আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
16

ক. ১৯৫৯
খ. ১৯৬০
গ. ১৯৬২
ঘ. ১৯৬৩
ব্যাখ্যাঃ

চীন-ভারত যুদ্ধ ১৯৬২ সালে সংঘটিত হয়।

এই যুদ্ধটি ২০ অক্টোবর থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত চলেছিল এবং এর মূল কারণ ছিল দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত বিরোধ।

ক. হেলেন কেলার
খ. ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল
গ. মাদার তেরেসা
ঘ. সরােজিনী নাইডু
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল খঃ ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল

ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলকে 'দ্য লেডি উইথ দ্য ল্যাম্প' নামে অভিহিত করা হয়। ক্রিমিয়ার যুদ্ধের সময় আহত সৈন্যদের সেবাদানের জন্য তিনি রাতের বেলা লণ্ঠন হাতে ঘুরে বেড়াতেন, তাই সৈন্যরা তাকে এই নামে ডেকেছিল। তিনি আধুনিক নার্সিং পেশার একজন পথিকৃৎ হিসেবেও পরিচিত।

ক. আর্টসাখ প্রজাতন্ত্র
খ. নাগর্নো-কারাবাখ
গ. ইয়েতেভান
ঘ. নাকার্চভান ছিটমহল
ব্যাখ্যাঃ

সেপ্টেম্বর ২০২০-এ নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এই যুদ্ধ ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত চলে এবং শেষ পর্যন্ত আজারবাইজান বিজয়ী হয়। যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর, আজারবাইজান পুনর্দখল করা অঞ্চলগুলোর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখে, এবং সেখানে রাশিয়ান শান্তিরক্ষা বাহিনী মোতায়েন করা হয়।

ক. Weapons of Mass Destruction
খ. Worldwide Mass Mestruction
গ. Weapons of Missile Defence
ঘ. Weapons for Massive Destruction
ব্যাখ্যাঃ

সামরিক ভাষায় ‘WMD’ অর্থ হলো:

Weapons of Mass Destruction অর্থাৎ, বিপুল ধ্বংসাত্মক অস্ত্র

WMD বলতে বোঝায় এমন অস্ত্র যা—

  • বিশাল সংখ্যক মানুষের প্রাণহানি ঘটাতে পারে,
  • বিস্তৃত অঞ্চলে ধ্বংসপ্রদূষণ ঘটাতে সক্ষম,
  • এবং সমাজ ও পরিবেশে গভীর ও দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে।

WMD এর অন্তর্ভুক্ত প্রধান অস্ত্রের ধরন:

  1. Nuclear weapons (পারমাণবিক অস্ত্র)
  2. Biological weapons (জৈব অস্ত্র)
  3. Chemical weapons (রাসায়নিক অস্ত্র)
ক. কার্ল মার্কস
খ. ফ্রেডরিক এঙ্গেলস
গ. ভি. আই. লেনিন
ঘ. মাও সে তুং
ব্যাখ্যাঃ

অক্টোবর বিপ্লব ছিল ১৯১৭ সালের রুশ বিপ্লবের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা ২১ শতকের বিশ্ব ইতিহাসকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। এটি কেবল রাশিয়ার রাজনৈতিক ও সামাজিক কাঠামোকেই পাল্টে দেয়নি, বরং বিশ্বজুড়ে সমাজতান্ত্রিক ও কমিউনিস্ট আন্দোলনের জন্ম ও বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

পটভূমি: ১৯১৭ সালের ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের মাধ্যমে রাশিয়ায় জারতন্ত্রের পতন ঘটে এবং একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসে। তবে এই সরকার প্রথম বিশ্বযুদ্ধে রাশিয়ার অংশগ্রহণ বন্ধ করতে ব্যর্থ হয় এবং ভূমি সংস্কারের মতো মৌলিক সমস্যাগুলো সমাধানেও অনীহা দেখায়। এর ফলে শ্রমিক, কৃষক ও সৈন্যদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ বাড়তে থাকে। এসময় ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিনের নেতৃত্বে বলশেভিক পার্টি 'শান্তি, ভূমি, ও রুটি' (Peace, Land, and Bread) স্লোগান নিয়ে জনগণের সমর্থন আদায় করতে থাকে।

বিপ্লবের ঘটনাপ্রবাহ:

  • তারিখ: ঐতিহ্যগতভাবে 'অক্টোবর বিপ্লব' বলা হলেও, এটি জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২৫ অক্টোবর ১৯১৭ তারিখে (গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ৭ নভেম্বর ১৯১৭) সংঘটিত হয়।
  • নেতৃত্ব: বলশেভিক পার্টির নেতা ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিন এবং লিওন ট্রটস্কি (Leon Trotsky) এই বিপ্লবের মূল সংগঠক ও নেতা ছিলেন।
  • কেন্দ্র: বিপ্লবের কেন্দ্র ছিল তৎকালীন রাশিয়ার রাজধানী পেত্রোগ্রাদ (Petrograd), যা বর্তমানে সেন্ট পিটার্সবার্গ নামে পরিচিত।
  • কার্যক্রম: বলশেভিকরা পেত্রোগ্রাদের প্রধান প্রধান সরকারি ভবন, টেলিফোন এক্সচেঞ্জ, রেলওয়ে স্টেশন এবং শীতকালীন প্রাসাদ (Winter Palace) দখল করে নেয়, যা ছিল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সদর দপ্তর। এই সামরিক ক্ষমতা দখলের প্রক্রিয়া তুলনামূলকভাবে রক্তপাতহীন ছিল।
  • স্লোগান: 'সকল ক্ষমতা সোভিয়েতদের হাতে' (All Power to the Soviets) ছিল বিপ্লবের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ স্লোগান, যা শ্রমিক, কৃষক ও সৈন্যদের সোভিয়েত (পরিষদ)গুলোর ক্ষমতাকে সমর্থন করত।

ফলাফল ও প্রভাব:

  • অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পতন: অক্টোবর বিপ্লবের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পতন ঘটে এবং বলশেভিকরা ক্ষমতা দখল করে।
  • সোভিয়েত রাশিয়ার প্রতিষ্ঠা: বলশেভিকরা একটি নতুন সরকার গঠন করে, যার নাম ছিল 'সোভিয়েত গণপ্রজাতন্ত্রী রাশিয়া'। এটি ছিল বিশ্বের প্রথম সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র।
  • ভূমি সংস্কার: জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত করে ভূমি কৃষকদের মধ্যে বন্টন করা হয়।
  • যুদ্ধ থেকে প্রত্যাহার: রাশিয়া প্রথম বিশ্বযুদ্ধ থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয় (ব্রেস্ট-লিটভস্ক চুক্তি)।
  • কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিক: বিপ্লবের পর বলশেভিকরা 'কমিউনিস্ট ইন্টারন্যাশনাল' বা কমিন্টার্ন প্রতিষ্ঠা করে, যার লক্ষ্য ছিল বিশ্বজুড়ে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবকে উৎসাহিত করা।
  • গৃহযুদ্ধ: বিপ্লবের পর রাশিয়ায় বলশেভিকদের (রেড আর্মি) এবং তাদের বিরোধীদের (হোয়াইট আর্মি) মধ্যে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়, যা ১৯২২ সাল পর্যন্ত চলে।
  • সোভিয়েত ইউনিয়ন গঠন: ১৯২২ সালে গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর, বিভিন্ন প্রজাতন্ত্রকে একত্রিত করে সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের ইউনিয়ন (USSR) বা সোভিয়েত ইউনিয়ন গঠিত হয়।
  • বিশ্বব্যাপী প্রভাব: অক্টোবর বিপ্লব বিশ্বজুড়ে সমাজতান্ত্রিক ও কমিউনিস্ট আন্দোলনের জন্ম দেয়। এটি উপনিবেশবিরোধী আন্দোলনকেও প্রভাবিত করে এবং বিংশ শতাব্দীর ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণকে গভীরভাবে পরিবর্তন করে দেয়। স্নায়ুযুদ্ধের একটি মূল কারণ ছিল এই বিপ্লবের আদর্শগত প্রভাব।

অক্টোবর বিপ্লব আধুনিক বিশ্বের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হয়, যার দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব আজও আলোচনার বিষয়।

ক. ১৯৪২ সালের নভেম্বর মাসে
খ. ১৯৪৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে
গ. ১৯৪৫ সালের মে মাসে
ঘ. ১৯৪৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে
ব্যাখ্যাঃ

১৯৪৫ সালের ৩০ এপ্রিল হিটলার আত্মহত্যা করলে জার্মানির পতন ঘটে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে জার্মানি ৭ মে, ১৯৪৫ সোভিয়েত জেনারেল জর্জ জোকভের নিকট আত্মসমর্পন করে।

ক. ১৯৪৫ সালেরর আগস্ট মাসে
খ. ১৯৪৫ সালের মে মাসে
গ. ১৯৪৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে
ঘ. ১৯৪৪ সালের আগস্ট মাসে
ব্যাখ্যাঃ

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট হিরোশিমায় ‘লিটলবয়’ এবং ৯ আগস্ট নাগাসাকিতে ‘ফ্যাটম্যান’ বোমার বিস্ফোরণ ঘটালে জাপানের পতন ত্বরান্বিত হয়।