ষ্য ছিল কিয়োটো প্রোটোকলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় একটি নতুন, সর্বজনীন এবং আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক আন্তর্জাতিক চুক্তি তৈরি করা।
  • প্যারিস চুক্তি (Paris Agreement) স্বাক্ষর: দীর্ঘ আলোচনা এবং দর কষাকষির পর, ১২ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে ১৯৬টি দেশের প্রতিনিধিরা প্যারিস চুক্তিতে সম্মত হন। এটি ছিল বিশ্ব জলবায়ু কূটনীতির একটি যুগান্তকারী অর্জন।
  • প্রধান উদ্দেশ্য: প্যারিস চুক্তির মূল উদ্দেশ্যগুলো ছিল:
    • বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ২° সেলসিয়াসের নিচে রাখা: শিল্প-বিপ্লব পূর্ববর্তী সময়ের তুলনায় বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২° সেলসিয়াসের (বিশেষত ১.৫° সেলসিয়াসের মধ্যে) সীমাবদ্ধ রাখা।
    • উষ্ণায়ন ১.৫° সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখার প্রচেষ্টা: বৈশ্বিক উষ্ণায়নকে ১.৫° সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া, কারণ বিজ্ঞানীরা মনে করেন এর বেশি উষ্ণায়ন হলে জলবায়ুর উপর মারাত্মক বিরূপ প্রভাব পড়বে।
    • কার্বন নিঃসরণ হ্রাস: গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমিয়ে আনা। প্রতিটি দেশকে তাদের নিজস্ব ন্যাশনাল ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন (NDC) বা জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান জমা দিতে বলা হয়, যেখানে তারা কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য তাদের নিজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করবে।
    • অভিযোজন ও আর্থিক সহায়তা: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূল প্রভাব মোকাবিলায় (অভিযোজন) দেশগুলোকে সহায়তা করা এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোকে জলবায়ু অর্থায়ন (Climate Finance) প্রদান করা।
    • স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা: দেশগুলোকে নিয়মিতভাবে তাদের অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দিতে হবে, যা চুক্তির বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে।

গুরুত্ব: প্যারিস চুক্তিকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে দেখা হয় কারণ এটি প্রথমবারের মতো প্রায় সকল দেশকে (উন্নত ও উন্নয়নশীল উভয়) জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সম্মিলিতভাবে কাজ করার জন্য একটি আইনি কাঠামো প্রদান করে। এটি কিয়োটো প্রোটোকলের সীমাবদ্ধতাগুলো কাটিয়ে ওঠে এবং ভবিষ্যতের জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে।

সুতরাং, ২০১৫ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত কপ-২১ এর প্রধান অর্জন ছিল প্যারিস চুক্তি

 ১৯৬২ সনে
 ১৯৮৬ সনে
 ১৯৭৮ সনে
 ১৯৮২ সনে
ব্যাখ্যাঃ

মায়ানমারে রোহিঙ্গারা তাদের নাগরিকত্ব হারায় ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইন দ্বারা।

এই আইনটি বর্মিজ নাগরিকত্বের জন্য কঠোর শর্ত আরোপ করে এবং ১৩৫টি "জাতীয় জাতিসত্তা" (National Races) তালিকাভুক্ত করে। রোহিঙ্গারা এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল না, যার ফলস্বরূপ তারা রাষ্ট্রবিহীন জনগোষ্ঠীতে পরিণত হয় এবং তাদের নাগরিক অধিকার, যেমন - চলাচলের স্বাধীনতা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। এটিই রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে বৈষম্য ও নির্যাতনের মূল ভিত্তি স্থাপন করে।

 কার্ল মার্কস
 ফ্রেডরিক এঙ্গেলস
 ভি. আই. লেনিন
 মাও সে তুং
ব্যাখ্যাঃ

অক্টোবর বিপ্লব ছিল ১৯১৭ সালের রুশ বিপ্লবের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা ২১ শতকের বিশ্ব ইতিহাসকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। এটি কেবল রাশিয়ার রাজনৈতিক ও সামাজিক কাঠামোকেই পাল্টে দেয়নি, বরং বিশ্বজুড়ে সমাজতান্ত্রিক ও কমিউনিস্ট আন্দোলনের জন্ম ও বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

পটভূমি: ১৯১৭ সালের ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের মাধ্যমে রাশিয়ায় জারতন্ত্রের পতন ঘটে এবং একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসে। তবে এই সরকার প্রথম বিশ্বযুদ্ধে রাশিয়ার অংশগ্রহণ বন্ধ করতে ব্যর্থ হয় এবং ভূমি সংস্কারের মতো মৌলিক সমস্যাগুলো সমাধানেও অনীহা দেখায়। এর ফলে শ্রমিক, কৃষক ও সৈন্যদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ বাড়তে থাকে। এসময় ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিনের নেতৃত্বে বলশেভিক পার্টি 'শান্তি, ভূমি, ও রুটি' (Peace, Land, and Bread) স্লোগান নিয়ে জনগণের সমর্থন আদায় করতে থাকে।

বিপ্লবের ঘটনাপ্রবাহ:

  • তারিখ: ঐতিহ্যগতভাবে 'অক্টোবর বিপ্লব' বলা হলেও, এটি জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২৫ অক্টোবর ১৯১৭ তারিখে (গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ৭ নভেম্বর ১৯১৭) সংঘটিত হয়।
  • নেতৃত্ব: বলশেভিক পার্টির নেতা ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিন এবং লিওন ট্রটস্কি (Leon Trotsky) এই বিপ্লবের মূল সংগঠক ও নেতা ছিলেন।
  • কেন্দ্র: বিপ্লবের কেন্দ্র ছিল তৎকালীন রাশিয়ার রাজধানী পেত্রোগ্রাদ (Petrograd), যা বর্তমানে সেন্ট পিটার্সবার্গ নামে পরিচিত।
  • কার্যক্রম: বলশেভিকরা পেত্রোগ্রাদের প্রধান প্রধান সরকারি ভবন, টেলিফোন এক্সচেঞ্জ, রেলওয়ে স্টেশন এবং শীতকালীন প্রাসাদ (Winter Palace) দখল করে নেয়, যা ছিল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সদর দপ্তর। এই সামরিক ক্ষমতা দখলের প্রক্রিয়া তুলনামূলকভাবে রক্তপাতহীন ছিল।
  • স্লোগান: 'সকল ক্ষমতা সোভিয়েতদের হাতে' (All Power to the Soviets) ছিল বিপ্লবের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ স্লোগান, যা শ্রমিক, কৃষক ও সৈন্যদের সোভিয়েত (পরিষদ)গুলোর ক্ষমতাকে সমর্থন করত।

ফলাফল ও প্রভাব:

  • অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পতন: অক্টোবর বিপ্লবের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পতন ঘটে এবং বলশেভিকরা ক্ষমতা দখল করে।
  • সোভিয়েত রাশিয়ার প্রতিষ্ঠা: বলশেভিকরা একটি নতুন সরকার গঠন করে, যার নাম ছিল 'সোভিয়েত গণপ্রজাতন্ত্রী রাশিয়া'। এটি ছিল বিশ্বের প্রথম সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র।
  • ভূমি সংস্কার: জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত করে ভূমি কৃষকদের মধ্যে বন্টন করা হয়।
  • যুদ্ধ থেকে প্রত্যাহার: রাশিয়া প্রথম বিশ্বযুদ্ধ থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয় (ব্রেস্ট-লিটভস্ক চুক্তি)।
  • কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিক: বিপ্লবের পর বলশেভিকরা 'কমিউনিস্ট ইন্টারন্যাশনাল' বা কমিন্টার্ন প্রতিষ্ঠা করে, যার লক্ষ্য ছিল বিশ্বজুড়ে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবকে উৎসাহিত করা।
  • গৃহযুদ্ধ: বিপ্লবের পর রাশিয়ায় বলশেভিকদের (রেড আর্মি) এবং তাদের বিরোধীদের (হোয়াইট আর্মি) মধ্যে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়, যা ১৯২২ সাল পর্যন্ত চলে।
  • সোভিয়েত ইউনিয়ন গঠন: ১৯২২ সালে গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর, বিভিন্ন প্রজাতন্ত্রকে একত্রিত করে সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের ইউনিয়ন (USSR) বা সোভিয়েত ইউনিয়ন গঠিত হয়।
  • বিশ্বব্যাপী প্রভাব: অক্টোবর বিপ্লব বিশ্বজুড়ে সমাজতান্ত্রিক ও কমিউনিস্ট আন্দোলনের জন্ম দেয়। এটি উপনিবেশবিরোধী আন্দোলনকেও প্রভাবিত করে এবং বিংশ শতাব্দীর ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণকে গভীরভাবে পরিবর্তন করে দেয়। স্নায়ুযুদ্ধের একটি মূল কারণ ছিল এই বিপ্লবের আদর্শগত প্রভাব।

অক্টোবর বিপ্লব আধুনিক বিশ্বের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হয়, যার দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব আজও আলোচনার বিষয়।

 স্থলবেষ্টিত রাষ্ট্র
 নিরপেক্ষ রাষ্ট্র
 বাফার রাষ্ট্র
 জিরো সাম রাষ্ট্র
ব্যাখ্যাঃ

ভূ-রাজনীতিতে বাফার রাষ্ট্র (Buffer State) বলতে এমন একটি দেশকে বোঝায় যা দুটি বা তার বেশি প্রতিদ্বন্দ্বী বা সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ বৃহৎ শক্তির মাঝে অবস্থিত থাকে। এই রাষ্ট্রগুলো মূলত এই বৃহৎ শক্তিগুলোর মধ্যে সরাসরি সংঘর্ষ প্রতিরোধ করার জন্য একটি 'কুশন' বা 'মধ্যবর্তী অঞ্চল' হিসেবে কাজ করে।

বাফার রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য:

  • অবস্থান: এটি সাধারণত দুটি বড় ও শক্তিশালী রাষ্ট্রের সীমান্তে অবস্থিত হয়।
  • ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব: এর ভৌগোলিক অবস্থান অত্যন্ত কৌশলগত হয়।
  • স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা (অনেক সময়): বাফার রাষ্ট্রগুলো প্রায়শই তুলনামূলকভাবে দুর্বল হয় এবং তাদের স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি বজায় রাখার চেষ্টা করে, যাতে তারা কোনো একটি বৃহৎ শক্তির পক্ষ নিয়ে অন্যটির সাথে সংঘাতে জড়িয়ে না পড়ে। তারা নিরপেক্ষতা বজায় রাখার চেষ্টা করে।
  • বৃহৎ শক্তির স্বার্থ: বৃহৎ শক্তিগুলো এই বাফার রাষ্ট্রগুলোকে তাদের নিজেদের মধ্যে সরাসরি সংঘাত এড়াতে ব্যবহার করে থাকে। একটি বাফার রাষ্ট্রের টিকে থাকা উভয় প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তির জন্যই স্বার্থগত হতে পারে, কারণ এটি সরাসরি সীমান্ত সংঘর্ষের ঝুঁকি কমায়।
  • দুর্বলতা: বাফার রাষ্ট্রগুলো তুলনামূলকভাবে সামরিক ও অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হয়, যা তাদের বৃহৎ প্রতিবেশীদের প্রভাব বলয় থেকে পুরোপুরি মুক্ত থাকতে বাধা দেয়।
  • ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট: ঔপনিবেশিক যুগে এবং স্নায়ুযুদ্ধের সময়কালে বাফার রাষ্ট্রের ধারণাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

উদাহরণ:

ঐতিহাসিকভাবে এবং আধুনিক ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাফার রাষ্ট্রের কিছু উদাহরণ হলো:

  • আফগানিস্তান: ১৯শ শতাব্দীর 'গ্রেট গেম'-এ (Great Game) ব্রিটিশ সাম্রাজ্য (ভারত) এবং রাশিয়ান সাম্রাজ্যের মধ্যে আফগানিস্তান একটি বাফার রাষ্ট্র হিসেবে কাজ করেছিল।
  • নেপাল ও ভুটান: ভারত ও চীনের মতো দুটি বৃহৎ শক্তির মাঝে অবস্থিত নেপাল ও ভুটানকে বাফার রাষ্ট্র হিসেবে দেখা হয়।
  • বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, লুক্সেমবার্গ: ঐতিহাসিকভাবে এই দেশগুলো জার্মানি ও ফ্রান্সের মধ্যে বাফার হিসেবে কাজ করেছে।
  • মঙ্গোলিয়া: চীন ও রাশিয়ার মধ্যে একটি বাফার রাষ্ট্র।

বাফার রাষ্ট্রের কার্যকারিতা: একটি বাফার রাষ্ট্র বৃহৎ শক্তিগুলোর মধ্যে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে, কারণ এটি সরাসরি সীমান্ত বিরোধ এবং আকস্মিক সামরিক সংঘর্ষের সম্ভাবনা হ্রাস করে। তবে, বাফার রাষ্ট্রের অবস্থান প্রায়শই ভঙ্গুর হয় এবং বৃহৎ শক্তিগুলোর স্বার্থের সংঘাতে এটি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বা এর নিরপেক্ষতা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।

 ভলিবল
 টেবিল টেনিস
 বাস্কেট বল
 লন টেনিস
ব্যাখ্যাঃ

পিং পং (Ping-Pong) বলতে মূলত টেবিল টেনিস (Table Tennis) খেলাটিকে বোঝানো হয়।

এটি টেবিলে ব্যাট ও বল দিয়ে খেলা হয় এবং বল ও রাকেটের আঘাতের সময় যে শব্দ হয় ('পিং' যখন বল রাকেটে লাগে এবং 'পং' যখন বল টেবিলে বাউন্স করে), তা থেকেই এই "পিং পং" নামটি এসেছে। যদিও এর আনুষ্ঠানিক নাম "টেবিল টেনিস", তবে অনেক সময় অনানুষ্ঠানিকভাবে বা জনপ্রিয়তার কারণে এটিকে "পিং পং" বলা হয়।

বর্তমানে, "পিং পং" শব্দটি অনেক সময় টেবিল টেনিসের আরও নৈমিত্তিক বা বিনোদনমূলক সংস্করণ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, যেখানে "টেবিল টেনিস" শব্দটি আরও প্রতিযোগিতামূলক ও পেশাদার খেলার ইঙ্গিত দেয়।

 চীন
 জাপান
 ভারত
 আসিয়ান
ব্যাখ্যাঃ

বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিসিয়েটিভ (BRI) হলো চীন সরকারের একটি বিশাল বৈশ্বিক অবকাঠামো উন্নয়ন এবং বিনিয়োগ কৌশল। এটি মূলত আধুনিক 'সিল্ক রোড' তৈরির একটি মহাপরিকল্পনা, যা সড়ক, রেল, সমুদ্রপথ এবং অন্যান্য অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা এবং তার বাইরের দেশগুলোকে চীনের সাথে সংযুক্ত করতে চায়।

প্রতিষ্ঠা ও উদ্দেশ্য

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ২০১৩ সালে এই উদ্যোগের সূচনা করেন। এর মূল উদ্দেশ্যগুলো হলো:

  • অর্থনৈতিক সংযোগ বৃদ্ধি: অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের প্রবাহ বৃদ্ধি করা।
  • অবকাঠামোগত উন্নয়ন: বন্দর, রেললাইন, সড়ক, বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়নে বিনিয়োগ করা।
  • আঞ্চলিক সংহতি: চীনকে বিশ্ব অর্থনীতির কেন্দ্রে স্থাপন করে এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকার মধ্যে অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিনিময় জোরদার করা।
  • চীনের ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার: চীনের অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক প্রভাবকে বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত করা।
 আই. এল. ও
 হু (WHO)
 ASEAN (আশিয়ান)
 উপরের সবকটি
ব্যাখ্যাঃ

ASEAN (আশিয়ান) জাতিসংঘের সহযোগী নয়।

ব্যাখ্যা:

  • আই.এল.ও (ILO - International Labour Organization): এটি জাতিসংঘের একটি বিশেষায়িত সংস্থা, যা আন্তর্জাতিক শ্রম মান নির্ধারণ এবং শ্রম অধিকার উন্নয়নে কাজ করে।
  • হু (WHO - World Health Organization): এটি জাতিসংঘের একটি বিশেষায়িত সংস্থা, যা বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য পরিস্থিতি উন্নত করার লক্ষ্যে কাজ করে।
  • ASEAN (আশিয়ান - Association of Southeast Asian Nations): এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১০টি দেশের একটি আঞ্চলিক ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্থা। এটি জাতিসংঘের কোনো সহযোগী বা বিশেষায়িত সংস্থা নয়, বরং একটি স্বাধীন আঞ্চলিক জোট।
 ঢাকা
 নয়াদিলী
 কলম্বো
 কাঠমান্ডু
ব্যাখ্যাঃ

সার্কের (SAARC - South Asian Association for Regional Cooperation) সদর দপ্তর নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে অবস্থিত।

যদিও সার্ক ১৯৮৫ সালের ৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, এর স্থায়ী সচিবালয় বা সদর দপ্তর ১৯৮৭ সালের ১৭ জানুয়ারি নেপালের কাঠমান্ডুতে স্থাপন করা হয়।

 UNO
 NAM
 GATT
 ASEAN
ব্যাখ্যাঃ

১৯৯৫ সালটি ছিল জাতিসংঘ (United Nations) এর ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বা গোল্ডেন জুবিলি।

জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ২৪ অক্টোবর ১৯৪৫ সালে। তাই, ১৯৯৫ সাল তার ৫০ বছর পূর্তি হিসেবে পালিত হয়েছিল।

 প্রাণীদের প্রতি নিষ্ঠুরতা রোধ
 পরিবেশ সংরক্ষণ
 মানবাধিকার সংরক্ষণ
 ঐতিহাসিক স্থাপনা সংরক্ষণ
ব্যাখ্যাঃ

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল একটি আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) যা বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার সংরক্ষণ ও প্রচারে কাজ করে। তাদের প্রধান কাজ হলো মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো নথিভুক্ত করা, জনসচেতনতা তৈরি করা এবং সরকার ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষকে মানবাধিকার রক্ষায় চাপ সৃষ্টি করা। তারা বিবেকবন্দী (Prisoners of Conscience) ব্যক্তিদের মুক্তির জন্য প্রচারণা চালায়, নির্যাতন ও মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতা করে এবং অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কাজ করে।

 পিসিকালচার
 এপিকালচার
 মেরিকালচার
 সেরিকালচার
ব্যাখ্যাঃ

বাণিজ্যিকভাবে মৌমাছি পালনকে এপিকালচার (Apiculture) বলা হয়। এটি মধু, মোম এবং অন্যান্য মৌমাছিজাত পণ্য সংগ্রহের জন্য মৌমাছি পালন ও ব্যবস্থাপনার একটি পদ্ধতি।

অন্যান্য বিকল্পগুলো:

  • পিসিকালচার (Pisciculture): মাছ চাষ।
  • মেরিকালচার (Mariculture): সামুদ্রিক পরিবেশে মাছ, শেলফিশ বা অন্যান্য সামুদ্রিক জীবের চাষ।
  • সেরিকালচার (Sericulture): রেশম পোকা চাষ।
 নিউইয়র্ক
 রোম
 জেনেভা
 লন্ডন
ব্যাখ্যাঃ

ইউএনএইচসিআর (UNHCR) হলো জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় (United Nations High Commissioner for Refugees)। এটি জাতিসংঘের একটি বিশেষায়িত সংস্থা, যা বিশ্বব্যাপী শরণার্থী, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত সম্প্রদায় এবং রাষ্ট্রবিহীন মানুষদের সুরক্ষা ও সহায়তা প্রদানের জন্য কাজ করে।

প্রতিষ্ঠা: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সৃষ্ট ব্যাপক শরণার্থী সংকট মোকাবিলায় ১৯৫০ সালের ১৪ ডিসেম্বর ইউএনএইচসিআর প্রতিষ্ঠিত হয়। এর মূল লক্ষ্য ছিল যুদ্ধকালীন শরণার্থীদের পুনর্বাসনে সহায়তা করা। ১৯৫১ সালে 'শরণার্থীদের অবস্থা সম্পর্কিত কনভেনশন' (১৯৫১ শরণার্থী কনভেনশন) গৃহীত হওয়ার পর এটি আরও সুনির্দিষ্ট ম্যান্ডেট লাভ করে।

সদর দপ্তর: ইউএনএইচসিআর-এর সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে অবস্থিত।

মূল কাজ ও উদ্দেশ্য: ইউএনএইচসিআর-এর প্রধান কাজগুলো হলো:

১. সুরক্ষা প্রদান: যুদ্ধ, সংঘাত, নিপীড়ন বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে যারা নিজ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে (শরণার্থী, আশ্রয়প্রার্থী, অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি, রাষ্ট্রবিহীন ব্যক্তি), তাদের আন্তর্জাতিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা। এর মধ্যে রয়েছে জোরপূর্বক প্রত্যাবাসন থেকে সুরক্ষা, মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা এবং সহিংসতা ও লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা থেকে রক্ষা করা।

২. মানবিক সহায়তা: আশ্রয়, খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং অন্যান্য মৌলিক প্রয়োজন পূরণে সহায়তা করা।

৩. দীর্ঘমেয়াদী সমাধান: বাস্তুচ্যুতদের জন্য স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করা। এর তিনটি প্রধান উপায় হলো:

  • স্বেচ্ছামূলক প্রত্যাবাসন: যখন নিজ দেশে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ পরিবেশে ফিরে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়, তখন শরণার্থীদের তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে সহায়তা করা।
  • স্থানীয় সংহতকরণ: যদি নিজ দেশে ফেরা সম্ভব না হয়, তবে আশ্রয়দানকারী দেশেই তাদের স্থানীয় সমাজে সংহত হতে সহায়তা করা।
  • তৃতীয় দেশে পুনর্বাসন: খুব সীমিত ক্ষেত্রে, যদি প্রত্যাবাসন বা স্থানীয় সংহতকরণ কোনোটিই সম্ভব না হয়, তবে তৃতীয় কোনো দেশে পুনর্বাসন করা।

৪. রাষ্ট্রবিহীনতা দূর করা: রাষ্ট্রবিহীন ব্যক্তিদের নাগরিকত্ব লাভে সহায়তা করা এবং ভবিষ্যতে রাষ্ট্রবিহীনতা প্রতিরোধের জন্য কাজ করা।

৫. আইনি কাঠামো তৈরি ও প্রয়োগ: আন্তর্জাতিক শরণার্থী আইন (যেমন ১৯৫১ সালের শরণার্থী কনভেনশন) এবং রাষ্ট্রবিহীনতা সম্পর্কিত কনভেনশনগুলোর বাস্তবায়ন ও অনুসরণ নিশ্চিত করা।

৬. সচেতনতা বৃদ্ধি ও অ্যাডভোকেসি: বিশ্বব্যাপী শরণার্থী সংকট সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে শরণার্থী অধিকারের পক্ষে ও তাদের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তার পক্ষে ওকালতি করা।

 ভারতীয় জনতা পার্টি
 কমিউনিস্ট পার্টি
 ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস
 বহুজন সমাজ পার্টি
ব্যাখ্যাঃ

ভারতের সবচেয়ে প্রাচীন রাজনৈতিক দল হলো ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস

ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস (Indian National Congress), যা সাধারণত কংগ্রেস নামে পরিচিত, ১৮৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি ভারতের সবচেয়ে প্রাচীন এবং অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল।

 টমাস হবসন
 ভি.আই. লেলিন
 কার্ল মার্কস
 এন্টিনিও গ্রামসি
ব্যাখ্যাঃ

"Imperialism, the Highest Stage of Capitalism" বইটি লিখেছেন ভি. আই. লেনিন (V. I. Lenin)

এটি ১৯১৬ সালে লেখা হয়েছিল এবং লেনিন এই বইয়ে সাম্রাজ্যবাদকে পুঁজিবাদের চূড়ান্ত পর্যায় হিসেবে বিশ্লেষণ করেছেন, যেখানে পুঁজিবাদ তার অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে অনিবার্যভাবে সাম্রাজ্যবাদে উপনীত হয়।

 থমাস হবসন, হুগো, গ্রোসিয়াস ও জন লক এর লেখনী থেকে
 ম্যাগনা কার্টা থেকে
 গ্রিক, খৃষ্টান ও মধ্যযুগীয় ধর্মতত্ত্ব থেকে
 কনফুসিয়ানিজম থেকে
ব্যাখ্যাঃ

ব্রিটিশ দার্শনিক ও রাষ্ট্র চিন্তাবিদ টমাস হবস ও জন লক এবং ডাচ আইনজ্ঞ হুগো গ্রোসিয়াসের লেখা থেকে প্রাকৃতিক আইনের উদ্ভব হয়। ১২১৫ খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ডের রাজা জন কর্তৃক ঘোষিত জনগণের জন্য রাজনৈতিক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা সংক্রান্ত সনদ হলো ম্যাগনাকার্টা। গ্রিক, খ্রিস্টান ও মধ্যযুগীয় ধর্মতত্ত্ব ছিল প্যাপাসি বা পোপতান্ত্রিক। খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতকের চীনা দার্শনিক কনফুসিয়াসের সৃষ্ট কুনফুসিয়াসবাদের মূল শিক্ষাই ছিল সুবিধাভোগী শ্রেণির আধিপত্য কায়েম করা এবং ঈশ্বরের ইচ্ছার জয়গান করা।

 মন্ট্রিল প্রটোকল
 ক্লোরোফ্লোরো কার্বন চুক্তি
 IPCC চুক্তি
 কোনটিই নয়
ব্যাখ্যাঃ

ক্রমহ্রাসমান হারে ওজোনস্তর ক্ষয়কারী উপাদান বিলীনের বিষয়টি মন্ট্রিল প্রটোকল চুক্তিতে বলা হয়েছে।

মন্ট্রিল প্রটোকল (Montreal Protocol on Substances that Deplete the Ozone Layer) হলো একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি যা ১৯৮৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো ওজোনস্তর ক্ষয়কারী রাসায়নিক পদার্থগুলোর (যেমন ক্লোরোফ্লোরোকার্বন - CFCs, হ্যালন, কার্বন টেট্রাক্লোরাইড, মিথাইল ব্রোমাইড ইত্যাদি) উৎপাদন ও ব্যবহার পর্যায়ক্রমে বন্ধ করে দেওয়া। এই চুক্তিকে পরিবেশ রক্ষায় অন্যতম সফল আন্তর্জাতিক চুক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

 টারশিয়ারী যুগে
 প্লাইস্টোসিন যুগে
 কোয়াটারনারী যুগে
 সাম্প্রতিক কালে
ব্যাখ্যাঃ

ভূতাত্ত্বিকভাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরাতন ভূমিরূপ গঠিত হয় টারশিয়ারী যুগে। এই অঞ্চলের টারশিয়ারি যুগের শিলাসমূহ মূলত দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল (পার্বত্য চট্টগ্রাম), উত্তর-পূর্বাঞ্চল (সিলেট-মৌলভীবাজার-হবিগঞ্জ অঞ্চল) এবং ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর গড়ের কিছু অংশে বিদ্যমান। এগুলো মূলত ভাঁজ করা পাহাড় ও উচ্চভূমি।

 বন্যা নিয়ন্ত্রণ
 পানি নিষ্কাশন
 পানি সেচ
 উপরের তিনটি (ক, খ, গ)
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের এফ. সি. ডি. আই. প্রকল্পের পূর্ণরূপ হলো Flood Control, Drainage, and Irrigation Projects। অর্থাৎ, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন এবং সেচ প্রকল্প

তাই, এই প্রকল্পের উদ্দেশ্যগুলো হলো:

  • বন্যা নিয়ন্ত্রণ (Flood Control)
  • পানি নিষ্কাশন (Drainage)
  • পানি সেচ (Irrigation)

এই তিনটি উদ্দেশ্যই বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং বন্যা ও জলাবদ্ধতা প্রতিরোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

 ক্রান্তীয় ও উপক্রান্তীয় জলবায়ু
 ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ু
 উপক্রান্তীয় জলবায়ু
 আর্দ্র ক্রান্তীয় জলবায়ু
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের জলবায়ু মূলত ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ু (Tropical Monsoon Climate) প্রকৃতির। এর কিছু প্রধান বৈশিষ্ট্য নিচে তুলে ধরা হলো:

১. উষ্ণ ও আর্দ্র গ্রীষ্মকাল এবং শুষ্ক শীতকাল:

  • গ্রীষ্মকাল (মার্চ-মে): এই সময় উষ্ণ ও আর্দ্র থাকে। গড় তাপমাত্রা সাধারণত ২৫-৩৫° সেলসিয়াস থাকে, তবে কখনো কখনো ৪০° সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়। এ সময়ে কালবৈশাখী ঝড় দেখা যায়।
  • বর্ষাকাল (জুন-অক্টোবর): দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে এই সময় প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। এটি বাংলাদেশের কৃষির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাত প্রায় ২০৩ সেন্টিমিটার। সিলেট অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়।
  • শীতকাল (নভেম্বর-ফেব্রুয়ারি): শীতকাল শুষ্ক ও তুলনামূলকভাবে মৃদু হয়। গড় তাপমাত্রা সাধারণত ১৮-২৫° সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে। উত্তর দিক থেকে আসা হিমালয়ের বাতাস দ্বারা সরাসরি প্রভাবিত না হওয়ায় (হিমালয় পর্বতমালা উত্তর দিক থেকে ঠাণ্ডা বাতাসকে আটকে রাখে) শীতকাল খুব তীব্র হয় না।

২. মৌসুমী বায়ুর প্রভাব: বাংলাদেশের জলবায়ুর প্রধান নিয়ন্ত্রক হলো মৌসুমী বায়ু। গ্রীষ্মকালে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু সমুদ্র থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প নিয়ে আসে, যার ফলে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। শীতকালে উত্তর-পূর্ব মৌসুমী বায়ু স্থলভাগ থেকে প্রবাহিত হয় বলে শুষ্ক থাকে।

৩. ভৌগোলিক অবস্থান:

  • কর্কটক্রান্তি রেখা: বাংলাদেশের মাঝ বরাবর কর্কটক্রান্তি রেখা অতিক্রম করায় এটি ক্রান্তীয় অঞ্চলে অবস্থিত।
  • বঙ্গোপসাগরের প্রভাব: দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের অবস্থান এবং উপকূলীয় অঞ্চলের কাছাকাছি হওয়ায় সমুদ্রের প্রভাব দেখা যায়, যা জলবায়ুকে কিছুটা সমভাবাপন্ন রাখে। অর্থাৎ, চরম উষ্ণ বা চরম শীতল অবস্থা খুব বেশি দেখা যায় না।
  • হিমালয় পর্বতমালার ভূমিকা: উত্তরে অবস্থিত হিমালয় পর্বতমালা শীতকালে সাইবেরিয়া থেকে আসা শীতল বায়ুকে বাংলাদেশে প্রবেশে বাধা দেয়, ফলে শীতকাল ততটা তীব্র হয় না।

৪. ঋতু বৈচিত্র্য: মৌসুমী জলবায়ুর কারণে বাংলাদেশে স্পষ্ট ঋতু বৈচিত্র্য দেখা যায়। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে ছয়টি ঋতু (গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত, বসন্ত) প্রচলিত, জলবায়ুগতভাবে প্রধানত তিনটি ঋতু (গ্রীষ্ম, বর্ষা, শীত) বেশি স্পষ্ট।

৫. প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রবণতা: বাংলাদেশের জলবায়ু প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য সংবেদনশীল। প্রতি বছরই বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, খরা এবং নদী ভাঙনের মতো দুর্যোগ দেখা যায়। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়গুলি বিশেষ করে বর্ষা ও বর্ষা পরবর্তী সময়ে উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষতি করে।

৬. জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব: বর্তমানে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত, অতিবৃষ্টি ও খরার মতো সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, যা দেশের কৃষি, পরিবেশ ও জনজীবনের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

সংক্ষেপে, বাংলাদেশের জলবায়ু উষ্ণ, আর্দ্র ও সমভাবাপন্ন ক্রান্তীয় মৌসুমী প্রকৃতির, যা কৃষি ও জীবনযাত্রার উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে।

 চাঁদপুর
 পিরোজপুর
 মাদারীপুর
 গাজীপুর
ব্যাখ্যাঃ

ভূগোল ও ভূ-প্রকৃতি অনুসারে, প্লাইস্টোসিন চত্বরভূমি (Pleistocene Terraces) হলো বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূ-প্রাকৃতিক অঞ্চল। এগুলো মূলত প্লাইস্টোসিন যুগে (প্রায় ২৫,০০০ বছর পূর্বে) গঠিত হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। এই সময়ে আন্তঃবরফ গলা পানিতে প্লাবনের সৃষ্টি হয়ে এসব চত্বরভূমি গঠিত হয়েছিল। এখানকার মাটির রঙ সাধারণত লালচে বা ধূসর হয় এবং মাটি নুড়ি, বালি ও কাঁকর মিশ্রিত।

বাংলাদেশের প্লাইস্টোসিন চত্বরভূমিকে প্রধানত তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়:

১. বরেন্দ্রভূমি (Barind Tract):

  • অবস্থান: এটি বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাংশে অবস্থিত।
  • বিস্তৃতি: রাজশাহী, নওগাঁ, বগুড়া, জয়পুরহাট এবং রংপুর ও দিনাজপুর জেলার অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত।
  • বৈশিষ্ট্য: এটি প্লাবন সমভূমি থেকে প্রায় ৬ থেকে ১২ মিটার উঁচু।

২. মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় (Madhupur and Bhawal Tract):

  • অবস্থান: এটি বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত।
  • বিস্তৃতি: ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, গাজীপুর এবং ঢাকা জেলার অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত।
  • বৈশিষ্ট্য: এটিও তুলনামূলকভাবে উঁচু এবং বনাঞ্চলে আচ্ছাদিত।

৩. লালমাই পাহাড় (Lalmai Hills):

  • অবস্থান: এটি কুমিল্লা শহরের পশ্চিমে অবস্থিত।
  • বিস্তৃতি: কুমিল্লা শহর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে লালমাই থেকে ময়নামতি পর্যন্ত বিস্তৃত।
  • বৈশিষ্ট্য: এটি তুলনামূলকভাবে ছোট আয়তনের একটি নিচু পাহাড়ী এলাকা।

এই প্লাইস্টোসিন চত্বরভূমিগুলো বাংলাদেশের অন্যান্য সমভূমি অঞ্চলের থেকে কিছুটা উঁচু এবং এদের মাটি ও গঠন প্রকৃতি ভিন্ন। কৃষি ও বসতি স্থাপনার ক্ষেত্রে এগুলোর স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

