আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
16

ক. বিসর্জন
খ. রক্তকরবী
গ. মুক্তধারা
ঘ. ডাকঘর
ব্যাখ্যাঃ

রঞ্জন চরিত্রটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'রক্তকরবী' নাটকের একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র।

এই নাটকে রঞ্জন নন্দিনীর প্রেমিক এবং যক্ষপুরীর অত্যাচারী রাজার বিরুদ্ধে প্রতিরোধের প্রতীক। যদিও নাটকে সরাসরি রঞ্জনের উপস্থিতি দেখা যায় না, তার কথা নন্দিনীর মুখে এবং অন্যান্য চরিত্রের আলোচনায় বারবার উঠে আসে। রঞ্জন স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা এবং শোষণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মূর্ত প্রতীক হিসেবে নাটকে বিরাজ করে।

ক. চতুরঙ্গ
খ. চার অধ্যায়
গ. নৌকাডুবি
ঘ. ঘরে বাইরে
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তরটি হলো কঃ চতুরঙ্গ

শচীন, দামিনী ও শ্রীবিলাস রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'চতুরঙ্গ' উপন্যাসের প্রধান চরিত্র। এই উপন্যাসটি ১৯১৬ সালে প্রকাশিত হয় এবং চারটি স্বতন্ত্র দৃষ্টিকোণ থেকে একটি জটিল মনস্তাত্ত্বিক ও দার্শনিক আখ্যান তুলে ধরে।

ক. ১০ বছর
খ. ১২ বছর
গ. ১৪ বছর
ঘ. ১৬ বছর
ব্যাখ্যাঃ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ষোল বছর বয়সে ছোটগল্পকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।

১৮৭৭ সালে, মাত্র ষোল বছর বয়সে তাঁর প্রথম ছোটগল্প "ভিখারিণী" 'ভারতী' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এর মাধ্যমেই বাংলা সাহিত্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করে এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য ছোটগল্প রচনার যাত্রা শুরু হয়।

ক. খেয়া
খ. মানসী
গ. কল্পনা
ঘ. সােনার তরী
ব্যাখ্যাঃ

‘ব্যক্ত প্রেম’ ও ‘গুপ্ত প্রেম’ কবিতা দুটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মানসী কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত। এই কাব্যগ্রন্থটি ১৮৯০ সালে প্রকাশিত হয়েছিল এবং এটি রবীন্দ্রনাথের কাব্য রচনার "মানসী - সোনার তরী পর্ব"-এর একটি উল্লেখযোগ্য সৃষ্টি।

ক. নষ্টনীড়
খ. নামঞ্জুর গল্প
গ. রবিবার
ঘ. ল্যাবরেটরি
ব্যাখ্যাঃ

‘অভীক’ এবং ‘বিভা’ রবীন্দ্রনাথের রবিবার গল্পের নায়ক ও নায়িকা চরিত্র। ‘নষ্টনীড়’ গল্পের চরিত্র- চারু, অমল ও ভূপতি। ‘ল্যাবরেটরি’ গল্পের অন্যতম প্রধান চরিত্র সোহিনী।

ক. বিদ্যাপতি
খ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
গ. গােবিন্দদাস
ঘ. কৃষ্ণদাস কবিরাজ
ব্যাখ্যাঃ

‘মরণ রে তুঁহু মম শ্যাম সমান।’ – এই বিখ্যাত পংক্তিটির রচয়িতা খঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

এটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ক্ষণিকা কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত "মৃত্যু" নামক কবিতার অংশ। এই পংক্তিতে কবি মৃত্যুকে তার প্রিয়তম শ্যামের (কৃষ্ণের) সাথে তুলনা করেছেন, যেখানে বিরহের গভীরতা ও প্রেমের চিরন্তনতাকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

ক. সবুজপত্র
খ. শনিবারের চিঠি
গ. কল্লোল
ঘ. ধূমকেতু
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল ঘঃ ধূমকেতু

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ধূমকেতু পত্রিকার প্রকাশনা উপলক্ষ্যে আশীর্বাণী পাঠিয়েছিলেন।

ধূমকেতু একটি বিদ্রোহী ও বিপ্লবী পত্রিকা ছিল। এটি ১৯২২ সালের ১১ই আগস্ট কাজী নজরুল ইসলামের সম্পাদনায় প্রথম প্রকাশিত হয়। নজরুল ছিলেন এই পত্রিকার প্রাণ এবং এর অগ্নিঝরা লেখাগুলি তরুণ প্রজন্মকে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই পত্রিকার তেজস্বী ভাবনার প্রতি সমর্থন জানিয়ে আশীর্বাণী পাঠিয়েছিলেন।

ক. ‘অনন্ত প্রেম’
খ. ‘উপহার’
গ. ‘ব্যক্ত প্রেম’
ঘ. ‘শেষ উপহার’
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হল কঃ ‘অনন্ত প্রেম’

