আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
15

ক. ১৯০৩
খ. ১৮৬৯
গ. ১৮৮৯
ঘ. ১৮৫৪
উত্তরঃ ১৮৬৯
ব্যাখ্যাঃ

সুয়েজ খাল (Suez Canal) হলো মিশরের সিনাই উপদ্বীপের পশ্চিমে অবস্থিত একটি কৃত্রিম সামুদ্রিক খাল। এটি ভূমধ্যসাগরকে লোহিত সাগরের সাথে সংযুক্ত করেছে। এই খালটি আফ্রিকা মহাদেশকে পরিভ্রমণ না করেই ইউরোপ ও এশিয়ার মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচলের পথ তৈরি করেছে, যা বিশ্ব বাণিজ্যে এর গুরুত্ব অপরিসীম।

ভৌগোলিক অবস্থান ও বৈশিষ্ট্য:

  • অবস্থান: মিশর। এটি সিনাই উপদ্বীপ থেকে মিশরের মূল ভূখণ্ডকে পৃথক করেছে।
  • সংযোগ: ভূমধ্যসাগরের পোর্ট সাইদকে লোহিত সাগরের সুয়েজ উপসাগরের সাথে সংযুক্ত করেছে।
  • দৈর্ঘ্য: বর্তমানে প্রায় ১৯৩.৩০ কিলোমিটার (১২০ মাইল)।
  • প্রশস্ততা ও গভীরতা: আধুনিক ও বড় জাহাজ চলাচলের সুবিধার্থে এটি নিয়মিত গভীর ও প্রশস্ত করা হয়েছে। ২০১৫ সালে এর সমান্তরালে একটি 'দ্বিতীয় লেন' খনন করা হয়, যা জাহাজগুলোর অপেক্ষার সময় কমিয়ে এনেছে।

ইতিহাস:

  • খনন কাজ শুরু: ১৮৫৯ সালের ২৫ এপ্রিল ফরাসি কূটনীতিক ফার্দিনান্দ দে লেসেপসের উদ্যোগে সুয়েজ খাল খনন কাজ শুরু হয়।
  • উদ্বোধন: দশ বছর ধরে খননের পর ১৮৬৯ সালের ১৭ নভেম্বর এটি সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
  • জাতীয়করণ: ১৯৫৬ সালে মিশরের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গামাল আবদেল নাসের সুয়েজ খালকে জাতীয়করণ করেন, যা সুয়েজ সংকট নামে পরিচিত একটি আন্তর্জাতিক বিতর্কের জন্ম দেয়।

অর্থনৈতিক ও কৌশলগত গুরুত্ব:

  • বৈশ্বিক বাণিজ্যের ধমনী: সুয়েজ খালকে প্রায়শই বিশ্ব অর্থনীতির ধমনী হিসেবে অভিহিত করা হয়, কারণ বিশ্ব বাণিজ্যের একটি বিশাল অংশ (প্রায় ১২-১৫%) এই খাল দিয়ে পরিচালিত হয়। বিশেষ করে এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের মধ্যে পণ্য পরিবহনে এটি অপরিহার্য।
  • দূরত্ব ও সময় সাশ্রয়: এই খালের কারণে জাহাজগুলোকে আফ্রিকার কেপ অফ গুড হোপ (উত্তমাশা অন্তরীপ) ঘুরে যেতে হয় না, ফলে ভ্রমণের সময় ও দূরত্ব অনেক কমে যায়, যা জ্বালানি ও খরচ সাশ্রয় করে।
  • মিশরের অর্থনীতি: সুয়েজ খাল মিশরের জন্য রাজস্ব আয়ের একটি প্রধান উৎস। প্রতি বছর এই খাল থেকে মিশর বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আয় করে।

সামুদ্রিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সুয়েজ খাল একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এর গুরুত্ব বিশ্ব অর্থনীতি ও ভূ-রাজনীতিতে অপরিসীম।

ক. সিউল
খ. আম্মান
গ. কায়রো
ঘ. তেহরান
উত্তরঃ কায়রো
ব্যাখ্যাঃ

'তাহরির স্কয়ার' (Tahrir Square) মিশরের রাজধানী কায়রোতে অবস্থিত একটি বিখ্যাত চত্বর। এটি আরবিতে 'মেইদান আত-তাহরির' (Mīdān at-Taḥrīr) নামে পরিচিত, যার অর্থ 'মুক্তির চত্বর' (Liberation Square)।

যে কারণে এটি বহুল আলোচিত:

  • মিশরীয় বিপ্লব ২০১১ (আরব বসন্ত): তাহরির স্কয়ার বিশ্বজুড়ে পরিচিতি লাভ করে ২০১১ সালের মিশরীয় বিপ্লবের (আরব বসন্তের অংশ) মূল কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের ৩০ বছরের শাসনের অবসানের দাবিতে লক্ষ লক্ষ মানুষ এই চত্বরে সমবেত হয়ে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিল। এই বিক্ষোভ বিশ্বজুড়ে ব্যাপক নজর কেড়েছিল এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এর ব্যাপক কাভারেজ হয়েছিল।

