প্রশ্নঃ মানুষের দেহকোষে ক্রোমোজমের সংখ্যা –
[ বিসিএস ৪৫তম ]
মানুষের দেহকোষে ৪৬টি ক্রোমোজোম থাকে। এগুলো ২৩ জোড়া হিসেবে বিন্যস্ত থাকে। এই ২৩ জোড়ার মধ্যে ২২ জোড়া হলো অটোজোম, যা নারী ও পুরুষ উভয়ের দেহকোষে একই রকম থাকে এবং দৈহিক বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে। বাকি এক জোড়া হলো সেক্স ক্রোমোজোম, যা লিঙ্গ নির্ধারণ করে। মহিলাদের দেহকোষে দুটি X ক্রোমোজোম (XX) এবং পুরুষদের দেহকোষে একটি X ও একটি Y ক্রোমোজোম (XY) থাকে।
অন্যদিকে, মানুষের জননকোষে (শুক্রাণু ও ডিম্বাণু) ক্রোমোজোমের সংখ্যা ২৩টি থাকে, যা দেহকোষের ক্রোমোজোম সংখ্যার অর্ধেক। একে হ্যাপ্লয়েড সংখ্যা বলা হয়। নিষিক্তকরণের সময় জননকোষ মিলিত হয়ে পুনরায় ডিপ্লয়েড সংখ্যক (৪৬টি) ক্রোমোজোমযুক্ত দেহকোষ গঠন করে।
প্রশ্নঃ প্রাণিজগতের উৎপত্তি ও বংশসম্বন্ধীয় বিদ্যাকে বলে–
[ বিসিএস ৩৬তম ]
প্রাণিজগতের উৎপত্তি ও বংশসম্বন্ধীয় বিদ্যাকে জেনেটিক্স (Genetics) বা বংশগতিবিদ্যা এবং ইভোলিউশন (Evolution) বা বিবর্তনবাদ উভয়ই বলা যেতে পারে, তবে এদের সুনির্দিষ্ট অর্থ ভিন্ন।
-
জেনেটিক্স (Genetics) / বংশগতিবিদ্যা: এটি জীববিজ্ঞানের সেই শাখা যা বংশগতির রীতিনীতি, বংশানুক্রমিক গুণাবলির উৎপত্তি, প্রকৃতি, বৃদ্ধি এবং আচরণ নিয়ে আলোচনা করে। অর্থাৎ, কিভাবে বৈশিষ্ট্যগুলো এক প্রজন্ম থেকে পরবর্তী প্রজন্মে স্থানান্তরিত হয়, তা জেনেটিক্সের মূল আলোচ্য বিষয়।
-
ইভোলিউশন (Evolution) / বিবর্তনবাদ: এটি জীববিজ্ঞানের সেই শাখা যা প্রাণিজগতের উৎপত্তি, ধারাবাহিক পরিবর্তন এবং সময়ের সাথে জীবের বিকাশ নিয়ে আলোচনা করে। এটি প্রজাতির উৎপত্তি এবং দীর্ঘ সময় ধরে তাদের অভিযোজন ও পরিবর্তনকে ব্যাখ্যা করে।
সাধারণত, "প্রাণিজগতের উৎপত্তি ও বংশসম্বন্ধীয় বিদ্যা" বলতে দুটি ধারণাই বোঝাতে পারে, তবে যদি বংশগতির প্রক্রিয়া এবং গুণাবলির স্থানান্তর বিশেষভাবে বোঝায়, তবে জেনেটিক্স বেশি প্রযোজ্য। আর যদি প্রজাতির দীর্ঘমেয়াদী উৎপত্তি ও পরিবর্তন বোঝায়, তবে ইভোলিউশন বেশি প্রযোজ্য।
অনেক সময় প্রশ্নপত্রে এই দুটির মধ্যে একটিকে বেছে নিতে বলা হলে, যদি প্রশ্নের ফোকাস বংশগতি বা জিন হয়, তাহলে জেনেটিক্স এবং যদি প্রজাতির উৎপত্তি ও বিবর্তনীয় ইতিহাস হয়, তাহলে ইভোলিউশন সঠিক উত্তর হবে।
প্রশ্নঃ ডিএনএ অণুর দ্বি-হেলিক্স কাঠামোর জনক কে?
