আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
16

ক. ২৫
খ. ২৬
গ. ২৭
ঘ. ২৮
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি সংক্রান্ত নির্দেশনা সংবিধানের ২৫ অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছে।

এই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে:

"রাষ্ট্র আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের সনদের নীতিসমূহ এবং সাধারণভাবে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নীতির উপর ভিত্তি করে অন্যান্য রাষ্ট্রের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করিবেন এবং আন্তর্জাতিক বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধানে সচেষ্ট হইবেন।"

অর্থাৎ, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি মূলত আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘের সনদ এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নীতির উপর ভিত্তি করে গঠিত হবে এবং রাষ্ট্র আন্তর্জাতিক বিরোধ শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের চেষ্টা করবে।

ক. সাজেদা চৌধুরী
খ. নুরজাহান মোর্শেদ
গ. রাফিয়া আক্তার ডলি
ঘ. রাজিয়া বানু
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির একমাত্র নারী সদস্য ছিলেন বেগম রাজিয়া বানু

তিনি ১৯৭২ সালে গঠিত ৩৪ সদস্যের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য ছিলেন। এই কমিটি বাংলাদেশের সংবিধানের মূল কাঠামো তৈরি করে।

ক. ৯৫
খ. ৯৬
গ. ৯৭
ঘ. ৯৮
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেন।

ক. অনুচ্ছেদ : ২
খ. অনুচ্ছেদ : ৩
গ. অনুচ্ছেদ : ৪
ঘ. অনুচ্ছেদ : ৫
ব্যাখ্যাঃ

‘প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা’ কথাটি বাংলাদেশ সংবিধানের ৩ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে।

এই অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে: "প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা।"

ক. চতুর্থ তফসিল
খ. পঞ্চম তফসিল
গ. ষষ্ঠ তফসিল
ঘ. সপ্তম তফসিল
ব্যাখ্যাঃ

ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বাংলাদেশ সংবিধানের পঞ্চম তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

২০১৭ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে এই ঐতিহাসিক ভাষণটি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

ক. লেবার কোর্ট
খ. জজ কোর্ট
গ. হাই কোর্ট
ঘ. সুপ্রীম কোর্ট
ক. জাতীয় সংসদ
খ. শাসন বিভাগ
গ. সুপ্রিম কোর্ট
ঘ. আইন মন্ত্রণালয়
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের সংবিধানের রক্ষক হলেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট

সংবিধানের ব্যাখ্যা দান এবং সংবিধান পরিপন্থী কোনো আইন বা কাজকে বাতিল ঘোষণা করার ক্ষমতা সুপ্রীম কোর্টের উপর ন্যস্ত। এর মাধ্যমে সুপ্রীম কোর্ট সংবিধানের প্রাধান্য ও মর্যাদা রক্ষা করে।

ক. ৪৪
খ. ৪৭
গ. ১০২
ঘ. ১০৩
ব্যাখ্যাঃ

কোনো নাগরিকের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হলে, তিনি বাংলাদেশের সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী উচ্চ আদালতে (সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে) রিট আবেদন করে প্রতিকার চাইতে পারেন।

সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১০২ অনুযায়ী:

হাইকোর্ট বিভাগ মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে—

  • Writ Jurisdiction প্রয়োগ করতে পারে
  • যেমন: রিট, হেবিয়াস কর্পাস, ম্যান্ডামাস, কো-ওয়ারান্টো, প্রোহিবিশন ইত্যাদি আদেশ দিতে পারে
ক. অনুচ্ছেদ ৩৮
খ. অনুচ্ছেদ ৫০
গ. অনুচ্ছেদ ৪১
ঘ. অনুচ্ছেদ ১০০
ব্যাখ্যাঃ

‘ধর্মীয় স্বাধীনতা’ বাংলাদেশ সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদে অন্তর্ভুক্ত।

এই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে:

(১) আইন, জনশৃঙ্খলা ও নৈতিকতা সাপেক্ষে প্রত্যেক নাগরিকের নিজ নিজ ধর্ম অবলম্বন, পালন বা প্রচারের অধিকার রহিয়াছে।

(২) কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোন বিশেষ ধর্মীয় শিক্ষা প্রদান করা হইলে কোন ব্যক্তি যদি সেই ধর্মাবলম্বী না হন, তাহা হইলে তাঁহাকে উক্ত শিক্ষা গ্রহণ করিতে হইবে না।

ক. হাশেম খান
খ. এ.কে.এম আব্দুর রউফ
গ. আবুল বারক আলভী
ঘ. সমরজিৎ রায় চৌধুরী
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশ সংবিধান হাতে লেখার দায়িত্ব ন্যস্ত ছিল আব্দুর রউফ-এর ওপর। তিনি বাংলাদেশ সরকারের একজন কর্মচারী ছিলেন এবং অত্যন্ত সুন্দর হস্তাক্ষরের অধিকারী ছিলেন।

