আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
16

ক. সেপ্টেম্বর
খ. অক্টোবর
গ. নভেম্বর
ঘ. ডিসেম্বর
ব্যাখ্যাঃ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ১৯৭৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বাংলায় বক্তৃতা দেন।

তিনি ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের ২৯তম সাধারণ অধিবেশনে এই ঐতিহাসিক ভাষণটি দিয়েছিলেন।

ক. রোম
খ. ভিয়েনা
গ. জেনেভা
ঘ. পিটসবার্গ
ব্যাখ্যাঃ

জাতিসংঘ মাদক ও অপরাধ সংক্রান্ত সংস্থা (UNODC) এর প্রধান কার্যালয় অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা শহরে অবস্থিত। বিশেষভাবে, এটি ভিয়েনা ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার (Vienna International Centre) এর মধ্যে, Wagramer Strasse 5, A-1400 Vienna, Austria ঠিকানায় অবস্থিত।

UNODC মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ, অপরাধ প্রতিরোধ, সন্ত্রাসবাদ দমন, দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং আন্তর্জাতিক অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য জাতিসংঘের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা।

ক. সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সােমবার
খ. অক্টোবর মাসের প্রথম মঙ্গলবার
গ. আগস্ট মাসের শেষ সােমবার
ঘ. অক্টোবর মাসের প্রথম সােমবার
ব্যাখ্যাঃ

প্রথাগতভাবে, প্রতি বছর সেপ্টেম্বরের তৃতীয় মঙ্গলবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশন শুরু হয়। এই নিয়ম অনুযায়ী, প্রথম সপ্তাহের সোমবার থেকে গণনা শুরু করে তৃতীয় সপ্তাহের মঙ্গলবার অধিবেশন শুরু হয়।

ক. ১ বছর
খ. ২ বছর
গ. ৪ বছর
ঘ. ৫ বছর
ব্যাখ্যাঃ

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য পদ দুই বছরের জন্য।

প্রতি বছর সাধারণ পরিষদ কর্তৃক পাঁচজন অস্থায়ী সদস্য নির্বাচিত হন, যারা দুই বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করেন। প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং নবনির্বাচিত সদস্যরা জানুয়ারির ১ তারিখ থেকে তাদের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। নিরাপত্তা পরিষদের মোট ১৫ জন সদস্যের মধ্যে ৫ জন স্থায়ী (চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র) এবং ১০ জন অস্থায়ী সদস্য থাকে। অস্থায়ী সদস্যদের আঞ্চলিক প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে নির্বাচন করা হয়।

ক. যুক্তরাষ্ট্র
খ. সুইজারল্যান্ড
গ. বাংলাদেশ
ঘ. ভারত
ব্যাখ্যাঃ

২০২২ সালে বাংলাদেশ জাতিসংঘের শান্তিস্থাপন কমিশনের (Peacebuilding Commission - PBC) সভাপতি নির্বাচিত হয়।

জাতিসংঘের ইতিহাসে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো এই গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হয়েছিল। এর আগে বাংলাদেশ এই কমিশনের সদস্য হিসেবে বিভিন্ন শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে।

ক. UNCLOS
খ. UNCTAD
গ. UNCAC
ঘ. CEDAW
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল গঃ UNCAC

UNCAC এর পূর্ণরূপ হল United Nations Convention against Corruption। এটি জাতিসংঘের দুর্নীতিবিরোধী কনভেনশন নামে পরিচিত।

অন্যান্য বিকল্পগুলোর পূর্ণরূপ হলো:

  • UNCLOS: United Nations Convention on the Law of the Sea (জাতিসংঘ সমুদ্র আইন কনভেনশন)
  • UNCTAD: United Nations Conference on Trade and Development (জাতিসংঘ বাণিজ্য ও উন্নয়ন সম্মেলন)
  • CEDAW: Convention on the Elimination of All Forms of Discrimination against Women (নারী সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ সনদ)
ক. UNIMOG
খ. UNIIMOG
গ. UNGOMAP
ঘ. UNICEF
ব্যাখ্যাঃ

ইরান-ইরাক যুদ্ধবিরতির তদারকির কাজে নিয়োজিত জাতিসংঘের বাহিনী ইউনাইটেড নেশনস ইরান-ইরাক মিলিটারি অবজারভার গ্রুপ (UNIIMOG) নামে পরিচিত ছিল। এই বাহিনী ১৯৮৮ সালের আগস্ট মাস থেকে ১৯৯১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ইরান ও ইরাকের সীমান্ত এলাকায় মোতায়েন ছিল এবং যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ করার দায়িত্ব পালন করত।

ক. আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরাম (ARF)
খ. আঞ্চলিক শ্রম সংস্থা (ILO)
গ. আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (IFAD)
ঘ. খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO)
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল কঃ আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরাম (ARF)

আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরাম (ASEAN Regional Forum - ARF) আসিয়ান জোটভুক্ত দেশ এবং এর সংলাপ অংশীদারদের নিয়ে গঠিত একটি আঞ্চলিক নিরাপত্তা ফোরাম। এটি জাতিসংঘের কোনো সংস্থা নয়।

অন্যদিকে:

  • আঞ্চলিক শ্রম সংস্থা (ILO) - এটি হবে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (International Labour Organization - ILO), যা জাতিসংঘের একটি বিশেষায়িত সংস্থা।
  • আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (IFAD) - এটি জাতিসংঘের একটি বিশেষায়িত সংস্থা।
  • খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO) - এটি জাতিসংঘের একটি বিশেষায়িত সংস্থা।
ক. ১১
খ. ১৫
গ. ১৭
ঘ. ২১
ব্যাখ্যাঃ

জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য ১৭টি। এই লক্ষ্যগুলো ২০৩০ সালের মধ্যে অর্জন করার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে, যা "টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০" (Sustainable Development Goals 2030) নামে পরিচিত।

জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়নের ১৭টি লক্ষ্য হলো:

১. দারিদ্র্য বিলোপ (No Poverty) ২. ক্ষুধা মুক্তি (Zero Hunger) ৩. সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ (Good Health and Well-being) ৪. গুণগত শিক্ষা (Quality Education) ৫. লিঙ্গ সমতা (Gender Equality) ৬. পরিষ্কার জল ও স্যানিটেশন (Clean Water and Sanitation) ৭. সাশ্রয়ী ও পরিচ্ছন্ন জ্বালানি (Affordable and Clean Energy) ৮. Decent work and economic growth ৯. শিল্প, উদ্ভাবন ও অবকাঠামো (Industry, Innovation and Infrastructure) ১০. অসমতা হ্রাস (Reduced Inequalities) ১১. টেকসই শহর ও সম্প্রদায় (Sustainable Cities and Communities) ১২. দায়িত্বশীল ভোগ ও উৎপাদন (Responsible Consumption and Production) ১৩. জলবায়ু কার্যক্রম (Climate Action) ১৪. জলের নিচের জীবন (Life Below Water) ১৫. ভূমির জীবন (Life on Land) ১৬. শান্তি, ন্যায়বিচার ও শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান (Peace, Justice and Strong Institutions) ১৭. লক্ষ্যের জন্য অংশীদারিত্ব (Partnerships for the Goals)

প্রশ্নঃ Sustainable Development Goal?

[ বিসিএস ৪২তম ]

ক. ১৩টি
খ. ১৫টি
গ. ১৭টি
ঘ. ৩১টি
ব্যাখ্যাঃ

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (Sustainable Development Goals - SDGs), যা বিশ্বব্যাপী লক্ষ্য নামেও পরিচিত, হলো জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রসমূহ কর্তৃক ২০৩০ সালের মধ্যে অর্জনের জন্য গৃহীত ১৭টি আন্তঃসংযুক্ত লক্ষ্যমাত্রা। ২০১৫ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এই লক্ষ্যগুলো গৃহীত হয়। এই লক্ষ্যগুলোর মূল উদ্দেশ্য হলো দারিদ্র্য নির্মূল করা, পৃথিবীর সুরক্ষা করা এবং সকলের জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যগুলো একটি সার্বজনীন আহ্বান যা বিশ্বের সকল দেশ এবং অংশীদারদের প্রতি দারিদ্র্য এবং অন্যান্য বঞ্চনা অবসানের জন্য পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করে। এগুলো স্বাস্থ্য, শিক্ষা, লিঙ্গ সমতা, জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ, অর্থনীতি এবং আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করে।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যগুলো হলো:

  1. দারিদ্র্য বিলোপ (No Poverty)
  2. ক্ষুধামুক্তি (Zero Hunger)
  3. সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ (Good Health and Well-being)
  4. গুণগত শিক্ষা (Quality Education)
  5. লিঙ্গ সমতা (Gender Equality)
  6. পরিষ্কার জল ও স্যানিটেশন (Clean Water and Sanitation)
  7. সাশ্রয়ী ও পরিচ্ছন্ন জ্বালানি (Affordable and Clean Energy)
  8. মর্যাদাপূর্ণ কাজ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি (Decent Work and Economic Growth)
  9. শিল্প, উদ্ভাবন ও অবকাঠামো (Industry, Innovation and Infrastructure)
  10. বৈষম্য হ্রাস (Reduced Inequalities)
  11. টেকসই শহর ও সম্প্রদায় (Sustainable Cities and Communities)
  12. দায়িত্বশীল ভোগ ও উৎপাদন (Responsible Consumption and Production)
  13. জলবায়ু কার্যক্রম (Climate Action)
  14. জলজ জীবন (Life Below Water)
  15. স্থলজ জীবন (Life on Land)
  16. শান্তি, ন্যায়বিচার ও শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান (Peace, Justice and Strong Institutions)
  17. লক্ষ্যের জন্য অংশীদারিত্ব (Partnerships for the Goals)

এই লক্ষ্যগুলো একে অপরের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত এবং একটি লক্ষ্য অর্জনে অগ্রগতি অন্য লক্ষ্যগুলো অর্জনেও সহায়ক হতে পারে। ২০৩০ সালের মধ্যে একটি টেকসই বিশ্ব গড়ে তোলার জন্য এই লক্ষ্যগুলো বাস্তবায়নে সকল স্তরের অংশীদারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অত্যন্ত জরুরি।

