আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
16

ক. আমি কারও সাতেও নেই, সতেরােতেও নেই।
খ. আপনি স্বপরিবারে আমন্ত্রিত।
গ. তার দু’চোখ অশ্রুতে ভেসে গেল।
ঘ. সারা জীবন ভূতের মজুরি খেটে মরলাম।
ব্যাখ্যাঃ

অন্যান্য অপশন গুলোর শুদ্ধরূপ হলো: (ক) আমি কারও সাতেও নেই, পাঁচেও নেই, (খ) আপনি সপরিবারে আমন্ত্রিত এবং (ঘ) সারাজীবন ভূতের বেগার খেটে মরলাম।

ক. দোষ স্বীকার করলে তােমাকে শাস্তি দেওয়া হবে না।
খ. তিনি বেড়াতে এসে কেনাকাটা করলেন।
গ. মহৎ মানুষ বলে সবাই তাঁকে সম্মান করেন।
ঘ. ছেলেটি চঞ্চল তবে মেধাবী।
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো ঘঃ ছেলেটি চঞ্চল তবে মেধাবী

যৌগিক বাক্য হলো সেই বাক্য, যেখানে দুই বা তার বেশি সরল বাক্য কোনো সংযোজক অব্যয় (যেমন: এবং, ও, কিন্তু, অথবা, তথাপি, বরং, কিংবা) দ্বারা যুক্ত থাকে এবং প্রতিটি সরল বাক্য স্বাধীনভাবে অর্থ প্রকাশ করতে পারে।

অপশন (ঘ)-তে "ছেলেটি চঞ্চল" একটি সরল বাক্য এবং "তবে মেধাবী" আরেকটি সরল বাক্য, যা "তবে" সংযোজক অব্যয় দ্বারা যুক্ত হয়েছে। উভয় বাক্যই স্বাধীনভাবে অর্থ প্রকাশ করতে সক্ষম।

অন্যান্য বাক্যগুলো সরল বা জটিল বাক্য:

  • কঃ দোষ স্বীকার করলে তােমাকে শাস্তি দেওয়া হবে না: এটি একটি জটিল বাক্য। এখানে "দোষ স্বীকার করলে" একটি অধীন খণ্ডবাক্য এবং "তােমাকে শাস্তি দেওয়া হবে না" প্রধান খণ্ডবাক্য।

  • খঃ তিনি বেড়াতে এসে কেনাকাটা করলেন: এটি একটি সরল বাক্য। এখানে একটি কর্তা ("তিনি") এবং দুটি অসমাপিকা ক্রিয়া ("বেড়াতে এসে", "করলেন") রয়েছে।

  • গঃ মহৎ মানুষ বলে সবাই তাঁকে সম্মান করেন: এটি একটি জটিল বাক্য। এখানে "মহৎ মানুষ বলে" একটি অধীন খণ্ডবাক্য এবং "সবাই তাঁকে সম্মান করেন" প্রধান খণ্ডবাক্য।

ক. তাতে সমাজজীবন চলে।
খ. তাতে না সমাজজীবন চলে।
গ. তাতে সমাজজীবন অচল হয়ে পড়ে।
ঘ. তাতে সমাজজীবন সচল হয়ে পড়ে।
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো গঃ তাতে সমাজজীবন অচল হয়ে পড়ে

ব্যাখ্যা:

অস্তিবাচক রূপ তৈরি করতে "না" বা বিপরীত অর্থের শব্দ ব্যবহার করা হয়।

প্রদত্ত বাক্য:
"তাতে সমাজজীবন চলে না।"
এখানে "চলে না" অংশের বিপরীত অর্থ "অচল হয়ে পড়ে"

অন্য বিকল্পগুলোর বিশ্লেষণ:

  • কঃ "তাতে সমাজজীবন চলে" (এটি আসল বাক্যের ইতিবাচক রূপ)
  • খঃ "তাতে না সমাজজীবন চলে" (এটি ব্যাকরণগতভাবে সঠিক নয়)
  • ঘঃ "তাতে সমাজজীবন সচল হয়ে পড়ে" (এটি ইতিবাচক রূপ, অস্তিবাচক নয়)
ক. সরল বাক্য
খ. জটিল বাক্য
গ. যৌগিক বাক্য
ঘ. খণ্ড বাক্য
ব্যাখ্যাঃ

‘যিনি বিদ্বান, তিনি সর্বত্র আদরণীয়।’-এটি একটি জটিল বাক্য

এই বাক্যে দুটি খণ্ডবাক্য রয়েছে:

১. যিনি বিদ্বান - এটি একটি অধীন খণ্ডবাক্য বা আশ্রিত বাক্য (subordinate clause)। কারণ এটি একা সম্পূর্ণ অর্থ প্রকাশ করতে পারে না, এর অর্থ সম্পূর্ণ করার জন্য অন্য একটি বাক্যের উপর নির্ভর করতে হয়। এটি 'যিনি' সাপেক্ষ সর্বনাম দিয়ে শুরু হয়েছে।

২. তিনি সর্বত্র আদরণীয় - এটি একটি প্রধান খণ্ডবাক্য বা স্বাধীন বাক্য (principal clause)। কারণ এটি একা সম্পূর্ণ অর্থ প্রকাশ করতে পারে।

যে বাক্যে একটি প্রধান খণ্ডবাক্য এবং এক বা একাধিক অধীন খণ্ডবাক্য পরস্পর সাপেক্ষভাবে ব্যবহৃত হয়, তাকে জটিল বাক্য বলে। এই বাক্যে 'যিনি' এবং 'তিনি' সাপেক্ষ সর্বনামের মাধ্যমে দুটি খণ্ডবাক্য যুক্ত হয়ে একটি জটিল বাক্য গঠন করেছে।

ক. প্রসাদগুণ, মাধুর্যগুণ
খ. উপমা, অলংকার
গ. উদ্দেশ্য, বিধেয়
ঘ. সাধু, চলিত
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো গঃ উদ্দেশ্য, বিধেয়

একটি সার্থক বাক্যের প্রধান দুটি অংশ হলো উদ্দেশ্য (Subject) এবং বিধেয় (Predicate)

  • উদ্দেশ্য: বাক্যের যে অংশে কারো বা কোনো কিছুর সম্পর্কে কিছু বলা হয়, তাকে উদ্দেশ্য বলে। সাধারণত বাক্যের কর্তা বা কর্তার স্থানীয় পদই উদ্দেশ্য হিসেবে কাজ করে।
  • বিধেয়: বাক্যের যে অংশে উদ্দেশ্যের সম্পর্কে কিছু বলা হয়, তাকে বিধেয় বলে। বিধেয়ের মধ্যে ক্রিয়া এবং ক্রিয়ার সম্প্রসারণ (কর্ম, করণ, অধিকরণ ইত্যাদি) অন্তর্ভুক্ত থাকে।

অন্যান্য বিকল্পগুলো ব্যাকরণের ভিন্ন ভিন্ন বিষয় সম্পর্কিত:

  • কঃ প্রসাদগুণ, মাধুর্যগুণ: এগুলো সাহিত্যিক গুণ, যা বাক্য বা রচনার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
  • খঃ উপমা, অলংকার: এগুলোও সাহিত্যিক উপাদান, যা ভাষার সৌন্দর্য ও ভাব প্রকাশে সাহায্য করে।
  • ঘঃ সাধু, চলিত: এগুলো বাংলা ভাষার দুটি রূপ বা রীতি।
ক. বিদ্বান হলেও তার কোনো অহংকার নেই
খ. ইশ! যদি পাখির মত পাখা পেতাম।
গ. অঅকারণে ঋণ করিও না
ঘ. হয়তো সোহমা আসতে পারে
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো গঃ অঅকারণে ঋণ করিও না

এই বাক্যটি ব্যাকরণগতভাবে শুদ্ধ নয়। সঠিক বাক্যটি হবে:

অকারণে ঋণ করিও না

এখানে "অ" এবং "আ" একসাথে ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। "অকারণে" শব্দটি নিজেই "কারণ ছাড়া" অর্থ প্রকাশ করে।

অন্যান্য বাক্যগুলো শুদ্ধ:

  • কঃ বিদ্বান হলেও তার কোনো অহংকার নেই: এটি একটি যৌগিক বাক্য এবং ব্যাকরণসম্মত।
  • খঃ ইশ! যদি পাখির মত পাখা পেতাম।: এটি একটি আকাঙ্ক্ষাবাচক বাক্য এবং ব্যাকরণসম্মত।
  • ঘঃ হয়তো সোহমা আসতে পারে: এটি একটি সন্দেহবাচক বাক্য এবং ব্যাকরণসম্মত।
ক. অনুজ্ঞাবাচক
খ. নির্দেশাত্মক
গ. বিস্ময়বোধক
ঘ. প্রশ্নবোধক
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো খঃ নির্দেশাত্মক

এই বাক্যটি একটি সাধারণ বিবৃতি প্রদান করছে, যেখানে বক্তা তার একটি বিচিত্র অভিজ্ঞতার কথা নির্দেশ করছেন বা জানাচ্ছেন। এটি কোনো আদেশ, বিস্ময়, বা প্রশ্ন প্রকাশ করছে না।

অন্যান্য বিকল্পগুলোর ব্যাখ্যা:

  • অনুজ্ঞাবাচক: আদেশ, অনুরোধ, উপদেশ ইত্যাদি বোঝায় (যেমন: "তুমি এখন যাও")।
  • বিস্ময়বোধক: বিস্ময় বা আবেগ প্রকাশ করে এবং শেষে বিস্ময়সূচক চিহ্ন (!) থাকে (যেমন: "কী বিচিত্র অভিজ্ঞতা!")।
  • প্রশ্নবোধক: কোনো প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে এবং শেষে প্রশ্নবোধক চিহ্ন (?) থাকে (যেমন: "তোমার কি কোনো বিচিত্র অভিজ্ঞতা হলো?")।
ক. রসতত্ত্ব
খ. রূপতত্ত্ব
গ. বাক্যতত্ত্ব
ঘ. ক্রিয়ার কাল
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর: বাক্যতত্ত্ব

ব্যাখ্যা:

ধ্বনিতত্ত্বশব্দতত্ত্ব ভাষার মৌলিক উপাদান নিয়ে আলোচনা করে, যেমন—ধ্বনি, শব্দগঠন, অর্থ ইত্যাদি। তবে এই উপাদানগুলোকে যথাযথভাবে বাক্যে ব্যবহার করার যে নীতি ও নিয়ম—তাকে বলে বাক্যতত্ত্ব (Syntax)

অপশন বিশ্লেষণ:

  • কঃ রসতত্ত্ব: সাহিত্যের সৌন্দর্য ও অনুভূতির বিশ্লেষণ; ভাষার গঠনসংক্রান্ত নয়।
  • খঃ রূপতত্ত্ব (Morphology): শব্দের গঠন ও পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করে।
  • গঃ বাক্যতত্ত্ব (Syntax): শব্দ ও ধ্বনি কীভাবে বাক্যে বসে তার নিয়ম ও গঠন বিশ্লেষণ করে – সঠিক।
  • ঘঃ ক্রিয়ার কাল: কেবল ক্রিয়ার সময় নির্দেশ করে, বাক্যগঠনের পূর্ণ বিধান নয়।

তাই, "ধ্বনিতত্ত্ব ও শব্দতত্ত্ব বাক্যে যথাযথভাবে ব্যবহার করার বিধান" = বাক্যতত্ত্ব (Syntax)

ক. আকাঙক্ষা
খ. যোগ্যতা
গ. আসক্তি
ঘ. আসত্তি
ব্যাখ্যাঃ

আসক্তি সার্থক বাক্যের গুণ নয়।

ব্যাখ্যা:

একটি সার্থক বাক্যের তিনটি গুণ রয়েছে: ১. আকাঙ্ক্ষা: একটি পদের পর অন্য পদ শোনার ইচ্ছা। ২. যোগ্যতা: বাক্যের পদগুলোর মধ্যে অর্থগত ও ভাবগত সঙ্গতি। ৩. আসত্তি (নৈকট্য): বাক্যের পদগুলোকে সুবিন্যস্তভাবে ও পরপর সাজিয়ে লেখা।

আসক্তি শব্দের অর্থ হলো গভীর অনুরাগ, আকর্ষণ বা আসক্ত হওয়া। এটি সার্থক বাক্যের কোনো গুণ নয়। 'আসক্তি' একটি মানসিক অবস্থা, যা ব্যাকরণের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত নয়।

ক. আপনি স্বপরিবারে আমন্ত্রিত।
খ. তার কথা শুনে আমি আশ্চর্যান্বিত হলাম।
গ. তোমার পরশ্রীকাতরতায় আমি মুগ্ধ।
ঘ. সেদিন থেকে তিনি সেখানে আর যায় না।
ব্যাখ্যাঃ

প্রতিটি বাক্য বিশ্লেষণ করে দেখি কোনটি শুদ্ধ:

  • কঃ আপনি স্বপরিবারে আমন্ত্রিত।

    • এই বাক্যটি অশুদ্ধ। 'স্বপরিবারে' শব্দটি ভুল। শুদ্ধ বানান হবে 'সপরিবারে'। 'স' উপসর্গ যুক্ত হলে 'স্ব' হয় না।
    • শুদ্ধ বাক্য: আপনি সপরিবারে আমন্ত্রিত।
  • খঃ তার কথা শুনে আমি আশ্চর্যান্বিত হলাম।

    • এই বাক্যটি শুদ্ধ। 'আশ্চর্য' থেকে 'আশ্চর্যান্বিত' শব্দটি গঠিত, যার অর্থ আশ্চর্য বোধ করা বা বিস্মিত হওয়া।
  • গঃ তোমার পরশ্রীকাতরতায় আমি মুগ্ধ।

    • এই বাক্যটি অশুদ্ধ। 'পরশ্রীকাতরতা' (অন্যের উন্নতিতে ঈর্ষা) একটি নেতিবাচক গুণ। এতে কেউ 'মুগ্ধ' হয় না। বরং 'বিরক্ত' বা 'ক্ষুব্ধ' হতে পারে। এটি অর্থের দিক থেকে ভুল।
    • শুদ্ধ বাক্য: তোমার পরশ্রীকাতরতায় আমি বিরক্ত/ক্ষুব্ধ হলাম।
  • ঘঃ সেদিন থেকে তিনি সেখানে আর যায় না।

    • এই বাক্যটি অশুদ্ধ। 'তিনি' একটি সম্মানসূচক সর্বনাম, তাই এর সাথে 'যায় না' ক্রিয়াটি ব্যবহার করা ভুল। শুদ্ধ ক্রিয়াপদ হবে 'যান না'।
    • শুদ্ধ বাক্য: সেদিন থেকে তিনি সেখানে আর যান না

সুতরাং, শুদ্ধ বাক্যটি হলো খঃ তার কথা শুনে আমি আশ্চর্যান্বিত হলাম।

ক. মিথ্যাবাদীকে সবাই পছন্দ করে
খ. মিথ্যাবাদীকে সবাই পছন্দ না করে পারে না
গ. মিথ্যাবাদীকে কেউ পছন্দ করে না
ঘ. মিথ্যাবাদীকে কেউ অপছন্দ করে না
ব্যাখ্যাঃ

মূল বাক্য: ‘মিথ্যাবাদীকে সবাই অপছন্দ করে’ (এটি একটি ইতিবাচক বাক্য, যা একটি নেতিবাচক অর্থ প্রকাশ করছে)।

এই বাক্যটিকে নেতিবাচক বাক্যে রূপান্তর করতে হবে, যার অর্থ একই থাকবে।

  • কঃ মিথ্যাবাদীকে সবাই পছন্দ করে: এটি মূল বাক্যের অর্থের বিপরীত।
  • খঃ মিথ্যাবাদীকে সবাই পছন্দ না করে পারে না: এটি একটি দ্বৈত নেতিবাচক বাক্য, যার অর্থ "সবাই পছন্দ করে"। এটি মূল বাক্যের অর্থের বিপরীত।
  • গঃ মিথ্যাবাদীকে কেউ পছন্দ করে না: এটি মূল বাক্যের অর্থকে সঠিকভাবে নেতিবাচক রূপে প্রকাশ করে। "সবাই অপছন্দ করে" মানে "কেউ পছন্দ করে না"।
  • ঘঃ মিথ্যাবাদীকে কেউ অপছন্দ করে না: এটিও মূল বাক্যের অর্থের বিপরীত।

সুতরাং, সঠিক রূপান্তরটি হলো মিথ্যাবাদীকে কেউ পছন্দ করে না

ক. দৈন্যতা সর্বদা মহত্বের পরিচায়ক নয়
খ. দৈন্য সর্বদা মহত্বের পরিচায়ক নয়
গ. দৈন্যতা সর্বদা মহত্ত্বের পরিচায়ক নয়
ঘ. দৈন্য সর্বদা মহত্ত্বের পরিচায়ক নয়
ব্যাখ্যাঃ

‘দৈন্যতা’ অশুদ্ধ শব্দটির শুদ্ধরূপ ‘দৈন্য’।

‘খ’ অপশনে প্রদত্ত ‘মহত্ব’ এর সঠিক বানান ‘মহত্ত্ব’।

ক. যোগ্যতা
খ. আকাঙ্ক্ষা
গ. আসক্তি
ঘ. আসত্তি
ব্যাখ্যাঃ

একটি সার্থক বাক্যের তিনটি অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য থাকে: ১. আকাঙ্ক্ষা: বাক্যের অর্থ সম্পূর্ণভাবে বোঝার জন্য শ্রোতার মনে আর কিছু শোনার যে ইচ্ছা জাগে। (যেমন: "সূর্য" বললে শ্রোতার মনে "সূর্য কী?" এমন প্রশ্ন জাগে, তাই বাক্যটি অসম্পূর্ণ।) ২. আসত্তি (নৈকট্য): বাক্যের পদগুলো সুবিন্যস্তভাবে এবং পরপর বসানো যাতে অর্থ বুঝতে কোনো অসুবিধা না হয়। (যেমন: "আছে একটি মাঠে চরে গরু" না হয়ে "মাঠে গরু চরে আছে"।) ৩. যোগ্যতা: বাক্যের অন্তর্গত পদগুলোর অর্থগত এবং ভাবগত সংগতি বা সঙ্গতি। (যেমন: "গরু আকাশে উড়ে" বাক্যটি যোগ্যতা হারায়, কারণ গরুর ওড়ার ক্ষমতা নেই।)

আসক্তি শব্দের অর্থ হলো আসক্ত বা লিপ্ত হওয়া, যা একটি মানসিক অবস্থা এবং বাক্যের বৈশিষ্ট্য নয়।

ক. তোমার গোপন কথা শোনা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
খ. দরিদ্রতা আমাদের প্রধান সমস্যা।
গ. সলজ্জিত হাসি হেসে মেয়েটি উত্তর দিল।
ঘ. সর্ব বিষয়ে বাহুল্যতা বর্জন করা উচিত।
ক. সরল
খ. মিশ্র বা জটিল
গ. যৌগিক
ঘ. সংযুক্ত
ক. জটিল বাক্য
খ. যৌগিক বাক্য
গ. সরল বাক্য
ঘ. মিশ্র বাক্য
ক. আকাঙ্ক্ষা, আসক্তি ও বিধেয়
খ. আকাঙ্ক্ষা, আসত্তি ও যোগ্যতা
গ. যোগ্যতা, উদ্দেশ্য ও বিধেয়
ঘ. কোনোটিই নয়
ব্যাখ্যাঃ

ভাষার বিচারে বাক্যের ৩টি গুণ থাকা আবশ্যক- ১. আকাঙ্ক্ষা, ২. আসত্তি ও ৩. যোগ্যতা। বাক্যের অর্থ পরিষ্কারভাবে বোঝার জন্য এক পদের পর অন্য পদ শোনার যে ইচ্ছা তা-ই আকাঙ্ক্ষা। বাক্যের অর্থসঙ্গতি রক্ষার জন্য সুশৃঙ্খল পদবিন্যাসই আসত্তি। আর বাক্যস্থিত পদসমূহের অন্তর্গত এবং ভাবগত মেলবন্ধনের নাম যোগ্যতা।

ক. সরল বাক্য
খ. যৌগিক বাক্য
গ. মৌলিক বাক্য
ঘ. মিশ্র বাক্য
ব্যাখ্যাঃ

যে পূর্ণ বাক্যে একটি প্রধান খণ্ডবাক্য ও এক বা একাধিক অপ্রধান খণ্ডবাক্য পরস্পর সম্পর্কযুক্ত থাকে তাকে মিশ্র বা জটিল বাক্য বলে। যেমন - যারা মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করে, তারা পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়। সুতরাং আলোচ্য বাক্যটি মিশ্র বাক্য।

ক. তাহার জীবন সংশয়পূর্ন
খ. তাহার জীবন সংশয়ময়
গ. তাহার জীবন সংশয়াপূর্ণ
ঘ. তাহার জীবন সংশয়ভরা
ব্যাখ্যাঃ

‘সংশয়’ শব্দটি একটি বিশেষ্যপদ, যার বিশেষণ হলো ‘সংশয়াপূর্ণ’। সংশয়াপূর্ণ শব্দটির অর্থ সন্দেহপূর্ণ বা দ্বিধাপূর্ণ। উপরিউক্ত বাক্যে ‘তাহার জীবন সংশয়াপূর্ণ’ দ্বারা গভীর অনিশ্চয়তা প্রকাশ করা হয়েছে।

ক. সরল
খ. জটিল
গ. যৌগিক
ঘ. অনুজ্ঞামূলক
ব্যাখ্যাঃ

যে বাক্যে একটি প্রধান খণ্ডবাক্য ও তাকে আশ্রয় বা অবলম্বন করে এক বা একাধিক খণ্ডবাক্য থাকে, তাকে জটিল বা মিশ্র বাক্য বলে। জটিল বাক্যে একাধিক খণ্ডবাক্য থাকে। এদের মধ্যে একটি প্রধান থাকে, এবং অন্যগুলো সেই বাক্যের উপর নির্ভর করে। প্রতিটি খণ্ড-বাক্যের পরে কমা (,) বসে। অর্থাৎ যে বাক্যে একটি স্বাধীন বাক্য এবং এক বা একাধিক অধীন বাক্য পরস্পর সাপেক্ষভাবে ব্যবহৃত হয়, তাকে জটিল বাক্য বা মিশ্র বাক্য বলে। যেমন – যে পরিশ্রম করে, সে-ই সুখ লাভ করে। (প্রথম অংশটি আশ্রিত খণ্ডবাক্য, দ্বিতীয়টি প্রধান খণ্ডবাক্য) যিনি পরের উপকার করেন, তাঁকে সবাই শ্রদ্ধা করে। * কোথাও পথ না পেয়ে তোমার কাছে এসেছি। জটিল বা মিশ্র বাক্য চেনার সহজ উপায় কি? জটিল বা মিশ্র বাক্য চেনার সহজ উপায়ঃ এ ধরনের বাক্যে সাধারণত যে- সে, যত- তত, যারা- তারা, যাদের- তাদের, যখন- তখন – এ ধরনের সাপেক্ষ সর্বনাম পদ থাকে। দুইটি অব্যয় যদি অর্থ প্রকাশের জন্য পরস্পরের উপর নির্ভর করে, তবে তাকে সাপেক্ষ সর্বনাম বলে। আবার যদি – তবু, অথচ- তথাপি– এ রকম কিছু পরস্পর সাপেক্ষ সর্বনাম/অব্যয়ও জটিল/মিশ্র বাক্যে ব্যবহৃত হয়। তবে এ ধরনের অব্যয় ছাড়াও জটিল বা মিশ্র বাক্য হতে পারে।

ক. ভয়
খ. রাগ
গ. বিরক্তি
ঘ. বিপদ
ব্যাখ্যাঃ

এরূপ ক্ষেত্রে বাক্যের ভাব বুঝেই ‘কী’ এর অর্থ নিরূপণ করতে হবে। সে হিসেবে এর অর্থ ‘ভয়’, ‘রাগ’ বা ‘বিপদ’ নয়, অবশ্যই 'বিরক্ত'।

ক. যৌগিক বাক্য
খ. সাধারণ বাক্য
গ. মিশ্র বাক্য
ঘ. সরল বাক্য
ব্যাখ্যাঃ

পরস্পর নিরপেক্ষ দুই বা ততোধিক সরল বা মিশ্র বাক্য মিলিত হয়ে একটি সম্পূর্ণ বাক্য গঠন করলে তাকে যৌগিক বাক্য বলে। প্রশ্নে প্রদত্ত বাক্যটি যৌগিক। কারণ, এখানে দুটি নিরপেক্ষ বাক্য রয়েছে। ১. তার বয়স বেড়েছে ২. তার বুদ্ধি বাড়েনি- বাক্য দুটি অব্যয় দ্বারা যুক্ত।

ক. তুই বাড়ি যা
খ. ক্ষমা করা মোর অপরাধ
গ. কাল একবার এসো
ঘ. দূর হও
ব্যাখ্যাঃ

আদেশ অর্থে : তুই বাড়ি যা। প্রার্থনা অর্থে : ক্ষমা করা মোর অপরাধ। অনুরোধ অর্থে : কাল একবার এসো। ভর্ৎসনা অর্থে : দূর হও।

ক. মিশ্র
খ. জটিল
গ. যৌগিক
ঘ. সরল
ব্যাখ্যাঃ

এটি সরল বাক্য। কারণ বাক্যটিতে একটি কর্তা ও একটি সমাপিকা ক্রিয়া রয়েছে।

ক. একটি জটিল ও একটি সরল বাক্যের সাহায্যে বাক্য গঠন
খ. একটি সংযুক্ত ও একটি বিযুক্ত বাক্যের সাহায্যে বাক্য গঠন
গ. দুটি সরল বাক্যের সাহায্যে বাক্য গঠন
ঘ. দুটি মিশ্র বাক্যের সাহায্যে বাক্য গঠন
ব্যাখ্যাঃ

পরস্পর নিরপেক্ষ দুই বা ততোধিক সরল বাক্য বা মিশ্রবাক্য মিলিত হয়ে একটি সম্পূর্ণ বাক্য গঠন করলে তাকে যৌগিক বাক্য বলে। যেমন: উদয়াস্ত পরিশ্রম করব, তথাপি অন্যের দারস্থ হব না।

ক. ওরা কি করে
খ. আপনি আসবেন
গ. আমরা যাচ্ছি
ঘ. তোরা খাসনে
ব্যাখ্যাঃ

ওরা কি করে?- নাম পুরুষ (তুচ্ছার্থে)। আপনি আসবেন?- মধ্যম পুরুষ (সম্মানার্থে)। আমরা যাচ্ছি- উত্তম পুরুষ। তোরা খাসনে- মধ্যম পুরুষ (তুচ্ছার্থে)।

ক. বিদ্যান ব্যক্তিগণ দরিদ্রের শিকার হন
খ. বিদ্যান ব্যক্তিগণ দারিদ্রতার শিকার হন
গ. বিদ্বান ব্যক্তিগণ দারিদ্র্যের শিকার হন
ঘ. বিদ্যান ব্যক্তিগণ দরিদ্রতার স্বীকার হন
ব্যাখ্যাঃ

বিদ্যান, দারিদ্র, দারিদ্রতা শব্দগুলোর শুদ্ধরূপ হলো: বিদ্বান, দারিদ্র্য, দরিদ্রতা।

ক. একটা গোপনীয় কথা বলি
খ. একটি গোপন কথা বলি
গ. একটি গোপন কথা বলি
ঘ. একটি গুপ্ত কথা বলি
ক. দুর্বলবশত অনাথিনী বসে পড়া
খ. দুর্বলতাবশতঃ অনাথিনী বসে পড়ল
গ. দুর্বলতাবশত অনাথা বসে পড়ল
ঘ. দুর্বলবশত অনাথা বসে পড়ল
ব্যাখ্যাঃ

অনাথা শব্দটি অনাথ শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ। বর্তমান বাংলা ভাষা রীতি অনুসারে শব্দের শেষে 'ঃ' বসে না।

তাই 'দুর্বলতাবশতঃ' এর শুদ্ধরূপ 'দুর্বলতাবশত'।

ক. যত গর্জে তত বৃষ্টি হয় না
খ. অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট
গ. নাচতে না জানলে উঠোন ভাঙ্গা
ঘ. যেখানে বাঘের ভয় সেখানে বিপদ হয়
ব্যাখ্যাঃ

‘যত গর্জে তত বর্ষে না’, ‘নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা’, ‘যেখানে বাঘের ভয় সেখানে রাত হয়’ প্রবচন বাক্যগুলি ব্যবহারিক দিক হতে সঠিক নয়।

ক. মিশ্র
খ. যৌগিক
গ. দ্বিরুক্ত
ঘ. সরল
ব্যাখ্যাঃ

"আমার জ্বর জ্বর লাগছে" এটি সরল বাক্য।

কারণ:

  • সরল বাক্য: যে বাক্যে একটি কর্তা (এখানে 'আমার') এবং একটি সমাপিকা ক্রিয়া ('লাগছে') থাকে এবং যা একটিমাত্র ভাব প্রকাশ করে, তাকে সরল বাক্য বলে। এই বাক্যে একটিমাত্র অনুভূতি প্রকাশ পাচ্ছে - জ্বর জ্বর লাগার অনুভূতি।

অন্যান্য বিকল্পগুলো কেন নয়:

  • মিশ্র বাক্য: যে বাক্যে একটি প্রধান খণ্ডবাক্য এবং এক বা একাধিক আশ্রিত খণ্ডবাক্য পরস্পর সাপেক্ষভাবে ব্যবহৃত হয়।
  • যৌগিক বাক্য: দুই বা ততোধিক সরল বাক্য কোনো সংযোজক অব্যয় (যেমন - এবং, ও, কিন্তু, অথবা) দ্বারা যুক্ত হয়ে একটি সম্পূর্ণ বাক্য গঠন করলে তাকে যৌগিক বাক্য বলে।
  • দ্বিরুক্ত বাক্য: একই শব্দ পরপর দুইবার ব্যবহৃত হয়ে যখন বিশেষ অর্থ বা ভাব প্রকাশ করে, তখন তাকে দ্বিরুক্ত বাক্য বলে। যদিও 'জ্বর জ্বর' দ্বিরুক্তি শব্দ, কিন্তু পুরো বাক্যটি একটি সরল বাক্য কারণ এখানে একটিমাত্র অনুভূতি প্রকাশ পাচ্ছে।
ক. দায়িত্ববোধ
খ. রাজা হওয়ার ইচ্ছা
গ. স্বৈরতন্ত্র
ঘ. রসবোধ
ব্যাখ্যাঃ

"আমরা সবাই রাজা আমাদের এই রাজার রাজত্বে" এই গানে দায়িত্ববোধ ভাব প্রকাশ পেয়েছে।

দায়িত্ববোধ:

  • গানের চরণটিতে "আমাদের এই রাজার রাজত্বে" বলার মাধ্যমে একটি কর্তৃত্বের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, যেখানে 'আমরা সবাই' সেই কর্তৃত্বের অংশীদার। এর অর্থ দাঁড়ায়, এই 'রাজত্ব' (যা বৃহত্তর অর্থে দেশ, সমাজ বা যেকোনো গোষ্ঠী হতে পারে) পরিচালনার দায়িত্ব সকলের উপরই বর্তায়। প্রত্যেকেই যেন নিজ নিজ স্থানে রাজা এবং সেই রাজার রাজ্যের প্রতি তাদের কর্তব্য রয়েছে।

প্রশ্নঃ কোন বাক্যটি শুদ্ধ?

[ প্রা.বি.স.শি. 20-05-2022 ]

ক. তিনি স্বস্ত্রীক শহরে থাকেন।
খ. তিনি সস্ত্রীক শহরে থাকেন।
গ. তিনি ও স্ত্রী শহরে থাকেন।
ঘ. তিনি স্ব- স্ত্রী সহ শহরে থাকেন।
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক বাক্যটি হলো তিনি সস্ত্রীক শহরে থাকেন

'সস্ত্রীক' শব্দের অর্থ হলো স্ত্রীর সাথে। এটি একটি একক শব্দ, তাই এর সাথে 'সহ' বা 'ও স্ত্রী' যোগ করার প্রয়োজন নেই।

অন্যান্য বাক্যগুলো কেন অশুদ্ধ:

  • কঃ তিনি স্বস্ত্রীক শহরে থাকেন: 'স্ব' এবং 'স্ত্রীক' আলাদাভাবে লেখার কারণে এটি ভুল।
  • গঃ তিনি ও স্ত্রী শহরে থাকেন: এটি ব্যাকরণগতভাবে ভুল নয়, তবে 'সস্ত্রীক' ব্যবহার করলে বাক্যটি আরও সংক্ষিপ্ত ও শ্রুতিমধুর হয়।
  • ঘঃ তিনি স্ব- স্ত্রী সহ শহরে থাকেন: এখানে 'স্ব', 'স্ত্রী' এবং 'সহ' একসাথে ব্যবহার করা বাহুল্য দোষে দুষ্ট। 'সস্ত্রীক' নিজেই 'স্ত্রী সহ' অর্থ বহন করে।
ক. সূর্য পূর্বদিকে উদয়মান হয়
খ. সূর্য পূর্বদিকে উদিয়ামান হয়
গ. সূর্য পূর্বদিকে উদয় হয়
ঘ. সূর্য পূর্বদিকে উদিত হয়

প্রশ্নঃ কোনটি যৌগিক বাক্য?

[ প্রা.বি.স.শি. 27-06-2019 ]

ক. তুমি আমার বাড়িতে না আসলে আমি অখুশি হব।
খ. তুমি আমার বাড়িতে আসলে আমি খুশি হব
গ. তুমি আমার বাড়িতে এস, আমি খুশি হব
ঘ. তুমি যদি আমার বাড়িতে আস আমি খুশি হব
ব্যাখ্যাঃ

যৌগিক বাক্য হলো এমন বাক্য, যেখানে দুটি বা ততোধিক স্বাধীন বাক্য সংযোগকারী অব্যয় (যেমন: এবং, অথবা, কিন্তু, তাই ইত্যাদি) দ্বারা যুক্ত থাকে।

ক. আমি সাক্ষ্য দিয়েছি
খ. আমি সাক্ষী দিতেছি
গ. আমি সাক্ষী দিলাম
ঘ. আমি সাক্ষী দিয়েছি
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক বাক্যটি হলো: কঃ আমি সাক্ষ্য দিয়েছি।

বাক্যের শুদ্ধরূপের কিছু সাধারণ নিয়ম নিচে দেওয়া হলো:

1. শব্দের সঠিক ব্যবহার: বাক্যে ব্যবহৃত শব্দগুলোর সঠিক অর্থ এবং প্রয়োগ জানা জরুরি।
2. ক্রিয়ার সঠিক রূপ: বাক্যে ক্রিয়ার কাল, পুরুষ এবং বচন অনুযায়ী সঠিক রূপ ব্যবহার করতে হবে।
3. বিভক্তির সঠিক প্রয়োগ: কারক ও সম্বন্ধ অনুযায়ী বাক্যে বিভক্তির সঠিক প্রয়োগ করতে হবে।
4. বাক্যের গঠন: বাক্যের গঠন যেন সহজবোধ্য এবং অর্থপূর্ণ হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
5. বানান শুদ্ধতা: বাক্যে ব্যবহৃত শব্দগুলোর বানান নির্ভুল হতে হবে।

"সাক্ষী" শব্দটি বিশেষ্য, যা কোনো ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিকে বোঝায়। আর "সাক্ষ্য" শব্দটি বিশেষ্য, যা কোনো ঘটনার প্রমাণ বা বিবৃতিকে বোঝায়। তাই, সঠিক বাক্যটি হবে "আমি সাক্ষ্য দিয়েছি"।

ক. আকাঙ্ক্ষা
খ. দৃঢ়তা
গ. আসত্তি
ঘ. যোগ্যতা
ব্যাখ্যাঃ

বাক্যে একের পর অন্য পদ শোনার ইচ্ছাকে আকাঙ্ক্ষা বলে। অর্থাৎ, একটি বাক্য শোনার পর যদি আরও কিছু শোনার বা জানার ইচ্ছা থাকে, তবে তাকে আকাঙ্ক্ষা বলে।

উদাহরণ:
1. "চাঁদ পৃথিবীর চারপাশে..." - এই বাক্যটিতে আরও কিছু শোনার আকাঙ্ক্ষা থাকে।
2. "চাঁদ পৃথিবীর চারপাশে ঘোরে।" - এই বাক্যটি শোনার পর আর কিছু শোনার আকাঙ্ক্ষা থাকে না।

প্রশ্নঃ শুদ্ধ বাক্য কোনটি?

[ প্রা.বি.স.শি. 27-06-2019 ]

ক. তুমি, শফিক ও আমি সিনেমা দেখতে যাব
খ. আমি, শফিক ও তুমি সিনেমা দেখতে যাব
গ. তুমি, আমি ও শফিক সিনেমা দেখতে যাব
ঘ. শফিক ,তুমি ও আমি সিনেমা দেখতে যাব
ব্যাখ্যাঃ

উত্তম পুরুষ + মধ্যম পুরুষ + নাম পুরুষ অর্থাৎ তিন পুরুষ মিলে একটি কাজ করলে প্রথমে মধ্যম>নাম>উত্তম পুরুষ বসবে।

ক. তুমি গিয়েছিলে
খ. তুমি যাচ্ছ
গ. তুমি যাও
ঘ. তুমি যাচ্ছিলে
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো গঃ তুমি যাও

অনুজ্ঞা প্রকাশক বাক্য হলো সেই বাক্য, যা আদেশ, অনুরোধ, অনুমতি, আশীর্বাদ, অভিশাপ ইত্যাদি অর্থ প্রকাশ করে।

  • কঃ তুমি গিয়েছিলে: এটি অতীতকালের সাধারণ বিবৃতি।
  • খঃ তুমি যাচ্ছ: এটি বর্তমানকালের ঘটমান বর্তমানের বিবৃতি।
  • গঃ তুমি যাও: এটি একটি আদেশ বা অনুরোধ বোঝাচ্ছে (যাওয়ার জন্য বলা হচ্ছে)।
  • ঘঃ তুমি যাচ্ছিলে: এটি অতীতকালের ঘটমান অতীতের বিবৃতি।

সুতরাং, "তুমি যাও" বাক্যটি আদেশ বা অনুরোধের ভাব প্রকাশ করায় এটি অনুজ্ঞা প্রকাশক।

ক. প্রশ্নবোধক
খ. না-বোধক
গ. বিস্ময়সূচক
ঘ. 'হ্যা' বোধক
ব্যাখ্যাঃ

"তুমি না বলেছিলো এখানে আসবে" - এই বাক্যে 'না' এর ব্যবহার প্রশ্নবোধক অর্থে।

যদিও বাক্যটির গঠন দেখে মনে হতে পারে এটি একটি নেতিবাচক বাক্য, কিন্তু এখানে 'না' শব্দটি একটি প্রশ্ন তৈরি করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছে। বক্তা সম্ভবত নিশ্চিত হতে চাইছেন যে শ্রোতা আগে এখানে আসার কথা বলেছিলেন কিনা।

এই ধরনের প্রশ্নকে হ্যাঁ/না প্রশ্ন বলা হয়, যেখানে উত্তর হ্যাঁ বা না হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

ক. জটিল
খ. মিশ্র
গ. যৌগিক
ঘ. সরল
ব্যাখ্যাঃ

"বুঝে শুনে উত্তর দাও নতুবা ভুল হবে" বাক্যটি একটি যৌগিক বাক্য।

কারণ এই বাক্যটিতে দুটি স্বাধীন বাক্য ("বুঝে শুনে উত্তর দাও" এবং "ভুল হবে") একটি সংযোজক অব্যয় ("নতুবা") দ্বারা যুক্ত হয়েছে।

ক. যৌগিক বাক্য
খ. জটিল বাক্য
গ. মিশ্র বাক্য
ঘ. সরল বাক্য
ব্যাখ্যাঃ

"আমি যাব তবে কাল যাব" - এটি একটি যৌগিক বাক্য

কারণ এই বাক্যটিতে দুটি স্বাধীন বাক্য রয়েছে:
১. "আমি যাব"
২. "কাল যাব"

এই দুটি বাক্য "তবে" নামক একটি সংযোজক অব্যয় দ্বারা যুক্ত হয়েছে। যৌগিক বাক্যের বৈশিষ্ট্য হলো একাধিক স্বাধীন বাক্য একটি সংযোজক অব্যয় দ্বারা যুক্ত থাকে। "তবে" এখানে একটি শর্ত বা বিলম্বের ভাব প্রকাশ করছে, কিন্তু এটি দুটি স্বাধীন বাক্যকে সংযুক্ত করেছে।

প্রশ্নঃ কোনটি শুদ্ধ বাক্য?

[ প্রা.বি.স.শি. 31-05-2019 ]

ক. আমার বড় দূরাবস্থা
খ. আমার বড় দুরবস্থা
গ. আমার বড় দূরবস্থা
ঘ. আমার বড় দূরাবস্থা
ব্যাখ্যাঃ

শুদ্ধ বাক্যটি হলো:

খঃ আমার বড় দুরবস্থা

ব্যাখ্যা:

'দুরবস্থা' শব্দটির অর্থ হলো খারাপ অবস্থা বা দুর্দশা। এর সঠিক বানান হলো 'দ+র+ব+স+থ+আ' অর্থাৎ 'দুরবস্থা'। 'দূর' মানে দূরে বোঝায় এবং 'দূরাবস্থা' বলে কোনো শব্দ নেই। তাই 'দুরবস্থা' সঠিক।

প্রশ্নঃ নিচের কোন বাক্যরূপটি শুদ্ধ?

[ 18th ntrca (স্কুল সমপর্যায়-২) (15-03-2024) ]

ক. অশ্রুজলে চোখ ভেসে গেলো।
খ. সৎ চরিত্রের লোক সকলের প্রিয়।
গ. অঙ্ক কষিতে ভূল করিওনা।
ঘ. আমি ঘটনাটি চাক্ষুষ প্রত্যক্ষ করেছি।
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক বাক্যটি হলো:

খঃ সৎ চরিত্রের লোক সকলের প্রিয়।

অন্যান্য বাক্যগুলোর ভুল ব্যাখ্যা:

  • কঃ অশ্রুজলে চোখ ভেসে গেলো।

    • "অশ্রুজল" শব্দের মধ্যেই "জল" (পানি) নিহিত আছে। তাই "অশ্রুজলে" এবং "জল" একসঙ্গে ব্যবহার করলে পুনরাবৃত্তি দোষ ঘটে। শুদ্ধ রূপ হতে পারত: "চোখ অশ্রুতে ভেসে গেলো" বা "চোখের জলে চোখ ভেসে গেলো"।
  • গঃ অঙ্ক কষিতে ভূল করিওনা।

    • এখানে "ভূল" বানানটি ভুল, সঠিক বানানটি হলো ভুল
    • এছাড়াও, "কষিতে" এবং "করিওনা" সাধু রীতির ক্রিয়াপদ। চলিত রীতিতে এগুলো হবে "কষতে" এবং "করো না"। একই বাক্যে সাধু ও চলিত রীতির মিশ্রণকে গুরুচণ্ডালী দোষ বলে।
  • ঘঃ আমি ঘটনাটি চাক্ষুষ প্রত্যক্ষ করেছি।

    • "চাক্ষুষ" অর্থই হলো যা চোখ দিয়ে দেখা হয়েছে বা প্রত্যক্ষ করা হয়েছে। "প্রত্যক্ষ" শব্দের অর্থও সরাসরি দেখা। তাই "চাক্ষুষ প্রত্যক্ষ" একসঙ্গে ব্যবহার করলে পুনরাবৃত্তি দোষ ঘটে। শুদ্ধ রূপ হতে পারত: "আমি ঘটনাটি চাক্ষুষ দেখেছি" বা "আমি ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করেছি"।