প্রশ্নঃ শিশুর ভাষা শিক্ষার প্রথম মাধ্যম কে?
[ প্রা.বি.স.শি. (৩য় ধাপ) 03-06-2022 ]
শিশুর ভাষা শিক্ষার প্রথম এবং প্রধান মাধ্যম হলো মা।
ব্যাখ্যা:
- শিশুর ভাষা শিক্ষা শুরু হয় পরিবার থেকে, এবং মা-ই সাধারণত শিশুর প্রথম এবং নিকটতম সঙ্গী।
- মা শিশুর সাথে সবচেয়ে বেশি কথা বলেন এবং শিশু তার কাছ থেকে প্রথম শব্দ ও বাক্য শেখে।
- গবেষণায়ও দেখা গেছে যে, শিশুর ভাষা বিকাশে মায়ের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সুতরাং, সঠিক উত্তর: ঘ) মা।
Related MCQ
বাংলা ভাষায় যে স্বরধ্বনিগুলো উচ্চারণকালে জিহ্বা উচ্চ অবস্থানে থাকে সেগুলো হলো:
- ই (যেমন: চিনি, দিন) - এক্ষেত্রে জিহ্বার অগ্রভাগ তালুর কাছাকাছি উঁচু অবস্থানে থাকে।
- ঈ (যেমন: ঈদ, দীর্ঘ) - 'ই'-এর মতোই তবে কিছুটা দীর্ঘায়িত উচ্চারণ হয় এবং জিহ্বা সামান্য বেশি উঁচু অবস্থানে থাকতে পারে।
- উ (যেমন: কুল, ভুল) - এক্ষেত্রে জিহ্বার পশ্চাৎভাগ তালুর দিকে উঁচু অবস্থানে থাকে এবং ঠোঁট গোলাকার হয়।
- ঊ (যেমন: ঊষা, ঊর্ধ্বে) - 'উ'-এর মতোই তবে কিছুটা দীর্ঘায়িত উচ্চারণ হয় এবং জিহ্বা সামান্য বেশি উঁচু অবস্থানে থাকতে পারে।
সুতরাং, ই, ঈ, উ, ঊ এই চারটি স্বরধ্বনি উচ্চারণকালে জিহ্বা উচ্চ অবস্থানে থাকে।
প্রশ্নঃ ‘ভাষা চিন্তার শুধু বাহনই নয়, চিন্তার প্রসূতিও।’ মন্তব্যটি কোন ভাষা-চিন্তকের?
[ বিসিএস ৪৫তম ]
উক্তিটি বিশিষ্ট ভাষাবিদ সুকুমার সেন-এর। তাঁর ভাষাতাত্ত্বিক গ্রন্থ ‘ভাষার ইতিবৃত্ত’-এ ভাষার উৎপত্তি ও বিকাশ সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি লেখেন— “ভাষা চিন্তার শুধু বাহনই নয়, চিন্তার প্রসূতিও।” এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, ভাষা কেবল চিন্তাকে প্রকাশ করে না, বরং ভাষার মাধ্যমেই চিন্তার বিকাশ ঘটে। অর্থাৎ, ভাষা মানুষকে মননশীল করে তোলে এবং মানব সভ্যতার অগ্রগতিতে মুখ্য ভূমিকা রাখে।
প্রশ্নঃ বাগযন্ত্রের অংশ কোনটি?
[ বিসিএস ৪৩তম ]
সঠিক উত্তর হল ঘঃ উপরের সবকটি।
মানুষের কথা বলার জন্য যে অঙ্গগুলো সম্মিলিতভাবে কাজ করে, সেগুলোকে বাগযন্ত্র বলা হয়। এর মধ্যে প্রধান অংশগুলো হলো:
- স্বরযন্ত্র (Larynx): এটি শ্বাসনালীর উপরে অবস্থিত এবং ভোকাল কর্ড ধারণ করে, যা বাতাস প্রবাহের মাধ্যমে কম্পিত হয়ে শব্দ উৎপন্ন করে।
- ফুসফুস (Lungs): ফুসফুস থেকে নির্গত বাতাস স্বরযন্ত্রের ভোকাল কর্ডে কম্পন সৃষ্টি করে ধ্বনি উৎপন্ন করতে সাহায্য করে। এটি বাগযন্ত্রের একটি অপরিহার্য অংশ কারণ এটি শব্দ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় বায়ু সরবরাহ করে।
- দাঁত (Teeth): দাঁত বিভিন্ন ধ্বনি উচ্চারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জিহ্বা ও ঠোঁটের সাথে মিলিত হয়ে এটি বিভিন্ন ব্যঞ্জনবর্ণের স্পষ্ট উচ্চারণে সাহায্য করে।
এছাড়াও, জিহ্বা, ঠোঁট, তালু, আলজিভ, নাক, মুখগহ্বর ইত্যাদিও বাগযন্ত্রের অংশ হিসেবে কাজ করে। তাই, উপরে দেওয়া সবগুলো বিকল্পই বাগযন্ত্রের অংশ।
প্রশ্নঃ কেন্তুমের কোন দুটি শাখা এশিয়ার অন্তর্গত?