 সাভানা
 তুন্দ্রা
 প্রেইরি
 সাহেল
ব্যাখ্যাঃ

আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলকে মূলত সাহারা-নিম্ন আফ্রিকা (Sub-Saharan Africa) নামেই অভিহিত করা হয়। এটি সাহারা মরুভূমির দক্ষিণে অবস্থিত আফ্রিকা মহাদেশের বৃহৎ অংশকে বোঝায়।

এছাড়াও, কখনও কখনও একে কৃষ্ণ আফ্রিকা (Black Africa) নামেও উল্লেখ করা হয়, বিশেষ করে ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে, কারণ এই অঞ্চলের অধিকাংশ জনগোষ্ঠী কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকান।

তবে, একটি সুনির্দিষ্ট ভৌগোলিক অঞ্চল হিসেবে, সাহারা মরুভূমির দক্ষিণে অবস্থিত একটি পরিবর্তনশীল তৃণভূমি অঞ্চলকে সাহেল (Sahel) নামে অভিহিত করা হয়, যা সাব-সাহারা আফ্রিকার একটি অংশ। সাহেল উত্তরের মরুভূমি এবং দক্ষিণের ক্রান্তীয় অঞ্চলের মধ্যবর্তী একটি শুষ্ক থেকে আধা-শুষ্ক ক্রান্তীয় সাভানা বায়োম।

 উষ্ণতা
 আর্দ্রতা
 সমুদ্রস্রোত
 বায়ুপ্রবাহ
ব্যাখ্যাঃ

জলবায়ুর উপাদান নয় সমুদ্রস্রোত

  • জলবায়ুর উপাদান (Elements of Climate): জলবায়ুর উপাদান বলতে সেই ভৌত বৈশিষ্ট্যগুলিকে বোঝায় যা একটি নির্দিষ্ট স্থানের আবহাওয়া ও জলবায়ুকে সংজ্ঞায়িত করে। এগুলি সরাসরি পরিমাপযোগ্য এবং সময়ের সাথে সাথে তাদের গড় পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করে জলবায়ু বোঝা যায়। প্রধান উপাদানগুলো হলো:

    • উষ্ণতা (Temperature): বাতাসের উষ্ণতা জলবায়ুর একটি মৌলিক উপাদান।
    • আর্দ্রতা (Humidity): বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ, যা বৃষ্টিপাত এবং আর্দ্রতা নির্ধারণ করে।
    • বায়ুপ্রবাহ (Wind/Airflow): বাতাসের গতি ও দিক, যা উষ্ণতা, আর্দ্রতা এবং মেঘের চলাচলকে প্রভাবিত করে।
    • বৃষ্টিপাত (Precipitation): বৃষ্টি, তুষার, শিলাবৃষ্টি ইত্যাদি।
    • বায়ুচাপ (Atmospheric Pressure): বায়ুমণ্ডলের চাপ।
  • জলবায়ু নিয়ন্ত্রক (Factors/Controls of Climate): অন্যদিকে, জলবায়ু নিয়ন্ত্রক হলো সেই ভৌগোলিক বা পরিবেশগত কারণগুলি যা জলবায়ুর উপাদানগুলিকে প্রভাবিত করে। সমুদ্রস্রোত (Ocean Currents) হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ জলবায়ু নিয়ন্ত্রক, কারণ এটি উপকূলীয় অঞ্চলের তাপমাত্রা এবং বৃষ্টিপাতকে প্রভাবিত করে। উদাহরণস্বরূপ, উষ্ণ সমুদ্রস্রোত কাছাকাছি স্থলভাগে উষ্ণতা নিয়ে আসে এবং শীতল সমুদ্রস্রোত শীতলতা নিয়ে আসে।

সুতরাং, উষ্ণতা, আর্দ্রতা এবং বায়ুপ্রবাহ সরাসরি জলবায়ুর উপাদান, কিন্তু সমুদ্রস্রোত জলবায়ুর উপাদান নয়, বরং এটি একটি জলবায়ু নিয়ন্ত্রক

 রামসাগর
 বগা লেইক (Lake)
 টাঙ্গুয়ার হাওর
 কাপ্তাই হ্রদ
ব্যাখ্যাঃ

টাঙ্গুয়ার হাওর এলাকাটি ‘রামসার সাইট’ হিসেবে স্বীকৃত।

'রামসার সাইট' হলো আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ জলাভূমি, যা জলাভূমি ও জলজ পাখির আবাসস্থল সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে ১৯৭১ সালে ইরানের রামসার শহরে স্বাক্ষরিত একটি আন্তর্জাতিক চুক্তির (রামসার কনভেনশন) অধীনে মনোনীত করা হয়।

বাংলাদেশে মোট ৩টি এলাকা রামসার সাইট হিসেবে স্বীকৃত:

১. সুন্দরবন (১৯৯২ সালে স্বীকৃত) ২. টাঙ্গুয়ার হাওর (২০০০ সালে স্বীকৃত) ৩. হাকালুকি হাওর (২০০৩ সালে স্বীকৃত)

সুতরাং, প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে টাঙ্গুয়ার হাওর একটি রামসার সাইট।

 পাহাড়ের পাদদেশে
 নদীর নিম্ন অববাহিকায়
 নদীর উৎপত্তিস্থলে
 নদী মোহনায়
ব্যাখ্যাঃ

'পলল পাখা' (Alluvial Fan) হলো একটি বিশেষ ধরনের ভূমিরূপ যা সাধারণত পাহাড় বা পর্বতের পাদদেশে গঠিত হয়।

এটি যেভাবে গঠিত হয়: যখন কোনো পাহাড় বা পর্বত থেকে নদী বা ঝর্ণার স্রোত হঠাৎ করে সমভূমিতে প্রবেশ করে, তখন এর গতি কমে যায়। গতি কমে যাওয়ার কারণে নদীর বহন ক্ষমতা কমে যায় এবং এটি তার সাথে বয়ে আনা নুড়ি, বালি, কাদা এবং অন্যান্য শিলাচূর্ণ পর্বতের পাদদেশে জমা করতে শুরু করে। এই জমা হওয়া পদার্থগুলো ধীরে ধীরে একটি হাতপাখার (fan) আকৃতি ধারণ করে, যা দেখতে ত্রিভুজাকার বা আধা-বৃত্তাকার হয়। এই ভূমিরূপকেই 'পলল পাখা' বা 'পলল ব্যজনী' বলে।

উদাহরণ: হিমালয় পর্বতমালার পাদদেশে তিস্তা নদীর অববাহিকা অঞ্চলে এরকম অনেক পলল পাখা দেখা যায়। বাংলাদেশের দিনাজপুর ও রংপুর জেলার কিছু অংশ তিস্তা নদীর পলল পাখা দ্বারা গঠিত।

সংক্ষেপে, পলল পাখা হলো নদীর ক্ষয় ও সঞ্চয় কাজের সম্মিলিত ফল, যা নদীর উচ্চগতি থেকে নিম্নগতিতে প্রবেশ করার সময় গঠিত হয়।

 জাপানের উন্নয়ন কৌশল
 সুনামি দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস কৌশল
 দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস কৌশল
 ভূমিকম্পের ঝুঁকি হ্রাস কৌশল
ব্যাখ্যাঃ

'সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্ক ২০১৫-৩০' হলো একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি যা দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস (Disaster Risk Reduction - DRR) এর জন্য বিশ্বব্যাপী একটি নির্দেশিকা ও কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করে। এটি প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগের ঝুঁকি মোকাবিলায় দেশগুলোকে সহায়তা করার জন্য তৈরি হয়েছে।

পটভূমি

জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো ২০১৫ সালের ১৮ মার্চ জাপানের সেন্দাই শহরে অনুষ্ঠিত দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস বিষয়ক তৃতীয় জাতিসংঘ বিশ্ব সম্মেলনে এই ফ্রেমওয়ার্কটি গ্রহণ করে। এটি পূর্ববর্তী হাইওগো ফ্রেমওয়ার্ক (Hyogo Framework for Action 2005-2015)-এর উত্তরসূরি। হাইওগো ফ্রেমওয়ার্ক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় প্রতিরোধের উপর জোর দিলেও সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্ক দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস এবং স্থিতিস্থাপকতা (resilience) বাড়ানোর উপর বেশি মনোযোগ দেয়।

মূল উদ্দেশ্য

সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্কের মূল উদ্দেশ্য হলো:

  • ১৫ বছরের মধ্যে দুর্যোগের কারণে নতুন ঝুঁকি তৈরি হওয়া রোধ করা এবং বিদ্যমান ঝুঁকিগুলো কমিয়ে আনা।
  • ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর স্থিতিস্থাপকতা বাড়ানো
  • দুর্যোগের কারণে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করা

লক্ষ্যসমূহ (Global Targets)

ফ্রেমওয়ার্কটিতে সাতটি বৈশ্বিক লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে যা ২০৩০ সালের মধ্যে অর্জনের চেষ্টা করা হবে:

১. দুর্যোগের কারণে বৈশ্বিক মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো। ২. বৈশ্বিকভাবে দুর্যোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো। ৩. বৈশ্বিক মোট দেশজ উৎপাদনের (GDP) তুলনায় দুর্যোগের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক ক্ষতি কমানো। ৪. গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো (যেমন স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সুবিধা) এবং মৌলিক সেবার দুর্যোগ ক্ষতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো। ৫. দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসের জন্য জাতীয় ও স্থানীয় কৌশলের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করা। ৬. উন্নয়নশীল দেশগুলোকে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। ৭. মানুষের কাছে সহজলভ্য আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থা এবং দুর্যোগ ঝুঁকির তথ্যের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করা

কর্মসূচী (Priorities for Action)

এই লক্ষ্যগুলো অর্জনের জন্য চারটি প্রধান কর্মক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে:

১. দুর্যোগ ঝুঁকি বোঝা: ঝুঁকি সম্পর্কে জ্ঞান বৃদ্ধি এবং মূল্যায়ন করা। ২. দুর্যোগ ঝুঁকি শাসন জোরদার করা: দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার জন্য শক্তিশালী শাসনব্যবস্থা এবং প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা। ৩. বিনিয়োগ করা: দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসের জন্য বেসরকারি ও সরকারি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা। ৪. দুর্যোগ প্রস্তুতির উন্নতি: দুর্যোগের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া, কার্যকর সাড়া দেওয়া এবং 'পুনরায় ভালো করে তৈরি করা' (Build Back Better) ধারণা অনুসরণ করা।

 ভূমিকম্প
 ভূমিধস
 নদীভাঙ্গন
 ঘূর্ণিঝড়
ব্যাখ্যাঃ

ভূমিকম্প জলজ আবহাওয়াজনিত (hydro-meteorological) দুর্যোগ নয়।

  • জলজ আবহাওয়াজনিত (Hydro-meteorological) দুর্যোগ হলো সেইসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ যা জল (পানি) এবং আবহাওয়ার ঘটনার সম্মিলিত প্রভাবে ঘটে। এর মধ্যে রয়েছে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত, বন্যা, খরা, ঝড়, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ইত্যাদি।

  • ভূমিকম্প: এটি ভূতাত্ত্বিক দুর্যোগ (geological hazard), যা পৃথিবীর ভূত্বকের টেকটোনিক প্লেটের নড়াচড়ার কারণে ঘটে। এর সাথে জল বা আবহাওয়ার কোনো প্রত্যক্ষ সম্পর্ক নেই।

  • ভূমিধস: এটি প্রায়শই অতিবৃষ্টি বা বন্যা এবং মাটির জলীয় সম্পৃক্তির কারণে ঘটে, তাই এটি জলজ আবহাওয়াজনিত দুর্যোগের আওতায় পড়ে।

  • নদীভাঙন: এটি মূলত নদীর জলের অতিরিক্ত প্রবাহ, স্রোত এবং পলল পরিবহনের কারণে ঘটে, যা জলজ আবহাওয়াজনিত প্রভাবের (যেমন বন্যা) সাথে সম্পর্কিত।

  • ঘূর্ণিঝড়: এটি একটি আবহাওয়াজনিত ঘটনা যা শক্তিশালী বাতাস এবং ভারী বৃষ্টিপাত নিয়ে আসে এবং সমুদ্রের উপর গঠিত হয়, তাই এটি স্পষ্টতই জলজ আবহাওয়াজনিত দুর্যোগ।

 টাইক্লোরোটাইফ্লুরো ইথেন
 কার্বন ডাই অক্সাইড
 ডাইক্লোরো ডাইফ্লুরো ইথেন
 আর্গন
ব্যাখ্যাঃ 'ড্রাই আইস' হলো কার্বন ডাই অক্সাইড (CO₂) এর কঠিন রূপ। এটি সাধারণ বরফের মতো দেখতে হলেও এর বৈশিষ্ট্য একদম ভিন্ন।

মূল বৈশিষ্ট্য



  • রাসায়নিক গঠন: এটি শুধুই কার্বন ডাই অক্সাইড, কিন্তু কঠিন অবস্থায়।
  • উর্ধ্বপাতন (Sublimation): সাধারণ বরফ যেমন গলে পানিতে পরিণত হয়, ড্রাই আইস কিন্তু তরল না হয়ে সরাসরি গ্যাসে (কার্বন ডাই অক্সাইড) রূপান্তরিত হয়। একে বলে উর্ধ্বপাতন। এই কারণে এর কোনো ভেজা অবশিষ্টাংশ থাকে না, তাই একে 'ড্রাই' বা শুকনো বরফ বলা হয়।
  • অত্যন্ত নিম্ন তাপমাত্রা: ড্রাই আইসের তাপমাত্রা প্রায় .°C (.°F)। এটি সাধারণ বরফের চেয়ে অনেক বেশি ঠান্ডা।

ব্যবহার



ড্রাই আইসের এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলোর কারণে এর অনেক ব্যবহার রয়েছে:

  • শীতলীকরণ: খাবার, ওষুধ, নমুনা বা অন্যান্য সংবেদনশীল জিনিসপত্র দীর্ঘক্ষণ ঠান্ডা বা হিমায়িত রাখতে এটি ব্যবহার করা হয়, বিশেষ করে পরিবহনের সময় যেখানে রেফ্রিজারেটরের ব্যবস্থা নেই।
  • বিশেষ প্রভাব: চলচ্চিত্র, থিয়েটার বা কনসার্টে ধোঁয়া বা কুয়াশার মতো বিশেষ প্রভাব তৈরি করতে এটি ব্যবহৃত হয়। যখন ড্রাই আইস পানিতে মেশানো হয়, তখন ঘন সাদা কুয়াশা তৈরি হয়।
  • পরিষ্কার করা: ড্রাই আইস ব্লাস্টিং পদ্ধতিতে যন্ত্রপাতি বা পৃষ্ঠতল পরিষ্কার করতে এটি ব্যবহার করা হয়। এটি পৃষ্ঠের ক্ষতি না করে ময়লা দূর করতে পারে এবং কোনো রাসায়নিক অবশিষ্টাংশ ফেলে না।
  • গবেষণাগার ও শিল্প: বৈজ্ঞানিক গবেষণাগারে এবং কিছু শিল্প প্রক্রিয়ায় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য এটি ব্যবহৃত হয়।
 টাইক্লোরোট্রাইফ্লুরো ইথেন
 টেট্রাফ্লুরো ইথেন
 ডাইক্লোরো ডাইফ্লুরো ইথেন
 আর্গন
ব্যাখ্যাঃ

বর্তমানে রেফ্রিজারেটরের কম্প্রেসরে পরিবেশ-বান্ধব হিসেবে যে গ্যাসগুলো ব্যবহার করা হয়, সেগুলোর মধ্যে প্রধান দুটি হলো:

১. R-600a (আইসোবুটেন): এটি একটি প্রাকৃতিক হাইড্রোকার্বন গ্যাস, যা পরিবেশের জন্য খুবই নিরাপদ বলে বিবেচিত হয়। এর ওজোনস্তর ক্ষয় করার ক্ষমতা (ODP) শূন্য এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়নে এর প্রভাব (GWP) অত্যন্ত কম। বাংলাদেশে উৎপাদিত বেশিরভাগ ফ্রিজে বর্তমানে এই গ্যাসটি ব্যবহার করা হচ্ছে।

২. R-134a (টেট্রাফ্লুরো ইথেন): এটি একটি হাইড্রোফ্লুরোকার্বন (HFC) গ্যাস। CFC-এর (ক্লোরোফ্লুরোকার্বন) বিকল্প হিসেবে এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় কারণ এটি ওজোনস্তর ক্ষয় করে না (ODP শূন্য)। তবে, এর GWP (গ্লোবাল ওয়ার্মিং পটেনশিয়াল) R-600a এর চেয়ে কিছুটা বেশি হলেও, এটি CFC-এর তুলনায় অনেক কম ক্ষতিকর।

কিছু ক্ষেত্রে R-290 (প্রোপেন) গ্যাসও ব্যবহার করা হয়, যা R-600a এর মতোই একটি প্রাকৃতিক রেফ্রিজারেন্ট এবং পরিবেশের জন্য নিরাপদ।

অতীতে ব্যবহৃত CFC (যেমন R-12) এবং HCFC (যেমন R-22) গ্যাসগুলো ওজোনস্তরের জন্য ক্ষতিকর হওয়ায় এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়নে অবদান রাখায় মন্ট্রিল প্রটোকলের আওতায় সেগুলোর ব্যবহার পর্যায়ক্রমে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে পরিবেশবান্ধব বিকল্পগুলোর ব্যবহার বাড়ছে।

