বিসিএস ৪৪তম
১. ‘আনোয়ারা’ উপন্যাসের রচয়িতার নাম-
[ বিসিএস ৪৪তম ]
‘আনোয়ারা’ উপন্যাসের রচয়িতার নাম গঃ নজিবর রহমান।
নজিবর রহমান সাহিত্যরত্ন ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ ও বিংশ শতাব্দীর শুরুতে বাংলা সাহিত্যের একজন জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক ছিলেন। ‘আনোয়ারা’ তার বিখ্যাত উপন্যাসগুলোর মধ্যে অন্যতম, যা গ্রামীণ জীবনের চিত্র ও সামাজিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে।
২. ধ্বনি-পরিবর্তনের নিয়মে কোনটি বর্ণ-বিপর্যয়-এর দৃষ্টান্ত?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হলো গঃ পিচাশ।
এখানে বর্ণ-বিপর্যয়ের নিয়ম অনুসারে "পিশাচ" শব্দটি "পিচাশ"-এ পরিবর্তিত হয়েছে। বর্ণ-বিপর্যয় হলো যখন শব্দের মধ্যে দুটি ব্যঞ্জনবর্ণ নিজেদের স্থান পরিবর্তন করে।
অন্যান্য উদাহরণগুলো বর্ণ-বিপর্যয়ের দৃষ্টান্ত নয়:
- কঃ রতন: এটি একটি স্বাভাবিক শব্দ।
- খঃ কবাট: এটিও একটি স্বাভাবিক শব্দ।
- ঘঃ মুলুক: এটিও একটি স্বাভাবিক শব্দ।
৩. নিচের কোনটি ‘অগ্নি’র সমার্থক শব্দ নয়?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হলো খঃ আবীর।
'আবীর' শব্দের অর্থ হলো রং, বিশেষত হোলি উৎসবে ব্যবহৃত রঙিন পাউডার।
অন্যদিকে, 'বহ্নি', 'বায়ুসখা' এবং 'বৈশ্বানর' - এই তিনটি শব্দই 'অগ্নি'র সমার্থক শব্দ। 'বায়ুসখা' অর্থ বায়ু যার বন্ধু, অর্থাৎ বায়ু ছাড়া আগুন জ্বলে না। 'বৈশ্বানর' হলো অগ্নির অপর নাম।
৪. ‘দেশের যত নদীর ধারা জল না, ওরা অশ্রুধারা’ – এই উক্তিটি নিচের কোন পারিভাষিক অলংকার দ্বারা শোভিত?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হলো কঃ অপহৃতি।
এখানে নদীর স্বাভাবিক জলধারাকে অস্বীকার করে অশ্রুধারা হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। পারিভাষিক অলংকারে যখন কোনো সত্য বিষয়কে অস্বীকার করে মিথ্যা কিছু স্থাপন করা হয়, তখন তাকে অপহৃতি অলংকার বলে। এই উক্তিটিতে জলের স্বাভাবিক ধর্মকে অস্বীকার করে শোক বা দুঃখের গভীরতা বোঝাতে অশ্রুজলের রূপক ব্যবহার করা হয়েছে।
অন্যান্য অলংকারগুলো এখানে প্রযোজ্য নয়:
- খঃ যমক: একই রকম বা সামান্য ভিন্ন ধ্বনিযুক্ত শব্দের একাধিকবার ব্যবহার।
- গঃ অর্থোন্নতি: কোনো শব্দের প্রচলিত অর্থের চেয়ে উৎকৃষ্ট বা গভীরতর অর্থ দ্যোতনা।
- ঘঃ অভিযোজন: কোনো বিশেষ উদ্দেশ্যে বা পরিস্থিতির সাথে সামঞ্জস্য বিধান।
৫. ‘যথারীতি’ কোন সমাসের দৃষ্টান্ত?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
‘যথারীতি’ অব্যয়ীভাব সমাস এর দৃষ্টান্ত।
যে সমাসে পূর্বপদ অব্যয় এবং সেই অব্যয়ের অর্থই প্রধানভাবে বোঝায়, তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে। ‘যথারীতি’ শব্দটিতে ‘যথা’ একটি অব্যয় এবং এর অর্থ ‘রীতিকে অতিক্রম না করে’ বা ‘নিয়ম অনুসারে’। এখানে ‘যথা’ অব্যয়ের অর্থই প্রধান।
এর ব্যাসবাক্য হবে: রীতিকে অতিক্রম না করে অথবা রীতি অনুসারে।
৬. ‘মৃত্তিকা দিয়ে তৈরি’ – কথাটি সংকোচন করলে হবে –
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হলো গঃ মৃন্ময়।
'মৃত্তিকা দিয়ে তৈরি' - এই কথাটিকে এক শব্দে প্রকাশ করলে হয় মৃন্ময়।
অন্যান্য বিকল্পগুলোর অর্থ:
- কঃ তন্ময়: কোনো বিষয়ে গভীরভাবে মগ্ন বা লীন।
- খঃ মন্ময়: মন থেকে উৎপন্ন বা আমার মন সংক্রান্ত।
- ঘঃ চিন্ময়: জ্ঞানময় বা চৈতন্যস্বরূপ।
৭. ‘অর্ধচন্দ্র’ কথাটির অর্থ –
[ বিসিএস ৪৪তম ]
‘অর্ধচন্দ্র’ কথাটির অর্থ খঃ গলাধাক্কা দেওয়া।
বাংলায় ‘অর্ধচন্দ্র দেওয়া’ একটি বাগধারা, যার অর্থ হলো ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া বা বিদায় করা।
অন্যান্য বিকল্পগুলোর অর্থ:
- কঃ অমাবস্যা: চাঁদের কৃষ্ণপক্ষ বা যখন চাঁদ দেখা যায় না।
- গঃ কাছে টানা: আকর্ষণ করা বা নিকটে আনা।
- ঘঃ কাস্তে: ধান বা ঘাস কাটার জন্য ব্যবহৃত বাঁকানো লোহার ফলাযুক্ত হাতলবিশিষ্ট কৃষি সরঞ্জাম।
৮. ‘হরতাল’ কোন ভাষা থেকে আগত শব্দ?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
‘হরতাল’ শব্দটি গঃ গুজরাটি ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় এসেছে।
৯. কোনটি ‘জিগীষা’র ?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হলো খঃ জয় করিবার ইচ্ছা।
‘জিগীষা’ শব্দের অর্থ হলো জয় করার প্রবল ইচ্ছা বা আকাঙ্ক্ষা।
১০. নিচের কোনটি তৎসম শব্দ?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হলো গঃ ধূলি।
ধূলি একটি তৎসম শব্দ, যা সরাসরি সংস্কৃত ভাষা থেকে অপরিবর্তিতভাবে বাংলা ভাষায় এসেছে।
অন্যান্য শব্দগুলোর উৎস:
- কঃ পছন্দ - এটি ফারসি শব্দ।
- খঃ হিসাব - এটি আরবি শব্দ।
- ঘঃ শৌখিন - এটিও ফারসি শব্দ।
১১. নিচের কোনটি বাংলা ধাতুর দৃষ্টান্ত?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
বাংলা ধাতুগুলো হচ্ছে: আঁক্, কহ্, কাট্, কর্, কাঁদ্, কিন্, খা, গড়্, ঘষ্, দেখ্, ধর্, পড়, বাঁধ্, বুঝ্, রাখ্, শুন্, থাক্, হাস্।
সংস্কৃত ধাতু হলো: অঙ্ক্, কথ্, কৃৎ, কৃ, ক্রন্দ্, ক্রী, খাদ্, গঠ্, ঘৃষ্, দৃশ্, ধৃ, পঠ্, বন্ধ্, বুধ্, র্ক্ষ, শ্রু, স্থা, হস্।
১২. কোনটি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত গ্রন্থ নয়?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হলো গঃ সোনার তরী।
‘সোনার তরী’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ।
অন্যদিকে, ‘ব্যথার দান’, ‘দোলনচাঁপা’ এবং ‘শিউলিমালা’ – এই তিনটি গ্রন্থই কাজী নজরুল ইসলাম রচিত।
১৩. শুদ্ধ বানান কোনটি?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
শুদ্ধ বানান হলো গঃ মুমূর্ষু।
১৪. ‘ইতরবিশেষ’ বলতে বােঝায়—
[ বিসিএস ৪৪তম ]
‘ইতরবিশেষ’ বলতে বােঝায় গঃ পার্থক্য।
‘ইতর’ শব্দের অর্থ হলো অন্য, ভিন্ন বা সাধারণ এবং ‘বিশেষ’ মানে পার্থক্য বা বৈশিষ্ট্য। সুতরাং, ‘ইতরবিশেষ’ অর্থ হলো ভেদাভেদ, পার্থক্য বা কমবেশি।
১৫. নিপাতনে সিদ্ধ স্বরসন্ধির দৃষ্টান্ত কোনটি?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হলো কঃ গো + অক্ষ = গবাক্ষ।
নিপাতনে সিদ্ধ স্বরসন্ধি সেই স্বরসন্ধিকে বোঝায় যা ব্যাকরণের সাধারণ নিয়ম অনুসরণ করে না, বরং বিশেষভাবে গঠিত হয়। 'গবাক্ষ' শব্দটি 'গো' + 'অক্ষ' - এই দুটি স্বরের সন্ধিতে গঠিত হয়েছে, কিন্তু এখানে স্বরসন্ধির সাধারণ নিয়ম (যেমন অ + অ = আ, ও + অ = অব) খাটে না। এটি ব্যতিক্রমভাবে গঠিত হয়েছে।
অন্যান্য উদাহরণগুলো স্বরসন্ধির সাধারণ নিয়ম অনুসরণ করে গঠিত:
- খঃ পৌ + অক = পাবক (ও + অ = আব) - এটি অয়াদি স্বরসন্ধির উদাহরণ।
- গঃ বি + অঙ্গ = বঙ্গ (ই + অ = য) - এখানে ব্যঞ্জনসন্ধি হয়েছে।
- ঘঃ যতি + ইন্দ্র = যতীন্দ্র (ই + ই = ঈ) - এটি দীর্ঘ স্বরসন্ধির উদাহরণ।
১৬. নিচের কোন বাক্যটি প্রয়ােগগত দিক থেকে শুদ্ধ?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
অন্যান্য অপশন গুলোর শুদ্ধরূপ হলো: (ক) আমি কারও সাতেও নেই, পাঁচেও নেই, (খ) আপনি সপরিবারে আমন্ত্রিত এবং (ঘ) সারাজীবন ভূতের বেগার খেটে মরলাম।
১৭. নিচের কোনটি যৌগিক বাক্য?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হলো ঘঃ ছেলেটি চঞ্চল তবে মেধাবী।
যৌগিক বাক্য হলো সেই বাক্য, যেখানে দুই বা তার বেশি সরল বাক্য কোনো সংযোজক অব্যয় (যেমন: এবং, ও, কিন্তু, অথবা, তথাপি, বরং, কিংবা) দ্বারা যুক্ত থাকে এবং প্রতিটি সরল বাক্য স্বাধীনভাবে অর্থ প্রকাশ করতে পারে।
অপশন (ঘ)-তে "ছেলেটি চঞ্চল" একটি সরল বাক্য এবং "তবে মেধাবী" আরেকটি সরল বাক্য, যা "তবে" সংযোজক অব্যয় দ্বারা যুক্ত হয়েছে। উভয় বাক্যই স্বাধীনভাবে অর্থ প্রকাশ করতে সক্ষম।
অন্যান্য বাক্যগুলো সরল বা জটিল বাক্য:
-
কঃ দোষ স্বীকার করলে তােমাকে শাস্তি দেওয়া হবে না: এটি একটি জটিল বাক্য। এখানে "দোষ স্বীকার করলে" একটি অধীন খণ্ডবাক্য এবং "তােমাকে শাস্তি দেওয়া হবে না" প্রধান খণ্ডবাক্য।
-
খঃ তিনি বেড়াতে এসে কেনাকাটা করলেন: এটি একটি সরল বাক্য। এখানে একটি কর্তা ("তিনি") এবং দুটি অসমাপিকা ক্রিয়া ("বেড়াতে এসে", "করলেন") রয়েছে।
-
গঃ মহৎ মানুষ বলে সবাই তাঁকে সম্মান করেন: এটি একটি জটিল বাক্য। এখানে "মহৎ মানুষ বলে" একটি অধীন খণ্ডবাক্য এবং "সবাই তাঁকে সম্মান করেন" প্রধান খণ্ডবাক্য।
১৮. ‘চণ্ডীমঙ্গল’ কাব্যের উপাস্য ‘চণ্ডী’ কার স্ত্রী?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের উপাস্য চণ্ডী হলেন শিবের স্ত্রী। তাঁর অপর নাম পার্বতী.
চণ্ডীমঙ্গল কাব্য মূলত চণ্ডীদেবীর মাহাত্ম্য প্রচারের জন্য রচিত হয়েছিল। এটি বাংলা মঙ্গলকাব্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যেখানে দেবী চণ্ডীর পূজা ও তাঁর অলৌকিক ক্ষমতার বর্ণনা রয়েছে।
১৯. ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য’ কোথা থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য ১৯০৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার কাঁকিল্যা গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল।
বাংলা সাহিত্যের গবেষক বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের গোয়ালঘরের মাচার ওপর অযত্ন অবস্থায় পুঁথিটি খুঁজে পান। পুঁথিটির সঙ্গে প্রাপ্ত চিরকুট থেকে জানা যায়, আড়াইশো বছর আগে এটি বিষ্ণুপুরের রাজগ্রন্থশালায় রাখা ছিল।
২০. বিদ্যাপতি মূলত কোন ভাষার কবি ছিলেন?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
বিদ্যাপতি মূলত মৈথিলী ভাষার কবি ছিলেন।
তিনি পঞ্চদশ শতাব্দীর মৈথিলী কবি ছিলেন এবং মিথিলার (বর্তমান বিহার ও নেপালের অংশ) রাজসভায় সম্মানিত ছিলেন। মৈথিলী ছাড়াও তিনি সংস্কৃত ও অবহট্ট ভাষায় কিছু রচনা করেছিলেন।
তবে, বাংলা অঞ্চলে বিদ্যাপতির যে পদাবলী প্রচলিত, তার ভাষা ব্রজবুলি। ব্রজবুলি হলো মৈথিলী ও বাংলার মিশ্রণে সৃষ্ট একটি কৃত্রিম সাহিত্যিক ভাষা। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু এবং পরবর্তী বৈষ্ণব পদকর্তারা এই ভাষায় রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলা বিষয়ক পদ রচনা করেছেন। এই কারণে বিদ্যাপতি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে আছেন।
২১. ‘মনােরমা’ বঙ্কিমচন্দ্রের কোন উপন্যাসের চরিত্র?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
বাংলা উপন্যাসের জনক সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কর্তৃক ‘মৃণালিনী’ (১৮৬৯) উপন্যাসটি তুর্কি সেনাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খলজীর বাংলা আক্রমণের পটভূমিতে রচিত।
এটি বঙ্কিমচন্দ্রের তৃতীয় উপন্যাস। মগধের রাজপুত্র হেমচন্দ্রের সঙ্গে মৃণালিনীর প্রণয় এবং দেশরক্ষার জন্য হেমচন্দ্রের সংকল্প ও ব্যর্থতার সঙ্গে এক রহস্যময়ী নারী মনোরমার কাহিনি এ উপন্যাসের মূল কথা। কৃষ্ণকান্তের উইল এর অন্তর্গত চরিত্র হলো: গোবিন্দলাল, হরলাল, কৃষ্ণকান্ত, রোহিনী, ভ্রমর, নিশাকর। বিষবৃক্ষ উপন্যাসের উল্লেখযোগ্য চরিত্র- নগেন্দ্রনাথ, সূর্যমুখী, কুন্দনন্দিনী, হীরা। তিলোত্তমা, আয়েশা, বিমলা বঙ্কিমের দুর্গেশনন্দিনী উপন্যাসের অন্তর্গত চরিত্র।
২২. ‘ব্যক্ত প্রেম’ ও ‘গুপ্ত প্রেম’ কবিতা দুটি রবীন্দ্রনাথের কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
‘ব্যক্ত প্রেম’ ও ‘গুপ্ত প্রেম’ কবিতা দুটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মানসী কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত। এই কাব্যগ্রন্থটি ১৮৯০ সালে প্রকাশিত হয়েছিল এবং এটি রবীন্দ্রনাথের কাব্য রচনার "মানসী - সোনার তরী পর্ব"-এর একটি উল্লেখযোগ্য সৃষ্টি।
২৩. ‘অভীক’ রবীন্দ্রনাথের কোন গল্পের নায়ক?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
‘অভীক’ এবং ‘বিভা’ রবীন্দ্রনাথের রবিবার গল্পের নায়ক ও নায়িকা চরিত্র। ‘নষ্টনীড়’ গল্পের চরিত্র- চারু, অমল ও ভূপতি। ‘ল্যাবরেটরি’ গল্পের অন্যতম প্রধান চরিত্র সোহিনী।
‘সকলের তরে সকলে আমরা/প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।’ – এই বিখ্যাত পংক্তি দুটি কবি কামিনী রায় রচিত।
এটি তার "পরের তরে" কবিতার অংশ। কবিতাটি মানুষের মধ্যে সহানুভূতি, সহযোগিতা ও পরোপকারের গুরুত্ব তুলে ধরে।
২৫. ‘আমার সন্তান যেন থাকে।’—এই মনােবাঞ্ছাটি কার?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে’—এই মনোবাঞ্ছাটি গঃ ঈশ্বরী পাটুনীর।
চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের অন্তর্গত কালকেতু উপাখ্যানে ঈশ্বরী পাটুনী যখন দেবী চণ্ডীর ছলনায় তার নৌকা ডুবতে দেখেন, তখন দেবীর কাছে এই প্রার্থনা করেন।
বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন ধর্মীয় ও সামাজিক কুসংস্কারবিরোধী একটি প্রগতিশীল আন্দোলন। ১৯২৬ সালের ১৯ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল হুসেনের নেতৃত্বে ঢাকায় মুসলিম সাহিত্য সমাজ নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সমাজ তাদের মুখপত্র হিসেবে ‘শিখা’ নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করত, যার প্রতিটি সংখ্যায় লেখা থাকত ‘জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব’। বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন গঠিত হয় কয়েকজন আলোকিত মানুষের উদ্যোগে। তাঁদের মধ্যে ছিলেন আবুল হুসেন, কাজী মোতাহার হোসেন, আবুল ফজল, কাজী আবদুল ওদুদ, আবদুল কাদির প্রমুখ।
প্রেম, মানবতা ও বিদ্রোহের কবি নজরুল রচিত- ‘বিষের বাঁশী’ কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করেন কবি নিজেই। সে বছরই সরকার গ্রন্থটি নিষিদ্ধ করে। এটি নজরুলের প্রথম নিষিদ্ধকৃত গ্রন্থ। এ গ্রন্থের কবিতাগুলো বিদ্রোহাত্মক ও জাগরণমূলক। বন্দী-বন্দনা, শিকল-পরা গান, চরকার গান, জাতের নামে বজ্জাতি, সত্য-মন্ত্র ইত্যাদি গ্রন্থের উল্লেখযোগ্য কবিতা। নজরুল ইসলামের কবিতার বলিষ্ঠতা, যৌবনের উদ্দাম শক্তি, উদার মানবিকতা ও সামাজিক সচেতনতা এবং গীতি প্রতিভার সমস্ত বৈশিষ্ট্য এই কাব্যে পরিস্ফুট।
২৮. নিচের কোনটি বিশ শতকের পত্রিকা?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হলো কঃ শনিবারের চিঠি।
'শনিবারের চিঠি' পত্রিকা বিশ শতকের (১৯২৪ সালে প্রথম প্রকাশিত) একটি বিখ্যাত সাহিত্য পত্রিকা। এটি প্রধানত এর ব্যঙ্গাত্মক ও সমালোচনামূলক রচনার জন্য পরিচিত ছিল।
অন্য পত্রিকাগুলোর প্রকাশকাল:
- খঃ বঙ্গদর্শন: উনিশ শতকের পত্রিকা (১২৭৯ বঙ্গাব্দ = ১৮৭২ খ্রিষ্টাব্দ)।
- গঃ তত্ত্ববােধিনী: উনিশ শতকের পত্রিকা (১৮৪৩ খ্রিষ্টাব্দ)।
- ঘঃ সংবাদ প্রভাকর: উনিশ শতকের পত্রিকা (১৮৩১ খ্রিষ্টাব্দ)।
২৯. নিচের কোনটি উপন্যাস নয়?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হলো ঘঃ কবিতার কথা।
'কবিতার কথা' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি প্রবন্ধ গ্রন্থ, যেখানে তিনি কবিতা ও সাহিত্যতত্ত্ব নিয়ে আলোচনা করেছেন।
অন্যদিকে:
- কঃ দিবারাত্রির কাব্য: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত একটি উপন্যাস।
- খঃ শেষের কবিতা: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি উপন্যাস।
- গঃ পল্লী-সমাজ: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত একটি উপন্যাস।
৩০. ‘বাঙালি ও বাঙলা সাহিত্য’ গ্রন্থ কে রচনা করেছেন?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর: গঃ আহমদ শরীফ।
"বাঙালি ও বাঙলা সাহিত্য" গ্রন্থটি লিখেছেন আহমদ শরীফ। তিনি ছিলেন একজন বিশিষ্ট সাহিত্যিক, গবেষক ও ভাষাবিদ, যিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্য সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বিশ্লেষণ ও সমীক্ষামূলক কাজ করেছেন।
৩১. ‘খােকা’ ও ‘রঞ্জু’ মাহমুদুল হক-এর কোন উপন্যাসের চরিত্র?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস ‘জীবন আমার বোন’ প্রথম প্রকাশ পায় ১৯৭৬ সালে; এর লেখক মাহমুদুল হক। জাহিদুল কবির খোকা নামের এক আপাত নির্লিপ্ত ও জীবন-পলাতক মানুষকে কেন্দ্রে স্থাপন করে মাহমুদুল হক উপন্যাসটি লিখেছেন। এ উপন্যাসের অপর চরিত্র ‘রঞ্জু’। ‘কালো বরফ’, ‘খেলাঘর’ এবং অনুর পাঠশালা উপন্যাসের রচয়িতাও মাহমুদুল হক। এদের মধ্যে কালো বরফ দেশভাগের পটভূমিভিত্তিক এবং খেলাঘর মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক।
চরিত্রসমূহ: কালো বরফ → আব্দুল খালেক। খেলাঘর → ইয়াকুব, টুনু, রেহানা। অনুর পাঠশালা → কিশোর অনু (নায়ক), কিশোরী সরুদাসী (নায়িকা)।
৩২. সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর লেখা নাটক কোনটি?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর লেখা নাটক হলো খঃ বহিপীর।
'কবর' মুনীর চৌধুরী রচিত একটি বিখ্যাত নাটক। 'পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়' সৈয়দ শামসুল হক রচিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নাটক। 'ওরা কদম আলী' মামুনুর রশীদ রচিত একটি মঞ্চনাটক।
৩৩. মীর মশাররফ হােসেনের ‘বিষাদসিন্ধু’ একটি –
[ বিসিএস ৪৪তম ]
মীর মশাররফ হোসেনের ‘বিষাদসিন্ধু’ একটি ঐতিহাসিক উপন্যাস।
এটি মূলত কারবালার বিষাদময় ঘটনাকে কেন্দ্র করে রচিত। যদিও এটি ইতিহাসের আখ্যান, তবে মীর মশাররফ হোসেন এটিকে ঔপন্যাসিক আঙ্গিকে উপস্থাপন করেছেন, যেখানে চরিত্রায়ণ, সংলাপ এবং ঘটনার বর্ণনা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তাই এটিকে ঐতিহাসিক উপন্যাস হিসেবে গণ্য করা হয়।
৩৪. ‘চাঁদের অমাবস্যা’ উপন্যাসের যুবক-শিক্ষকের নাম-
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হলো ঘঃ আরেফ আলী।
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর ‘চাঁদের অমাবস্যা’ উপন্যাসের যুবক শিক্ষকের নাম আরেফ আলী।
৩৫. ‘মরণ রে তুঁহু মম শ্যাম সমান।’ – পংক্তিটির রচয়িতা-
[ বিসিএস ৪৪তম ]
‘মরণ রে তুঁহু মম শ্যাম সমান।’ – এই বিখ্যাত পংক্তিটির রচয়িতা খঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
এটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ক্ষণিকা কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত "মৃত্যু" নামক কবিতার অংশ। এই পংক্তিতে কবি মৃত্যুকে তার প্রিয়তম শ্যামের (কৃষ্ণের) সাথে তুলনা করেছেন, যেখানে বিরহের গভীরতা ও প্রেমের চিরন্তনতাকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
৩৬. Select the appropriate preposition:
‘Are you doing’ anything special ____ the weekend?’