[ বিসিএস ৪৩তম ]
সঠিক উত্তর হল হিত্তিক ও তুখারিক।
কেন্তুম ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবারের একটি শাখা। এই শাখার দুটি উপশাখা এশিয়ার অন্তর্গত:
- হিত্তিক: এই ভাষাটি খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় সহস্রাব্দে আনাতোলিয়ায় (বর্তমান তুরস্ক) প্রচলিত ছিল।
- তুখারিক: এই ভাষাটি খ্রিস্টীয় প্রথম সহস্রাব্দে তারিম অববাহিকায় (বর্তমান চীনের জিনজিয়াং প্রদেশ) প্রচলিত ছিল।
উল্লেখ্য, কেন্তুম শাখার অন্যান্য উপশাখাগুলো মূলত ইউরোপে বিকাশ লাভ করেছিল।
প্রশ্নঃ বাংলা আদি অধিবাসীগণ কোন ভাষাভাষী ছিলেন?
[ বিসিএস ৪২তম ]
বাংলা আদি অধিবাসীগণ মূলত অস্ট্রিক ভাষাভাষী ছিলেন।
প্রাচীন বাংলায় বসবাসকারী বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর মধ্যে অস্ট্রিক ভাষাগোষ্ঠীর লোকেরাই প্রথম বসতি স্থাপনকারী বলে মনে করা হয়। এই ভাষাগোষ্ঠীর লোকেরা মূলত অস্ট্রো-এশিয়াটিক ভাষাপরিবারের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন ভাষায় কথা বলত। সাঁওতাল, মুন্ডা, কোল, ভীল প্রভৃতি জনগোষ্ঠীর মধ্যে এখনও এই ভাষার কিছু প্রভাব দেখা যায়।
পরবর্তীতে দ্রাবিড় এবং তিব্বত-বর্মী ভাষাগোষ্ঠীর লোকেরাও বাংলায় আগমন করে এবং তাদের ভাষার প্রভাবও বাংলা ভাষায় মিশে যায়। তবে, ভাষাতাত্ত্বিকদের মতে, বাংলা ভাষার গঠনে অস্ট্রিক ভাষার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি রয়েছে।
প্রশ্নঃ বাঙালী উপভাষা অঞ্চল কোনটি?
