বিসিএস ৪০তম
১. নিচের কোনটি জলজ উদ্ভিদ নয়?
[ বিসিএস ৪০তম ]
গজারী একটি স্থলজ উদ্ভিদ এবং এটি সাধারণত শুকনো ও উঁচু ভূমিতে জন্মে।
অন্যদিকে, করচ, হিজল ও ডুমুর গাছ সাধারণত জলাভূমির কাছাকাছি বা ভেজা মাটিতে জন্মে এবং এদের কিছু প্রজাতি জলজ অভিযোজন দেখায়।
২. বাংলাদেশে সংঘটিত বন্যার রেকর্ড অনুযায়ী (১৯৭১-২০০৭) কোন সালের বন্যায় সবচেয়ে বেশি এলাকা প্লাবিত হয়?
[ বিসিএস ৪০তম ]
বাংলাদেশে সংঘটিত বন্যার রেকর্ড অনুযায়ী (১৯৭১-২০০৭), ১৯৯৮ সালের বন্যায় সবচেয়ে বেশি এলাকা প্লাবিত হয়েছিল। এই বন্যায় দেশের প্রায় ৬৮% এলাকা বন্যার পানিতে ডুবে ছিল এবং এটি প্রায় দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে স্থায়ী হয়েছিল।
৩. সার্ক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত?
[ বিসিএস ৪০তম ]
সার্ক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বলতে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক)-এর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস, দুর্যোগ প্রস্তুতি, দুর্যোগ মোকাবিলা এবং দুর্যোগ পরবর্তী পুনরুদ্ধার কার্যক্রমের সমন্বয় ও সহযোগিতা বোঝায়। এই অঞ্চলের দেশগুলো ভূমিকম্প, বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, খরা, ভূমিধসের মতো বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিতে থাকে। তাই, সম্মিলিতভাবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা এবং জনগণের জীবন ও জীবিকা রক্ষা করা সার্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য।
সার্ক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক নিচে তুলে ধরা হলো:
প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো:
- সার্ক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র (SDMC): ভারতের গুজরাটের গান্ধীনগরে অবস্থিত এই কেন্দ্রটি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে নীতি নির্ধারণ, গবেষণা, প্রশিক্ষণ এবং তথ্য আদান-প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি পূর্বে চারটি ভিন্ন সার্ক কেন্দ্রের (দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র, আবহাওয়া গবেষণা কেন্দ্র, বন কেন্দ্র ও উপকূলীয় অঞ্চল ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র) সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে।
- সার্ক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাঠামো (SAARC Comprehensive Framework on Disaster Management): ২০০৬ সালে প্রণীত এই কাঠামোটি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির একটি দিকনির্দেশনা। এটি ঝুঁকি হ্রাস, প্রস্তুতি, সাড়া দান এবং পুনরুদ্ধারের মতো বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দেয়।
- সার্ক দ্রুত সাড়া দান চুক্তি (SAARC Agreement on Rapid Response to Natural Disasters - SARRND): ২০১১ সালে স্বাক্ষরিত এই চুক্তিটি দুর্যোগের সময় দ্রুত আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি আইনি কাঠামো প্রদান করে। ২০১৬ সালে এটি কার্যকর হয়।
বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সেক্টরগুলোর মধ্যে কৃষি খাতে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান হয়।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৩ অনুযায়ী, বিভিন্ন অর্থনৈতিক খাতে কর্মসংস্থানের চিত্রটি হলো:
- কৃষি: ৪৫.৩৩%
- সেবা: ৩৭.৬৫%
- শিল্প: ১৭.০২%
সুতরাং, পরিসংখ্যা অনুযায়ী এখনও কৃষি খাতই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কর্মসংস্থান সরবরাহকারী খাত।
বাংলাদেশের উপকূলীয় সমভূমিতে বসবাসকারী জনগোষ্ঠী সাধারণত জলোচ্ছ্বাসজনিত বন্যা এবং নদীজ বন্যা উভয় ধরনের বন্যার ঝুঁকিতে থাকে। তবে, উপকূলীয় অঞ্চলের প্রধান বন্যার ধরন হিসেবে জলোচ্ছ্বাসজনিত বন্যা কেই বেশি বিবেচনা করা হয়।
জলোচ্ছ্বাসজনিত বন্যা: ঘূর্ণিঝড়, সুনামি বা জোয়ারের অস্বাভাবিক উচ্চতার কারণে সমুদ্রের লোনা জল উপকূলীয় নিচু এলাকা প্লাবিত করে। এটি খুব দ্রুত এবং তীব্র হতে পারে, যা জানমালের ব্যাপক ক্ষতি করে।
নদীজ বন্যা: বর্ষাকালে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত এবং উজানের ঢলের কারণে উপকূলীয় অঞ্চলের নদ-নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বন্যা সৃষ্টি করে।
সুতরাং, বিকল্পে যদি শুধুমাত্র একটি উত্তর বেছে নিতে হয়, তবে জলোচ্ছ্বাসজনিত বন্যা হবে সবচেয়ে উপযুক্ত উত্তর।
৬. নিম্নের কোনটি পাললিক শিলা?
[ বিসিএস ৪০তম ]
কয়লা পাললিক শিলার উদাহরণ। এটি মূলত উদ্ভিদ এবং অন্যান্য জৈব পদার্থের স্তূপীকরণের মাধ্যমে গঠিত হয়।
অন্যান্য শিলাগুলোর শ্রেণীবিভাগ নিচে দেওয়া হলো:
- মার্বেল: রূপান্তরিত শিলা (চুনাপাথর থেকে রূপান্তরিত)।
- গ্রানাইট: আগ্নেয় শিলা (ভূগর্ভের ম্যাগমা জমাট বেঁধে তৈরি)।
- নিস: রূপান্তরিত শিলা (বিভিন্ন ধরনের শিলা থেকে উচ্চ তাপ ও চাপে রূপান্তরিত)।
৭. নিম্নের কোনটি বৃহৎ স্কেল মানচিত্র?
[ বিসিএস ৪০তম ]
বৃহৎ স্কেল মানচিত্র হলো সেই মানচিত্র যেখানে ভূপৃষ্ঠের একটি ছোট এলাকা বিস্তারিতভাবে দেখানো হয়। স্কেলের অনুপাত যত ছোট হবে, মানচিত্রের স্কেল তত বড় হবে এবং তত বেশি বিস্তারিত তথ্য সেখানে উপস্থাপন করা যাবে।
এখানে প্রদত্ত স্কেলগুলোর মধ্যে:
- ১ : ১০,০০০ মানে হলো মানচিত্রের ১ একক দূরত্ব ভূপৃষ্ঠের ১০,০০০ একক দূরত্বের সমান।
- ১ : ১০০,০০০ মানে হলো মানচিত্রের ১ একক দূরত্ব ভূপৃষ্ঠের ১০০,০০০ একক দূরত্বের সমান।
- ১ : ১০০০,০০০ মানে হলো মানচিত্রের ১ একক দূরত্ব ভূপৃষ্ঠের ১,০০০,০০০ একক দূরত্বের সমান।
- ১ : ২৫,০০০ মানে হলো মানচিত্রের ১ একক দূরত্ব ভূপৃষ্ঠের ২৫,০০০ একক দূরত্বের সমান।
এই অনুপাতগুলোর মধ্যে ১ : ১০,০০০ সবচেয়ে ছোট। সুতরাং, এই স্কেলের মানচিত্রে সবচেয়ে ছোট এলাকাকে সবচেয়ে বেশি বিস্তারিতভাবে দেখানো যাবে।
৮. সমবৃষ্টিপাত সম্পন্ন স্থানসমূহকে যোগকারী রেখাকে বলা হয়-
[ বিসিএস ৪০তম ]
সমবৃষ্টিপাত সম্পন্ন স্থানসমূহকে যোগকারী রেখাকে সমবর্ষণ রেখা বলা হয়। একে ইংরেজিতে Isohyet বলা হয়।
এই রেখাগুলো মানচিত্রে ব্যবহার করা হয় কোনো নির্দিষ্ট সময়ে (যেমন - এক বছর, এক মাস) একই পরিমাণ বৃষ্টিপাত হওয়া অঞ্চলগুলোকে চিহ্নিত করার জন্য।
৯. নিচের কোনটি মানবসৃষ্ট আপদ (hazard) নয়?
[ বিসিএস ৪০তম ]
কালবৈশাখী হলো একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যা সাধারণত গ্রীষ্মকালে বাংলাদেশে আঘাত হানে। এটি একটি আকস্মিক ও স্থানীয় ঝড়, যা তীব্র বাতাস, বৃষ্টি এবং মাঝে মাঝে শিলাবৃষ্টির সাথে দেখা যায়।
অন্যদিকে, বায়ু দূষণ, দুর্ভিক্ষ এবং মহামারী - এই তিনটিই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মানুষের কার্যকলাপের ফলস্বরূপ সৃষ্টি হতে পারে।
- বায়ু দূষণ: কলকারখানা, যানবাহন এবং অন্যান্য মানবসৃষ্ট কারণে বায়ুতে ক্ষতিকর পদার্থের মিশ্রণ।
- দুর্ভিক্ষ: খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহে ঘাটতি, যা প্রায়শই মানবসৃষ্ট কারণ (যেমন - যুদ্ধ, অব্যবস্থাপনা) দ্বারা আরও তীব্র হতে পারে।
- মহামারী: রোগের বিস্তার, যা জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুর্বলতা বা মানুষের অসচেতনতার কারণে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।
১০. বাংলাদেশের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান কী ধরণের বনভূমি?
[ বিসিএস ৪০তম ]
বাংলাদেশের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান মূলত ক্রান্তীয় চিরহরিৎ এবং আধা-চিরহরিৎ বনভূমির অন্তর্ভুক্ত।
এই বনভূমিতে নিরক্ষীয় অঞ্চলের চিরহরিৎ বর্ষাবনের কিছু বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। এখানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় এবং সূর্যের আলোর জন্য প্রতিযোগিতা করে গাছপালা খুব উঁচু হয়ে থাকে, যার ফলে বনের ভেতরের মাটি পর্যন্ত আলো পৌঁছাতে পারে না। এই কারণে বন বেশ ঘন হয়ে থাকে।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের অবশিষ্ট চিরহরিৎ বনগুলোর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি উদাহরণ।
১১. আইন ও সালিশ কেন্দ্র কি ধরণের সংস্থা?
[ বিসিএস ৪০তম ]
আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) বাংলাদেশের একটি বেসরকারি মানবাধিকার ও আইন সহায়তাকারী সংস্থা। এটি একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান যা মানবাধিকার রক্ষা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং সুবিধাবঞ্চিত মানুষের আইনি সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করে।
আসক বিশেষভাবে নারী ও শ্রমিক অধিকার নিয়ে কাজ করে এবং দেশের প্রথম সারির মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মধ্যে অন্যতম।
১২. Almond ও Powel চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠীকে বিভক্ত করেছেন-
[ বিসিএস ৪০তম ]
Almond ও Powel চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠীকে প্রধানত চারটি শ্রেণীতে বিভক্ত করেছেন:
১. প্রাতিষ্ঠানিক চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠী (Institutional Interest Groups): এই গোষ্ঠীগুলো সরকারের বিভিন্ন কাঠামোর মধ্যে (যেমন - রাজনৈতিক দল, আইনসভা, আমলাতন্ত্র, সেনাবাহিনী) কাজ করে এবং তাদের প্রাতিষ্ঠানিক ভূমিকার অংশ হিসেবে স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করে।
২. অ-প্রাতিষ্ঠানিক চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠী (Non-Associational Interest Groups): এই গোষ্ঠীগুলোর সুনির্দিষ্ট সাংগঠনিক কাঠামো থাকে না। এরা ভাষা, ধর্ম, পেশা, অঞ্চল বা জাতিগত পরিচয়ের মতো সাধারণ স্বার্থের ভিত্তিতে গঠিত হয় এবং বিক্ষিপ্তভাবে বা অসংগঠিতভাবে চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
৩. সমষ্টিগত চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠী (Associational Interest Groups): এই গোষ্ঠীগুলোর সুস্পষ্ট সাংগঠনিক কাঠামো থাকে, নির্দিষ্ট সদস্যপদ থাকে এবং তারা তাদের সদস্যদের স্বার্থ রক্ষার জন্য সুসংগঠিতভাবে কাজ করে। ট্রেড ইউনিয়ন, ব্যবসায়িক সংস্থা, পেশাদারী সমিতি ইত্যাদি এর উদাহরণ।
৪. অনিয়মিত চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠী (Anomic Interest Groups): এই গোষ্ঠীগুলোর কোনো স্থায়ী কাঠামো বা নিয়মিত কার্যক্রম থাকে না। এরা হঠাৎ করে কোনো বিশেষ ইস্যুতে আবেগপূর্ণভাবে সংগঠিত হয় এবং বিক্ষোভ, সহিংসতা বা অন্যান্য অস্থিরতামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে চাপ সৃষ্টি করতে পারে। দাঙ্গা, ছাত্র বিক্ষোভ ইত্যাদি এর উদাহরণ।
১৩. বাংলাদেশ জাতিসংঘের –
[ বিসিএস ৪০তম ]
বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ১৩৬তম সদস্য হিসেবে জাতিসংঘের অন্তর্ভুক্ত হয়। এর পর থেকে বাংলাদেশ জাতিসংঘের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে আসছে এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
জাতিসংঘের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অবদান হলো:
- শান্তিরক্ষা কার্যক্রম: বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। ১৯৮৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশের সশস্ত্র ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা ৪০টির বেশি দেশে ৬৩টি জাতিসংঘ শান্তি মিশনে অংশগ্রহণ করেছেন। বর্তমানেও বাংলাদেশ বিভিন্ন মিশনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
- সাধারণ পরিষদে অংশগ্রহণ ও বক্তব্য: বাংলাদেশ নিয়মিতভাবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশগ্রহণ করে এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে নিজেদের মতামত ও নীতি তুলে ধরে। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রথম বাংলায় ভাষণ দেন।
- টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG) বাস্তবায়ন: বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনের জন্য জাতিসংঘের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করছে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
- জলবায়ু পরিবর্তন: বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম এবং এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক আলোচনা ও নীতি নির্ধারণে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।
- মানবাধিকার: বাংলাদেশ মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে বিভিন্ন সময় সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে।
- নারী অধিকার: বাংলাদেশ নারী অধিকারের উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে এ বিষয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছে।
- দারিদ্র্য বিমোচন: বাংলাদেশ দারিদ্র্য বিমোচনে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে এবং এ বিষয়ে অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের সাথে অভিজ্ঞতা বিনিময় করে।
- বিভিন্ন সংস্থায় অংশগ্রহণ: বাংলাদেশ জাতিসংঘের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা ও কমিটিতে সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে এবং সক্রিয়ভাবে অবদান রাখছে।
জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা বাংলাদেশে দারিদ্র্য বিমোচন, সুশাসন, জলবায়ু পরিবর্তন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং অন্যান্য উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা প্রদান করে আসছে। বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের মধ্যে একটি শক্তিশালী ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান।
১৪. বাংলাদেশ প্রথম জাতীয় সংসদের নির্বাচন হয় –
[ বিসিএস ৪০তম ]
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৭৩ সালের ৭ই মার্চ।
এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে, ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৯৩টি আসনে জয়লাভ করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন।
অন্যান্য দলগুলোর মধ্যে:
- জাতীয় লীগ ১টি আসন লাভ করে।
- জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ১টি আসন লাভ করে।
- স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৫টি আসনে জয়ী হন।
এই নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ৩,৫২,০৫,৬৪২ জন এবং ভোটদানের হার ছিল ৫৪.৯%।
১৫. ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় জাতিসংঘে কোন দেশ বাংলাদেশের পক্ষে ‘ভেটো’ প্রদান করেছিল?
[ বিসিএস ৪০তম ]
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় জাতিসংঘে বাংলাদেশের পক্ষে সোভিয়েত ইউনিয়ন (তৎকালীন ইউএসএসআর) ভেটো প্রদান করেছিল।
ডিসেম্বর মাসের শুরুতে, যখন ভারতীয় সেনাবাহিনী বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর সাথে যোগ দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে চূড়ান্ত অভিযানে নামে, তখন পাকিস্তান এবং তাদের মিত্ররা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব উত্থাপন করে। এই প্রস্তাবের উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় ও মুক্তিবাহিনীর অগ্রগতি থামানো এবং পাকিস্তানের দখলদারিত্ব বজায় রাখা।
সোভিয়েত ইউনিয়ন এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে এবং ৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ তারিখে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম ভেটো প্রদান করে। এর ফলে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি বাতিল হয়ে যায়।
পরবর্তীতে, ৫ ডিসেম্বর ১৯৭১ তারিখে একই বিষয়ে আরেকটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হলে সোভিয়েত ইউনিয়ন আবারও দ্বিতীয় ভেটো প্রদান করে।
সোভিয়েত ইউনিয়নের এই ভেটো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এর কারণে জাতিসংঘে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হতে পারেনি এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পথ আরও সুগম হয়েছিল।
১৬. বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ সংবিধানের কোন তফসিলে অন্তর্ভু্ক্ত করা হয়েছে?
[ বিসিএস ৪০তম ]
বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চম তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সংবিধানের ১৫০(২) অনুচ্ছেদে এই তফসিলটির উল্লেখ রয়েছে এবং সেখানে ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ তারিখে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণটি হুবহু সন্নিবেশিত করা হয়েছে।
১৭. ‘বঙ্গভঙ্গ’ কালে ভারতের ভাইসরয় কে ছিলেন?
[ বিসিএস ৪০তম ]
বঙ্গভঙ্গ বলতে ১৯০৫ সালের ১৬ই অক্টোবর ব্রিটিশ ভারতের ভাইসরয় লর্ড কার্জনের বাংলা প্রেসিডেন্সিকে বিভক্ত করার পরিকল্পনাকে বোঝায়। এর মাধ্যমে বাংলা প্রদেশকে দুটি নতুন প্রদেশে ভাগ করা হয়:
- পূর্ববঙ্গ ও আসাম: ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম বিভাগ এবং আসাম নিয়ে গঠিত, যার রাজধানী ছিল ঢাকা। এখানে মুসলিম জনসংখ্যা সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল।
- পশ্চিমবঙ্গ: বিহার, ওড়িশা এবং অবশিষ্ট বাংলা অংশ নিয়ে গঠিত, যার রাজধানী ছিল কলকাতা। এখানে হিন্দু জনসংখ্যা সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল।
বঙ্গভঙ্গের কারণ:
ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে বঙ্গভঙ্গের প্রধান কারণ হিসেবে প্রশাসনিক অসুবিধা ও প্রদেশের বিশাল আয়তনের কথা বলা হয়েছিল। তবে এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যও ছিল বলে মনে করা হয়। ব্রিটিশরা মনে করত, বাঙালি জাতীয়তাবাদীদের আন্দোলন দুর্বল করতে এবং হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে পারলে তাদের শাসন আরও সুদৃঢ় হবে।
বঙ্গভঙ্গের ফলাফল:
বঙ্গভঙ্গের ফলে বাংলায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। হিন্দু সম্প্রদায় এটিকে তাদের জাতীয় ঐক্যের উপর আঘাত হিসেবে দেখে এবং এর বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলন শুরু করে, যা বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন নামে পরিচিত। এই আন্দোলনে রাখি বন্ধন, স্বদেশী আন্দোলন এবং বিপ্লবী কার্যকলাপের মতো বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়।
অন্যদিকে, কিছু মুসলিম নেতা বঙ্গভঙ্গকে পূর্ব বাংলার মুসলিমদের উন্নতি ও বিকাশের সুযোগ হিসেবে দেখেছিলেন এবং প্রাথমিকভাবে এটিকে সমর্থন করেছিলেন।
তবে, তীব্র এবং রাজনৈতিক চাপের মুখে ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদ করতে বাধ্য হয় ব্রিটিশ সরকার। রাজা পঞ্চম জর্জ দিল্লি দরবারে বঙ্গভঙ্গ রদের ঘোষণা দেন এবং ১৯১২ সালে এটি কার্যকর হয়।
বঙ্গভঙ্গ এবং এর পরবর্তী আন্দোলন ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এটি একদিকে যেমন ব্রিটিশবিরোধী চেতনাকে আরও শক্তিশালী করেছিল, তেমনি হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদের বীজও বপন করেছিল, যার প্রভাব পরবর্তীকালে ভারতের রাজনীতিতে দেখা যায়।
১৮. বাংলাদেশের কোন বনভূমি শালবৃক্ষের জন্য বিখ্যাত?
[ বিসিএস ৪০তম ]
বাংলাদেশের ভাওয়াল ও মধুপুরের বনভূমি শালবৃক্ষের জন্য বিখ্যাত। এই বনভূমি মূলত গাজীপুর, টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ জেলায় বিস্তৃত। শাল এখানকার প্রধান বৃক্ষ এবং এই বনকে শালবন নামেও অভিহিত করা হয়।
১৯. বাংলাদেশ প্রথম আদমশুমারি অনুষ্ঠিত হয়?
[ বিসিএস ৪০তম ]
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম আদমশুমারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৭৪ সালে।
মুক্তিযুদ্ধের কারণে ১৯৭১ সালে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও, তা পিছিয়ে ১৯৭৪ সালে অনুষ্ঠিত হয়। এই আদমশুমারি বাংলাদেশের জনসংখ্যা এবং অন্যান্য আর্থ-সামাজিক তথ্য সংগ্রহের প্রথম জাতীয় উদ্যোগ ছিল।
২০. Inclusive Development Index ( IDI) – এর ভিত্তিতে, দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের স্থান কত?
[ বিসিএস ৪০তম ]
Inclusive Development Index (IDI)-এর সর্বশেষ তথ্য ২০১৮ সালে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (WEF) কর্তৃক প্রকাশিত হয়েছিল। সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল দ্বিতীয়।
২০১৮ সালের আইডিআই র্যাঙ্কিং-এ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর স্কোর ছিল নিম্নরূপ:
- নেপাল: ৪.১৫ (২২তম)
- বাংলাদেশ: ৩.৯৮ (৩৪তম)
- শ্রীলঙ্কা: ৩.৭৯ (৪০তম)
- পাকিস্তান: ৩.৫৫ (৫২তম)
- ভারত: ৩.০৯ (৬২তম)
তবে মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, ২০১৮ সালের পর থেকে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম আর এই সূচক প্রকাশ করেনি। তাই বর্তমানে এর নতুন কোনো তথ্য নেই। তবে ২০১৮ সালের তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের স্থান ছিল দ্বিতীয়।
২১. ২০১৮ সালে বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয় কত?