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সাপ্তাহিক ছুটির দিন বোঝাতে weekend ব্যবহৃত হয়, এর পূর্বে preposition হিসেবে at এবং on দুটোই ব্যবহৃত হতে পারে। American English এ on ব্যবহৃত হয় এবং British English এ at ব্যবহৃত হয়। আমরা যেহেতু, writing এর ক্ষেত্রে British English অনুসরণ করি তাই at হবে সঠিক উত্তর।
৩৭. What is the plural form of ‘sheep’?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
Sheep এর plural ‘sheep’ হবে। কিছু কিছু noun আছে যেগুলোর singular ও plural form একই যেমন: Aircraft, cod, deer, fish, cattle, series ইত্যাদি।
‘Sweet are the uses of adversity’ শেক্সপিয়রের লেখা As You Like It নাটক থেকে উদ্ধৃত।
৩৯. What is the verb form of the word ‘ability’?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
গঃ enable
'Ability' একটি বিশেষ্য (noun), এবং এর ক্রিয়াপদ (verb) রূপ হলো 'enable'। এর অর্থ হলো সক্ষম করা বা শক্তি দেওয়া।
৪০. The word ‘equivocation’ refers to –
[ বিসিএস ৪৪তম ]
খঃ two contradictory things in the same statement
Equivocation মানে হলো অস্পষ্ট বা দ্ব্যর্থক ভাষা ব্যবহার করে সত্যকে গোপন করা বা নিজেকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করা থেকে এড়ানো। এটি প্রায়শই একই বিবৃতিতে দুটি ভিন্ন অর্থে একটি শব্দ বা বাক্যাংশ ব্যবহার করে করা হয়, যা পরস্পরবিরোধী মনে হতে পারে।
এই বিখ্যাত উক্তিটি শেক্সপিয়রের বিয়োগান্তক নাটক ম্যাকবেথ-এ ম্যাকবেথ চরিত্রটি দ্বারা বলা হয়েছে।
৪২. Which of the following words is spelt correctly?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক বানান Authoritative যার অর্থ প্রামাণিক; পাণ্ডিত্যপূর্ণ; কর্তৃত্বপূর্ণ।
৪৩. Find out the :
“By whom can our country be saved?”
[ বিসিএস ৪৪তম ]
Passive হিসেবে [By whom + aux (tense অনুযায়ী) + subject (object থেকে প্রাপ্ত) + VPP?] structure থাকলে active করার নিয়ম: Who + aux [Tense অনুযায়ী] + verb + object. নিয়ম অনুযায়ী সঠিক উত্তর হবে Who can save our country?
৪৪. “All changed, changed utterly:
A terrible beauty is born.”
This extract is taken from W. B. Yeats’ poem titled—
[ বিসিএস ৪৪তম ]
এই উদ্ধৃতাংশটি ডব্লিউ. বি. ইয়েটস-এর লেখা Easter, 1916 কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।
৪৫. Identify the correct passive form:
‘Do not close the door.’
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর: খঃ Let not the door be closed.
এখানে "Do not close the door" বাক্যটি negative imperative sentence, যা নিষেধাজ্ঞা প্রকাশ করে। এর passive voice হবে "Let not the door be closed." কারণ "be closed" ব্যবহার করে passive construction তৈরি করা হয়েছে।
অন্য বিকল্পগুলোর ক্ষেত্রে:
- "Let not the door close." — এটি active voice বাক্য, যা passive নয়।
- "Let not door closed." — বাক্যটির গঠন ভুল, কারণ article "the" দরকার এবং "be closed" ফর্ম ব্যবহার করা উচিত।
৪৬. The poetic drama ‘Murder in the Cathedral’ was written by—
[ বিসিএস ৪৪তম ]
‘মার্ডার ইন দ্য ক্যাথেড্রাল’ (Murder in the Cathedral) নামক কবিতাটি টি. এস. এলিয়ট (T. S. Eliot) রচনা করেছিলেন।
৪৭. ‘All for Love’ is a drama written by—
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর: কঃ John Dryden।
"All for Love" একটি নাট্যকাব্য (poetic drama), যা John Dryden ১৬৭৭ সালে রচনা করেছিলেন। এটি বিখ্যাত রোমান প্রেমকাহিনি এন্টনি ও ক্লিওপেট্রা-র নতুন রূপ, যেখানে Dryden শেক্সপিয়রের নাটককে নব্যশাস্ত্রীয় শৈলী (Neoclassical style) অনুসারে রূপান্তরিত করেন।
অধীন খণ্ডবাক্য (subordinate clause)।
"Sitting happily" এই অংশটি একটি ক্রিয়া বিশেষণ স্থানীয় অধীন খণ্ডবাক্য (adverbial subordinate clause)। এটি "laid eggs" (ডিম পাড়ল) এই প্রধান খণ্ডবাক্যের ক্রিয়াকে বিশেষিত করছে, অর্থাৎ কীভাবে ডিম পাড়া হয়েছিল (সুখীভাবে বসে)।
৪৯. Caliban is an important character from Shakespeare’s—
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হবে দ্য টেম্পেস্ট (The Tempest)।
‘ক্যালিবান’ উইলিয়াম শেক্সপিয়রের বিখ্যাত নাটক "দ্য টেম্পেস্ট"-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র।
৫০. What kind of noun is ‘river’?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সাধারণ বিশেষ্য (Common Noun)।
'নদী' একটি সাধারণ বিশেষ্য, কারণ এটি কোনো নির্দিষ্ট নদীর নাম বোঝায় না, বরং সাধারণভাবে সব নদীকে বোঝায়। যদি কোনো নির্দিষ্ট নদীর নাম বলা হতো (যেমন পদ্মা, মেঘনা), তবে সেটি Proper Noun বা নামবাচক বিশেষ্য হতো।
৫১. ‘Caesar and Cleopatra’ is—
[ বিসিএস ৪৪তম ]
‘সিজার অ্যান্ড ক্লিওপেট্রা’ (Caesar and Cleopatra) হল জর্জ বার্নার্ড শ (George Bernard Shaw) রচিত একটি বিখ্যাত নাটক।
৫২. Identify the right tense: ‘My father _____ before I came’.
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর: গঃ had left
‘My father had left before I came.’ - এই বাক্যটিতে past perfect tense (পুরাঘটিত অতীত কাল) ব্যবহার করা হয়েছে। এর কারণ হলো, ‘I came’ (আমি এসেছিলাম) - এই অতীত কালের ঘটনাটির পূর্বে ‘My father’-এর চলে যাওয়ার কাজটি সম্পন্ন হয়েছিল। অতীতের দুটি কাজের মধ্যে যেটি আগে শেষ হয়েছিল, সেটি past perfect tense-এ লেখা হয়।
৫৩. Which of the following words is spelt incorrectly?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
৫৪. Who wrote the picaresque novel titled ‘Tom Jones’?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
'টম জোন্স' (Tom Jones) নামক picaresque উপন্যাসটি হেনরি ফিল্ডিং (Henry Fielding) লিখেছিলেন। এটি ১৭৪৯ সালে প্রকাশিত হয়েছিল এবং ইংরেজি সাহিত্যের প্রথম দিকের উপন্যাসগুলির মধ্যে অন্যতম হিসাবে বিবেচিত হয়।
৫৫. The story of ‘Moby Dick’ centers on—
[ বিসিএস ৪৪তম ]
একটি তিমি (a whale)।
‘মোবি ডিক’-এর গল্পটি একটি বিশাল সাদা তিমিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে।
'মোবি ডিক' (Moby Dick) উপন্যাসের লেখক হলেন হারমান মেলভিল (Herman Melville)। তিনি ছিলেন একজন আমেরিকান ঔপন্যাসিক, ছোটগল্প লেখক এবং কবি। এই বইটি ১৮৫১ সালে প্রকাশিত হয়েছিল এবং আমেরিকান সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাজ হিসেবে বিবেচিত হয়।
৫৬. ‘He prayeth best, who loveth best.’ — Who said it?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
‘He prayeth best, who loveth best.’ - এই বিখ্যাত উক্তিটি করেছেন স্যামুয়েল টেইলর কোলরিজ (Samuel Taylor Coleridge)। এটি তার বিখ্যাত কবিতা ‘The Rime of the Ancient Mariner’-এর অংশ।
৫৭. The controlling sentence of a paragraph is known as —
[ বিসিএস ৪৪তম ]
বিষয় বাক্য (topic sentence)।
একটি অনুচ্ছেদের নিয়ন্ত্রক বাক্যটিকে বিষয় বাক্য বলা হয়। এটি অনুচ্ছেদের মূল ধারণা বা বিষয়বস্তু উপস্থাপন করে এবং অনুচ্ছেদের অন্যান্য বাক্যগুলি এই ধারণাটিকে সমর্থন করে বা ব্যাখ্যা করে।
৫৮. Choose the correct comparative form of the sentence:
‘Very few boys are as industrious as Zaman.’
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর: খঃ Zaman is more industrious than most other boys.
ব্যাখ্যা:
- মূল বাক্যটি "Very few boys are as industrious as Zaman.", যেখানে Zaman খুবই শ্রমশীল, এবং খুব কম ছেলেই তাঁর মতো শ্রমশীল।
- এর comparative form হবে "Zaman is more industrious than most other boys."—যেখানে "more industrious" ব্যবহার করে তাঁর তুলনামূলক দক্ষতার পরিচয় দেওয়া হয়েছে।
অন্য বিকল্পগুলোর ক্ষেত্রে:
- "Zaman is one of the most industrious boys."—এটি superlative ফর্ম, comparative নয়।
- "Zaman is really industrious like other boys."—এটি comparative construction নয়, বরং সাধারণ বিবরণ।
- "Zaman is as industrious as other boys."—এটি positive degree, comparative নয়।
Identical with মানে হলো কারো মতামতের সাথে নিজের মতামতের মিল হওয়া। তাই এখানে with হবে।
৬০. ‘Paradise Lost’ attempted to—
[ বিসিএস ৪৪তম ]
মানুষের কাছে ঈশ্বরের পথকে ন্যায্যতা দেওয়া (justify the ways of God to man)।
জন মিল্টন তার মহাকাব্য ‘প্যারাডাইস লস্ট’-এর মাধ্যমে ঈশ্বরের পরিকল্পনা এবং মানুষের জীবনে দুঃখ-কষ্টের কারণ ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছিলেন।
৬১. “Oh, lift me as a wave, a leaf, a cloud!
I fall upon the thorns of life! I bleed!”
The extract is taken from P. B. Shelley’s poem—
[ বিসিএস ৪৪তম ]
এই উদ্ধৃতিটি পি. বি. শেলীর বিখ্যাত কবিতা "ওড টু দ্য ওয়েস্ট উইন্ড" (Ode to the West Wind) থেকে নেওয়া হয়েছে।
৬২. Who wrote the short story ‘The Ant and the Grasshopper’?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
ডব্লিউ. সমারসেট ম্যাম (W. Somerset Maugham) ‘The Ant and the Grasshopper’ নামক ছোটগল্পটি লিখেছেন। এটি তার বিখ্যাত ‘দ্য কসমোপলিটান’ (The Cosmopolitan) গল্প সংকলনের অংশ।
৬৩. The word ‘vital’ is a/an—
[ বিসিএস ৪৪তম ]
বিশেষণ (adjective)।
'ভাইটাল' (vital) একটি বিশেষণ, কারণ এটি বিশেষ্যকে (noun) বিশেষিত করে। এর অর্থ হল অত্যাবশ্যক, গুরুত্বপূর্ণ বা জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য।
উদাহরণস্বরূপ:
- This is a vital decision. (এটি একটি অত্যাবশ্যক সিদ্ধান্ত।) - এখানে 'vital' শব্দটি 'decision' (সিদ্ধান্ত) বিশেষ্যটিকে বিশেষিত করছে।
- Water is vital for our survival. (জল আমাদের জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য।) - এখানে 'vital' শব্দটি 'water' (জল) বিশেষ্যটির গুরুত্ব বোঝাচ্ছে।
৬৪. ‘To get along with’ means—
[ বিসিএস ৪৪তম ]
মানিয়ে নেওয়া (to adjust)।
'To get along with' এই phrase-টির অর্থ হল কারও সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ এবং শান্তিপূর্ণভাবে চলতে পারা বা মানিয়ে নেওয়া।
৬৫. The synonym for ‘panoramic’ is—
[ বিসিএস ৪৪তম ]
মনোরম (scenic)।
'প্যানোরমিক' (panoramic) শব্দের অর্থ হল বিস্তৃত দৃশ্য বা দিগন্তজোড়া। 'সিনিক' (scenic) শব্দের অর্থও মনোরম বা সুন্দর দৃশ্যপূর্ণ। তাই 'scenic' হল 'panoramic'-এর সমার্থক শব্দ।
অন্যান্য অপশনগুলোর ব্যাখ্যা নিচে দেওয়া হলো:
খঃ সরু (narrow): 'ন্যারো' শব্দের অর্থ হলো সংকীর্ণ বা অল্প চওড়া। এটি 'প্যানোরমিক'-এর বিপরীতার্থক, কারণ প্যানোরমিক মানে বিস্তৃত দৃশ্য।
গঃ সীমাবদ্ধ (limited): 'লিমিটেড' শব্দের অর্থ হলো সীমিত বা যার পরিধি বেশি নয়। এটিও 'প্যানোরমিক'-এর বিপরীত, যা একটি বিশাল এবং বিস্তৃত দৃশ্য বোঝায়।
ঘঃ সংকুচিত (restricted): 'রেস্ট্রিক্টেড' শব্দের অর্থ হলো সীমাবদ্ধ বা নিয়ন্ত্রিত। এটিও 'প্যানোরমিক'-এর বিপরীত, কারণ প্যানোরমিক একটি বাধাহীন এবং বিশাল দৃশ্যকে বোঝায়।
সুতরাং, সঠিক সমার্থক শব্দটি হলো কঃ মনোরম (scenic)।
৬৬. The antonym for ‘slothful’ is—
[ বিসিএস ৪৪তম ]
গঃ কর্মঠ (energetic)।
'স্লোথফুল' (slothful) শব্দের অর্থ হলো অলস, কুঁড়ে বা শ্রমবিমুখ। এর বিপরীতার্থক শব্দ হবে 'এনার্জেটিক' (energetic), যার অর্থ কর্মঠ, উদ্যমী বা প্রাণবন্ত।
অন্যান্য অপশনগুলোর অর্থ:
- কঃ প্লেফুল (playful): ক্রীড়াময়, আমোদপূর্ণ।
- খঃ স্লাগিশ (sluggish): ধীরগতিসম্পন্ন, মন্থর। এটি 'স্লোথফুল'-এর প্রায় সমার্থক।
- ঘঃ কোয়ারেলসাম (quarrelsome): কলহপ্রিয়, ঝগড়াটে।
৬৭. Alexander Pope’s ‘Essay on Man’ is a—
[ বিসিএস ৪৪তম ]
ঘঃ কবিতা (poem)।
অ্যালেক্সান্ডার পোপের ‘Essay on Man’ একটি দার্শনিক কবিতা। এটি ১৭৩৪ সালে প্রকাশিত হয়েছিল এবং নীতিশাস্ত্র ও মানব প্রকৃতির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করে।
৬৮. ‘By and large’ means—
[ বিসিএস ৪৪তম ]
উত্তর: গঃ মোটামুটি (mostly)।
'By and large' একটি ইংরেজি ইডিয়ম, যার অর্থ সাধারণভাবে, মোটের উপর বা প্রায়শই।
অন্যান্য অপশনগুলোর অর্থ:
- কঃ সর্বত্র (everywhere): সব জায়গায়।
- খঃ খুব বড় (very large): আকারে অনেক বড়।
- ঘঃ দূরে (far away): অনেক দূরে।
৬৯. Francis Bacon is an illustrious—
[ বিসিএস ৪৪তম ]
উত্তর: কঃ প্রাবন্ধিক (essayist)।
ফ্রান্সিস বেকন একজন বিখ্যাত প্রাবন্ধিক ছিলেন। তিনি ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রবন্ধকার হিসেবে বিবেচিত হন। তার প্রবন্ধগুলি গভীর চিন্তাভাবনা, প্রজ্ঞা এবং তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণের জন্য বিখ্যাত।
অন্যান্য অপশনগুলোর অর্থ:
- খঃ নাট্যকার (dramatist): যিনি নাটক লেখেন।
- গঃ ঔপন্যাসিক (novelist): যিনি উপন্যাস লেখেন।
- ঘঃ সাংবাদিক (journalist): যিনি সংবাদপত্রে বা গণমাধ্যমে সংবাদ পরিবেশন করেন।
উত্তর: ঘঃ একটি সংযোজক (a conjunction)।
এখানে 'but' শব্দটি দুটি বাক্য ("He could not win" এবং "learnt a lot") কে যুক্ত করছে। যে শব্দ দুটি শব্দ, দুটি বাক্য বা দুটি বাক্যংশকে যুক্ত করে, তাকে conjunction বা সংযোজক বলে।
অন্যান্য অপশনগুলোর অর্থ:
- কঃ একটি ক্রিয়া বিশেষণ (an adverb): যে শব্দ কোনো ক্রিয়া, বিশেষণ বা অন্য কোনো ক্রিয়া বিশেষণকে বিশেষিত করে।
- খঃ একটি ক্রিয়া (a verb): যে শব্দ কোনো কাজ করা, হওয়া বা থাকা বোঝায়।
- গঃ একটি বিশেষণ (an adjective): যে শব্দ কোনো বিশেষ্যের গুণ, দোষ, অবস্থা, সংখ্যা বা পরিমাণ বোঝায়।
