ক. আ
খ. এ
গ. উ
ঘ. ও
ব্যাখ্যাঃ বাংলা ভাষায় যে স্বরধ্বনিগুলো উচ্চারণকালে জিহ্বা উচ্চ অবস্থানে থাকে সেগুলো হলো:
- ই (যেমন: চিনি, দিন) - এক্ষেত্রে জিহ্বার অগ্রভাগ তালুর কাছাকাছি উঁচু অবস্থানে থাকে।
- ঈ (যেমন: ঈদ, দীর্ঘ) - 'ই'-এর মতোই তবে কিছুটা দীর্ঘায়িত উচ্চারণ হয় এবং জিহ্বা সামান্য বেশি উঁচু অবস্থানে থাকতে পারে।
- উ (যেমন: কুল, ভুল) - এক্ষেত্রে জিহ্বার পশ্চাৎভাগ তালুর দিকে উঁচু অবস্থানে থাকে এবং ঠোঁট গোলাকার হয়।
- ঊ (যেমন: ঊষা, ঊর্ধ্বে) - 'উ'-এর মতোই তবে কিছুটা দীর্ঘায়িত উচ্চারণ হয় এবং জিহ্বা সামান্য বেশি উঁচু অবস্থানে থাকতে পারে।
সুতরাং, ই, ঈ, উ, ঊ এই চারটি স্বরধ্বনি উচ্চারণকালে জিহ্বা উচ্চ অবস্থানে থাকে।
প্রশ্নঃ ‘ভাষা চিন্তার শুধু বাহনই নয়, চিন্তার প্রসূতিও।’ মন্তব্যটি কোন ভাষা-চিন্তকের?
[ বিসিএস ৪৫তম ]
ক. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
খ. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
গ. মুহম্মদ এনামুল হক
ঘ. সুকুমার সেন
ব্যাখ্যাঃ সঠিক উত্তরটি হলো কোনোটিই নয়।
‘ভাষা চিন্তার শুধু বাহনই নয়, চিন্তার প্রসূতিও।’ – এই বিখ্যাত মন্তব্যটি জার্মান ভাষা-চিন্তক হামবোল্ট (Wilhelm von Humboldt)-এর। উপরে দেওয়া চারটি বিকল্পের মধ্যে কেউই এই মন্তব্যটি করেননি।
‘ভাষা চিন্তার শুধু বাহনই নয়, চিন্তার প্রসূতিও।’ – এই বিখ্যাত মন্তব্যটি জার্মান ভাষা-চিন্তক হামবোল্ট (Wilhelm von Humboldt)-এর। উপরে দেওয়া চারটি বিকল্পের মধ্যে কেউই এই মন্তব্যটি করেননি।
প্রশ্নঃ বাগযন্ত্রের অংশ কোনটি?
[ বিসিএস ৪৩তম ]
ক. স্বরযন্ত্র
খ. ফুসফুস
গ. দাঁত
ঘ. উপরের সবকটি
ব্যাখ্যাঃ সঠিক উত্তর হল ঘঃ উপরের সবকটি।
মানুষের কথা বলার জন্য যে অঙ্গগুলো সম্মিলিতভাবে কাজ করে, সেগুলোকে বাগযন্ত্র বলা হয়। এর মধ্যে প্রধান অংশগুলো হলো:
মানুষের কথা বলার জন্য যে অঙ্গগুলো সম্মিলিতভাবে কাজ করে, সেগুলোকে বাগযন্ত্র বলা হয়। এর মধ্যে প্রধান অংশগুলো হলো:
- স্বরযন্ত্র (Larynx): এটি শ্বাসনালীর উপরে অবস্থিত এবং ভোকাল কর্ড ধারণ করে, যা বাতাস প্রবাহের মাধ্যমে কম্পিত হয়ে শব্দ উৎপন্ন করে।
- ফুসফুস (Lungs): ফুসফুস থেকে নির্গত বাতাস স্বরযন্ত্রের ভোকাল কর্ডে কম্পন সৃষ্টি করে ধ্বনি উৎপন্ন করতে সাহায্য করে। এটি বাগযন্ত্রের একটি অপরিহার্য অংশ কারণ এটি শব্দ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় বায়ু সরবরাহ করে।
- দাঁত (Teeth): দাঁত বিভিন্ন ধ্বনি উচ্চারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জিহ্বা ও ঠোঁটের সাথে মিলিত হয়ে এটি বিভিন্ন ব্যঞ্জনবর্ণের স্পষ্ট উচ্চারণে সাহায্য করে।
এছাড়াও, জিহ্বা, ঠোঁট, তালু, আলজিভ, নাক, মুখগহ্বর ইত্যাদিও বাগযন্ত্রের অংশ হিসেবে কাজ করে। তাই, উপরে দেওয়া সবগুলো বিকল্পই বাগযন্ত্রের অংশ।
প্রশ্নঃ কেন্তুমের কোন দুটি শাখা এশিয়ার অন্তর্গত?