ক. ২৯ (২)
খ. ২৮ (২)
গ. ৩৯ (১)
ঘ. ৩৯ (২)
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৭ এ নারী ও পুরুষের সমতা নিশ্চিত করা হয়েছে। এই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে: "সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী।" এর মাধ্যমে রাষ্ট্র নারী ও পুরুষ উভয়কেই সমান অধিকার ও মর্যাদা প্রদান করে।

ক. ৮১
খ. ৮৫
গ. ৮৭
ঘ. ৮৮
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৮৭-তে ‘বার্ষিক আর্থিক বিবৃতি’ (Annual Financial Statement) এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এই অনুচ্ছেদে সরকারের প্রত্যেক অর্থবছরের জন্য আয় ও ব্যয়ের একটি হিসাব বিবরণী জাতীয় সংসদে পেশ করার বিধান রয়েছে। এটিকে সাধারণত বাজেট হিসেবে অভিহিত করা হয়।

ক. প্রধান নির্বাচন কমিশনার
খ. চেয়ারম্যান, পাবলিক সার্ভিস কমিশন
গ. চেয়ারম্যান, মানবাধিকার কমিশন
ঘ. কনট্রোলার ও অডিটর জেনারেল
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল গঃ চেয়ারম্যান, মানবাধিকার কমিশন

ব্যাখ্যা:

  • প্রধান নির্বাচন কমিশনার: বাংলাদেশ সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদের অধীনে এটি একটি সাংবিধানিক পদ।
  • চেয়ারম্যান, পাবলিক সার্ভিস কমিশন: বাংলাদেশ সংবিধানের ১৩৭ অনুচ্ছেদের অধীনে এটি একটি সাংবিধানিক পদ।
  • চেয়ারম্যান, মানবাধিকার কমিশন: এটি একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা (Statutory Body)। এটি জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন, ২০০৯-এর অধীনে গঠিত হয়েছে, সংবিধানের অধীনে নয়।
  • কনট্রোলার ও অডিটর জেনারেল: বাংলাদেশ সংবিধানের ১২৭ অনুচ্ছেদের অধীনে এটি একটি সাংবিধানিক পদ।
ক. ১১ নভেম্বর
খ. ১২ অক্টোবর
গ. ১৬ ডিসেম্বর
ঘ. ৩রা মার্চ
ব্যাখ্যাঃ

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের খসড়া প্রণয়নের ইতিহাস একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। নিচে এর মূল বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো:

সংবিধান প্রণয়ন কমিটি গঠন:

  • ১৯৭২ সালের ১১ই এপ্রিল ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি করে ৩৪ সদস্যের একটি সংবিধান প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয়।
  • এই কমিটিতে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য এবং বিশিষ্ট আইনজীবীরা অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।

খসড়া সংবিধান তৈরি:

  • কমিটি বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠক করে এবং জনগণের মতামত সংগ্রহের জন্য আহ্বান জানায়।
  • সংগৃহীত মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের একটি খসড়া তৈরি করা হয়।
  • ১৯৭২ সালের ১২ই অক্টোবর গণপরিষদের দ্বিতীয় অধিবেশনে খসড়া সংবিধান বিল আকারে উত্থাপন করা হয়। এই খসড়াটি ১৫৩টি অনুচ্ছেদ ও ৭টি তফসিল সম্বলিত ছিল।

গণপরিষদে আলোচনা ও গ্রহণ:

  • খসড়া সংবিধানের ওপর গণপরিষদে দীর্ঘ আলোচনা চলে।
  • আলোচনা শেষে কিছু সংশোধনীর প্রস্তাব আনা হয় এবং সেগুলো বিবেচিত হয়।
  • অবশেষে, ১৯৭২ সালের ৪ঠা নভেম্বর গণপরিষদে বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয়।

কার্যকর:

  • ১৯৭২ সালের ১৬ই ডিসেম্বর (বিজয় দিবস) থেকে এই সংবিধান কার্যকর হয়।

সংবিধানের খসড়াটি মূলত বাংলা ভাষায় রচিত হয়েছিল এবং পরে এর ইংরেজি অনুবাদ করা হয়। তবে বাংলা ও ইংরেজির মধ্যে অর্থগত কোনো বিরোধ দেখা দিলে বাংলা রূপ অনুসরণীয় হবে বলে উল্লেখ করা হয়।

আপনি যদি খসড়া সংবিধানের মূল পাঠ বা এর কোনো নির্দিষ্ট অংশের বিষয়ে জানতে চান, তবে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।

ক. ১৩৬
খ. ১৩৭
গ. ১৩৮
ঘ. ১৪০
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন (Bangladesh Public Service Commission - BPSc) একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ সাংবিধানিক সংস্থা। এটি প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগের জন্য উপযুক্ত ও যোগ্য প্রার্থী নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করে।

প্রতিষ্ঠা ও ভিত্তি:

  • বাংলাদেশ সংবিধানের ১৩৭ থেকে ১৪১ অনুচ্ছেদে এই কমিশনের গঠন ও কার্যাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে।
  • ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির আদেশের মাধ্যমে প্রথম সরকারি কর্মকমিশন গঠিত হয়। পরবর্তীতে সংবিধানের আলোকে এর আইনি ভিত্তি আরও সুদৃঢ় হয়।

প্রধান কার্যাবলী:

  • সরকারি পদে নিয়োগের জন্য বিধি ও পদ্ধতি প্রণয়ন করা।
  • বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সরকারি সংস্থার চাহিদার ভিত্তিতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা।
  • নিয়োগের জন্য পরীক্ষা (লিখিত ও মৌখিক) এবং অন্যান্য নির্বাচনী প্রক্রিয়ার আয়োজন ও পরিচালনা করা।
  • পরীক্ষার ফলাফল প্রস্তুত ও প্রকাশ করা এবং যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা।
  • সরকারি কর্মচারীদের পদোন্নতি ও অন্যান্য পেশাগত বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ দেওয়া।
  • শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ দেওয়া।
  • কমিশনের কার্যাবলী সম্পর্কে বার্ষিক প্রতিবেদন রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করা।

গঠন:

  • সরকারি কর্মকমিশনে একজন চেয়ারম্যান এবং কয়েকজন সদস্য থাকেন।
  • চেয়ারম্যান ও সদস্যদের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগ দান করা হয়।
  • তাদের কার্যকাল এবং অন্যান্য শর্তাবলী রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নির্ধারিত হয়।
ক. অনুচ্ছেদ ২২
খ. অনুচ্ছেদ ২৩
গ. অনুচ্ছেদ ২৪
ঘ. অনুচ্ছেদ ২৫
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৫ এ বাংলাদেশের বৈদেশিক নীতির মূল ভিত্তি বর্ণিত আছে। এই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে:

"(১) রাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতি হইবে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ; এবং উহা সাধারণভাবে নিম্নলিখিত নীতিসমূহ দ্বারা পরিচালিত হইবে:

(ক) জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা; (খ) অন্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা; (গ) আন্তর্জাতিক বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান; এবং (ঘ) আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের সনদের নীতিসমূহের প্রতি শ্রদ্ধা।

(২) রাষ্ট্র এই নীতিসমূহ বাস্তবায়নের জন্য সচেষ্ট থাকিবে এবং সকল জাতির সহিত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন ও উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার উন্নয়নে সহযোগিতা করিবে।"

সুতরাং, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৫ বাংলাদেশের বৈদেশিক নীতির আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করে।

ক. অনুচ্ছেদ ৭
খ. অনুচ্ছেদ ৭ (ক)
গ. অনুচ্ছেদ ৭ (খ)
ঘ. অনুচ্ছেদ ৮
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের সংবিধানের মৌলিক বিধানাবলী পরিবর্তনযোগ্য নয়

সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে এই বিষয়টি স্পষ্টভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭খ সংযোজন করা হয়েছে, যা মৌলিক কাঠামো সংক্রান্ত বিধানাবলী অপরিবর্তনীয় ঘোষণা করে।

অনুচ্ছেদ ৭খ-এ যা বলা হয়েছে:

"সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই সংবিধানের প্রস্তাবনা, প্রথম ভাগের সকল অনুচ্ছেদ, দ্বিতীয় ভাগের সকল অনুচ্ছেদ, নবম-ক ভাগের সকল অনুচ্ছেদ এবং এই সংবিধানের ১৩৯ অনুচ্ছেদ, ১৪০ অনুচ্ছেদ ও ১৪১ অনুচ্ছেদসহ এই সংবিধানের মৌলিক কাঠামো সংক্রান্ত অন্যান্য বিধানাবলী সংযোজন, পরিবর্তন, প্রতিস্থাপন, রহিত বা অন্য কোনো উপায়ে সংশোধন অযোগ্য হইবে।"

অর্থাৎ, সংবিধানের প্রস্তাবনা, প্রথম ভাগ (প্রজাতন্ত্র), দ্বিতীয় ভাগ (রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি), নবম-ক ভাগ (জরুরী বিধানাবলী) এবং গুরুত্বপূর্ণ কিছু অনুচ্ছেদসহ সংবিধানের মৌলিক কাঠামো পরিবর্তন করা যাবে না। জাতীয় সংসদ চাইলেও এই মৌলিক বিধানাবলী সংশোধন করতে পারবে না।

এই বিধানটি সংযোজনের মূল উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, রাষ্ট্রের মূলনীতি এবং সংবিধানের মূল কাঠামো অক্ষুণ্ণ রাখা।

ক. বহুদলীয় ব্যবস্থা
খ. বাকশাল প্রতিষ্ঠা
গ. তত্ত্বাবধায়ক সরকার
ঘ. সংসদে মহিলা আসন
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের সংবিধানের এয়োদশ সংশোধনীর (The Thirteenth Amendment Act, 1996) মূল বিষয় ছিল নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রবর্তন।