[ বিসিএস ৩৫তম ]
ডিএনএ (DNA) অণুর দ্বি-হেলিক্স (Double Helix) কাঠামোর জনক হিসেবে জেমস ওয়াটসন (James Watson) এবং ফ্রান্সিস ক্রিক (Francis Crick)-কে কৃতিত্ব দেওয়া হয়।
১৯৫৩ সালে তাঁরা এই যুগান্তকারী মডেলটি উপস্থাপন করেন। এই আবিষ্কারের জন্য ১৯৬২ সালে ওয়াটসন, ক্রিক এবং মরিস উইলকিন্স (Maurice Wilkins) যৌথভাবে ফিজিওলজি বা মেডিসিনে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। উল্লেখ্য, রোজালিন্ড ফ্রাঙ্কলিন (Rosalind Franklin)-এর এক্স-রে ডিফ্র্যাকশন ডেটা এই আবিষ্কারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল, যদিও তাকে নোবেল পুরস্কারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
প্রশ্নঃ মানুষের গায়ের রং কোন উপাদানের উপর নির্ভর করে?
[ বিসিএস ২৭তম ]
মানুষের ত্বকে দুটি স্তর আছে। এর বাইরেরটি বহিঃত্বক বা 'এপিডারমিস' এবং ভেতরেরটিকে বলে অন্তঃত্বক বা 'ডারমিস'। বহিঃত্বককে আবার কয়েকটি স্তরে ভাগ করা যায়। এর মধ্যে সবচেয়ে ভেতরেরটির নাম 'স্ট্র্যাটাম বেসাল' (Stratum basale)। এই স্তরে কতগুলো বিশেষ ধরনের কোষ আছে- এদের বলে 'মেলানোসাইট' (Melanocyte)। মেলানোসাইটগুলোর মধ্যে আছে রঞ্জক কণা ‘মেলানিন’। গাঢ় রঙের এই কণাগুলোই ত্বকের কালো রঙের জন্য দায়ী। যাদের ত্বকে মেলানিনের পরিমাণ খুব বেশি তাদের গায়ের রঙ কালো। ত্বকে মেলানিনের পরিমাণ কম থাকলে গায়ের রঙ ফর্সা হয়। ভিটামিন B_1 এর অপর নাম থায়ামিন। ক্যারোটিন এর ধরনের আনস্যাচুরেটেড হাইড্রোকার্বন যা শুধু উদ্ভিত দেহে তৈরি হয়। হিমোগ্লোবিন এক ধরনের প্রোটিন যা প্রায় সকল মেরুদণ্ডী প্রাণির লোহিত রক্ত কণিকায় পাওয়া যায়।
প্রশ্নঃ নিচের কোনটি DNA এর নাইট্রোজেন বেস?
[ বিসিএস ২৭তম ]
DNA-এর নাইট্রোজেন বেসগুলোর মধ্যে রয়েছে চারটি প্রধান বেস:
1. অ্যাডেনিন (Adenine - A) 2. গুয়ানিন (Guanine - G) 3. থাইমিন (Thymine - T) 4. সাইটোসিন (Cytosine - C)
এগুলো দুটি গ্রুপে বিভক্ত:
- পিউরিন (Purine): অ্যাডেনিন (A) ও গুয়ানিন (G) - পাইরিমিডিন (Pyrimidine): থাইমিন (T) ও সাইটোসিন (C)
RNA-তে থাইমিনের (T) পরিবর্তে ইউরাসিল (Uracil - U) থাকে।
প্রশ্নঃ মানুষের ক্রোমোজোমের সংখ্যা কত?
[ বিসিএস ২৬তম ]
জীবকোষের নিউক্লিয়াসে এ সুতার মতো আকৃতি বিশিষ্ট উপাদানের নাম ক্রোমোজোম। মানুষের দেহ কোষে ক্রোমোজোমের সংখ্যা ৪৬টি বা ২৩ জোড়া । এর মধ্যে ২২ জোড়া অটোজোম বা সোমাটিক ক্রোমোজোম। এগুলোর মাধ্যমে বংশগতির সাধারণ বৈশিষ্ট্য প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সঞ্চারিত হয়ে থাকে। বাকি ১ জোড়া সেক্স ক্রোমোজোম।
প্রশ্নঃ প্রথম ক্লোন শিশু ‘ইভ’-এর জন্ম তারিখ কত?
