আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
15

ক. পদান্বয়ী অব্যয়
খ. অনুসর্গ অব্যয়
গ. অনন্বয়ী অব্যয়
ঘ. অনুকার অব্যয়
উত্তরঃ অনন্বয়ী অব্যয়
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হলো গঃ অনন্বয়ী অব্যয়

যদিও এই বাক্যে "ভারি" শব্দটিকে অনুসর্গ অব্যয় হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে (যেহেতু এটি "সুন্দর" বিশেষণের পরে বসে তার তীব্রতা বোঝাচ্ছে), প্রধানত এই বাক্যের সুর এবং বিস্ময় ভাব প্রকাশ করছে "তো" শব্দটি।

অনন্বয়ী অব্যয় হলো সেইসব অব্যয় পদ যা বাক্যের অন্য কোনো পদের সাথে সরাসরি সম্পর্ক না রেখে স্বাধীনভাবে বিভিন্ন ভাব (যেমন - বিস্ময়, আনন্দ, দুঃখ, স্বীকৃতি, অস্বীকৃতি ইত্যাদি) প্রকাশ করে। এই বাক্যে "তো" বিস্ময় বা সামান্য জোর দেওয়ার অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।

পদান্বয়ী অব্যয় (যা অনুসর্গ নামেও পরিচিত) বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের পরে বসে এবং কারক বিভক্তি বা অন্যান্য সম্পর্ক বোঝাতে সাহায্য করে (যেমন: দ্বারা, হতে, থেকে)। "ভারি" এখানে সেই অর্থে ব্যবহৃত হয়নি।

অনুকার অব্যয় কোনো কিছুর ধ্বনি বা অনুকরণ প্রকাশ করে (যেমন: ঝমঝম, কিচিরমিচির)।

অতএব, প্রধানত "তো" শব্দটির কারণে এই বাক্যে অনন্বয়ী অব্যয় ব্যবহৃত হয়েছে বলা যায়।

ক. প্রশ্নবাচক
খ. অব্যয়
গ. সর্বনাম
ঘ. বিশেষণ
উত্তরঃ সর্বনাম
ব্যাখ্যাঃ

‘তোমার নাম কী?’-এখানে ‘কী’ হলো সর্বনাম

এই বাক্যে ‘কী’ শব্দটি একটি প্রশ্নবোধক সর্বনাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। এটি কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর নাম জানতে চাইছে।

বাংলা ব্যাকরণে, যে পদ বিশেষ্য পদের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়, তাকে সর্বনাম পদ বলে। ‘কী’, ‘কে’, ‘কোন’, ‘কার’ ইত্যাদি প্রশ্নবোধক সর্বনামের উদাহরণ।

ক. অনন্বয়ী অব্যয়
খ. অনুকার অব্যয়
গ. পদান্বয়ী অব্যয়
ঘ. অনুসর্গ অব্যয়
উত্তরঃ অনন্বয়ী অব্যয়
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো কঃ অনন্বয়ী অব্যয়

'তুমি তো ভারি সুন্দর ছবি আঁক।' এই বাক্যটিতে "তো" শব্দটি অব্যয় পদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

অনন্বয়ী অব্যয় সেই সকল অব্যয় পদ, যারা বাক্যের অন্য কোনো পদের সাথে কোনো প্রকার সম্পর্ক স্থাপন করে না। এরা স্বাধীনভাবে বাক্যে বিভিন্ন ভাব, যেমন - বিস্ময়, যন্ত্রণা, মিনতি, স্বীকৃতি, ইত্যাদি প্রকাশ করে।

এই বাক্যে "তো" শব্দটি একটি নিরর্থক বা আলংকারিক অব্যয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে, যা বাক্যের অর্থের তেমন কোনো পরিবর্তন ঘটায়নি, বরং একটি বিশেষ জোর বা আবেগ প্রকাশ করছে। এটি বাক্যের অন্য কোনো পদের সাথে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত নয়।

অন্যান্য প্রকার অব্যয়গুলো এই বাক্যে ব্যবহৃত হয়নি:

  • অনুকার অব্যয়: কোনো ধ্বনির অনুকরণে গঠিত অব্যয় (যেমন - ঝমঝম, কটকট)।
  • পদান্বয়ী অব্যয়: যে অব্যয়গুলো বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের পরে বসে তাদের সাথে বাক্যের অন্যান্য পদের সম্পর্ক স্থাপন করে (যেমন - দ্বারা, হতে, চেয়ে)।
  • অনুসর্গ অব্যয়: পদান্বয়ী অব্যয়গুলো যখন স্বাধীনভাবে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের পরে ব্যবহৃত হয়, তখন তাদের অনুসর্গ বলা হয় (অনেক ব্যাকরণবিদ পদান্বয়ী ও অনুসর্গকে আলাদা করেন না)।

সুতরাং, "তো" শব্দটি এখানে অনন্বয়ী অব্যয় রূপে ব্যবহৃত হয়েছে।

ক. জাত
খ. গৈরিক
গ. উদ্ধত
ঘ. গাম্ভীর্য
উত্তরঃ গাম্ভীর্য
ব্যাখ্যাঃ

"বিশেষ্য পদ" হলো যা দ্বারা কোনো ব্যক্তি, বস্তু, স্থান, গুণ, ধারণা বা অবস্থার নাম বোঝায়।

প্রদত্ত বিকল্পগুলো বিশ্লেষণ করি:

  • কঃ জাত: এটি একটি বিশেষণ পদ। যেমন: "জাত শিল্পী" (যে শিল্পী জন্মগতভাবে শিল্পী বা বিশেষ গুণে সম্পন্ন)।
  • খঃ গৈরিক: এটি একটি বিশেষণ পদ। গৈরিক অর্থ গিরিমাটির মতো লাল বর্ণ বা গিরিমাটি সংক্রান্ত। যেমন: "গৈরিক বস্ত্র" (গিরিমাটির রঙের বস্ত্র)।
  • গঃ উদ্ধত: এটি একটি বিশেষণ পদ। উদ্ধত অর্থ অহংকারী, বেয়াদব বা অহংকারে ভরা। যেমন: "উদ্ধত আচরণ" (বেয়াদবিপূর্ণ আচরণ)।
  • ঘঃ গাম্ভীর্য: এটি একটি বিশেষ্য পদ। গাম্ভীর্য অর্থ গভীরতা, গাম্ভীর্যপূর্ণ অবস্থা বা গম্ভীর ভাব। এটি 'গম্ভীর' (বিশেষণ) থেকে উৎপন্ন একটি বিশেষ্য পদ।

সুতরাং, নিচের শব্দগুলোর মধ্যে গাম্ভীর্য হলো বিশেষ্য পদ।

সঠিক উত্তর: ঘঃ গাম্ভীর্য

ক. বিশেষ্য
খ. অব্যয়
গ. ক্রিয়া
ঘ. বিশেষণ
উত্তরঃ বিশেষণ
ব্যাখ্যাঃ

‘এ যে আমাদের চেনা লোক’– বাক্যে ‘চেনা’ পদটি হলো বিশেষণ

এখানে 'চেনা' শব্দটি 'লোক' (বিশেষ্য) পদটিকে বিশেষিত করছে, অর্থাৎ লোকটি কেমন - 'চেনা'।

ক. নোনতা
খ. লবণাক্ত
গ. লাবণ্য
ঘ. ললিত
উত্তরঃ কোনটি সঠিক নয়।
ব্যাখ্যাঃ

'লবণ' নিজেই একটি বিশেষ্য পদ। প্রশ্নটি সম্ভবত 'লবণ' শব্দ থেকে উদ্ভূত বা সম্পর্কিত কোন পদটি বিশেষ্য, তা জানতে চেয়েছে, অথবা বিকল্পগুলির মধ্যে কোনটি বিশেষ্য তা জানতে চেয়েছে।

দেওয়া বিকল্পগুলো বিশ্লেষণ করা যাক:

  • কঃ নোনতা (Nonta): এটি একটি বিশেষণ পদ। এটি 'লবণ' থেকে উৎপন্ন গুণ বোঝায় (যেমন: নোনতা খাবার)।
  • খঃ লবণাক্ত (Lôboņakto): এটিও একটি বিশেষণ পদ। এর অর্থ লবণযুক্ত বা নোনা (যেমন: লবণাক্ত জল)।
  • গঃ লাবণ্য (Laboņņo): এটি একটি বিশেষ্য পদ। 'লাবণ্য' শব্দের অর্থ সৌন্দর্য, কান্তি বা কমনীয়তা। 'লবণ' শব্দ থেকে এর ব্যুৎপত্তিগত সম্পর্ক রয়েছে (লবণ কোনো খাবারকে যেমন সুস্বাদু করে, তেমনই 'লাবণ্য' কিছুকে মনোহর করে তোলে)। এটি একটি গুণবাচক বিশেষ্য।
  • ঘঃ ললিত (Lôlit): এটি একটি বিশেষণ পদ। এর অর্থ সুন্দর, কমনীয় বা মনোহর।

বিকল্পগুলোর মধ্যে কেবল লাবণ্য একটি বিশেষ্য পদ।

ক. বিশেষণের অতিশায়ন
খ. রূপবাচক বিশেষণ
গ. উপাদান বাচক বিশেষণ
ঘ. বিধেয় বিশেষণ
উত্তরঃ বিশেষণের অতিশায়ন
ব্যাখ্যাঃ

বিশেষণ পদ যখন দুই বা ততোধিক বিশেষ্য পদের মধ্যে গুণ, অবস্থা, পরিমাণ প্রভৃতি বিষয়ে তুলনায় একের উৎকর্ষ বা অপকর্ষ বুঝিয়ে থাকে তাকে 'বিশেষণের অতিশায়ন' বলে। ‘এ মাটি সোনার বাড়া’ শব্দটি খাঁটি বাংলা শব্দের অতিশায়ন। এখানে মাটিকে সোনার চেয়ে বড় বা মূল্যবান মনে করা হয়েছে।

ক. সন্ধিজনিত
খ. প্রত্যয়জনিত
গ. উপসর্গজনিত
ঘ. বিভক্তিজনিত
উত্তরঃ প্রত্যয়জনিত
ব্যাখ্যাঃ

‘উৎকর্ষ’ একটি বিশেষ্য পদ, যার অর্থ শ্রেষ্ঠতা, উন্নতি, বৃদ্ধি, আধিক্য ইত্যাদি। কিন্তু এর বিশেষণ করতে ‘উৎকর্ষতা’ বললে তা অশুদ্ধ হবে। কারণ এর বিশেষণ হবে উৎকৃষ্টতা, যা দ্বারা বস্তুর, ভাবের বা রুচির উৎকর্ষ বোঝায়। সুতরাং এখানে ‘উৎকর্ষতা’ শব্দটি প্রত্যয়জনিত কারণে অশুদ্ধ।

ক. বিশেষণ
খ. অব্যয়
গ. সর্বনাম
ঘ. ক্রিয়া
উত্তরঃ সর্বনাম
ব্যাখ্যাঃ

বিশেষণ হলো যা বিশেষ্য ও সর্বনাম পদের দোষ, গুণ ইত্যাদি প্রকাশ করে। যেমন ভালো, ছোট, বড়, পাঁচটি ইত্যাদি। অব্যয় হলো যে পদের কোনো পরিবর্তন নেই। যেমন-এবং, কিংবা, কিন্তু, অথবা ইত্যাদি। সর্বনাম হলো যা বিশেষ্যের পরিবর্তে বসে। যেমন-আমি, তুমি, সে, তাকে, আমার ইত্যাদি। ক্রিয়া হলো যে পদ দ্বারা কার্য সম্পন্ন হয়। যেমন-করা, খাওয়া, যাওয়া ইত্যাদি। সুতরাং উপরিউক্ত বাক্যে ‘তুমি’ ও ‘কী’ উভয়ই সর্বনাম।

ক. কল্যাণীয়াষু
খ. সুচরিতেষু
গ. শ্রদ্ধাস্পদাসু
ঘ. প্রীতিভাজনেষু
উত্তরঃ কল্যাণীয়াষু
ব্যাখ্যাঃ

