আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
15

ক. বিদ্যা
খ. বিদ্রোহী
গ. বিষয়
ঘ. বিপুল
উত্তরঃ বিদ্রোহী
ব্যাখ্যাঃ

"বিদ্রোহী" শব্দে "বিদ-" উপসর্গ যুক্ত হয়েছে, যা "প্রতি" বা "বিরুদ্ধ" অর্থ প্রকাশ করে।

ক. অকাজ
খ. আবছায়া
গ. আলুনি
ঘ. নিখুঁত
উত্তরঃ আলুনি
ব্যাখ্যাঃ

অভাব অর্থে আ উপসর্গ যোগে গঠিত শব্দ: আকাঁড়া, আধোয়া, আলুনি।

ক. উপনেতা
খ. উপভোগ
গ. উপগ্রহ
ঘ. উপসাগর
উত্তরঃ উপভোগ
ব্যাখ্যাঃ

এখানে "উপ" উপসর্গটি বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। আসুন দেখি কোনটিতে ভিন্ন অর্থ প্রকাশ পায়:

  • কঃ উপনেতা - এখানে "উপ" অর্থ সহকারী বা প্রধানের চেয়ে অধস্তন (Vice-leader)।

  • খঃ উপভোগ - এখানে "উপ" আগ্রহ বা বিশেষভাবে (to enjoy thoroughly)।

  • গঃ উপগ্রহ - এখানে "উপ" ক্ষুদ্র বা সহকারী (satellite - a smaller body orbiting a planet)। এটি গ্রহের সহকারী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।

  • ঘঃ উপসাগর - এখানে "উপ" ক্ষুদ্র বা অংশ (gulf - a large inlet of the sea that cuts into the land)। এটি সাগরের অংশ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।

"উপনেতা"-তে "উপ" সহকারী অর্থে ব্যবহৃত হলেও, "উপগ্রহ" এবং "উপসাগর"-এ "উপ" ক্ষুদ্র বা অংশ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। "উপভোগ"-এ "উপ" সম্পূর্ণ ভিন্ন অর্থে, আগ্রহ বা বিশেষভাবে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে।

সুতরাং, খঃ উপভোগ শব্দে "উপ" উপসর্গটি ভিন্নার্থে প্রযুক্ত।

ক. দেশি উপসর্গযোগে
খ. বিদেশি উপসর্গযোগে
গ. সংস্কৃত উপসর্গযোগে
ঘ. কোনোটি নয়
উত্তরঃ দেশি উপসর্গযোগে
ব্যাখ্যাঃ

'কদাকার' শব্দটি 'কৎ' উপসর্গযোগে গঠিত।

শব্দটি এসেছে 'কৎ' (মন্দ/কুৎসিত) + 'আকার' থেকে, যার অর্থ কুৎসিত আকার বা বিশ্রী দেখতে। 'কৎ' এখানে একটি বাংলা উপসর্গ।

ক. আনন
খ. আষাঢ়
গ. আঘাটা
ঘ. আয়না
উত্তরঃ আঘাটা
ব্যাখ্যাঃ

উপসর্গ দিয়ে গঠিত শব্দটি হলো আঘাটা

এখানে ব্যাখ্যা করা হলো:

  • উপসর্গ: উপসর্গ হলো কিছু অব্যয়সূচক শব্দাংশ যা স্বাধীনভাবে ব্যবহৃত হতে পারে না, কিন্তু শব্দের আগে বসে নতুন শব্দ তৈরি করে বা শব্দের অর্থের পরিবর্তন ঘটায়।

  • আঘাটা: এই শব্দটি গঠিত হয়েছে 'আ' উপসর্গ + 'ঘাটা' (মূল শব্দ) দিয়ে। 'ঘাটা' অর্থ সাধারণত নৌকা বা গাড়ি পারাপারের স্থান, আর 'আ' উপসর্গ যোগ হয়ে এর অর্থ পরিবর্তন করে 'আঘাটা' অর্থাৎ যেখানে সহজে যাওয়া বা ঘাটা যায় না এমন বোঝানো হচ্ছে।