এই বিখ্যাত চরণ দুটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘অনন্ত প্রেম’ কবিতার অংশ। কবিতাটি তাঁর ‘ক্ষণিকা’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত। এই কবিতায় কবি তাঁর চিরন্তন ভালোবাসার গভীরতা ও ব্যাপকতা প্রকাশ করেছেন, যা জন্ম-জন্মান্তর ধরে বহমান।

ক. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘শেষ প্রশ্ন’
খ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘চোখের বালি’
গ. কাজী নজরুল ইসলামের ‘কুহেলিকা’
ঘ. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘কপালকুণ্ডলা’
ব্যাখ্যাঃ

বিধবার প্রেম নিয়ে রচিত উপন্যাস হলো খঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘চোখের বালি’

এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র বিনোদিনী, একজন যুবতী বিধবা, যার জীবন এবং তার দুটি পুরুষের প্রতি আকর্ষণ এই কাহিনীর মূল বিষয়। উপন্যাসটিতে বিধবাদের তৎকালীন সামাজিক অবস্থান এবং তাদের মানসিক জটিলতা অত্যন্ত সংবেদনশীলভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

অন্যান্য উপন্যাসগুলোর মূল বিষয় ভিন্ন:

  • শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘শেষ প্রশ্ন’: এটি মূলত নারীমুক্তি, ধর্ম ও সমাজের প্রচলিত রীতিনীতির বিরুদ্ধে এক বলিষ্ঠ প্রশ্ন উত্থাপনকারী উপন্যাস। এখানে বিধবার চরিত্র থাকলেও সেটি মুখ্য নয়।
  • কাজী নজরুল ইসলামের ‘কুহেলিকা’: এটি একটি রহস্য ও মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস, যেখানে প্রেমের জটিলতা ও দেশপ্রেমের প্রেক্ষাপট মুখ্য।
  • বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘কপালকুণ্ডলা’: এটি একটি রোমান্টিক উপন্যাস, যেখানে প্রকৃতির কোলে বেড়ে ওঠা এক বালিকার সাথে শহুরে যুবকের প্রেম ও পরিণতি বর্ণিত হয়েছে।
ক. বিনোদিনী
খ. হৈমন্তী
গ. আশালতা
ঘ. চারুলতা
ব্যাখ্যাঃ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘নষ্টনীড়’ গল্পের একটি বিখ্যাত চরিত্র চারুলতা

এই গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র হলো চারুলতা, ভূপতির স্ত্রী। তার নিঃসঙ্গতা, দেবর অমলের সাথে তার সম্পর্ক এবং মানসিক পরিবর্তন এই গল্পের মূল বিষয়বস্তু।

ক. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
খ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
গ. বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
ঘ. রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন
ব্যাখ্যাঃ

‘জীবনস্মৃতি’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর রচনা।

এটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ।

ক. বৈকুণ্ঠের খাতা
খ. জামাই বারিক
গ. বিবাহ-বিভ্রাট
ঘ. হিতে বিপরীত
ব্যাখ্যাঃ

বৈকুণ্ঠের খাতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি বিখ্যাত কৌতুক নাটক

অন্যান্য বিকল্পগুলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনা হলেও সেগুলো কৌতুক নাটক নয়:

  • খঃ জামাই বারিক - এটি একটি প্রহসনমূলক নাটক।
  • গঃ বিবাহ-বিভ্রাট - এটিও একটি হাসির নাটক তবে সরাসরি কৌতুক নাটক হিসেবে পরিচিত নয়।
  • ঘঃ হিতে বিপরীত - এটি একটি গল্প।
ক. শেষলেখা
খ. শেষপ্রশ্ন
গ. শেষকথা
ঘ. শেষদিন
ব্যাখ্যাঃ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন বাংলা সাহিত্যের এক অবিসংবাদিত প্রতিভা। তিনি একাধারে কবি, সাহিত্যিক, নাট্যকার, সুরকার, দার্শনিক, চিত্রশিল্পী এবং শিক্ষাবিদ ছিলেন। তার সাহিত্যকর্মের মধ্যে কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা বিপুল। তিনি প্রায় ৫৬টি কাব্যগ্রন্থ রচনা করেছেন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কিছু উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থের তালিকা নিচে দেওয়া হলো:

  • কবিকাহিনী (১৮৭৮) - এটি রবীন্দ্রনাথের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ।
  • বনফুল (১৮৮০)
  • সন্ধ্যাসংগীত (১৮৮২)
  • প্রভাতসংগীত (১৮৮৩)
  • কড়ি ও কোমল (১৮৮৬)
  • মানসী (১৮৯০) - এই কাব্যগ্রন্থের মাধ্যমেই রবীন্দ্রনাথের কাব্যপ্রতিভা পূর্ণতা লাভ করে।
  • সোনার তরী (১৮৯৪) - 'সোনার তরী', 'দুই বিঘা জমি', 'দেনাপাওনা' ইত্যাদি বিখ্যাত কবিতা এই কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত।
  • চিত্রা (১৮৯৬)
  • চৈতালি (১৮৯৬)
  • কল্পনা (১৯০০)
  • কথা ও কাহিনী (১৯০০)
  • ক্ষণিকা (১৯০০)
  • নৈবেদ্য (১৯০১)
  • খেয়া (১৯০৬)
  • গীতাঞ্জলি (১৯১০) - এই কাব্যগ্রন্থের জন্য ১৯১৩ সালে তিনি এশিয়ার প্রথম ব্যক্তি হিসেবে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। (ইংরেজি অনুবাদ 'Gitanjali: Song Offerings')
  • গীতিমাল্য (১৯১৪)
  • গীতালি (১৯১৪)
  • বলাকা (১৯১৬) - গতিময়তা ও নতুনত্বের প্রতীকী কাব্য।
  • পলাতকা (১৯১৮)
  • পূরবী (১৯২৫)
  • মহুয়া (১৯২৯)
  • পুনশ্চ (১৯৩২) - বাংলা কাব্যে গদ্যরীতির ব্যবহার শুরু হয় এই কাব্যগ্রন্থ থেকে।
  • শেষ সপ্তক (১৯৩৫)
  • পত্রপুট (১৯৩৬)
  • শ্যামলী (১৯৩৬)
  • খাপছাড়া (১৯৩৭)
  • প্রান্তিক (১৯৩৮)
  • সেঁজুতি (১৯৩৮)
  • নবজাতক (১৯৪০)
  • রোগশয্যায় (১৯৪০)
  • আরোগ্য (১৯৪১)
  • জন্মদিনে (১৯৪১)
  • শেষ লেখা (১৯৪১) - এটি রবীন্দ্রনাথের জীবনের শেষ কাব্যগ্রন্থ, যা তার মৃত্যুর কয়েক মাস আগে প্রকাশিত হয়।

এছাড়াও তার আরও অনেক ছোট-বড় কাব্যগ্রন্থ রয়েছে। রবীন্দ্রনাথের কাব্য বৈচিত্র্যপূর্ণ এবং বাংলা সাহিত্যের এক বিশাল সম্পদ।

ক. বুদ্ধদেব বসু
খ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
গ. মীর মশাররফ হোসেন
ঘ. সৈয়দ শামসুল হক
ব্যাখ্যাঃ

চন্দরা চরিত্রটির স্রষ্টা হলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

এটি তাঁর বিখ্যাত ছোটগল্প 'শাস্তি'-র প্রধান চরিত্র। 'শাস্তি' গল্পে চন্দরা এক জটিল ও প্রতিবাদী নারী চরিত্র, যে নিজের স্বামীর মিথ্যে সাক্ষ্য থেকে বাঁচানোর জন্য নিজেকে দোষী স্বীকার করে নেয় এবং ফাঁসির মঞ্চে ওঠে। এই চরিত্রটি নারীর আত্মমর্যাদা এবং প্রতিবাদের এক দৃঢ় প্রতীক।

ক. অপনোদন অর্থে
খ. পূজা অর্থে
গ. বিলানো অর্থে
ঘ. উপহার অর্থে
ব্যাখ্যাঃ

রবীন্দ্রনাথের এই গানে 'নিছনি' শব্দটি পূজা অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।

'নিছনি' বা 'নেওয়াজ' শব্দটি মূলত কাউকে শ্রদ্ধা বা ভক্তি সহকারে কিছু নিবেদন করা বা উৎসর্গ করা অর্থে ব্যবহৃত হয়, যা পূজার একটি অংশ। এখানে কবি তার কথা, ব্যথা, সুখ এবং ব্যাকুলতা সবকিছুই প্রিয়জনের চরণে নিবেদন করতে চাইছেন, যা এক প্রকার আত্মনিবেদন বা ভক্তির প্রকাশ, যা পূজারই সমার্থক।

অন্যান্য বিকল্পগুলো এখানে ততটা যথার্থ নয়:

  • অপনোদন অর্থে: অপনোদন মানে দূর করা বা অপসারণ করা। এখানে নিবেদন করা হচ্ছে, দূর করা নয়।
  • বিলানো অর্থে: বিলানো মানে বিতরণ করা বা ছড়িয়ে দেওয়া। এখানে নির্দিষ্ট চরণে নিবেদন করা হচ্ছে, যা বিতরণের থেকে ভিন্ন।
  • উপহার অর্থে: উপহার দেওয়া ঠিকই, কিন্তু 'নিছনি'র মধ্যে ভক্তি ও আত্মনিবেদনের যে গভীরতা আছে, তা কেবল 'উপহার' শব্দে পুরোপুরি প্রকাশ পায় না। 'পূজা' শব্দে সেই ভক্তি ও নিবেদনের অর্থ আরও গভীরভাবে প্রকাশ পায়।
ক. ১৯১০
খ. ১৯১১
গ. ১৯১২
ঘ. ১৯১৩
ব্যাখ্যাঃ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'গীতাঞ্জলি' একটি বিশ্ববিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ, যা বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি এবং রবীন্দ্রনাথকে ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার এনে দিয়েছিল।