পত্রের উপরাংশে বাম পাশে যাকে পত্র লেখা হয় তাকে যে সম্বোধন করে পত্রের মূল বক্তব্য আরম্ভ করা হয় তাকে সম্ভাষণ বলে। পত্র প্রাপকের শ্রেণীভেদে সম্ভাষণ বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। সাধারণত সম্বোধনে পুরুষের ক্ষেত্রে দোয়াবরেষু, দোয়াবর, কল্যাণবরেষু, কল্যাণীয়েষু, কল্যাণীয়বরেষু ইত্যাদি; নারীদের ক্ষেত্রে কল্যাণীয়াষু, কল্যাণবরেষু, পরম কল্যাণীয়াষু; বন্ধু-বান্ধবদের ক্ষেত্রে সুহৃদবরেষু, প্রিয়, প্রিয়বরেষু, প্রিয়বন্ধুবরেষু, প্রীতিভাজনেষু, সুচরিতেষু, সুচরিতাষু ইত্যাদি এবং গুরুজনদের ক্ষেত্রে শ্রদ্ধাভাজনেষু, শ্রদ্ধাস্পদেষু (পুং), শ্রদ্ধাস্পদাষু (স্ত্রী) ইত্যাদি।

ক. ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য
খ. ক্রিয়াবিশেষণ
গ. ক্রিয়াবিশেষ্যজাত বিশেষণ
ঘ. ক্রিয়াবিভক্তি
উত্তরঃ ক্রিয়াবিশেষণ
ব্যাখ্যাঃ

যে পদে বাক্যের ক্রিয়াপদটির গুণ, প্রকৃতি, তীব্রতা ইত্যাদি প্রকৃতিগত অবস্থা বোঝায়, তাকে বলা হয় ক্রিয়া বিশেষণ। ক্রিয়া বিশেষণ এমন একটি পদ যা ক্রিয়ার বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য, যেমন ক্রিয়ার সময়, স্থান, প্রকার, পরিমাণ ইত্যাদি বোঝায়। উদাহরণস্বরূপ, "সে দ্রুত দৌড়ায়" বাক্যে "দ্রুত" শব্দটি একটি ক্রিয়া বিশেষণ।

ক. তুমি গিয়েছিলে
খ. তুমি যাও
গ. তুমি যাচ্ছিলে
ঘ. তুমি যাচ্ছ
উত্তরঃ তুমি যাও
ব্যাখ্যাঃ

কিছু করার আদেশ, উপদেশ, নিষেধ, অনুরোধ, আশীর্বাদ, প্রার্থনা-কামনা, অনুমতি ইত্যাদি বোঝাতে ক্রিয়ার যে বিশেষ রীতি ব্যবহৃত হয় তাকে অনুজ্ঞা (ভাব) বলা হয়। যেমন- বর্তমান কালে: কলমটি দাও। ভবিষ্যৎ কালে: কাল দেখা হবে ইত্যাদি। সুতরাং 'তুমি যাও' একটি অনুজ্ঞা।

ক. কবিতার চরণ
খ. যে কোনো শব্দ
গ. প্রত্যয়ান্ত শব্দ বা ধাতু
ঘ. বিভক্তিযুক্ত শব্দ ও ধাতু
উত্তরঃ বিভক্তিযুক্ত শব্দ ও ধাতু
ব্যাখ্যাঃ

সাধারণ অর্থে বাক্যে ব্যবহৃত প্রত্যেকটি শব্দই এক একটি পদ। কিন্তু বাক্যে ব্যবহার হওয়া মাত্র শব্দসমূহে বিভক্তি যুক্ত হয়। যে শব্দে বিভক্তি দেখা যায় না সেটিতে শূন্য বিভক্তি থাকে। তাই ব্যাকরণের দৃষ্টিকোণ থেকে বিভক্তিযুক্ত শব্দ ও ধাতুকেই পদ বলে।

ক. আন
খ. আই
গ. আল
ঘ. আও
উত্তরঃ আই
ব্যাখ্যাঃ
প্রত্যয় বর্ণনা উদাহরণ
আন বিশেষ্য গঠনে প্রযোজক ধাতু ও কর্মবাচ্যের ধাতুর পরে 'আন/আনো' প্রত্যয় যুক্ত হয়। চাল + আন = চালান
আই ভাববাচক বিশেষ্য গঠনে ব্যবহৃত হয়। সিল + আই = সিলাই
আল 'আল' প্রত্যয় যুক্ত পদ। রাখ্ + আল = রাখাল; চণ্ড + আল = চণ্ডাল
আও ভাববাচক বিশেষ্য গঠনে ব্যবহৃত হয়। পাকড় + আও = পাকড়াও
ক. সমন্বয়ী
খ. অনন্বয়ী
গ. পদান্বয়ী
ঘ. অনুকার
উত্তরঃ অনন্বয়ী
ব্যাখ্যাঃ