এই সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের একটি নতুন অধ্যায় দ্বিতীয় ক যুক্ত করা হয়, যেখানে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গঠন, ক্ষমতা ও কার্যাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত বিধানাবলী অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

এয়োদশ সংশোধনীর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল:

  • একটি নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা, যাতে সকল রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য একটি সমান ও আস্থাশীল পরিবেশ পায়।
  • ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবমুক্ত একটি নির্বাচন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা।

নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল:

  • এই সরকার মূলত প্রধান বিচারপতিসহ সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের সমন্বয়ে গঠিত হতো।
  • নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে নতুন সরকার গঠনের আগ পর্যন্ত এই সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালন করত।
  • এই সরকারের প্রধান কাজ ছিল একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।
  • তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দৈনন্দিন প্রশাসনিক কার্যাবলী পরিচালনার সীমিত ক্ষমতা ছিল এবং তারা নীতিগত কোনো বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারত না।

পরবর্তীতে, ২০১১ সালে বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল করা হয়েছে।

ক. ৪র্থ তফসিল
খ. ৫ম তফসিল
গ. ৬ষ্ঠ তফসিল
ঘ. ৭ম তফসিল
ব্যাখ্যাঃ

সংবিধানের চেতনার বিপরীতে সামরিক শাসনকে বৈধতা দিতে চতুর্থ তফসিল-এর অপব্যবহার করা হয়েছে।

বাংলাদেশের সংবিধানের চতুর্থ তফসিলে মূলত ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী সময়ে জারিকৃত কিছু আইন ও অধ্যাদেশকে সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। এর উদ্দেশ্য ছিল স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় গঠিত অস্থায়ী সরকারের কার্যক্রম এবং স্বাধীনতা অর্জনের জন্য গৃহীত পদক্ষেপগুলোর ধারাবাহিকতা রক্ষা করা।

তবে, পরবর্তীকালে সামরিক শাসকরা এই তফসিলের ভুল ব্যাখ্যা করে বা এর আওতা সম্প্রসারিত করে তাদের অবৈধ ক্ষমতা দখলকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তারা যুক্তি দেখিয়েছেন যে তাদের জারি করা সামরিক ফরমান বা অধ্যাদেশও এই তফসিলের অধীনে সুরক্ষিত, কারণ তারা রাষ্ট্র পরিচালনার "প্রয়োজনীয়তা" থেকে এগুলো জারি করেছেন।

এই অপব্যবহারের মাধ্যমে সংবিধানের মূল চেতনা, গণতন্ত্র এবং জনগণের সার্বভৌমত্বের নীতিকে লঙ্ঘন করা হয়েছে। চতুর্থ তফসিলের মূল উদ্দেশ্য ছিল একটি বিশেষ প্রেক্ষাপটে আইনি ধারাবাহিকতা রক্ষা করা, কিন্তু সামরিক শাসকরা এটিকে তাদের অসাংবিধানিক কর্মকাণ্ডকে বৈধতা দেওয়ার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছেন।

সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে এই ধরনের অপব্যবহার রোধ করার চেষ্টা করা হয়েছে এবং সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকে অপরিবর্তনীয় ঘোষণা করা হয়েছে।

ক. অনুচ্ছেদ ১৩
খ. অনুচ্ছেদ ১৮
গ. অনুচ্ছেদ ২০
ঘ. অনুচ্ছেদ ২৫
ব্যাখ্যাঃ

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগের রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি অংশে জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতার বিষয়টি আলোচিত হয়েছে। এই ভাগের ১৮ নং অনুচ্ছেদে জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা সম্পর্কে বলা হয়েছে।

অনুচ্ছেদ ১৮:

(১) রাষ্ট্র জনগণের পুষ্টিস্তর উন্নয়ন ও জনস্বাস্থ্যর উন্নতিকে প্রাথমিক কর্তব্য বলিয়া গণ্য করিবেন এবং বিশেষত: মাদক পানীয় ও স্বাস্থ্যহানিকর ভেষজের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।

(২) রাষ্ট্র পতিতাবৃত্তি ও জুয়াখেলা নিবারণের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।

সুতরাং, সংবিধানের ১৮ নং অনুচ্ছেদে জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতার বিষয়টি আলোচিত হয়েছে।

ক. চতুর্থ তফসিলে
খ. পঞ্চম তফসিলে
গ. ষষ্ঠ তফসিলে
ঘ. সপ্তম তফসিলে
ব্যাখ্যাঃ

বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চম তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

সংবিধানের ১৫০(২) অনুচ্ছেদে এই তফসিলটির উল্লেখ রয়েছে এবং সেখানে ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ তারিখে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণটি হুবহু সন্নিবেশিত করা হয়েছে।

