আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
16

ক. দ্বন্দ্ব
খ. বহুব্রীহি
গ. নিত্য
ঘ. উপপদ তৎপুরুষ
ব্যাখ্যাঃ

‘নীলকর’ উপপদ তৎপুরুষ সমাসের দৃষ্টান্ত।

এর ব্যাসবাক্য হলো: নীল (চাষ) করে যে

উপপদ তৎপুরুষ সমাসে, কৃদন্ত পদের (এখানে 'করে', যা 'কৃ' ধাতু থেকে এসেছে) সাথে অন্য পদের (এখানে 'নীল') সমাস হয় এবং পরপদের অর্থ প্রধান রূপে প্রতীয়মান হয়। 'নীলকর' শব্দটি সেই ব্যক্তিকে বোঝায় যে নীল চাষ করে।

ক. অব্যয়ীভাব
খ. দ্বিগু
গ. বহুব্রীহি
ঘ. দ্বন্দ্ব
ব্যাখ্যাঃ

‘যথারীতি’ অব্যয়ীভাব সমাস এর দৃষ্টান্ত।

যে সমাসে পূর্বপদ অব্যয় এবং সেই অব্যয়ের অর্থই প্রধানভাবে বোঝায়, তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে। ‘যথারীতি’ শব্দটিতে ‘যথা’ একটি অব্যয় এবং এর অর্থ ‘রীতিকে অতিক্রম না করে’ বা ‘নিয়ম অনুসারে’। এখানে ‘যথা’ অব্যয়ের অর্থই প্রধান।

এর ব্যাসবাক্য হবে: রীতিকে অতিক্রম না করে অথবা রীতি অনুসারে

ক. কর্মধারয়
খ. বহুব্রীহি
গ. অব্যয়ীভাব
ঘ. তৎপুরুষ
ব্যাখ্যাঃ

‘চিকিৎসাশাস্ত্র’ মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস।

এর ব্যাসবাক্য হল: চিকিৎসা বিষয়ক শাস্ত্র

এই সমাসে ব্যাসবাক্যের মাঝের পদ ('বিষয়ক') লোপ পেয়েছে এবং চিকিৎসা ও শাস্ত্র এই দুটি বিশেষ্য পদ মিলিত হয়ে একটি নতুন বিশেষ্য পদ ('চিকিৎসাশাস্ত্র') গঠন করেছে। যেখানে পূর্বপদ ও পরপদ উভয়ই বিশেষ্য এবং মাঝের পদ লোপ পায়, তাকে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলে।

ক. সিংহ চিহ্নিত আসন=সিংহাসন
খ. মহান যে পুরুষ=মহাপুরুষ
গ. কুসুমের মতো কোমল=কুসুমকোমল
ঘ. জায়া ও পতি=দম্পতি
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো কঃ সিংহ চিহ্নিত আসন=সিংহাসন

মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাসে ব্যাসবাক্যের মধ্যের পদ লোপ পায় এবং বিশেষণ ও বিশেষ্য পদের মধ্যে অভেদ বা অভিন্নতা বোঝানো হয়।

এখানে:

  • সিংহ চিহ্নিত আসন - এই ব্যাসবাক্যের মাঝের পদ "চিহ্নিত" লোপ পেয়ে "সিংহাসন" হয়েছে। "সিংহ" (বিশেষণ স্থানীয়) এবং "আসন" (বিশেষ্য) এর মধ্যে একটি বিশেষ সম্পর্ক বোঝানো হচ্ছে - সিংহের মতো আসন।

অন্যান্য উদাহরণগুলো:

  • খঃ মহান যে পুরুষ=মহাপুরুষ: এটি সাধারণ কর্মধারয় সমাস, যেখানে বিশেষণ ও বিশেষ্যের অভেদ বোঝানো হচ্ছে। এখানে মধ্যপদ লোপ পায়নি।
  • গঃ কুসুমের মতো কোমল=কুসুমকোমল: এটি উপমান কর্মধারয় সমাস, যেখানে দুটি ভিন্ন বস্তুর মধ্যে গুণগত সাদৃশ্য বোঝানো হচ্ছে। এখানে মধ্যপদ "মতো" লোপ পেয়েছে।
  • ঘঃ জায়া ও পতি=দম্পতি: এটি দ্বন্দ্ব সমাস, যেখানে উভয় পদই প্রধান এবং "ও" সংযোজক অব্যয় লোপ পেয়েছে।
ক. শশব্যস্ত
খ. কালচক্র
গ. পরাণপাখি
ঘ. বহুব্রীহি
ব্যাখ্যাঃ