 আলফা রেস (alpha rays)
 বিটা রেস (beta rays)
 গামা রেস (gamma rays)
 এক্স রেস (x-rays)
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো গঃ গামা রেস (gamma rays) এবং ঘঃ এক্স রেস (x-rays)

ক্যান্সার চিকিৎসায় এই উভয় প্রকার বিকিরণই ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। তাই, যদি একাধিক সঠিক উত্তর নির্বাচনের সুযোগ থাকে, তবে উভয়ই সঠিক। যদি একটি বিকল্প বেছে নিতে হয় এবং প্রশ্নটি সবচেয়ে প্রচলিত পদ্ধতি সম্পর্কে হয়, তবে প্রায়শই এক্স-রে এবং গামা রশ্মি (বিশেষ করে কোবাল্ট-৬০ থেকে) উভয়ই প্রধান হিসেবে গণ্য হয়।

  • এক্স-রে (X-rays): এটি লিনিয়ার এক্সিলারেটর (LINAC) নামক যন্ত্রের সাহায্যে উৎপন্ন উচ্চ শক্তির বিকিরণ, যা বহুল ব্যবহৃত।
  • গামা রেস (Gamma rays): এটি তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ যেমন কোবাল্ট-৬০ থেকে নির্গত হয় এবং ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করতে ব্যবহৃত হয়।

আলফা রেস এবং বিটা রেসও কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে (যেমন কিছু নিউক্লিয়ার মেডিসিন থেরাপিতে) ব্যবহৃত হলেও, সরাসরি রেডিয়েশন থেরাপিতে প্রধানত এক্স-রে এবং গামা রেস ব্যবহার করা হয়।

 প্লাস্টিড
 মাইটোকন্ড্রিয়া
 নিউক্লিওলাস
 ক্রোমাটিন বস্তু
ব্যাখ্যাঃ

ব্যাকটেরিয়ার কোষে ক্রোমাটিন বস্তু উপস্থিত থাকে।

ব্যাকটেরিয়া হলো প্রোক্যারিওটিক জীব, যার অর্থ হলো তাদের কোষে সুসংগঠিত নিউক্লিয়াস বা ঝিল্লি-আবদ্ধ অঙ্গাণু (যেমন প্লাস্টিড, মাইটোকন্ড্রিয়া, নিউক্লিওলাস) থাকে না।

  • প্লাস্টিড: এটি উদ্ভিদ কোষে (এবং কিছু শৈবালে) সালোকসংশ্লেষণে সহায়তা করে, ব্যাকটেরিয়ায় থাকে না।
  • মাইটোকন্ড্রিয়া: এটি ইউক্যারিওটিক কোষে শক্তি উৎপাদনের জন্য দায়ী, ব্যাকটেরিয়ায় থাকে না।
  • নিউক্লিওলাস: এটি ইউক্যারিওটিক কোষে নিউক্লিয়াসের ভিতরে অবস্থিত এবং রাইবোজোম উৎপাদনে সহায়তা করে, ব্যাকটেরিয়ায় সুসংগঠিত নিউক্লিয়াস না থাকায় নিউক্লিওলাসও থাকে না।
  • ক্রোমাটিন বস্তু: ব্যাকটেরিয়ার কোষে একটি একক, বৃত্তাকার ডিএনএ অণু থাকে যা নিউক্লিওড অঞ্চলে অবস্থিত। এই ডিএনএ প্রোটিনের সাথে যুক্ত হয়ে ক্রোমাটিন বস্তুর মতো কাজ করে, যদিও এটি ইউক্যারিওটিক কোষের মতো সুসংগঠিত ক্রোমাটিন নয়। তাই, ডিএনএ এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট প্রোটিনকে এক অর্থে ক্রোমাটিন বস্তুর উপস্থিতি হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। ইউক্যারিওটিক কোষে যেমন সুসংগঠিত নিউক্লিয়াসের মধ্যে ক্রোমাটিন থাকে, ব্যাকটেরিয়ার ক্ষেত্রে নিউক্লিওড অঞ্চলে ডিএনএ বিন্যস্ত থাকে যা তাদের জিনগত উপাদান বহন করে।
 এপিলেপসি
 পারকিনসন
 প্যারালাইসিস
 থ্রমবোসিন
ব্যাখ্যাঃ

মস্তিষ্কের যে কোষগুলো ডোপামিন তৈরি করে, সেগুলো নষ্ট হয়ে গেলে পারকিনসন রোগ (Parkinson's Disease) হয়।

ব্যাখ্যা:

পারকিনসন রোগ একটি প্রগতিশীল স্নায়বিক রোগ। মস্তিষ্কের সাবস্ট্যানশিয়া নিগ্রা (Substantia Nigra) নামক অংশের ডোপামিন উৎপাদনকারী নিউরন বা কোষগুলো যখন ধীরে ধীরে ক্ষয়প্রাপ্ত হতে শুরু করে বা মারা যায়, তখন এই রোগ দেখা দেয়। ডোপামিন হলো একটি নিউরোট্রান্সমিটার যা মস্তিষ্কে সংকেত প্রেরণে সাহায্য করে এবং মানুষের নড়াচড়া, মেজাজ, ঘুম এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কার্য নিয়ন্ত্রণ করে।

ডোপামিনের ঘাটতির ফলে মস্তিষ্কের বার্তা প্রেরণে ব্যাঘাত ঘটে, যার কারণে পারকিনসন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা বিভিন্ন মোটর (নড়াচড়া সংক্রান্ত) এবং নন-মোটর লক্ষণ অনুভব করেন।

পারকিনসন রোগের প্রধান লক্ষণগুলো হলো:

  • কম্পন (Tremor): সাধারণত বিশ্রামরত অবস্থায় হাত, পা, আঙুল বা মাথায় কাঁপুনি।
  • পেশীর অনমনীয়তা (Rigidity): অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও মাংসপেশী শক্ত হয়ে যাওয়া, যা নড়াচড়া কঠিন করে তোলে এবং ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।
  • নড়াচড়ার ধীরগতি (Bradykinesia): স্বেচ্ছামূলক নড়াচড়া ধীর হয়ে যায়। হাঁটা শুরু করা বা স্বাভাবিক কাজগুলো করা কঠিন হয়ে পড়ে।
  • ভারসাম্যহীনতা (Postural Instability): ভঙ্গিতে অস্থিরতা এবং ভারসাম্য বজায় রাখতে অসুবিধা, যার ফলে পড়ে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ে।

এছাড়াও, বিষণ্নতা, ঘুমের সমস্যা, কথা বলায় অসুবিধা, কোষ্ঠকাঠিন্য, ঘ্রাণশক্তি কমে যাওয়া এবং ডিমেনশিয়া (স্মৃতিভ্রংশ) এর মতো নন-মোটর লক্ষণও দেখা দিতে পারে।

পারকিনসন রোগের কোনো স্থায়ী প্রতিকার নেই, তবে ওষুধ, ফিজিওথেরাপি এবং কিছু ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে লক্ষণগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং রোগীর জীবনযাত্রার মান উন্নত করা যায়।

 খেজুর পাম
 সাগু পাম
 নিপা পাম
 তাল পাম
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো নিপা পাম (Nipa Palm)

নিপা পাম (Nypa fruticans), যা সাধারণত নিপা বা গোলপাতা নামে পরিচিত, এটি একটি বিশেষ ধরনের পাম গাছ যা শুধুমাত্র ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলে বা লবণাক্ত ও স্বাদু জলের সংমিশ্রণের জোয়ার-ভাটা প্রভাবিত কাদা মাটিতে জন্মে। সুন্দরবন এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলে এটি প্রচুর পরিমাণে দেখা যায়।

অন্যান্য পাম গাছগুলো (যেমন খেজুর পাম, সাগু পাম, তাল পাম) সাধারণত বিভিন্ন ধরনের ভূমিতে জন্মাতে পারে এবং ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের জন্য বিশেষভাবে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ নয়।

 ট্রপোমন্ডল
 স্ট্রাটোমন্ডল
 মেসোমণ্ডল
 তাপমণ্ডল
ব্যাখ্যাঃ

বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে বজ্রপাত ঘটে ট্রপোমন্ডলে (Troposphere)

বায়ুমণ্ডলের সবচেয়ে নিচের স্তর ট্রপোমন্ডলেই পৃথিবীর সমস্ত আবহাওয়ার ঘটনা, যার মধ্যে বজ্রপাতও অন্তর্ভুক্ত, ঘটে থাকে।

 ২.০৫%
 ০.৬৮%
 ০.০১%
 ০.০০১%
ব্যাখ্যাঃ

পৃথিবীর মোট জলরাশির (বারিমণ্ডলের) শতকরা প্রায় ০.৬৮% জল ভূগর্ভে ধারণ করে।

যদিও ভূগর্ভস্থ পানি পৃথিবীর মোট স্বাদু পানির একটি বড় অংশ (প্রায় ৩০.১%), তবে যখন পৃথিবীর মোট জলরাশির (যার বেশিরভাগই সমুদ্রের লবণাক্ত জল) শতাংশ হিসাবে বিবেচনা করা হয়, তখন এর পরিমাণ অনেক কম। বিভিন্ন উৎসের তথ্য সামান্য ভিন্ন হতে পারে, তবে এটি সাধারণত ১% এর কম থাকে। কিছু সূত্রে এটি প্রায় ০.৭% বা ১.৭%ও দেখানো হয় (লবণাক্ত ভূগর্ভস্থ জল সহ)।

সহজভাবে মনে রাখার জন্য, পৃথিবীর মোট জলের ৯৭% এরও বেশি লবণাক্ত (সমুদ্র ও মহাসাগর), এবং বাকি প্রায় ২.৫-৩% স্বাদু জল। এই স্বাদু জলের প্রায় ৬৮.৭% হিমবাহ ও মেরু অঞ্চলে বরফ হিসাবে জমা আছে, এবং প্রায় ৩০.১% ভূগর্ভস্থ জল হিসাবে বিদ্যমান।

 ৩০ দিনের মধ্যে ভ্যাকসিন দিতে হবে
 ৭ দিন ইনকিউবেটরে রাখতে হবে
 জন্মের ১২ ঘণ্টার মধ্যে ভ্যাকসিন ও এইচবিআইজি (HBIG) শট দিতে হবে
 জন্মের ১ মাস পর কেবলমাত্র (HBIG) শট দিতে হবে
ব্যাখ্যাঃ

মা-এর রক্তে হেপাটাইটিস-বি (Hepatitis-B) ভাইরাস থাকলে নবজাতকের স্বাস্থ্যঝুঁকি ব্যবস্থাপনার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো নেওয়া অত্যন্ত জরুরি:

১. জন্মের ১২ ঘন্টার মধ্যে ভ্যাকসিন ও এইচবিআইজি (HBIG) শট: নবজাতকের জন্মের ১২ ঘন্টার মধ্যে হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসের টিকা (Hepatitis B vaccine) এর প্রথম ডোজ এবং হেপাটাইটিস বি ইমিউনোগ্লোবুলিন (Hepatitis B Immune Globulin - HBIG) এর একটি শট দিতে হবে। এই দুটি একসাথে দিলে নবজাতকের শরীরে ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য দ্রুত অ্যান্টিবডি তৈরি হয় এবং সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক কমে যায়।

২. পরবর্তী টিকার ডোজ: হেপাটাইটিস-বি ভ্যাকসিনের পরবর্তী ডোজগুলো চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়সূচী মেনে দিতে হবে। সাধারণত, মোট ৩ বা ৪টি ডোজের একটি সিরিজ সম্পন্ন করতে হয় (যেমন: জন্মকালীন, ১ মাস, ৬ মাস বা জন্মকালীন, ১ মাস, ২ মাস, ৬ মাস)।

৩. পরীক্ষা-নিরীক্ষা: নবজাতকের সম্পূর্ণ টিকাদান প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর রক্ত পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে হবে যে তার শরীরে হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে কিনা এবং সে নিজে সংক্রমিত হয়েছে কিনা।

৪. বুকের দুধ পান: হেপাটাইটিস-বি আক্রান্ত মা নবজাতককে বুকের দুধ পান করাতে পারেন। বুকের দুধের মাধ্যমে হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস শিশুর শরীরে ছড়ায় না, তবে জন্মকালীন সুরক্ষা নিশ্চিত করার পর এটি করা উচিত।

এই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাগুলো গ্রহণ করলে, হেপাটাইটিস-বি আক্রান্ত মা থেকে শিশুর শরীরে ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি ৯০% এরও বেশি কমানো সম্ভব। এই রোগের দীর্ঘমেয়াদী জটিলতা, যেমন লিভার সিরোসিস বা লিভার ক্যান্সার প্রতিরোধে এই পদক্ষেপগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

 Aedes aegypti মশা
 House flies
 Anopheles
 ইঁদুর ও কাঠবেড়ালী
ব্যাখ্যাঃ

ডেঙ্গু রোগ মূলত এডিস মশার (Aedes mosquito) মাধ্যমে ছড়ায়।

এর সংক্রমণের পদ্ধতিটি নিম্নরূপ:

১. ভাইরাস বহনকারী মশার কামড়: ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তিকে যখন এডিস মশা (বিশেষ করে স্ত্রী এডিস ইজিপ্টি - Aedes aegypti এবং কিছু ক্ষেত্রে Aedes albopictus) কামড়ায়, তখন ভাইরাস মশার শরীরে প্রবেশ করে এবং বংশবৃদ্ধি করে। ২. ভাইরাসের ইনকিউবেশন পিরিয়ড: মশার শরীরে ভাইরাসটি প্রায় ৮-১২ দিন (ইনকিউবেশন পিরিয়ড) থাকে এবং মশার লালাগ্রন্থিতে পৌঁছায়। ৩. সুস্থ ব্যক্তিকে সংক্রমণ: এরপর এই ভাইরাস বহনকারী মশা যখন একজন সুস্থ মানুষকে কামড়ায়, তখন মশার লালার সাথে ভাইরাস সেই ব্যক্তির রক্তে প্রবেশ করে এবং তাকে সংক্রমিত করে।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:

  • মানুষ থেকে মানুষে সরাসরি ছড়ায় না: ডেঙ্গু রোগ কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয়। অর্থাৎ, আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে, একই বিছানায় ঘুমালে বা তার ব্যবহৃত জিনিস ব্যবহার করলে অন্য কেউ সংক্রমিত হয় না।
  • একাধিকবার সংক্রমণ: ডেঙ্গু ভাইরাস চার ধরনের (DENV-1, DENV-2, DENV-3, DENV-4)। একজন ব্যক্তি জীবনে একাধিকবার ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হতে পারে। প্রথমবারের চেয়ে দ্বিতীয়বার বা তার পরের সংক্রমণগুলো সাধারণত বেশি গুরুতর হয়।
  • মশার কামড়: এডিস মশা সাধারণত দিনের বেলায় বেশি সক্রিয় থাকে, বিশেষ করে ভোরবেলা এবং সন্ধ্যার পূর্বে। তবে বর্তমানে, এই মশার আচরণে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে এবং এটি দিনে ও রাতে উভয় সময়েই কামড়াতে পারে।
  • বংশবিস্তার স্থান: এডিস মশা পরিষ্কার, জমে থাকা পানিতে বংশবিস্তার করে। যেমন - ফুলের টব, টায়ার, প্লাস্টিকের পাত্র, এসি বা ফ্রিজের নিচে জমে থাকা পানি ইত্যাদি। বর্ষাকালে এর প্রকোপ বাড়ে।

সুতরাং, ডেঙ্গু রোগ ছড়ানোর একমাত্র প্রধান উপায় হলো ডেঙ্গু ভাইরাসবাহী এডিস মশার কামড়।

 দার্শনিক
 পদার্থবিদ
 রসায়নবিদ
 কবি
ব্যাখ্যাঃ

স্টিফেন উইলিয়াম হকিং (Stephen William Hawking) ছিলেন একজন প্রখ্যাত ইংরেজ তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী, কসমোলজিস্ট (মহাবিশ্বতত্ত্ববিদ) এবং লেখক। তাকে বিংশ ও একবিংশ শতাব্দীর অন্যতম সেরা বিজ্ঞানী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

জন্ম ও প্রাথমিক জীবন: তিনি ১৯৪২ সালের ৮ জানুয়ারি অক্সফোর্ড, যুক্তরাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা-মা দুজনেই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। ছোটবেলা থেকেই তার বিজ্ঞানের প্রতি গভীর আগ্রহ ছিল।

শিক্ষা জীবন: হকিং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিভার্সিটি কলেজ থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রিনিটি হলে কসমোলজি নিয়ে পিএইচডি করার জন্য ভর্তি হন।

অসুস্থতা ও প্রতিকূলতা: ১৯৬৩ সালে, মাত্র ২১ বছর বয়সে, হকিং অ্যামায়োট্রফিক ল্যাটারাল স্ক্লেরোসিস (ALS) বা মোটর নিউরন রোগে আক্রান্ত হন। এটি একটি বিরল প্রগতিশীল স্নায়বিক রোগ, যা ধীরে ধীরে শরীরের পেশী নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতাকে নষ্ট করে দেয়। চিকিৎসকরা তাকে কয়েক বছর বাঁচবেন বলে ধারণা করেছিলেন। কিন্তু তিনি এই মারাত্মক রোগ নিয়েও ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে বেঁচে ছিলেন এবং তার গবেষণা চালিয়ে গেছেন। পরবর্তীতে, তিনি তার কণ্ঠস্বরও হারান এবং একটি বিশেষ ভয়েস সিন্থেসাইজার যন্ত্রের মাধ্যমে যোগাযোগ করতেন, যা তিনি তার গালের পেশীর নড়াচড়া দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করতেন।