বিক্রয়মূল্য =
ক্রয়মূল্য = বিক্রয়মূল্যের দ্বিগুণ =
যেহেতু ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্যের চেয়ে বেশি, তাই এখানে ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতির পরিমাণ = ক্রয়মূল্য - বিক্রয়মূল্য =
শতকরা ক্ষতির পরিমাণ বের করতে, আমরা নিম্নলিখিত সূত্রটি ব্যবহার করি:
এখানে,
- মোট ক্ষতি =
টাকা - ক্রয়মূল্য =
টাকা
সুতরাং,
অতএব, শতকরা ক্ষতির পরিমাণ ৫০%।
৭৪. ABC ত্রিভুজে B কোণের পরিমাণ ৪৮° এবং AB = AC। যদি E এবং F AB এবং AC-কে এমনভাবে ছেদ করে যেন EF || BC হয়, তাহলে ∠A + ∠AFE =?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
ধাপে ধাপে বিশ্লেষণ:
প্রদত্ত তথ্য:
- ABC একটি সমদ্বিবাহু ত্রিভুজ, যেখানে AB = AC।
- ∠B = ৪৮°।
- EF || BC, অর্থাৎ EF ও BC সমান্তরাল।
১ম ধাপ: ∠A নির্ণয় করা
সমদ্বিবাহু ত্রিভুজে দুই সমান বাহুর বিপরীত কোণ সমান হয়।
ত্রিভুজের তিন কোণের যোগফল ১৮০°, তাই—
২য় ধাপ: ∠AFE নির্ণয় করা
EF || BC থাকার কারণে ∠AFE এবং ∠B পরস্পর সমকোণ (Corresponding Angles)।
৩য় ধাপ: ∠A + ∠AFE নির্ণয় করা
সঠিক উত্তর:
৭৫. হয়, তাহলে নিচের কোনটি এর মান?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
ধাপে ধাপে সমাধান:
প্রদত্ত সমীকরণ:
১ম ধাপ: লগারিদমের সংজ্ঞা প্রয়োগ করা
লগারিদম সংজ্ঞা অনুযায়ী—
যেহেতু
২য় ধাপ: সূচকের হিসাব করা
সুতরাং, বা ।
৭৬. যদি সমান্তর অনুক্রমে থাকে, তাহলে এর মান হবে যথাক্রমে –
[ বিসিএস ৪৪তম ]
প্রদত্ত সমান্তর অনুক্রম:
সমান্তর অনুক্রমে প্রতিটি পরবর্তী সংখ্যা আগের সংখ্যার সাথে একটি স্থির পার্থক্য যোগ করে পাওয়া যায়, যাকে সাধারণ পার্থক্য (
১ম ধাপ: সাধারণ পার্থক্য ( ) নির্ণয় করা
আমরা জানি:
এবং,
সুতরাং, প্রথম ও শেষ সংখ্যার মধ্যে সাধারণ পার্থক্য হবে:
২য় ধাপ: ও এর মান নির্ণয় করা
সুতরাং, এবং
৭৭. এর মান কত?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
এখন,
সুতরাং,
যেহেতু
আমরা জানি
অতএব,
সুতরাং,
উত্তর:
৭৮. ১৮ এবং ৭২ এর গুণোত্তর গড় কোনটি?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
এখানে, সংখ্যা দুটি হলো
সুতরাং, এদের গুণোত্তর গড় হবে
আমরা লিখতে পারি,
তাহলে,
অতএব, গুণোত্তর গড় =
সুতরাং, ১৮ এবং ৭২ এর গুণোত্তর গড় হলো ৩৬।
সঠিক উত্তর: গঃ ৩৬
৭৯. সংখ্যক পদের যোগফল হবে –
[ বিসিএস ৪৪তম ]
- যদি
জোড় সংখ্যা হয়, যোগফল - যদি
বিজোড় সংখ্যা হয়, যোগফল
এখন আমরা বিকল্পগুলো পরীক্ষা করে দেখব:
কঃ
খঃ
গঃ
* যদি
* যদি
ঘঃ
* যদি
* যদি
সুতরাং,
সঠিক উত্তর: ঘঃ
আমরা জানি, একটি সুষম বহুভুজের প্রতিটি অন্তঃকোণের পরিমাণ
প্রশ্নানুসারে, প্রতিটি কোণের পরিমাণ
সুতরাং,
উভয় পক্ষকে
সুতরাং, সুষম বহুভুজটির বাহুসংখ্যা ৩০টি।
উত্তর: ৩০
৮১. একটি সমবাহু ত্রিভুজের বাহুর দৈর্ঘ্য ২ সে.মি. এবং উচ্চতা x সে.মি. হলে, x এর মান কোনটি?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
এখানে, সমবাহু ত্রিভুজের বাহুর দৈর্ঘ্য
সুতরাং, উচ্চতা
অতএব,
উত্তর:
৮২. যদি হয়, তাহলে
[ বিসিএস ৪৪তম ]
এখন, আমাদের
অতএব, যদি
উত্তর:
৮৩. হলে A ও B স্বাধীন হলে এর মান কত?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
এখানে,
সুতরাং,
আমরা জানি, দুটি ঘটনার সংযোগ সেটের সম্ভাবনা
এখন, মানগুলো বসিয়ে পাই,
৮৪. বাস্তব সংখ্যায় অসমতাটির সমাধান:
[ বিসিএস ৪৪তম ]
১ম ধাপ: অমূখ্য মানের সংজ্ঞা প্রয়োগ
যদি
সুতরাং, এখানে প্রয়োগ করলে:
২য় ধাপ: নির্ণয় করা
প্রথমে
উত্তর:
৮৫. এবং -এর সংখ্যা সহগের গ.সা.গু. নিচের কোনটি?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
১ম ধাপ: সংখ্যাসহগের গ.সা.গু. নির্ণয় করা
দুইটি সহগ হল:
২য় ধাপ: চলকের গ.সা.গু. নির্ণয় করা
এবং → গ.সা.গু. এবং → গ.সা.গু. এবং → গ.সা.গু.
৩য় ধাপ: চূড়ান্ত উত্তর
সংখ্যা ও চলকের গ.সা.গু. একসাথে লিখলে:
সঠিক উত্তর: (খ)
৮৬. সুপরিবাহী পদার্থে valence band এবং conduction band –
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সুপরিবাহী পদার্থে (conductors) valence band এবং conduction band একটির সাথে আরেকটি ওভারল্যাপ করে থাকে।
এর মানে হলো, ভ্যালেন্স ব্যান্ডের সর্বোচ্চ শক্তিস্তর এবং কন্ডাকশন ব্যান্ডের সর্বনিম্ন শক্তিস্তরের মধ্যে কোনো শক্তি ব্যবধান (energy gap) থাকে না। কিছু ক্ষেত্রে, তারা একে অপরের মধ্যে মিশে থাকে।
এই ওভারল্যাপিং এর কারণে, ভ্যালেন্স ব্যান্ডের ইলেকট্রনগুলো খুব সহজেই কন্ডাকশন ব্যান্ডের দিকে যেতে পারে সামান্যতম শক্তি পেলেই। ফলে, পরিবাহী পদার্থে প্রচুর সংখ্যক মুক্ত ইলেকট্রন থাকে যা তড়িৎ পরিবহনে অংশ নেয়।
সহজভাবে বললে:
- ভ্যালেন্স ব্যান্ড (Valence Band): এটি সেই শক্তিস্তর যেখানে পরমাণুর যোজ্যতা ইলেকট্রন (valence electrons) অবস্থান করে। এই ইলেকট্রনগুলো সাধারণত পরমাণুর সাথে আবদ্ধ থাকে এবং তড়িৎ পরিবহনে অংশ নেয় না।
- কন্ডাকশন ব্যান্ড (Conduction Band): এটি সেই শক্তিস্তর যেখানে ইলেকট্রনগুলো মুক্তভাবে চলাচল করতে পারে এবং তড়িৎ পরিবহনে অংশ নিতে পারে।
অপরিবাহী (insulators) এবং অর্ধপরিবাহী (semiconductors) পদার্থের ক্ষেত্রে ভ্যালেন্স ব্যান্ড এবং কন্ডাকশন ব্যান্ডের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট শক্তি ব্যবধান থাকে। এই ব্যবধানের আকার পদার্থের তড়িৎ পরিবাহিতা নির্ধারণ করে। কিন্তু সুপরিবাহীর ক্ষেত্রে এই ব্যবধান শূন্য অথবা নেগেটিভ (ওভারল্যাপিং এর কারণে)।
৮৭. ফটোগ্রাফিক প্লেটে আবরণ থাকে –
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হলো কঃ সিলভার ব্রোমাইডের।
ফটোগ্রাফিক প্লেটে আলোক সংবেদী উপাদান হিসেবে সিলভার ব্রোমাইডের (AgBr) আবরণ থাকে। আলো যখন এই আবরণের উপর পড়ে, তখন রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে এবং একটি সুপ্ত চিত্র তৈরি হয়। পরবর্তীতে ডেভেলপিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই সুপ্ত চিত্রটি দৃশ্যমান হয়।
অন্যান্য বিকল্পগুলো ফটোগ্রাফিক প্লেটে আবরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয় না:
- সিলভার ক্লোরাইড (AgCl) এবং সিলভার ফ্লোরাইড (AgF) আলোক সংবেদী হলেও সাধারণত ফটোগ্রাফিক প্লেটে ব্যবহৃত হয় না।
- অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড (NH₄Cl) ফটোগ্রাফিতে অন্য কাজে ব্যবহৃত হতে পারে, তবে এটি আলোক সংবেদী আবরণ নয়।
উত্তর: কঃ সিলভার ব্রোমাইডের
সঠিক উত্তর হলো কঃ নাইট্রোজেন।
বজ্রবৃষ্টির সময় বায়ুমণ্ডলের নাইট্রোজেন অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে নাইট্রোজেন অক্সাইড তৈরি করে। এই নাইট্রোজেন অক্সাইড বৃষ্টির পানির সাথে মিশে মাটিতে আসে এবং নাইট্রেট (NO₃⁻) ও নাইট্রাইট (NO₂⁻) নামক রাসায়নিক যৌগে পরিণত হয়। এই নাইট্রেট এবং নাইট্রাইট উদ্ভিদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উপাদান, যা প্রোটিন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জৈব অণু তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
অন্যান্য বিকল্পগুলো বজ্রবৃষ্টির ফলে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায় না:
- পটাশিয়াম (খ): এটি মাটির খনিজ উপাদান থেকে আসে।
- অক্সিজেন (গ): যদিও বৃষ্টিতে অক্সিজেন থাকে, বজ্রবৃষ্টির মূল প্রভাব উদ্ভিদের জন্য নাইট্রোজেন সরবরাহ বৃদ্ধি করা।
- ফসফরাস (ঘ): এটিও মূলত মাটির খনিজ উপাদান থেকে আসে।
সুতরাং, বজ্রবৃষ্টির ফলে মাটিতে উদ্ভিদের জন্য নাইট্রোজেন খাদ্য উপাদানের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
৮৯. ফলিক এসিডের অন্য নাম কোনটি?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হলো ঘঃ ভিটামিন বি৯।
ফলিক এসিড ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের একটি অংশ এবং এর অন্য নাম হলো ভিটামিন বি৯। এটি ফোলেট নামেও পরিচিত। ফলিক এসিড মানব দেহের কোষের বৃদ্ধি ও ডিএনএ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
অন্যান্য বিকল্পগুলো ফলিক এসিডের অন্য নাম নয়:
- ভিটামিন বি১২ (ক): এর রাসায়নিক নাম সায়ানোকোবালামিন।
- ভিটামিন বি৬ (খ): এর রাসায়নিক নাম পাইরিডক্সিন।
- ভিটামিন বি১ (গ): এর রাসায়নিক নাম থায়ামিন।
সুতরাং, ফলিক এসিডের অন্য নাম হলো ভিটামিন বি৯।
৯০. যে কারণে শৈশব-অন্ধত্ব হতে পারে তা হলো –
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হলো গঃ হাম।
হাম (Measles) একটি ভাইরাসজনিত সংক্রামক রোগ যা শিশুদের মধ্যে অন্ধত্বের একটি উল্লেখযোগ্য কারণ হতে পারে। হামের জটিলতা হিসেবে চোখের কর্ণিয়ায় প্রদাহ (কেরাটাইটিস) এবং ভিটামিন এ-এর অভাব দেখা দিতে পারে, যা স্থায়ী দৃষ্টিশক্তি হ্রাস বা অন্ধত্বের দিকে ধাবিত করতে পারে।
অন্যান্য বিকল্পগুলো শৈশব-অন্ধত্বের সরাসরি কারণ হিসেবে ততটা উল্লেখযোগ্য নয়:
- এইচআইভি/এইডস (ক): এইচআইভি/এইডস শিশুদের শরীরে অন্যান্য রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায় এবং পরোক্ষভাবে চোখের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, তবে এটি শৈশব-অন্ধত্বের প্রধান কারণ নয়।
- ম্যালেরিয়া (খ): ম্যালেরিয়া সাধারণত চোখের সরাসরি ক্ষতি করে না, তবে গুরুতর ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের ম্যালেরিয়া হলে অন্যান্য জটিলতার সাথে দৃষ্টি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- যক্ষা (ঘ): যক্ষা সাধারণত ফুসফুসকে আক্রমণ করে, তবে বিরল ক্ষেত্রে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়লে চোখের সমস্যা হতে পারে, কিন্তু এটি শৈশব-অন্ধত্বের প্রধান কারণ নয়।
সুতরাং, হাম একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ যা শৈশবে অন্ধত্ব সৃষ্টি করতে পারে।
৯১. শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল দিতে হয় –
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হলো খঃ বছরে দুইবার।
বাংলাদেশে শিশুদের ভিটামিন এ-এর অভাবজনিত রোগ প্রতিরোধ করার জন্য জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের অধীনে বছরে দুইবার ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। সাধারণত, এই ক্যাম্পেইনগুলো বছরে দুটি নির্দিষ্ট সময়ে (যেমন: গ্রীষ্ম ও শীতকালে) অনুষ্ঠিত হয়।
৯২. ব্যাকটেরিয়ার গতিশীলতার জন্য তার যে গঠন দায়ী তা হলো—
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হলো খঃ ফ্লাজেলা।
ব্যাকটেরিয়ার গতিশীলতার প্রধান অঙ্গ হলো ফ্লাজেলা (Flagella)। এটি দেখতে অনেকটা সুতার মতো এবং কোষের বাইরে অবস্থিত। ফ্লাজেলার ঘূর্ণনের মাধ্যমেই ব্যাকটেরিয়া তরল মাধ্যমে চলাচল করতে পারে। ব্যাকটেরিয়ার এক বা একাধিক ফ্লাজেলা থাকতে পারে এবং এদের বিন্যাস বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন হয়।
অন্যান্য বিকল্পগুলো ব্যাকটেরিয়ার গতিশীলতার জন্য দায়ী গঠন নয়:
- পিল্লি (Pili) (ক): এগুলো ছোট, চুলের মতো গঠন যা ব্যাকটেরিয়ার কোষের উপরিভাগে থাকে। পিল্লি প্রধানত ব্যাকটেরিয়াকে অন্য কোষ বা বস্তুর সাথে সংযুক্ত হতে সাহায্য করে এবং কিছু ক্ষেত্রে জেনেটিক উপাদান স্থানান্তরে ভূমিকা রাখে।
- শীথ (Sheath) (গ): কিছু ব্যাকটেরিয়াতে ফ্লাজেলার চারপাশে একটি প্রতিরক্ষামূলক আবরণ থাকে যাকে শীথ বলে। এটি সরাসরি গতিশীলতার সাথে যুক্ত নয়।
- ক্যাপসুলস (Capsules) (ঘ): এটি ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীরের বাইরে অবস্থিত একটি পুরু, পিচ্ছিল স্তর। ক্যাপসুল ব্যাকটেরিয়াকে শুকিয়ে যাওয়া এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে, তবে এটি গতিশীলতার জন্য দায়ী নয়।
সুতরাং, ব্যাকটেরিয়ার গতিশীলতার জন্য তার যে গঠন দায়ী তা হলো ফ্লাজেলা।
৯৩. ‘কেপলার-৪৫২বি’ কী?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হলো খঃ পৃথিবীর মতো একটি গ্রহ।
‘কেপলার-৪৫২বি’ (Kepler-452b) হলো একটি এক্সোপ্ল্যানেট বা বহির্গ্রহ, যা আমাদের সৌরজগতের বাইরে অবস্থিত। এটি ২০১৬ সালে নাসার কেপলার স্পেস টেলিস্কোপ আবিষ্কার করে। বিজ্ঞানীরা এটিকে পৃথিবীর মতো বলে মনে করেন, কারণ এটি তার নক্ষত্রের হ্যাবিটেবল জোনে (Habitable Zone) অবস্থিত, যেখানে গ্রহের পৃষ্ঠে তরল পানি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এটি যে নক্ষত্রের চারপাশে ঘোরে, সেটিও আমাদের সূর্যের মতোই একটি জি-টাইপ তারকা।
অন্যান্য বিকল্পগুলো সঠিক নয়:
- একটি মহাকাশযান (ক): কেপলার-৪৫২বি কোনো মহাকাশযান নয়, এটি একটি গ্রহ।
- সূর্যের মতো একটি নক্ষত্র (গ): এটি একটি গ্রহ, নক্ষত্র নয়।
- NASA-এর অত্যাধুনিক টেলিস্কোপ (ঘ): কেপলার স্পেস টেলিস্কোপ ছিল গ্রহ অনুসন্ধানের জন্য ব্যবহৃত নাসার একটি টেলিস্কোপ, কিন্তু কেপলার-৪৫২বি সেই টেলিস্কোপ দ্বারা আবিষ্কৃত একটি গ্রহ।
৯৪. ধারালো যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্ত করার ভাল পদ্ধতি –
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হলো ঘঃ কেমিক্যাল স্টেরিলাইজেশন।
ধারালো যন্ত্রপাতি, যেমন অস্ত্রোপচারের সরঞ্জাম, জীবাণুমুক্ত করার জন্য কেমিক্যাল স্টেরিলাইজেশন একটি ভালো পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে বিভিন্ন জীবাণুনাশক রাসায়নিক দ্রবণ ব্যবহার করা হয় যা ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক এবং অন্যান্য রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু ধ্বংস করতে পারে। ধারালো যন্ত্রপাতির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি যাতে তাদের ধার নষ্ট না হয় এবং সঠিকভাবে জীবাণুমুক্ত করা যায়।
অন্যান্য বিকল্পগুলো ধারালো যন্ত্রপাতির জন্য উপযুক্ত পদ্ধতি নাও হতে পারে:
- বয়লিং (ক): যদিও এটি কিছু জীবাণু ধ্বংস করতে পারে, তবে এটি সব ধরনের জীবাণু, বিশেষ করে স্পোর ধ্বংস করতে পারে না। ধারালো যন্ত্রপাতি দীর্ঘক্ষণ ধরে সেদ্ধ করলে তাদের ধার নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- বেনজিন ওয়াশ (খ): বেনজিন জীবাণুনাশক নয় এবং এটি স্বাস্থ্যকর নয়। এটি পরিষ্কার করার কাজে ব্যবহৃত হতে পারে, কিন্তু জীবাণুমুক্ত করার জন্য নয়।
- ফরমালিন ওয়াশ (গ): ফরমালিন একটি জীবাণুনাশক, তবে এটি সাধারণত গ্যাসীয় আকারে বা দীর্ঘ সময় ধরে দ্রবণে ডুবিয়ে রাখার মাধ্যমে ব্যবহার করা হয়। শুধু ওয়াশ করা যথেষ্ট জীবাণুমুক্ত নাও করতে পারে এবং এর তীব্র গন্ধ ও স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণে এটি খুব একটা পছন্দের পদ্ধতি নয়।
সুতরাং, ধারালো যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্ত করার ভালো পদ্ধতি হলো কেমিক্যাল স্টেরিলাইজেশন।
৯৫. সাবানের আয়নিক গ্রুপ হলো—
[ বিসিএস ৪৪তম ]
ব্যাখ্যা:
সাবান হলো একটি সোডিয়াম বা পটাশিয়াম লবণ, যা সাধারণত ফ্যাটি অ্যাসিড থেকে প্রস্তুত করা হয়।
- সাবানের আয়নিক গ্রুপ হলো কার্বক্সিলেট (-COO⁻) এবং এটি সোডিয়াম (Na⁺) বা পটাশিয়াম (K⁺) এর সাথে যুক্ত থাকে।
- এটি জলে দ্রবীভূত হলে (-COO⁻) অংশটি জল-প্রেমী (hydrophilic) এবং জল-বিমুখ (hydrophobic) অংশটি তেল ও ময়লা অপসারণ করতে সাহায্য করে।
৯৬. কোন জোড়াটি বেমানান?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হলো গঃ ব্যাকটেরিয়া : রবার্ট হুক।
এই জোড়াটি বেমানান কারণ:
- যক্ষ্মার জীবাণু : রবার্ট কচ (ক): রবার্ট কচ যক্ষ্মার জীবাণু (মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকুলোসিস) আবিষ্কার করেন। এটি একটি সঠিক জোড়।
- হোমিওপ্যাথি: হ্যানিম্যান (খ): স্যামুয়েল হ্যানিম্যান হোমিওপ্যাথির জনক হিসেবে পরিচিত। এটিও একটি সঠিক জোড়।
- ব্যাকটেরিয়া : রবার্ট হুক (গ): রবার্ট হুক কোষ আবিষ্কার করেন। তিনি অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে কর্কের মধ্যে ছোট ছোট কুঠুরি দেখতে পান এবং সেগুলোকে কোষ নাম দেন। ব্যাকটেরিয়ার আবিষ্কারের কৃতিত্ব লিউয়েনহুককে দেওয়া হয়। সুতরাং, এটি বেমানান জোড়।
- এনাটমি : ভেসলিয়াস (ঘ): আন্দ্রেয়াস ভেসলিয়াসকে আধুনিক অ্যানাটমির জনক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি একটি সঠিক জোড়।
সুতরাং, বেমানান জোড়াটি হলো ব্যাকটেরিয়া : রবার্ট হুক।
৯৭. এনজাইম, অ্যান্টিবডি এবং হরমোন-এর মৌলিক উপাদান –
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হলো কঃ প্রোটিন।
এনজাইম, অ্যান্টিবডি এবং হরমোন - এই তিনটি জৈব অণুর মৌলিক উপাদান হলো প্রোটিন।
- এনজাইম (Enzyme): এগুলো প্রোটিন দ্বারা গঠিত জৈব অনুঘটক যা শরীরের বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়াকে দ্রুততর করে।
- অ্যান্টিবডি (Antibody): এগুলোও প্রোটিন (ইমিউনোগ্লোবিউলিন) যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু বা বহিরাগত পদার্থের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
- হরমোন (Hormone): যদিও কিছু হরমোন স্টেরয়েড (যেমন সেক্স হরমোন) বা অ্যামিনো অ্যাসিড ডেরিভেটিভ (যেমন থাইরয়েড হরমোন) হতে পারে, বেশিরভাগ হরমোনই পলিপেপটাইড বা প্রোটিন প্রকৃতির।
অন্যান্য বিকল্পগুলো এই তিনটি জৈব অণুর মৌলিক উপাদান নয়:
- ক্যালসিয়াম (খ): এটি একটি খনিজ উপাদান যা হাড়ের গঠন, স্নায়ুর কার্যকারিতা এবং অন্যান্য শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- ভিটামিন (গ): এগুলো জৈব যৌগ যা শরীরের স্বাভাবিক কার্যকারিতার জন্য অল্প পরিমাণে প্রয়োজন হয়, কিন্তু এরা এনজাইম, অ্যান্টিবডি বা হরমোনের মৌলিক উপাদান নয়। কিছু ভিটামিন কোএনজাইম হিসেবে কাজ করতে পারে, যা এনজাইমের কার্যকারিতার জন্য অপরিহার্য।
- লবণ (ঘ): এটি সাধারণত সোডিয়াম ক্লোরাইডকে বোঝায় এবং এটি শরীরের ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে, কিন্তু এটি এনজাইম, অ্যান্টিবডি বা হরমোনের মৌলিক উপাদান নয়।
সুতরাং, এনজাইম, অ্যান্টিবডি এবং হরমোনের মৌলিক উপাদান হলো প্রোটিন।
৯৮. মকরক্রান্তি রেখা কোনটি?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হলো কঃ ২৩°৩০′ দক্ষিণ অক্ষাংশ।
মকরক্রান্তি রেখা হলো পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধে অবস্থিত একটি কল্পিত রেখা। এটি বিষুবরেখার ২৩°৩০′ দক্ষিণে অবস্থিত। এই রেখাটি সেই অক্ষাংশকে নির্দেশ করে যেখানে ২১শে জুন তারিখে সূর্য সরাসরি মাথার উপর কিরণ দেয়।
অন্যান্য বিকল্পগুলো ভুল:
- ২৩°৩০′ উত্তর অক্ষাংশ (খ): এটি কর্কটক্রান্তি রেখা নামে পরিচিত এবং উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত।
- ২৩°৩০′ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ (গ) এবং ২৩°৩০′ পশ্চিম দ্রাঘিমাংশ (ঘ): এগুলো দ্রাঘিমাংশ রেখা এবং কোনো নির্দিষ্ট তাপীয় অঞ্চল নির্দেশ করে না। দ্রাঘিমাংশ সময় নির্ধারণের সাথে সম্পর্কিত।
সুতরাং, মকরক্রান্তি রেখা হলো ২৩°৩০′ দক্ষিণ অক্ষাংশ।
৯৯. পরম শূন্য তাপমাত্রা কোনটি?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হলো ঘঃ ০° কেলভিন।
পরম শূন্য তাপমাত্রা হলো তাত্ত্বিকভাবে সর্বনিম্ন সম্ভাব্য তাপমাত্রা। এই তাপমাত্রায় পদার্থের অণুগুলোর তাপীয় গতি সর্বনিম্ন হয়। সেলসিয়াস স্কেলে এর মান প্রায় -২৭৩.১৫° সেলসিয়াস এবং ফারেনহাইট স্কেলে প্রায় -৪৫৯.৬৭° ফারেনহাইট। তবে, পরম শূন্য তাপমাত্রাকে কেলভিন স্কেলে ০° কেলভিন হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।
অন্যান্য বিকল্পগুলো ভুল:
- ২৭৩° সেন্টিগ্রেড (ক): এটি পানির স্ফুটনাঙ্কের কাছাকাছি তাপমাত্রা।
- -২৭৩° ফারেনহাইট (খ): এটি পরম শূন্য তাপমাত্রার কাছাকাছি হলেও সঠিক মান নয়।
- ০° সেন্টিগ্রেড (গ): এটি পানির হিমাঙ্কের তাপমাত্রা।
সুতরাং, পরম শূন্য তাপমাত্রা হলো ০° কেলভিন।
১০০. আদর্শ ভোল্টেজ উৎসের অভ্যন্তরীণ রোধ কত?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হলো শূন্য।
একটি আদর্শ ভোল্টেজ উৎসের অভ্যন্তরীণ রোধ (Internal Resistance) তাত্ত্বিকভাবে শূন্য ধরা হয়। এর অর্থ হলো, উৎসটির আউটপুট ভোল্টেজ লোডের মানের উপর নির্ভরশীল নয় এবং সর্বদা একটি নির্দিষ্ট ধ্রুব মানে বজায় থাকে। যদিও বাস্তবে কোনো ভোল্টেজ উৎসের অভ্যন্তরীণ রোধ পুরোপুরি শূন্য হয় না, তবে আদর্শ ক্ষেত্রে এটি শূন্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
অভ্যন্তরীণ রোধের কারণে, বাস্তব ভোল্টেজ উৎসের সাথে লোড সংযোগ করলে কিছু ভোল্টেজ অভ্যন্তরীণ রোধের মধ্যে ড্রপ হয়, ফলে লোডে সরবরাহকৃত ভোল্টেজ উৎসের নিজস্ব ভোল্টেজের চেয়ে কিছুটা কম হয়। আদর্শ ভোল্টেজ উৎসে এই ভোল্টেজ ড্রপ শূন্য হওয়ার কথা।
১০১. নিচের কোনটি Structured Query Language নয়?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হলো কঃ Java।
Structured Query Language (SQL) হলো ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে ডেটা ব্যবস্থাপনা এবং পুনরুদ্ধারের জন্য ব্যবহৃত একটি স্ট্যান্ডার্ড প্রোগ্রামিং ভাষা। MySQL এবং Oracle উভয়ই জনপ্রিয় রিলেশনাল ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (RDBMS) এবং তারা ডেটাবেসের সাথে যোগাযোগের জন্য SQL ব্যবহার করে।
অন্যদিকে, Java হলো একটি উচ্চ-স্তরের, ক্লাস-ভিত্তিক, অবজেক্ট-ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং ভাষা। এটি বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের জন্য ব্যবহৃত হয়, তবে এটি সরাসরি কোনো ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বা SQL নয়। Java অ্যাপ্লিকেশনগুলো JDBC (Java Database Connectivity) API ব্যবহার করে ডেটাবেসের সাথে যোগাযোগ করতে পারে এবং SQL কোয়েরি পাঠাতে পারে, কিন্তু Java নিজে SQL নয়।
সুতরাং, Java Structured Query Language নয়।
১০২. Hostname-কে IP Address-এ অনুবাদ করে –
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হলো গঃ DNS Server।
DNS (Domain Name System) সার্ভার হোস্টনামকে (যেমন www.example.com) সংশ্লিষ্ট IP অ্যাড্রেসে (যেমন 192.168.1.1) অনুবাদ করার কাজ করে। যখন আপনি ওয়েব ব্রাউজারে একটি ওয়েবসাইট ঠিকানা টাইপ করেন, তখন আপনার কম্পিউটার প্রথমে একটি DNS সার্ভারের কাছে সেই হোস্টনামের IP ঠিকানা জানার জন্য অনুরোধ পাঠায়। DNS সার্ভার তখন সেই হোস্টনামের সাথে যুক্ত IP ঠিকানাটি ফেরত পাঠায়, যার ফলে আপনার ব্রাউজার সঠিক সার্ভারের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারে।
অন্যান্য বিকল্পগুলো হোস্টনামকে IP অ্যাড্রেসে অনুবাদ করে না:
- FTP Server (ক): এটি ফাইল ট্রান্সফার করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
- Firewall (খ): এটি নেটওয়ার্ক নিরাপত্তা রক্ষার জন্য ব্যবহৃত হয়।
- Gateway (ঘ): এটি দুটি ভিন্ন নেটওয়ার্কের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে।
সুতরাং, হোস্টনামকে IP অ্যাড্রেসে অনুবাদ করে DNS Server।
সঠিক উত্তর হলো কঃ CaaS।
Cloud Computing সেবা প্রদানকারীগণ সাধারণত তিন ধরনের সার্ভিস মডেল ব্যবহার করে:
- IaaS (Infrastructure as a Service): এই মডেলে গ্রাহকদের ভার্চুয়ালাইজড কম্পিউটিং রিসোর্স, যেমন - সার্ভার, স্টোরেজ এবং নেটওয়ার্কিং প্রদান করা হয়। গ্রাহকরা তাদের অপারেটিং সিস্টেম এবং অ্যাপ্লিকেশন নিজেরাই ইনস্টল ও ম্যানেজ করতে পারে।
- PaaS (Platform as a Service): এই মডেলে গ্রাহকদের অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট, রান এবং ম্যানেজ করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করা হয়। এর মধ্যে অপারেটিং সিস্টেম, প্রোগ্রামিং ভাষার এক্সিকিউশন এনভায়রনমেন্ট, ডেটাবেস এবং ওয়েব সার্ভার অন্তর্ভুক্ত থাকে। ডেভেলপাররা অবকাঠামো নিয়ে চিন্তা না করে সরাসরি অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপ করতে পারে।
- SaaS (Software as a Service): এই মডেলে গ্রাহকদের অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার প্রদান করা হয়, যা ইন্টারনেট ব্রাউজারের মাধ্যমে ব্যবহার করা যায়। সফটওয়্যার এবং এর অন্তর্নিহিত অবকাঠামো সেবা প্রদানকারী কর্তৃক পরিচালিত হয়। উদাহরণস্বরূপ - Gmail, Dropbox, Salesforce ইত্যাদি।
অন্যদিকে, CaaS সাধারণত "Container as a Service" বোঝায়। এটি একটি ক্লাউড কম্পিউটিং সার্ভিস মডেল যেখানে গ্রাহকরা কন্টেইনারাইজড অ্যাপ্লিকেশন ম্যানেজ এবং ডেপ্লয় করতে পারে। যদিও কিছু ক্লাউড প্রোভাইডার CaaS সেবা প্রদান করে, তবে এটি IaaS, PaaS এবং SaaS এর মতো মৌলিক এবং বহুল ব্যবহৃত মডেলের মধ্যে গণ্য হয় না। বরং, এটিকে IaaS বা PaaS এর একটি বিশেষায়িত রূপ হিসেবে দেখা যেতে পারে।
সুতরাং, প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে CaaS মডেলটি Cloud Computing সেবা প্রদানকারীগণ মৌলিক সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সরাসরি ব্যবহার করে না বললেই চলে, যদিও কন্টেইনারাইজেশন বর্তমানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি।
১০৪. অ্যামাজন-এর ক্লাউড প্লাটফর্ম কোনটি?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হলো খঃ AWS।
AWS-এর পূর্ণরূপ হলো Amazon Web Services। এটি অ্যামাজন কোম্পানির একটি ক্লাউড কম্পিউটিং প্ল্যাটফর্ম। Azure হলো মাইক্রোসফটের ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম এবং Cloudera মূলত ডেটা ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মেশিন লার্নিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে পরিচিত, যদিও এটি ক্লাউড সেবাও প্রদান করে।
সুতরাং, অ্যামাজন-এর ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম হলো AWS।
সঠিক উত্তর হলো গঃ Ransomware।
Ransomware হলো এক ধরনের ক্ষতিকর সফটওয়্যার (malware) যা কোনো কম্পিউটার সিস্টেম বা তার ডেটা এনক্রিপ্ট (বন্ধ) করে ফেলে। এর ফলে গ্রাহক তার কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারেন না। কম্পিউটার সিস্টেমকে পুনরায় ব্যবহারযোগ্য করতে বা ডেটা ফেরত পেতে আক্রমণকারী ভিকটিমের কাছে অর্থ (সাধারণত ক্রিপ্টোকারেন্সি) দাবি করে।
অন্যান্য সাইবার আক্রমণগুলো ভিন্ন ধরনের ক্ষতি করে:
- Phishing (ক): এটি একটি প্রতারণামূলক কৌশল যেখানে আক্রমণকারীরা বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ছদ্মবেশ ধারণ করে সংবেদনশীল তথ্য (যেমন - ইউজারনেম, পাসওয়ার্ড, ক্রেডিট কার্ড নম্বর) হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এক্ষেত্রে গ্রাহক সাধারণত তার কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারেন।
- Denial of Service (DoS) (খ): এই আক্রমণে কোনো সার্ভার বা নেটওয়ার্ককে অতিরিক্ত ট্র্যাফিকের মাধ্যমে অচল করে দেওয়া হয়, যাতে বৈধ ব্যবহারকারীরা সেই পরিষেবা ব্যবহার করতে না পারে। এক্ষেত্রে গ্রাহক তার নিজস্ব কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারলেও নির্দিষ্ট পরিষেবা বা ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে সমস্যায় পড়েন।
- Man-in-the-Middle (MITM) (ঘ): এই আক্রমণে আক্রমণকারী দুইজন ব্যবহারকারীর মধ্যেকার যোগাযোগে গোপনে হস্তক্ষেপ করে এবং তাদের অজান্তে তথ্য চুরি করে বা পরিবর্তন করে। এক্ষেত্রে গ্রাহক সাধারণত তার কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারেন কিন্তু তার তথ্য ঝুঁকির মধ্যে থাকে।
সুতরাং, Ransomware আক্রমণের শিকার হলে গ্রাহক নিজ কম্পিউটার সিস্টেম ব্যবহার করতে পারেন না এবং সিস্টেমকে ব্যবহার উপযোগী করতে অর্থ দাবি করা হয়।
১০৬. SCSI-এর পূর্ণরূপ কী?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
SCSI-এর পূর্ণরূপ হলো Small Computer System Interface.
