প্রশ্নঃ কাজী নরজুল ইসলামের ‘অগ্নি-বীণা’ কাব্যের প্রথম কবিতা কোনটি?
[ বিসিএস ৩৮তম ]
কাজী নজরুল ইসলামের 'অগ্নি-বীণা' তাঁর প্রথম এবং সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী কাব্যগ্রন্থ। এটি বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবির আত্মপ্রকাশের এক ঐতিহাসিক দলিল।
প্রকাশকাল: ১৯২২ সালের অক্টোবর মাসে (১৩২৯ বঙ্গাব্দ)।
নামকরণের তাৎপর্য: 'অগ্নি-বীণা' নামটি নিজেই নজরুলের বিদ্রোহ ও বিপ্লবাত্মক চেতনার প্রতীক। 'অগ্নি' এখানে দ্রোহ, তেজ ও ধ্বংসের প্রতীক, যা পুরনো জীর্ণতাকে পুড়িয়ে নতুন সৃষ্টি করবে। আর 'বীণা' হলো সুর ও শিল্পের প্রতীক, যা কাব্য ও সঙ্গীতের মাধ্যমে এই বিপ্লবের বাণী ছড়িয়ে দেবে।
গুরুত্ব ও বৈশিষ্ট্য:
- বিদ্রোহের জয়গান: এই কাব্যের প্রতিটি কবিতায় পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙার আহ্বান, অন্যায় ও শোষণের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ এবং দ্রোহের সুর ধ্বনিত হয়েছে। তৎকালীন ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে এটি ছিল এক দারুণ অনুপ্রেরণা।
- প্রথম কবিতা 'প্রলয়োল্লাস': এই কাব্যের প্রথম কবিতা 'প্রলয়োল্লাস' একটি নবযুগের আগমনী বার্তা নিয়ে আসে। এটি ধ্বংসের মধ্য দিয়ে নতুন সৃষ্টির উল্লাস ঘোষণা করে।
- ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট: প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর এবং অসহযোগ আন্দোলনের পটভূমিতে রচিত এই কাব্য বাঙালি জাতিকে নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছিল।
- অগ্নি-বীণার উল্লেখযোগ্য কবিতা:
- প্রলয়োল্লাস
- বিদ্রোহী (নজরুলের সবচেয়ে বিখ্যাত কবিতা)
- রক্তাম্বর-ধারিণী মা
- আগমণী
- ধূমকেতু
- কামাল পাশা
- আনোয়ার
- রণভেরী
- শাত-ইল-আরব
- খেয়াপারের তরণী
- কোরবানি
- মোহররম
- ভাষাগত বৈশিষ্ট্য: নজরুল এই কাব্যে আরবি, ফারসি এবং বাংলা শব্দের এক চমৎকার মিশেল ঘটিয়েছেন। তার ভাষা ছিল ওজস্বী ও গতিময়, যা পাঠককে এক অন্যরকম অনুভূতির জগতে নিয়ে যায়।
- নবযুগের বার্তা: এই কাব্য শুধু রাজনৈতিক বিদ্রোহই নয়, সামাজিক ও ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরুদ্ধেও সোচ্চার ছিল। এটি এক নবীন, মুক্ত ও সাম্যবাদী সমাজের স্বপ্ন দেখিয়েছিল।
'অগ্নি-বীণা' কাব্যের মাধ্যমে নজরুল শুধু কবি হিসেবেই নয়, একজন সাহসী ও বিপ্লবী চিন্তাবিদ হিসেবেও বাঙালি পাঠকের হৃদয়ে স্থায়ী আসন লাভ করেন। এটি বাংলা সাহিত্যের আধুনিক কাব্যের ধারায় একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।
Related MCQ
