প্রশ্নঃ বাংলার সর্বপ্রাচীন জনপদের নাম কী?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
সঠিক উত্তর হলো কঃ পুণ্ড্র।
বাংলার সর্বপ্রাচীন জনপদের নাম পুণ্ড্র। এর অবস্থান ছিল মূলত উত্তরবঙ্গে।
Related MCQ
প্রশ্নঃ বাংলার প্রাচীন জনপথ হরিকেল-এর বর্তমান নাম কী?
[ বিসিএস ৪৬তম ]
হরিকেল ছিল প্রাচীন বাংলার একটি গুরুত্বপূর্ণ জনপদ। এর সঠিক ভৌগোলিক অবস্থান নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে কিছু মতপার্থক্য থাকলেও, অধিকাংশ ঐতিহাসিক মনে করেন যে, এটি বর্তমান বাংলাদেশের বৃহত্তর সিলেট অঞ্চল এবং চট্টগ্রাম বিভাগ (চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি) নিয়ে গঠিত ছিল। এছাড়াও, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কিছু অংশও এই জনপদের অন্তর্ভুক্ত ছিল বলে ধারণা করা হয়।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
- অবস্থান: এটি ছিল প্রাচীন পূর্ববঙ্গের একটি জনপদ, যার অবস্থান ছিল বাংলার পূর্ব প্রান্তে। চৈনিক পরিব্রাজক ই-ৎসিঙ সপ্তম শতকে এর অবস্থানকে 'পূর্বভারতের পূর্বসীমা'য় নির্দেশ করেন।
- রাজধানী: ধারণা করা হয়, হরিকেলের রাজধানী ছিল শ্রীহট্ট (বর্তমান সিলেট)।
- সময়কাল: সপ্তম ও অষ্টম শতক থেকে দশম ও একাদশ শতক পর্যন্ত হরিকেল একটি স্বতন্ত্র রাজ্য হিসেবে টিকে ছিল।
- প্রমাণ: চট্টগ্রামের নাসিরাবাদ অঞ্চলে আবিষ্কৃত কান্তিদেবের অসম্পূর্ণ তাম্রলিপি এবং বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত হরিকেল রাজ্যের রৌপ্যমুদ্রা এর অস্তিত্বের প্রমাণ বহন করে। এই মুদ্রাগুলোর একদিকে ত্রিশূল এবং অন্যদিকে শিবের ষাঁড় নন্দীর ছবি উৎকীর্ণ রয়েছে।
- সাহিত্যিক উল্লেখ: বিভিন্ন প্রাচীন ভারতীয় গ্রন্থ ও চৈনিক পরিব্রাজকদের বর্ণনায় হরিকেলের উল্লেখ পাওয়া যায়। যেমন, 'মঞ্জুশ্রীমূলকল্প' গ্রন্থে হরিকেল, বঙ্গ এবং সমতটকে পৃথক পৃথক অঞ্চল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
সংক্ষেপে, হরিকেল ছিল প্রাচীন বাংলার দক্ষিণ-পূর্বাংশে অবস্থিত একটি সমৃদ্ধ জনপদ, যা মূলত বর্তমান সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত ছিল।
সঠিক উত্তর হলো গঃ বঙ্গ।
বাংলাদেশের বৃহত্তর ঢাকা জেলা প্রাচীনকালে বঙ্গ জনপদের অন্তর্ভুক্ত ছিল। প্রাচীন বঙ্গ জনপদের একটি অংশ এই অঞ্চলে বিস্তৃত ছিল বলে ধারণা করা হয়।
প্রশ্নঃ চীনদেশের কোন ভ্রমণকারী গুপ্তযুগে বাংলাদেশে আগমন করেন?
[ বিসিএস ৪৪তম ]
চীনদেশের যে ভ্রমণকারী গুপ্তযুগে বাংলাদেশে আগমন করেন তিনি হলেন ফা-হিয়েন।
তিনি আনুমানিক ৪০০ খ্রিস্টাব্দে ভারতে আসেন এবং বেশ কিছু বছর এখানে অবস্থান করেন। এই সময় গুপ্ত সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের শাসন চলছিল। ফা-হিয়েন মূলত বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থের সন্ধানে ভারতে এসেছিলেন এবং বিভিন্ন বৌদ্ধ তীর্থস্থান পরিভ্রমণ করেন। তিনি তার ভ্রমণকাহিনীতে তৎকালীন ভারতীয় সমাজ ও সংস্কৃতির মূল্যবান বিবরণ রেখে গেছেন। যদিও তার বর্ণনায় সরাসরি "বাংলাদেশ" নামটি পাওয়া যায় না (কারণ তখন এই অঞ্চলের নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক বা ভৌগোলিক সংজ্ঞা ছিল না), তবে তিনি পূর্ব ভারতের কিছু অঞ্চল ভ্রমণ করেছিলেন যা পরবর্তীকালে বাংলার অংশ হয়েছিল।
প্রশ্নঃ বাংলার প্রাচীন জনপদ কোনটি?
