আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
16

ক. সালদা
খ. হালদা
গ. পদ্মা
ঘ. কুমার
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশে কার্পজাতীয় মাছের রেণুর প্রধান উৎস হলো হালদা নদী

চট্টগ্রাম জেলার এই নদীটি প্রাকৃতিক পরিবেশে রুই, কাতলা, মৃগেল ও কালিবাউশ মাছের ডিম ছাড়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থান। প্রতি বছর বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে এই নদীতে প্রচুর পরিমাণে ডিম সংগ্রহ করা হয়, যা পরবর্তীতে পোনা উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়।

ক. চাঁদপুর
খ. ফরিদপুর
গ. ময়মনসিংহ
ঘ. ভোলা
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের মৎস্য প্রজাতি গবেষণাগার ময়মনসিংহে অবস্থিত।

এটি বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (Bangladesh Fisheries Research Institute - BFRI) অধীনে পরিচালিত হয়। ময়মনসিংহের সদর উপজেলায় অবস্থিত এই গবেষণাগারটি দেশের মৎস্য সম্পদের উন্নয়ন ও সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ক. বান্দরবান
খ. ময়মনসিংহ
গ. রাজশাহী
ঘ. দিনাজপুর
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল কঃ বান্দরবান

বাংলাদেশে মূলত পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে জুম চাষ হয়ে থাকে। বান্দরবান পার্বত্য চট্টগ্রামের একটি অংশ হওয়ায়, এখানে জুম চাষ দেখা যায়। অন্যান্য অপশনগুলো (ময়মনসিংহ, রাজশাহী, দিনাজপুর) মূলত সমতল ভূমির জেলা এবং এখানে জুম চাষ তেমন প্রচলিত নয়।

ক. চট্টগ্রাম
খ. সিলেট
গ. পঞ্চগড়
ঘ. মৌলভীবাজার
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল ঘঃ মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজার জেলায় বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি চা বাগান রয়েছে। এই জেলাটিকে "চা এর রাজধানী"ও বলা হয়ে থাকে। এখানে প্রায় ৯২টি ছোট ও বড় চা বাগান অবস্থিত। সিলেট বিভাগের অন্যান্য জেলাগুলোতেও চা বাগান রয়েছে, তবে মৌলভীবাজারের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি।

ক. ধান
খ. গম
গ. পাট
ঘ. টমেটো
ব্যাখ্যাঃ

বলাকা একটি উন্নত গমের জাত।

এছাড়াও দোয়েল, শতাব্দী, অগ্রণী, সোনালিকা, আনন্দ, আকবর, কাঞ্চন, বরকত, জোপাটিকা, ইনিয়া-৬৬ ইত্যাদি গমের উন্নত জাত।

ক. তুলা
খ. তামাক
গ. পেয়ারা
ঘ. তরমুজ
ব্যাখ্যাঃ

‘ম্যানিলা’ তামাক ফসলের একটি উন্নত জাত। এটি মূলত ফিলিপাইনের ম্যানিলা অঞ্চলের সাথে সম্পর্কিত এবং উন্নত মানের তামাক উৎপাদনের জন্য পরিচিত।

ক. BARI
খ. BRRI
গ. BADC
ঘ. BINA
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশে প্রধান বীজ উৎপাদনকারী সরকারি প্রতিষ্ঠান হলো বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (BADC)

BADC একটি স্বায়ত্তশাসিত সরকারি সংস্থা, যা বাংলাদেশে কৃষি উপকরণ সরবরাহ করে থাকে। এর প্রধান কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদন, সংগ্রহ, পরিবহন, সংরক্ষণ ও বিতরণ করা। BADC বিভিন্ন ফসলের উন্নত জাতের বীজ উৎপাদন করে কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেয়।

যদিও বাংলাদেশ বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি (BSCA) বীজের গুণমান নিয়ন্ত্রণ ও certificación প্রদান করে, এবং বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (BJRI) পাটসহ অন্যান্য আঁশ ফসলের বীজ গবেষণা ও উৎপাদন করে, প্রধান সরকারি বীজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে BADC ই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।

ক. কার্তিক-ফাল্গুন
খ. চৈত্র-বৈশাখ
গ. ভাাদ্র-অগ্রাহয়ন
ঘ. শ্রাবণ-আশ্বিন
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশে কৃষিক্ষেত্রে রবি মৌসুম একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। এটি মূলত শীতকাল এবং শীতের শেষভাগকে অন্তর্ভুক্ত করে। এই মৌসুমের কিছু বৈশিষ্ট্য এবং গুরুত্বপূর্ণ দিক নিচে তুলে ধরা হলো:

সময়কাল:

  • সাধারণত মধ্য অক্টোবর থেকে মধ্য মার্চ পর্যন্ত এই মৌসুম বিস্তৃত থাকে। তবে, অঞ্চলভেদে এর সামান্য তারতম্য দেখা যায়। কার্তিক মাস থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্তও ধরা হয়।

বৈশিষ্ট্য:

  • এই সময়ে দিনের দৈর্ঘ্য ছোট এবং রাতের দৈর্ঘ্য বড় হয়।
  • তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে কম থাকে, যা অনেক ফসলের জন্য অনুকূল।
  • বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম থাকে। এই কারণে রবি মৌসুমে চাষাবাদ মূলত সেচের উপর নির্ভরশীল
  • আকাশ সাধারণত পরিষ্কার থাকে এবং আর্দ্রতাও কম থাকে।

