প্রশ্নঃ হৃদযন্ত্রের সংকোচন হওয়াকে বলা হয়-
[ বিসিএস ৪৩তম ]
সঠিক উত্তর হল খঃ সিস্টল।
হৃদযন্ত্রের পেশী সংকুচিত হয়ে রক্ত পাম্প করাকে সিস্টল বলা হয়। এই সময় হৃদপিণ্ডের প্রকোষ্ঠগুলো সংকুচিত হয় এবং রক্ত ধমনীর মাধ্যমে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।
অন্যদিকে, হৃদযন্ত্রের পেশী যখন প্রসারিত হয় এবং রক্ত গ্রহণ করে, তখন সেই পর্যায়কে ডায়াস্টল বলা হয়।
প্রশ্নঃ হার্ট থেকে রক্ত বাইরে নিয়ে যায় যে রক্তনালী-
[ বিসিএস ৪১তম ]
সঠিক উত্তর হলো খঃ আর্টারি।
আর্টারি (Artery) হৃৎপিণ্ডের নিলয় থেকে রক্ত সারা শরীরে বহন করে নিয়ে যায়।
প্রশ্নঃ মানবদেহে লোহিত কণিকার আয়ুষ্কাল কত দিন?
[ বিসিএস ৪১তম ]
মানবদেহে লোহিত কণিকার (Red Blood Cell) গড় আয়ুষ্কাল প্রায় ১২০ দিন।
এরপর, লোহিত কণিকাগুলো প্লীহা (spleen) এবং যকৃতে (liver) ম্যাক্রোফেজ নামক কোষ দ্বারা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় এবং তাদের উপাদানগুলো পুনরায় শরীরে ব্যবহৃত হয়। প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৫ মিলিয়ন লোহিত কণিকা ধ্বংস হয় এবং একই হারে নতুন লোহিত কণিকা তৈরি হয়।
প্রশ্নঃ নিচের কোনটি আমিষ জাতীয় খাদ্য হজমে সাহায্য করে?
[ বিসিএস ৩৬তম ]
আমিষ জাতীয় খাদ্য হজমে সাহায্য করে ট্রিপসিন (Trypsin)।
- ট্রিপসিন: এটি অগ্ন্যাশয় (pancreas) থেকে নিঃসৃত হয় এবং ক্ষুদ্রান্ত্রে আমিষ (প্রোটিন) পরিপাকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- লাইপেজ: চর্বি (ফ্যাট) পরিপাকে সাহায্য করে।
- টায়ালিন/অ্যামাইলেজ: শ্বেতসার (কার্বোহাইড্রেট) পরিপাকে সাহায্য করে। টায়ালিন লালায় থাকে এবং অ্যামাইলেজ অগ্ন্যাশয় থেকেও নিঃসৃত হয়।
প্রশ্নঃ মানুষের রক্তে লোহিত কণিকা কোথায় সঞ্চিত থাকে?
[ বিসিএস ৩৬তম ]
মানুষের রক্তে লোহিত কণিকা প্রধানত প্লীহাতে (Spleen) সঞ্চিত থাকে।
প্লীহাকে প্রায়শই "রক্তের কবরস্থান" বা "রক্তের আধার" বলা হয়, কারণ এটি পুরনো বা ক্ষতিগ্রস্ত লোহিত কণিকাকে ভেঙে ফেলে এবং প্রয়োজনে রক্ত সঞ্চয় করে।
প্রশ্নঃ রক্তে হিমোগ্লোবিনের কাজ কি?
[ বিসিএস ৩৪তম ]
রক্তে হিমোগ্লোবিনের প্রধান কাজ হলো শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন পরিবহন করা।
হিমোগ্লোবিন হলো লোহিত রক্তকণিকায় (red blood cells) থাকা একটি প্রোটিন, যার মধ্যে লোহা থাকে। এটি ফুসফুস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে সেই অক্সিজেনকে দেহের প্রতিটি কোষে পৌঁছে দেয়। একই সাথে, এটি কোষ থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড সংগ্রহ করে ফুসফুসে ফিরিয়ে আনে, যা নিঃশ্বাসের সাথে বাইরে বেরিয়ে যায়।
প্রশ্নঃ কোন জারক রস পাকস্থলীতে দুগ্ধ জমাট বাঁধায়?
[ বিসিএস ৩১তম | বিসিএস ১৯তম ]
পাকস্থলীতে দুগ্ধ জমাট বাঁধতে রেনিন নামক জারক রস প্রয়োজন হয়। অপরপক্ষে ‘ট্রিপসিন’ এবং ‘পেপসিন’ নামক এনজাইম প্রোটিন পরিপাকে এবং ‘এমাইলেজ’ কার্বোহাইড্রেড পরিপাকে সহায়তা করে।
প্রশ্নঃ ইনসুলিন নিঃসৃত হয় কোথা থেকে?