যেসব বাক্য অন্য পদের সাথে কোনো সম্বন্ধ না রেখে স্বাধীনভাবে নানাবিধ ভাব প্রকাশে ব্যবহৃত হয় তাকে অনন্বয়ী অব্যয় বলে। উচ্ছ্বাস প্রকাশে : মরি মরি! কী সুন্দর প্রভাতের রূপ। যেসব অব্যয় অব্যক্ত রব, শব্দ বা ধ্বনির অনুকরণে গঠিত হয়, সেগুলোকে অনুকার অব্যয় বলে। যেমন- নূপুরের আওয়াজ – রুম ঝুম, বাতাসের গতি – শন শন।

ক. ইচ্ছাময়
খ. ঐচ্ছিক
গ. ইচ্ছুক
ঘ. অনিচ্ছা
উত্তরঃ ঐচ্ছিক
ব্যাখ্যাঃ

‘ইচ্ছা’ বিশেষ্যের বিশেষণ হলো ঐচ্ছিক

ক. সে বই পড়ছে
খ. সে গভীর চিন্তায় মগ্ন
গ. সে ঘুমিয়ে আছে
ঘ. সে যে চাল চেলেছে তাতে তাকে ষড়যন্ত্রকারী ছাড়া আর কিছু বলা যায় না
উত্তরঃ সে যে চাল চেলেছে তাতে তাকে ষড়যন্ত্রকারী ছাড়া আর কিছু বলা যায় না
ব্যাখ্যাঃ

বাক্যের ক্রিয়া ও কর্ম যদি একই ধাতু থেকে উৎপন্ন হয় তবে সেই বাক্যের কর্মকে সমধাতুজ কর্ম বলে। এই বাক্যে ‘চাল’ কর্ম এবং চেলেছে ‘ক্রিয়াপদ’ একই ধাতু থেকে উৎপন্ন হয়েছে।

ক. সমাজ
খ. পানি
গ. মিছিল
ঘ. নদী
উত্তরঃ নদী
ব্যাখ্যাঃ

নদী- জাতিবাচক বিশেষ্য; সমাজ, মিছিল- সমষ্টিবাচক বিশেষ্য; পানি- বস্তুবাচক বিশেষ্য।

ক. ধন অপেক্ষা মান বড়
খ. তোমাকে দিয়ে কিছু হবে না
গ. ঢং ঢং ঘণ্টা বাজে
ঘ. লেখাপড়া কর, নতুবা ফেল করবে
উত্তরঃ লেখাপড়া কর, নতুবা ফেল করবে
ব্যাখ্যাঃ

ধন অপেক্ষা মান বড় (অনুসর্গ অব্যয়)। তোমাকে দিয়ে কিছু হবে না (অনুসর্গ অব্যয়)। ঢং ঢং ঘণ্টা বাজে (অনুকার অব্যয়)। লেখা পড়া কর, নতুবা ফেল করবে (সমুচ্চয়ী অব্যয়)। যে অব্যয় পদ একটি বাক্যের অথবা বাক্যস্থিত একটি পদের সাথে অন্য একটি পদের সংযোজন, বিয়োজন বা সংকোচন ঘটায়, তাকে সমুচ্চয়ী অব্যয় বলে। যেমন: লেখাপড়া কর, নতুবা ফেল করবে।

ক. আমি ভাত খাচ্ছি
খ. আমি ভাত খেয়ে স্কুলে যাব
গ. আমি দুপুরে ভাত খাই
ঘ. তাড়াতাড়ি ভাত খেয়ে ওঠ
উত্তরঃ আমি ভাত খাচ্ছি
ব্যাখ্যাঃ

ক ও গ তে খাচ্ছি ও খাই ক্রিয়াপদ দিয়ে বাক্যের অর্থের পরিসমাপ্তি ঘটেছে, তাই এরা সমাপিকা ক্রিয়া।

