প্রশ্নঃ নিচের কোনটি গ্রীনহাউজ গ্যাস নয়?
[ বিসিএস ৪৬তম ]
সঠিক উত্তরটি হলো: নাইট্রিক অক্সাইড (NO)**।
গ্রীনহাউজ গ্যাসগুলো হলো সেই গ্যাস যা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে তাপ ধরে রাখে এবং ভূপৃষ্ঠকে উষ্ণ রাখে। জলীয় বাষ্প (H₂O), কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO₂), এবং মিথেন (CH₄) প্রধান গ্রীনহাউজ গ্যাসগুলোর মধ্যে অন্যতম।
নাইট্রিক অক্সাইড (NO) বায়ুমণ্ডলে স্বল্পস্থায়ী এবং সরাসরি গ্রীনহাউজ প্রভাবের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে না। তবে, এটি অন্যান্য গ্যাসের সাথে বিক্রিয়া করে গৌণ গ্রীনহাউজ গ্যাস যেমন নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড (NO₂) এবং ট্রপোস্ফিয়ারিক ওজোন (O₃) তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারে।
সুতরাং, সরাসরি গ্রীনহাউজ গ্যাস হিসেবে নাইট্রিক অক্সাইডকে গণ্য করা হয় না।
প্রশ্নঃ ইউরিয়া সারের কাঁচামাল কী?
[ বিসিএস ৪৫তম ]
ইউরিয়া সারের প্রধান কাঁচামাল হলো প্রাকৃতিক গ্যাস (Natural Gas)।
প্রাকৃতিক গ্যাসের মিথেন (Methane, CH₄) অংশটি বিভিন্ন রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অ্যামোনিয়াতে (Ammonia, NH₃) রূপান্তরিত করা হয়। এরপর অ্যামোনিয়ার সাথে কার্বন ডাই অক্সাইড (Carbon Dioxide, CO₂) মিশিয়ে ইউরিয়া (Urea, CO(NH₂)₂) তৈরি করা হয়।
বাংলাদেশে যেহেতু প্রাকৃতিক গ্যাসের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে, তাই এটি ইউরিয়া সার উৎপাদনের প্রধান কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্নঃ কোনটি নবায়নযােগ্য সম্পদ?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হল গঃ বায়ু।
নবায়নযোগ্য সম্পদ হল সেইসব সম্পদ যা প্রাকৃতিকভাবে পুনরায় তৈরি হতে পারে এবং ব্যবহারের ফলে নিঃশেষ হয়ে যায় না।
- প্রাকৃতিক গ্যাস: জীবাশ্ম জ্বালানি, যা একবার ব্যবহার করলে শেষ হয়ে যায় এবং পুনরায় তৈরি হতে লক্ষ লক্ষ বছর লাগে।
- চুনাপাথর: একটি খনিজ সম্পদ, যা তৈরি হতে দীর্ঘ সময় লাগে এবং ব্যবহারের ফলে নিঃশেষ হয়।
- বায়ু: একটি প্রাকৃতিক শক্তি উৎস, যা প্রতিনিয়ত নবায়িত হয়। বায়ুপ্রবাহকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায় এবং এটি ব্যবহারের ফলে নিঃশেষ হয় না।
- কয়লা: জীবাশ্ম জ্বালানি, যা একবার ব্যবহার করলে শেষ হয়ে যায় এবং পুনরায় তৈরি হতে লক্ষ লক্ষ বছর লাগে।
সুতরাং, বায়ু হল একমাত্র নবায়নযোগ্য সম্পদ যা বিকল্পগুলোর মধ্যে দেওয়া আছে।
প্রশ্নঃ নবায়নযোগ্য জ্বালানীর উৎস-
[ বিসিএস ৪০তম ]
বায়োগ্যাস একটি নবায়নযোগ্য জ্বালানীর উৎস কারণ এটি জৈব পদার্থ (যেমন - গোবর, আবর্জনা, কৃষি বর্জ্য) গাঁজন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি হয় এবং এই জৈব পদার্থের উৎস পুনরায় তৈরি করা সম্ভব।
অন্যান্য বিকল্পগুলো অনবায়নযোগ্য জ্বালানীর উৎস:
- তেল: জীবাশ্ম জ্বালানী, যা লক্ষ লক্ষ বছর ধরে ভূগর্ভে তৈরি হয়েছে এবং এর মজুদ সীমিত।
- গ্যাস: প্রাকৃতিক গ্যাসও একটি জীবাশ্ম জ্বালানী এবং এর মজুদ সীমিত।
- কয়লা: এটিও জীবাশ্ম জ্বালানী এবং এর মজুদ সীমিত।
প্রশ্নঃ কোনটি নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস?