বৈজ্ঞানিক অবদান: শারীরিক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও স্টিফেন হকিং পদার্থবিজ্ঞানে অসংখ্য যুগান্তকারী অবদান রেখেছেন। তার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কাজগুলো হলো:

  • কৃষ্ণগহ্বর (Black Holes): তিনি রজার পেনরোজের সাথে মিলে প্রমাণ করেন যে, আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্ব অনুসারে মহাবিশ্বের শুরুতে একটি সিঙ্গুলারিটি (singularity) থাকা আবশ্যক, যা বিগ ব্যাং তত্ত্বকে সমর্থন করে।
  • হকিং বিকিরণ (Hawking Radiation): এটি তার সবচেয়ে বিখ্যাত তত্ত্বগুলোর মধ্যে অন্যতম। তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেন যে, কৃষ্ণগহ্বর পুরোপুরি কালো নয়, বরং এটি কণা এবং বিকিরণ নির্গত করে। এই বিকিরণ 'হকিং বিকিরণ' নামে পরিচিত। এই ধারণাটি আপেক্ষিকতা তত্ত্ব এবং কোয়ান্টাম মেকানিক্সকে একত্রিত করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল।
  • মহাবিশ্বের উৎপত্তি ও গঠন: তিনি মহাবিশ্বের উৎপত্তি, ব্ল্যাক হোল এবং কোয়ান্টাম মাধ্যাকর্ষণ নিয়ে ব্যাপক গবেষণা করেছেন।

জনপ্রিয় বইসমূহ: স্টিফেন হকিং বিজ্ঞানকে সাধারণ মানুষের কাছে সহজবোধ্য করার জন্য বেশ কিছু জনপ্রিয় বিজ্ঞান বই লিখেছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো:

  • A Brief History of Time (কালের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস): এটি ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত হয় এবং বিশ্বজুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে।
  • The Universe in a Nutshell
  • The Grand Design

সম্মান ও পুরস্কার: তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের লুকাসিয়ান প্রফেসর অফ ম্যাথমেটিক্স পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন, যা একসময় স্যার আইজ্যাক নিউটনের পদ ছিল। তার কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেছেন, যার মধ্যে রয়েল সোসাইটির ফেলোশিপ এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অফ ফ্রিডম উল্লেখযোগ্য।

মৃত্যু: স্টিফেন হকিং ২০১৮ সালের ১৪ মার্চ ৭৬ বছর বয়সে ক্যামব্রিজে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানপ্রেমী ও সাধারণ মানুষ গভীর শোক প্রকাশ করে। তার জীবন ও কাজ মানুষকে অনুপ্রাণিত করে দেখিয়েছে যে, শারীরিক সীমাবদ্ধতা ইচ্ছাশক্তির কাছে কোনো বাধা হতে পারে না।

 নাইট্রোজেন গ্যাস
 মিথেন গ্যাস
 হাইড্রোজেন গ্যাস
 কার্বন মনোক্সাইড
ব্যাখ্যাঃ

প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান হলো মিথেন (Methane - CH₄)

সাধারণত, প্রাকৃতিক গ্যাসে ৮০% থেকে ৯০% বা তারও বেশি মিথেন থাকে। এর সাথে অল্প পরিমাণে ইথেন, প্রোপেন, বিউটেন এবং অন্যান্য হাইড্রোকার্বন গ্যাসও থাকে। এছাড়া, অল্প পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড, নাইট্রোজেন এবং হাইড্রোজেন সালফাইডও থাকতে পারে।

 তেল
 সমুদ্রের ঢেউ
 গ্যাস
 কয়লা
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো সমুদ্রের ঢেউ

ব্যাখ্যা:

  • নবায়নযোগ্য শক্তি (Renewable Energy): যে শক্তির উৎসগুলো প্রকৃতিতে বারবার উৎপন্ন হয় বা যাদের মজুদ অফুরন্ত, তাদের নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস বলা হয়। যেমন: সূর্যের আলো, বায়ুপ্রবাহ, জলপ্রবাহ, ভূ-তাপীয় শক্তি, বায়োমাস এবং সমুদ্রের ঢেউ।

  • অনবায়নযোগ্য শক্তি (Non-renewable Energy): যে শক্তির উৎসগুলো প্রকৃতিতে সীমিত পরিমাণে রয়েছে এবং একবার ব্যবহার করলে তা ফুরিয়ে যায় বা পুনরায় তৈরি হতে অনেক বেশি সময় লাগে, তাদের অনবায়নযোগ্য শক্তির উৎস বলা হয়। যেমন: কয়লা, তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস (ফসিল ফুয়েল) এবং নিউক্লিয়ার শক্তি।

প্রদত্ত বিকল্পগুলির মধ্যে, তেল, গ্যাস এবং কয়লা হলো অনবায়নযোগ্য শক্তির উৎস। অন্যদিকে, সমুদ্রের ঢেউ হলো একটি নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস, যা সমুদ্রের ঢেউয়ের গতিশক্তিকে বিদ্যুতে রূপান্তরিত করে ব্যবহার করা হয়।

 পিতল
 তামা
 লোহা
 টিন
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো পিতল

ব্যাখ্যা:

  • পিতল একটি সংকর ধাতু (alloy)। এটি তামা (Copper) এবং দস্তা (Zinc) মিশিয়ে তৈরি করা হয়।
  • তামা, লোহা এবং টিন প্রতিটিই মৌলিক পদার্থ। অর্থাৎ, এগুলো প্রকৃতিতে একক উপাদান হিসেবে পাওয়া যায় এবং অন্য কোনো উপাদান দ্বারা গঠিত নয়।

সুতরাং, পিতল একটি সংকর ধাতু হওয়ায় এটি বাকি তিনটি মৌলিক পদার্থ থেকে ভিন্ন।

 11111111
 0000 0000
 0101 0000
 1000 0011
ব্যাখ্যাঃ ১ এর পরিপূরক (1's complement) পেতে হলে বাইনারি সংখ্যার প্রতিটি ০ কে ১ দ্বারা এবং প্রতিটি ১ কে ০ দ্বারা পরিবর্তন করতে হয়।

তাহলে, 10101111 এর 1's complement হবে:

01010000
 তামার তার
 কো-এক্সিয়াল ক্যাবল
 অপটিকাল ফাইবার
 ওয়্যারলেস মিডিয়া
ব্যাখ্যাঃ

আলোর পালস প্রধানত অপটিক্যাল ফাইবার (Optical Fiber) মাধ্যমে ব্যবহৃত হয়।

অপটিক্যাল ফাইবার হলো অত্যন্ত সরু ও নমনীয় কাচ বা প্লাস্টিকের তন্তু, যার মধ্য দিয়ে আলোর সিগনাল (পালস আকারে) সম্পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন নীতির উপর ভিত্তি করে ভ্রমণ করে। এই পদ্ধতিতে ডেটা আলোর গতিতে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হয়।

এর প্রধান ব্যবহারগুলো হলো:

  • টেলিযোগাযোগ: ইন্টারনেট, টেলিফোন এবং অন্যান্য যোগাযোগ ব্যবস্থায় দ্রুত ডেটা স্থানান্তরের জন্য অপটিক্যাল ফাইবার বিশ্বজুড়ে ব্যবহৃত হয়। সাবমেরিন কেবলের মতো বৃহৎ নেটওয়ার্কগুলিতেও আলোর পালস ব্যবহার করে ডেটা আদান-প্রদান করা হয়।
  • মেডিকেল ক্ষেত্র: এন্ডোস্কোপির মতো চিকিৎসা পদ্ধতিতে শরীরের অভ্যন্তর দেখতে বা লেজার চিকিৎসার ক্ষেত্রে আলোর পালস ব্যবহার করা হয়।
  • সেন্সর: বিভিন্ন সেন্সরে আলোর পালস ব্যবহার করে তাপমাত্রা, চাপ বা অন্যান্য পরিবেশগত পরিবর্তন পরিমাপ করা হয়।

আলোর পালস ব্যবহারের মূল সুবিধা হলো এর উচ্চ গতি এবং কম শক্তি ক্ষয়, যা একে দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য ডেটা স্থানান্তরের জন্য আদর্শ করে তোলে।

 POP3
 POP9
 HTML
 SMTP
ব্যাখ্যাঃ

ই-মেইল গ্রহণ করার জন্য দুটি প্রধান প্রোটোকল ব্যবহৃত হয়:

১. POP3 (Post Office Protocol 3): এটি ই-মেইল গ্রহণ করার জন্য বহুল ব্যবহৃত একটি প্রোটোকল। POP3 ব্যবহার করলে ই-মেইল সার্ভার থেকে আপনার ডিভাইসে (কম্পিউটার বা ফোন) ডাউনলোড হয়ে যায় এবং সাধারণত সার্ভার থেকে মুছে যায়। এর ফলে আপনি অফলাইনেও ই-মেইল পড়তে পারেন, তবে অন্য কোনো ডিভাইস থেকে সেই ই-মেইলগুলো অ্যাক্সেস করতে পারবেন না যদি সেগুলো সার্ভার থেকে মুছে যায়।

২. IMAP (Internet Message Access Protocol): এটিও ই-মেইল গ্রহণ করার জন্য একটি জনপ্রিয় প্রোটোকল। IMAP ব্যবহার করলে ই-মেইলগুলো সার্ভারেই থাকে এবং আপনার ডিভাইসে শুধু একটি কপি ডাউনলোড হয়। এর সুবিধা হলো, আপনি একাধিক ডিভাইস থেকে আপনার ই-মেইল অ্যাক্সেস করতে পারবেন এবং সব ডিভাইসেই ই-মেইলের অবস্থা (পড়া, না পড়া, ডিলিট করা ইত্যাদি) সিনক্রোনাইজড থাকবে। বর্তমান যুগে, যখন মানুষ একাধিক ডিভাইস থেকে ই-মেইল ব্যবহার করে, তখন IMAP বেশি সুবিধাজনক হিসেবে বিবেচিত হয়।

যদিও দুটি প্রোটোকলই ই-মেইল গ্রহণের জন্য ব্যবহৃত হয়, POP3 ঐতিহ্যগতভাবে "অধিক ব্যবহৃত" হিসেবে পরিচিত ছিল, বিশেষ করে যখন ইন্টারনেট সংযোগ সবসময় সহজলভ্য ছিল না এবং ব্যবহারকারীরা তাদের ই-মেইল অফলাইনে পড়তে চাইত। তবে বর্তমানে একাধিক ডিভাইসে ই-মেইল সিনক্রোনাইজেশনের সুবিধার কারণে IMAP এর ব্যবহার অনেক বেড়ে গেছে এবং অনেক ক্ষেত্রে POP3 এর চেয়ে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে, বিশেষ করে ওয়েবভিত্তিক ই-মেইল পরিষেবাগুলিতে।

তবে যদি একটি নির্দিষ্ট প্রোটোকলের কথা বলতে হয় যা এখনও সাধারণভাবে "অধিক ব্যবহৃত" হিসাবে উল্লেখ করা হয়, তবে তা হলো POP3

(উল্লেখ্য: ই-মেইল পাঠানোর জন্য SMTP (Simple Mail Transfer Protocol) ব্যবহৃত হয়।)

১৪৯. কোনটি সঠিক নয়?

[ বিসিএস ৩৮তম ]

 A + 0 = A
 A.1 = A
 A + A’ = 1
 A.A’ = 1
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক নয় হলো A.A’ = 1

ব্যাখ্যা:

বুলিয়ান বীজগণিত অনুযায়ী:

  • কঃ A + 0 = A (এটি সঠিক)
    • ব্যাখ্যা: যেকোনো চলকের সাথে ০ যোগ করলে সেই চলকটিই হয়। এটি অর (OR) গেটের ০ ইনপুটের মতো।
  • খঃ A.1 = A (এটি সঠিক)
    • ব্যাখ্যা: যেকোনো চলকের সাথে ১ গুণ করলে সেই চলকটিই হয়। এটি অ্যান্ড (AND) গেটের ১ ইনপুটের মতো।
  • গঃ A + A’ = 1 (এটি সঠিক)
    • ব্যাখ্যা: একটি চলক (A) এবং তার পূরক (A', যা A এর বিপরীত) যোগ করলে সর্বদা ১ হয়। কারণ, A যদি ০ হয়, A’ হবে ১ (০+১=১), আর A যদি ১ হয়, A’ হবে ০ (১+০=১)।
  • ঘঃ A.A’ = 1 (এটি ভুল)
    • সঠিক নিয়ম: A.A’ = 0
    • ব্যাখ্যা: একটি চলক (A) এবং তার পূরকের (A') গুণফল সর্বদা ০ হয়। কারণ, A যদি ০ হয়, A’ হবে ১ (০.১=০), আর A যদি ১ হয়, A’ হবে ০ (১.০=০)।

সুতরাং, ঘঃ A.A’ = 1 এই বিবৃতিটি সঠিক নয়।

 8
 16
 4
 2
ব্যাখ্যাঃ

এক word সাধারণত 1 বাইটের (byte) হতে পারে। তবে word এর বেশি দৈর্ঘ্যেরও (2, 3, 4 ........ byte–এর) হতে পারে। আবার 1 byte = 8 bit । সুতরাং একটি word সর্বনিম্ন 8 বিটের (bit) হতে পারে। প্রশ্নে উল্লিখিত 16 বিটের wordও হতে পারে। 2 বা 4 বিটের কোনো word হয় না।

 address bus
 input-reader bus
 data bus
 control bus
ব্যাখ্যাঃ

কম্পিউটারের অভ্যন্তরীণ ডেটা স্থানান্তরের জন্য মূলত তিন ধরনের বাস (bus) ব্যবহৃত হয়:

  • অ্যাড্রেস বাস (Address Bus): এটি ডেটা বা নির্দেশনা মেমরির কোন নির্দিষ্ট স্থানে আছে, সেই ঠিকানা বহন করে।
  • ডেটা বাস (Data Bus): এটি আসল ডেটা বহন করে, যা প্রসেসর থেকে মেমরিতে বা মেমরি থেকে প্রসেসরে স্থানান্তরিত হয়।
  • কন্ট্রোল বাস (Control Bus): এটি বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণ সংকেত বহন করে, যা কম্পিউটার সিস্টেমের বিভিন্ন উপাদানগুলির মধ্যে সমন্বয় সাধন করে।

"ইনপুট-রিডার বাস" (input-reader bus) নামে কোনো স্ট্যান্ডার্ড বা স্বীকৃত বাস কম্পিউটার আর্কিটেকচারে ব্যবহৃত হয় না। যদিও ইনপুট/আউটপুট (I/O) বাস বলে একটি ধারণা আছে যা পেরিফেরাল ডিভাইসগুলির সাথে যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত হয়, তবে "ইনপুট-রিডার বাস" একটি নির্দিষ্ট বাসের ধরন নয়।

সুতরাং, সঠিক উত্তর হলো খঃ input-reader bus

 malware
 firmware
 virus
 lip-lop
ব্যাখ্যাঃ

ROM (Read Only Memory) ভিত্তিক প্রোগ্রামকে ফার্মওয়্যার (Firmware) বলা হয়।

ফার্মওয়্যার হলো এক ধরনের সফটওয়্যার যা হার্ডওয়্যার ডিভাইসের ভিতরে স্থায়ীভাবে প্রোগ্রাম করা থাকে। এটি ডিভাইসের মৌলিক ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং এটি ছাড়া হার্ডওয়্যার সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। যেমন, কম্পিউটারের BIOS/UEFI, স্মার্টফোনের বুট লোডার, প্রিন্টারের অপারেটিং প্রোগ্রাম ইত্যাদি সবই ফার্মওয়্যার।

এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এটি সাধারণ সফটওয়্যারের মতো সহজে পরিবর্তন বা মুছে ফেলা যায় না। এটি ডিভাইসের తయারী প্রক্রিয়াতেই ROM (বা Flash Memory, EPROM, EEPROM-এর মতো ROM-এর প্রকারভেদ)-এ লোড করা হয়।

 AND
 OR
 XOR
 NAND
ব্যাখ্যাঃ

একটি নান্দ গেট (NAND Gate) হলো একটি লজিক গেট যা অ্যান্ড (AND) গেটের বিপরীত কাজ করে। এর নাম এসেছে "NOT AND" (নট অ্যান্ড) থেকে। এর আউটপুট তখনই 0 (শূন্য) হয় যখন এর সব ইনপুট 1 (এক) থাকে। অন্যথায়, এর আউটপুট 1 (এক) হয়।

ব্যাখ্যা:

  • যখন A এবং B উভয়ই 0 হয়, আউটপুট 1 হয়।
  • যখন A 0 এবং B 1 হয়, আউটপুট 1 হয়।
  • যখন A 1 এবং B 0 হয়, আউটপুট 1 হয়।
  • যখন A এবং B উভয়ই 1 হয়, আউটপুট 0 হয়।
 Windows XP
 Windows 98
 MS DOS
 Windows 7
ব্যাখ্যাঃ

মাইক্রোসফটের প্রথম প্রোগ্রাম ছিল Altair BASIC

বিল গেটস এবং পল অ্যালেন ১৯৭৫ সালে Altair 8800 মাইক্রোকম্পিউটারের জন্য একটি BASIC ইন্টারপ্রেটার তৈরি করেন। এই প্রোগ্রামটিই তাদের নতুন কোম্পানি "মাইক্রো-সফট" (পরে মাইক্রোসফট) এর প্রথম পণ্য ছিল। এটি ছিল সেই সময়ের একটি যুগান্তকারী সফটওয়্যার, যা ব্যক্তিগত কম্পিউটারে প্রোগ্রামিং করার সুযোগ করে দিয়েছিল।

প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে MS DOS (মাইক্রোসফট ডিস্ক অপারেটিং সিস্টেম) তাদের প্রথম দিকের এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রোগ্রামগুলির মধ্যে একটি ছিল, যা মাইক্রোসফটের জনপ্রিয়তা অর্জনে বিশাল ভূমিকা রেখেছিল। এটি একটি অপারেটিং সিস্টেম ছিল, আর Altair BASIC ছিল একটি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের ইন্টারপ্রেটার।

যদি প্রশ্নটি অপারেটিং সিস্টেমের ক্ষেত্রে হয়, তাহলে MS DOS একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রথম দিকের প্রোগ্রাম। কিন্তু যদি সামগ্রিকভাবে প্রথম প্রোগ্রামটির কথা বলা হয়, তবে তা ছিল Altair BASIC।

 ভাইরাস ধ্বংসের জন্য
 খারাপ সেক্টরসমূহ পরীক্ষা করতে
 ডিস্কের ফাইলগুলোকে পুনর্বিন্যস্ত করতে
 ডিস্ক ফরমেট করতে
ব্যাখ্যাঃ

ডিস্ক ডিফ্রাগমেন্টেশন (Disk Defragmentation) হলো একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কম্পিউটারের হার্ডডিস্কে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ফাইলগুলির অংশগুলোকে একত্রিত করে একটি নির্দিষ্ট স্থানে সাজিয়ে রাখা হয়। এর ফলে কম্পিউটার ফাইল খুঁজে পেতে এবং সেগুলো অ্যাক্সেস করতে দ্রুত কাজ করতে পারে।

যখন আপনি কম্পিউটারে ফাইল সেভ করেন, মুছে ফেলেন বা পরিবর্তন করেন, তখন ফাইলগুলো হার্ডডিস্কের বিভিন্ন অংশে খণ্ড খণ্ড (fragments) হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে একটি ফাইলকে পড়তে বা লিখতে গেলে হার্ডডিস্কের রিড/রাইট হেডকে অনেক বেশি ঘুরতে হয়, যা কম্পিউটারের গতি কমিয়ে দেয়।

ডিস্ক ডিফ্রাগমেন্টেশন কিভাবে কাজ করে?

