প্রশ্নঃ ব্যাকটেরিয়ার কোষে নিচের কোনটি উপস্থিত?
[ বিসিএস ৩৮তম ]
ব্যাকটেরিয়ার কোষে ক্রোমাটিন বস্তু উপস্থিত থাকে।
ব্যাকটেরিয়া হলো প্রোক্যারিওটিক জীব, যার অর্থ হলো তাদের কোষে সুসংগঠিত নিউক্লিয়াস বা ঝিল্লি-আবদ্ধ অঙ্গাণু (যেমন প্লাস্টিড, মাইটোকন্ড্রিয়া, নিউক্লিওলাস) থাকে না।
- প্লাস্টিড: এটি উদ্ভিদ কোষে (এবং কিছু শৈবালে) সালোকসংশ্লেষণে সহায়তা করে, ব্যাকটেরিয়ায় থাকে না।
- মাইটোকন্ড্রিয়া: এটি ইউক্যারিওটিক কোষে শক্তি উৎপাদনের জন্য দায়ী, ব্যাকটেরিয়ায় থাকে না।
- নিউক্লিওলাস: এটি ইউক্যারিওটিক কোষে নিউক্লিয়াসের ভিতরে অবস্থিত এবং রাইবোজোম উৎপাদনে সহায়তা করে, ব্যাকটেরিয়ায় সুসংগঠিত নিউক্লিয়াস না থাকায় নিউক্লিওলাসও থাকে না।
- ক্রোমাটিন বস্তু: ব্যাকটেরিয়ার কোষে একটি একক, বৃত্তাকার ডিএনএ অণু থাকে যা নিউক্লিওড অঞ্চলে অবস্থিত। এই ডিএনএ প্রোটিনের সাথে যুক্ত হয়ে ক্রোমাটিন বস্তুর মতো কাজ করে, যদিও এটি ইউক্যারিওটিক কোষের মতো সুসংগঠিত ক্রোমাটিন নয়। তাই, ডিএনএ এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট প্রোটিনকে এক অর্থে ক্রোমাটিন বস্তুর উপস্থিতি হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। ইউক্যারিওটিক কোষে যেমন সুসংগঠিত নিউক্লিয়াসের মধ্যে ক্রোমাটিন থাকে, ব্যাকটেরিয়ার ক্ষেত্রে নিউক্লিওড অঞ্চলে ডিএনএ বিন্যস্ত থাকে যা তাদের জিনগত উপাদান বহন করে।
আকৃতি, অবস্থান ও কাজের প্রকৃতিভেদে আবরণী টিস্যু (Epithelial Tissue) মূলত তিন ধরনের হয়ে থাকে। এই প্রকারভেদগুলো কোষের আকৃতির উপর ভিত্তি করে করা হয়:
-
স্কোয়ামাস (Squamous) আবরণী টিস্যু (আঁইশাকার):
- আকৃতি: এই টিস্যুর কোষগুলো মাছের আঁশের মতো চ্যাপ্টা এবং এদের নিউক্লিয়াস বড় আকারের হয়।
- অবস্থান: বৃক্কের বোম্যান্স ক্যাপসুল, রক্তনালীর প্রাচীর, ফুসফুসের অ্যালভিওলাই (বায়ুথলি) ইত্যাদিতে দেখা যায়।
- কাজ: প্রধানত আবরণ ছাড়াও ছাঁকনির কাজ করে এবং পদার্থের ব্যাপন ও পরিস্রাবণে সাহায্য করে।
-
কিউবয়ডাল (Cuboidal) আবরণী টিস্যু (ঘনাকৃতি):
- আকৃতি: এই টিস্যুর কোষগুলো ঘনাকার বা কিউব আকৃতির হয়, অর্থাৎ কোষগুলোর দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতা প্রায় সমান।
- অবস্থান: বৃক্কের সংগ্রাহক নালিকা, গ্রন্থিনালী (যেমন লালাগ্রন্থি, ঘর্মগ্রন্থি) ইত্যাদিতে দেখা যায়।
- কাজ: প্রধানত পরিশোষণ (absorption), ক্ষরণ (secretion) এবং আবরণ কাজে লিপ্ত থাকে।