[ বিসিএস ৪৩তম ]
সঠিক উত্তর হল কঃ পুণ্ড্র।
পুণ্ড্র ছিল বাংলার প্রাচীনতম জনপদগুলোর মধ্যে অন্যতম। এর অবস্থান ছিল মূলত উত্তরবঙ্গে। ঐতিহাসিক বিভিন্ন গ্রন্থে পুণ্ড্র জনপদের উল্লেখ পাওয়া যায় এবং প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনেও এর প্রাচীনত্বের প্রমাণ মেলে।
প্রশ্নঃ প্রাচীন বাংলায় সমতট বর্তমান কোন অঞ্চল নিয়ে গঠিত ছিল?
[ বিসিএস ৪৩তম ]
প্রাচীন বাংলায় সমতট একটি গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক ও রাজনৈতিক অঞ্চল ছিল। গুপ্ত সাম্রাজ্যের সময় থেকে শুরু করে পাল সাম্রাজ্যের পূর্ব পর্যন্ত এর স্বতন্ত্র অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া যায়।
সমতটের ভৌগোলিক অবস্থান:
প্রাচীনকালে সমতটের সঠিক সীমানা নির্ধারণ করা কঠিন হলেও, সাধারণভাবে এটি বর্তমান বাংলাদেশের কুমিল্লা অঞ্চল এবং এর সন্নিহিত এলাকা যেমন নোয়াখালী ও চাঁদপুর জেলার কিছু অংশ নিয়ে গঠিত ছিল বলে ধারণা করা হয়। কারো কারো মতে, ত্রিপুরা রাজ্যের কিছু অংশও এর অন্তর্ভুক্ত ছিল। মেঘনা নদীর পূর্ব তীরবর্তী নিচু ও সমতল ভূমি এই অঞ্চলের মূল বৈশিষ্ট্য ছিল, যা এর নামের ('সম' অর্থ সমতল এবং 'তট' অর্থ তীর বা ভূমি) সার্থকতা প্রমাণ করে।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট:
- গুপ্ত সাম্রাজ্য: গুপ্ত সম্রাটদের অধীনে সমতট একটি করদ রাজ্য হিসেবে পরিচিত ছিল। সমুদ্রগুপ্তের এলাহাবাদ স্তম্ভলিপিতে এর উল্লেখ পাওয়া যায়।
- স্বাধীন রাজ্য: সপ্তম শতাব্দীর শুরুতে গুপ্ত সাম্রাজ্যের দুর্বলতার সুযোগে সমতট একটি স্বাধীন রাজ্যে পরিণত হয়। চৈনিক পরিব্রাজক হিউয়েন সাং এই অঞ্চল ভ্রমণ করেন এবং 'কিয়া-মল-কিয়া' নামে একটি সমৃদ্ধ ও স্বাধীন রাজ্যের বর্ণনা দেন, যা সম্ভবত সমতটই ছিল। তিনি এর রাজধানী 'লো-টো-উই' (Loto-wi) বা লালমাই পাহাড়ের কাছে অবস্থিত বলে উল্লেখ করেন।
- দেব বংশ: অষ্টম শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে দেব বংশ সমতটে একটি শক্তিশালী রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে। তাদের রাজধানী ছিল দেবপর্বত (বর্তমান ময়নামতী)। দেব রাজারা বেশ কয়েক প্রজন্ম ধরে এই অঞ্চল শাসন করেন।
- পাল সাম্রাজ্য: পরবর্তীতে পাল সাম্রাজ্যের অধীনে সমতট তাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশে পরিণত হয়।
প্রশ্নঃ বাংলার সর্বপ্রাচীন জনপদের নাম কী?