প্রকাশনা ও বিষয়বস্তু

  • বাংলা গীতাঞ্জলি: এটি ১৯১০ সালের ৫ সেপ্টেম্বর (১৩১৭ বঙ্গাব্দের ভাদ্র মাসে) প্রকাশিত হয়। এই কাব্যগ্রন্থে মোট ১৫৭টি গীতিকবিতা সংকলিত হয়েছে। কবিতাগুলো মূলত ব্রাহ্ম-ভাবাপন্ন ভক্তিমূলক রচনা, যেখানে মানুষ ও ঈশ্বরের মধ্যে এক গভীর আধ্যাত্মিক সম্পর্ক, প্রেম, ভক্তি, প্রকৃতি ও জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে। এর বেশিরভাগ কবিতাতেই রবীন্দ্রনাথ নিজে সুরারোপ করেছিলেন।

  • ইংরেজি গীতাঞ্জলি (Song Offerings): ১৯১২ সালে লন্ডনে 'Gitanjali (Song Offerings)' নামে এর ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশিত হয়। এই অনুবাদটি রবীন্দ্রনাথ নিজেই করেছিলেন। মজার বিষয় হলো, ইংরেজি 'গীতাঞ্জলি'তে বাংলা 'গীতাঞ্জলি'র সব কবিতা ছিল না। এতে মূল বাংলা গীতাঞ্জলির মাত্র ৫১টি এবং রবীন্দ্রনাথের অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ (যেমন - গীতিমাল্য, নৈবেদ্য, খেয়া, শিশু, কল্পনা, চৈতালি, উৎসর্গ, স্মরণ, অচলায়তন) থেকে নেওয়া আরও কিছু কবিতা/গানসহ মোট ১০৩টি কবিতা সংকলিত হয়েছিল। আইরিশ কবি উইলিয়াম বাটলার ইয়েটস (W. B. Yeats) এই ইংরেজি সংস্করণের অসাধারণ একটি ভূমিকা লিখেছিলেন, যা পাশ্চাত্যে এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়।

নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তি

১৯১৩ সালে 'Song Offerings' কাব্যগ্রন্থের জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। এর মাধ্যমে তিনি প্রথম ভারতীয় এবং প্রথম এশীয় হিসেবে এই সম্মানজনক পুরস্কার অর্জন করেন। সুইডিশ একাডেমি তার "গভীরভাবে সংবেদনশীল, তাজা এবং সুন্দর শ্লোক" এবং "পরিপূর্ণ দক্ষতার সাথে, তিনি তার কাব্যিক চিন্তাভাবনাকে তার নিজস্ব ইংরেজি ভাষায় প্রকাশ করেছেন, যা পাশ্চাত্যের সাহিত্যের একটি অংশ" - এই কারণ দেখিয়ে তাকে পুরস্কার প্রদান করে।

তাৎপর্য

'গীতাঞ্জলি'র মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ শুধু বাংলা সাহিত্যকে নয়, ভারতীয় আধ্যাত্মিক ও দার্শনিক চিন্তাধারাকে বিশ্ব দরবারে নতুন করে তুলে ধরেন। এর কবিতাগুলোতে নিগূঢ় আধ্যাত্মিকতা, প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের আত্মিক সংযোগ, এবং পরম সত্তার প্রতি আত্মসমর্পণের এক অসামান্য চিত্র ফুটে উঠেছে, যা বিশ্বজুড়ে পাঠককে আকৃষ্ট করেছে। 'গীতাঞ্জলি' রবীন্দ্রনাথকে 'বিশ্বকবি' হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে এবং বাংলা ভাষার গৌরব বৃদ্ধি করে।

ক. বিহারী-বিনোদিনী
খ. নিখিলেস-বিমলা
গ. মধুসূদন-কুমুদিনী
ঘ. অমিত-লাবণ্য
ব্যাখ্যাঃ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'ঘরে বাইরে' উপন্যাসের চরিত্র দুটি হলো নিখিলেস-বিমলা

ব্যাখ্যা:

  • কঃ বিহারী-বিনোদিনী: এই চরিত্র দুটি রবীন্দ্রনাথের 'চোখের বালি' উপন্যাসের।
  • খঃ নিখিলেস-বিমলা: এই দুটি চরিত্রই 'ঘরে বাইরে' উপন্যাসের প্রধান চরিত্র। নিখিলেশ একজন উদারপন্থী জমিদার এবং বিমলা তার স্ত্রী, যিনি স্বদেশী আন্দোলনের নেতা সন্দীপের প্রভাবে প্রভাবিত হন।
  • গঃ মধুসূদন-কুমুদিনী: এই চরিত্র দুটি রবীন্দ্রনাথের 'যোগাযোগ' উপন্যাসের।
  • ঘঃ অমিত-লাবণ্য: এই চরিত্র দুটি রবীন্দ্রনাথের 'শেষের কবিতা' উপন্যাসের।
ক. সোনার তরী
খ. চিত্রা
গ. মানসী
ঘ. বলাকা
ব্যাখ্যাঃ

