আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
15

ক. ইদুঁরের মাধ্যমে
খ. মাইটের মাধ্যমে
গ. বাতাসের মাধ্যমে
ঘ. পাখির মাধ্যমে
উত্তরঃ মাইটের মাধ্যমে
ব্যাখ্যাঃ

গমের মোজাইক ভাইরাস (Wheat Mosaic Virus) মূলত ছড়ায় শস্যে সংক্রামিত রস বা বাহক পোকা (বিশেষ করে ঘাস ফড়িং বা মাইট) এর মাধ্যমে।


ছড়ানোর প্রধান উপায়:

  • বাহক পোকা (vector): কিছু বিশেষ ধরনের মাইট (mite) বা ফড়িং ভাইরাসটি গাছ থেকে গাছে বহন করে।
  • সংক্রমিত বীজ বা গাছ: আক্রান্ত গাছ বা বীজের মাধ্যমে নতুন গাছে ছড়াতে পারে।
  • মাটি ও বাতাস: সংক্রমিত মাটি এবং বাতাসে ভাসমান বাহকের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে। এর লক্ষণগুলো (যেমন পাতায় দাগ, গাছের বিকৃতি)
ক. Red blood corpuscle
খ. Thrombocyte
গ. B Lymphocyte
ঘ. Monocyte
উত্তরঃ B Lymphocyte
ব্যাখ্যাঃ

এন্টিবডি তৈরি করে বি লিম্ফোসাইট (B lymphocytes) নামক এক প্রকার শ্বেত রক্ত কণিকা।

যখন কোনো অ্যান্টিজেন (যেমন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস) শরীরে প্রবেশ করে, তখন বি লিম্ফোসাইটগুলো সক্রিয় হয়ে প্লাজমা কোষ (plasma cells) নামক বিশেষ কোষে রূপান্তরিত হয়। এই প্লাজমা কোষগুলোই প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিবডি তৈরি করে এবং রক্তে নিঃসরণ করে। প্রতিটি অ্যান্টিবডি একটি নির্দিষ্ট অ্যান্টিজেনের সাথে যুক্ত হতে পারে এবং তাকে নিষ্ক্রিয় করতে সাহায্য করে।

ক. রবার্ট কক্
খ. লুইস পাস্তুর
গ. এডওয়ার্ড জেনার
ঘ. এন্টনি ভন লিউয়েনহুক
উত্তরঃ এন্টনি ভন লিউয়েনহুক
ব্যাখ্যাঃ

অণুজীব বিজ্ঞানের জনক হিসেবে সাধারণত অ্যান্টনি ভ্যান লিউয়েনহুক-কে (Antonie van Leeuwenhoek) ধরা হয়। ১৬৭৬ সালে তিনিই প্রথম উন্নত অণুবীক্ষণ যন্ত্র ব্যবহার করে ব্যাকটেরিয়াসহ বিভিন্ন একককোষী জীব পর্যবেক্ষণ করেন এবং এদের "ক্ষুদ্র প্রাণী" (animalcules) হিসেবে বর্ণনা করেন।

তবে, অণুজীব বিজ্ঞানকে একটি স্বতন্ত্র বিজ্ঞান শাখা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে লুই পাস্তুর (Louis Pasteur) এবং রবার্ট কখ (Robert Koch)-এর অবদানও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লুই পাস্তুর জীবাণু তত্ত্ব (Germ Theory) প্রতিষ্ঠা করেন এবং বিভিন্ন রোগের কারণ হিসেবে জীবাণুদের ভূমিকা প্রমাণ করেন। তিনি পাস্তুরাইজেশন প্রক্রিয়া এবং জলাতঙ্কের টিকা আবিষ্কারের জন্য বিখ্যাত। অন্যদিকে, রবার্ট কখ অ্যানথ্রাক্স, যক্ষ্মা ও কলেরার জীবাণু শনাক্ত করেন এবং রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু চিহ্নিত করার জন্য "কখের স্বীকার্য" (Koch's postulates) প্রণয়ন করেন।

সুতরাং, যদিও অ্যান্টোনি ভ্যান লিউয়েনহুক প্রথম অণুজীব পর্যবেক্ষণ করেন, লুই পাস্তুর এবং রবার্ট কখের কাজ অণুজীব বিজ্ঞানকে একটি আধুনিক বিজ্ঞান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে অপরিহার্য ছিল। তাই অনেক ক্ষেত্রে লুই পাস্তুরকেও আধুনিক অণুজীব বিজ্ঞানের জনক হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