উপমান কর্মধারয় সমাসের উদাহরণ হলো শশব্যস্ত

উপমান কর্মধারয় সমাসে উপমানবাচক পদের সাথে উপমেয়বাচক পদের সমাস হয় এবং উপমান পদটি পূর্বপদে বসে। 'শশব্যস্ত' এর ব্যাসবাক্য হলো 'শশকের ন্যায় ব্যস্ত'। এখানে 'শশক' (খরগোশ) হলো উপমান এবং 'ব্যস্ত' হলো উপমেয়।

অন্যান্য বিকল্পগুলোর ব্যাখ্যা:

  • কালচক্র: এটি একটি সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস (কালের চক্র)।
  • পরাণপাখি: এটি একটি রূপক কর্মধারয় সমাস (পরাণ রূপ পাখি)। এখানে উপমেয় ও উপমানের মধ্যে অভেদ কল্পনা করা হয়েছে।
  • বহুব্রীহি: এটি একটি বহুব্রীহি সমাস (বহু ব্রীহি [ধান] যার - বহুধানবিশিষ্ট)।
ক. অজানা
খ. দোতলা
গ. আশীবিষ
ঘ. কানাকানি
ব্যাখ্যাঃ

ব্যতিহার বহুব্রীহির উদাহরণ হলো কানাকানি

ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাসে দুটি কর্তার একই প্রকার ক্রিয়া বোঝায়। এই সমাসে 'আ' স্থানে 'ই' এবং 'ই' স্থানে 'আ' হয়।

  • কানাকানি: কানে কানে যে কথা - এখানে দুই কর্তা (দুজন ব্যক্তি) একই ক্রিয়া (কানে কানে কথা বলা) করছে। 'কানে কানে' - 'আ'-কার 'ই'-কারে পরিবর্তিত হয়েছে ('কান'+'এ' > 'কানে', 'কান'+'এ' > 'কানে') এবং 'ই'-কার 'আ'-কারে পরিবর্তিত হয়েছে ('কানি'+'কানি' > 'কানাকানি')।

অন্যান্য উদাহরণগুলো ব্যতিহার বহুব্রীহি নয়:

  • কঃ অজানা: জানা নেই যা - নঞ্ বহুব্রীহি।
  • খঃ দোতলা: দুই তল আছে যার - সংখ্যাবাচক বহুব্রীহি।
  • গঃ আশীবিষ: আশীতে (দাঁতে) বিষ যার - সপ্তমী বহুব্রীহি।
ক. তৎপুরুষ
খ. কর্মধারয়
গ. অব্যয়ীভাব
ঘ. বহুব্রীহি
ব্যাখ্যাঃ

'পুষ্পসৌরভ' হলো ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস

ব্যাসবাক্য: পুষ্পের সৌরভ

এখানে 'পুষ্পের' পদটির ষষ্ঠী বিভক্তি ('এর') লোপ পেয়ে 'পুষ্পসৌরভ' শব্দটি গঠিত হয়েছে। যে তৎপুরুষ সমাসে পূর্বপদের ষষ্ঠী বিভক্তি (র, এর) লোপ পায়, তাকে ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস বলে।

ক. সমার্থক দ্বন্দ্ব
খ. বিপরীতার্থক দ্বন্দ্ব
গ. অলুক দ্বন্দ্ব
ঘ. একশেষ দ্বন্দ্ব
ব্যাখ্যাঃ

‘জলে-স্থলে’ হলো * অলুক দ্বন্দ্ব** সমাস।

'জলে-স্থলে' হলো একটি অলুক দ্বন্দ্ব সমাসের উদাহরণ।

অলুক দ্বন্দ্ব সমাস: যে দ্বন্দ্ব সমাসে সমস্যমান পদের বিভক্তি (যেমন এখানে 'জল' এর সাথে 'এ' বিভক্তি এবং 'স্থল' এর সাথে 'এ' বিভক্তি) সমাসবদ্ধ হওয়ার পরেও লুপ্ত হয় না, তাকে অলুক দ্বন্দ্ব সমাস বলে।

  • জল + এ = জলে
  • স্থল + এ = স্থলে
  • ব্যাসবাক্য: জলে ও স্থলে

অন্যান্য বিকল্পগুলো সঠিক নয়:

  • সমার্থক দ্বন্দ্ব: যেখানে উভয় পদ সমার্থক হয় (যেমন: হাট-বাজার, কাগজ-পত্র)। 'জল' ও 'স্থল' সমার্থক নয়।
  • বিপরীতার্থক দ্বন্দ্ব: যেখানে উভয় পদ বিপরীতার্থক হয় (যেমন: আয়-ব্যয়, ভালো-মন্দ)। 'জল' ও 'স্থল' বিপরীতার্থক নয়, বরং ভিন্ন স্থান বোঝায়।
  • একশেষ দ্বন্দ্ব: যেখানে একাধিক পদ মিলে একটিমাত্র পদ অবশিষ্ট থাকে এবং সেই পদটি উভয় লিঙ্গ ও বচন নির্দেশ করে (যেমন: আমরা = তুমি, আমি ও সে)। 'জলে-স্থলে' একশেষ দ্বন্দ্ব নয়।
ক. বিস্ময় দ্বারা আপন্ন
খ. বিস্ময়ে আপন্ন
গ. বিস্ময়কে আপন্ন
ঘ. বিস্ময়ে যে আপন্ন
ব্যাখ্যাঃ