ক. রুজভেল্ট
খ. স্টালিন
গ. চার্চিল
ঘ. দ্যা গল
ব্যাখ্যাঃ

জাতিসংঘ নামটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ফ্রাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্ট নামকরণ করেছিলেন।

তিনি প্রথম ১ জানুয়ারী, ১৯৪২ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই শব্দটি ব্যবহার করেন, যখন ২৬টি মিত্র দেশ "জাতিসংঘের ঘোষণা" স্বাক্ষর করে এবং অক্ষশক্তির বিরুদ্ধে তাদের যৌথ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করে।

ক. ১৪৬ তম সদস্য
খ. ১৩৬ তম সদস্য
গ. ১২৬ তম সদস্য
ঘ. ১১৬ তম সদস্য
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ১৩৬তম সদস্য হিসেবে জাতিসংঘের অন্তর্ভুক্ত হয়। এর পর থেকে বাংলাদেশ জাতিসংঘের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে আসছে এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

জাতিসংঘের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অবদান হলো:

  • শান্তিরক্ষা কার্যক্রম: বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। ১৯৮৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশের সশস্ত্র ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা ৪০টির বেশি দেশে ৬৩টি জাতিসংঘ শান্তি মিশনে অংশগ্রহণ করেছেন। বর্তমানেও বাংলাদেশ বিভিন্ন মিশনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
  • সাধারণ পরিষদে অংশগ্রহণ ও বক্তব্য: বাংলাদেশ নিয়মিতভাবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশগ্রহণ করে এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে নিজেদের মতামত ও নীতি তুলে ধরে। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রথম বাংলায় ভাষণ দেন।
  • টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG) বাস্তবায়ন: বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনের জন্য জাতিসংঘের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করছে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
  • জলবায়ু পরিবর্তন: বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম এবং এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক আলোচনা ও নীতি নির্ধারণে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।
  • মানবাধিকার: বাংলাদেশ মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে বিভিন্ন সময় সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে।
  • নারী অধিকার: বাংলাদেশ নারী অধিকারের উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে এ বিষয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছে।
  • দারিদ্র্য বিমোচন: বাংলাদেশ দারিদ্র্য বিমোচনে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে এবং এ বিষয়ে অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের সাথে অভিজ্ঞতা বিনিময় করে।
  • বিভিন্ন সংস্থায় অংশগ্রহণ: বাংলাদেশ জাতিসংঘের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা ও কমিটিতে সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে এবং সক্রিয়ভাবে অবদান রাখছে।

জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা বাংলাদেশে দারিদ্র্য বিমোচন, সুশাসন, জলবায়ু পরিবর্তন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং অন্যান্য উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা প্রদান করে আসছে। বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের মধ্যে একটি শক্তিশালী ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান।

ক. ১৯৪৮
খ. ১৯৫৬
গ. ১৯৪৫
ঘ. ২০০০
ব্যাখ্যাঃ

জাতিসংঘ ১৯৪৮ সালের ১০ই ডিসেম্বর মানবাধিকার সংক্রান্ত বৈশ্বিক ঘোষণার ঐতিহাসিক নথিটি গ্রহণ করে। এই দিনটিকে মানবাধিকার দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

ক. ১৫
খ. ১৭
গ. ২১
ঘ. ২৭
ব্যাখ্যাঃ

টেকসই উন্নয়ন সংক্রান্ত ২০৩০ এজেন্ডাতে ১৭টি লক্ষ্য (Sustainable Development Goals - SDGs) রয়েছে। এই লক্ষ্যগুলো বিশ্বজুড়ে শান্তি ও সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে।

টেকসই উন্নয়ন সংক্রান্ত ২০৩০ এজেন্ডাতে যে ১৭টি লক্ষ্য রয়েছে সেগুলো হলো:

  1. দারিদ্র্য বিলোপ (No Poverty)
  2. ক্ষুধা মুক্তি (Zero Hunger)
  3. সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ (Good Health and Well-being)
  4. গুণগত শিক্ষা (Quality Education)
  5. লিঙ্গ সমতা (Gender Equality)
  6. পরিষ্কার জল ও স্যানিটেশন (Clean Water and Sanitation)
  7. সাশ্রয়ী ও দূষণমুক্ত জ্বালানি (Affordable and Clean Energy)
  8. Decent কাজ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি (Decent Work and Economic Growth)
  9. শিল্প, উদ্ভাবন ও অবকাঠামো (Industry, Innovation and Infrastructure)
  10. অসমতা হ্রাস (Reduced Inequalities)
  11. টেকসই নগর ও জনবসতি (Sustainable Cities and Communities)
  12. দায়িত্বশীল ভোগ ও উৎপাদন (Responsible Consumption and Production)
  13. জলবায়ু কার্যক্রম (Climate Action)
  14. জলের নিচের জীবন (Life Below Water)
  15. ভূমির জীবন (Life on Land)
  16. শান্তি, ন্যায়বিচার ও শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান (Peace, Justice and Strong Institutions)
  17. লক্ষ্যের জন্য অংশীদারিত্ব (Partnerships for the Goals)
ক. নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র
খ. পাঁচটি পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র
গ. পাঁচটি জাতিসংঘ সংস্থা
ঘ. উপরের কোনোটিই নয়
ব্যাখ্যাঃ