[ বিসিএস ৩৮তম ]
সঠিক উত্তর হলো সমুদ্রের ঢেউ।
ব্যাখ্যা:
-
নবায়নযোগ্য শক্তি (Renewable Energy): যে শক্তির উৎসগুলো প্রকৃতিতে বারবার উৎপন্ন হয় বা যাদের মজুদ অফুরন্ত, তাদের নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস বলা হয়। যেমন: সূর্যের আলো, বায়ুপ্রবাহ, জলপ্রবাহ, ভূ-তাপীয় শক্তি, বায়োমাস এবং সমুদ্রের ঢেউ।
-
অনবায়নযোগ্য শক্তি (Non-renewable Energy): যে শক্তির উৎসগুলো প্রকৃতিতে সীমিত পরিমাণে রয়েছে এবং একবার ব্যবহার করলে তা ফুরিয়ে যায় বা পুনরায় তৈরি হতে অনেক বেশি সময় লাগে, তাদের অনবায়নযোগ্য শক্তির উৎস বলা হয়। যেমন: কয়লা, তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস (ফসিল ফুয়েল) এবং নিউক্লিয়ার শক্তি।
প্রদত্ত বিকল্পগুলির মধ্যে, তেল, গ্যাস এবং কয়লা হলো অনবায়নযোগ্য শক্তির উৎস। অন্যদিকে, সমুদ্রের ঢেউ হলো একটি নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস, যা সমুদ্রের ঢেউয়ের গতিশক্তিকে বিদ্যুতে রূপান্তরিত করে ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্নঃ গ্রিনহাউজ কি?
[ বিসিএস ৩৭তম ]
গ্রিনহাউস (Greenhouse) হলো একটি বিশেষ ধরনের কাঁচ বা প্লাস্টিকের তৈরি ঘর, যা উদ্ভিদের চাষের জন্য নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়। এর মূল উদ্দেশ্য হলো ভেতরের তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করে উদ্ভিদের বৃদ্ধির জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা, বিশেষ করে ঠান্ডা আবহাওয়ায় বা নির্দিষ্ট ফসল ফলানোর জন্য।
গ্রিনহাউসের কাজ করার পদ্ধতি:
১. সূর্যের আলো প্রবেশ: গ্রিনহাউসের কাঁচ বা স্বচ্ছ প্লাস্টিকের দেয়াল সূর্যের আলোকরশ্মিকে সহজে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়।
২. তাপ আটকে রাখা (গ্রিনহাউস প্রভাব):
- সূর্যের আলোকরশ্মি (স্বল্প তরঙ্গদৈর্ঘ্যের বিকিরণ) ঘরের ভেতরে প্রবেশ করার পর মাটি, গাছপালা এবং ভেতরের অন্যান্য বস্তু দ্বারা শোষিত হয়।
- এই বস্তুগুলো উত্তপ্ত হয়ে তাপশক্তি বিকিরণ করে (দীর্ঘ তরঙ্গদৈর্ঘ্যের অবলোহিত বিকিরণ)।
- কাঁচ বা প্লাস্টিকের দেয়ালগুলো এই দীর্ঘ তরঙ্গদৈর্ঘ্যের তাপ বিকিরণকে সহজে বাইরে বের হতে দেয় না, ফলে তাপ ঘরের ভেতরে আটকা পড়ে।
- এর ফলে গ্রিনহাউসের ভেতরের তাপমাত্রা বাইরের তাপমাত্রার চেয়ে উষ্ণ থাকে, যা ঠান্ডা আবহাওয়ায় উদ্ভিদের বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য। এই প্রক্রিয়াটিই 'গ্রিনহাউস প্রভাব' নামে পরিচিত।
গ্রিনহাউসের ব্যবহার:
- ঠান্ডা অঞ্চলে উষ্ণতা প্রদান: শীতপ্রধান দেশগুলোতে ঠান্ডা আবহাওয়ায় ফসল ফলানোর জন্য গ্রিনহাউস অপরিহার্য।