[ বিসিএস ৪২তম ]
বাঙালী উপভাষা অঞ্চল বলতে মূলত বৃহত্তর ঢাকা, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, বরিশাল, খুলনা, কুমিল্লা-নোয়াখালী অঞ্চল এবং ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকাকে বোঝায়। ভাষাভাষীর সংখ্যা বিচারে এটি বাংলা ভাষার বৃহত্তম উপভাষা অঞ্চল। এই অঞ্চলের উপভাষাগুলোতে কিছু নিজস্ব ধ্বনিতাত্ত্বিক ও রূপতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য দেখা যায়।
বাঙালী উপভাষার কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য:
- অনেক ক্ষেত্রে 'এ' ধ্বনি 'অ্যা'-এর মতো উচ্চারিত হয় (যেমন: কেন > ক্যান)।
- 'উ' ধ্বনি 'ও'-এর মতো উচ্চারিত হতে পারে (যেমন: মুলা > মোলা)।
- কিছু ক্ষেত্রে 'ও' ধ্বনি 'উ'-এর মতো উচ্চারিত হয় (যেমন: দোষ > দুষ)।
- 'র' ধ্বনি 'ড়' হিসেবে উচ্চারিত হওয়ার প্রবণতা দেখা যায় (যেমন: ঘর > ঘড়)।
- বহুবচনের জন্য 'গুল', 'গুলাইন' ইত্যাদি প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় (যেমন: বাত গুলাইন খাও)।
- গৌণ কর্মে 'রে' বিভক্তি যুক্ত হওয়ার প্রবণতা দেখা যায় (যেমন: আমারে মারে ক্যান)।
- অপিনিহিতির ব্যবহার বেশি দেখা যায় (যেমন: দেখিয়া > দেইখ্যা)।
এই বৈশিষ্ট্যগুলো অঞ্চলভেদে কিছুটা ভিন্ন হতে পারে এবং উপভাষার বিভিন্ন প্রকরণে আলাদা আলাদা রূপ দেখা যায়। ময়মনসিংহীয়, ঢাকাইয়া কুট্টি, বরিশালি, নোয়াখালীয়, খুলনাইয়া ইত্যাদি এই উপভাষার বিভিন্ন আঞ্চলিক রূপ।
অন্যদিকে, রাঢ়ী উপভাষা অঞ্চল মূলত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া (পূর্ব), হুগলী, হাওড়া, কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা, নদীয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলায় বিস্তৃত। এই উপভাষাকে ভিত্তি করেই প্রমিত বাংলা গড়ে উঠেছে।
প্রশ্নঃ বাঙালী জাতির প্রধান অংশ কোন মূল জাতিগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত?
[ বিসিএস ৩৬তম ]
বাঙালী জাতি একটি মিশ্র জাতি। দীর্ঘকাল ধরে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সংমিশ্রণে এই জাতির উদ্ভব হয়েছে। তবে, নৃতাত্ত্বিক গবেষণামতে, অস্ট্রিক জনগোষ্ঠীকেই বাঙালী জাতির প্রধান অংশ বলে মনে করা হয়।
প্রাচীনকালে আর্যপূর্ব জনগোষ্ঠীর চারটি প্রধান শাখা বাংলায় বাস করত: অস্ট্রিক, দ্রাবিড়, নেগ্রিটো ও ভোটচীনীয় (মঙ্গোলীয়)। এদের মধ্যে অস্ট্রিকরাই ছিল বাংলার প্রাচীনতম ও প্রধানতম জনগোষ্ঠী।
প্রশ্নঃ বাংলা (দেশ ও ভাষা) নামের উৎপত্তির বিষয়টি কোন গ্রন্থে সর্বাধিক উল্লেখিত হয়েছে?
[ বিসিএস ৩৬তম ]
বাংলা (দেশ ও ভাষা) নামের উৎপত্তির বিষয়টি আইন-ই-আকবরী গ্রন্থে সর্বাধিক উল্লেখিত হয়েছে।
আইন-ই-আকবরী (Ain-i-Akbari) হলো মুঘল সম্রাট আকবরের সভাসদ আবুল ফজল রচিত 'আকবরনামা' গ্রন্থের তৃতীয় খণ্ড। এই গ্রন্থে মুঘল সাম্রাজ্যের প্রশাসনিক ব্যবস্থা, ভূগোল, অর্থনীতি এবং বিভিন্ন প্রদেশের বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। এর মধ্যে 'বাংলার বিবরণ' অংশে 'বঙ্গ' বা 'বাঙ্গালা' নামের উৎপত্তি সম্পর্কে একটি সুপরিচিত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে যে, এই অঞ্চলের প্রাচীন অধিবাসী 'বঙ্গ' জাতির নাম থেকে 'বঙ্গাল' বা 'বাঙ্গালা' নামের উৎপত্তি হয়েছে। এটিই বাংলার নামের উৎপত্তির বিষয়ে প্রাচীনতম এবং সর্বাধিক উল্লিখিত ঐতিহাসিক সূত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম।
প্রশ্নঃ ভাষার ক্ষুদ্রতম একক কোনটি?
[ বিসিএস ৩২তম ]
প্রশ্নঃ বাংলা ভাষায় ছন্দ প্রধানত কত প্রকার?