[ বিসিএস ৪১তম ]
বাংলার সর্বপ্রাচীন জনপদ হিসেবে ধরা হয় বঙ্গ-কে।
প্রাচীন সাহিত্য ও ঐতিহাসিক বিভিন্ন গ্রন্থে বঙ্গের উল্লেখ পাওয়া যায়। ধারণা করা হয়, খ্রিস্টপূর্বাব্দ কয়েক শতক আগে থেকেই এই জনপদের অস্তিত্ব ছিল। এটি মূলত বৃহত্তর ঢাকা, ফরিদপুর, বরিশাল এবং কুমিল্লা অঞ্চল নিয়ে গঠিত ছিল।
তবে, কিছু ঐতিহাসিক পুন্ড্র জনপদকেও বাংলার অন্যতম প্রাচীন জনপদ হিসেবে বিবেচনা করেন। এর অবস্থান ছিল উত্তরবঙ্গে, যা বর্তমান বগুড়া, রাজশাহী, দিনাজপুর এবং রংপুর অঞ্চল নিয়ে গঠিত ছিল।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন বসতি কোনটি?
[ বিসিএস ৪১তম ]
আপনার বিকল্পগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন বসতি হলো খঃ পুন্ড্রবর্ধন (মহাস্থানগড়)।
যদিও উয়ারী-বটেশ্বর আরও প্রাচীন বসতির নিদর্শন বহন করে, কিন্তু বিকল্পে সেটি উল্লেখ নেই। প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে পুন্ড্রবর্ধন খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকের একটি সমৃদ্ধ জনপদ ছিল বলে ধারণা করা হয় এবং এটি প্রাচীন বাংলার গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোর অন্যতম।
প্রশ্নঃ প্রাচীন বাংলার হরিকেল জনপদ অঞ্চলভুক্ত এলাকা –
[ বিসিএস ৩৮তম ]
প্রাচীন বাংলার হরিকেল জনপদের অঞ্চলভুক্ত প্রধান এলাকাগুলো হলো:
- বৃহত্তর সিলেট অঞ্চল: এটি বর্তমান বাংলাদেশের সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ এবং সুনামগঞ্জ জেলা নিয়ে গঠিত।
- চট্টগ্রাম বিভাগ: এটি বর্তমান বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান এবং খাগড়াছড়ি জেলা নিয়ে গঠিত।
- ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব অংশ: ত্রিপুরা রাজ্যের কিছু দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব অংশও হরিকেলের অন্তর্ভুক্ত ছিল বলে মনে করা হয়।
- মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের উত্তরাংশ (সম্ভাব্য): কিছু ঐতিহাসিক মনে করেন যে, মায়ানমারের আরাকান (রাখাইন) রাজ্যের কিছু অংশও এর সীমানার মধ্যে থাকতে পারে।
সংক্ষেপে, হরিকেল মূলত বর্তমান বাংলাদেশের সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগ এবং সংলগ্ন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কিছু অংশ নিয়ে গঠিত ছিল।
প্রশ্নঃ বাংলার সর্বপ্রাচীন জনপদের নাম কি?
[ বিসিএস ৩৬তম ]
বাংলার সর্বপ্রাচীন জনপদ হলো পুণ্ড্র।
এর রাজধানী ছিল পুণ্ড্রনগর বা পুণ্ড্রবর্ধন, যা বর্তমান বগুড়া জেলার মহাস্থানগড়ে অবস্থিত ছিল।
প্রশ্নঃ প্রাচীন ‘পুণ্ড্রনগর’ কোথায় অবস্থিত?
[ বিসিএস ২৫তম ]
বগুড়ার মহাস্থানগড়ে বাংলাদেশের সর্বপ্রাচীন বৃহৎ নগর পুণ্ড্রনগরের ধ্বংসাবশেষ বিদ্যমান। ১৮৭৯ সালে প্রত্নতত্ত্ববিদ স্যার আলেকজান্ডার কানিংহাম এ নগর সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ শনাক্ত করেন। এখানে প্রাপ্ত ব্রাহ্মী লিপিতে উৎকীর্ণ শিলালিপি থেকে এ সভ্যতার উৎপত্তির সত্যতা প্রমাণিত হয়। অন্যদিকে, কুমিল্লা জেলার অদূরে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক স্থান ময়নামতি। আর ভারতীয় উপমহাদেশের সবচেয়ে বিশালায়তনের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হলো পাহাড়পুর (সোমপুর বিহার)। নওগাঁ জেলায় অবস্থিত এই বৌদ্ধ বিহার রাজা ধর্মপাল এর সময়ে নির্মিত হয়।
প্রশ্নঃ প্রাচীন পুণ্ড্রবর্ধন নগর কোন স্থানে অবস্থিত?