অন্যান্য বিকল্পগুলো উপসর্গ দিয়ে গঠিত হয়নি:

  • আনন: এটি একটি মূল শব্দ, যার অর্থ মুখ।
  • আষাঢ়: এটি একটি মাসের নাম, মূল শব্দ।
  • আয়না: এটি একটি মূল শব্দ, যার অর্থ দর্পণ।
ক. পরাকাষ্ঠা
খ. অভিব্যক্তি
গ. পরিশ্রান্ত
ঘ. অনাবৃষ্টি
উত্তরঃ অনাবৃষ্টি
ব্যাখ্যাঃ

এখানে, 'অনাবৃষ্টি' শব্দটি অনা- উপসর্গ দিয়ে গঠিত, যা একটি বাংলা উপসর্গ।

অন্যান্য বিকল্পগুলোতে ব্যবহৃত হয়েছে:

  • 'পরাকাষ্ঠা' - পরা (সংস্কৃত উপসর্গ)
  • 'অভিব্যক্তি' - অভি (সংস্কৃত উপসর্গ)
  • 'পরিশ্রান্ত' - পরি (সংস্কৃত উপসর্গ)
ক. সংস্কৃত
খ. বাংলা
গ. বিদেশি
ঘ. মিশ্র
উত্তরঃ সংস্কৃত
ব্যাখ্যাঃ

বাংলা ভাষায় তিন প্রকার উপসর্গ আছে। বাংলা, তৎসম বা সংস্কৃত এবং বিদেশী উপসর্গ। এর মধ্যে বাংলা উপসর্গ মোট ২১টি এবং তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ ২০টি। সংস্কৃত উপসর্গগুলো হলো: প্র, পরা অপ, সম্, নি, অনু, অব, নির, দুর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অপি, অভি, উপ, আ।

ক. উনিশ
খ. কুড়ি
গ. একুশ
ঘ. বাইশি
উত্তরঃ একুশ
ব্যাখ্যাঃ

বাংলা ভাষায় খাঁটি বাংলা উপসর্গ রয়েছে ২১টি। এগুলো হচ্ছে- অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আব, আন, ইতি, উন, কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা। এবং সংস্কৃত উপসর্গের সংখ্যা ২০টি।

প্রশ্নঃ উপসর্গ কোনটি?

[ বিসিএস ২৬তম ]

ক. অতি
খ. থেকে
গ. চেয়ে
ঘ. দ্বারা
উত্তরঃ অতি
ব্যাখ্যাঃ

‘অতি’ একটি সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ। এটা অধিক, অতিক্রান্ত, অনুচিত ইত্যাদি অর্থে বাক্যে যুক্ত করা হয় । অন্যদিকে থেকে, চেয়ে ও দ্বারা তিনটি অব্যয় পদ।

প্রশ্নঃ প্র, পরা, অপ-

[ বিসিএস ২৬তম ]

ক. বাংলা উপসর্গ
খ. সংস্কৃত উপসর্গ
গ. বিদেশী উপসর্গ
ঘ. উপসর্গ স্থানীয় অব্যয়
উত্তরঃ সংস্কৃত উপসর্গ
ব্যাখ্যাঃ

বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত যেসব উপসর্গ সংস্কৃত ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত হচ্ছে সেসব উপসর্গকে বলা হয় তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ। সংস্কৃত উপসর্গ প্রধানত ২০ টি । যথা: প্র, পরা, অপ, সম্, নি, অনু, অব, নির , দুর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অভি, অতি, অপি, উপ, আ।

ক. অব্যয় ও শব্দাংশ
খ. নতুন শব্দ গঠনে
গ. উপসর্গ থাকে সামনে, প্রত্যয় থাকে পিছনে
ঘ. ভিন্ন অর্থ প্রকাশে
উত্তরঃ উপসর্গ থাকে সামনে, প্রত্যয় থাকে পিছনে
ব্যাখ্যাঃ

