আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
16

ক. তৎসম
খ. তদ্ভব
গ. দেশি
ঘ. বিদেশি
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হলো গঃ দেশি

বাংলা শব্দ ভাণ্ডারে অনার্য জাতি, অর্থাৎ অস্ট্রিক, দ্রাবিড় প্রভৃতি প্রাচীন জনগোষ্ঠীর ব্যবহৃত শব্দগুলোকে দেশি শব্দ বলা হয়। এই শব্দগুলো সরাসরি সংস্কৃত থেকে আসেনি এবং এদের মূল ভারতীয় আর্য ভাষার বাইরে খুঁজে পাওয়া যায়।

  • তৎসম: যে সকল সংস্কৃত শব্দ অপরিবর্তিতভাবে বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত হয়।
  • তদ্ভব: যে সকল সংস্কৃত শব্দ সময়ের সাথে সাথে প্রাকৃত ভাষার মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়ে বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত হয়।
  • বিদেশি: বিভিন্ন বিদেশি ভাষা থেকে আগত শব্দ, যেমন আরবি, ফারসি, ইংরেজি ইত্যাদি।

সুতরাং, অনার্য জাতির ব্যবহৃত শব্দগুলো বাংলা ভাষার দেশি শব্দ ভাণ্ডারের অন্তর্ভুক্ত।

ক. কলম
খ. মলম
গ. বাঁশি
ঘ. শাখামৃগ
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হলো ঘঃ শাখামৃগ

যোগরূঢ় শব্দ: যে সকল শব্দ সমাসবদ্ধ হওয়ার পর তাদের আক্ষরিক অর্থ বাদ দিয়ে একটি বিশেষ অর্থ প্রকাশ করে, তাদেরকে যোগরূঢ় শব্দ বলে।

  • শাখামৃগ: 'শাখা' (ডাল) এবং 'মৃগ' (পশু) এই দুটি শব্দের যোগে গঠিত হয়েছে 'শাখামৃগ'। এর আক্ষরিক অর্থ 'ডালে বিচরণকারী পশু' হলেও, এটি একটি বিশেষ অর্থে বানর বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।

অন্যান্য বিকল্পগুলোর ব্যাখ্যা:

  • কলম: এটি একটি মৌলিক শব্দ, কোনো সমাসের মাধ্যমে গঠিত হয়নি এবং এর আক্ষরিক অর্থেই ব্যবহৃত হয়।
  • মলম: এটিও একটি মৌলিক শব্দ এবং এর আক্ষরিক অর্থেই ব্যবহৃত হয়।
  • বাঁশি: এটিও একটি মৌলিক শব্দ এবং এর আক্ষরিক অর্থেই ব্যবহৃত হয়।

সুতরাং, একমাত্র শাখামৃগ শব্দটি সমাসবদ্ধ হয়ে একটি ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করছে, তাই এটি যোগরূঢ় শব্দ।

ক. পাঞ্জাবি
খ. ফরাসি
গ. গ্রিক
ঘ. স্পেনিশ
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হলো গঃ গ্রিক

আরবি ‘কলম’ শব্দটি গ্রিক শব্দ ‘kalamos’ (κάλαμος) থেকে এসেছে, যার অর্থ নলখাগড়া বা লেখার নল। ‘কলমোস’ হলো সেই গ্রিক শব্দেরই একটি পরিবর্তিত রূপ।

ক. প্রবীণ
খ. জেঠামি
গ. সরোজ
ঘ. মিতালি
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হলো ঘঃ মিতালি

যৌগিক শব্দ হলো সেইসব শব্দ যা দুই বা ততোধিক স্বাধীন অর্থবোধক শব্দ যুক্ত হয়ে তৈরি হয় এবং নতুন অর্থ প্রকাশ করে।

আসুন, বিকল্প শব্দগুলোর বিশ্লেষণ করা যাক:

  • প্রবীণ: এটি একটি মৌলিক শব্দ। এর কোনো অংশ স্বাধীন অর্থ বহন করে না।
  • জেঠামি: এটি একটি কৃদন্ত শব্দ। "জেঠা" শব্দের সাথে "-আমি" প্রত্যয় যুক্ত হয়ে গঠিত হয়েছে। প্রত্যয় যোগে গঠিত শব্দ যৌগিক নয়, এগুলো সাধিত শব্দ।
  • সরোজ: এটিও একটি মৌলিক শব্দ। "সর" (পুকুর) এবং "জ" (জন্ম) আলাদাভাবে অর্থ বহন করলেও, "সরোজ" একটি নির্দিষ্ট অর্থ (পদ্ম) প্রকাশ করে এবং এর গঠন রূঢ়ি শব্দের মতো।
  • মিতালি: "মিতালি" শব্দটি "মিতা" (বন্ধু) এবং "আলি" (বন্ধুদের সমাহার বা ভাব) এই দুটি স্বাধীন অর্থবোধক শব্দ যোগে গঠিত হয়েছে এবং এটি বন্ধুত্ব বা সখ্যতা অর্থে ব্যবহৃত হয়। তাই এটি একটি যৌগিক শব্দ।
ক. পর্তুগিজ
খ. হিন্দি
গ. গুজরাটি
ঘ. ফরাসি
ব্যাখ্যাঃ

‘হরতাল’ শব্দটি গঃ গুজরাটি ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় এসেছে।

ক. পছন্দ
খ. হিসাব
গ. ধূলি
ঘ. শৌখিন
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো গঃ ধূলি

ধূলি একটি তৎসম শব্দ, যা সরাসরি সংস্কৃত ভাষা থেকে অপরিবর্তিতভাবে বাংলা ভাষায় এসেছে।

অন্যান্য শব্দগুলোর উৎস:

  • কঃ পছন্দ - এটি ফারসি শব্দ।
  • খঃ হিসাব - এটি আরবি শব্দ।
  • ঘঃ শৌখিন - এটিও ফারসি শব্দ।
ক. পর্তুগিজ
খ. ফরাসি
গ. আরবি
ঘ. ফারসি
ব্যাখ্যাঃ

‘আসমান’ শব্দটি ঘঃ ফারসি ভাষা থেকে আগত।

ফারসি ভাষায় ‘আসমান’ অর্থ আকাশ। বাংলা ভাষায় শব্দটি অপরিবর্তিত অর্থে ব্যবহৃত হয়।

ক. বাসভুমি থেকে বিতাড়িত হওয়া
খ. বাসভুমির সম্মুখস্ত ভূমি
গ. অজ্ঞাত বিষয় প্রকাশ করা
ঘ. বিকাশ
ব্যাখ্যাঃ

শব্দটির অর্থ বাস্তুচ্যুত বা বাসভূমি থেকে বিতাড়িত হওয়া। শব্দটি বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যায় (তৎসম বা সংস্কৃত)উৎ+√বস্+ণিচ্+অন(ল্যুট্)

ক. তৎসম
খ. তদ্ভব
গ. ফারসি
ঘ. তুর্কি
ব্যাখ্যাঃ

"বাবা" শব্দটি ঘঃ তুর্কি ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় এসেছে।

বাংলায় ব্যবহৃত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তুর্কি শব্দ হলো: বাবা, দারোগা, তোপ, বন্দুক, চাকু, বেগম, খান, বাহাদুর ইত্যাদি।

ক. জন্ম-জম্ম
খ. আজি > আইজ
গ. ডেস্ক > ডেসক
ঘ. অলাবু > লাবু > লাউ
ব্যাখ্যাঃ

অপিনিহিতির উদাহরণ হলো আজি > আইজ

অপিনিহিতি হলো যখন শব্দের মধ্যে থাকা ই-কার বা উ-কার তার স্বাভাবিক অবস্থানের আগে উচ্চারিত হয় বা লেখা হয়।

  • আজি > আইজ - এই উদাহরণে 'ই' ধ্বনিটি তার মূল স্থান থেকে সরে 'আ'-এর পরে উচ্চারিত হচ্ছে।

অন্যান্য উদাহরণগুলোর ব্যাখ্যা:

  • জন্ম-জম্ম: এটি দ্বিরুক্ত শব্দের উদাহরণ।
  • ডেস্ক > ডেসক: এটি স্বরভক্তির উদাহরণ (দুটি ব্যঞ্জনধ্বনির মধ্যে স্বরধ্বনি আগমন)।
  • অলাবু > লাবু > লাউ: এটি স্বরসংগতির উদাহরণ (পরবর্তী স্বরের প্রভাবে পূর্ববর্তী স্বরের পরিবর্তন)।
ক. ফারসী
খ. পর্তুগিজ
গ. ওলন্দাজ
ঘ. পাঞ্জাবী
ব্যাখ্যাঃ

‘গির্জা’ শব্দটি পর্তুগিজ ভাষার অন্তর্গত।

বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত অনেক বিদেশি শব্দের মধ্যে পর্তুগিজ শব্দ উল্লেখযোগ্য। খ্রিস্টানদের উপাসনালয় বোঝাতে 'গির্জা' শব্দটি পর্তুগিজ 'igreja' থেকে এসেছে।

ক. যৌগিক
খ. তৎসম
গ. দেশী
ঘ. অর্ধ-তৎসম
ব্যাখ্যাঃ

‘জোছনা’ শব্দটি অর্ধ-তৎসম শ্রেণীর শব্দ।

অর্ধ-তৎসম শব্দ হলো সেইসব সংস্কৃত শব্দ যা কিছুটা পরিবর্তিত রূপে বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত হয়। ‘জোছনা’ মূল সংস্কৃত শব্দ ‘জ্যোৎস্না’ থেকে পরিবর্তিত হয়ে ‘জোছনা’ রূপে প্রচলিত হয়েছে।

অন্যান্য শ্রেণীর শব্দ সম্পর্কে ধারণা:

  • যৌগিক শব্দ: একাধিক স্বাধীন অর্থবোধক শব্দ মিলিত হয়ে যে নতুন শব্দ তৈরি হয়। যেমন: জল+যান = জলযান।
  • তৎসম শব্দ: যে সকল সংস্কৃত শব্দ অপরিবর্তিত রূপে বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত হয়। যেমন: চন্দ্র, সূর্য, নক্ষত্র।
  • দেশী শব্দ: বাংলাদেশের আদিবাসী বা স্থানীয় ভাষা থেকে আগত শব্দ। যেমন: কুলা, গামছা, ঢেঁকি।
ক. জবাবদিহি
খ. মিথস্ক্রিয়া
গ. একত্রিত
ঘ. গৌরবিত
ব্যাখ্যাঃ

অপপ্রয়োগ ঘটেছে একত্রিত শব্দটিতে।

কারণ:

  • একত্রিত শব্দটি নিজেই একটি ক্রিয়া বিশেষ্য। এর অর্থ 'একত্র করা হয়েছে এমন' বা 'একত্র হওয়া'। 'একত্র' শব্দটির সঙ্গেই 'ইত' প্রত্যয় যোগ করে এর ক্রিয়া সম্পন্ন রূপ বোঝানো হয়। 'করা' বা 'হওয়া' ক্রিয়াপদ যুক্ত না করাই উচিত।
  • সঠিক প্রয়োগ: কেবল একত্র ব্যবহার করাই যথেষ্ট। যেমন: "আমরা সবাই একত্র হলাম।" বা "সকল কাগজপত্র একত্র করুন।"

অন্যান্য বিকল্পগুলো শুদ্ধ প্রয়োগ:

  • জবাবদিহি: 'জবাব' এবং 'দিহি' শব্দাংশ দিয়ে গঠিত এটি একটি শুদ্ধ যৌগিক শব্দ, যার অর্থ জবাব দেওয়া বা কৈফিয়ত দেওয়া।
  • মিথস্ক্রিয়া: 'মিথস' (পরস্পর) এবং 'ক্রিয়া' (কাজ) দিয়ে গঠিত একটি শুদ্ধ যৌগিক শব্দ, যার অর্থ পারস্পরিক ক্রিয়া বা পারস্পরিক প্রভাব।
  • গৌরবিত: 'গৌরব' শব্দের সাথে 'ইত' প্রত্যয় যোগে গঠিত একটি শুদ্ধ বিশেষণ, যার অর্থ গৌরবযুক্ত বা সম্মানিত।
ক. সংস্কৃত
খ. হিন্দি
গ. অহমিয়া
ঘ. তুর্কি
ব্যাখ্যাঃ

'বাবা' শব্দটি একটি তুর্কি ভাষা থেকে আগত শব্দ। এটি বাংলা ভাষায় আগত অসংখ্য বিদেশি শব্দের মধ্যে একটি।

ক. দেশি
খ. বিদেশি
গ. তদ্ভব
ঘ. অর্ধ-তৎসম
ব্যাখ্যাঃ

‘গিন্নি’ শব্দটি হলো ঘঃ অর্ধ-তৎসম শব্দ।

ব্যাখ্যা:

  • অর্ধ-তৎসম শব্দ হলো সেইসব শব্দ যা সংস্কৃত ভাষা থেকে কিছুটা পরিবর্তিত হয়ে বাংলা ভাষায় এসেছে। এগুলোকে 'তৎসম' (সংস্কৃতের মতো) এবং 'তদ্ভব' (সংস্কৃত থেকে উদ্ভূত) শব্দের মাঝামাঝি ধরা হয়।
  • 'গিন্নি' শব্দটি এসেছে সংস্কৃত 'গৃহিণী' থেকে। 'গৃহিণী' থেকে পরিবর্তিত হয়ে এটি প্রথমে 'গিন্নী' এবং পরে 'গিন্নি' রূপ ধারণ করেছে। তাই এটি একটি অর্ধ-তৎসম শব্দ।
ক. মানব
খ. গোলাপ
গ. একাঙ্ক
ঘ. ধাতব
ব্যাখ্যাঃ

প্রদত্ত বিকল্পগুলির মধ্যে গোলাপ হলো একটি মৌলিক শব্দ।

মৌলিক শব্দ হলো সেইসব শব্দ যাদেরকে আর কোনো ক্ষুদ্রতম অর্থপূর্ণ অংশে ভাঙা যায় না বা বিশ্লেষণ করা যায় না। এদের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ ও ব্যবহারিক অর্থ অভিন্ন হয়।

আসুন বিকল্পগুলো বিশ্লেষণ করি:

  • কঃ মানব: এটি প্রকৃতি ও প্রত্যয় দ্বারা বিশ্লেষণ করা যায়। 'মনু' (প্রকৃতি) + 'অ' (প্রত্যয়) = মানব। এর অর্থ 'মনু থেকে আগত'। এটি একটি সাধিত শব্দ।
  • খঃ গোলাপ: এই শব্দটিকে আর ভাঙা যায় না বা এর বিশ্লেষণ করা যায় না। এটি একটি স্বাধীন অর্থ প্রকাশ করে এবং এর কোনো ব্যুৎপত্তিগত অর্থ নেই যা এর ব্যবহারিক অর্থের থেকে আলাদা।
  • গঃ একাঙ্ক: এটিও বিশ্লেষণযোগ্য। 'এক' + 'অঙ্ক' = একাঙ্ক। এর অর্থ 'এক অংকের নাটিকা' বা 'এক অংকের হিসাব'। এটি একটি সাধিত শব্দ।
  • ঘঃ ধাতব: এটিও বিশ্লেষণযোগ্য। 'ধাতু' (প্রকৃতি) + 'ষ্ণ' (প্রত্যয়) = ধাতব। এর অর্থ 'ধাতু দ্বারা নির্মিত' বা 'ধাতু সম্পর্কীয়'। এটি একটি সাধিত শব্দ।

সুতরাং, গোলাপ হলো একটি মৌলিক শব্দ।

ক. ব + ন্ + ধ + ন্
খ. বন্ + ধন্
গ. ব + ন্ধ + ন
ঘ. বান্ + ধন্
ব্যাখ্যাঃ

'বন্ধন' শব্দের সঠিক অক্ষর বিন্যাস হলো:

বন্ + ধন

এখানে:

  • 'বন্' হলো একটি বদ্ধাক্ষর (ব্যঞ্জন + স্বর + ব্যঞ্জন)
  • 'ধন' হলো আরেকটি বদ্ধাক্ষর (ব্যঞ্জন + স্বর + ব্যঞ্জন)

যদি স্বরধ্বনির উচ্চারণকে ভিত্তি করে অক্ষর (syllable) বিশ্লেষণ করা হয়, তাহলে এটি হবে:

বন্-ধন

যদি বর্ণ বিশ্লেষণ চাওয়া হয়: ব্ + অ + ন্ + ধ্ + অ + ন্

ক. ইংরেজি + ফার্সি
খ. ইংরেজি + আরবি
গ. তুর্কি + আরবি
ঘ. ইংরেজি + পর্তুগিজ
ব্যাখ্যাঃ

