আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
16

ক. কয়লা
খ. প্রাকৃতিক গ্যাস
গ. চুনাপাথর
ঘ. চীনামাটি
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের প্রধান খনিজ সম্পদ হলো প্রাকৃতিক গ্যাস

দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন, শিল্প এবং গৃহস্থালীর কাজে প্রাকৃতিক গ্যাস একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যদিও বাংলাদেশে আরও কিছু খনিজ সম্পদ যেমন কয়লা, চুনাপাথর, কঠিন শিলা, সিলিকা বালি ইত্যাদি আবিষ্কৃত হয়েছে, তবে অর্থনৈতিকভাবে এবং ব্যবহারের পরিমাণের দিক থেকে প্রাকৃতিক গ্যাসই প্রধান খনিজ সম্পদ।

ক. বাখরাবাদ
খ. হরিপুর
গ. তিতাস
ঘ. হবিগঞ্জ
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল গঃ তিতাস

আবিষ্কারের সময় এবং মজুদের দিক থেকে তিতাস গ্যাসক্ষেত্রটি বাংলাদেশের বৃহত্তম গ্যাসক্ষেত্র। এটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় অবস্থিত এবং ১৯৬২ সালে এটি আবিষ্কৃত হয়।

ক. হাতিয়া প্রণালী
খ. জফোর্ড পয়েন্ট
গ. সাঙ্গু ভ্যালি
ঘ. মাতারবাড়ি
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের প্রথম সামুদ্রিক গ্যাসক্ষেত্র হলো সাঙ্গু গ্যাসক্ষেত্র

এটি ১৯৯৬ সালে বঙ্গোপসাগরের অগভীর সমুদ্র এলাকায়, চট্টগ্রামের সলিমপুরের কাছে আবিষ্কৃত হয়। অস্ট্রেলিয়ান কোম্পানি সান্তোস এই গ্যাসক্ষেত্রটি আবিষ্কার করে এবং পরবর্তীতে ব্রিটিশ কোম্পানি কেয়ার্ন এনার্জি এর অপারেশনের দায়িত্ব নেয় ও ১৯৯৮ সালে গ্যাস উৎপাদন শুরু করে।

তবে, ২০১৩ সালের অক্টোবরে সাঙ্গু গ্যাসক্ষেত্রটি আনুষ্ঠানিকভাবে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। গ্যাস উত্তোলন লাভজনক না হওয়ায় এবং মজুত ফুরিয়ে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

সুতরাং, সাঙ্গু গ্যাসক্ষেত্র বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র উৎপাদনশীল সামুদ্রিক গ্যাসক্ষেত্র ছিল। বর্তমানে এটি পরিত্যক্ত হলেও, বাংলাদেশের সামুদ্রিক গ্যাস অনুসন্ধানের ইতিহাসে এর একটি বিশেষ স্থান রয়েছে।

ক. নিয়মিতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে
খ. অনিয়মিতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে
গ. ক্রমহ্রাসমান
ঘ. অপরিবর্তিত থাকছে
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে জিডিপিতে (GDP) কৃষি খাতের অবদান ক্রমহ্রাসমান। স্বাধীনতার পর থেকে জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান ধারাবাহিকভাবে কমে আসছে, যদিও কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর কারণ হলো:

  • শিল্প ও সেবা খাতের বিকাশ: বাংলাদেশের অর্থনীতিতে শিল্প এবং সেবা খাতের অবদান দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা মোট দেশজ উৎপাদনের (GDP) একটি বৃহত্তর অংশ দখল করে নিচ্ছে।
  • অর্থনীতিতে কাঠামোগত পরিবর্তন: একটি দেশের অর্থনীতি যখন উন্নয়নশীল পর্যায় থেকে মধ্যম আয়ের দেশের দিকে অগ্রসর হয়, তখন জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান কমে আসে এবং শিল্প ও সেবা খাতের অবদান বাড়ে। এটি অর্থনীতির একটি স্বাভাবিক কাঠামোগত পরিবর্তন।