‘একখানি ছোট ক্ষেত আমি একেলা’– এই চরণটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত কবিতা ‘সোনার তরী’ থেকে নেওয়া হয়েছে।

ক. খুলনার দক্ষিণ ডিহি
খ. যশোরের কেশবপুর
গ. ছোটনাগপুর মালভূমি
ঘ. কুষ্টিয়ার শিলাইদহ
ব্যাখ্যাঃ

বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন এর তথ্য অনুযায়ী বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পূর্বপুরুষের আদি নিবাস খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার পিঠাভোগ গ্রামে। খুলনা আঞ্চলিক প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদফতর এর পরীক্ষামূলক সমীক্ষায় পিঠাভোগ গ্রামে রবীন্দ্রনাথের পূর্বপুরুষের ভিটা ভিত্তিপ্রস্তরের সন্ধান পাওয়া গেছে।

ক. “কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও?”
খ. “অগ্নিগ্রাসী বিশ্বত্রাসি জাগুক আবার আত্মদান।”
গ. “প্রাণের মানুষ আছে প্রাণে তাই হেরি তায় সকল খানে?”
ঘ. “কি আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে নদীর কূলে।”
ব্যাখ্যাঃ

“অগ্নিগ্রাসী বিশ্বত্রাসি জাগুক আবার আত্মদান।”

ব্যাখ্যা:

  • “কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও?” – এটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত 'রথের রশি' নাটকের একটি বিখ্যাত উক্তি।
  • “অগ্নিগ্রাসী বিশ্বত্রাসি জাগুক আবার আত্মদান।” – এই পঙ্‌ক্তিটি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম-এর বিখ্যাত রণসংগীত 'চল্ চল্ চল্' থেকে নেওয়া। এটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনা নয়।
  • “প্রাণের মানুষ আছে প্রাণে তাই হেরি তায় সকল খানে?” – এটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি জনপ্রিয় গান এবং বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত 'আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি'-র অংশ।
  • “কি আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে নদীর কূলে।” – এটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'তালগাছ' কবিতার একটি লাইন।

সুতরাং, "অগ্নিগ্রাসী বিশ্বত্রাসি জাগুক আবার আত্মদান।" পঙ্‌ক্তিটি রবীন্দ্রনাথের রচনার অন্তর্গত নয়।

ক. আলাওল
খ. কাজী দীন মহম্মদ
গ. কাজী মোতাহের হোসেন
ঘ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ব্যাখ্যাঃ

‘ঘরে বাইরে’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি বিখ্যাত উপন্যাস, যা ১৯১৬ সালে প্রকাশিত হয়। এটি রবীন্দ্রনাথের প্রথম চলিত ভাষায় লেখা উপন্যাস। উপন্যাসটি সবুজপত্র পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল।

১. পটভূমি ও বিষয়বস্তু: উপন্যাসটির মূল পটভূমি হলো বঙ্গভঙ্গ বিরোধী স্বদেশী আন্দোলন। রবীন্দ্রনাথ এই উপন্যাসে একদিকে জাতিপ্রেম ও সংকীর্ণ স্বাদেশিকতার সমালোচনা করেছেন, অন্যদিকে সমাজ ও প্রথা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নারী-পুরুষের সম্পর্ক, বিশেষত পরস্পরের আকর্ষণ-বিকর্ষণের মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করেছেন। এটি একটি রাজনৈতিক উপন্যাস হলেও এর গভীরে রয়েছে নারী-পুরুষের সম্পর্ক, আদর্শের সংঘাত এবং ব্যক্তির আত্ম-অনুসন্ধানের জটিল ধারা।

ক. দীনবন্ধু মিত্র
খ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
গ. প্রমথ চৌধুরী
ঘ. জীবনানন্দ দাস
ব্যাখ্যাঃ

‘ভানুসিংহ ঠাকুর’ ছদ্মনামটি হলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই ছদ্মনামে তাঁর বৈষ্ণব পদাবলীর অনুকরণে রচিত কিছু কবিতা ও গান লিখেছিলেন।

ক. এজরা পাউন্ড
খ. টি.এস. এলিয়ট
গ. ডবলিউ.বি. ইয়েটস
ঘ. কীটস
ক. ইন্দিরা দেবী
খ. কাদম্বরী দেবী
গ. মৃণালিনী দেবী
ঘ. মৈত্রেয়ী দেবী
ব্যাখ্যাঃ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৮৭-১৮৯৫ সময়কালে ভ্রাতুষ্পুত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা দেবী চৌধুরাণীকে যে সকল চিঠি লিখেছিলেন ‘ছিন্নপত্র’ প্রধানত তারই সংকলন। বহু চিঠিই রবীন্দ্রনাথ ‘ছিন্নপত্র’ এ অন্তর্ভুক্ত করেননি।