জাতিসংঘ বিষয়ক আলোচনায় পি৫ (P5) বলতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্য রাষ্ট্রকে বোঝানো হয়। এই পাঁচটি রাষ্ট্র হলো:

১. চীন (China) ২. ফ্রান্স (France) ৩. রাশিয়া (Russia) (সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের স্থলাভিষিক্ত) ৪. যুক্তরাজ্য (United Kingdom) ৫. যুক্তরাষ্ট্র (United States)

জাতিসংঘের সনদ অনুযায়ী, এই পাঁচটি রাষ্ট্রের নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। এর মানে হলো, এই পাঁচটি রাষ্ট্রের যেকোনো একটি যদি কোনো প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়, তবে সেই প্রস্তাবটি নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত হবে না, এমনকি যদি অন্য ১৪টি সদস্য রাষ্ট্র পক্ষে ভোট দেয় তবুও।

পি৫ রাষ্ট্রগুলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয়ী শক্তি ছিল এবং বিশ্ব শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় তাদের বিশেষ ভূমিকা ও ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদের যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে এই পাঁচটি রাষ্ট্রের সম্মতি অপরিহার্য।

ক. ৫০
খ. ৫১
গ. ৪৮
ঘ. ৪৯
ব্যাখ্যাঃ

জাতিসংঘ (United Nations - UN) একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা যা আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা, জাতিদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং আন্তর্জাতিক সমস্যা সমাধানে সহযোগিতা করার লক্ষ্যে গঠিত হয়েছিল।

প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট: প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর প্রতিষ্ঠিত লীগ অফ নেশনস (League of Nations) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ প্রতিরোধে ব্যর্থ হওয়ার পর, বিশ্ব নেতৃবৃন্দ একটি শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা এবং এর ধ্বংসযজ্ঞ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শান্তি ও সহযোগিতার একটি নতুন কাঠামো তৈরির জন্য উৎসাহিত করে।

প্রতিষ্ঠার তারিখ: জাতিসংঘ আনুষ্ঠানিকভাবে ২৪ অক্টোবর, ১৯৪৫ তারিখে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই দিন জাতিসংঘ সনদ (UN Charter) কার্যকর হয়েছিল।

প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য রাষ্ট্র: জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার সময় ৫১টি রাষ্ট্র এর সনদে স্বাক্ষর করেছিল।

সদর দপ্তর: জাতিসংঘের প্রধান সদর দপ্তর নিউ ইয়র্ক সিটি, যুক্তরাষ্ট্র-এ অবস্থিত। এছাড়াও জেনেভা, ভিয়েনা এবং নাইরোবিতে এর বড় কার্যালয় রয়েছে।

প্রধান উদ্দেশ্য: জাতিসংঘ সনদে বর্ণিত প্রধান উদ্দেশ্যগুলো হলো:

  • আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা।
  • জাতিদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা।
  • আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং মানবিক সমস্যা সমাধানে সহযোগিতা করা।
  • মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা রক্ষায় উৎসাহ দেওয়া।

জাতিসংঘ বর্তমানে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশের সদস্যপদ নিয়ে একটি শক্তিশালী আন্তর্জাতিক ফোরাম হিসেবে কাজ করছে।

ক. UNO
খ. NAM
গ. GATT
ঘ. ASEAN
ব্যাখ্যাঃ

১৯৯৫ সালটি ছিল জাতিসংঘ (United Nations) এর ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বা গোল্ডেন জুবিলি।

জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ২৪ অক্টোবর ১৯৪৫ সালে। তাই, ১৯৯৫ সাল তার ৫০ বছর পূর্তি হিসেবে পালিত হয়েছিল।

ক. জাপান, জার্মানি, ফ্রান্স, ব্রিটেন, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র
খ. ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, চীন
গ. যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ব্রিটেন, ব্রাজিল, চীন, নাইজেরিয়া
ঘ. উত্তর কোরিয়া, পাকিস্তান, ভারত, ইসরাইল, চীন
ব্যাখ্যাঃ

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচটি স্থায়ী সদস্য দেশ রয়েছে। এই দেশগুলো হলো:

  • গণচীন (People's Republic of China)
  • ফ্রান্স (France)
  • রাশিয়া (Russia) - (সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন)
  • যুক্তরাজ্য (United Kingdom)
  • মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (United States of America)

এই দেশগুলোর প্রতিটি নিরাপত্তা পরিষদের যেকোনো প্রস্তাবে ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে, যার অর্থ হলো তারা কোনো প্রস্তাবকে বাতিল করে দিতে পারে, এমনকি যদি অন্য সব সদস্য দেশ তাতে সম্মত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই দেশগুলোই প্রধান মিত্রশক্তি ছিল এবং জাতিসংঘ সনদের মাধ্যমে তাদের এই স্থায়ী সদস্যপদ ও বিশেষ ক্ষমতা প্রদান করা হয়।

ক. ভিয়েতনাম সংকট
খ. সাইপ্রাস সংকট
গ. কোরিয়া সংকট
ঘ. প্যালেস্টাইন সংকট
ব্যাখ্যাঃ