যেসব অব্যয় শব্দ বা ধাতুর পূর্বে বসে মূল শব্দের অর্থের পরিবর্তন ঘটায় ও নতুন শব্দ গঠন করে তাকে উপসর্গ বলে। যেমন বে + কার = বেকার; এখানে ‘ব’ উপসর্গ। অন্যদিকে যেসব বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি ধাতু বা শব্দের পরে বসে নতুন শব্দ গঠন করে তাকে প্রত্যয় বলে। যেমন কাঁদ্‌ + অন = কাঁদন, এখানে ‘অন’ প্রত্যয়। সুতরাং উপরিউক্ত প্রশ্নে (গ) -ই যথার্থ উত্তর।

ক. অব্যয় ও শব্দাংশে
খ. নতুন শব্দ গঠনে
গ. উপসর্গ থাকে সামনে, প্রত্যয় থাকে পেছনে
ঘ. ভিন্ন অর্থ প্রকাশে
উত্তরঃ উপসর্গ থাকে সামনে, প্রত্যয় থাকে পেছনে
ব্যাখ্যাঃ

কতগুলো বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি ধাতু বা শব্দের পূর্বে বসে নতুন শব্দ গঠন করে ও অর্থের পরিবর্তন সাধন করে, এই রূপ বর্ণ বা বর্ণসমষ্টিকে উপসর্গ বলে । ক্রিয়া ও নাম প্রকৃতির সঙ্গে যে ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টি যুক্ত হয় তাকে প্রত্যয় বলে। প্রত্যয় শব্দ বা ধাতুর পরে বসে নতুন অর্থবোধক শব্দ গঠন করে।

ক. আরবি ভাষা থেকে
খ. ফরাসি ভাষা থেকে
গ. হিন্দি ভাষা থেকে
ঘ. উর্দু ভাষা থেকে
উত্তরঃ আরবি ভাষা থেকে
ব্যাখ্যাঃ

লা আরবি উপসর্গ। বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত বিদেশি উপসর্গগুলো হলো: ফারসি- কার, দর, না, নিম, ফি, বদ, বে, বর, ব, কম; ইংরেজি- হাফ, ফুল, হেড ও সাব; আরবি- আম, খাস, লা, গর; হিন্দি/ উর্দু-হর।

ক. নেতিবাচক
খ. বিয়োগান্ত
গ. নঞর্থক
ঘ. অজানা
উত্তরঃ নঞর্থক
ব্যাখ্যাঃ

‘অচিন’ শব্দের ‘অ’ উপসর্গটি নঞর্থক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। ‘অ’ উপসর্গটি অভাব অর্থে প্রকাশ পেয়েছে অচিন, অজানা, অথৈ শব্দগুলো।

ক. শব্দ দুটিতে উপসর্গটি মোটামুটি একই অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে
খ. শব্দ দুটিতে উপসর্গটি একই অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে
গ. দুটি শব্দে উপসর্গটির অর্থ দু রকম
ঘ. দুটি শব্দে উপসর্গটির অর্থ আপতবিচারে ভিন্ন হলেও আসল এক
উত্তরঃ দুটি শব্দে উপসর্গটির অর্থ দু রকম
ব্যাখ্যাঃ

একই উপসর্গ শব্দের সামনে বসে বিভিন্ন রূপ অর্থ প্রকাশ করে। যেমন- অব উপসর্গ অবমূল্যায়ন শব্দে হীনতা অর্থে এবং অবদান শব্দে সম্যক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।

ক. বিপরীত
খ. নিকৃষ্ট
গ. বিকৃত
ঘ. অভাব
উত্তরঃ বিপরীত
ব্যাখ্যাঃ

একটি উপসর্গ বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হতে পারে। যেমন: অপ উপসর্গ বিপরীত অর্থে: অপমান, অপচয়, অপকার। স্থানান্তর অর্থে: অপহরণ, অপসারণ। নিকৃষ্ট অর্থে: অপসংস্কৃতি, অপকর্ম। বিকৃত অর্থে: অপমৃত্যু।