সারাংশ: অণুজীব বিজ্ঞানের জনক হিসেবে সাধারণত অ্যান্টোনি ভ্যান লিউয়েনহুককে ধরা হয়, যিনি প্রথম অণুবীক্ষণ যন্ত্রের মাধ্যমে অণুজীব পর্যবেক্ষণ করেন। তবে লুই পাস্তুর এবং রবার্ট কখের অবদানও এই বিজ্ঞানকে আধুনিক রূপ দিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ক. বছরে একবার
খ. বছরে দুইবার
গ. বছরে তিনবার
ঘ. এর কোনটিই নয়
উত্তরঃ বছরে দুইবার
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো খঃ বছরে দুইবার।

বাংলাদেশে শিশুদের ভিটামিন এ-এর অভাবজনিত রোগ প্রতিরোধ করার জন্য জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের অধীনে বছরে দুইবার ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। সাধারণত, এই ক্যাম্পেইনগুলো বছরে দুটি নির্দিষ্ট সময়ে (যেমন: গ্রীষ্ম ও শীতকালে) অনুষ্ঠিত হয়।

ক. পিল্লি
খ. ফ্লাজেলা
গ. শীথ
ঘ. ক্যাপসুলস
উত্তরঃ ফ্লাজেলা
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো খঃ ফ্লাজেলা।

ব্যাকটেরিয়ার গতিশীলতার প্রধান অঙ্গ হলো ফ্লাজেলা (Flagella)। এটি দেখতে অনেকটা সুতার মতো এবং কোষের বাইরে অবস্থিত। ফ্লাজেলার ঘূর্ণনের মাধ্যমেই ব্যাকটেরিয়া তরল মাধ্যমে চলাচল করতে পারে। ব্যাকটেরিয়ার এক বা একাধিক ফ্লাজেলা থাকতে পারে এবং এদের বিন্যাস বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন হয়।

অন্যান্য বিকল্পগুলো ব্যাকটেরিয়ার গতিশীলতার জন্য দায়ী গঠন নয়:

  • পিল্লি (Pili) (ক): এগুলো ছোট, চুলের মতো গঠন যা ব্যাকটেরিয়ার কোষের উপরিভাগে থাকে। পিল্লি প্রধানত ব্যাকটেরিয়াকে অন্য কোষ বা বস্তুর সাথে সংযুক্ত হতে সাহায্য করে এবং কিছু ক্ষেত্রে জেনেটিক উপাদান স্থানান্তরে ভূমিকা রাখে।
  • শীথ (Sheath) (গ): কিছু ব্যাকটেরিয়াতে ফ্লাজেলার চারপাশে একটি প্রতিরক্ষামূলক আবরণ থাকে যাকে শীথ বলে। এটি সরাসরি গতিশীলতার সাথে যুক্ত নয়।
  • ক্যাপসুলস (Capsules) (ঘ): এটি ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীরের বাইরে অবস্থিত একটি পুরু, পিচ্ছিল স্তর। ক্যাপসুল ব্যাকটেরিয়াকে শুকিয়ে যাওয়া এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে, তবে এটি গতিশীলতার জন্য দায়ী নয়।

সুতরাং, ব্যাকটেরিয়ার গতিশীলতার জন্য তার যে গঠন দায়ী তা হলো ফ্লাজেলা।

ক. বয়লিং
খ. বেনজিন ওয়াশ
গ. ফরমালিন ওয়াশ
ঘ. কেমিক্যাল স্টেরিলাইজেশন
উত্তরঃ কেমিক্যাল স্টেরিলাইজেশন
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো ঘঃ কেমিক্যাল স্টেরিলাইজেশন।

ধারালো যন্ত্রপাতি, যেমন অস্ত্রোপচারের সরঞ্জাম, জীবাণুমুক্ত করার জন্য কেমিক্যাল স্টেরিলাইজেশন একটি ভালো পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে বিভিন্ন জীবাণুনাশক রাসায়নিক দ্রবণ ব্যবহার করা হয় যা ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক এবং অন্যান্য রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু ধ্বংস করতে পারে। ধারালো যন্ত্রপাতির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি যাতে তাদের ধার নষ্ট না হয় এবং সঠিকভাবে জীবাণুমুক্ত করা যায়।