এই গানটির রচয়িতা কাজী নজরুল ইসলাম।
তিনি ১৯৩১ সালে এই গানটি রচনা ও সুরারোপ করেন, যা পরবর্তীতে আব্বাসউদ্দীন আহমদের কণ্ঠে প্রথম রেকর্ড করা হয়। এটি ঈদুল ফিতরের আনন্দ ও ধর্মীয় ভাবধারার অন্যতম জনপ্রিয় গান হিসেবে বাঙালি মুসলিম সমাজে বিশেষভাবে পরিচিত।
‘আমার পথ’ প্রবন্ধটি কাজী নজরুল ইসলামের ‘রুদ্রমঙ্গল’ গ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে।
এই প্রবন্ধটি নজরুলের বিদ্রোহী ও আত্মবিশ্বাসী মনোভাবের এক উজ্জ্বল প্রকাশ। এখানে তিনি নিজের সত্যকে অনুসরণ করার এবং কোনো প্রকার ভণ্ডামি বা মিথ্যার কাছে নতি স্বীকার না করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। ‘রুদ্রমঙ্গল’ নজরুলের প্রবন্ধ সংকলনগুলির মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্নঃ কোনটি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত গ্রন্থ নয়?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হলো গঃ সোনার তরী।
‘সোনার তরী’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ।
অন্যদিকে, ‘ব্যথার দান’, ‘দোলনচাঁপা’ এবং ‘শিউলিমালা’ – এই তিনটি গ্রন্থই কাজী নজরুল ইসলাম রচিত।
প্রেম, মানবতা ও বিদ্রোহের কবি নজরুল রচিত- ‘বিষের বাঁশী’ কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করেন কবি নিজেই। সে বছরই সরকার গ্রন্থটি নিষিদ্ধ করে। এটি নজরুলের প্রথম নিষিদ্ধকৃত গ্রন্থ। এ গ্রন্থের কবিতাগুলো বিদ্রোহাত্মক ও জাগরণমূলক। বন্দী-বন্দনা, শিকল-পরা গান, চরকার গান, জাতের নামে বজ্জাতি, সত্য-মন্ত্র ইত্যাদি গ্রন্থের উল্লেখযোগ্য কবিতা। নজরুল ইসলামের কবিতার বলিষ্ঠতা, যৌবনের উদ্দাম শক্তি, উদার মানবিকতা ও সামাজিক সচেতনতা এবং গীতি প্রতিভার সমস্ত বৈশিষ্ট্য এই কাব্যে পরিস্ফুট।
প্রশ্নঃ “ঐ ক্ষেপেছে পাগলি মায়ের দামাল ছেলে”-কে এই দামাল ছেলে?
[ বিসিএস ৪৩তম ]
"ঐ ক্ষেপেছে পাগলি মায়ের দামাল ছেলে" – এই পংক্তিতে "দামাল ছেলে" বলতে কামাল পাশা-কে বোঝানো হয়েছে।
এই চরণটি কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত কবিতা "কামাল পাশা" থেকে নেওয়া হয়েছে। কবিতাটি তুরস্কের বীর নেতা মোস্তফা কামাল পাশার বীরত্ব ও দেশপ্রেমের প্রতি কবির গভীর শ্রদ্ধা ও admiration প্রকাশ করে। কামাল পাশা তাঁর সাহসী নেতৃত্ব ও রণকৌশলের মাধ্যমে তুরস্ককে একটি আধুনিক ও স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলেন। নজরুল এই দামাল ছেলেরূপে তাঁর বিপ্লবী চেতনা ও অদম্য সাহসকে তুলে ধরেছেন।
প্রশ্নঃ ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি কোন সনে প্রথম প্রকাশিত হয়েছে?