- নির্দিষ্ট ফসল চাষ: বিভিন্ন প্রজাতির ফুল, ফল বা সবজি, যা একটি নির্দিষ্ট জলবায়ুতে স্বাভাবিকভাবে জন্মায় না, সেগুলোর চাষের জন্য গ্রিনহাউস ব্যবহার করা হয়।
- ফসলের সুরক্ষা: এটি গাছপালাকে কঠোর আবহাওয়া (যেমন অতিরিক্ত ঠান্ডা, বাতাস) এবং কীটপতঙ্গ থেকে রক্ষা করে।
- গবেষণা: কৃষি গবেষণায় নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে উদ্ভিদের বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণ করার জন্য গ্রিনহাউস ব্যবহৃত হয়।
সংক্ষেপে, গ্রিনহাউস হলো এমন একটি কাঠামো যা সূর্যের আলো ব্যবহার করে ভেতরের পরিবেশকে উষ্ণ রাখে এবং উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও ফলনের জন্য অনুকূল তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা বজায় রাখে।
ন্যাচারাল গ্যাস ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি লিঃ (Natural Gas Fertilizer Factory Ltd.)-এর উৎপাদিত সারের নাম হলো ইউরিয়া।
ন্যাচারাল গ্যাস ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি লিমিটেড (Natural Gas Fertilizer Factory Ltd. বা NGFFL) বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক সার কারখানা।
এর সম্পর্কে কিছু তথ্য নিচে দেওয়া হলো:
- অবস্থান: এটি সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে অবস্থিত ছিল।
- গুরুত্ব: এটি ছিল দক্ষিণ এশিয়া এবং তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম প্রাকৃতিক গ্যাস-ভিত্তিক সার কারখানা।
- প্রতিষ্ঠা: ১৯৬১ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
- উৎপাদিত সার: এই কারখানায় মূলত ইউরিয়া সার উৎপাদিত হতো।
- বর্তমান অবস্থা: পুরোনো এই কারখানাটি বর্তমানে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং একই স্থানে আরও আধুনিক ও বৃহৎ শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (Shahjalal Fertilizer Company Ltd. বা SFCL) স্থাপন করা হয়েছে, যা এখন সার উৎপাদন করছে।
প্রশ্নঃ নবায়নযোগ্য জ্বালানি কোনটি?
[ বিসিএস ৩৪তম | বিসিএস ৩১তম ]
প্রশ্নঃ কোনটি নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস?
[ বিসিএস ৩৩তম ]
প্রশ্নঃ সবচেয়ে শক্তিশালী সৌরচুল্লি তৈরি করা হয়েছে কোন দেশে?
[ বিসিএস ২৯তম ]
বিশ্বের সর্ববৃহৎ ও শক্তিশালী সৌরচুল্লী বর্তমানে ভারতের ভাদলা সোলার পার্ক। প্রায় ১৪ হাজার একর জমির উপর নির্মিত এই সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মোট উৎপাদন ক্ষমতা ২২৪৫ মেগাওয়াট। এটি ২০২০ সালের ২০ মার্চ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করে।
প্রশ্নঃ দিনাজপুর জেলার বড়পুকুরিয়ায় কোন খনিজ প্রকল্পের কাজ চলছে?
