আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
15

ক. কিলাে-ক্লাস
খ. মিং-ক্লাস
গ. ডলফিন-ক্লাস
ঘ. শ্যাং-ক্লাস
উত্তরঃ মিং-ক্লাস
ব্যাখ্যাঃ

চীন থেকে ক্রয়কৃত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ডুবোজাহাজ দুটি মিং-ক্লাস (Type 035G) শ্রেণির। এই ডুবোজাহাজ দুটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে নবযাত্রা (BNS Nabajatra) এবং জয়যাত্রা (BNS Joyjatra) নামে কমিশন লাভ করেছে।

ক. ১৯৯৩
খ. ১৯৯৭
গ. ১৯৯৯
ঘ. ২০০১
উত্তরঃ ১৯৯৭
ব্যাখ্যাঃ

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি, যা পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের দীর্ঘদিনের সংঘাতময় পরিস্থিতির অবসান ঘটিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল।

প্রেক্ষাপট: বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে, বিশেষ করে বাঙালি বসতি স্থাপনকারী এবং স্থানীয় আদিবাসী জুম্ম জনগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ভূমি, সংস্কৃতি, পরিচয় এবং স্বায়ত্তশাসনের অধিকার নিয়ে জটিলতা ও সংঘাত চলছিল। এই সংঘাত এক পর্যায়ে সশস্ত্র রূপ ধারণ করে, যেখানে 'পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি' (PCJSS) এবং এর সশস্ত্র শাখা 'শান্তিবাহিনী' স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। দীর্ঘদিন ধরে চলা এই সংঘাতময় পরিস্থিতি অঞ্চলটির উন্নয়ন, শান্তি ও স্থিতিশীলতার পথে বড় বাধা ছিল।

চুক্তি স্বাক্ষর: দীর্ঘ আলাপ-আলোচনা, মধ্যস্থতা এবং কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পর ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকার এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে এই শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

  • সরকারের পক্ষে: তৎকালীন চিফ হুইপ আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ (বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে)
  • জনসংহতি সমিতির পক্ষে: পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা)

চুক্তির প্রধান বিষয়বস্তু/ধারা: শান্তিচুক্তিতে চারটি প্রধান অংশে বিভক্ত করে মোট ৭২টি ধারা রয়েছে, যার মূল উদ্দেশ্য ছিল পার্বত্য চট্টগ্রামের বিশেষত্ব বজায় রেখে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা। এর প্রধান বিষয়বস্তুগুলো ছিল:

১. পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ গঠন:

  • পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল স্থানীয় পরিষদগুলোর সমন্বয়ে একটি আঞ্চলিক পরিষদ গঠিত হবে, যার চেয়ারম্যান হবেন আদিবাসী জনগোষ্ঠীর একজন।
  • এই পরিষদ ভূমি ব্যবস্থাপনা, আইন-শৃঙ্খলা, স্থানীয় উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ ইত্যাদি বিষয়ে ক্ষমতা পাবে।

২. জেলা পরিষদগুলোর ক্ষমতা বৃদ্ধি:

  • রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোকে আরও ক্ষমতা ও কার্যাবলী প্রদান করা হবে।
  • এই পরিষদগুলোর চেয়ারম্যান হবেন সংশ্লিষ্ট জেলার আদিবাসী প্রতিনিধি।

৩. জুম্ম শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসন:

  • ভারত থেকে প্রত্যাগত জুম্ম শরণার্থী এবং অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুতদের যথাযথ পুনর্বাসন করা হবে।
  • একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া তত্ত্বাবধানের জন্য।

৪. ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন গঠন:

  • পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি সংক্রান্ত সকল বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য একটি স্বাধীন ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন গঠিত হবে।
  • আদিবাসীদের ঐতিহ্যবাহী ভূমি অধিকারের স্বীকৃতি ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে।

৫. শান্তিবাহিনী বিলুপ্তি ও অস্ত্র সমর্পণ:

  • শান্তিবাহিনী তাদের সকল অস্ত্র সমর্পণ করবে এবং সাধারণ জীবনে ফিরে আসবে।
  • সরকার তাদের সাধারণ ক্ষমা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে।

৬. সেনাবাহিনী প্রত্যাহার:

  • পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পগুলো ধীরে ধীরে প্রত্যাহার করা হবে। তবে, স্থায়ী ক্যান্টনমেন্টগুলো বহাল থাকবে।

৭. আদিবাসী পরিচিতি ও সংস্কৃতি সুরক্ষা:

  • পার্বত্য অঞ্চলের আদিবাসী জনগোষ্ঠীগুলোর স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক পরিচিতি, ঐতিহ্য ও প্রথাগত অধিকারের স্বীকৃতি ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে।

চুক্তির গুরুত্ব ও প্রভাব:

  • সংঘাতের অবসান: এই চুক্তির ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রায় দুই দশকের সশস্ত্র সংঘাতের অবসান ঘটে এবং শান্তি ফিরে আসে।
  • জাতিগত স্বীকৃতি: এটি আদিবাসী জনগোষ্ঠীগুলোর স্বতন্ত্র পরিচিতি ও অধিকারের প্রতি রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির একটি বড় ধাপ ছিল।
  • উন্নয়নের পথ উন্মোচন: শান্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা এবং পর্যটন বিকাশের পথ সুগম হয়।
  • আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি: এটি বাংলাদেশের একটি সফল শান্তিচুক্তি হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত হয়।

বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ: চুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকে এর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন নিয়ে কিছু ধীরগতি ও চ্যালেঞ্জ দেখা গেছে। ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের কার্যকারিতা, সেনাবাহিনীর পূর্ণ প্রত্যাহার, এবং আঞ্চলিক ও জেলা পরিষদগুলোর কার্যকর ক্ষমতায়ন নিয়ে এখনও কিছু বিতর্ক ও অসন্তোষ বিদ্যমান। তবে, চুক্তির মাধ্যমে যে শান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তা পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের জন্য এক নতুন আশার সঞ্চার করেছে।

সর্বোপরি, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি মাইলফলক, যা সংঘাত নিরসন ও জাতিগত সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় এক অনন্য উদাহরণ স্থাপন করেছে।

ক. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়
খ. প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়
গ. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ
ঘ. ডাক, তার ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়
উত্তরঃ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান (স্পারসো) প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি সরকারি স্বায়ত্তশাসিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান।

এটি ঢাকা শহরের আগারগাঁওয়ে অবস্থিত। ১৯৮০ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়।