[ বিসিএস ৪৩তম ]
ক. হিত্তিক ও তুখারিক
খ. তামিল ও দ্রাবিড়
গ. আর্য ও অনার্য
ঘ. মাগধী ও গৌড়ী
ব্যাখ্যাঃ সঠিক উত্তর হল হিত্তিক ও তুখারিক।
কেন্তুম ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবারের একটি শাখা। এই শাখার দুটি উপশাখা এশিয়ার অন্তর্গত:
কেন্তুম ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবারের একটি শাখা। এই শাখার দুটি উপশাখা এশিয়ার অন্তর্গত:
- হিত্তিক: এই ভাষাটি খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় সহস্রাব্দে আনাতোলিয়ায় (বর্তমান তুরস্ক) প্রচলিত ছিল।
- তুখারিক: এই ভাষাটি খ্রিস্টীয় প্রথম সহস্রাব্দে তারিম অববাহিকায় (বর্তমান চীনের জিনজিয়াং প্রদেশ) প্রচলিত ছিল।
উল্লেখ্য, কেন্তুম শাখার অন্যান্য উপশাখাগুলো মূলত ইউরোপে বিকাশ লাভ করেছিল।
প্রশ্নঃ বাংলা আদি অধিবাসীগণ কোন ভাষাভাষী ছিলেন?
[ বিসিএস ৪২তম ]
ক. বাংলা
খ. সংস্কৃত
গ. হিন্দি
ঘ. অস্ট্রিক
ক. বিশেষ্য ও ক্রিয়া
খ. বিশেষণ ও ক্রিয়া
গ. বিশেষ্য ও বিশেষণ পদে
ঘ. ক্রিয়া ও সর্বনাম
প্রশ্নঃ বাংলা ভাষায় ছন্দ প্রধানত কত প্রকার?
[ বিসিএস ৩১তম ]
ক. ২
খ. ৪
গ. ৩
ঘ. ৫
ব্যাখ্যাঃ বাংলা ভাষায় ছন্দকে মাত্রাবৃত্ত, স্বরবৃত্ত ও অক্ষরবৃত্ত এই তিন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়। মাত্রাবৃত্ত ছন্দে যুগ্মধ্বনি সব সময় দুই মাত্রা হিসেবে উচ্চারিত হয়। পঙ্ক্তিতে পর্বগুলো সমান সংখ্যক মাত্রার হয়ে থাকে। স্বরবৃত্ত ছন্দে যুগ্মধ্বনি সব সময় একমাত্রার। অক্ষরবৃত্ত ছন্দে যুগ্মধ্বনি শব্দপ্রান্তিক হলে দু’মাত্রার শব্দের মাঝে বা প্রথমাংশে থাকলে সাধারণত এক মাত্রার ধরা হয়।
প্রশ্নঃ কোন গোষ্ঠী থেকে বাঙালি জাতির প্রধান অংশ গড়ে উঠেছে?