১৯৫০ সালে কোরীয় যুদ্ধ-কে কেন্দ্র করে ‘শান্তির জন্য ঐক্য প্রস্তাব’ (Uniting for Peace Resolution) জাতিসংঘের মাধ্যমে পেশ করা হয়।

প্রেক্ষাপট:

১৯৫০ সালের জুন মাসে উত্তর কোরিয়া দক্ষিণ কোরিয়া আক্রমণ করলে কোরীয় যুদ্ধ শুরু হয়। এই সংকট মোকাবিলায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ পদক্ষেপ নিতে গেলে সোভিয়েত ইউনিয়ন (তৎকালীন ইউএসএসআর) তার ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করে বাধা দেয়। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশগুলোর মধ্যে মতৈক্যের অভাবে যখন শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে নিরাপত্তা পরিষদ ব্যর্থ হয়, তখন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ এই অচলাবস্থা কাটানোর জন্য একটি নতুন পথ খোঁজে।

এর ফলস্বরূপ, ১৯৫০ সালের ৩ নভেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ "শান্তির জন্য ঐক্য প্রস্তাব" (Resolution 377 A (V)) গ্রহণ করে। এই প্রস্তাবের মূল কথা ছিল, যদি নিরাপত্তা পরিষদ তার স্থায়ী সদস্যদের মধ্যে ঐক্যের অভাবে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়, তবে সাধারণ পরিষদ বিষয়টি বিবেচনা করবে এবং প্রয়োজনে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সম্মিলিত পদক্ষেপ (সামরিক শক্তি ব্যবহারসহ) গ্রহণের সুপারিশ করতে পারবে। এই প্রস্তাবের উদ্দেশ্য ছিল নিরাপত্তা পরিষদের ভেটোর কারণে সৃষ্ট অচলাবস্থা কাটিয়ে বিশ্বশান্তি রক্ষায় জাতিসংঘের কার্যকারিতা নিশ্চিত করা।

ক. ৯
খ. ১২
গ. ১৩
ঘ. ১৪
ব্যাখ্যাঃ

প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসনের ১৪ দফা (Fourteen Points) ঘোষণার ১৪ নম্বর দফায় জাতিপুঞ্জ (League of Nations) সৃষ্টির কথা উল্লেখ করা হয়েছিল।

১৯১৮ সালের ৮ জানুয়ারি মার্কিন কংগ্রেসে দেওয়া এক ভাষণে উইলসনের এই ১৪ দফা বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার একটি নীলনকশা হিসেবে উপস্থাপিত হয়। এই ১৪ নম্বর দফায় বলা হয়েছিল, "A general association of nations must be formed under specific covenants for the purpose of affording mutual guarantees of political independence and territorial integrity to great and small states alike." অর্থাৎ, ছোট-বড় সকল রাষ্ট্রের রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার পারস্পরিক নিশ্চয়তা প্রদানের লক্ষ্যে একটি সাধারণ জাতিসংঘ গঠন করতে হবে।

এই ১৪ নম্বর দফাই প্রথম বিশ্বযুদ্ধোত্তরকালে জাতিপুঞ্জ (League of Nations) গঠনের মূল ভিত্তি ছিল।

ক. বিশ্বযুদ্ধের কারণ নির্ণয়
খ. জিব্রালটার প্রণালীর সুরক্ষা
গ. জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা
ঘ. যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদান
ব্যাখ্যাঃ

ইয়াল্টা সম্মেলন (Yalta Conference) ১৯৪৫ সালের ৪ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের ইয়াল্টায় (ক্রিমিয়া) অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষের দিকে মিত্রশক্তির তিন প্রধান নেতা—মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্ট, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল এবং সোভিয়েত নেতা জোসেফ স্তালিন—এই সম্মেলনে মিলিত হয়েছিলেন।

ইয়াল্টা সম্মেলনের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ছিল:

  • যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউরোপের পুনর্গঠন এবং যুদ্ধের পরবর্তী বিশ্বব্যবস্থা নির্ধারণ করা।
  • জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা এবং এর কাঠামো নিয়ে আলোচনা করা। বিশেষ করে, জাতিপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ এবং ভেটো ক্ষমতা নিয়ে এখানে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
  • জার্মানির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ: জার্মানিকে কীভাবে বিভক্ত ও দখল করা হবে, নিরস্ত্রীকরণ ও নাৎসিবাদের অবসান ঘটানো এবং জার্মানির কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
  • পোল্যান্ডের ভবিষ্যৎ: পোল্যান্ডের সীমান্ত এবং সেখানে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল।
  • সোভিয়েত ইউনিয়নের জাপানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যোগদান: স্তালিন জার্মানির আত্মসমর্পণের পর জাপানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যোগদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

সুতরাং, সংক্ষেপে বলতে গেলে, ইয়াল্টা সম্মেলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য ছিল জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা এবং যুদ্ধোত্তর ইউরোপের পুনর্গঠন ও শান্তি প্রক্রিয়া নির্ধারণ

ক. ১৯৪১
খ. ১৯৪৫
গ. ১৯৪৮
ঘ. ১৯৪৯
ব্যাখ্যাঃ

জাতিসংঘ ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত হয়।

এটি ৫১টি প্রতিষ্ঠাতা সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল, যখন জাতিসংঘ সনদ কার্যকর হয়।