অন্যান্য বিকল্পগুলো ধারালো যন্ত্রপাতির জন্য উপযুক্ত পদ্ধতি নাও হতে পারে:

  • বয়লিং (ক): যদিও এটি কিছু জীবাণু ধ্বংস করতে পারে, তবে এটি সব ধরনের জীবাণু, বিশেষ করে স্পোর ধ্বংস করতে পারে না। ধারালো যন্ত্রপাতি দীর্ঘক্ষণ ধরে সেদ্ধ করলে তাদের ধার নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • বেনজিন ওয়াশ (খ): বেনজিন জীবাণুনাশক নয় এবং এটি স্বাস্থ্যকর নয়। এটি পরিষ্কার করার কাজে ব্যবহৃত হতে পারে, কিন্তু জীবাণুমুক্ত করার জন্য নয়।
  • ফরমালিন ওয়াশ (গ): ফরমালিন একটি জীবাণুনাশক, তবে এটি সাধারণত গ্যাসীয় আকারে বা দীর্ঘ সময় ধরে দ্রবণে ডুবিয়ে রাখার মাধ্যমে ব্যবহার করা হয়। শুধু ওয়াশ করা যথেষ্ট জীবাণুমুক্ত নাও করতে পারে এবং এর তীব্র গন্ধ ও স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণে এটি খুব একটা পছন্দের পদ্ধতি নয়।

সুতরাং, ধারালো যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্ত করার ভালো পদ্ধতি হলো কেমিক্যাল স্টেরিলাইজেশন।

ক. DNA
খ. DNA + RNA
গ. mRNA
ঘ. RNA
উত্তরঃ RNA
ব্যাখ্যাঃ

কোভিড-১৯ আরএনএ (RNA) ভাইরাসের একটি প্রকার, যা করোনাভাইরাস পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। এটিকে বিশেষভাবে সার্স-কোভ-২ (SARS-CoV-2) ভাইরাস বলা হয়।

করোনাভাইরাস হলো এক বৃহৎ পরিবারভুক্ত ভাইরাস, যাদের মধ্যে কিছু সাধারণ সর্দি-কাশির মতো হালকা অসুস্থতা সৃষ্টি করে, আবার কিছু সার্স (SARS) বা মার্স (MERS)-এর মতো মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করতে পারে। কোভিড-১৯ সৃষ্টিকারী সার্স-কোভ-২ একটি নতুন ধরনের করোনাভাইরাস যা ২০১৯ সালে প্রথম শনাক্ত হয়েছিল।

ক. ডেঙ্গুজ্বর
খ. স্মলপক্স
গ. কোভিড-১৯
ঘ. পােলিও
উত্তরঃ স্মলপক্স
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল খঃ স্মলপক্স

স্মলপক্স (গুটিবসন্ত) ভ্যারিওলা ভাইরাস নামক একটি ডিএনএ (DNA) ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট হয়।

অন্যান্য রোগগুলো যে ধরনের ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট:

  • ডেঙ্গুজ্বর: ডেঙ্গু ভাইরাস নামক আরএনএ (RNA) ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট।
  • কোভিড-১৯: সার্স-কোভ-২ নামক আরএনএ (RNA) ভাইরাস (করোনাভাইরাস পরিবারের) দ্বারা সৃষ্ট।
  • পোলিও: পোলিওভাইরাস নামক আরএনএ (RNA) ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট।
ক. মদ্য শিল্পে (Wine industry)
খ. রুটি শিল্পে (Bakery)
গ. সাইট্রিক এসিড উৎপাদন
ঘ. এক কোষীয় প্রোটিন (Single-cell-protein) তৈরিতে
উত্তরঃ সাইট্রিক এসিড উৎপাদন
ব্যাখ্যাঃ

ইস্টের (Yeast) সংশ্লিষ্টতা নেই এমন শিল্প হলো সাইট্রিক এসিড উৎপাদন

ইস্টের ব্যবহার ও কার্যকারিতা

ইস্ট হলো এক ধরণের এককোষী ছত্রাক, যা গাঁজন (fermentation) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