'হেড মৌলভী' শব্দটি ইংরেজি এবং ফারসি ভাষার শব্দ যোগে গঠিত হয়েছে।

  • হেড (Head): এটি একটি ইংরেজি শব্দ, যার অর্থ 'প্রধান'।
  • মৌলভী (Moulvi/Maulvi): এটি একটি ফারসি শব্দ, যা একজন ধর্মীয় পণ্ডিত বা শিক্ষককে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। এটি আরবি থেকে ফারসিতে এবং পরে বাংলাতে এসেছে।
ক. সমাস দ্বারা
খ. লিঙ্গ পরিবর্তন দ্বারা
গ. উপসর্গ যোগে
ঘ. ক, খ ও গ তিন উপায়েই হয়
ব্যাখ্যাঃ

বাংলা ভাষায় শব্দ সাধন (word formation) বিভিন্ন উপায়ে হয়ে থাকে, যেমন সমাস দ্বারা, উপসর্গ যোগে, প্রত্যয় যোগে, সন্ধি দ্বারা (কিছু ক্ষেত্রে) ইত্যাদি।

দেওয়া বিকল্পগুলোর মধ্যে:

  • কঃ সমাস দ্বারা: এটি বাংলা ভাষায় শব্দ গঠনের একটি প্রধান উপায় (যেমন: সিংহাসন, হাতঘড়ি)।
  • গঃ উপসর্গ যোগে: এটিও বাংলা ভাষায় শব্দ গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় (যেমন: প্রহার, বিহার, অবজ্ঞা)।
  • খঃ লিঙ্গ পরিবর্তন দ্বারা: লিঙ্গ পরিবর্তন (যেমন: ছেলে -> মেয়ে, ছাত্র -> ছাত্রী) মূলত বিদ্যমান শব্দের লিঙ্গগত রূপান্তর ঘটায়, এটি নতুন কোনো মৌলিক শব্দ তৈরির প্রক্রিয়া নয়। এটিকে সরাসরি 'শব্দ সাধন' বা 'শব্দ গঠন'-এর প্রাথমিক উপায় হিসেবে গণ্য করা হয় না। এটি একটি রূপান্তরের প্রক্রিয়া।

সুতরাং, লিঙ্গ পরিবর্তন দ্বারা নতুন শব্দের মৌলিক সাধন হয় না।

ক. সোপান
খ. সমর্থ
গ. সোল্লাস
ঘ. সওয়ার
ব্যাখ্যাঃ

‘সোমত্ত’ শব্দটির উৎপত্তি সমর্থ শব্দ থেকে।

‘সোমত্ত’ শব্দটির উৎপত্তি সংস্কৃত শব্দ ‘সমর্থ’ থেকে। ‘সমর্থ’ শব্দের অর্থ হলো সক্ষম, যোগ্য, বা পূর্ণাঙ্গ। কালক্রমে প্রাকৃত ভাষার মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়ে বাংলা ভাষায় ‘সোমত্ত’ রূপে ব্যবহৃত হয়, যা পূর্ণবয়স্ক বা যৌবনপ্রাপ্ত অর্থে বোঝায়।

অন্যান্য বিকল্পগুলো প্রাসঙ্গিক নয়:

  • কঃ সোপান: এর অর্থ সিঁড়ি।
  • গঃ সোল্লাস: এর অর্থ আনন্দিত বা উল্লসিত।
  • ঘঃ সওয়ার: এটি একটি ফার্সি শব্দ, যার অর্থ আরোহী।
ক. ম্যাজেন্টা
খ. পিস্তল
গ. আলমারি
ঘ. কমা
ক. পানসা
খ. ফুলেল
গ. গোলাপ
ঘ. হাতল
ক. ফার্সি
খ. তুর্কি
গ. পর্তুগিজ
ঘ. আরবি
ক. সহ + চর + র্য
খ. সহচর + ৎ ফলা
গ. সহচর + য
ঘ. কোনটিই নয়
ব্যাখ্যাঃ

বাংলা ব্যাকরণের নিয়ম অনুসারে ‘য’ প্রত্যয় যুক্ত হলে প্রাতিপদিকের অন্তে স্থিত অ, আ, ই এবং ঈ এর লোপ হয়। সে অনুসারে সহচর + য = সাহচর্য শুদ্ধ। এ নিয়মের অন্তর্ভুক্ত হলো সাম্য, কাব্য, মাধুর্য, প্রাচ্য প্রভৃতি।

ক. চলিত রীতি
খ. সাধু রীতি
গ. মিশ্র রীতি
ঘ. আঞ্চলিক রীতি
ব্যাখ্যাঃ

ক. বাংলাভাষার লৈখিক রীতি দুটির একটি চলিত রীতি। চলিত রীতি পরিবর্তনশীল। এ রীতি তদ্ভব শব্দবহুল। খ. যেসব শব্দ সংস্কৃত ভাষা থেকে সোজাসুজি বাংলায় এসেছে এবং যাদের রূপ অপরিবর্তিত রয়েছে সেসব শব্দকে বলা হয় তৎসম শব্দ। সাধু রীতি গুরুগম্ভীর ও তৎসম শব্দবহুল। গ. বাংলা ভাষায় মিশ্র রীতির ব্যবহার নেই। ঘ. মৌখিক রীতির দুটি ভাগের একটি হলো আঞ্চলিক রীতি। বিভিন্ন অঞ্চলে আঞ্চলিক রীতির বিভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়।

ক. তুফান
খ. লুঙ্গী
গ. কুশন
ঘ. দাম
ব্যাখ্যাঃ

‘দাম’ হচ্ছে গ্রিক শব্দ। ‘তুফান’, ‘লুঙ্গী’ ও ‘কুশন’ যথাক্রমে আরবি, বর্মি ও ইংরেজি শব্দ।

