প্রশ্নঃ ‘তাসখন্দ চুক্তি’ কোন দুটি রাষ্ট্রের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
‘তাসখন্দ চুক্তি’ ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্রের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়।
এই চুক্তিটি ১৯৬৬ সালের ১০ জানুয়ারি উজবেকিস্তানের তাসখন্দ শহরে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী এবং পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খান স্বাক্ষর করেছিলেন। সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যস্থতায় এই চুক্তি সম্পন্ন হয়েছিল।
গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৩০ বছরের জন্য সম্পাদিত হয়েছিল। এটি ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর তারিখে স্বাক্ষরিত হয়।
সুতরাং, এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ২০২৬ সালের ১২ ডিসেম্বর।
প্রশ্নঃ গ্রীন হাউস গ্যাসসমূহ নিঃসরণ সংক্রান্ত চুক্তি “The Kyoto Protocol” জাতিসংঘ কর্তৃক কত সালে গৃহীত হয়?
[ বিসিএস ৪২তম ]
“The Kyoto Protocol” হলো একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি যা গ্রীন হাউস গ্যাস (GHG) নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়েছিল। এটি ১৯৯৭ সালের ডিসেম্বরে জাপানের কিয়োটো শহরে গৃহীত হয় এবং ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে কার্যকর হয়। এই চুক্তিটি জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (UNFCCC)-এর একটি অংশ।
কিয়োটো প্রোটোকলের মূল উদ্দেশ্য ও বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
- বাধ্যতামূলক নিঃসরণ লক্ষ্যমাত্রা: এই প্রোটোকল উন্নত দেশগুলোকে (অ্যানেক্স-১ ভুক্ত দেশ) একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে (প্রথম কমিটমেন্ট পিরিয়ড: ২০০৮-২০১২) তাদের গ্রীন হাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানোর জন্য আইনিভাবে বাধ্যবাধকতা আরোপ করে। লক্ষ্যমাত্রা সাধারণত ১৯৯০ সালের নিঃসরণের মাত্রার তুলনায় একটি নির্দিষ্ট শতাংশ কমানো।
- ছয়টি প্রধান গ্রীন হাউস গ্যাস: এই প্রোটোকল কার্বন ডাই অক্সাইড (CO₂), মিথেন (CH₄), নাইট্রাস অক্সাইড (N₂O), হাইড্রোফ্লুরোকার্বন (HFCs), পারফ্লুরোকার্বন (PFCs) এবং সালফার হেক্সাফ্লুরাইড (SF₆) - এই ছয়টি প্রধান গ্রীন হাউস গ্যাসের নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণের উপর জোর দেয়।
- "কমন বাট ডিফারেনশিয়েটেড রেসপন্সিবিলিটিস" (Common but Differentiated Responsibilities): এই নীতির উপর ভিত্তি করে উন্নত দেশগুলোর উপর নিঃসরণ কমানোর ক্ষেত্রে বৃহত্তর দায়িত্ব অর্পণ করা হয়, কারণ ঐতিহাসিকভাবে তারাই বেশি নিঃসরণের জন্য দায়ী। উন্নয়নশীল দেশগুলোর ক্ষেত্রে স্বেচ্ছামূলক পদক্ষেপের কথা বলা হয়।
- নমনীয় বাজার ব্যবস্থা: প্রোটোকল তিনটি বাজারভিত্তিক প্রক্রিয়া চালু করে যা দেশগুলোকে তাদের নিঃসরণ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়তা করে:
- এমিশন ট্রেডিং (কার্বন মার্কেট): যে দেশ তাদের নির্ধারিত নিঃসরণের চেয়ে কম নিঃসরণ করে, তারা তাদের অব্যবহৃত নিঃসরণের অধিকার অন্য দেশকে বিক্রি করতে পারে।
- ক্লিন ডেভেলপমেন্ট মেকানিজম (CDM): উন্নত দেশগুলো উন্নয়নশীল দেশে নিঃসরণ হ্রাসকারী প্রকল্পে বিনিয়োগ করে কার্বন ক্রেডিট অর্জন করতে পারে এবং তাদের নিঃসরণ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে এটি ব্যবহার করতে পারে।
- জয়েন্ট ইমপ্লিমেন্টেশন (JI): উন্নত দেশগুলো অন্য উন্নত দেশে নিঃসরণ হ্রাসকারী প্রকল্পে বিনিয়োগ করে কার্বন ক্রেডিট অর্জন করতে পারে।