  • মদ্য শিল্পে (Wine industry): ইস্ট, বিশেষ করে Saccharomyces cerevisiae, আঙুরের রসে থাকা চিনিকে অ্যালকোহল ও কার্বন ডাই-অক্সাইডে রূপান্তরিত করে মদ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
  • রুটি শিল্পে (Bakery): রুটি তৈরিতে ইস্ট চিনিকে গাঁজন করে কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস উৎপন্ন করে, যা রুটিকে ফুলিয়ে তোলে এবং নরম করে।
  • এক কোষীয় প্রোটিন (Single-cell-protein) তৈরিতে: কিছু নির্দিষ্ট প্রজাতির ইস্ট প্রোটিনের সমৃদ্ধ উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং এগুলি খাদ্য বা পশু খাদ্যের পরিপূরক হিসেবে তৈরি করা হয়।

সাইট্রিক এসিড উৎপাদন মূলত ছত্রাক যেমন Aspergillus niger-এর নির্দিষ্ট স্ট্রেইন ব্যবহার করে করা হয়, ইস্টের সরাসরি ব্যবহারের মাধ্যমে নয়। যদিও কিছু ইস্ট প্রজাতি সাইট্রিক অ্যাসিড তৈরি করতে পারে, তবে শিল্প উৎপাদন সাধারণত Aspergillus niger ব্যবহার করে বেশি কার্যকর।

ক. ডিএনএ বা আরএনএ থাকে
খ. শুধুমাত্র জীবদেহের অভ্যন্তরে সংখ্যাবৃদ্ধি করে
গ. স্ফটিক দানায় রূপান্তরিত (CRYSTALIZATION)
ঘ. রাইবোজোম (Ribosome) থাকে
উত্তরঃ রাইবোজোম (Ribosome) থাকে
ব্যাখ্যাঃ

ভাইরাসের (VIRUS) জন্য যেটি সত্য নয়, সেটি হলো রাইবোজোম (Ribosome) থাকে

ভাইরাসের বৈশিষ্ট্যসমূহ:

  • ডিএনএ বা আরএনএ থাকে (কঃ): ভাইরাস জিনগত বস্তু হিসেবে হয় ডিএনএ (DNA) অথবা আরএনএ (RNA) বহন করে, কিন্তু একসাথে উভয়টি নয়। এটি সত্য।
  • শুধুমাত্র জীবদেহের অভ্যন্তরে সংখ্যাবৃদ্ধি করে (খঃ): ভাইরাস হলো বাধ্যতামূলক অন্তঃকোষীয় পরজীবী (obligate intracellular parasites)। এর অর্থ হলো, তারা শুধুমাত্র পোষক কোষের (host cell) অভ্যন্তরেই সংখ্যাবৃদ্ধি করতে পারে, কারণ তাদের নিজস্ব কোষীয় যন্ত্রপাতি (যেমন রাইবোজোম) নেই। এটিও সত্য।
  • স্ফটিক দানায় রূপান্তরিত (CRYSTALLIZATION) (গঃ): ভাইরাসের একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো, তাদের কোষীয় গঠন না থাকায় এবং বিপাকীয় কার্যকলাপ না থাকায়, তারা জীবদেহের বাইরে রাসায়নিক পদার্থের মতো স্ফটিকাকার দানায় রূপান্তরিত হতে পারে। এটি সত্য।
  • রাইবোজোম (Ribosome) থাকে (ঘঃ): ভাইরাসের নিজস্ব রাইবোজোম থাকে না। প্রোটিন সংশ্লেষণের জন্য তারা পোষক কোষের রাইবোজোম এবং অন্যান্য কোষীয় যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে। এটি মিথ্যা।

সুতরাং, রাইবোজোম থাকা ভাইরাসের জন্য সত্য নয়।

ক. প্যাথজেনিক
খ. ইনফেকশন
গ. টক্সিন
ঘ. জীবাণু
উত্তরঃ প্যাথজেনিক
ব্যাখ্যাঃ

যেসব অণুজীব রোগ সৃষ্টি করে তাদের প্যাথোজেন (Pathogen) বলা হয়।

প্যাথোজেনগুলো বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যেমন:

  • ভাইরাস
  • ব্যাকটেরিয়া
  • ছত্রাক
  • প্রোটোজোয়া (এককোষী পরজীবী)
  • কিছু কৃমি (হেলমিন্থ)
ক. অড়হর
খ. ছোলা
গ. খেসারি
ঘ. মটর
উত্তরঃ খেসারি
ব্যাখ্যাঃ