[ বিসিএস ৪০তম ]
সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ প্রদত্ত জাতীয় সংসদের তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাব অনুযায়ী ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয় ৪১বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৯ অনুযায়ী ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ৩৬.৬৬৮১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
২২. Alliance যে দেশে ভিত্তিক গার্মেন্টস ব্রান্ডগুলোর সংগঠন-
[ বিসিএস ৪০তম ]
"Alliance for Bangladesh Worker Safety" (AFBWS) ছিল উত্তর আমেরিকার পোশাক কোম্পানি এবং ব্র্যান্ডগুলোর একটি জোট। এই জোটটি ২০১৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে (United States) ভিত্তিক ছিল এবং এর প্রধান কার্যালয়ও সেখানেই অবস্থিত ছিল।
এই জোটটি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য গঠিত হয়েছিল, বিশেষ করে ২০১৩ সালের রানা প্লাজা ধসের পর। "Alliance" একটি পাঁচ বছর মেয়াদী, আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক উদ্যোগ ছিল যার লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলোতে অগ্নি নিরাপত্তা ও ভবন নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতি ঘটানো।
সুতরাং, Alliance মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভিত্তিক গার্মেন্টস ব্র্যান্ডগুলোর একটি সংগঠন।
২৩. ২০১৮ সালে বাংলাদেশের GDP – তে শিল্প খাতের অবদান কত?
[ বিসিএস ৪০তম ]
২০১৮ সালে বাংলাদেশের জিডিপিতে শিল্প খাতের অবদান ছিল ৩৩.৬৬ শতাংশ।
(তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৮ এবং মেট্রোপলিটন চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, ঢাকা (MCCI)-এর প্রতিবেদন)
২৪. ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে রপ্তানি প্রণোদনা রাখা হয়েছে-
[ বিসিএস ৪০তম ]
২০১৮ - ২০১৯ অর্থ বছরে রপ্তানি প্রনোদনা রাখা হয়েছে ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
২০১৮-১৯ অর্থ বছরে রপ্তানি পণ্যের বিপরীতে বিভিন্ন হারে নগদ প্রণোদনা রাখা হয়েছিল। এই প্রণোদনার হার পণ্য ভেদে ২% থেকে ২০% পর্যন্ত ছিল।
কিছু খাতের জন্য প্রণোদনার হার ছিল:
- তৈরি পোশাক (কিছু ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ১% প্রণোদনা সহ): ৪% পর্যন্ত
- পাটজাত পণ্য: ৭% থেকে ২০% পর্যন্ত
- চামড়াজাত পণ্য: বিভিন্ন হারে
- মৎস্যজাত পণ্য: বিভিন্ন হারে
- কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য: বিভিন্ন হারে
এই প্রণোদনার মূল উদ্দেশ্য ছিল রপ্তানি বৃদ্ধি করা এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা।
২৫. বাংলাদেশে প্রথম ভ্যাট (VAT) চালু হয়-
[ বিসিএস ৪০তম ]
বাংলাদেশে প্রথম মূল্য সংযোজন কর (Value Added Tax - VAT) চালু হয়েছিল ১ জুলাই ১৯৯১ সালে। তৎকালীন অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান এই নতুন কর ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন।
প্রথমে অল্প কিছু পণ্যের উপর ভ্যাট আরোপ করা হলেও, পরবর্তীতে এটি ধীরে ধীরে অধিকাংশ পণ্য ও সেবার উপর প্রযোজ্য হয় এবং বর্তমানে এটি বাংলাদেশ সরকারের রাজস্ব আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস।
পঞ্চম সংশোধনীকে বাংলাদেশের সংবিধানের ‘first distortion of constitution’ বা সংবিধানের প্রথম বিকৃতি বলে আখ্যায়িত করা হয়।
এই সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট থেকে ১৯৭৯ সালের ৬ই এপ্রিল পর্যন্ত সামরিক শাসনামলে জারিকৃত সকল অধ্যাদেশ, ঘোষণা ও আদেশকে বৈধতা দেওয়া হয়েছিল। এর ফলে সংবিধানের মূল কাঠামো ও গণতান্ত্রিক বৈশিষ্ট্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বলে মনে করা হয়।
২৭. স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র সংবিধানের কততম তফসিলে সংযোজন করা হয়েছে?
[ বিসিএস ৪০তম ]
স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র বাংলাদেশের সংবিধানের সপ্তম তফসিলে সংযোজন করা হয়েছে।
সংবিধানের ১৫০(২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, ১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল তারিখে মুজিবনগর সরকার কর্তৃক জারিকৃত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র এই সংবিধানের সপ্তম তফসিলে বর্ণিত রয়েছে।
২৮. গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান প্রবর্তিত হয়-
[ বিসিএস ৪০তম ]
১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান প্রবর্তিত হয়। এই দিনটিকে বাংলাদেশে বিজয় দিবস হিসেবে পালন করা হয়। সংবিধানটি ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে গৃহীত হয়েছিল।
সরকারি কর্ম কমিশন (Bangladesh Public Service Commission - BPSC) হলো বাংলাদেশের একটি স্বায়ত্তশাসিত ও সাংবিধানিক সংস্থা। এর প্রধান কাজ হলো প্রজাতন্ত্রের (সরকারি) কর্মে নিয়োগের জন্য উপযুক্ত ও যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তি নির্বাচন করা।
এখানে সরকারি কর্ম কমিশন সম্পর্কে কিছু মৌলিক তথ্য তুলে ধরা হলো:
প্রতিষ্ঠা ও আইনি ভিত্তি:
- এটি একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ সংবিধানের ১৩৭ নং অনুচ্ছেদে এই কমিশন গঠনের কথা বলা হয়েছে।
- প্রতিষ্ঠিত হয় ৮ এপ্রিল ১৯৭২ সালে (রাষ্ট্রপতির ৩৪ নং আদেশবলে)।
- পরবর্তীতে ১৯৭৭ সালের ২২ ডিসেম্বর দুটি কমিশনকে (প্রথম ও দ্বিতীয়) একত্রিত করে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন নামকরণ করা হয়।
- বর্তমানে এটি বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন আইন, ২০২৩ দ্বারা পরিচালিত হয়।
গঠন:
- কমিশনে একজন চেয়ারপারসন (অধ্যক্ষ) এবং কয়েকজন সদস্য থাকেন।
- কমিশনের চেয়ারপারসন ও সদস্যদের নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।
- তাঁদের কর্মের মেয়াদ সাধারণত পাঁচ বছর অথবা ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত (যা আগে ঘটে)।
- কমিশনের সদস্যদের পদমর্যাদা সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের সমান।
৩০. আওয়ামী লীগের ৬-দফা পেশ করা হয়েছিলো –
[ বিসিএস ৪০তম ]
আওয়ামী লীগের ৬-দফা ছিল পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) জনগণের স্বায়ত্তশাসনের দাবি সম্বলিত একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি। এটি ১৯৬৬ সালের ৫-৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে বিরোধী দলগুলোর জাতীয় সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উত্থাপন করেন। পরবর্তীতে, ১৯৬৬ সালের ২৩ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে এই ৬ দফা ঘোষণা করা হয়।
৬-দফার মূল বিষয়গুলো ছিল:
১. প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন: পাকিস্তানের সংবিধান হবে লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে ফেডারেল রাষ্ট্র কাঠামোতে। কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে থাকবে শুধু প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র বিষয়। অন্যান্য সকল বিষয়ে অঙ্গরাজ্যগুলোর পূর্ণ ক্ষমতা থাকবে।
২. কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা: কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা শুধু প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র বিষয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।
৩. মুদ্রা ব্যবস্থা: পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য পৃথক অথচ সহজে বিনিময়যোগ্য দুটি পৃথক মুদ্রা থাকবে। অথবা, সমগ্র দেশের জন্য একটি মুদ্রাব্যবস্থা থাকবে, তবে এক্ষেত্রে পূর্ব পাকিস্তানের জন্য পৃথক ব্যাংকিং রিজার্ভ থাকবে।
৪. রাজস্ব ও কর ব্যবস্থা: সকল প্রকার কর ও রাজস্ব ধার্য ও আদায়ের ক্ষমতা থাকবে অঙ্গরাজ্যগুলোর হাতে। কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো কর ধার্যের ক্ষমতা থাকবে না। অঙ্গরাজ্যগুলো তাদের নির্ধারিত অংশ কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রদান করবে।
৫. বৈদেশিক বাণিজ্য: অঙ্গরাজ্যগুলো তাদের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার অধিকারী হবে এবং কেন্দ্রীয় সরকারের জন্য প্রয়োজনীয় অংশ প্রদান করবে।
৬. আঞ্চলিক সেনাবাহিনী: পূর্ব পাকিস্তানের নিরাপত্তার জন্য আধা-সামরিক বাহিনী গঠন করার ক্ষমতা থাকবে।
৬-দফা ছিল মূলত পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার আদায়ের একটি ঐতিহাসিক সনদ। এই ৬-দফা বাঙালি জাতীয়তাবাদের উত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের পথ প্রশস্ত করে।
৩১. বঙ্গবন্ধুসহ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় মোট আসামী সংখ্যা ছিল –
[ বিসিএস ৪০তম ]
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা ছিল পাকিস্তান সরকারের দায়ের করা একটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা। ১৯৬৮ সালের জানুয়ারী মাসে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমানসহ ৩৫ জন বাঙালি সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তিকে এই মামলায় অভিযুক্ত করা হয়। মামলার অভিযোগে বলা হয় যে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ভারতের ত্রিপুরার আগরতলায় বসে পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন করার ষড়যন্ত্র করছেন।
মামলার প্রেক্ষাপট:
- ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকেই পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হচ্ছিলেন।
- ১৯৬৬ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের উত্থাপিত ৬ দফা বাঙালির স্বায়ত্তশাসনের দাবিকে আরও জোরালো করে তোলে।
- পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী এই আন্দোলনকে নস্যাৎ করার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেয়।
মামলার মূল অভিযোগ:
- অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ভারতের সহায়তায় সশস্ত্র অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তানকে পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন করে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনা করেছিলেন।
- এই ষড়যন্ত্র ত্রিপুরার আগরতলায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল বলে অভিযোগ করা হয়।
গুরুত্ব:
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এর প্রধান কারণগুলো হলো:
- এই মামলা শেখ মুজিবুর রহমানকে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতায় পরিণত করে।
- মামলার বিরুদ্ধে দেশব্যাপী তীব্র আন্দোলন গড়ে ওঠে, যা ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়।
- এই গণঅভ্যুত্থানের ফলে আইয়ুব খানের সরকারের পতন হয় এবং শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল অভিযুক্ত ব্যক্তি মুক্তি পান।
- আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের গতিকে আরও বেগবান করে তোলে।
তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিক ১৯৯৮ সালে প্রথম চালু করা হয়। তবে, বিভিন্ন কারণে এটি ২০০০ সালের পর মুখ থুবড়ে পড়ে। পরবর্তীতে, ২০০৯ সাল থেকে কমিউনিটি ক্লিনিক পুনরায় চালু ও জোরদার করা হয় এবং এটি বর্তমানে সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা উদ্যোগ।
২০১৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে তৎকালীন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করা হয়েছে প্রায় ১৩ হাজার ১৩৬টি। তবে বর্তমানে বাংলাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিকের সংখ্যা ১৪,২০০টি। প্রতিটি ক্লিনিকে রয়েছেন তিনজন সেবাকর্মী। মূল দায়িত্বে আছেন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (CHCP)।
৩৩. ‘Let There Be light ‘ – বিখ্যাত ছবিটি পরিচালনা করেন-
[ বিসিএস ৪০তম ]
"Let There Be Light" একটি অসমাপ্ত ইংরেজি ভাষার চলচ্চিত্র, যা বাংলাদেশের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা জহির রায়হান পরিচালনা করেছিলেন। তিনি এই চলচ্চিত্রটিকে তাঁর স্বপ্নের প্রকল্প হিসেবে বিবেচনা করতেন। ১৯৭০ সালে চলচ্চিত্রটির কিছু অংশ চিত্রায়িত হলেও, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের কারণে এটি সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়নি ।
চলচ্চিত্রটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন ববিতা এবং ওমর চিশতী। জহির রায়হান নিজেই এর চিত্রগ্রহণের দায়িত্ব পালন করেন। চলচ্চিত্রটির সংগীত পরিচালনা করেন আলতাফ মাহমুদ।
যদিও চলচ্চিত্রটির কিছু ফুটেজ বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে সংরক্ষিত রয়েছে, তবে এটি এখনও সম্পূর্ণভাবে মুক্তি পায়নি।
৩৪. আলাউদ্দিন হোসেন শাহ্ কখন বৃহত্তর বাংলা শাসন করেন?
[ বিসিএস ৪০তম ]
আলাউদ্দিন হোসেন শাহ্ ১৪৯৪ থেকে ১৫১৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বৃহত্তর বাংলা শাসন করেন। তিনি হোসেনশাহী রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন এবং তার শাসনকালকে বাংলা সালতানাতের স্বর্ণযুগ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
৩৫. প্রাচীন বাংলায় মৌর্য শাসনের প্রতিষ্ঠাতা কে?
[ বিসিএস ৪০তম ]
প্রাচীন বাংলায় মৌর্য শাসনের বিস্তার খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতকে ঘটেছিল। মৌর্য সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য নন্দ রাজবংশকে পরাজিত করে মগধে মৌর্য সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন এবং ধীরে ধীরে উত্তর ভারত জুড়ে তার সাম্রাজ্য বিস্তার করেন।
বাংলা মৌর্য সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল সম্রাট অশোকের রাজত্বকালে (২৬৯-২৩২ খ্রিস্টপূর্বাব্দ)। অশোকের শিলালিপি থেকে জানা যায় যে, পুণ্ড্রবর্ধন (বর্তমান উত্তরবঙ্গ) মৌর্য সাম্রাজ্যের একটি প্রদেশে পরিণত হয়েছিল এবং এর রাজধানী ছিল পুণ্ড্রনগর (বর্তমান মহাস্থানগড়)।
এছাড়াও, ঐতিহাসিকরা মনে করেন যে মৌর্য শাসন আরও দক্ষিণে, যেমন কর্ণসুবর্ণ (মুর্শিদাবাদ), তাম্রলিপ্ত (হুগলী) এবং সমতট (দক্ষিণ-পূর্ব বাংলা) অঞ্চলেও বিস্তৃত ছিল।
মৌর্য শাসনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক:
- রাজনৈতিক ঐক্য: মৌর্যরা প্রথম ভারতীয় সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে এবং বৃহত্তর বাংলাকে তাদের শাসনের অধীনে নিয়ে আসে।
- প্রশাসন: তারা একটি সুসংহত প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিল। প্রাদেশিক শাসনকর্তা নিযুক্ত করা হতো এবং বিভিন্ন স্তরের কর্মচারী রাজস্ব আদায় ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করতেন।
- যোগাযোগ: উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিশেষ করে রাস্তাঘাট নির্মাণ মৌর্য শাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল।
- বৌদ্ধ ধর্মের বিস্তার: সম্রাট অশোকের পৃষ্ঠপোষকতায় বৌদ্ধ ধর্ম বাংলায় বিস্তার লাভ করে। মহাস্থানগড়ে প্রাপ্ত ব্রাহ্মী লিপিতে এর প্রমাণ মেলে।
মৌর্য সাম্রাজ্যের পতনের পর বাংলায় শুঙ্গ ও কন্ব বংশের মতো কিছু ছোট রাজ্যের উত্থান ঘটেছিল।
৩৬. ইউরোপীয় বণিকদের মধ্যে বাংলায় প্রথম এসছিলেন –
[ বিসিএস ৪০তম ]
পর্তুগিজরা ষোড়শ শতাব্দীর শুরুতে বাংলায় আগমন করে। তাদের বাংলায় আসার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ব্যবসা-বাণিজ্য করা।
বাংলায় পর্তুগিজদের আগমন:
- প্রথম আগমন: ধারণা করা হয়, ১৫১৬ খ্রিস্টাব্দে পর্তুগিজরা প্রথম বাংলায় আসে। তবে, তাদের বাণিজ্যিক কার্যক্রম মূলত ১৫৮০ সালের দিকে শুরু হয়।
- বাণিজ্য কেন্দ্র: তারা হুগলি, চট্টগ্রাম ও সপ্তগ্রামে বাণিজ্য কুঠি স্থাপন করে। হুগলি তাদের প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্রে পরিণত হয়।
- বাণিজ্য: পর্তুগিজরা বাংলা থেকে প্রধানত চাল, বস্ত্র ও অন্যান্য কৃষিজাত পণ্য সংগ্রহ করত এবং ইউরোপ থেকে বিভিন্ন পণ্য এখানে বিক্রি করত।
- অন্যান্য কার্যক্রম: ব্যবসার পাশাপাশি তারা খ্রিস্ট ধর্ম প্রচার এবং কিছু ক্ষেত্রে জলদস্যুতা ও দাস ব্যবসার সাথেও জড়িত ছিল।
পর্তুগিজদের প্রভাব:
- ভাষায় প্রভাব: বাংলা ভাষায় কিছু পর্তুগিজ শব্দ আজও প্রচলিত আছে, যেমন - আলমারি, আনারস, বালতি, বোতাম, কামিজ, জানালা, পেঁপে, পেরেক, ফিতা, সাবান ইত্যাদি।
- কৃষিতে: তারা কিছু নতুন ফল ও সবজির চাষ introduction করে, যেমন - পেঁপে, আনারস, মিষ্টি আলু ইত্যাদি।
- ধর্ম: তারা বাংলায় খ্রিস্ট ধর্ম প্রচারে ভূমিকা রাখে এবং কিছু গির্জা স্থাপন করে।
তবে, তাদের জলদস্যুতা ও অন্যান্য অপকর্মের জন্য স্থানীয় শাসকদের সাথে তাদের সংঘাতও হয়। ১৬৩২ সালে মুঘল সম্রাট শাহজাহানের আদেশে কাসিম খান হুগলিতে পর্তুগিজদের ঘাঁটি আক্রমণ করে এবং তাদের বিতাড়িত করে। এরপর বাংলায় তাদের প্রভাব ধীরে ধীরে কমে আসে।
৩৭. বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি পাট উৎপন্ন হয় কোন জেলায়?
[ বিসিএস ৪০তম ]
বর্তমানে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি পাট উৎপন্ন হয় ফরিদপুর জেলায়। বিভিন্ন কৃষি পরিসংখ্যান ও প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ফরিদপুর জেলা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পাট উৎপাদনকারী অঞ্চল হিসেবে পরিচিত।
৩৮. ‘গারো উপজাতি’ কোন জেলায় বাস করে?
[ বিসিএস ৪০তম ]
গারোরা বাংলাদেশের একটি অন্যতম ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী। বৃহত্তর ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোনা, সিলেট, সুনামগঞ্জ ও গাজীপুর জেলায় তারা প্রধানত বসবাস করে। গারোরা নিজেদেরকে 'মান্দি' বা 'আচিক মান্দি' নামে পরিচয় দিতে পছন্দ করে, যার অর্থ 'মানুষ' বা 'পাহাড়ের মানুষ'।
গারোদের সংস্কৃতি ও জীবনধারা:
- মাতৃতান্ত্রিক সমাজ: গারো সমাজ মাতৃতান্ত্রিক। এখানে মায়ের বংশ পরিচয় মুখ্য এবং সম্পত্তির উত্তরাধিকারী সাধারণত কনিষ্ঠ কন্যা সন্তান।
- ভাষা: গারোরা 'আচিক' বা গারো ভাষায় কথা বলে, যা বোডো-গারো ভাষা গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত।
- ধর্ম: ঐতিহ্যগতভাবে গারোদের নিজস্ব ধর্ম ছিল, যার নাম 'সাংসারেক'। তবে বর্তমানে এদের বেশিরভাগই খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী। কিছু সংখ্যক সনাতন ধর্ম ও ইসলাম ধর্মও অনুসরণ করে।
- উৎসব: গারোদের প্রধান উৎসব হলো 'ওয়ানগালা'। এটি ফসল তোলার পর অনুষ্ঠিত হয় এবং তাদের প্রধান দেবতা 'মিসালজং'-কে উৎসর্গ করা হয়। এই উৎসবে নাচ, গান ও বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী আচার-অনুষ্ঠান পালিত হয়।
- পোশাক: গারোদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকের মধ্যে নারীরা 'দকমান্দা' (এক প্রকার লম্বা পোশাক) এবং পুরুষরা 'খাদি' পরিধান করে। বিভিন্ন ধরনের অলঙ্কারও তারা ব্যবহার করে।
- খাদ্য: ভাত তাদের প্রধান খাদ্য। এছাড়াও মাছ, মাংস, ডাল ও বিভিন্ন प्रकारের সবজি তারা খায়। শুঁটকি মাছ তাদের একটি প্রিয় খাবার।
- পেশা: গারোদের প্রধান পেশা কৃষি। তারা জুম চাষ এবং সমতল ভূমিতে ধান ও অন্যান্য ফসল উৎপাদন করে। অনেকে পশুপালন এবং বনজ সম্পদের উপরও নির্ভরশীল।
- নৃত্য ও সঙ্গীত: গারোদের সংস্কৃতিতে নৃত্য ও সঙ্গীতের গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে। তাদের বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ঐতিহ্যবাহী নৃত্য ও গান পরিবেশিত হয়। 'কু-দারে-সালা', 'কোরে-দোকা', 'ইঞ্জোকা' তাদের উল্লেখযোগ্য সঙ্গীত এবং 'আজেমা-রোয়া', 'চাম্বিল-মোয়া' তাদের জনপ্রিয় নৃত্যশৈলী।
গারোরা তাদের নিজস্ব ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধরে রেখেছে এবং বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
৩৯. দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক- বাংলা ব্যাকরণ অনুযায়ী কোন বিভক্তি?