গুরুত্ব:

  • রবি মৌসুম বাংলাদেশের খাদ্য উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
  • এই সময়ে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য শস্য, ডাল, তেলবীজ এবং শীতকালীন সবজি চাষ করা হয়।
  • অনেক উচ্চ মূল্য সম্পন্ন ফসল যেমন - আলু, পেঁয়াজ, রসুন, বিভিন্ন ধরনের সবজি এই মৌসুমে চাষ করা হয় যা কৃষকদের অর্থনৈতিকভাবে লাভবান করে।

প্রধান ফসল:

রবি মৌসুমে বাংলাদেশে যেসব প্রধান ফসল চাষ করা হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

  • ধান: বোরো ধান এই মৌসুমের প্রধান ফসল।
  • গম
  • ভুট্টা
  • আলু
  • পেঁয়াজ
  • রসুন
  • সরিষা
  • মসুর ডাল
  • ছোলা
  • খেসারি ডাল
  • বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন সবজি যেমন - ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, গাজর, টমেটো, শিম, লাউ, পালং শাক ইত্যাদি।

পরিশেষে বলা যায়, রবি মৌসুম বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীতির একটি অপরিহার্য অংশ এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষকদের জীবিকা নির্বাহে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।

ক. নির্মাণ খাত
খ. কৃষি খাত
গ. সেবা খাত
ঘ. শিল্প কারখানা খাত
ব্যাখ্যাঃ

বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সেক্টরগুলোর মধ্যে কৃষি খাতে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান হয়।

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৩ অনুযায়ী, বিভিন্ন অর্থনৈতিক খাতে কর্মসংস্থানের চিত্রটি হলো:

  • কৃষি: ৪৫.৩৩%
  • সেবা: ৩৭.৬৫%
  • শিল্প: ১৭.০২%

সুতরাং, পরিসংখ্যা অনুযায়ী এখনও কৃষি খাতই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কর্মসংস্থান সরবরাহকারী খাত।

ক. ফরিদপুর
খ. রংপুর
গ. জামালপুর
ঘ. শেরপুর
ব্যাখ্যাঃ

বর্তমানে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি পাট উৎপন্ন হয় ফরিদপুর জেলায়। বিভিন্ন কৃষি পরিসংখ্যান ও প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ফরিদপুর জেলা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পাট উৎপাদনকারী অঞ্চল হিসেবে পরিচিত।

ক. ২ কোটি ৪০ লক্ষ একর
খ. ২ কোটি ৫০ লক্ষ একর
গ. ২ কোটি ২৫ লক্ষ একর
ঘ. ২ কোটি ২১ লক্ষ একর
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশে মোট আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার তথ্যে কিছুটা ভিন্নতা দেখা যায়। তবে, সাধারণভাবে বলা যায় এর পরিমাণ প্রায় ২ কোটি ১৫ লক্ষ থেকে ২ কোটি ১৮ লক্ষ একর এর মধ্যে।

এখানে কয়েকটি নির্ভরযোগ্য উৎসের তথ্য দেওয়া হলো:

  • কৃষি মন্ত্রণালয় (মে ২০২৫): কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে মোট আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ প্রায় ৮৮.২৯ লক্ষ হেক্টর। এটিকে একরে রূপান্তর করলে প্রায় ২ কোটি ১৮ লক্ষ ১৬ হাজার ৯৩৪ একর হয়।
  • বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (BRRI): BRRI-এর তথ্য অনুযায়ীও মোট আবাদযোগ্য জমি প্রায় ৮৮.২৯ লক্ষ হেক্টর
  • বিশ্বব্যাংক (২০২২ সালের প্রতিবেদন): বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশে মোট আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ২ কোটি ১ লক্ষ ৫৭ হাজার একর বা ৮০ লক্ষ ৩০ হাজার হেক্টর উল্লেখ করা হয়েছে।

সুতরাং, বিভিন্ন তথ্যের গড় হিসেবে বাংলাদেশে মোট আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ২ কোটি ১৫ লক্ষ থেকে ২ কোটি ১৮ লক্ষ একরের কাছাকাছি ধরা যেতে পারে।

প্রশ্নঃ জুম চাষ হয়—

[ বিসিএস ৩৮তম ]

ক. বরিশালে
খ. ময়মনসিংহে
গ. খাগড়াছড়িতে
ঘ. দিনাজপুরে
ব্যাখ্যাঃ

জুম চাষ (Jhum cultivation) হলো এক ধরনের সনাতন কৃষিপদ্ধতি, যা মূলত পাহাড়ি ও উপজাতীয় অঞ্চলে প্রচলিত। এটি 'স্থানান্তর কৃষি' (Shifting Cultivation) বা 'ঝুম চাষ' নামেও পরিচিত।

জুম চাষ পদ্ধতি:

১. জঙ্গল পরিষ্কার করা: বসন্তকালে (সাধারণত মার্চ-এপ্রিল মাসে) পাহাড়ের ঢালে বা টিলায় অবস্থিত জঙ্গল বা বন কেটে পরিষ্কার করা হয়। গাছপালা কেটে শুকানো হয়।

২. পোড়ানো: শুকনো গাছপালা পোড়ানো হয়। এই পোড়ানো ছাই সারের কাজ করে এবং মাটিকে উর্বর করে তোলে।

