আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
16

ক. ১টি
খ. ২টি
গ. ৩টি
ঘ. ৪টি
ব্যাখ্যাঃ

বাংলা বর্ণমালায় যৌগিক স্বরধ্বনি দুটি: এবং

এই দুটি স্বরধ্বনি দুটি মৌলিক স্বরধ্বনির সমন্বয়ে গঠিত।

  • = অ + ই/ঈ
  • = অ + উ/ঊ

যদিও কিছু ব্যাকরণবিদ [ই+ও] এবং [উ+আ] এই দুটিকেও যৌগিক স্বর হিসেবে বিবেচনা করেন, তবে সাধারণভাবে এবং এই দুটিকেই বাংলা বর্ণমালার যৌগিক স্বরধ্বনি হিসেবে ধরা হয়।

ক. একাক্ষর
খ. মুক্তাক্ষর
গ. বদ্ধাক্ষর
ঘ. যুক্তাক্ষর
ব্যাখ্যাঃ

স্বরান্ত অক্ষরকে মুক্তাক্ষর বলা হয়।

যেসব অক্ষরের শেষে স্বরধ্বনি থাকে অথবা যে অক্ষর স্বরধ্বনি দিয়ে শেষ হয়, তাকে মুক্তাক্ষর বলে। মুক্তাক্ষর উচ্চারণের সময় মুখ খোলা থাকে।

উদাহরণ:

  • দা (দ্ + আ)
  • মা (ম্ + আ)
  • কে (ক্ + এ)
  • যাই (য্ + আ + ই)
  • অ (এখানে 'অ' নিজেই একটি স্বর এবং অক্ষর)
ক. অ
খ. আ
গ. ও
ঘ. এ
ব্যাখ্যাঃ

উচ্চারণের রীতি অনুযায়ী ঘঃ এ হলো উচ্চমধ্য-সম্মুখ স্বরধ্বনি।

স্বরধ্বনিগুলোকে জিহ্বার অবস্থান (উচ্চতা ও সম্মুখ-পশ্চাৎ) এবং ঠোঁটের আকৃতির (গোলাকার বা অগোলাকার) ভিত্তিতে শ্রেণীবিন্যাস করা হয়।

  • উচ্চ: জিহ্বা মুখের তালুর খুব কাছে থাকে (যেমন: ই, ঈ, উ, ঊ)।
  • উচ্চমধ্য: জিহ্বা উচ্চ এবং মধ্য অবস্থানের মাঝামাঝি থাকে (যেমন: এ, ও)।
  • নিম্নমধ্য: জিহ্বা মধ্য এবং নিম্ন অবস্থানের মাঝামাঝি থাকে (যেমন: অ্যা)।
  • নিম্ন: জিহ্বা মুখের তলদেশের কাছে থাকে (যেমন: আ)।

অন্যদিকে, জিহ্বার সামনের অংশের অবস্থানের ভিত্তিতে স্বরধ্বনিগুলোকে সম্মুখ, কেন্দ্রীয়পশ্চাৎ এই তিন ভাগে ভাগ করা হয়।

  • সম্মুখ: জিহ্বার সামনের অংশ প্রসারিত থাকে (যেমন: ই, ঈ, এ, অ্যা)।
  • কেন্দ্রীয়: জিহ্বার মাঝের অংশ সামান্য উঁচু হয় (যেমন: অ)।
  • পশ্চাৎ: জিহ্বার পেছনের অংশ প্রসারিত থাকে (যেমন: উ, ঊ, ও, ঔ)।

অতএব, 'এ' ধ্বনি উচ্চারণের সময় জিহ্বা মুখের সামনের দিকে এবং উচ্চ ও মধ্যস্থানের মাঝামাঝি অবস্থানে থাকে। ঠোঁট সামান্য প্রসারিত থাকে (অগোলাকার)। তাই 'এ' হলো উচ্চমধ্য-সম্মুখ স্বরধ্বনি।

অন্যান্য বিকল্পগুলো:

  • কঃ অ - কেন্দ্রীয় নিম্নমধ্য স্বরধ্বনি (ঠোঁট সামান্য গোলাকার বা প্রসারিত হতে পারে)।
  • খঃ আ - সম্মুখ নিম্ন স্বরধ্বনি (ঠোঁট প্রসারিত)।
  • গঃ ও - পশ্চাৎ উচ্চমধ্য স্বরধ্বনি (ঠোঁট গোলাকার)।
ক. আ
খ. ই
গ. এ
ঘ. অ্যা
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল কঃ আ