ক. বাংলা + ফারসি
খ. সংস্কৃত + ফারসি
গ. ফারসি + আরবি
ঘ. সংস্কৃত + আরবি
ব্যাখ্যাঃ

‘চৌ-হদ্দি’ হলো চৌ + হদ্দি। এখানে ‘চৌ’ অংশটুকু ফারসি এবং ‘হদ্দ’ অংশটুকু আরবি ভাষার শব্দ। ফারসি ‘চৌ’ অর্থ চার এবং ‘হদ্দ’ অর্থ সীমানা। সুতরাং চৌ-হদ্দি শব্দের অর্থ চতুঃসীমা। যেমন- বাড়ি বা জমির চৌহদ্দি।

ক. মুসাফির
খ. তকদির
গ. পেরেশান
ঘ. মজলুম
ব্যাখ্যাঃ

‘পেরেশান’ শব্দটি ফারসি শব্দ, যার অর্থ উদ্বিগ্ন বা চিন্তিত। ‘তকদির’ শব্দটি আরবি শব্দ, যার অর্থ অদৃষ্ট, নসিব বা ভাগ্য। ‘মুসাফির’ শব্দটি আরবি শব্দ,যার অর্থ বিদেশে ভ্রমণকারী ব্যক্তি। ‘মজলুম’ শব্দটিও আরবি শব্দ ,যার অর্থ অত্যাচারিত।

ক. আইন
খ. দাখিল
গ. এজেন্ট
ঘ. মুচলেকা
ব্যাখ্যাঃ

‘এজেন্ট’ (agent) ইংরেজি ভাষা থেকে আগত একটি শব্দ। এটার অর্থ শাসক, ব্যবসায়ী বা অন্য কারো প্রতিনিধি বা উকিল। ‘দাখিল’ শব্দটি এসেছে আরবি ভাষা থেকে যার অর্থ পেশ বা উপস্থাপন করা । ‘আইন’ শব্দটি এসেছে ফারসি ভাষা থেকে, যার অর্থ সরকারি বিধি, বিধান বা কানুন। ‘মুচলেকা’ শব্দটি এসেছে তুর্কি ভাষা থেকে, যার অর্থ শর্তভঙ্গ করলে দণ্ডভোগ করতে হবে- এই মর্মে লিখিত অঙ্গীকারপত্র।

ক. না-বাচক
খ. হ্যাঁ-বাচক
গ. প্রশ্নবোধক
ঘ. বিস্ময়সূচক
ব্যাখ্যাঃ

উপরিউক্ত বাক্যটি দেখতে প্রশ্নবোধক মনে হলেও বাক্যটির অন্তর্নিহিত ভাবটি আগামীকাল আসার কথা (বিবৃতি) বলা হয়েছে। তাই এটি হ্যাঁ-বাচক।

ক. ফারসি
খ. উর্দু
গ. আরবি
ঘ. ইংরেজি
ব্যাখ্যাঃ

বাবেল মান্দেব একটি আরবি শব্দ। এখানে এক সময় প্রচুর জাহাজ ডুবি হতো ও অনেক মানুষ মারা যেত। এটি বর্তমানে একটি প্রণালী, যা এশিয়া থেকে আফ্রিকাকে পৃথক করেছে এবং এডেন সাগরকে লোহিত সাগরের সাথে যুক্ত করেছে।

ক. ক্ + ঘ
খ. ক্ + ষ + ণ
গ. ক্ + ষ + ম
ঘ. হ্ + ম
ব্যাখ্যাঃ

দুই বা তার চেয়ে বেশি ব্যঞ্জনধ্বনির মধ্যে কোনো স্বরধ্বনি না থাকলে সে ব্যঞ্জনধ্বনি দুটি বা ধ্বনি কয়টি একত্রে উচ্চারিত হয়। এরূপ যুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনির দ্যোতনার জন্য দুটি বা অধিক ব্যঞ্জনবর্ণ একত্রিত হয়ে সংযুক্ত বর্ণ (Ligature) গঠিত হয়। ‘হ্ম’ এখানে এরূপ একটি সংযুক্ত বর্ণ। কারণ, হ্ + ম = হ্ম। উল্লেখ্য, ক্ + ষ = ক্ষ, ক্ + ষ + ণ = ক্ষ্ণ এবং ক্ + ষ + ম= ক্ষ্ম।

ক. হিন্দি
খ. উর্দু
গ. পর্তুগীজ
ঘ. গ্রিক
ব্যাখ্যাঃ

প্রশ্নে উল্লিখিত ‘পেয়ারা’ শব্দটি পর্তুগীজ ভাষা থেকে এসেছে। পর্তুগীজ ভাষা থেকে আগত এরূপ আরো কিছু শব্দ হলো আনারস, আলপিন, আলমারি, গির্জা, গুদাম, চাবি, পাউরুটি, বালতি, তোয়ালে, সাবান, বারান্দা।

ক. অনুভূতি
খ. গালি
গ. প্রত্যঙ্গ
ঘ. শক্তি
ব্যাখ্যাঃ

যে ভাষায় শব্দভাণ্ডার যত সমৃদ্ধ এবং যত বেশি অর্থবৈচিত্র্যে ঋদ্ধ সেই ভাষা তত উন্নত বলে স্বীকৃত। বাংলা একটি সমৃদ্ধ ভাষা হওয়ায় এ ভাষায় বানান ও উচ্চারণগত অভিন্নতা সত্ত্বে ও একই শব্দ বাক্যের মধ্যে বিভিন্ন অর্থ প্রকাশ করে থাকে। উপরিউক্ত প্রশ্নে ‘মুখ’ দ্বারা এখানে স্পষ্টতই শক্তি বুঝানো হয়েছে।

ক. শব্দ
খ. বর্ণ
গ. ধ্বনি
ঘ. চিহ্ন
ব্যাখ্যাঃ

বাক্যের ক্ষুদ্রতম একক হলো শব্দ। শব্দ হল ভাষার মৌলিক উপাদান, যা এক বা একাধিক বর্ণ দিয়ে গঠিত হয় এবং একটি স্বতন্ত্র অর্থ বহন করে। শব্দগুলি একত্রিত হয়ে বাক্য গঠন করে।