[ বিসিএস ৪০তম ]
"বিদ্রোহী" কবিতাটি ১৯২২ সনে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।
এই কবিতাটি প্রথম সাপ্তাহিক বিজলী পত্রিকায় ৬ই জানুয়ারী, ১৯২২ (২২শে পৌষ, ১৩২৮ বঙ্গাব্দ) প্রকাশিত হয়। প্রকাশের পরপরই কবিতাটি ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে এবং কাজী নজরুল ইসলাম 'বিদ্রোহী কবি' হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।
তবে, কিছু তথ্য অনুযায়ী কবিতাটি 'মোসলেম ভারত' পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল বলে জানা যায়, যদিও 'বিজলী'তে প্রকাশের তারিখটি সুপ্রতিষ্ঠিত।
প্রশ্নঃ ‘বাঁধন হারা’ কাজী নজরুল ইসলামের কোন ধরনের রচনা?
[ বিসিএস ৩৯তম ]
‘বাঁধন হারা’ কাজী নজরুল ইসলামের উপন্যাস।
এটি কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম উপন্যাস, যা ১৯২৭ সালে প্রকাশিত হয়েছিল।
কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর কবিতায় 'কালাপাহাড়'কে স্মরণ করেছেন মূলত ধর্মীয় গোঁড়ামি, কুসংস্কার এবং জীর্ণ ঐতিহ্যের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ও ধ্বংসের প্রতীক হিসেবে।
কালাপাহাড় ছিলেন একজন ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব, যার আসল নাম ছিল রাজু। তিনি প্রথমে হিন্দু ছিলেন, কিন্তু পরে ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ধর্মান্তরিত হওয়ার পর তিনি মূর্তি ভাঙা এবং মন্দির ধ্বংস করার জন্য কুখ্যাত হয়ে ওঠেন। তার এই কর্মকাণ্ডকে অনেকে ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরুদ্ধে এক ধরনের প্রতিবাদ বা পুরাতন জীর্ণতার বিনাশ হিসেবে দেখতেন।
নজরুল ছিলেন একজন বিদ্রোহী কবি। তিনি তার কবিতায় সামাজিক অবিচার, শোষণ, ধর্মীয় গোঁড়ামি, কুসংস্কার এবং পুরনো পচা ধ্যান-ধারণার বিরুদ্ধে তীব্র বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন। তিনি পরাধীনতা ও সাম্প্রদায়িকতার ঊর্ধ্বে মানবতাকে স্থান দিয়েছেন। কালাপাহাড়ের চরিত্রকে নজরুল তার এই বিদ্রোহের আদর্শের সাথে মিলিয়ে দেখেছিলেন।
নজরুলের কাছে কালাপাহাড় ছিলেন সেই প্রতীক, যিনি পুরাতন, জীর্ণ এবং অকল্যাণকর প্রথা ও প্রতিষ্ঠানকে ভেঙে চুরমার করতে পারেন, যাতে নতুন কিছু গড়ে উঠতে পারে। যেমন, তার বিখ্যাত 'বিদ্রোহী' কবিতায় তিনি নিজেকে 'আমি কালাপাহাড়' বলে ঘোষণা করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন যে, তিনি বিদ্যমান অন্যায় ও অসঙ্গতিকে ভেঙে ফেলবেন, যেমন কালাপাহাড় মূর্তি ভেঙেছিলেন। এখানে মূর্তি ভাঙা আক্ষরিক অর্থে না হয়ে রূপক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে - পুরাতন অন্যায়, শোষণ ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে ধ্বংসাত্মক বিদ্রোহ।
সুতরাং, সংক্ষেপে, নজরুল কালাপাহাড়কে স্মরণ করেছেন পুরাতন ও জীর্ণ প্রথার বিনাশকারী এবং বিদ্রোহের প্রতীক হিসেবে।
প্রশ্নঃ কোনটি কাজী নজরুল ইসলামের রচনা নয়?
[ বিসিএস ৩৬তম ]
প্রদত্ত বিকল্পগুলির মধ্যে বালুচর কাজী নজরুল ইসলামের রচনা নয়।
- ছায়ানট: কাজী নজরুল ইসলামের কাব্যগ্রন্থ (১৯২৫)।
- চক্রবাক: কাজী নজরুল ইসলামের কাব্যগ্রন্থ (১৯২৯)।
- রুদ্রমঙ্গল: কাজী নজরুল ইসলামের প্রবন্ধগ্রন্থ (১৯২৬)।
- বালুচর: এটি জীবনানন্দ দাশের একটি কাব্যগ্রন্থ (১৯৪৮)।
সুতরাং, সঠিক উত্তর হলো:
ঘঃ বালুচর
প্রশ্নঃ কোনটি কাজী নজরুল ইসলামের উপন্যাস?
[ বিসিএস ৩৬তম ]
প্রদত্ত বিকল্পগুলির মধ্যে কুহেলিকা কাজী নজরুল ইসলামের উপন্যাস।
- কঃ রিক্তের বেদন: এটি কাজী নজরুল ইসলামের একটি গল্পগ্রন্থ।
- খঃ সর্বহারা: এটি কাজী নজরুল ইসলামের একটি কাব্যগ্রন্থ।
- গঃ আলেয়া: এটি কাজী নজরুল ইসলামের একটি গীতিনাট্য।
- ঘঃ কুহেলিকা: এটি কাজী নজরুল ইসলামের একটি উপন্যাস।
সুতরাং, সঠিক উত্তর হলো: ঘঃ কুহেলিকা
প্রশ্নঃ কাজী নজরুল ইসলামের মোট ৫টি গ্রন্থ বিভিন্ন সময়ে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সরকার বাজেয়াপ্ত করে। কোন বইটি প্রথম বাজেয়াপ্ত হয়?
[ বিসিএস ৪১তম ]
কাজী নজরুল ইসলামের মোট ৫টি গ্রন্থ ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সরকার বিভিন্ন সময়ে বাজেয়াপ্ত করে। এর মধ্যে প্রথম বাজেয়াপ্ত হওয়া গ্রন্থটি হলো ‘যুগবাণী’।
এই বইটি ১৯২২ সালের অক্টোবর মাসে প্রকাশিত হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই, একই বছরের নভেম্বরে ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত করা হয়। ‘যুগবাণী’ গ্রন্থে নজরুলের বিপ্লবী ও ঔপনিবেশিক শাসনবিরোধী প্রবন্ধ সংকলিত ছিল, যা তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের কাছে রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক বলে বিবেচিত হয়েছিল।
প্রশ্নঃ কাজী নজরুল ইসলাম রচিত গল্প কোনটি?
[ বিসিএস ৩২তম ]
'পদ্মগোখরা' হলো কাজী নজরুল ইসলাম রচিত একটি বিখ্যাত গল্প। এটি তাঁর 'শিউলিমালা' গল্পগ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত একটি মনস্তাত্ত্বিক গল্প। এই গল্পে প্রেম, বিশ্বাসঘাতকতা এবং মানব মনের জটিলতা দক্ষতার সাথে তুলে ধরা হয়েছে।
অন্যান্য বিকল্পগুলো হলো:
- পদ্মরাগ: বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন রচিত উপন্যাস।
- পদ্মাবতী: সৈয়দ আলাওল রচিত কাব্য।
- পদ্মপুরাণ: বিজয় গুপ্তের মনসামঙ্গল কাব্যের একটি অংশ।
প্রশ্নঃ ‘বিদ্রোহী’ কবিতা কোন কাব্যের অন্তর্গত?
[ বিসিএস ৩১তম ]
অগ্নিবীণা কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ। এই কাব্যের প্রথম কবিতা ‘প্রলয়োল্লাস’ এবং দ্বিতীয় কবিতা ‘বিদ্রোহী’ অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থে মোট ১২টি কবিতা স্থান পায়। যথা- প্রলয়োল্লাস, বিদ্রোহী, রক্তম্বরধারিণী মা, আগমনী, ধূমকেতু, কামাল পাশা, আনোয়ার, রণভেরী, সাত ইল আরব, খেয়াপারের তরণী, কোরবানী ও মোহররম।
প্রশ্নঃ ‘অগ্নিবীণা’ কাব্যের প্রথম কবিতা কোনটি?