[ বিসিএস ৩১তম ]
বাংলা ভাষায় ছন্দকে মাত্রাবৃত্ত, স্বরবৃত্ত ও অক্ষরবৃত্ত এই তিন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়। মাত্রাবৃত্ত ছন্দে যুগ্মধ্বনি সব সময় দুই মাত্রা হিসেবে উচ্চারিত হয়। পঙ্ক্তিতে পর্বগুলো সমান সংখ্যক মাত্রার হয়ে থাকে। স্বরবৃত্ত ছন্দে যুগ্মধ্বনি সব সময় একমাত্রার। অক্ষরবৃত্ত ছন্দে যুগ্মধ্বনি শব্দপ্রান্তিক হলে দু’মাত্রার শব্দের মাঝে বা প্রথমাংশে থাকলে সাধারণত এক মাত্রার ধরা হয়।
প্রশ্নঃ কোন গোষ্ঠী থেকে বাঙালি জাতির প্রধান অংশ গড়ে উঠেছে?
[ বিসিএস ২৮তম ]
বাঙালি একটি সংকর জাতি। বিভিন্ন জাতির সংমিশ্রণে সময়ের পরিক্রমায় বাঙালি জাতির উদ্ভব হয়। এ দেশে অনার্য, আর্য, মঙ্গল, দ্রাবিড়, পর্তুগিজ, ইংরেজ প্রভৃতি জাতির আগমন ঘটে। এ দেশ প্রথমে অনার্য তথা অস্ট্রিক গোষ্ঠীর প্রভাবাধীন ছিল। অস্ট্রিক গোষ্ঠীর আগমনের অন্তত চৌদ্দশ বছর পর বঙ্গদেশে আর্য ও পরে দ্রাবিড় জাতির আগমন ঘটে। আর্যগণ সভ্যতা ও সংস্কৃতিতে অনার্য অপেক্ষা উন্নততর হওয়ায় আর্যদের ভাষা ও সংস্কৃতি কালক্রমে বঙ্গদেশে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। নৃতাত্ত্বিক বিচারে অনার্য ভাষাভাষী কোল, শবর, পুলিন্দ, হাড়ি, ডোম, চণ্ডাল প্রভৃতি বাংলার আদিম অধিবাসী, যারা অস্ট্রিক বা অস্ট্রো-এশিয়াটিক গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। আনুমানিক পাঁচ-ছয় হাজার বছর পূর্বে ইন্দোচীন থেকে আসাম হয়ে এ অস্ট্রিক গোষ্ঠীর বঙ্গদেশে আগমন ঘটে। এরা চাষাবাদ, লোহা-তামা প্রভৃতির ব্যবহার জানতো। কাজেই বাঙালি জাতির প্রধান অংশ গড়ে উঠেছে অস্ট্রিক বা অনার্য গোষ্ঠী থেকে।
প্রশ্নঃ বাংলা ভাষার উদ্ভব হয়েছে নিম্নোক্ত একটি ভাষা থেকে-
[ বিসিএস ১৭তম ]
বাংলা ভাষা ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতকে গৌড়ীয় প্রাকৃত ভাষা থেকে বাংলা ভাষার উদ্ভব । অন্যদিকে ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে, বাংলা ভাষার জন্ম হয়েছে মাগধী প্রাকৃত থেকে। প্রাকৃত বলতে সাধারণ জনগণের মুখের ভাষা বোঝায়।
প্রশ্নঃ সাধু ভাষা ও চলিত ভাষার পার্থক্য–
[ বিসিএস ১৬তম ]
সাধু রীতিতে ব্যবহৃত সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ চলিত রীতিতে পরিবর্তিত ও সহজতর রূপ লাভ করে । যেমন- ভাষা রীতি সর্বনাম বিশেষ্য ক্রিয়া সাধু: তাহারা ভাত খাইতেছিল চলিত: তারা ভাত খাচ্ছিল সাধুরীতি তৎসম শব্দবহুল এবং চলিতরীতি তদ্ভব শব্দবহুল।
প্রশ্নঃ সাধু ভাষা ও চলিত ভাষার পার্থক্য-
[ বিসিএস ১৫তম ]
সাধু রীতিতে ব্যবহৃত সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ চলিত রীতিতে পরিবর্তিত ও সহজতর রূপ লাভ করে।
যেমন:
সাধু ভাষা: তাহারা ভাত খাইতেছিল।
চলিত ভাষা: তারা ভাত খাচ্ছিল।
সাধুরীতি তৎসম শব্দবহুল এবং চলিতরীতি তদ্ভব শব্দবহুল।
প্রশ্নঃ বাংলা ভাষার আদি স্তরের স্থিতিকাল কোনটি?