ক. নিখুঁত
খ. আনমনা
গ. অবহেলা
ঘ. নিমরাজী
উত্তরঃ নিমরাজী
ব্যাখ্যাঃ

নিম ফারসি উপসর্গ। বাংলা ভাষায় মোট ১০ টি ফারসি উপসর্গ ব্যবহৃত হয়- কার, দর, না,নিম, ফি, বদ, বে, বর, ব, কম। অন্যান্য বিদেশি উপসর্গের মধ্যে ইংরেজি- হাফ, ফুল, হেড ও সাব; আরবি- আম, খাস, লা, গর; হিন্দি/ উর্দু-হর বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

ক. ২০টি
খ. ২১টি
গ. ১৮টি
ঘ. ২২টি
উত্তরঃ ২১টি
ব্যাখ্যাঃ

বাংলা ভাষায় ২১টি তৎসম উপসর্গ রয়েছে। তৎসম উপসর্গ মূলত সংস্কৃত ভাষা থেকে এসেছে এবং এগুলো বাংলা ভাষায় অপরিবর্তিতভাবে ব্যবহৃত হয়।

তৎসম উপসর্গের তালিকা:

১. অ- (অশুভ)
2. অতিঃ (অতিবৃদ্ধি)
3. অধিঃ (অধিকরণ)
4. অনু- (অনুকরণ)
5. অপ- (অপরাধ)
6. অভি- (অভিযান)
7. অধঃ- (অধঃপতন)
8. আ- (আবেদন)
9. উৎ- (উৎপাদন)
10. উপ- (উপনয়ন)
11. নির্- (নির্মাণ)
12. নিস্- (নিস্ক্রিয়)
13. দুর্- (দুর্বুদ্ধি)
14. দুঃ- (দুঃখ)
15. পরা- (পরাক্রম)
16. পরি- (পরিবর্তন)
17. প্র- (প্রকাশ)
18. প্রতি- (প্রতিযোগিতা)
19. বি- (বিজ্ঞ)
20. সম্- (সম্পর্ক)
21. সু- (সুশীল)

এই উপসর্গগুলো বাংলা ভাষায় নতুন শব্দ গঠনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

ক. তৎসম উপসর্গ
খ. বিদেশি উপসগ
গ. তদ্ভব উপসর্গ
ঘ. বাংলা উপসর্গ
উত্তরঃ বিদেশি উপসগ
ব্যাখ্যাঃ

"নিমরাজি" শব্দে "নিম" একটি বিদেশি উপসর্গ

"নিম" উপসর্গটি ফার্সি ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় এসেছে। এর অর্থ হলো 'অর্ধেক' বা 'কিছুটা'।

বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত বিদেশি উপসর্গগুলোর মধ্যে আরবি, ফার্সি ও ইংরেজি উল্লেখযোগ্য। "নিম" ফার্সি উপসর্গ হওয়ায় এটি বিদেশি উপসর্গের অন্তর্ভুক্ত।

প্রশ্নঃ উপসর্গের কাজ কি?

[ প্রা.বি.স.শি. 02-02-2024 ]

ক. শব্দের লক্ষণ দেখানো
খ. কোনটিই নয়
গ. নতুন শব্দ গঠন করা
ঘ. শব্দের বিরতি প্রদর্শন
উত্তরঃ নতুন শব্দ গঠন করা
ব্যাখ্যাঃ

উপসর্গের প্রধান কাজ হলো শব্দের অর্থ পরিবর্তন করা অথবা নতুন অর্থ তৈরি করা। এর বাইরেও উপসর্গ আরও কিছু কাজ করে থাকে:

১. অর্থের পরিবর্তন:

  • ইতিবাচক থেকে নেতিবাচক:
    • জয় > পরাজয় (বিপরীত অর্থ)
    • সুন্দর > কুসুন্দর (নিন্দার্থে)
    • রাজি > রাজি (অস্বীকৃতি)
  • অর্থের তীব্রতা বৃদ্ধি:
    • তাপ > প্রতাপ (অধিক তাপ)
    • বল > প্রবল (অধিক শক্তি)
    • গতি > অতিগতি (অত্যধিক গতি)
  • অর্থের সংকোচন:
    • আহার > উপবাস (অল্প আহার)
    • কুল > উপকূল (কূলের কাছে)
  • অর্থের সম্প্রসারণ:
    • পথ > পরিপথ (চারদিকের পথ)
    • ভ্রমণ > পরিভ্রমণ (চারদিকে ঘোরা)
  • নতুন অর্থ সৃষ্টি:
    • হার > হার (খাবার)
    • হার > উপহার (ভেঁট)
    • হার > বিহার (ভ্রমণ)
    • হার > সংহার (ধ্বংস)

২. শব্দের শ্রেণি পরিবর্তন না করা:

উপসর্গ যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ তৈরি করলেও সাধারণত মূল শব্দের শ্রেণি অপরিবর্তিত থাকে। যেমন:

  • বিশেষণ: কাল > কাল
  • বিশেষ্য: দেশ > বিদেশ
  • ক্রিয়া: করা > উৎকর্ষ

তবে কিছু ক্ষেত্রে সামান্য অর্থের ভিন্নতা দেখা যেতে পারে, কিন্তু মৌলিক শ্রেণি সাধারণত একই থাকে।

ক. জয়ের
খ. এর
গ. জয়
ঘ. পরা
উত্তরঃ পরা
ব্যাখ্যাঃ

"পরাজয়ের" শব্দটিতে "পরা" উপসর্গ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

এখানে, "পরা" উপসর্গটি "জয়" শব্দের আগে বসে একটি নতুন শব্দ "পরাজয়" তৈরি করেছে। "পরা" উপসর্গটি বিপরীত বা পরাজয় অর্থে ব্যবহৃত হয়। তাই, "পরাজয়" শব্দের অর্থ হলো হেরে যাওয়া বা পরাজিত হওয়া।

ক. বিপরীত
খ. অভাব
গ. নিখুঁত
ঘ. নিকৃষ্ট
উত্তরঃ বিপরীত
ব্যাখ্যাঃ

'অপমান' শব্দের 'অপ' উপসর্গটি বিপরীত অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।

'অপ' উপসর্গটি বাংলা ভাষায় সাধারণত নিম্নলিখিত অর্থগুলোতে ব্যবহৃত হয়:

বিপরীত: যেমন - যশ (খ্যাতি) - অপযশ (বদনাম), কার (করা) - অপকার (ক্ষতি), মান (সম্মান) - অপমান (অসম্মান)।
অভাব: যেমন - রাধ (সিদ্ধ করা) - অপক্ক (অসিদ্ধ)।
নিকৃষ্ট: যেমন - কথা (বলা) - অপকথা (খারাপ কথা)।
দূষণ: যেমন - জল - অপজল (দূষিত জল)।

'অপমান' শব্দটিতে 'অপ' যুক্ত হয়ে 'মান' (সম্মান) শব্দের বিপরীত অর্থ 'অসম্মান' বা 'অবজ্ঞা' প্রকাশ করছে।

ক. খাঁটি বাংলা
খ. বিদেশি
গ. তৎসম
ঘ. তদ্ভব
উত্তরঃ খাঁটি বাংলা
ব্যাখ্যাঃ

'অঘারাম বাস করে অজপাড়া গায়ে' বাক্যটিতে 'অঘা' এবং 'অজ' উভয়ই বাংলা উপসর্গ

  • অঘা: এটি একটি বাংলা উপসর্গ যা খারাপ বা মন্দ অর্থে ব্যবহৃত হয়। যেমন: অঘারাম (মন্দ বা নির্বোধ রাম), অঘাচণ্ডী।
  • অজ: এটিও একটি বাংলা উপসর্গ যা অভাব বা না-বাচক অর্থে ব্যবহৃত হয়। যেমন: অজপাড়া (যে পাড়ায় সহজে যাওয়া যায় না বা যেখানে কোনো পরিচিতি নেই), অজমূর্খ।