'বিস্ময়াপন্ন' সমস্ত পদটির সঠিক ব্যাসবাক্য হলো: বিস্ময়কে আপন্ন

এটি দ্বিতীয় তৎপুরুষ সমাসের উদাহরণ। (কে/রে বিভক্তি লুপ্ত হয়েছে)।

  • আপন্ন শব্দের অর্থ হলো 'প্রাপ্ত' বা 'প্রাপ্ত হয়েছে এমন'।
  • সুতরাং, 'বিস্ময়কে আপন্ন' বলতে বোঝায় 'বিস্ময় প্রাপ্ত হয়েছে এমন' বা 'বিস্ময়ে অভিভূত'।
ক. জনশ্রুতি
খ. অনমনীয়
গ. খাসমহল
ঘ. তপোবন
ব্যাখ্যাঃ
  • জনশ্রুতি: জন দ্বারা শ্রুতি = জনশ্রুতি (তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস)
  • তপোবন: তপের নিমিত্ত বন = তপোবন (চতুর্থী তৎপুরুষ সমাস)
  • খাসমহল: খাস যে মহল = খাসমহল (কর্মধারয় সমাস)
  • অনমনীয়: নেই নমন যার = অনমনীয় (নঞ্‌ বহুব্রীহি সমাস)

সুতরাং, অনমনীয় হলো বহুব্রীহি সমাসবদ্ধ পদ।

ক. দ্বিগু
খ. কর্মধারয়
গ. দ্বন্দ্ব
ঘ. বহুব্রীহি
ব্যাখ্যাঃ

'জজ সাহেব' হলো কর্মধারয় সমাস-এর উদাহরণ।

এর ব্যাসবাক্য হলো: যিনি জজ, তিনিই সাহেব।

এখানে 'জজ' শব্দটি 'সাহেব' শব্দকে বিশেষণরূপে বিশেষিত করছে এবং উভয় পদ একই ব্যক্তিকে নির্দেশ করছে। এটি কর্মধারয় সমাসের একটি সাধারণ প্রকার, যেখানে একটি পদ অন্য পদের বিশেষণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

ক. দ্বন্দ্ব সমাস
খ. অব্যয়ীভাব সমাস
গ. তৎপুরুষ সমাস
ঘ. কর্মধারয় সমাস
ক. বহুব্রীহি
খ. কর্মধারয়
গ. সুপসুপা
ঘ. অব্যয়ীভাব
ব্যাখ্যাঃ

ঈষৎ নত = আনত (অব্যয়ীভাব সমাস)। পূর্বপদে অব্যয়যোগে নিষ্পন্ন সমাসে যদি অব্যয়েরই অর্থের প্রাধান্য থাকে, তবে তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে। সামীপ্য, পর্যন্ত, অভাব, অনতিক্রম্যতা, সাদৃশ্য, যোগ্যতা প্রভৃতি অর্থে অব্যয়ীভাব সমাস হয়।

ক. মধ্যপদলোপী কর্মধারয়
খ. ষষ্ঠী তৎপুরুষ
গ. পঞ্চমী তৎপুরুষ
ঘ. উপমান কর্মধারয়
ব্যাখ্যাঃ

‘জ্যোৎস্নারাত’ এর ব্যাসবাক্য হলো ‘জ্যোৎস্না শোভিত রাত’। এটি মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাসের উদাহরণ। সংজ্ঞানুযায়ী মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাসে ব্যাসবাক্যের মধ্যপদের লোপ হয়। এরূপ কয়েকটি মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস হলো: সিংহ চিহ্নিত আসন = সিংহাসন, সাহিত্যবিষয়ক সভা = সাহিত্যসভা, স্মৃতি রক্ষার্থে সৌধ = স্মৃতিসৌধ, তৈল রঙে আঁকা চিত্র = তৈলচিত্র, দুধে মাখানো ভাত = দুধভাত, ডাক ফেলার বাক্স = ডাকবাক্স, চালে জন্মায় যে কুমড়া = চালকুমড়া, ছায়াপ্রধান তরু = ছায়াতরু প্রভৃতি।

ক. সংক্ষেপ করে
খ. বিস্তৃত করে
গ. অর্থপূর্ণ করে
ঘ. অর্থের রূপান্তর ঘটায়
ব্যাখ্যাঃ