ক. New York
খ. London
গ. Geneva
ঘ. Hague
ব্যাখ্যাঃ

The International Court of Justice (ICJ) হলো জাতিসংঘের প্রধান বিচারিক অঙ্গ। এটি নেদারল্যান্ডসের Hague (হেগ) শহরে অবস্থিত।

ক. লন্ডন
খ. নিউইয়র্ক
গ. প্যারিস
ঘ. মস্কো
ব্যাখ্যাঃ

জাতিসংঘের সদর দপ্তর নিউইয়র্কে অবস্থিত। এছাড়াও নিউইয়র্কে ইউনিসেফ (UNICEF), ইউএনডিপি (UNDP), ইউএনএফপিএ (UNFPA), ইউনিফেম (UNIFEM) এর সদর দপ্তর রয়েছে। রাশিয়ার মস্কোয় রয়েছে CSTO (Collective Security Treaty Organization) এর সদর দপ্তর।

ক. অছি পরিষদ
খ. সাধারণ পরিষদ
গ. নিরাপত্তা পরিষদ
ঘ. অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ
ব্যাখ্যাঃ

জাতিসংঘের নতুন সদস্য গ্রহণ করা হয় সাধারণ পরিষদের সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে। তবে চূড়ান্তভাবে সদস্য গ্রহণের পূর্বে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশের প্রয়োজন হয়।

ক. প্রথম
খ. তৃতীয়
গ. দ্বিতীয়
ঘ. চতুর্থ
ব্যাখ্যাঃ

আফ্রিকা থেকে নিয়োগকৃত জাতিসংঘের প্রথম মহাসচিব ড. বুট্রোস ঘালি (১৯৯১-৯৬)। তিনি মিশরের অধিবাসী ছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালে কফি আনান আফ্রিকা মহাদেশ থেকে নিয়োগকৃত জাতিসংঘের দ্বিতীয় মহাসচিব হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। তার মেয়াদ শেষ হয় ৩১ ডিসেম্বর ২০০৬। জাতিসংঘের বর্তমান তথা নবম মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরেস (পর্তুগাল)।

ক. কুর্ট ওয়াল্ডহেইম
খ. পেরেজ দ্য কুয়েলার
গ. ট্রাইগভেলাই
ঘ. উ থান্ট
ব্যাখ্যাঃ

জাতিসংঘের প্রথম মহাসচিব ট্রাইগভেলাই (নরওয়ে, ১৯৪৬-১৯৫২)। বর্তমান (নবম) মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরেস (পর্তুগাল) দায়িত্ব গ্রহণ ১ জানুয়ারি ২০১৭। বর্তমানেও তিনি কর্মরত আছেন।

ক. গিনি
খ. ঘানা
গ. সেনেগাল
ঘ. মরক্কো
ব্যাখ্যাঃ

জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস একজন পর্তুগিজ নাগরিক। তিনি ৩০ এপ্রিল, ১৯৪৯ সালে পর্তুগালের লিসবনে জন্মগ্রহণ করেন। ১ জানুয়ারি, ২০১৭ সালে তিনি জাতিসংঘের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং বর্তমানে এই পদে বহাল আছেন। এর আগে তিনি ১৯৯৫ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

ক. তিনজন
খ. চারজন
গ. পাঁচজন
ঘ. ছয়জন
ব্যাখ্যাঃ

জাতিসংঘের বিধান অনুযায়ী সাধারণ পরিষদে প্রত্যেক সদস্যরাষ্ট্র পাঁচজন করে প্রতিনিধি পাঠাতে পারে। তবে কোনো সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে প্রত্যেক সদস্যরাষ্ট্র শুধু একটি ভোট প্রদান করতে পারে।

ক. ১৯৫
খ. ১৮৯
গ. ১৭০
ঘ. ১৭৫
ব্যাখ্যাঃ

জাতিসংঘের বর্তমান সদস্য সংখ্যা ১৯৩। এই সংখ্যা মাঝে মাঝে পরিবর্তিত হতে পারে, কারণ নতুন রাষ্ট্র স্বাধীনতা লাভ করলে বা অন্য কোনো কারণে সদস্যপদ পরিবর্তন হলে সংখ্যাটি আপডেট করা হয়। তবে, বর্তমানে ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রই জাতিসংঘের অন্তর্ভুক্ত।

ক. ১৯৪১ সালে
খ. ১৯৪৫ সালে
গ. ১৯৪৮ সালে
ঘ. ১৯৪৯ সালে
ব্যাখ্যাঃ

১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর মোট ৫১টি দেশ নিয়ে জাতিসংঘ সনদ অনুমোদনের মধ্যে দিয়ে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়। এর বর্তমান সদস্য ১৯৩টি দেশ। জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিবের নাম আন্তোনিও গুতেরেস। এর সদর দপ্তর অবস্থিত নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্রে।

ক. ৪৮টি
খ. ৫০টি
গ. ৫১টি
ঘ. ৬০টি
ব্যাখ্যাঃ

১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর মোট ৫১টি দেশ নিয়ে জাতিসংঘ সনদ অনুমোদনের মধ্যে দিয়ে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়। এর বর্তমান সদস্য ১৯৩টি দেশ। জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিবের নাম আন্তোনিও গুতেরেস। এর সদর দপ্তর অবস্থিত নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্রে।