উদাহরণস্বরূপ, "বাংলা" একটি শব্দ, এবং এটি একটি বাক্যের অংশ হতে পারে, যেমন: "বাংলা আমার মাতৃভাষা।"

ক. টেবিল
খ. চেয়ার
গ. বালতি
ঘ. শরবত
ব্যাখ্যাঃ

পর্তুগিজ ভাষা হতে আগত অন্যান্য বাংলা শব্দ হলো আলকাতরা, আলপিন, আলমারি, পেরেক, জানালা, বারান্দা, কামরা, ইংরেজ, গুদাম, গির্জা, পাদ্রি, কেরানি, আয়া, পেঁপে, পেয়ারা, আতা, আচার, পাউরুটি, তামাক, বোতাম, ফিতা, টুপি, সেমিজ, কামিজ, সাবান, তোয়ালে, গামলা, বালতি ইত্যাদি। টেবিল, চেয়ার ইংরেজি শব্দ; শরবত আরবি শব্দ।

ক. দুই ভাগে
খ. তিন ভাগে
গ. চার ভাগে
ঘ. পাঁচ ভাগে
ব্যাখ্যাঃ

শব্দার্থ অনুসারে বাংলা ভাষার শব্দ সমষ্টিকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। এই ভাগগুলো হলো:

যৌগিক শব্দ:
যেসব শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ ও ব্যবহারিক অর্থ অভিন্ন, তাদেরকে যৌগিক শব্দ বলা হয়। যেমন: গায়ক (গৈ+অক), কর্তব্য (কৃ+তব্য), বাবুয়ানা (বাবু+আনা) ইত্যাদি।

রূঢ় বা রূঢ়ি শব্দ:
যেসব শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ ও ব্যবহারিক অর্থ আলাদা, তাদেরকে রূঢ় বা রূঢ়ি শব্দ বলা হয়। যেমন: হস্তী (হস্ত+ইন), বাঁশি (বাঁশ+ই), তৈল (তিল+অ) ইত্যাদি।

যোগরূঢ় শব্দ:
সমাস নিষ্পন্ন যেসব শব্দ সম্পূর্ণভাবে সমস্যমান পদের অর্থের অনুগামী না হয়ে কোনো বিশিষ্ট অর্থ প্রকাশ করে, তাদেরকে যোগরূঢ় শব্দ বলা হয়।

* যেমন: পঙ্কজ (পঙ্কে জন্মে যা), জলধি (জল ধারণ করে যা), মহাযাত্রা (মহতী যে যাত্রা) ইত্যাদি।

ক. গোলাপ
খ. শীতল
গ. নেয়ে
ঘ. গৌরব
ব্যাখ্যাঃ

যে শব্দকে আর বিশ্লেষণ করা যায় না, তাকে মৌলিক শব্দ বলে। যেমন- গোলাপ, নাক, লাল। যে শব্দকে বিশ্লেষণ করলে আলাদা অর্থবোধক শব্দ পাওয়া যায়, তাকে সাধিত শব্দ বলে। এখানে শীতল, নেয়ে, গৌরব সাধিত শব্দ।

ক. জীবন
খ. জীবনী
গ. জীবিকা
ঘ. জীবাণু
ব্যাখ্যাঃ

জীবন-বিশেষ্য, জীবিকা-বিশেষ্য, জীবনী- বিশেষণ, জীবাণু- বিশেষ্য।

ক. চাকু, চাকর
খ. খদ্দর, হরতাল
গ. চা, চিনি
ঘ. রিকশা, রেস্তোঁরা
ব্যাখ্যাঃ
বিদেশি শব্দ উদাহরণ
চীনা শব্দ চা, চিনি, সাম্পান, লিচু, লুচি
গুজরাটি শব্দ খদ্দর, হরতাল
তুর্কি শব্দ চাকর, চাকু, তোপ, দারোগা, খোকা, বাবা, বেগম, উজবুক, বাবুর্চি
জাপানি শব্দ রিক্সা, হারিকিরি, জুডো, ক্যারাটে, হাসনাহেনা
ফরাসি শব্দ কার্তুজ, কুপন, ডিপো, রেস্তোরা, বুর্জোয়া
ক. পর্তুগিজ ভাষা হতে
খ. আরবি ভাষা হতে
গ. দেশী ভাষা হতে
ঘ. ওলন্দাজ ভাষা হতে
ব্যাখ্যাঃ

পর্তুগিজ ভাষা হতে আগত অন্যান্য বাংলা শব্দ হলো আলকাতরা, আলপিন, আলমারি, পেরেক, জানালা, বারান্দা, কামরা, ইংরেজ, গুদাম, গির্জা, পাদ্রি, কেরানি, আয়া, পেঁপে, পেয়ারা, আতা, আচার, পাউরুটি, তামাক, বোতাম, ফিতা, টুপি, সেমিজ, কামিজ, সাবান, তোয়ালে, গামলা, বালতি ইত্যাদি।

ক. শবপোড়া
খ. মড়াদাহ
গ. শবদাহ
ঘ. শবমড়া
ব্যাখ্যাঃ

তৎসম শব্দের সাথে দেশীয় শব্দের প্রয়োগ কখনো কখনো গুরুচণ্ডালী দোষ সৃষ্টি করে। এ দোষে দুষ্ট শব্দ তার যোগ্যতা হারায়। শব ও দাহ তৎসম শব্দ এবং মড়া ও পোড়া দেশি শব্দ। সুতরাং এদের সমন্বয়ে সৃষ্ট শবদাহ এবং মড়াপোড়া ব্যতীত অন্যান্য শব্দ গুরুচণ্ডালী দোষ সৃষ্টি করে।

ক. তিনিই সমাজের মাথা
খ. মাথা খাটিয়ে কাজ করবে
গ. লজ্জায় আমার মাথা কাটা গেল
ঘ. মাথা নেই তার মাথা ব্যথা
ব্যাখ্যাঃ

মাথা নেই আবার মাথা ব্যথা: অবহেলা অর্থে; তিনিই সমাজের মাথা: মোড়ল/প্রধান অর্থে; লজ্জায় মাথা কাটা গেল: সম্মানহানি অর্থে।

ক. চাঁদ
খ. সূর্য
গ. নক্ষত্র
ঘ. গগন
ব্যাখ্যাঃ

সূর্য, গগন ও নক্ষত্র হলো তৎসম শব্দ। অন্য ভাষার যেসব শব্দ অর্থ ঠিক রেখে বানান ও উচ্চারণ পরিবর্তিত হয়ে বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত হচ্ছে এবং একটি নিজস্ব রূপ গ্রহণ করেছে তাদেরকে তদ্ভব শব্দ বলে। যেমন - হাত, ভাত, চামার, কামার, চান, সাঁঝ, বৌ, নুন ইত্যাদি।

ক. তুর্কী
খ. ফার্সী
গ. হিন্দি
ঘ. উর্দু
ব্যাখ্যাঃ

'বাবা' শব্দটি কঃ তুর্কী ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় এসেছে।

বাংলায় আরও কিছু তুর্কী শব্দ প্রচলিত আছে, যেমন - চাকু, তোপ, দারোগা, বেগম, মুচলেকা ইত্যাদি।

প্রশ্নঃ দেশি শব্দ নয় কোনটি?

[ প্রা.বি.স.শি. 02-02-2024 ]

ক. ঝিঙ্গা
খ. ঢিল
গ. মুড়কী
ঘ. মাছি
ব্যাখ্যাঃ

দেশি শব্দ নয় মাছি

'মাছি' শব্দটি তৎসম শব্দ (সংস্কৃত থেকে অপরিবর্তিত রূপে আগত)।

অন্যদিকে, 'ঝিঙ্গা', 'ঢিল' এবং 'মুড়কী' - এই তিনটি শব্দই দেশি শব্দ, অর্থাৎ যা প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষা থেকে প্রাকৃত বা অপভ্রংশের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়ে বাংলা ভাষায় এসেছে।

ক. ব+ন+ধ+ন
খ. বন্‌+ধন্‌
গ. ব+ন্ধ+ন
ঘ. বান+ধন
ব্যাখ্যাঃ

"বন্ধন" শব্দের সঠিক অক্ষর বিন্যাস হলো: বন্‌ + ধন্‌

এখানে:

  • "ন্‌" এবং "ধ" একত্রে যুক্ত হয়ে "ন্ধ" যুক্তব্যঞ্জন গঠন করেছে।
  • তাই অক্ষরভিত্তিক বিশ্লেষণে এটি হবে বন্‌ + ধন্‌

প্রশ্নঃ কোনটি মৌলিক শব্দ -

[ প্রা.বি.স.শি. 08-12-2023 ]

ক. গোলাপ
খ. মানব
গ. ধাতব
ঘ. একাঙ্ক
ব্যাখ্যাঃ

গোলাপ হলো মৌলিক শব্দ।

মৌলিক শব্দ হলো সেইসব শব্দ যাদেরকে ভাঙলে বা বিশ্লেষণ করলে কোনো অর্থবোধক ছোট অংশে পাওয়া যায় না।

  • গোলাপ শব্দটিকে ভাঙলে 'গো' বা 'লাপ' এর কোনো একক অর্থ নেই। তাই এটি মৌলিক শব্দ।

অন্যান্য বিকল্পগুলো বিশ্লেষণ করা যাক:

  • মানব: 'মনু' (আদি মানব) শব্দের সাথে 'অ' প্রত্যয় যোগ করে 'মানব' শব্দটি গঠিত হয়েছে। তাই এটি একটি সাধিত শব্দ।
  • ধাতব: 'ধাতু' শব্দের সাথে 'ব' প্রত্যয় যোগ করে 'ধাতব' শব্দটি গঠিত হয়েছে। এটিও একটি সাধিত শব্দ।
  • একাঙ্ক: 'এক' + 'অঙ্ক' (নাটকের ভাগ) - দুটি মৌলিক শব্দের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে। এটি একটি যৌগিক শব্দ।
ক. ইংরেজি
খ. পর্তুগিজ
গ. ওলন্দাজ
ঘ. জার্মানি
ব্যাখ্যাঃ

'কিন্টারগার্ডেন’ শব্দটি জার্মানি ভাষা থেকে আগত।

জার্মান শিক্ষাবিদ ফ্রিডরিখ ফ্রোবেল ঊনবিংশ শতাব্দীর শুরুতে এই শিক্ষাব্যবস্থা এবং শব্দটির প্রচলন করেন। জার্মান ভাষায় 'Kindergarten' এর অর্থ হলো 'শিশুদের বাগান'।

ক. তৎসম
খ. বিদেশি
গ. দেশি
ঘ. তদ্ভব
ব্যাখ্যাঃ

সাধু ভাষায় তৎসম শব্দের প্রাধান্য বেশি।

তৎসম শব্দ হলো সেইসব সংস্কৃত শব্দ যা অপরিবর্তিত রূপে বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত হয়। সাধু ভাষার বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম প্রধান। এর কারণ হলো, উনিশ শতকে যখন সাধু ভাষার বিকাশ ঘটে, তখন বাংলা গদ্যকে একটি মার্জিত ও আভিজাত্যপূর্ণ রূপ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল এবং সেই কারণে সংস্কৃত ভাষার শব্দ ভান্ডার থেকে প্রচুর শব্দ গ্রহণ করা হয়।