৩. বপন: বৃষ্টির সাথে সাথে (সাধারণত এপ্রিল-মে মাসে) লাঙল ছাড়াই ধারালো দা, কুড়াল বা কাঠের লাঠির (যেমন 'ডিবলিং স্টিক') সাহায্যে মাটির গর্ত করে একসাথে বিভিন্ন ধরনের বীজ বপন করা হয়। একই জমিতে ধান, ভুট্টা, মারফা, আদা, হলুদ, তিল, মিষ্টি কুমড়া, বেগুন, মরিচ, তুলা ইত্যাদি ফসল ফলানো হয়।

৪. ফসল সংগ্রহ: প্রায় ৬-৮ মাস পর (সাধারণত সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে) ফসল পরিপক্ক হলে তা সংগ্রহ করা হয়।

৫. পরিত্যাগ: এক বা দুই বছর ফসল ফলানোর পর যখন মাটির উর্বরতা কমে যায়, তখন সেই জমি পরিত্যাগ করে নতুন অন্য কোনো পাহাড়ি এলাকায় একই প্রক্রিয়ায় চাষাবাদ করা হয়। পরিত্যক্ত জমিতে প্রাকৃতিকভাবে আবার বন জন্মায় এবং বহু বছর পর (সাধারণত ১০-২০ বছর পর) যখন মাটি আবার উর্বর হয়, তখন সেই জমিতে পুনরায় চাষ করা যায়।

যেসব অঞ্চলে প্রচলিত:

বাংলাদেশে প্রধানত পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন পাহাড়ি উপজাতি যেমন - চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, লুসাই, খিয়াং, বম, পাংখোয়া, খুমি, ম্রো ইত্যাদি জনগোষ্ঠী জুম চাষ করে থাকে। এছাড়া ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যসমূহ (যেমন - মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, ত্রিপুরা, মেঘালয়, আসামের কিছু অংশ), দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং আফ্রিকার কিছু অংশেও এই পদ্ধতির প্রচলন আছে।

সুবিধা:

  • সার কেনার প্রয়োজন হয় না: পোড়া ছাই সারের কাজ করে।
  • কম শ্রম ব্যয়: প্রথাগত কৃষি পদ্ধতির চেয়ে কম শ্রমের প্রয়োজন হয়।
  • বিবিধ ফসল: একই জমিতে একসাথে অনেক ফসল ফলানো যায়।
  • কম কীটনাশক প্রয়োজন: পোড়ানোর ফলে কীটপতঙ্গ ও আগাছা দমন হয়।

অসুবিধা ও পরিবেশগত প্রভাব:

  • বনভূমি ধ্বংস: জুম চাষের জন্য বনভূমি কেটে পরিষ্কার করা হয়, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।
  • ভূমি ক্ষয়: বনাঞ্চল ধ্বংস হওয়ায় মাটির ক্ষয় হয় এবং বৃষ্টির কারণে মাটি ভেসে যায়।
  • উর্বরতা হ্রাস: দ্রুত মাটির উর্বরতা হ্রাস পায় এবং দীর্ঘকাল পরিত্যক্ত রাখতে হয়।
  • পরিবেশের ভারসাম্যহীনতা: জীববৈচিত্র্য নষ্ট হয় এবং কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন বৃদ্ধি পায়।
  • পাহাড়ি ঝর্ণার উপর প্রভাব: মাটির জলধারণ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় পাহাড়ি ঝর্ণাগুলো শুকিয়ে যেতে পারে।

বর্তমানে, পরিবেশ সচেতনতা এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে জুম চাষের উপর চাপ বাড়ছে। সরকার এবং বিভিন্ন এনজিও এই প্রথাগত পদ্ধতির আধুনিকীকরণ বা বিকল্প জীবিকার উৎস তৈরির চেষ্টা করছে, যাতে পরিবেশের ক্ষতি কমিয়ে জুম চাষিদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা যায়।

ক. পিসিকালচার
খ. এপিকালচার
গ. মেরিকালচার
ঘ. সেরিকালচার
ব্যাখ্যাঃ

বাণিজ্যিকভাবে মৌমাছি পালনকে এপিকালচার (Apiculture) বলা হয়। এটি মধু, মোম এবং অন্যান্য মৌমাছিজাত পণ্য সংগ্রহের জন্য মৌমাছি পালন ও ব্যবস্থাপনার একটি পদ্ধতি।

অন্যান্য বিকল্পগুলো:

  • পিসিকালচার (Pisciculture): মাছ চাষ।
  • মেরিকালচার (Mariculture): সামুদ্রিক পরিবেশে মাছ, শেলফিশ বা অন্যান্য সামুদ্রিক জীবের চাষ।
  • সেরিকালচার (Sericulture): রেশম পোকা চাষ।
ক. ডায়মন্ড
খ. রূপালী
গ. ড্রামহেড
ঘ. ব্রিশাইল
ব্যাখ্যাঃ

আলুর একটি জাত হলো: ডায়মন্ড

'ডায়মন্ড' হলো বাংলাদেশে চাষকৃত আলুর একটি পরিচিত ও উন্নত জাত।

অন্যান্য বিকল্পগুলোর ব্যাখ্যা:

  • রূপালী: এটি ধানের একটি জাত।
  • ড্রামহেড: এটি সাধারণত বাঁধাকপির একটি জাত।
  • ব্রিশাইল: এটি সম্ভবত কোনো প্রচলিত কৃষি জাত নয়, অথবা অন্য কোনো ফসলের নাম হতে পারে।
ক. আউশ ধান
খ. আমন ধান
গ. বোরো ধান
ঘ. ইরি ধান
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয়: বোরো ধান

বাংলাদেশের তিনটি প্রধান ধানের মৌসুমের মধ্যে বোরো ধানই সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয়। উচ্চ ফলনশীল (HYV) জাতের ব্যাপক ব্যবহার এবং সেচ সুবিধার কারণে বোরো ধানের উৎপাদন দেশের মোট ধান উৎপাদনের একটি সিংহভাগ পূরণ করে। এটি মূলত শুষ্ক মৌসুমে চাষ করা হয় এবং এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে কাটা হয়।

ক. BARI
খ. BRRI
গ. BADC
ঘ. BINA
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের প্রধান বীজ উৎপাদনকারী সরকারি প্রতিষ্ঠান হলো:

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (BADC)

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (BADC) হলো দেশের বৃহত্তম সরকারি প্রতিষ্ঠান যা উচ্চ ফলনশীল বিভিন্ন ফসলের বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ এবং বিতরণের কাজ করে। ধান, গম, ভুট্টা, আলু, শাকসবজি ইত্যাদি ফসলের মানসম্পন্ন বীজ কৃষকদের কাছে সুলভ মূল্যে পৌঁছে দেওয়াই তাদের প্রধান কাজ। এছাড়াও, বাংলাদেশে আরও কিছু সরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান (যেমন: BARI, BRRI, BINA) রয়েছে যারা নতুন জাত উদ্ভাবন করে, কিন্তু BADC প্রধানত উদ্ভাবিত বীজের উৎপাদন ও বিতরণে মুখ্য ভূমিকা পালন করে।

ক. আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে
খ. ভাদ্র-আশ্বিন মাসে
গ. অগ্রহায়ণ-পৌষ মাসে
ঘ. মাঘ-ফাল্গুন
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশে রোপা আমন ধান হলো এক গুরুত্বপূর্ণ ধান ফসল, যা প্রধানত বর্ষাকালে (বর্ষা মৌসুমের শেষ দিকে) আবাদ করা হয়। বাংলাদেশের মোট ধান উৎপাদনের একটি বড় অংশ আসে রোপা আমন থেকে।

রোপা আমন ধানের বৈশিষ্ট্য:

  • চারা রোপণ পদ্ধতি: রোপা আমন ধানের ক্ষেত্রে প্রথমে বীজতলায় ধানের চারা তৈরি করা হয়। এরপর সেই চারাগুলোকে নির্দিষ্ট দূরত্বে সারি করে মূল জমিতে রোপণ করা হয়। 'রোপা' নামটি এই রোপণ পদ্ধতি থেকেই এসেছে।
  • চাষের সময়কাল:
    • বীজ বপন (বীজতলায়): সাধারণত জৈষ্ঠ্য-আষাঢ় মাস (মে-জুন)।
    • চারা রোপণ (মূল জমিতে): শ্রাবণ-ভাদ্র মাস (জুলাই-আগস্ট)।
    • ধান কাটা: কার্তিক-অগ্রহায়ণ-পৌষ মাস (অক্টোবর-ডিসেম্বর), তবে অঞ্চল ও জাতভেদে এটি পরিবর্তিত হতে পারে।
  • আলোক-সংবেদনশীলতা: রোপা আমনের অনেক জাতই আলোক-সংবেদনশীল, অর্থাৎ দিনের আলোর দৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের সাথে সাথে তাদের বৃদ্ধি ও ফুল ফোটার সময় প্রভাবিত হয়। তবে, বর্তমানে আলোক-অসংবেদনশীল উচ্চফলনশীল জাতও উদ্ভাবিত হয়েছে।
  • উচ্চফলনশীল জাত (উফশী): বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) এবং বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) বিভিন্ন উচ্চফলনশীল রোপা আমন জাত উদ্ভাবন করেছে, যেমন: ব্রি ধান৪৯, ব্রি ধান৫১ (বন্যা সহনশীল), ব্রি ধান৫২ (বন্যা সহনশীল), ব্রি ধান৫৬ (খরা সহনশীল), ব্রি ধান৭০ (সুগন্ধি), ব্রি ধান৮৭, ব্রি ধান৯০, ব্রি ধান৯৩, ব্রি ধান৯৪, ব্রি ধান৯৮ ইত্যাদি।
  • জলবায়ু নির্ভরতা: এটি মূলত বৃষ্টির পানিতে চাষ হওয়া ধান। তাই আর্দ্রতা ও বর্ষার জলবায়ু রোপা আমন চাষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশে রোপা আমনের গুরুত্ব:

  • খাদ্য নিরাপত্তা: আমন ধান বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধান ফসল (বোরোর পর), যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় বিশাল ভূমিকা রাখে।
  • অর্থনীতিতে অবদান: এটি কৃষক পরিবারের আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস, যা তাদের জীবিকা নির্বাহে সহায়তা করে।
  • কর্মসংস্থান: রোপা আমন ধানের আবাদ, পরিচর্যা ও কাটার সময় বিপুল সংখ্যক শ্রমিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়।

রোপা আমন ধান বাংলাদেশের কৃষি ও অর্থনীতিতে এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।