SCSI (উচ্চারণ "স্কাজি" /ˈskʌzi/) হলো কম্পিউটার এবং পেরিফেরাল ডিভাইসগুলোর মধ্যে ডেটা সংযোগ স্থাপন এবং স্থানান্তরের জন্য ব্যবহৃত স্ট্যান্ডার্ডগুলোর একটি সেট। এটি মূলত হার্ড ডিস্ক ড্রাইভের সাথে ব্যবহারের জন্য পরিচিত।
সহজভাবে বলতে গেলে, SCSI একটি ইন্টারফেস যা কম্পিউটারকে বিভিন্ন পেরিফেরাল ডিভাইসের সাথে দ্রুত এবং নমনীয়ভাবে যোগাযোগ করতে সাহায্য করে। এই ডিভাইসগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ
- টেপ ড্রাইভ
- সিডি/ডিভিডি ড্রাইভ
- স্ক্যানার
- প্রিন্টার
১০৭. নিচের কোন ডিভাইসটি ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস হিসাবে কাজ করে?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হলো গঃ Touch Screen।
টাচ স্ক্রিন একটি বিশেষ ধরনের ডিসপ্লে যা একই সাথে ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস হিসেবে কাজ করে।
- ইনপুট ডিভাইস হিসেবে: টাচ স্ক্রিনের উপর স্পর্শের মাধ্যমে ব্যবহারকারী কম্পিউটারকে বিভিন্ন নির্দেশ দিতে পারে। আঙ্গুল বা স্টাইলাস ব্যবহার করে আইকন নির্বাচন করা, মেনু নেভিগেট করা, টেক্সট টাইপ করা ইত্যাদি কাজ করা যায়।
- আউটপুট ডিভাইস হিসেবে: এটি একটি ডিসপ্লে যা ব্যবহারকারীকে তথ্য, ছবি, ভিডিও ইত্যাদি প্রদর্শন করে।
অন্যান্য বিকল্পগুলো শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট কাজ করে:
- Scanner (ক): এটি শুধুমাত্র ইনপুট ডিভাইস হিসেবে কাজ করে, যা কোনো ডকুমেন্ট বা ছবিকে ডিজিটাল ফরমেটে কম্পিউটারে প্রবেশ করায়।
- Mouse (খ): এটিও একটি ইনপুট ডিভাইস, যা কার্সর নিয়ন্ত্রণ এবং বিভিন্ন অপশন নির্বাচনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
- Projector (ঘ): এটি একটি আউটপুট ডিভাইস, যা কম্পিউটার বা অন্য কোনো ডিভাইস থেকে প্রাপ্ত ছবি বা ভিডিওকে একটি বড় স্ক্রিনে প্রজেক্ট করে দেখায়।
সুতরাং, টাচ স্ক্রিন একই সাথে ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস হিসেবে কাজ করে।
১০৮. নিচের কোন Octal সংখ্যাটি Decimal সংখ্যা ৫৫-এর সমতুল্য?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
ডেসিমেল (Decimal) সংখ্যা ৫৫-কে অক্টাল (Octal) সংখ্যায় রূপান্তর করার জন্য, ৫৫-কে ৮ দিয়ে ভাগ করে ভাগফল এবং ভাগশেষ নির্ণয় করতে হবে। এই প্রক্রিয়াটি ততক্ষণ পর্যন্ত চলবে যতক্ষণ না ভাগফল শূন্য হয়। এরপর ভাগশেষগুলোকে বিপরীত দিক থেকে সাজিয়ে লিখলে অক্টাল সংখ্যাটি পাওয়া যাবে।
১. ৫৫ ÷ ৮ = ৬ (ভাগফল), ৭ (ভাগশেষ) ২. ৬ ÷ ৮ = ০ (ভাগফল), ৬ (ভাগশেষ)
ভাগশেষগুলোকে বিপরীত দিক থেকে লিখলে আমরা পাই ৬৭।
সুতরাং, ডেসিমেল সংখ্যা ৫৫-এর সমতুল্য অক্টাল সংখ্যা হলো ৬৭।
১০৯. নিচের কোনটি system software নয়?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হলো গঃ Mozilla Firefox।
সিস্টেম সফটওয়্যার হলো সেই প্রোগ্রামগুলো যা কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এবং অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারকে পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করে। এটি কম্পিউটারের মৌলিক কার্যকারিতা নিশ্চিত করে এবং অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার চালানোর জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে।
প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে:
- Linux (ক): এটি একটি ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম। অপারেটিং সিস্টেম হলো সিস্টেম সফটওয়্যারের একটি প্রধান উদাহরণ।
- Android (খ): এটি একটি মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম, যা লিনাক্স কার্নেলের উপর ভিত্তি করে তৈরি। এটিও একটি সিস্টেম সফটওয়্যার।
- Apple iOS (ঘ): এটি অ্যাপল কোম্পানির মোবাইল ডিভাইসগুলোর জন্য তৈরি একটি অপারেটিং সিস্টেম। এটিও একটি সিস্টেম সফটওয়্যার।
১১০. এক মেশিন থেকে অন্য মেশিনে ই-মেইল মেসেজ স্থানান্তর করতে কোন TCP/IP প্রটোকল ব্যবহার হয়?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হলো ঘঃ SMTP।
এক মেশিন থেকে অন্য মেশিনে ই-মেইল মেসেজ স্থানান্তর করার জন্য SMTP (Simple Mail Transfer Protocol) ব্যবহার করা হয়। এটি একটি স্ট্যান্ডার্ড ইন্টারনেট প্রোটোকল যা ই-মেইল বার্তা প্রেরণের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। যখন আপনি একটি ই-মেইল পাঠান, আপনার মেইল ক্লায়েন্ট SMTP প্রোটোকল ব্যবহার করে আপনার মেইল সার্ভারের সাথে যোগাযোগ করে এবং প্রাপকের মেইল সার্ভারে বার্তাটি ফরোয়ার্ড করে।
অন্যান্য প্রোটোকলগুলো ভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়:
- FTP (File Transfer Protocol) (ক): এটি এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ফাইল স্থানান্তরের জন্য ব্যবহৃত হয়, ই-মেইল মেসেজের জন্য নয়।
- RPC (Remote Procedure Call) (খ): এটি একটি প্রোটোকল যা একটি প্রোগ্রামের মাধ্যমে অন্য কম্পিউটারে অবস্থিত একটি পদ্ধতি (procedure) চালানোর অনুমতি দেয়। এটি ই-মেইল স্থানান্তরের জন্য সরাসরি ব্যবহৃত হয় না।
- SNMP (Simple Network Management Protocol) (গ): এটি নেটওয়ার্ক ডিভাইসগুলো (যেমন - রাউটার, সুইচ) পর্যবেক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনার জন্য ব্যবহৃত হয়, ই-মেইল স্থানান্তরের জন্য নয়।
সুতরাং, ই-মেইল মেসেজ স্থানান্তর করার জন্য ব্যবহৃত TCP/IP প্রটোকল হলো SMTP।
১১১. যে কম্পিউটার প্রোগ্রাম নিজে নিজেই অন্য কম্পিউটারে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কপি হয় তাকে ____বলে।
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হলো ওয়ার্ম (Worm)।
ওয়ার্ম হলো এক প্রকার ম্যালওয়্যার (Malicious Software) যা নিজে নিজেই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অন্য কম্পিউটারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ভাইরাসের মতো ওয়ার্মকে অন্য কোনো প্রোগ্রামের সাথে যুক্ত হওয়ার প্রয়োজন হয় না। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজেদের প্রতিলিপি তৈরি করতে এবং নেটওয়ার্ক সংযোগ ব্যবহার করে অন্যান্য কম্পিউটারে ছড়িয়ে যেতে সক্ষম। এর ফলে নেটওয়ার্কের ট্র্যাফিক বেড়ে যেতে পারে এবং সিস্টেমের কার্যকারিতা কমে যেতে পারে।
অন্যান্য বিকল্পগুলো এই ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়:
- ভাইরাস (Virus): ভাইরাসও এক প্রকার ম্যালওয়্যার, তবে এটি অন্য কোনো প্রোগ্রামের সাথে যুক্ত হয়ে বিস্তার লাভ করে। ব্যবহারকারী যখন সংক্রামিত প্রোগ্রামটি চালায়, তখনই ভাইরাস সক্রিয় হয় এবং অন্যান্য ফাইলে ছড়িয়ে পড়ে।
- ট্রোজান হর্স (Trojan Horse): এটি এমন একটি ম্যালওয়্যার যা আপাতদৃষ্টিতে নিরীহ প্রোগ্রাম হিসেবে ছদ্মবেশ ধারণ করে থাকে। ব্যবহারকারী যখন এটি চালায়, তখন এটি গোপনে ক্ষতিকর কার্যকলাপ শুরু করে, তবে এটি নিজে নিজেই অন্য কম্পিউটারে কপি হতে পারে না।
- স্পাইওয়্যার (Spyware): এটি এমন সফটওয়্যার যা ব্যবহারকারীর অজান্তে তাদের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করে এবং তথ্য সংগ্রহ করে আক্রমণকারীর কাছে পাঠায়। এটি নিজে নিজেই অন্য কম্পিউটারে কপি হওয়ার ক্ষমতা নাও থাকতে পারে।
সুতরাং, যে কম্পিউটার প্রোগ্রাম নিজে নিজেই অন্য কম্পিউটারে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কপি হয় তাকে ওয়ার্ম বলে।
১১২. নিচের কোন প্রতিষ্ঠানটি 4G Standard প্রস্তুতকরণে সম্পৃক্ত?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
4G (চতুর্থ প্রজন্ম) হলো ব্রডব্যান্ড সেলুলার নেটওয়ার্ক প্রযুক্তির চতুর্থ প্রজন্ম। একটি সত্যিকারের 4G সিস্টেমকে অবশ্যই IMT-Advanced (International Mobile Telecommunications Advanced) -এর অধীনে ITU (International Telecommunication Union) কর্তৃক সংজ্ঞায়িত ক্ষমতা প্রদান করতে হবে।
ITU-এর মতে, IMT-Advanced স্ট্যান্ডার্ডের অধীনে 4G নেটওয়ার্কের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য এবং ক্ষমতা থাকা আবশ্যক, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
- উচ্চ ডেটা স্থানান্তর হার: স্থিতিশীল বা কম গতিশীল পরিবেশে প্রায় 1 Gbps এবং উচ্চ গতিশীল পরিবেশে প্রায় 100 Mbps পর্যন্ত ডেটা প্রদানের সক্ষমতা।
- নিম্ন ল্যাটেন্সি: কম বিলম্বিতা, যা রিয়েল-টাইম অ্যাপ্লিকেশনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
- উন্নত স্পেকট্রাল দক্ষতা: বেতার তরঙ্গদৈর্ঘ্যের কার্যকর ব্যবহার।
- প্যাকেট-ভিত্তিক নেটওয়ার্ক: সম্পূর্ণরূপে IP (ইন্টারনেট প্রোটোকল) ভিত্তিক যোগাযোগ ব্যবস্থা।
- বিভিন্ন বেতার অ্যাক্সেস প্রযুক্তির সাথে আন্তঃকার্যকারিতা (Interworking): অন্যান্য বেতার প্রযুক্তির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে কাজ করার ক্ষমতা।
- বিশ্বব্যাপী কার্যকারিতা এবং রোমিং: আন্তর্জাতিকভাবে ব্যবহারের এবং বিভিন্ন নেটওয়ার্কে নির্বিঘ্নে সংযোগ বজায় রাখার সক্ষমতা।
১১৩. নিচের কোনটি Open Source Software?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হলো কঃ Google Chrome.
যদিও Google Chrome সম্পূর্ণরূপে ওপেন সোর্স নয়, এর মূল ভিত্তি Chromium একটি ওপেন সোর্স প্রজেক্ট। Chromium-এর সোর্স কোড সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত এবং এটি যে কেউ ব্যবহার, পরিবর্তন ও বিতরণ করতে পারে। Google Chrome এই Chromium-এর উপর ভিত্তি করেই তৈরি করা হয়েছে এবং এর কিছু নিজস্ব মালিকানাধীন ফিচার যোগ করা হয়েছে।
অন্যদিকে:
- Microsoft Windows (খ): এটি একটি মালিকানাধীন অপারেটিং সিস্টেম এবং এর সোর্স কোড উন্মুক্ত নয়।
- Zoom (গ): এটি একটি মালিকানাধীন ভিডিও কনফারেন্সিং প্ল্যাটফর্ম এবং এর সোর্স কোড উন্মুক্ত নয়।
- Adobe Photoshop (ঘ): এটি একটি মালিকানাধীন ইমেজ এডিটিং সফটওয়্যার এবং এর সোর্স কোড উন্মুক্ত নয়।
সুতরাং, প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে Google Chrome (এর মূল ভিত্তি Chromium) ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের কাছাকাছি, যদিও এটি সম্পূর্ণরূপে ওপেন সোর্স নয়। যদি Chromium অপশনে থাকত, তবে সেটি আরও সঠিক উত্তর হতো।
১১৪. নিচের কোন Protocol-টি ইন্টারনেটে তথ্য আদান-প্রদানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে থাকে?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হলো খঃ HTTPS।
HTTPS (Hypertext Transfer Protocol Secure) হলো একটি সুরক্ষিত যোগাযোগ প্রোটোকল যা ইন্টারনেটে তথ্য আদান-প্রদানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। এটি HTTP (Hypertext Transfer Protocol)-এর একটি সুরক্ষিত সংস্করণ, যেখানে SSL (Secure Sockets Layer) বা TLS (Transport Layer Security) প্রোটোকল ব্যবহার করে ডেটা এনক্রিপ্ট করা হয়। এর ফলে প্রেরক এবং প্রাপকের মধ্যে আদান-প্রদানকৃত তথ্য তৃতীয় কোনো পক্ষ কর্তৃক পাঠ বা পরিবর্তন করার সম্ভাবনা হ্রাস পায়। বিশেষ করে সংবেদনশীল তথ্যের (যেমন - লগইন ক্রেডেনশিয়াল, আর্থিক লেনদেন) ক্ষেত্রে HTTPS ব্যবহার করা অপরিহার্য।
অন্যান্য প্রোটোকলগুলোর নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য ভিন্ন:
- FTP (File Transfer Protocol) (ক): এটি ফাইল স্থানান্তরের জন্য ব্যবহৃত হয়, তবে এর মৌলিক সংস্করণে ডেটা এনক্রিপ্ট করা হয় না এবং এটি তুলনামূলকভাবে কম সুরক্ষিত।
- TCP (Transmission Control Protocol) (গ): এটি ইন্টারনেটে ডেটা প্যাকেট নির্ভরযোগ্যভাবে প্রেরণের জন্য ব্যবহৃত একটি মৌলিক প্রোটোকল। এটি ডেটা ডেলিভারি নিশ্চিত করে, তবে সরাসরি এনক্রিপশন প্রদান করে না। HTTPS টিসিপি-এর উপরে কাজ করে এবং নিরাপত্তা স্তর যোগ করে।
- DNS (Domain Name System) (ঘ): এটি হোস্টনামকে আইপি অ্যাড্রেসে অনুবাদ করে। এর মৌলিক প্রোটোকলটি সুরক্ষিত নয়, তবে DNSSEC (DNS Security Extensions)-এর মতো সুরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে যা DNS ডেটার সত্যতা যাচাই করে।
সুতরাং, ইন্টারনেটে তথ্য আদান-প্রদানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রধানত HTTPS প্রোটোকল ব্যবহার করা হয়।
১১৫. Piconet কী?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হলো গঃ Bluetooth Network।
পিকোনেট (Piconet) হলো একটি অ্যাড-হক কম্পিউটার নেটওয়ার্ক যা ব্লুটুথ প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি হয়। একটি পিকোনেটে সর্বোচ্চ আটটি ডিভাইস (একটি মাস্টার এবং সাতটি স্লেভ) একটি নির্দিষ্ট দূরত্বের মধ্যে যোগাযোগ করতে পারে। মাস্টার ডিভাইসটি পিকোনেটের যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ করে এবং স্লেভ ডিভাইসগুলো মাস্টারের সাথে সংযুক্ত থাকে।
অন্যান্য বিকল্পগুলো পিকোনেট নয়:
- Wifi Network (ক): ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক একটি ভিন্ন ধরনের বেতার যোগাযোগ প্রযুক্তি যা সাধারণত বৃহত্তর পরিসরে এবং উচ্চতর ডেটা স্থানান্তরের জন্য ব্যবহৃত হয়।
- Wide Area Network (খ): ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক (WAN) একটি বৃহৎ ভৌগোলিক অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত নেটওয়ার্ক, যেমন ইন্টারনেট।
- 5G Network (ঘ): ৫জি হলো মোবাইল কমিউনিকেশন প্রযুক্তির পঞ্চম প্রজন্ম, যা উচ্চ গতি এবং কম ল্যাটেন্সি প্রদান করে, কিন্তু এটি ব্লুটুথ নেটওয়ার্কের ধারণা থেকে ভিন্ন।
সুতরাং, পিকোনেট হলো ব্লুটুথ প্রযুক্তির মাধ্যমে গঠিত একটি ছোট আকারের ব্যক্তিগত বেতার নেটওয়ার্ক।
ছবিটি দেখে নিচের প্রশ্নের উত্তর দাও:

১১৬. প্রশ্নবোধক চিহ্নের স্থানে কোন চিত্রটি বসবে?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
প্রথম ঘরে ভিতরের ত্রিভুজে দাগ দেয়া নাই, পরেরটিতে দাগ দেয়া, এর পরের ভিতরের আয়তে দাগ দেয়া নাই, তাই পরের টাতে দাগ দেয়া হবে। উত্তর : ২
সমাধান:
- P এবং Q দুই ভাই। তার মানে তারা একই মায়ের সন্তান।
- R এবং S দুই বোন। তাদের বাবা-মা একই।
- P-এর ছেলে হলো S-এর ভাই। এর মানে P-এর ছেলে এবং S একই বাবার সন্তান।
এই তথ্যগুলো থেকে আমরা বুঝতে পারি যে, P হলো R এবং S-এর বাবা। যেহেতু P এবং Q দুই ভাই, তাই Q হলেন R এবং S-এর বাবার ভাই।
সম্পর্কের দিক থেকে, বাবার ভাইকে চাচা বলা হয়।
সুতরাং, Q হলো R-এর চাচা।
১১৮. স্টেপলারের সাথে যেমন স্টেপল, সুচের সাথে তেমন –
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হলো গঃ সুতা।
স্টেপলার যেমন স্টেপল ব্যবহার করে কাগজ জোড়া লাগায়, তেমনি সুচের প্রধান কাজ হলো সুতার সাহায্যে কাপড় বা অন্য কিছু সেলাই করা।
ছিদ্র (ক) সুচের কাজের ফল
কাপড় (খ) সেলাইয়ের বস্তু
সেলাই মেশিন (ঘ) সেলাইয়ের একটি যন্ত্র
কিন্তু সুতার (গ) সঙ্গেই সুচের সরাসরি সম্পর্ক বিদ্যমান।
১১৯. 165135 যদি Peace হয়, তবে 1215225 –
[ বিসিএস ৪৪তম ]
এখানে ইংরেজি বর্ণমালার প্রতিটি অক্ষরকে তার অবস্থান অনুযায়ী সংখ্যা দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
- P = 16
- E = 5
- A = 1
- C = 3
- E = 5
সুতরাং, PEACE = 16 5 1 3 5 = 165135
এখন, 1215225 এর জন্য আমরা প্রতিটি সংখ্যাকে তার অনুরূপ অক্ষর দিয়ে প্রতিস্থাপন করব:
- 12 = L
- 15 = O
- 22 = V
- 5 = E
সুতরাং, 12 15 22 5 = LOVE
ছবিটি দেখে নিচের প্রশ্নের উত্তর দাও:

১২০. উপরের চিত্রে মোট কতটি ত্রিভুজ আছে?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
যদি ত্রিভুজের ভিতরে তিনটি সরলরেখা একটি বিন্দুতে ছেদ করে তাহলে ৬টি ছোট ত্রিভুজ উৎপন্ন হবে। আবার ২টি করে মোট ছোট ৬ টি। অর্থাৎ ১৬টি।
ছবিটি দেখে নিচের প্রশ্নের উত্তর দাও:

১২১. ভারসাম্য রক্ষা করতে নিচের চিত্রের বামদিকে কত ওজন রাখতে হবে?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
ধরি, অপর প্রান্তে 'ক' কেজি ওজন চাপানো হয়েছে।
তাহলে,
সুতরাং, অপর প্রান্তে ৮ কেজি ওজন চাপাতে হবে।
প্রথমে, ১২ জানুয়ারি থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত মোট দিন সংখ্যা গণনা করা যাক।
⇒ জানুয়ারি মাসে বাকি দিন: ৩১ - ১২ = ১৯ দিন ⇒ ফেব্রুয়ারি মাস (২০১৮ সাল লিপ ইয়ার নয়): ২৮ দিন ⇒ মার্চ মাসের দিন: ১৭ দিন
মোট দিন সংখ্যা = ১৯ + ২৮ + ১৭ = ৬৪ দিন।
এখন, ৬৪ কে ৭ দিয়ে ভাগ করা যাক, কারণ সপ্তাহের প্রতি ৭ দিন পর একই বার ফিরে আসে।
৬৪ ÷ ৭ = ৯ সপ্তাহ এবং ১ দিন অবশিষ্ট থাকে।
যেহেতু ১২ জানুয়ারি ২০১৮ ছিল শুক্রবার, তাই ৬৪ দিন পর অর্থাৎ ১৭ মার্চ ২০১৮ হবে শুক্রবার + ১ দিন = শনিবার।
সুতরাং, ২০১৮ সালের ১৭ মার্চ শনিবার ছিল।
১২৩. ধারার শূন্যস্থানের সংখ্যাটি কত?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
ধারাটির সংখ্যাগুলো হলো: ৫, ৭, ১০, ১৪, ____, ২৫
আমরা সংখ্যাগুলোর মধ্যেকার পার্থক্যগুলো লক্ষ্য করি:
- ৭ - ৫ = ২
- ১০ - ৭ = ৩
- ১৪ - ১০ = ৪
পার্থক্যগুলো ক্রমশ ১ করে বাড়ছে। সুতরাং, পরবর্তী পার্থক্যটি হবে ৫।
অতএব, শূন্যস্থানের সংখ্যাটি হবে ১৪ + ৫ = ১৯।
এখন আমরা যাচাই করি, ১৯ এর পরের পার্থক্যটি ৬ হওয়া উচিত।
- ২৫ - ১৯ = ৬
সুতরাং, ধারাটির শূন্যস্থানের সংখ্যাটি হলো ১৯।
ছবিটি দেখে নিচের প্রশ্নের উত্তর দাও:

১২৫. প্রশ্ন চিহ্নিত স্থানে কোন সংখ্যা বসবে?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
এখানে, ৫ × ৯ + ৩ = ৪৫ + ৩ = ৪৮
এবং ৭ × ৮ + ৪ = ৫৬ + ৪ = ৬০
তাহলে, ৭ × ৯ + ৫ = ৬৩ + ৫= ৬৮
১২৬. কোনো কিছুর কারণ জানতে হলে আমরা ইংরেজিতে যে প্রশ্ন করি তা সাধারণত কোন শব্দটি দিয়ে শুরু হয়?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হলো গঃ why।
কোনো কিছুর কারণ জানতে হলে আমরা ইংরেজিতে সাধারণত "why" শব্দটি দিয়ে প্রশ্ন করি। "Why" শব্দের অর্থ হলো "কেন"।
অন্যান্য বিকল্পগুলো ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করে:
- how (ক): "How" মানে "কেমন" বা "কিভাবে" এবং এটি কোনো কিছুর পদ্ধতি বা অবস্থা জানতে ব্যবহৃত হয়।
- what (খ): "What" মানে "কী" এবং এটি কোনো বস্তু, ধারণা বা তথ্য জানতে ব্যবহৃত হয়।
- who (ঘ): "Who" মানে "কে" এবং এটি কোনো ব্যক্তি সম্পর্কে জানতে ব্যবহৃত হয়।
সুতরাং, কারণ অনুসন্ধানের জন্য সঠিক প্রশ্নবোধক শব্দটি হলো "why"।
বাংলা বর্ণমালার বর্ণনার বর্ণনাক্রমিকভাবে সাজালে নিম্নোক্ত ধারণাটি পাওয়া যায়। নিদর্শন, নিম্নোক্ত, নিরাময়, নিরাসক্ত, নিস্ক্রিয়, নিসর্গ।
সমাধান:
এখানে প্রতিটি অক্ষরের জন্য একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা কোড হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। আমরা প্রদত্ত কোডগুলো থেকে অক্ষরগুলোর মান বের করতে পারি:
- P = ৮
- L = ১
- A = ২
- Y = ৩