যদিও শতাংশের হিসাবে কৃষির অবদান কমছে, এর অর্থ এই নয় যে কৃষি উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে। বরং, উৎপাদন বৃদ্ধি পেলেও সামগ্রিক অর্থনীতির তুলনায় এর আপেক্ষিক অবদান কমে যাচ্ছে।

ক. ১৯৫৫ সালে
খ. ১৯৫৭ সালে
গ. ১৯৬৭ সালে
ঘ. ১৯৭২ সালে
ব্যাখ্যাঃ

১৯৫৭ সালে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়, কিন্তু সর্বপ্রথম গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয় ১৯৫৫ সালে সিলেটের হরিপুরে।

ক. কয়লা
খ. চুনাপাথর
গ. সাদামাটি
ঘ. গ্যাস
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদ হলো – প্রাকৃতিক গ্যাস। প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদান মিথেন। প্রাকৃতিক গ্যাস পেট্রোলিয়াম জাতীয় পদার্থ। এ পর্যন্ত বাংলাদেশে ২৮টি গ্যাস ক্ষেত্রে আবিষ্কৃত হয়েছে। বাংলাদেশে প্রথম গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয় ১৯৫৫ সালে এবং উত্তোলন শুরু হয় ১৯৫৭ সালে।

ক. কঠিন শিলা
খ. কয়লা
গ. চুনাপাথর
ঘ. সাদামাটি
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশে প্রথম কয়লাক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়- জামালগঞ্জ, জয়পুরহাট ১৯৬২ সালে। তারপর ১৯৮৫ সালে দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার চৌহালি গ্রামের বড়পুকুরিয়ায় কয়লা পাওয়া যায়। এ পর্যন্ত বাংলাদেশের আবিষ্কৃত কয়লাক্ষেত্র গুলোর মধ্যে বড়পুকুরিয়ার কয়লাই ভূ-পৃষ্ঠে স্বল্প গভীরতায় অবস্থিত। বর্তমানে এখানে থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে।

ক. জামালগঞ্জে
খ. জকিগঞ্জে
গ. বিজয়পুরে
ঘ. রানীগঞ্জে
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের ভূগর্ভস্থ কয়লা সম্পদের অস্তিত্ব প্রথম প্রমাণিত হয় ১৯৫৯ সালে বগুড়ায় তেল অনুসন্ধানে খনন কাজ চালানোর মাধ্যমে। এই খনন কাজের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে ১৯৬১ সালে জাতিসংঘের সহায়তায় পরিচালিত হয় খনিজসম্পদ জরিপ। আবিষ্কৃত হয় জামালগঞ্জের কয়লা।

ক. রানীগঞ্জে
খ. বিজয়পুরে
গ. টেকেরহাটে
ঘ. বাগালীবাজারে
ব্যাখ্যাঃ

পাকিস্তান ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (বর্তমান বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর) ১৯৫৭ সালে নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার ভেদিকুরা নামক স্থানে প্রথম চীনামাটির সন্ধান লাভ করে। এ চীনামাটিকে বিজয়পুর চীনামাটি নামকরণ করা হয়।

ক. ১৯৪৭ সালে
খ. ১৯৮৬ সালে
গ. ১৯৮৫ সালে
ঘ. ১৯৮৪ সালে
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের সিলেট শহর থেকে ২৪ কিলোমিটার দূরে গোয়াইনঘাট উপজেলার হরিপুরে বাংলাদেশের প্রধান তেলক্ষেত্রটি অবস্থিত। ১৯৮৬ সালের ২২ ডিসেম্বর হরিপুর গ্যাসক্ষেত্রে খননকৃত সপ্তম কূপে তেল পাওয়া যায়। উল্লেখ্য, হরিপুরে বাংলাদেশের প্রথম গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয় ১৯৫৫ সালে।

ক. বিজয়পুরে
খ. রানীগঞ্জে
গ. টেকেরহাটে
ঘ. বিয়ানী বাজারে
ব্যাখ্যাঃ

পাকিস্তান ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (বর্তমান বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর) ১৯৫৭ সালে নেত্রকোণা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার ভেদিকুরা নামক স্থানে প্রথম চীনামাটির সন্ধান লাভ করে। এ চীনামাটিকে বিজয়পুর চীনামাটি নামকরণ করা হয়।