ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে যাদের অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, তারা হলেন:
- স্যার ফিলিপ হার্টগ: লর্ড কার্জনের গঠিত নাথান কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেন এবং পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
- নবাব স্যার সলিমুল্লাহ: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য জমি দান এবং আর্থিক সহায়তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
- শেরেবাংলা এ. কে. ফজলুল হক: বঙ্গীয় আইন পরিষদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য জোরালো বক্তব্য রাখেন এবং সমর্থন জানান।
- পন্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী: বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পক্ষে জোরালো সমর্থন দেন।
- জাস্টিস স্যার সৈয়দ শামসুল হুদা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়ায় আইনি ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
- অন্যান্য: এছাড়াও আরো অনেক শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী এবং সমাজসেবক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন।
প্রশ্নঃ ফিশারিজ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট কোথায় অবস্থিত?
[ বিসিএস ৩৬তম ]
বাংলাদেশে একাধিক ফিশারিজ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট বা মৎস্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যা মৎস্য খাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
প্রধান কিছু প্রতিষ্ঠান হলো:
-
মৎস্য প্রশিক্ষণ একাডেমি, সাভার, ঢাকা: এটি মৎস্য অধিদপ্তরের অধীনস্থ একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। এটি ১৯৫২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং মৎস্য সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে জনবলের জ্ঞান ও দক্ষতার উন্নয়নে প্রশিক্ষণ প্রদান করে। এর প্রধান কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মৌলিক সম্প্রসারণ, আধুনিক মৎস্যচাষ ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া।
-
মৎস্য প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, চাঁদপুর: এটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, যা চাঁদপুর জেলায় অবস্থিত। এটি মৎস্য অধিদপ্তর পরিচালিত একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।
-
বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ একাডেমি (BMFA), চট্টগ্রাম: এটি চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার অন্তর্গত ইছানগর এলাকায় অবস্থিত। এটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পেশাদার স্নাতক (অনার্স) কোর্স প্রদান করে, যা সামুদ্রিক মৎস্য খাতে দক্ষ জনবল তৈরিতে সহায়ক।
-
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (BFRI) এর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম: যদিও এটি মূলত একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান (ময়মনসিংহে সদর দপ্তর), এটি তার বিভিন্ন কেন্দ্র (যেমন: ময়মনসিংহ, চাঁদপুর, খুলনা, কক্সবাজার, বাগেরহাট) ও উপকেন্দ্রের মাধ্যমে মৎস্য চাষি, গবেষক এবং সম্প্রসারণ কর্মীদের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচিও আয়োজন করে।
সুতরাং, বাংলাদেশে 'ফিশারিজ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট' নামে নির্দিষ্ট একটি প্রতিষ্ঠান না থাকলেও, মৎস্য খাতের প্রশিক্ষণের জন্য উল্লিখিত একাধিক প্রতিষ্ঠান বিদ্যমান।
প্রশ্নঃ শিক্ষা বিভাগের ট্রেনিংয়ের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান কোনটি?
[ বিসিএস ২৬তম ]
বিয়াম (BIAM) -এর পূর্ণরূপ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট। এ প্রতিষ্ঠানটি বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের ট্রেনিং প্রদান করে। নায়েম (NIEAM) -এর পূর্ণরূপ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব এডুকেশনাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট। এটি শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষা প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ট্রেনিং প্রদান করে। টিটিসি (TTC) -এর পূর্ণরূপ হলো টিচার্স ট্রেনিং কলেজ। এটি বিএড ট্রেনিং প্রদান করে। ইউজিসি (UGC) হলো ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্ট কমিশন বা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। এটি সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে যোগাযোগ বা মধ্যস্থতা বিধান করে।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশে চিনি শিল্পের ট্রেনিং ইনস্টিটিউট কোথায় অবস্থিত?