- R = ৪
- H = ৯
- M = ৬
- E = ৭
এখন, MALE শব্দের অক্ষরগুলোর কোড বের করি:
- M = ৬
- A = ২
- L = ১
- E = ৭
সুতরাং, MALE-এর কোড হবে ৬২১৭।
১২৯. এই সিরিজটির পরের সংখ্যাটি কত?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
এটি একটি ফিবোনাচ্চি (Fibonacci) ধারার মতো। ফিবোনাচ্চি ধারায়, প্রতিটি সংখ্যা তার আগের দুটি সংখ্যার যোগফল।
ধারাটি লক্ষ্য করি:
- ৩ + ৫ = ৮
- ৫ + ৮ = ১৩
- ৮ + ১৩ = ২১
সুতরাং, এই ধারার পরবর্তী সংখ্যাটি হবে তার আগের দুটি সংখ্যার যোগফল, অর্থাৎ ১৩ এবং ২১ এর যোগফল।
পরের সংখ্যা = ১৩ + ২১ = ৩৪
অতএব, ধারাটির পরের সংখ্যাটি হবে ৩৪।
১৩০. একটি দেয়ালঘড়িতে যখন ৩টা বাজে তখন ঘণ্টার কাঁটা যদি পূর্বদিকে থাকে তবে মিনিটের কাঁটা কোন দিকে থাকবে?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
যখন একটি দেয়ালঘড়িতে ৩টা বাজে, তখন ঘণ্টার কাঁটাটি সরাসরি ৩-এর দিকে মুখ করে থাকে এবং মিনিটের কাঁটাটি সরাসরি ১২-এর দিকে মুখ করে থাকে।
প্রশ্নে বলা হয়েছে, ঘণ্টার কাঁটা যদি পূর্ব দিকে থাকে। সাধারণত, ঘড়ির উপরের দিক উত্তর, নিচের দিক দক্ষিণ, ডান দিক পূর্ব এবং বাম দিক পশ্চিম দিক নির্দেশ করে।
যেহেতু ঘণ্টার কাঁটা ৩-এর দিকে এবং সেটিকে পূর্ব দিক বলা হচ্ছে, তাহলে ঘড়ির ১২-এর দিকটি হবে পূর্বের ৯০ ডিগ্রি উত্তরে, অর্থাৎ উত্তর দিক।
অতএব, মিনিটের কাঁটাটি ১২-এর দিকে থাকার কারণে সেটি উত্তর দিকে থাকবে।
১৩১. UNESCO কত তারিখে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
UNESCO ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর তারিখে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
১৩২. বাংলাদেশের সংবিধানের রক্ষক কে?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
বাংলাদেশের সংবিধানের রক্ষক হলেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট।
সংবিধানের ব্যাখ্যা দান এবং সংবিধান পরিপন্থী কোনো আইন বা কাজকে বাতিল ঘোষণা করার ক্ষমতা সুপ্রীম কোর্টের উপর ন্যস্ত। এর মাধ্যমে সুপ্রীম কোর্ট সংবিধানের প্রাধান্য ও মর্যাদা রক্ষা করে।
১৩৩. বাংলার সর্বপ্রাচীন জনপদের নাম কী?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হলো কঃ পুণ্ড্র।
বাংলার সর্বপ্রাচীন জনপদের নাম পুণ্ড্র। এর অবস্থান ছিল মূলত উত্তরবঙ্গে।
সঠিক উত্তর হলো গঃ বঙ্গ।
বাংলাদেশের বৃহত্তর ঢাকা জেলা প্রাচীনকালে বঙ্গ জনপদের অন্তর্ভুক্ত ছিল। প্রাচীন বঙ্গ জনপদের একটি অংশ এই অঞ্চলে বিস্তৃত ছিল বলে ধারণা করা হয়।
১৩৫. বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে কতজন মুক্তিযােদ্ধাকে ‘বীর বিক্রম’ খেতাবে ভূষিত করা হয়?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ১৭৫ জন মুক্তিযোদ্ধাকে ‘বীর বিক্রম’ খেতাবে ভূষিত করা হয়। বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এই খেতাব প্রদান করা হয়।
১৩৬. মুজিবনগর সরকারের ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী কে ছিলেন?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
মুজিবনগর সরকারের ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী ছিলেন এ এইচ এম কামরুজ্জামান।
অন্যান্য পদাধিকারীগণ ছিলেন:
- তাজউদ্দিন আহমেদ: প্রধানমন্ত্রী
- সৈয়দ নজরুল ইসলাম: উপ-রাষ্ট্রপতি (রাষ্ট্রপতির অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি)
- এম মনসুর আলী: অর্থমন্ত্রী
উত্তর: এ এইচ এম কামরুজ্জামান।
সঠিক উত্তর হল ঘঃ মুসলিম।
মুসলিম শাসকদের আমলেই বাংলাভাষী অঞ্চল ‘বাঙ্গালা’ নামে পরিচিত হয়ে ওঠে। বিশেষ করে সুলতানি আমলে এই নামটি ব্যাপকতা লাভ করে।
১৩৮. বাংলার প্রথম স্বাধীন নবাব কে ছিলেন?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হল খঃ মুর্শিদ কুলি খান।
মুর্শিদ কুলি খান ছিলেন বাংলার প্রথম স্বাধীন নবাব। তিনি ১৭১৭ সাল থেকে ১৭২৭ সাল পর্যন্ত বাংলা শাসন করেন। যদিও তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে মুঘল সম্রাটের অধীন ছিলেন, কার্যত তিনি স্বাধীনভাবেই বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যা পরিচালনা করতেন।
১৩৯. চীনদেশের কোন ভ্রমণকারী গুপ্তযুগে বাংলাদেশে আগমন করেন?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
চীনদেশের যে ভ্রমণকারী গুপ্তযুগে বাংলাদেশে আগমন করেন তিনি হলেন ফা-হিয়েন।
তিনি আনুমানিক ৪০০ খ্রিস্টাব্দে ভারতে আসেন এবং বেশ কিছু বছর এখানে অবস্থান করেন। এই সময় গুপ্ত সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের শাসন চলছিল। ফা-হিয়েন মূলত বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থের সন্ধানে ভারতে এসেছিলেন এবং বিভিন্ন বৌদ্ধ তীর্থস্থান পরিভ্রমণ করেন। তিনি তার ভ্রমণকাহিনীতে তৎকালীন ভারতীয় সমাজ ও সংস্কৃতির মূল্যবান বিবরণ রেখে গেছেন। যদিও তার বর্ণনায় সরাসরি "বাংলাদেশ" নামটি পাওয়া যায় না (কারণ তখন এই অঞ্চলের নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক বা ভৌগোলিক সংজ্ঞা ছিল না), তবে তিনি পূর্ব ভারতের কিছু অঞ্চল ভ্রমণ করেছিলেন যা পরবর্তীকালে বাংলার অংশ হয়েছিল।
১৪০. কোনাে নাগরিকের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হলে সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী তিনি মামলা করতে পারেন?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
কোনো নাগরিকের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হলে, তিনি বাংলাদেশের সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী উচ্চ আদালতে (সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে) রিট আবেদন করে প্রতিকার চাইতে পারেন।
সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১০২ অনুযায়ী:
হাইকোর্ট বিভাগ মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে—
- Writ Jurisdiction প্রয়োগ করতে পারে
- যেমন: রিট, হেবিয়াস কর্পাস, ম্যান্ডামাস, কো-ওয়ারান্টো, প্রোহিবিশন ইত্যাদি আদেশ দিতে পারে
১৪১. বাংলাদেশের সরকার পদ্ধতি-
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হল কঃ এককেন্দ্রিক।
বাংলাদেশের সরকার পদ্ধতি এককেন্দ্রিক। এর অর্থ হল, দেশের সকল প্রশাসনিক ক্ষমতা কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে ন্যস্ত থাকে এবং প্রদেশ বা অঞ্চলের কোনো স্বতন্ত্র বা নিজস্ব সরকার থাকে না। বাংলাদেশে কোনো যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা নেই।
বাংলাদেশের সংবিধানের প্রথম ভাগের ১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে: "বাংলাদেশ একটি একক, স্বাধীন ও সার্বভৌম প্রজাতন্ত্র, যাহা ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ নামে পরিচিত হইবে।"
এবং দ্বিতীয় ভাগের ৮(১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে: "এই সংবিধানের মূলনীতিসমূহ হইবে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা - এই নীতিসমূহ হইতে উদ্ভূত নীতি।"
এই অনুচ্ছেদগুলো থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে বাংলাদেশ একটি এককেন্দ্রিক এবং গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র। এখানে যুক্তরাষ্ট্রীয়, রাজতান্ত্রিক বা রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকার ব্যবস্থার কোনো স্থান নেই। বর্তমানে বাংলাদেশে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা বিদ্যমান, যেখানে প্রধানমন্ত্রী সরকার প্রধান এবং রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রপ্রধানের ভূমিকা পালন করেন।
১৪২. BSTI-এর পূর্ণ অভিব্যক্তি কী?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
BSTI-এর পূর্ণ অভিব্যক্তি হল:
Bangladesh Standards and Testing Institution
বাংলায় এর অর্থ বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন। এটি শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি সরকারি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, যা মূলত সেবা ও পণ্যের গুণমান নিয়ন্ত্রণ করে।
১৪৩. বঙ্গভঙ্গের কারণে কোন নতুন প্রদেশ সৃষ্টি হয়েছিল?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
বঙ্গভঙ্গের কারণে পূর্ববঙ্গ ও আসাম নামে একটি নতুন প্রদেশ সৃষ্টি হয়েছিল।
এই প্রদেশে অন্তর্ভুক্ত ছিল:
- ঢাকা বিভাগ
- চট্টগ্রাম বিভাগ
- রাজশাহী বিভাগ
- আসাম
এই নতুন প্রদেশের রাজধানী ছিল ঢাকা।
১৪৪. ‘তমদ্দুন মজলিশ’ কে প্রতিষ্ঠা করেন?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
প্রিন্সিপাল আবুল কাসেম ‘তমদ্দুন মজলিশ’ প্রতিষ্ঠা করেন।
এটি ১৯৪৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাসেমের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সংগঠনটি মূলত বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে প্রথম সোচ্চার হয়েছিল এবং ভাষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
১৪৫. ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানাে একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ গানটি কে রচনা করেন?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ গানটি রচনা করেন আব্দুল গাফফার চৌধুরী।
এই গানটি ২১শে ফেব্রুয়ারির ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে রচিত একটি কালজয়ী গান। এর সুরকার ছিলেন শহীদ আলতাফ মাহমুদ।
সিয়েরালিওন বাংলা ভাষাকে তাদের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
২০০২ সালে, ভাষা আন্দোলনের সুবর্ণ জয়ন্তীর বছরে, এই পশ্চিম আফ্রিকার দেশটি বাংলা ভাষাকে তাদের সরকারি ভাষাগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে ঘোষণা করে। সিয়েরালিওনে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এই সম্মান প্রদান করা হয়েছিল।
১৪৭. নিম্নের কোন পত্রিকাটির প্রকাশনা উপলক্ষ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আশীর্বাণী পাঠিয়েছিলেন?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হল ঘঃ ধূমকেতু।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ধূমকেতু পত্রিকার প্রকাশনা উপলক্ষ্যে আশীর্বাণী পাঠিয়েছিলেন।
ধূমকেতু একটি বিদ্রোহী ও বিপ্লবী পত্রিকা ছিল। এটি ১৯২২ সালের ১১ই আগস্ট কাজী নজরুল ইসলামের সম্পাদনায় প্রথম প্রকাশিত হয়। নজরুল ছিলেন এই পত্রিকার প্রাণ এবং এর অগ্নিঝরা লেখাগুলি তরুণ প্রজন্মকে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই পত্রিকার তেজস্বী ভাবনার প্রতি সমর্থন জানিয়ে আশীর্বাণী পাঠিয়েছিলেন।
১৪৮. বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীকে কয়টি তারকা আছে?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীকে চারটি তারকা রয়েছে।
জাতীয় প্রতীকের নকশাটিতে কেন্দ্রস্থলে একটি শাপলা ফুল, তার চারদিকে ধানের দুটি শীষ এবং নিচে পাট গাছের তিনটি পাতা ও দুটি তারকা শোভিত। এই তারকাগুলো বাংলাদেশের সংবিধানের চারটি মূলনীতি - জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা - এর প্রতীক।
সঠিক উত্তর হল ২৩ মার্চ ১৯৬৬।
যদিও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে বিরোধী দলগুলোর জাতীয় সম্মেলনে প্রথম ছয় দফা উত্থাপন করেন, তবে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয় ২৩ মার্চ ১৯৬৬ সালে আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির সভায়। এই সভায় ছয় দফা প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয় এবং এটি বাঙালির মুক্তির সনদ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
১৫০. ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার গ্রাম’ – জাতির পিতা কবে এই ঘােষণা দেন?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ এই ঐতিহাসিক ঘোষণা দেন। তিনি ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) প্রায় ১০ লক্ষ লোকের বিশাল জনসভায় এই ঘোষণা দেন।
১৫১. বাংলাদেশে জুম চাষ কোথায় হয়?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হল কঃ বান্দরবান।
বাংলাদেশে মূলত পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে জুম চাষ হয়ে থাকে। বান্দরবান পার্বত্য চট্টগ্রামের একটি অংশ হওয়ায়, এখানে জুম চাষ দেখা যায়। অন্যান্য অপশনগুলো (ময়মনসিংহ, রাজশাহী, দিনাজপুর) মূলত সমতল ভূমির জেলা এবং এখানে জুম চাষ তেমন প্রচলিত নয়।
১৫২. বাংলাদেশের কোন জেলায় সবচেয়ে বেশি চা বাগান রয়েছে?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হল ঘঃ মৌলভীবাজার।
মৌলভীবাজার জেলায় বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি চা বাগান রয়েছে। এই জেলাটিকে "চা এর রাজধানী"ও বলা হয়ে থাকে। এখানে প্রায় ৯২টি ছোট ও বড় চা বাগান অবস্থিত। সিলেট বিভাগের অন্যান্য জেলাগুলোতেও চা বাগান রয়েছে, তবে মৌলভীবাজারের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি।
‘ধর্মীয় স্বাধীনতা’ বাংলাদেশ সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদে অন্তর্ভুক্ত।
এই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে:
(১) আইন, জনশৃঙ্খলা ও নৈতিকতা সাপেক্ষে প্রত্যেক নাগরিকের নিজ নিজ ধর্ম অবলম্বন, পালন বা প্রচারের অধিকার রহিয়াছে।
(২) কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোন বিশেষ ধর্মীয় শিক্ষা প্রদান করা হইলে কোন ব্যক্তি যদি সেই ধর্মাবলম্বী না হন, তাহা হইলে তাঁহাকে উক্ত শিক্ষা গ্রহণ করিতে হইবে না।
১৫৪. বাংলাদেশে প্রথম আদমশুমারি (জনগণনা) কবে অনুষ্ঠিত হয়?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হল ১৯৭৪ সাল।
স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর প্রথম আদমশুমারি অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৪ সালে। মুক্তিযুদ্ধ এবং তৎপরবর্তী সময়ে দেশের জনসংখ্যা ও আর্থ-সামাজিক অবস্থা জানার জন্য এই আদমশুমারি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (BBS) এই আদমশুমারি পরিচালনা করে।
১৫৫. বাংলাদেশের জিডিপি (GDP)-তে কোন খাতের অবদান সবচেয়ে বেশি?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
বাংলাদেশের জিডিপিতে সবচেয়ে বেশি অবদান সেবা খাতের।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী (২০২২-২৩ অর্থবছর), জিডিপিতে বিভিন্ন খাতের অবদান নিম্নরূপ:
- সেবা খাত: ৫২.১১%
- শিল্প খাত: ৩৩.৬৬%
- কৃষি খাত: ১৪.২৩%
সুতরাং, সেবা খাত বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতির বৃহত্তম খাত এবং জিডিপিতে এর অবদান সবচেয়ে বেশি। এই খাতের মধ্যে ব্যবসা, পরিবহন, যোগাযোগ, পর্যটন এবং আর্থিক সেবা উল্লেখযোগ্য।
১৫৬. ২০২০-২০২১ অর্থবছরে জিডিপি (GDP) প্রবৃদ্ধির হার কত?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
২০২০-২০২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি (GDP) প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৬.৯৪ শতাংশ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (BBS) চূড়ান্ত হিসাব অনুযায়ী এই তথ্য পাওয়া যায়। প্রাথমিক হিসাবে প্রবৃদ্ধির হার ৫.৪৩ শতাংশ ধরা হলেও পরবর্তীতে তা সংশোধন করে ৬.৯৪ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। কোভিড-১৯ pandemic থাকা সত্ত্বেও এই প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছিল।
বিশ্বব্যাংক ১ জুলাই ২০১৫ তারিখে বাংলাদেশকে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত করে।
ওই সময় বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৩৪ ডলার থেকে ৪ হাজার ১২৫ ডলারের মধ্যে থাকায় এই ক্লাসিফিকেশন অর্জন করে।
১৫৮. বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ কী ধরণের স্যাটেলাইট হবে?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ একটি আর্থ অবজারভেটরি স্যাটেলাইট হবে।
এটি মূলত পৃথিবী পর্যবেক্ষণ এবং এর ডেটা বিশ্লেষণের জন্য তৈরি করা হবে। এই ধরণের স্যাটেলাইট সাধারণত নিম্নলিখিত উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়:
- আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ: আবহাওয়ার পূর্বাভাস, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস ও পর্যবেক্ষণ।
- পরিবেশ পর্যবেক্ষণ: বনভূমি, কৃষি, জলাধার এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ।
- মানচিত্র তৈরি ও ভূ-স্থানিক বিশ্লেষণ: ভূমি ব্যবহার, শহরায়ন এবং অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ডেটা সংগ্রহ।
- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা: দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়ন এবং ত্রাণ কার্যক্রমের পরিকল্পনায় সহায়তা।
- নিরাপত্তা ও নজরদারি: দেশের সীমান্ত ও জলসীমার নজরদারি এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত কাজে ব্যবহার।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ৩০০ থেকে ৪০০ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থান করবে এবং এটি একটি হাইব্রিড স্যাটেলাইটও হতে পারে। এর ফলে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর জন্য নির্ধারিত অরবিটাল স্লটের প্রয়োজন হবে না।
বাংলাদেশের প্রেক্ষিত পরিকল্পনার (Perspective Plan) দুটি পর্যায় রয়েছে:
-
প্রথম প্রেক্ষিত পরিকল্পনা: ২০১০-২০২১ মেয়াদকালের জন্য প্রণীত হয়েছিল। এর মূল লক্ষ্য ছিল দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের একটি রূপরেখা তৈরি করা এবং বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করা।
-
দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা: ২০২১-২০৪১ মেয়াদকালের জন্য প্রণীত হয়েছে। এর মূল লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করা।
সুতরাং, যদি সামগ্রিকভাবে প্রেক্ষিত পরিকল্পনার সময়সীমা জিজ্ঞাসা করেন, তবে এটি ২০১০ থেকে ২০৪১ সাল পর্যন্ত বিস্তৃত।
১৬০. কোন দেশ থেকে ‘আরব বসন্ত’-এর সূচনা হয়?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হল তিউনিসিয়া।
২০১০ সালের ডিসেম্বরে তিউনিসিয়ার এক ফল বিক্রেতা Mohamed Bouazizi-র আত্মাহুতির মাধ্যমে আরব বসন্তের সূচনা হয়। এরপর এই আন্দোলন দ্রুত অন্যান্য আরব দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।
১৬১. কোন সালে রাশিয়া ক্রিমিয়া দখল করে?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রিমিয়া দখল করে।