- মনিটরিং, রিপোর্টিং ও ভেরিফিকেশন: প্রোটোকলে একটি কঠোর পর্যবেক্ষণ, প্রতিবেদন এবং যাচাইকরণ ব্যবস্থা রয়েছে যাতে দেশগুলো তাদের প্রতিশ্রুতি কতটা পূরণ করছে তা নিশ্চিত করা যায়।
- পরবর্তী পর্যায় (Doha Amendment): কিয়োটো প্রোটোকলের প্রথম কমিটমেন্ট পিরিয়ড ২০১২ সালে শেষ হয়। এরপর ২০১২ সালে দোহা সম্মেলনে এর মেয়াদ ২০২০ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়, যেখানে কিছু নতুন নিঃসরণ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে, এই সংশোধনী খুব কম দেশ কর্তৃক অনুসমর্থিত হওয়ায় এর প্রভাব সীমিত ছিল।
সঠিক উত্তর হলো খঃ ওয়েস্টফেলিয়া শান্তি চুক্তি, ১৬৪৮।
ওয়েস্টফেলিয়া শান্তি চুক্তির মাধ্যমে ১৬৪৮ সালে ইউরোপের "ত্রিশ বছরের যুদ্ধ"-এর সমাপ্তি ঘটে। এই চুক্তিটি দুটি প্রধান শান্তি চুক্তির সমষ্টি:
- মুনস্টার চুক্তি (Treaty of Münster): এটি ফ্রান্স এবং পবিত্র রোমান সাম্রাজ্য ও তাদের মিত্রদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়।
- ওসনাব্রুক চুক্তি (Treaty of Osnabrück): এটি সুইডেন এবং পবিত্র রোমান সাম্রাজ্য ও তাদের মিত্রদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়।
এই চুক্তিগুলো ইউরোপের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণ ছিল, যা আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার ভিত্তি স্থাপন করে এবং সার্বভৌমত্বের ধারণাকে স্বীকৃতি দেয়।
প্রশ্নঃ মার্কিন তালেবান ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়-
[ বিসিএস ৪২তম ]
The "মার্কিন তালেবান ঐতিহাসিক চুক্তি" বলতে সাধারণত ২০২০ সালের ২৯শে ফেব্রুয়ারী কাতারের দোহায় স্বাক্ষরিত "আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইসলামিক আমিরাত অফ আফগানিস্তানের মধ্যে চুক্তি" কে বোঝানো হয়। এটিকে সংক্ষেপে দোহা চুক্তি (Doha Agreement)-ও বলা হয়ে থাকে।
এই চুক্তির মূল বিষয়বস্তু ছিল:
- মার্কিন ও মিত্র বাহিনীর প্রত্যাহার: চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, তালেবান তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করলে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা ১৪ মাসের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে তাদের সকল সৈন্য প্রত্যাহার করতে রাজি হয়।
- তালেবানের নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি: তালেবান এই মর্মে প্রতিশ্রুতি দেয় যে তারা আফগানিস্তানের মাটি আল-কায়েদা বা অন্য কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে যুক্তরাষ্ট্র বা তার মিত্রদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে দেবে না।
- আফগানদের মধ্যে আলোচনা: চুক্তিটিতে তালেবান এবং আফগান সরকারের মধ্যে সরাসরি আলোচনার (Intra-Afghan Negotiations) সূচনা করার কথা বলা হয়েছিল, যার মাধ্যমে একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং রাজনৈতিক সমাধানের পথ প্রশস্ত হওয়ার কথা ছিল।
- বন্দী বিনিময়: চুক্তির অংশ হিসেবে উভয় পক্ষ বন্দীদের মুক্তি দিতে সম্মত হয়।
এই চুক্তিটিকে ঐতিহাসিক বলা হয় কারণ এটি দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে চলা আফগান যুদ্ধের অবসানের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল এবং যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানের মধ্যে সরাসরি আলোচনার একটি ফল ছিল। তবে, পরবর্তীতে এই চুক্তির বাস্তবায়ন এবং এর ফলাফল নিয়ে অনেক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
প্রশ্নঃ কোথায় শেনজেন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়?