ইতিহাস:

  • উনিশ শতকে এটি মূলত 'ইসমাইলিয়া স্কয়ার' নামে পরিচিত ছিল, মিশরের তৎকালীন শাসক খেদিভ ইসমাইলের নামে। তিনি প্যারিসের আদলে কায়রোর ডাউনটাউন এলাকার পরিকল্পনা করেছিলেন।
  • ১৯১৯ সালের মিশরীয় বিপ্লবের পর এর নাম অনানুষ্ঠানিকভাবে 'তাহরির স্কয়ার' হয়ে ওঠে, যা স্বাধীনতার প্রতীক।
  • ১৯৫২ সালের মিশরীয় বিপ্লবের পর এই নামটি সরকারিভাবে গৃহীত হয়।

বর্তমানে তাহরির স্কয়ার কায়রোর একটি গুরুত্বপূর্ণ জনসমাগমস্থল এবং ব্যস্ত ট্রাফিক চত্বর। তবে এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব, বিশেষ করে ২০১১ সালের বিপ্লবের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে, এটিকে বিশ্বজুড়ে পরিচিত করে তুলেছে।

ক. নিউইয়র্ক
খ. লন্ডন
গ. বার্লিন
ঘ. জেদ্দা
উত্তরঃ কোনটি সঠিক নয়।
ব্যাখ্যাঃ

পৃথিবীর বৃহত্তম বিমানবন্দর হলো সৌদি আরবের কিং ফাহদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এটি আয়তনের দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর, যার আয়তন প্রায় ৭৬৯ বর্গ কিলোমিটার। এটি এতো বড় যে নিউ ইয়র্ক শহরের পাঁচটি বোরোর মোট আয়তনের প্রায় সমান।

এটি যদিও আয়তনে সবচেয়ে বড়, যাত্রী পরিবহনের দিক থেকে এটি বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত বিমানবন্দর নয়। যাত্রী পরিবহনের দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ততম বিমানবন্দর হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন আটলান্টা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

ক. জাতীয় গ্রন্হ কেন্দ্র
খ. বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র
গ. সুশাসনের জন্য নাগরিক
ঘ. পাবলিক লাইব্রেরী
উত্তরঃ বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র
ব্যাখ্যাঃ

‘আলোকিত মানুষ চাই’ হলো বাংলাদেশের সুপরিচিত বেসরকারি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের একটি জনপ্রিয় স্লোগান।

এই স্লোগানটি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মূল দর্শনকে ধারণ করে, যার লক্ষ্য হলো বই পড়াকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে জ্ঞান ও প্রজ্ঞা ছড়িয়ে দেওয়া এবং একটি আলোকিত সমাজ গঠন করা।

ক. ব্রিটেন
খ. যুক্তরাষ্ট্র
গ. চীন
ঘ. রাশিয়া
উত্তরঃ চীন
ব্যাখ্যাঃ

‘গ্রেট হল’ বলতে সাধারণত চীনের রাজধানী বেইজিং-এ অবস্থিত ‘গ্রেট হল অফ দ্য পিপল’-কে বোঝানো হয়।

এটি চীনের একটি রাষ্ট্রীয় ভবন, যা বেইজিং-এর তিয়ানানমেন স্কয়ারের পশ্চিম পাশে অবস্থিত। এটি মূলত গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের আইনসভা ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস-এর বৈঠকের জন্য ব্যবহৃত হয়। এছাড়া, বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় ও কূটনৈতিক অনুষ্ঠান এবং বড় ধরনের সম্মেলন এখানে অনুষ্ঠিত হয়।

ক. নিউইয়র্কে
খ. শিকাগোতে
গ. টোকিওতে
ঘ. লন্ডনে
উত্তরঃ কোনটি সঠিক নয়।
ব্যাখ্যাঃ

জাপানের ইয়োকোহামা শহরে অবস্থিত ল্যান্ডমার্ক টাওয়ার ১৯৯৩ সালে নির্মিত হয়। ভূমিকম্প সহনীয় এই ভবনটির উচ্চতা ২৯৬.৩ মিটার বা ৯৭২ ফুট। এটা ৭৩ তলাবিশিষ্ট।

ক. লন্ডনে
খ. মিউনিখে
গ. হংকং-এ
ঘ. প্যারিসে
উত্তরঃ প্যারিসে
ব্যাখ্যাঃ

প্রখ্যাত ফরাসি সেতু প্রকৌশলী আলেকজান্ডার গুস্তাভ আইফেলের নকশাকৃত প্রায় ৩২০ মিটার উঁচু আইফেল টাওয়ার তৈরি করা হয় ফ্রান্সের প্যারিস নগরীতে ১৮৮৯ সালে।