[ বিসিএস ২৮তম ]
ক. নেগ্রিটো
খ. ভোটচীন
গ. দ্রাবিড়
ঘ. অস্ট্রিক
ব্যাখ্যাঃ বাঙালি একটি সংকর জাতি। বিভিন্ন জাতির সংমিশ্রণে সময়ের পরিক্রমায় বাঙালি জাতির উদ্ভব হয়। এ দেশে অনার্য, আর্য, মঙ্গল, দ্রাবিড়, পর্তুগিজ, ইংরেজ প্রভৃতি জাতির আগমন ঘটে। এ দেশ প্রথমে অনার্য তথা অস্ট্রিক গোষ্ঠীর প্রভাবাধীন ছিল। অস্ট্রিক গোষ্ঠীর আগমনের অন্তত চৌদ্দশ বছর পর বঙ্গদেশে আর্য ও পরে দ্রাবিড় জাতির আগমন ঘটে। আর্যগণ সভ্যতা ও সংস্কৃতিতে অনার্য অপেক্ষা উন্নততর হওয়ায় আর্যদের ভাষা ও সংস্কৃতি কালক্রমে বঙ্গদেশে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। নৃতাত্ত্বিক বিচারে অনার্য ভাষাভাষী কোল, শবর, পুলিন্দ, হাড়ি, ডোম, চণ্ডাল প্রভৃতি বাংলার আদিম অধিবাসী, যারা অস্ট্রিক বা অস্ট্রো-এশিয়াটিক গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। আনুমানিক পাঁচ-ছয় হাজার বছর পূর্বে ইন্দোচীন থেকে আসাম হয়ে এ অস্ট্রিক গোষ্ঠীর বঙ্গদেশে আগমন ঘটে। এরা চাষাবাদ, লোহা-তামা প্রভৃতির ব্যবহার জানতো। কাজেই বাঙালি জাতির প্রধান অংশ গড়ে উঠেছে অস্ট্রিক বা অনার্য গোষ্ঠী থেকে।
প্রশ্নঃ বাংলা ভাষার উদ্ভব হয়েছে নিম্নোক্ত একটি ভাষা থেকে-
[ বিসিএস ১৭তম ]
ক. সংস্কৃত
খ. পালি
গ. প্রাকৃত
ঘ. অপ্রভ্রংশ
ব্যাখ্যাঃ বাংলা ভাষা ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতকে গৌড়ীয় প্রাকৃত ভাষা থেকে বাংলা ভাষার উদ্ভব । অন্যদিকে ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে, বাংলা ভাষার জন্ম হয়েছে মাগধী প্রাকৃত থেকে। প্রাকৃত বলতে সাধারণ জনগণের মুখের ভাষা বোঝায়।
প্রশ্নঃ সাধু ভাষা ও চলিত ভাষার পার্থক্য–
[ বিসিএস ১৬তম ]
ক. বাক্যের সরল ও জটিল রূপে
খ. শব্দের রূপগত ভিন্নতায়
গ. তৎসম ও অর্ধতৎসম শব্দের ব্যবহারে
ঘ. ক্রিয়াপদ ও সর্বনাম পদের রূপগত ভিন্নতায়
ব্যাখ্যাঃ সাধু রীতিতে ব্যবহৃত সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ চলিত রীতিতে পরিবর্তিত ও সহজতর রূপ লাভ করে । যেমন- ভাষা রীতি সর্বনাম বিশেষ্য ক্রিয়া সাধু: তাহারা ভাত খাইতেছিল চলিত: তারা ভাত খাচ্ছিল সাধুরীতি তৎসম শব্দবহুল এবং চলিতরীতি তদ্ভব শব্দবহুল।
প্রশ্নঃ সাধু ভাষা ও চলিত ভাষার পার্থক্য-
[ বিসিএস ১৫তম ]
ক. তৎসম ও অতৎসম শব্দের ব্যবহারে
খ. ক্রিয়াপদ ও সর্বনাম পদের রূপে
গ. শব্দের কথা ও লেখ্য রূপে
ঘ. বাক্যের সরলতা ও জটিলতায়
ব্যাখ্যাঃ এই ছবিতে সাধু ও চলিত ভাষার মধ্যে পার্থক্য দেখানো হয়েছে।
সাধু রীতিতে ব্যবহৃত সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ চলিত রীতিতে পরিবর্তিত ও সহজতর রূপ লাভ করে।
যেমন:
সাধু ভাষা: তাহারা ভাত খাইতেছিল।
চলিত ভাষা: তারা ভাত খাচ্ছিল।
সাধুরীতি তৎসম শব্দবহুল এবং চলিতরীতি তদ্ভব শব্দবহুল।
সাধু রীতিতে ব্যবহৃত সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ চলিত রীতিতে পরিবর্তিত ও সহজতর রূপ লাভ করে।
যেমন:
সাধু ভাষা: তাহারা ভাত খাইতেছিল।
চলিত ভাষা: তারা ভাত খাচ্ছিল।
সাধুরীতি তৎসম শব্দবহুল এবং চলিতরীতি তদ্ভব শব্দবহুল।
প্রশ্নঃ বাংলা ভাষার আদি স্তরের স্থিতিকাল কোনটি?