ক. ধান
খ. কলা
গ. পাট
ঘ. গম
ব্যাখ্যাঃ

‘অগ্নিশ্বর’ হলো কলার একটি উন্নত জাত।

এটি বাংলাদেশে চাষকৃত কলার বিভিন্ন উন্নত জাতগুলোর মধ্যে অন্যতম। অন্যান্য পরিচিত জাতগুলো হলো অমৃতসাগর, সবরী, চাঁপা, কবরী, মেহেরসাগর, সিঙ্গাপুরী ইত্যাদি।

ক. পঞ্চাশ দশক
খ. ষাট দশক
গ. সত্তর দশক
ঘ. আশির দশক
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের বাগদা চিংড়ি আশির দশক (১৯৮০-এর দশক) থেকে একটি প্রধান রপ্তানি পণ্য হিসেবে স্থান করে নেয়। সত্তরের দশকের পর বিশ্ববাজারে এর চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলেই আশির দশক থেকে এর বাণিজ্যিক চাষ ও রপ্তানি দ্রুত সম্প্রসারিত হয়।

ক. উন্নত জাতের ভুট্টা
খ. উন্নত জাতের আম
গ. উন্নত জাতের গম
ঘ. উন্নত জাতের চাল
ব্যাখ্যাঃ

‘বর্ণালী’ এবং ‘শুভ্র’ হলো বাংলাদেশের কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (BARI) কর্তৃক উদ্ভাবিত উন্নত জাতের ভুট্টা (Maize)। এগুলো উচ্চ ফলনশীল এবং কৃষকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়।

ক. কুষ্টিয়া গ্রেড
খ. চুয়াডাঙ্গা গ্রেড
গ. ঝিনাইদহ গ্রেড
ঘ. মেহেরপুর গ্রেড
ব্যাখ্যাঃ

বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের চামড়া কুষ্টিয়া গ্রেড (Kushtia Grade) নামে পরিচিত।

এই প্রজাতির ছাগলের চামড়া তার উন্নত গুণগত মানের জন্য বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহসহ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে এই ছাগলের উৎপাদন বেশি হয় বলে এর চামড়া 'কুষ্টিয়া গ্রেড' নামে খ্যাতি লাভ করেছে।

ক. সাতক্ষীরা, যশোর, কুষ্টিয়া
খ. নাটোর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ
গ. বগুড়া, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম
ঘ. চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাসমূহ
ব্যাখ্যাঃ

'ঝুম' চাষ পদ্ধতি বাংলাদেশের প্রধানত পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের জেলাসমূহে দেখা যায়। এই জেলাগুলো হলো:

  • রাঙ্গামাটি
  • বান্দরবান
  • খাগড়াছড়ি

এছাড়াও, দেশের পূর্বাঞ্চলের কিছু পাহাড়ি এলাকা যেমন সিলেট এবং ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী গারো পাহাড় অঞ্চলেও সীমিত পরিসরে ঝুম চাষের প্রচলন রয়েছে।

এই চাষ পদ্ধতি সাধারণত পাহাড়ি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী দ্বারা অনুশীলন করা হয়, যেখানে বনের একটি অংশ পরিষ্কার করে (পুড়িয়ে) অস্থায়ীভাবে ফসল চাষ করা হয় এবং কয়েক বছর পর সে জমি ফেলে রেখে নতুন জমি তৈরি করা হয়।

ক. ধান-প্রধান নিবিড় স্বয়ংভোগী
খ. ধান-প্রধান বাণিজ্যিক
গ. স্বয়ংভোগী মিশ্র
ঘ. স্বয়ংভোগী শষ্য চাষ ও পশুপালন
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের কৃষি প্রধানত ধান-প্রধান নিবিড় স্বয়ংভোগী (Intensive Subsistence with Rice Dominance) প্রকারের।

এর কারণগুলো হলো:

  • ধান প্রধান (Rice-dominated): বাংলাদেশের প্রধান এবং সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত ফসল হলো ধান। দেশের প্রায় ৮০% আবাদি জমিতে ধান চাষ হয় এবং বছরে তিনবার ধান উৎপাদন করা হয়।
  • নিবিড় কৃষি (Intensive Agriculture): এখানে জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি হওয়ায় ছোট ছোট জমিতে অধিক শ্রম ও মূলধন বিনিয়োগ করে বেশি ফলন উৎপাদনের চেষ্টা করা হয়। একই জমিতে বছরে একাধিক ফসল ফলানো হয়।
  • স্বয়ংভোগী (Subsistence): কৃষকদের একটি বড় অংশ নিজেদের এবং পরিবারের খাদ্য চাহিদা মেটানোর উদ্দেশ্যেই ফসল উৎপাদন করে। যদিও বর্তমানে ধীরে ধীরে বাণিজ্যিক কৃষির দিকে প্রবণতা বাড়ছে, ঐতিহ্যগতভাবে এবং এখনও একটি বড় অংশ স্বয়ংভোগী।