[ বিসিএস ২৬তম ]
দিনাজপুর জেলার বড়পুকুরিয়ায় কয়লা খনি প্রকল্পের উন্নয়ন চলছে এবং সম্প্রতি কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে । বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কয়লা খনি দিনাজপুর জেলার দীঘিপাড়ায় অবস্থিত।
প্রশ্নঃ সূর্যে শক্তি উৎপন্ন হয়–
[ বিসিএস ২২তম ]
দুটি কম ওজনের পরমাণুর নিউক্লিয়াসের সংযোজনে একটি অপেক্ষাকৃত ভারী পরমাণুর গঠন ও ফলস্বরূপ প্রচুর শক্তির উদ্ভব হলো পারমাণবিক ফিউশন পদ্ধতি। যেমন- দুটি হাইড্রোজেন পরমাণু যুক্ত হয়ে একটি হিলিয়াম পরমাণু হতে পারে। দেখা যায় তৈরি হওয়া হিলিয়াম পরমাণুর ভর হাইড্রোজেন পরমাণু দুটির ভরের যোগফলের চেয়ে সামান্য কম । এ হারিয়ে যাওয়া ভরই শক্তিতে রূপান্তরিত হয় ও প্রচুর শক্তি পাওয়া যায়। সূর্য ও অন্যান্য নক্ষত্রে এ পদ্ধতিতে শক্তি তৈরি হয়।
প্রশ্নঃ প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান হলো–
[ বিসিএস ১১তম ]
প্রাকৃতিক গ্যাসের উপাদান হলো: মিথেন ৮০% –৯০%, ইথেন ১৩%, প্রোপেন ৩%। এছাড়া বিউটেন, ইথিলিন ও নাইট্রোজেন কিছু পরিমাণ থাকে।
স্টোরেজ ব্যাটারির সাহায্যে দিনের সৌরশক্তিকে সঞ্চিত করে রাতে ব্যবহার করা যায়।
প্রশ্নঃ নবায়নযোগ্য শক্তি উৎসের একটি উদাহরণ হলো–
[ বিসিএস ১০তম ]
যেসব শক্তি উৎস অফুরন্ত এবং বারবার করা যায় তাদেরকে নবায়নযোগ্য শক্তি উৎস বলা হয়। সূর্য, পানি বায়ু নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস। অন্যদিকে যে শক্তির উৎস অফুরন্ত নয় এবং বারবার ব্যবহারের ফলে এক সময় নিঃশেষিত হয়ে যায় সেগুলোকে অনবায়নযোগ্য শক্তি বলে। কয়লা, গ্যাস, তেল পারমাণবিক জ্বালানি ইত্যাদি অনবায়নযোগ্য শক্তির উৎস।
প্রশ্নঃ নিচের কোনটি জীবাশ্ম জ্বালানি নয়?
[ বিসিএস ১০তম ]
কোটি কোটি বছর পূর্বে গাছ-গাছড়া, জীবজন্তু প্রভৃতি ভূমিকম্পসহ নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে ভূ-অভ্যন্তরে চাপা পড়ে যায়। ভূ-অভ্যন্তরের প্রচণ্ড চাপ ও তাপে এসব পদার্থের জৈব বিধ্বংসী পাতন ঘটে এবং পেট্রোলিয়াম, কয়লা ও প্রাকৃতিক গ্যাস আকারে ভূ-অভ্যন্তরে অবস্থান করে। এগুলোকে জীবাশ্ম জ্বালানী বলে। বায়োগ্যাস জীবাশ্ম জ্বালানি নয় কারণ এটি গাজন প্রক্রিয়ায় তৈরি করা হয়।
প্রশ্নঃ ‘সিএনজি’ পাম্প থেকে গাড়িতে যে গ্যাস পূর্ণ করা হয় তা মূলত: —
[ প্রা.বি.স.শি. (৩য় ধাপ) 03-06-2022 ]
সিএনজি পাম্প থেকে গাড়িতে যে গ্যাস পূর্ণ করা হয়, তা মূলত ঘনীভূত প্রাকৃতিক গ্যাস মিথেন বা কম্প্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস (Compressed Natural Gas)। এই গ্যাস প্রাকৃতিক গ্যাসকে উচ্চ চাপে ঘনীভূত করে তৈরি করা হয়।