সমাস শব্দের অর্থ সংক্ষেপণ, মিলন, একাধিক পদের একপদীকরণ। পরস্পর সম্পর্কযুক্ত একাধিক পদের এক পদে মিলিত হওয়াকে সমাস বলে।

ক. উপমিত
খ. উপমান
গ. উপমেয়
ঘ. রূপক
ব্যাখ্যাঃ

'উপমান' শব্দের অর্থ 'তুলনীয় বস্তু'। অর্থাৎ প্রত্যক্ষ কোনো বস্তুর সাথে অন্য কোনো পরোক্ষ বস্তুর তুলনা করা হলে ঐ প্রত্যক্ষ বস্তুটিকে 'উপমেয়' বলা হয়। পক্ষান্তরে , যার সাথে উপমা দেয়া হয় বা তুলনা করা হয় তাকে 'উপমান' বলে। যেমন - 'পদ্মআঁখি' শব্দটিতে পদ্মের সাথে আঁখির উপমা দেয়া হয়েছে। সুতরাং 'পদ্ম' উপমান এবং আঁখি' উপমেয়। 'উপমান' ও 'উপমেয়' পদের সমাস হলে যদি উপমেয়ের অর্থ প্রধান রূপে প্রতীয়মান হয় তাকে উপমিত সমাস হলে। যেমন - পুরুষ সিংহের ন্যায় = পুরুষসিংহ এবং যে স্থলে উপমান ও উপমেয় সমাস হয়েছে এবং উভয়ের মধ্যে অভেদ কল্পনা করা হয়েছে তাকে রূপক সমাস বলে। যেমন- ফুল রূপ কুমারী = ফুলকুমারী।

ক. প্রাদি সমাস
খ. ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস
গ. তৎপুরুষ সমাস
ঘ. কর্মধারয় সমাস
ব্যাখ্যাঃ

ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস হলো যে সমাসে একই রূপ দুটি বিশেষ্যপদ এক সাথে বসে পরস্পর একই জাতীয় কাজ করে যেমন- কানে কানে যে কথা = কানাকানি। তৎপুরুষ সমাস হলো যে সমাসে পূর্বপদের বিভক্তি লোপ পায় এবং পরপদের অর্থ প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়। যেমন- ঢেঁকিতে ছাঁটা = ঢেঁকিছাঁটা। কর্মধারয় সমাস হলো বিশেষণ ও বিশেষ্যপদ মিলে যে সমাস এবং বিশেষ্যের বা পরপদের অর্থই প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়। যেমন- নীল যে পদ্ম = নীলপদ্ম। এখানে লাঠালাঠি = লাঠিতে লাঠিতে যে যুদ্ধ, অর্থাৎ এটি ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস। প্রাদি সমাস হলো প্র, প্রতি, অনু প্রভৃতি অব্যয়ের সাথে কৃৎ প্রত্যয় সাধিত বিশেষ্যের সমাস। যেমন-পরি (চতুর্দিকে) যে ভ্রমণ = পরিভ্রমণ।

ক. দ্বন্দ্ব সমাস
খ. রূপক সমাস
গ. বহুব্রীহি সমাস
ঘ. দ্বিগু সমাস
ব্যাখ্যাঃ

যে সমাসে সমাহার অর্থাৎ সমষ্টি অর্থে সংখ্যাবাচক পূর্বপদের সাথে উত্তরপদের সমাস হয় এবং উত্তরপদের অর্থ প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয় তাকে দ্বিগু সমাস বলে। যেমন – সে (তিন) তারের সমাহার = সেতার।

ক. চাঁদমুখের ন্যায়
খ. চাঁদের মত মুখ
গ. চাঁদ মুখ যার
ঘ. চাঁদরূপ মুখ
ব্যাখ্যাঃ

সাধারণ গুণের উল্লেখ ব্যতীত উপমেয়র সাথে উপমান পদের যে সমাস হয়, তাকে বলে উপমিত কর্মধারয় সমাস। ‘চাঁদমুখ’ -এর ব্যাসবাক্য হলো ‘মুখ চাঁদের ন্যায়।’ বা চাঁদের মত মুখ এটি উপমিত কর্মধারয় সমাসের অন্তর্গত। উপপদ কর্মধারয় সমাসে পূর্বপদও পরপদ দুটিই বিশেষ্য পদ হয়।

