আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
16

ক. অ্যানােডে
খ. ক্যাথােডে
গ. অ্যানােড এবং ক্যাথােড উভয়টিতে
ঘ. বর্ণিত কোনটিতেই নয়
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল কঃ অ্যানােডে

জারণ (Oxidation) প্রক্রিয়ায় ইলেকট্রন ত্যাগ হয় এবং এটি তড়িৎ কোষের অ্যানােডে সম্পন্ন হয়। অ্যানােডে ঋণাত্মক আধানযুক্ত ইলেকট্রনগুলো অ্যানায়ন অথবা ধাতব পরমাণু দ্বারা বর্জিত হয়, ফলে জারণ ঘটে।

অন্যদিকে, বিজারণ (Reduction) প্রক্রিয়ায় ইলেকট্রন গ্রহণ ঘটে এবং এটি তড়িৎ কোষের ক্যাথােডে সম্পন্ন হয়। ক্যাথােডে ধনাত্মক আধানযুক্ত ক্যাটায়নগুলো ইলেকট্রন গ্রহণ করে, ফলে বিজারণ ঘটে।

ক. জারণ
খ. বিজারণ
গ. প্রশমন
ঘ. পানি যোজন
ব্যাখ্যাঃ

অ্যানোডে জারণ (Oxidation) বিক্রিয়া সম্পন্ন হয়.

জারণ হলো এমন একটি রাসায়নিক বিক্রিয়া যেখানে কোনো পরমাণু, আয়ন বা অণু ইলেকট্রন ত্যাগ করে এবং এর ফলে তার জারণ সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। তড়িৎকোষে (Electrochemical cell), অ্যানোড হলো সেই ইলেকট্রোড যেখানে এই জারণ প্রক্রিয়াটি ঘটে।

  • তড়িৎবিশ্লেষণ কোষে (Electrolytic cell): অ্যানোড হলো ধনাত্মক মেরু (+) এবং অ্যানায়ান (ঋণাত্মক আয়ন) অ্যানোডের দিকে আকৃষ্ট হয় এবং সেখানে ইলেকট্রন ত্যাগ করে জারিত হয়।
  • গ্যালভানিক কোষে (Galvanic cell) বা ব্যাটারিতে: অ্যানোড হলো ঋণাত্মক মেরু (-) এবং এখানে ধাতু পরমাণু ইলেকট্রন ত্যাগ করে জারিত হয়। এই ইলেকট্রনগুলোই বহিরাগত বর্তনীতে বিদ্যুৎ প্রবাহ সৃষ্টি করে।

সহজভাবে মনে রাখার জন্য: অ্যানোড = জারণ (Oxidation)

ক. হাইড্রোজেন
খ. অক্সিজেন
গ. ক্লোরিন
ঘ. ব্রোমিন
ব্যাখ্যাঃ

জারক পদার্থ নয় এমন বিকল্পটি হলো হাইড্রোজেন

জারক পদার্থ (Oxidizing Agent) কী?

জারক পদার্থ (Oxidizing agent) হলো এমন রাসায়নিক পদার্থ যা অন্য কোনো পদার্থকে জারিত করে এবং নিজে বিজারিত হয়। জারণ প্রক্রিয়ায় ইলেকট্রন ত্যাগ হয়, আর বিজারণ প্রক্রিয়ায় ইলেকট্রন গ্রহণ হয়।

জারক পদার্থগুলো সাধারণত ইলেকট্রন গ্রহণে সক্ষম হয়।

  • অক্সিজেন (খঃ): অক্সিজেন একটি শক্তিশালী জারক পদার্থ। এটি ইলেকট্রন গ্রহণের প্রবণতা দেখায় এবং অনেক রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অন্য পদার্থকে জারিত করে।

  • ক্লোরিন (গঃ): ক্লোরিন একটি হ্যালোজেন মৌল এবং এটিও একটি শক্তিশালী জারক পদার্থ। এটি ইলেকট্রন গ্রহণ করে।

  • ব্রোমিন (ঘঃ): ব্রোমিনও একটি হ্যালোজেন মৌল এবং এটিও জারক পদার্থ হিসেবে কাজ করে, যদিও ক্লোরিনের চেয়ে তুলনামূলকভাবে কম শক্তিশালী।

  • হাইড্রোজেন (কঃ): হাইড্রোজেন সাধারণত বিজারক পদার্থ হিসেবে কাজ করে, অর্থাৎ এটি অন্য পদার্থকে বিজারিত করে এবং নিজে জারিত হয় (ইলেকট্রন ত্যাগ করে)। যদিও কিছু নির্দিষ্ট শর্তে এটি জারক হিসেবে কাজ করতে পারে, তবে সাধারণভাবে এবং প্রশ্নটির প্রেক্ষাপটে এটি জারক পদার্থ নয়।

সুতরাং, এই বিকল্পগুলোর মধ্যে হাইড্রোজেনই জারক পদার্থ নয়।

ক. তামা
খ. দস্তা
গ. রূপা
ঘ. এলুমিনিয়াম
ক. ইলেকট্রন বর্জন
খ. ইলেকট্রন গ্রহণ
গ. ইলেকট্রন আদান-প্রদান
ঘ. তড়িৎ ধনাত্মক মৌলের বা মূলকের অপসারণ
ব্যাখ্যাঃ

যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কোনো পরমাণু, মূলক বা আয়ন ইলেকট্রন বর্জন করে; ফলে সংশ্লিষ্ট পরমাণু, মূলক বা আয়নের ধনাত্মক চার্জ বৃদ্ধি পায় তাকে জারণ বিক্রিয়া বলে। অন্যদিকে বিজারণ বিক্রিয়ায় পরমাণু, মূলক বা আয়ন ইলেকট্রন গ্রহণ করে।

ক. ইলেক্ট্রন গ্রহণ
খ. ইলেক্ট্রন আদান-প্রদান
গ. ইলেক্ট্রন বর্জন
ঘ. শুধু তাপ উৎপন্ন হয়
ব্যাখ্যাঃ

যে বিক্রিয়ায় কোনো রাসায়নিক সত্তা ইলেকট্রন বর্জন করে তাকে জারণ বলে এবং যে বিক্রিয়ায় কোনো রাসায়নিক সত্তা ইলেকট্রন গ্রহণ করে তাকে বিজারণ বলে। অর্থাৎ জারণ বিক্রিয়ায় ইলেকট্রনের বর্জন এবং বিজারণ বিক্রিয়ায় ইলেকট্রনের গ্রহণ ঘটে।