[ বিসিএস ৪০তম ]
"দ্বারা", "দিয়া" এবং "কর্তৃক" - এই অনুসর্গগুলো বাংলা ব্যাকরণ অনুযায়ী তৃতীয়া বিভক্তি নির্দেশ করে।
তৃতীয়া বিভক্তি সাধারণত করণ কারকে ব্যবহৃত হয়। করণ কারক হলো সেই কর্তা যার সহায়তায় ক্রিয়া সম্পন্ন হয়। "দ্বারা", "দিয়া" এবং "কর্তৃক" এই অনুসর্গগুলো বাক্যে কোনো কাজ সম্পন্ন করার উপকরণ, সহায়ক বা পদ্ধতি বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণ:
- দ্বারা: সে কলম দ্বারা লেখে। (এখানে 'কলম' লেখার উপকরণ)
- দিয়া: শিকারী তীর দিয়া পাখি মারিল। (এখানে 'তীর' শিকারের সহায়ক)
- কর্তৃক: কাজটি শ্রমিকদের কর্তৃক সম্পন্ন হয়েছে। (এখানে 'শ্রমিকদের' কাজটি করার পদ্ধতি বা মাধ্যম)
৪০. ‘অভিরাম’ শব্দের অর্থ কী?
[ বিসিএস ৪০তম ]
‘অভিরাম’ শব্দের অর্থ সুন্দর।
অন্যান্য অপশনগুলোর অর্থ:
- বিরামহীন: যা থামে না বা বিরতিহীনভাবে চলে।
- বালিশ: শোয়ার সময় মাথা বা ঘাড়ের নিচে রাখার নরম বস্তু।
- চলন: চলার ভঙ্গি বা প্রক্রিয়া।
৪১. বাংলা কৃৎ -প্রত্যয় সাধিত শব্দ কোনটি?
[ বিসিএস ৪০তম ]
বাংলা কৃৎ -প্রত্যয় সাধিত শব্দ খেলনা।
কৃৎ-প্রত্যয় হলো ধাতুর (ক্রিয়া মূল) সঙ্গে যুক্ত হওয়া প্রত্যয়।
- খেলনা শব্দটি গঠিত হয়েছে √খেল্ (ধাতু) + না (কৃৎ-প্রত্যয়) যোগ করে।
অন্যান্য শব্দগুলোর বিশ্লেষণ:
- কারক: কৃ + অক (সংস্কৃত কৃৎ-প্রত্যয়)। এটি বাংলা কৃৎ-প্রত্যয় সাধিত শব্দ নয়।
- লিখিত: লিখ্ + ইত (সংস্কৃত কৃৎ-প্রত্যয়)। এটিও বাংলা কৃৎ-প্রত্যয় সাধিত শব্দ নয়।
- বেদনা: √বিদ্ + অন + আ (সংস্কৃত)। এটি কৃৎ-প্রত্যয় সাধিত শব্দ হলেও, বাংলা কৃৎ-প্রত্যয় নয়।
৪২. ‘গির্জা’ কোন ভাষার অন্তগর্ত শব্দ?
[ বিসিএস ৪০তম ]
‘গির্জা’ শব্দটি পর্তুগিজ ভাষার অন্তর্গত।
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত অনেক বিদেশি শব্দের মধ্যে পর্তুগিজ শব্দ উল্লেখযোগ্য। খ্রিস্টানদের উপাসনালয় বোঝাতে 'গির্জা' শব্দটি পর্তুগিজ 'igreja' থেকে এসেছে।
৪৩. ‘Attested’ -এর বাংলা পরিভাষা কোনটি?
[ বিসিএস ৪০তম ]
'Attested' শব্দের বাংলা পরিভাষা হলো সত্যায়িত, যার অর্থ হলো: যথাযথভাবে যাচাই ও স্বীকৃত।
৪৪. কোনটি শুদ্ধ বানান?
[ বিসিএস ৪০তম ]
শুদ্ধ বানান হলো প্রোজ্জ্বল।
এই বানানে দুটি 'জ্' এবং 'ব' এর পরে একটি 'ল' যুক্ত হয়।
৪৫. ‘জোছনা’ কোন শ্রেণীর শব্দ ?
[ বিসিএস ৪০তম ]
‘জোছনা’ শব্দটি অর্ধ-তৎসম শ্রেণীর শব্দ।
অর্ধ-তৎসম শব্দ হলো সেইসব সংস্কৃত শব্দ যা কিছুটা পরিবর্তিত রূপে বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত হয়। ‘জোছনা’ মূল সংস্কৃত শব্দ ‘জ্যোৎস্না’ থেকে পরিবর্তিত হয়ে ‘জোছনা’ রূপে প্রচলিত হয়েছে।
অন্যান্য শ্রেণীর শব্দ সম্পর্কে ধারণা:
- যৌগিক শব্দ: একাধিক স্বাধীন অর্থবোধক শব্দ মিলিত হয়ে যে নতুন শব্দ তৈরি হয়। যেমন: জল+যান = জলযান।
- তৎসম শব্দ: যে সকল সংস্কৃত শব্দ অপরিবর্তিত রূপে বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত হয়। যেমন: চন্দ্র, সূর্য, নক্ষত্র।
- দেশী শব্দ: বাংলাদেশের আদিবাসী বা স্থানীয় ভাষা থেকে আগত শব্দ। যেমন: কুলা, গামছা, ঢেঁকি।
৪৬. ‘জিজীবিষা’ শব্দটি দিয়ে বোঝায়-
[ বিসিএস ৪০তম ]
‘জিজীবিষা’ শব্দটি দিয়ে বেঁচে থাকার ইচ্ছা বোঝায়।
এটি একটি এক কথায় প্রকাশ যা দীর্ঘকাল ধরে বেঁচে থাকার প্রবল আকাঙ্ক্ষাকে নির্দেশ করে।
৪৭. ‘সর্বাঙ্গীণ’ শব্দের সঠিক প্রকৃতি -প্রত্যয়-
[ বিসিএস ৪০তম ]
‘সর্বাঙ্গীণ’ শব্দের সঠিক প্রকৃতি -প্রত্যয় হলো সর্বাঙ্গ + ঈন।
এখানে, 'সর্বাঙ্গ' একটি নামপদ এবং 'ঈন' হলো তদ্ধিত প্রত্যয়। তদ্ধিত প্রত্যয় নামপদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে। 'ঈন' প্রত্যয় যুক্ত হয়ে 'সম্বন্ধযুক্ত' বা 'সম্পূর্ণ' অর্থে নতুন শব্দ তৈরি করে। 'সর্বাঙ্গীণ' অর্থ হলো সর্ব অঙ্গের বা সম্পূর্ণ দেহের।
৪৮. অন্যের রচনা থেকে চুরি করাকে বলা হয়-
[ বিসিএস ৪০তম ]
অন্যের রচনা থেকে চুরি করাকে বলা হয় কুম্ভিলকবৃত্তি।
'কুম্ভিলক' শব্দের অর্থ হলো চোর বা অপহরণকারী। 'কুম্ভিলকবৃত্তি' বলতে সাহিত্য বা অন্য কোনো ক্ষেত্রে চৌর্যবৃত্তিকে বোঝানো হয়।
৪৯. ‘ঊর্ণনাভ’ শব্দটি দিয়ে বোঝায়-
[ বিসিএস ৪০তম ]
‘ঊর্ণনাভ’ শব্দটি দিয়ে মাকড়সা বোঝায়।
সংস্কৃত শব্দ 'ঊর্ণনাভ' মাকড়সার প্রতিশব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
৫০. বাংলা আধুনিক উপন্যাস-এর প্রবর্তক ছিলেন-
[ বিসিএস ৪০তম ]
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে বাংলা আধুনিক উপন্যাসের প্রবর্তক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনি ঊনবিংশ শতাব্দীর একজন বিশিষ্ট বাঙালি ঔপন্যাসিক এবং বাংলা গদ্য ও উপন্যাসের বিকাশে তার অসামান্য অবদান রয়েছে। তার হাত ধরেই বাংলা উপন্যাস একটি সুস্পষ্ট আধুনিক রূপ লাভ করে।
বঙ্কিমচন্দ্রের পূর্বে প্যারীচাঁদ মিত্রের 'আলালের ঘরের দুলাল' (১৮৫৮) উপন্যাস প্রকাশিত হলেও, বঙ্কিমচন্দ্রের 'দুর্গেশনন্দিনী' (১৮৬৫) উপন্যাসটিকে বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক আধুনিক উপন্যাস হিসেবে ধরা হয়। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বাংলা উপন্যাসকে একটি নতুন সাহিত্যিক মানে উন্নীত করেন এবং পরবর্তী প্রজন্মের ঔপন্যাসিকদের জন্য পথ খুলে দেন।
৫১. কিন্তু আরম্ভের পূর্বেও আরম্ভ আছে। সন্ধ্যা বেলায় দ্বীপ জ্বালার আগে সকাল বেলায় সলতে পাকানো – বাক্যদ্বয় কোন রচনা থেকে উদ্ধৃত?
[ বিসিএস ৪০তম ]
এই বিখ্যাত বাক্য দুটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "যোগাযোগ" উপন্যাস থেকে উদ্ধৃত।
উপন্যাসটির প্রথম পরিচ্ছেদের শুরুতেই এই কথাগুলো রয়েছে। বাক্য দুটি দ্বারা লেখক উপন্যাসের মূল বিষয়বস্তু এবং কুমুদিনীর জীবনের জটিল আবর্তের ইঙ্গিত দিয়েছেন। বাইরের ঘটনার শুরু হওয়ার আগেও ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতি চলতে থাকে, তেমনই কুমুদিনীর জীবনেও অনেক ঘটনা ঘটার পূর্বে তার মানসিক প্রস্তুতি এবং অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব বিদ্যমান ছিল।
৫২. মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক উপন্যাস কোনটি?
[ বিসিএস ৪০তম ]
মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক উপন্যাস হলো একটি কালো মেয়ের কথা।
এই উপন্যাসটি মুক্তিযুদ্ধের সময় একজন বীরাঙ্গনার জীবন ও আত্মত্যাগের কাহিনী নিয়ে লেখা।
অন্যান্য উপন্যাসগুলোর বিষয়বস্তু ভিন্ন:
- তেইশ নম্বর তৈলচিত্র: আলাউদ্দিন আল আজাদ রচিত এই উপন্যাসটি ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে লেখা।
- আয়নামতির পালা: এটি মাদার বখশ রচিত একটি সামাজিক উপন্যাস।
- ইছামতী: বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত একটি প্রকৃতি ও জীবনভিত্তিক উপন্যাস।
৫৩. ‘কালো বরফ’ উপন্যাস বিষয়:
[ বিসিএস ৪০তম ]
‘কালো বরফ’ উপন্যাসটি দেশভাগের পটভূমিতে রচিত। এই উপন্যাসের মূল বিষয় হলো দেশভাগের কারণে একটি মানুষের জীবনে যে স্মৃতিকাতরতা, বিচ্ছিন্নতা ও শিকড় হারানোর বেদনা তৈরি হয়, তারই আখ্যান।
উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র আবদুল খালেক, যার শৈশবের নাম ছিল পোকা। দেশভাগের সময় সে পূর্ব বাংলা থেকে পশ্চিমবঙ্গে চলে আসে। উপন্যাসে খালেকের বর্তমান জীবনের একাকিত্ব, দাম্পত্য কলহ এবং তার শৈশবের স্মৃতিচারণা সমান্তরালভাবে চলে।
'কালো বরফ'-এ সরাসরি দেশভাগের রাজনৈতিক বা ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তেমনভাবে উঠে আসেনি। বরং, দেশভাগের ব্যক্তিগত ও মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব এবং একজন মানুষের ভেতরের ভাঙন এই উপন্যাসের প্রধান বিষয়। শৈশবের রঙিন স্মৃতি আর বর্তমানের বিষণ্ণতার মধ্যে এক ধরনের বৈপরীত্য তৈরি করা হয়েছে, যা দেশভাগের ক্ষতকে আরও প্রকট করে তোলে।
৫৪. ‘ঢাকা প্রকাশ’ সাপ্তাহিক পত্রিকাটির সম্পাদক কে?
[ বিসিএস ৪০তম ]
ঢাকা প্রকাশ ছিল ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রথম বাংলা সংবাদপত্র। এটি একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
এর প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছিল ১৮৬১ সালের ৭ই মার্চ (বাংলা তারিখ ২৫শে ফাল্গুন, ১২৬৭)।
পত্রিকাটি ঢাকার বাবুবাজারের 'বাঙ্গালা যন্ত্র' নামক ছাপাখানা থেকে প্রকাশিত হতো। এর প্রথম সম্পাদক ছিলেন কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার।
৫৫. ‘জীবনস্মৃতি’ কার রচনা?
[ বিসিএস ৪০তম ]
‘জীবনস্মৃতি’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর রচনা।
এটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ।
৫৬. দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীলদর্পণ’ নাটকটি ইংরেজিতে অনুবাদ করেন কে?
[ বিসিএস ৪০তম ]
দীনবন্ধু মিত্রের বিখ্যাত নাটক ‘নীলদর্পণ’ ইংরেজিতে অনুবাদ করেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত। তবে, এই কাজটি তিনি "A Native" ছদ্মনামে করেছিলেন এবং এর প্রকাশক ছিলেন রেভারেন্ড জেমস লং।
এই নাটকটি নীলকর সাহেবদের অত্যাচারের চিত্র তুলে ধরে এবং এর ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশের ফলে ইউরোপেও এই বিষয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এর জন্য রেভারেন্ড জেমস লং-কে কারাবরণও করতে হয়েছিল।
এই চরণ দুটির রচয়িতা হলেন মদনমোহন তর্কালঙ্কার।
এই কবিতাটি তার বিখ্যাত "প্রভাত চিন্তা" নামক কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। শিশুদের নীতিবোধ ও আদর্শ গঠনের লক্ষ্যে তিনি এই কবিতাটি রচনা করেন, যা আজও অত্যন্ত জনপ্রিয়।
৫৮. চর্যাপদে কোন ধর্মমতের কথা আছে?
[ বিসিএস ৪০তম ]
চর্যাপদে মূলত বৌদ্ধ সহজিয়া ধর্মমতের কথা আছে।
চর্যাপদের পদকর্তারা ছিলেন সহজিয়া বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্য। এই গানেগুলির মাধ্যমে তাঁরা বৌদ্ধ ধর্মের গূঢ় সাধনপ্রণালী এবং দার্শনিক তত্ত্ব রূপকের আশ্রয়ে প্রকাশ করেছেন। সহজিয়া বৌদ্ধধর্ম, বৌদ্ধ ধর্মেরই একটি শাখা যা আচার-অনুষ্ঠান ও কঠোর তপস্যার পরিবর্তে সহজ পথে নির্বাণ লাভের কথা বলে।
চর্যাপদে যে ধর্মীয় ধারণাগুলি পাওয়া যায় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
- শূন্যতা: জগতের সবকিছুই শূন্য বা ফাঁকা, এর কোনো স্থায়ী সত্তা নেই।
- করুণা: সকল জীবের প্রতি সহানুভূতি ও দয়ার ভাব।
- বোধিচিত্ত: সর্ব জীবের মুক্তির জন্য জ্ঞান লাভের ঐকান্তিক ইচ্ছা।
- সহজ পথ: রাগ, দ্বেষ, মোহ ইত্যাদি রিপুকে দমন করে স্বাভাবিক ও सहज জীবনযাপনের মাধ্যমে মুক্তি লাভ।
- কায়াসাধনা: দেহকে কেন্দ্র করে আধ্যাত্মিক সাধনা।
সুতরাং, চর্যাপদের মূল ধর্মীয় ভিত্তি হলো বৌদ্ধ সহজিয়া মতবাদ।
৫৯. শরতের শিশির বাগধারার অর্থ কী?
[ বিসিএস ৪০তম ]
শরতের শিশির বাগধারার অর্থ হলো সুসময়ের বন্ধু।
শরতের শিশির যেমন ক্ষণস্থায়ী এবং সকালের রোদে মিলিয়ে যায়, তেমনি সুসময়ের বন্ধুরা স্বার্থের কারণে কাছে আসে এবং খারাপ সময়ে দূরে চলে যায়। তাই এই বাগধারাটি সেইসব বন্ধুদের বোঝাতে ব্যবহৃত হয় যারা শুধু ভালো সময়েই পাশে থাকে।
৬০. শিব রাত্রির সলতে – বাগধারাটির অর্থ কী?
[ বিসিএস ৪০তম ]
'শিব রাত্রির সলতে' বলতে বুঝায়- পিতা মাতার এক মাত্র জীবিত সন্তান , এক মাত্র সন্তান, এক মাত্র অবলম্বন, একমাত্র বংশধর।
৬১. 'প্রোষিতভর্তৃকা'- শব্দটির অর্থ কী?
[ বিসিএস ৪০তম ]
'প্রোষিতভর্তৃকা'- শব্দটির অর্থ হলো যে নারীর স্বামী বিদেশে অবস্থান করে।
সংস্কৃত ভাষায় 'প্রোষিত' মানে প্রবাসী বা বিদেশে অবস্থানকারী এবং 'ভর্তৃকা' মানে স্ত্রী বা পত্নী। সুতরাং, 'প্রোষিতভর্তৃকা' সেই নারীকে বোঝায় যার স্বামী জীবিকা বা অন্য কোনো কারণে বিদেশে থাকেন।
৬২. উল্লিখিতদের মধ্যে কে প্রাচীন যুগের কবি নন?
[ বিসিএস ৪০তম ]
উল্লিখিতদের মধ্যে রমনীপাদ প্রাচীন যুগের কবি নন।
কাহুপাদ, লুইপাদ এবং শান্তিপাদ—এই তিনজনই চর্যাপদের গুরুত্বপূর্ণ কবি এবং প্রাচীন যুগের অন্তর্ভুক্ত। রমনীপাদ সম্ভবত পরবর্তীকালের কোনো কবি বা পদকর্তা। চর্যাপদের সিদ্ধাচার্যদের মধ্যে তার নাম পাওয়া যায় না।
৬৩. উল্লিখিত কোন রচনাটি পুঁথি সাহিত্যের অন্তর্গত নয়?
[ বিসিএস ৪০তম ]
উল্লিখিত রচনাগুলোর মধ্যে ময়মনসিংহ গীতিকা পুঁথি সাহিত্যের অন্তর্গত নয়।
ময়মনসিংহ গীতিকা লোকসাহিত্যের একটি অমূল্য সম্পদ। এটি উনিশ শতকের শেষভাগ থেকে বিশ শতকের প্রথমার্ধ পর্যন্ত পূর্ব ময়মনসিংহ অঞ্চলে প্রচলিত লোকগাথাগুলোকে সংগ্রহ করে সংকলিত হয়েছে। এর ভাষা ও আঙ্গিক পুঁথি সাহিত্যের থেকে ভিন্ন।
অন্যদিকে, ইউসুফ জুলেখা, পদ্মাবতী, এবং লাইলী মজনু মধ্যযুগের জনপ্রিয় প্রণয়োপাখ্যান এবং এগুলো মূলত পুঁথি সাহিত্যের অন্তর্ভুক্ত। এসকল কাহিনী দীর্ঘ কবিতা আকারে রচিত এবং জনসাধারণের মধ্যে পাঠ ও শ্রবণের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল।
৬৪. জীবনীকাব্য রচনার জন্য বিখ্যাত:
[ বিসিএস ৪০তম ]
জীবনীকাব্য রচনার জন্য বিখ্যাত হলেন বৃন্দাবন দাস।
বৃন্দাবন দাস চৈতন্য মহাপ্রভুর জীবনী অবলম্বনে বিখ্যাত গ্রন্থ "চৈতন্যভাগবত" রচনা করেন। এটি বাংলা সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ জীবনীকাব্য।
অন্যান্য লেখকদের উল্লেখযোগ্য কাজ:
- ফকির গরীবুল্লাহ: তিনি পুঁথি সাহিত্যের একজন গুরুত্বপূর্ণ কবি এবং তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনা হলো "আমির হামজা"।
- নরহরি চক্রবর্তী: তিনি বৈষ্ণব পদাবলী ও জীবনী সাহিত্য রচনা করেছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ "ভক্তিরত্নাকর"।
- বিপ্রদাস পিপিলাই: তিনি মনসামঙ্গল কাব্যের একজন গুরুত্বপূর্ণ কবি।
৬৫. বৈষ্ণব পদাবলীর সঙ্গে কোন ভাষা সম্পর্কিত?
[ বিসিএস ৪০তম ]
বৈষ্ণব পদাবলীর সঙ্গে ব্রজবুলি ভাষা সম্পর্কিত।
ব্রজবুলি হলো এক প্রকার কৃত্রিম সাহিত্যিক ভাষা। এটি মূলত মৈথিলী ভাষার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে এবং এতে বাংলা, ওড়িয়া এবং অন্যান্য ভারতীয় ভাষার কিছু শব্দ ও ব্যাকরণগত প্রভাব রয়েছে। বৈষ্ণব পদাবলীর কবি যেমন বিদ্যাপতি, গোবিন্দদাস কবিরাজ প্রমুখ এই ভাষাতেই তাদের পদ রচনা করেছেন। এই ভাষার মাধুর্য ও সঙ্গীতময়তা পদাবলী সাহিত্যকে বিশেষভাবে সমৃদ্ধ করেছে।
৬৬. জসীম উদ্দীনের রচনা কোনটি?
[ বিসিএস ৪০তম ]
জসীম উদ্দীনের রচনা হলো যাদের দেখেছি।
'যাদের দেখেছি' জসীম উদ্দীনের একটি বিখ্যাত স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ। এখানে তিনি তার দীর্ঘ জীবনে দেখা বিভিন্ন আকর্ষণীয় ও গ্রামীণ মানুষের কথা তুলে ধরেছেন।
অন্যান্য গ্রন্থগুলো ভিন্ন লেখকের:
- পথে-প্রবাসে: বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায় রচিত একটি ভ্রমণকাহিনী।
- কাল নিরবধি: আবু জাফর শামসুদ্দীন রচিত একটি উপন্যাস।
- ভবিষ্যতের বাঙালি: এস ওয়াজেদ আলী রচিত একটি প্রবন্ধ সংকলন।
৬৭. ‘কিন্তু মানুষ্য কখনো পাষাণ হয় না’- উক্তিটি কোন উপন্যাসের?