স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় জিভের অবস্থানের উচ্চতা অনুযায়ী স্বরধ্বনিগুলোকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়। এর মধ্যে নিম্নবিবৃত স্বরধ্বনি হলো সেই স্বরধ্বনি যা উচ্চারণের সময় জিভ মুখের মধ্যে সবচেয়ে নিচে অবস্থান করে এবং মুখ সবচেয়ে বেশি খোলে।

এখানে বিকল্পগুলোর মধ্যে:

  • উচ্চারণের সময় জিভ মুখের মধ্যে সবচেয়ে নিচে থাকে এবং মুখ বেশ খোলে। তাই এটি নিম্নবিবৃত স্বরধ্বনি।
  • উচ্চারণের সময় জিভ মুখের উপরের দিকে থাকে (সংবৃত)।
  • উচ্চারণের সময় জিভ মধ্য অবস্থানে থাকে (অর্ধ-সংবৃত)।
  • অ্যা উচ্চারণের সময় জিভ নিম্ন-মধ্য অবস্থানে থাকে (অর্ধ-বিবৃত)।

সুতরাং, সঠিক উত্তর

ক. রেফ
খ. হসন্ত
গ. কার
ঘ. ফলা
ব্যাখ্যাঃ

ব্যঞ্জন ধ্বনির সংক্ষিপ্ত রূপকে ফলা বলে।

বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণের ফলা মোট ছয়টি:

  • ণ-ফলা/ন-ফলা: যেমন - চিহ্ন, রত্ন
  • ব-ফলা: যেমন - বিশ্বাস, নিঃস্ব
  • ম-ফলা: যেমন - পদ্ম, আত্মা
  • য-ফলা: যেমন - সহ্য, বিদ্যা
  • র-ফলা: যেমন - গ্রহ, ব্রত
  • ল-ফলা: যেমন - ক্লান্ত, উল্লাস
ক. হ্ + ম
খ. ক্ + ষ
গ. ষ্ + ম
ঘ. ম্ + হ
ব্যাখ্যাঃ

'হ্ম' যুক্তবর্ণটি 'হ্' (হ) এবং 'ম' (ম) বর্ণ দুটির সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে।

  • খঃ ক্ + ষ: এই দুটি ব্যঞ্জনবর্ণ মিলে গঠিত হয় ক্ষ যুক্তবর্ণ। যেমন: ক্ষমা, পক্ষ, শিক্ষা।
  • গঃ ষ + ম: এই দুটি ব্যঞ্জনবর্ণ মিলে গঠিত হয় ষ্ম যুক্তবর্ণ। যেমন: গ্রীষ্ম, উষ্মা, ভস্ম।
  • ঘঃ ম্ + হ: এই দুটি ব্যঞ্জনবর্ণ মিলে গঠিত হয় ম্হ যুক্তবর্ণ। এটি সাধারণত ব্যবহৃত হয় না, কারণ 'হ' এর সাথে 'ম' যুক্ত হলে 'হ্ম' (হ্ + ম) হয়। বাংলায় 'ম্হ' এর প্রচলন নেই।
ক. তৃতীয় বর্ণ
খ. দ্বিতীয় ও চতুর্থ বর্ণ
গ. প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ণ
ঘ. দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ণ
ব্যাখ্যাঃ

বর্গের দ্বিতীয় ও চতুর্থ বর্ণসমূহের ধ্বনি মহাপ্রাণধ্বনি।

বাংলা বর্ণমালায় ক থেকে ম পর্যন্ত ২৫টি ব্যঞ্জনবর্ণকে স্পর্শবর্ণ বা বর্গীয় বর্ণ বলা হয়। এই বর্ণগুলোকে উচ্চারণ স্থান ও রীতি অনুসারে পাঁচটি বর্গে ভাগ করা হয়েছে: ক-বর্গ, চ-বর্গ, ট-বর্গ, ত-বর্গ, প-বর্গ। প্রতিটি বর্গের পাঁচটি করে বর্ণ আছে।

মহাপ্রাণধ্বনি হলো সেইসব ধ্বনি যা উচ্চারণের সময় মুখগহ্বর থেকে অধিক বায়ুপ্রবাহ নির্গত হয়।

প্রতিটি বর্গের দ্বিতীয় ও চতুর্থ বর্ণ মহাপ্রাণধ্বনি। উদাহরণস্বরূপ:

  • ক-বর্গ: ক, , গ, , ঙ
    • 'খ' এবং 'ঘ' হলো মহাপ্রাণধ্বনি।
  • চ-বর্গ: চ, , জ, , ঞ
    • 'ছ' এবং 'ঝ' হলো মহাপ্রাণধ্বনি।
  • ট-বর্গ: ট, , ড, , ণ
    • 'ঠ' এবং 'ঢ' হলো মহাপ্রাণধ্বনি।
  • ত-বর্গ: ত, , দ, , ন
    • 'থ' এবং 'ধ' হলো মহাপ্রাণধ্বনি।
  • প-বর্গ: প, , ব, , ম
    • 'ফ' এবং 'ভ' হলো মহাপ্রাণধ্বনি।

এছাড়াও, কিছু উষ্ম বা শিস ধ্বনি (যেমন শ, ষ, স, হ) মহাপ্রাণধ্বনি হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে বর্গের বর্ণসমূহের মধ্যে দ্বিতীয় ও চতুর্থ বর্ণগুলোই মহাপ্রাণ।

ক. মাত্রাবৃত্ত
খ. অক্ষরবৃত্ত
গ. মুক্তক
ঘ. স্বরবৃত্ত
ব্যাখ্যাঃ

প্রশ্নে ‘যুক্তাক্ষর’ -এর স্থলে হবে ‘মুক্তাক্ষর’। কবিতায় নির্দিষ্ট একটি সুর বা গতি দেওয়ার জন্য ছন্দব্যাকরণ তৈরি হয়েছে। ছন্দ পর্ব ও মাত্রানির্ভর, তাই ছন্দের নামকরণ করা হয়েছে তিনভাগে- অক্ষরবৃত্ত, মাত্রাবৃত্ত, ও স্বরবৃত্ত। অক্ষরবৃত্ত ধীরগতির - তাই এর মাত্রা হবে মুক্তাক্ষর এক মাত্রা, বদ্ধাক্ষর এককভাবে দুই মাত্রা, শেষে দুই মাত্রা আর প্রথম ও মাঝে এক মাত্রা। মাত্রাবৃত্ত ছন্দে মুক্তাক্ষর এক মাত্রা ও বদ্ধাক্ষর দুই মাত্রা হয়। আর স্বরবৃত্ত ছন্দে মুক্তাক্ষর ও বদ্ধাক্ষর সব সময় এক মাত্রা গণনা করা হয়।

ক. ৭টি
খ. ৯টি
গ. ১০টি
ঘ. ৮টি
ব্যাখ্যাঃ

বাংলা বর্ণমালায় মোট আটটি অর্ধমাত্রার বর্ণ রয়েছে।

এগুলো হলো:

স্বরবর্ণ:

  • ঋ (Rri)

ব্যঞ্জনবর্ণ:

  • খ (Kho)
  • গ (Go)
  • ণ (No)
  • থ (Tho)
  • ধ (Dho)
  • প (Po)
  • শ (Sho)
ক. জ্ + ঞ
খ. ঞ্ + গ
গ. ঞ্ + জ
ঘ. গ্ + ঞ
ব্যাখ্যাঃ

'বিজ্ঞান' শব্দের যুক্তবর্ণের সঠিক রূপ হলো জ্ + ঞ (জ + ঞ)।

এটি 'জ্ঞ' হিসেবে লেখা হয় এবং এর উচ্চারণ সাধারণত 'গ্গঁ' বা 'গ্যঁ'-এর মতো হয়, যেমন: জ্ঞান, যজ্ঞ।

ক. ভ
খ. ঠ
গ. ফ
ঘ. চ
ব্যাখ্যাঃ

অল্পপ্রাণ বর্গের ১ম ও ৩য় বর্ণ (যেমন: ক, গ) মহাপ্রাণ বর্গের ২য় ও ৪র্থ বর্ণ (যেমন: খ, ঘ) অঘোষ বর্গের ১ম ও ২য় বর্ণ (যেমন: ক, খ, চ, ছ) ঘোষ বর্গের ৩য়, ও ৪র্থ বর্ণ (যেমন: গ, ঘ)

