প্রশ্নঃ ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্রের পরিচালক কে?
[ বিসিএস ৪৬তম ]
‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্রের পরিচালক হলেন শ্যাম বেনেগাল।
তিনি একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক এবং এই ছবিটি বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে।
প্রশ্নঃ ‘রেহেনা মরিয়ম নূর’ চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেন-
[ বিসিএস ৪৩তম ]
‘রেহেনা মরিয়ম নূর’ চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেন আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ।
প্রশ্নঃ নিচের কোনটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র?
[ বিসিএস ৪২তম ]
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কিছু উল্লেখযোগ্য স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এবং তাদের পরিচালকদের নাম নিচে দেওয়া হলো:
- আগামী (১৯৮৪): এটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। এর পরিচালক ছিলেন মোরশেদুল ইসলাম।
- হুলিয়া (১৯৯৫): এই চলচ্চিত্রের পরিচালক তানভীর মোকাম্মেল। এটি কবি নির্মলেন্দু গুণের কবিতা অবলম্বনে নির্মিত।
- ছানা ও মুক্তিযুদ্ধ (১৯৯৮): এটি পরিচালনা করেন বাদল রহমান।
- শোভনের একাত্তর (২০০০): এই শিশুতোষ চলচ্চিত্রটির পরিচালক ছিলেন দেবাশীষ সরকার।
- শরৎ ’৭১ (২০০০): এটিও মোরশেদুল ইসলাম পরিচালনা করেন।
- একাত্তরের মিছিল (২০০১): এই চলচ্চিত্রের পরিচালক ছিলেন কবরী সারোয়ার।
- ওমর ফারুকের মা (২০০৪): এটি পরিচালনা করেন জাহিদুর রহমান বিপ্লব।
- জন্ম (২০১৮): ভিকি জাহেদ নির্মিত এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মুক্তি পায়।
- জয় বাংলা: সাম্প্রতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, যার পরিচালক শায়লা রহমান তিথি।
এছাড়াও আরও অনেক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে যা মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছে। এই চলচ্চিত্রগুলো মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও চেতনা নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
প্রশ্নঃ ‘Let There Be light ‘ – বিখ্যাত ছবিটি পরিচালনা করেন-
[ বিসিএস ৪০তম ]
"Let There Be Light" একটি অসমাপ্ত ইংরেজি ভাষার চলচ্চিত্র, যা বাংলাদেশের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা জহির রায়হান পরিচালনা করেছিলেন। তিনি এই চলচ্চিত্রটিকে তাঁর স্বপ্নের প্রকল্প হিসেবে বিবেচনা করতেন। ১৯৭০ সালে চলচ্চিত্রটির কিছু অংশ চিত্রায়িত হলেও, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের কারণে এটি সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়নি ।
চলচ্চিত্রটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন ববিতা এবং ওমর চিশতী। জহির রায়হান নিজেই এর চিত্রগ্রহণের দায়িত্ব পালন করেন। চলচ্চিত্রটির সংগীত পরিচালনা করেন আলতাফ মাহমুদ।
যদিও চলচ্চিত্রটির কিছু ফুটেজ বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে সংরক্ষিত রয়েছে, তবে এটি এখনও সম্পূর্ণভাবে মুক্তি পায়নি।
প্রশ্নঃ ‘মাটির ময়না’ চলচ্চিত্রের নির্মাতা কে?
[ বিসিএস ৩৫তম ]
‘মাটির ময়না’ চলচ্চিত্রের নির্মাতা হলেন তারেক মাসুদ।
এটি তাঁর পরিচালিত প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এবং এটি ২০০২ সালে মুক্তি পায়। চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রেক্ষাপটে নির্মিত এবং আন্তর্জাতিকভাবে বেশ প্রশংসিত হয়েছে।
প্রশ্নঃ ‘জীবনঢুলী’ কি?
[ বিসিএস ৩৫তম ]
‘জীবনঢুলী’ হলো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি চলচ্চিত্র (সিনেমা)।
এটি নির্মাণ করেছেন বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক তানভীর মোকাম্মেল। চলচ্চিত্রটি ২০১৪ সালে মুক্তি পায় এবং এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত হয়েছে।
প্রশ্নঃ ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’ চলচ্চিত্রের পরিচালক কে?