[ বিসিএস ৪০তম ]
এই উক্তিটি বঙ্কিমচন্দ্রের ‘রাজসিংহ’ উপন্যাসের।
‘রাজসিংহ’ উপন্যাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র এই উক্তিটি করেছে, যা মানুষের পরিবর্তনশীল হৃদয় এবং সময়ের সাথে সাথে তাদের মধ্যে সহানুভূতি ও মানবিকতার উন্মেষের সম্ভাবনাকে তুলে ধরে।
৬৮. ইয়ংবেঙ্গল গোষ্ঠীভুক্ত ছিলেন কে?
[ বিসিএস ৪০তম ]
ইয়ংবেঙ্গল গোষ্ঠীভুক্ত ছিলেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
মাইকেল মধুসূদন দত্ত ছিলেন ইয়ংবেঙ্গল আন্দোলনের একজন সক্রিয় সদস্য। এই গোষ্ঠী উনিশ শতকের বাংলায় সমাজ সংস্কার, প্রগতিশীল চিন্তা ও সাহিত্যচর্চার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও ছিলেন এই দলের প্রধান অনুপ্রেরণাদাতা।
ইয়ংবেঙ্গল গোষ্ঠীভুক্ত কয়েকজনের নাম নিচে দেওয়া হলো:
- কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়
- প্যারিচাঁদ মিত্র
- রামগোপাল ঘোষ
- দক্ষিণারঞ্জন মুখোপাধ্যায়
- রাধানাথ শিকদার
- রসীকৃষ্ণ মল্লিক
- হরচন্দ্র ঘোষ
- শিবচন্দ্র দেব
- রামতনু লাহিড়ী
৬৯. ‘আগুনপাখি ‘ উপন্যাসের রচয়িতা কে?
[ বিসিএস ৪০তম ]
‘আগুনপাখি’ উপন্যাসের রচয়িতা হলেন হাসান আজিজুল হক।
এটি হাসান আজিজুল হকের একটি বিখ্যাত উপন্যাস যা দেশভাগের প্রেক্ষাপটে রচিত।
৭০. ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ বিখ্যাত গানটির সুরকার কে?
[ বিসিএস ৪০তম ]
‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ বিখ্যাত গানটির সুরকার হলেন আলতাফ মাহমুদ।
তবে, গানটির প্রথম সুরকার ছিলেন আব্দুল লতিফ। পরবর্তীতে আলতাফ মাহমুদ এই গানটির নতুন করে সুরারোপ করেন যা বর্তমানে সবচেয়ে বেশি পরিচিত ও গাওয়া হয়।
৭১. বাক্যের ক্রিয়ার সাথে অন্যান্য পদের যে সম্পর্ক তাকে কী বলে?
[ বিসিএস ৪০তম ]
বাক্যের ক্রিয়ার সাথে অন্যান্য পদের যে সম্পর্ক তাকে কারক বলে।
কারক শব্দের অর্থ হলো "যা ক্রিয়া সম্পাদন করে"। ব্যাকরণে, কারক হলো বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের সাথে ক্রিয়াপদের সম্পর্ক। এই সম্পর্কের মাধ্যমেই কর্তা, কর্ম, করণ, অপাদান, সম্প্রদান ও অধিকরণ ইত্যাদি ভেদ নির্ণয় করা যায়।
৭২. কোন শব্দযুগল বিপরীতার্থক নয়?
[ বিসিএস ৪০তম ]
ঐচ্চিক – অনাবশ্যিক শব্দযুগল বিপরীতার্থক নয়।
'ঐচ্চিক' শব্দের অর্থ হলো যা ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল বা যা না করলেও চলে। 'অনাবশ্যিক' শব্দের অর্থও তাই, যা প্রয়োজন নেই বা না করলেও চলে। সুতরাং, এই শব্দযুগল সমার্থক, বিপরীতার্থক নয়।
অন্যদিকে:
- কুটিল – সরল: কুটিল অর্থ বাঁকা বা জটিল, সরল অর্থ সোজা বা সহজ।
- কম – বেশি: এরা পরস্পর বিপরীতার্থক।
- কদাচার – সদাচার: কদাচার অর্থ খারাপ আচরণ, সদাচার অর্থ ভালো আচরণ।
৭৩. তথ্য পাওয়া মানুষের কী ধরনের অধিকার?
[ বিসিএস ৪০তম ]
তথ্য পাওয়া মানুষের একটি মৌলিক অধিকার।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে চিন্তা, বিবেক ও বাক-স্বাধীনতাকে নাগরিকের অন্যতম মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে এবং তথ্য পাওয়ার অধিকারকে এই চিন্তা, বিবেক ও বাক-স্বাধীনতার অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এছাড়াও, বাংলাদেশে তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ প্রণয়ন করা হয়েছে, যা জনগণের তথ্য জানার অধিকারকে আইনি সুরক্ষা দিয়েছে। এই আইনের অধীনে, প্রত্যেক নাগরিকের সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং সরকারি বা বিদেশি অর্থে পরিচালিত বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে তথ্য জানার অধিকার রয়েছে এবং সংস্থাগুলো সেই তথ্য সরবরাহ করতে বাধ্য।
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনও একাধিকবার তথ্য পাওয়াকে মানুষের মৌলিক অধিকার হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
৭৪. বাংলাদেশে ‘নব-নৈতিকতা’র প্রবর্তক হলেন-
[ বিসিএস ৪০তম ]
বাংলাদেশে ‘নব-নৈতিকতা’র প্রবর্তক হিসেবে ডক্টর গোবিন্দ চন্দ্র দেব (জি.সি. দেব)-কে বিবেচনা করা হয়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন।
অধ্যাপক জি.সি. দেব ঐতিহ্যবাহী নৈতিক ধারণার পরিবর্তে বিজ্ঞানভিত্তিক এবং মানবতাবাদী একটি নতুন নৈতিক framework প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে যুক্তি, বিজ্ঞান এবং মানুষের কল্যাণের উপর ভিত্তি করে একটি আধুনিক নৈতিকতা গড়ে তোলা প্রয়োজন।
তবে, কেউ কেউ আরজ আলী মাতুব্বরকেও এই ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন বলে মনে করেন, যিনি ধর্মীয় গোঁড়ামি ও কুসংস্কারমুক্ত একটি যুক্তিবাদী নৈতিকতার কথা বলেছিলেন।
সুতরাং, প্রশ্নে যদি নির্দিষ্ট কোনো একজনের নাম উল্লেখ করতে হয়, সেক্ষেত্রে ডক্টর গোবিন্দ চন্দ্র দেব নামটিই সাধারণত প্রথম আসে।
৭৫. আমরা যে সমাজেই বসবাস করি না কেন, আমরা সকলেই ভালো নাগরিক হওয়ার প্রত্যাশা করি। এটি –
[ বিসিএস ৪০তম ]
বাক্যটি নাগরিক হিসেবে আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রে দায়িত্বশীল আচরণ, নৈতিকতা এবং সামাজিক নিয়ম মেনে চলার গুরুত্ব প্রকাশ করে। এটি রাজনৈতিক ও সামাজিক অনুশাসন এর ধারণার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
রাজনৈতিক অনুশাসন মানে: নাগরিক হিসেবে দায়িত্ব ও অধিকার সম্পর্কে সচেতন থাকা। সামাজিক অনুশাসন মানে: সমাজের গৃহীত নীতি, মূল্যবোধ ও নিয়ম মেনে চলা।
৭৬. সভ্য সমাজের মানদণ্ড হলো –
[ বিসিএস ৪০তম ]
সভ্য সমাজের মানদণ্ড হলো আইনের শাসন।
আইনের শাসন একটি সভ্য সমাজের অন্যতম প্রধান মানদণ্ড। এর অর্থ হলো রাষ্ট্রের সকল নাগরিক এবং প্রতিষ্ঠান আইনের ঊর্ধ্বে নয় এবং সকলেই আইনের কাছে সমান। একটি সভ্য সমাজে আইনের নিরপেক্ষ প্রয়োগ, ন্যায়বিচার এবং মানবাধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়, যা আইনের শাসনের মাধ্যমেই সম্ভব।
অন্যান্য বিকল্পগুলোও গুরুত্বপূর্ণ হলেও, আইনের শাসন হলো সেই ভিত্তি যার উপর একটি স্থিতিশীল ও ন্যায়সঙ্গত সমাজ গড়ে ওঠে:
- গণতন্ত্র: জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালিত হলেও, আইনের শাসনের অনুপস্থিতিতে গণতন্ত্র স্বেচ্ছাচারিতায় পর্যবসিত হতে পারে।
- বিচার ব্যবস্থা: একটি নিরপেক্ষ ও স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা আইনের শাসনের অপরিহার্য অংশ, তবে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সভ্য সমাজের মানদণ্ড নয় যদি না আইনের শাসন বিদ্যমান থাকে।
- সংবিধান: সংবিধান হলো রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন, তবে এর যথাযথ প্রয়োগ এবং সকলের সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ আইনের শাসনের মাধ্যমেই নিশ্চিত হয়।
৭৭. ‘বিপরীত বৈষম্য’ এর নীতিটি প্রয়োগ করা হয়-
[ বিসিএস ৪০তম ]
- মানুষের মধ্যে নানা বৈশিষ্ট্যগত বিচারে বৈষম্য নির্ণয় করা হয়।
- এ বৈষম্যের কয়েকটি মৌলিক দিক রয়েছে।
- যেমন- নরগোষ্ঠীগত, লিঙ্গগত, আর্থ সামাজিক, ধর্মীয়।
- এখানে মূলত বৈষম্যের শিকার হয়ে থাকে নিম্নবর্ণের মানুষ, নারী জাতি, আর্থ-সামাজিকভাবে দুর্বল জাতিগোষ্ঠী এবং অপ্রধান ধর্ম পালনকারীরা।
- কিন্তু বিপরীত বৈষম্য মূলত বৈষম্যের উল্টা ধারণা, যেখানে সংখ্যাগুরুরা, সংখ্যালঘুদের দ্বারা বৈষম্যের শিকার হয়ে থাকে।
- এর প্রশাখায় পুরুষরা নারীদের দ্বারা, শ্বেতাঙ্গরা কৃষ্ণাঙ্গদের দ্বারা, উচ্চবর্ণ নিম্নবর্ণের দ্বারা এবং সাধারণ মানুষ কোটাধারীদের দ্বারা বিপরীত বৈষম্যের শিকার হয়।
৭৮. মূল্যবোধের চালিকা শক্তি হলো-
[ বিসিএস ৪০তম ]
মূল্যবোধের চালিকা শক্তি হলো সংস্কৃতি।
সংস্কৃতি হলো একটি সমাজের দীর্ঘদিনের লালিত বিশ্বাস, রীতিনীতি, আচার-আচরণ, জ্ঞান, শিল্পকলা এবং জীবনযাত্রার সামগ্রিক রূপ। মূল্যবোধগুলো এই সংস্কৃতির মধ্য দিয়েই প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সঞ্চারিত হয় এবং সমাজের সদস্যদের আচরণ ও দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রভাবিত করে।
অন্যান্য বিকল্পগুলোও গুরুত্বপূর্ণ হলেও, সংস্কৃতির ভূমিকাই এখানে মুখ্য:
- উন্নয়ন: উন্নয়ন একটি সমাজের অগ্রগতি নির্দেশ করে, তবে এটি মূল্যবোধের সৃষ্টি বা প্রধান চালিকা শক্তি নয়। বরং, উন্নয়নের লক্ষ্য ও পদ্ধতি মূল্যবোধ দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে।
- গণতন্ত্র: গণতন্ত্র একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা, যা কিছু মূল্যবোধের (যেমন - স্বাধীনতা, সাম্য) উপর ভিত্তি করে গঠিত হলেও, সকল মূল্যবোধের চালিকা শক্তি নয়।
- সুশাসন: সুশাসন একটি আদর্শ প্রশাসনিক ব্যবস্থা, যা ন্যায়বিচার, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে। এটি সমাজে কিছু ইতিবাচক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হলেও, মূল্যবোধের মূল উৎস সংস্কৃতি।
৭৯. অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে-
[ বিসিএস ৪০তম ]
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায়।
- বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায়: যখন একটি দেশে অর্থনৈতিক সুশাসন থাকে, তখন বিনিয়োগকারীরা আস্থা পান। স্বচ্ছ নীতি, আইনের সঠিক প্রয়োগ, এবং কম আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বিনিয়োগের ঝুঁকি কমায় এবং মুনাফার সম্ভাবনা বাড়ায়। এর ফলে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় ধরনের বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায়।
৮০. মূল্যবোধ হলো –
[ বিসিএস ৪০তম ]
মূল্যবোধ হলো সেইসব নীতি, আদর্শ বা বিশ্বাস যা একটি ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা সমাজ গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান বলে মনে করে এবং যা তাদের আচরণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে পথনির্দেশক হিসেবে কাজ করে।
সহজভাবে বলতে গেলে, মূল্যবোধ হলো আমাদের কাঙ্ক্ষিত গুণাবলী এবং আমরা জীবনে কী prioritize করি তার একটি প্রতিফলন। এটি ভালো-মন্দ, উচিত-অনুচিত, ন্যায়-অন্যায়ের ধারণা তৈরি করে এবং আমাদের ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনকে প্রভাবিত করে।
কিছু উদাহরণ:
- ব্যক্তিগত মূল্যবোধ: সততা, ন্যায়পরায়ণতা, সহমর্মিতা, পরিশ্রম, সৃজনশীলতা, স্বাধীনতা।
- সামাজিক মূল্যবোধ: সাম্য, ন্যায়বিচার, সহযোগিতা, সহনশীলতা, দেশপ্রেম, ঐতিহ্য।
মূল্যবোধ স্থান, কাল ও সংস্কৃতিভেদে ভিন্ন হতে পারে, তবে কিছু মৌলিক মূল্যবোধ বিশ্বজনীনভাবে স্বীকৃত।
৮১. জাতিসংঘের অভিমত অনুসারে, সুশাসনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো –
[ বিসিএস ৪০তম ]
জাতিসংঘের অভিমত অনুসারে, সুশাসনের প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো একটি স্থিতিশীল, ন্যায়সঙ্গত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে সকল নাগরিকের মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে।
জাতিসংঘ সুশাসনের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য ও উদ্দেশ্যের উপর জোর দেয়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
- অংশগ্রহণ (Participation): নীতি নির্ধারণ ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সকল স্তরের নাগরিক সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
- আইনের শাসন (Rule of Law): আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয় এবং সকলের জন্য আইনের সমান প্রয়োগ নিশ্চিত করা।
- স্বচ্ছতা (Transparency): সরকারি সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও নীতি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া জনগণের কাছে উন্মুক্ত ও সহজবোধ্য রাখা।
- জবাবদিহিতা (Accountability): সরকারি প্রতিষ্ঠান ও কর্মকর্তাদের তাদের কর্মকাণ্ড এবং সিদ্ধান্তের জন্য জনগণের কাছে দায়বদ্ধ রাখা।
- কার্যকরিতা ও দক্ষতা (Effectiveness and Efficiency): সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার এবং জনগণের চাহিদা অনুযায়ী সেবা প্রদান নিশ্চিত করা।
- সমতা ও অন্তর্ভুক্তিতা (Equity and Inclusiveness): সমাজের সকল সদস্যের, বিশেষ করে দুর্বল ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ ও সুযোগ নিশ্চিত করা।
- প্রতিক্রিয়াশীলতা (Responsiveness): জনগণের চাহিদা ও প্রত্যাশার প্রতি সংবেদনশীল থাকা এবং সে অনুযায়ী নীতি ও কর্মসূচি প্রণয়ন করা।
- ঐকমত্য (Consensus Orientation): বিভিন্ন স্বার্থগোষ্ঠীর মধ্যে আলোচনা ও বোঝাপড়ার মাধ্যমে সমাজের বৃহত্তর স্বার্থে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা।
৮২. সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নাগরিকের কর্তব্য হলো –
[ বিসিএস ৪০তম ]
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নাগরিকের একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য হলো নিয়মিত কর প্রদান করা।
নিয়মিত কর প্রদানের মাধ্যমে নাগরিকরা রাষ্ট্রকে জনকল্যাণমূলক কাজ এবং সরকারি পরিষেবাগুলো পরিচালনা করার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। এটি একটি দায়িত্বশীল নাগরিকের কর্তব্য এবং সুশাসনের অন্যতম ভিত্তি।
যদিও অন্যান্য বিকল্পগুলোও গুরুত্বপূর্ণ, তবে নিয়মিত কর প্রদান সরাসরি রাষ্ট্রের আর্থিক সক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে, যা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং অন্যান্য সরকারি কার্যক্রমের মাধ্যমে সুশাসনকে শক্তিশালী করে।
আসুন অন্য বিকল্পগুলো বিবেচনা করি:
- কঃ সরকার পরিচালনায় সাহায্য করা: এটি একটি ব্যাপক ধারণা। নাগরিকরা বিভিন্নভাবে সরকার পরিচালনায় সাহায্য করতে পারে, যেমন - মতামত প্রদান, নীতি নির্ধারণে অংশগ্রহণ, তবে নিয়মিত কর প্রদান একটি সুনির্দিষ্ট ও অপরিহার্য কর্তব্য।
- খঃ নিজের অধিকার ভোগ করা: অধিকার ভোগ করা গুরুত্বপূর্ণ, তবে একইসাথে অন্যের অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া এবং রাষ্ট্রের প্রতি কর্তব্য পালন করাও জরুরি। শুধু অধিকার ভোগ করা সুশাসন প্রতিষ্ঠায় যথেষ্ট নয়।
- গঃ সৎভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করা: সৎভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করা অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক এবং পরোক্ষভাবে সুশাসনে অবদান রাখে, তবে নিয়মিত কর প্রদান সরাসরি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে অর্থ যোগ করে।
সুতরাং, সবচেয়ে উপযুক্ত উত্তর হলো ঘঃ নিয়মিত কর প্রদান করা।
জাতিসংঘ ১৯৪৮ সালের ১০ই ডিসেম্বর মানবাধিকার সংক্রান্ত বৈশ্বিক ঘোষণার ঐতিহাসিক নথিটি গ্রহণ করে। এই দিনটিকে মানবাধিকার দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামী সম্মেলন সংস্থা (OIC)-এর দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
এই সম্মেলনটি ১৯৭৪ সালের ২২ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই সম্মেলনের মাধ্যমেই বাংলাদেশ ৩২তম দেশ হিসেবে OIC-এর সদস্যপদ লাভ করে।
৮৫. পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের কোন অংশে ভারত সম্প্রতি (ফেব্রুয়ারি, ২০১৯) সামরিক বিমান হামলা পরিচালনা করে?
[ বিসিএস ৪০তম ]
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে, ভারতীয় বিমান বাহিনী পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বালাকোট এলাকায় একটি বিমান হামলা পরিচালনা করে। এই হামলার লক্ষ্য ছিল জইশ-ই-মোহাম্মদ (JeM) সন্ত্রাসী সংগঠনের একটি প্রশিক্ষণ শিবির, যা পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বালাকোট শহরের জাবা (Jaba) নামক স্থানে অবস্থিত ছিল।
এই হামলা ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে পুলওয়ামায় ভারতীয় আধাসামরিক বাহিনীর ওপর JeM-এর আত্মঘাতী হামলার প্রতিশোধ হিসেবে চালানো হয়, যেখানে ৪০ জন সিআরপিএফ সদস্য নিহত হন।
ভারতীয় কর্তৃপক্ষ দাবি করে যে, এই বিমান হামলায় অনেক সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে এবং JeM-এর বড় প্রশিক্ষণ শিবির ধ্বংস হয়েছে। তবে পাকিস্তান এই দাবি অস্বীকার করে এবং জানায় যে, ভারতীয় বিমান বাহিনী তাদের সীমান্ত লঙ্ঘন করে বালাকোটের একটি নির্জন পাহাড়ি অঞ্চলে বোমা ফেলেছে, যেখানে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানি ঘটেনি।
এই ঘটনার পরদিন, পাকিস্তান একটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করে এবং এর পাইলটকে আটক করে, যা দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি করে।
৮৬. নিচের কোন দেশে ২০২৩ সালে G-20 বাৎসরিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে?
[ বিসিএস ৪০তম ]
২০২৩ সালে জি-২০ বাৎসরিক সম্মেলন ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই শীর্ষ সম্মেলনটি ৯-১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়।
৮৭. ‘দ্যা আইডিয়া অব জাস্টিস’ গ্রন্থের রচয়িতা কে?
[ বিসিএস ৪০তম ]
‘দ্যা আইডিয়া অব জাস্টিস’ (The Idea of Justice) গ্রন্থটির রচয়িতা হলেন অমর্ত্য সেন।
তিনি একজন বিখ্যাত ভারতীয় অর্থনীতিবিদ এবং দার্শনিক। ১৯৯৮ সালে তিনি অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। 'দ্যা আইডিয়া অব জাস্টিস' বইটি ২০০৯ সালে প্রকাশিত হয় এবং এটি ন্যায়বিচার নিয়ে তার একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
সঠিক উত্তর হলো হাম্বানটোটা সমুদ্রবন্দর।
শ্রীলংকার এই গভীর সমুদ্রবন্দরটি চীনের কাছে ৯৯ বছরের জন্য লীজ দেওয়া হয়েছে। ঋণের ফাঁদে পড়ার কারণে শ্রীলংকা এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছিল বলে মনে করা হয়। চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন China Merchants Port Holdings Company এই বন্দরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
৮৯. যুক্তরাষ্ট্রের Guantanamo Bay Detention Camp কোথায় অবস্থিত?
[ বিসিএস ৪০তম ]
যুক্তরাষ্ট্রের Guantanamo Bay Detention Camp (গুয়ান্তানামো বে ডিটেনশন ক্যাম্প) কিউবার দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে গুয়ান্তানামো বে নৌঘাঁটির ভেতরে অবস্থিত।
এই নৌঘাঁটিটি ১৯০৩ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং ৯/১১ হামলার পর জানুয়ারি ২০০২ সালে বন্দিশিবিরটি স্থাপন করা হয়।
৯০. টেকসই উন্নয়ন সংক্রান্ত ২০৩০ এজেন্ডা (The 2030 Agenda for Sustainable Development) -তে কয়টি লক্ষ্য ( goals) রয়েছে?