ক. দ্বন্দ্ব সমাস
খ. অব্যয়ীভাব সমাস
গ. কর্মধারয় সমাস
ঘ. নিত্য সমাস
ব্যাখ্যাঃ

যে সমাসের সমস্যমান পদগুলো সংযোজক অব্যয় দ্বারা যুক্ত থাকে এবং পূর্বপদ ও পরপদ উভয়ের অর্থই প্রাধান্য পায়, তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে। যেমন- দোয়াত ও কলম = দোয়াত-কলম, কাঁচা ও পাকা = কাঁচা-পাকা ইত্যাদি। অব্যয় পদ পূর্বে বসে যে সমাস পূর্বপদের অর্থ প্রাধান্য পায়, তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে। যেমন- কূলের সমীপে = উপকূল, আমিষের অভাব = নিরামিষ ইত্যাদি। আবার, যে সমাসে প্রথম পদটি দ্বিতীয় পদের বিশেষণরূপে অবস্থান করে এবং সমস্তপদে পরপদ তথা দ্বিতীয় পদের অর্থ প্রাধান্য থাকে, তাকে কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন- নীল যে আকাশ = নীলাকাশ। যে সমাসের পদগুলো নিত্য সমাসবাদ থাকে ব্যাসবাক্যের প্রয়োজন হয় না তাকে নিত্যসমাস বলে। যেমন: দুই এবং = বিরানব্বই, সে, তুমি ও আমি = আমরা।

ক. সিংহাসন
খ. ভাই-বোন
গ. কানাকানি
ঘ. গাছপাকা
ব্যাখ্যাঃ
শব্দ ব্যাসবাক্য সমাসের নাম
সিংহাসন সিংহ চিহ্নিত আসন মধ্যপদলোপী কর্মধারয়
কানাকানি কানে কানে যে কথা ব্যতিহার বহুব্রীহি
গাছপাকা গাছে পাকা সপ্তমী তৎপুরুষ
ভাইবোন ভাই ও বোন দ্বন্দ্ব সমাস
ক. দ্বন্দ্ব
খ. বহুব্রীহি
গ. কর্মধারায়
ঘ. তৎপুরুষ
ব্যাখ্যাঃ

লাঠিতে লাঠিতে যে লড়াই – লাঠালাঠি, ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস; অনুরূপভাবে হাতাহাতি, কানাকানি, চুলোচুলি ইত্যাদি ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস ।

ক. ঘর থেকে ছাড়া - ঘড়ছাড়া
খ. অরুণের মতো রাঙা- অরুণরাঙা
গ. হাসিমাখা মুখ- হাসিমুখ
ঘ. ক্ষণ ব্যাপিয়া স্থায়ী- ক্ষণস্থায়ী
ব্যাখ্যাঃ

ঘরছাড়া- পঞ্চমী তৎপুরুষ; অরুণরাঙা- উপমান কর্মধারয়; ক্ষণস্থায়ী- ২য়া তৎপুরুষ। মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস এর আরও কিছু উদাহরণ হলো পলান্ন, প্রীতিভোজ, সিংহাসন, ঘিভাত, ধর্মঘট, স্মৃতিসৌধ ইত্যাদি।

প্রশ্নঃ সমাস ভাষাকে-

[ বিসিএস ১১তম ]

ক. সংক্ষেপ করে
খ. বিস্তৃত করে
গ. ভাষারূপ ক্ষুণ্ন করে
ঘ. অর্থবোধক করে
ব্যাখ্যাঃ

সমাস মানে সংক্ষেপ, মিলন, একাধিক পদের একপদীকরণ। অর্থসম্বন্ধ আছে এমন একাধিক শব্দের এক সঙ্গে মিলিত হয়ে একটি নতুন শব্দ গঠনের প্রক্রিয়াকে সমাস বলে।

ক. দ্বন্দ্ব সমাস
খ. দ্বিগু সমাস
গ. কর্মধারয় সমাস
ঘ. অব্যয়ীভাব সমাস
ব্যাখ্যাঃ

'মুজিববর্ষ' শব্দটি কর্মধারয় সমাস

এর ব্যাসবাক্য হলো মুজিব নামক বর্ষ অথবা মুজিব স্মরণে বর্ষ

কর্মধারয় সমাসে বিশেষণ ও বিশেষ্য অথবা দুটি বিশেষ্য পদে অভেদ কল্পনা করা হয়। এখানে 'মুজিব' (বিশেষ্য) এবং 'বর্ষ' (বিশেষ্য) এর মধ্যে একটি অভেদ সম্পর্ক স্থাপন করা হয়েছে - মুজিব স্মরণে পালিত বর্ষ।

অন্যান্য সমাসগুলো কেন নয়:

  • কঃ দ্বন্দ্ব সমাস: উভয় পদই প্রধান এবং 'ও', 'এবং', 'আর' ইত্যাদি সংযোজক অব্যয় দ্বারা যুক্ত থাকে। উদাহরণ: মাতা ও পিতা = মাতা-পিতা।
  • খঃ দ্বিগু সমাস: সংখ্যাবাচক বিশেষণ পূর্বপদে বসে এবং সমাহার বোঝায়। উদাহরণ: তিন মাথার সমাহার = তেমাথা।
  • ঘঃ অব্যয়ীভাব সমাস: পূর্বপদে অব্যয় বসে এবং অর্থের প্রাধান্য পায়। উদাহরণ: কূলের সমীপে = উপকূল।

প্রশ্নঃ 'ষড়ঋতু' কোন সমাস?

