আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
15

প্রশ্নঃ মায়া সভ্যতাটি আবিষ্কৃত হয়-

[ বিসিএস ৪৩তম ]

ক. উত্তর আমেরিকায়
খ. দক্ষিণ আমেরিকায়
গ. মধ্য আফ্রিকায়
ঘ. মধ্য আমেরিকায়
উত্তরঃ মধ্য আমেরিকায়
ব্যাখ্যাঃ

মায়া সভ্যতা মধ্য আমেরিকার একটি প্রাচীন সভ্যতা যা বর্তমান দক্ষিণ-পূর্ব মেক্সিকো, গুয়াতেমালা, বেলিজ এবং হন্ডুরাসের কিছু অংশে বিস্তৃত ছিল। এই সভ্যতা প্রায় ১৮০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ১৬৯৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত টিকে ছিল এবং এর স্বর্ণযুগ ছিল ২৫০ থেকে ৯০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত।

মায়া সভ্যতার কিছু উল্লেখযোগ্য দিক:

  • কৃষি: ভুট্টা, শিম এবং স্কোয়াশ ছিল তাদের প্রধান খাদ্য ফসল। তারা উন্নত কৃষি কৌশল ব্যবহার করত, যেমন জঙ্গল কেটে ও পুড়িয়ে জমি তৈরি করা এবং উঁচুPlatform তৈরি করা।
  • স্থাপত্য: মায়ারা পাথর দিয়ে বিশাল আকারের মন্দির, পিরামিড, প্রাসাদ এবং খেলার মাঠ তৈরি করত। তাদের স্থাপত্যশৈলী জটিল কারুকার্য ও জ্যামিতিক নকশার জন্য বিখ্যাত। চিচেন ইতজা, টিikal এবং Palenque-এর ধ্বংসাবশেষ তাদের স্থাপত্যের চমৎকার উদাহরণ।
  • গণিত ও জ্যোতির্বিদ্যা: মায়ারা উন্নত গাণিতিক জ্ঞান এবং জ্যোতির্বিদ্যা সম্পর্কে গভীর ধারণা রাখত। তারা শূন্যের ধারণা আবিষ্কার করেছিল এবং জটিল ক্যালেন্ডার তৈরি করেছিল, যা সৌর বছর এবং ধর্মীয় বছর গণনা করত। তারা গ্রহ-নক্ষত্রের গতিবিধি নির্ভুলভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারত।
  • লিখন পদ্ধতি: মায়াদের নিজস্ব লিপি ছিল, যা হায়ারোগ্লিফিক লিপির মতো চিত্রভিত্তিক ছিল। তারা পাথর, মৃৎপাত্র এবং গাছের বাকলের তৈরি বইয়ে (codices) তাদের ইতিহাস, ধর্মীয় বিশ্বাস এবং জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত জ্ঞান লিপিবদ্ধ করত।
  • ধর্ম: মায়ারা বহু দেব-দেবীর পূজা করত, যারা প্রকৃতি ও জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ন্ত্রণ করত। তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নরবলি ও অন্যান্য আচার-অনুষ্ঠান প্রচলিত ছিল।
  • শিল্প: মায়ারা ভাস্কর্য, কারুশিল্প এবং মৃৎশিল্পে অত্যন্ত দক্ষ ছিল। তারা পাথর, কাঠ ও কাদামাটি দিয়ে সুন্দর মূর্তি ও অলঙ্কার তৈরি করত।

মায়া সভ্যতার পতন:

নবম শতাব্দীর দিকে মায়া সভ্যতার কেন্দ্রীয় অঞ্চলের শহরগুলো রহস্যজনকভাবে জনশূন্য হতে শুরু করে। এর কারণ সম্পর্কে বিভিন্ন তত্ত্ব প্রচলিত আছে, যার মধ্যে রয়েছে:

  • জনসংখ্যার আধিক্য ও পরিবেশের অবক্ষয়: অতিরিক্ত জনসংখ্যার কারণে খাদ্য ও অন্যান্য সম্পদের অভাব দেখা দিয়েছিল। বনভূমি ধ্বংস এবং মৃত্তিকা ক্ষয় কৃষিকে কঠিন করে তুলেছিল।
  • যুদ্ধ: বিভিন্ন মায়া শহরের মধ্যে ক্রমবর্ধমান যুদ্ধ পরিস্থিতি অস্থিরতা সৃষ্টি করেছিল।
  • খরা: দীর্ঘমেয়াদী খরা খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত করেছিল এবং দুর্ভিক্ষের কারণ হয়েছিল।
  • রাজনৈতিক অস্থিরতা: শাসকদের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব এবং বিদ্রোহ দেখা দিয়েছিল।

তবে, মায়া সভ্যতা সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত হয়নি। ইউকাটান উপদ্বীপ এবং গুয়াতেমালার পার্বত্য অঞ্চলে তাদের বংশধররা আজও বসবাস করে এবং তাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বহন করে চলেছে।