ক. ১৩টি
খ. ১০টি
গ. ১২টি
ঘ. ১১টি
ব্যাখ্যাঃ

বাংলা বর্ণমালায় মোট ৫০টি বর্ণ আছে। এর মধ্যে স্বরবর্ণ ১১টি এবং ব্যঞ্জনবর্ণ ৩৯টি। স্বরধ্বনি দ্যোতক সাংকেতিক চিহ্নকে বলা হয় স্বরবর্ণ। যেমন: অ, আ, ই ইত্যাদি। অন্যদিকে ব্যঞ্জনধ্বনি দ্যোতক সাংকেতিক চিহ্নকে বলা হয় ব্যঞ্জনবর্ণ। যেমন: ক, খ, গ ইত্যাদি।

ক. এগারটি
খ. নয়টি
গ. দশটি
ঘ. আটটি
ব্যাখ্যাঃ

বাংলা বর্ণমালায় মাত্রাবিহীন বর্ণের সংখ্যা ১০টি।

এগুলো হলো:

স্বরবর্ণ: এ, ঐ, ও, ঔ
ব্যঞ্জনবর্ণ: ঙ, ঞ, ৎ, ং, ঃ, ঁ

ক. কম্পিউটার
খ. অফসেট পদ্ধতি
গ. ফটো লিথোগ্রাফী
ঘ. প্রসেস ক্যামেরা
ব্যাখ্যাঃ

মুদ্রণ একটা প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একটি প্রধান গঠন বা মাপদণ্ড থেকে লেখা ও ছবির প্রতিলিপি তৈরি করা হয়। কাঠের টুকরোয় মুদ্রণের সূচনা ঘটে চীনে প্রায় ২২০ খ্রিষ্টাব্দে। মুদ্রণ করার সবচেয়ে সাধারণ উপাদন কাগজ। এছাড়াও প্রায়শই ধাতু, প্লাস্টিক, কাপড় ও যৌগিক পদার্থের ওপর ও করা হয়। তাই ধাতুনির্মিত অক্ষরের প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়।

ক. সংস্কৃত লিপি
খ. চীনা লিপি
গ. আরবি লিপি
ঘ. ব্রাহ্মী লিপি
ব্যাখ্যাঃ

প্রাচীন ভারতীয় লিপি দুটি। ব্রাহ্মী ও খরোষ্ঠী। ব্রাহ্মী লিপি তিন ভাগে বিভক্ত। পূর্বী লিপি, মধ্য ভারতীয় লিপি এবং পশ্চিমা লিপি। পূর্বী লিপির কুটিল রূপ হতে বাংলা লিপির উদ্ভব।

প্রশ্নঃ বর্ণ হচ্ছে-

[ বিসিএস ১৪তম ]

ক. শব্দের ক্ষুদ্রতম অংশ
খ. একসঙ্গে উচ্চারিত ধ্বনিগুচ্ছ
গ. ধ্বনি নির্দেশক প্রতীক
ঘ. ধ্বনির শ্রুতিগ্রাহ্য রূপ
ব্যাখ্যাঃ

শব্দের ক্ষুদ্রতম অংশকে বলে ধ্বনি। একসঙ্গে উচ্চারিত ধ্বনিগুচ্ছের অর্থবোধক মিলনে শব্দ তৈরি হয়। ধ্বনি নির্দেশক প্রতীক হলো বর্ণ।

ক. চ ছ
খ. ড ঢ
গ. ব ভ
ঘ. দ ধ
ব্যাখ্যাঃ
বর্গীয় ধ্বনি অঘোষ ঘোষ অল্পপ্রাণ মহাপ্রাণ
ক-বর্গীয় ক, খ গ, ঘ ক, গ খ, ঘ
চ-বর্গীয় চ, ছ জ, ঝ চ, জ ছ, ঝ
ট-বর্গীয় ট, ঠ ড, ঢ ট, ড ঠ, ঢ
ত-বর্গীয় ত, থ দ, ধ ত, দ থ, ধ
প-বর্গীয় প, ফ ব, ভ প, ব ফ, ভ
ক. ১২টি
খ. ৮টি
গ. ৬টি
ঘ. ১০টি
ব্যাখ্যাঃ

বাংলা বর্ণমালায় মাত্রাহীন বর্ণের সংখ্যা দশটি। এগুলো হলো:

  • স্বরবর্ণ: এ, ঐ, ও, ঔ
  • ব্যঞ্জনবর্ণ: ঙ, ঞ, ৎ, ং, ঃ, ঁ
ক. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
খ. ফোর্ট উইলিয়াম
গ. রজনীকান্ত
ঘ. চার্লস উইলকিন্স
ব্যাখ্যাঃ