ক. স্বরবৃত্ত
খ. অক্ষরবৃত্ত
গ. মন্দাক্রান্তা
ঘ. মাত্রাবৃত্ত
ব্যাখ্যাঃ

বাংলা সাহিত্যের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতিভা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘সোনার তরী’ কবিতাটি ১৮৯৪ সালে প্রকাশিত ‘সোনার তরী’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত এ কবিতাটি মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত (৮ মাত্রার মাত্রাবৃত্ত ছন্দে) পূর্ণ পর্ব ৮ মাত্রার, অপূর্ণ পর্ব ৫ মাত্রার।

ক. একরাত্রি
খ. নষ্টনীড়
গ. ক্ষুধিত পাষাণ
ঘ. মধ্যবর্তিনী
ব্যাখ্যাঃ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বেশ কিছু গল্পে অতিপ্রাকৃত বা অলৌকিক উপাদান পাওয়া যায়। তার মধ্যে অন্যতম হলো "ক্ষুধিত পাষাণ"
এই গল্পে একটি পুরনো, নির্জন ডাকবাংলো এবং তার অতিপ্রাকৃত পরিবেশকে ঘিরে রহস্যময় ও ভৌতিক অনুভূতি সৃষ্টি করা হয়েছে। গল্পের বর্ণনায় অতীতের স্মৃতি, অদ্ভুত কল্পনা এবং রহস্যময় আবহ ফুটে উঠেছে, যা পাঠকদের এক ধরনের ভৌতিক অনুভূতির সম্মুখীন করে।
এছাড়াও রবীন্দ্রনাথের "নিশীথে", "মনিহারা", এবং "দুইবোন" গল্পগুলোতেও অতিপ্রাকৃত উপাদানের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।

ক. একরাত্রি
খ. শুভা
গ. সমাপ্তি
ঘ. পোস্টমাস্টার
ব্যাখ্যাঃ

সংলাপটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'সমাপ্তি' ছোটগল্পের নায়িকা 'মৃন্ময়ী' সম্পর্কে লেখকের উক্তি।

ক. পূরবী
খ. শেষলেখা
গ. আকাশ প্রদীপ
ঘ. সেজুঁতি
ব্যাখ্যাঃ

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘তোমার সৃষ্টির পথ’ কবিতার অন্তর্গত আলোচ্য অংশটুকু তার ‘শেষলেখা’ কাব্য থেকে উদ্ধৃত হয়েছে। কবি কলকাতা থাকাকালীন জোড়াসাঁকোতে ১৯৪১ সালের ৩০ জুলাই (১৪ শ্রাবণ ১৩৪৮) কবিতাটি রচনা করেন।

ক. ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়
খ. চণ্ডীদাস
গ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ঘ. ভারতচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
ব্যাখ্যাঃ

বাংলা সাহিত্যের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতিভা, কবি, নাট্যকার, ঔপন্যাসিক, ছোট গল্পকার, প্রাবন্ধিক ও সুরস্রষ্টা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত (১৮৬১-১৯৪১ খ্রি) ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী’ কাব্যগ্রন্থটি ১৮৮৪ সালে প্রকাশিত হয়।

ক. সমাপ্তি
খ. দেনা-পাওনা
গ. পোস্ট-মাস্টার
ঘ. মধ্যবর্তিনী
ব্যাখ্যাঃ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সমাপ্তি’ ছোটগল্পের নায়িকা ‘মৃন্ময়ী’ এবং নায়ক ‘অপূর্বকৃষ্ণ’। অন্যদিকে তার ‘দেনাপাওনা’ ছোটগল্পের নায়িকা ‘নিরু’, ‘পোস্টমাস্টার’ গল্পের বালিকা চরিত্র ‘রতন’ এবং ‘মধ্যবর্তিনী’ গল্পের নায়িকা ‘হরসুন্দরী’ ও ‘শৈলবালা’ এবং নায়ক ‘নিবারণ’।

ক. বলাকা
খ. সোনারতরী
গ. চিত্রা
ঘ. পুনশ্চ
ব্যাখ্যাঃ

প্রদত্ত পংক্তিটি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (১৮৬১-১৯৪১ খ্রি) ‘বলাকা’ কাব্যগ্রন্হের ‘বলাকা’ নামক কবিতার প্রথম পঙ্‌ক্তি। বলাকা কাব্যগ্রন্হটি প্রকাশিত হয় ১৯১৫ সালে।

ক. শেষের কবিতা
খ. বলাকা
গ. ডাকঘর
ঘ. কালান্তর
ব্যাখ্যাঃ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
  • শেষের কবিতা (উপন্যাস)
  • ডাকঘর (নাটক)
  • বলাকা (কাব্যগ্রন্থ)
  • কালান্তর (প্রবন্ধ)
ক. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
খ. সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
গ. কাজী নজরুল ইসলাম
ঘ. জসীমউদ্‌দীন
ব্যাখ্যাঃ