খেসারি ডালের সঙ্গে ল্যাথারাইজম (Lathyrism) রোগের সম্পর্ক রয়েছে। খেসারি ডাল অতিরিক্ত পরিমাণে এবং দীর্ঘ সময় ধরে খেলে এতে থাকা বিটা-অক্সালাইল-অ্যামাইনো-এলানাইন (BOAA) নামক নিউরোটক্সিন স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি করে। এর ফলে এই রোগ হয়, যার প্রধান লক্ষণ হলো পা অবশ হয়ে যাওয়া বা পক্ষাঘাত।

ক. ইনসুলিন
খ. পেপসিন
গ. পেনিসিলিন
ঘ. ইথিলিন
উত্তরঃ পেনিসিলিন
ব্যাখ্যাঃ

অ্যান্টিবায়োটিক হলো এক ধরনের ওষুধ, যা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ প্রতিরোধ ও চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়। এরা ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে অথবা তাদের বৃদ্ধি ও বংশবিস্তারকে থামিয়ে দেয়।

অ্যান্টিবায়োটিকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিচে উল্লেখ করা হলো:

  • কার্যকারিতা: অ্যান্টিবায়োটিক শুধুমাত্র ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগের বিরুদ্ধে কার্যকর। এটি ভাইরাস, যেমন ঠান্ডা, ফ্লু বা কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে কাজ করে না।
  • আবিষ্কার: ১৯২৮ সালে স্যার আলেকজান্ডার ফ্লেমিং প্রথম অ্যান্টিবায়োটিক, পেনিসিলিন আবিষ্কার করেন।
  • প্রকারভেদ: অ্যান্টিবায়োটিক বিভিন্ন ধরনের হয়, যেমন পেনিসিলিন, সেফালোস্পোরিন, টেট্রাসাইক্লিন ইত্যাদি। প্রতিটি প্রকারের অ্যান্টিবায়োটিক নির্দিষ্ট ধরনের ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে।
  • অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ: অ্যান্টিবায়োটিকের ভুল বা অতিরিক্ত ব্যবহার করলে ব্যাকটেরিয়া তাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে পারে। এর ফলে ভবিষ্যতে সেই অ্যান্টিবায়োটিক আর কাজ করে না। এটি একটি বড় জনস্বাস্থ্য সমস্যা।
  • ব্যবহারের নিয়ম: চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা উচিত নয়। পুরো কোর্স সম্পন্ন করা জরুরি, এমনকি যদি আপনি সুস্থ বোধ করেন তবুও।
ক. রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা
খ. জীবাণু ধ্বংস করা
গ. ভাইরাস ধ্বংস করা
ঘ. দ্রুত রোগ নিরাময় করা
উত্তরঃ জীবাণু ধ্বংস করা
ব্যাখ্যাঃ

অ্যান্টিবায়োটিক হলো এক ধরনের ঔষধ, যা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ প্রতিরোধ ও চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়।

কার্যপ্রণালী

অ্যান্টিবায়োটিক মূলত দুইভাবে কাজ করে:

  • কিছু অ্যান্টিবায়োটিক সরাসরি ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে (bactericidal)।
  • কিছু অ্যান্টিবায়োটিক ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি এবং বংশবৃদ্ধি বন্ধ করে দেয় (bacteriostatic)।

এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, অ্যান্টিবায়োটিক শুধুমাত্র ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগের চিকিৎসায় কার্যকর। ভাইরাসজনিত রোগ, যেমন সর্দি-কাশি বা ফ্লু-এর চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিকের কোনো ভূমিকা নেই।

ক. কিউলেক্স
খ. এডিস
গ. অ্যানোফিলিস
ঘ. সব ধরনের মশা
উত্তরঃ এডিস
ব্যাখ্যাঃ

অ্যানোফিলিস মশা ম্যালেরিয়া, কিউলেক্স মশা ফাইলেরিয়া এবং এডিস মশা ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণু বহন করে।

ক. ডারউইন
খ. লুইপাস্তুর
গ. প্রিস্টলী
ঘ. ল্যাভয়সিয়ে
উত্তরঃ লুইপাস্তুর
ব্যাখ্যাঃ

Girolamo Fracastoro, Agostino Bassi, Friedrich Henle প্রমুখ বিজ্ঞানী লুই পাস্তুরের অনেক পূর্বেই রোগ জীবাণু তত্ত্বের (Germ theory of disease) প্রস্তাব করেন। তবে ফরাসি বিজ্ঞানী লুই পাস্তুরই (Louis Pasteur) সর্বপ্রথম পরীক্ষার সাহায্যে রোগজীবাণু তত্ত্ব প্রমাণ করেন।