[ বিসিএস ২৬তম ]
ঈশ্বরদীতে অবস্থিত বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ইক্ষুর ওপর নানা গবেষণা ও ইক্ষু চাষের ওপর নানা প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকে। এ প্রতিষ্ঠানটি ৩০টি উন্নত জাতের উচ্চ ফলনশীল আখ উদ্ভাবন করেছে। বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট-এর বর্তমান নাম বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট।
প্রশ্নঃ উপমহাদেশীয়দের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভাইস চ্যান্সেলর–
[ বিসিএস ২৫তম | বিসিএস ১০তম ]
উপমহাদেশীয়দের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভাইস চ্যান্সেলর ছিলেন স্যার আহমদ ফজলুর (এ. এফ রহমান, ১৮৮৯-১৯৪৫)। ১৯৩৪ থেকে ১৯৩৬ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (BCS) ক্যাডার কতটি?
[ বিসিএস ২৩তম | বিসিএস ২১তম ]
বর্তমানে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (BCS) ২৬টি ক্যাডার রয়েছে। পূর্বে ২৭টি ক্যাডার ছিল।
২০১৮ সালের ১৩ নভেম্বর পিএসসির সুপারিশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ইকোনমিক ক্যাডারকে প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে একীভূত করে গেজেট প্রকাশ করে। ফলে বিসিএস ক্যাডারের সংখ্যা ২৭টি থেকে কমে ২৬টি হয়।
এই ২৬টি ক্যাডারকে সাধারণত দুইটি ভাগে ভাগ করা হয়:
১. সাধারণ ক্যাডার (General Cadre): এই ক্যাডারে সাধারণত প্রশাসন, পুলিশ, আনসার, পররাষ্ট্র ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভুক্ত।
২. কারিগরি বা পেশাগত ক্যাডার (Technical/Professional Cadre): এই ক্যাডারে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, প্রকৌশল, ইত্যাদি পেশাগত বিষয় অন্তর্ভুক্ত।
BCS ক্যাডার একটি সম্মানজনক এবং গুরুত্বপূর্ণ পেশা। এই পেশায় যোগদানের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে সরাসরি অবদান রাখা যায়।
প্রশ্নঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় কোন সালে?
[ বিসিএস ২২তম ]
বঙ্গভঙ্গ রদ হলে ব্রিটিশ সরকার পূর্ববঙ্গে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয় এবং এজন্য ১৯১২ সালে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট নাথান কমিশন গঠিত হয়। ঢাকার নবাব সলিমুল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি দান করেন। কলকাতার হিন্দুদের ব্যাপক বিরোধিতা সত্ত্বেও ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চালু হয়।
প্রশ্নঃ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য কে ছিলেন?
[ বিসিএস ১৯তম ]
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ১৮ আগস্ট, ১৯৬১ সালে ময়মনসিংহে প্রতিষ্ঠিত হয়। ড. ওসমান গণি ছিলেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য এবং বর্তমান উপাচার্য হলেন অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান।
প্রশ্নঃ বাংলা একাডেমি কোন বছর প্রতিষ্ঠিত হয়?
[ বিসিএস ১৬তম ]
বাংলা ভাষা সংক্রান্ত সর্ববৃহৎ গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমি ১৯৫৫ সালের ৩ ডিসেম্বর (১৩৬২ বঙ্গাব্দের ১৭ অগ্রহায়ণ) ঢাকার বর্ধমান হাউজে প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশের সরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা কত?
[ বিসিএস ১৫তম ]
দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা ৩৮টি। এর মধ্যে সাধারণ এমবিবিএস মেডিকেল কলেজ ৩৬টি, ইউনানী অ্যান্ড আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ ১টি ও হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ১টি রয়েছে।
প্রশ্নঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয় কোন সালে?