[ বিসিএস ১৪তম ]
ক. দশম থেকে চতুর্দশ শতাব্দী
খ. একাদশ থেকে পঞ্চদশ শতাব্দী
গ. দ্বাদশ থেকে ষোড়শ শতাব্দী
ঘ. এয়োদশ থেকে সপ্তদশ শতাব্দী
ব্যাখ্যাঃ বাংলা ভাষার আদিস্তর ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে, দশম থেকে চতুর্দশ শতাব্দী। ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, সপ্তম থেকে দ্বাদশ শতাব্দী।
প্রশ্নঃ বাংলা ভাষার প্রাচীন যুগের সময়কাল-
[ প্রা.বি.স.শি. 29-03-2024 ]
ক. ৭০০-১৪০০ খ্রিঃ
খ. ৬৫০-১২০০ খ্রিঃ
গ. ৪০০-৮০০ খ্রিঃ
ঘ. ৫০০-১০০০ খ্রিঃ
প্রশ্নঃ মালদ্বীপের প্রধান ভাষা কোনটি?
[ প্রা.বি.স.শি. 29-03-2024 ]
ক. দিভেহী
খ. মালয়
গ. আরবী
ঘ. হিন্দি
প্রশ্নঃ 'বাবা' শব্দটি কোন ভাষা থেকে আগত?
[ প্রা.বি.স.শি. 29-03-2024 ]
ক. তুর্কী
খ. ফার্সী
গ. হিন্দি
ঘ. উর্দু
প্রশ্নঃ বাগযন্ত্রের অংশ কোনটি?
[ প্রা.বি.স.শি. 08-12-2023 ]
ক. স্বরযন্ত্র
খ. ফুসফুস
গ. দাঁত
ঘ. সবকটি
প্রশ্নঃ সাধু রীতি ও চলিতরীতির পার্থক্য কোন পদে বেশি?
[ প্রা.বি.স.শি. 20-05-2022 ]
ক. ক্রিয়া ও অব্যয়
খ. অব্যয় ও ক্রিয়া
গ. সর্বনাম ও বিশেষ্য
ঘ. ক্রিয়া ও সর্বনাম
প্রশ্নঃ শিশুর ভাষা শিক্ষার প্রথম মাধ্যম কে?
[ প্রা.বি.স.শি. (৩য় ধাপ) 03-06-2022 ]
ক. বাবা
খ. আত্মীয়-স্বজন
গ. শিক্ষক
ঘ. মা
ব্যাখ্যাঃ শিশুর ভাষা শিক্ষার প্রথম এবং প্রধান মাধ্যম হলো মা।
ব্যাখ্যা:
- শিশুর ভাষা শিক্ষা শুরু হয় পরিবার থেকে, এবং মা-ই সাধারণত শিশুর প্রথম এবং নিকটতম সঙ্গী।
- মা শিশুর সাথে সবচেয়ে বেশি কথা বলেন এবং শিশু তার কাছ থেকে প্রথম শব্দ ও বাক্য শেখে।
- গবেষণায়ও দেখা গেছে যে, শিশুর ভাষা বিকাশে মায়ের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সুতরাং, সঠিক উত্তর: ঘ) মা।
ব্যাখ্যা:
- শিশুর ভাষা শিক্ষা শুরু হয় পরিবার থেকে, এবং মা-ই সাধারণত শিশুর প্রথম এবং নিকটতম সঙ্গী।
- মা শিশুর সাথে সবচেয়ে বেশি কথা বলেন এবং শিশু তার কাছ থেকে প্রথম শব্দ ও বাক্য শেখে।
- গবেষণায়ও দেখা গেছে যে, শিশুর ভাষা বিকাশে মায়ের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সুতরাং, সঠিক উত্তর: ঘ) মা।
প্রশ্নঃ ব্যবহারকারীর সংখ্যা বিবেচনায় বাংলা ভাষা বিশ্বের কততম প্রধান ভাষা?
[ প্রা.বি.স.শি. 22-04-2022 ]
ক. ষষ্ঠ
খ. সপ্তম
গ. চতুর্থ
ঘ. পঞ্চম
ব্যাখ্যাঃ
২০২৩ সালের এথনোলগের তথ্য অনুযায়ী।
ক্রমিক | ভাষা | মাতৃভাষীর সংখ্যা (কোটি) | বিশ্বে অবস্থান |
---|---|---|---|
১ | ম্যান্ডারিন চীনা | প্রায় ৯৩.৯ | ১ম |
২ | স্প্যানিশ | প্রায় ৪৮.৫ | ২য় |
৩ | ইংরেজি | প্রায় ৩৮.০ | ৩য় |
৪ | হিন্দি | প্রায় ৩৪.৫ | ৪র্থ |
৫ | বাংলা | প্রায় ২৪.২ | ৭ম |