[ বিসিএস ৪০তম ]
টেকসই উন্নয়ন সংক্রান্ত ২০৩০ এজেন্ডাতে ১৭টি লক্ষ্য (Sustainable Development Goals - SDGs) রয়েছে। এই লক্ষ্যগুলো বিশ্বজুড়ে শান্তি ও সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে।
টেকসই উন্নয়ন সংক্রান্ত ২০৩০ এজেন্ডাতে যে ১৭টি লক্ষ্য রয়েছে সেগুলো হলো:
- দারিদ্র্য বিলোপ (No Poverty)
- ক্ষুধা মুক্তি (Zero Hunger)
- সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ (Good Health and Well-being)
- গুণগত শিক্ষা (Quality Education)
- লিঙ্গ সমতা (Gender Equality)
- পরিষ্কার জল ও স্যানিটেশন (Clean Water and Sanitation)
- সাশ্রয়ী ও দূষণমুক্ত জ্বালানি (Affordable and Clean Energy)
- Decent কাজ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি (Decent Work and Economic Growth)
- শিল্প, উদ্ভাবন ও অবকাঠামো (Industry, Innovation and Infrastructure)
- অসমতা হ্রাস (Reduced Inequalities)
- টেকসই নগর ও জনবসতি (Sustainable Cities and Communities)
- দায়িত্বশীল ভোগ ও উৎপাদন (Responsible Consumption and Production)
- জলবায়ু কার্যক্রম (Climate Action)
- জলের নিচের জীবন (Life Below Water)
- ভূমির জীবন (Life on Land)
- শান্তি, ন্যায়বিচার ও শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান (Peace, Justice and Strong Institutions)
- লক্ষ্যের জন্য অংশীদারিত্ব (Partnerships for the Goals)
৯১. ‘V-20’ গ্রুপ কিসের সাথে সম্পর্কিত?
[ বিসিএস ৪০তম ]
‘V-20’ গ্রুপ হলো Vulnerable Twenty Group-এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এটি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের প্রতি বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ ২০টি দেশের একটি সহযোগিতা উদ্যোগ হিসেবে যাত্রা শুরু করে। ২০১৫ সালের অক্টোবরে পেরুর লিমায় ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের অধীনে এই জোটটি গঠিত হয়।
বর্তমানে এই গ্রুপে ৬৮টি সদস্য রাষ্ট্র রয়েছে, যারা সম্মিলিতভাবে বিশ্বের প্রায় ২০% জনসংখ্যার প্রতিনিধিত্ব করে এবং প্রায় ৫% বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণের জন্য দায়ী। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই দেশগুলো বিভিন্ন ধরনের দুর্যোগের সম্মুখীন হয়, যেমন - সুপার সাইক্লোন, জলোচ্ছ্বাস, খরা, দুর্ভিক্ষ, খাদ্য সংকট, বিদ্যুৎ বিভ্রাট, বন্যা, ভূমিধস, মরুকরণ এবং তাপপ্রবাহ।
V-20 গ্রুপের প্রধান উদ্দেশ্যগুলো হলো:
- সরকারি ও বেসরকারি জলবায়ু অর্থায়নের mobilization বৃদ্ধি করা।
- জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় সর্বোত্তম অনুশীলন ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা।
- নতুন অর্থায়ন পদ্ধতি তৈরি করা।
- জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয়ে advocacy করা।
এই জোটটি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং জলবায়ু অভিযোজন ও প্রশমন কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল যোগানের উপর জোর দেয়।
৯২. জাতিসংঘ সমুদ্র আইন কত সালে স্বাক্ষরিত হয়েছিল?
[ বিসিএস ৪০তম ]
জাতিসংঘ সমুদ্র আইন হলো জাতিসংঘ সমুদ্র আইন বিষয়ক কনভেনশন (United Nations Convention on the Law of the Sea - UNCLOS)। এটিকে "সমুদ্রের সংবিধান" নামেও অভিহিত করা হয়। এই আন্তর্জাতিক চুক্তিটি সমুদ্র এবং এর সম্পদ ব্যবহারের জন্য একটি আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠা করে। ১৯৭৩ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ আলোচনার পর ১৯৮২ সালের ১০ ডিসেম্বর জামাইকার মন্টেগো বে-তে এটি স্বাক্ষরিত হয় এবং ১৯৯৪ সালের ১৬ নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়।
জাতিসংঘ সমুদ্র আইনের মূল বিষয়গুলো হলো:
- সমুদ্র অঞ্চলের সীমা নির্ধারণ: এই কনভেনশনে বিভিন্ন সমুদ্র অঞ্চলের সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে, যেমন - অভ্যন্তরীণ জলসীমা, আঞ্চলিক সমুদ্রসীমা (Territorial Sea - উপকূল থেকে ১২ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত), সন্নিহিত অঞ্চল (Contiguous Zone - উপকূল থেকে ২৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত), এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন (Exclusive Economic Zone - EEZ - উপকূল থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত), মহীসোপান (Continental Shelf) এবং উন্মুক্ত সমুদ্র (High Seas)।
- রাষ্ট্রের অধিকার ও দায়িত্ব: প্রতিটি সমুদ্র অঞ্চলে উপকূলীয় রাষ্ট্র এবং অন্যান্য রাষ্ট্রের কী কী অধিকার ও দায়িত্ব থাকবে তা এই আইনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন - আঞ্চলিক সমুদ্রসীমায় উপকূলীয় রাষ্ট্রের সার্বভৌম অধিকার থাকলেও বিদেশি জাহাজকে "নির্দোষ উত্তরণ"-এর অধিকার দেওয়া হয়েছে। EEZ-এ উপকূলীয় রাষ্ট্র জীব ও অজীব সম্পদের উপর একচ্ছত্র অধিকার ভোগ করে, তবে অন্যান্য রাষ্ট্র সেখানে জাহাজ চলাচল, বিমান চলাচল এবং সাবমেরিন কেবল ও পাইপলাইন স্থাপনের স্বাধীনতা ভোগ করে।
- সমুদ্র সম্পদের ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ: এই আইন সমুদ্রের জীবন্ত ও অজীব সম্পদের টেকসই ব্যবহার এবং পরিবেশ রক্ষার জন্য নীতিমালা নির্ধারণ করে।
- সমুদ্র বিজ্ঞান গবেষণা: সমুদ্র বিজ্ঞান গবেষণার অধিকার এবং এর পরিচালনার জন্য নিয়মকানুন উল্লেখ করা হয়েছে।
- বিরোধ নিষ্পত্তি: সমুদ্র আইন সংক্রান্ত যেকোনো বিরোধ শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধানের জন্য বিভিন্ন প্রক্রিয়া নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশও এই কনভেনশনের একটি পক্ষ এবং সমুদ্র আইন অনুযায়ী বঙ্গোপসাগরে তার সমুদ্রসীমা ও অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
বিশ্বের সর্বশেষ জলবায়ু সম্মেলন (ডিসেম্বর, ২০১৮ ) পোল্যান্ডের ক্যাটোভিসে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এটি ছিল COP24, যা জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের (UNFCCC) ২৪তম কনফারেন্স অফ দ্য পার্টিস। সম্মেলনটি ২ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ পর্যন্ত চলেছিল।
৯৪. Sunshine Policy- এর সাথে কোন দুটি দেশ জড়িত?
[ বিসিএস ৪০তম ]
The Sunshine Policy (সুনশাইন নীতি)-এর সাথে প্রধানত দুটি দেশ জড়িত:
১. দক্ষিণ কোরিয়া (South Korea): এই নীতিটি মূলত দক্ষিণ কোরিয়ার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি কিম ডে-জুং (Kim Dae-jung) উত্তর কোরিয়ার সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রণয়ন করেছিলেন। ২. উত্তর কোরিয়া (North Korea): এই নীতির উদ্দেশ্য ছিল উত্তর কোরিয়ার সাথে সহযোগিতা ও আলোচনার মাধ্যমে কোরীয় উপদ্বীপের উত্তেজনা হ্রাস করা এবং শান্তি স্থাপন করা।
যদিও এই নীতির লক্ষ্য ছিল দুটি কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্ক উন্নত করা, তবে এর বাস্তবায়ন এবং ফলাফল বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন হয়েছে। অন্যান্য দেশ, যেমন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানও কোরীয় উপদ্বীপের শান্তি প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত থাকলেও, সানশাইন নীতি বিশেষভাবে দক্ষিণ কোরিয়া এবং উত্তর কোরিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে কেন্দ্র করে গঠিত হয়েছিল।
৯৫. BRICS কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ব্যাংকের নাম হচ্ছে-
[ বিসিএস ৪০তম ]
BRICS কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ব্যাংকটির নাম হলো নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (New Development Bank - NDB)।
অতীতে এটি ব্রিকস ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক নামেও পরিচিত ছিল। এই ব্যাংকটি ব্রিকস রাষ্ট্রসমূহ - ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা কর্তৃক ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো ব্রিকস এবং অন্যান্য উদীয়মান ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অবকাঠামো এবং টেকসই উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে অর্থায়ন করা।
ব্যাংকটির সদর দপ্তর চীনের সাংহাইতে অবস্থিত। বাংলাদেশও ২০২১ সালে এই ব্যাংকের সদস্যপদ লাভ করেছে।
৯৬. চীন নিচের কোন আফ্রিকান দেশটিতে সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের মাধ্যমে কৌশলগত সম্পর্ক স্থাপন করেছে?
[ বিসিএস ৪০তম ]
চীন আফ্রিকার জিবুতিতে একটি সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করেছে। এই ঘাঁটিটি বাব-এল-মান্দেব প্রণালীর কাছে অবস্থিত, যা লোহিত সাগর এবং এডেন উপসাগরকে সংযুক্ত করে এবং একটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ জলপথ। চীন এটিকে তার প্রথম বিদেশী সামরিক ঘাঁটি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে।
৯৭. নিচের কোন সংস্থাটির সচিবালয় বাংলাদেশে অবস্থিত?
[ বিসিএস ৪০তম ]
BIMSTEC (Bay of Bengal Initiative for Multi-Sectoral Technical and Economic Cooperation)-এর সচিবালয় বাংলাদেশের ঢাকায় অবস্থিত।
অন্যান্য সংস্থাগুলোর সচিবালয় যেখানে অবস্থিত:
- CICA (Conference on Interaction and Confidence Building Measures in Asia): এর সচিবালয় কাজাখস্তানের আস্তানায় অবস্থিত।
- IORA (Indian Ocean Rim Association): এর সচিবালয় মরিশাসের ইবেনে অবস্থিত।
- SAARC (South Asian Association for Regional Cooperation): এর সচিবালয় নেপালের কাঠমান্ডুতে অবস্থিত।
৯৮. নিচের কোন সংস্থাটির স্থায়ী সদর দপ্তর নেই?
[ বিসিএস ৪০তম ]
NAM (Non-Aligned Movement)-এর কোনো স্থায়ী সদর দপ্তর নেই।
NAM-এর প্রশাসনিক কার্যক্রম ঘূর্ণায়মান এবং কোনো স্থায়ী কাঠামো বাHierarchy অনুসরণ করে না। এর চেয়ারপারসন সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্য থেকে নির্বাচিত হন এবং চেয়ারের মেয়াদকালে সেই রাষ্ট্রই কার্যত নেতৃত্ব দেয়। NAM-এর একটি সমন্বয়কারী ব্যুরো (Coordinating Bureau) রয়েছে, যা নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অবস্থিত, তবে এটি কোনো স্থায়ী সদর দপ্তর নয়।
অন্যান্য সংস্থাগুলোর স্থায়ী সদর দপ্তর রয়েছে:
- NATO (North Atlantic Treaty Organization): ব্রাসেলস, বেলজিয়াম।
- EU (European Union): ব্রাসেলস, বেলজিয়াম (কার্যত রাজধানী হিসেবে বিবেচিত)।
- ASEAN (Association of Southeast Asian Nations): জাকার্তা, ইন্দোনেশিয়া।
৯৯. জাতিসংঘ বিষয়ক আলোচনায় পি৫ (P5) বলতে কি বুঝায়?
[ বিসিএস ৪০তম ]
জাতিসংঘ বিষয়ক আলোচনায় পি৫ (P5) বলতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্য রাষ্ট্রকে বোঝানো হয়। এই পাঁচটি রাষ্ট্র হলো:
১. চীন (China) ২. ফ্রান্স (France) ৩. রাশিয়া (Russia) (সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের স্থলাভিষিক্ত) ৪. যুক্তরাজ্য (United Kingdom) ৫. যুক্তরাষ্ট্র (United States)
জাতিসংঘের সনদ অনুযায়ী, এই পাঁচটি রাষ্ট্রের নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। এর মানে হলো, এই পাঁচটি রাষ্ট্রের যেকোনো একটি যদি কোনো প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়, তবে সেই প্রস্তাবটি নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত হবে না, এমনকি যদি অন্য ১৪টি সদস্য রাষ্ট্র পক্ষে ভোট দেয় তবুও।
পি৫ রাষ্ট্রগুলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয়ী শক্তি ছিল এবং বিশ্ব শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় তাদের বিশেষ ভূমিকা ও ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদের যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে এই পাঁচটি রাষ্ট্রের সম্মতি অপরিহার্য।
১০০. মিনস্ক নিচের কোন দেশের রাজধানী?
[ বিসিএস ৪০তম ]
মিনস্ক (Minsk) হলো বেলারুশ দেশের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর। এটি পূর্ব ইউরোপে অবস্থিত এবং বেলারুশের প্রশাসনিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।
১০১. কোন দেশটি ইউরোপের বাল্টিক অঞ্চলে অবস্থিত নয়?
[ বিসিএস ৪০তম ]
অস্ট্রিয়া মধ্য ইউরোপের একটি দেশ। এটি বাল্টিক অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত নয়।
অন্যদিকে:
- ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন বাল্টিক সাগরের তীরে অবস্থিত এবং প্রায়শই বাল্টিক অঞ্চলের অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়, যদিও ভৌগোলিকভাবে নর্ডিক দেশ হিসেবেও পরিচিত।
- পোল্যান্ড বাল্টিক সাগরের দক্ষিণ তীরে অবস্থিত এবং ঐতিহাসিকভাবে বাল্টিক অঞ্চলের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত।
১০২. AC কে DC করার যন্ত্র-
[ বিসিএস ৪০তম ]
AC কে DC করার যন্ত্রের নাম হলো রেকটিফায়ার (Rectifier)।
রেকটিফায়ার একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস যা পর্যায়ক্রমিক দিক পরিবর্তনকারী অল্টারনেটিং কারেন্ট (AC)-কে একমুখী ডিরেক্ট কারেন্ট (DC)-এ রূপান্তরিত করে। এই প্রক্রিয়াটিকে রেকটিফিকেশন বলা হয়।
রেকটিফায়ার বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যেমন:
- হাফ-ওয়েভ রেকটিফায়ার (Half-wave rectifier): এটি এসি তরঙ্গের কেবল একটি অংশকে ডিসি-তে রূপান্তর করে।
- ফুল-ওয়েভ রেকটিফায়ার (Full-wave rectifier): এটি এসি তরঙ্গের উভয় অংশকে ডিসি-তে রূপান্তর করে এবং তুলনামূলকভাবে মসৃণ ডিসি আউটপুট দেয়। এর মধ্যে ব্রিজ রেকটিফায়ার অন্যতম।
ডায়োড হলো রেকটিফায়ারের মূল উপাদান, যা এক দিকে তড়িৎ প্রবাহকে প্রবাহিত করতে দেয় এবং বিপরীত দিকে বাধা দেয়।
বিদ্যুৎ শক্তিকে শব্দ শক্তিতে রূপান্তরিত করা হয় লাউড স্পিকারের মাধ্যমে।
লাউড স্পিকার একটি ইলেকট্রো-অ্যাকোস্টিক ট্রান্সডিউসার যা তড়িৎ সংকেতকে শ্রবণযোগ্য শব্দ তরঙ্গে রূপান্তরিত করে। এর মধ্যে একটি কয়েল এবং চুম্বক থাকে। তড়িৎ প্রবাহের পরিবর্তনের সাথে সাথে কয়েলটি কাঁপে এবং এর সাথে যুক্ত ডায়াফ্রামও কাঁপে, যা বায়ুচাপের পরিবর্তন ঘটায় এবং শব্দ উৎপন্ন হয়।
অন্যান্য বিকল্পগুলো:
- অ্যামপ্লিফায়ার (Amplifier): এটি দুর্বল তড়িৎ সংকেতের শক্তি বৃদ্ধি করে, কিন্তু সরাসরি শব্দ শক্তিতে রূপান্তর করে না। এটি লাউড স্পিকারের আগে ব্যবহৃত হয়।
- জেনারেটর (Generator): এটি যান্ত্রিক শক্তিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত করে।
- মাল্টিমিটার (Multimeter): এটি ভোল্টেজ, কারেন্ট, রোধ ইত্যাদি বৈদ্যুতিক রাশি পরিমাপ করার যন্ত্র।
১০৪. বাতাসের আর্দ্রতা মাপার যন্ত্রের নাম কি?
[ বিসিএস ৪০তম ]
বাতাসের আর্দ্রতা মাপার যন্ত্রের নাম হলো হাইগ্রোমিটার (Hygrometer)।
হাইগ্রোমিটার বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বা আপেক্ষিক আর্দ্রতা পরিমাপ করতে ব্যবহৃত হয়।
অন্যান্য বিকল্পগুলো:
- মাইকোমিটার (Micrometer): এটি খুব ছোট দৈর্ঘ্য বা পুরুত্ব মাপার জন্য ব্যবহৃত হয়।
- ব্যারোমিটার (Barometer): এটি বায়ুমণ্ডলীয় চাপ মাপার জন্য ব্যবহৃত হয়।
- গ্রাভিমিটার (Gravimeter): এটি মহাকর্ষীয় ক্ষেত্র পরিমাপের জন্য ব্যবহৃত হয়।
বাল্বটির রোধ নির্ণয় করার জন্য আমরা নিম্নলিখিত সূত্রটি ব্যবহার করতে পারি:
যেখানে:
হলো ক্ষমতা (ওয়াটে), এখানে W হলো বিভব পার্থক্য (ভোল্টে), এখানে V হলো রোধ (ওহমে), যা আমাদের নির্ণয় করতে হবে।
এখন, আমরা রোধ (
মানগুলো বসিয়ে পাই:
সুতরাং, বাল্বটির রোধ প্রায় 806.67 ওহম।
১০৬. নবায়নযোগ্য জ্বালানীর উৎস-
[ বিসিএস ৪০তম ]
বায়োগ্যাস একটি নবায়নযোগ্য জ্বালানীর উৎস কারণ এটি জৈব পদার্থ (যেমন - গোবর, আবর্জনা, কৃষি বর্জ্য) গাঁজন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি হয় এবং এই জৈব পদার্থের উৎস পুনরায় তৈরি করা সম্ভব।
অন্যান্য বিকল্পগুলো অনবায়নযোগ্য জ্বালানীর উৎস:
- তেল: জীবাশ্ম জ্বালানী, যা লক্ষ লক্ষ বছর ধরে ভূগর্ভে তৈরি হয়েছে এবং এর মজুদ সীমিত।
- গ্যাস: প্রাকৃতিক গ্যাসও একটি জীবাশ্ম জ্বালানী এবং এর মজুদ সীমিত।
- কয়লা: এটিও জীবাশ্ম জ্বালানী এবং এর মজুদ সীমিত।
১০৭. কার্বোহাইড্রেট C, H এবং O- এর অনুপাত কত?
[ বিসিএস ৪০তম ]
এর সাধারণ রাসায়নিক সূত্র হলো:
উদাহরণস্বরূপ:
- গ্লুকোজ (Glucose):
- এখানে C:H:O এর অনুপাত 6:12:6, যা সরল করলে 1:2:1 হয়। - ফ্রুক্টোজ (Fructose):
- এখানেও C:H:O এর অনুপাত 1:2:1। - স্যাকারোজ (Sucrose):
- এটি দুটি সরল শর্করার সমন্বয়ে গঠিত এবং এর সরাসরি 1:2:1 অনুপাত নেই। তবে, সরল শর্করাগুলোর মূল কাঠামোয় এই অনুপাত বিদ্যমান।
সুতরাং, সাধারণভাবে কার্বোহাইড্রেটে কার্বন, হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনের অনুপাত 1:2:1 ধরা হয়।
১০৮. সোডিয়াম এসিটেটের সংকেত –
[ বিসিএস ৪০তম ]
সোডিয়াম এসিটেটের রাসায়নিক সংকেত হলো CH₃COONa।
এটি অ্যাসিটিক অ্যাসিডের (CH₃COOH) সোডিয়াম লবণ।
১০৯. ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যবহৃত গামা বিকিরণের উৎস কি?
[ বিসিএস ৪০তম ]
ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যবহৃত গামা বিকিরণের প্রধান উৎস হলো তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ কোবাল্ট-৬০ (Cobalt-60)।
কোবাল্ট-৬০ একটি কৃত্রিম তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ যা নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টরে সাধারণ কোবাল্টকে নিউট্রন দ্বারা আঘাত করে তৈরি করা হয়। এটি তেজস্ক্রিয় ক্ষয়ের মাধ্যমে গামা রশ্মি নির্গত করে। এই গামা রশ্মি ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করার জন্য অত্যন্ত কার্যকর।
ক্যান্সার চিকিৎসায় গামা বিকিরণ বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহৃত হয়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
- গামা রশ্মি থেরাপি (Gamma Ray Therapy): একটি নির্দিষ্ট উৎস থেকে গামা রশ্মি টিউমারের দিকে направিত করা হয়, যা ক্যান্সার কোষের ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত করে তাদের বৃদ্ধি বন্ধ করে এবং ধ্বংস করে।
- গামা নাইফ রেডিওসার্জারি (Gamma Knife Radiosurgery): এটি কোনো কাটারির ব্যবহার ছাড়াই অত্যন্ত নির্ভুলভাবে মস্তিষ্কের ছোট টিউমার এবং অন্যান্য অস্বাভাবিকতা নিরাময়ের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই পদ্ধতিতে অনেকগুলো ছোট গামা রশ্মির উৎস একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যস্থলে একত্রিত করে উচ্চ মাত্রার বিকিরণ প্রদান করা হয়, যা আশেপাশের সুস্থ টিস্যুকে রক্ষা করে।
এছাড়াও, কিছু ক্ষেত্রে অন্যান্য তেজস্ক্রিয় আইসোটোপও গামা বিকিরণের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে, তবে কোবাল্ট-৬০ সবচেয়ে বেশি প্রচলিত।
১১০. খাদ্য তৈরির জন্য উদ্ভিদ বায়ু থেকে গ্রহণ করে –
[ বিসিএস ৪০তম ]
খাদ্য তৈরির জন্য উদ্ভিদ বায়ু থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে।
সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ভিদ সূর্যের আলো, পানি এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড ব্যবহার করে শর্করা (গ্লুকোজ) তৈরি করে, যা তাদের খাদ্য। অক্সিজেন এই প্রক্রিয়ার উপজাত হিসেবে নির্গত হয়।
১১১. মৌলের নিউট্রন সংখ্যা কত?