[ বিসিএস ১৩তম ]
প্রখ্যাত আইনজীবী মাদার বখশ এবং প্রফেসর ইতরাত হোসেন জুবেরীর প্রচেষ্টায় ১৯৫৩ সালের ৩১ মার্চ প্রাদেশিক আইনসভায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা আইন পাশ হয় এবং একই বছরের ৬ জুলাই প্রফেসর ইতরাত হোসেন জুবেরীকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে।
প্রশ্নঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়–
[ বিসিএস ১০তম ]
বঙ্গভঙ্গ রদ হলে ব্রিটিশরা পূর্ববঙ্গে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয় এবং এজন্য ১৯১২ সালে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট নাথান কমিশন গঠিত হয়। ঢাকার নবাব সলিমুল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি দান করেন। কলকাতার হিন্দুদের ব্যাপক বিরোধিতা সত্ত্বেও ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চালু হয়। পরবর্তীতে এটি প্রাচ্যের অক্সফোর্ড নামে খ্যাতি অর্জন করে।
প্রশ্নঃ নিচের কোন সূচকটি প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মানের পরিমাপক?
[ প্রা.বি.স.শি. (৩য় ধাপ) 03-06-2022 ]
প্রশ্নঃ জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ কত সালে প্রবর্তন করা হয়?
[ প্রা.বি.স.শি. 22-04-2022 ]
জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ ২০১১ সালে প্রবর্তন করা হয়।
এই সপ্তাহটি মূলত প্রাথমিক শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের লক্ষ্যে পালিত হয়। ২০১১ সালের ৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই সপ্তাহটি প্রতি বছর বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে উদযাপিত হয়।
প্রশ্নঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় কোন সনে?
[ প্রা.বি.স.শি. 31-05-2019 ]
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ইতিহাস
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (Dhaka University) বাংলাদেশের প্রাচীনতম এবং সর্ববৃহৎ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এটি দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি, রাজনীতি ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে এক অসাধারণ ভূমিকা পালন করেছে। এর প্রতিষ্ঠা ছিল বাঙালি মুসলিম সমাজের শিক্ষা ও সামাজিক অগ্রগতির এক গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।
প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পেছনে বেশ কিছু ঐতিহাসিক কারণ এবং দীর্ঘদিনের দাবি কাজ করেছিল:
-
বাংলার বিভাজন (বঙ্গভঙ্গ) ও মুসলিম সমাজের দাবি: ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ হয় এবং ঢাকা পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশের রাজধানী হয়। এ সময় ঢাকার মুসলিম সমাজে শিক্ষার প্রসারের জন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জোরালো হয়। বঙ্গভঙ্গ রদ হওয়ার পর (১৯১১ সাল) মুসলিম সমাজের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দেয়। এই অসন্তোষ প্রশমনের জন্য এবং মুসলিমদের জন্য উচ্চশিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির প্রতিশ্রুতি হিসেবে ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ধারণাটি সামনে আসে।
-
লর্ড হার্ডিঞ্জের প্রতিশ্রুতি: ১৯১১ সালের ৩১শে জানুয়ারি, তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জ ঢাকা সফরে এসে মুসলিম নেতৃবৃন্দের (যেমন নবাব সলিমুল্লাহ, নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী, শের-ই-বাংলা এ.কে. ফজলুল হক প্রমুখ) দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেন।
-
নাথান কমিটি: এই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়নের জন্য ১৯১২ সালের ২৭শে মে 'নাথান কমিটি' (Nathan Committee) গঠন করা হয়। কমিটির প্রধান ছিলেন তৎকালীন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আর. নাথান। এই কমিটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিভিন্ন দিক, যেমন - এর উদ্দেশ্য, পাঠ্যক্রম, আর্থিক সংস্থান, প্রশাসনিক কাঠামো ইত্যাদি বিষয়ে সুপারিশ প্রদান করে। নাথান কমিটির সুপারিশগুলো ১৯১৩ সালে প্রকাশিত হয়।
-
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও অর্থ সংকট: প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া কিছুটা ধীরগতিতে চলে, কারণ ব্রিটিশ সরকার আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হয়। তবে, এই সময়েও মুসলিম নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন বুদ্ধিজীবী মহল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য নিরন্তর চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন।
-
ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি কমিশন (স্যাডলার কমিশন): ১৯১৭ সালে গঠিত স্যাডলার কমিশন (Sadler Commission) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তাকে সমর্থন করে এবং ১৯২০ সালের মার্চ মাসে প্রকাশিত তাদের রিপোর্টে দ্রুত এটি প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করে।