প্রশ্নঃ বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের অধিবেশন আহ্বান করেন কে?
[ বিসিএস ৪৫তম ]
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের অধিবেশন আহ্বান করেন রাষ্ট্রপতি।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় স্পষ্টভাবে বলা আছে: "রাষ্ট্রপতি কর্তৃক সংসদ আহ্বান, স্থগিত ও ভঙ্গ"।
অতএব, জাতীয় সংসদের অধিবেশন আহ্বান করার ক্ষমতা একমাত্র রাষ্ট্রপতির উপর ন্যস্ত।
প্রশ্নঃ ‘জয় বাংলা’ কে জাতীয় স্লোগান হিসাবে মন্ত্রিসভায় কত তারিখে অনুমোদন করা হয়?
[ বিসিএস ৪৫তম ]
‘জয় বাংলা’ কে জাতীয় স্লোগান হিসাবে মন্ত্রিসভায় ২ মার্চ ২০২২ তারিখে অনুমোদন করা হয়।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের প্রথম সংসদ নেতা কে?
[ বিসিএস ৪১তম ]
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের প্রথম সংসদ নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
১৯৭৩ সালের ৭ই মার্চ অনুষ্ঠিত প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রী হন। তিনি ছিলেন জাতীয় সংসদের প্রথম সংসদ নেতা।
প্রশ্নঃ আইন প্রণয়নের ক্ষমতা-
[ বিসিএস ৩৮তম ]
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, জাতীয় সংসদ হলো দেশের সর্বোচ্চ আইন প্রণয়নকারী সংস্থা। আইন প্রণয়নের মূল ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে ন্যস্ত। সংসদ সদস্যরা আইন তৈরি, সংশোধন ও বাতিল করতে পারেন।
অন্যান্য বিকল্পগুলো:
- আইন মন্ত্রণালয়: আইন মন্ত্রণালয় আইন প্রণয়নে সহায়তা করে (যেমন: আইনের খসড়া তৈরি), কিন্তু তাদের নিজস্ব আইন প্রণয়নের ক্ষমতা নেই।
- রাষ্ট্রপতি: রাষ্ট্রপতি বিলে সম্মতি প্রদান করেন, যা বিলকে আইনে পরিণত করে। তিনি সংসদ অধিবেশন না থাকলে অধ্যাদেশ জারি করতে পারেন, যা আইনের সমতুল্য, তবে এটি সংসদ কর্তৃক অনুমোদিত হতে হয়। তবে, আইন প্রণয়নের মূল ক্ষমতা সংসদের।
- স্পীকার: স্পীকার জাতীয় সংসদের অধিবেশন পরিচালনা করেন, কিন্তু তার নিজস্ব আইন প্রণয়নের ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের সপ্তম জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্ব চালু হয়।
১৯৯৬ সালের জুনে সপ্তম জাতীয় সংসদ গঠিত হওয়ার পর এই সংসদের কার্যপ্রণালী বিধি পরিবর্তন করে প্রধানমন্ত্রীর জন্য একটি নির্দিষ্ট প্রশ্নোত্তর পর্ব চালু করা হয়। এর আগে সংসদ সদস্যরা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করার সুযোগ পেতেন না। এটি সংসদকে আরও কার্যকর এবং জবাবদিহিমূলক করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল। প্রাথমিকভাবে ১৫ মিনিটের জন্য এই পর্ব নির্ধারিত থাকলেও, পরবর্তীতে এর সময় বাড়ানো হয়।
প্রশ্নঃ জাতীয় সংসদে ‘কাউন্টিং’ ভোট কি?