[ বিসিএস ৪০তম ]
এখানে,
- উপরের সংখ্যা (35) হল ভর সংখ্যা (Mass Number)
- নিচের সংখ্যা (17) হল পরমাণু সংখ্যা বা প্রোটন সংখ্যা (Atomic Number)
কোনো কঠিন পদার্থ বিশুদ্ধ নাকি অবিশুদ্ধ তা সাধারণত তার গলনাঙ্ক (Melting Point)-এর মাধ্যমে নির্ণয় করা যায়।
বিশুদ্ধ কঠিন পদার্থের বৈশিষ্ট্য:
- বিশুদ্ধ কঠিন পদার্থের একটি নির্দিষ্ট এবং স্থির গলনাঙ্ক থাকে। অর্থাৎ, এটি একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় পৌঁছানোর সাথে সাথেই গলতে শুরু করে এবং সম্পূর্ণ গলে যাওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা স্থির থাকে।
অবিশুদ্ধ কঠিন পদার্থের বৈশিষ্ট্য:
- অবিশুদ্ধ কঠিন পদার্থের গলনাঙ্ক নির্দিষ্ট থাকে না, বরং একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রার পরিসরে (Range) ধীরে ধীরে গলে। এর কারণ হলো অবিশুদ্ধ পদার্থে বিভিন্ন উপাদানের মিশ্রণ থাকে এবং প্রতিটি উপাদানের গলনাঙ্ক ভিন্ন হতে পারে।
- সাধারণত, অবিশুদ্ধ কঠিন পদার্থের গলনাঙ্ক বিশুদ্ধ পদার্থের তুলনায় কম হয়।
সুতরাং, যদি কোনো কঠিন পদার্থ একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় দ্রুত গলে যায়, তবে সেটি বিশুদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আর যদি এটি ধীরে ধীরে একটি তাপমাত্রার পরিসরে গলে, তবে সেটি অবিশুদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
এছাড়াও, স্ফুটনাঙ্ক (Boiling Point)-এর মাধ্যমেও তরল পদার্থের বিশুদ্ধতা নির্ণয় করা যায়, যেখানে বিশুদ্ধ তরলের একটি নির্দিষ্ট স্ফুটনাঙ্ক থাকে এবং অবিশুদ্ধ তরলের স্ফুটনাঙ্ক পরিবর্তিত হয়। তবে, কঠিন পদার্থের ক্ষেত্রে গলনাঙ্কই প্রধান নির্ণায়ক।
১১৩. অ্যানোডে কোন বিক্রিয়া সম্পন্ন হয়?
[ বিসিএস ৪০তম ]
অ্যানোডে জারণ (Oxidation) বিক্রিয়া সম্পন্ন হয়.
জারণ হলো এমন একটি রাসায়নিক বিক্রিয়া যেখানে কোনো পরমাণু, আয়ন বা অণু ইলেকট্রন ত্যাগ করে এবং এর ফলে তার জারণ সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। তড়িৎকোষে (Electrochemical cell), অ্যানোড হলো সেই ইলেকট্রোড যেখানে এই জারণ প্রক্রিয়াটি ঘটে।
- তড়িৎবিশ্লেষণ কোষে (Electrolytic cell): অ্যানোড হলো ধনাত্মক মেরু (+) এবং অ্যানায়ান (ঋণাত্মক আয়ন) অ্যানোডের দিকে আকৃষ্ট হয় এবং সেখানে ইলেকট্রন ত্যাগ করে জারিত হয়।
- গ্যালভানিক কোষে (Galvanic cell) বা ব্যাটারিতে: অ্যানোড হলো ঋণাত্মক মেরু (-) এবং এখানে ধাতু পরমাণু ইলেকট্রন ত্যাগ করে জারিত হয়। এই ইলেকট্রনগুলোই বহিরাগত বর্তনীতে বিদ্যুৎ প্রবাহ সৃষ্টি করে।
সহজভাবে মনে রাখার জন্য: অ্যানোড = জারণ (Oxidation)।
১১৪. কোথায় সাঁতার কাটা সহজ?
[ বিসিএস ৪০তম ]
সাঁতার কাটা সবচেয়ে সহজ সাগরে।
এর প্রধান কারণ হলো সাগরের পানিতে লবণের পরিমাণ বেশি থাকে। লবণাক্ততা বৃদ্ধির কারণে পানির ঘনত্ব বাড়ে। ঘনত্ব বেশি হওয়ার ফলে প্লবতা (Buoyancy) বৃদ্ধি পায়, অর্থাৎ পানিতে শরীর কম ডুবে এবং ভেসে থাকা সহজ হয়। পুকুর, খাল বা নদীর পানিতে লবণের পরিমাণ কম থাকায় ঘনত্বও কম থাকে, ফলে সাঁতার কাটার সময় শরীরকে বেশি effort দিতে হয় ভেসে থাকার জন্য।
১১৫. ডিমে কোন ভিটামিন নেই?
[ বিসিএস ৪০তম ]
ডিমে সাধারণত ভিটামিন-সি তেমন পরিমাণে থাকে না।
ডিম ভিটামিন এ, ভিটামিন বি (যেমন বি১২, রাইবোফ্লাভিন, ফোলেট), এবং ভিটামিন ডি-এর একটি ভালো উৎস। তবে, এতে ভিটামিন সি-এর পরিমাণ খুবই কম থাকে বা প্রায় থাকেই না বললেই চলে।
সুতরাং, সঠিক উত্তর হলো গঃ ভিটামিন-সি।
১১৬. কোনটির জন্য পুষ্প রঙ্গিন ও সুন্দর হয়?
[ বিসিএস ৪০তম ]
সঠিক উত্তর হলো ক্রোমোপ্লাস্ট।
ক্রোমোপ্লাস্ট হলো প্লাস্টিডের একটি প্রকারভেদ যা বিভিন্ন রঞ্জক পদার্থ ধারণ করে এবং ফুল, ফল ও অন্যান্য উদ্ভিজ্জ অংশকে বিভিন্ন রঙ (যেমন - লাল, হলুদ, কমলা) প্রদান করে। এই রঙিনতাই ফুলকে আকর্ষণীয় ও সুন্দর করে তোলে, যা পরাগায়নে সাহায্য করে।
অন্যান্য বিকল্পগুলো:
- ক্লোরোপ্লাস্ট: এটি সবুজ রঙের প্লাস্টিড এবং সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে খাদ্য তৈরিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। এটি সাধারণত পাতা ও কাণ্ডের সবুজ রঙ প্রদান করে।
- ক্রোমাটোপ্লাস্ট: এটি ব্যাকটেরিয়ার কোষের ঝিল্লিতে অবস্থিত রঞ্জক পদার্থ ধারণকারী অঙ্গাণু। উদ্ভিদের ক্ষেত্রে সঠিক উত্তর ক্রোমোপ্লাস্ট।
- লিউকোপ্লাস্ট: এটি বর্ণহীন প্লাস্টিড এবং খাদ্য (যেমন - শ্বেতসার, প্রোটিন, ফ্যাট) সঞ্চয়ে সাহায্য করে। এটি সাধারণত উদ্ভিদের মূল ও ভূগর্ভস্থ অংশে দেখা যায়।
১১৭. Which one of the following words is masculine?
[ বিসিএস ৪০তম ]
নিম্নলিখিত শব্দগুলোর মধ্যে কোনটি পুংলিঙ্গ? সঠিক উত্তর হলো lad।
এখানে শব্দগুলোর অর্থ এবং কোনটি পুরুষবাচক তা ব্যাখ্যা করা হলো:
- mare: স্ত্রী ঘোড়া (feminine)
- lad: বালক, ছেলে (masculine)
- pillow: বালিশ (neuter - লিঙ্গ নিরপেক্ষ বস্তু)
- pony: ছোট ঘোড়া (সাধারণত লিঙ্গ নিরপেক্ষ, তবে প্রসঙ্গে পুরুষ বা স্ত্রী উভয়কেই বোঝাতে পারে। তবে 'stallion' পুরুষ এবং 'mare' স্ত্রী বোঝায়)
সুতরাং, lad শব্দটি পুরুষবাচক।
১১৮. A man whose wife has died is called a/an–
[ বিসিএস ৪০তম ]
যে পুরুষের স্ত্রী মারা গেছেন তাকে widower বলা হয়।
এখানে শব্দগুলোর অর্থ দেওয়া হলো:
- widow: যে মহিলার স্বামী মারা গেছেন।
- widower: যে পুরুষের স্ত্রী মারা গেছেন।
- spinster: অবিবাহিত মহিলা (সাধারণত বেশি বয়সের)।
- bachelor: অবিবাহিত পুরুষ।
১১৯. Which word is similar to ‘appal’?
[ বিসিএস ৪০তম ]
'appal'-এর সবচেয়ে কাছাকাছি অর্থ বহন করে dismay।
'Appal' শব্দের অর্থ হলো আতঙ্কিত করা, ভয় পাইয়ে দেওয়া, বা হতাশ করা।
এখন অপশনগুলোর অর্থ দেখা যাক:
- deceive: প্রতারণা করা, ঠকানো।
- confuse: বিভ্রান্ত করা, গোলমাল করা।
- dismay: হতাশ করা, নিরুৎসাহিত করা, আতঙ্কিত করা।
- solicit: অনুরোধ করা, চাওয়া।
১২০. Which word means the opposite of ‘dearth’?
[ বিসিএস ৪০তম ]
'dearth'-এর বিপরীত অর্থ বহন করে abundance।
'Dearth' শব্দের অর্থ হলো অভাব, স্বল্পতা, বা দুর্ভিক্ষ।
এখন অপশনগুলোর অর্থ দেখা যাক:
- lack: অভাব, ঘাটতি।
- abundance: প্রাচুর্য, প্রচুরতা।
- poverty: দারিদ্র্য, অভাবগ্রস্ততা।
- shortage: ঘাটতি, কমতি।
১২১. Tennyson’s ‘In Memoriam’ is an elegy on the death of –
[ বিসিএস ৪০তম ]
Tennyson’s (টেনিসনের) 'ইন মেমোরিয়াম' কবিতাটি তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু আর্থার হেনরি হ্যালামের অকালমৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে লেখা একটি দীর্ঘ কবিতা। হ্যালাম ছিলেন একজন প্রতিভাবান লেখক এবং টেনিসনের বোনের বাগদত্ত। ১৮৩৩ সালে তার আকস্মিক মৃত্যু টেনিসনকে গভীরভাবে ব্যথিত করেছিল এবং এই শোকগাথাটি লিখতে তাকে দীর্ঘ সময় ধরে অনুপ্রাণিত করেছিল।
১২২. Identify the word which is spelt incorrectly:
[ বিসিএস ৪০তম ]
সঠিক উত্তর হলো কঃ consciencious।
এই শব্দটির সঠিক বানান হলো conscientious।
অন্যান্য শব্দগুলোর বানান সঠিক রয়েছে:
- conscientious: বিবেকবান, দায়িত্বপরায়ণ, সতর্ক ও সত্যানুগ
- perseverance: অধ্যবসায়
- convalescence: রোগমুক্তির পথে পুনরুদ্ধারকাল
- maintenance: রক্ষণাবেক্ষণ
১২৩. ‘You look terrific in that dress!’ The word ‘terrific’ in the above sentence means –
[ বিসিএস ৪০তম ]
সঠিক উত্তর হলো excellent।
'Terrific' শব্দটি সাধারণত কোনো কিছুর অত্যধিক প্রশংসা করতে বা দারুণ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। এই বাক্যে, 'You look terrific in that dress!' এর অর্থ হলো 'ঐ পোশাকে তোমাকে দারুণ দেখাচ্ছে!' বা 'ঐ পোশাকে তোমাকে অসাধারণ দেখাচ্ছে!'।
অন্যান্য অপশনগুলোর অর্থ:
- funny: হাস্যকর, মজার
- very ugly: খুবই কুৎসিত
- horrible: ভয়ানক, জঘন্য
সুতরাং, 'terrific' শব্দের সঠিক অর্থ এখানে excellent
১২৪. Someone who is capricious is –
[ বিসিএস ৪০তম ]
সঠিক উত্তর হলো known for sudden changes in attitude or behavior।
'Capricious' শব্দের অর্থ হলো খামখেয়ালী, অস্থিরচিত্ত, বা যার মতিগতি বোঝা যায় না। এমন ব্যক্তি হঠাৎ করেই তাদের মনোভাব বা আচরণের পরিবর্তন ঘটায়।
অন্যান্য অপশনগুলোর অর্থ:
- easily irritated: সহজে বিরক্ত হয় এমন।
- wise and willing to cooperate: জ্ঞানী এবং সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক।
- exceedingly conceited and arrogant: অত্যন্ত অহংকারী এবং দাম্ভিক।
সুতরাং, 'capricious' বলতে বোঝায় এমন কাউকে যার আচরণ বা মনোভাবে হঠাৎ পরিবর্তন দেখা যায়।
'Aircraft' শব্দটি একবচন এবং বহুবচন উভয় ক্ষেত্রেই একই থাকে। এর বহুবচনের জন্য 's' যোগ করা হয় না।
অন্যান্য শব্দগুলোর বহুবচন রূপ:
- intention: intentions
- mouse: mice
- thesis: theses
এই বাক্যে "no" হলো Determiner।
Determiner হলো সেই শব্দ যা বিশেষ্যের (Noun) আগে বসে এবং বিশেষ্যটি নির্দিষ্ট নাকি অনির্দিষ্ট, তার সংখ্যা বা পরিমাণ ইত্যাদি সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে। এই বাক্যে "news" (সংবাদ) একটি বিশেষ্য এবং "no" তার আগে বসে সংবাদের পরিমাণ (শূন্য) বোঝাচ্ছে।
অন্যান্য অপশনগুলোর ব্যাখ্যা:
- have: এটি একটি verb (ক্রিয়া)।
- news: এটি একটি noun (বিশেষ্য)।
- for: এটি একটি preposition (পদান্বয়ী অব্যয়)।
১২৭. A lost opportunity never returns. Here ‘lost’ is a –
[ বিসিএস ৪০তম ]
'lost' শব্দটি এখানে একটি participle (বিশেষণ রূপে ব্যবহৃত)।
এখানে 'lost' শব্দটি 'opportunity' বিশেষ্যটিকে modify করছে, অর্থাৎ সুযোগটি কেমন ছিল তা বোঝাচ্ছে ('হারানো' সুযোগ)। যখন কোনো ভার্বের পাস্ট পার্টিসিপল (verb-এর অতীত কৃদন্ত রূপ) কোনো নাউনের পূর্বে বসে বিশেষণ হিসেবে কাজ করে, তখন তাকে participle বলা হয় (এখানে এটি past participle)।
অন্যান্য অপশনগুলোর ব্যাখ্যা:
- gerund: ভার্বের সাথে '-ing' যুক্ত হয়ে যখন তা বিশেষ্যের মতো কাজ করে (যেমন: Swimming is a good exercise)। এই বাক্যে 'lost' এর সাথে '-ing' যুক্ত নেই এবং এটি বিশেষ্যের মতো কাজ করছে না।
- verbal noun: এটিও ভার্বের বিশেষ্য রূপে ব্যবহার, তবে এর গঠন ভিন্ন হতে পারে এবং এখানে 'lost' সেইভাবে ব্যবহৃত হয়নি।
- gerundial infinitive: এই ধরনের কোনো ব্যাকরণগত টার্ম সাধারণভাবে ব্যবহৃত হয় না। 'Gerund' এবং 'infinitive' আলাদা ধারণা।
১২৮. The saying ‘enough is enough’ is used when you want-
[ বিসিএস ৪০তম ]
সঠিক উত্তর হলো something to stop।
‘Enough is enough’ এই প্রবাদটি তখন ব্যবহার করা হয় যখন আপনি চান যে কোনো কাজ বা পরিস্থিতি থামুক। এর অর্থ হলো যা যথেষ্ট ছিল তা শেষ হয়ে গেছে এবং আর বাড়ানো উচিত নয়।
আন্ডারলাইন করা অংশটি হলো "with great speed"। এই অংশটি "ran" (দৌড়েছিল) ক্রিয়াটিকে মডিফাই করছে, অর্থাৎ কাজটি কীভাবে সম্পন্ন হয়েছিল (খুব দ্রুত গতিতে) তা বোঝাচ্ছে। যে শব্দ বা শব্দগুচ্ছ কোনো ক্রিয়া, বিশেষণ বা অন্য কোনো adverb কে মডিফাই করে, তাকে adverb বলে। যেহেতু "with great speed" একাধিক শব্দ নিয়ে গঠিত এবং একটি adverb-এর মতো কাজ করছে, তাই এটি একটি adverb phrase।
অন্যান্য অপশনগুলোর ব্যাখ্যা:
- noun phrase: এটি একটি বিশেষ্য এবং তার সাথে সম্পর্কিত শব্দ নিয়ে গঠিত, যা বাক্যে বিশেষ্যের মতো কাজ করে। এখানে "with great speed" কোনো ব্যক্তি, বস্তু বা ধারণাকে বোঝাচ্ছে না।
- adjective phrase: এটি একটি বিশেষণ এবং তার সাথে সম্পর্কিত শব্দ নিয়ে গঠিত, যা কোনো বিশেষ্য বা সর্বনামকে মডিফাই করে। এখানে "with great speed" কোনো বিশেষ্যকে মডিফাই করছে না, বরং ক্রিয়াকে মডিফাই করছে।
- participle phrase: এটি একটি participle (verb-এর ing বা ed যুক্ত রূপ) এবং তার সাথে সম্পর্কিত শব্দ নিয়ে গঠিত, যা বিশেষণ বা adverb-এর মতো কাজ করে। এখানে "with great speed"-এ কোনো participle নেই।
এই বাক্যটিতে দুটি স্বাধীন clause ("We must not be late" এবং "we will miss the train") একটি conjunction ("else") দ্বারা যুক্ত হয়েছে। যখন দুটি বা তার বেশি স্বাধীন clause কোনো coordinating conjunction (যেমন - and, but, or, nor, for, so, yet, else) দ্বারা যুক্ত হয়, তখন সেই বাক্যকে compound sentence বা যৌগিক বাক্য বলে।
অন্যান্য অপশনগুলোর ব্যাখ্যা:
- complex sentence: জটিল বাক্যে একটি স্বাধীন clause এবং এক বা একাধিক অধীন clause থাকে, যা কোনো subordinating conjunction (যেমন - because, although, if, when, while) দ্বারা যুক্ত থাকে। এই বাক্যে কোনো অধীন clause নেই।
- simple sentence: সরল বাক্যে কেবল একটি স্বাধীন clause থাকে। এই বাক্যে দুটি স্বাধীন clause রয়েছে।
- interrogative sentence: প্রশ্নবোধক বাক্য। এই বাক্যটি কোনো প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করছে না।
১৩১. Change the voice: “Who is calling me?”
[ বিসিএস ৪০তম ]
অ্যাক্টিভ ভয়েসের বাক্যটি Present Continuous Tense-এ আছে। প্যাসিভ ভয়েসে পরিবর্তন করার সময় নিম্নলিখিত নিয়মগুলি অনুসরণ করা হয়:
- কর্তা (Who) কর্মের স্থানে 'by whom'-এ পরিবর্তিত হয়।
- Tense অপরিবর্তিত থাকে (Present Continuous), তাই 'am/is/are' এর পরে 'being' যোগ হয়।
- মূল ক্রিয়ার (calling) Past Participle (called) ব্যবহৃত হয়।
- কর্তার স্থানে থাকা 'me' কর্মের স্থানে 'I' হয় এবং তার আগে 'am' বসে।
সুতরাং, সঠিক প্যাসিভ ভয়েস হলো: By whom am I being called?
১৩২. An extra message added at the end of a letter after it is signed is called _____.
[ বিসিএস ৪০তম ]
চিঠির শেষে স্বাক্ষর করার পর অতিরিক্ত কোনো বার্তা যোগ করা হলে তাকে postscript বলা হয়। এটিকে সংক্ষেপে P.S. লেখা হয়।
অন্যান্য অপশনগুলোর অর্থ:
- corrigendum: ভুল সংশোধনীর তালিকা।
- NB (nota bene): মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্য ব্যবহৃত একটি ল্যাটিন শব্দবন্ধ, যার অর্থ "ভালোভাবে লক্ষ্য করুন"।
- RSVP (répondez s'il vous plaît): একটি ফরাসি শব্দবন্ধ, যার অর্থ "অনুগ্রহ করে উত্তর দিন"। এটি সাধারণত কোনো আমন্ত্রণপত্রে উত্তরের অনুরোধ জানাতে ব্যবহৃত হয়।
১৩৩. Sweet Helen ‘make me immortal with a kiss’ The sentence has been taken from the play –
[ বিসিএস ৪০তম ]
এই বিখ্যাত উক্তিটি ক্রিস্টোফার মার্লোর বিখ্যাত ট্র্যাজেডি Doctor Faustus থেকে নেওয়া হয়েছে। ডক্টর ফাউস্টাস যখন হেলেন অফ ট্রয়কে দেখেন, তখন তার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে এই কথাগুলো বলেন:
"Was this the face that launch'd a thousand ships, And burnt the topless towers of Ilium? Sweet Helen, make me immortal with a kiss."
১৩৪. ‘What's in a name? That which we call a rose By any other name would smell as sweet’ – who said this?