[ প্রা.বি.স.শি. 29-03-2024 ]

ক. বহুব্রীহি
খ. দ্বিগু
গ. দ্বন্দ্ব
ঘ. কর্মধারয়
ব্যাখ্যাঃ

'ষড়ঋতু' শব্দটি দ্বিগু সমাস

এর ব্যাসবাক্য হলো ছয় ঋতুর সমাহার

দ্বিগু সমাসের পূর্বপদে সংখ্যাবাচক বিশেষণ থাকে এবং সমাহার বা সমষ্টি বোঝায়। 'ষড়' (ছয়) একটি সংখ্যাবাচক বিশেষণ এবং 'ঋতু' শব্দের সাথে যুক্ত হয়ে ছয়টি ঋতুর সমষ্টি বোঝাচ্ছে।

অন্যান্য সমাসগুলো কেন নয়:

  • কঃ বহুব্রীহি সমাস: যে সমাসে সমস্যমান পদগুলোর অর্থ প্রাধান্য না পেয়ে তৃতীয় কোনো অর্থ বোঝায়। উদাহরণ: দশ আনন যার = দশানন (রাবণ)।
  • গঃ দ্বন্দ্ব সমাস: উভয় পদই প্রধান এবং 'ও', 'এবং', 'আর' ইত্যাদি সংযোজক অব্যয় দ্বারা যুক্ত থাকে। উদাহরণ: মাতা ও পিতা = মাতা-পিতা।
  • ঘঃ কর্মধারয় সমাস: বিশেষণ ও বিশেষ্য অথবা দুটি বিশেষ্য পদে অভেদ কল্পনা করা হয়। উদাহরণ: নীল যে পদ্ম = নীলপদ্ম।
ক. চাঁদ মুখ যার
খ. চাঁদের মত দেখতে মুখ
গ. চাঁদ রূপ মুখ
ঘ. চাঁদ মুখের ন্যায়
ব্যাখ্যাঃ

'চাঁদমুখ'-এর সঠিক ব্যাসবাক্য হলো চাঁদ রূপ মুখ (চাঁদের ন্যায় মুখ নয়, বরং চাঁদ সদৃশ মুখ)।

'চাঁদমুখ' শব্দটি রূপক কর্মধারয় সমাস এর উদাহরণ। রূপক কর্মধারয় সমাসে উপমেয় (মুখ) ও উপমান (চাঁদ)-এর মধ্যে অভেদ বা একাত্মতা কল্পনা করা হয়। এই ধরনের সমাসের ব্যাসবাক্যে 'রূপ' শব্দটি ব্যবহৃত হয়।

ক. জ্ঞান থাকতেও যিনি মূর্খ
খ. পান্ডিত্যে যিনি মূর্খ
গ. পন্ডিত হয়েও যিনি মূর্খ
ঘ. পান্ডিত্যের দ্বারা যিনি মূর্খ
ব্যাখ্যাঃ

"পণ্ডিতমূর্খ" পদটির ব্যাসবাক্য হলো:
"পণ্ডিত হয়েও যিনি মূর্খ"।

ব্যাখ্যা:

  • "পণ্ডিতমূর্খ" শব্দটি দুটি অংশ নিয়ে গঠিত: "পণ্ডিত" এবং "মূর্খ"।
  • এর অর্থ হলো এমন ব্যক্তি যিনি পণ্ডিত (জ্ঞানী) হওয়া সত্ত্বেও মূর্খের মতো আচরণ করেন বা মূর্খতাসুলভ কাজ করেন।
  • এই অর্থের সাথে সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যাসবাক্য হলো: "পণ্ডিত হয়েও যিনি মূর্খ"।
ক. গমনের পশ্চাৎ
খ. গমনের অগ্র
গ. অনুরূপ গমন
ঘ. পরস্পর গমন
ক. সিংহাসন
খ. কানাকানি
গ. ভাইবোন
ঘ. গাছপাকা
ব্যাখ্যাঃ

যে সমাসে উভয় পদের প্রাধান্য থাকে তাকে দ্বন্দ সমাস বলে। এখানে ভাইবোন শব্দটিতে উভয় পদ প্রধান। ভাইবোন বললে ভাই ও বোন উভয়কে বুঝায়।

প্রশ্নঃ শশব্যস্ত কোন সমাস?