[ বিসিএস ৪২তম ]
শেনজেন চুক্তি হলো একটি ঐতিহাসিক আন্তর্জাতিক চুক্তি যার মাধ্যমে ইউরোপে শেনজেন এলাকা তৈরি হয়েছে। এই এলাকাভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে অভ্যন্তরীণ সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ অনেকাংশে বাতিল করা হয়েছে। লুক্সেমবার্গের শেনজেন শহরে ১৯৮৫ সালে এই প্রাথমিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কারণে এর নামকরণ করা হয়েছে। এটি ইউরোপের মধ্যে ভ্রমণ ও চলাচলের উপর গভীর প্রভাব ফেলেছে।
শেনজেন চুক্তির মূল নীতি:
- অভ্যন্তরীণ সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ বাতিল: অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে সীমান্তগুলোতে নিয়মিত তল্লাশি বাতিল করাই ছিল প্রধান লক্ষ্য, যাতে মানুষ অবাধে চলাচল করতে পারে।
- বহিঃস্থ সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের সমন্বয়: অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ না থাকার কারণে, শেনজেন এলাকার বাইরের সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের জন্য অভিন্ন নিয়ম তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রবেশ ও প্রস্থানের নিয়ম, ভিসা নীতি এবং সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের মধ্যে সহযোগিতা।
- অভিন্ন ভিসা নীতি: একটি অভিন্ন শেনজেন ভিসা ধারককে স্বল্প সময়ের জন্য (যেকোনো ১৮০ দিনের মধ্যে ৯০ দিন পর্যন্ত) শেনজেন এলাকার মধ্যে অবাধে ভ্রমণের অনুমতি দেয়।
- পুলিশ ও বিচার বিভাগীয় সহযোগিতা: সদস্য দেশগুলোর আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং বিচার বিভাগীয় সংস্থাগুলোর মধ্যে নিরাপত্তা বজায় রাখা এবং আন্তঃসীমান্ত অপরাধ মোকাবেলার জন্য সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।
- শেনজেন তথ্য ব্যবস্থা (SIS): একটি বৃহৎ ডেটাবেস যা সদস্য দেশগুলোকে আইন প্রয়োগ এবং সীমান্ত ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্যে ব্যক্তি ও পণ্য সম্পর্কিত তথ্য আদান-প্রদান করতে সহায়তা করে।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট:
- প্রাথমিক চুক্তিটি ১৪ জুন, ১৯৮৫ সালে তৎকালীন ইউরোপীয় অর্থনৈতিক সম্প্রদায়ের (EEC) পাঁচটি সদস্য রাষ্ট্র দ্বারা স্বাক্ষরিত হয়েছিল: বেলজিয়াম, ফ্রান্স, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডস এবং পশ্চিম জার্মানি।
- ১৯৯০ সালে, শেনজেন কনভেনশন চুক্তিটিকে আরও বিস্তৃত করে, যেখানে নিয়মিত অভ্যন্তরীণ সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণভাবে বাতিল এবং একটি অভিন্ন ভিসা নীতির প্রস্তাব করা হয়। এই কনভেনশনটিই শেনজেন এলাকার মূল আইনি ভিত্তি।
- শেনজেন চুক্তি এবং এর বাস্তবায়নকারী কনভেনশন ১৯৯৫ সালে কিছু প্রাথমিক স্বাক্ষরকারীর জন্য কার্যকর হয়।
- ১৯৯৭ সালের আমস্টারডাম চুক্তি শেনজেন অ্যাকুই (শেনজেন আইনের সমষ্টি) কে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইনের কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসে।
গুরুত্ব:
- অবাধ চলাচল: শেনজেন চুক্তি অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর নাগরিক ও বাসিন্দাদের পাশাপাশি পর্যটকদের পাসপোর্ট পরীক্ষা ছাড়াই অভ্যন্তরীণ সীমান্ত অতিক্রম করা অনেক সহজ করে তুলেছে।
- অর্থনৈতিক একত্রীকরণ: মানুষ, পণ্য ও পরিষেবার অবাধ চলাচলকে সহজ করে তোলার মাধ্যমে শেনজেন এলাকা সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক একত্রীকরণে অবদান রেখেছে।
- পর্যটন ও সাংস্কৃতিক বিনিময়: ভ্রমণের সহজতা পর্যটন বৃদ্ধি করেছে এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানকে উৎসাহিত করেছে।
- নিরাপত্তা সহযোগিতা: তথ্য আদান-প্রদান এবং যৌথ আইন প্রয়োগের প্রচেষ্টার মাধ্যমে অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় সহযোগিতা বৃদ্ধি করেছে।
সদস্য দেশ:
শেনজেন এলাকা সময়ের সাথে সাথে প্রসারিত হয়েছে এবং বর্তমানে ২৯টি ইউরোপীয় দেশ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে:
- ইইউ সদস্য রাষ্ট্র (২৫): অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া, ক্রোয়েশিয়া, চেকিয়া, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রীস, হাঙ্গেরি, ইতালি, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, স্পেন, সুইডেন।
- নন-ইইউ সদস্য রাষ্ট্র (৪): আইসল্যান্ড, লিচেনস্টেইন, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড (এই দেশগুলো সহযোগী চুক্তির মাধ্যমে অংশগ্রহণ করে)।
লাহোরে অনুষ্ঠিত ওআইসি (ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা) শীর্ষ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারি যোগদান করেন।
ঐতিহাসিক এই সম্মেলনে যোগদানের মাধ্যমেই বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে ওআইসির সদস্যপদ লাভ করে। এর আগে, মুক্তিযুদ্ধের সময় এবং স্বাধীনতা লাভের পর অনেক মুসলিম রাষ্ট্র বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে দ্বিধা বোধ করেছিল। বঙ্গবন্ধুর এই সফর বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক সাফল্য ছিল।
প্রশ্নঃ কোন দুটি দেশের মধ্যে সীমান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ২০১৯ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়া হয়?
[ বিসিএস ৪১তম ]
২০১৯ সালে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ আলীকে ইথিওপিয়া এবং ইরিত্রিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিনের সীমান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়া হয়।
প্রশ্নঃ ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি যা Joint Comprehensive Plan of Action নামে পরিচিত তা সই হয়-
[ বিসিএস ৩৭তম ]
ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি, যা Joint Comprehensive Plan of Action (JCPOA) নামে পরিচিত, তা ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই সই হয়।
ব্যাখ্যা: এই চুক্তিটি অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় ইরান এবং বিশ্বের ছয় পরাশক্তি (P5+1: চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ও যুক্তরাষ্ট্র) এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU) এর মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই চুক্তির উদ্দেশ্য ছিল আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিনিময়ে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে সীমিত করা, যাতে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে না পারে।
প্রশ্নঃ ১৭৮৩ সালে ভার্সাইতে কয়টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়?
[ বিসিএস ৩৬তম ]
১৭৮৩ সালে ফ্রান্সের ভার্সাই নগরীতে চারটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যেগুলো ছিল ঐ সময়কার বিশ্ব রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
চারটি চুক্তি হলো:
- গ্রেট ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্র – এটি মূলত Treaty of Paris (1783) নামে পরিচিত, যা আমেরিকার স্বাধীনতা নিশ্চিত করে।
- গ্রেট ব্রিটেন ও ফ্রান্স – ফ্রান্সের অংশগ্রহণের পরিণতি নির্ধারণ করে।
- গ্রেট ব্রিটেন ও স্পেন – স্পেনের সঙ্গে যুদ্ধের অবসান ঘটায়।
- গ্রেট ব্রিটেন ও ডাচ প্রজাতন্ত্র – অর্থনৈতিক ও ঔপনিবেশিক বিরোধ নিষ্পত্তি হয়।
উপসংহার: ভার্সাইতে ১৭৮৩ সালে মোট চারটি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যেগুলোর একটি হলো যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা স্বীকৃতির চুক্তি।
এই চারটি চুক্তি সম্মিলিতভাবে "Treaties of Versailles (1783)" নামে পরিচিত, এবং এর অন্তর্গত "Treaty of Paris" সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে ইতিহাসে বিবেচিত হয়।
প্রশ্নঃ বসনিয়ার যুদ্ধবিরতি স্বাক্ষরের মধ্যস্থতাকারী কে?