তাই, সবচেয়ে উপযুক্ত বিকল্প হলো কঃ ধান-প্রধান নিবিড় স্বয়ংভোগী

ক. ইলিশ
খ. পাট
গ. রূপা
ঘ. চিংড়ি
ক. উন্নত কৃষি যন্ত্রপাতির নাম
খ. উন্নত জাতের ধানের নাম
গ. দুটি কৃষি বিষয়ক বেসরকারি সংস্থার নাম
ঘ. উন্নত জাতের গমের নাম
ক. জাতীয় পাখির নাম
খ. কৃষি সংস্থার নাম
গ. উন্নত জাতের গমের নাম
ঘ. কৃষি যন্ত্রের নাম
ক. এপিকালচার
খ. সেরিকালচার
গ. পিসিকালচার
ঘ. হর্টিকালচার
ক. ৭০ শতাংশ
খ. ৭৩ শতাংশ
গ. ৭৫ শতাংশ
ঘ. ৭৭ শতাংশ
ব্যাখ্যাঃ

অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৩ অনুসারে বাংলাদেশের GDP তে কৃষিখাতের অবদান ১১.২০%, শিল্পখাতের অবদান ৩৭.৫৬% এবং সেবা খাতের অবদান ৫১.২৪%

ক. ২ কোটি ৪০ লক্ষ একর
খ. ২ কোটি ৫০ লক্ষ একর
গ. ২ কোটি ২৫ লক্ষ একর
ঘ. ২ কোটি একর
ব্যাখ্যাঃ

এক নজরে বাংলাদেশ কৃষি পরিসংখ্যান সর্বশেষ তথ্য:
• মোট আবাদযোগ্য জমি ৮৮.২৯ লক্ষ হেক্টর
• জিডিপিতে কৃষিখাতের অবদান ১৩.২৯
• কৃষিতে নিয়োজিত জনশক্তি ২৪.৬৯
উৎস কৃষি ডাইরি-২০২২ (বিবিএস)।

ক. ৩০০ কোটি টাকা
খ. ৪০০ কোটি টাকা
গ. ৫০০ কোটি টাকা
ঘ. ৬০০ কোটি টাকা
ব্যাখ্যাঃ

২০২৩-২৪ অর্থবছরে কৃষি খাতে ভর্তুকি ধরা হয়েছে ১৭,৫৫৩ কোটি টাকা।

ক. রাজশাহী
খ. ঢাকা
গ. চট্টগ্রাম
ঘ. চাঁদপুর
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (BFRI) এর প্রধান কার্যালয় ময়মনসিংহে অবস্থিত এবং মৎস্য সম্পদের প্রকৃতি অনুযায়ী দেশে পাঁচটি গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে: 1. স্বাদু পানি কেন্দ্র - ময়মনসিংহ 2. সামুদ্রিক মৎস্য ও প্রযুক্তি কেন্দ্র - কক্সবাজার 3. চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্র - বাগেরহাট 4. নদী কেন্দ্র - চাঁদপুর 5. লোনাপানি কেন্দ্র - (এই কেন্দ্রটি কোথায় অবস্থিত, সে বিষয়ে আপনার উল্লেখ অনুপস্থিত ছিল, তবে সাধারণত এটি লোনাপানি বা লবণাক্ত পানি গবেষণার জন্য ব্যবহৃত হয়) এই গবেষণা কেন্দ্রগুলো মৎস্য সম্পদের ব্যবস্থাপনা, উন্নয়ন, এবং গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে, এবং দেশের মৎস্য খাতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

ক. গঙ্গা-কপোতাক্ষ প্রকল্প
খ. তিস্তা সেচ প্রকল্প
গ. কাপ্তাই সেচ প্রকল্প
ঘ. ফেনী সেচ প্রকল্প
ব্যাখ্যাঃ

তিস্তা সেচ প্রকল্প বাংলাদেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প। রংপুরের দোয়ানীতে তিস্তা নদীতে বাঁধ দিয়ে বৃহত্তর রংপুর ও দিনাজপুর অঞ্চলের প্রায় ৩৫টি উপজেলার প্রায় সাড়ে ১৮ লক্ষ একর জমিতে পানি সেচের ব্যবস্থা করা এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য।

প্রশ্নঃ ‘ইরাটম’ কি?

[ বিসিএস ২৬তম ]

ক. উন্নত জাতের ধান
খ. উন্নত জাতের ইক্ষু
গ. উন্নত জাতের পাট
ঘ. উন্নত জাতের চা
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উদ্ভাবিত একটি উন্নত জাতের ধানের নাম ইরাটম। এরূপ আরো কিছু উন্নতজাতের ধান হলো - ব্রি হাইব্রিড-১, চান্দিনা, মালা, বিপ্লব, দুলাভোগ, সুফলা ইত্যাদি।

ক. দুটি কৃষি যন্ত্রপাতির নাম
খ. দুটি কৃষি সংস্থার নাম
গ. উন্নতজাতের গম শস্য
ঘ. কৃষি খামারের নাম
ব্যাখ্যাঃ

বলাকা ও দোয়েল ছাড়াও উন্নতজাতের আরো কিছু গম শস্য হলো সোনালিকা, আকবর, আনন্দ, কাঞ্চন, বরকত, অগ্রণী, ইনিরা ৬৬, জোপাটেকো।

ক. পঞ্চগড়
খ. দিনাজপুর
গ. কুড়িগ্রাম
ঘ. বান্দরবান
ব্যাখ্যাঃ

পঞ্চগড় জেলায় ২০০০ সালে একটি চায়ের বাগানে চারা লাগানো হয়েছে। দেশের উত্তরাঞ্চলে পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম এ বাগানে চা রোপণ করা হয়। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ১৮৪০ সালে প্রথম চট্টগ্রামে চা বাগান তৈরির কাজ শুরু হয়। এর অব্যবহিত পরে ১৮৫৭ সালে সিলেটের মালিনীছড়ায় দেশের প্রথম বাণিজ্যিক চা বাগান প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২৪ মার্চ, ২০১৫ প্রথমবারের মতো নীলফামারীতে চা চাষ শুরু হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ চা বোর্ডের নিবন্ধনকৃত চা বাগানের সংখ্যা ১৬৭টি।