[ প্রা.বি.স.শি. 27-06-2019 ]

ক. তৎপুরুষ
খ. কর্মধারয়
গ. বহুব্রীহি
ঘ. অব্যয়ীভাব
ব্যাখ্যাঃ

শশব্যস্ত কর্মধারয় সমাসের উদাহরণ। এর ব্যাসবাক্য শশের ন্যায় ব্যস্ত। শশব্যস্ত শব্দটির অর্থ খরগোশের মতো ব্যস্ত।

যে সমাসে বিশেষণ বা বিশেষণভাবাপন্ন পদের সাথে বিশেষ্য বা বিশেষ্যভাবাপন্ন পদের সমাস হয় এবং পরপদের অর্থই প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে কর্মধারয় সমাস বলে।

ক. কর্মধারয়
খ. বহুব্রীহী
গ. দ্বিগু
ঘ. অব্যয়ীভাব
ব্যাখ্যাঃ

'তেপান্তর' দ্বিগু সমাস-এর উদাহরণ নয়।

'তেপান্তর' শব্দটি বহুব্রীহি সমাস-এর উদাহরণ।

দ্বিগু সমাসের পূর্বপদে সংখ্যাবাচক শব্দ থাকে এবং সমাসবদ্ধ পদটি সমাহার বা সমষ্টি বোঝায়। যেমন:
⇒ত্রিভুজ: তিন ভুজের সমাহার
⇒পঞ্চবটী: পঞ্চ বটের সমাহার

'তেপান্তর'-এর ব্যাসবাক্য হলো: তিন প্রান্তের মাঠ যার (তিনটি মাঠের পর যা)। এখানে 'তেপান্তর' কোনো সমাহার বা সমষ্টি না বুঝিয়ে এমন একটি স্থান বোঝাচ্ছে যা তিনটি মাঠ পেরোনোর পরে অবস্থিত, অর্থাৎ একটি দূরবর্তী স্থান। বহুব্রীহি সমাসে সমস্যমান পদগুলোর অর্থ প্রাধান্য না পেয়ে তৃতীয় কোনো অর্থ বা ধারণা প্রকাশ পায়।

সুতরাং, 'তেপান্তর' বহুব্রীহি সমাস-এর উদাহরণ।

ক. অপব্যয়
খ. বাগদত্তা
গ. দেশান্তর
ঘ. বনজ
ব্যাখ্যাঃ

'নিত্য সমাস' হলো এক প্রকার সমাস, যেখানে সমস্যমান পদগুলো দ্বারা গঠিত সমাসবদ্ধ পদকে ব্যাস বাক্য (ব্যাসবাক্য) দিয়ে বিশ্লেষণ করা যায় না বা ব্যাসবাক্য করলে পূর্ব পদের অর্থের প্রাধান্য থাকে না। অর্থাৎ, এর কোনো প্রচলিত ব্যাসবাক্য হয় না। এটি সব সময়ই সমাসবদ্ধ পদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

বৈশিষ্ট্য:

  • এই সমাসের পদগুলোকে বিশ্লেষণ করে ব্যাসবাক্য তৈরি করা যায় না।
  • অনেক সময় ভিন্ন অর্থ প্রকাশক একটি মাত্র পদ বা শব্দাংশ সমাসের কাজ করে।

উদাহরণ:

  • অন্য গ্রাম = গ্রামান্তর (এখানে 'অন্য গ্রাম' ব্যাসবাক্য নয়, বরং অর্থের বিশ্লেষণ)
  • অন্য দেশ = দেশান্তর
  • কেবল দর্শন = দর্শনমাত্র
  • অন্য কাল = কালান্তর
  • কেহ নয় = অনড় (যে চলে না)

সহজভাবে মনে রাখার জন্য, যেসব সমাসবদ্ধ পদের ব্যাসবাক্য হয় না, সেগুলোকে নিত্য সমাস বলে।

ক. বিপরীতার্থে
খ. মিলনার্থে
গ. বিরোধার্থে
ঘ. সমার্থে
ব্যাখ্যাঃ

'হাট-বাজার' একটি দ্বন্দ্ব সমাস এবং এটি সমার্থক অর্থে বা সমাহার অর্থে গঠিত হয়েছে।

এখানে 'হাট' এবং 'বাজার' উভয় শব্দেরই অর্থ বাজার বা কেনাবেচার স্থান। যখন দুটি সমার্থক বা প্রায় সমার্থক শব্দ একসাথে যুক্ত হয়ে একটি সাধারণ বা সমষ্টিগত অর্থ প্রকাশ করে, তখন তাকে সমার্থক দ্বন্দ্ব বা সমাহার দ্বন্দ্ব সমাস বলা হয়।

অর্থাৎ, 'হাট-বাজার' বলতে শুধু হাট বা শুধু বাজারকে বোঝানো হয় না, বরং সামগ্রিকভাবে কেনাবেচার স্থান বা বাজারকেই বোঝানো হয়। এর ব্যাসবাক্য হলো: হাট ও বাজার

ক. মধ্যপদলোপী কর্মধারয়
খ. উপমিত কর্মধারয়
গ. উপমান কর্মধারয়
ঘ. বহুব্রীহি সমাস
ব্যাখ্যাঃ