ক. ইতালির মিলান শহর, মালদিনীয়ানি
খ. জার্মানির হামবুর্গ শহর, ক্যাসানোভা
গ. স্পেনের মাদ্রিদ শহর, কাসা বোতিল
ঘ. ফ্রান্সের টুলোন শহর, লাফ্রাসে
উত্তরঃ স্পেনের মাদ্রিদ শহর, কাসা বোতিল
ব্যাখ্যাঃ

১৭২৫ সালে স্পেনের মাদ্রিদ শহরে বিশ্বের প্রাচীনতম রেস্তোরাঁ চালু হয়েছিল। রেস্তোরাঁটির নাম ‘কাসা বোটিন’ (Casa Botín)। এটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে বিশ্বের প্রাচীনতম রেস্তোরাঁ হিসেবে স্বীকৃত।

ক. যুক্তরাজ্য
খ. ফ্রান্স
গ. জাপান
ঘ. জার্মানি
উত্তরঃ ফ্রান্স
ব্যাখ্যাঃ

নিউইয়র্কের হাডসন নদীর তীরে অবস্থিত স্ট্যাচু অব লিবার্টি যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার প্রতীক এবং বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ভাস্কর্য। এটি যুক্তরাষ্ট্রকে উপহার হিসেবে প্রদান করে ফ্রান্স। মূর্তিটি ১৮৮৪ সালে প্যারিসে তৈরি সম্পন্ন হয় এবং ১৮৮৫ সালে খণ্ড খণ্ড করে আমেরিকায় পাঠানো হয়। এর উচ্চতা একটি ২২ তলা বিল্ডিং-এর সমান।

ক. ম্যাকাও
খ. হাইতি
গ. ওকিনাওয়া
ঘ. ভিয়েতনাম
উত্তরঃ ওকিনাওয়া
ব্যাখ্যাঃ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ওকিনাওয়ার যুদ্ধে নিহতদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্তির এবং ওকিনাওয়া যুদ্ধের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে ১৯৯৫ সালের ২৩ জুন এ স্মৃতিসৌধটি উদ্বোধন করা হয়।

ক. নভেরা আহমেদ
খ. হামিদুজ্জামান খান
গ. আবদুল্লাহ খালেদ
ঘ. সুলতানুল ইসলাম
উত্তরঃ হামিদুজ্জামান খান
ব্যাখ্যাঃ

হামিদুজ্জামান খানের ‘স্টেপস’ ভাস্কর্যটি ১৯৮৮ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে অনুষ্ঠিত অলিম্পিকের পার্কে স্থান পেয়েছিল। হামিদুজ্জামান খানের অন্য উল্লেখযোগ্য স্থাপত্যকর্ম হলো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সংশপ্তক’ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক্যাম্পাস’ এবং কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ এ স্থাপিত ‘স্বাধীনতা’।

ক. ১৯৪৬ সালে
খ. ১৯৪৮ সালে
গ. ১৯৬১ সালে
ঘ. ১৯৬২ সালে
উত্তরঃ ১৯৬১ সালে
ব্যাখ্যাঃ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর ১৯৪৯ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে দুই জার্মানির প্রকাশ ঘটে। ১৯৬১ সালে দুই জার্মানিকে বিভক্তকারী দেয়াল নির্মাণ করা হয়। সাবেক সোভিয়েত সরকারের আর্থিক সহায়তায় পূর্ব জার্মানি সরকার এ দেয়াল নির্মাণ করে। এর উচ্চতা ছিল ১০ ফুট। দুই জার্মানির একত্রীকরণের পদক্ষেপ হিসেবে ১৯৮৯ সালে এ দেয়াল ভেঙে ফেলা হয়।

ক. ২৪.৭ কিলোমিটার
খ. ২১.০ কিলোমিটার
গ. ১৯.৩ কিলোমিটার
ঘ. ১৬.৫ কিলোমিটার
উত্তরঃ ১৬.৫ কিলোমিটার
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ১৬.৫ কিমি. বা প্রায় ১০.২৫ মাইল দূরে গঙ্গা নদীর উপর অবস্থিত ফারাক্কা বাঁধ চালু হয় ১৯৭৪ সালে।

ক. ইরান
খ. ইরাক
গ. মিশর
ঘ. সিরিয়া
উত্তরঃ ইরাক
ব্যাখ্যাঃ

‘ব্যাবিলনের ঝুলন্ত উদ্যান’ ইরাকে অবস্থিত। রাজা নেবুচাদনেজার তার স্ত্রীর মনোরঞ্জনের জন্য প্রায় ৩০০ মিটার উঁচু এ উদ্যান নির্মাণ করেন।