আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
15

ক. নাইট্রোজেন
খ. পটাশিয়াম
গ. অক্সিজেন
ঘ. ফসফরাস
উত্তরঃ নাইট্রোজেন
ব্যাখ্যাঃ $\\~\\$
সঠিক উত্তর হলো কঃ নাইট্রোজেন

বজ্রবৃষ্টির সময় বায়ুমণ্ডলের নাইট্রোজেন অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে নাইট্রোজেন অক্সাইড তৈরি করে। এই নাইট্রোজেন অক্সাইড বৃষ্টির পানির সাথে মিশে মাটিতে আসে এবং নাইট্রেট (NO₃⁻) ও নাইট্রাইট (NO₂⁻) নামক রাসায়নিক যৌগে পরিণত হয়। এই নাইট্রেট এবং নাইট্রাইট উদ্ভিদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উপাদান, যা প্রোটিন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জৈব অণু তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

অন্যান্য বিকল্পগুলো বজ্রবৃষ্টির ফলে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায় না:

  • পটাশিয়াম (খ): এটি মাটির খনিজ উপাদান থেকে আসে।
  • অক্সিজেন (গ): যদিও বৃষ্টিতে অক্সিজেন থাকে, বজ্রবৃষ্টির মূল প্রভাব উদ্ভিদের জন্য নাইট্রোজেন সরবরাহ বৃদ্ধি করা।
  • ফসফরাস (ঘ): এটিও মূলত মাটির খনিজ উপাদান থেকে আসে।

সুতরাং, বজ্রবৃষ্টির ফলে মাটিতে উদ্ভিদের জন্য নাইট্রোজেন খাদ্য উপাদানের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
ক. নাইট্রোজেনের
খ. ফসফরাসের
গ. ইউরিয়ার
ঘ. পটাসিয়ামের
উত্তরঃ নাইট্রোজেনের
ব্যাখ্যাঃ

উদ্ভিদের পাতা হলদে হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে ‘ক্লোরোসিস’ বলা হয়। নাইট্রোজেনের (N) অভাব হলে ক্লোরোফিল সৃষ্টিতে ব্যাঘাত ঘ টে, ফলে উদ্ভিদের পাতা হলদে হয়ে যায়। ইউরিয়া সারের ভিতর নাইট্রোজেন বিদ্যমান। এজন্য নাইট্রোজেনের অভাব পূরণ করতে গাছের গোড়ায় ইউরিয়া সার প্রয়োগ করা হয়। অপরদিকে, ফসফরাসের (P) অভাব হলে পাতা বেগুনি রং ধারণ করে। আবার পটাসিয়ামের (K) অভাবে পাতার শীর্ষ ও কিনারা হলুদ হয় এবং মৃত অঞ্চল সৃষ্টি হয়।

ক. $$N, P, K, S ও Zn$$
খ. $$ Na, P, K, S ও Zn$$
গ. $$ N, B, K, S ও Al$$
ঘ. $$ N, P, K, S ও Al$$
উত্তরঃ $$N, P, K, S ও Zn$$
ব্যাখ্যাঃ

উদ্ভিদের সার্বিক বৃদ্ধির প্রয়োজনে দশটি খনিজ উপাদান বিশেষ দরকারি। এগুলো হচ্ছে -কার্বন (C), হাইড্রোজেন (H), অক্সিজেন (O), নাইট্রোজেন (N), ফসফরাস (P), পটাশিয়াম (K), ক্যালসিয়াম (Ca), সালফার (S), ম্যাগনেসিয়াম (Mg) এবং লোহা (Fe)। উপরোক্ত প্রশ্নের (ক) তালিকায় সবগুলোই এই দশ প্রকার খনিজের মধ্যে রয়েছে। সুতরাং সঠিক উত্তর (ক)।

ক. বাতাসের সাহায্যে ঝরে পড়ে
খ. পাতা দ্বারা স্থানান্তরিত হয়ে
গ. কীটপতঙ্গের সাহায্যে
ঘ. ফুলে ফুলে সংস্পর্শে
উত্তরঃ বাতাসের সাহায্যে ঝরে পড়ে
ব্যাখ্যাঃ

ধান বায়ুপরাগী উদ্ভীদ। দিনের প্রথম ভাগে ধানের স্পাইকলেট উন্মুক্ত হয়। এ অবস্থায় পরাগরেণু গর্ভমুণ্ডের উপর ঝরে পড়ে এবং প্রকৃতিগতভাবেই পরাগায়ন ঘটে।

ক. প্রস্বেদন
খ. অভিস্রবণ
গ. সালোকসংশ্লেষণ
ঘ. শ্বসন
উত্তরঃ সালোকসংশ্লেষণ
ব্যাখ্যাঃ উদ্ভিদ যে প্রক্রিয়ায় নিজেদের খাদ্য নিজেরা তৈরি করে, তাকে সালোকসংশ্লেষণ (Photosynthesis) বলে। এটি পৃথিবীর জীবজগতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রক্রিয়া, কারণ এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই পৃথিবীর অধিকাংশ শক্তি উৎপাদিত হয় এবং অক্সিজেন উৎপন্ন হয়, যা শ্বাসপ্রশ্বাসের জন্য অপরিহার্য।

সালোকসংশ্লেষণ কী?