ক. ৫ম সংশোধনকে
খ. ৪ র্থ সংশোধনকে
গ. ৩ য় সংশোধনকে
ঘ. ২ য় সংশোধনকে
ব্যাখ্যাঃ

পঞ্চম সংশোধনীকে বাংলাদেশের সংবিধানের ‘first distortion of constitution’ বা সংবিধানের প্রথম বিকৃতি বলে আখ্যায়িত করা হয়।

এই সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট থেকে ১৯৭৯ সালের ৬ই এপ্রিল পর্যন্ত সামরিক শাসনামলে জারিকৃত সকল অধ্যাদেশ, ঘোষণা ও আদেশকে বৈধতা দেওয়া হয়েছিল। এর ফলে সংবিধানের মূল কাঠামো ও গণতান্ত্রিক বৈশিষ্ট্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বলে মনে করা হয়।

ক. ১৭ এপ্রিল , ১৯৭১
খ. ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২
গ. ৭ মার্চ , ১৯৭২
ঘ. ২৬ মার্চ, ১৯৭৩
ব্যাখ্যাঃ

১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান প্রবর্তিত হয়। এই দিনটিকে বাংলাদেশে বিজয় দিবস হিসেবে পালন করা হয়। সংবিধানটি ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে গৃহীত হয়েছিল।

ক. ১৩৭ নং অনুচ্ছেদে
খ. ১৩৫ নং অনুচ্ছেদে
গ. ১৩৮ নং অনুচ্ছেদে
ঘ. ১৩৪ নং অনুচ্ছেদে
ব্যাখ্যাঃ

সরকারি কর্ম কমিশন (Bangladesh Public Service Commission - BPSC) হলো বাংলাদেশের একটি স্বায়ত্তশাসিত ও সাংবিধানিক সংস্থা। এর প্রধান কাজ হলো প্রজাতন্ত্রের (সরকারি) কর্মে নিয়োগের জন্য উপযুক্ত ও যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তি নির্বাচন করা।

এখানে সরকারি কর্ম কমিশন সম্পর্কে কিছু মৌলিক তথ্য তুলে ধরা হলো:

প্রতিষ্ঠা ও আইনি ভিত্তি:

  • এটি একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ সংবিধানের ১৩৭ নং অনুচ্ছেদে এই কমিশন গঠনের কথা বলা হয়েছে।
  • প্রতিষ্ঠিত হয় ৮ এপ্রিল ১৯৭২ সালে (রাষ্ট্রপতির ৩৪ নং আদেশবলে)।
  • পরবর্তীতে ১৯৭৭ সালের ২২ ডিসেম্বর দুটি কমিশনকে (প্রথম ও দ্বিতীয়) একত্রিত করে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন নামকরণ করা হয়।
  • বর্তমানে এটি বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন আইন, ২০২৩ দ্বারা পরিচালিত হয়।

গঠন:

  • কমিশনে একজন চেয়ারপারসন (অধ্যক্ষ) এবং কয়েকজন সদস্য থাকেন।
  • কমিশনের চেয়ারপারসন ও সদস্যদের নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।
  • তাঁদের কর্মের মেয়াদ সাধারণত পাঁচ বছর অথবা ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত (যা আগে ঘটে)।
  • কমিশনের সদস্যদের পদমর্যাদা সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের সমান।
ক. ৭টি
খ. ৮টি
গ. ৫টি
ঘ. ৬টি
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের সংবিধান হলো স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন। এটি একটি লিখিত দলিল, যা দেশের শাসনতান্ত্রিক কাঠামো, নাগরিকদের মৌলিক অধিকার ও কর্তব্য, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি এবং সরকারের তিনটি প্রধান শাখা (আইনসভা, নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগ) এর ক্ষমতা ও কার্যাবলী নির্ধারণ করে।

বাংলাদেশের সংবিধানের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

  • প্রণয়ন: ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদ কর্তৃক বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয়।
  • কার্যকর: ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর, বাংলাদেশের প্রথম বিজয় দিবস থেকে এটি কার্যকর হয়।
  • প্রথম হস্তলিখিত অনুলিপি: সংবিধানের প্রথম হস্তলিখিত অনুলিপিটি হাতে লিখেছিলেন বিখ্যাত শিল্পী ও চিত্রকর আব্দুর রউফ
  • ভাষা: সংবিধানটি বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় রচিত। তবে, বাংলা সংস্করণটি মূল পাঠ হিসেবে বিবেচিত হয়।

সংবিধানের প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ:

১. প্রজাতন্ত্র: বাংলাদেশ একটি গণপ্রজাতন্ত্রী রাষ্ট্র। এর অর্থ হলো, রাষ্ট্রের সকল ক্ষমতার উৎস জনগণ এবং জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন।

২. এককেন্দ্রিক সরকার ব্যবস্থা: বাংলাদেশ একটি এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র। এখানে কোনো প্রাদেশিক সরকার নেই, কেন্দ্রীয় সরকারই সমগ্র দেশ শাসন করে।

৩. সংসদীয় শাসন ব্যবস্থা: বাংলাদেশে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার বিদ্যমান, যেখানে প্রধানমন্ত্রী হলেন সরকারের প্রধান এবং তিনি সংসদ সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের আস্থাভাজন। রাষ্ট্রপতি হলেন রাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক প্রধান।