ক. এশিয়া
খ. আফ্রিকা
গ. ইউরোপ
ঘ. দক্ষিণ আমেরিকা
ব্যাখ্যাঃ

১৩ অক্টোবর, ২০১৬ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অনুমোদনের মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব সংস্থাটির নবম মহাসচিব নিযুক্ত হন ইউরোপ মহাদেশের পর্তুগালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনিও গুতেরেস। তিনি ১ জানুয়ারি, ২০১৭ মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। অন্যদিকে এশিয়া মহাদেশ থেকে মহাসচিব হয়েছিলেন উ থান্ট (মিয়ানমার), বান কি মুন (দক্ষিণ কোরিয়া); ইউরোপ মহাদেশ থেকে ট্রাইগভেলাই (নরওয়ে), দ্যাগ হ্যামারশোল্ড (সুইডেন) ও কুর্ট ওয়াল্ড হেইম (অস্ট্রিয়া); দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ থেকে জ্যাভিয়ার পেরেজ দ্য কুয়েলার (পেরু) এবং আফ্রিকা মহাদেশ থেকে মহাসচিব হয়েছিলেন কফি আনান (ঘানা) ও বুট্রোস বুট্রোস ঘালি (মিশর)। উল্লেখ্য, উত্তর আমেরিকা ও ওশেনিয়া মহাদেশ থেকে এখনও পর্যন্ত মহাসচিব নির্বাচিত হননি।

ক. ট্রিগভেলি
খ. কুর্ট ওয়াল্ডহেইম
গ. দ্যাগ হ্যামারশোল্ড
ঘ. উ থান্ট
ব্যাখ্যাঃ

কঙ্গোতে গৃহযুদ্ধ অবসানের লক্ষ্যে বিমানে যাত্রাকালে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১৯৬১ সালে জাতিসংঘের দ্বিতীয় মহাসচিব দ্যাগ হ্যামারশোল্ড ( সুইডেন) নিহত হন।

ক. দ্বিতীয়
খ. তৃতীয়
গ. পঞ্চম
ঘ. ষষ্ঠ
ব্যাখ্যাঃ

ন্যাম সদস্যসমূহ এবং ৭৭-জাতি গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর অর্থনৈতিক মুক্তি ও অগ্রগতির লক্ষ্যে প্রণীত পরিকল্পনা হলো নয়া আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বা NIEO। এটি ১৯৪৭ সালের ৩০ এপ্রিল জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে (ষষ্ঠ বিশেষ অধিবেশন) পাশ হয়।

ক. নামিবিয়া
খ. সুইজারল্যান্ড
গ. কিউবা
ঘ. পানামা
ব্যাখ্যাঃ

২০০২ সালের ১০ সেপ্টেম্বর সুইজারল্যান্ড জাতিসংঘের ১৯০তম সদস্যপদ লাভ করে। প্রশ্নটি প্রণয়নের সময় সুইজারল্যান্ড জাতিসংঘের সদস্য ছিল না। নামিবিয়া ২৩ এপ্রিল ১৯৯০, কিউবা ২৪ অক্টোবর ১৯৪৫ এবং পানামা ১৩ নভেম্বর ১৯৪৫ জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে।

ক. সুয়েজ যুদ্ধ
খ. কোরীয় যুদ্ধ
গ. পাক-ভারত যুদ্ধ ১৯৬৫
ঘ. ফকল্যান্ড যুদ্ধ
ব্যাখ্যাঃ

১৯৫০ সালে কোরিয়ান যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষে এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন উত্তর কোরিয়ার পক্ষ অবলম্বন করলে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ‘Uniting for peace resolution’ গ্রহণ করে। যার মূল কথা হলো নিরাপত্তা পরিষদ শান্তিরক্ষায় সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হলে সাধারণ পরিষদ জরুরি অধিবেশনে মিলিত হয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে। এর মাধ্যমে কোরীয় সংকট শান্তিপূর্ণ ভাবে সমাধান করা হয়।

ক. ১৫টি
খ. ৬টি
গ. ১১টি
ঘ. ১০টি
ব্যাখ্যাঃ

১৯৬৫ সালের আগে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য ছিল ১১টি (৫টি স্থায়ী ও ৬টি অস্থায়ী)। ১৯৬৩ সালে সনদের ২৩ নং ধারা সংশোধন করে অস্থায়ী সদস্য ১০- এ উন্নীত করা হয় যা ১৯৬৫ সালে কার্যকর করা হয়। বর্তমানে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য ১৫।

ক. UNIMOG
খ. UNGOMAP
গ. UNFICP
ঘ. UNIIMOG
ব্যাখ্যাঃ

UNIIMOG –এর পূর্ণরূপ হচ্ছে United Naitons Iran-Iraq Military Observer Group। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ কর্তৃক ১৯৮৮ সালের আগস্টে যুগোশ্লাভিয়ার মেজর জেনারেল স্লাভকো জোভিরকে প্রধান করে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর সদর দপ্তর করা হয় দুটি। একটি ইরাকের বাগদাদে, অপরটি ইরানের তেহরানে।