ডিস্ক ডিফ্রাগমেন্টার ইউটিলিটি প্রোগ্রামটি হার্ডডিস্কের এই খণ্ড খণ্ড হয়ে থাকা ফাইলগুলিকে খুঁজে বের করে এবং সেগুলোকে একটি নির্দিষ্ট স্থানে পর পর সাজিয়ে রাখে। এটি হার্ডডিস্কে থাকা খালি জায়গাগুলোকেও একত্রিত করে, যাতে নতুন ফাইল সেভ করার সময় সেগুলো একবারে একটি নির্দিষ্ট স্থানে সংরক্ষণ করা যায়।

ডিস্ক ডিফ্রাগমেন্টেশনের সুবিধা

  • কম্পিউটারের গতি বৃদ্ধি: ফাইল অ্যাক্সেস এবং প্রোগ্রাম লোডিং দ্রুত হয়, ফলে সামগ্রিক সিস্টেমের কার্যকারিতা বাড়ে।
  • সিস্টেমের স্থিতিশীলতা: হার্ডডিস্কের ওপর চাপ কমে আসে, যা সিস্টেমকে আরও স্থিতিশীল রাখে।
  • হার্ডডিস্কের আয়ু বৃদ্ধি: রিড/রাইট হেডের অপ্রয়োজনীয় চলাচল কমিয়ে হার্ডডিস্কের কার্যক্ষমতা ও আয়ু বাড়াতে সাহায্য করে।
 ekhanei.com
 olx.com
 google.com
 amazon.com
ব্যাখ্যাঃ

google.com সাইটটি কেনা বেচার জন্য নয়।

  • ekhanei.com (পূর্বে ClickBD নামে পরিচিত ছিল) এবং olx.com (বর্তমানে bikkroy.com) হলো শ্রেণীবদ্ধ বিজ্ঞাপন (classifieds) ওয়েবসাইট যেখানে ব্যবহারকারীরা পুরনো বা নতুন পণ্য কেনাবেচা করতে পারে।
  • amazon.com হলো একটি বিশাল ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম যেখানে বিভিন্ন ধরনের পণ্য কেনা যায়।
  • google.com একটি সার্চ ইঞ্জিন এবং বিভিন্ন ইন্টারনেট পরিষেবার (যেমন Gmail, YouTube, Google Maps ইত্যাদি) প্ল্যাটফর্ম, কিন্তু এটি সরাসরি কোনো কেনা-বেচার ওয়েবসাইট নয়। এটি পণ্য বা পরিষেবার তথ্য খুঁজতে সাহায্য করে, কিন্তু কেনা-বেচার কাজটি নিজে করে না।
 ৭
 ৫
 ৯
 ৮
ব্যাখ্যাঃ

কম্পিউটার নেটওয়ার্কের OSI (Open Systems Interconnection) মডেল-এর মোট ৭টি স্তর (Layer) রয়েছে। এটি একটি ধারণাগত কাঠামো যা বিভিন্ন কম্পিউটার সিস্টেম কীভাবে একে অপরের সাথে নেটওয়ার্কে যোগাযোগ করে তা বর্ণনা করে।

এই ৭টি স্তর হলো:

১. ফিজিক্যাল লেয়ার (Physical Layer): এটি ডেটা ট্রান্সমিশনের ভৌত মাধ্যম (যেমন ক্যাবল, ওয়াইফাই) এবং হার্ডওয়্যার নিয়ে কাজ করে। ২. ডেটা লিংক লেয়ার (Data Link Layer): এটি নেটওয়ার্কের দুটি সরাসরি সংযুক্ত ডিভাইসের মধ্যে ডেটা ফ্রেমের ত্রুটিহীন এবং নির্ভরযোগ্য আদান-প্রদান নিশ্চিত করে। ৩. নেটওয়ার্ক লেয়ার (Network Layer): এটি বিভিন্ন নেটওয়ার্ক জুড়ে ডেটা প্যাকেট রাউটিং এবং গন্তব্যে প্রেরণের জন্য দায়ী। ৪. ট্রান্সপোর্ট লেয়ার (Transport Layer): এটি ডেটার নির্ভরযোগ্য, ক্রমিক এবং ত্রুটিমুক্ত ট্রান্সমিশন নিশ্চিত করে। ৫. সেশন লেয়ার (Session Layer): এটি দুটি ডিভাইসের মধ্যে সেশন স্থাপন, পরিচালনা এবং সমাপ্তি করে। ৬. প্রেজেন্টেশন লেয়ার (Presentation Layer): এটি ডেটার ফরম্যাট, এনক্রিপশন এবং ডিক্রিপশনের কাজ করে যাতে বিভিন্ন সিস্টেমের ডেটা একে অপরের কাছে বোধগম্য হয়। ৭. অ্যাপ্লিকেশন লেয়ার (Application Layer): এটি ব্যবহারকারীর সাথে সরাসরি ইন্টারঅ্যাক্ট করে এবং অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামগুলিকে নেটওয়ার্ক পরিষেবা প্রদান করে (যেমন HTTP, FTP, SMTP)।

 TCP/IP
 Net BEUI
 Novel netware
 Linux
ব্যাখ্যাঃ

ইন্টারনেট সংযোগের ক্ষেত্রে সর্বাধিক ব্যবহৃত প্রোটোকল হলো TCP/IP

  • TCP/IP (Transmission Control Protocol/Internet Protocol) হলো প্রোটোকলের একটি স্যুট বা সেট, যা ইন্টারনেট এবং অন্যান্য কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ডেটা আদান-প্রদানের মৌলিক ভিত্তি। ইন্টারনেট মূলত এই প্রোটোকল ব্যবহার করেই কাজ করে।

  • NetBEUI (NetBIOS Extended User Interface) এবং Novell NetWare (IPX/SPX) হলো পুরানো নেটওয়ার্ক প্রোটোকল যা একসময় লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কে (LAN) ব্যবহৃত হতো, কিন্তু ইন্টারনেটের জন্য এগুলি ব্যবহৃত হয় না।

  • Linux হলো একটি অপারেটিং সিস্টেমের কার্নেল, কোনো প্রোটোকল নয়।

 $
 #
 &
 @
ব্যাখ্যাঃ

ই-মেইল ঠিকানায় অবশ্যই "@" (এট সাইন) চিহ্নটি থাকবে।

এই চিহ্নটি ব্যবহারকারীর নাম (user name) এবং ডোমেইন নামের (domain name) মধ্যে বিভাজক হিসেবে কাজ করে। যেমন: username@example.com এখানে username হলো ব্যবহারকারীর নাম এবং example.com হলো ডোমেইন নাম।

 ফেসবুক
 টুইটার
 লিংকড ইন
 উইকিপডিয়া
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো উইকিপডিয়া

ব্যাখ্যা:

  • ফেসবুক, টুইটার (বর্তমানে এক্স) এবং লিংকড ইন - এই তিনটিই হলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (Social Media) প্ল্যাটফর্ম। এগুলোতে ব্যবহারকারীরা প্রোফাইল তৈরি করে, পোস্ট শেয়ার করে, অন্যদের সাথে সংযুক্ত হয় এবং নেটওয়ার্কিং করে।
  • উইকিপডিয়া হলো একটি মুক্ত ও অনলাইন বিশ্বকোষ (Online Encyclopedia)। এখানে তথ্য সংগ্রহ করা হয় এবং ব্যবহারকারীরা জ্ঞানার্জনের জন্য এটি ব্যবহার করে, কিন্তু এটি সামাজিক যোগাযোগের প্ল্যাটফর্ম নয়।

সুতরাং, উইকিপডিয়া হলো অন্যদের থেকে ভিন্ন।

 128
 32
 64
 256
ব্যাখ্যাঃ প্রথমে আমাদের সেট A এর উপাদানগুলো বের করতে হবে।

সেট A এর সংজ্ঞা অনুযায়ী:
A={x:x,Fibonacci সংখ্যা এবং x2<64}

প্রথমেই আমরা ফিবোনাচ্চি সংখ্যাগুলো লিখি:
0,1,1,2,3,5,8,13,21,

এখন, আমরা x2<64 শর্তটি পূরণ করে এমন ফিবোনাচ্চি সংখ্যাগুলো খুঁজে বের করব।
  • 02=0<64
  • 12=1<64
  • 22=4<64
  • 32=9<64
  • 52=25<64
  • 82=64 (এটি <64 শর্ত পূরণ করে না, কারণ 64 64 এর থেকে ছোট নয়)

সুতরাং, সেট A={0,1,2,3,5}

এখন আমরা সেট A এর উপাদান সংখ্যা নির্ণয় করব।
|A|=5

এরপর, আমাদের P(A) এর উপাদান সংখ্যা বের করতে হবে।
একটি সেটের ক্ষমতা সেট (Power Set) P(A) এর উপাদান সংখ্যা 2|A| সূত্র দ্বারা নির্ণয় করা হয়, যেখানে |A| হলো সেট A এর উপাদান সংখ্যা।

এখানে |A|=5
অতএব, P(A) এর উপাদান সংখ্যা হবে 25=32

P(A) এর উপাদান সংখ্যা হলো 32টি।
 210
 304
 84
 120
ব্যাখ্যাঃ সমস্যাটি হলো: ৪ জন মহিলা ও ৬ জন পুরুষের মধ্য থেকে ৪ সদস্যবিশিষ্ট একটি উপ-কমিটি গঠন করতে হবে, যেখানে ১ জন নির্দিষ্ট পুরুষ সর্বদা উপস্থিত থাকবেন।

প্রথমে মোট সদস্য সংখ্যা থেকে ১ জন নির্দিষ্ট পুরুষকে বাদ দিতে হবে, কারণ তিনি কমিটিতে থাকবেনই।

  • মোট পুরুষ = ৬ জন
  • নির্দিষ্ট পুরুষ যিনি কমিটিতে থাকবেন = ১ জন
  • অবশিষ্ট পুরুষ = ৬ - ১ = ৫ জন

কমিটিতে মোট সদস্য সংখ্যা = ৪ জন।
যেহেতু ১ জন নির্দিষ্ট পুরুষ কমিটিতে থাকবেনই, তাই বাকি (৪ - ১) = ৩ জন সদস্য নির্বাচন করতে হবে।

এই ৩ জন সদস্যকে অবশিষ্ট ৪ জন মহিলা এবং ৫ জন পুরুষ (যারা নির্দিষ্ট পুরুষ নন) এর মধ্য থেকে নির্বাচন করতে হবে।
অর্থাৎ, মোট উপলব্ধ সদস্য = ৪ জন মহিলা + ৫ জন পুরুষ = ৯ জন।

এই ৯ জন থেকে ৩ জন সদস্য কত প্রকারে নির্বাচন করা যায় তা নির্ণয় করতে হবে। এটি হবে 9C3

9C3=9!3!(93)!=9!3!6!=9×8×73×2×1=3×4×7=84

সুতরাং, কমিটিটি ৮৪ প্রকারে গঠন করা যেতে পারে।
 511
 12
 35
 611
ব্যাখ্যাঃ ৩০ থেকে ৪০ পর্যন্ত সংখ্যা:
30,31,32,33,34,35,36,37,38,39,40
এগুলোর মোট সংখ্যা n=11

মৌলিক সংখ্যা (যেগুলো শুধুমাত্র 1 এবং নিজেদের দ্বারা বিভাজ্য):
31,37
অতএব, মৌলিক সংখ্যা = ২টি

৫-এর গুণিতক হলো:
30,35,40
অতএব, ৫-এর গুণিতক সংখ্যা = ৩টি


কোনো সংখ্যা মৌলিক অথবা ৫-এর গুণিতক হতে পারে, তাই সম্ভাব্য সংখ্যা =
2(ি)+3(ি)=5
সুতরাং, মোট সম্ভাবনা: 511
 6
 12
 8
 16
ব্যাখ্যাঃ যেহেতু দুটি সংখ্যার অনুপাত 2:3 এবং তাদের গ.সা.গু. 4, তাহলে:

ধরি, সংখ্যা দুটি হলো 2x এবং 3x, যেখানে x হলো তাদের সাধারণ উৎপাদক।

আমরা জানি, দুটি সংখ্যার গ.সা.গু. হলো তাদের সাধারণ উৎপাদকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়টি। এক্ষেত্রে x হলো 2x এবং 3x এর সাধারণ উৎপাদক।

দেওয়া আছে, সংখ্যা দুটির গ.সা.গু. 4
সুতরাং, x=4

এখন, সংখ্যা দুটি নির্ণয় করি:
প্রথম সংখ্যা = 2x=2×4=8
দ্বিতীয় সংখ্যা = 3x=3×4=12

সংখ্যা দুটি হলো 8 এবং 12
তাদের মধ্যে বৃহত্তর সংখ্যাটি হলো 12
 10%
 12.5%
 15%
 12%
ব্যাখ্যাঃ মনে করি, আসল (Principal) = P টাকা।
মুনাফা-আসল (Amount) = 5500 টাকা।
সময় (Time) = 3 বছর।

দেওয়া আছে, মুনাফা আসলের 38 অংশ।
অর্থাৎ, মুনাফা (Interest) I=P×38

আমরা জানি, মুনাফা-আসল = আসল + মুনাফা
5500=P+P×38
5500=P(1+38)
5500=P(8+38)
5500=P×118
P=5500×811
P=500×8
P=4000 টাকা।

তাহলে আসল হলো 4000 টাকা।

এখন, মুনাফা নির্ণয় করি:
মুনাফা I=5500P=55004000=1500 টাকা।
অথবা, I=P×38=4000×38=500×3=1500 টাকা।

এখন আমাদের মুনাফার হার (Rate of Interest) R নির্ণয় করতে হবে।
আমরা জানি, I=PRT100
এখানে, I=1500, P=4000, T=3 বছর।

1500=4000×R×3100
1500=40×R×3
1500=120R
R=1500120
R=15012
R=252
R=12.5%

সুতরাং, মুনাফার হার হলো 12.5%
 2400000 টাকা
 2000000 টাকা
 1600000 টাকা
 1200000 টাকা
ব্যাখ্যাঃ মনে করি, মি. রেজার মোট সম্পদের পরিমাণ X টাকা।

তিনি স্ত্রীকে দিলেন = মোট সম্পদের ১২% = X×
তিনি ছেলেকে দিলেন = মোট সম্পদের ৫৮% = X×

স্ত্রী ও ছেলেকে মোট দিলেন = (%+%)=%
অর্থাৎ, স্ত্রী ও ছেলেকে দিলেন X× টাকা।

অবশিষ্ট সম্পদ মেয়েকে দিলেন।
মেয়েকে দেওয়া অংশ = (%%)=%
এই ৩০% এর পরিমাণ দেওয়া আছে টাকা।

সুতরাং, X এর ৩০% = টাকা।
X×=
X=×
X=×
X= টাকা।

অতএব, মি. রেজার সম্পদের মোট মূল্য হলো ২৪,০০,০০০/- (চব্বিশ লক্ষ) টাকা
 32
 183
 123
 8
ব্যাখ্যাঃ দেওয়া আছে, x=3+2

প্রথমে 1x এর মান বের করি:
1x=13+2
হরকে মূলদ করার জন্য লব ও হরকে (32) দিয়ে গুণ করি:
1x=1×(32)(3+2)(32)
1x=32(3)2(2)2
1x=3232
1x=321
1x=32

এখন, x+1x এর মান নির্ণয় করি:
x+1x=(3+2)+(32)
x+1x=3+2+32
x+1x=23

এখন আমরা x3+1x3 এর মান বের করব। আমরা জানি যে a3+b3=(a+b)33ab(a+b)
এখানে a=x এবং b=1x

x3+1x3=(x+1x)33×x×1x(x+1x)
x3+1x3=(x+1x)33(x+1x)

x+1x=23 এই মানটি বসিয়ে পাই:
x3+1x3=(23)33(23)
x3+1x3=23×(3)363
x3+1x3=8×(33)63
x3+1x3=24363
x3+1x3=(246)3
x3+1x3=183

সুতরাং, x3+1x3 এর মান হলো 183

১৬৯. logx(18)=2 হলে, x= কত?