[ বিসিএস ৩৭তম ]
জাতীয় সংসদে 'কাউন্টিং' ভোট বলতে সাধারণত কোনো বিল, প্রস্তাব বা সিদ্ধান্তের উপর ভোটাভুটির ফলাফল নির্ণয় পদ্ধতিকে বোঝায়, যখন মৌখিক বা প্রাথমিক ভোটে (যেমন 'হ্যাঁ' বা 'না' বলে) সংখ্যাগরিষ্ঠতা স্পষ্ট হয় না অথবা যখন স্পিকারের সিদ্ধান্তের উপর কোনো সদস্য আপত্তি জানান।
সাধারণত, জাতীয় সংসদে ভোট গ্রহণের কয়েকটি পদ্ধতি থাকে:
১. ভয়েস ভোট (Voice Vote): প্রথমে স্পিকার সংসদ সদস্যদের মৌখিকভাবে 'হ্যাঁ' বা 'না' বলতে বলেন এবং শব্দের তীব্রতা শুনে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন।
২. ডিভিশন বা কাউন্টিং ভোট (Division or Counting Vote): যদি ভয়েস ভোটে ফলাফল স্পষ্ট না হয় বা কোনো সংসদ সদস্য স্পিকারের সিদ্ধান্তের উপর আপত্তি জানান, তখন 'ডিভিশন' বা 'কাউন্টিং ভোট'-এর আহ্বান করা হয়। এই পদ্ধতিতে:
- সংসদ সদস্যদের দুটি পৃথক লবিতে (Division Lobby) যেতে বলা হয় – একটি 'হ্যাঁ' ভোটের জন্য এবং অন্যটি 'না' ভোটের জন্য।
- লবিগুলোতে যাওয়ার সময় প্রতিটি সদস্যের নাম রেকর্ড করা হয় এবং তাদের ভোট গণনা করা হয়।
- এই পদ্ধতিটি ফলাফলকে আরও সুনির্দিষ্ট এবং নিশ্চিত করে, কারণ প্রতিটি সদস্যের ভোট স্পষ্টভাবে রেকর্ড করা হয়। এটি সাধারণত কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিল বা প্রস্তাবের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়, যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সংক্ষেপে, জাতীয় সংসদে 'কাউন্টিং' ভোট হলো একটি আনুষ্ঠানিক পদ্ধতি যেখানে সংসদ সদস্যদের ভোট শারীরিকভাবে গণনা করা হয়, যাতে কোনো বিতর্কিত বিষয়ে ভোটের সঠিক ফলাফল নির্ণয় করা যায়।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ কয় কক্ষবিশিষ্ট?
[ বিসিএস ৩৬তম ]
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ (Jatiya Sangsad) হলো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইনসভা। এটি একটি এককক্ষবিশিষ্ট আইনসভা।
গঠন ও সদস্য সংখ্যা:
- মোট আসন সংখ্যা: জাতীয় সংসদের মোট সদস্য সংখ্যা ৩৫০ জন।
- প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত সদস্য: এর মধ্যে ৩০০ জন সংসদ সদস্য জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়ে থাকেন। দেশের ৩০০টি সংসদীয় আসনে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে এঁরা নির্বাচিত হন।
- সংরক্ষিত নারী আসন: অবশিষ্ট ৫০টি আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত। এই ৫০ জন নারী সংসদ সদস্য নির্বাচিত ৩০০ সংসদ সদস্যের ভোটে (পরোক্ষ নির্বাচন পদ্ধতিতে) নির্বাচিত হন। এই সংরক্ষিত আসনগুলো রাজনৈতিক দলগুলোর আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে বণ্টিত হয়।
- মেয়াদকাল: সংসদের মেয়াদকাল পাঁচ বছর।
কার্যকারিতা ও ক্ষমতা:
জাতীয় সংসদ দেশের আইন প্রণয়নের প্রধান কেন্দ্র। এর প্রধান কাজগুলো নিম্নরূপ:
- আইন প্রণয়ন: দেশের জন্য নতুন আইন তৈরি করা, বিদ্যমান আইন সংশোধন বা বাতিল করা।
- সরকার গঠন ও নিয়ন্ত্রণ: সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা বা জোটের নেতাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ এবং তাঁর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভা গঠন করা। সংসদ সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে।
- বাজেট অনুমোদন: দেশের বাজেট প্রণয়ন ও অনুমোদন করা।
- জাতীয় নীতি নির্ধারণ: জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নীতি নির্ধারণে ভূমিকা রাখা।
- সংবিধান সংশোধন: সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা।
- বিতর্ক ও আলোচনা: জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা ও বিতর্ক করা।
- বিচার বিভাগীয় ক্ষমতা: কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে বিচার বিভাগীয় ক্ষমতা প্রয়োগ (যেমন: রাষ্ট্রপতির অভিশংসন)।
জাতীয় সংসদ ভবন:
- অবস্থান: জাতীয় সংসদ ভবন রাজধানী ঢাকার শেরেবাংলা নগর এলাকায় অবস্থিত।
- স্থপতি: এটি প্রখ্যাত মার্কিন স্থপতি লুই আই কান কর্তৃক নকশাকৃত এবং বিশ্বের অন্যতম দৃষ্টিনন্দন আইনসভা ভবন হিসেবে বিবেচিত।
- নির্মাণ: এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল ১৯৬১ সালে এবং সম্পন্ন হয় ১৯৮২ সালের ২৮ জানুয়ারি। একই বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সংসদের অষ্টম (এবং শেষ) অধিবেশনে এটি প্রথম ব্যবহৃত হয়।
- আয়তন: সংসদ ভবন এলাকা প্রায় ২১৫ একর জুড়ে বিস্তৃত। এখানে মূল ভবনের পাশাপাশি রয়েছে উন্মুক্ত সবুজ পরিসর, মনোরম জলাধার এবং সংসদ সদস্যদের কার্যালয়।
জাতীয় সংসদ বাংলাদেশের গণতন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দু এবং জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটানোর মূল স্তম্ভ।
প্রশ্নঃ বেসরকারি বিল কাকে বলে?