ক. মি.জে. এইচ বি হেলেন
খ. লর্ড লিনলিথগো
গ. লর্ড ক্লাইভ
ঘ. ওয়ারেন হেস্টিংস
ব্যাখ্যাঃ

গবাদি পশুর জাত উন্নয়নে পাক-ভারত উপমহাদেশে প্রথম অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন লর্ড লিনলিথগো। তিনি ছিলেন একজন ব্রিটিশ ইউনিয়নবাদী রাজনীতিবিদ, কৃষিবিদ এবং ঔপনিবেশিক প্রশাসক। তিনি ১৯৩৬ থেকে ১৯৪৩ সাল পর্যন্ত ভারতের গভর্নর জেনারেল এবং ভাইসরয়ের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

ক. সিরাজগঞ্জ
খ. দিনাজপুর
গ. বরিশাল
ঘ. ফরিদপুর
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশে গো-চারণের জন্য বাথান রয়েছে দুটি জেলায়। যথা-পাবনা ও সিরাজগঞ্জ।

ক. রাজশাহী
খ. চট্টগ্রাম
গ. সিলেট
ঘ. সাভার
ব্যাখ্যাঃ

কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামার মূলত একটি গবেষণা ও সোবামূলক প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি ঢাকা বিভাগের ঢাকাদ জেলার অন্তর্গত সাভার উপজেলাধীন আাশুলিয়া থানায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক সংলগ্ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপরীত পাশে অবস্থিত।

ক. ইউরোপের হল্যান্ড থেকে
খ. দক্ষিণ আমেরিকার পেরু-চিলি থেকে
গ. আফ্রিকার মিশর থেকে
ঘ. এশিয়ার থাইল্যান্ড থেকে
ব্যাখ্যাঃ

ব্রিটিশ গভর্নর ওয়ারেন হেস্টিংসের উদ্যোগে নেদারল্যান্ডস বা হল্যান্ড থেকে আগত আলু বাংলাদেশে চাষের বিস্তার লাভ করে। বাংলাদেশে চাষকৃত উন্নতজাতের কয়েকটি আলু হলো- হীরা, ডায়ামন্ড, কার্ডিনাল, চমক, কুফরি সুন্দরী, রাজা, বারাকা, জারলা, বিনেলা, গ্রানোলা ইত্যাদি।

ক. সিলেটের মালনীছড়ায়
খ. সিলেটের তামাবিলে
গ. পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়িতে
ঘ. সিলেটের জাফলং এ
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশে প্রথম চা চাষ আরম্ভ হয় ১৮৪০ সালে চট্টগ্রাম জেলা শহরের ক্লাব সংলগ্ন এলাকায়। ১৮৫৪ সালে সিলেটের মালনীছড়ায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে প্রথম চা চাষ শুরু হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে মোট ১৬৭টি চা বাগান রয়েছে। এর মধ্যে মৌলভীবাজার জেলায় ৯১টি, হবিগঞ্জ জেলায় ২৫টি, সিলেট জেলায় ১৯টি, চট্টগ্রাম জেলায় ২১টি, রাঙামাটি জেলায় ২টি, পঞ্চগড় জেলায় ৮টি এবং ঠাকুরগাঁও জেলায় ১টি চা বাগান রয়েছে। বাংলাদেশে প্রথম অর্গানিক চা উৎপাদন শুরু হয় ২০০০ সালে পঞ্চগড় জেলায়।

ক. ৮০
খ. ৭৫
গ. ৩২
ঘ. ১০
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২২ অনুসারে, বাংলাদেশের GDP- তে কৃষিখাতের অবদান ১১.৫০%।

ক. আবাসিক
খ. কৃষি
গ. পরিবহন
ঘ. শিল্প
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। আর কৃষিকার্যের জন্য পানির ব্যবহার অপরিহার্য। তাই বাংলাদেশের পানি সম্পদের চাহিদা সবচেয়ে বেশি কৃষিখাতে।

ক. ১৮ সেন্টিমিটার
খ. ২০ সেন্টিমিটার
গ. ২৩ সেন্টিমিটার
ঘ. ২৫ সেন্টিমিটার
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস সম্পদের অবদান অনস্বীকার্য। তাই দেশের মৎস সম্পদ সংরক্ষণে সরকার মৎস্য আইনে ২৩ সেন্টিমিটারের (প্রায় ৯ ইঞ্চি) কম দৈর্ঘ্যের রুই (কার্প) জাতীয় মাছ ধরা নিষিদ্ধ করে।

ক. ১৪ কোটি পাউন্ড
খ. ১৩ কোটি পাউন্ড
গ. ১০.৫ কোটি পাউন্ড
ঘ. ৯.৫ কোটি পাউন্ড
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশে বার্ষিক চা উৎপাদনের পরিমাণ প্রতি বছর পরিবর্তনশীল। ২০২৩ সালে বাংলাদেশে রেকর্ড পরিমাণ ১০ কোটি ২৯ লাখ কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে। যা বাংলাদেশের চা চাষের ১৭০ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ উৎপাদন।