৪. এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা: বাংলাদেশের আইনসভা (জাতীয় সংসদ) এককক্ষ বিশিষ্ট।

৫. মৌলিক অধিকার: সংবিধানে নাগরিকদের মৌলিক অধিকারসমূহ সুস্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এই অধিকারগুলো রাষ্ট্র কর্তৃক সুরক্ষিত এবং লঙ্ঘিত হলে বিচারিক প্রতিকার পাওয়া যায়।

৬. রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি: সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিসমূহ বর্ণিত হয়েছে। এগুলো হলো: জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা। এই নীতিগুলো রাষ্ট্রীয় নীতি প্রণয়নে ও প্রয়োগে দিকনির্দেশনা প্রদান করে।

৭. বিচার বিভাগের স্বাধীনতা: সংবিধানে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে, যাতে বিচারকরা নির্ভয়ে ও নিরপেক্ষভাবে বিচারকার্য পরিচালনা করতে পারেন।

৮. সার্বভৌমত্ব: রাষ্ট্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ।

৯. সংস্কৃতি ও ভাষা: বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে এবং বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে।

সংবিধানের কাঠামো: বাংলাদেশের সংবিধান একটি প্রস্তাবনা, ১১টি ভাগ, ১৫৩টি অনুচ্ছেদ এবং ৭টি তফসিল নিয়ে গঠিত।

  • প্রস্তাবনা: সংবিধানের আদর্শ ও উদ্দেশ্য ব্যক্ত করে।
  • ১১টি ভাগ:
    • প্রথম ভাগ: প্রজাতন্ত্র
    • দ্বিতীয় ভাগ: রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি
    • তৃতীয় ভাগ: মৌলিক অধিকার
    • চতুর্থ ভাগ: নির্বাহী বিভাগ
    • পঞ্চম ভাগ: আইনসভা
    • ষষ্ঠ ভাগ: বিচার বিভাগ
    • সপ্তম ভাগ: নির্বাচন
    • অষ্টম ভাগ: মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক
    • নবম ভাগ: বাংলাদেশের কর্মবিভাগ
    • দশম ভাগ: সংবিধান সংশোধন
    • একাদশ ভাগ: বিবিধ
  • ৭টি তফসিল: সংবিধানের বিভিন্ন বিস্তারিত বিষয়বস্তু ও ব্যাখ্যা এই তফসিলগুলোতে অন্তর্ভুক্ত।

বাংলাদেশের সংবিধান বাঙালি জাতির দীর্ঘ সংগ্রাম ও ত্যাগের ফসল এবং এটি বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ভিত্তি ও জনগণের অধিকারের রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে। এই সংবিধানে এ পর্যন্ত ১৭ বার (সর্বশেষ ২০১৭ সালে) সংশোধন করা হয়েছে।

ক. ধারা ২৬
খ. ধারা ২৭
গ. ধারা ২৮
ঘ. ধারা ২৯
ব্যাখ্যাঃ

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ২৭ নং ধারায় সকল নাগরিককে আইনের দৃষ্টিতে সমতার কথা বলা হয়েছে।

২৭ নং ধারায় বলা হয়েছে: "সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী।"

এটি বাংলাদেশের সংবিধানের মৌলিক অধিকার অংশের (তৃতীয় ভাগ) একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা, যা আইনের শাসন এবং বৈষম্যহীনতার নীতিকে প্রতিষ্ঠা করে।

ক. ১৩০
খ. ১৩১
গ. ১৩৭
ঘ. ১৪০
ব্যাখ্যাঃ

সংবিধানের ১৩৭ নম্বর অনুচ্ছেদে সরকারি কর্ম কমিশন (Public Service Commission) গঠনের উল্লেখ আছে।

বাংলাদেশের সংবিধানের একাদশ ভাগের দ্বিতীয় পরিচ্ছেদে 'কর্মবিভাগ' সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এই পরিচ্ছেদের ১৩৭ অনুচ্ছেদে সরকারি কর্ম কমিশন প্রতিষ্ঠার বিধান রয়েছে। এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বাংলাদেশের জন্য এক বা একাধিক সরকারি কর্ম কমিশন গঠনের ব্যবস্থা থাকবে, যা রাষ্ট্রপতির আদেশ দ্বারা গঠিত হবে। এই কমিশন সরকারি নিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করে।

ক. ১৭
খ. ১৫
গ. ২০
ঘ. ১৯
ক. ১৩৭
খ. ১৩৮
গ. ১৪৭
ঘ. ১৫০
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের সংবিধানের ১৩৭-১৪১ নং অনুচ্ছেদে সরকারী কর্ম কমিশন সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। সংবিধানের ১৩৭ নং ধারায় বলা হয়েছে, “আইনের দ্বারা বাংলাদেশের জন্য এক বা একাধিক সরকারী কর্ম কমিশন প্রতিষ্ঠার বিধান করা যাইবে এবং একজন সভাপতিকে ও আইনের দ্বারা যেরূপ নির্ধারিত হইবে, সেইরূপ অন্যান্য সদস্যকে লইয়া প্রত্যেক কমিশন গঠিত হইবে।”