ইউক্রেনের এই উপদ্বীপটি ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারী ও মার্চ মাসে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং রুশ সৈন্যদের দ্বারা দখলের শিকার হয়। পরবর্তীতে, বিতর্কিত একটি গণভোটের মাধ্যমে রাশিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রিমিয়াকে তার অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে নেয়, যদিও ইউক্রেন এবং বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ এই অন্তর্ভুক্তিকে অবৈধ হিসেবে গণ্য করে।
১৬২. কোন দেশটি ভেনিজুয়েলার প্রতিবেশী রাষ্ট্র নয়?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হল খঃ বলিভিয়া।
গায়ানা, ব্রাজিল এবং কলাম্বিয়া - এই তিনটি দেশই ভেনিজুয়েলার প্রতিবেশী রাষ্ট্র। ভেনিজুয়েলার পূর্বে গায়ানা, দক্ষিণে ব্রাজিল এবং পশ্চিমে কলাম্বিয়ার সাথে সীমান্ত রয়েছে। বলিভিয়া ভেনিজুয়েলার প্রতিবেশী রাষ্ট্র নয়; এটি ভেনিজুয়েলার দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অবস্থিত এবং ব্রাজিল ও পেরু দ্বারা ভেনিজুয়েলা থেকে বিচ্ছিন্ন।
১৬৩. ‘নেকড়েযোদ্ধা কূটনীতি’ কোন দেশের সাথে সংশ্লিষ্ট?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
‘নেকড়েযোদ্ধা কূটনীতি’ চীন দেশের সাথে সংশ্লিষ্ট।
এই শব্দটি চীনের কূটনীতিক-দের একটি নতুন, আরও আক্রমণাত্মক এবং জাতীয়তাবাদী আচরণকে বর্ণনা করতে ব্যবহৃত হয়। তারা প্রায়শই পশ্চিমা দেশ এবং অন্যান্য সমালোচকদের বিরুদ্ধে কঠোর ভাষায় প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে থাকেন। এই শব্দটি চীনের জনপ্রিয় অ্যাকশন মুভি "উলফ ওয়ারিয়র" থেকে অনুপ্রাণিত, যেখানে চীনা স্পেশাল ফোর্সের সদস্যরা বিদেশী শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করে দেশের মর্যাদা রক্ষা করে।
১৬৪. নিচের কোন দেশটি ASEAN জোটভুক্ত নয়?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হল খঃ হংকং।
হংকং ASEAN জোটভুক্ত নয়। ASEAN (Association of Southeast Asian Nations) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দশটি রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত একটি আঞ্চলিক সংস্থা। এই দেশগুলো হলো:
- ব্রুনাই
- কম্বোডিয়া
- ইন্দোনেশিয়া
- লাওস
- মালয়েশিয়া
- মায়ানমার
- ফিলিপাইন
- সিঙ্গাপুর
- থাইল্যান্ড
- ভিয়েতনাম
হংকং চীনের একটি বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল। যদিও হংকং-এর সাথে ASEAN-এর অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে এবং তারা একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতেও আবদ্ধ হয়েছে, তবে হংকং ASEAN-এর সদস্য রাষ্ট্র নয়।
১৬৫. নিচের কোন দেশটি ডি-৮ এর সদস্য নয়?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হল কঃ জর্ডান।
ডি-৮ (Developing 8) হল আটটি উন্নয়নশীল মুসলিম প্রধান দেশের একটি অর্থনৈতিক জোট। এই জোটের সদস্য দেশগুলো হলো:
- বাংলাদেশ
- মিশর
- ইন্দোনেশিয়া
- ইরান
- মালয়েশিয়া
- নাইজেরিয়া
- পাকিস্তান
- তুরস্ক
সুতরাং, জর্ডান ডি-৮ এর সদস্য নয়।
১৬৬. World Economic Forum- এর বাৎসরিক অধিবেশন কোথায় অনুষ্ঠিত হয়?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
World Economic Forum-এর বাৎসরিক অধিবেশন সাধারণত সুইজারল্যান্ডের দাভোসে (Davos) অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বছর জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে এই অধিবেশন বসে, যেখানে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান, আন্তর্জাতিক সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী নেতা, শিক্ষাবিদ, এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা একত্রিত হন এবং গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।
দাভোস সুইজারল্যান্ডের গ্রাউবুন্ডেন ক্যান্টনের একটি পর্বত রিসোর্ট শহর। বহু বছর ধরে এই শহরটিই ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সভার কেন্দ্রস্থল হিসেবে পরিচিত।
১৬৭. ‘তাসখন্দ চুক্তি’ কোন দুটি রাষ্ট্রের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
‘তাসখন্দ চুক্তি’ ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্রের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়।
এই চুক্তিটি ১৯৬৬ সালের ১০ জানুয়ারি উজবেকিস্তানের তাসখন্দ শহরে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী এবং পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খান স্বাক্ষর করেছিলেন। সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যস্থতায় এই চুক্তি সম্পন্ন হয়েছিল।
১৬৮. বিগত কপ-২৬ কোন শহরে অনুষ্ঠিত হয়?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
বিগত কপ-২৬ গ্লাসগো শহরে অনুষ্ঠিত হয়।
এটি ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত স্কটল্যান্ডের এই শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৩০ বছরের জন্য সম্পাদিত হয়েছিল। এটি ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর তারিখে স্বাক্ষরিত হয়।
সুতরাং, এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ২০২৬ সালের ১২ ডিসেম্বর।
১৭০. কোন দেশকে ইউরােপের রুটির ঝুড়ি বলা হয়?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
ইউরোপের রুটির ঝুড়ি বলা হয় ইউক্রেন-কে।
ইউক্রেনের উর্বর কৃষ্ণ মৃত্তিকা এবং অনুকূল জলবায়ু গমসহ বিভিন্ন শস্য উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। একসময় ইউক্রেন ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রধান শস্য সরবরাহকারী অঞ্চল। বর্তমানেও বিশ্বের অন্যতম প্রধান গম রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। দেশটির বিশাল কৃষি জমি এবং উৎপাদন ক্ষমতা এটিকে "ইউরোপের রুটির ঝুড়ি" উপাধি এনে দিয়েছে।
১৭১. গণতন্ত্রের ধারণা উৎসারিত হয় প্রথম কোন দেশে?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
গণতন্ত্রের ধারণা প্রথম প্রাচীন গ্রিসের এথেন্স নগর রাষ্ট্রে উৎসারিত হয়।
খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে ক্লেইস্থেনিসের হাত ধরে এথেন্সে গণতন্ত্রের সূচনা হয়। এই ব্যবস্থায় রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের (তবে নারী, দাস ও বিদেশীদের বাদ দেওয়া হতো) আইন প্রণয়ন ও রাষ্ট্র পরিচালনায় সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ ছিল। তাই এথেন্সকেই গণতন্ত্রের জন্মস্থান হিসেবে ধরা হয়।
১৭২. কখন এবং কোথায় International Union for Conservation of Nature (IUCN) প্রতিষ্ঠিত হয়?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
The International Union for Conservation of Nature (IUCN) প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ৫ অক্টোবর ১৯৪৮ সালে, ফ্রান্সের ফন্টেইনব্লু শহরে।
১৭৩. কোন দুটি আরব রাষ্ট্র ক্যাম্প ডেভিড (Camp David) চুক্তি স্বাক্ষরের ফলশ্রুতিতে ইসরাইলের সঙ্গে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
ক্যাম্প ডেভিড (Camp David) চুক্তি স্বাক্ষরের ফলশ্রুতিতে মিশর (Egypt) ইসরাইলের সঙ্গে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনকারী প্রথম আরব রাষ্ট্র।
পরবর্তীতে, জর্ডান ১৯৯৪ সালে ইসরাইলের সাথে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে।
১৭৪. মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ (Concert for Bangladesh) কোথায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ (Concert for Bangladesh) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
এটি ১৯৭১ সালের ১ আগস্ট দুটি পর্যায়ে (দুপুর ও সন্ধ্যায়) অনুষ্ঠিত হয়। জর্জ হ্যারিসন এবং রবি শঙ্কর এই কনসার্টের আয়োজন করেন, যার মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন শরণার্থীদের জন্য তহবিল সংগ্রহ এবং বিশ্বব্যাপী জনমত তৈরি করা।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য পদ দুই বছরের জন্য।
প্রতি বছর সাধারণ পরিষদ কর্তৃক পাঁচজন অস্থায়ী সদস্য নির্বাচিত হন, যারা দুই বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করেন। প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং নবনির্বাচিত সদস্যরা জানুয়ারির ১ তারিখ থেকে তাদের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। নিরাপত্তা পরিষদের মোট ১৫ জন সদস্যের মধ্যে ৫ জন স্থায়ী (চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র) এবং ১০ জন অস্থায়ী সদস্য থাকে। অস্থায়ী সদস্যদের আঞ্চলিক প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে নির্বাচন করা হয়।
আন্তর্জাতিক আদালতের একজন বিচারক নয় বছরের জন্য নির্বাচিত হন।
আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (International Court of Justice - ICJ) ১৫ জন বিচারক জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ (UN General Assembly) এবং নিরাপত্তা পরিষদ (UN Security Council) কর্তৃক নির্বাচিত হন। তাদের মেয়াদকাল ৯ বছর হয়ে থাকে। প্রতি তিন বছর পর পর পাঁচজন বিচারকের পদ পূরণের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যাতে আদালতের ধারাবাহিকতা বজায় থাকে। কোনো বিচারকের মৃত্যু হলে বা পদত্যাগ করলে, সেই শূন্য পদে বাকি মেয়াদের জন্য বিশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
আন্তর্জাতিক বিচার আদালত নেদারল্যান্ডের হেগে অবস্থিত পিস প্যালেসে (Peace Palace) তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে।
১৭৭. ইসলাম ও সুফিমতের প্রভাবে ভারতবর্ষে ঘটেছিল-
[ বিসিএস ৪৪তম ]
ইসলাম ও সুফিমতের প্রভাবে ভারতবর্ষে গঃ চিন্তাবিপ্লব ঘটেছিল।
ইসলামের একেশ্বরবাদ এবং সুফিবাদের প্রেম ও ভক্তিবাদের সমন্বয়ে ভারতীয় সমাজে নতুন চিন্তা ও দর্শনের উন্মেষ হয়। এর কিছু প্রভাব নিচে উল্লেখ করা হলো:
- একেশ্বরবাদের প্রসার: ইসলাম একেশ্বরবাদের ধারণাকে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করে, যা ভারতীয় ধর্মীয় চিন্তাধারাকে প্রভাবিত করে।
- বর্ণপ্রথার বিরোধিতা: সুফিবাদের মূল ভিত্তি ছিল মানবতাবাদের উপর, যা বর্ণ ও জাতিভেদের ঊর্ধ্বে সকলের সমানাধিকারের কথা বলে। এর প্রভাবে সমাজে বর্ণপ্রথার কঠোরতা কিছুটা হলেও কমেছিল।
- ভক্তিবাদের উন্নতি: সুফিবাদের প্রেম ও ভক্তির ধারণা ভারতীয় ভক্তি আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করে তোলে। অনেক হিন্দু সন্তও সুফিবাদের এই দিকটির দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন।
- নতুন সাহিত্য ও সঙ্গীতের সৃষ্টি: ইসলামি ও সুফি সংস্কৃতি ভারতীয় সাহিত্য, সঙ্গীত ও স্থাপত্যের সাথে মিশে এক নতুন ধারার সৃষ্টি করে। উর্দু ভাষার জন্ম এবং সুফি গান এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
- সহিষ্ণুতার বিকাশ: অনেক সুফি সাধক বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে সমন্বয় সাধনের চেষ্টা করেন এবং ধর্মীয় সহিষ্ণুতার বার্তা দেন।
যদিও এই প্রভাব রাজনৈতিক বা সামাজিক বিপ্লবের মতো ব্যাপক পরিবর্তন আনেনি, তবে এটি নিঃসন্দেহে ভারতীয় চিন্তাধারায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছিল।
২০২২ সালে বাংলাদেশ জাতিসংঘের শান্তিস্থাপন কমিশনের (Peacebuilding Commission - PBC) সভাপতি নির্বাচিত হয়।
জাতিসংঘের ইতিহাসে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো এই গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হয়েছিল। এর আগে বাংলাদেশ এই কমিশনের সদস্য হিসেবে বিভিন্ন শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে।
১৭৯. কোন ধরনের শিলায় জীবাশ্ম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
জীবাশ্ম থাকার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি পাললিক শিলায় (Sedimentary rocks)।
এর প্রধান কারণগুলো হলো:
-
গঠন প্রক্রিয়া: পাললিক শিলা গঠিত হয় মূলত পানির নিচে পলি, বালি, কাদা, মৃত জীবজন্তুর দেহাবশেষ এবং উদ্ভিদের অংশ স্তরে স্তরে জমা হওয়ার মাধ্যমে। সময়ের সাথে সাথে এই স্তরগুলো চাপের ফলে জমাট বেঁধে শিলায় পরিণত হয়। এই প্রক্রিয়ায় জীবজন্তুর দেহাবশেষ বা উদ্ভিদের অংশ চাপা পড়ে জীবাশ্মে রূপান্তরিত হওয়ার সুযোগ পায়।
-
কম তাপ ও চাপ: আগ্নেয় শিলা (Igneous rocks) গঠিত হয় গলিত ম্যাগমা বা লাভা ঠান্ডা ও জমাট বাঁধার মাধ্যমে। এই প্রক্রিয়ায় অত্যাধিক তাপমাত্রার কারণে কোনো জীবজন্তু বা উদ্ভিদের দেহাবশেষ টিকে থাকতে পারে না। অন্যদিকে, রূপান্তরিত শিলা (Metamorphic rocks) উচ্চ তাপ ও চাপের প্রভাবে গঠিত হয়, যা জীবাশ্মকে ধ্বংস করে ফেলতে পারে বা বিকৃত করে ফেলতে পারে।
তাই, জীবাশ্ম অনুসন্ধানের জন্য পাললিক শিলাস্তর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বেলেপাথর (Sandstone), কাদাপাথর (Shale), চুনাপাথর (Limestone) ইত্যাদি পাললিক শিলার উদাহরণ এবং এগুলোতে জীবাশ্ম খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
১৮০. নিচের কোন দুর্যোগের কার্যকর পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব নয়?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হল খঃ ভূমিকম্প।
বন্যা, ঘূর্ণিঝড় এবং খরা - এই তিনটি দুর্যোগেরই কার্যকর পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব। আধুনিক প্রযুক্তি ও আবহাওয়াবিদদের জ্ঞান ব্যবহার করে বন্যার তীব্রতা ও সময়কাল, ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ ও আঘাত হানার সময় এবং খরার পূর্বাভাস বেশaccurately দেওয়া যায়।
অন্যদিকে, ভূমিকম্প কখন, কোথায় এবং কতটা তীব্রতায় আঘাত হানবে, তা বর্তমানে কার্যকরভাবে পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব নয়। বিজ্ঞানীরা ভূমিকম্পের প্রবণ এলাকা চিহ্নিত করতে এবং ভূমিকম্পের ঝুঁকি মূল্যায়ন করতে পারলেও, নির্দিষ্ট সময় এবং তীব্রতার পূর্বাভাস দেওয়ার প্রযুক্তি এখনও উন্নত হয়নি। ভূমিকম্পের কারণ ও প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল এবং ভূগর্ভের অভ্যন্তরে দ্রুত পরিবর্তনশীল হওয়ায় এর পূর্বাভাস দেওয়া কঠিন।
১৮১. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা চক্রের কোন স্তরটি বেশি ব্যয়বহুল?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
দুর্যোগের দীর্ঘস্থায়ী হ্রাস এবং দুর্যোগ পূর্বপ্রস্তুতিকেই দুর্যোগ প্রশমন বলে। মজবুত পাকা ভবন নির্মাণ, শস্য বহুমুখীকরণ, ভূমি ব্যবহারে বিপর্যয় হ্রাসের কৌশল নির্ধারণ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শক্ত অবকাঠামো নির্মাণ, কম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় লোক স্থানান্তর; প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গঠন ইত্যাদি কার্যক্রম দুর্যোগ প্রশমনের আওতাভুক্ত। দীর্ঘস্থায়ী দুর্যোগ প্রশমন ব্যয়বহুল হলেও সরকার সীমিত সম্পদের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাঁধ নির্মাণ, নদী খনন, আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, বনায়ন ইত্যাদি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
১৮২. কোনটি নবায়নযােগ্য সম্পদ?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হল গঃ বায়ু।
নবায়নযোগ্য সম্পদ হল সেইসব সম্পদ যা প্রাকৃতিকভাবে পুনরায় তৈরি হতে পারে এবং ব্যবহারের ফলে নিঃশেষ হয়ে যায় না।
- প্রাকৃতিক গ্যাস: জীবাশ্ম জ্বালানি, যা একবার ব্যবহার করলে শেষ হয়ে যায় এবং পুনরায় তৈরি হতে লক্ষ লক্ষ বছর লাগে।
- চুনাপাথর: একটি খনিজ সম্পদ, যা তৈরি হতে দীর্ঘ সময় লাগে এবং ব্যবহারের ফলে নিঃশেষ হয়।
- বায়ু: একটি প্রাকৃতিক শক্তি উৎস, যা প্রতিনিয়ত নবায়িত হয়। বায়ুপ্রবাহকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায় এবং এটি ব্যবহারের ফলে নিঃশেষ হয় না।
- কয়লা: জীবাশ্ম জ্বালানি, যা একবার ব্যবহার করলে শেষ হয়ে যায় এবং পুনরায় তৈরি হতে লক্ষ লক্ষ বছর লাগে।
সুতরাং, বায়ু হল একমাত্র নবায়নযোগ্য সম্পদ যা বিকল্পগুলোর মধ্যে দেওয়া আছে।
১৮৩. নিচের কোনটি বাংলাদেশের বৃহত্তম গ্যাসক্ষেত্র?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হল গঃ তিতাস।
আবিষ্কারের সময় এবং মজুদের দিক থেকে তিতাস গ্যাসক্ষেত্রটি বাংলাদেশের বৃহত্তম গ্যাসক্ষেত্র। এটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় অবস্থিত এবং ১৯৬২ সালে এটি আবিষ্কৃত হয়।
১৮৪. বাংলাদেশে জি-কে প্রকল্প একটি-
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হল ঘঃ সেচ প্রকল্প।
জি-কে প্রকল্প (Ganges-Kobadak Project) বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা এবং ঝিনাইদহ জেলায় বিস্তৃত একটি বৃহৎ সেচ প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে গঙ্গা নদী থেকে পানি পাম্প করে বিভিন্ন খাল ও নালার মাধ্যমে কৃষি জমিতে সেচের জল সরবরাহ করা হয়। এর মূল উদ্দেশ্য হলো এই অঞ্চলের কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করা।
১৮৫. COP 26-এ COP মানে কী?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
COP 26-এ COP মানে হল Conference of the Parties।
এটি জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (UNFCCC)-এর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর বার্ষিক সম্মেলন। এই সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করা হয়।
বিগত COP 26 ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের গ্লাসগো শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
১৮৬. বাংলাদেশের ব্লু-ইকোনমির চ্যালেঞ্জ নয় কোনটি?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হল কঃ ঘন ঘন বন্যা।
বাংলাদেশের ব্লু-ইকোনমির (সমুদ্রভিত্তিক অর্থনীতি) উন্নয়নে কিছু চ্যালেঞ্জ বিদ্যমান। নিচে সেগুলো আলোচনা করা হলো:
-
সমুদ্র দূষণ: শিল্পবর্জ্য, প্লাস্টিক দূষণ এবং জাহাজ থেকে নির্গত তেল সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের জন্য বড় হুমকি। এটি ব্লু-ইকোনমির বিভিন্ন খাত, যেমন মৎস্য সম্পদ ও পর্যটনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
-
ত্রুটিপূর্ণ সমুদ্র শাসন: সমুদ্র অঞ্চলের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাব, আইনের দুর্বল প্রয়োগ এবং বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয়হীনতা ব্লু-ইকোনমির সম্ভাবনাকে ব্যাহত করে। অবৈধ মৎস্য শিকার এবং অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডও এর অন্তর্ভুক্ত।
অন্যদিকে, ঘন ঘন বন্যা একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ যা মূলত বাংলাদেশের স্থলভাগকে প্রভাবিত করে। যদিও বন্যার কারণে উপকূলীয় অঞ্চলের জীবন ও জীবিকার ক্ষতি হতে পারে, তবে এটি সরাসরি ব্লু-ইকোনমির প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত হয় না। সমুদ্র অর্থনীতির প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো মূলত সমুদ্র ও সমুদ্র সম্পদকেন্দ্রিক।
