আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
15

প্রশ্নঃ কিসের ভিত্তিতে পূর্ব বাংলায় ভাষা আন্দোলন হয়েছিল?

[ বিসিএস ৩৮তম ]

ক. দ্বি-জাতি তত্ত্ব
খ. সামাজিক চেতনা
গ. অসাম্প্রদায়িকতা
ঘ. বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ
উত্তরঃ বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ
ব্যাখ্যাঃ

পূর্ব বাংলায় ভাষা আন্দোলনের মূল ভিত্তি ছিল বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ। ১৯৪৮ সাল থেকে শুরু করে ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারির চূড়ান্ত পর্যায় পর্যন্ত এই আন্দোলন ছিল মূলত বাঙালি জাতির নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি ও পরিচয়ের স্বীকৃতির সংগ্রাম। পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালি হওয়া সত্ত্বেও যখন উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার চেষ্টা করা হয়, তখন এর বিরুদ্ধে বাঙালির ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি গভীর ভালোবাসা এবং স্বতন্ত্র জাতিসত্তার অনুভূতিই প্রবল হয়ে ওঠে। এটি ছিল বাঙালির আত্মপরিচয়, সংস্কৃতি ও ভাষার প্রতি গভীর মমত্ববোধের প্রকাশ, যা পরবর্তীতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ভিত্তি স্থাপন করে।

অন্যান্য বিকল্পগুলো:

  • দ্বি-জাতি তত্ত্ব: এটি ছিল ভারত বিভাগের মূল ভিত্তি, যা মুসলিম ও হিন্দুদের পৃথক জাতি হিসেবে গণ্য করে। ভাষা আন্দোলন এই তত্ত্বের ভুল প্রমাণ করে, কারণ ধর্মীয় পরিচয়ের চেয়ে ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক পরিচয় এখানে মুখ্য হয়ে ওঠে।
  • সামাজিক চেতনা: ভাষা আন্দোলনের একটি অংশ সামাজিক চেতনা হলেও, এর মূল চালিকাশক্তি ছিল জাতীয়তাবাদ।
  • অসাম্প্রদায়িকতা: ভাষা আন্দোলন অসাম্প্রদায়িক চেতনার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে, যেখানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল বাঙালি এক হয়েছিল। তবে, এটি ছিল আন্দোলনের একটি বৈশিষ্ট্য, মূল ভিত্তি নয়। মূল ভিত্তি ছিল ভাষার উপর ভিত্তি করে গঠিত বাঙালি জাতিসত্তা।