ক. ১০ নং অনুচ্ছেদে
খ. ২১ (২) নং অনুচ্ছেদে
গ. ২৭ নং অনুচ্ছেদে
ঘ. ২৮ (২) নং অনুচ্ছেদে
ব্যাখ্যাঃ

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগের ১০নং অনুচ্ছেদে ‘সমাজতন্ত্র ও শোষণমুক্তি’ ২১(২) নং অনুচ্ছেদে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত ব্যক্তির কর্তব্য সম্পর্কে বলা হয়েছে। তৃতীয় ভাগের ২৭নং অনুচ্ছেদে ‘আইনের দৃষ্টিতে সমতা’ এবং ২৮(২)নং অনুচ্ছেদে রাষ্ট্র ও গণজীবনের সর্বস্তরে নারীপুরুষের সমান অধিকার বিষয়ে বলা হয়েছে।

ক. ৬ (১)
খ. ৬ (২)
গ. ৭
ঘ. ৮
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশ সংবিধানের প্রথম ভাগ (প্রজাতন্ত্র) -এর ৬ নং ধারায় নাগরিকের নাগরিকত্ব সম্পর্কে বলা হয়েছে। এ ধারার ৬(১) এ বলা হয়েছে “বাংলাদেশের নাগরিকত্ব আইনের দ্বারা নির্ধারিত ও নিয়ন্ত্রিত হইবে” এবং (৬)২ এ বলা হয়েছে “বাংলাদেশের জনগণ জাতি হিসাবে বাঙালী এবং নাগরিকগণ বাংলাদেশী বলিয়া পরিচিত হইবেন।” ৭ ধারায় সংবিধানের প্রাধান্য এবং ৮ ধারায় রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির উল্লেখ রয়েছে।

ক. ২৭
খ. ২৮
গ. ৩০
ঘ. ৪৭
ব্যাখ্যাঃ

এটি বাংলাদেশ সংবিধানের তৃতীয় ভাগ মৌলিক অধিকার-এর ‘আইনের দৃষ্টিতে সমতা’ অংশে ২৭ অনুচ্ছেদে বর্ণিত আছে। অন্যদিকে ২৮নং অনুচ্ছেদে ধর্ম-বর্ণ ইত্যাদি বিষয়ে বৈষম্য, ৩০নং অনুচ্ছেদে বিদেশী খেতাব ইত্যাদি গ্রহণ, নিষিদ্ধকরণ এবং ৪৭নং অনুচ্ছেদে কতিপয় আইনের হেফাজত বিষয়ে আইন বর্ণিত হয়েছে।

ক. ১৩৬
খ. ১৩৭
গ. ১৩৮
ঘ. ১৪০ (২)
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের সংবিধানের ১৩৭-১৪১ নং অনুচ্ছেদে সরকারি কর্ম কমিশন সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। সংবিধানের ১৩৭ নং ধারায় বলা হয়েছে, ‘আইনের দ্বারা বাংলাদেশের জন্য এক বা একাধিক সরকারী কর্মকমিশন প্রতিষ্ঠার বিধান করা যাইবে এবং একজন সভাপতিকে ও আইনের দ্বারা যেইরূপ নির্ধারিত হইবে, সেইরূপ অন্যান্য সদস্যকে লইয়া প্রত্যেক কমিশন গঠিত হইবে।’

ক. ২৫
খ. ২৮
গ. ৪০
ঘ. ৪২
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের সংবিধানের ২৮(৪) অনুচ্ছেদে বলা আছে যে, নারী বা শিশুদের অনুকূলে কিংবা নাগরিকদের যে কোন অনগ্রসর অংশের অগ্রগতির জন্য বিশেষ বিধান তৈরি করতে রাষ্ট্রকে কোন কিছুই নিবৃত্ত করবে না। অর্থাৎ, এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্র নারী, শিশু ও অনগ্রসর নাগরিকদের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় আইন ও নীতি প্রণয়ন করতে পারবে।

ক. জরুরি অবস্থা ঘোষণা
খ. মহিলাদের জন্য সংসদের আসন সংরক্ষণ
গ. সুপ্রিম কোর্ট প্রতিষ্ঠা
ঘ. ৯৩ হাজার যুদ্ধবন্দীর বিচার অনুষ্ঠান
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের সংবিধানের প্রথম সংশোধনীর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিশ্চিত করা। এই সংশোধনীর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার জন্য প্রয়োজনীয় বিধান তৈরি করা হয়।

এছাড়াও, এই সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের কয়েকটি অংশে কিছু ছোটখাটো পরিবর্তন আনা হয়, যা মূলত প্রশাসনিক এবং প্রক্রিয়াগত বিষয়গুলির সাথে সম্পর্কিত ছিল। তবে, এর মূল লক্ষ্য ছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করা এবং তাদের শাস্তি প্রদান করা।

