প্রশ্নঃ পাথফাইন্ডার- এর মঙ্গলে অবতরণ সাল-
[ বিসিএস ৪১তম ]
মার্স পাথফাইন্ডার (Mars Pathfinder) ছিল একটি আমেরিকান রোবোটিক মহাকাশযান যা ১৯৯৭ সালে মঙ্গলে একটি বেস স্টেশন এবং একটি ছোট রোবট রোভার অবতরণ করিয়েছিল। এটি ছিল ২৬ বছর পর মঙ্গলের মাটিতে সফলভাবে অবতরণ করা প্রথম মহাকাশযান।
অবতরণের তারিখ ও স্থান:
- অবতরণের তারিখ: ৪ জুলাই, ১৯৯৭
- অবতরণের স্থান: মঙ্গলের উত্তর গোলার্ধের একটি প্রাচীন বন্যাবিধৌত এলাকা, যার নাম আরেস ভ্যালিস (Ares Vallis)। এই স্থানটির অক্ষাংশ ছিল ১৯.১৩° উত্তর এবং দ্রাঘিমাংশ ৩৩.২২° পশ্চিম।
পাথফাইন্ডার মিশনের মূল বিষয়:
- এই মিশনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল কম খরচে মঙ্গলের পৃষ্ঠে বৈজ্ঞানিক সরঞ্জাম এবং একটি রোভার অবতরণ ও পরিচালনা করার প্রযুক্তি প্রদর্শন করা।
- পাথফাইন্ডার ল্যান্ডারটির নামকরণ করা হয়েছিল কার্ল সাগান মেমোরিয়াল স্টেশন (Carl Sagan Memorial Station) বিখ্যাত জ্যোতির্বিদ কার্ল সাগানের স্মরণে।
- এর সাথে পাঠানো ছোট, ছয় চাকার রোবটটির নাম ছিল সোজার্নার (Sojourner), যা পৃথিবী-চাঁদ ব্যবস্থা বাদে অন্য কোনো জ্যোতির্বিদ্যাগত বস্তুর উপর চালিত প্রথম চাকার যান।
- পাথফাইন্ডার অবতরণের জন্য একটি নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করেছিল, যেখানে বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের পর প্যারাশুট এবং তারপর বিশাল এয়ারব্যাগের সাহায্যে ধাক্কা শোষণ করে নিরাপদে অবতরণ করে।
- ল্যান্ডারে একটি স্টেরিওস্কোপিক ক্যামেরা (ইমেজ ফর মার্স পাথফাইন্ডার - IMP) এবং আবহাওয়ার তথ্য সংগ্রহের জন্য অ্যাটমোস্ফিয়ারিক স্ট্রাকচার ইনস্ট্রুমেন্ট/মেটেরোলজি প্যাকেজ (ASI/MET) ছিল।
- সোজার্নার রোভারটি ল্যান্ডারের চারপাশের এলাকা ঘুরে দেখে, ছবি তোলে এবং একটি আলফা প্রোটন এক্স-রে স্পেকট্রোমিটার (APXS) ব্যবহার করে শিলা ও মাটির রাসায়নিক বিশ্লেষণ করে।
পাথফাইন্ডার মিশনটি অত্যন্ত সফল ছিল এবং এটি ভবিষ্যতের মঙ্গল রোভার মিশনের ভিত্তি স্থাপন করেছিল। এটি মঙ্গলের পৃষ্ঠের গঠন, আবহাওয়া এবং ভূতত্ত্ব সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রেরণ করেছিল। ১৯৯৭ সালের ২৭শে সেপ্টেম্বর এই মিশনের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তবে এর স্বল্প সময়ের কার্যক্রম বিজ্ঞানীদের জন্য অনেক মূল্যবান তথ্য সরবরাহ করে গেছে।
প্রশ্নঃ আলোকবর্ষ ব্যবহার করে কী পরিমাপ করা হয়?
[ বিসিএস ৪১তম ]
আলোকবর্ষ ব্যবহার করে মূলত মহাকাশীয় দূরত্ব পরিমাপ করা হয়।
এক আলোকবর্ষ হলো সেই দূরত্ব যা আলো এক বছরে অতিক্রম করে। যেহেতু মহাবিশ্বের নক্ষত্র এবং অন্যান্য জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক বস্তুর দূরত্ব অনেক বেশি, তাই কিলোমিটার বা মাইলের মতো ছোট এককে এই দূরত্ব মাপা কঠিন। আলোকবর্ষ এই বিশাল দূরত্ব পরিমাপের জন্য একটি সুবিধাজনক একক।
এক আলোকবর্ষ প্রায় 9.46 ট্রিলিয়ন কিলোমিটার এর সমান।
প্রশ্নঃ ঢাকা থেকে হংকং হয়ে প্লেন নিউইয়র্কে যাওয়ার সময় দিনের সময়কালকে অপেক্ষাকৃত ছোট মনে হয়, কেন?
[ বিসিএস ৪০তম ]
প্রশ্ন: ঢাকা থেকে হংকং হয়ে প্লেন নিউইয়র্কে যাওয়ার সময় দিনের সময়কালকে অপেক্ষাকৃত ছোট মনে হয়, কেন? পৃথিবী পূর্ব দিক থেকে পশ্চিম দিকে ঘোরে। ফলে যখন আপনি একটি প্লেনে পূর্ব থেকে পশ্চিম (যেমন: ঢাকা → হংকং → নিউইয়র্ক) দিকে ভ্রমণ করেন, তখন আপনি সূর্যের গতিপথের বিপরীতে চলছেন। এই কারণে সময়ের অনুভূতি অনুযায়ী দিনের সময় তুলনামূলক ছোট মনে হয়।
এটি একটি Time Zone Effect এবং পৃথিবীর Rotation (অক্ষীয় ঘূর্ণন)–এর কারণে ঘটে।
প্রশ্নঃ ইউরি গ্যাগারিন মহাশূন্যে যান–
[ বিসিএস ৩৩তম ]
প্রশ্নঃ জোয়ার-ভাঁটার তেজকটাল কখন হয়?
[ বিসিএস ১৮তম ]
অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথিতে জোয়ার-ভাটার তেজকটাল হয়। এই সময় সূর্য, চন্দ্র ও পৃথিবী প্রায় একই সরলরেখায় অবস্থান করে। ফলে সূর্য ও চন্দ্রের মিলিত আকর্ষণ পৃথিবীর জলরাশির ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে এবং স্বাভাবিকের চেয়ে উঁচু জোয়ার ও নিচু ভাটার সৃষ্টি হয়। অমাবস্যার সময় সূর্য ও চন্দ্র পৃথিবীর একই পাশে থাকে, তাই তাদের মিলিত আকর্ষণ সবচেয়ে শক্তিশালী হয়। অন্যদিকে, পূর্ণিমার সময় সূর্য ও চন্দ্র পৃথিবীর বিপরীত পাশে থাকে, কিন্তু তাদের আকর্ষণও একই সরলরেখায় কাজ করে। তাই উভয় তিথিতেই জোয়ার-ভাটার তেজকটাল দেখা যায়।