'কর পল্লবের ন্যায়' ব্যাসবাক্যটি উপমিত কর্মধারয় সমাস

এখানে 'কর' (হাত) কে 'পল্লব' (নতুন পাতা) এর সাথে তুলনা করা হয়েছে, যেখানে তুলনাবাচক পদ 'ন্যায়' ব্যবহৃত হয়েছে এবং দুটিই বিশেষ্য পদ। এ ধরনের তুলনামূলক সমাসকে উপমিত কর্মধারয় সমাস বলে। এর ব্যাসবাক্য থেকে সমাসবদ্ধ পদটি হবে করপল্লব

প্রশ্নঃ 'জন্মান্ধ' কোন সমাস?

[ 18th ntrca (স্কুল সমপর্যায়-২) (15-03-2024) ]

ক. তৎপুরুষ
খ. বহুব্রীহি
গ. কর্মধারয়
ঘ. অব্যয়ীভাব
ব্যাখ্যাঃ

'জন্মান্ধ' হলো পঞ্চমী তৎপুরুষ সমাস

এর ব্যাসবাক্য হলো: জন্ম দ্বারা অন্ধ বা জন্ম হইতে অন্ধ

এখানে 'জন্ম' থেকে 'অন্ধত্ব' প্রাপ্তির একটি কারণ বা উৎস বোঝাচ্ছে, যা পঞ্চমী তৎপুরুষ সমাসের নির্দেশক।

ক. দ্বন্দ্ব
খ. দ্বিগু
গ. তৎপুরুষ
ঘ. বহুব্রীহি
ব্যাখ্যাঃ

যে সমাসে সমস্যমান প্রত্যেকটি পদের অর্থের সমান প্রাধান্য থাকে তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে।

বৈশিষ্ট্য:

  • উভয় পদের প্রাধান্য: সমস্যমান পদ দুটির কোনোটিরই অর্থ অপ্রধান হয় না।
  • সম্বন্ধসূচক অব্যয়: এই সমাসে সাধারণত 'ও', 'এবং', 'আর' এই ধরনের অব্যয় পদ দিয়ে পদগুলো যুক্ত থাকে। সমাসবদ্ধ পদ গঠনের সময় এই অব্যয়গুলো লোপ পায়।
  • বিভিন্ন প্রকার সম্পর্ক: দ্বন্দ্ব সমাস বিভিন্ন ধরনের সম্পর্ক প্রকাশ করতে পারে, যেমন:
    • মিলনার্থক: মা-বাবা, ভাই-বোন, স্বামী-স্ত্রী।
    • বিরোধার্থক: দা-কুমড়া, অহিনকুল, স্বর্গ-নরক।
    • বিপরীতার্থক: আয়-ব্যয়, জমা-খরচ, ছোট-বড়।
    • অঙ্গবাচক: হাত-পা, নাক-কান, বুক-পিঠ।
    • সংখ্যাবাচক: সাত-পাঁচ, উনিশ-বিশ।
    • সমার্থক: কাজ-কর্ম, কাগজ-পত্র, হাট-বাজার।
    • প্রায়-সমার্থক: দেখা-শোনা, বলা-কওয়া।
    • ক্রিয়াপদবাচক: আসা-যাওয়া, চলা-ফেরা।

প্রশ্নঃ নিচের কোনটি নিত্য সমাস?

[ 18th ntrca (স্কুল পর্যায়) (15-03-2024) ]

ক. পঞ্চনদ
খ. বেয়াদব
গ. দেশান্তর
ঘ. ভালমন্দ
ব্যাখ্যাঃ

নিত্য সমাস হলো সেই সমাস, যার ব্যাসবাক্য হয় না বা ব্যাসবাক্য করতে গেলে অন্য পদের সাহায্য নিতে হয়।

অর্থাৎ, এই সমাসে সমস্যমান পদগুলো সবসময় সমাসবদ্ধ থাকে এবং কোনো ব্যাসবাক্যের মাধ্যমে এদের সম্পর্ক দেখানো যায় না।

উদাহরণ:

  • গ্রামান্তর (অন্য গ্রাম)
  • কালান্তর (অন্য কাল)
  • দেশান্তর (অন্য দেশ)
  • অন্যান্য (অন্য ও অন্য)
  • কেবল দর্শন (দর্শনমাত্র)
  • গৃহস্থ (গৃহ থাকে যার)
  • জীবনান্তর (অন্য জীবন)

এই সমাসগুলোতে ব্যাসবাক্য করতে গেলে 'অন্য', 'মাত্র', 'পূর্বে' ইত্যাদি নতুন পদের সাহায্য নিতে হয়। তাই এটি একটি ব্যতিক্রমধর্মী সমাস।