সুতরাং, "ঘন ঘন বন্যা" বাংলাদেশের ব্লু-ইকোনমির চ্যালেঞ্জ নয়।
১৮৭. ডাউকি ফন্ট বরাবর একটি প্রচণ্ড ভূমিকম্পের পর বাংলাদেশের কোন নদী তার গতিপথ পরিবর্তন করে?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
ডাউকি ফন্ট বরাবর একটি প্রচণ্ড ভূমিকম্পের পর ব্রহ্মপুত্র নদ তার গতিপথ পরিবর্তন করে।
১৭৮৭ সালের ভয়াবহ ভূমিকম্পের ফলে ব্রহ্মপুত্র নদের গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে এটি ময়মনসিংহ অঞ্চলের পূর্ব দিক থেকে সরে গিয়ে যমুনা নদীর প্রধান প্রবাহের সাথে মিলিত হয়। এই ভূমিকম্পটি ডাউকি ফল্ট অঞ্চলে সংঘটিত হয়েছিল এবং এর প্রভাবে নদ-নদীর গতিপথে বড় ধরনের পরিবর্তন আসে।
বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বাংলাদেশের প্রথম কয়লানির্ভর বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
এটি দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নে অবস্থিত এবং ২০০৬ সালে এটি গড়ে ওঠে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা সরবরাহ করা হয় নিকটবর্তী বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে।
১৮৯. জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল অনুসারে ‘শুদ্ধাচার’ হচ্ছে-
[ বিসিএস ৪৪তম ]
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল অনুসারে ‘শুদ্ধাচার’ হচ্ছে গঃ সততা ও নৈতিকতা দ্বারা প্রভাবিত আচরণগত উৎকর্ষ।
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলে শুদ্ধাচারকে ব্যাপক অর্থে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। এটি কেবল সরকারি কর্মকর্তাদের আচরণের মানদণ্ড নয়, বরং সমাজের সকল স্তরের মানুষের সততা, নৈতিক মূল্যবোধ এবং ন্যায়পরায়ণতার সমন্বিত রূপ। শুদ্ধাচার একটি জীবনবোধ এবং চর্চা, যা ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত জীবনে সততা, নীতিবোধ ও কল্যাণকর আচরণকে উৎসাহিত করে।
১৯০. বাংলাদেশে দুর্নীতিকে দণ্ডনীয় ঘোষণা করা হয়েছে যে বিধানে-
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হল ঘঃ উপরের সবগুলােতে।
বাংলাদেশে দুর্নীতিকে দণ্ডনীয় ঘোষণা করা হয়েছে মূলত এই তিনটি প্রধান আইনেই:
-
কঃ ১৮৬০ সালে প্রণীত দণ্ডবিধি: এই আইনে বিভিন্ন প্রকার দুর্নীতির জন্য শাস্তির বিধান রয়েছে। সরকারি কর্মচারী কর্তৃক অবৈধভাবে পারিতোষিক গ্রহণ, সরকারি কর্মচারীকে প্রভাবিত করার জন্য অবৈধ পারিতোষিক গ্রহণ, সরকারি কর্মচারী কর্তৃক সরকারি ব্যবসার স্বার্থে ব্যক্তিগত লাভ অর্জন, সরকারি কর্মচারী কর্তৃক বিশ্বাসভঙ্গ সহ আরও অনেক ধারা দুর্নীতির সাথে সম্পর্কিত অপরাধ ও তার শাস্তির কথা উল্লেখ করে।
-
খঃ ২০০৪ সালে প্রণীত দুর্নীতি দমন কমিশন আইন: এই বিশেষ আইনটি দুর্নীতি দমন, নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ করার জন্য প্রণীত হয়েছে। এই আইনে দুদকের ক্ষমতা ও কার্যাবলী, তফসিলভুক্ত অপরাধের অনুসন্ধান ও তদন্ত, মামলা দায়ের ও পরিচালনা, এবং দুর্নীতির বিভিন্ন অপরাধের জন্য শাস্তির বিধান উল্লেখ করা হয়েছে। ঘুষ গ্রহণ, সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, ক্ষমতার অপব্যবহার, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ইত্যাদি সুস্পষ্টভাবে দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়।
-
গঃ ২০১৮ সালে প্রণীত সরকারী কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা: এই বিধিমালা সরকারি কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য এবং তাদের অসদাচরণ ও দুর্নীতির ক্ষেত্রে শাস্তির বিধান উল্লেখ করে। যদিও এটি সরাসরি দুর্নীতি প্রতিরোধের জন্য প্রণীত আইন নয়, তবে সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং দুর্নীতি রোধে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই বিধিমালার অধীনে দুর্নীতি প্রমাণিত হলে বিভিন্ন ধরনের শাস্তির বিধান রয়েছে।
সুতরাং, এই তিনটি আইনেই বাংলাদেশে দুর্নীতিকে দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়।
১৯১. অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে-
[ বিসিএস ৪৪তম ]
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে কঃ বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায়।
সুশাসন অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি অপরিহার্য পূর্বশর্ত। যখন অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসন বিদ্যমান থাকে, তখন নিম্নলিখিত বিষয়গুলো নিশ্চিত হয়:
- আইনের শাসন: স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ আইনি কাঠামো বিনিয়োগকারীদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষা করে।
- নিয়মিত ও স্বচ্ছ নীতি: সরকারের অর্থনৈতিক নীতি স্থিতিশীল ও অনুমানযোগ্য হলে বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করতে উৎসাহিত হয়।
- দুর্নীতির অভাব: দুর্নীতি কম থাকলে ব্যবসার পরিচালনা খরচ কমে এবং প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি হয়, যা বিনিয়োগের জন্য অনুকূল।
- জবাবদিহিতা: সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জবাবদিহিতা নিশ্চিত হলে বিনিয়োগকারীরা তাদের অর্থের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে আশ্বস্ত হন।
- সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা: বাজারে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা থাকলে নতুন বিনিয়োগকারীরা আকৃষ্ট হন এবং বিদ্যমান বিনিয়োগকারীরা সম্প্রসারণে আগ্রহী হন।
যদিও দুর্নীতি হ্রাস পায় (খ), প্রতিষ্ঠানের সুনাম বৃদ্ধি পায় (গ), এবং যোগাযোগ বৃদ্ধি পেতে পারে (ঘ), তবে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসনের সবচেয়ে প্রত্যক্ষ এবং শক্তিশালী প্রভাব পড়ে বিনিয়োগ বৃদ্ধির উপর। বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়, উৎপাদন বাড়ে এবং সামগ্রিকভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়।
১৯২. জাতিসংঘের দুর্নীতিবিরােধী কনভেনশনের নাম-
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হল গঃ UNCAC।
UNCAC এর পূর্ণরূপ হল United Nations Convention against Corruption। এটি জাতিসংঘের দুর্নীতিবিরোধী কনভেনশন নামে পরিচিত।
অন্যান্য বিকল্পগুলোর পূর্ণরূপ হলো:
- UNCLOS: United Nations Convention on the Law of the Sea (জাতিসংঘ সমুদ্র আইন কনভেনশন)
- UNCTAD: United Nations Conference on Trade and Development (জাতিসংঘ বাণিজ্য ও উন্নয়ন সম্মেলন)
- CEDAW: Convention on the Elimination of All Forms of Discrimination against Women (নারী সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ সনদ)
১৯৩. গণতান্ত্রিক মূল্যবােধের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান-
[ বিসিএস ৪৪তম ]
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল ঘঃ পরমতসহিষ্ণুতা।
যদিও অন্যান্য উপাদানগুলোও গণতন্ত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, তবে পরমতসহিষ্ণুতা গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি স্থাপন করে। এর কারণগুলো হলো:
- বহুমাত্রিকতা ও ভিন্ন মতের স্বীকৃতি: গণতন্ত্রে বিভিন্ন বিশ্বাস, আদর্শ ও মতামতের সহাবস্থান অপরিহার্য। পরমতসহিষ্ণুতা ভিন্ন মতকে সম্মান জানাতে এবং অন্যের দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতে সাহায্য করে।
- সহিংসতা পরিহার: পরমতসহিষ্ণুতার অভাবে সমাজে অসহিষ্ণুতা ও সংঘাতের সৃষ্টি হতে পারে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় শান্তিপূর্ণ উপায়ে মতপার্থক্য মীমাংসার জন্য এই গুণটি অত্যাবশ্যক।
- আলোচনা ও সমঝোতার সুযোগ: পরমতসহিষ্ণুতা থাকলে বিভিন্ন পক্ষ আলোচনার মাধ্যমে একটি সাধারণ সমাধানে পৌঁছাতে পারে। এটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে কার্যকর করে তোলে।
- অধিকারের সুরক্ষা: অন্যের মতের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকলে সংখ্যালঘু ও দুর্বল গোষ্ঠীর অধিকারও সুরক্ষিত থাকে।
অন্যান্য বিকল্পগুলোর গুরুত্বও অনস্বীকার্য:
- নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য: প্রশ্নহীন আনুগত্য গণতন্ত্রের পরিপন্থী। গণতান্ত্রিক সমাজে নাগরিকরা যুক্তিসঙ্গত সমালোচনা ও বিকল্প নেতৃত্বের অধিকার রাখে।
- স্বচ্ছ নির্বাচন কমিশন: অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একটি নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচন কমিশন অত্যাবশ্যক, তবে এটি একটি প্রক্রিয়াগত উপাদান।
- শক্তিশালী রাজনৈতিক দল: শক্তিশালী রাজনৈতিক দল রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও নীতি নির্ধারণে ভূমিকা রাখে, তবে অতিরিক্ত ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হলে তা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হতে পারে।
পরিশেষে বলা যায়, পরমতসহিষ্ণুতা একটি মানসিক ও সামাজিক গুণ যা গণতন্ত্রের মূল চেতনাকে ধারণ করে এবং অন্যান্য গণতান্ত্রিক উপাদানগুলোর কার্যকর কার্যকারিতা নিশ্চিত করে।
১৯৪. সরকারি সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে ‘স্বার্থের সংঘাত’ (conflict of interest)- এর উদ্ভব হয় যখন গৃহীতব্য সিদ্ধান্তের সঙ্গে-
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সরকারি সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে ‘স্বার্থের সংঘাত’-এর উদ্ভব হয় যখন গৃহীতব্য সিদ্ধান্তের সঙ্গে কঃ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কর্মকর্তার নিজের বা পরিবারের সদস্যদের স্বার্থ জড়িত থাকে।
স্বার্থের সংঘাত বলতে এমন পরিস্থিতিকে বোঝায় যেখানে কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীর ব্যক্তিগত স্বার্থ (আর্থিক, পারিবারিক, বা অন্য কোনো ব্যক্তিগত সুবিধা) তার সরকারি দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা ও বস্তুনিষ্ঠতাকে প্রভাবিত করতে পারে বা সেই সম্ভাবনা সৃষ্টি করে।
অন্যান্য বিকল্পগুলোও প্রাসঙ্গিক হতে পারে, তবে সরাসরি ‘স্বার্থের সংঘাত’ তখনই তৈরি হয় যখন সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীর নিজস্ব বা নিকটাত্মীয়দের স্বার্থ জড়িত থাকে:
-
খঃ প্রভাবশালী ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের স্বার্থ জড়িত থাকে: এটি পক্ষপাতদুষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণের একটি কারণ হতে পারে, তবে সরাসরি কর্মকর্তার নিজের স্বার্থ জড়িত না থাকলে তা স্বার্থের সংঘাতের সংজ্ঞায় নাও পড়তে পারে। তবে, যদি কর্মকর্তার সাথে প্রভাবশালী ব্যক্তির ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকে এবং সিদ্ধান্তের মাধ্যমে কর্মকর্তা বা তার পরিবারের সদস্যরা সুবিধা পায়, তবে সেটি স্বার্থের সংঘাত হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
-
গঃ সরকারি স্বার্থ জড়িত থাকে: সরকারি স্বার্থ রক্ষা করা সরকারি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব। যদি কোনো সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সরকারি স্বার্থ অর্জিত হয়, তবে সেটি স্বার্থের সংঘাত নয় বরং সরকারি দায়িত্ব পালনের অংশ। তবে, সরকারি স্বার্থের আড়ালে যদি কর্মকর্তার ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ হয়, তবে সেটি স্বার্থের সংঘাত হবে।
-
ঘঃ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের স্বার্থ জড়িত থাকে: ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আইনসঙ্গত ও নীতিগত স্বার্থ রক্ষা করা অধস্তন কর্মকর্তার দায়িত্ব। তবে, যদি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ব্যক্তিগত স্বার্থ অর্জনের জন্য অধস্তন কর্মকর্তাকে কোনো অন্যায় বা পক্ষপাতদুষ্ট সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করা হয়, তবে সেটি একটি জটিল পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে এবং ক্ষেত্রবিশেষে স্বার্থের সংঘাতের আওতায় আসতে পারে।
সুতরাং, সবচেয়ে সরাসরি এবং স্পষ্ট উত্তর হল সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কর্মকর্তার নিজের বা পরিবারের সদস্যদের স্বার্থ জড়িত থাকলে স্বার্থের সংঘাতের উদ্ভব হয়।
১৯৫. রাষ্ট্র ও সমাজে দুর্নীতিপ্রবণতার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী-
[ বিসিএস ৪৪তম ]
আমার বিবেচনায়, রাষ্ট্র ও সমাজে দুর্নীতিপ্রবণতার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী খঃ নৈতিকতা ও মূল্যবােধের অভাব।
যদিও আইনের প্রয়োগের অভাব (ক), দুর্বল পরিবীক্ষণ ব্যবস্থা (গ), এবং অসৎ নেতৃত্ব (ঘ) - এই কারণগুলো দুর্নীতি বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, তবে নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অভাব এদের ভিত্তি তৈরি করে।
কারণগুলো বিশ্লেষণ করা যাক:
-
নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অভাব: যদি মানুষের মধ্যে সততা, ন্যায়পরায়ণতা, দায়িত্ববোধ এবং অন্যের প্রতি শ্রদ্ধার মতো মৌলিক নৈতিক মূল্যবোধের অভাব থাকে, তবে আইন, পরিবীক্ষণ বা নেতৃত্বের পরিবর্তন করেও দুর্নীতি সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা কঠিন। নৈতিক অবক্ষয় সমাজের প্রতিটি স্তরে দুর্নীতিকে স্বাভাবিক করে তোলে।
-
আইনের প্রয়ােগের অভাব: দুর্বল আইন প্রয়োগ দুর্নীতিবাজদের শাস্তি এড়াতে এবং আরও দুর্নীতি করতে উৎসাহিত করে। তবে, শক্তিশালী আইন থাকলেও যদি মানুষের মধ্যে নীতিবোধ না থাকে, তবে আইনের ফাঁক খুঁজে বের করা বা আইনকে প্রভাবিত করার প্রবণতা দেখা যেতে পারে।
-
দুর্বল পরিবীক্ষণ ব্যবস্থা: কার্যকর পরিবীক্ষণের অভাবে দুর্নীতি সহজে ধরা পড়ে না এবং দুর্নীতিবাজরা তাদের অপকর্ম চালিয়ে যেতে সাহস পায়। তবে, কঠোর পরিবীক্ষণ ব্যবস্থা থাকলেও যদি কর্মকর্তাদের মধ্যে সততার অভাব থাকে, তবে তারা পরিবীক্ষণ ফাঁকি দেওয়ার নতুন উপায় বের করতে পারে।
-
অসৎ নেতৃত্ব: দুর্নীতিগ্রস্ত নেতৃত্ব একটি সমাজে দুর্নীতির সংস্কৃতি তৈরি করে। নেতারা দুর্নীতিতে জড়িত থাকলে অধীনস্থরাও উৎসাহিত হয় এবং জবাবদিহিতা দুর্বল হয়ে পড়ে। তবে, সৎ নেতৃত্বও যদি নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন অনুসারী না পায়, তবে দুর্নীতি সম্পূর্ণরূপে রোধ করা কঠিন হতে পারে।
পরিশেষে বলা যায়, দুর্নীতি একটি জটিল সমস্যা যার মূলে রয়েছে নৈতিক অবক্ষয়। নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অভাবই সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতিকে বিস্তার লাভ করার সুযোগ করে দেয়। অন্যান্য কারণগুলো এই মূল কারণের প্রভাবকে আরও বাড়িয়ে তোলে। তাই, দীর্ঘমেয়াদীভাবে দুর্নীতি মোকাবিলা করতে হলে নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধের বিকাশের উপর জোর দেওয়া অপরিহার্য।
প্রাথমিকভাবে একজন মানুষের মানবীয় গুণাবলি ও সামাজিক মূল্যবোধের বিকাশ ঘটে গঃ পরিবারে।
পরিবার হলো শিশুর প্রথম শিক্ষাঙ্গন। এখানেই শিশুরা ভালোবাসা, সহানুভূতি, সহযোগিতা, সততা, ন্যায়বিচার এবং অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধের মতো মৌলিক মানবীয় গুণাবলি ও সামাজিক মূল্যবোধ সম্পর্কে প্রথম ধারণা লাভ করে। মা-বাবা, ভাই-বোন এবং অন্যান্য নিকটাত্মীয়দের আচার-আচরণ ও পারস্পরিক সম্পর্কের মাধ্যমে শিশুরা সামাজিক রীতিনীতি ও মূল্যবোধ সম্পর্কে শেখে।
যদিও সমাজ (ক), বিদ্যালয় (খ), এবং রাষ্ট্রও (ঘ) মানুষের মূল্যবোধ বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, তবে শৈশবে পরিবারের প্রভাব সবচেয়ে গভীর ও স্থায়ী হয়। বিদ্যালয়ে শিশুরা জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি সামাজিক নিয়মকানুন ও মূল্যবোধ সম্পর্কে আরও বিস্তারিতভাবে জানতে পারে। সমাজে মেলামেশার মাধ্যমে তারা বিভিন্ন ধরনের মানুষের সাথে পরিচিত হয় এবং তাদের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে ধারণা লাভ করে। রাষ্ট্রীয় নীতি ও আইনের মাধ্যমেও কিছু মূল্যবোধ সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়।
তবে, একেবারে শুরুতে, যখন একটি শিশুর মন সবচেয়ে বেশি গ্রহণক্ষম থাকে, তখন পরিবারই তাকে মানবীয় গুণাবলি ও সামাজিক মূল্যবোধের বীজ বপন করে। এই প্রাথমিক শিক্ষা ভবিষ্যতের জীবনে তার চরিত্র ও আচরণকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে।
১৯৭. ‘সততার জন্য সদিচ্ছা’র কথা বলেছেন-
[ বিসিএস ৪৪তম ]
‘সততার জন্য সদিচ্ছা’র কথা বলেছেন গঃ ইমানুয়েল কান্ট।
ইমানুয়েল কান্ট তাঁর নীতিশাস্ত্রের আলোচনায় "সদিচ্ছা" (Good Will)-কে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান দিয়েছেন। তিনি মনে করতেন, কোনো কাজ নৈতিকভাবে সঠিক কিনা, তা ফলাফলের উপর নির্ভর করে না, বরং সেই কাজটি কী উদ্দেশ্যে করা হয়েছে তার উপর নির্ভর করে। কান্টের মতে, সদিচ্ছা হলো একমাত্র জিনিস যা কোনো প্রকার শর্ত ছাড়াই unconditionally ভালো।
সততার (honesty) ক্ষেত্রেও কান্ট সদিচ্ছার গুরুত্বের কথা বলেছেন। তিনি মনে করতেন, কেবল কর্তব্যবোধ থেকে সততা অবলম্বন করাই নৈতিকভাবে মূল্যবান। যদি কোনো ব্যক্তি কেবল ব্যক্তিগত লাভের জন্য বা শাস্তির ভয়ে সৎ হয়, তবে তার সেই সততা নৈতিকভাবে তেমন গুরুত্ব বহন করে না। কান্টের মতে, সততার মূলে থাকতে হবে সদিচ্ছা - অর্থাৎ, সততা অবলম্বন করার আন্তরিক ইচ্ছা এবং কর্তব্যবোধ।
১৯৮. যে গুণের মাধ্যমে মানুষ ‘ভুল’ ও ‘শুদ্ধ’-এর পার্থক্য নির্ধারণ করতে পারে, তা হচ্ছে-
[ বিসিএস ৪৪তম ]
যে গুণের মাধ্যমে মানুষ ‘ভুল’ ও ‘শুদ্ধ’-এর পার্থক্য নির্ধারণ করতে পারে, তা হচ্ছে ঘঃ মূল্যবােধ।
মূল্যবোধ হলো সেই নীতি, আদর্শ বা বিশ্বাস যা একজন ব্যক্তি বা সমাজের কাছে গুরুত্বপূর্ণ এবং যা তাদের আচরণ ও সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে। মূল্যবোধের মাধ্যমেই মানুষ কোনটা ন্যায়সঙ্গত, কোনটা অন্যায়, কোনটা সঠিক এবং কোনটা ভুল - তা বিচার করতে পারে।
অন্যান্য বিকল্পগুলোও গুরুত্বপূর্ণ, তবে মূল্যবোধের ধারণার অন্তর্ভুক্ত:
- সততা: একটি বিশেষ মূল্যবোধ যা সত্য বলা ও বিশ্বাসযোগ্য হওয়ার ধারণাকে বোঝায়।
- সদাচার: নৈতিক ও ন্যায়সঙ্গত আচরণকে বোঝায়, যা মূল্যবোধ দ্বারা চালিত হয়।
- কর্তব্যবোধ: নির্দিষ্ট দায়িত্ব ও বাধ্যবাধকতা পালনের অনুভূতি, যা মূল্যবোধের অংশ হতে পারে।
মূল্যবোধের ব্যাপক ধারণাই মানুষকে সাধারণভাবে ভুল ও শুদ্ধের পার্থক্য বুঝতে এবং সেই অনুযায়ী আচরণ করতে দিকনির্দেশনা দেয়।