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (১৮৬১-১৯৪১ খ্রি.) অন্যতম কাব্য সংকলন হলো ‘সঞ্চয়িতা’। কবি সত্যন্দ্রনাথ দত্তের (১৮৮২-১৯২২ খ্রি.) উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ হলো ‘বেণু ও বীণা’, ‘কুহু ও কেকা’, ‘সন্ধিক্ষণ’ ইত্যাদি। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের (১৮৯৯-১৯৭৬ খ্রি.) কাব্য সংকলন হলো ‘সঞ্চিতা’। পল্লীকবি জসীমউদ্‌দীনের (১৯০৩-১৯৭৬ খ্রি). কাব্য হলো ‘রাখালী’, ‘বালুচর’, ‘ধানক্ষেত’, ‘মাটির কান্না’, ‘সুচয়নী’ ও ‘রূপবতী’।

ক. চোখের বালি
খ. বলাকা
গ. ঘরে-বাইরে
ঘ. রক্তকরবী
ব্যাখ্যাঃ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হলো- ‘চিত্রাঙ্গদা’ (১২৯৯), ‘প্রায়শ্চিত্ত’ (১৯০৯), ‘রাজা’ (১৯১০), ‘অচলায়তন’ (১৯১১), 'ডাকঘর' (১৯১২), ‘রক্তকরবী’ (১৯২৪), ‘তাসের দেশ’ (১৯৩৩), ‘চণ্ডালিকা’ (১৯৩৩) ইত্যাদি।

ক. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
খ. মাইকেল মধুসূদন দত্ত
গ. ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
ঘ. কায়কোবাদ
ব্যাখ্যাঃ

রাধা-কৃষ্ণের জীবন অবলম্বন করে যে ধারাটি বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে সেটা হলো পদাবলী বা পদাবলী কাব্য। প্রশ্নে উল্লিখিত চারজনের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরই পদাবলী রচনা করেছেন। যার নাম ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী’, যা তিনি ব্রজবুলি ভাষায় রচনা করেন। বৈষ্ণব পদাবলীর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে তিনি এটি রচনা করেন। পদাবলীর প্রধান কবিদের মধ্যে রয়েছেন- বিদ্যাপতি, চণ্ডীদাস, জ্ঞানদাস, গোবিন্দদাস প্রমুখ।

ক. চতুরঙ্গ
খ. চতুষ্কোণ
গ. চতুর্দশী
ঘ. চতুষ্পাঠী
ব্যাখ্যাঃ

‘চতুরঙ্গ’ রবীন্দ্রনাথ রচিত উপন্যাস। তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাস- চোখের বালি, যোগাযোগ, ঘরে বাইরে, মালঞ্চ, শেষের কবিতা।

ক. শেষ প্রশ্ন
খ. শেষ লেখা
গ. শেষের কবিতা
ঘ. শেষের পরিচয়
ব্যাখ্যাঃ
রচনা ধরণ রচয়িতা
শেষ লেখা ও শেষ সপ্তক কাব্যগ্রন্থ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
শেষ কথা ও শেষ পুরস্কার ছোটগল্প রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
শেষ বর্ষণ ও শেষ রক্ষা নাটক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
শেষের কবিতা উপন্যাস রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
শেষ প্রশ্ন ও শেষের পরিচয় উপন্যাস শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
ক. পরশুরাম
খ. নীললোহিত
গ. ভানুসিংহ ঠাকুর
ঘ. গাজী মিয়া
ব্যাখ্যাঃ
সাহিত্যিক ছদ্মনাম
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভানুসিংহ ঠাকুর
রাজশেখর বসু পরশুরাম
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় নীল লোহিত, নীল উপাধ্যায়, সনাতন পাঠক
মীর মশাররফ হোসেন গাজী মিয়া, উদাসীন পথিক, গৌড়তটবাসী মশা
ক. শেষের কবিতা
খ. দোলন-চাঁপা
গ. সোনার তরী
ঘ. মানসী
ব্যাখ্যাঃ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত গ্রন্হ ‘শেষের কবিতা’ (উপন্যাস), ‘সোনারতরী’ (কাব্যগ্রন্হ), ‘মানসী’ (কাব্যগ্রন্হ) । ‘দোলন চাঁপা’ কাজী নজরুল ইসলাম রচিত কাব্যগ্রন্হ ।

ক. বিষবৃক্ষ
খ. গণদেবতা
গ. আরণ্যক
ঘ. ঘরে-বাইরে
ব্যাখ্যাঃ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত অন্যান্য উপন্যাসগুলি হলো- করুণা, বৌ-ঠাকুরাণীর হাট, রাজর্ষি, চোখের বালি, নৌকাডুবি, গোরা, চতুরঙ্গ, যোগাযোগ, শেষের কবিতা, দুই বোন, চার অধ্যায় ও মালঞ্চ। বিষবৃক্ষ, গণদেবতা ও আরণ্যক উপন্যাসের রচয়িতা যথাক্রমে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