[ বিসিএস ২৯তম ]
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘অগ্নিবীণা’ (১৯২২)। এ কাব্যগ্রন্থের প্রথম কবিতা ‘প্রলয়োল্লাস’ এ কাব্যগ্রন্থের অন্যান্য কবিতাগুলো হলো ‘বিদ্রোহী’ রক্তাম্বরধারিণী মা, আগমনী, ধূমকেতু, কামাল পাশা, আনোয়ার, রণভেরী, সাত-ইল আরব, খেয়াপারের তরণী, কোরবানী, মোহররম’ মোট ১২টি কবিতা এ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত। অন্যদিকে অগ্রপথিক, কবিতাটি নজরুল ইসলামের ‘জিঞ্জীর’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।
প্রশ্নঃ কাজী নজরুল ইসলামের সম্পাদিত পত্রিকা কোনটি?
[ বিসিএস ২৮তম ]
কাজী নজরুল ইসলাম সম্পাদিত পত্রিকার নাম "ধূমকেতু"। "ধূমকেতু" ছিল একটি দেশপ্রেমমূলক ও বিদ্রোহাত্মক পত্রিকা, যা ১৯২২ সালে প্রকাশিত হয়। এটি ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিল এবং এই পত্রিকায় প্রকাশিত লেখার জন্য নজরুলকে কারাবরণও করতে হয়েছিল। এছাড়াও, তিনি "লাঙল" ও "গণবাণী" পত্রিকারও সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের (১৮১৯-১৯৭৬) ‘সিন্ধু-হিন্দোল’ কাব্যগ্রন্থের অর্ন্তভুক্ত ‘দারিদ্র্য’ কবিতাটি। কাব্যগ্রন্থটি ১৯২৭ সালে প্রকাশিত হয়।
প্রশ্নঃ কাজী নজরুল ইসলামের উপন্যাস কোনটি?
[ বিসিএস ২৬তম | বিসিএস ২৪তম ]
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের (১৮৯৯-১৯৭৬ খ্রি) দ্বিতীয় উপন্যাস ‘মৃত্যুক্ষুধা’ ১৯৩০ সালে তিনি রচনা করেন। ব্রিটিশ বিরোধী অসহযোগ আন্দোলনের পটভূমিতে উপন্যাসটি রচিত। অন্যদিকে ঝিলিমিলি (১৯৩০), আলেয়া (১৯৩২) এবং মধুমালা (১৯৫৮) তার রচিত তিনটি নাটক।
প্রশ্নঃ কাজী নজরুল ইসলাম কোন কবিতা রচনার জন্য কারাবরণ করেন?
[ বিসিএস ২৬তম ]
কবি কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬ খ্রি) তার ‘আনন্দময়ীর আগমনে’ কবিতাটি রচনার জন্য কারারুদ্ধ হন এবং এক বছরের জন্য সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন। ‘প্রলয়শিখা’ গ্রন্থের জন্য তিনি ৬ মাস কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন। ‘বিদ্রোহী’ কবিতা রচনার জন্য তিনি বিদ্রোহী কবি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।
বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলামের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্হ ‘অগ্নিবীণা’তে প্রলয়োল্লাস, বিদ্রোহী এবং রক্তাম্বরধারিণী মা কবিতা তিনটি অন্তর্ভুক্ত। ধূমকেতুর ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৯২২ সংখ্যায় নজরুলের রাজনৈতিক কবিতা ‘আনন্দময়ীর আগমনে’ প্রকাশ হলে ৮ নভেম্বর পত্রিকার ঐ সংখ্যা নিষিদ্ধ করা হয় এবং কবিতা রচনার জন্য ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক ১ বছর কারাদণ্ড দণ্ডিত হন। উল্লেখ্য, অনেকে লিখে থাকেন ‘অগ্নিবীণা’ ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। এ তথ্য সত্য নয়। গ্রন্হটি কোনোদিন নিষিদ্ধ হয়নি।
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬ খ্রি.) সাহিত্যসেবার পাশাপাশি সাংবাদিকতায়ও আত্মনিয়োগ করেছিলেন। তিনি ছিলেন সান্ধ্য ‘দৈনিক নবযুগ’ (১৯২০) পত্রিকার যুগ্ম-সম্পাদক। তার সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় অর্ধ সাপ্তাহিক ‘ধূমকেতু’ (১৯২২)। এছাড়া তিনি ‘লাঙ্গল’ (১৯২৫) নামক সাপ্তাহিক পত্রিকাও সম্পাদনা করেছিলেন।
প্রশ্নঃ কোন কবিতা রচনার কারণে নজরুল ইসলামের কারাদণ্ড হয়েছিল?