[ বিসিএস ২৬তম ]
‘সূর্য দীঘল বাড়ি’ উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্র নির্মিত হয় শেখ নিয়ামত আলী এবং মসিহউদ্দিন শাকেরের পরিচালনায়। আর মূল উপন্যাসটির রচয়িতা আবু ইসহাক। অন্যদিকে জহির রায়হান পরিচালিত চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে- কাঁচের দেয়াল (১৯৬৩), সঙ্গম (১৯৬৪), বেহুলা (১৯৬৬), জীবন থেকে নেয়া (১৯৭০), Stop Genocide (প্রামাণ্য চলচ্চিত্র), A state is Born (প্রামাণ্য চলচিত্র) ইত্যাদি।
প্রশ্নঃ ‘মনপুরা-৭০’ কি?
[ বিসিএস ২৬তম ]
১৯৭০ সালের ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাসের প্রেক্ষাপট নিয়ে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের আঁকা চিত্রকর্ম হলো ‘মনপুরা-৭০’।
প্রশ্নঃ 'মুখ ও মুখোশ' চলচ্চিত্রের পরিচালক কে?
[ প্রা.বি.স.শি. 29-03-2024 ]
'মুখ ও মুখোশ' চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন আব্দুল জব্বার খান।
এটি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সবাক চলচ্চিত্র হিসেবে ১৯৫৬ সালের ৩ আগস্ট মুক্তি পায়। আব্দুল জব্বার খান কেবল এই চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেননি, তিনি এর কাহিনীকার এবং অভিনেতাও ছিলেন। চলচ্চিত্রটি তার লেখা 'ডাকাত' নামক একটি নাটক অবলম্বনে নির্মিত হয়েছিল।
'মুখ ও মুখোশ' নির্মাণে আব্দুল জব্বার খানকে অনেক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়েছিল, কারণ সেই সময় পূর্ব পাকিস্তানে চলচ্চিত্র নির্মাণের তেমন কোনো অবকাঠামো ছিল না। তবুও, তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এই ছবিটি নির্মিত হয় এবং বাঙালি চলচ্চিত্র শিল্পের ইতিহাসে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।
প্রশ্নঃ মাটির ময়না চলচ্চিত্রের নির্মাতা কে?
[ প্রা.বি.স.শি. 08-12-2023 ]
তারেক মাসুদ ছিলেন একজন বিখ্যাত বাংলাদেশী চলচ্চিত্র নির্মাতা, পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার, লেখক এবং গীতিকার। তিনি ১৯৫৬ সালের ৬ ডিসেম্বর ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার নূরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার মায়ের নাম নুরুন নাহার মাসুদ এবং বাবার মশিউর রহমান মাসুদ।
তারেক মাসুদ তার কর্মজীবনে বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে:
মুক্তির গান
মাটির ময়না
আদম সুরত
রানওয়ে
* অন্তর্যাত্রা
২০০২ সালে তার নির্মিত প্রথম সিনেমা 'মাটির ময়না' মুক্তি পায়। সিনেমাটি তার শৈশবের মাদরাসা জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে নির্মিত হয়েছিল। যেটি ওই বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়।
তারেক মাসুদ ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট মানিকগঞ্জের ঘিওরে এক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। চলচ্চিত্রে তার অবদানের জন্য ২০১২ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করে।
প্রশ্নঃ ৭৫ তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে নিচের কোন চলচ্চিত্রটির ট্রেলার উদ্বোধন করা হয়?
[ প্রা.বি.স.শি. (৩য় ধাপ) 03-06-2022 ]
৭৫তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে "মুজিব: একটি জাতির রূপকার " চলচ্চিত্রটির ট্রেলার উদ্বোধন করা হয়।
এটি একটি ঐতিহাসিক চলচ্চিত্র যা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের উপর নির্মিত।
এটি বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে।
চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন শ্যাম বেনেগাল।
চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধুর অবদানকে তুলে ধরে।
এই চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়কে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরেছে।
প্রশ্নঃ ‘স্টপ জেনোসাইড’ প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের মূল বিষয়বস্তু–
[ প্রা.বি.স.শি. (৩য় ধাপ) 03-06-2022 ]
"স্টপ জেনোসাইড" প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের মূল বিষয়বস্তু হলো ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত গণহত্যা, নির্যাতন, এবং শরণার্থীদের দুর্দশা।