ক. জানুয়ারি ১০, ১৯৭৩
খ. ডিসেম্বর ১৬, ১৯৭২
গ. নভেম্বর ৪, ১৯৭২
ঘ. অক্টোবর ১১, ১৯৭২
ব্যাখ্যাঃ

১৯৭২ সালের ১১ জানুয়ারি অস্থায়ী সংবিধান আদেশ জারির পর ২৩ জুন রাষ্ট্রপতি গণপরিষদ আদেশ জারি করেন। ১০ এপ্রিল গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন বসে। এ অধিবেশনে খসড়া সংবিধান প্রণয়নের জন্য ৩৪ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটির সভাপতি ছিলেন ড. কামাল হোসেন। এ কমিটি গণপরিষদে খসড়া সংবিধান পেশ করে ১৯৭২ সালের ১২ অক্টোবর, যা ৪ নভেম্বর গণপরিষদ কর্তৃক গৃহীত হয় এবং ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়।

ক. অষ্টম
খ. নবম
গ. একাদশ
ঘ. দ্বাদশ
ব্যাখ্যাঃ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদীয় শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তে রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়। ১৯৯১ সালের ৬ আগস্ট দ্বাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদীয় শাসন ব্যবস্থা পুনঃপরিবর্তিত হয়। এটি ১৮ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পায়।

ক. জনগণের সেবা করিবার
খ. রাষ্টের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করিবার
গ. সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করিবার
ঘ. সংবিধানের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করিবার
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের সংবিধানের ২১(২) ধারায় বলা হয়েছে:

“সকল সময়ে জনগণের সেবা চেষ্টা করা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তির কর্তব্য।”

এই ধারাটি সংবিধানের মৌলিক কর্তব্য অংশে অন্তর্ভুক্ত, যা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের জনগণের সেবা করার দায়িত্বকে নির্দেশ করে।

ক. ১০
খ. ১১
গ. ১২
ঘ. ১৩
ব্যাখ্যাঃ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদীয় শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তে রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়। ১৯৯১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতির অনুমোদন লাভের মাধ্যমে সংসদীয় শাসন ব্যবস্থা পুনঃপরিবর্তিত হয়।

ক. ১২ অক্টোবর, ১৯৭২
খ. ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২
গ. ২৬ মার্চ, ১৯৭৩
ঘ. ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭৩
ব্যাখ্যাঃ

১৯৭২ সালের ১১ জানুয়ারি অস্থায়ী সংবিধান আদেশ জারির পর ২৩ জুন রাষ্ট্রপতি গণপরিষদ আদেশ জারি করেন। ১০ এপ্রিল গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন বসে। এ অধিবেশনে খসড়া সংবিধান প্রণয়নের জন্য ৩৪ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটির সভাপতি ছিলেন ড. কামাল হোসেন। এ কমিটি গণপরিষদে খসড়া সংবিধান পেশ করে ১৯৭২ সালের ১২ অক্টোবর যা ৪ নভেম্বর গণপরিষদ কর্তৃক গৃহীত হয় এবং ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়।

ক. ৪২
খ. ৩৯
গ. ৪০
ঘ. ৪১
ক. ৩৮
খ. ৪০
গ. ৪১
ঘ. ৪২
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪০ এ নাগরিকের পেশা বা বৃত্তির স্বাধীনতার বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।

অনুচ্ছেদ ৪০-এ বলা হয়েছে:

"আইনের দ্বারা আরোপিত বাধা-নিষেধ সাপেক্ষে প্রত্যেক নাগরিকের যে কোন আইনসঙ্গত পেশা বা বৃত্তি গ্রহণের এবং কারবার বা ব্যবসা পরিচালনার অধিকার থাকিবে।"

অর্থাৎ, আইনের দ্বারা যদি কোনো যুক্তিসঙ্গত বাধা-নিষেধ আরোপ করা না হয়, তাহলে বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিক স্বাধীনভাবে যেকোনো বৈধ পেশা, বৃত্তি, কারবার বা ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন।

ক. ১৯৭২ সালের ২৩ মার্চ
খ. ১৯৭২ সালের ১২ অক্টােবর
গ. ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর
ঘ. ১৯৭২ সালের ১১ জানুয়ারি
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের অস্থায়ী সংবিধান আদেশ জারি করা হয় ১১ জানুয়ারি ১৯৭২ তারিখে।

এই আদেশটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর দেশ পরিচালনার জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন আইনি কাঠামো তৈরি করে। পরবর্তীতে ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের মূল সংবিধান কার্যকর হয়।

ক. অনুচ্ছেদ-৭
খ. অনুচ্ছেদ-৫
গ. অনুচ্ছেদ-৩
ঘ. অনুচ্ছেদ-১৩
ব্যাখ্যাঃ

"প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা" বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছে।