আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
16

ক. উপপদ
খ. প্রাতিপদিক
গ. প্রপদ
ঘ. পূর্বপদ
ব্যাখ্যাঃ

কৃদন্ত পদের পূর্ববর্তী পদকে উপপদ বলে।

ব্যাকরণে, কৃদন্ত শব্দের আগে যে পদ বসে এবং কৃদন্তের সাথে কারকবাচক সম্পর্ক স্থাপন করে, তাকে উপপদ বলে। এই ধরনের সমাসকে উপপদ তৎপুরুষ সমাস বলা হয়।

উদাহরণ:

  • জলচর (জলে চরে যে) - এখানে "জল" হলো উপপদ এবং "চর" কৃদন্ত।
  • পকেটমার (পকেট মারে যে) - এখানে "পকেট" হলো উপপদ এবং "মার" কৃদন্ত।
  • মাছিমারা (মাছি মারে যে) - এখানে "মাছি" হলো উপপদ এবং "মারা" কৃদন্ত।
ক. করণ কারক
খ. সম্প্রদান কারক
গ. অপাদান কারক
ঘ. অধিকরণ কারক
ব্যাখ্যাঃ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা ব্যাকরণে সম্প্রদান কারক বাদ দিতে চেয়েছিলেন।

তাঁর মতে, "যাকে স্বত্ত্ব ত্যাগ করে দান, অর্চনা, সাহায্য ইত্যাদি করা হয়, তাকে (সংস্কৃত নিয়মে) সম্প্রদান কারক বলে।" তবে, তিনি মনে করতেন কর্মকারক দ্বারাই সম্প্রদান কারকের কাজ সম্পন্ন করা যায়। "বাংলাভাষা পরিচয়" প্রবন্ধে তিনি এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।

ক. বিভক্তি
খ. কারক
গ. প্রত্যয়
ঘ. অনুসর্গ
ব্যাখ্যাঃ

বাক্যের ক্রিয়ার সাথে অন্যান্য পদের যে সম্পর্ক তাকে কারক বলে।

কারক শব্দের অর্থ হলো "যা ক্রিয়া সম্পাদন করে"। ব্যাকরণে, কারক হলো বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের সাথে ক্রিয়াপদের সম্পর্ক। এই সম্পর্কের মাধ্যমেই কর্তা, কর্ম, করণ, অপাদান, সম্প্রদান ও অধিকরণ ইত্যাদি ভেদ নির্ণয় করা যায়।

ক. গৃহহীনে গৃহ দাও
খ. জিজ্ঞাসিব জনে জনে
গ. ট্রেন স্টেশন ছেড়েছে
ঘ. বনে বাঘ আছে
ব্যাখ্যাঃ

"ট্রেন স্টেশন ছেড়েছে" বাক্যটিতে "স্টেশন" অপাদান কারকের উদাহরণ।

অপাদান কারক সেই কারককে বোঝায় যা থেকে কিছু বিচ্যুত, উৎপন্ন, ভীত, রক্ষিত বা গৃহীত হয়।

  • কঃ গৃহহীনে গৃহ দাও: এখানে 'গৃহহীন'-কে গৃহ দান করা হচ্ছে। এটি সম্প্রদান কারক (যাকে স্বত্ব ত্যাগ করে দান করা হয়)।

  • খঃ জিজ্ঞাসিব জনে জনে: এখানে 'জনে জনে' কর্মকারকের উদাহরণ (কাকে জিজ্ঞাসা করবে)।

  • গঃ ট্রেন স্টেশন ছেড়েছে: এখানে 'স্টেশন' থেকে ট্রেনটি বিচ্যুত হয়েছে। তাই 'স্টেশন' অপাদান কারকে সপ্তমী বিভক্তি ('এ' বিভক্তি যুক্ত) যুক্ত হয়ে 'স্টেশনে' হয়েছে।

  • ঘঃ বনে বাঘ আছে: এখানে 'বনে' অধিকরণ কারক (কোথায় বাঘ আছে - স্থান বোঝাচ্ছে)।

ক. কর্ম কারকে শূন্য
খ. সম্প্রদানে সপ্তমী
গ. অধিকরণে শূন্য
ঘ. কর্তৃকারকে শূন্য
ব্যাখ্যাঃ