'সালোকসংশ্লেষণ' শব্দটি দুটি গ্রিক শব্দ থেকে এসেছে: 'Photos' (আলোক বা আলো) এবং 'Synthesis' (সংশ্লেষণ বা তৈরি করা)। অর্থাৎ, আলোর উপস্থিতিতে কোনো কিছু সংশ্লেষণ করা।

সংজ্ঞা হিসেবে বলা যায়:
যে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সবুজ উদ্ভিদ (এবং কিছু শৈবাল ও ব্যাকটেরিয়া) সূর্যালোকের উপস্থিতিতে, তাদের সবুজ কোষে থাকা ক্লোরোফিল নামক রঞ্জকের সহায়তায় পরিবেশ থেকে গৃহীত কার্বন ডাইঅক্সাইড এবং মূল দ্বারা শোষিত পানি ব্যবহার করে শর্করা জাতীয় খাদ্য (গ্লুকোজ) প্রস্তুত করে এবং উপজাত হিসেবে অক্সিজেন নির্গত করে, তাকে সালোকসংশ্লেষণ বলে।

সালোকসংশ্লেষণের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান:



১. সূর্যালোক (Solar Energy/Light): এটি সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার শক্তির প্রধান উৎস। ক্লোরোফিল সূর্যের আলোক শক্তি শোষণ করে।
২. কার্বন ডাইঅক্সাইড ($\text{CO}_2$): উদ্ভিদ বায়ুমণ্ডল থেকে পাতার ছোট ছোট ছিদ্র (পত্ররন্ধ্র বা স্টোমাটা) দিয়ে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্রহণ করে।
৩. পানি ($\text{H}_2\text{O}$): উদ্ভিদ মূলের মাধ্যমে মাটি থেকে পানি শোষণ করে। এই পানি জাইলেম নামক টিস্যুর মাধ্যমে পাতায় পৌঁছায়।
৪. ক্লোরোফিল: এটি উদ্ভিদের সবুজ অংশে (বিশেষ করে পাতায়) থাকা এক ধরনের সবুজ রঞ্জক পদার্থ। ক্লোরোফিল সূর্যের আলোক শক্তি শোষণ করে রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তর করতে সাহায্য করে। ক্লোরোপ্লাস্ট নামক কোষীয় অঙ্গাণুর মধ্যে ক্লোরোফিল থাকে।

সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া (সংক্ষেপে):



সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়াটি মূলত দুটি প্রধান ধাপে সম্পন্ন হয়:

১. আলোক-নির্ভর পর্যায় (Light-dependent Reactions):
* এটি দিনের বেলায় এবং আলোর উপস্থিতিতে ঘটে।
* ক্লোরোফিল সূর্যের আলোক শক্তি শোষণ করে।
* শোষিত আলোর শক্তিকে কাজে লাগিয়ে পানি ($\text{H}_2\text{O}$) ভেঙে যায় (ফটোলাইসিস)।
* পানি ভাঙার ফলে অক্সিজেন ($\text{O}_2$), প্রোটন ($\text{H}^+$), এবং ইলেকট্রন উৎপন্ন হয়।
* এই পর্যায়ে উৎপাদিত শক্তি ATP (অ্যাডেনোসিন ট্রাইফসফেট) এবং NADPH (নিকোটিনামাইড অ্যাডেনিন ডাইনিউক্লিওটাইড ফসফেট) নামক শক্তি-সমৃদ্ধ যৌগসমূহে জমা হয়। অক্সিজেন উপজাত হিসেবে পরিবেশে নির্গত হয়।

২. আলোক-নিরপেক্ষ পর্যায় বা কেলভিন চক্র (Light-independent Reactions / Calvin Cycle):
* এই পর্যায়টির জন্য সরাসরি আলোর প্রয়োজন হয় না, তবে এটি আলোক-নির্ভর পর্যায়ে উৎপন্ন ATP এবং NADPH এর ওপর নির্ভরশীল।
* বায়ুমণ্ডল থেকে গৃহীত কার্বন ডাইঅক্সাইড ($\text{CO}_2$) এই পর্যায়ে প্রবেশ করে।
* ATP এবং NADPH-এর সঞ্চিত শক্তি ব্যবহার করে কার্বন ডাইঅক্সাইডকে বিজারিত করে শর্করা জাতীয় খাদ্য (গ্লুকোজ) তৈরি করা হয়।
* এই খাদ্য উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও শক্তি উৎপাদনে ব্যবহৃত হয় এবং অতিরিক্ত খাদ্য শ্বেতসার রূপে সঞ্চিত থাকে।

রাসায়নিক সমীকরণ:



সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার সামগ্রিক রাসায়নিক সমীকরণটি হলো:

$6\text{CO}_2 + 12\text{H}_2\text{O} \xrightarrow{\text{সূর্যালোক, ক্লোরোফিল}} \text{C}_6\text{H}_{12}\text{O}_6 + 6\text{O}_2 + 6\text{H}_2\text{O}$

এখানে:
  • $\text{CO}_2$ = কার্বন ডাইঅক্সাইড
  • $\text{H}_2\text{O}$ = পানি
  • $\text{C}_6\text{H}_{12}\text{O}_6$ = গ্লুকোজ (শর্করা, উদ্ভিদের খাদ্য)
  • $\text{O}_2$ = অক্সিজেন