[ বিসিএস ২২তম ]
‘আনন্দময়ীর আগমনে’ কবিতা রচনার জন্য তিনি এক বছরের জন্য কারারুদ্ধ হন। এছাড়া ‘প্রলয় শিখা’র জন্যও তিনি ছয় মাস কারারুদ্ধ হন।
প্রশ্নঃ কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত লেখা কোনটি?
[ বিসিএস ২২তম ]
কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত লেখা (গল্প) ‘বাউণ্ডেলের আত্মকাহিনী’ মাসিক ‘সওগাত’ পত্রিকায় ১৩২৬ বঙ্গাব্দের (১৯১৯ খ্রি.) জ্যৈষ্ঠ সংখ্যায় প্রথম প্রকাশিত হয়। তার রচিত প্রথম কবিতা ‘মুক্তি’ প্রথম প্রকাশিত হয় বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকা'র শ্রাবণ সংখ্যায় ১৩২৬ বঙ্গাব্দে।
প্রশ্নঃ নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ কোনটি?
[ বিসিএস ২০তম ]
| ধরন | নাম |
|---|---|
| রচনা/গল্প | বাউন্ডেলের আত্মকাহিনী |
| গ্রন্থ/গল্পগ্রন্থ | ব্যথার দান |
| কবিতা | মুক্তি |
| কাব্যগ্রন্থ | অগ্নিবীণা |
| প্রবন্ধ | তুর্কি মহিলার ঘোমটা খোলা |
| প্রবন্ধগ্রন্থ | যুগবাণী |
| নাটক ও নাট্যগ্রন্থ | ঝিলিমিলি |
| উপন্যাস | বাঁধন-হারা |
প্রশ্নঃ কাজী নজরুল ইসলাম রচিত গ্রন্থ কোনটি?
[ বিসিএস ২০তম ]
কাজী নজরুল ইসলামের সঙ্গীতবিষয়ক গ্রন্হ রাঙাজবা। মরুশিখা হলো যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের কাব্যগ্রন্হ। মরুসূর্য হলো আ.ন.ম. বজলুর রশীদ রচিত কাব্যগ্রন্হ।
১৯২২ সালে প্রকাশিত ‘অগ্নিবীণা’ কাজী নজরুল ইসলাম রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্হ। এই গ্রন্থে ১২টি কবিতা সংকলিত হয়েছে। যথা- প্রলয়োল্লাস, বিদ্রোহী, রক্তাম্বরধারিণী মা, আগমনী, ধূমকেতু, কামালপাশা, আনোয়ার, রণভেরী, সাত-ইল-আরব, খেয়াপারের তরণী, কোরবানী ও মোহররম।
কাজী নজরুল ইসলাম তার ‘সঞ্চিতা’ কাব্যগ্রন্হটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে উৎসর্গ করেন।
প্রশ্নঃ “বউ কথা কও, বউ কথা কও কও কথা অভিমানিনী সেধে সেধে কেদেঁ কেদেঁ যাবে কত যামিনী”-এই কবিতাংশটুকুর কবি কে?