এছাড়াও, ২০২১ সালে দেশে ৯ কোটি ৬৫ লাখ কেজি চা উৎপাদিত হয়েছিল। এর আগে ২০১৯ সালে চা উৎপাদিত হয়েছিল ৯ কোটি ৬০ লাখ কেজি।

২০২৪ সালে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে চা উৎপাদন কিছুটা কমেছে। এ বছর ৯ কোটি ৩০ লাখ কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে।

ক. ৩.৫ মণ
খ. ৫ মণ
গ. ৪.৫ মণ
ঘ. ৫ মণ
ক. রাজশাহী
খ. ফরিদপুর
গ. রংপুর
ঘ. যশোর
ব্যাখ্যাঃ

কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষগ্রন্থ ২০১৯ অনুসারে বর্তমানে তুলা উৎপাদনে শীর্ষ জেলা ঝিনাইদহ। পাট উৎপাদনে শীর্ষ জেলা ফরিদপুর। আম উৎপাদনে শীর্ষ জেলা রাজশাহী। তামাক উৎপাদনে শীর্ষ জেলা কুষ্টিয়া।

ক. রংপুর
খ. ময়মনসিংহ
গ. টাঙ্গাইল
ঘ. ফরিদপুর
ব্যাখ্যাঃ

বর্তমানে পাট উৎপাদনে শীর্ষ জেলা ফরিদপুর। ধান, কাঁঠাল ও মাছ উৎপাদনে শীর্ষ জেলা ময়মনসিংহ।

ক. ২ কোটি ৪০ লক্ষ একর
খ. ২ কোটি ৫০ লক্ষ একর
গ. ২ কোটি একর
ঘ. ২ কোটি ২৫ লক্ষ একর
ব্যাখ্যাঃ

কৃষি পরিসংখ্যানের ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের মোট আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ৮৮.২৯ লক্ষ হেক্টর।

ক. ইরি-৮
খ. ইরি-১
গ. ইরি-২০
ঘ. ইরি-৩
ব্যাখ্যাঃ

ইরি-৮ নামক ‘উফশি’ অর্থাৎ উচ্চ ফলনশীল ধান বাংলাদেশে প্রথম চালু হয়।

ক. দু’টি উন্নত জাতের গমশস্য
খ. দু’টি উন্নত জাতের ধানশস্য
গ. দু’টি উন্নত জাতের ভুট্টাশস্য
ঘ. দু’টি উন্নতজাতের ইক্ষু
ব্যাখ্যাঃ

বলাকা ও দোয়েল ছাড়াও উন্নতজাতের আরো কিছু গম শস্য হলো সোনালিকা, আকবর, আনন্দ, কাঞ্চন, বরকত, অগ্রণী, ইনিয়া ৬৬, জোপাটিকা।

ক. পেয়ারা
খ. কলা
গ. পেঁপে
ঘ. জামরুল
ব্যাখ্যাঃ

অগ্নিশ্বর, কানাইবাঁশি, মোহনবাঁশি ও বীটজবা উন্নত জাতের কলার নাম। এছাড়াও বাংলাদেশে আরো কিছু জাতের কলার চাষ হয়, যেমন- অমৃতসাগর, মেহেরসাগর, সবরি, সিঙ্গাপুরী, চাঁপা ইত্যাদি।

ক. সোনার বাংলা
খ. বাংলামতি
গ. ব্রি বঙ্গবন্ধু-১০০
ঘ. ব্রি-৪৪
ব্যাখ্যাঃ

২০১৩ প্রথম ব্রি-৬২ নামে জিংক সমৃদ্ধ একটি নতুন ধানের জাত উদ্ভাবনের ঘোষণা দেন ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের বিজ্ঞানীরা। এরপর একে একে আসে ব্রি-৬৪, ব্রি-৭২, ব্রি-৭৪, ব্রি-৮৪ এবং ব্রি-১০০। এই জাতগুলোর ধান সাধারণ ধানের তুলনায় বেশি জিংক সমৃদ্ধ, যা মানবদেহের জন্য খুবই উপকারী।

ক. ফরিদুল আলম
খ. মাকসুদুল আলম
গ. শহীদুল আলম
ঘ. মোঃ জলিল
ব্যাখ্যাঃ

পাটের জীবনরহস্য (জিনোম সিকোয়েন্স) উন্মোচনকারী দলের নেতা ছিলেন বাংলাদেশী বিজ্ঞানী ড. মাকসুদুল আলম

২০১০ সালে তাঁর নেতৃত্বে একদল বিজ্ঞানী তোষা পাটের জীবনরহস্য এবং ২০১৩ সালে দেশি পাটের জীবনরহস্য উন্মোচন করেন। এটি বাংলাদেশের বিজ্ঞান গবেষণায় একটি যুগান্তকারী অর্জন হিসেবে বিবেচিত হয়।

ক. ৫০%
খ. ৬০%
গ. ৭০%
ঘ. ৮০%
ব্যাখ্যাঃ

তথ্য অনুযায়ী:

  • ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশের মোট ধানি জমির ৮১ শতাংশে উচ্চ ফলনশীল ধান চাষ হচ্ছে।
  • ২০০৯-১০ অর্থবছরে তা ছিল ৭৩ শতাংশ।
  • দেশের মোট আবাদি জমির শতকরা ৮০ ভাগ জমিতে ধানের চাষ হয়।