‘সর্বাঙ্গে ব্যথা, ঔষধ দিব কোথা’-এই বাক্যে ‘ঔষধ’ শব্দটি কর্ম কারকে শূন্য বিভক্তির উদাহরণ।
এখানে, ‘দিব’ (দেওয়া) ক্রিয়ার দ্বারা ঔষধকে গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ, ঔষধ হল সেই বস্তু যা দেওয়া হবে। কর্ম কারকে যখন কোনো বিভক্তি চিহ্ন থাকে না, তখন তাকে শূন্য বিভক্তি বলে। এই বাক্যে ‘ঔষধ’ শব্দটির সাথে কোনো বিভক্তি চিহ্ন যুক্ত নেই, তাই এটি কর্ম কারকে শূন্য বিভক্তির উদাহরণ।
কার্যকারক:
কর্মকারক: যখন কোনো বাক্যে ক্রিয়া দ্বারা কোনো বস্তু বা ব্যক্তির উপর কাজ করা হয়, তখন সেই বস্তু বা ব্যক্তি কর্মকারকের অন্তর্ভুক্ত হয়।
অন্যান্য কারক ও তাদের বিভক্তি:
কর্তৃকারক (কর্তা): শূন্য, এ, তে, য়,
করণ কারক (যন্ত্র বা সহায়ক): শূন্য, দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক
সম্প্রদান কারক (স্বত্ব ত্যাগ করে দান করা): কে, রে, জন্য, নিমিত্ত
অপাদান কারক (উৎপত্তি, ভয়, বিরত): হতে, থেকে, চেয়ে
অধিকরণ কারক (স্থান, কাল, পাত্র): এ, তে, য়
এই বাক্যে, যেহেতু ঔষধ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে এবং ঔষধ একটি বস্তু, তাই এটি কর্ম কারকের উদাহরণ।

ক. কর্তৃকারকের সপ্তমী
খ. কর্মকারকে সপ্তমী
গ. অপাদান কারকে তৃতীয়া
ঘ. অধিকরণ কারকে সপ্তমী
ব্যাখ্যাঃ

যে স্থানে বা যে কালে ক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয় তাকে অধিকরণ কারক বলে। যেমন- নদীতে পানি আছে। সুতরাং উপরিউক্ত বাক্যে ‘আকাশে’ শব্দটি অধিকরণ কারক এবং এখানে ‘এ’ বিভক্তি থাকায় এটি সপ্তমী বিভক্তি।

ক. অপাদানে ৭মী
খ. অধিকরণে ৭মী
গ. করণে ৭মী
ঘ. কর্মে ৭মী
ব্যাখ্যাঃ

'ব্যায়ামে শরীর ভালো থাকে' - এই বাক্যে ব্যায়ামে শব্দটিতে করণে ৭মী বিভক্তি ব্যবহত হয়েছে।

করণ কারক: ক্রিয়া সম্পাদনের যন্ত্র, উপকরণ বা সহায়ককে করণ কারক বলে। এখানে 'ব্যায়াম' শরীর ভালো রাখার উপকরণ বা মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে।

৭মী বিভক্তি: 'এ', 'য়', 'তে' - এই বিভক্তিগুলো সাধারণত করণ, অধিকরণ ও ভাবাধিকরণে ব্যবহৃত হয়। এই বাক্যে 'ব্যায়াম'-এর সাথে 'এ' বিভক্তি যুক্ত হয়ে 'ব্যায়ামে' হয়েছে।

সুতরাং, 'ব্যায়ামে' শব্দটি করণ কারকে ৭মী বিভক্তি।

ক. ব্যাতিহার কর্তা
খ. মুখ্য কর্তা
গ. প্রযোজক কর্তা
ঘ. প্রযোজ্য কর্তা
ব্যাখ্যাঃ

"মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছে" - এই বাক্যে "বৃষ্টি" শব্দটি মুখ্য কর্তা

কর্তা (Subject): বাক্যে যে ক্রিয়া (verb) সম্পাদন করে, সেই হলো কর্তা।

মুখ্য কর্তা (Principal Subject): যে কর্তা সরাসরি ক্রিয়াটি সম্পন্ন করে, তাকে মুখ্য কর্তা বলে। এই বাক্যে "পড়া" ক্রিয়াটি "বৃষ্টি" সরাসরি সম্পন্ন করছে।

