আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
16

ক. কল্যাণ
খ. প্রবণ
গ. নিক্কণ
ঘ. বিপণি
ব্যাখ্যাঃ

ণ-ত্ব বিধি হলো বাংলা বানানের একটি নিয়ম, যা মূলত তৎসম (সংস্কৃত থেকে আগত) শব্দের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এই নিয়ম অনুযায়ী, ঋ (ঋ), র (র-ফলা বা রেফ), ষ (ষ) - এই তিনটি বর্ণের পরে যদি দন্ত্য-ন আসে, তবে তা মূর্ধন্য-ণ-তে পরিবর্তিত হয়। এমনকি যদি ঋ, র, ষ-এর পরে ক-বর্গ, প-বর্গ, য, ব, হ, ং (অনুস্বার) থাকে, তার পরেও দন্ত্য-ন মূর্ধন্য-ণ হয়।

এবার বিকল্পগুলো বিশ্লেষণ করি:

  • কঃ কল্যাণ: এই শব্দে 'ল' এর পরে 'ণ' বসেছে। 'ল' বর্ণটি ণ-ত্ব বিধির প্রযোজ্য বর্ণগুলির (ঋ, র, ষ) অন্তর্ভুক্ত নয়। তাই এটি ণ-ত্ব বিধির কারণে 'ণ' হয়নি, বরং শব্দের নিজস্ব গঠনগত কারণেই 'ণ' আছে।
  • খঃ প্রবণ: এই শব্দটিতে 'প্র' তে 'র' রয়েছে। 'র' এর পরে 'ব' (প-বর্গীয় বর্ণ) এবং তারপরে 'ণ' এসেছে। ণ-ত্ব বিধির নিয়ম অনুযায়ী, 'র' এর পরে যদি 'ন' আসে এবং তাদের মাঝে প-বর্গীয় বর্ণ থাকে, তাহলে 'ন' পরিবর্তিত হয়ে 'ণ' হয়। সুতরাং, 'প্রবণ' শব্দটি ণ-ত্ব বিধি অনুসারে 'ণ'-এর ব্যবহার হয়েছে।
  • গঃ নিক্কণ: এই শব্দে 'ক্ক' এর পরে 'ণ' বসেছে। 'ক্ক' বর্ণটি ণ-ত্ব বিধির প্রযোজ্য বর্ণগুলির অন্তর্ভুক্ত নয়। এটিও নিজস্ব গঠনগত কারণে 'ণ' আছে।
  • ঘঃ বিপণি: এই শব্দে 'প' এর পরে 'ণ' বসেছে। 'প' বর্ণটি ণ-ত্ব বিধির প্রযোজ্য বর্ণগুলির অন্তর্ভুক্ত নয়। এটিও নিজস্ব গঠনগত কারণেই 'ণ' আছে।

সুতরাং, সঠিক উত্তর হলো প্রবণ

ক. প্রথমটি অশুদ্ধ, দ্বিতীয়টি শুদ্ধ
খ. প্রথমটি শুদ্ধ, দ্বিতীয়টি অশুদ্ধ
গ. দুটোই অশুদ্ধ
ঘ. দুটোই শুদ্ধ
ব্যাখ্যাঃ

দেওয়া বাক্যটির নিম্নরেখ পদ দুটিতে দন্ত্য 'স' (স) এবং মূর্ধন্য 'ষ' (ষ)-এর ব্যবহারে ভুল হয়েছে

বিশ্লেষণ:

  1. পুরষ্কার (Purashkar):

    • সঠিক বানানটি হলো 'পুরস্কার'
    • সংস্কৃত নিয়ম অনুযায়ী, কিছু নির্দিষ্ট উপসর্গের (যেমন 'পুরস্' বা 'পুরঃ') পরে 'ক' বা 'ফ' থাকলে 'স' হয়, 'ষ' হয় না।
    • এখানে 'ষ' এর পরিবর্তে 'স' ব্যবহার করা উচিত ছিল।
  2. অপরিস্কার (Oporiskar):

    • সঠিক বানানটি হলো 'অপরিষ্কার'
    • 'পরি-' উপসর্গের পর 'কৃ' ধাতু থেকে আগত শব্দে 'ষ' হয়। যেমন: পরিষ্কার, পরিষ্করণ।
    • এখানে 'স' এর পরিবর্তে 'ষ' ব্যবহার করা উচিত ছিল।

সুতরাং, উভয় পদেই ষ-ত্ব বিধান ও স-ত্ব বিধানের নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়েছে

ক. কষ্ট
খ. উপনিষৎ
গ. কল্যাণীয়েষু
ঘ. আষাঢ়
ব্যাখ্যাঃ

ব্যাকরণের যে নিয়মানুযায়ী দন্ত্য-স মূর্ধন্য-ষ তে রূপান্তরিত হয়, সে নিয়মসমূহকে ষত্ব বিধান বলে। যেমন- সু+সম = সুষম, এখানে ‘সম’ শব্দটি দন্ত্য-স মূর্ধন্য-ষ তে পরিবর্তিত হয়েছে। আবার সংস্কৃত ভাষায় আদিকাল থেকে কিছু শব্দে মূর্ধন্য-ষ চলে আসছে, এসব শব্দের বানানে নিত্য মূর্ধন্য-ষ হয়। সে হিসেবে ‘আষাঢ়’ শব্দটিতে নিত্য মূর্ধন্য-ষ বর্তমান।

ক. দেশী
খ. বিদেশী
গ. তৎসম
ঘ. তদ্ভব
ব্যাখ্যাঃ

যে বিধান বা নিয়ম অনুসরণে তৎসম বা সংস্কৃত শব্দে ‘ণ’ (মূর্ধন্য-ণ) ও ‘ন’ (দন্ত্য-ন) এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা যায় তাকে ণত্ব বিধান বলে। উল্লেখ্য, খাঁটি বাংলা ও বিদেশী শব্দে মূর্ধন্য-ণ হয় না। যেমন - কান, সোনা, কুরআন, গভর্নর, ইরান ইত্যাদি।

ক. কষ্ট
খ. উপনিষৎ
গ. কল্যাণীয়েষু
ঘ. আষাঢ়
ব্যাখ্যাঃ

কতগুলো শব্দে স্বভাবতই মূর্ধণ্য-ষ বসে। যেমন-আষাঢ়, ঊষা, ঈষৎ, পাষণ্ড, পাষাণ, ভাষা, শোষণ ইত্যাদি।

ক. পাষাণ
খ. পাষান
গ. পাসান
ঘ. পাশান
ব্যাখ্যাঃ

ণ-ত্ব বিধানের নিয়মানুযায়ী ঋ,র,ষ এর পরে ণ হয়। যেমন-তৃণ, ঋণ, রেণু, বিশেষণ, পাষাণ, দূষণ, ভীষণ প্রভৃতি।