ক. বিসর্জন
খ. ডাকঘর
গ. বসন্ত
ঘ. অচলায়তন
ব্যাখ্যাঃ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার ‘বসন্ত’ নাটকটি কাজী নজরুল ইসলামকে উৎসর্গ করেন। তেমনি কাজী নজরুল ইসলামও তার ‘সঞ্চিতা’ কাব্যগ্রন্থটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে উৎসর্গ করেন।

ক. ভবিষ্যৎ বিচিত্র ও বিপুল সম্ভাবনাময়
খ. বাধা-বিপত্তি প্রতিভাকে অঙ্কুরেই বিনষ্ট করে
গ. প্রকৃতি বিপুল ঐশ্বর্য্যের অধিকারী
ঘ. ভাঙ্গার পরেই গড়ার কাজ শুরু হয়
ব্যাখ্যাঃ

‘নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ’ কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘প্রভাতসঙ্গীত’ কাব্যগ্রন্হের অন্তর্ভুক্ত। এটি রবীন্দ্রনাথের প্রথম জীবনে সর্বাপেক্ষা উজ্জ্বল কবিতা। কবিতার প্রথম লাইন- আজি এ প্রভাতে রবির কর/কেমনে পশিল প্রাণের পর।

ক. ১৯৫১
খ. ১৯৬১
গ. ১৯৭১
ঘ. ১৯৮১
ব্যাখ্যাঃ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬১ সালের ৭ই মে, ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫শে বৈশাখ কলকাতার জোড়াসাঁকোতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬১ সালে তার জন্মের শতবর্ষ এবং ২০১১ সালে সার্ধশতবর্ষ পালিত হয়।

ক. প্রতিদান
খ. প্রত্যুপকার
গ. অকৃতজ্ঞতা
ঘ. অসহিষ্ণুতা
ব্যাখ্যাঃ

এটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘কণিকা’ কাব্যগ্রন্হের অন্তর্গত ‘ক্ষুদ্রের দম্ভ’ নামক ২ পঙ্‌ক্তির অণুকবিতা। এটিতে ক্ষুদ্রের দাম্ভিকতা বা অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ পেয়েছে।

ক. আনন্দ
খ. মুক্তি
গ. বিশ্বাস
ঘ. আশ্বাস
ব্যাখ্যাঃ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘নৈবেদ্য’ কাব্যগ্রন্হের ৩০ তম কবিতার প্রথম লাইন হলো “বৈরাগ্য সাধনে মুক্তি সে আমার নয়”।

ক. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
খ. বিষ্ণু দে
গ. সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
ঘ. বুদ্ধদেব বসু
ব্যাখ্যাঃ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সর্বপ্রথম টি.এস. এলিয়টের কবিতা বাংলায় অনুবাদ করেন। বিষ্ণু দে ১৯৫০ সালে ‘এলিয়টের কবিতা’ নামে এলিয়টের কবিতা অনুবাদ করনে। বুদ্ধদেব বসুও টি.এস. এলিয়টের কবিতার অনুবাদ ‘এলিয়টের কবিতা’ নামে প্রকাশ করেন।

ক. কবিতার নাম
খ. গল্প সংকলনের নাম
গ. উপন্যাসের নাম
ঘ. কাব্য সংকলনের নাম
ব্যাখ্যাঃ

‘শেষের কবিতা’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি কাব্যধর্মী উপন্যাস। উপন্যাসটি প্রবাসী পত্রিকায় ১৯২৮ সালে প্রথম ছাপা হয় এবং ১৯২৯ সালে গ্রন্হ হিসেবে প্রকাশিত হয়। অমিত, লাবণ্য, কেতকী রায়, শোভনলাল এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র।

ক. দেনা-পাওনা
খ. পোস্টমাস্টার
গ. হৈমন্তী
ঘ. সমাপ্তি
ব্যাখ্যাঃ

"মৃন্ময়ী" রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সমাপ্তি ছোট গল্পের নায়িকা।

'সমাপ্তি' গল্পে মৃন্ময়ী ছিল গ্রামের একটি দুরন্ত মেয়ে, যার ডাকনাম ছিল মিনু। গল্পটি তার বাল্যকাল থেকে বিবাহের পরের জীবনের পরিবর্তন নিয়ে লেখা।

ক. বাউল
খ. মুশিদি
গ. ভাটিয়ালি
ঘ. ভাওয়াইয়া
ব্যাখ্যাঃ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত 'আমার সোনার বাংলা'র সুর বাউল গানের সুর থেকে নিয়েছেন।

বিশেষভাবে, এই গানের সুরটি বাউল গায়ক গগন হরকরার বিখ্যাত গান "আমি কোথায় পাব তারে আমার মনের মানুষ যে রে"-এর সুরের সাথে অনেক মিল পাওয়া যায়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই বাউল গানটির সুর শুনে 'আমার সোনার বাংলা'র সুর তৈরি করেছিলেন বলে জানা যায়। এমনকি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর বিভিন্ন লেখায় বাউল গানের সুরের প্রতি মুগ্ধতা এবং তাঁর গানে এর প্রভাবের কথা উল্লেখ করেছেন।