এছাড়াও, সাধু ভাষায় ক্রিয়াপদ ও সর্বনাম পদের পূর্ণাঙ্গ রূপ এবং অনুসর্গের দীর্ঘ রূপ ব্যবহৃত হয়, যা চলিত ভাষার তুলনায় এটিকে আরও গুরুগম্ভীর ও তৎসম শব্দবহুল করে তোলে।

ক. তদ্ভব
খ. তৎসম
গ. অতৎসম
ঘ. সংস্কৃত
ব্যাখ্যাঃ

‘জানুয়ারি’ বানানে হ্রস্ব-ই কার হবার কারণ এটি অতৎসম শব্দের অন্তর্গত।

'জানুয়ারি' শব্দটি ইংরেজি 'January' থেকে বাংলা ভাষায় এসেছে। বাংলা ভাষায় বিদেশি ভাষা থেকে আসা শব্দগুলোকে সাধারণত অতৎসম শব্দ হিসেবে ধরা হয়। অতৎসম শব্দের বানানের ক্ষেত্রে বাংলা ভাষার নিজস্ব ধ্বনিতত্ত্ব এবং বানানবিধি অনুসরণ করা হয়।

সংস্কৃত বা তৎসম শব্দের বানানের কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম আছে, যেখানে দীর্ঘ ঈ-কার ব্যবহারের প্রবণতা দেখা যায়। কিন্তু 'জানুয়ারি' যেহেতু সরাসরি বাংলা শব্দ নয় এবং এর উৎস বিদেশি, তাই বাংলা ধ্বনিরীতি অনুযায়ী এখানে হ্রস্ব-ই কার ব্যবহৃত হয়েছে।

তদ্ভব শব্দ (যেমন - চাঁদ, হাত) এবং সরাসরি সংস্কৃত শব্দ বা তৎসম শব্দ (যেমন - চন্দ্র, হস্ত) এর বানানরীতি ভিন্ন। 'জানুয়ারি' এই দুই শ্রেণির কোনোটিতেই পড়ে না।

ক. কান
খ. কাজ
গ. কাঁচি
ঘ. কলম
ব্যাখ্যাঃ
ভাষা শব্দ
আরবি আল্লাহ, ইসলাম, ঈমান, ঈদ, আদালত, উকিল, কানুন, কলম, কাগজ, কিতাব
ফারসি খোদা, গুনাহ, জবানবন্দি, তারিখ, তোশক, দপ্তর, দৌলত, নালিশ, বাদশাহ, বেগম
ইংরেজি অফিস, স্কুল, কলেজ, টেবিল, চেয়ার, ফুটবল, ক্রিকেট, স্টেশন, বাস, ট্রাক
পর্তুগিজ আনারস, আলপিন, আলমারি, গির্জা, গুদাম, চাবি, পাউরুটি, বালতি
ফরাসি কার্তুজ, কুপন, বুর্জোয়া
ওলন্দাজ ইস্কাপন, টেক্কা, তুরুপ
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত বিদেশি শব্দের তালিকা
ক. Toonida
খ. Tunioda
গ. Tonada
ঘ. Tornada
ব্যাখ্যাঃ

টর্নেডো শব্দটি স্প্যানিশ শব্দ ‘টর্নাডা’ (Tornada) থেকে এসেছে। টর্নাডা শব্দের অর্থ বজ্রঝড়।

ক. ফটোকপি
খ. হরতাল
গ. আলকাতরা
ঘ. খ্রিস্টাব্দ
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো ঘঃ খ্রিস্টাব্দ

মিশ্র শব্দ বলতে বোঝায় যখন দুটি ভিন্ন ভাষার শব্দ একত্রিত হয়ে একটি নতুন শব্দ তৈরি করে।

ফটোকপি: এটি ইংরেজি (Photo) এবং বাংলা (কপি) শব্দের মিশ্রণ।
হরতাল: এটি গুজরাটি শব্দ।
আলকাতরা: এটি আরবি শব্দ থেকে এসেছে।
খ্রিস্টাব্দ: এটি ইংরেজি (Christ) এবং বাংলা (অব্দ - বছর) শব্দের মিশ্রণ।

প্রশ্নঃ আমি, তুমি ও সে -

[ প্রা.বি.স.শি. 21-06-2019 ]

ক. সবাই
খ. আমরা
গ. আমাদের
ঘ. সকলে
ব্যাখ্যাঃ

যখন "আমি", "তুমি" এবং "সে" একসাথে উল্লেখ করা হয়, তখন সমষ্টিগতভাবে আমরা বোঝানো হয়।

⇒সবাই এবং সকলে - এই শব্দগুলো আরও বৃহত্তর সংখ্যক ব্যক্তিকে বোঝাতে পারে।
⇒আমাদের - এটি একটি সম্বন্ধবাচক সর্বনাম, যা অধিকার বা সম্পর্ক বোঝায়।

ক. গণনা, গনিকা, শোনিত
খ. গণনা, গণিকা, শোণিত
গ. গনণা, গণিকা, শোনিত
ঘ. গননা, গণিকা, শোনিত
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক শুদ্ধ শব্দগুচ্ছটি হলো খঃ গণনা, গণিকা, শোণিত

অন্যান্য বিকল্পগুলোতে বানান ভুল রয়েছে:
কঃ গণনা, গনিকা, শোনিত: "গনিকা" এবং "শোনিত" এর সঠিক বানান "গণিকা" এবং "শোণিত"।
গঃ গনণা, গণিকা, শোনিত: "গনণা" এবং "শোনিত" এর সঠিক বানান "গণনা" এবং "শোণিত"।
ঘঃ গননা, গণিকা, শোনিত: "গননা" এবং "শোনিত" এর সঠিক বানান "গণনা" এবং "শোণিত"।