ক. UNV
খ. DTCD
গ. UNFPA
ঘ. UNDP
ব্যাখ্যাঃ

UNDP মূলত জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি। ১৯৬৫ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। সদর দপ্তর নিউইয়র্ক (যুক্তরাষ্ট্র)।

ক. UNDP
খ. DTCD
গ. UNFPA
ঘ. UNEP
ব্যাখ্যাঃ

UNDP (United Nations Development Programme) ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত উন্নয়নশীল দেশের প্রাকৃতিক মানবসম্পদের উন্নয়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জনে সাহায্যকারী সংস্থা।

UNFPA (United Nations Population Fund) মূলত জাতিসংঘের জনসংখ্যা বিষয়ক সংস্থা।

UNEP (United Nations Environment Programme) জাতিসংঘের পরিবেশ সংক্রান্ত সংস্থা।

ক. উ থান্ট
খ. ট্রিগভেলি
গ. দ্যাগ হ্যামারশোল্ড
ঘ. কুট ওয়াল্ডহেইম
ব্যাখ্যাঃ

জাতিসংঘের নির্বাচিত প্রথম মহাসচিব হলেন ট্রিগভেলি। তিনি নরওয়ের অধিবাসী। দ্যাগ হ্যামারশোল্ড, উ থান্ট ও কুট ওয়াল্ডহেইম যথাক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ মহাসচিব ছিলেন। উল্লেখ্য, জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিব পর্তুগালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টেনিও গুতেরেস ।

ক. ফিলিপাইন
খ. জাপান
গ. ইন্দোনেশিয়া
ঘ. থাইল্যান্ড
ব্যাখ্যাঃ

১৯৭৮ সালে নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী আসনে বাংলাদেশ শক্তিশালী জাপনের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এবং জয়লাভ করে। অবশ্য ২০০০-২০০১ সালের জন্য বাংলাদেশ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অস্থায়ী সদস্য নির্বাচিত হয়।

ক. সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় মঙ্গলবার
খ. সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সোমবার
গ. সেপ্টেম্বর মাসের দ্বিতীয় বুধবার
ঘ. সেপ্টেম্বর মাসের চতুর্থ মঙ্গলবার
ব্যাখ্যাঃ

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের নিয়মিত বার্ষিক অধিবেশন শুরু হয় প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় মঙ্গলবার এবং মধ্য ডিসেম্বর পর্যন্ত তা চলে। নিয়মিত অধিবেশন ছাড়াও সাধারণ পরিষদ জরুরি অধিবেশন ও বিশেষ অধিবেশনে মিলিত হয়।

ক. ১৫৬
খ. ১৫৭
গ. ১৫৮
ঘ. ১৮৮
ব্যাখ্যাঃ

বর্তমান জাতিসংঘের সদস্য ১৯৩ এবং সর্বশেষ সদস্য রাষ্ট্র হলো দক্ষিণ সুদান (সদস্যপদ লাভ ১৪ জুলাই, ২০১১)।

ক. 1990 সালের 26 আগস্ট
খ. 1990 সালের 26 নভেম্বর
গ. 1990 সালের 26 মে
ঘ. 1990 সালের 26 জানুয়ারি
ব্যাখ্যাঃ

১৯৮৯ সালে জাতিসংঘ শিশু সনদ পাস করে । পরবর্তীতে ১৯৯০ সালের ২৬ জানুয়ারি সনদের মূল দলিল স্বাক্ষরের জন্য উন্মুক্ত করা হয় ।

ক. 2015
খ. 2017
গ. 2018
ঘ. 2016
ব্যাখ্যাঃ

2015 সালে পান্ডুলিপি বিহীন এবং অলিখিত বিষয়ে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে International Advisory Committee গঠন করে এবং কার্যক্রম শুরু করে। 2018 সালে তা World Heritage Register - এ তালিকাভুক্ত করতে শুরু করে।

ক. ৮
খ. ১৫
গ. ১৭
ঘ. ২৪
ব্যাখ্যাঃ

জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (Sustainable Development Goals - SDGs) অর্জনের জন্য ২০১৬ থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ, এই লক্ষ্যগুলো অর্জনের জন্য ১৫ বছর সময়কাল ধরা হয়েছে।

ক. ৫৫ তম
খ. ৭০ তম
গ. ৭২ তম
ঘ. ৭৩ তম
ব্যাখ্যাঃ

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG) ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সত্ত্বরতম (70th) সাধারণ পরিষদ অধিবেশনে গৃহীত হয়। এই অধিবেশনে "Transforming our world: the 2030 Agenda for Sustainable Development" শীর্ষক একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়, যার মাধ্যমে ১৭টি এসডিজি আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন লাভ করে।

প্রশ্নঃ জাতিসংঘের প্রথম মহাসচিব কে?

[ 18th ntrca (স্কুল পর্যায়) (15-03-2024) ]

ক. উ-থান্ট
খ. ট্রিগভেলী
গ. দ্যাগ হেমারশোল্ড
ঘ. গুতেরেস
ব্যাখ্যাঃ

জাতিসংঘের প্রথম মহাসচিব ছিলেন ট্রিগভে লি (Trygve Lie)। তিনি নরওয়ের নাগরিক ছিলেন এবং ১৯৪৬ থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত এই পদে দায়িত্ব পালন করেন।