[ বিসিএস ৩৮তম ]

 2
 2
 22
 4
ব্যাখ্যাঃ দেওয়া আছে, logx(18)=2

লগারিদমের সংজ্ঞা অনুযায়ী, যদি logba=c হয়, তাহলে bc=a

এই সংজ্ঞাটি প্রয়োগ করে আমরা পাই:
x2=18

এখন, ঋণাত্মক ঘাতকে ধনাত্মক ঘাতকে পরিবর্তন করি:
1x2=18

উভয় পক্ষকে উল্টিয়ে পাই:
x2=8

x এর মান বের করার জন্য উভয় পক্ষের বর্গমূল করি:
x=8
x=4×2
x=22

যেহেতু ভিত্তি x অবশ্যই ধনাত্মক হবে (লগারিদমের শর্ত অনুযায়ী), তাই আমরা শুধু ধনাত্মক বর্গমূলটি নিব।

সুতরাং, x=22

১৭০. 2x+21x=3 হলে, x= কত?

[ বিসিএস ৩৮তম ]

 (1, 2)
 (0, 2)
 (1, 3)
 (0, 1)
ব্যাখ্যাঃ দেওয়া আছে, 2x+21x=3

আমরা 21x কে এভাবে লিখতে পারি: 21x=212x=22x

এখন সমীকরণটিকে পুনরায় লিখি:
2x+22x=3

ধরি, y=2x। তাহলে সমীকরণটি দাঁড়ায়:
y+2y=3

এখন উভয় পক্ষকে y দ্বারা গুণ করি (যেহেতু y=2x, y এর মান কখনো ০ হতে পারে না):
y2+2=3y

সমীকরণটিকে একটি দ্বিঘাত সমীকরণের আকারে সাজিয়ে লিখি:
y23y+2=0

এই দ্বিঘাত সমীকরণটিকে উৎপাদকে বিশ্লেষণ করি:
y22yy+2=0
y(y2)1(y2)=0
(y1)(y2)=0

সুতরাং, y1=0 অথবা y2=0

কেস ১: y1=0
y=1
আমরা ধরেছিলাম y=2x
2x=1
আমরা জানি 20=1
সুতরাং, x=0

কেস ২: y2=0
y=2
আমরা ধরেছিলাম y=2x
2x=2
আমরা জানি 21=2
সুতরাং, x=1

অতএব, x এর মান হলো 0 অথবা 1
 1<x<2
 2x অথবাx2
 1x2
 1<x<2
ব্যাখ্যাঃ দেওয়া আছে অসমতাটি: |2x3|1

পরম মানের (absolute value) সংজ্ঞা অনুযায়ী, |a|b হলে, এর অর্থ হলো bab

এখানে a=2x3 এবং b=1
সুতরাং, আমরা লিখতে পারি:
12x31

এখন এই অসমতাটিকে দুটি অংশে ভাগ করে সমাধান করতে পারি অথবা একসাথেই সমাধান করতে পারি।

একসাথেই সমাধান করি:
প্রথমে অসমতার তিনটি অংশেই 3 যোগ করি:
1+32x3+31+3
22x4

এখন, অসমতার তিনটি অংশকেই 2 দিয়ে ভাগ করি:
222x242
1x2

অতএব, বাস্তব সংখ্যায় 2x3∣≤1 অসমতাটির সমাধান হলো 1x2

এটি একটি বদ্ধ ব্যবধি (closed interval) [1,2] হিসেবেও লেখা যায়।
 2
 10
 4
 12
ব্যাখ্যাঃ সমান্তর অনুক্রমের ক্ষেত্রে,
প্রথম পদকে a ধরা হয়।
সাধারণ অন্তরকে d ধরা হয়।
n তম পদের সূত্র: an=a+(n1)d
প্রথম n টি পদের যোগফলের সূত্র: Sn=n2[2a+(n1)d]

দেওয়া আছে:
৫ম পদ (a5) = 18
প্রথম ৫টি পদের যোগফল (S5) = 75

প্রথমত, a5=18 থেকে পাই:
a+(51)d=18
a+4d=18 ---(1)

দ্বিতীয়ত, S5=75 থেকে পাই:
52[2a+(51)d]=75
52[2a+4d]=75

উভয় পক্ষকে 25 দ্বারা গুণ করি:
2a+4d=75×25
2a+4d=15×2
2a+4d=30 ---(2)

এখন, আমরা (1) নম্বর সমীকরণ থেকে a এর মান বের করে (2) নম্বর সমীকরণে বসাতে পারি, অথবা সরাসরি (1) নম্বর সমীকরণকে 2 দিয়ে গুণ করে (2) নম্বর সমীকরণ থেকে বিয়োগ করতে পারি।
(1) নম্বর সমীকরণকে 2 দিয়ে গুণ করি:
2(a+4d)=2×18
2a+8d=36 ---(3)

এখন (3) নম্বর সমীকরণ থেকে (2) নম্বর সমীকরণ বিয়োগ করি:
(2a+8d)(2a+4d)=3630
2a+8d2a4d=6
4d=6
d=64
d=32

এখন d এর মান (1) নম্বর সমীকরণে বসিয়ে a এর মান বের করি:
a+4d=18
a+4(32)=18
a+2×3=18
a+6=18
a=186
a=12

সুতরাং, প্রথম পদটি হলো 12
 32a2
 23a2
 23a2
 34a2
ব্যাখ্যাঃ একটি সমবাহু ত্রিভুজের একটি বাহুর দৈর্ঘ্য a একক হলে, ত্রিভুজটির ক্ষেত্রফল হলো:

ক্ষেত্রফল =34a2 বর্গ একক।
 60 °
 45 °
 30 °
 25 °
ব্যাখ্যাঃ পূরক কোণ (Complementary Angle): দুটি কোণের যোগফল 90 হলে, একটিকে অন্যটির পূরক কোণ বলে।

মনে করি, কোণটির মান x ডিগ্রি।
তাহলে, কোণটির পূরক কোণের মান হবে (90x) ডিগ্রি।

প্রশ্নানুসারে, কোণটির মান তার পূরক কোণের মানের অর্ধেকের সমান।
অর্থাৎ, x=12(90x)

এখন এই সমীকরণটি সমাধান করি:
2x=90x
2x+x=90
3x=90
x=903
x=30

সুতরাং, কোণটির মান হলো 30
 45°
 22.5°
 30°
 60°
ব্যাখ্যাঃ দেওয়া আছে যে, ABC একটি সমকোণী ত্রিভুজ, যেখানে B=90
এবং, AC=2AB

আমরা একটি সমকোণী ত্রিভুজের ক্ষেত্রে ত্রিকোণমিতির সূত্র ব্যবহার করতে পারি।

আমরা জানি, sin(θ)=লম্বঅতিভুজ

C এর সাপেক্ষে,
লম্ব = AB
অতিভুজ = AC

তাহলে, sin(C)=ABAC

দেওয়া আছে AC=2AB
সুতরাং, ABAC=AB2AB=12

তাহলে, sin(C)=12

আমরা জানি যে, sin(30)=12

অতএব, C=30
 ৪৯৯৯
 ৫৫০১
 ৫০৫০
 ৫০০১
ব্যাখ্যাঃ ১ থেকে ১০০ পর্যন্ত সংখ্যাসমূহের যোগফল নির্ণয় করার জন্য সমান্তর ধারার যোগফলের সূত্র ব্যবহার করা যেতে পারে।

সূত্রটি হলো: Sn=n(n+1)2

এখানে,
n = শেষ সংখ্যা (এই ক্ষেত্রে 100)

মান বসিয়ে পাই:
S100=100(100+1)2
S100=100×1012
S100=50×101
S100=5050

সুতরাং, ১ থেকে ১০০ পর্যন্ত সংখ্যাসমূহের যোগফল হলো ৫০৫০
 সোমবার
 মঙ্গলবার
 বৃহস্পতিবার
 শনিবার
ব্যাখ্যাঃ

এই সমস্যাটি সমাধানের জন্য আমরা ধাপে ধাপে পিছিয়ে যাব।

  1. আগামী পরশুর পরের দিন যদি রবিবার হয়।

    • আগামী পরশু + ১ দিন = রবিবার
    • আগামী পরশু = শনিবার
    • আগামীকাল = শুক্রবার
    • আজ = বৃহস্পতিবার
  2. এখন আমাদের বের করতে হবে গতকাল (বৃহস্পতিবারের আগের দিন) এর আগের দিন কি বার ছিল।

    • গতকাল = বুধবার
    • গতকাল এর আগের দিন = মঙ্গলবার

সুতরাং, গতকালের আগের দিন মঙ্গলবার ছিল।

 বৃহস্পতিবার
 শুক্রবার
 বুধবার
 শনিবার
ব্যাখ্যাঃ

১৯৯৪ সালটি একটি সাধারণ বছর (নয় ৪ দ্বারা বিভাজ্য)। একটি সাধারণ বছরে ৩৬৫ দিন থাকে। ৩৬৫ দিনকে ৭ দিয়ে ভাগ করলে ভাগফল ৫২ এবং ভাগশেষ ১ হয়। অর্থাৎ, একটি সাধারণ বছরে ৫২টি পূর্ণ সপ্তাহ এবং ১টি অতিরিক্ত দিন থাকে।

এর অর্থ হলো, যদি একটি তারিখ একটি নির্দিষ্ট বারে হয়, তাহলে পরের বছর একই তারিখটি এক দিন পরে হবে।

এখানে: ১৯৯৪ সালের ১ ডিসেম্বর ছিল বৃহস্পতিবার।

যেহেতু ১৯৯৪ একটি সাধারণ বছর, তাই ১৯৯৫ সালের ১ ডিসেম্বর ১৯৯৪ সালের ১ ডিসেম্বরের বারের থেকে এক দিন পরে হবে।

বৃহস্পতিবার + ১ দিন = শুক্রবার।

সুতরাং, ১৯৯৫ সালের ১ ডিসেম্বর শুক্রবার হবে।

ছবিটি দেখে নিচের প্রশ্নের উত্তর দাও:

mcq image

১৭৯. ‘?’ স্থানে কি হবে?

[ বিসিএস ৩৮তম ]

 ১৬৪
 ৯৭
 ১৯১
 ১৩৭
ব্যাখ্যাঃ
 ১
 ১০
 ২৯
 ৪৮
ব্যাখ্যাঃ

এখানে দুটি ধারা বিদ্যমান : ১ম ধারা : ১ ৫ ১৩ ২৯ ৬১ অন্তর : ৪ ৮ ১৬ ৩২

২য় ধারা : ২ ১০ ২৬ ৫৮ অন্তর : ৮ ১৬ ৩২

অতএব, ধারাটি হবে : ১ ২ ৫ ১০ ১৩ ২৬ ২৯ ৫৮ ৬১

৪৮ প্রদত্ত ধারার অন্তর্ভুক্ত নয়।

 NJ
 MI
 NI
 OJ
ব্যাখ্যাঃ এখানে, দুটি ধারা বিদ্যমান।

ধারা : J K M P T
অক্ষর পার্থক্য : ০টি ১টি ২টি ৩টি

ধারা : D F I M R
অক্ষর পার্থক্য : ১টি ২টি ৩টি ৪টি

প্রশ্নবোধক স্থানে MI হবে।
 ২০ দিনে
 ২৫ দিনে
 ২৪ দিনে
 ৩০ দিনে
ব্যাখ্যাঃ মনে করি,
সম্পূর্ণ কাজ = 1 অংশ।

দুই ব্যক্তি একত্রে কাজটি ৮ দিনে করতে পারে।
অতএব, দুই ব্যক্তি ১ দিনে করে = 18 অংশ কাজ।

প্রথম ব্যক্তি একা কাজটি ১২ দিনে করতে পারে।
অতএব, প্রথম ব্যক্তি ১ দিনে করে = 112 অংশ কাজ।

দ্বিতীয় ব্যক্তি একা কাজটি কত দিনে করতে পারবে তা বের করতে হবে।
ধরি, দ্বিতীয় ব্যক্তি একা কাজটি x দিনে করতে পারে।
অতএব, দ্বিতীয় ব্যক্তি ১ দিনে করে = 1x অংশ কাজ।

আমরা জানি, (প্রথম ব্যক্তির ১ দিনের কাজ) + (দ্বিতীয় ব্যক্তির ১ দিনের কাজ) = (দুই ব্যক্তির একত্রে ১ দিনের কাজ)
112+1x=18

এখন x এর মান বের করি:
1x=18112

ভগ্নাংশ দুটির সাধারণ হর নির্ণয় করি, ৮ এবং ১২ এর ল.সা.গু. হলো ২৪।
1x=324224
1x=3224
1x=124

সুতরাং, x=24

অতএব, দ্বিতীয় ব্যক্তি একা ঐ কাজটি ২৪ দিনে করতে পারবে।

ছবিটি দেখে নিচের প্রশ্নের উত্তর দাও:

mcq image
 ৬: ১৫
 ৮ : ৪০
 ৭ : ২০
 ৭ : ৪০
ব্যাখ্যাঃ

ঘড়িতে সময় 7 : 20

বিকল্প: দর্পণ চিত্রে প্রদর্শিত সময় = 11.60 - প্রকৃত সময় = 11.60 - 5.40 = 7.20

অতএব বাস্তবে ঘড়িতে সময় 7 : 20

 ২৬৩
 ২৩৩
 ২৫৩
 ২৪১
ব্যাখ্যাঃ একটি সংখ্যা মৌলিক নয়, যদি এর ১ এবং সংখ্যাটি নিজে ছাড়া অন্য কোনো উৎপাদক থাকে।

আসুন প্রতিটি বিকল্প পরীক্ষা করি:

* কঃ ২৬৩
২৬৩ একটি মৌলিক সংখ্যা। এর উৎপাদকগুলো হলো ১ এবং ২৬৩।

* খঃ ২৩৩
২৩৩ একটি মৌলিক সংখ্যা। এর উৎপাদকগুলো হলো ১ এবং ২৩৩।

* গঃ ২৫৩
২৫৩ মৌলিক সংখ্যা নয়। কারণ, ২৫৩ কে 11 দ্বারা ভাগ করা যায়:
253÷11=23
সুতরাং, ২৫৩ এর উৎপাদকগুলো হলো 1,11,23,253। যেহেতু এটির ১ এবং ২৫৩ ছাড়া আরও উৎপাদক (১১ এবং ২৩) আছে, তাই এটি মৌলিক সংখ্যা নয়, বরং একটি যৌগিক সংখ্যা।

* ঘঃ ২৪১
২৪১ একটি মৌলিক সংখ্যা। এর উৎপাদকগুলো হলো ১ এবং ২৪১।

সুতরাং, যে সংখ্যাটি মৌলিক নয়, সেটি হলো গঃ ২৫৩
 ১৭ কি. মি.
 ১৫ কি. মি.
 ১৪ কি. মি.
 ১৩ কি. মি.
ব্যাখ্যাঃ

A অবস্থান থেকে দূরত্ব AC=AB2+BC2
=()+()
=+
=
AC= কি. মি.
 সমস্ত সম্ভাব্য কর্মের গড়
 দুটি চরম পন্থায় মধ্যবর্তী অবস্থায়
 ত্রিভুজের দুটি বাহন ভূ-কেন্দ্রিক সম্পর্ক
 একটি প্রাচীন দার্শনিক ধারার নাম
ব্যাখ্যাঃ

"গোল্ডেন মিন" (Golden Mean) হলো একটি দার্শনিক ধারণা, যা মূলত প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক এরিস্টটল প্রবর্তন করেছিলেন।

এর মূল অর্থ হলো: দুটি চরম পন্থার (মতবাদের) মধ্যবর্তী অবস্থান বা ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থা।

এরিস্টটলের মতে, নৈতিক গুণাবলী (moral virtues) হলো দুটি চরম অবস্থার (একটি হলো অতি প্রাচুর্য বা বাড়াবাড়ি, অন্যটি হলো অভাব বা ঘাটতি) মধ্যবর্তী একটি সুষম অবস্থা। যেমন:

  • সাহস (Courage): এটি ভীরুতা (cowardice) এবং বেপরোয়া সাহসিকতা (recklessness) - এই দুটি চরম অবস্থার মধ্যবর্তী একটি গুণ।
  • উদারতা (Generosity): এটি অপচয় (extravagance) এবং কৃপণতা (stinginess) - এই দুই চরম অবস্থার মধ্যবর্তী।
  • আত্মসম্মান (Self-respect): এটি অহংকার (arrogance) এবং আত্ম-অবনতি (self-deprecation) - এর মধ্যবর্তী।

