আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
15

প্রশ্নঃ ২০১৫ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত কপ-২১ এ কত সংখ্যক জাতি অংশগ্রহণ করেছিল?

[ বিসিএস ৩৮তম ]

ক. ১৯৩
খ. ১৬৮
গ. ১৯৯
ঘ. ১৯৬
উত্তরঃ ১৯৬
ব্যাখ্যাঃ

২০১৫ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত কপ-২১ (COP21) ছিল জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন (UNFCCC)-এর ২১তম বার্ষিক সম্মেলন। এই সম্মেলনটি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় একটি ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে আছে, যা প্যারিস চুক্তি (Paris Agreement) নামে পরিচিত।

কপ-২১ (COP21) এর মূল লক্ষ্য ও ফলাফল:

  • লক্ষ্য: কপ-২১ এর প্রধান লক্ষ্য ছিল কিয়োটো প্রোটোকলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় একটি নতুন, সর্বজনীন এবং আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক আন্তর্জাতিক চুক্তি তৈরি করা।
  • প্যারিস চুক্তি (Paris Agreement) স্বাক্ষর: দীর্ঘ আলোচনা এবং দর কষাকষির পর, ১২ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে ১৯৬টি দেশের প্রতিনিধিরা প্যারিস চুক্তিতে সম্মত হন। এটি ছিল বিশ্ব জলবায়ু কূটনীতির একটি যুগান্তকারী অর্জন।
  • প্রধান উদ্দেশ্য: প্যারিস চুক্তির মূল উদ্দেশ্যগুলো ছিল:
    • বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ২° সেলসিয়াসের নিচে রাখা: শিল্প-বিপ্লব পূর্ববর্তী সময়ের তুলনায় বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২° সেলসিয়াসের (বিশেষত ১.৫° সেলসিয়াসের মধ্যে) সীমাবদ্ধ রাখা।
    • উষ্ণায়ন ১.৫° সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখার প্রচেষ্টা: বৈশ্বিক উষ্ণায়নকে ১.৫° সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া, কারণ বিজ্ঞানীরা মনে করেন এর বেশি উষ্ণায়ন হলে জলবায়ুর উপর মারাত্মক বিরূপ প্রভাব পড়বে।
    • কার্বন নিঃসরণ হ্রাস: গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমিয়ে আনা। প্রতিটি দেশকে তাদের নিজস্ব ন্যাশনাল ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন (NDC) বা জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান জমা দিতে বলা হয়, যেখানে তারা কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য তাদের নিজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করবে।
    • অভিযোজন ও আর্থিক সহায়তা: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূল প্রভাব মোকাবিলায় (অভিযোজন) দেশগুলোকে সহায়তা করা এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোকে জলবায়ু অর্থায়ন (Climate Finance) প্রদান করা।
    • স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা: দেশগুলোকে নিয়মিতভাবে তাদের অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দিতে হবে, যা চুক্তির বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে।

গুরুত্ব: প্যারিস চুক্তিকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে দেখা হয় কারণ এটি প্রথমবারের মতো প্রায় সকল দেশকে (উন্নত ও উন্নয়নশীল উভয়) জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সম্মিলিতভাবে কাজ করার জন্য একটি আইনি কাঠামো প্রদান করে। এটি কিয়োটো প্রোটোকলের সীমাবদ্ধতাগুলো কাটিয়ে ওঠে এবং ভবিষ্যতের জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে।

সুতরাং, ২০১৫ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত কপ-২১ এর প্রধান অর্জন ছিল প্যারিস চুক্তি