[ বিসিএস ২৪তম ]
২০০২ সালের ২৬ ডিসেম্বর ড. ব্রিজিত বোইসেলিয়ার পৃথিবীর প্রথম ক্লোন মানব শিশু ‘ইভ’-এর জন্ম ঘটান। ৭ পাউন্ড ওজনের এই কন্যাশিশুটি সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হয়।
প্রশ্নঃ জীবের বংশগতির বৈশিষ্ট্য বহন করে–
[ বিসিএস ২৩তম ]
ক্রোমোজোম জীবের বংশগতির বৈশিষ্ট্য বহন করে। এই বিষয়ে আরো কিছু তথ্য নিচে দেওয়া হলো:
ক্রোমোজোম:
ক্রোমোজোম হলো নিউক্লিয়াসের মধ্যে অবস্থিত জিনবাহী গঠন যা জীবের বংশগতির বৈশিষ্ট্য বহন করে।
ক্রোমোজোমগুলি DNA (Deoxyribonucleic acid) নামক একটি পদার্থ দিয়ে গঠিত, যা জীবের বংশগতির তথ্যের জন্য দায়ী।
প্রতিটি ক্রোমোজোমে অসংখ্য জিন থাকে, যা জীবের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণ করে।
মানুষসহ অধিকাংশ জীবের কোষে ক্রোমোজোম জোড়ায় জোড়ায় থাকে। মানুষের কোষে ২৩ জোড়া (৪৬টি) ক্রোমোজোম থাকে। এর মধ্যে ২৩টি আসে মায়ের কাছ থেকে এবং ২৩টি আসে বাবার কাছ থেকে।
বংশগতি:
বংশগতি হলো পিতামাতা থেকে তাদের সন্তানদের মধ্যে বৈশিষ্ট্যের স্থানান্তর।
ক্রোমোজোম এবং জিনের মাধ্যমে এই বৈশিষ্ট্যগুলি এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে যায়।
* বংশগতির কারণে শিশুরা তাদের পিতামাতার মতো দেখতে বা তাদের মতো কিছু বৈশিষ্ট্য ধারণ করে।
প্রশ্নঃ মানুষের ক্রোমোজোমের সংখ্যা কত?
[ বিসিএস ১৯তম ]
মানুষের ক্রোমোজোমের সংখ্যা ২৩ জোড়া। এর মধ্যে ২২ জোড়া’ ‘অটোজোম’ এবং ১ জোড়া ‘সেক্স ক্রোমোজোম’। সেক্স ক্রোমোজোম সন্তান-সন্ততির লিঙ্গ নির্ধারণ করে। মহিলাদের সেক্স ক্রোমোজোম XX এবং পুরুষের XY।
প্রশ্নঃ ক্লোনিং পদ্ধতিতে জন্মগ্রহণকারী ভেড়ার নাম কি?
[ বিসিএস ১৯তম ]
স্কটল্যান্ডের এডিনবরার রোসলিন ইনস্টিটিউটের সামনে ১৯৯৬ সালের ৫ জুলাই ক্লোন ভেড়া ডলির জন্ম হয়। রোসলিন ইনস্টিটিউটের ভ্রূণতত্ত্ববিদ ড. আয়ান উইলমুট ভেড়াটিকে ক্লোন করেন। ১৯৯৭ সালে ডলির জন্মের বিষয়টি ঘোষণা করা হয়।
প্রশ্নঃ ‘Adult Cell’ ক্লোন করে কোন দেশে একটি ভেড়ার জন্ম হয়েছে?
[ বিসিএস ১৮তম ]
যুক্তরাজ্য বা গ্রেট ব্রিটেনের আওতাধীন স্কটল্যান্ডের এডিনবরার রোসলিন ইনস্টিটিউটের সামনে ১৯৯৬ সালের ৫ জুলাই ক্লোন ভেড়া ডলির জন্ম হয়। রোসলিন ইনস্টিটিউটের ভ্রূতত্ত্ববিদ ড. আয়ান উইলমুল ভেড়াটিকে ক্লোন করেন। ১৯৯৭ সালে ডলির জন্মের বিষয়টি ঘোষণা করা হয়।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশের গবাদিপশুতে প্রথম ভ্রূণ বদল করা হয়-
[ বিসিএস ১৭তম ]
বাংলাদেশে প্রথম গবাদিপশুতে ভ্রূণ বদল করা হয়েছিল ১৯৯৫ সালে। বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা এই কাজটি করেছিলেন।
প্রশ্নঃ মানুষের ক্রোমোজোমের সংখ্যা কত?
[ বিসিএস ১১তম ]
মানুষের ক্রোমোজোম ২৩ জোড়া। এর মধ্যে ২২ জোড়া অটোজোম এবং ১ জোড়া সেক্স ক্রোমোজোম (পুরুষের ক্ষেত্রে XY এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে XX).