সুতরাং, গোল্ডেন মিন হলো এমন একটি ধারণা যেখানে কোনো কাজ বা গুণের ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি বা ঘাটতি না করে একটি ভারসাম্যপূর্ণ ও সঠিক মধ্যম পন্থা অবলম্বন করা হয়। এটি নৈতিকতার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা।

 ১৯৯৫
 ১৯৯৭
 ১৯৯৮
 ১৯৯৯
ব্যাখ্যাঃ

ইউএনডিপি (UNDP) ১৯৯৭ সালে সুশাসনের সংজ্ঞা প্রবর্তন করে। এই সংজ্ঞাটি 'Governance for Sustainable Human Development' নামক কৌশলপত্রে প্রদান করা হয়েছিল, যেখানে সুশাসনের ৯টি উপাদানের কথা উল্লেখ করা হয়।

এই উপাদানগুলো হলো:

১. অংশগ্রহণ (Participation): সমাজের সকল স্তরের মানুষ, বিশেষ করে নারী ও পুরুষ নির্বিশেষে, সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সরাসরি বা বৈধ প্রতিনিধিদের মাধ্যমে অংশ নেবে। ২. আইনের শাসন (Rule of Law): আইন সবার জন্য সমান হবে এবং তা নিরপেক্ষভাবে প্রয়োগ করা হবে, বিশেষ করে মানবাধিকারের ক্ষেত্রে। ৩. স্বচ্ছতা (Transparency): সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া এবং এর বাস্তবায়ন স্বচ্ছ হবে, যাতে জনগণ তথ্যের অবাধ প্রবাহের মাধ্যমে সব কিছু জানতে ও পর্যবেক্ষণ করতে পারে। ৪. সংবেদনশীলতা (Responsiveness): প্রতিষ্ঠান এবং প্রক্রিয়াগুলো সকল অংশীজনের প্রতি সংবেদনশীল হবে এবং তাদের চাহিদা পূরণে সচেষ্ট থাকবে। ৫. ঐক্যমত্যের প্রবণতা (Consensus Orientation): সমাজের বিভিন্ন স্বার্থের মধ্যে মধ্যস্থতা করে একটি বৃহত্তর ঐকমত্যে পৌঁছানো, যা সমাজের সর্বোত্তম স্বার্থ রক্ষা করে। ৬. সমতা ও ন্যায্যতা (Equity and Inclusiveness): সমাজের কোনো অংশই যেন বাদ না পড়ে এবং নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার জন্য উন্নতি ও ভালো থাকার সমান সুযোগ নিশ্চিত করা। ৭. কার্যকারিতা ও দক্ষতা (Effectiveness and Efficiency): প্রক্রিয়া এবং প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার করে চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে এবং কার্যকর ফলাফল দেবে। ৮. জবাবদিহিতা (Accountability): সরকার, বেসরকারি খাত এবং সুশীল সমাজের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীরা জনগণের কাছে এবং প্রতিষ্ঠানের অংশীজনদের কাছে জবাবদিহি থাকবে। ৯. কৌশলগত দূরদৃষ্টি (Strategic Vision): নেতা এবং জনগণ সুশাসন ও মানব উন্নয়নের জন্য একটি বিস্তৃত এবং দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি রাখবে, যা ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক প্রেক্ষাপটের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠবে।

 সব
 কিছুই না
 সর্বজনীন
 কিছু
ব্যাখ্যাঃ

শূন্যবাদ (Nihilism) শব্দটি ল্যাটিন শব্দ "nihil" থেকে উদ্ভূত।

"nihil" শব্দের অর্থ হলো: "কিছুই না" বা "nothing"

এই শব্দ থেকেই শূন্যবাদের ধারণাটি এসেছে, যা জীবনের অর্থ, নৈতিকতা, জ্ঞান বা অস্তিত্বের মূল্য সম্পর্কে কোনো কিছুরই চূড়ান্ত ভিত্তি বা উদ্দেশ্য নেই বলে মনে করে।

 সুশাসনের শিক্ষা থেকে
 আইনের শিক্ষা থেকে
 মূল্যবোধের শিক্ষা থেকে
 কর্তব্যবোধ থেকে
ব্যাখ্যাঃ

ব্যক্তি সহনশীলতার শিক্ষা লাভ করে মূলত মূল্যবোধের শিক্ষা থেকে

  • মূল্যবোধ (Values) হলো আমাদের বিশ্বাস, আদর্শ এবং নীতি যা আমাদের আচরণ, সিদ্ধান্ত এবং বিশ্বকে দেখার ভঙ্গি তৈরি করে। সহনশীলতা (tolerance) এই মূল্যবোধের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যখন একজন ব্যক্তি বৈচিত্র্যকে সম্মান করতে, ভিন্ন মতামতকে গ্রহণ করতে এবং শান্তিপূর্ণভাবে ভিন্নতাগুলোকে মোকাবেলা করতে শেখে, তখন সে আসলে সহনশীলতার মূল্যবোধ অর্জন করে।

অন্যান্য বিকল্পগুলো প্রাসঙ্গিক হলেও ততটা সরাসরি নয়:

  • সুশাসনের শিক্ষা থেকে: সুশাসন সহনশীলতাকে উৎসাহিত করে, কিন্তু সহনশীলতার মূল ভিত্তি হলো মূল্যবোধ।
  • আইনের শিক্ষা থেকে: আইন মানুষকে কিছু কাজ থেকে বিরত রাখে বা বাধ্য করে, কিন্তু সহনশীলতা একটি অভ্যন্তরীণ গুণ যা আইনি বাধ্যবাধকতার চেয়ে গভীর।
  • কর্তব্যবোধ থেকে: কর্তব্যবোধ একটি বিশেষ ধরনের মূল্যবোধ যা সহনশীলতার জন্য সহায়ক হতে পারে, তবে সহনশীলতা তার চেয়েও ব্যাপক।

সুতরাং, সহনশীলতা একটি ব্যক্তিগত গুণ যা মূল্যবোধের শিক্ষার মাধ্যমেই বিকশিত হয়।

 অংশগ্রহণ
 জবাবদিহিতা
 স্বচ্ছতা
 সাফলতা
ব্যাখ্যাঃ

সুশাসনের স্বচ্ছতার নীতি সংগঠনের স্বাধীনতাকে নিশ্চিত করে। এটি একটি প্রতিষ্ঠানের আয় -ব্যয়ের স্বচ্ছতা প্রকাশ করার মাধ্যমে জবাবদিহিতা, সাম্য ও সমতার বিষয়টিকেও নিশ্চিত করে।

 শাসন প্রক্রিয়া ও মানব উন্নয়ন
 শাসন প্রক্রিয়া এবং সুশাসন
 শাসন প্রক্রিয়া এবং নৈতিক শাসন প্রক্রিয়া
 শাসন প্রক্রিয়া এবং উন্নয়ন
ব্যাখ্যাঃ

বিশ্বব্যাংক ১৯৯২ সালে প্রকাশিত "Governance and Development" (শাসন প্রক্রিয়া এবং উন্নয়ন) নামক রিপোর্টে সুশাসনের সংজ্ঞা প্রদান করেছে।

 অংশগ্রহণ
 স্বচ্ছটা
 নৈতিক শাসন
 জবাবদিহিতা
ব্যাখ্যাঃ

সুশাসনের মূল উপাদানগুলো হলো: অংশগ্রহণ, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, আইনের শাসন, সংবেদনশীলতা, সাম্য ও সমতা, কার্যকারিতা ও দক্ষতা, এবং কৌশলগত দূরদৃষ্টি।

প্রদত্ত বিকল্পগুলো থেকে:

  • কঃ অংশগ্রহণ (Participation) - সুশাসনের একটি মূল উপাদান।
  • খঃ স্বচ্ছতা (Transparency) - সুশাসনের একটি মূল উপাদান।
  • গঃ নৈতিক শাসন (Ethical Governance) - এটি সুশাসনের একটি ফলাফল বা লক্ষ্য, কিন্তু সরাসরি সুশাসনের একটি স্বতন্ত্র "উপাদান" হিসেবে এরিস্টটলের বা UNDP/World Bank এর সংজ্ঞায় উল্লেখিত হয় না। এটি সুশাসনের অন্তর্নিহিত একটি গুণ বা আদর্শ, যা অন্যান্য উপাদান (যেমন স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা) সঠিকভাবে পালিত হলে অর্জিত হয়।
  • ঘঃ জবাবদিহিতা (Accountability) - সুশাসনের একটি মূল উপাদান।

যেহেতু নৈতিক শাসন সরাসরি একটি পৃথক উপাদান হিসেবে তালিকাভুক্ত হয় না, বরং এটি সুশাসনের বৃহত্তর ধারণার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, তাই এই বিকল্পটি অন্যদের থেকে আলাদা।

সুতরাং, সঠিক উত্তর হলো গঃ নৈতিক শাসন

 আইন
 প্রতীক
 ভাষা
 মূল্যবোধ
ব্যাখ্যাঃ

পৃথিবীতে সর্বজনীন সংস্কৃতি বলে কিছু নেই। কেননা এক সমাজ ও রাষ্ট্রে যা সংস্কৃতি অন্য সমাজ ও রাষ্ট্রে তা অপ-সংস্কৃতি। এরপরেও সংস্কৃতির সাধারণ উপাদান আছে, যা সকল দেশে একই। যেমন - ভাষা, প্রতীক, আদর্শ, মূল্যবোধ, বিশ্বাস, প্রথা, শিল্পকলা ইত্যাদি। তবে সংস্কৃতির উপাদান হিসেবে অনেকে সমাজতাত্ত্বিক আইনকে গ্রহণ করেছেন আবার কেউ তা বর্জন করেছেন।

 জার্মানি
 ফ্রান্স
 মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
 যুক্তরাজ্য
ব্যাখ্যাঃ

জেরেমি বেন্থাম (Jeremy Bentham) একজন প্রভাবশালী ইংরেজ দার্শনিক, আইনতত্ত্ববিদ এবং সমাজ সংস্কারক ছিলেন। তাকে আধুনিক উপযোগবাদের (Utilitarianism) জনক হিসেবে গণ্য করা হয়।

তার সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিচে দেওয়া হলো:

  • জন্ম ও মৃত্যু: তিনি ১৭৪৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৮৩২ সালের ৬ জুন মৃত্যুবরণ করেন।
  • উপযোগবাদ (Utilitarianism): এটি তার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দার্শনিক অবদান। এই তত্ত্ব অনুসারে, একটি কাজ তখনই নৈতিকভাবে সঠিক যখন এটি সর্বাধিক সংখ্যক মানুষের জন্য সর্বাধিক সুখ (greatest happiness for the greatest number) নিশ্চিত করে। তিনি 'সুখ' এবং 'দুঃখ' কে মানুষের প্রধান চালিকা শক্তি হিসেবে দেখেছিলেন এবং বিশ্বাস করতেন যে আইন ও নীতির উদ্দেশ্য হওয়া উচিত সমাজে সামগ্রিক সুখ বৃদ্ধি করা।
  • হিউডোনিক ক্যালকুলাস (Hedonic Calculus): বেন্থাম সুখ ও দুঃখের পরিমাণ পরিমাপ করার জন্য একটি পদ্ধতি প্রস্তাব করেছিলেন, যা হিউডোনিক ক্যালকুলাস বা ফেলিসিফিক ক্যালকুলাস নামে পরিচিত। এর মাধ্যমে তিনি বিভিন্ন কাজের সম্ভাব্য সুখ বা দুঃখের পরিমাণ নির্ণয় করার চেষ্টা করেছিলেন।
  • সংস্কারের প্রস্তাবনা: তিনি শুধুমাত্র দার্শনিক ছিলেন না, একজন সক্রিয় সংস্কারকও ছিলেন। তিনি সংসদ, আইনি কোড, বিচার বিভাগ এবং কারাগার ব্যবস্থার ব্যাপক সংস্কারের প্রস্তাব করেছিলেন। তিনি আইন, শিক্ষা এবং সামাজিক নীতিতে তার উপযোগবাদী নীতিগুলি প্রয়োগ করতে চেয়েছিলেন।
  • প্যানোপটিকন (Panopticon): বেন্থাম একটি মডেল কারাগার, প্যানোপটিকন, এর নকশা করেছিলেন। এই নকশার উদ্দেশ্য ছিল সর্বনিম্ন সংখ্যক পর্যবেক্ষক দ্বারা সর্বাধিক সংখ্যক বন্দিকে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব করা। যদিও এটি কখনো পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি, তবে এটি নজরদারি এবং কারাগার ব্যবস্থার উপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল।
  • অন্যান্য অবদান: তিনি ব্যক্তি স্বাধীনতা, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, রাষ্ট্র থেকে ধর্ম পৃথকীকরণ, বাক স্বাধীনতা, নারীর সমান অধিকার, তালাকের অধিকার, এবং এমনকি সমকামীতাকে অপরাধের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার মতো বিষয়গুলিরও পক্ষে ছিলেন। তিনি দাসপ্রথা, মৃত্যুদণ্ড এবং শারীরিক শাস্তির (শিশুদের ক্ষেত্রেও) বিলোপের পক্ষে যুক্তি দিয়েছিলেন। তাকে পশু অধিকারের প্রথম দিকের প্রবক্তাদের একজন হিসেবেও বিবেচনা করা হয়।
  • ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন (UCL): তিনি ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন (UCL) প্রতিষ্ঠায় পরোক্ষভাবে ভূমিকা রেখেছিলেন, যা ছিল ইংল্যান্ডের প্রথম প্রতিষ্ঠান যেখানে জাতি, শ্রেণি বা ধর্ম নির্বিশেষে সকল শিক্ষার্থীকে এবং নারীদেরকে পুরুষের সমান শর্তে ভর্তি করা হয়েছিল।
  • অটো-আইকন (Auto-Icon): তার ইচ্ছানুযায়ী, মৃত্যুর পর তার দেহকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের জন্য দান করা হয় এবং পরবর্তীতে তার দেহাবশেষকে একটি "অটো-আইকন" হিসেবে সংরক্ষণ করে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনে প্রদর্শন করা হয়, যা আজও সেখানে রয়েছে।

সংক্ষেপে, জেরেমি বেন্থাম ছিলেন একজন দূরদর্শী চিন্তাবিদ যার ধারণাগুলি নৈতিকতা, আইন, রাজনীতি এবং সামাজিক সংস্কারের ক্ষেত্রে গভীর ও দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলেছিল।

 ভাল ও মন্দ
 ন্যায় ও অন্যায়
 নৈতিকতা ও অনৈতিকতা
 উপরের সবগুলো
ব্যাখ্যাঃ

মূল্যবোধ (Values) মানুষের আচরণ, বিশ্বাস এবং সিদ্ধান্তকে পরিচালিত করে। এটি মূলত একটি মানদণ্ড যার সাহায্যে আমরা বিভিন্ন বিষয়কে বিচার করি।

মূল্যবোধ যা পরীক্ষা করে তা হলো:

  • ভাল ও মন্দ (Good and Bad): মূল্যবোধ আমাদের শেখায় কোনটি করা উচিত এবং কোনটি করা উচিত নয়, কোনটি ইতিবাচক এবং কোনটি নেতিবাচক।
  • ন্যায় ও অন্যায় (Right and Wrong): এটি সামাজিক ও ব্যক্তিগত স্তরে কোনো কাজ বা সিদ্ধান্তের ন্যায্যতা বিচার করতে সাহায্য করে।
  • নৈতিকতা ও অনৈতিকতা (Ethical and Unethical): মূল্যবোধ আমাদের নৈতিক বিচারবোধ তৈরি করে, যা আমাদের সঠিক নৈতিক পথ বেছে নিতে সাহায্য করে।

সুতরাং, মূল্যবোধ এই সবগুলো বিষয়কেই পরীক্ষা করে এবং এই তিনটির মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। তারা একই ধারণার বিভিন্ন দিক।

অতএব, সঠিক উত্তর হলো ঘঃ উপরের সবগুলো

 একটি মহাসাগর
 একটি শহর
 একটি দেশ
 একটি প্রাণী
ব্যাখ্যাঃ

"RAPIS" অক্ষরগুলোকে নতুন করে সাজালে "PARIS" (প্যারিস) শব্দটি পাওয়া যায়।

প্যারিস হলো ফ্রান্সের রাজধানী এবং একটি প্রধান শহর।

অতএব, সঠিক উত্তর হলো খঃ একটি শহর

 স্ট্রাটোস্ফিয়ার
 ট্রপোস্ফিয়ার
 আয়োনোস্ফিয়ার
 ওজোনস্তর
ব্যাখ্যাঃ

বায়ুমণ্ডলের যে স্তরে বেতার তরঙ্গ প্রতিফলিত হয়, সেটি হলো আয়নোস্ফিয়ার (Ionosphere)

আয়নোস্ফিয়ার থার্মোস্ফিয়ারের একটি অংশ এবং এটি পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে প্রায় 60 কিমি থেকে 1000 কিমি উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত। এই স্তরে, সূর্যের বিকিরণের (যেমন অতিবেগুনি রশ্মি এবং এক্স-রে) কারণে বায়ু অণুগুলো আয়নিত হয়, যার ফলে মুক্ত ইলেকট্রন এবং আয়ন তৈরি হয়। এই আয়নিত কণাগুলো বেতার তরঙ্গকে প্রতিফলিত করে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে, যার ফলে দীর্ঘ-পাল্লার বেতার যোগাযোগ সম্ভব হয়।