ক. মধাম
খ. প্রথম
গ. সবগুলো
ঘ. উত্তম
উত্তরঃ প্রথম
ব্যাখ্যাঃ

সারাংশ প্রথম পুরুষে লিখতে হয়।

সারাংশে লেখকের ব্যক্তিগত মতামত বা অভিজ্ঞতা অন্তর্ভুক্ত করা উচিত নয়। এটি মূল রচনার ভাব বজায় রেখে তৃতীয় ব্যক্তির দৃষ্টিকোণ থেকে লেখা হয়।

ক. ক্রিয়া বিশেষণ
খ. বিশেষণের বিশেষণ
গ. নাম বিশেষণ
ঘ. বিশেষ্যের বিশেষণ
উত্তরঃ ক্রিয়া বিশেষণ
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো ক্রিয়া বিশেষণ

এখানে 'সভয়ে' পদটি 'বলল' ক্রিয়াপদটিকে বিশেষিত করছে। লোকটি কীভাবে বলল? - সভয়ে বলল। যে পদ ক্রিয়াকে বিশেষিত করে, তাকে ক্রিয়া বিশেষণ বলে।

অন্যান্য বিকল্পগুলো কেন সঠিক নয়:

  • নাম বিশেষণ: যে বিশেষণ কোনো বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের বৈশিষ্ট্য বা ধর্ম প্রকাশ করে, তাকে নাম বিশেষণ বলে। এখানে 'সভয়ে' কোনো বিশেষ্য বা সর্বনামকে বিশেষিত করছে না।
  • বিশেষণের বিশেষণ: যে বিশেষণ অন্য কোনো বিশেষণের বৈশিষ্ট্য বা তীব্রতা প্রকাশ করে, তাকে বিশেষণের বিশেষণ বলে। এখানে 'সভয়ে' কোনো বিশেষণকে বিশেষিত করছে না।
  • বিশেষ্যের বিশেষণ: এটি 'নাম বিশেষণ'-এর আরেকটি নাম।
ক. সমষ্টিবাচকজ বিশেষ্য
খ. নির্ধারক বিশেষণ
গ. সাপেক্ষ সর্বনাম
ঘ. অনুকার অব্যয়
উত্তরঃ নির্ধারক বিশেষণ
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো নির্ধারক বিশেষণ

এই বাক্যে "রাশি রাশি" ধান-এর পরিমাণ বা সংখ্যা নির্দেশ করছে। যে বিশেষণ বিশেষ্যের সংখ্যা, পরিমাণ, বা ধারণা নির্দিষ্ট করে তোলে, তাকে নির্ধারক বিশেষণ বলে। এখানে "রাশি রাশি" ধান-এর অনির্দিষ্ট কিন্তু প্রচুর পরিমাণ বোঝাচ্ছে।

অন্যান্য বিকল্পগুলো কেন সঠিক নয়:

  • কঃ সমষ্টিবাচক বিশেষ্য: এটি কতগুলো জিনিসের সমষ্টি বোঝায় (যেমন - ঝাঁক, দল)। "রাশি রাশি" বিশেষ্য পদ নয়, এটি ধানের পরিমাণ বোঝাচ্ছে।
  • গঃ সাপেক্ষ সর্বনাম: যে সর্বনাম অন্য কোনো সর্বনামের ওপর নির্ভরশীল (যেমন - যেমন কর্ম তেমন ফল)। "রাশি রাশি" সর্বনাম পদ নয়।
  • ঘঃ অনুকার অব্যয়: কোনো ধ্বনির অনুকরণে তৈরি অব্যয় (যেমন - ঝম ঝম, পট পট)। "রাশি রাশি" কোনো ধ্বনির অনুকরণ নয়।

প্রশ্নঃ ‘তাজা মাছ’ কোন বিশেষণ?