[ বিসিএস ১৩তম ]
বাংলাদেশের সর্বাপেক্ষা প্রাচীন শহর হলো পুণ্ড্রবর্ধন। আজ থেকে প্রায় আড়াই হাজার বছর পূর্বে এটি ছিল অত্র অঞ্চলের বিখ্যাত শহর ও বাণিজ্য কেন্দ্র। ১৮৭৯ সালে প্রত্নতত্ত্ববিদ স্যার আলেকজান্ডার ক্যানিংহাম এ নগর সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ শনাক্ত করেন। এর বর্তমান নাম মহাস্থানগড়। বর্তমান বগুড়া শহর থেকে ১০ কিমি. উত্তরে করতোয়া নদীর পশ্চিম তীরে এর অবস্থান।
প্রশ্নঃ প্রাচীন গৌড় নগরীর অংশবিশেষ বাংলাদেশের কোন জেলায় অবস্থিত?
[ বিসিএস ১৩তম ]
প্রাচীন যুগে বাংলা অখণ্ড কোনো রাজ্য ছিল না। ভিন্ন ভিন্ন নামে খণ্ডে খণ্ডে বিভিন্ন জনপথে বিভক্ত ছিল সমগ্র বাংলা। গৌড় জনপদের সীমানা ছিল রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, মালদহ, পশ্চিম দিনাজপুর।
প্রশ্নঃ মহাস্থানগড় এক সময় বাংলার রাজধানী ছিল, তখন তার নাম ছিল-
[ বিসিএস ১২তম ]
বাংলার প্রাচীনতম জনপদ হলো বগুড়া জেলায় অবস্থিত মহাস্থানগড়, যা একসময় মৌর্য ও গুপ্ত বংশের রাজাদের রাজধানী ছিল। তখন এর নাম ছিল পুণ্ড্রনগর।
প্রশ্নঃ পাহাড়পুরের বৌদ্ধ বিহারটি কি নামে পরিচিত ছিল?
[ বিসিএস ১০তম ]
নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলার পাহাড়পুরে অবস্থিত বৌদ্ধ বিহারের নাম পাহাড়পুর বা সোমপুর বিহার। এর নির্মাতা ধর্মপাল ছিলেন পাল বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা। এটি মধ্যযুগীয় সবচেয়ে বড় বিহার।
প্রশ্নঃ শালবন বিহার কোন রাজবংশের কীর্তি?
[ প্রা.বি.স.শি. 29-03-2024 ]
শালবন বিহার বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান। এর কিছু তথ্য নিচে দেওয়া হলো:
অবস্থান:
- কুমিল্লা জেলার কোটবাড়ি এলাকায় লালমাই পাহাড়ের মাঝে এর অবস্থান।
- এটি কুমিল্লা শহর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত।
ইতিহাস:
- মনে করা হয়, খ্রিস্টীয় সপ্তম শতাব্দীর শেষভাগ থেকে অষ্টম শতাব্দীর প্রথম ভাগে দেববংশের চতুর্থ রাজা শ্রীভবদেব এটি নির্মাণ করেছিলেন।
- এটি ছিল একটি বৌদ্ধ মঠ বা বিহার এবং একসময় এটি শিক্ষা ও সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল।
- খননকার্যের ফলে এখানে ৭ম থেকে ১২শ শতাব্দীর বিভিন্ন প্রত্নবস্তু আবিষ্কৃত হয়েছে।
স্থাপত্য:
- শালবন বিহার পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের মতো হলেও আকারে ছোট।
- এটি একটি চতুর্ভুজাকার স্থাপত্য, যার প্রতিটি বাহু প্রায় ১৬৭.৬ মিটার দীর্ঘ।
- বিহারের চারদিকে ভিক্ষুদের থাকার জন্য ১১৫টি কক্ষ রয়েছে।
- উত্তর দিকে একটি বিশাল প্রবেশদ্বার রয়েছে।
- বিহারের মাঝখানে একটি কেন্দ্রীয় মন্দির ছিল।
- বিহারের দেওয়াল পোড়ামাটির ফলক ও অলংকৃত ইট দিয়ে সজ্জিত ছিল।
গুরুত্ব:
- শালবন বিহার প্রাচীন বাংলার বৌদ্ধ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের এক মূল্যবান নিদর্শন।
- এটি তৎকালীন শিক্ষা ব্যবস্থা ও ধর্মীয় জীবন সম্পর্কে ধারণা দেয়।
- এটি বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।
বর্তমানে শালবন বিহার প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে রয়েছে এবং এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।