[ বিসিএস ১৪তম ]
উল্লিখিত অংশটুকু কাজী নজরুল ইসলামের ‘নজরুল গীতিকা’ সংগীত গ্রন্হ থেকে সংকলন করা হয়েছে।
প্রশ্নঃ ‘অগ্নিবীণা’ কাব্যগ্রন্থে সংকলিত প্রথম কবিতা–
[ বিসিএস ১০তম ]
১৯২২ সালে প্রকাশিত ‘অগ্নিবীণা’ কাজী নজরুল ইসলাম রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্হ। এই গ্রন্হে ১২টি কবিতা সংকলিত হয়েছে। যথা- প্রলয়োল্লাস, বিদ্রোহী, রক্তাম্বরধারিণী মা, আগমনী, ধূমকেতু, কামালপাশা, আনোয়ার, রণভেরী, সাত-ইল-আরব, খেয়াপারের তরণী, কোরবানী ও মোহররম।
প্রশ্নঃ কোনটি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত গ্রন্থ?
[ বিসিএস ২১তম ]
| গ্রন্থ | ধরন | রচিয়তা |
|---|---|---|
| বিষের বাঁশি | কাব্যগ্রন্থ | কাজী নজরুল ইসলাম |
| সন্দ্বীপের চর | কাব্যগ্রন্থ | বিষ্ণু দে |
| রূপসী বাংলা | কাব্যগ্রন্থ | জীবনানন্দ দাশ |
| বন্দীর বন্দনা | কাব্য গ্রন্থ | বুদ্ধদেব বসু |
প্রশ্নঃ কাজী নজরুল ইসলামকে উৎসর্গ করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনা-
[ প্রা.বি.স.শি. 08-12-2023 ]
কাজী নজরুল ইসলামকে উৎসর্গ করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনা হলো বসন্ত।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর বিখ্যাত নাটক 'বসন্ত' কাজী নজরুল ইসলামকে উৎসর্গ করেছিলেন। নাটকটি ১৯২৩ সালে প্রকাশিত হয়। নজরুল ইসলামের 'সঞ্চিতা' কাব্যগ্রন্থটিও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে উৎসর্গ করা হয়েছিল। এটি বাংলা সাহিত্যর ইতিহাসে এক বিরল দৃষ্টান্ত, যেখানে দুই দিকপাল একে অপরের প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা প্রদর্শন করেছিলেন।
প্রশ্নঃ ২০২২ সালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কততম জন্মদিন পালন করা হলো?
[ প্রা.বি.স.শি. (৩য় ধাপ) 03-06-2022 ]
২০২২ সালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মদিন পালন করা হয়।
কাজী নজরুল ইসলাম ১৮৯৯ সালের ২৪ মে (১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বিংশ শতাব্দীর অন্যতম জনপ্রিয় বাঙালি কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, সংগীতস্রষ্টা, দার্শনিক, এবং বিপ্লবী। তার কবিতা ও গানগুলোতে বিদ্রোহী দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তাকে বিদ্রোহী কবি বলা হয়।
প্রশ্নঃ কাজী নজরুল ইসলামের রচিত গল্প কোনটি?
[ প্রা.বি.স.শি. 22-04-2022 ]
| ক্রমিক | গল্পের নাম | প্রকাশকাল | বিষয়বস্তু |
|---|---|---|---|
| ১ | ব্যথার দান | ১৯২২ | প্রেম ও ত্যাগের কাহিনী |
| ২ | রিক্তের বেদন | ১৯২৪ | দারিদ্র্য ও মানবিক সংঘাত |
| ৩ | শিউলিমালা | ১৯৩১ | গ্রামীণ জীবনের রোমান্টিক কাহিনী |
| ৪ | ঝিলিমিলি | ১৯২৮ | সমাজের নিচুতলার মানুষের গল্প |
| ৫ | মেহের নেগার | ১৯২৫ | ঐতিহাসিক প্রেমকাহিনী |