[ প্রা.বি.স.শি. (৩য় ধাপ) 03-06-2022 ]

ক. রুপবাচক
খ. অংশবাচক
গ. অবস্থাবাচক
ঘ. গুণবাচক
উত্তরঃ অবস্থাবাচক
ব্যাখ্যাঃ

'তাজা মাছ'-এ 'তাজা' কোন ধরনের বিশেষণ? সঠিক উত্তর অবস্থাবাচক

তাজা মাছ এখানে তাজা শব্দটি মাছের অবস্থানকে বুঝিয়েছে। মাছটি কি অবস্থায় আছে তা এখানে তাজাকে বোঝায়

ক. সমুচ্চয়ী
খ. অনুসর্গ
গ. অনস্বয়ী
ঘ. অনুকার
উত্তরঃ অনুকার
ব্যাখ্যাঃ

এখানে 'কল কল' হলো ধ্বন্যাত্মক অব্যয়।

যে সকল অব্যয় কোনো শব্দ বা ধ্বনির অনুকরণে গঠিত হয় তাদেরকে ধ্বন্যাত্মক বা অনুকার অব্যয় বলে। যেমন:
1. ঝিরঝির (বৃষ্টি পড়ার শব্দ)
2. কলকল (নদীর স্রোতের শব্দ)
3. ঝমঝম (বৃষ্টির শব্দ)
4. শোঁ শোঁ (বাতাসের শব্দ)
5. কুহু কুহু (কোকিলের ডাক)

ক. প্রযোজ্য
খ. অসমাপিকা
গ. প্রাযোজক
ঘ. সমাপিকা
উত্তরঃ অসমাপিকা
ব্যাখ্যাঃ

"সূর্য উঠলে আঁধার দূরীভূত হয়" - এই বাক্যে "উঠলে" অসমাপিকা ক্রিয়াপদ।

অসমাপিকা ক্রিয়া: যে ক্রিয়া দ্বারা বাক্যের পরিসমাপ্তি ঘটে না, বক্তার কথা অসম্পূর্ণ থেকে যায়, তাকে অসমাপিকা ক্রিয়া বলে। এখানে "উঠলে" শব্দটি দ্বারা বাক্যটি সম্পূর্ণ হচ্ছে না, আরও কিছু শোনার আকাঙ্ক্ষা থেকে যাচ্ছে। তাই এটি অসমাপিকা ক্রিয়া।

ক. এশ্বরিক
খ. বিশ্বজনীন
গ. বিশজন
ঘ. সর্বজনীন
উত্তরঃ সর্বজনীন
ব্যাখ্যাঃ

"সর্বজন" এর বিশেষণ হলো "সর্বজনীন"।

"সর্বজন" শব্দের অর্থ হলো সকল মানুষ বা সাধারণ মানুষ। আর "সর্বজনীন" শব্দের অর্থ হলো যা সকলের জন্য প্রযোজ্য বা যা সকলের মধ্যে বিদ্যমান।

ক. অনুকার অব্যয়
খ. সংকোচক অব্যয়
গ. সংযোজক অব্যয়
ঘ. অনন্বয়ী অব্যয়
উত্তরঃ সংকোচক অব্যয়
ব্যাখ্যাঃ

‘লোকটি দরিদ্র কিন্তু সৎ’ - এ বাক্যে কিন্তু অব্যয়টি দুটি বাক্যের মধ্যে ভাবের সংকোচক সাধন করেছে। কিন্তু, বরং, অথচ শব্দগুলো সংকোচক অব্যয়।
- তিনি বিদ্বান, অথচ সৎ ব্যক্তি নন। বাক্যে ‘অথচ’ সংকোচক অব্যয়।

ক. বিশেষ্য
খ. বিশেষণ
গ. সর্বনাম
ঘ. অব্যয়
উত্তরঃ বিশেষ্য
ব্যাখ্যাঃ

এখানে 'সুন্দর' একটি বিশেষ্য

ক. আনন্দ
খ. আশা
গ. আবেগ
ঘ. আনুগত্য
উত্তরঃ আনন্দ
ব্যাখ্যাঃ

"আ মরি বাংলা ভাষা"-এ "আ" দ্বারা বিস্ময় বা আনন্দ প্রকাশ করা হয়েছে।

এই ধরনের আবেগ প্রকাশক অব্যয়কে বিস্ময়সূচক অব্যয় বা আনন্দসূচক অব্যয় বলা হয়। এখানে বক্তা বাংলা ভাষার সৌন্দর্য ও মাধুর্যে মুগ্ধ হয়ে বিস্ময় ও আনন্দ মিশ্রিত আবেগ প্রকাশ করছেন।

ক. বিশেষ্য
খ. বিশেষণ
গ. বিশেষ্যের বিশেষণ
ঘ. ক্রিয়া বিশেষণ
উত্তরঃ বিশেষণ
ব্যাখ্যাঃ

"'মেঘলা'" শব্দটি একটি বিশেষণ

এটি একটি গুণবাচক বিশেষণ, যা বিশেষ্য পদের (যেমন - আকাশ, দিন, আবহাওয়া) অবস্থা বা গুণ বর্ণনা করে। "মেঘলা" দ্বারা বোঝানো হয় যে আকাশে মেঘ আছে বা আকাশ মেঘে ঢাকা।

উদাহরণ:
মেঘলা আকাশ (কেমন আকাশ? - মেঘলা)
⇒ আজ মেঘলা দিন। (কেমন দিন? - মেঘলা)
⇒ আমার মেঘলা আবহাওয়া ভালো লাগে। (কেমন আবহাওয়া? - মেঘলা)

ক. ব্যতিহারিক
খ. সাকুল্যবাচক
গ. অস্তিবাচক
ঘ. ব্যক্তিবাচক
উত্তরঃ ব্যক্তিবাচক
ব্যাখ্যাঃ

'আমি' এবং 'আমার' হলো ব্যক্তিবাচক সর্বনাম পদ

এগুলো বক্তা বা উত্তম পুরুষকে নির্দেশ করে।

প্রশ্নঃ 'চন্দ্র' এর বিশেষণ রূপ কোনটি?

[ 18th ntrca (স্কুল পর্যায়) (15-03-2024) ]

ক. চান্দ্র
খ. চাঁদ
গ. চন্দ্রা
ঘ. চান্দ্রা
উত্তরঃ চান্দ্র
ব্যাখ্যাঃ
  • চন্দ্র একটি বিশেষ্য পদ, যার বিশেষণ রূপ হলো চান্দ্র। যেমন: চান্দ্র মাস।
  • চন্দ্র একটি তৎসম শব্দ, যার তদ্ভব রূপ হলো চাঁদ
ক. বাক্যের গঠন প্রক্রিয়ায়
খ. ক্রিয়া ও সর্বনাম পদের রূপগত ভিন্নতায়
গ. শব্দের কথ্য ও লেখ্য রূপের ভিন্নতায়
ঘ. ভাষার জটিলতা ও প্রাঞ্জলতায়
উত্তরঃ ক্রিয়া ও সর্বনাম পদের রূপগত ভিন্নতায়
ব্যাখ্যাঃ

সাধু ও চলিত ভাষার প্রধান পার্থক্য হলো ক্রিয়াপদ ও সর্বনাম পদের রূপগত ভিন্নতা

প্রধান পার্থক্যসমূহ:

১. ক্রিয়াপদ: সাধু ভাষায় ক্রিয়াপদের রূপ পূর্ণাঙ্গ ও দীর্ঘ হয়, অন্যদিকে চলিত ভাষায় তা সংক্ষিপ্ত ও সহজ।

  • সাধু: করিতেছি, করিয়াছি, খাইয়াছিল।
  • চলিত: করছি, করেছি, খেয়েছিল।

২. সর্বনাম পদ: সাধু ভাষায় সর্বনাম পদ পূর্ণাঙ্গ রূপে ব্যবহৃত হয়, কিন্তু চলিত ভাষায় তা সংক্ষিপ্ত হয়।

  • সাধু: তাহারা, তাহাদের, ইহাদিগকে।
  • চলিত: তারা, তাদের, এদেরকে।

৩. গঠন ও বিন্যাস: সাধু ভাষা গুরুগম্ভীর, সুশৃঙ্খল এবং ব্যাকরণের প্রাচীন নিয়ম মেনে চলে। চলিত ভাষা পরিবর্তনশীল, হালকা এবং মুখের ভাষার কাছাকাছি।

৪. ব্যবহার: সাধু ভাষা সাধারণত লিখিত সাহিত্য, দলিল, এবং আইনি নথিপত্রে ব্যবহৃত হয়। চলিত ভাষা নাটক, আলাপ-আলোচনা, এবং আধুনিক সাহিত্যের প্রধান মাধ্যম।

সংক্ষেপে, সাধু ও চলিত ভাষার মধ্যে সবচেয়ে বড় পার্থক্য হলো এদের রূপতাত্ত্বিক (morphological) ভিন্নতা, বিশেষ করে ক্রিয়াপদ ও সর্বনাম পদে।