[ বিসিএস ৪০তম ]
এই বিখ্যাত উক্তিটি (Juliet) জুলিয়েট শেক্সপিয়রের বিখ্যাত ট্র্যাজেডি রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট নাটকের একটি অংশে বলেছিল। ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে রোমিওর বংশপরিচয় নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত জুলিয়েট এই কথাগুলো বলে।
১৩৫. ‘Man's love is of man's life a thing apart, Tis woman's whole existence.’ This is taken from the poem of –
[ বিসিএস ৪০তম ]
এই বিখ্যাত উক্তিটি Lord Byron (লর্ড বায়রন) এর দীর্ঘ কবিতা Don Juan-এর প্রথম ক্যান্টোর (Canto I) থেকে নেওয়া হয়েছে। কবিতাটিতে বিভিন্ন সামাজিক রীতিনীতি এবং নারী-পুরুষের সম্পর্কের উপর মন্তব্য করা হয়েছে, যেখানে এই পঙক্তি দুটি বিশেষভাবে নারীর জীবনে ভালোবাসার গুরুত্বের উপর আলোকপাত করে।
১৩৬. Who translated the ‘Rubaiyat of Omar Khayyam’ into English?
[ বিসিএস ৪০তম ]
'Rubaiyat of Omar Khayyam' ('রুবা ইয়াত অফ ওমর খৈয়াম') -এর ইংরেজি অনুবাদ করেন Edward Fitzgerald এ(ডওয়ার্ড ফিটজেরাল্ড)।
এডওয়ার্ড ফিটজেরাল্ড ছিলেন একজন ইংরেজ কবি এবং লেখক। তিনি ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে ওমর খৈয়ামের ফার্সি কবিতাগুলো ইংরেজিতে অনুবাদ করে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেন। তার অনুবাদগুলো মূল কবিতার ভাব বজায় রেখেও নিজস্ব কাব্যিক মাধুর্যে অনন্যতা লাভ করেছে।
১৩৭. ‘Ulysses’ is a novel written by –
[ বিসিএস ৪০তম ]
'Ulysses' হলো আইরিশ ঔপন্যাসিক James Joyce (জেমস জয়েস) এর একটি বিখ্যাত উপন্যাস। এটি ১৯২২ সালে প্রকাশিত হয় এবং সাহিত্যিক আধুনিকতাবাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসেবে বিবেচিত হয়। উপন্যাসটি একদিনে (১৬ জুন, ১৯০৪) ডাবলিনের বিভিন্ন চরিত্র, বিশেষ করে লিওপোল্ড ব্লুমের জীবন অনুসরণ করে।
১৩৮. The short story ‘The Diamond Necklace’ was written by –
[ বিসিএস ৪০তম ]
ছোটগল্প 'The Diamond Necklace' (La Parure) ফরাসি লেখক Guy de Maupassant (গি দ্য মোপাসাঁর) লেখা একটি বিখ্যাত গল্প। এটি ১৮৮৪ সালে প্রকাশিত হয়েছিল এবং এর অপ্রত্যাশিত সমাপ্তির জন্য আজও এটি সমাদৃত।
১৩৯. ‘All the perfumes of Arabia will not sweeten this little hand’ – Who said this?
[ বিসিএস ৪০তম ]
এই বিখ্যাত উক্তিটি শেক্সপিয়রের ট্র্যাজেডি লেডি ম্যাকবেথ-এর।
রাজা ডানকানকে হত্যার পর, অপরাধবোধে জর্জরিত লেডি ম্যাকবেথ তার হাতের কাল্পনিক রক্তের দাগ ধুতে না পেরে এই কথাগুলো বলেছিলেন। তার মনে হচ্ছিল যেন আরবের সমস্ত সুগন্ধিও তার হাতের এই সামান্য রক্তের দাগের দুর্গন্ধ দূর করতে পারবে না। এটি তার গভীর অনুশোচনা এবং মানসিক যন্ত্রণাকে প্রকাশ করে।
১৪০. ‘Where are the songs of Spring? Aye, where are they? Think not of them, thou hast thy music too.’ -Who wrote this?
[ বিসিএস ৪০তম ]
এই বিখ্যাত পঙক্তিগুলো জন কীটসের (John Keats) কবিতা "Ode to Autumn" থেকে নেওয়া হয়েছে।
বাংলা অনুবাদ:
"কোথায় বসন্তের গান? হ্যাঁ, কোথায় তারা? তাদের কথা ভেবো না, তোমারও তো আছে তোমার সঙ্গীত।"
এমিলি ব্রন্টের 'উদারিং হাইটস' উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র হলেন Heathcliff (হিথক্লিফ)।
হিথক্লিফের আবেগ, প্রতিশোধস্পৃহা এবং ক্যাথরিনের প্রতি তার তীব্র ভালোবাসা পুরো গল্পটিকে চালিত করে। যদিও ক্যাথরিন একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র, হিথক্লিফের জীবন এবং কর্মই উপন্যাসের মূল কেন্দ্রবিন্দু।
১৪২. ‘The old order changeth, yielding place to new’ This line is extracted from Tennyson’s poem –
[ বিসিএস ৪০তম ]
এই বিখ্যাত পঙক্তিটি টেনিসনের কবিতা Morte d’ Arthur থেকে নেওয়া হয়েছে।
বাংলা অনুবাদ:
"পুরাতন প্রথা বদলায়, নতুনের জন্য স্থান ছেড়ে দেয়।"
এই কবিতাটি রাজা আর্থারের কিংবদন্তীর শেষ সময়ের বর্ণনা করে এবং পরিবর্তন ও নতুনত্বের অনিবার্যতা তুলে ধরে।
১৪৩. Who has written the poem “The Good Morrow”?
[ বিসিএস ৪০তম ]
"The Good Morrow" কবিতাটি লিখেছেন John Donne।
জন ডান ছিলেন একজন ইংরেজ কবি, পণ্ডিত, এবং অ্যাংলিকান যাজক। তিনি মেটাফিজিক্যাল কবিতার অন্যতম প্রধান কবি হিসেবে পরিচিত। "The Good Morrow" তার বিখ্যাত প্রেমের কবিতাগুলোর মধ্যে অন্যতম।
১৪৪. ‘Please write to me at the above address’ The word ‘above’ in this sentence is a/an –
[ বিসিএস ৪০তম ]
এই বাক্যে "above" শব্দটি "address" (ঠিকানা) বিশেষ্যটিকে মডিফাই করছে না, বরং "write" (লিখুন) ক্রিয়াটিকে মডিফাই করছে। এটি বোঝাচ্ছে যে কোথায় লিখতে হবে - "উপরের ঠিকানায়"। যেহেতু এটি একটি ক্রিয়াকে মডিফাই করছে, তাই এটি একটি adverb (ক্রিয়া বিশেষণ)।
যদি "above" কোনো বিশেষ্যের আগে বসে তাকে মডিফাই করত, তবে সেটি adjective হতো (যেমন: "the above address")। কিন্তু এই বাক্যে "at the above address" একটি adverbial phrase হিসেবে কাজ করছে।
১৪৫. In which sentence is the word ‘past’ used as a preposition?
[ বিসিএস ৪০তম ]
সঠিক উত্তর হলো I called out to him as he ran past.
এই বাক্যটিতে 'past' শব্দটি একটি স্থানবাচক preposition হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে, যার অর্থ 'পাশ দিয়ে'। এটি 'ran' ক্রিয়াটির গতিপথ নির্দেশ করছে - সে আমার পাশ দিয়ে দৌড়ে গেল।
অন্যান্য বাক্যগুলোতে 'past'-এর ব্যবহার ভিন্ন:
- কঃ Writing letters is a thing of the past. - এখানে 'past' একটি noun (বিশেষ্য) হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে, যার অর্থ 'অতীত'।
- খঃ I look back on the past without regret. - এখানে 'past' একটি noun (বিশেষ্য) হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে, যার আগে preposition 'on' বসেছে।
- ঘঃ Tania was a wonderful singer, but she’s past her prime. - এখানে 'past' একটি adjective (বিশেষণ) হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে, যার অর্থ 'অতীতের' বা 'সময়ের শেষ প্রান্তে'।
১৪৬. The word ‘sibling’ means-
[ বিসিএস ৪০তম ]
সঠিক উত্তর হলো a brother or sister।
'Sibling' শব্দটি দ্বারা ভাই অথবা বোন উভয়কেই বোঝানো হয়। এটি এমন একটি শব্দ যা একই পিতামাতার সন্তান (ছেলে বা মেয়ে) উভয়ের জন্যই ব্যবহার করা যেতে পারে।
অন্যান্য অপশনগুলোর অর্থ:
- a brother: একজন ভাই।
- a sister: একজন বোন।
- an infant: একটি শিশু (খুব ছোট)।
১৪৭. Fill in the blank:
As she was talking, he suddenly broke ___, saying, ‘That's a lie!’
[ বিসিএস ৪০তম ]
সঠিক phrase হলো break in, যার অর্থ হলো কোনো আলোচনা বা বক্তৃতার মধ্যে হঠাৎ করে বাধা দেওয়া বা কথা বলা শুরু করা।
সুতরাং, সম্পূর্ণ বাক্যটি হবে: "As she was talking, he suddenly broke in, saying, ‘That's a lie!’"
বাংলায় এর অর্থ: "যখন সে কথা বলছিল, তখন সে হঠাৎ বাধা দিয়ে বলল, 'ওটা মিথ্যা!'"
সঠিক phrase হলো feel like (doing something), যার অর্থ হলো কোনো কিছু করতে ইচ্ছে করা বা মন চাওয়া।
সুতরাং, সম্পূর্ণ বাক্যটি হবে: "You may go for a walk if you feel like it।"
বাংলায় এর অর্থ: "যদি তোমার ইচ্ছে করে, তবে তুমি হাঁটতে যেতে পারো।"
১৪৯. ‘The Rape of the Lock’ by Alexander Pope is a/an –
[ বিসিএস ৪০তম ]
"The Rape of the Lock" আলেকজান্ডার পোপের একটি বিখ্যাত mock-heroic poem (নকল বীরত্বগাথা)। এই ধরনের কবিতায় তুচ্ছ বা লঘু বিষয়কে মহাকাব্যিক বা বীরত্বপূর্ণ ভঙ্গিতে উপস্থাপন করা হয়, যা হাস্যরস সৃষ্টি করে। পোপ এখানে একটি সামাজিক ঘটনাকে (লর্ড পেটারের দ্বারা অ্যারাবেলা ফেরার্মরের চুলের একটি লহর কেটে নেওয়া) মহাকাব্যের আঙ্গিকে বর্ণনা করেছেন।
১৫০. Which of the following is not an American poet?
[ বিসিএস ৪০তম ]
উইলিয়াম বাটলার ইয়েটস (W.B Yeats) ছিলেন একজন আইরিশ কবি এবং নাট্যকার। তিনি আয়ারল্যান্ডের অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক হিসেবে বিবেচিত হন এবং ১৯২৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
অন্যান্য কবিগণ আমেরিকান:
- Robert Frost: একজন বিখ্যাত আমেরিকান কবি।
- Emily Dickinson: উনিশ শতকের একজন গুরুত্বপূর্ণ আমেরিকান কবি।
- Langston Hughes: হারলেম রেনেসাঁসের একজন কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব এবং আমেরিকান কবি।
১৫১. William Shakespeare was born in-
[ বিসিএস ৪০তম ]
উইলিয়াম শেক্সপিয়র ছিলেন একজন ইংরেজ নাট্যকার, কবি এবং অভিনেতা। তাকে ইংরেজি ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ লেখক এবং বিশ্বের সেরা নাট্যকারদের একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তার কাজগুলো বিশ্ব সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ।
শেক্সপিয়রের কয়েকটি বিখ্যাত নাটক:
- হ্যামলেট (Hamlet)
- ম্যাকবেথ (Macbeth)
- ওথেলো (Othello)
- কিং লিয়ার (King Lear)
- রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট (Romeo and Juliet)
- দ্য টেম্পেস্ট (The Tempest)
- আ মিডসামার নাইট'স ড্রিম (A Midsummer Night's Dream)
- দ্য মার্চেন্ট অফ ভেনিস (The Merchant of Venice)
তার কবিতাগুলোর মধ্যে সনেট (Sonnet) বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। শেক্সপিয়র ১৫৪টি সনেট রচনা করেছেন।
শেক্সপিয়র ১৫৬৪ সালে ইংল্যান্ডের স্ট্র্যাটফোর্ড-আপন-অ্যাভনে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৬১৬ সালে সেখানেই মারা যান। তার জীবন এবং কর্ম আজও সাহিত্যপ্রেমীদের কাছে আগ্রহের বিষয়।
১৫২. H.323 Protocol সাধারণত কি কাজে ব্যবহৃত হয়?
[ বিসিএস ৪০তম ]
H.323 প্রোটোকল সাধারণত VoIP (Voice over Internet Protocol) এবং ভিডিও কনফারেন্সিং এর জন্য ব্যবহৃত হয়।
সহজভাবে বলতে গেলে, এটি এমন একটি প্রোটোকল যা প্যাকেট-ভিত্তিক নেটওয়ার্কের (যেমন ইন্টারনেট) মাধ্যমে অডিও, ভিডিও এবং ডেটা আদান-প্রদান করার জন্য নিয়মকানুন নির্ধারণ করে। এর মূল কাজ হলো বিভিন্ন সিস্টেম এবং ডিভাইসের মধ্যে আন্তঃকার্যকারিতা (interoperability) নিশ্চিত করা, যাতে ব্যবহারকারীরা নির্বিঘ্নে যোগাযোগ করতে পারে।
H.323 প্রোটোকল নিম্নলিখিত কাজগুলোতে বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়:
- ভয়েস কল (VoIP): ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভয়েস ডেটা প্রেরণ এবং গ্রহণ করার জন্য।
- ভিডিও কনফারেন্সিং: একাধিক অংশগ্রহণকারীর মধ্যে ভিডিও এবং অডিও সংযোগ স্থাপন করার জন্য।
- মাল্টিমিডিয়া কমিউনিকেশন: গ্রাফিক্স এবং টেক্সট ডকুমেন্ট স্থানান্তর এবং শেয়ার করার জন্য।
H.323 একটি পুরনো এবং জটিল প্রোটোকল হলেও, এটি দীর্ঘকাল ধরে ভয়েস এবং ভিডিও যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বর্তমানে SIP (Session Initiation Protocol) নামক আরেকটি প্রোটোকল VoIP এবং ভিডিও কনফারেন্সিং এর জন্য বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করেছে, তবে H.323 এখনও অনেক পুরনো সিস্টেমে ব্যবহৃত হয়।
মুদ্রিত লেখা সরাসরি ইনপুট নেওয়ার জন্য খঃ OCR (Optical Character Recognition) ব্যবহৃত হয়।
OCR একটি প্রযুক্তি যা মুদ্রিত বা হাতে লেখা অক্ষরকে ইলেকট্রনিক টেক্সট ডেটাতে রূপান্তরিত করে। এর মাধ্যমে কাগজের নথি স্ক্যান করে সেগুলোকে কম্পিউটারে সম্পাদনাযোগ্য টেক্সটে পরিবর্তন করা যায়।
অন্যান্য বিকল্পগুলোর ব্যবহার:
- OMR (Optical Mark Recognition): এটি কাগজপত্রে চিহ্নিত দাগ বা চিহ্ন (যেমন - বৃত্ত ভরাট করা) শনাক্ত করার জন্য ব্যবহৃত হয়, যেমন বহু নির্বাচনী পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন।
- MICR (Magnetic Ink Character Recognition): এটি বিশেষ চৌম্বকীয় কালি দিয়ে মুদ্রিত অক্ষর শনাক্ত করার জন্য ব্যবহৃত হয়, যা সাধারণত ব্যাংক চেকের নীচে দেখা যায়।
- Scanner: এটি একটি ডিভাইস যা কোনো ছবি বা ডকুমেন্টকে ডিজিটাল ইমেজে রূপান্তরিত করে, কিন্তু সরাসরি টেক্সট হিসেবে ইনপুট নিতে OCR সফটওয়্যারের প্রয়োজন হয়। স্ক্যানার হলো OCR প্রক্রিয়ার একটি অংশ।
একটি রিলেশনাল ডাটাবেস মডেলে Tables (টেবিল) দ্বারা Relation প্রকাশ করা হয়।
রিলেশনাল ডাটাবেসে ডেটা টেবিলের আকারে সংগঠিত থাকে। প্রতিটি টেবিল একটি নির্দিষ্ট সত্তা (Entity) বা সম্পর্ককে (Relationship) উপস্থাপন করে। টেবিলের সারিগুলো (Rows) ডেটার এক একটি রেকর্ড বা টাপল (Tuple) এবং কলামগুলো (Columns) অ্যাট্রিবিউট (Attribute) বা বৈশিষ্ট্য ধারণ করে।
সুতরাং, টেবিল হলো সেই কাঠামো যার মাধ্যমে রিলেশনশিপগুলো ডাটাবেসে সংজ্ঞায়িত এবং উপস্থাপন করা হয়।
১৫৫. Bluetooth কিসের উদাহরণ?
[ বিসিএস ৪০তম ]
ব্লুটুথ হলো স্বল্প-দূরত্বের ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন প্রযুক্তি। এটি সাধারণত ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয় এবং খুব কম দূরত্বে (সাধারণত ১০ মিটারের মধ্যে, ক্ষেত্রবিশেষে ১০০ মিটার পর্যন্ত হতে পারে) ডিভাইসগুলোর মধ্যে ডেটা আদান-প্রদান করতে ব্যবহৃত হয়। এই কারণে, ব্লুটুথ Personal Area Network (PAN)-এর একটি উদাহরণ।
অন্যান্য বিকল্পগুলোর ব্যাখ্যা:
- Local Area Network (LAN): এটি একটি সীমিত ভৌগোলিক এলাকার মধ্যে (যেমন - বাড়ি, অফিস, স্কুল) কম্পিউটার এবং অন্যান্য ডিভাইসগুলোকে সংযুক্ত করে। ব্লুটুথের কভারেজ এর থেকে অনেক কম।
- Virtual Private Network (VPN): এটি একটি পাবলিক নেটওয়ার্কের (যেমন ইন্টারনেট) উপর একটি সুরক্ষিত এবং এনক্রিপ্টেড সংযোগ তৈরি করে, যা ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা রক্ষা করে। ব্লুটুথ ডেটা সংযোগের একটি মাধ্যম, কোনো ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক নয়।
১৫৬. মোবাইল ফোনে কোন Mode এর যোগাযোগ হয়?
[ বিসিএস ৪০তম ]
মোবাইল ফোনে সাধারণত Full-duplex মোডের যোগাযোগ হয়।
Full-duplex যোগাযোগ ব্যবস্থায় একই সময়ে উভয় প্রান্ত থেকে ডেটা আদান-প্রদান করা সম্ভব। অর্থাৎ, যখন একজন কথা বলেন, অন্যজন একই সাথে শুনতে পারেন এবং তিনিও কথা বলতে পারেন। টেলিফোন এবং মোবাইল ফোনের কথোপকথন এই Full-duplex ব্যবস্থার একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
অন্যান্য মোডগুলোর ব্যাখ্যা:
- Simplex: এই মোডে যোগাযোগ একমুখী হয়, অর্থাৎ শুধুমাত্র একজন ডেটা পাঠাতে পারে এবং অন্যজন শুধুমাত্র গ্রহণ করতে পারে (যেমন: রেডিও সম্প্রচার)।
- Half-duplex: এই মোডে উভয় প্রান্ত থেকেই ডেটা আদান-প্রদান করা যায়, তবে একই সময়ে নয়। যখন একজন ডেটা পাঠায়, তখন অন্যজনকে অপেক্ষা করতে হয় এবং ডেটা পাঠানো শেষ হলে সে পাঠাতে পারে (যেমন: ওয়াকি-টকি)।
যেহেতু মোবাইল ফোনে একই সাথে কথা বলা ও শোনা যায়, তাই এটি Full-duplex যোগাযোগের উদাহরণ।
১৫৭. Firewall কি protection দেয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়?
[ বিসিএস ৪০তম ]
ফায়ারওয়াল মূলত আপনার কম্পিউটার বা নেটওয়ার্ককে অননুমোদিত অ্যাক্সেস (Unauthorized access) থেকে রক্ষা করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি একটি সুরক্ষা ব্যবস্থা যা আপনার নেটওয়ার্কে আসা এবং নেটওয়ার্ক থেকে বাইরে যাওয়া ডেটা ট্র্যাফিক নিরীক্ষণ করে এবং পূর্বনির্ধারিত সুরক্ষা নীতির ভিত্তিতে কোন ট্র্যাফিককে অনুমতি দেওয়া হবে এবং কোনটিকে ব্লক করা হবে তা নির্ধারণ করে।
অন্যান্য বিকল্পগুলোর ব্যাখ্যা:
- Fire attacks: আগুনের আক্রমণ থেকে ফায়ারওয়াল কোনো সুরক্ষা দিতে পারে না। এটি একটি লজিক্যাল সুরক্ষা ব্যবস্থা, ভৌত নয়।
- Virus attacks: ফায়ারওয়াল কিছু সাধারণ ভাইরাস বা ম্যালওয়্যারকে নেটওয়ার্কে প্রবেশ করতে বাধা দিতে পারলেও, এটি অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারের মতো ভাইরাস সনাক্তকরণ এবং অপসারণের জন্য ডিজাইন করা হয়নি।
- Data – driven attack: ডেটা-চালিত আক্রমণ একটি বিশেষ ধরনের সাইবার আক্রমণ, ফায়ারওয়াল কিছু ক্ষেত্রে এই ধরনের আক্রমণ প্রতিহত করতে সাহায্য করতে পারে, তবে এর প্রধান কাজ অননুমোদিত অ্যাক্সেস রোধ করা।
১৫৮. TV Remote এর Carrier Frequency-র Range কত?
[ বিসিএস ৪০তম ]
টিভি রিমোট সাধারণত Infrared range এর ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে।
যদিও কিছু আধুনিক রিমোট রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি (RF) ব্যবহার করতে পারে, তবে বেশিরভাগ টিভি রিমোট ইনফ্রারেড (IR) রশ্মি ব্যবহার করে। ইনফ্রারেড রশ্মি ইলেকট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রামের একটি অংশ, যার তরঙ্গদৈর্ঘ্য দৃশ্যমান আলোর চেয়ে দীর্ঘ এবং মাইক্রোওয়েভের চেয়ে ছোট।
ইনফ্রারেড রশ্মির ফ্রিকোয়েন্সি প্রায় 300 GHz থেকে 430 THz পর্যন্ত বিস্তৃত। টিভি রিমোট কন্ট্রোলে ব্যবহৃত ইনফ্রারেড এলইডি সাধারণত 940 ন্যানোমিটার তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো নির্গত করে, যা প্রায় 320 THz ফ্রিকোয়েন্সির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। এই ফ্রিকোয়েন্সি মানব চোখে দৃশ্যমান নয়।
রিমোট কন্ট্রোল একটি নির্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্সিতে (সাধারণত প্রায় 38 kHz) ইনফ্রারেড আলো মড্যুলেট করে ডেটা প্রেরণ করে। টিভি রিসিভার সেই নির্দিষ্ট মড্যুলেশন ফ্রিকোয়েন্সিতে টিউন করা থাকে এবং অন্য কোনো ইনফ্রারেড সংকেতকে উপেক্ষা করে।
১৫৯. নিচের কোনটি Octal number নয়?