অন্যান্য কর্তার প্রকারভেদ এখানে প্রযোজ্য নয়:

  • ব্যাতিহার কর্তা (Reciprocal Subject): যখন দুটি কর্তা একত্রে একই প্রকার ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তখন তাদের ব্যাতিহার কর্তা বলে। যেমন: "রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়।"
  • প্রযোজক কর্তা (Agent Subject): যখন কোনো কর্তা নিজে কাজটি না করে অন্যকে দিয়ে করিয়ে নেয়, তখন প্রথম কর্তাটি প্রযোজক কর্তা। যেমন: "মা শিশুকে চাঁদ দেখাচ্ছে।"
  • প্রযোজ্য কর্তা (Patient Subject): প্রযোজক কর্তার দ্বারা যাকে দিয়ে কাজটি করানো হয়, সে হলো প্রযোজ্য কর্তা। যেমন: "মা শিশুকে চাঁদ দেখাচ্ছে।" এই বাক্যে "শিশু" প্রযোজ্য কর্তা।

"মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছে" বাক্যে বৃষ্টি নিজেই পড়ার কাজটি করছে, তাই এটি মুখ্য কর্তা।

ক. কর্তৃকারকে প্রথমা
খ. কর্মকারকে প্রথমা
গ. কর্মকারকে সপ্তমী
ঘ. কর্তৃকারকে সপ্তমী
ব্যাখ্যাঃ

"জেলে ভাই ধরে মাছ মেঘের ছায়ায়" - এই চরণটিতে "জেলে" শব্দটি কর্তৃকারকে প্রথমা বিভক্তি।

ব্যাখ্যা:

  • কারক: বাক্যের ক্রিয়ার সাথে অন্যান্য পদের যে সম্পর্ক থাকে, তাকে কারক বলে। এখানে "ধরে" হলো ক্রিয়া।
  • কর্তৃকারক: যে কাজটি করে, সে কর্তা এবং সেই কর্তা যে কারকে থাকে, তা কর্তৃকারক। এই বাক্যে মাছ ধরার কাজটি করছে "জেলে ভাই"। এখানে "জেলে" হলো কর্তা।
  • বিভক্তি: শব্দ বা ধাতুর সঙ্গে যুক্ত বর্ণ বা বর্ণসমষ্টিকে বিভক্তি বলে, যা কারক ও বচন নির্দেশ করে। "জেলে" শব্দের সাথে কোনো স্পষ্ট বিভক্তি যুক্ত নেই। বাংলা ব্যাকরণে, যখন কোনো কারকে কোনো বিভক্তি যুক্ত না থাকে, তখন তাকে প্রথমা বা শূন্য বিভক্তি ধরা হয়।

সুতরাং, "জেলে" শব্দটি বাক্যের কর্তা এবং এর সাথে কোনো স্পষ্ট বিভক্তি না থাকায় এটি কর্তৃকারকের প্রথমা বিভক্তি।

ক. কারক
খ. সন্ধি
গ. প্রকৃতি
ঘ. সমাস
ব্যাখ্যাঃ

বিভক্তির প্রধান কাজ হলো কারক নির্ণয় করা। বাক্যের ক্রিয়াপদের সাথে অন্যান্য পদের সম্পর্ক স্থাপন এবং পদের অর্থ স্পষ্ট করার জন্য বিভক্তি যুক্ত করা হয়। কোন পদ কোন কারকে আছে এবং বাক্যে তার ভূমিকা কী, তা বিভক্তির মাধ্যমেই বোঝা যায়।

অন্যান্য বিকল্পগুলো:

  • সন্ধি: দুটি বর্ণের মিলনকে সন্ধি বলে। এখানে বিভক্তির প্রয়োজন হয় না।
  • প্রকৃতি: শব্দের মূল অংশকে প্রকৃতি বলে। এর সাথে প্রত্যয় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠিত হয়, বিভক্তির প্রয়োজন হয় না।
  • সমাস: একাধিক পদের একত্রীভবনকে সমাস বলে। এখানে বিভক্তির লোপ বা পরিবর্তন ঘটতে পারে, তবে সমাস গঠনের জন্য বিভক্তি অপরিহার্য নয়।
ক. অধিকরণ কারকে ৭মী বিভক্তি
খ. অপাদান কারকে ৭মী বিভক্তি
গ. কর্মকারকে ৭মী বিভক্তি
ঘ. কর্মকারকে ৫মী বিভক্তি
ব্যাখ্যাঃ

‘পৃথিবীতে কে কাহার’? এই বাক্যে ‘পৃথিবীতে’ পদটি অধিকরণে ৭মী বিভক্তি

কারক: ক্রিয়া সম্পাদনের স্থান, কাল বা আধারকে অধিকরণ কারক বলে। এই বাক্যে 'থাকা' বা 'অবস্থান করা' (উহ্য) ক্রিয়ার আধার বা স্থান বোঝাচ্ছে 'পৃথিবীতে'। কোথায় কে কাহার? - পৃথিবীতে।

বিভক্তি: শব্দ বা ধাতুর সঙ্গে যে বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি যুক্ত হয়ে কারক ও বচনের অর্থ প্রকাশ করে, তাকে বিভক্তি বলে। 'পৃথিবী' শব্দের সাথে 'তে' যুক্ত হয়ে 'পৃথিবীতে' হয়েছে। বাংলায় এ, য়, তে - এই তিনটি সপ্তমী বা ৭মী বিভক্তি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এখানে 'তে' বিভক্তি ব্যবহৃত হয়েছে।

সুতরাং, 'পৃথিবীতে' পদটি অধিকরণে ৭মী বিভক্তি

ক. করণে সপ্তমী
খ. কর্মে সপ্তমী
গ. অধিকরণে সপ্তমী
ঘ. অপাদানে সপ্তমী
ব্যাখ্যাঃ

"শিশুগণ দেয় মন নিজ নিজ পাঠে" - বাক্যে "পাঠে" শব্দটি অধিকরণে সপ্তমী বিভক্তি।

এখানে "পাঠে" শব্দটি অধিকরণ কারকে ব্যবহৃত হয়েছে। অধিকরণ কারক মানে ক্রিয়া সম্পাদনের স্থান, সময় বা বিষয়কে বোঝায়। এই বাক্যে, "পাঠে" শব্দটি ক্রিয়া সম্পাদনের বিষয়কে বোঝাচ্ছে।

সপ্তমী বিভক্তি হলো "এ", "য়", "তে", "এতে" ইত্যাদি। এই বাক্যে "তে" বিভক্তি যুক্ত হয়েছে, তাই এটি অধিকরণে সপ্তমী বিভক্তি।

ক. সম্প্রদান কারকে চতুর্থী
খ. কর্তৃকারকে প্রথমা
গ. অধিকরণ কারকে সপ্তমী
ঘ. অপাদান কারকে সপ্তমী
ব্যাখ্যাঃ

"তিলে তৈল হয়"- এখানে "তিলে" অপাদান কারকে সপ্তমী বিভক্তি।

অপাদান কারক:
1. যা থেকে কিছু বিচ্যুত, গৃহীত, জাত, বিরত, আরম্ভ, রক্ষিত হয় এবং যা দেখে কেউ ভীত হয় তাকে অপাদান কারক বলে।
2. এখানে, "তিলে" থেকে "তৈল" উৎপন্ন হচ্ছে, তাই এটি অপাদান কারক।

সপ্তমী বিভক্তি:
1. "এ", "য়", "তে", "এতে" ইত্যাদি সপ্তমী বিভক্তির উদাহরণ।
2. "তিলে" শব্দটিতে "এ" বিভক্তি যুক্ত হয়েছে, তাই এটি সপ্তমী বিভক্তি।

সুতরাং, "তিলে তৈল হয়" বাক্যে "তিলে" অপাদান কারকে সপ্তমী বিভক্তি।

ক. কর্মে ৭ মী
খ. করণে ৭মী
গ. অধিকরণে ৫মী
ঘ. সম্প্রদানে ৪র্থী
ব্যাখ্যাঃ

"নৌকায় নদী পার হলাম" - এই বাক্যে "নৌকায়" শব্দটি করণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি

করণ কারক: ক্রিয়া সম্পাদনের যন্ত্র, সহায়ক বা উপায়কে করণ কারক বলে। এই বাক্যে নদী পার হওয়ার কাজটি কিসের সাহায্যে সম্পন্ন হয়েছে? - নৌকার সাহায্যে। তাই "নৌকা" করণ কারক।

সপ্তমী বিভক্তি: যখন কোনো শব্দে "-য়", "-তে", "-এ" ইত্যাদি বিভক্তি যুক্ত হয়ে স্থান, কাল, পাত্র বা উপায় বোঝায়, তখন সেটি সপ্তমী বিভক্তি হয়। "নৌকা" শব্দের সাথে "-য়" বিভক্তি যুক্ত হয়ে "নৌকায়" হয়েছে এবং এটি নদী পার হওয়ার উপায় বা মাধ্যম বোঝাচ্ছে।

ক. কর্তৃকারকে ৭মী
খ. কর্মকারকে ৭মী
গ. অপাদানে ৭মী
ঘ. করণ কারকে ৭মী
ব্যাখ্যাঃ

"টাকায় টাকা আনে" - এই বাক্যে প্রথম "টাকায়" শব্দটি অপাদান কারকে সপ্তমী বিভক্তি এবং দ্বিতীয় "টাকা" শব্দটি কর্তৃকারকে প্রথমা বা শূন্য বিভক্তি।

ক. করণে সপ্তমী
খ. অপাদানে সপ্তমী
গ. কর্মে সপ্তমী
ঘ. অপাদানে শূন্য
ব্যাখ্যাঃ

'আমি কি ডরাই সখি ভিখারী রাঘবে?' - এই বাক্যে 'রাঘবে' শব্দটি অপাদানে ৭মী বিভক্তি

ব্যাখ্যা

  • কারক নির্ণয়: 'ডরাই' (ভয় পাই) ক্রিয়াপদের সাথে 'রাঘবে' শব্দের সম্পর্ক। যা থেকে ভয়, লজ্জা, ঘৃণা, উৎপন্ন, পতিত, বিরত বা বিচ্যুত হয়, তা অপাদান কারক। এখানে 'রাঘবে' (রাঘব থেকে) ভয় পাওয়ার কথা বলা হচ্ছে।
  • বিভক্তি নির্ণয়: 'রাঘব' শব্দের সাথে 'এ' বিভক্তি যুক্ত হয়েছে, যা ৭মী বিভক্তি নির্দেশ করে।

সুতরাং, 'রাঘবে' শব্দটি হলো অপাদানে ৭মী বিভক্তি

ক. অধিকরণে সপ্তমী
খ. অধিকরণে শূন্য
গ. অপাদানে সপ্তমী
ঘ. অপাদানে শূন্য
ব্যাখ্যাঃ

'তিলে তেল আছে'—বাক্যে 'তিলে' হলো অধিকরণ কারকে ৭মী বিভক্তি

ব্যাখ্যা

  • কারক নির্ণয়: 'আছে' (থাকা) ক্রিয়াপদের আধার বা স্থান হলো 'তিল'। ক্রিয়াটি কোথায় সম্পন্ন হচ্ছে বা বস্তুটি কোথায় আছে—এই প্রশ্নের উত্তরে যা পাওয়া যায়, সেটি অধিকরণ কারক। যেহেতু তেল তিলের মধ্যেই বিদ্যমান, তাই 'তিল' এখানে আধার বা স্থান বোঝাচ্ছে।
  • বিভক্তি নির্ণয়: 'তিল' শব্দের সাথে 'এ' বিভক্তি যুক্ত হয়েছে, যা ৭মী বিভক্তি নির্দেশ করে।
ক. কর্ম কারক
খ. অপাদান কারক
গ. সম্প্রদান কারক
ঘ. অধিকরণ কারক
ব্যাখ্যাঃ

'পুকুরে মাছ আছে' এই বাক্যে পুকুর হলো অধিকরণ কারক

ব্যাখ্যা: অধিকরণ কারক দ্বারা কোনো কিছু ধারণের স্থান, কাল বা বিষয় বোঝানো হয়। এখানে 'পুকুর' মাছ থাকার স্থান বা আধার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। তাই এটি অধিকরণ কারক।