চার্লস উইলকিন্স (Charles Wilkins) বাংলা মুদ্রাক্ষরের ইতিহাসে এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। তাকে বাংলা মুদ্রণের জনক হিসেবে অভিহিত করা হয়। তার অবদান বাংলা ভাষার মুদ্রণ এবং বই প্রকাশের ক্ষেত্রে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছিল।

এখানে তার প্রধান অবদানগুলো তুলে ধরা হলো:

  • প্রথম বাংলা টাইপফেস তৈরি: চার্লস উইলকিন্স ১৭৭৮ সালে প্রথম সফল বাংলা টাইপফেস (অক্ষরলিপি) তৈরি করেন। এর আগে, বাংলা বই রোমান হরফে ছাপা হতো, যা বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য দুর্বোধ্য ছিল। উইলকিন্সের তৈরি করা এই টাইপফেস বাংলা মুদ্রণের পথ প্রশস্ত করে। এই কাজের জন্য তিনি পঞ্চানন কর্মকার নামে একজন দক্ষ কর্মকারের সাহায্য নিয়েছিলেন।

  • প্রথম বাংলা ব্যাকরণ মুদ্রণ: উইলকিন্সের তৈরি করা টাইপফেস ব্যবহার করে ন্যাথানিয়েল ব্র্যাসি হ্যালহেড (Nathaniel Brassey Halhed) রচিত "A Grammar of the Bengal Language" বইটি ১৭৭৮ সালে হুগলি থেকে মুদ্রিত হয়। এটিই ছিল বাংলা হরফে মুদ্রিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ। এই বইটি প্রকাশের মাধ্যমে বাংলা ভাষার পঠন-পাঠন এবং জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে এক নতুন যুগের সূচনা হয়।

  • মুদ্রণ প্রযুক্তির প্রবর্তন: উইলকিন্স কেবল টাইপফেস তৈরিই করেননি, বরং বাংলা অক্ষর খোদাই করা, ছাঁচ তৈরি এবং মুদ্রণ প্রক্রিয়ার পুরো কাজটি নিজের তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন করেছিলেন। তিনি ইংল্যান্ডে মুদ্রণ শিল্পের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন এবং সেই জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে বাংলা মুদ্রণের প্রযুক্তিকে একটি নতুন স্তরে উন্নীত করেন।

  • অন্যান্য ভাষার মুদ্রণে অবদান: উইলকিন্স শুধু বাংলাই নয়, ফার্সি ভাষার মুদ্রণের জন্যও টাইপফেস তৈরি করেছিলেন।

চার্লস উইলকিন্সের এই অগ্রণী কাজের মাধ্যমেই বাংলা ভাষায় জ্ঞান-বিজ্ঞান ও সাহিত্য চর্চার সুযোগ প্রসারিত হয় এবং বাংলা প্রকাশনা শিল্পের ভিত্তি স্থাপিত হয়। তাই বাংলা মুদ্রাক্ষরের ইতিহাসে তার নাম চিরস্মরণীয়।

ক. ক্ +ষ
খ. ক্ + খ
গ. য্ +ন
ঘ. ষ্ + ঞ
ব্যাখ্যাঃ

'পক্ষী' শব্দের সংযুক্ত বর্ণ 'ক্ষ' গঠিত হয়েছে 'ক' এবং 'ষ' বর্ণ দুটি নিয়ে। অর্থাৎ, ক্ + ষ = ক্ষ।

প্রশ্নঃ "বর্ণ" হচ্ছেঃ -

[ প্রা.বি.স.শি. 21-06-2019 ]

ক. ধ্বনির শ্রুতিগ্রাহ্য রুপ
খ. ধ্বনি নির্দেশক প্রতীক
গ. একইসঙ্গে উচ্চারিত ধ্বনি গুচ্ছ
ঘ. শব্দের ক্ষুদ্রতম অংশ
ব্যাখ্যাঃ

বর্ণ ভাষার ক্ষুদ্রতম একক যা উচ্চারণের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

ক. ১০
খ. ১১
গ. ৮
ঘ. ৯
ব্যাখ্যাঃ

বাংলা বর্ণমালায় মাত্রাবিহীন বর্ণ ১০টি

এগুলো হলো:

  • স্বরবর্ণ (৪টি): এ, ঐ, ও, ঔ
  • ব্যঞ্জনবর্ণ (৬টি): ঙ, ঞ, ং, ঃ, ঁ, ৎ