[ বিসিএস ২৮তম ]
বসনিয়া-হার্জেগোভিনা প্রাক্তন ফেডারেল যুগোশ্লাভিয়ার একটি প্রজাতন্ত্র। ১৯৯২ সালের ১ মার্চ দেশটি স্বাধীনতা ঘোষণা করে এবং ১৯৯২ সালের ২২ মে জাতিসংঘের সদস্য পদ লাভ করে। কিন্তু স্বাধীনতা ঘোষণার পরপরই দেশটির সার্ব ও ক্রোট সম্প্রদায় এর বিরোধিতা করতে থাকে। অবস্থার প্রেক্ষিতে বসনিয়া হার্জেগোভিনায় দেখা দেয় জাতিগত দ্বন্দ্ব যা পরবর্তীতে মারাত্মক গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। এ প্রেক্ষিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রপতি জিমি কার্টারের মধ্যস্থতায় ২৩ ডিসেম্বর ১৯৯৪ বসনিয়ার মুসলিম সরকার ও সার্ববাহিনীর মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
প্রশ্নঃ রাসায়নিক অস্ত্র চুক্তি (Chemical Weapons Convention) কোন সালে স্বাক্ষরিত হয়?
[ বিসিএস ২৭তম ]
১৯৯৩ সালে রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশন (Chemical Weapons Convention) স্বাক্ষরিত হয়। এ চুক্তিতে রাসায়নিক অস্ত্রের উন্নয়ন, উৎপাদন, মজুদ ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা ও এসব ধ্বংস করার ব্যবস্থা রয়েছে। এই চুক্তি ১৯৯৭ সালে থেকে কার্যকর করা হয়েছে।
প্রশ্নঃ নিচের কোন চুক্তিটি যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে অনুমোদিত হয়নি?
[ বিসিএস ২৭তম ]
ABM Treaty (Anti Ballistic Missile) ১৯৭২ সালের ৩ আগস্ট মার্কিন সিনেটে অনুমোদিত হয়। SALT-1 (Strategic Arms Limitation Talks) ৩০ সেপ্টেম্বর, ১৯৭২ মার্কিন সিনেটে অনুমোদন লাভ করে। ১৮ জুন, ১৯৭৯ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার ও সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট লিওনিদ ব্রেজনভের মধ্যে স্বাক্ষরিত SALT-2 চুক্তিটি মার্কিন সিনেটে অনুমোদন লাভ করেনি। START-2 (Strategic Arms Reduction Treaty) চুক্তি মার্কিন সিনেটে অনুমোদিত হয় ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৭।
প্রশ্নঃ START-2 কি?
[ বিসিএস ২৭তম ]
১৯৯৩ সালের ৩ জানুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্র বিশেষত দূর পাল্লার পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র আগামী ১০ বছরের মধ্যে (১৯৯৩-২০০২) দুই-তৃতীয়াংশ হ্রাস করার লক্ষ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। রাশিয়ার মস্কোতে এ চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে স্বাক্ষর করেন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ (সিনিয়র) এবং রাশিয়ার পক্ষে স্বাক্ষর করেন সে দেশের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলেৎসিন।
জাতিসংঘ গঠনের দ্বিতীয় পদক্ষেপ আটলান্টিক সনদ। ১৯৪১ সালের ১৪ আগস্ট মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টোন চার্চিল ব্রিটিশ নৌ-তরী প্রিন্স অব ওয়েলস-এ মিলিত হয়ে বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তার জন্য আটলান্টিক সনদ স্বাক্ষর করেন।
প্রশ্নঃ শেনজেন চুক্তি হচ্ছে-
[ বিসিএস ২৬তম ]
জল, স্থল ও আকাশ পথে এক ভিসায় কিংবা ভিসা ব্যতীত জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে ইউরোপ ভ্রমণ করার লক্ষ্যে ১৯৮৫ সালের ১৪ জুন লুক্সেমবার্গের শেনজেন শহরে স্বাক্ষরিত চুক্তি। ১৯৮৫ সালে বেলজিয়াম, ফ্রান্স, পশ্চিম জার্মানি, লুক্সেমবার্গ ও নেদারল্যান্ড এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। চুক্তির ফলশ্রুতিতে ১৬ মার্চ ১৯৯৫ থেকে ভিসামুক্ত ইউরোপের যাত্রা শুরু হয়।
প্রশ্নঃ অভিন্ন ইউরোপ গঠনের লক্ষ্যে ম্যাসট্রিক্ট চুক্তি অনুমোদনের জন্য কোন দেশ দুবার গণভোটের আয়োজন করেছিল?