-
কলামনার (Columnar) আবরণী টিস্যু (স্তম্ভাকার):
- আকৃতি: এই টিস্যুর কোষসমূহ স্তম্ভের মতো সরু এবং লম্বা হয়।
- অবস্থান: প্রাণীর অন্ত্রের অন্তঃপ্রাচীর, পাকস্থলী, পিত্তথলি, শ্বাসনালীর কিছু অংশ ইত্যাদিতে দেখা যায়।
- কাজ: প্রধানত ক্ষরণ, রক্ষণ এবং শোষণ কাজে নিয়োজিত থাকে। কিছু কলামনার কোষে সিলিয়া (cilia) থাকতে পারে যা পদার্থের চলাচলে সাহায্য করে (যেমন শ্বাসনালীতে)।
এছাড়াও, কোষের স্তরের সংখ্যার ভিত্তিতে আবরণী টিস্যুকে সরল (Simple) (এক স্তরবিশিষ্ট) এবং স্তরীভূত (Stratified) (একাধিক স্তরবিশিষ্ট) আবরণী টিস্যুতে ভাগ করা হয়। আবার, কিছু বিশেষ ধরনের আবরণী টিস্যুও দেখা যায়, যেমন - সিউডোস্ট্রেটিফাইড (Pseudostratified) এবং ট্রানজিশনাল (Transitional) এপিথেলিয়াম। তবে, মৌলিক প্রকারভেদগুলো উল্লিখিত তিনটি আকৃতির উপর ভিত্তি করেই হয়ে থাকে।
প্রশ্নঃ হৃৎপিণ্ড কোন ধরনের পেশি দ্বারা গঠিত?
[ বিসিএস ৩৫তম ]
হৃৎপিণ্ড হৃৎপেশি (Cardiac Muscle) নামক এক বিশেষ ধরনের অনৈচ্ছিক পেশি দ্বারা গঠিত।
পেশি টিস্যুকে মূলত তিন ভাগে ভাগ করা যায়:
- ঐচ্ছিক পেশি (Voluntary Muscle/Skeletal Muscle): এগুলো আমাদের ইচ্ছানুযায়ী চলে, যেমন হাত-পায়ের পেশি।
- অনৈচ্ছিক পেশি (Involuntary Muscle/Smooth Muscle): এগুলো আমাদের ইচ্ছাধীন নয়, যেমন পৌষ্টিকনালী বা রক্তনালীর পেশি।
- হৃৎপেশি (Cardiac Muscle): এটি একটি বিশেষ ধরনের অনৈচ্ছিক পেশি যা শুধুমাত্র হৃৎপিণ্ডেই পাওয়া যায়। এর গঠন ঐচ্ছিক পেশির মতো ডোরাকাটা হলেও এর কার্যপ্রণালী অনৈচ্ছিক পেশির মতো। এটি অবিরাম ও ছন্দবদ্ধভাবে সংকুচিত ও প্রসারিত হয়ে সারা দেহে রক্ত পাম্প করে, এবং এটি আমাদের ইচ্ছাধীন নয়।
প্রশ্নঃ Adult Cell ক্লোন করে যে ভেড়ার জন্ম হয়েছে তার নাম দেয়া হয়েছে-
[ বিসিএস ২৬তম | বিসিএস ১৮তম ]
স্কটল্যান্ডের এডিনবরার রোসলিন ইনস্টিটিউটের সামনে ১৯৯৬ সালের ৫ জুলাই ক্লোন ভেড়া ডলির জন্ম হয়। রোসলিন ইনস্টিটিউটের ভ্রূণতত্ত্ববিদ ড. আয়ান উইলসুট ভেড়াটিকে ক্লোন করেন। ১৯৯৭ সালে ডলির জন্মের বিষয়টি ঘোষণা করা হয়।
প্রশ্নঃ রক্তে হিমোগ্লোবিনের কাজ কি?
[ বিসিএস ২৫তম ]
রক্তে হিমোগ্লোবিনের কাজ অক্সিজেন পরিবহন করে প্রতিটি কোষে পৌঁছে দেয়া এবং কোষ থেকে কার্বন ডাই- অক্সাইড পরিবহন করে ফুসফুসে নিয়ে আসা। রোগ প্রতিরোধের কাজে নিয়োজিত আছে শ্বেত কণিকা এবং রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে অণুচক্রিকা।