[ বিসিএস ১৪তম ]
বাংলা ভাষার আদিস্তর ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে, দশম থেকে চতুর্দশ শতাব্দী। ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, সপ্তম থেকে দ্বাদশ শতাব্দী।
প্রশ্নঃ মালদ্বীপের প্রধান ভাষা কোনটি?
[ প্রা.বি.স.শি. 29-03-2024 ]
মালদ্বীপের প্রধান ভাষা হলো ধিভেহী (Dhivehi)। এটি দেশটির সরকারি ও জাতীয় ভাষা। মালদ্বীপের প্রায় ৯৮.৬% মানুষ এই ভাষায় কথা বলে।
ধিভেহী একটি ইন্দো-আর্য ভাষা, যার মূল শ্রীলঙ্কার সিংহলী ভাষার সাথে সম্পর্কিত। তবে সময়ের সাথে সাথে আরবি, ইংরেজি, হিন্দি, ফার্সি, পর্তুগিজ এবং ফরাসি ভাষার প্রভাবও এতে দেখা যায়।
পর্যটন শিল্পের ব্যাপক প্রসারের কারণে মালদ্বীপে ইংরেজিও বহুলভাবে ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে রিসোর্ট এবং পর্যটন এলাকায়। তবে স্থানীয়দের সাথে যোগাযোগের জন্য ধিভেহী জানা থাকলে তা আপনার অভিজ্ঞতা আরও সমৃদ্ধ করবে।
প্রশ্নঃ সাধু রীতি ও চলিতরীতির পার্থক্য কোন পদে বেশি?
[ প্রা.বি.স.শি. 20-05-2022 ]
সাধু রীতি ও চলিত রীতির পার্থক্য সবচেয়ে বেশি দেখা যায় ক্রিয়া ও সর্বনাম পদে।
এর কারণ হলো:
- ক্রিয়াপদ: সাধু ভাষায় ক্রিয়াপদের পূর্ণাঙ্গ রূপ ব্যবহৃত হয় (যেমন: করিয়াছি, গিয়াছি, থাকিবে)। চলিত ভাষায় এই রূপগুলো সংক্ষিপ্ত হয় (যেমন: করেছি, গেছি, থাকবে)।
- সর্বনাম পদ: সাধু ভাষায় সর্বনামের পূর্ণাঙ্গ রূপ ব্যবহৃত হয় (যেমন: তাহারা, ইহাদের, তাহাকে)। চলিত ভাষায় এগুলো সংক্ষিপ্ত ও পরিবর্তিত হয় (যেমন: তারা, এদের, তাকে)।
এছাড়াও, অনুসর্গ এবং কিছু বিশেষ্য ও বিশেষণের ক্ষেত্রেও পার্থক্য দেখা যায়, তবে ক্রিয়া ও সর্বনাম পদে এই পার্থক্য বিশেষভাবে লক্ষণীয়।
প্রশ্নঃ ব্যবহারকারীর সংখ্যা বিবেচনায় বাংলা ভাষা বিশ্বের কততম প্রধান ভাষা?
[ প্রা.বি.স.শি. 22-04-2022 ]
ক্রমিক | ভাষা | মাতৃভাষীর সংখ্যা (কোটি) | বিশ্বে অবস্থান |
---|---|---|---|
১ | ম্যান্ডারিন চীনা | প্রায় ৯৩.৯ | ১ম |
২ | স্প্যানিশ | প্রায় ৪৮.৫ | ২য় |
৩ | ইংরেজি | প্রায় ৩৮.০ | ৩য় |
৪ | হিন্দি | প্রায় ৩৪.৫ | ৪র্থ |
৫ | বাংলা | প্রায় ২৪.২ | ৭ম |
প্রশ্নঃ ভাষার মূল উপকরণ কী?
[ প্রা.বি.স.শি. 31-05-2019 ]
১। ভাষার মূল উপকরণ – বাক্য
২। ভাষার মূল উপাদান – ধ্বনি
৩। ভাষার বৃহত্তম একক – বাক্য
৪। ভাষার ক্ষুদ্রতম একক – ধ্বনি
৫। বাক্যের মৌলিক উপাদান – শব্দ
৬। বাক্যের মূল উপাদান – শব্দ
৭। বাক্যের মূল উপকরণ – শব্দ
৮। বাক্যের ক্ষুদ্রতম একক – শব্দ