[ বিসিএস ২৬তম ]
অভিন্ন ইউরোপ গঠনের লক্ষ্যে ম্যাসট্রিক্ট চুক্তি অনুমোদনের জন্য ডেনমার্ক প্রথম ২ জুন ১৯৯২ এবং দ্বিতীয় ১৮ মে ১৯৯৩ মোট দুইবার গণভোটের আয়োজন করেছিল।
প্রশ্নঃ উরুগুয়ে রাউন্ডের সংলাপ কত বছর ধরে চলেছিল?
[ বিসিএস ২৬তম ]
গ্যাট (GATT)-এর উদ্যোগে ১৯৮৬ সালের সেপ্টেম্বরে উরুগুয়েতে এই আলোচনাপর্ব শুরু হয় এবং ১৯৯৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর এক চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে দীর্ঘ ৭ বছর ৪ মাসব্যাপী এই উরুগুয়ে রাউন্ড আলোচনার সমাপ্তি ঘটে বাণিজ্য ও শুল্কের ব্যাপারে যেসব পর্যায়ক্রমিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, এটি ছিল তার শেষ রাউন্ড।
প্রশ্নঃ ‘কার্টাগেনা’ প্রটোকল হচ্ছে?
[ বিসিএস ২৫তম ]
জাতিসংঘের জৈব নিরাপত্তা বিষয়ক একটি চুক্তি কার্টাগেনা প্রটোকল। ১৯৯৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে কলম্বিয়ার কার্টাগেনা শহরে জৈব নিরাপত্তা বিষয়ক চুক্তিটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরবর্তীতে ২০০০ সালের ২৪ থেকে ২৯ জানুয়ারি চুক্তিটির খসড়া চূড়ান্ত করা হয় এবং ২৯ জানুয়ারিই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়।
প্রশ্নঃ আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে শক্তি প্রয়োগ নিষিদ্ধকারী ‘প্যারিস প্যাক্ট’ স্বাক্ষরিত হয়-
[ বিসিএস ২৪তম ]
১৯২৮ সালের ২৭ আগস্ট ফ্রান্সের প্যারিসে ‘প্যারিস প্যাক্ট’ স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিটি ‘ক্যালগ-ব্রিয়ান্ড’ বলেও পরিচিত। কার্যকর হয় ২৪ জুলাই, ১৯২৯। বহুপাক্ষিক এ চুক্তিটির মাধ্যমে জাতীয় নীতি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যুদ্ধ পরিহারের কথা বলা হয়।
বিশ্বের প্রতিটি মানুষের অধিকার সংরক্ষণ তথা মানবাধিকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১৯৬৬ সালে দুটি আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। যথা: আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার চুক্তি এবং আন্তর্জাতিক আর্থ-সামাজিক সাংস্কৃতিক অধিকার চুক্তি। উল্লেখ্য, ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর মানুষের সহজাত মর্যাদা, সততা ও সমানাধিকার রক্ষায় একটি চুক্তি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয়, যা ‘মানবাধিকার চুক্তি’ নামে পরিচিত।
প্রশ্নঃ ‘ডেটন শান্তিচুক্তি’ স্বাক্ষরিত হয়-
[ বিসিএস ২৪তম ]
বসনিয়া-হার্জেগোভিনায় শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ওহিও অঙ্গরাজ্যের ডেটন শহরের রাইট-পেটারসন বিমানবাহিনী ঘাঁটিতে ১৯৯৫ সালের নভেম্বরে এক শান্তি চুক্তিতে উপনীত হওয়ার পর ১৪ ডিসেম্বর ১৯৯৫ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে প্যারিসে যে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় তাই ডেটন শান্তি চুক্তি নামে পরিচিত।
প্রশ্নঃ কোন চুক্তির মাধ্যমে ইইসি (EEC) প্রতিষ্ঠা লাভ করে?