[ বিসিএস ২৬তম ]
মন্ত্রী ছাড়া অন্য সংসদ সদস্য কর্তৃক উত্থাপিত বিলকে বেসরকারি বিল বলে। সংসদের ৭২(১) বিধি অনুসারে মন্ত্রী ব্যতীত সকল সংসদ সদস্য সংসদে বেসরকারি বিল উত্থাপনের নোটিশ দিতে পারে। উল্লেখ্য, সংসদে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের উত্থাপিত বিলকে সরকারি বিল বলা হয়।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশের অষ্টম জতীয় সংসদে কোন সদস্য নিজেই নিজের কাছে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেন?
[ বিসিএস ২৫তম ]
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সদস্যদের শপথনামা সংবিধানের ‘তৃতীয় তফসিল’-এ লিপিবদ্ধ রয়েছে। সে অনুযায়ী প্রত্যেক নির্বাচিত ব্যক্তি বিদায়ী স্পিকার বা তার অনুপস্থিতিতে ডেপুটি স্পিকারের সামনে শপথ গ্রহণ এবং শপথ নামায় স্বাক্ষর করেন। অষ্টম সংসদে নির্বাচিত সংসদ সদস্য আবদুল হামিদ এডভোকেট নিজেই নিজের কাছে শপথ গ্রহণ করেন, যেহেতু তিনি নিজেই বিদায়ী স্পিকার ছিলেন।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে কোরাম হয় কত সদস্যের উপস্থিতিতে?
[ বিসিএস ২৫তম ]
সংবিধানের ৭৫(২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “সংসদের বৈঠক চলাকালে কোনো সময়ে উপস্থিত সদস্য সংখ্যা ষাটের কম বলিয়া যদি সভাপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়, তাহা হইলে তিনি অন্যূন ষাট জন সদস্য উপস্থিত না হওয়া পর্যন্ত বৈঠক স্থগিত রাখিবেন কিংবা মুলতবী করিবেন ।” সুতরাং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে কোরাম হয় ন্যূনতম ৬০ জন সংসদ সদস্যের উপস্থিতিতে।
প্রশ্নঃ আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন জাতীয় সংসদে পাস হয় কোন সালের কত তারিখে?
[ বিসিএস ২৪তম ]
রাস্তাঘাটে বিশৃঙ্খলা, যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধের দ্রুত বিচার সম্পন্ন করার জন্য জাতীয় সংসদে ২০০২ সালের ৭ এপ্রিল ‘আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) বিল ২০০২’ উত্থাপন করা হয়। ৪ এপ্রিল এ আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয় এবং ৯ এপ্রিল তা পাস হয়। এ আইনে অপরাধীদের ২ থেকে ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অতিরিক্ত অর্থদণ্ডের বিধান প্রণয়ন করা হয়েছে।
প্রশ্নঃ জাতীয় সংসদে ফোরাম হয় কত জনে?
[ বিসিএস ২১তম ]
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে কোরাম হয় নূন্যতম ৬০ জন সদস্য উপস্থিত থাকলে। ৬০ জনের কম উপস্থিত থাকলে স্পিকার বৈঠক স্থগিত করে ৫ মিনিট সময় ধরে সংসদের ঘণ্টা বাজান এতেও কোরাম না হলে স্পিকার বৈঠক মুলতবি ঘোষণা করেন।
প্রশ্নঃ জাতীয় সংসদ ভবন কত একর জমির ওপর নির্মিত?
