আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
15

প্রশ্নঃ জাতিসংঘ সমুদ্র আইন কত সালে স্বাক্ষরিত হয়েছিল?

[ বিসিএস ৪০তম ]

ক. ১৯৭৯ সালে
খ. ১৯৮২ সালে
গ. ১৯৮৩ সালে
ঘ. ১৯৯৮ সালে
উত্তরঃ ১৯৮২ সালে
ব্যাখ্যাঃ

জাতিসংঘ সমুদ্র আইন হলো জাতিসংঘ সমুদ্র আইন বিষয়ক কনভেনশন (United Nations Convention on the Law of the Sea - UNCLOS)। এটিকে "সমুদ্রের সংবিধান" নামেও অভিহিত করা হয়। এই আন্তর্জাতিক চুক্তিটি সমুদ্র এবং এর সম্পদ ব্যবহারের জন্য একটি আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠা করে। ১৯৭৩ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ আলোচনার পর ১৯৮২ সালের ১০ ডিসেম্বর জামাইকার মন্টেগো বে-তে এটি স্বাক্ষরিত হয় এবং ১৯৯৪ সালের ১৬ নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়।

জাতিসংঘ সমুদ্র আইনের মূল বিষয়গুলো হলো:

  • সমুদ্র অঞ্চলের সীমা নির্ধারণ: এই কনভেনশনে বিভিন্ন সমুদ্র অঞ্চলের সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে, যেমন - অভ্যন্তরীণ জলসীমা, আঞ্চলিক সমুদ্রসীমা (Territorial Sea - উপকূল থেকে ১২ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত), সন্নিহিত অঞ্চল (Contiguous Zone - উপকূল থেকে ২৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত), এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন (Exclusive Economic Zone - EEZ - উপকূল থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত), মহীসোপান (Continental Shelf) এবং উন্মুক্ত সমুদ্র (High Seas)।
  • রাষ্ট্রের অধিকার ও দায়িত্ব: প্রতিটি সমুদ্র অঞ্চলে উপকূলীয় রাষ্ট্র এবং অন্যান্য রাষ্ট্রের কী কী অধিকার ও দায়িত্ব থাকবে তা এই আইনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন - আঞ্চলিক সমুদ্রসীমায় উপকূলীয় রাষ্ট্রের সার্বভৌম অধিকার থাকলেও বিদেশি জাহাজকে "নির্দোষ উত্তরণ"-এর অধিকার দেওয়া হয়েছে। EEZ-এ উপকূলীয় রাষ্ট্র জীব ও অজীব সম্পদের উপর একচ্ছত্র অধিকার ভোগ করে, তবে অন্যান্য রাষ্ট্র সেখানে জাহাজ চলাচল, বিমান চলাচল এবং সাবমেরিন কেবল ও পাইপলাইন স্থাপনের স্বাধীনতা ভোগ করে।
  • সমুদ্র সম্পদের ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ: এই আইন সমুদ্রের জীবন্ত ও অজীব সম্পদের টেকসই ব্যবহার এবং পরিবেশ রক্ষার জন্য নীতিমালা নির্ধারণ করে।
  • সমুদ্র বিজ্ঞান গবেষণা: সমুদ্র বিজ্ঞান গবেষণার অধিকার এবং এর পরিচালনার জন্য নিয়মকানুন উল্লেখ করা হয়েছে।
  • বিরোধ নিষ্পত্তি: সমুদ্র আইন সংক্রান্ত যেকোনো বিরোধ শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধানের জন্য বিভিন্ন প্রক্রিয়া নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশও এই কনভেনশনের একটি পক্ষ এবং সমুদ্র আইন অনুযায়ী বঙ্গোপসাগরে তার সমুদ্রসীমা ও অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।