[ বিসিএস ২৪তম ]
১৯৫৭ সালের ২৫ মার্চ রোম চুক্তির মাধ্যমে European Economic Community (EEC) গঠনের প্রস্তাব করা হলেও ১৯৫৮ সালের ১ জানুয়ারি European Community (EC) প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৯২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ম্যাসট্রিক্ট চুক্তির মাধ্যমে EC-এর নাম পরিবর্তন করে European Union (EU) প্রতিষ্ঠা করা হয়, যা ১৯৯৩ সালের ১ জানুয়ারি যাত্রা শুরু করে।
প্রশ্নঃ দক্ষিণ এশীয় রাষ্ট্রগুলো কবে সাপটা চুক্তি সই করে?
[ বিসিএস ২১তম ]
সাপটা (সার্ক অগ্রাধিকার বাণিজ্য চুক্তি) হচ্ছে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা বা সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যকার সম্পাদিত একটি বাণিজ্য চুক্তি। SAPTA এর পূর্ণরূপ SAARC Preferential Trading Arrangement। ১৯৯৩ সালে এপ্রিল মাসে ঢাকায় সার্কের সপ্তম শীর্ষ সম্মেলনের শেষ দিন ১১ এপ্রিল সার্ক দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীগণ এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। SAPTA কার্যকর হয় ৮ ডিসেম্বর, ১৯৯৫ থেকে।
প্রশ্নঃ কোন চুক্তিতে পারমাণবিক পরীক্ষা বন্ধ হওয়ার কথা বলা হয়েছে?
[ বিসিএস ২১তম ]
যে চুক্তিতে পারমাণবিক পরীক্ষা বন্ধ হওয়ার কথা বলা হয়েছে, তার নাম হলো "সর্বব্যাপী পারমাণবিক পরীক্ষা নিষিদ্ধকরণ চুক্তি" (Comprehensive Nuclear-Test-Ban Treaty বা CTBT)।
এই চুক্তিটি ১৯৯৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ সভায় গৃহীত হয়েছিল। তবে, এটি এখনও পর্যন্ত কার্যকর করা যায়নি, কারণ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দেশের অনুমোদন এখনও বাকি আছে। এই চুক্তির মূল উদ্দেশ্য হলো সামরিক বা বেসামরিক উদ্দেশ্যে কোনো প্রকার পারমাণবিক পরীক্ষা বন্ধ করা।
প্রশ্নঃ কোন চুক্তি অনুসারে বসনিয়া সংকট সমাধানের পথ সুগম হয়েছিল?
[ বিসিএস ২০তম ]
তিন বছরের বলকান যুদ্ধের অবসান এবং অখণ্ড গণতান্ত্রিক বসনিয়া-হার্জেগোভিনা গঠনের লক্ষ্যে ১৯৯৫ সালের নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও রাজ্যে ডেটন শহরের রাইট পিটারসন বিমান ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় খসড়া শান্তি চুক্তিতে উপনীত হওয়ার পর ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৯৫ ফ্রান্সের প্যারিসে যুদ্ধরত বসনিয়া, সার্বিয়া ও ক্রোয়েশিয়ার মধ্যে ডেটন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
ইরাক-ইরান উপসাগরীয় যুদ্ধ শুরু হয় ১৯৮০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। শাত-ইল-আরব জলপথের অধিকার নিয়ে এই দুটি উপসাগরীয় দেশের মধ্যে যুদ্ধের সূত্রপাত। জাতিসংঘের আহ্বানে ২৯ আগস্ট ১৯৮৮ ইরাক-ইরান যুদ্ধবিরতি মেনে নেয়।
প্রশ্নঃ কোন দেশটি Schengen ভুক্ত নয়?
[ প্রা.বি.স.শি. 21-06-2019 ]
সঠিক উত্তরটি হল ঘঃ ব্রিটেন।
ব্রিটেন (যুক্তরাজ্য) ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য ছিল, কিন্তু এটি কখনোই Schengen অঞ্চলের অংশ ছিল না।