[ বিসিএস ৩৪তম | বিসিএস ২৮তম ]
‘প্যানক্রিয়াস’ (Pancreas)-এর বাংলা প্রতিশব্দ ‘অগ্ন্যাশয়’। মানব দেহের ‘প্যানক্রিয়াস’ নামক গ্রন্থির ‘আইলেট্স অব ল্যাঙ্গারহ্যান্স’ নামক অংশ হতে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণকারী হরমোন ‘ইনসুলিন’ নিঃসৃত হয়।
প্রশ্নঃ মানুষের হৃৎপিণ্ডে কতটি প্রকোষ্ঠ থাকে?
[ বিসিএস ২৭তম ]
মানুষের হৃৎপিণ্ড সম্পূর্ণভাবে চারটি প্রকোষ্ঠে বিভক্ত। উপরের দুটি পাতলা প্রাচীরযুক্ত ডান ও বাম অলিন্দ এবং নিচের দুটি পুরু প্রাচীরযুক্ত ডান ও বাম নিলয়। অন্যদিকে ব্যাঙের হৃদপিণ্ডে প্রকোষ্ঠ থাকে-৩টি।
অগ্ন্যাশয় মেরুদণ্ডী প্রাণীর দেহের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। অগ্ন্যাশয় হতে আমিষ, শ্বেতসার ও চর্বি জাতীয় খাদ্য হজমকারী এনজাইম নিঃসৃত হয়। এগুলো খাদ্য পরিপাকে সহায়তা করে। অগ্ন্যাশয়ের আইলেটস অব ল্যাঙ্গার হ্যানস হতে গ্লুকানল ও ইনসুলিন নিঃসৃত হয়। ইনসুলিন হরমোনের অভাবে ডায়াবেটিস রোগ হয়।
প্রশ্নঃ মানবদেহের রক্তচাপ নির্ণায়ক যন্ত্র–
[ বিসিএস ২৩তম ]
স্ফিগমোম্যানোমিটার মানবদেহের রক্তচাপ নির্ণায়ক যন্ত্র, স্টেথস্কোপ হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুসের শব্দ নির্ণায়ক যন্ত্র, কার্ডিওগ্রাফ হৃৎপিণ্ডের গতি নির্ণায়ক যন্ত্র এবং ইকোকার্ডিওগ্রাফ হৃৎপিণ্ডের কর্মক্ষমতা ও রোগ শনাক্তকরণ যন্ত্র।
প্রশ্নঃ এনজিও প্লাস্টি হচ্ছে–
[ বিসিএস ২১তম ]
এনজিওপ্লাস্টি: করোনারি ধমনির গাত্রে চর্বি জমে বন্ধ হয়ে গেলে হৃৎপিণ্ডের রক্ত সরবরাহ বাধা পায়। একে হার্ট এটাক বলে। বেলুনের সাহায্যে এ ধমনি ফুলিয়ে পুনরায় রক্ত সরবরাহ স্বাভাবিক করার পদ্ধতিকে এনজিওপ্লাস্টি বলে।
বাইপাস: হৃৎপিণ্ডে শিরা সংযোজন করলে তাকে বাইপাস সার্জারি বলা হয়।
প্রশ্নঃ নাড়ীর স্পন্দন প্রবাহিত হয়–
[ বিসিএস ১৬তম ]
হৃৎপিণ্ড থেকে অক্সিজেনবাহী রক্ত শরীরের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে ধমনির মধ্য দিয়ে। এর গতি থাকে বেশি। তাই ধমনির মধ্যেই নাড়ির স্পন্দন অনুভূত হয়। শিরার ভিতর দিয়ে কার্বন ডাই-অক্সাইডবাহী রক্ত হৃৎপিণ্ডে ফিরে আসে।
প্রশ্নঃ কোনটি রক্তের কাজ নয়?
[ বিসিএস ১৫তম ]
রক্তের সাধারণ কার্যাবলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে কলা হতে বর্জ্য পদার্থ ফুসফুসে বাহিত করা, খাদ্য সারবস্তু বিভিন্ন কলা ও অঙ্গে বাহিত করা, হরমোন, উৎসেচক, লিপিড প্রভৃতি বিভিন্ন অঙ্গে বাহিত করা, কার্বনডাই-অক্সাইড পরিবহন, দৈহিক উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণ প্রভৃতি কিন্তু জারক রস বিতরণ করা রক্তের কাজ নয়।
প্রশ্নঃ রক্তে Platelet-এর কাজ কী?
[ 18th ntrca (স্কুল পর্যায়) (15-03-2024) ]
রক্তে প্লেটলেট বা অনুচক্রিকার প্রধান কাজ হলো রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করা।
কোনো স্থান কেটে গেলে বা রক্তনালি ক্ষতিগ্রস্ত হলে প্লেটলেটগুলো দ্রুত সেই স্থানে একত্রিত হয়ে এক ধরনের আঠালো প্লাগ বা জমাট বাঁধানো পদার্থ তৈরি করে। এর ফলে রক্তপাত বন্ধ হয়। প্লেটলেটের এই কার্যকলাপ শরীরের রক্তক্ষরণ রোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।