[ বিসিএস ২১তম ]
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবন ২১৫ একর জমির ওপর নির্মিত। এটি পৃথিবীর দৃষ্টিনন্দন আইনসভা ভবনগুলোর মধ্যে অন্যতম।
এই ভবনের কিছু বিশেষত্ব নিচে উল্লেখ করা হলো:
অবস্থান: রাজধানী ঢাকার শের-ই-বাংলা নগরে অবস্থিত।
আয়তন: ২১৫ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত।
স্থাপত্য: মার্কিন স্থপতি লুই আই কানের একটি বিখ্যাত কীর্তি।
গঠন: মূল ভবনটি তিনটি অংশে বিভক্ত: মূল প্লাজা, দক্ষিণ প্লাজা এবং রাষ্ট্রপতি প্লাজা।
* উদ্বোধন: 1982 সালের ২8 জানুয়ারি এই ভবনের উদ্বোধন করা হয়।
এছাড়াও, সংসদ ভবনের পেছনে ক্রিসেন্ট লেক নামে একটি নান্দনিক জলাধার রয়েছে, যা ভবনটির সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি করেছে। প্রতি বছর প্রচুর দর্শনার্থী এই ভবনটি দেখতে আসেন।
প্রশ্নঃ সংসদ ভবনের স্থপতি কে?
[ বিসিএস ২১তম ]
সংসদ ভবনের স্থপতি লুই আই কান যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। তার শ্রেষ্ঠ স্থাপত্য নিদর্শন হলো বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবন।
প্রশ্নঃ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইনটি জাতীয় সংসদে কবে পাস করা হয়?
[ বিসিএস ২১তম ]
তবে পরবর্তীতে ২০১১ সালের ৩০ জুন তারিখে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়।
উত্তর: \[ \boxed{২৭\ \text{মার্চ}\ ১৯৯৬} \]
প্রশ্নঃ বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংখ্যা কত?
[ বিসিএস ২০তম ]
বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদ থেকেই মহিলাদের জন্য আসন সংরক্ষণ করে রাখা হয়। সে সময় সংরক্ষিত আসন ছিল ১৫ টি। সংবিধানের চতুদর্শ সংশোধনীর মাধ্যমে ৪৫ এবং পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে বর্তমানে নারীদের সংরক্ষিত আসন সংখ্যা ৫০ করা হয়েছে। সপ্তদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংরক্ষিত আসন আরও ২৫ বছরের জন্য সংরক্ষণ করা হয়।
৭ নভেম্বর, ১৯৮২ সাল থেকে কার্যকরী স্থানীয় সরকার (উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা পুনর্গঠন) অধ্যাদেশ ১৯৮২ বলে প্রথমে উন্নীত থানা পরিষদ গঠন করা হয় এবং থানা পর্যায়ে বিকেন্দ্রীভূত প্রশাসনিক ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়। পরবর্তীতে অবশ্য উন্নীত থানা পরিষদকে উপজেলা পরিষদে রূপান্তরিত করা হয়। ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে ১৯৯২ সালে উপজেলা ব্যবস্থার বিলুপ্তি ঘোষণা করে। ৩০ জুন, ২০০৮ রাষ্ট্রপতি স্থানীয় সরকার (উপজেলা পরিষদ) অধ্যাদেশ জারি করেন। এ অধ্যাদেশের আলোকেই ২২ জানুয়ারি, ২০০৯ অনুষ্ঠিত হয় তৃতীয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। দেশে সর্বশেষ পঞ্চম উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালে।
বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদ থেকেই মহিলাদের জন্য আসন সংরক্ষণ করে রাখা হয়। সে সময় সংরক্ষিত আসন ছিল ১৫ টি। সংবিধানের দশম সংশোধনীর মাধ্যমে ৩০। চতুদর্শ সংশোধনীর মাধ্যমে ৪৫ এবং পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে বর্তমানে নারীদের সংরক্ষিত আসন সংখ্যা ৫০ করা হয়েছে। সপ্তদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংরক্ষিত আসন আরও ২৫ বছরের জন্য সংরক্ষণ করা হয়।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের অধিবেশন আহ্বান করেন -
[ প্রা.বি.স.শি. 31-05-2019 ]
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের অধিবেশন আহ্বান করেন রাষ্ট্রপতি।
প্রশ্নঃ একাদশ জাতীয় সংসদের শেষ অধিবেশন শুরু হয় কখন?
[ 18th ntrca (স্কুল সমপর্যায়-২) (15-03-2024) ]
একাদশ জাতীয় সংসদের ২৫তম ও শেষ অধিবেশন শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের ২২শে অক্টোবর। এটি ২রা নভেম্বর, ২০২৩ তারিখে শেষ হয়।