[ বিসিএস ৪০তম ]
অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতিতে (Octal number system) শুধুমাত্র ০ থেকে ৭ পর্যন্ত অঙ্ক ব্যবহার করা হয়।
অতএব, নিচের সংখ্যাগুলোর মধ্যে কঃ 19 একটি অক্টাল সংখ্যা নয়, কারণ এতে ৯ অঙ্কটি রয়েছে যা অক্টাল পদ্ধতির বাইরে।
অন্যান্য সংখ্যাগুলো বিশ্লেষণ করা যাক:
- খঃ 77: এই সংখ্যাটিতে শুধুমাত্র ৭ অঙ্কটি রয়েছে, যা অক্টাল পদ্ধতির অন্তর্ভুক্ত।
- গঃ 15: এই সংখ্যাটিতে ১ এবং ৫ অঙ্ক দুটিই রয়েছে, যা অক্টাল পদ্ধতির অন্তর্ভুক্ত।
- ঘঃ 101: এই সংখ্যাটিতে ১ এবং ০ অঙ্ক দুটিই রয়েছে, যা অক্টাল পদ্ধতির অন্তর্ভুক্ত।
১৬০. Time-shared OS- এর জন্য কোন sheduling policy সবচেয়ে ভাল?
[ বিসিএস ৪০তম ]
টাইম-শেয়ারড অপারেটিং সিস্টেমের জন্য সবচেয়ে ভালো শেডিউলিং পলিসি হলো Round-robin।
রাউন্ড-রবিন শেডিউলিং পলিসি প্রতিটি প্রসেসকে সিপিইউ ব্যবহারের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ করে (টাইম স্লাইস বা টাইম কোয়ান্টাম)। যদি একটি প্রসেস তার বরাদ্দকৃত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারে, তবে সিপিইউ পরবর্তী প্রসেসে চলে যায় এবং প্রথম প্রসেসটি আবার তার সুযোগের জন্য অপেক্ষা করে। এই প্রক্রিয়াটি চক্রাকারে চলতে থাকে।
টাইম-শেয়ারড সিস্টেমে, ব্যবহারকারীদের কাছে দ্রুত এবং ইন্টারেক্টিভ প্রতিক্রিয়া প্রদান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাউন্ড-রবিন এই কাজটি খুব ভালোভাবে করে কারণ এটি নিশ্চিত করে যে কোনো একটি প্রসেস দীর্ঘ সময়ের জন্য সিপিইউ দখল করে রাখবে না, এবং প্রতিটি প্রসেস অল্প সময়ের ব্যবধানে সিপিইউ ব্যবহারের সুযোগ পাবে। এর ফলে ব্যবহারকারীরা মসৃণ এবং দ্রুত প্রতিক্রিয়া অনুভব করেন।
১৬১. নিচের কোনটি এর বাইনারী রূপ?
[ বিসিএস ৪০তম ]
হেক্সাডেসিমাল অঙ্ক এবং তাদের ৪-বিট বাইনারী সমতুল্য নিচে দেওয়া হলো:
সুতরাং,
১৬২. প্রথম Web browser কোনটি?
[ বিসিএস ৪০তম ]
টিম বার্নার্স-লি ১৯৯০ সালে প্রথম ওয়েব ব্রাউজার তৈরি করেন এবং এর নাম দেন WorldWideWeb। পরবর্তীতে প্রোগ্রাম এবং ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের মধ্যে বিভ্রান্তি এড়াতে এর নাম পরিবর্তন করে Nexus রাখা হয়।
১৬৩. Social Networking Site – এ যোগাযোগে কোন media ব্যবহৃত হয়?
[ বিসিএস ৪০তম ]
সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোতে যোগাযোগের জন্য image (ছবি), video (ভিডিও), audio (অডিও) এবং text (পাঠ্য) - এই সবগুলো মাধ্যমই ব্যবহৃত হয়।
ব্যবহারকারীরা তাদের চিন্তা, মতামত, অভিজ্ঞতা, ছবি, ভিডিও এবং অডিও বিভিন্ন ফরম্যাটে অন্যদের সাথে শেয়ার করে এবং অন্যদের পোস্ট করা কন্টেন্ট দেখতে ও শুনতে পারে। টেক্সট মেসেজ, অডিও এবং ভিডিও কলিংয়ের মাধ্যমে সরাসরি যোগাযোগও স্থাপন করা যায়।
১৬৪. CPU কোন address generate করে?
[ বিসিএস ৪০তম ]
মোবাইল ফোনে খঃ Logical Address এর মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন হয়।
আসলে, সিপিইউ সরাসরি ফিজিক্যাল অ্যাড্রেস ব্যবহার করে না। যখন একটি প্রোগ্রাম চলে, তখন সিপিইউ লজিক্যাল অ্যাড্রেস (Logical Address) তৈরি করে। এই লজিক্যাল অ্যাড্রেস ভার্চুয়াল মেমোরির একটি অংশ এবং এটি ফিজিক্যাল মেমোরির প্রকৃত অবস্থান নির্দেশ করে না।
অপারেটিং সিস্টেমের মেমরি ম্যানেজমেন্ট ইউনিট (MMU - Memory Management Unit) এই লজিক্যাল অ্যাড্রেসকে ফিজিক্যাল অ্যাড্রেসে (Physical Address) অনুবাদ করে, যা আসলে RAM-এর নির্দিষ্ট লোকেশন। এই অনুবাদ প্রক্রিয়াটিকে অ্যাড্রেস ট্রান্সলেশন বলা হয়।
মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রেও একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়। অ্যাপ্লিকেশন এবং প্রসেসগুলো লজিক্যাল অ্যাড্রেস ব্যবহার করে এবং অপারেটিং সিস্টেম সেই অ্যাড্রেসগুলোকে ফিজিক্যাল অ্যাড্রেসে ম্যাপ করে ডেটা অ্যাক্সেস করে।
সুতরাং, সিপিইউ প্রাথমিকভাবে লজিক্যাল অ্যাড্রেস তৈরি করে।
১৬৫. নিচের কোন প্রােগ্রামটি একটি সম্পূর্ণ কম্পিউটার প্রোগ্রামকে একবারে অনুবাদ ও সম্পাদন করে?
[ বিসিএস ৪০তম ]
কম্পাইলার (Compiler) একটি প্রোগ্রাম যা একটি উচ্চ-স্তরের প্রোগ্রামিং ভাষার লেখা সম্পূর্ণ কোডকে একবারে মেশিন কোডে (কম্পিউটারের বোধগম্য ভাষা) অনুবাদ করে। এই অনুবাদ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরে, কম্পিউটার সেই মেশিন কোডটি সরাসরি সম্পাদন করতে পারে।
অন্যদিকে:
- Interpreter: ইন্টারপ্রেটার (Interpreter) একটি উচ্চ-স্তরের প্রোগ্রামিং ভাষার কোডকে লাইন বাই লাইন অনুবাদ করে এবং সাথে সাথেই সম্পাদন করে। এটি সম্পূর্ণ প্রোগ্রামকে একবারে অনুবাদ করে না।
- Emulator: ইমুলেটর (Emulator) একটি সিস্টেম (যেমন একটি কম্পিউটার বা ভিডিও গেম কনসোল) কে অন্য একটি সিস্টেমের মতো আচরণ করতে সক্ষম করে। এটি প্রোগ্রাম অনুবাদ বা সম্পাদনের সাথে সরাসরি জড়িত নয়।
- Simulator: সিমুলেটর (Simulator) বাস্তব জগতের কোনো প্রক্রিয়া বা সিস্টেমের আচরণকে অনুকরণ করে। এটিও প্রোগ্রাম অনুবাদ বা সম্পাদনের সাথে সরাসরি জড়িত নয়।
১৬৬. নিচের কোনটি একই সাথে ইনপুট ও আউটপুট হিসেবে কাজ করে?
[ বিসিএস ৪০তম ]
(Touch Screen) টাচ স্ক্রিন একই সাথে ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস হিসেবে কাজ করে।
- ইনপুট (Input): যখন আপনি টাচ স্ক্রিনে স্পর্শ করেন, তখন এটি আপনার স্পর্শের অবস্থান শনাক্ত করে এবং সেই অনুযায়ী কম্পিউটারে সংকেত পাঠায়। এটি মাউসের ক্লিকের মতো কাজ করে এবং আপনাকে বিভিন্ন অপশন নির্বাচন করতে, টাইপ করতে বা স্ক্রল করতে সাহায্য করে।
- আউটপুট (Output): টাচ স্ক্রিন ডিসপ্লের মাধ্যমে কম্পিউটার থেকে তথ্য প্রদর্শন করে। আপনি টেক্সট, ছবি, ভিডিও এবং অন্যান্য গ্রাফিক্যাল উপাদান দেখতে পারেন।
অন্যান্য ডিভাইসগুলোর কাজ আলাদা:
- Mouse: শুধুমাত্র ইনপুট ডিভাইস, যা কার্সর নিয়ন্ত্রণ এবং ক্লিক করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
- Microphone: শুধুমাত্র ইনপুট ডিভাইস, যা শব্দকে ইলেকট্রনিক সংকেতে রূপান্তরিত করে।
- Printer: শুধুমাত্র আউটপুট ডিভাইস, যা ইলেকট্রনিক ডকুমেন্টকে কাগজে মুদ্রণ করে।
১৬৭. ঢাকা থেকে হংকং হয়ে প্লেন নিউইয়র্কে যাওয়ার সময় দিনের সময়কালকে অপেক্ষাকৃত ছোট মনে হয়, কেন?
[ বিসিএস ৪০তম ]
প্রশ্ন: ঢাকা থেকে হংকং হয়ে প্লেন নিউইয়র্কে যাওয়ার সময় দিনের সময়কালকে অপেক্ষাকৃত ছোট মনে হয়, কেন? পৃথিবী পূর্ব দিক থেকে পশ্চিম দিকে ঘোরে। ফলে যখন আপনি একটি প্লেনে পূর্ব থেকে পশ্চিম (যেমন: ঢাকা → হংকং → নিউইয়র্ক) দিকে ভ্রমণ করেন, তখন আপনি সূর্যের গতিপথের বিপরীতে চলছেন। এই কারণে সময়ের অনুভূতি অনুযায়ী দিনের সময় তুলনামূলক ছোট মনে হয়।
এটি একটি Time Zone Effect এবং পৃথিবীর Rotation (অক্ষীয় ঘূর্ণন)–এর কারণে ঘটে।
১৬৮. নিচের কোন পূর্ণ সংখ্যাটি ৩, ৪, ৫ এবং ৬ দ্বারা ভাগ করলে যথাক্রমে ১, ২, ৩ ও ৪ অবশিষ্ট থাকে?
[ বিসিএস ৪০তম ]
প্রশ্নানুসারে, সংখ্যাটিকে ৩, ৪, ৫ এবং ৬ দ্বারা ভাগ করলে যথাক্রমে ১, ২, ৩ ও ৪ অবশিষ্ট থাকে। এটিকে আমরা গাণিতিকভাবে এভাবে লিখতে পারি:
লক্ষ করলে দেখা যায়, প্রতিটি ক্ষেত্রে ভাজক এবং অবশিষ্টের মধ্যে পার্থক্য একই:
এর মানে হলো, যদি আমরা
এখন আমরা ৩, ৪, ৫ এবং ৬ এর LCM বের করি:
৩ = ৩
৪ =
৫ = ৫
৬ =
LCM(৩, ৪, ৫, ৬) =
সুতরাং,
অতএব, সেই পূর্ণ সংখ্যাটি হলো ৫৮।
১৬৯. পনির ও তপনের আয়ের অনুপাত ৪ : ৩। তপন ও রবিনের আয়ের অনুপাত ৫ : ৪। পনিরের আয় ১২০ টাকা হলে, রবিনের আয় কত?
[ বিসিএস ৪০তম ]
প্রশ্নানুসারে, পনিরের আয় ১২০ টাকা।
সুতরাং,
অতএব, তপনের আয়
এখন, তপন ও রবিনের আয়ের অনুপাত ৫ : ৪।
ধরি, তপনের আয়
আমরা জানি, তপনের আয় ৯০ টাকা।
সুতরাং,
অতএব, রবিনের আয়
সুতরাং, রবিনের আয় ৭২ টাকা।
১৭০. ৪৫০ টাকা বার্ষিক ৬% সুদে কত বছরে সুদে- আসলে ৫৫৮ টাকা হবে?
[ বিসিএস ৪০তম ]
বার্ষিক সুদের হার
সুদে-আসলে
সুতরাং, সুদ
আমরা জানি, সরল সুদের ক্ষেত্রে, সুদ
এখন, আমরা
সুতরাং, ৪ বছরে সুদে-আসলে ৫৫৮ টাকা হবে।
১৭১. একটি মোটর সাইকেল ১২% ক্ষতিতে বিক্রি করা হল। যদি বিক্রয় মূল্য ১২০০ টাকা বেশি হতো, তাহলে ৮% লাভ হত। মোটর সাইকেলের ক্রয় মূল্য –
[ বিসিএস ৪০তম ]
প্রথম ক্ষেত্রে, ১২% ক্ষতিতে বিক্রয় মূল্য ছিল:
বিক্রয় মূল্য = ক্রয় মূল্য - ক্ষতির পরিমাণ
বিক্রয় মূল্য =
দ্বিতীয় ক্ষেত্রে, যদি বিক্রয় মূল্য ১২০০ টাকা বেশি হতো, তাহলে বিক্রয় মূল্য হত
বিক্রয় মূল্য = ক্রয় মূল্য + লাভের পরিমাণ
এখন,
সুতরাং, মোটর সাইকেলের ক্রয় মূল্য ৬০০০ টাকা।
১৭২. এর মান কত?
[ বিসিএস ৪০তম ]
এখানে,
সুতরাং,
এখন, প্রদত্ত রাশিমালাটিকে আমরা লিখতে পারি:
সুতরাং,
১৭৩. এর সমাধান সেট কোনটি?
[ বিসিএস ৪০তম ]
আমরা
প্রথমে, আমরা
এরপর, উভয় পক্ষে
সুতরাং, অসমীকরণটির সমাধান হলো
যেখানে
যদি অপশন দেওয়া থাকে, তবে
১৭৪. সমীকরণে মূলদ্বয়ে প্রকৃতি কোনটি?
[ বিসিএস ৪০তম ]
প্রদত্ত সমীকরণের সাথে তুলনা করে আমরা পাই:
এখন, নিরূপক
যেহেতু নিরূপক
- বাস্তব (real)
- অসমান (unequal)
- অমূলদ (irrational)
সুতরাং,
১৭৫. যদি হয়, তবে, = কত?
[ বিসিএস ৪০তম ]
আমরা
এখন আমরা
সুতরাং,
এখন আমরা
এখানে
আমরা জানি
সুতরাং, যদি
১৭৭. কোন শর্তে
[ বিসিএস ৪০তম ]
এটি তখনই বৈধ যখন বেস
ছবিটি দেখে নিচের প্রশ্নের উত্তর দাও:

১৭৮. চিত্রে ∠PQR = 55°, ∠LRN = 90° এবং PQ || MR, PQ = PR হলে, ∠NRP এর মান নিচের কোনটি?
[ বিসিএস ৪০তম ]
চিত্রে ∆ PQR একটি সমদ্বিবাহু ত্রিভুজ। এ খন, ∆ PQR- এর যেহেতু PQ= PR, তাই ∠PQR=∠PRQ ∴∠PQR=∠PRQ=55° আবার, ∠LRN=∠NRQ=90° ∴∠NRP=90°-∠PRQ =90-55° =35°
এখানে, P = {1,2,3,4,6,12} [12 এর গুণনীয়ক]
আবার, Q = {3,6,9,12} [যেহেতু 3 এর গুণিতক এবং x ≤ 12]
∴ P - Q = {1,2,3,4,6,12} - {3,6,9,12}
= {1,2,4}
১৮২. শুদ্ধ বানান কোনটি?
[ বিসিএস ৪০তম ]
অধোগতি শব্দের অর্থ অবনতি। সন্ধিতে গঠিত। যেমন- অধঃ + গতি = অধোগতি, মনঃ + গত = মনোগত, বয়ঃ + জ্যেষ্ঠ = বয়োজ্যেষ্ঠ , সদ্যঃ + জাত = সদ্যোজাত
ক, খ, গ, ঘ, ঙ, চ, ছ, জ, ঝ, ঞ, ট, ঠ, ড, ঢ, ণ, ত, থ, দ, ধ, ন, প, ফ, ব, ভ, ম সুতরাং ‘ম’ অক্ষরটির পূর্বের পঞ্চম অক্ষরটি হলো ‘ন’।
১৮৫. যদি ABC = ZYX হয়, তবে GIVV = ?
[ বিসিএস ৪০তম ]
A কে Z,
B কে Y,
C কে X দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। অর্থাৎ ইংরেজি বর্ণমালার প্রতিটি অক্ষরকে তার বিপরীত অক্ষরে রূপান্তর করা হয়েছে।
ইংরেজি বর্ণমালা:
A (1), B (2), C (3), ..., Z (26)
তাহলে প্রতিটি অক্ষরের মানকে
এখন এর ক্ষেত্রে:
* G এর স্থান = 7
* I এর স্থান = 9
* V এর স্থান = 22
* V আবার 22 → E
তাই:
১৮৭. রাস্তা সমান করার রোলার সরাবার জন্য সহজ হবে , যদি রোলারকে –
[ বিসিএস ৪০তম ]
রাস্তা সমান করার রোলার সরানোর জন্য সহজ হবে যদি রোলারকে টেনে নিয়ে যাওয়া যায়।
এর কারণ হলো যখন রোলারকে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন প্রয়োগ করা বলের একটি অংশ রোলারের ওজনকে কিছুটা হলেও কমিয়ে দেয়। ফলে রোলারটিকে সরাতে কম ঘর্ষণ বলের প্রয়োজন হয়।
অন্যদিকে, যখন রোলারকে ঠেলে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন প্রয়োগ করা বলের একটি অংশ রোলারের ওজনকে আরও বাড়িয়ে দেয়, যার ফলে ঘর্ষণ বল বৃদ্ধি পায় এবং রোলারটিকে সরাতে বেশি শক্তির প্রয়োজন হয়।
তুলে নিয়ে যাওয়া বাস্তবসম্মত নয় কারণ রোলার অনেক ভারী হয়। আর সমান সহজ হওয়ার কোনো কারণ নেই, কারণ ঠেলা এবং টানার ক্ষেত্রে বলের প্রয়োগের দিক ভিন্ন হওয়ার কারণে ঘর্ষণের উপর আলাদা প্রভাব পড়ে।
১৮৯. যদি চ × G = ৮২ হয়, তবে J × ট = ?
[ বিসিএস ৪০তম ]
চ × G = ৪২ হলে উত্তর হবে ১১০। চ × G = ৪২ [যেখানে চ বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণের ৬ষ্ঠ এবং G ইংরেজী বর্ণমালার ৭ম বর্ণ। তাই, চ × G = ৬ × ৭ = ৪২]
এখন, J × ট = ১০ × ১১ = ১১০।
ছবিটি দেখে নিচের প্রশ্নের উত্তর দাও:

১৯০. নিচের কোনটি সঠিক চিত্র?
[ বিসিএস ৪০তম ]




প্রথম বৃত্তে পরস্পর বিপরীত দিকে দুটি তীর চিহ্ন রয়েছে। যেখানে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বৃত্তে পরস্পর বিপরীত দিকে একটি করে তীর চিহ্ন রযেছে। একইভাবে যেহেতু চতুর্থ চিত্রটির ত্রিভুজে পরস্পর বিপরীত দিকে দুটি ছোট বৃত্ত রয়েছে। তাই পঞ্চম চিত্রটিতে যে দিকে ছোট বৃত্ত রয়েছে ষষ্ঠ চিত্রটিতে তার বিপরীত দিকে ছোট বৃত্ত থাকবে। অর্থাৎ সঠিক উত্তর (ক) হবে।
১৯৩. কোন শব্দগুচ্ছ শুদ্ধ?
[ বিসিএস ৪০তম ]
অশুদ্ধ শব্দসমূহের শুদ্ধরূপ হচ্ছে – আয়ত্ত/অধীন, অদ্যাপি, অহোরাত্র, গড্ডলিকা, কল্যাণ, গৃহস্থ, ইদানীং।
ছবিটি দেখে নিচের প্রশ্নের উত্তর দাও:

১৯৪. ভারসাম্য রক্ষা করতে নির্দেশিত স্থানে কত কেজি ওজন রাখতে হবে?
[ বিসিএস ৪০তম ]
ভারসাম্য রক্ষার জন্য, বাম দিকের মোমেন্ট (moment) ডান দিকের মোমেন্টের সমান হতে হবে। মোমেন্ট হলো বস্তুর উপর প্রযুক্ত বল এবং ঘূর্ণন অক্ষ থেকে সেই বলের লম্ব দূরত্বের গুণফল।
বাম দিকের মোমেন্ট = বল × দূরত্ব = ১০০ কেজি × ৭ মিটার = ৭০০ কেজি-মিটার
ডান দিকের মোমেন্ট = অজানা ওজন × দূরত্ব = অজানা ওজন × ৫ মিটার
ভারসাম্যের জন্য: বাম দিকের মোমেন্ট = ডান দিকের মোমেন্ট ৭০০ কেজি-মিটার = অজানা ওজন × ৫ মিটার
অতএব, অজানা ওজন = ৭০০ কেজি-মিটার / ৫ মিটার = ১৪০ কেজি
সুতরাং, ভারসাম্য রক্ষা করতে নির্দেশিত স্থানে ১৪০ কেজি রাখতে হবে।
১৯৫. একজন ব্যক্তি ভ্রমণে ৪ মাইল উত্তরে, ১২ মাইল পূর্বে , তারপর আবার ১২ মাইল উত্তরে যায় । সে শুরুর স্থান থেকে কত মাইল দূরে?
[ বিসিএস ৪০তম ]
